জয় মুখার্জি ছিলেন একজন ভারতীয় চলচ্চিত্র অভিনেতা এবং পরিচালক। তিনি ১৯৩৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন। জয় মুখোপাধ্যায় ছিলেন শশধর মুখোপাধ্যায় এবং সতী দেবীর পুত্র। তার বাবা একজন সফল প্রযোজক এবং ফিল্মালয় স্টুডিওর সহ-প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। তার কাকারা ছিলেন পরিচালক সুবোধ মুখোপাধ্যায়, অশোক কুমার, অনুপ কুমার এবং কিশোর কুমার। জয় মুখার্জি দেরাদুনের কর্নেল ব্রাউন কেমব্রিজ স্কুল এবং সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজে পড়াশোনা করেছেন। তার স্ত্রী নীলম এবং তাদের দুই ছেলে মনজয় ও সুজয় এবং একটি মেয়ে সিমরন রয়েছে।
আর কে নায়ার পরিচালিত লাভ ইন সিমলা ছবিতে সাধনের বিপরীতে জয় মুখার্জি আত্মপ্রকাশ করেছিলেন। এরপর তিনি আশা পারেখের সাথে ফির ওহি দিল লায়া হুঁ লাভ ইন টোকিও জিদ্দি মতো চলচ্চিত্রে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেন। তার কিছু চলচ্চিত্র যেমন দুর কি আওয়াজ, আও পেয়ার করে এবং শাগির্দ, হাসিনা সাধনার বিপরীতে – এক মুসাফির এক হাসিনা , বৈজয়ন্তীমালার বিপরীতে ইশারা এবং রাজশ্রীর বিপরীতে জি চাহতা হ্যায় অসাধারণ সাফল্য ছিল। তার অভিনীত বেশিরভাগ সিনেমায় গানগুলো জনপ্রিয়তা পায়। 1960 এর দশকের শেষের দিকে, পছন্দসই ভূমিকাগুলি হ্রাস পেতে শুরু করে, তাই তিনি পরিচালনা এবং প্রযোজনা শুরু করেন।
শেষের দিকে ভাই দেব মুখোপাধ্যায় এবং ভাবী শ্যালিকা তনুজাকে নিয়ে নিজেদের প্রযোজনায় এক বার মুসকুরা দো (১৯৭২) সাফল্য লাভ করা সত্ত্বেও জয় রূপালী পর্দা থেকে ধীরে ধীরে সরে যান। পরে, ১৯৭৭ সালে, তিনি ছৈলা বাবু ছবিটি পরিচালনা করেছিলেন রাজেশ খান্না কে মুখ্য চরিত্রে নিয়ে, এটি বক্স অফিসে বড় সাফল্য লাভ করেছিল। লাভ ইন বোম্বাই প্রযোজনার সময় তার যে ঋণ হয়েছিল, এই সিনেমার সাফল্য তার সেই সমস্যা সমাধান করে দেয়। পরে ১৯৮৫ সালে, রাজেশ খান্না তাকে ইনসাফ ম্যায় করুঙ্গা ছবিতে খলনায়ক হিসাবে সুযোগ দিয়েছিলেন, যা অভিনেতা জয় মুখার্জীর শেষ সফল ছবি।
দীর্ঘদিনের অসুস্থতার পর জয় মুখোপাধ্যায় ২০১২ সালের ৯ই মার্চ মুম্বাইয়ের লীলাবতী হাসপাতালে মারা যান।
।। তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।