Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

আজ ২৯ জুন, ইতিহাসের দিকে চোখ বুলিয়ে দেখে নেব ইতিহাসের এই দিনে বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু, দিনসহ ঘটে যাওয়া ঘটনা।।।।

আজ ২৯ জুন। এক নজরে দেখে নিই ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু দিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

আজ যাদের জন্মদিন—-

১৮৬৪ – আশুতোষ মুখোপাধ্যায়, শিক্ষাবিদ, কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য।
১৮৮৩ – চারুচন্দ্র ভট্টাচার্য, প্রখ্যাত অধ্যাপক ও লেখক ।

১৮৯৩ – প্রশান্ত চন্দ্র মহলানবীশ, ভারতীয় বিজ্ঞানী, পরিসংখ্যানবিদ এবং ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইনস্টিটিউট এর প্রতিষ্ঠাতা।
১৯০০ – অঁতোয়ান দ্য স্যাঁত-এগজ্যুপেরি, একজন ফরাসি লেখক, কবি, অভিজাত, সাংবাদিক এবং বৈমানিক।

১৯০৯ – শ্যামাদাস চট্টোপাধ্যায়, আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন পরমাণুবিজ্ঞানী।
১৯২০ – ফরাসি লেখক ফ্রেদরিক দার্দ ।
১৯২৫ – জর্জো নেপোলিতানো, ইতালির নেপলসে জন্মগ্রহণকারী বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ।
১৯২৬ – জাবের আল-আহমেদ আল-সাবাহ, আল-সাবা রাজবংশের স্বাধীনতা পরবর্তী কুয়েতে তৃতীয় আমির।

১৯৩৬ – বুদ্ধদেব গুহ, ভারতীয় বাঙালি লেখক।

১৯৩৬ – পি কে আয়েঙ্গার, ভারতে পরমাণু কর্মসূচির অন্যতম ব্যক্তিত্ব,ভাবা পরমাণু কেন্দ্রের অধিকর্তা ও ভারতের খ্যাতনামা পরমাণু বিজ্ঞানী।

১৯৩৮ – অজিত রায়, বাংলাদেশী সংগীতশিল্পী, সুরকার ও স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের সংগঠক।
১৯৩৯ – অ্যালেন কনলি, অস্ট্রেলীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার।
১৯৪৪ – গ্যারি বিউসি, আমেরিকান অভিনেতা।
১৯৪৫ – চন্দ্রিকা কুমারাতুঙ্গা, শ্রীলঙ্কার বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ।
১৯৫৭ – গুরবানগুলি বেরদিমুহামেদু – একজন তুর্কমেনিস্তানের রাজনীতিবিদ।
১৯৫৭ – লেসলি ব্রাউন, মার্কিন প্রিমা বেলেরিনা ও অভিনেত্রী।
১৯৬২ – অ্যামান্ডা ডনোহো, ইংরেজ অভিনেত্রী।
১৯৮০ – বিখ্যাত ইংরেজ গায়িকা ক্যাথেরিন জেনকিনস।
১৯৮৫ – ইয়ান ওয়ার্ডল, স্কটিশ ক্রিকেটার।
১৯৮৬ – এ্যাডওয়ার্ড মায়া, রোমানীয় গায়ক ও ডিজে।
১৯৮৮ – এভার বানেগা, আর্জেন্টিনীয় পেশাদার ফুটবলার।
১৯৯৪ – ক্যামিলা মেন্ডেস, মার্কিন অভিনেত্রী।

ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনের ঘটনাবলী—-

১৬১৩ – শেক্সপিয়ারের গ্লোব থিয়েটার ভস্মীভূত হয়।
১৭৫৭ – লর্ড ক্লাইভ মুর্শিদাবাদে প্রবেশ করেন এবং মীরজাফর বাংলা বিহার ও উড়িষ্যার নবাব হন।
১৮০৭ – রাশিয়া-তুরস্ক যুদ্ধে অ্যাডমিরাল দিমিত্রি সেনিয়াভিন অটোমান নৌবহর ধ্বংস করেন।
১৮১৭ – ব্রিটিশ পার্লামেন্টে ট্রেড ইউনিয়ন আইন পাস।
১৮৬৮ – প্রেস অ্যাসোসিয়েশনের নিউজ এজেন্সি প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯১৩ – নরওয়েতে মহিলাদের ভোটাধিকার প্রদান।
১৯১৩ – বলকান অঞ্চলে দ্বিতীয় যুদ্ধের সূচনা হয়।
১৯৪৬ – বিকিনিতে আমেরিকার প্রথম পরমাণু বোমা পরীক্ষা।
১৯৬০ – জায়ারের স্বাধীনতা লাভ।
১৯৬৬ – মার্কিন বোমারু বিমান উত্তর ভিয়েতনামের হ্যানয়ে বোমা বর্ষণ করে।
১৯৭৬ – ব্রিটেনের কাছ থেকে সেইশেলস নামক দীপপুঞ্জটি স্বাধীনতা লাভ করে।
১৯৯১ – কোমেকোন নামক অর্থনৈতিক জোটের বিলুপ্তি ঘোষণা করা হয়।
১৯৯২ – আততায়ীর গুলিতে আলজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট বোদিয়াফ নিহত হন।

এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন যারা—-

১৩১৫ – র‍্যামন লাল, লেখক ও দার্শনিক।

১৮৭৩ – মাইকেল মধুসূদন দত্ত, উনিশ শতকের বাঙালি কবি।
১৮৮৬ – এডলফ মন্টিসেলি, ফরাসি চিত্রশিল্পী ।

১৮৯৫ – টমাস হেনরি হাক্সলি, ইংরেজ জীববিজ্ঞানী, শিক্ষক ও অজ্ঞেয়বাদ দর্শনের অন্যতম প্রবক্তা।

১৯০৪ – টম এমেট, ইংরেজ ক্রিকেটার।
১৯১৯ – কার্ল ব্রুগমান, জার্মান ভাষাবিজ্ঞানী।

১৯৫৮ – জর্জ গান, ইংরেজ ক্রিকেটার।

১৯৬৬ – দামেদার কোশাম্বী, বৌদ্ধ ধর্ম বিশারদ।
২০০২ – উলাহ্‌-ইয়োহান ডাল, নরওয়েজীয় কম্পিউটার বিজ্ঞানী।
২০০৩ – ক্যাথরিন হেপবার্ন, মার্কিন অভিনেত্রী।
২০০৭ – এডওয়ার্ড ইয়াং, তাইওয়ানীয় চলচ্চিত্র নির্মাতা।
২০১৩ – মারগেরিতা হ্যাক, ইতালীয় নভোপদার্থবিজ্ঞানী ও লেখক।
২০১৪ – আবুল হোসেন, বাংলাদেশী বাঙালি কবি।
২০১৫ – মুজিবুর রহমান, বাংলাদেশি চিকিৎসা বিজ্ঞানী।
২০২০ – আবদুল্লাহ আল মোহসিন চৌধুরী, বাংলাদেশ সরকারের সাবেক সচিব।

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ

প্রখ্যাত ‘কল্লোল’ পত্রিকার অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ও সহকারী সম্পাদক গোকুলচন্দ্র নাগ – একটি বিশেষ পর্যালোচনা।।।।

