বাবুর বাড়ি বাসন ধোয়ার কাজ করে যে সে আমার জন্মদাত্রী মা–
অতীত বর্তমান ভুলতে পারি না।
দারিদ্রের কোনো পছন্দ আছে নাকি, খাই তো কাঁকর মেশানো খুদ,
দীর্ঘ উপবাসে ছিলো এক গাই, শীর্ণদেহ শুকিয়ে গেছে দুধ–
তারপরও
কিছুদিন বেঁচে ছিলো প্রাণে, চলে না আর জীর্ণদেহ,
ভাঙাচোরা মাটির দেয়াল, বাঁচবো কদিন তবুও হিসাব করি গেল,
কথাবলা, হাঁটা সবই তার কোলে, তার বুকে ছড়িয়েছি দু’পা,
বাবুর বাড়ির পান্তা এনে খাওয়ায়, কিকরে ভুলি তা?
সে আমার মা, স্বয়ং ভগবান,
কিকরে ঘুচাই, দুঃখ-কষ্টে ভরা ছিলো মায়ের মন।
গুমরে উঠতো হৃদয় কষ্ট-যন্ত্রণার বিষে,
এতো গুণবতী মায়ের কথা ভুলি কিসে।
প্রাণপণ প্রবল কর্মে নিষ্ঠা, কিন্তু অন্তরে ছিলো একটু ভয়,
কোথায় গেলো কষ্টেরা, শক্তিসাধন করেছিলো মৃত্যুঞ্জয়।
প্রচণ্ড মানসিক শক্তি ছিলো- এইরকম মা সবসময় চাই,
মায়ের কথা কিকরে ভুলি- এখনো মনে পড়ে ভুলি নাই।
মায়ের জঠরে জন্মে করি মায়ের নাম গান,
এই মাকে কেউ কি করে অপমান?
বাবুদের বাড়ি কাজ করেছে বলে কিকরে ভুলি মায়ের বাণী?
অব্যক্ত অন্তরের কষ্ট গুলো নিয়েই চলে গেলেন রাণী।