Categories
কবিতা

ডেড কল : লাজু চৌধুরী।

আসলে ভাবছি শুরুটা কোথা থেকে শুরু করবো।
এই মানুষটা হঠাৎ করেই আমার মনের ভিতরে যে পরিচ্ছন্ন
গেষ্ট হাউস আছে —-
সেখানে তাকে হঠাৎ করেই জায়গা করে দিলাম।
ইচ্ছে করলে আমি তাকে মনের গহীনে রেখে দিতাম।

অতঃপর আমি লক্ষ করলাম তা চোখের ধরন

কারন আমি মানুষের চোখ চিনি।
সময়ের সাথে চোখের রং বদলায়, এর একমাত্র কারন এরা
খুব বেশি স্বার্থপর হয়।

সময়ের প্রোয়জনে নিজেকে রদ বদল করে।
হুম কবির ভাষায় নারীরা রহস্যময় ।
অতীত অনেক কিছু বুঝে অনেক কিছু বলে।

আমাদের ঘটে যাওয়া অনেক গুলো গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা
একটা ডাইরি রুপ ধারন করে।
বিশ্বাস ছাড়া কোন অন্তরঙ্গতা হয় না।
আবার অন্তরঙ্গতা ছাড়া কোন সম্পর্ক হয় না।

হঠাৎ মনে হলো আমার মনের শহরের ল্যাম পোষ্টের আলো
গুলোর আয়ু কমে আসছে।

মানুষের অতীত বাস করে ঠিক তার বন্ধ দরজায়।
আমি ভুল করে জয়িতা কে বন্ধ দরজা খুলে দিয়েছিলিম।

শুন্যতা যদি তুমি হও —
তাহলে আমাকে হত্যা করেছে।
মাঝে মাঝে ঘৃণা হয় তোমাকে কারন এই তুমি
কিছু মৃত প্রানহীন ঘাস আমার জন্য ফেলে গেছো।

ছিঃ ভীষণ ঘৃণা হচ্ছে আমার ভালোবাসার আকাশ ছুঁয়েছ তুমি।
কেমন নারী তুমি মধ্যো রাতে অন্যের কফির পেয়ালায়
ঠোঁট ডোবিয়ে রাখো।
সিগারেটের ধোয়ার আড়ালে নিজেকে লুকিয়ে রাখো।

সম্পর্কের জটিলতা সৃষ্টি করেছ তুমি।।
প্রথম দিনেই বুঝেছিলম সর্বনাশের ডাক এসেছে।
আমার কাছের মানুষ এখন তোমার হাতের মুঠোয়
একে বারে আমার চোখের পর্দা থেকে সরিয়ে ফেলেছ।

ও আমার পৃথিবী এক বার দেখতে চাই জলন্ত দৃষ্টিতে
ওর কোন ক্রোধের কারনে আমাকে ছাড়তে হলো কিনা।
কিন্তু না ও অনেকটা বদলে গেছে।

জয়িতা এখনো অধিক রাত জেগে তোমাদের কথা কপন হয়।
কখনো তোমার এগারো হাত শাড়িতে ও জড়িয়ে থাকে।
যখন ও তোমার সম্পূর্ণ হলো —-
তুমি একটু একটু করে দূরে সরে পড়লে।

তাই আমি ও এই নোংরা জয়িতা কে তুলে ধরবো সবার সামনে।
আমার জীবনের দীর্ঘ সময় এখন তোমার হাতে।
আপাতত সময় গুলো তোমার হাতে থাক।

এক খন্ড জীবনের কিছুটা তোমাকে দোয়া করে ছেড়ে দিলাম।
এ দেশে হাজারও জয়তি আছে অন্যের ভালোবাসা
পরোকিয়া এগারো হাত শাড়ির রহস্যময় নারী শুধু কোকো
লাভ লোক সানের হিসেব কষে।
লাস্যময়ী নারী অন্য নারীর চোখের জলে স্নাণ করে।

আমি বিশ্বাস করি আমার পৃথিবীর কখনও মলীন হয়ে
যাবে না।
আমার চিন্তার বিরাট অংশ হলো সম্পর্কে।

স্যাক্রিফাইস করে একটা সম্পর্ক ভালো করা যায়
এই সনাতন ধারনা আমার মনে হয় না সাইকোলজিতে এখন আর সেই রকম বিশ্বাস নেই।
হয়তো তারা মানতে পিরছ না।
আমিও মানি না।

কিন্তু দুঃখজনক জয়িতারা সব সময় বেঁচে থাখবে।

রাতের আধারে অন্যের কফির পেয়ালায় মগ্ন থাকার বিভর হবে। বিষাদ গ্রস্ত চোখ একদিন আমার দরজায় এসে
দাঁড়াবে।

আমার অনুভুতির পাশে আমি জয়িতা কে থাই দিয়েছি ।
এক দিনঘুম থেকে ওঠে দেখি —-
আমার শরতের সকাল খোলো জানালা নগ্ন পায়ে শিশির
ভেজা ঘাসের সমস্ত গ্রাণ চুষে নিচ্ছে জয়িতা।
বড় জিল তোমার চোখ ——-
এখানেই তোমার ভুমিকা শেষ নয়।

তাই পরিশেষে তোমার নাম দিয়েছি —

——————————————————-ডেড কল

লাজু চৌধুরী ——😂😂😂

Share This

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *