নতুন বৌ, ও নতুন বৌ, বাবাহ্- একটা ফোন করতে পারোনিকো? তোমাদের বলিহারি বাপু এই বয়সে এতো ধকল কি নিতে পারে শরীর, বলো দেকি বাপু? কোথায় একটু এগিয়ে আসবে- তা না-
কোথায় গেলো গো সব- সেই আবলা ছোকরাটাই বা কোথায়?
ধর ধর, আমার হাতটা ভেঙি গেলো যে-
বিস্তর ভারি ব্যাগডা, কি করতিছো ডাল বসয়েছো বুঝি?
আরে আরে তোমার ডাল তো হাসতেছে গো, একটু দেরি করলেই লুটায়ে পড়তো হাসতে হাসতে, হায় রে-
কেমন বৌ গা তুমি, খেয়াল রাখবেনে!
কী কাটতেছো নতুন বৌ? তোমার শাশুড়িকে তো দেখতেছি না, সে কোথায় বাতাস লাগাইতে গেছে গায়ে? তার বুদ্ধিশূন্য হইলো কবে থেকেইকে-
এই নতুন বৌ আসতে না আসতেই পাকের ঘরে ঢুকাই দিলো। সেই স্বভাবডা গেলো না। তোমার শ্বশুড় বাঁইচা থাইকে কতনা অশান্তি কইরতো তখন একসাথে ছিলাম চোপাও কম না- তোর শাউড়ির কিছু বইলে সাত পাঁচ কথা শোনাইতো। যাগ্গে বাবা, আমিতো বেইচে গেছি।
আমার ছেলেরা তো চাকরি করে শুনেছো না?
ফ্ল্যাট কিনিছে দুই ছেলেই। আমার যার কাছে ইচ্ছা হয় তখনই তার কাছে থাকি, বৌ দুইজন একেবার ভালো তা বলইনা তবে মন্দও না। আইচকালকার বৌ তো- তবে বাপু তুমি কেমন বুঝইতে সময় লাগবে। যাগ্গে- শাউড়ি কখন আইবে?
আমি এতো কথা বইলাম তুমি মুচকি মুচকি হাসতাছো, উত্তর করছো না- তোমার রাগ হইছে না?
না গো জেঠিমা- কেনো রাগ করবো আপনি গুরুজন, আপনার কথায় রাগ করা যায়।
আপনি বেশ বলতে পারেন-
কী বলতে পারি গা, নতুন বৌ?
এতো কষ্ট করে এলেন- কোথায়ও এতোটুকুও
ক্লান্তি নেই- আর ব্যাগটা ধরবার জন্য ছোট দেওরকে ডাকছেন, এসে থেকেই বকবক করেই চলছেন তাই বলছি আপনার ক্লান্তি নেই।
বাবা আমি তো ভাইবছিলুম তুমি কথাই বলইতে পারো না।
ও– আপনি ভেবেছিলেন আমি বোবা-
আপনারা তো দেখেই এনেছেন-বোবা হলে কি আনতেন, বলুন জেঠিমা?
তবে আপনার একটি কথা আমার ভীষণ ভালো লেগেছে।
কোনডা রে, নতুন বৌ?
ঐ যে– বললেন আরে আরে তোমার ডাল তো হাসছে গো- একটু দেরি করলেই লুটায়ে পড়তো হাসতে হাসতে–
তুমি কেমন বৌ গা খেয়াল রাখবেনে?