Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

আজ ১৯ মে, ইতিহাসের দিকে চোখ বুলিয়ে দেখে নেব ইতিহাসের এই দিনে বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু, দিনসহ ঘটে যাওয়া ঘটনা।।।।

আজ ১৯ মে। এক নজরে দেখে নিই ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু দিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

আজ যাদের জন্মদিন—-

১৮৯০ – হো চি মিন,ভিয়েতনামের কমিউনিস্ট বিপ্লবী নেতা ও গণপ্রজাতন্ত্রী ভিয়েতনামের প্রধানমন্ত্রী।
১৯০৮ – মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়, বাঙালি কথাসাহিত্যিক।

১৯১০ – অ্যালান মেলভিল, দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটার।
১৯১৩ – নীলম সঞ্জীব রেড্ডি, ভারতের ষষ্ঠ রাষ্ট্রপতি।
১৯১৪ – (ক)  অমিতা সেন, ১৯৩০ এর দশকে শান্তিনিকেতনে ‘খুকু’ নামে পরিচিত রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী।
(খ) ম্যাক্স ফার্দিনান্দ পেরুতয, অস্ট্রীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ আণবিক জীববিজ্ঞানী।
১৯২২ – অমর পাল,ভারতের বাঙালি লোকসঙ্গীত শিল্পী ও লেখক।
১৯২৫ – পল পট, কম্বোডিয়ার খেমাররুজ দলের নেতা।
১৯২৫ – ম্যালকম এক্স, আফ্রিকান-মার্কিন মুসলিম রাজনীতিবিদ ও ধর্মীয় নেতা।
১৯৩৪ – রাস্কিন বন্ড, ব্রিটিশ বংশোদ্ভূত ভারতীয় লেখক।
১৯৩৮ – গিরিশ কারনাড, ভারতীয় ভাষাবিজ্ঞানী, চলচ্চিত্র পরিচালক ও লেখক।
১৯৪৬ – আন্দ্রে দি জিয়ান্ট, ফরাসী বংশোদ্ভূত আমেরিকান পেশাদার কুস্তিগির এবং অভিনেতা।
১৯৭৪ – নওয়াজুদ্দীন সিদ্দিকী, ভারতীয় চলচ্চিত্র অভিনেতা।
১৯৭৯ – আন্দ্রেয়া পিরলো, ইতালীয় পেশাদার ফুটবলার।
১৯৭৯ – দিয়েগো ফরলান, উরুগুয়ের জাতীয় ফুটবল দলের একজন খেলোয়াড়।
১৯৮৫ – অ্যালিস্টার ব্ল্যাক, ওলন্দাজ পেশাদার কুস্তিগির।
১৯৯২ – মার্শমেলো, মার্কিন ইলেকট্রনিক সঙ্গীত প্রযোজক এবং ডিজে।

ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনের ঘটনাবলী—-

১৮৯৭ – ইংরেজ কবি অস্কার ওয়াইল্ডের কারামুক্তি।
১৯৩০ – দক্ষিণ আফ্রিকায় শ্বেতাঙ্গ মহিলাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ।
১৯৩৬ – বৃটিশ আবিষ্কারক ওয়াটসন ওয়াট রাডার নির্মাণ করেন।
১৯৪৩ – তৎকালীন বৃটেনের প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন চার্চিল এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ফ্র্যাংকলিন রুজভেল্ট ইংলিশ চ্যানেল অতিক্রম করে জার্মান অধিকৃত ফ্রান্সের উপকূল নর্মান্ডিতে মিত্রপক্ষের সৈন্য অবতরণের একটি তারিখ নির্ধারণ করেছিলেন।
১৯৫৪ – ভারত-মার্কিন সামরিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
১৯৬১ – আসামের বরাক উপত্যকায় বাংলাকে সরকারি ভাষার মর্যাদার দাবিতে বাংলা ভাষা আন্দোলন (বরাক উপত্যকা)-এ প্রাদেশিক পুলিশের গুলিতে ১১ জন শহীদ হন।
১৯৮০ – পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়ি হতে প্রথম উত্তরবঙ্গ সংবাদ প্রকাশিত হয়।
১৯৮৯ – বেজিংয়ে সামরিক শাসন জারি।
১৯৯১ – সাবেক যুগশ্লাভিয়াভুক্ত ক্রোয়েশিয়ীদের স্বাধীনতার জন্য গণভোট।
১৯৯৩ – মেডেলিনে কলম্বিয়া জেটলাইনার বিধ্বস্ত হয়ে ১৩২ জন নিহত।
১৯৯৪ – মালাবিতে প্রথম বহুদলীয় নির্বাচনে বাকিলি মুলুজের কাছে ৩০ বছরের সামরিক শাসক কামুজুবান্দা পরাজিত।
১৯৯৭ – বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় ভয়ানক ঘূর্ণিঝড়ে সাড়ে ৩ শতাধিক প্রাণহানি, ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি।
২০০১ – প্রথম অ্যাপল রিটেইল স্টোর উদ্ভোধন।
২০১৯ – বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১-এর বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু।

এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন যারা—-

১৬২৩ – জোধাবাই, রাজস্থানের রাজপুতঘারানার রাজা ভারমালের জ্যেষ্ঠ কন্যা।
১৮৬৪ – ন্যাথানিয়েল হথর্ন, আমেরিকান উপন্যাসিক, ডার্ক রোম্যান্টিক এবং ছোটগল্প লেখক।
১৯০৩ – আর্থার শ্রিউসবারি, ইংলিশ ক্রিকেটার।

১৯০৪ – জামশেদজী টাটা, ভারতের অগ্রণী শিল্পপতি ও টাটা গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা।
১৯৩৫ – টি. ই. লরেন্স, লরেন্স অব এ্যারাবিয়া নামে পরিচিত ব্রিটিশ প্রত্নতত্ত্ব বিশারদ, সামরিক নীতি নির্ধারক এবং লেখক।
১৯৩৬ – মারমাডিউক পিকথাল, ইংরেজ ইসলামি পণ্ডিত।
১৯৪৬ – বুথ টার্কিংটন, মার্কিন ঔপন্যাসিক ও নাট্যকার।
১৯৫৮ – স্যার যদুনাথ সরকার, বাঙালি ইতিহাসবিদ।
১৯৫৮ – রোনাল্ড কলম্যান, ইংরেজ অভিনেতা।
১৯৬১ – বরাক উপত্যকার বাংলা ভাষার আন্দোলনে যে এগারোজন শিলচর রেলওয়ে স্টেশনে শহীদ হন –
কমলা ভট্টাচার্য
কানাইলাল নিয়োগী
চন্ডীচরণ সূত্রধর,
হিতেশ বিশ্বাস,
সত্যেন্দ্রকুমার দেব,
কুমুদরঞ্জন দাস,
সুনীল সরকার,

তরণী দেবনাথ ;
শচীন্দ্র চন্দ্র পাল;
বীরেন্দ্র সূত্রধর  এবং
সুকোমল পুরকায়স্থ।

১৯৬৬ – সৌরীন্দ্রমোহন মুখোপাধ্যায়, খ্যাতনামা সাহিত্যিক ও আইনজীবী।
১৯৭০ – অভিধানকার, লেখক ও চিন্তাবিদ কাজী আবদুল ওদুদ।

১৯৭৯ – হাজারী প্রসাদ দ্বিবেদী , হিন্দি ভাষার ঔপন্যাসিক,প্রাবন্ধিক ও সমালোচক।
১৯৮৭ – (ক) বাঙালি বামপন্থী বুদ্ধিজীবী, সাহিত্যিক ও ইতিহাসবিদ চিন্মোহন সেহানবীশ।

(ক) ছিদ্দিক আহমদ, বাংলাদেশি ইসলামি পণ্ডিত ও রাজনীতিবিদ।
১৯৯৪ – জ্যাকলিন কেনেডি ওনাসিস, সাবেক মার্কিন ফার্স্ট লেডি।
১৯৯৭ – শম্ভু মিত্র, বাংলা তথা ভারতীয় নাট্যজগতের কিংবদন্তি ব্যক্তিত্ব।
২০০৯ – রবার্ট ফ্রান্সিস ফার্চগট, মার্কিন প্রাণরসায়নবিদ।
২০১২ – সফিউদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশী চিত্রশিল্পী।
২০২২ – আবদুল গাফফার চৌধুরী, কালজয়ী একুশে গানের রচিয়তা, প্রখ্যাত সাংবাদিক ও সাহিত্যিক।

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

ত্রিগুণ – “সত্ত্ব, তমঃ ও রজঃ” – একটি বিশেষ পর্যালোচনা।।।

প্রথমে প্রত্যেক শব্দের অর্থ জানা যাকঃ সত্ত্বঃ- সত্ত্ব শব্দের অর্থ হলো ধর্মীয় জ্ঞানের প্রকাশ এবং সাত্ত্বিক শব্দের মানে হলো ধর্মজ্ঞানী । সত্ত্ব শব্দটির মূল কথা হলো সৎ এবং সৎ শব্দের অর্থ হলো সাধু । অর্থাৎ সত্ত্ব বা সাত্ত্বিক বলতে সর্বদা মহৎ বা উন্নত জ্ঞানসম্পন্ন ভালো কিছুকে বোঝায় ।

যখন কোনো ব্যক্তি প্রতিটি পরস্থিতিতে ধর্ম, সত্য ও ন্যায়ের বিচার করে তাঁর আচরণ করে থাকেন, তখন তাকে সাত্ত্বিক বলা হয়।
তমঃ- তমঃ শব্দের অর্থ হলো অন্ধকার এবং তমঃ থেকেই তামসিক শব্দের উৎপত্তি । “ভালো মন্দের বিচার ব্যতীত জীবন নির্বাহ করা অথবা কারো সকল আদেশকে বিনা দ্বিধায় পালন করা” এটা তামসিক আচরণ বলেই গণ্য । অন্যভাবে, কেবল শারীরিক চাহিদা অর্থাৎ ক্ষুধা ও যৌনতার চাহিদাকে পূর্ণ করার জন্য যখন কেউ জীবন কাটায়, তখন সেটা তামসিক আচরণের মধ্যে পড়ে । ইতর প্রাণীরা সাধারণত স্বভাববশতই এই ধরণের জীবন কাটায় বা কাটাতে বাধ্য হয় ।
রজঃ- রজঃ শব্দের অর্থ হলো অহঙ্কার । রজঃগুনী ব্যক্তির মধ্যে ধর্ম বা সত্যের জ্ঞান থাকে, কিন্তু শরীর ও মন বাসনার দ্বারা আবদ্ধ থাকে এবং অহঙ্কার পূর্ণ মন নিয়ে বেঁচে থাকে ।
সংক্ষেপে বলতে গেলে- সত্ত্ব মানে ধর্ম জ্ঞান, মঙ্গল, ভারসাম্য, রজঃ মানে অহঙ্কার, আবেগ, উত্তেজনা এবং তমঃ মানে অন্ধকার, নিস্তেজতা, জড়তা, উদাসীনতা ।
উপসংহারে বলা যায় – সত্ত্বগুণের স্বরূপ হচ্ছে নির্মল । নির্মল সত্ত্বগুণ দ্বারা পরমাত্মার জ্ঞান লাভ সম্ভব । সত্ত্বগুণের উৎকৃষ্ট উপাদান হচ্ছে জ্ঞান । জ্ঞান বোধশক্তির বোধক । জ্ঞানই প্রকৃত প্রকাশক । এই সত্বগুণ রজঃ ও তমঃগুণের বৃত্তিকে অবদমিত করে অন্তঃকরণে স্বচ্ছতা ও নির্মলতা উৎপন্ন করে । অন্যদিকে রজঃগুণ, চঞ্চল স্বরূপ । রজঃ নিজেও যেমন চঞ্চল, তেমনি অপরের মধ্যেও চঞ্চলতার উৎপাদক । রজঃগুণ বাড়লে লোভ, শান্তির অভাব ও আসক্তি এই সমস্ত বৃত্তিগুলির উদ্ভব ঘটে । আর তমঃগুণ হচ্ছে এককথায় সত্ত্বগুণের বিপরীত ! তমঃগুণ ও অজ্ঞানতা পরস্পর ওতোপ্রতভাবে জড়িয়ে থাকে । তমঃগুণ অজ্ঞানতা থেকেই উৎপন্ন হয় আবার অন্যদিকে অজ্ঞানতা থেকে তমঃগুণ বাড়ে ।
লোভের বশবর্তী হয়ে মানুষ যা কিছু কর্ম করে সেটা দুঃখদায়ক হয় । বেশীমাত্রায় আকাঙ্খার নাম লোভ । মানুষ কর্তব্য কর্ম থেকে বিচ্যুত হলে মনে অশান্তি ও চাঞ্চল্য বাড়ে । পাপ বাড়ে । সুতরাং কপকটতা করে অর্থোপার্জন, পাপের নামান্তর ।
ঠাকুর রামকৃষ্ণের ভাষায়ঃ সত্ত্ব, রজঃ আর তমঃ – মানুষের এই তিন গুণ । সব মানুষের ভিতর এর লক্ষণ ফুটে ওঠে । সেটা যেমন সংসারীর ক্ষেত্রে সত্যি, তেমনি ভক্তের ক্ষেত্রেও । কিন্তু কেমন করে বোঝা যায়, কে কোন গুণের অধিকারী।
সত্ত্ব, রজঃ আর তমঃ গুণের কথা আমরা সবাই জানি । কিন্তু বুঝব কী করে আমরা কে কোন জায়গায় আছি ? আবার সংসারী মানুষ মনে করে, ভক্ত বোধহয় এসবের ঊর্ধ্বে । সত্যিই কি তাই । এই সব সংশয় নিরসনের জন্য আমাদের গুরুদেবের শরণ নিতে হয়। ঠাকুর রামকৃষ্ণ ভক্তমনের এই সন্দেহ নিরসন মিটিয়ে দেন একেবারে সহজ কথায় । তিনি বলেন, “সংসারীর সত্ত্বগুণ কী রকম জানো ? বাড়িটি এখানে ভাঙা, ওখানে ভাঙা – মেরামত করে না । ঠাকুরদালানে পায়রাগুলো হাগছে, উঠানে শেওলা পড়েছে হুঁশ নাই। আসবাবগুলো পুরানো, ফিটফাট করবার চেষ্টা নাই । কাপড় যা তাই একখানা হলেই হলো । লোকটি খুব শান্ত, শিষ্ট, দয়ালু, অমায়িক; কাউকে কোনও অনিষ্ট করে না । “সংসারীর রজঃগুণের লক্ষণ বলতে – ঘড়ি, ঘড়ির চেন, হাতে দুই-তিনটি আঙটি । বাড়ির আসবাব খুব ফিটফাট । দেওয়ালে কুইনের ছবি, রাজপুত্রের ছবি, কোন বড় মানুষের ছবি । বাড়িটি চুনকাম করা, যেন কোনখানে একটু দাগ নাই । নানারকমের ভাল পোষাক ।” সংসারীর তমঃগুণের লক্ষণ হচ্ছে – “নিদ্রা, কাম, ক্রোধ, অহংকার এই সব ।”

