লাল বাহাদুর শাস্ত্রী ছিলেন ভারতের ২য় প্রধানমন্ত্রী এবং ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের দলীয় নেতা।
শাস্ত্রী ১৯০৪ সালের ২ শে অক্টোবর মুঘলসরাই, চন্দাউলিতে একটি কায়স্থ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা সারদা প্রসাদ শ্রীবাস্তব ছিলেন একজন স্কুল শিক্ষক এবং পরে এলাহাবাদের রাজস্ব অফিসে কেরানি ছিলেন। মাত্র ১ বছর বয়সে তার বাবা মারা যান। তার মা রামদুলারি দেবী তাকে তার বাবা ও বোনের কাছে নিয়ে যান এবং তারা সেখানে থাকতে শুরু করেন।
শাস্ত্রী মুঘলসরাই এবং বারাণসীর ইস্ট সেন্ট্রাল রেলওয়ে ইন্টার কলেজে পড়াশোনা করেছেন। তিনি ১৯২৬ সালে কাশী বিদ্যাপীঠ থেকে প্রথম শ্রেণিতে স্নাতক পাস করেন। তিনি শাস্ত্রী (পণ্ডিত) উপাধিতে ভূষিত হন। এই উপাধি তাকে কাশী বিদ্যাপীঠ দিয়েছিল কিন্তু সেতা আজীবন তার নামের সাথে রয়ে গেছে। শাস্ত্রী গান্ধীজি এবং বাল গঙ্গাধর তিলক দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন, একজন নেতৃস্থানীয় ভারতীয় জাতীয়তাবাদী।
১৯২০ সালে তিনি স্বাধীনতা আন্দোলনে যোগ দেন। গভীরভাবে গভীরভাবে, তিনি মধ্যমণি মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধীর এবং পরে জহরলাল নেহের অনুগত হন। স্বাধীনতার পর তিনি জহরলাল নেহেরু র প্রধান সহযোগী, ইন্টারমিডিয়েট রেলওয়ে কমিশন এবং পরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসাবে দলে যোগদান করেন। নেহেরুর কন্যা ইন্দিরা গান্ধী দায়িত্ব নিতে অস্বীকৃতি জানালে শাস্ত্রীকে নেহরুর উত্তরসূরি হিসেবে নির্বাচিত করা হয়।
শাস্ত্রী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নেহরুর অ-দলীয়তা ও সমাজতন্ত্রের নীতি অনুসরণ করেছিলেন। তিনি 1965 সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের নায়ক ছিলেন। এই যুদ্ধের সময় তাঁর বিখ্যাত স্লোগান “জয় জওয়ান, জয় কিষাণ” খুব জনপ্রিয় ছিল। এই স্লোগান আজও মানুষ মনে রেখেছে। ১০ জানুয়ারী, ১৯৬৬, তাসখন্দে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। আর পরের দিন সেখানেই মৃত অবস্থায় পাওয়া যায় শাস্ত্রীকে। সে সময় ভারত শাস্ত্রীর মৃত্যুর কারণ হিসেবে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে বলে জানানো হলেও তার পরিবার তা অস্বীকার করে তদন্ত দাবি করে। ১১ ই জানুয়ারি ১৯৬৬ সালে তিনি মার যান।
।। তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।