বাপটা আমার থেকেও নেই মনে করি মারা গেছেন, চোখ মেলে দেখিনা কখনো বাপের মুখটা কেমন, মায়ের আমার ভীষণ কষ্ট কোন- ভোরে মা চলে যায় বাবুর বাড়ির বাসন ধুতে
আমরা এখন তিনজন থাকি রেললাইনের ধারে।
আমার কাছে ভাইকে রেখে মা রোজ যায়- ভাইকে ফেলে কি করে যাই ইস্কুলে? খিদের জ্বালায় শুয়ে পড়ে ভাই যে আমার সারা হয় কেঁদেকেটে।
কাল রাতে আমার পেটে ব্যথা ছিলো ভাত
খাইনি, আমার ভাতটা রেখে ছিলো মা-ভোরে যখন ভাই কাঁদছিলো খিদের জ্বালায় তখন
পান্তা করে নুন দিয়ে ভাইকে দিলাম সবটা ভাত খাইয়ে কিছুক্ষণ বাদে কান্নাটাও থেমে গেলো।
দাড়িয়ে আছি ভাইকে কোলে নিয়ে মায়ের জন্য
এই বুঝি মা এলো ভাবছি।
ইস্কুলে যাবার সময় পার হয়ে যাচ্ছে, এই ঘন্টা বেজে থেমে গেলো মনে হয়-কি করে যে যাবো,মা এলো না এখনো।
হয়তো গিন্নীমা অনেক কাজ ধরিয়ে দিলো মাকে কাজের চাপে মার আসতে দেরি হচ্ছে।
এমন তো কখনো হয়নি,তবে আমারা গরিব বলেই এমন করলো,বাপটা যদি ভালো হতো তাহলে মায়ের কাজে যেতে হতোনা আর আমার ইস্কুল ও বন্ধ হতোনা।