Categories
কবিতা

জাগরন : সুমন।।।।

১.
যে মেয়েটি প্রতিদিন রাতে তার মাতাল স্বামীর অত্যাচারে কুঁকড়ে থাকত, আজ সেই মেয়ে নিশ্চিন্তে স্বামীর বুকে মাথা রেখে পূর্ণীমার আলো মেখে প্রেমের গানগায়।

২.
যে সীমান্তে গুলিড় লড়াইয়ে শূন্য হত হাজার মায়ের কোল, আজ সেই সীমান্তে খোলা আকাশের নীচে নির্ভয়ে ঘুমায় সে দিনের সেই অতন্দ্র প্রহরীরা। কাঁটা তারের দেওয়াল জুড়ে লবঙ্গলতার ফুল।

৩.
রাজনৈতিক লড়াইয়ে শ্লোগান আর দেওয়াল লিখনে ভোরে যাওয়া দেওয়াল গুলোতো আজ শুধুই মহাজনদের মহৎ বানী!

৪.
পাখিরা নিশ্চিন্তে স্বাধীনতার ডালা মেলে উড়ে বেড়ায় নীল আকাশে, খাঁচার দরজা খুলে দাঁড়িয়ে প্রশান্ত হাঁসি হাসে দারোয়ান।

৫.
জেলের গারদ গুলো স্মৃতী হয়ে দাঁড়িয়ে সৌজন্যের শুভেচ্ছা বিনিময় করে মানুষের সাথে।

৬.
ব্যারিকেট হীন মৌনতার মিছিল নিখুত নিশব্দে অনায়াসে পৌঁছে যাচ্ছে ভালোবাসার দরজায়

৭.
অচেনার ভীড়ে হারিয়ে যাওয়া এক দিন, আজ সব চেনা চেনা লাগে। চারিপাশে শুধুই আপনজনদের চোখ আর বাড়ানো বিশ্বাসী হাতের ভীড়।

৮.
আমিনার পোষ্যটিকে আদর করে ভাতের ফেন খাওয়ায় বাবুদের গিন্নী।

৯.
স্বপ্ন দেখা গোরিব মেধাবী ছাত্রটির স্বপ্ন সফল করার স্বপ্ন এখন সকলের প্রতিজ্ঞাবদ্ধ চোখে মুখে স্পষ্ট।

১০.
একা হেঁটে যাওয়া মানুষ গুলোর চার পাশে এখন হাজার পায়ের শব্দ।

১১.
ভালোবাসার মিছিলে নীরবতার স্লোগান গোষ্ঠী, গোত্র, পরিচয় হীন দের। সব হারানো পরিবারের বুকে আজ অনেক পাওয়ার শান্তি।

১২.
ভিন্ জাতের মেয়ে টিকে পুত্র বধূ করে নিয়ে যায় যে পিতা, সেথায় কন্যা রূপে লাললন পালন হচ্ছে সে একই স্নেহ মমতায়।

১৩.
ঘুম ভেঙ্গে শুনি নিরূপমার মৃত্য হয়নি। ওটা দুঃস্বপ্ন ছিল।

১৪.
রিজিওয়ানুর ঘর আলো করে এসেছে নতুন অতিথি, রামরহিম।

১৫.
বৃদ্ধ মানুষ গুলোকে আর লাঠির খোঁজ করতে হয়না, তাদের চারপাশে এখন অনেক শক্তপোক্ত কাঁধের ইমারত।

১৬.
এখন আর জয় পরাজয় অশান্ত উল্লাস নেই।অঙ্কের কাটাকুটিতে হেরে যাওয়া মানুষগুলোও আজ নিশ্চিন্তে ঘুমায়।

Share This

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *