ওঁ নমঃ শ্রী ভগবতে প্রণবায় ।
—————————————–
***সর্বোত্তম জীবন হল সেই জীবন যা অন্যের দ্বারা কিছুই না করে সুখে যাপন করা হয় l’এই চলমান জীবনে কেউ না আছে আমাদের থেকে এগিয়ে না কেউ পিছিয়ে ৷ এখানে কেউ বেশী উন্নত নই ৷ আবার কেউ নই অকাট মূর্খ ৷ জীবন একবারে আমাদের সঠিক অবস্থানে দাঁড় করিয়ে রেখেছে ৷ সেই জায়গায় কোথাও আমরা শিক্ষক আবার কোথাও ছাত্র ৷ জীবন আসলে সেটা নয় যা তুমি পেয়েছো , জীবন তো সেটাই,যা তুমি তোমার মেধা আর পরিশ্রম দিয়ে তৈরি করেছো l
কেউই আসলে খারাপ হয় না জানো, খারাপ হয় শুধু সময়টা । আর সেই খারাপ সময়টা অনেকটা উড়ো মেঘের মতো । তাই মেঘ কেটে গেলেই আকাশ পরিষ্কার হয়ে যায়। সূর্য ওঠে। ফুল ফোটে । পাখিরা ওড়ে মুক্ত আকাশে । জীবন ও তাই, জীবন একটা সফর !
মানুষ কখনোই ব্যর্থ হয় না, হয়তো সে সফল হয় নয়তো সে অভিজ্ঞতা অর্জন করে ।জীবন একটি বই
কিছু অধ্যায় দুঃখজনক। কিছু খুশি, এবং কিছু উত্তেজনাপূর্ণ৷ কিন্তু আপনি যদি পৃষ্ঠাটি না উল্টান তবে আপনি কখনই জানতে পারবেন না যে পরবর্তী অধ্যায়টি কী রয়েছে৷
মৃগনাভির গন্ধের উৎস খুঁজতে গিয়ে মৃগ সারা জঙ্গলের দূর দীগন্ত ছুটে ছুটে একসময় ক্লান্ত হয়ে নিজের এলাকায় ফিরে আসে।ক্লান্ত বিষন্ন শরীরে বিশ্রাম নিতে তার চেনা মাটিতে বসে পড়ে ।তারপর যখন নিজের মুখ জিভ দিয়ে গা পরিষ্কার করতে থাকে, একদা বুঝতে পারে যে, এতদিন ধরে সে যে মনমাতানো পাগল করা সুবাসের উৎস খুঁজতে সারা বন-জঙ্গল তন্য তন্য করে পাড়ি দিয়েছে, তার উৎস দূর দূরন্তে নেই । যে গন্ধ সে খুঁজে বেড়িয়েছে এতদিন, তা তার নিজের নাভি থেকেই নির্গত হচ্ছে। ঐ গন্ধ প্রাণ ভরে শুঁকতে শুঁকতে পরম শান্তিতে সে ঘুমাতে থাকে । আর অকারণ ছুটতে হয়না তাকে ।
সাধনের জন্য নিজের পরিসরেই সব মন্দির পীঠ অবস্থান করে। যারা সত্যিকার সাধন ভজনে লিপ্ত তারা সাধ্যাতীত তীর্থ ভ্রমনে লিপ্ত হন না।পকেটের টাকা দিয়ে ভগবান বা ঈশ্বর কাউকেই কেনা যায় না। নিজের পরিসরে বিরাজ করেই তাঁকে ডাকার মত ডাকতে পারলেই সব তীর্থ একাকার হয় নিজের মধ্যেই ।
যেমন নেপালের দেবদেবী কেবল নেপালে বন্দী নয়।ভারতের দেবদেবী কেবল ভারতে বন্দী নয়। তিনি ঈশ্বর, তাই তিনি প্রতি অনুতেই বিরাজমান।
“তোরে ডাকার মতো ডাকতে যদি পারি, আসবি নি তোর এমন সাধ্য নেই। আমি মন্ত্র-তন্ত্র কিছুই জানিনে মা ।।”
অহংকার বর্জন করে তাঁকে ভালোবাসা দিয়ে ডাকলেই তিনি তুষ্ট ।***
ॐ গুরু কৃপাহি কেবলম….!