Categories
রিভিউ

আজ আন্তর্জাতিক শান্তি দিবস, জেনে নেবো এই দিনটি সম্পর্কে কিছু কথা।

এই বছরের থিম হল Actions for Peace: Our Ambition for the #GlobalGoals.  এটি কর্মের আহ্বান যা শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য আমাদের ব্যক্তিগত এবং সম্মিলিত দায়িত্বকে স্বীকৃতি দেয়।

 

প্রতি বছর ২১ সেপ্টেম্বর বিশ্বজুড়ে আন্তর্জাতিক শান্তি দিবস (IDP) পালিত হয়।  জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ ২৪ ঘণ্টার অহিংসা ও যুদ্ধবিরতি পালনের মাধ্যমে শান্তির আদর্শকে শক্তিশালী করার জন্য নিবেদিত দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছে।  ১৯৮১ সালে সর্বসম্মত জাতিসংঘের রেজোলিউশন দ্বারা প্রতিষ্ঠিত, শান্তি দিবসটি সমস্ত মানবতার জন্য সমস্ত পার্থক্যের ঊর্ধ্বে শান্তিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং শান্তির সংস্কৃতি গড়ে তুলতে অবদান রাখার জন্য একটি বিশ্বব্যাপী ভাগ করা তারিখ প্রদান করে।
এই বছরের থিম হল Actions for Peace: Our Ambition for the #GlobalGoals।  এটি কর্মের আহ্বান যা শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য আমাদের ব্যক্তিগত এবং সম্মিলিত দায়িত্বকে স্বীকৃতি দেয়।  শান্তি বজায় রাখা টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (SDGs) বাস্তবায়নে অবদান রাখে এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সবার জন্য শান্তির সংস্কৃতি তৈরি করবে।
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, “আজ শান্তির প্রয়োজন আগের চেয়ে অনেক বেশি। যুদ্ধ এবং সংঘাত ধ্বংস, দারিদ্র্য এবং ক্ষুধা, এবং লক্ষ লক্ষ মানুষকে তাদের বাড়িঘর থেকে তাড়িয়ে দিচ্ছে। জলবায়ু বিশৃঙ্খলা চারদিকে। এমনকি শান্তিপূর্ণ  দেশগুলি বৈষম্য এবং রাজনৈতিক মেরুকরণের দ্বারা আঁকড়ে আছে।”

 

ঘোষিত দিবসটির উদ্দেশ্য—-

 

বিশ্বব্যাপী শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ঘোষিত দিবসটির উদ্দেশ্য হলো পৃথিবী থেকে যুদ্ধ ও সংঘাত চিরতরে নিরসন; এবং সেই লক্ষ্যে পৃথিবীর যুদ্ধরত অঞ্চলসমূহে যুদ্ধবিরতি কার্যকরের মাধ্যমে সেসব অঞ্চলে মানবিক সহায়তা পৌঁছে দেওয়া। দিবসটি ১৯৮১ সালে সর্বপ্রথম উদ্‌যাপিত হয়। বর্তমানে জাতিসংঘের সকল সদস্য রাষ্ট্র, বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামরিক দলের সদস্য এবং বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন অঞ্চলের জনগণ যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি পালন করে থাকে।

 

প্রতিবছর নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদরদপ্তরে “শান্তির ঘণ্টা” বাজানোর মধ্য দিয়ে দিবসটির উদ্‌যাপনের সূচনা হয়। বিশ্বব্যাপী (আফ্রিকা মহাদেশ ছাড়া) শিশুদের থেকে সংগৃহীত ধাতব মুদ্রা গলিয়ে নির্মিত এই ঘণ্টা জাপানের কার্যরত জাতিসংঘের সংগঠনসমূহ ১৯৫৪ সালে নিউ ইয়র্কের সদর দপ্তরে উপহার হিসেবে প্রদান করে। এই ঘণ্টা স্মরণ করিয়ে দেয়: “যুদ্ধের পরিণাম মানুষের মৃত্যু”। এছাড়া ঘণ্টাটির পার্শ্ববর্তী সড়কে ইংরেজিতে “স্থিতিশীল বৈশ্বিক শান্তি দীর্ঘজীবী হোক” বাণী খোদাই করা রয়েছে।
সাম্প্রতিককালে আন্তর্জাতিক শান্তি দিবসের অনুষ্ঠানসমূহের জন্য জাতিসংঘ একটি অনুসন্ধানযোগ্য মানচিত্র প্রকাশ করেছে।

 

ইতিহাস—-

 