জন্ম ——– গোকুলচন্দ্র নাগ একজন চিত্রশিল্পী, প্রখ্যাত ‘কল্লোল’ পত্রিকার অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ও সহকারী সম্পাদক। গোকুলচন্দ্র নাগের জন্ম বৃটিশ ভারতের কলকাতায় ১৮৯৪ খ্রিস্টাব্দের ২৮ শে জুন।

প্রারম্ভিক জীবন——–

গোকুলচন্দ্র নাগ এর পিতা মতিলাল নাগ মাতা কমলা দেবী। বাঁকুড়া জেলার বিষ্ণুপুরে ছিল আদি পৈত্রিক নিবাস। প্রখ্যাত ঐতিহাসিক ড. কালিদাস নাগ তার অগ্রজ। শৈশবেই মাতৃপিতৃহীন হন। তাই তিনি মানুষ হন মাতুলালয়ে গোঁড়া ব্রাহ্ম পরিবারের আবহাওয়ায়। কৃতি ফটোগ্রাফার ছিলেন তিনি।অতি অল্প বয়সে চিত্রাঙ্কন ও সাহিত্য চর্চা শুরু করেন।

কর্মজীবন———

আর্ট স্কুল থেকে পাস করার পর, গোকুলচন্দ্র প্রত্নতাত্ত্বিক রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাজে যোগ দিতে পুনে চলে আসেন। কিন্তু কয়েক বছর পর সেখানে অসুস্থ হয়ে পড়েন। বোম্বেতে একজন সলিসিটর দম্পতির তত্ত্বাবধানে সুস্থ হয়ে ওঠেন কিন্তু কাজ করতে পারেননি। তাই কলকাতায় ফিরে এলেন বিধবা দিদির কাছে । তিনি একজন অকৃত্রিম বন্ধু পেয়েছিলেন, দিনেশরঞ্জন দাশ। তারা দুজনেই নতুন লেখকদের নিয়ে ১৩৩০ বঙ্গাব্দের পহেলা বৈশাখে ‘কল্লোল’ মাসিক সাহিত্য পত্রিকা প্রকাশ করেন। সম্পাদক দীনেশরঞ্জন দাস পত্রিকায় নতুন ধারার প্রবর্তন করেন। একদল নবীনদের লেখায় সমৃদ্ধ, বাংলা সাহিত্যের যে সময়টি লেখক-পাঠকদের মধ্যে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল তাকে ‘কল্লোল যুগ’ বলে চিহ্নিত করা হয়। গোকুলচন্দ্র সহ-সম্পাদক হলেও প্রকৃত নেতা ছিলেন তিনি। গোকুলচন্দ্র অর্থক্লিষ্ট পত্রিকা সংরক্ষণের জন্য বিজ্ঞাপন সংগ্রহ, গ্রাহক সংখ্যা বৃদ্ধি, মুদ্রণের কাজ তদারকি করতেন। তার বন্ধু দীনেশরঞ্জন দাসের সাথে, তিনি ‘সোল অফ আ স্লেভ’ চলচ্চিত্র প্রযোজনা ও অভিনয়ে সহায়তা করেছিলেন। এসবের পাশাপাশি তিনি তার সাহিত্যচর্চাও বজায় রেখেছেন।

তার রচিত গ্রন্থগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল –

রূপরেখা (কথিকা সংকলন), রাজকন্যা ও পরীস্থান’ (অনুবাদ রচনা) – ১৯২৪, মায়ামুকুল (ছোটগল্প সংকলন), পথিক (উপন্যাস), ঝড়ের দোলা।
হাওড়ার শিবপুরের বাড়িতে চলে যাওয়ার পর আবার অসুস্থ হয়ে পড়েন। কিন্তু অসুস্থ অবস্থাতেই চলে তার সাহিত্য রচনা। শেষে যক্ষায় আক্রান্ত হয়ে পড়লেন গোকুলচন্দ্র। ‘কল্লোল’-এর বন্ধুরা প্রায়ই আসতেন শিবপুরের বাড়ীতে। গভীর সহমর্মিতায় আপ্লুত সাহিত্যিক পবিত্র গঙ্গোপাধ্যায় রোজ আসতেন তার কাছে। ডাক্তারের পরামর্শে গোকুলকে শেষে দার্জিলিঙে নিয়ে যাওয়া হল।

মৃত্যু———-

১৯২৫ খ্রিস্টাব্দের সেপ্টেম্বর তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয় এবং অবশেষে ২৪ শে সেপ্টেম্বর তিনি দার্জিলিংঙে মাত্র ৩১ বৎসর বয়সে প্রয়াত হন।

।। তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।

Share This
Categories
নারী কথা প্রবন্ধ

স্মরণে প্রখ্যাত ভারতীয় ব্যালে নর্তকী – অমলা শংকর।।।।

অমলা শংকর একজন ভারতীয় ব্যালে নৃত্যশিল্পী। তিনি উদয় শঙ্করের স্ত্রী, আনন্দ শংকর এবং মমতা শঙ্করের মা এবং রবি শঙ্করের ভাইঝি। উদয় শংকর পরিচালিত কল্পনা সিনেমায় অভিনয় করেন অমলা শংকর।

জীবনী—————-

অমলা শঙ্কর ১৯১৯ সালের ২৭ জুন মাগুরা জেলার বাটাজোর গ্রামে অমলা নন্দী নামে জন্মগ্রহণ করেন।

তার বাবা অক্ষয় কুমার নন্দী চেয়েছিলেন তার সন্তানরা প্রকৃতি এবং গ্রামাঞ্চলের প্রতি আগ্রহী হোক। ১৯৩১ সালে, যখন তিনি ১১ বছর বয়সে, তিনি প্যারিসে আন্তর্জাতিক প্রদর্শনীতে গিয়েছিলেন, যেখানে তিনি উদয় শঙ্কর এবং তার পরিবারের সাথে দেখা করেছিলেন। অমলা তখন ফ্রক পরিহিতা। উদয় শঙ্করের মা হেমাঙ্গিনী দেবী তাকে শাড়ি পরিয়ে দেন। অমলা উদয় শঙ্করের নাচের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন এবং সারা বিশ্বে পরিবেশন করেছিলেন।

অভিনয় জীবন——-

অমলা শঙ্কর কল্পনা ছবিতে অভিনয় করেছিলেন।অমলা, উমার চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। ছবিটি রচনা, সহ-প্রযোজনা, পরিচালনা করেছিলেন উদয় শঙ্কর, যিনি ছবিতেও উপস্থিত ছিলেন। অমলা শঙ্কর ২০১২ সালের কান চলচ্চিত্র উৎসবে অংশ নিয়েছিলেন যেখানে ছবিটি প্রদর্শিত হয়েছিল অমলা শঙ্কর একটি সাক্ষাত্কারে বলেছিলেন- “২০১২ কান ফিল্ম ফেস্টিভাল … আমি কান ফিল্ম ফেস্টিভালের সর্বকনিষ্ঠ চলচ্চিত্র তারকা হিসাবে এসেছি… আমি ৮১ বছর পরে কানে আবার এলাম”।

পুরস্কার——–

২০১১ সালে বঙ্গবিভূষণ (নৃত্য এর জন্য) পশ্চিমবঙ্গ সরকার প্রদত্ত পুরস্কার। তিনি ভারত সরকারের পদ্মভূষণ সম্মানে সম্মানিত হন ( ১৯৯১ সালে )।

মৃত্যু———–

২০২০ সালের ২৪ জুলাই ১০১ বছর বয়েসে পশ্চিমবঙ্গে কলকাতায় তার মৃত্যু হয়।

।। তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ

স্মরণে ভারতীয় পরিচালক, প্রযোজক ও চিত্রনাট্যকার – এ. কে. লোহিত দাস।।।।

লোহিথাদাস ৫ মে ১৯৫৫ সালে কেরালার ত্রিশুর জেলার চালাকুডিতে আম্বাজথুপারম্বিল করুণাকরণ এবং লক্ষ্মীর পুত্র হিসাবে জন্মগ্রহণ করেছিলেন।

আম্বাজাথিল করুণাকরণ লোহিথাদাস একজন ভারতীয় চিত্রনাট্যকার , নাট্যকার , চলচ্চিত্র নির্মাতা এবং প্রযোজক যিনি মালায়ালাম চলচ্চিত্র শিল্পে কাজ করেছিলেন ।

দুই দশকেরও বেশি সময়ব্যাপী কর্মজীবনে, তার চলচ্চিত্র একটি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার , ছয়টি কেরালা রাজ্য চলচ্চিত্র পুরস্কার , এবং সেরা স্ক্রিপ্টের জন্য চৌদ্দটি কেরালা চলচ্চিত্র সমালোচক পুরস্কার জিতেছে ।
লোহিতদাস থানিয়াবর্থানম দিয়ে চিত্রনাট্যকার হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন । তিনি ২৪ বছরের দীর্ঘ ক্যারিয়ারে ৩৫টি চলচ্চিত্রের চিত্রনাট্য লিখেছেন, যেমন বিচরণ, এজুথাপুরাঙ্গল, কিরীদাম, দশরথম, মৃগায়া, হিজ হাইনেস আবদুল্লাহ, সাসনেহাম, ভরথাম, আমারম, আধারম, কমলাদালাম, ভাতসল্যম, ভেঙ্কলাম, পাধ্যেয়াম, চেঙ্কোল, চকোরাম, থুভাল কোত্তারাম, সল্লাপাম, এবং ভিন্দুম চিলা ভিট্টুকার্যাঙ্গল। পরে তিনি একজন পরিচালক হন, এবং ভূতক্কন্নাডি দিয়ে তার পরিচালক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন । পরে তিনি করুণ্যম, কানমাদম, জোকার, এবং কস্তুরিমন রচনা ও পরিচালনা করেন।
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার—–
১৯৯৮ – একজন পরিচালকের সেরা অভিষেক চলচ্চিত্রের জন্য ইন্দিরা গান্ধী পুরস্কার – ভূতকান্নাডি।
কেরালা রাজ্য চলচ্চিত্র পুরস্কার
১৯৮৭ – সেরা গল্প – থানিয়াবর্থানাম।
১৯৯৭ – শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র – ভূতকান্নাদি।
১৯৯৭ – সেরা স্ক্রিন প্লে – ভূতক্কন্নাডি।
তামিলনাড়ু রাজ্য চলচ্চিত্র পুরস্কার
২০০৫ – তামিলনাড়ু স্টেট ফিল্ম পুরষ্কার জন্য সেরা চলচ্চিত্র চিত্রিত নারী ইন গুড লাইট – কাস্তুরি মান।
কেরালা ফিল্ম ক্রিটিকস অ্যাসোসিয়েশন অ্যাওয়ার্ডস।
১৯৮৯ – সেরা চিত্রনাট্য – দশরথম
১৯৯১ – সেরা চিত্রনাট্য – ভরথম
১৯৯৬ – সেরা চিত্রনাট্য – সাল্লাপাম , থুভাল কোত্তারাম
১৯৯৭ – দ্বিতীয় সেরা চলচ্চিত্র – ভূতক্কন্নাডি
১৯৯৭ – সেরা গল্প – ভূতক্কন্নাডি
১৯৯৮ – দ্বিতীয় সেরা চলচ্চিত্র – ওরমাচেপ্পু
১৯৯৮ – সেরা চিত্রনাট্য – ওরমাচেপ্পু
১৯৯৮ – দ্বিতীয় সেরা চলচ্চিত্র – নিবেদম
১৯৯৯ – সেরা চিত্রনাট্য – বীন্দুম চিলা ভিট্টুকার্যঙ্গল
২০০৩ – দ্বিতীয় শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র – কস্তুরীমান
এশিয়ানেট ফিল্ম অ্যাওয়ার্ড
১৯৯৯ – সেরা স্ক্রিপ্ট রাইটার অ্যাওয়ার্ড – বীন্দুম চিলা ভিট্টু।
২৮ জুন ২০০৯ সালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি মারা যান।

।। তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

আজ ২৮ জুন, ইতিহাসের দিকে চোখ বুলিয়ে দেখে নেব ইতিহাসের এই দিনে বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু, দিনসহ ঘটে যাওয়া ঘটনা।।।।

আজ ২৮ জুন। এক নজরে দেখে নিই ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু দিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

আজ যাদের জন্মদিন—-

১৬৫৩ – মুহাম্মদ আজম শাহ, মোগল সম্রাট।
১৭১২ – জঁ-জাক রুসো, সুইজারল্যান্ডীয় দার্শনিক।
১৮৬৭ – লুইগি পিরান্ডেলো, নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ইতালিয়ান লেখক, কবি ও নাট্যকার।
১৮৭৩ – অ্যালেক্সিস কারেল, খ্যাতনামা ফরাসি চিকিৎসাবিদ।
১৮৮৩ – পিয়েরে লাভাল, ফরাসি সৈনিক, রাজনীতিক ও ১০১ তম প্রধানমন্ত্রী।
১৮৮৮ – জর্জ চ্যালেনর, ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার।

১৮৯৪ – গোকুলচন্দ্র নাগ, প্রখ্যাত ‘কল্লোল’ পত্রিকার অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ও সহকারী সম্পাদক ।
১৮৯৯ – আবদুল মোনেম খান, পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর।
১৯০৬ – মারিয়া গ্যোপের্ট-মায়ার, নোবেলজয়ী জার্মান বংশোদ্ভুত মার্কিন তাত্ত্বিক পদার্থ বিজ্ঞানী।
১৯১২ – কার্ল ফ্রিডরিখ ফন ভাইৎস্যেকার, জার্মান পদার্থবিজ্ঞানী এবং দার্শনিক।

১৯২১ – পি. ভি. নরসিংহ রাও, ভারতীয় প্রজাতন্ত্রের দ্বাদশ প্রধানমন্ত্রী।

১৯২৬ – মেল ব্রুক্স, মার্কিন চলচ্চিত্র পরিচালক, চিত্রনাট্যকার, সুরকার, গীতিকার, কমেডিয়ান, অভিনেতা এবং প্রযোজক।
১৯২৭ – শেরউড রোল্যান্ড, মার্কিন রসায়নবিদ।
১৯২৮ – প্যাট্রিক হেমিংওয়ে, আমেরিকান লেখক।
১৯২৮ – জন স্টুয়ার্ট বেল, আয়ারল্যান্ডীয় পদার্থবিজ্ঞানী।
১৯২৮ – পিটার হেইন, প্রথিতযশা দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটার।
১৯৩০ – ইতামার ফ্রাঁকু, ব্রাজিলের রাষ্ট্রপতি।
১৯৩৪ – রয় গিলক্রিস্ট, জ্যামাইকান ক্রিকেটার।
১৯৪০ – মুহাম্মদ ইউনুস, বাংলাদেশী নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ব্যাংকার ও অর্থনীতিবিদ।
১৯৪১ – ফেরদৌসী রহমান, বাংলাদেশী প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী।
১৯৪৩ – ক্লাউস ফন ক্লিৎসিং, তিনি নোবেল পুরস্কার বিজয়ী জার্মান পদার্থবিজ্ঞানী।
১৯৪৬ – ব্রুস ডেভিসন, মার্কিন অভিনেতা ও পরিচালক।
১৯৪৮ – ক্যাথি বেট্‌স, আমেরিকান অভিনেত্রী।
১৯৫৭ – ক্যাথি ক্রস, নিউজিল্যান্ডীয় প্রমিলা ক্রিকেটার ও আইসিসি মনোনীত আম্পায়ার।
১৯৬৬ – জন কিউস্যাক, মার্কিন চলচ্চিত্র অভিনেতা, প্রযোজক এবং চিত্রনাট্যকার।
১৯৭০ – মুশতাক আহমেদ (ক্রিকেটার), পাকিস্তানি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তারকা।
১৯৭১ – ফাবিয়ঁ বার্থেজ, প্রখ্যাত ফরাসি ফুটবল খেলোয়াড়।
১৯৭১ – ইলন মাস্ক, দক্ষিণ আফ্রিকান প্রকৌশলী ও প্রযুক্তি খাতে উদ্যোক্তা।
১৯৮৫ – ফিলিপ ফিল অ্যান্টোনিও বার্ডসলে, ইংরেজ ফুটবল খেলোয়াড়।
১৯৮৯ – মার্কিপ্লায়ার, একজন খ্যাতনামা মার্কিন ইউটিউব ব্যক্তিত্ব।
১৯৯১ – কেভিন ডি ব্রুইন, বেলজিয়ান পেশাদার ফুটবলার।

ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনের ঘটনাবলী—-

১২৬৬ – মুসতানসির বিল্লাহ আব্বাসীয় খিলাফত লাভ করেন।
১৩৮৯ – অটোমান সামরিক বাহিনী সার্বিয়ান বাহিনীকে পরাজিত করে।
১৬৫৭ – দারা শিকোহ অনূদিত ‘শিক-ই আকবর’ প্রকাশিত হয়।
১৭৫৭ – মীর জাফর নবাব হন এবং রবার্ট ক্লাইভ বেঙ্গলের গভর্নর নিযুক্ত হন।
১৮২০ – প্রমাণিত হয় যে টমেটো বিষাক্ত নয়।
১৮৩৮ – ওয়েস্ট মিনস্টার অ্যাবেতে ব্রিটেনের রানী ভিক্টোরিয়ার অভিষেক ঘটে।
১৯১৯ – ভার্সাই চুক্তি, প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পরপর যুদ্ধের মিত্রশক্তি ও তৎসংশ্লিষ্ট শক্তিসমূহ এবং জার্মানির মধ্যে সম্পাদিত হয়।
১৯৫৪ –  জওহরলাল নেহরু ও চৌ এন লাই ভারত ও চীনের মধ্যে পঞ্চশীলা নীতি ঘোষণা করেন।
১৯৬৩ –  ক্রুশ্চেভ পূর্ব বার্লিন সফর করেন।
১৯৬৭ –  ইসরাইল কর্তৃক পূর্ব জেরুজালেম দখল হয়।
১৯৭২ – বাংলাদেশকে স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয় রোমানিয়া।
১৯৭৬ – ভারত মহাসাগরের দ্বীপপুঞ্জে সেচিলিসের ১০২ বছর ব্রিটিশ শাসনাধীন থাকার পর স্বাধীনতা লাভ করে।
১৯৭৬ – আমেরিকার বিমান ও নৌবাহিনীতে প্রথম মহিলা ক্যাডেট অন্তর্ভুক্ত হয়।
১৯৭৮ – পণ্ডিত অতীশ দীপঙ্কর শ্রীজ্ঞানের দেহভস্ম ঢাকার ধর্মরাজিক বৌদ্ধবিহারে সংরক্ষণ করা হয়।
১৯৯৬ – তুরস্কের প্রেসিডেন্ট সুলাইমান ডেমিরেলের ৭৩ বছরের মধ্যে প্রথম দেশে ইসলামিক নেতৃত্বাধীন সরকার অনুমোদিত হয়।

এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন যারা—-

১৮৩৯ – মহারাজা রণজিৎ সিং, পাঞ্জাব কেশরী এর রাজা।

১৯১৫ – ভিক্টর ট্রাম্পার, বিখ্যাত অস্ট্রেলীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার।
১৯১৭ – স্টেফান লুচিয়ান, রোমানিয়ান চিত্রশিল্পী।

১৯৩৬ – আলেকজান্ডার বেরকমান, আমেরিকান লেখক ও সমাজ কর্মী।

১৯৭২ – প্রশান্ত চন্দ্র মহলানবীশ, ভারতীয়বিজ্ঞানী, পরিসংখ্যানবিদ এবং ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইনস্টিটিউটের প্রতিষ্ঠাতা।

১৯৭৪ – ভ্যানিভার বুশ, মার্কিন প্রকৌশলী ও বিজ্ঞান প্রশাসক।
১৯৭৫ – রড সেরলিং, আমেরিকান অভিনেতা, চিত্রনাট্যকার ও প্রযোজক।
১৯৮১ – টেরি ফক্স, কানাডিয়ান ক্রীড়াবিদ, মানবহিতৈষী এবং ক্যান্সার গবেষাণা কর্মী।

১৯৮৬ – হাজী মোহাম্মদ দানেশ, অবিভক্ত ব্রিটিশ ভারতের একজন কৃষক নেতা।
১৯৯২ – মিখাইল তাল, লাতভীয় দাবাড়ু।
১৯৯৬ – বিশিষ্ট বাঙালি রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী নীলিমা সেন।
২০০১ – জোয়ান সিমস, ইংরেজ অভিনেত্রী।
২০০৬ – ফুলরেণু গুহ, পদ্মভূষণ সম্মানে ভূষিত সমাজ সেবিকা ও ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের ও রাজ্যসভার সদস্যা।
২০০৬ – তাপস সেন, আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ভারতের বাঙালি আলোকসম্পাত শিল্পী।
২০০৯ – এ. কে. লোহিত দাস, ভারতীয় পরিচালক, প্রযোজক ও চিত্রনাট্যকার।
২০১২ – রবার্ট সাবায়টিয়ার, ফরাসি লেখক ও কবি।

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ

বাংলা কবিতাকে অবাস্তব কল্পনার জগৎ থেকে রূঢ় বাস্তবে নিয়ে আসার পথপ্রদর্শক যতীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত – একটি বিশেষ পর্যালোচনা।।।।

ভূমিকা- যতীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত ছিলেন বাংলা ভাষার একজন কবি ও লেখক। যতীন্দ্রনাথ সেনগুপ্তের জন্ম ২৬ জুন ১৮৮৭ সালে পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব বর্ধমান জেলার পাতিলপাড়ায় মাতুলালয়ে। পৈতৃক নিবাস পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলায় শান্তিপুরের অদূরে হরিপুর গ্রামে।

শিক্ষাজীবন—–

তিনি ১৯১১ সালে হাওড়ার শিবপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ থেকে স্নাতক পাশ করেন।

কর্মজীবন——

যতীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করে নদীয়া জেলা বোর্ড ও পরে কাশিমবাজার রাজ স্টেটে কাজ করেন।পেশাগত জীবনে তিনি একজন প্রকৌশলী ছিলেন এবং নদীয়া জেলা বোর্ড এবং কাশিমবাজার রাজ্যে একজন ওভারসিয়ার হিসেবে কাজ করেছেন।

সাহিত্যজীবন——

বাংলা কবিতাকে চিরায়ত ভাবাবেগ ও অতীন্দ্রিয়তার অত্যাচার থেকে মুক্ত করতে তিনি সতর্ক ছিলেন। তাই তাকে বাংলা কবিতাকে অবাস্তব কল্পনার জগৎ থেকে রূঢ় বাস্তবে নিয়ে আসার পথপ্রদর্শক বলা যেতে পারে। বোধগম্যতার কারণে তাঁর কবিতায় বঙ্গের সুর তীব্র এবং কবিতার নামকরণও ভিন্ন।

কবিতাবলি—–

মরীচিকা, মরুশিখা, কাব্য পরিমিতি, মরুমায়া, সায়ম, অনুপূর্বা, ত্রিযামা , নিশান্তিকা—প্রভৃতি তার কাব্যগ্রন্থ । শেষ বয়সে ম্যাকবেথ, হ্যামলেট, ওথেলো, শ্রীমদ্ভগবদগীতা, কুমারসম্ভব ইত্যাদির অনুবাদ কাজে আত্মনিয়োগ করেছিলেন।

মৃত্যু—–

১৭ সেপ্টেম্বর ১৯৫৪ সালে তিনি প্রয়াত হন।

।। তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।

Share This
Categories
নারী কথা প্রবন্ধ

ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব মীরা বন্দ্যোপাধ্যায় – প্রয়াণ দিবসে শ্রদ্ধাঞ্জলি।।।।

মীরা বন্দ্যোপাধ্যায়, ২৮ মার্চ, ১৯৩০ সালে উত্তর প্রদেশের মিরাটে জন্মগ্রহণ করেন, ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের একটি উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব। শৈলেন্দ্রকুমার চট্টোপাধ্যায়ের কন্যা, মীরার নামকরণ করা হয়েছিল তার জন্মস্থানের নামে। কলকাতার ৮ দেবেন সেন রোডে তার বাড়িটি ছিল বেগম আখতার, আলী আকবর খান এবং আরও অনেকের মতো সঙ্গীতের মহান ব্যক্তিদের জন্য একটি সমাবেশের স্থান, যা তাকে একটি সমৃদ্ধ সঙ্গীত পরিবেশ প্রদান করে।

অল্প বয়সে, তিনি তার বাবার অধীনে এবং পরে চিন্ময় লাহিড়ীর কাছ থেকে ধ্রুপদ ও ধামার প্রশিক্ষণ নেন।
মীরার সঙ্গীত প্রতিভা প্রথম দিকে স্বীকৃত হয়েছিল। অল্প বয়সেই তিনি অল বেঙ্গল মিউজিক কম্পিটিশনে প্রতিটি বিভাগে প্রথম স্থান অধিকার করেন। ১৯৪৩ সালে নৃপেন মজুমদারের আমন্ত্রণে তিনি অল ইন্ডিয়া রেডিওতে অভিনয় শুরু করলে তার কর্মজীবন শুরু হয়। এক বছর পরে, তিনি সঙ্গীতাচার্য গিরিজাশঙ্কর চক্রবর্তী কর্তৃক “গীতাশ্রী” উপাধিতে সম্মানিত হন।
তার বাবা তাকে পাটিয়ালা ঘরানার সাথে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার পরে কিংবদন্তি ওস্তাদ বড়ে গুলাম আলী খানের অধীনে প্রশিক্ষণ নেওয়ার সময় তার যাত্রা অব্যাহত ছিল। এমনকি এই সংযোগের ফলে প্রখ্যাত জ্ঞানপ্রকাশ ঘোষ তাঁর বাড়িতে ওস্তাদের থাকার জন্য কক্ষ অফার করেছিলেন। সঙ্গীতের সাথে মীরার বন্ধন আরও গভীর হয় যখন তিনি ১৯৫৭ সালে প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিয়ে করেন, একজন সহ-শাস্ত্রীয় সঙ্গীত শিল্পী, যার সাথে তিনি বেশ কয়েকটি রেকর্ড প্রকাশ করেন।
প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর অনুরোধে রাশিয়া, পোল্যান্ড এবং চেকোস্লোভাকিয়া সফর করার সময় মীরার আন্তর্জাতিক প্রকাশ ঘটে, বিশ্ব মঞ্চে ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীত প্রদর্শন করে। তিনি তপন সিনহার নির্দেশে ‘অতিথি’, ‘বৃন্দাবনলীলা’ এবং ‘মেঘমল্লার’-এর মতো ছবিতেও তার কণ্ঠ দিয়েছেন, ভারতীয় সংস্কৃতিতে তার প্রভাবকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছেন।
তার বর্ণাঢ্য কর্মজীবন জুড়ে, মীরা বন্দ্যোপাধ্যায় রাষ্ট্রপতি ভবনে একটি অনুষ্ঠানে ভারতের রাষ্ট্রপতির কাছ থেকে একটি বিশেষ পুরস্কার সহ অসংখ্য প্রশংসা পেয়েছিলেন। ১৯৫৩ সালে অল ইন্ডিয়া রেডিওর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম অফ মিউজিকের জন্য তার অভিনয় সারা দেশে হৃদয় জয় করে, ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের একজন সম্মানিত দূত হিসাবে তার উত্তরাধিকারকে সিমেন্ট করে।
মীরা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জীবন এবং কাজ শিল্পের প্রতি তার উৎসর্গকে প্রতিফলিত করে, যা তাকে শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের জগতে একটি সম্মানিত নাম করে তোলে। ভারতের সমৃদ্ধ সঙ্গীত ঐতিহ্য সংরক্ষণ করে তার অবদান আগামী প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করে চলেছে।
তাঁর অন্যান্য পুরস্কার গুলি হল-
গিরিজাশঙ্কর পুরস্কার, আলাউদ্দিন পুরস্কার, সৌরভ পুরস্কার, ১৯৯৬ খ্রিস্টাব্দে – আইটিসি এসআরএ পুরস্কার, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সঙ্গীত আকাদেমি পুরস্কার, ভুয়ালকা পুরস্কার।
২০১২ খ্রিস্টাব্দের ২৭ জুন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে কলকাতার বোসপুকুরের বাড়িতে প্রয়াত হন বিদুষী মীরা বন্দ্যোপাধ্যায়।

।। তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

মূল্যবান মনুষ্য জীবন ও অম্বুবাচী : স্বামী আত্মভোলানন্দ(পরিব্রাজক)।।।।

আমাদের মূল্যবান সুন্দর মনুষ্য জীবনে ভারতভূমি ধর্মীয় উৎসব-মুখর পুণ্যভূমি পবিত্রভূমি। সৌন্দর্যময় আমাদের এই ভারতবর্ষের সুন্দর প্রকৃতি সকল ধর্মীয় ও নৈসর্গিক উপাদানে সমৃদ্ধ। এই মনোরম, অনুপম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও উৎসব অনন্তকাল ধরে আমাদের চিত্তে শিক্ষা ও আনন্দের অমৃতধারা জাগিয়ে তুলছে।

আমাদের শিক্ষা ক্ষেত্রে ভারতমাতা ও প্রকৃতির অবদান অপরিসীম। আমাদের ভারতমাতা স্বমহিমায় উজ্জ্বল।
আমাদের ভারতবর্ষে সনাতন হিন্দু ধর্মের এক গুরুত্বপূর্ণ বাৎসরিক উৎসব অম্বুবাচী। লোকবিশ্বাস মতে আষাঢ় মাসের ৭ তারিখে মৃগশিরা নক্ষত্রের তিনটি পদ শেষ হলে পৃথিবী বা ধরিত্রী মা ঋতুময়ী হয়। এই সময়টিতে অম্বুবাচী পালন করা হয়। অর্থাৎ, সূর্য আষাঢ় মাসে যে দিন যে সময়ে মিথুন রাশিতে আদ্রা নক্ষত্রের প্রথম পাদে গমন করে সেই সময়কাল থেকে মাতৃস্বরূপা পৃথিবী এবং আদ্যাশক্তি মহামায়া ঋতুমতী হয় বা অম্বুবাচির কাল শুরু হয়। পূর্ণ বয়স্কা ঋতুমতী নারীরাই কেবল সন্তান ধারণে সক্ষম হোন। তাই অম্বুবাচীর পর ধরিত্রীও শস্য শ্যামলা হয়ে ওঠেন।
অম্বুবাচী কথাটি এসেছে সংস্কৃত শব্দ ‘অম্ব’ ও ‘বাচি’ থেকে। ‘অম্ব’ শব্দের অর্থ হলো জল এবং ‘বাচি’ শব্দের অর্থ হলো বৃদ্ধি। অতএব গ্রীষ্মের প্রখর দাবদাহের পর যখন বর্ষার আগমনে ধরিত্রী সিক্ত হয় এবং নবরূপে বীজধারণের যোগ্য হয়ে ওঠে সেই সময়কেই বলা হয় অম্বুবাচী। আমাদের মা ঠাকুমারা, ঠাকুরদারা বলেন, কি বা বার কিই বা তিথি, সাতই আষাঢ় ‘অম্বুবাচী’ ঠাকুমা দিদিমারা বলতেন যে দশহরা ও অম্বুবাচী ও রথ এই তিনে বৃষ্টি হবেই। সত্যিই তাই, তবে কালের বিবর্তনে ও আমাদের পাপাচারে প্রকৃতি আজ বিমুখ। তথাপি যারা আমরা ধর্মমতী তারা অম্বুবাচী পালন করি। কি অদ্ভুত এক প্রচলিত প্রথা। এই গ্রীষ্মের দাবদাহে জনপদ অতিষ্ঠ হয়ে উঠত। রেহাই পেতে নানারকম ধর্মীয় আচরণ পালন করা হত। অতিখরা ও প্রচন্ড গরম থেকে বাঁচতে ভূদেবীর নিকট বা বসুমাতার নিকট প্রার্থনা করা হত। ঠিক নিয়ম মেনে এই আষাঢ়ের ৭-ই হত সেই শুভক্ষণের সূচনা। বর্ষা কালের প্রথম বর্ষার আগমন ঘটত, সিক্ত হত ধরাতল। হিন্দু সনাতন ধর্মের এটাই প্রচলিত মত যে বসুমাতা বা ভূদেবী হন রজস্বলা ঋতুমতী। একজন নারীও যেমন ঋতুমতীর পরই নবজীবন ধারণে উদ্যত হন ঠিক তেমনই বসুমাতার রজস্রাবের পর প্রকৃতি নতুন করে প্রাণ পাই, মৃতপ্রায় গাছসকল নতুনভাবে সজীব হয়।
আমাদের শাস্ত্রে যে ৫১টি শক্তিপীঠের উল্লেখ রয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম হল কামাখ্যা মন্দির। সতীপিঠের অন্যতম অসমের গুয়াহাটিতে অবস্থিত কামাক্ষ্যা মন্দির। দেবী রজঃস্বলা হওয়ায় তিন দিন মন্দিরের কপাট বন্ধ থাকে এই মন্দিরে সতীর গর্ভ এবং যোনি পড়েছিল। তন্ত্র সাধনার অন্যতম পীঠ এই মন্দির। প্রতি বছর অম্বুবাচীর তিন দিন কামাক্ষ্যা মন্দিরে বিশেষ উৎসব এবং মহা মেলার আয়োজন হয়। দেশ- বিদেশ থেকে ভক্তেরা ভিড় জমান মন্দিরে। শাস্ত্রে কথিত আছে, “যথা পিন্ডে তথা ব্রহ্মাণ্ডে”। অর্থাৎ ব্রহ্মাণ্ডে যা ঘটে তার সব আমাদের শরীরেও ঘটে। যেমন দেবী মহামায়া নিজের মধ্যেই সৃষ্টি স্থিতি ও লয়ের খেলায় মেতে থাকেন একজন নারীও নিজের শরীরে সৃষ্টি, স্থিতি ও লয়ের খেলা খেলতে থাকেন।
অম্বুবাচী ও নারীর ঋতুমতী হওয়ার একটি পৌরাণিক আখ্যান আছে। দেবরাজ ইন্দ্র বৃত্রাসুরকে হত্যা করার ফলে ব্রহ্মহত্যার পাপী হন। এই পাপ স্খলন করার উপায় তিনি অন্বেষণ করতে থাকেন। ভগবান শ্রীবিষ্ণুর আদেশে ইন্দ্র নতজানু হয়ে পৃথিবী, বৃক্ষ, নদী ও সকল নারীদের দ্বারস্থ হন। তার পাপের এক চতুর্থাংশ করে ভাগ গ্রহণ করতে অনুরোধ করেন এই চার মাতাকে।
সকলে দেবরাজ ইন্দ্রের আকুতি মঞ্জুর করেন তার পাপ সকলে ধারণ করেন। কিন্তু ইন্দ্রের সেই পাপস্খালন হেতু সমগ্র নারী জাতি তাই মাসিক রজস্বলা হন। এই রজঃরক্ত এতটাই পবিত্র যে ব্রহ্মহত্যার মতন গর্হিত পাপও ধৌত হয়ে যায়। ইন্দ্রের প্রার্থনায় সকল নারী জাতির মধ্যে স্বয়ং মহামায়া বিরাজ করেন। হিন্দু শাস্ত্রে ও বেদে পৃথিবীকে মা বলা হয়ে থাকে। পৌরাণিক যুগেও পৃথিবীকে ধরিত্রী মাতা বলে সম্বোধন করা হয়েছে।
বিভিন্ন আঞ্চলিক ভাষায় অম্বুবাচী, অমাবতী বলেও পরিচিত। ভারতের একাধিক স্থানে অম্বুবাচী উৎসব, রজঃউৎসব নামেও পালিত হয়। এই উৎসবের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে শাস্ত্রের নানা কাহিনি। প্রচলিত বিশ্বাস ঋতুকালে মেয়েরা অশুচি থাকেন। একই ভাবে মনে করা হয় পৃথিবীও সময়কালে অশুচি থাকেন। অম্বুবাচীর সঙ্গে জড়িয়ে আছে বহু আচার অনুষ্ঠান। এই তিনদিন সন্ন্যাসী এবং বিধবারা বিশেষ ভাবে পালন করেন। কোনও শুভ কাজও এই কয়েকদিন নিষিদ্ধ থাকে। শুধু তাই নয়, অম্বুবাচী চলাকালীন কৃষিকাজ বন্ধ রাখা হয়। তিনদিন পর অম্বুবাচী ফের কোনও মাঙ্গলিক অনুষ্ঠান ও চাষাবাদ শুরু হয়। অম্বুবাচী চলাকালীন বিভিন্ন মন্দির ও বাড়ির ঠাকুর ঘরের মাতৃ শক্তির প্রতিমা বা ছবি কাপড় দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়। সারাবছর জগতজননী মা আমাদেরকে আগলে রাখেন, সব রকম দেখাশোনা করেন। তাই এই তিনটে দিন আমাদেরও উচিত মায়ের একটু খেয়াল রাখা, একটু যত্ন নেওয়া। মা সকলের সর্বাঙ্গীণ মঙ্গল করুন এই কামনা করি।
প্রকৃতপক্ষে সৃষ্টির নিমিত্তে দেবী এই সময় যোগনিদ্রায় মগ্ন থাকেন, সেই কারণে এই সময় দেবীকে স্পর্শ করা উচিত নয়। উপরন্তু যথাসম্ভব একান্ত পরিবেশে নির্জন বাসের ব্যবস্থা করা উচিত। কোনভাবেই আমাদের কোন আচরণে মায়ের বিরক্তির উদ্রেক যেন না হয় সেদিকে সর্বদাই খেয়াল রাখতে হবে। সংকল্প বিহীন নিত্য পূজাপাঠ ও আচার অনুষ্ঠান যথাসম্ভব অনাড়ম্বর ভাবে পালন করা উচিত। কিন্তু এই সময় বেশী করে জপ-ধ্যান ইত্যাদি করা উচিত। এই কালে জপ করলে বহুগুণ ফল লাভ হয়। উচ্চৈঃস্বরে মন্ত্রপাঠ, ভজন এবং ঘন্টা-কাসর, ঢাক-ঢোল ইত্যাদি বাজানো এই সময় বর্জনীয়। ভূমি কর্ষণ বা ভূমিতে কোনরকম আঘাত করা এবং ক্ষৌরকর্ম ইত্যাদি এই তিন দিন নিষিদ্ধ। সকল সাধক ও ভক্তগণের এই সময় সংযত জীবনযাপন করা একান্ত কর্তব্য।
*পঞ্জিকা অনুসারে ২০২৪-র চলতি বছরে অম্বুবাচী প্রবৃত্তিঃ অর্থাৎ শুরু হবে ২২ জুন অর্থাৎ ৭-ই আষাঢ় শনিবার দিবা ঘ ৮/৪৫ এবং ২৫ জুন অর্থাৎ ১০ আষাঢ় মঙ্গলবার রাত ৯/০৮ গতে এর নিবৃত্তিঃ অর্থাৎ সমাপ্তি হবে ।*
ওঁ গুরু কৃপা হি কেবলম্ ….!
স্বামী আত্মভোলানন্দ(পরিব্রাজক) l

Share This
Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

আজ ২৭ জুন, ইতিহাসের দিকে চোখ বুলিয়ে দেখে নেব ইতিহাসের এই দিনে বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু, দিনসহ ঘটে যাওয়া ঘটনা।।।।

আজ ২৭ জুন। এক নজরে দেখে নিই ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু দিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

আজ যাদের জন্মদিন—-

১৮০৬ – অগাস্টাস ডি মর্গান, ভারতে জন্মগ্রহণকারী ব্রিটিশ গণিতবিদ ও যুক্তিবিজ্ঞানী।

১৮৩৮ – পল মাউজার, জার্মান অস্ত্র নকশাকার ও প্রস্তুতকারক।
১৮৬৯ – এমা গোল্ডম্যান, একজন নৈরাজ্যবাদী রাশিয়ান লেখক যিনি লেখা, বক্তৃতা এবং রাজনৈতিক।

১৮৮০ – হেলেন কেলার, আমেরিকান একজন গুরুত্বপূর্ণ লেখক ও রাজনৈতিক কর্মী।
১৮৮৬ – চার্লি ম্যাককার্টনি, বিখ্যাত অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটার ছিলেন।

১৯০৩ – সুবোধচন্দ্র সেনগুপ্ত, ইংরাজী সাহিত্যের দিকপাল শিক্ষক, শেক্সপিয়ার সম্পর্কে বিশেষজ্ঞ ও বিশিষ্ট সাহিত্য সমালোচক।
১৯১৫ – আইদেউ সন্দিকৈ, ভারতীয় অভিনেত্রী।

১৯১৯ – অমলা শংকর, ভারতীয় ব্যালে নর্তকী।
১৯২২ – জহুর হোসেন চৌধুরী, বাংলাদেশী সাংবাদিক, সম্পাদক, কলাম লেখক ও রাজনীতিবিদ।
১৯২৪ – বব এপলইয়ার্ড, ইংরেজ ক্রিকেটার।
১৯৩৯ – রাহুলদেব বর্মন, ভারতীয় সুরকার, সঙ্গীতশিল্পী।
১৯৩৯ – নীল হক, অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার এবং ফুটবলার।
১৯৪১ – ক্রিস্তফ কিয়েশ্‌লফ্‌স্কি, পোল্যান্ডের খ্যাতিমান চলচ্চিত্র নির্মাতা।
১৯৫৫ – ইজাবেল আদজানি, ফরাসি অভিনেত্রী।
১৯৫৯ – আমেরিকান গায়িকা লরে মরগান।
১৯৬৪ – পি. টি. ঊষা, ভারতীয় ট্র্যাক এবং ফিল্ড ক্রীড়াবিদ।
১৯৭৫ – টোবি ম্যাগুইয়ার, মার্কিন অভিনেতা ও চলচ্চিত্র প্রযোজক।
১৯৭৭ – রাউল গনজালেস, স্প্যানিশ ফুটবল খেলোয়াড়।
১৯৮০ – কেভিন পিটারসন, দক্ষিণ আফ্রিকায় জন্মগ্রহণকারী বিশিষ্ট ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার।
১৯৮১ – পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, ভারতীয় বাঙালি চলচ্চিত্র অভিনেতা ও পরিচালক।
১৯৮৩ – ডেল স্টেইন, দক্ষিণ আফ্রিকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার।

ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনের ঘটনাবলী—-

১৯০০ – সেন্ট্রাল লন্ডনে ইলেকট্রিক রেলওয়ে চালু হয়।
১৯৫৪ – সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপিত হয়।
১৯৬৭ – পৃথিবীর প্রথম এটিএম (অটোমেটেড টেলার মেশিন) স্থাপন করা হয় ইংল্যান্ডের এনফিল্ড শহরে।
১৯৭৪ – যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিঙ্ন সোভিয়েত ইউনিয়ন ভ্রমণে যান।
১৯৭৭ – জিবুতি (সাবেক ফরাসী সোমালিল্যান্ড) স্বাধীনতা লাভ করে।
১৯৯১ – সোভেনিয়া ও ক্রোয়েশিয়ার মধ্যে গৃহযুদ্ধ শুরু হয়।
১৯৯১ – বিখ্যাত ‘কমিউনিস্ট ইস্তেহারে’র প্রথম সংস্করণের একটি কপি লন্ডনে নিলামে ৬৮১০০ ডলারে বিক্রি হয়।
২০০৭ – গর্ডন ব্রাউন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন যারা—-

১৮২৯ – ইংলিশ বিজ্ঞানী ও দার্শনিক জেমস স্মিথসন।
১৮৩৯ – শিখ মহারাজা রণজিৎ সিং।
১৮৪৪ – জোসেফ স্মিথ, আমেরিকান ধর্মীয় নেতা।
১৯১২ – জর্জ বোনর, বিখ্যাত অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটার ছিলেন।
১৯২৮ – উৎকলমণি গোপবন্ধু দাস, ভারতের ওড়িশা রাজ্যের প্রখ্যাত সমাজ সংস্কারক ও কর্মী, কবি,সাংবাদিক ও প্রাবন্ধিক।
১৯৫৭ – ব্রিটিশ কথাসাহিত্যিক ম্যালকম লাউরি।
১৯৭৯ – বন্দে আলী মিয়া, বাংলাদেশের প্রখ্যাত কবি, ঔপন্যাসিক, শিশু সাহিত্যিক সাংবাদিক ও চিত্রকর।
১৯৮০ – ইরানের সাবেক শাহ মোহাম্মদ রেজা পাহলভি।
১৯৮৯ – এ. জে. এয়ার, ব্রিটিশ দার্শনিক।

১৯৯৮ – নিখিল চক্রবর্তী খ্যাতনামা সাংবাদিক ও বিশিষ্ট রাজনৈতিক ভাষ্যকার ও প্রসার-ভারতীর বোর্ডের প্রথম চেয়ারম্যান।
২০০০ – বাঙালি ভারতীয় চলচ্চিত্র পরিচালক এবং সাহিত্যিক শঙ্কর ভট্টাচার্য।
২০০১ – জ্যাক লেমন, আমেরিকান অভিনেতা।
২০০৮ – শ্যাম মানেকশ’ পারস্য বংশোদভূত ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রথম ফিল্ড মার্শাল।
২০১২ – মীরা বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রখ্যাত বাঙালি ধ্রুপদী কণ্ঠসঙ্গীত শিল্পী।

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

আজ “আন্তর্জাতিক নির্যাতনবিরোধী দিবস’, জানব দিন’টি পালনের গুরুত্ব সম্পর্কে কিছু কথা।।।।।

নির্যাতনের শিকারদের সমর্থনে জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক দিবস হল প্রতি বছর ২৬ জুন নির্যাতনের অপরাধের বিরুদ্ধে কথা বলার জন্য এবং সারা বিশ্বে ভুক্তভোগী এবং বেঁচে থাকা ব্যক্তিদের সম্মান ও সমর্থন করার জন্য একটি আন্তর্জাতিক পালন করা হয়। এই দিনটি সমাজে অগ্রহণযোগ্য মানবিক নির্যাতন সম্পর্কে জনগণের মধ্যে শুধু সচেতনতাই ছড়ায় না, তাদের জানিয়ে দেয় যে এটি একটি অপরাধ।।

বিশ্ব জুড়ে, অসংখ্য মানুষ আছে যারা শারীরিক বা মানসিক নির্যাতনের সম্মুখীন হয়। যদিও এটি আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে একটি অপরাধ, এমন অনেক ঘটনা রয়েছে যা রিপোর্ট করা হয়নি। তাই, সমস্ত স্টেকহোল্ডারদেরকে একত্রিত হওয়ার জন্য আহ্বান জানানোর জন্য যারা অপব্যবহার ও নির্যাতনের মুখোমুখি হয়েছেন এবং অব্যাহত রেখেছেন, প্রতি বছর ২৬ জুন নির্যাতনের শিকারদের সমর্থনে আন্তর্জাতিক দিবস হিসাবে পালন করা হয়। জাতিসংঘ দাবি করে যে নির্যাতনের পরিণতি হল এটি সহিংসতার চক্রে পরিণত হতে পারে এবং পরবর্তী প্রজন্মের উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে।

ইতিহাস—-

জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ দুটি কারণে দিনটিকে বেছে নেয় । প্রথমত, ২৬ জুন ১৯৪৫ সালে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের মাঝখানে জাতিসংঘের সনদ স্বাক্ষরিত হয়েছিল – প্রথম আন্তর্জাতিক উপকরণ যা জাতিসংঘের সদস্যদের মানবাধিকারকে সম্মান ও প্রচার করতে বাধ্য করে । দ্বিতীয়ত, ২৬ জুন ১৯৮৭ ছিল যখন নির্যাতন এবং অন্যান্য নিষ্ঠুর, অমানবিক বা অবমাননাকর আচরণ বা শাস্তির বিরুদ্ধে জাতিসংঘের কনভেনশন কার্যকর হয়েছিল।
বার্ষিক নির্যাতনের শিকারদের সমর্থনে আন্তর্জাতিক দিবস পালনের সিদ্ধান্তটি জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ ডেনমার্কের প্রস্তাবে গৃহীত হয়েছিল, যা বিশ্বখ্যাত আন্তর্জাতিক পুনর্বাসন কাউন্সিল ফর টর্চার ভিকটিম (আইআরসিটি) এর আবাসস্থল।
১৯৯৮ সালের ২৬ জুন নির্যাতনের শিকারদের সমর্থনে প্রথম আন্তর্জাতিক দিবস উদযাপন করে, জাতিসংঘ সমস্ত সরকার, স্টেকহোল্ডার এবং বৈশ্বিক সমাজের সদস্যদের এই আইনের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে এবং নির্যাতনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য এবং যারা বিশ্বের প্রতিটি কোণে এটি কার্যকর করুন। দিনটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ, কারণ এটি তাদের সমর্থনে সকলকে ঐক্যবদ্ধ করে যারা মানসিক ও শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে। এর তারপর থেকে, সারা বিশ্বের কয়েক ডজন দেশে প্রায় ১০০টি সংস্থা প্রতি বছর ইভেন্ট, উদযাপন এবং প্রচারাভিযানের মাধ্যমে দিবসটিকে চিহ্নিত করে।
১৬ জুলাই ২০০৯ তারিখে, বসনিয়া ও হার্জেগোভিনাতে নির্যাতনের শিকারদের সমর্থনে আন্তর্জাতিক দিবসটিকে সরকারী ছুটি হিসাবে বেছে নেওয়া হয়েছিল ।

সর্বশেষ ২৬ জুন গ্লোবাল রিপোর্ট (২০১২) অনুসারে, বিশ্বের ৬০টি দেশে অন্তত ১০০টি সংস্থা সম্মেলন, কর্মশালা, শান্তিপূর্ণ সমাবেশ, সাংস্কৃতিক ও সঙ্গীত অনুষ্ঠান, শিশুদের জন্য অনুষ্ঠান ইত্যাদির মাধ্যমে দিবসটি উদযাপন করেছে। এশিয়ায় এশিয়ান হিউম্যান রাইটস কমিশন প্রতি বছর আঞ্চলিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এশিয়ার বিভিন্ন দেশে নির্যাতন বিরোধী নেটওয়ার্ক যারা এখনও নির্যাতনের ব্যাপক ব্যবহারে ভুগছে তারা সমাবেশ এবং জনসাধারণের অনুষ্ঠান করে। এই কারণেই জাতিসংঘ এই দিনটিকে নির্যাতনের শিকারদের সমর্থনে আন্তর্জাতিক দিবস হিসাবে বেছে নিয়েছে।

।। তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।

Share This