চন্ডিকাদাস অমৃতরাও দেশমুখ বিআর (নানাজি দেশমুখ নামেই বেশি পরিচিত। জন্ম ১১ অক্টোবর ১৯১৬ সালে। তিনি ছিলেন একজন ভারতীয় সমাজ সংস্কারক এবং রাজনীতিবিদ। তিনি শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং গ্রামীণ স্বনির্ভরতার ক্ষেত্রে কাজ করেছিলেন। তাকে মরণোত্তর ভারতরত্ন দেওয়া হয়েছিল, ভারতের সর্বোচ্চ পুরস্কার – ২০১৯ সালে ভারত সরকার কর্তৃক বেসামরিক পুরস্কার। তিনি ভারতীয় জনসংঘের একজন নেতা এবং রাজ্যসভার সদস্যও ছিলেন। সক্রিয় রাজনীতি থেকে অবসর নেওয়ার পর, দেশমুখ দীনদয়াল গবেষণা ইনস্টিটিউটে কাজ করেন, যেটি তিনি ১৯৬৯ সালে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
তাঁর কাজের অন্যান্য ক্ষেত্র ছিল কৃষি ও কুটির শিল্প, গ্রামীণ স্বাস্থ্য এবং গ্রামীণ শিক্ষা। তিনি দারিদ্র্য বিরোধী এবং ন্যূনতম প্রয়োজন কর্মসূচির জন্য কাজ করেছেন। দেশমুখ ইনস্টিটিউটের সভাপতিত্ব গ্রহণের জন্য রাজনীতি ত্যাগ করেন এবং ইনস্টিটিউট নির্মাণে তাঁর সমস্ত সময় নিয়োজিত করেন। তিনি ভারতের উত্তর প্রদেশ এবং মধ্য প্রদেশ উভয় রাজ্যের ৫০০ টিরও বেশি গ্রামে সামাজিক পুনর্গঠন কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। তিনি “মন্থন” জার্নালও প্রকাশ করেছিলেন যা বহু বছর ধরে কে আর মালকানি দ্বারা সম্পাদিত হয়েছিল।
দেশমুখ গোন্ডা (ইউপি), বলরামপুর এবং বিদে (মহারাষ্ট্র) সামাজিক কাজ করেছিলেন। তাঁর প্রকল্পের মূলমন্ত্র ছিল হর হাত কো দেঙ্গে কাম, হর খেত কো দেঙ্গে পানি ।
এছাড়াও তিনি চিত্রকূটে ভারতের প্রথম গ্রামীণ বিশ্ববিদ্যালয় চিত্রকূট গ্রামোদয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন এবং এর আচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। নানাজি বুন্দেলখণ্ডের ১৫০ টিরও বেশি গ্রামের জীবনযাত্রার মান উন্নত করতে অখণ্ড মানবতাবাদের দর্শন বাস্তবায়ন করেছিলেন।
পুরস্কার এবং স্বীকৃতি——
তিনি ১৯৯৯ সালে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার পদ্মবিভূষণে এবং ২০১৯ সালে (মরণোত্তর) সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার ভারতরত্নে ভূষিত হন।
মৃত্যু——
দেশমুখ ২০১০ সালের ২৭শে ফেব্রুয়ারী, নিজ প্রতিষ্ঠিত চিত্রকূট গ্রামোদয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাঙ্গণে মারা যান।
।। তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।