১৯৮১ সালে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে একটি যুদ্ধবিহীন বিশ্ব প্রতিষ্ঠার যুক্তরাজ্য ও কোস্টারিকার একটি প্রস্তাব গৃহীত হয়। জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনের গৃহীত প্রস্তাব নম্বর ৩৬/৬৭ অনুসারে প্রতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসের তৃতীয় মঙ্গলবার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশন শুরু হওয়ার দিনটিকে “যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই” স্লোগানে “আন্তর্জাতিক শান্তি দিবস” হিসেবে ঘোষণা দেওয়া হয়। পরবর্তীতে, ২০০১ সালের ৭ সেপ্টেম্বর, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের গৃহীত প্রস্তাব নম্বর ৫৫/২৮২ অনুসারে ২০০২ সাল থেকে প্রতিবছরের ২১ সেপ্টেম্বর তারিখে “আন্তর্জাতিক শান্তি দিবস” হিসেবে উদ্‌যাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

 

উদ্‌যাপন—-

 

আন্তর্জাতিক শান্তি দিবস উপলক্ষে জাতিসংঘের মহাসচিব প্রথমে নিউ ইয়র্কে “শান্তির ঘণ্টা” বাজান ও বিশেষ বাণী প্রদান করেন। জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রসমূহের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা এই দিনে বিশেষ অনুষ্ঠান আয়োজন করে থাকে। এছাড়াও বিভিন্ন দেশের শিল্পী, শিক্ষাবিদ ও মানবতাবাদীদের “জাতিসংঘ শান্তিদূত” হিসেবে নিয়োগ করা হয় ও তাদের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড স্মরণ করা হয়ে থাকে।

 

জাতিসংঘের মতে, এটি একটি কর্মের আহ্বান যা শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য আমাদের ব্যক্তিগত এবং সম্মিলিত দায়িত্বকে স্বীকৃতি দেয়। শান্তি বজায় রাখা টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (SDGs) বাস্তবায়নে অবদান রাখে এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সবার জন্য শান্তির সংস্কৃতি তৈরি করবে।

 

মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণা এবং গণহত্যা প্রতিরোধ ও শাস্তি সংক্রান্ত কনভেনশন—

 

এছাড়াও ২০২৩ হল মানবাধিকারের সার্বজনীন ঘোষণা এবং গণহত্যা প্রতিরোধ ও শাস্তি সংক্রান্ত কনভেনশনের 75তম বার্ষিকী।  IDP ২০২৩ সমস্ত যুবকদের ইতিবাচক এবং গঠনমূলক সামাজিক এজেন্ট হিসাবে তাদের নিযুক্তিতে উচ্চাভিলাষী হতে, SDG-তে পৌঁছানোর আন্দোলনে যোগ দিতে এবং টেকসই শান্তি গঠনে অবদান রাখতে উত্সাহিত করে।  একসাথে আমাদের বিশ্বকে একটি সবুজ, আরও ন্যায়সঙ্গত, ন্যায্য এবং সবার জন্য নিরাপদ ভবিষ্যতের দিকে নিয়ে যেতে সাহায্য করতে পারে।

 

জাতিসংঘ শান্তির জন্য পদক্ষেপের সুপারিশ করেছে—

 

জাতিসংঘ শান্তি ও বৈশ্বিক লক্ষ্য সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে সাহায্য করার জন্য আন্তর্জাতিক শান্তি দিবসে অংশগ্রহণের জন্য কয়েকটি স্বতন্ত্র ও গোষ্ঠী কার্যক্রমের পরামর্শ দিয়েছে।

 

একটি শান্তি দৌড়/হাঁটার আয়োজন করুন

একটি শান্তি ম্যুরাল তৈরি করুন

একটি শান্তি-থিমযুক্ত ফিল্ম নাইট হোস্ট করুন

আন্তঃধর্মীয় সংলাপ

আন্তঃপ্রজন্ম সংলাপ

শান্তির জন্য কনসার্ট

শান্তির জন্য কবিতা স্লাম

শান্তির জন্য সম্প্রদায়ের বাগান

শান্তির জন্য ডিজিটাল সচেতনতা প্রচার

শান্তির চিঠি

শান্তির জন্য যোগ এবং ধ্যান সেশন

শান্তির জন্য পরিবেশ বান্ধব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা

শান্তির জন্য সহযোগী শিল্প প্রকল্প

শান্তির জন্য দয়ার কাজ

শান্তি-থিমযুক্ত বই ক্লাব

শান্তি সংগঠনের জন্য স্বেচ্ছাসেবক

শান্তি-থিমযুক্ত ফটো প্রতিযোগিতা

একটি শান্তি-থিমযুক্ত শিল্প প্রদর্শনী হোস্ট করুন

শান্তির জন্য ক্রীড়া দিবস

শান্তির জন্য খেলাধুলায় সামাজিক অন্তর্ভুক্তি

শান্তির জন্য ক্রীড়া প্রদর্শন

শান্তির জন্য রিলে

শান্তির জন্য আন্তঃসাংস্কৃতিক ক্রীড়া বিনিময়

 

।। তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।

Share This

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *