Categories
প্রবন্ধ

অখিলচন্দ্র নন্দী, ব্রিটিশবিরোধী বিপ্লবী ও সাম্যবাদী কর্মী – প্রয়াণ দিবসে শ্রদ্ধাঞ্জলি।

ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন ছিল কিছু মানুষের কঠোর পরিশ্রম যার ফলেই ব্রিটিশদের থেকে ভারত রাজনৈতিক দিক থেকে মুক্তি পেয়েছে। ভারত উপমহাদেশের বিংশ শতাব্দীতে ব্রিটিশ সম্রাজ্যবাদ বিরোধী যে সশস্ত্র বিপ্লববাদী লড়াই-সংগ্রাম সংগঠিত হয় এবং যার ধারাবাহিকতায় ভারত স্বাধীন হয়। এই অন্দোলনে যে সকল বিপ্লবীর নাম সর্বজন স্বীকৃত তাঁদের মধ্যে অখিলচন্দ্র নন্দী   প্রথমসারির একজন অন্যতম বিপ্লবী ছিলেন। অখিলচন্দ্র নন্দী  ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনে এক উল্লেখযোগ্য নাম, যিনি দেশমতৃকার শৃঙ্খল মুক্তির জন্য নিজেকে সঁপে দিয়েছিলেন সম্পূর্ণ রূপে। অখিলচন্দ্র নন্দী একজন ব্রিটিশবিরোধী বিপ্লবী ও সাম্যবাদী কর্মী।

 

বংশ পরিচয়—-

 

অখিলচন্দ্র নন্দী ৭ মার্চ ১৯০৭ বাংলাদেশের ব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলার কালিকচ্ছ গ্রামে তাঁর জন্ম।এই এলাকার নন্দী বংশ সুপরিচিত। কালিকচ্ছ গ্রামের নন্দী বংশের অনেকেই ব্রিটিশ বিরোধী সশস্ত্র আন্দোলনে অংশ নেন।  বিখ্যাত বাঙালি লেখক জ্যোতিরিন্দ্র নন্দীও একই পরিবারের সদস্য।  তঁর স্ত্রী শেফালী নন্দী একজন লেখিকা।

 

বিপ্লবী আন্দোলন—

 

অখিল চন্দ্র যৌবন থেকেই স্বাধীনতা আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলেন।  কুমিল্লা শহরের নারীরা একসময় তাঁর সক্রিয় সমর্থনে ব্যাপকভাবে স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশগ্রহণ করেছিল।  শান্তি ঘোষ ও সুনীতি চৌধুরী নামে দুই নারী বিপ্লবী কুমিল্লার ম্যাজিস্ট্রেট স্টিভেনসকে হত্যা করেন, যিনি তাঁর সহযোগী ছিলেন।  তিনি স্টিভেনস হত্যা মামলায় ধরা পড়েন এবং আট বছর কারাগারে কাটান। জেলে থাকা অবস্থায় অখিলচন্দ্র বিএ পাস করেন।

 

পরবর্তী জীবন—

 

জেল থেকে মুক্তি পাওয়ার পর তিনি বিপ্লবী আন্দোলনের পথ পরিহার করেন এবং মার্কসবাদের প্রতি আকৃষ্ট হন।  তিনি ১৯৩৯ সালে ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য হন। স্বাধীনতার পর পিসি চ্যাটার্জি অ্যান্ড কোম্পানিতে কাজ করেন।  এছাড়াও বিভিন্ন জনহিতকর কাজের সাথে জড়িত। ‘বিপ্লবীর স্মৃতিচারণ’  নামে একটি জীবনীগ্রন্থ লিখেছেন।

 

মৃত্যু—

 

মহান এই স্বাধীনতা সংগ্রামী ১৬ ডিসেম্বর, ১৯৮৫ সালে প্রয়াত হন।

 

।।তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।

Share This

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *