Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

আজ ২৮ মে, ইতিহাসের দিকে চোখ বুলিয়ে দেখে নেব ইতিহাসের এই দিনে বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু, দিনসহ ঘটে যাওয়া ঘটনা।।।।

আজ ২৮ মে। এক নজরে দেখে নিই ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু দিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

দিবস—–

(ক) নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস। (বাংলাদেশ)।

আজ যাদের জন্মদিন—-

১৫২৪ – দ্বিতীয় সেলিম, অটোমান সুলতান।

১৭৭৯ – আইরিশ কবি টমাস মুর।

১৮৮৩ – বিনায়ক দামোদর সাভারকর, বিপ্লবী ভারতীয় রাজনীতিবিদ এবং ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনের সক্রিয় অংশগ্রহণকারী।

১৮৮৮ – জিম থর্প, আমেরিকান অ্যাথলেট।

১৯০৭ – বিপ্লবী, গণসঙ্গীত রচয়িতা, লেখক ও বাংলাদেশে উদীচীর প্রতিষ্ঠাতা সত্যেন সেন।
১৯০৮ – ইয়ান ফ্লেমিং, একজন বিখ্যাত ব্রিটিশ লেখক, সাংবাদিক ও নৌ-গোয়েন্দা। তিনি ব্রিটিশ কাল্পনিক গোয়েন্দা চরিত্র জেমস বন্ড চরিত্র নিমার্ণে জন্য বিখ্যাত ছিলেন।

১৯১১ – বব ক্রিস্প, দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটার।
১৯১২ – প্যাট্রিক ভিক্টর হোয়াইট, ১৯৭৩ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী অস্ট্রেলিয়ার ঔপন্যাসিক।
১৯১৫ – জোসেফ গ্রিনবার্গ, প্রভাবশালী ও বিতর্কিত মার্কিন ভাষাবিজ্ঞানী ও আফ্রিকান নৃতত্ত্ববিদ।
১৯২৩ – এন টি রামা রাও, ভারতের জনপ্রিয় অভিনেতা, প্রযোজক, পরিচালক ও অন্ধ্রপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী।
১৯২৫ – বুলেন্ত এজেভিত, তুর্কি রাজনীতিবিদ, কবি, লেখক, পণ্ডিত, সাংবাদিক এবং ১৬তম প্রধানমন্ত্রী।
১৯৩০ – ফ্রাঙ্ক ড্রেক, মার্কিন জ্যোতির্বিজ্ঞানী ও জ্যোতিঃপদার্থবিজ্ঞানী।
১৯৩১ – ক্যারল বেকার, আমেরিকান অভিনেত্রী।
১৯৪২ – স্টানলি বি প্রুসিনার, মার্কিন নিউরোলজিস্ট এবং প্রাণরসায়নবিদ।
১৯৪৬ – কে. সচ্চিদানন্দন, ভারতীয় কবি এবং সমালোচক।

ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনের ঘটনাবলী—-

১৭৪২ – লন্ডনে প্রথম ইনডোর সুইমিং পুল চালু।
১৭৫৭ – ব্রিটিশ কর্তৃক মীর জাফরকে বাংলার নবাব ঘোষণা।
১৮০৪ – নেপোলিয়ন বোনাপোর্ট নিজেকে ফ্রান্সের সম্রাট ঘোষণা।
১৮৭১ – প্যারি কমিউনের পতন ঘটে।
১৯১৮ – আজারবাইজান ও আর্মেনিয়া স্বাধীনতা ঘোষণা করে।
১৯১৯ – ভার্সাই চুক্তির মাধ্যমে প্রথম মহাযুদ্ধ সমাপ্ত।
১৯৩৭ – প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্কলিন ডি. রুজভেল্ট একটি সুইচ টিপে ক্যালিফোর্নিয়া সানফ্রান্সিসকোর গোল্ডেন গেট ব্রিজ উদ্বোধন করেন।
১৯৪০ – দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জার্মানির কাছে বেলজিয়াম আত্মসমর্পণ করে।
১৯৫২ – গ্রিসের নারীদের ভোটাধিকার অর্জিত হয়।
১৯৬৪ – নয়াদিল্লীতে ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী এবং কংগ্রেস নেতা পণ্ডিত জওহারলাল নেহেরুর অন্তেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন হয়।
১৯৬৪ – ফিলিস্তিন মুক্তি সংস্থা বা পিএলও গঠিত হয়।
১৯৮৭ – ম্যাথু রাস্ট নামে ১৯ বছর বয়সী এক অ্যামেচার বিমান চালক ক্রেমলিনের রেড স্কোয়ারে ছোট একটি সেসনা বিমান অবতরণ করে বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলো।
১৯৯১ – ইথিওপিয়ার রাজধানী আদ্দিস আবাবাতে বিদ্রোহীদের ট্যাংকবহর প্রবেশ করতে থাকে এবং দেশটিতে ১৭ বছরের মার্ক্সবাদী শাসনের অবসান ঘটে।
১৯৯৫ – রাশিয়ার নেস্তেগস্কর শহরে প্রবল ভূমিকম্প। দুই হাজার লোকের প্রাণহানি।
১৯৯৬ – ভারতে বাজপেয়ী সরকারের পতন। দেবগৌড়া প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত।
১৯৯৮ – পাকিস্তান ৫টি পারমাণবিক বোমার সফল পরীক্ষা করেছে বলে ঘোষণা করে।
২০১০ জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেস লাইনচ্যুত হয়। যাতে প্রায় ১৪১জনের মৃত্যু হয়।
২০২৩ – নয়াদিল্লিতে বিস্তৃত পরিসরের নতুন ভারতীয় সংসদ ভবনের দ্বারোদ্ঘান হয়।

এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন যারা—-

১৯৩৭ – অস্ট্রীয় মনোবিজ্ঞানী আলফ্রেড অ্যাডলার।
১৯৪২ – রমাপ্রসাদ চন্দ,ভারতীয় বাঙালি ইতিহাসবিদ ও পুরাতত্ত্ববিদ।
১৯৭৬ – জয়নুল আবেদিন , বাংলাদেশের বিখ্যাত চিত্রশিল্পী।
১৯৯৪ – সাহিত্যিক ও রাজনীতিক আসহাব উদ্দীন।

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

গ্রামোন্নয়নে কৃষির ভূমিকা -একটি সমীক্ষা : দিলীপ রায়।।।।

আমরা জানি, ভারত সরকার আত্মনির্ভর ভারতের লক্ষ্যে গ্রামের মানুষের জীবিকার নিরাপত্তা ও আর্থিক ক্ষমতা বাড়ানোর পক্ষপাতী । এই কথা মাথায় রেখে, সরকার গ্রামে সকলের অন্তর্ভুক্তিমূলক বিকাশের দিকে নজর দিয়ে কৃষি ও গ্রামোন্নয়ন ক্ষেত্রে রূপান্তর ত্বরান্বিত করার কৌশলগত পদক্ষেপ নিয়েছে বা নিচ্ছে ।

এটা ঘটনা, কেন্দ্রিয় সরকার ঘোষিত কল্যাণ প্রকল্প ও কর্মসূচিগুলোর লক্ষ্য হচ্ছে গ্রামাঞ্চলকে লাভ, উৎপাদনশীলতা ও সমৃদ্ধির কেন্দ্র হিসাবে গড়ে তোলা । এই লক্ষ্য পূরণে বাজেট বরাদ্দ সেইভাবে বাড়ানো হচ্ছে । তৈল বীজ ও ডাল উৎপাদন বাড়াতে এবং রান্নার তেলে স্বনির্ভর হতে দেশকে সাহায্য করার জন্য আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রী সমবায় সমিতিগুলোকে ডাক দিয়েছেন (০৩-০৭-২০২৩) । এখানে একটা ঘটনা জানিয়ে রাখি, খাদ্যশস্য উৎপাদনের ক্ষেত্রে আমাদের দেশে ২০২২-২৩ সালে শস্য ও শাক, সবজি, ফুল ও ফলের ফলন রেকর্ড পরিমাণে বেড়েছে । গত বছরের চেয়ে শস্যের উৎপাদন বেড়েছে ৪ শতাংশের বেশি । আর অন্যদিকে শাক, সবজি, ফুল ও ফল ফলেছে ১শতাংশের বেশি । প্রধান খাদ্যশস্য ধান ও গমের ফলনের রেকর্ডও উল্লেখযোগ্য । ধান ও গম উৎপাদন (২০২২-২৩) যথাক্রমে ১৩ কোটি ৫০ লক্ষ টন এবং ১১ কোটি টন । (তথ্যসূত্রঃ যোজনা-১২/২৩) । সুতরাং খাদ্যশস্য উৎপাদনে আমাদের দেশ একটা আত্মসন্তুষ্টির জায়গায় রয়েছে ।
এই কথাগুলি তুলে ধরার একটাই উদ্দেশ্য, গ্রামীণ বিকাশে কৃষিজাত ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধির সরকারি দৃষ্টির ইতিবাচক দিকগুলির উপর এবং বাস্তব অবস্থান সম্পর্কে একটা ধারণা । আর একটি পরিসংখ্যানে (নীচে উল্লেখ করা হলো) দেখা যাচ্ছে আমাদের দেশে দারিদ্রতার হার কমছে ।
ন্যাশনাল স্যাম্পল সার্ভের প্রকাশিত ফ্যাক্টশিট থেকে দেখা যাচ্ছে, ২০১১-১২’এর তুলনায় ২০২২-২৩ সালে ভারতীয় পরিবারগুলির মাথাপিছু মাসিক ব্যয় অনেক বেড়েছে । একই সঙ্গে দারিদ্রের হার নেমে গেছে ২২.৯% থেকে ৫শতাংশের কাছাকাছি । এখন জানা যাক, দরিদ্র কাদের বলা হচ্ছে ? যে পরিবারের দৈনিক মাথাপিছু খরচ ২.১৫ ডলার বা তার কম, বিশ্ব ব্যাঙ্ক তাকে দরিদ্র বলছে । অর্থাৎ কোনো পরিবারের মাসিক মাথাপিছু খরচ ১৪৭৬ টাকা বা তার কম হলে বিশ্ব ব্যাঙ্কের মাপকাঠি অনুযায়ী তাকে দরিদ্র বলা যায় । বিনামূল্যে পাওয়া ভোগ্যবস্তু বাদে তাদের ব্যয় মাসে ১৩৭৩ টাকা, বিনামূল্যের পণ্য ধরলে তা ১৪৪১ টাকা । অর্থাৎ ন্যাশনাল স্যাম্পল সার্ভের নতুন তথ্য অনুযায়ী দারিদ্রের হার ৫%-এ নেমে এসেছে । (সূত্রঃআঃবঃপঃ২৪.০৫.২০২৪) । সুতরাং আমরা যদি গ্রামীণ এলাকার মানুষের দিকে চোখ রাখি তাহলে আমরা বুঝতে পারব, সত্যিই কী দারিদ্রের হার কমেছে !
( ২ )
আমাদের দেশ মূলত কৃষিপ্রধান দেশ । তাই অনেক অর্থনীতিবিদ মনে করেন, কর্মসংস্থান-ভিত্তিক বিকাশের ক্ষেত্রে কৃষি অগ্রগণ্য । তাই গ্রামোন্নয়নের মূল স্তম্ভ হচ্ছে কৃষি । বলা চলে গ্রামীণ অর্থনীতি প্রায় সম্পূর্ণভাবে কৃষিনির্ভর । কৃষিই গ্রামীণ মানুষের জীবিকার মূল অবলম্বন । অধিকাংশ মানুষ সরাসরি চাষবাস করে জীবিকা নির্বাহ করে । অনেকে আবার কৃষির সঙ্গে যুক্ত আনুসঙ্গিক কাজ কর্মে নিয়োজিত । তাই কৃষি গ্রামীণ অর্থনীতির মেরুদন্ড । বিভিন্ন সমীক্ষার রিপোর্টে জানা গেছে, কৃষি থেকে প্রায় ৬৯ শতাংশ মানুষ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জীবিকা নির্বাহ করে । এটাও ভাববার বিষয়, কম জমিতে বেশি ফলন কীভাবে করা যায় ? তাই কৃষি অঞ্চল যেমন বাড়াতে হবে তেমনি উৎপাদনশীলতার উপর জোর দিতে হবে । যেমন পাঞ্জাবে ধান ও গম ফসলের যখন আবর্তন শুরু হয়, তখন খড় পোড়ানো শুরু হয় । একটাই উদ্দেশ্য জমির উর্বরতা বাড়ানো । যেখানেই এই ধান ও গমের আবর্তন রয়েছে, সেখানেই প্রয়োজন একটি রাইস বয়ো পার্কের । রাইস বয়ো পার্ক মানে ধানের প্রতিটি অংশ যেমন গাছ, খড়, খোসা, তুষ, পাতা, সবকিছুকেই কাজে লাগানো । এখানে একটা কথা বলা প্রয়োজন, খড় পোড়ানোর ব্যাপারটা আবার দক্ষিণ ভারতে নেই । চাষি পরিবারে এখনও খড় ছোট ছোট করে কেটে গরুকে খাওয়ানোর রেওয়াজ বর্তমান । সুতরাং আমরা বলতে পারি এগুলির অর্থনৈতিক মূল্য রয়েছে । অতএব গ্রামীণ উন্নয়নে ও আর্থিক দৃষ্টিভঙ্গীতে এই জাতীয় অর্থকরী ফসলের রক্ষণাবেক্ষণ খুব জরুরি । শুধু তাই নয়, জমিতে উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর ক্ষেত্রে যথাযথ ধ্যান দেওয়া আশুকর্তব্য । (তথ্যসূত্রঃ যোজনা-১১/২৩) ।
কৃষিক্ষেত্রে উন্নয়নের আরও ধাপ হিসাবে আমরা দেখতে পাই উচ্চ ফলনশীল বীজের ব্যবহার, সার ও ঔষধের প্রয়োগ । তা ছাড়া বহুফসলি চাষের ক্ষেত্রে আধুনিক প্রযুক্তির উপর জোর দেওয়া । কিন্তু বাস্তবে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারের ব্যাপকতা সেভাবে বাড়েনি । যার জন্য কৃষি ব্যবস্থা এখনও অনুন্নত এবং সেকেলের । শীর্ণদেহি বলদের কাঁধে লাঙ্গল জোয়াল জুড়িয়ে চলছে কৃষিকাজ । তবে একটা কথা এখানে প্রাসঙ্গিক, আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের জন্য খাদ্য শস্যের উৎপাদন যেমন ধান, গম , জোয়ার, বাজরা, ভুট্টা অনেকটাই বেড়ে গেছে । মহাজনি প্রথা বিলোপের জন্য কৃষি ঋন দেওয়ার ক্ষেত্রে সমবায় গঠনের উপর জোর দেওয়া হয়েছে । কৃষি ঋনের সহজলভ্যতার জন্য রয়েছে “জাতীয় কৃষি ও গ্রামোন্নয়ন ব্যাঙ্ক” (NABARD) । শস্যবীমা ও শস্যের ন্যুনতম দাম বেঁধে দেওয়ার ফলে গরীব কৃষকেরা অনিশ্চয়তার হাত থেকে যদিও কিছুটা রক্ষা পাচ্ছে । কিছুটা হলেও বর্তমানে চিরাচরিত কৃষি প্রথার বদলে আধুনিক পদ্ধতিতে চাষের উপর ঝোঁক দেখা যাচ্ছে । অন্যদিকে এটাও ঘটনা, কৃষিজাত দ্রব্যের দাম কিন্তু অন্যান্য দ্রব্যের দামের সঙ্গে সমানতালে বাড়ে না । অথচ যত দিন যাচ্ছে চাষিদের চাষের খরচ ক্রমান্বয়ে বাড়ছে । চাষে নিযুক্ত কৃষি শ্রমিকের দাম যেমন বাড়ছে, তেমনি চাষের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র অর্থাৎ রাসায়নিক সার, ফসলের পোকা-মাকড় মারবার ঔষধপত্রের দামও বাড়ছে । ফলে চাষ থেকে উঠে আসা লভ্যাংশ ক্রমহ্রাসমান । চাষীর চাষজাত ফসলের দামের উপর গ্রামীণ অর্থনীতি নির্ভরশীল । অর্থকরী ফসলের উৎপাদনের অবস্থা তথৈবচ । আমরা জানি, অর্থকরী ফসল বলতে বিশেষ করে বাংলায় পাট চাষ । পাটের বাজারের তীব্র মন্দার কারণে পাট চাষও তলানীতে । সুতরাং গ্রামীণ অর্থনীতি চাঙ্গার স্বার্থে কৃষির উপর যথাযথ গুরুত্ব আরোপ ভীষণ জরুরি ।
( ৩ )
এবার আসছি কৃষিকাজে সারের ব্যবহারে । নিয়মিত জমির মাটির স্বাস্থ্য পরীক্ষা চাষযোগ্য জমিতে উৎপাদন বাড়ানোর তাগিদে বাঞ্ছনীয় । মাটি পরীক্ষার পর সঠিক সার নির্ধারন চাষের পক্ষে উপোযোগী । যার জন্য মাটি পরীক্ষার চাহিদা দিন দিন বাড়ছে । এই কারণেই ‘রাষ্ট্রীয় কৃষি বিকাশ যোজনা’ চালু হয়েছে । মাটির স্বাস্থ্য কার্ড বিলি ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে । আমরা জানি, কৃষিজমিতে জৈব সার ব্যবহার ফসলের ফলনকে বাড়াতে সাহায্য করে । এই প্রসঙ্গে একটা কথা খুব জরুরি, খাদ্যের চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখতে গেলে খাদ্যের যোগান-বৃদ্ধি অবশ্যম্ভাবী । আবার কিছু কিছু ফসল আছে যেগুলো সরাসরি খাদ্যের ব্যবহারে আসে না, যেমন তুলো, ইত্যাদি । তবুও আমাদের দেশের কৃষক সমাজ লাভের কথা মাথায় রেখে প্রযুক্তির সাহায্যে তুলো চাষকে লাভযোগ্য ফসল হিসাবে চাষ করছে । এইভাবে চাষের উন্নয়ন গ্রামীণ অর্থনীতির বিকাশে প্রভাব ফেলবে ।
এবার দেখা যাক কৃষিক্ষেত্রকে চাঙ্গা করার স্বার্থে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলির ভূমিকা । কেন্দ্রিয় সরকারের তথ্য থেকে দেখা যায় মোট প্রদত্ত ঋনের মধ্যে কৃষিক্ষেত্রে বিভিন্ন ব্যাঙ্কগুলির ঋনের পরিমান ২০১০-১১ সালে মাত্র ২১.৭৬ শতাংশ । পশ্চিম বঙ্গে ২০১২-১৩ সালে (এপ্রিল-ডিসেম্বর) তথ্যে প্রকাশ, বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলি কৃষিঋন প্রকল্পে নির্দ্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রার মাত্র ৪৯ শতাংশ ঋন প্রদান করেছে । আঞ্চলিক ব্যাঙ্কগুলি লক্ষ্যমাত্রার ২৮ শতাংশ ও সমব্যয় ব্যাঙ্কগুলি ৫০ শতাংশ ঋনপ্রদানে সাফল্যে লাভ করেছে । এছাড়া সমব্যয় ব্যাঙ্কগুলি রাজ্যের প্রাথমিক কৃষিঋন সমব্যয় সমিতিগুলির (প্যাকস্‌) মাধ্যমে কৃষিঋন ও কৃষিকাজের অন্যান্য উপাদানের জন্যে ঋন প্রদান করে । নাবার্ড উৎপাদনের মাধ্যমে সম্পদ সৃষ্টি করার ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষক, জমি ভাড়া বা ইজারা নিয়ে চাষ করে এমন কৃষক ও ভাগচাষিদের ঋন পরিষেবা দেবার জন্য প্রকল্প গ্রহন করেছে । এতে কৃষি উৎপাদন ও উৎপাদনশীলতা বাড়বে । দেশের আর্থিক উন্নয়নের হার বৃদ্ধির সুবিধা হবে (তথ্যসূত্রঃ যোজনা -৬/১৪) ।
( ৪ )
এবার একঝলক ভারতীয় অর্থনীতির চিত্রটা দেখে নেওয়া যাক । ভারতের অর্থনীতি বৈচিত্র্যময় । কৃষিকাজ, হস্তশিল্প, বস্ত্রশিল্প, উৎপাদন এবং বিভিন্ন সেবা ভারতের অর্থনীতির অংশ । ভারতের খেটে খাওয়া মানুষের দুই-তৃতীয়াংশ মানুষ প্রত্যক্ষভাবে কিংবা পরোক্ষভাবে কৃষিজমি থেকে জীবিকা নির্বাহ করে । এখনও ভারতের অর্থনৈতিক পরিকাঠামো ৬৯ শতাংশ কৃষির উপর নির্ভরশীল । তবে সেবাখাত ক্রমশ প্রসারলাভ করছে, ফলে ভারতীয় অর্থনীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠছে । ডিজিটাল যুগের আর্বিভাবের পর শিক্ষিত লোকের সহজলভ্যতাকে কাজে লাগিয়ে ভারত আউটসোর্সিং ও কারিগরি সহায়তাদানের একটি গুরুত্বপূর্ণ দেশ হিসাবে পরিণত হয়েছে বা হচ্ছে । এটা ঘটনা, ভারত সফটওয়্যার ও আর্থিক সেবার ক্ষেত্রে সারা বিশ্বে অতি দক্ষ শ্রমিক সরবরাহ করে থাকে । এছাড়া ঔষধ শিল্প, জীবপ্রযুক্তি, ন্যানোপ্রযুক্তি, টেলিযোগাযোগ, জাহাজ নির্মাণ, পর্যটন শিল্পগুলিতে জোড়ালো প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা ।
এবার আসছি আমাদের রাজ্যের দৃষ্টিভঙ্গিতে কৃষিব্যবস্থা । রাজ্যে কোনো অর্থকরী ফসলের জন্য সংশ্লিষ্ট কৃষককে আর বিমার প্রিমিয়াম দিতে হবে না । রাজ্য সরকার (পঃবঃ) এই সংক্রান্ত খরচ বহন করবে । বিধানসভায় কৃষি মন্ত্রী একথা জানিয়ে আরও বলেছেন, আগামী অর্থবর্ষের শুরুতে আলুসহ সমস্ত অর্থকরী ফসলের চাষীরা এই সুবিধা পাবেন । তিনি আরও বলেছেন, ২০২৩ সালের খারিফ মরশুমে প্রায় ৬০ লক্ষ কৃষক বাংলার শস্য বীমা যোজনা প্রকল্পের আওতায় নাম নথিভুক্ত করেছেন । আরও জানা যায়, ২০১৯ সালে এই প্রকল্প শুরু হওয়ার পর থেকে এপর্যন্ত ৯৮ লক্ষ কৃষককে এই প্রকল্পের আওতায় ফসলের ক্ষতি বাবদ ২৮৩৮ কোটি টাকা প্রদান করা হয়েছে । (তথ্যসূত্রঃ যোজনা-৩/২৪) ।
কোনো একটা সূত্র থেকে জানা গেছে কেন্দ্রের সরকার কৃষকদের সব ধরনের সমস্যা দূর করতে উদ্যোগী হয়েছে । পিএম কিষাণ সম্মাননিধির আওতায় প্রত্যেক কৃষককে নগদ মূল্য দিয়ে সহযোগিতা করার উদ্যোগ নিয়েছে । কৃষিপণ্যের গুদামজাত করার সুবিধা বৃদ্ধির পাশাপাশি খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পের উন্নতিতে নানা পদক্ষেপ নিয়েছে । আরও জানা গেছে বর্তমানে কৃষকরা তাঁদের উৎপাদিত অড়হর ডাল বিক্রির ক্ষেত্রে অন লাইনে সরাসরি সরকারকে বিক্রি করার সুযোগ পাচ্ছে । এতে কৃষকরা ভাল দাম পাচ্ছেন । (তথ্যসূত্রঃ যোজনা-২/২৪) ।
এই মুহূর্তে যেটা দরকার, কৃষিজাত ফসলের সঠিক দাম । ফসলের ন্যায্য দাম নিয়েই কৃষকদের মধ্যে যতো অশান্তি । ফসলের ন্যায্য দামের জন্য চাই ‘কৃষি বাজার’ । আমাদের দেশের চাষিরা উপযুক্ত বাজারের অভাবে তাঁদের বহু কষ্টার্জিত ফসলের দাম ঠিকমতো পায় না । ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষিরা যাতে না ঠকে, তার জন্য চাই সুসংহত কৃষি বিপননের পরিকাঠামো । প্রয়োজনে কৃষি-বাণিজ্য নীতির খোলনলচে পাল্টানো । যাতে কৃষকের কৃষি-পণ্যের জন্য সরকার কর্তৃক উপযূক্ত “লাভজনক দাম” বা সংগ্রহ মূল্যের নির্ধারন ও নিশ্চয়তা প্রদান সম্ভব হয় । সবশেষে যেটা জরুরি, সেটা হচ্ছে কৃষি বীমার সম্প্রসারণ । কৃষি কাজ খুবই ঝুঁকিপূর্ণ । কৃষি ক্ষেত্রে অনেক অর্থ ও শ্রম বিনিয়োগ করে আশানুরূপ ফল না পেলে কৃষকের দুর্দশা বাড়ে । এজন্য শস্য বীমা, কৃষি বীমা, ইত্যাদি বীমার আরও জোরদার করা সময়োপযোগী । বীমার আওতায় যাতে সমস্ত ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষি আসে সেদিকে সরকারি সক্রিয় দৃষ্টিভঙ্গি আশুকর্তব্য ।
পরিশেষে কৃষি ব্যবস্থাকে চাঙ্গা করতে পারলে গ্রামীণ অর্থনীতি আরও চাঙ্গা হবে । কৃষি ব্যবস্থা চাঙ্গা হলে গ্রামোন্নয়ন আরও ত্বরান্বিত হবে । অন্যদিকে গ্রামীণ অর্থনীতি চাঙ্গা হলে গ্রামীণ মানুষদের মধ্যে স্বাচ্ছন্দ্যে বাড়বে । তাঁদের মুখে হাসি ফুটবে।

কলমেঃ দিলীপ রায় (+৯১ ৯৪৩৩৪৬২৮৫৪)
(তথ্যসুত্রঃ সংগৃহীত ও উল্লেখিত যোজনা) ।

Share This
Categories
রিভিউ

জীবণ বদলে দেওয়া ২৫ টি বিখ্যাত উক্তি।।।

জীবণ সম্পর্কে জানতে হলে এবং জীবনে এগিয়ে যেতে হলে আমাদের বিখ্যত মানুষদের জীবনী ও তাদের উক্তি গুলি অধ্যায়ন করা দরকার। নীচে এমন কিছু বিখ্যাত ব্যক্তিদের উক্তি তুলে ধরা হলো যা আমাদের চলার পথকে সুগম করবে।
১. ‘The way to get started is to quit talking and begin doing.’ – Walt Disney ‘শুরু করার উপায় হলো কথা বন্ধ করা এবং কাজ শুরু করা।’ – ওয়াল্ট ডিজনি
২. ‘If life were predictable it would cease to be life, and be without flavor.’ – Eleanor Roosevelt
‘জীবন যদি ভবিষ্যদ্বাণীমূলক হতো তাহলে এটি জীবন থাকতো না, এবং স্বাদ ছাড়াই হয়ে যেত।’ – এলিয়েনার রুজভেল্ট
৩. ‘It is during our darkest moments that we must focus to see the light.’ – Aristotle
‘আমাদের সব চেয়ে অন্ধকার সময়ে আমাদের আলো দেখার জন্য মনোনিবেশ করা উচিত।’ – আরিস্টটল
৪. ‘Whoever is happy will make others happy too.’ – Anne Frank
‘যে সুখী সে অন্যকেও সুখী করবে’ – অ্যান ফ্র্যাঙ্ক
৫. ‘Do not go where the path may lead, go instead where there is no path and leave a trail.’ – Ralph Waldo Emerson
‘সেখানে যেও না যেইখানে পথ নিয়ে যায়, পরিবর্তে সেখানে যাও যেখানে কোনো পথ নেই এবং একটি পথচিহ্ন ছেড়ে দাও।’ – রালফ ওয়াল্ডো এমারসন
৬. ‘You will face many defeats in life, but never let yourself be defeated.’ – Maya Angelou
‘আপনি জীবনে অনেক পরাজয়ের মুখোমুখি হবেন, কিন্তু নিজেকে কখনও পরাজিত হতে দেবেন না।’ – মায়া অ্যাঞ্জেলু
৭. ‘I never dreamed about success, I worked for it.’ – Estee Lauder
‘আমি কখনও সাফল্যের স্বপ্ন দেখিনি, আমি এর জন্য কাজ করেছি।’ – এস্টি লাউডের
৮. ‘It is better to fail in originality than to succeed in imitation.’ – Herman Melville
‘অনুকরণে সফল হওয়ার চেয়ে মৌলিকতায় ব্যর্থ হওয়া ভাল।’ – হার্মান মেলভিল
৯. ‘There is nothing permanent except change.’ – Heraclitus
‘পরিবর্তন ছাড়া স্থায়ী কিছুই নেই।’ – হেরাক্লিটাস
১০. ‘Believe you can and you’re halfway there.’ – Theodore Roosevelt
‘বিশ্বাস করুন আপনি পারবেন এবং আপনি সেখানে অর্ধেক।’ – থিওডোর রোজভেল্ট
১১. ‘You become what you believe.’ – Oprah Winfrey
‘আপনি যা বিশ্বাস করেন তাই হয়ে যান।’ – অপরাহ উইনফ্রে
১২. ‘The greatest glory in living lies not in never falling, but in rising every time we fall.’ – Nelson Mandela
‘জীবনযাপনের সর্বাধিক গৌরব কখনই পড়ে যাওয়াতে নয়, বরং প্রতিবারই আমরা পড়ে যাওয়ার পরে উঠে দাঁড়ানো তে রয়েছে।’ – নেলসন ম্যান্ডেলা
১৩. ‘The only true wisdom is in knowing you know nothing.’ – Socrates
‘একমাত্র সত্য জ্ঞান আপনি কিছুই জানেন না তা জানার মধ্যে রয়েছে।’ – সক্রেটিস
১৪. ‘Everything has beauty, but not everyone sees it.’ – Confucius
‘সব কিছুরই সৌন্দর্য আছে তবে সবাই তা দেখে না।’ – কনফুসিয়াস
১৫. ‘If you live to be a hundred, I want to live to be a hundred minus one day so I never have to live without you.’ – A. A. Milne
‘তুমি যদি একশো বাঁচো, তবে আমি একশো বিয়োগ একদিন বেঁচে থাকতে চাই যাতে আমায় তোমাকে ছাড়া কখনো না থাকতে হয়।’ – এ. এ. মিলনে
১৬. ‘Life isn’t about finding yourself. Life is about creating yourself.’ – George Bernard Shaw
‘জীবন নিজেকে সন্ধান করার ব্যাপারে নয়। জীবন নিজেকে সৃষ্টির ব্যাপারে।’ – জর্জ বার্নার্ড শ
১৭. ‘Love isn’t something you find. Love is something that finds you.’ – Loretta Young
‘ভালবাসা এমন কিছু নয় যা আপনি খুঁজে পান। ভালবাসা এমন একটি বিষয় যা আপনাকে খুঁজে পায়।’ – লরেট্টা ইয়ং
১৮. ‘Where there is love there is life.’ – Mahatma Gandhi
‘যেখানে প্রেম আছে সেখানে জীবন আছে।’ – মহাত্মা গান্ধী
১৯. ‘Do not dwell in the past, do not dream of the future, concentrate the mind on the present moment.’ – Buddha
‘অতীতে বাস করবেন না, ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখবেন না, বর্তমান মুহুর্তে মনকে একাগ্র করুন।’ – বুদ্ধ
২০. ‘Education is the most powerful weapon which you can use to change the world.’ – Nelson Mandela
‘শিক্ষা হল সবচেয়ে শক্তিশালী অস্ত্র যা আপনি বিশ্বকে পরিবর্তন করতে ব্যবহার করতে পারেন।’ – নেলসন ম্যান্ডেলা
২১. ‘Before anything else, preparation is the key to success.’ – Alexander Graham Bell
‘অন্য যে কোনও কিছুর আগে প্রস্তুতিই সাফল্যের মূল চাবিকাঠি।’ – আলেকজান্ডার গ্রাহাম বেল
২২. ‘Try to be a rainbow in someone’s cloud.’ – Maya Angelou
‘কারও মেঘে রংধনু হওয়ার চেষ্টা করুন।’ – মায়া অ্যাঞ্জেলু
২৩. ‘The beginning is the most important part of the work.’ – Plato
‘শুরুটি কাজটির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ।’ – প্লেটো
২৪. ‘Problems are not stop signs, they are guidelines.’ – Robert H. Schuller
বাংলা অর্থ: ‘সমস্যাগুলি থামার লক্ষণ নয়, তারা নির্দেশিকা।’ – রবার্ট এইচ. শুলার
২৫. ‘Whatever the mind of man can conceive and believe, it can achieve.’ – Napoleon Hill
‘মানুষের মন যা ধারণা ও বিশ্বাস করতে পারে তা অর্জন করতে পারে।’ – নেপোলিয়ন হিল

।। তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

আজ ২৭ মে, ইতিহাসের দিকে চোখ বুলিয়ে দেখে নেব ইতিহাসের এই দিনে বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু, দিনসহ ঘটে যাওয়া ঘটনা।।।

আজ ২৭ মে। এক নজরে দেখে নিই ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু দিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

আজ যাদের জন্মদিন—-

১৩৩২ – ইবনে খালদুন, আরব মুসলিম পণ্ডিত।

আধুনিক সমাজবিজ্ঞান, ইতিহাস ও অর্থনীতির জনকদের মধ্যে তিনি অন্যতম বিবেচিত হন।
১৮৫২ – বিলি বার্নস, পেশাদার ইংরেজ ক্রিকেটার।
১৮৬৩ – আর্থার মোল্ড, ইংরেজ ক্রিকেট খেলোয়াড়।
১৮৯০ – যতীন্দ্রপ্রসাদ ভট্টাচার্য, একজন বাঙালি কবি ।
১৯০৩ – যোগেশচন্দ্র বাগল প্রখ্যাত সাংবাদিক ও সম্পাদক ।
১৯৯৫ – সাবিলা নূর বাংলাদেশী মডেল ও অভিনেত্রী

ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনের ঘটনাবলী—-

১৭০৩ – পিটার দি গ্রেট কর্তৃক সেন্ট পিটার্সবুর্গ (লেনিনগ্রাদ) শহরের পত্তন হয় ।
১৭৬৭ – কলকাতায় প্রথম প্রটেস্টান্ট গির্জা নির্মিত।
১৮৩৭ – আলজেরিয়ার স্বাধীনতাকামী নেতা আবদুল ক্বাদেরের সাথে ফ্রান্স সরকারের একটি শান্তিচূক্তি হয়।

১৮৮৩ – তৃতীয় আলেকজান্ডার রাশিয়ার রাজা হন।
১৯১৯ – জালিয়ানওয়ালাবাগের হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদে রবীন্দ্রনাথ ‘নাইট’ উপাধি ত্যাগ করে বড়লাট লর্ড চেমস ফোর্ডকে চিঠি দেন।
১৯১৯ – এনসি-৪ এয়ারক্রাফট অবতরণ করে লিসবনে, প্রথম উড্ডয়ন শেষ করে।
১৯২৬ – মরোক্কোর রিফ এলাকায় ফরাসী ও স্পেনীয় উপনিবেশবাদীদের বিরুদ্ধে মুসলমানদের ঐতিহাসিক গণপ্রতিরোধ বা বিদ্রোহ ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়।
১৯২৭ – বৈমানিক চার্লস লিন্ডবার্গ একাকী বিমান চালিয়ে বিশ্বে প্রথম আটলান্টিক মহাসাগর পাড়ি দেওয়ার জন্য যাত্রা শুরু করেন।
১৯৩০ – নিউইয়র্কে ১০৪৬ ফুট বিল্ডিংটি জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয়, যেটি সে সময় মানুষের তৈরি দীর্ঘতম ভবন।
১৯৩২ – খ্যাতনামা সাহিত্যিক ও মানবতাবাদী রমাঁ রল্যাঁ ও অঁরি বারব্যুস যৌথভাবে আন্তর্জাতিক যুদ্ধবিরোধী সমাবেশ আহবানে করেন।
১৯৫২ – ইউরোপীয় প্রতীরক্ষা গোষ্ঠী গঠিত হয়।
১৯৭২ – যুক্তরাষ্ট্র ও সোভিয়েত ইউনিয়নের মধ্যে সল্ট-১ চুক্তি স্বাক্ষর।
১৯৮৯ – বার্মার সামরিক শাসকগোষ্ঠী দেশের নাম পরিবর্তন করে দ্য ইউনিয়ন অব মায়ানমার রাখে এবং রেঙ্গুনের নাম পালটে রাখে ইয়াঙ্গুন।
২০০৬ – ‘জাভা’ ভূমিকম্প ভোর ৫টা ৫৩ মিনিটের সময় তীব্র আঘাত করে ইওগাকার্তায়। প্রায় ৬ হাজার ৬০০ লোকের প্রাণহানি ঘটে।

এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন যারা—-

১৯১০ – রবার্ট কখ, নোবেল পুরস্কার বিজয়ী জার্মান জীব বিজ্ঞানী।

১৯৩০- স্পেনীয় কথাসাহিত্যিক গাব্রিয়েল মিরো।

১৯৬৪ – জহরলাল নেহরু, ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী।

১৯৭৫ – নৃপতি চট্টোপাধ্যায়, বাঙালি অভিনেতা।

১৯৮৬ – অজয় মুখোপাধ্যায়, পশ্চিম বাংলার চতুর্থ ও ষষ্ঠ মুখ্যমন্ত্রী।
১৯৯৫ – শ্যামাদাস চট্টোপাধ্যায় – আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বাঙালি পরমাণুবিজ্ঞানী।

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

আজ ২৬ মে, ইতিহাসের দিকে চোখ বুলিয়ে দেখে নেব ইতিহাসের এই দিনে বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু, দিনসহ ঘটে যাওয়া ঘটনা।।।।।

আজ ২৬ মে। এক নজরে দেখে নিই ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু দিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

আজ যাদের জন্মদিন—-

১৭০৩ – স্যামুয়েল, ইংরেজ দিনলিপিকার ।
১৭৯৯ – আলেকজান্ডার পুশকিন, রাশিয়ার তথা রুশ সাহিত্যের অমর কবি ও ঔপন্যাসিক।
১৮৭৭ – খ্যাতনাম্নী মার্কিন নৃত্যশিল্পী ইসাডোরা ডানকান।
১৯০০ – চেক লেখক ভিতেস্লা ইসাডোরা ডানকান

ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনের ঘটনাবলী—-

১৭৩৯ – মোগল সম্রাট মহম্মদ শাহ ও ইরানের নাদির শাহের মধ্যে চুক্তি সম্পাদনের ফলে আফগানিস্তান ভারত থেকে পৃথক হয়ে যায়।
১৮০৫ – নেপোলিয়ন বোনাপার্ট ইতালির রাজা হিসাবে রাজ্যাভিষিক্ত হন।
১৮৬৫ – আমেরিকার গৃহযুদ্ধের অবসান।
১৮৭০ – দিনেসিসিলির এটনা আগ্নেয়গিরি থেকে অগ্ন্যুৎপাত শুরু।
১৮৮১ – ফ্রান্স তিউনিসিয়াকে করায়ত্ত করে এবং নিজ নিয়ন্ত্রনে নিয়ে আসে।
১৮৯৬ – রাশিয়ার শেষ জার দ্বিতীয় নিকোলাস অভিষিক্ত হন।
১৮৯৭ – আইরিশ লেখক ব্রাম স্টকারের বিখ্যাত উপন্যাস ‘ড্রাকুলা’ প্রকাশিত হয়।
১৯১৩ – এমিলি ডানকান ব্রিটেনের প্রথম মহিলা ম্যাজিস্ট্রেট নিযুক্ত।
১৯১৮ – জার্জিয়া ও আমেরিকার স্বাধীনতা ঘোষণা।
১৯৪৮ – দক্ষিণ আফ্রিকায় বর্ণবাদী জাতীয়তাবাদী সরকার ক্ষমতায় আসে।
১৯৬৯ – অ্যাপোলো-১০ নভোযানটি আট দিনের সফল ভ্রমণ শেষ করে পৃথিবীতে অবতরণ করে।
১৯৭২ – যুক্তরাষ্ট্র ও সোভিয়েত ইউনিয়ন অ্যান্টি ব্যালস্টিক মিসাইল চুক্তিতে স্বাক্ষর করে।
১৯৭২ – বাংলাদেশকে স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয় হাইতি।
১৯৮১ – পারস্য উপসাগরীয় সহযোগিতা পরিষদ আনুষ্ঠানিকভাবে কাজ শুরু করে।
১৯৮২ – ভারতের পশ্চিমবঙ্গে দ্বিতীয় বামফ্রন্ট মন্ত্রিসভা শপথ গ্রহণ করেছিল।
১৯৮৬ – বাংলাদেশের বরিশালে লঞ্চডুবিতে ২৩০ জনের মৃত্যু।
১৯৯১ – থাইল্যান্ডে অস্ট্রীয় বিমান বিধ্বস্ত হয়ে ২২৩ জনের মৃত্যু।
১৯৯৪ – নোবেল পুরস্কার জয়ী সাহিত্যিক আলেক্সান্ডার সোলজিনেৎসিন ২০ বছরের নির্বাসন কাটিয়ে নিজ মাতৃভূমি রাশিয়াতে প্রত্যাবর্তন।
১৯৯৪ – বাংলাদেশ-ভিয়েতনাম দুটি অর্থনৈতিক সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষর।
১৯৯৯ – কাশ্মীরের কারগিল সেক্টরে পাকিস্তান-ভারত যুদ্ধ শুরু।
২০১৮ – প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সম্মানসূচক ডি.লিট উপাধি দেয় কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়।

এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন যারা—-

৭৩৫ – বিড, ইংরেজ বেনেডিক্টিয়ান সন্ন্যাসী।

১৯০৮ – (ক)  বাঙালি কবি, সাহিত্যিক, ঐতিহাসিক ও প্রত্নতাত্ত্বিক নীলমণি ন্যায়ালঙ্কার।

(খ) মির্জা গোলাম আহমদ।

১৯৭১ – বিমল মুখোপাধ্যায়, মোহনবাগান অ্যাথলেটিক ক্লাবের কিংবদন্তি ফুটবলার।
১৯৭২ – প্রখ্যাত বাঙালি অভিনেত্রী রাজলক্ষ্মী দেবী।

১৯৭৬ – মার্টিন হাইডেগার, জার্মান দার্শনিক।

১৯৯৯- শচীন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় বাঙালি কবি কথা-সাহিত্যিক ও নাট্যকার ।
২০০৪ – নিকলাই চের্নিখ, রুশ বংশোদ্ভূত সোভিয়েত জ্যোতির্বিজ্ঞানী।
২০২১ – প্রখ্যাত বাঙালি প্রযুক্তিবিদ ও বিজ্ঞানী, অভিনেতা বিকাশ রায়ের পুত্র সুমিত রায়।

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

আজ বিশ্ব তোয়ালে দিবস, জানুন দিনটি সম্পর্কে কিছু কথা।।।

তোয়ালে দিবস হল এমন একটি দিন যা The Hitchhiker’s Guide to the Galaxy লেখক ডগলাস অ্যাডামসকে উৎসর্গ করা হয়। প্রতি বছর ২৫ মে পালিত হয়, এটি ভক্তদের একত্রিত হয়ে শ্রদ্ধা জানানোর একটি সুযোগ।তবে কেন একটি তোয়ালে হিচহাইকারস গাইডের প্রতীকী এবং কেন ভক্তরা এই দিনে অ্যাডামসকে উদযাপন করেন?

ডগলাস অ্যাডামস কে ছিলেন?

ডগলাস অ্যাডামস ১১ মার্চ, ১৯৫২ সালে ইংল্যান্ডের কেমব্রিজে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি একজন কমিক লেখক ছিলেন যিনি The Hitchhiker’s Guide to the Galaxy সিরিজের কমিক সাই-ফাই বই লেখার জন্য সবচেয়ে বেশি পরিচিত, যেটি তার মূল রেডিও নাটকের উপর ভিত্তি করে তৈরি, তবে তিনি BBC এর জন্যও লিখেছেন, এবং মন্টি পাইথন এবং ডক্টর হু এর মতো আইকনিক সিরিজ।
লেখক একজন প্রখর পরিবেশবিদও ছিলেন।
তিনি ক্যালিফোর্নিয়ায় ১১ মে, ২০০১-এ 4৪৯9 বছর বয়সে হার্ট অ্যাটাকে মারা যান।

তোয়ালে দিবস কখন?

ডগলাস অ্যাডামস মারা যাওয়ার ঠিক দুই সপ্তাহ পর ২৫ মে, ২০০১ সাল থেকে তোয়ালে দিবস বার্ষিকভাবে পালিত হচ্ছে।

তোয়ালে দিবস কি?

তোয়ালে দিবস উদযাপন করে দ্য হিচহাইকারস গাইড টু দ্য গ্যালাক্সি লেখক ডগলাস অ্যাডামস।
ভক্তরা অ্যাডামসের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে একটি তোয়ালে বহন করা বেছে নিয়েছিলেন কারণ, দ্য হিচহাইকারস গাইড অনুসারে, এটি “একজন আন্তঃনাক্ষত্রিক হিচহাইকার বহন করতে পারে এমন সবচেয়ে ব্যাপকভাবে দরকারী জিনিস”।
শুধুমাত্র একটি তোয়ালে ব্যবহারিক নয় – “আপনি উষ্ণতার জন্য এটিকে আপনার চারপাশে জড়িয়ে রাখতে পারেন যেমন আপনি জগলান বিটার ঠান্ডা চাঁদ জুড়ে আবদ্ধ হন”, উদাহরণস্বরূপ – তবে এটির “অত্যন্ত মনস্তাত্ত্বিক মূল্য”ও রয়েছে।
গাইড বলেছেন যে একজন নন-হিচহাইকার ভাববেন যে “যে কোনও মানুষ যে গ্যালাক্সির দৈর্ঘ্য এবং প্রস্থকে আটকাতে পারে, এটিকে রুক্ষ করতে পারে, এটিকে বস্তি করতে পারে, ভয়ানক প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে, জয়লাভ করতে পারে এবং এখনও জানে যে তার গামছাটি কোথায় আছে, সে স্পষ্টতই একটি মানুষ হিসাবে গণ্য করা হবে”।

ভক্তরা কিভাবে গামছা দিবস উদযাপন করবেন?

The Hitchhiker’s Guide to the Galaxy-এর ভক্তরা আজ একটি তোয়ালে বহন করে উদযাপন করবে। তারা #TowelDay হ্যাশট্যাগ দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে তাদের তোয়ালে সহ নিজেদের ছবি শেয়ার করবে।
ভক্তরাও সোশ্যাল মিডিয়াতে তাদের প্রিয় উদ্ধৃতিগুলি ভাগ করতে পারেন, বা উপন্যাসগুলি পুনরায় পড়তে বা সিরিজ বা চলচ্চিত্রটি পুনরায় দেখার জন্য সময় ব্যয় করতে পারেন।

তোয়ালে দিবসের শ্রদ্ধাঞ্জলি—

২০১৮ সালে, স্টিফেন ফ্রাই টুইট করেছিলেন ” TowelDay world, galaxy and cosmos” এবং ২০১৯ সালে, তিনি বলেছিলেন: “#TowelDay one and all… আজ আমরা ডগলাস নোয়েল অ্যাডামস ১৯৫২-এর উপহারের জন্য মহাবিশ্বকে স্মরণ করি এবং ধন্যবাদ জানাই- ২০০১, একজন মহান বন্ধু, একজন মহান মানুষ।”
২০১৬ সালে, রয়্যাল ইনস্টিটিউশন আইএসএস-এ থাকা মহাকাশচারী টিম পিককে “আতঙ্কিত হবেন না” বাক্যাংশ সহ একটি তোয়ালে পাঠিয়েছিল, দ্য হিচহাইকারস গাইড টু দ্য গ্যালাক্সির প্রচ্ছদে শব্দগুলি উল্লেখ করে যে চরিত্রটি ফোর্ড প্রিফেক্ট তার সাথে বহন করে এবং এটিও। ডগলাস এবং সিরিজের একটি বইয়ের শিরোনাম।
স্টিফেন ম্যাঙ্গান ২০১৬ সালে বলেছিলেন: “প্রথম দিকে মহাবিশ্ব সৃষ্টি হয়েছিল। এটি অনেক লোককে খুব ক্ষুব্ধ করেছে এবং ব্যাপকভাবে একটি খারাপ পদক্ষেপ হিসাবে বিবেচিত হয়েছে। #টাওয়েলডে।”

Share This
Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

আজ ২৫ মে, ইতিহাসের দিকে চোখ বুলিয়ে দেখে নেব ইতিহাসের এই দিনে বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু, দিনসহ ঘটে যাওয়া ঘটনা।।।।

আজ ২৫ মে। এক নজরে দেখে নিই ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু দিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

দিবস—–

(ক)  ২০০১ – তোয়ালে দিবস, লেখক ডগলাস অ্যাডামসের স্মরণে, লেখকের ভক্তরা, প্রথম পালন শুরু করেন।
(খ) বিশ্ব থাইরয়েড দিবস৷

আজ যাদের জন্মদিন—-

১৭৫১ – ন্যাথানিয়েল ব্র্যাসি হালেদ, বাংলায় মুদ্রিত প্রথম ব্যাকরণ গ্রন্থের রচয়িতা।

১৮০৩ – যুক্তরাষ্ট্রে খ্যাতনামা কবি এবং লেখক রালফ ওয়ালডো এমারসন।

১৮৬৫ – পিটার জেমান, নেদারল্যান্ডের বিখ্যাত পদার্থবিজ্ঞানী।
১৮৮৬ – রাসবিহারী বসু, ভারতে ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের একজন বিপ্লবী নেতা এবং ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল আর্মির সংগঠক।
১৭৫১ – ন্যাথানিয়েল ব্র্যাসি হালেদ, বাংলায় মুদ্রিত প্রথম ব্যাকরণ গ্রন্থের রচয়িতা।
১৮০৩ – যুক্তরাষ্ট্রে খ্যাতনামা কবি এবং লেখক রালফ ওয়ালডো এমারসন।

১৮৬৫ – পিটার জেমান, নেদারল্যান্ডের বিখ্যাত পদার্থবিজ্ঞানী।
১৮৮৬ – রাসবিহারী বসু, ভারতে ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের একজন বিপ্লবী নেতা এবং ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল আর্মির সংগঠক।
১৮৮৯ – হেলিকপ্টারের উদ্ভাবক রুশ-মার্কিন বিজ্ঞানী ইগর সিকোরস্কি।
১৮৯৯ – (১৩০৬ বঙ্গাব্দের ১১ জ্যৈষ্ঠ)কাজী নজরুল ইসলাম, বিদ্রোহী কবি, সাহিত্যিক, সম্পাদক, ও বাংলাদেশের জাতীয় কবি।
১৯০২ – অধ্যাপক, গবেষক ও সাহিত্যিক অমূল্যধন মুখোপাধ্যায়।
১৯০৬ – রামকিঙ্কর বেইজ, ভারতের পশ্চিমবঙ্গ,বাঁকুড়া জেলা, বিখ্যাত ভাস্কর।
১৯৬৩ – মাইক মায়ার্স্‌, মার্কিন কৌতুকাভিনেতা।
১৯৬৯ – আমেরিকান প্রযোজক ও অভিনেত্রী অ্যানি হেচে।
১৯৭৫ – আমেরিকান মিউজিশিয়ান, গায়িকা ও অভিনেত্রী লরেন হিল।

ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনের ঘটনাবলী—-

১৭৬৮ – ক্যাপটেন কুক তার বৈজ্ঞানিক গবেষণার কাজে প্রথম অভিযান শুরু করেন।
১৯১১ – মেক্সিকোতে বিদ্রোহের মুখে প্রেসিডেন্ট পোরদিরিও দিয়াজ উৎখাত।
১৯২৩ – আমীর আবদুল্লাহর নেতৃত্বে ট্রান্স জর্দানের স্বাধীনতা ঘোষণা।
১৯৩৬ – নিগ্রো ক্রীড়াবিদ জেসি ওয়েন বার্লিন অলিম্পিকে ৫টি বিশ্বরেকর্ড ভঙ্গ করে।
১৯৪৪ – জার্মানি যুগোশ্লাভিয়ার কম্যুনিষ্ট নেতা জোসেপ ব্রজ টিটোকে গ্রেফতারের জন্য অভিযান চালিয়েছিলো।
১৯৪৫ – হিটলারের নাৎসী বাহিনীর গোয়েন্দা সংস্থা গেস্টোপোর প্রধান হেনরিখ হিমলার আত্মহত্যা করেছিলেন।
১৯৬৩ – ইথিওপিয়ার রাজধানী আদ্দিস আবাবায় আফ্রিকান ঐক্য সংস্থা বা ওএইউ গঠিত হয়।
১৯৬৯ – সুদানে সেনা অভ্যুত্থানে সরকার উৎখাত।
১৯৭১ – মুজিবনগর থেকে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের অনুষ্ঠান সম্প্রচার শুরু।
১৯৭২ – বাংলাদেশকে স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয় আর্জেন্টিনা।
১৯৭৯ – শিকাগোতে আমেরিকায় ডিসি-১০ বিধ্বস্ত হয়ে ২৭২ যাত্রীর সবাই নিহত।
১৯৮৯ – গর্বাচেভ সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রথম প্রশাসনিক ক্ষমতাধর রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন।
১৯৯৪ – দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়।
১৯৯৭ – সিয়েরালিওনে বিদ্রোহীদের সহিংস অভ্যুত্থানে সরকার উৎখাত।
২০০০ – বাংলাদেশের সুপ্রিমকোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে প্রথম মহিলা বিচারপতি (নাজমুন আরা সুলতানা) নিয়োগ।
২০১৮ – শান্তি নিকেতনে বাংলাদেশ ভবনের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন যারা—-

১৮৪৫ – স্কট চিত্রশিল্পী টমাস ডানকানের মৃত্যু।
১৯৮৩ – মুহাম্মদ ইদ্রিস আল-সেনুস, লিবিয়ার বাদশাহ।
১৯২৪ – আশুতোষ মুখোপাধ্যায়, শিক্ষাবিদ, কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের দীর্ঘ সময়ের ভাইস-চ্যান্সেলর।
১৯৪১ – গুরুসদয় দত্ত, ব্রতচারী আন্দোলনের পথিকৃৎ ও সমাজকর্মী।
২০০১ – আলবের্তো কোর্দা,কিউবান আলোকচিত্র শিল্পী।
২০২১ – কল্পবিজ্ঞানের বাঙালি লেখিকা এণাক্ষী চট্টোপাধ্যায়।

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

আজ ২৪ মে, ইতিহাসের দিকে চোখ বুলিয়ে দেখে নেব ইতিহাসের এই দিনে বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু, দিনসহ ঘটে যাওয়া ঘটনা।।।।

আজ ২৪ মে। এক নজরে দেখে নিই ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু দিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

দিবস—–

(ক) ভারতীয় কমনওয়েলথ দিবস: 24 মে।
আজ যাদের জন্মদিন—-

১৫৪৪ – উইলিয়াম গিলবার্ট, ইংরেজ চিকিৎসক।  .
১৬৮৬ – ড্যানিয়েল গ্যাব্রিয়েল ফারেনহাইট, পদার্থবিজ্ঞানী।  .

১৮১৩ – কৃষ্ণমোহন বন্দ্যোপাধ্যায়, ঊনবিংশ শতকের অন্যতম বাঙালি শিক্ষাবিদ, ভাষাতত্ত্ববিদ ও খ্রিষ্টধর্মপ্রচারক।  .

১৮১৯ – রাণী ভিক্টোরিয়া, যুক্তরাজ্য ও ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের রাণী।  .
১৮৫৮ – সারদারঞ্জন রায়, বাংলার যুবসমাজে ক্রিকেট খেলার প্রচলক।

১৮৯৯ – (১১ জ্যৈষ্ঠ ১৩০৬ বঙ্গাব্দ) কাজী নজরুল ইসলাম- বাংলা সাহিত্যের কালজয়ী কবি। বর্ধমান জেলার চুরুলিয়া গ্রামে এক দরিদ্র পরিবারে তাঁর জন্ম হয়।
১৯০৫ – মিখাইল শলোখভ, নোবেলজয়ী সোভিয়েত ঔপন্যাসিক।

১৯২০ – সোমেন চন্দ, মার্ক্সবাদী বাঙালি সাহিত্যিক।
১৯৪০ (ক)  জোসেফ ব্রডস্কি, বিখ্যাত রুশ কবি ও প্রাবন্ধিক।
(খ) মওদুদ আহমেদ, বাংলাদেশের সাবেক উপরাষ্ট্রপতি, অষ্টম প্রধানমন্ত্রী, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ও জাতীয় পার্টির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা।

১৯৪১ – বব ডিলান, মার্কিন গায়ক, গীতিকার, লেখক, সঙ্গীতজ্ঞ ও কবি।

১৯৪২ – আলী বাখের, দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার।
১৯৪৯ – জিম ব্রডবেন্ট, ইংরেজ অভিনেতা।
১৯৫১ – মুনতাসীর মামুন, বাংলাদেশী অধ্যাপক, শিক্ষাবিদ, লেখক ও গবেষক।

১৯৫৫ – রাজেশ রোশন, ভারতীয় সুরকার ও সঙ্গীত পরিচালক।
১৯৬৬ – এরিক কাঁতোয়াঁ, সাবেক ফরাসি ফুটবলার।
১৯৬৯ – মার্টিন ম্যাককেগ, আইরিশ বংশোদ্ভূত সাবেক পেশাদার ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার।
১৯৭৭ – জিৎ গাঙ্গুলী, ভারতীয় সংগীত পরিচালক এবং গায়ক।
১৯৯১ – সাফিয়ান শরীফ, স্কটিশ ক্রিকেটার।

ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনের ঘটনাবলী—-

১৮২২ – ইকুয়েডর স্বাধীনতা অর্জন করে।
১৮৪৪ – মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটনের সংসদভবন থেকে মার্কিন আবিষ্কারক মোর্স (মোরিস) ৪০ মাইল দূরের বাল্টিমোর শহরে বিশ্বের প্রথম দূরপাল্লার টেলিগ্রাম পাঠান।
১৮৬২ – টমস নদীর ওপর ওয়েস্ট মিনিস্টার সেতু উন্মুক্ত করা হয়।
১৮৭৫ – স্যার সৈয়দ আহমদ খান আলিগড়ে মোহামেডান অ্যাংলো ওরিয়েন্টাল স্কুল স্থাপন করেন। এটিই পরে (১৯২০) আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত হয়।
১৯০২ – ব্রিটেনে প্রথম ‘এম্পায়ার ডে’ পালিত হয়।
১৯৬৪ – রিও ডি জেনিরোর জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ফুটবল ম্যাচকে কেন্দ্র করে সংঘটিত দাঙ্গায় ৩২৮ জন নিহত ও পাঁচ শতাধিক আহত হন।
১৯৭২ – কবি কাজী নজরুল ইসলাম কে ভারত থেকে ঢাকায় আগমন। রাষ্ট্রীয়ভাবে তাকে জাতীয় কবির স্বীকৃতি দান।
১৯৮৫ – বাংলাদেশের উড়িরচরে জলোচ্ছ্বাসে ১১ হাজার লোকের প্রাণহানি।
১৯৯১ – বর্ণবাদী ইসরাইল সরকার, দ্বিতীয় বারের মতো ১৪ হাজার চার’শ ইহুদিকে ইথিউপিয়া থেকে অধিকৃত ফিলিস্তিনে নিয়ে আসে।
১৯৯৩ – উত্তর-পূর্ব আফ্রিকার দেশ ইরিত্রিয়া,ইথিউপিয়ার কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভ করে।
১৯৯৪ – মক্কায় পদদলিত হয়ে ২৭০ হাজীর মৃত্যু।
২০০০ – ইসরাইলী বাহিনী দক্ষিণ লেবানন থেকে পিছু হটতে বাধ্য হয়।

এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন যারা—-

১৫৪৩ – নিকলাস কপারনিকাস, জ্যোতির্বিজ্ঞানী।

১৮৯৪- বিহারীলাল চক্রবর্তী, বাংলার গীতিকবি।
১৯০৩ – হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়, উনিশ শতকের বাঙালি কবি।
১৯৩২ – কার্ল বেন্ডা, জার্মান অণুজীববিজ্ঞানী।

১৯৪০ – অমিতা সেন, ১৯৩০-এর দশকের খ্যাতনামা রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী।
১৯৫৯ – জন ফস্টার দুললেস, মার্কিন কূটনীতিক।
১৯৭১ – জাকির হোসাইন, পূর্ব পাকিস্তানের সাবেক গভর্নর।
১৯৮৯ – তৃপ্তি মিত্র, বাঙালি মঞ্চ অভিনেত্রী।

১৯৯২ – শৈলজারঞ্জন মজুমদার, ভারতীয় বাঙালি সঙ্গীতজ্ঞ ও রবীন্দ্র সংগীত প্রশিক্ষক।
১৯৯৫ – হ্যারল্ড উইলসন, যুক্তরাজ্যের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী।

২০১০ – তপেন চট্টোপাধ্যায়, “গুপী গায়েন” খ্যাত বাঙালি অভিনেতা।
২০১০ – বেবী ইসলাম, বাংলাদেশি চিত্রগ্রাহক ও চলচ্চিত্র নির্মাতা।

২০১৪ – ডেভিড অ্যালেন, ইংরেজ ক্রিকেটার।
২০১৬ – খালেদা একরাম, বাংলাদেশি শিক্ষাবিদ ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম নারী উপাচার্য।
২০২০ – মকবুল হোসেন, বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ ও ঢাকা-৯ আসনের সাবেক এমপি, কোভিড-১৯।

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

কমনওয়েলথ দিবস : একটি বিশেষ পর্যালোচনা।।।।

এই বিশেষ দিনে, সমস্ত মানুষ আসে এবং সমস্ত প্রতিকূলতা এবং নেতিবাচকতা সহ্য করার জন্য এবং কমনওয়েলথের গুরুত্ব জানতে একসাথে কাজ করে। কমনওয়েলথ দিবস ২০২৫ সম্পর্কে আমরা এখানে যে নিবন্ধটি প্রদান করছি তা আগ্রহীরা পড়তে পারেন। এই নিবন্ধটি আপনাকে কমনওয়েলথ দিবসের ইতিহাস, কমনওয়েলথ দিবস ২০২৫ থিম, কমনওয়েলথ দিবস ২০২৫ এর তাৎপর্য, কমনওয়েলথ দিবস ২০২৪ এবং কিছু গুরুত্বপূর্ণ উদ্ধৃতি সম্পর্কে বিস্তারিত ব্যাখ্যা জানতে সাহায্য করবে।
কমনওয়েলথ দিবসের ইতিহাস-
সাম্রাজ্য দিবস প্রথম ১৯০৪ সালে ইউকে রেজিনাল্ড ব্রাবাজন দ্বারা পালন করা হয়। এই দিনটি রানি এলিজাবেথের জন্মবার্ষিকীতে পালন করা হয়। ১৯৭৭ সালের যুগে, মার্চ মাসের দ্বিতীয় সোমবার কমনওয়েলথ দিবস পালিত হয়েছিল। এই দিনটি কমনওয়েলথ অফ নেশনস দ্বারা পালন করা হয়। ১৮৯৮ সালে, কানাডিয়ান নেতা ক্লেমেন্টিনা ট্রেনহোলমে রানী ভিক্টোরিয়ার জন্মদিনে অন্টারিও স্কুলগুলিতে একটি সাম্রাজ্য দিবস প্রবর্তন করেছিলেন। ব্রিটিশ এম্পায়ার লিগ এই কমনওয়েলথ দিবসকে ছুটির দিন হিসেবে প্রচার করেছে যা আগে এম্পায়ার ডে নামে পরিচিত ছিল। সাধারণত, সারা বিশ্বে, প্রতি বছর মার্চ মাসের দ্বিতীয় সোমবার কমনওয়েলথ দিবস পালন করা হয় । ভারতে, কমনওয়েলথ দিবস ২৪ মে অন্য দিনে পালিত হয়।

কমনওয়েলথ দিবস ২৫ থিম–

কমনওয়েলথ দিবস ২০২৫ উদযাপন এবং থিম

কমনওয়েলথ দিবস সারা বিশ্বে বিভিন্ন তারিখে পালিত হয়। যুক্তরাজ্য, কানাডা এবং অস্ট্রেলিয়া মার্চ মাসের দ্বিতীয় সোমবার এই দিবসটি পালন করে। অন্যদিকে, ভারত, বেলিজের মতো দেশগুলির সাথে মিলে ২৪শে মে কমনওয়েলথ দিবস পালন করে। প্রতি বছর, কমনওয়েলথ দিবসের একটি অনন্য থিম থাকে। এই থিমটি যুক্তরাজ্য এবং বাকি কমনওয়েলথে সম্মানিত এবং প্রবর্তিত হয়।
২০২৫ সালের জন্য, কমনওয়েলথ দিবসের প্রতিপাদ্য হল “একসাথে আমরা সমৃদ্ধ হই” , যা কমনওয়েলথ পরিবারের স্থায়ী চেতনা উদযাপন করে – ৫৬টি স্বাধীন সদস্য দেশ কমনওয়েলথ সনদে অন্তর্ভুক্ত ভাগ করা মূল্যবোধের দ্বারা ঐক্যবদ্ধ।
এটি এর গুরুত্ব তুলে ধরে:

আন্তঃদেশীয় সহযোগিতা

যুব ক্ষমতায়ন

টেকসই উন্নয়নের প্রচার

মানবাধিকার এবং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ রক্ষা করা।

এই প্রতিপাদ্যটি শক্তিশালী এবং সংযুক্ত সম্প্রদায়গুলিকে গড়ে তোলার গুরুত্বের উপর জোর দেয় যা তাদের সদস্যদের সমর্থন এবং ক্ষমতায়ন করে, অর্থপূর্ণ অগ্রগতি সক্ষম করে। এটি ঐক্য, শান্তি এবং সহযোগিতার উপর জোর দেয়, কীভাবে সম্মিলিত শক্তি এবং স্থিতিস্থাপকতা সদস্য দেশগুলিকে একসাথে বিশ্বব্যাপী চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সহায়তা করতে পারে তা তুলে ধরে।

 

 

কমনওয়েলথ দিবস ২৫ তাৎপর্য-
কমনওয়েলথ দিবস সারা বিশ্বে পালিত হয় মানুষের সম্পদ, শান্তি ও ঐক্য, একতা, মানবতা এবং সংহতি পালন করার জন্য। এই দিনটি মানুষের জন্য তাদের নিজস্ব সমস্যার সমাধান খুঁজে বের করার এবং একে অপরকে সমর্থন করার একটি সুযোগ তৈরি করে। ১৯৫৮ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী হ্যারল্ড ম্যাকমিলান প্রথম কমনওয়েলথ দিবস উদযাপন করেছিলেন। কমনওয়েলথ দিবস অনেক দেশে পতাকা উত্তোলন, সামরিক কুচকাওয়াজ, বিশেষ কার্যক্রম পরিচালনা ইত্যাদির মাধ্যমে পালিত হয়।

কমনওয়েলথ ডে ২৫ ক্রিয়াকলাপ এবং উদযাপন-

কমনওয়েলথ দিবস অনেক সদস্য রাষ্ট্র দ্বারা পতাকা উত্তোলন অনুষ্ঠান, সাংস্কৃতিক পরিবেশনা এবং রাজনৈতিক নেতাদের বক্তৃতা সহ বিভিন্ন অনুষ্ঠান এবং কার্যক্রমের মাধ্যমে উদযাপন করা হয়। এটি কমনওয়েলথের বৈচিত্র্য এবং সদস্য দেশগুলোকে একত্রে আবদ্ধকারী অনন্য ঐক্য প্রদর্শনের দিন। কমনওয়েলথ দিবস দারিদ্র্য, জলবায়ু পরিবর্তন এবং সংঘাতের মতো বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সহযোগিতা ও সহযোগিতার গুরুত্বের প্রতি প্রতিফলিত করার সুযোগও দেয়।

।। তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

আজ ২৩ মে, ইতিহাসের দিকে চোখ বুলিয়ে দেখে নেব ইতিহাসের এই দিনে বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু, দিনসহ ঘটে যাওয়া ঘটনা।।।

আজ ২৩ মে। এক নজরে দেখে নিই ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু দিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

দিবস—–

(ক) বিশ্ব কচ্ছপ দিবস

আজ যাদের জন্মদিন—- .

১৭০৭ – কার্ল লিনিয়াস, প্রখ্যাত সুয়েডীয় উদ্ভিদবিজ্ঞানী, চিকিৎসক ও প্রাণীবিজ্ঞানী।

১৭৯৯ – ফরাসি সাহিত্যিক অনোরে দ্য বালজাক।

১৮০৬ – ইংরেজ দার্শনিক ও অর্থনীতিবিদ জন স্টুয়ার্ট মিল।
১৮২৯ – (৯ জ্যৈষ্ঠ ১২৩৬ বঙ্গাব্দ) মাধবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত পঞ্জিকার প্রতিষ্ঠাতা ও গণিতবিদ।

১৮৮৩ – ডগলাস ফেয়ারব্যাঙ্কস, মার্কিন অভিনেতা, পরিচালক, প্রযোজক এবং চিত্রনাট্যকার।

১৮৯৪ – ভারতে ফলিত গণিতের জনক বাঙালি বিজ্ঞানী নিখিলরঞ্জন সেন।

১৯০৮ – জন বারডিন, মার্কিন পদার্থবিজ্ঞানী।
১৯১৮ – (ক)  গোবিন্দগোপাল মুখোপাধ্যায়, মহামহোপাধ্যায় উপাধি ও রাষ্ট্রপতি সম্মানে ভূষিত সংগীত শিল্পী।

(খ) ডেনিস কম্পটন, বিখ্যাত ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তারকা।

১৯২০ – মণি কুমার ছেত্রী কলকাতার বিখ্যাত হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ।
১৯২৩ – রণজিত গুহ প্রখ্যাত বাঙালি ইতিহাসবিদ।
১৯২৫ – জোসুয়া লেডারবার্গ, মার্কিন অণুজীববিদ।
১৯২৮ – প্রখ্যাত ভারতীয় বাঙালি তবলিয়া রাধাকান্ত নন্দী।
১৯৩১ – বারবারা ব্যারি, আমেরিকান অভিনেত্রী।
১৯৪৩ – রোমুলাস হুইটাকের, একজন সরীসৃপবিদ, বন্যপ্রাণ সংরক্ষণবাদী, এবং মাদ্রাজ সর্প উদ্যানের প্রতিষ্ঠাতা।
১৯৪৭ – বার্নার্ড কম্‌রি, ব্রিটিশ ভাষাবিজ্ঞানী।
১৯৫১ – আনাতোলি কারপভ, দাবার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন।
১৯৮৫ – নায়েন আবিদি, পাকিস্তানী নারী ক্রিকেটার।

ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনের ঘটনাবলী—-

১২৯৩ – জাপানের কামাকুরাতে ভূমিকম্পে ত্রিশ হাজার লোকের মৃত্যু হয়।
১৪৯৮ – পর্তুগীজ নাবিক ভাস্কো-দা-গামা উত্তমাশা অন্তরীপ হয়ে ভারতের কালিকট বন্দরে এসেছিলেন।
১৬০৯ – শেক্সপিয়ারের সনেট প্রথম প্রকাশিত হয় লন্ডনে।
১৮১৮ – প্রথম বাংলা সংবাদপত্র সমাচার দর্পণ আজকের দিনে প্রথম প্রকাশিত হয়। সম্পাদক ছিলেন জন ক্লার্ক মার্শম্যান।
১৯০২ – কিউবা একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে এবং এই দিনে সকল মার্কিন সেনা কিউবা ত্যাগ করে।
১৯১০ – টোকিও সরকার কোরীয় উপদ্বীপকে জাপানের অংশ বলে ঘোষণা করে।
১৯৩২ – ইয়ারহার্ট প্রথম মহিলা যিনি একক উড্ডয়নে আটলান্টিক মহাসাগর পাড়ি দেন।
১৯৩৪ – সীমান্ত বিরোধ নিয়ে সৌদী আরব ও ইয়েমেনের মধ্যে যুদ্ধ শেষ হবার পর পরাজিত ইয়েমেন সরকার তায়েফ চুক্তি স্বাক্ষর করে।
১৯৩৯ – আমেরিকা ও ইউরোপের মধ্যে প্যান আমেরিকান এয়ারওয়েজের বিমান চলাচল শুরু হয়।
১৯৮৩ – এইচআইভি ভাইরাস সম্পর্কে প্রথম প্রকাশিত হয় সায়েন্স ম্যাগাজিনে।
২০০৬ – চীনে বিশ্বের সর্ববৃহৎ জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার জন্য ঐতিহাসিক থ্রি গর্জেস বাঁধ (Three Gorges Dam) নির্মাণ সমাপ্ত হয়। এর কাজ শুরু হয় ১৯৯৭ সালে।

এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন যারা—-

১৭০১ – উইলিয়াম কিড, স্কটিশ নাবিক।
১৮৫৭ – অগুস্তাঁ লুই কোশি, ফরাসি গণিতবিদ।
১৯০৫ – (৯ জ্যৈষ্ঠ ১৩১২) মাধবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত পঞ্জিকার প্রতিষ্ঠাতা ও গণিতবিদ।
১৯০৬ – হেনরিক ইবসেন, নরওয়েজীয় নাট্যকার।
১৯৩০ – রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায় প্রখ্যাত ভারতীয় বাঙালী প্রত্নতত্ত্ববিদ।
১৯৩৭ – জন রকফেলার, বিখ্যাত মার্কিন তেল শিল্পস্থপতি, উদ্যোক্তা ও জনদরদী।
১৯৪০ – সুইডেনের নোবেলজয়ী (১৯১৬) কথাসাহিত্যিক কার্ল গুস্তাফ ভন হাইডেনস্টম।
১৯৭১ – ভারতীয় বাঙালি সাংবাদিক, সাহিত্যিক ও অভিনেতা গঙ্গাপদ বসু।
১৯৯১ – প্রভাস রায় স্বদেশী ও খিলাফত আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব।
২০০২ – কাজী আবদুল বাসেত, বাংলাদেশী চিত্রশিল্পী এবং চারুকলা বিষয়ের শিক্ষক।
২০১৬- বাংলাদেশে নারী সাংবাদিকতার অগ্রদূত এবং সাহিত্যিকে নূরজাহান বেগম।

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This