আজ দেখি অমানবিকতার হিংস্র আস্ফালন
জল্লাদের মুক্ত তরবারি জ্বালাচ্ছে দাবানল।
বসন্তের নীল আকাশে রক্তের আলপনা-
নরপিশাচ ,হিংস্র পশুর আনাগোনা।
রাজপথে অবুঝ শিশুর করুন বাঁচার আবেদন –
মার বুক খালি কত , শিশুর অকাল নিধন।
অশুভ সুম্ভ,নিশুম্ভ ,একি করেছে আরম্ভ ?
দিকেদিকে মৃত্যুবার্তা, শুধু ধ্বংসের দম্ভ।
গোলা, বারুদ আর অস্ত্রের অহংকার
রাজপথে মৃত্যুর মিছিল,দিকে দিকে শিশুর চিৎকার ।
মায়ের বুক বিদীর্ণ পদঘাতে-
অবুঝ শিশু আঘাতে আঘাতে
আজ নিষ্প্রাণ । অসহায় বিধাতা –
আজ মৃত্যু মাগে রোদনভরা বসন্তে।
বেদনার অশ্রুজলে ভেসে যায় দীর্ঘশ্বাস ,কত অভিশাপ জমে অজান্তে।
এখনো কি থাকবে নীরব স্বার্থপর পৃথিবী ?
আগামী যে হয় প্রেমহীন তামাদি
এখনও হয়নি সময় প্রতিবাদের মশাল নেওয়ার?
শুভবুদ্ধি জ্বলে ওঠ, সময় হয়েছে জবাব দেওয়ার ।
নিষ্ঠুর জল্লাদ,দেখো হাসে কি আহ্লাদে-
নীরব থেকো না অসহায় শিশুর আর্তনাদে ,
এস দ্বারখুলে সহানুভূতির হাত বাড়াই
শেষ শয্যায় শাহিত শিশুর বুকে স্নেহের হাত বোলাই ।
শেষ বারের মতো চিৎকারে বলি-
হুঁশিয়ার ,বন্ধ কর এ রক্তের হলি ,
বন্ধ কর এই বীভৎস নারকীয় হত্যাকান্ড
যত বুর্জুয়া, স্বার্থানেশি,ভাঙবো এবার তোদের মিথ্যাভ্যান্ড ।
প্রাণ রক্ষায় অপারক নপুংসক, অক্ষম –
নিপাত যাক তোদের ক্ষমতা পৃথিবীর কাটুক বিভ্রম।
আগামীর প্রতিবাদ হানবে আঘাত-
অভিশাপে বিদীর্ণ হবে তোদের বক্ষ।
সময়ের হিসাব চাইবে জবাব-
প্রতিবাদী হচ্ছে জড়ো লক্ষ লক্ষ্ ।
এস প্রতিবাদের দরজা খুলি-
সমস্বরে সবাই বলি ,
দিকে দিকে ঘুম ভেঙে আসুক আহ্বান ,
এ পৃথিবীর নিষ্পাপ সকল শিশু আমাদের সন্তান।
মানবতা জাগুক,হিংসা মরুক হোক বিবেকের উত্থান।
সংরক্ষিত/প্রবীর কুমার চৌধুরী।