(তথ্যসূত্রঃ সংগৃহীত)
কলমে : দিলীপ রায়

Share This
Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

আজ আন্তর্জাতিক জাদুঘর দিবস, জানুন দিনটির গুরুত্ব এবং কেন পালিত হয়।।।।

আন্তর্জাতিক জাদুঘর দিবস ২০২৫: প্রতি বছর ১৮ মে আন্তর্জাতিক জাদুঘর দিবস পালিত হয়। দিবসটি ১৯৭৭ সালে ইন্টারন্যাশনাল কাউন্সিল অফ মিউজিয়াম (আইসিওএম) দ্বারা সমাজে জাদুঘরের ভূমিকা প্রচারের জন্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।

সামগ্রিকভাবে, জাদুঘর দিবস হল জাদুঘরের বিশ্ব উদযাপন করার এবং সমাজে তাদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকাকে স্বীকৃতি দেওয়ার একটি দিন।

জাদুঘর আমাদের বিভিন্ন সংস্কৃতি, ইতিহাস এবং প্রাকৃতিক বিস্ময় সম্পর্কে জানতে সাহায্য করে। তারা প্রতিফলন এবং সৃজনশীলতার জন্য স্থান প্রদান করে। আসুন ইতিহাস, তাৎপর্য, থিম এবং আন্তর্জাতিক জাদুঘর দিবস ২০২৫ উদযাপনের উপায় সম্পর্কে আরও জানি।

আন্তর্জাতিক জাদুঘর দিবস ২০২৫ : থিম-

আন্তর্জাতিক জাদুঘর দিবস ২০২৫ এর থিম হল “দ্রুত পরিবর্তনশীল সম্প্রদায়গুলিতে জাদুঘরের ভবিষ্যৎ” (Museums in rapidly changing communities: the future of the past)। এই থিমটি জাদুঘরের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা, যেমন সাংস্কৃতিক বিনিময়, উদ্ভাবন এবং সাংস্কৃতিক পরিচয় রক্ষা করার বিষয়গুলো তুলে ধরে।

আরও বিস্তারিতভাবে বলতে গেলে, জাদুঘরগুলি দ্রুত পরিবর্তনশীল সমাজে কীভাবে প্রাসঙ্গিক থাকতে পারে এবং ভবিষ্যতের জন্য কিভাবে প্রস্তুত থাকতে পারে, সেই বিষয়গুলি নিয়ে এই থিম আলোচনা করে।

এই দিবসটি প্রতি বছর ১৮ মে বা তার কাছাকাছি পালন করা হয়, যা আন্তর্জাতিক জাদুঘর পরিষদ (ICOM)-এর একটি আন্তর্জাতিক দিবস। প্রতি বছর এই দিবসে একটি নির্দিষ্ট থিম থাকে যা জাদুঘরগুলির জন্য প্রাসঙ্গিক।

 

আন্তর্জাতিক জাদুঘর দিবস ২০২৫ : তাৎপর্য-

আন্তর্জাতিক জাদুঘর দিবস উদযাপনের উদ্দেশ্য হল জাদুঘরগুলি কীভাবে সমাজে অবদান রাখে সে সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করা এবং সাংস্কৃতিক বিনিময়, বৈচিত্র্য এবং অন্তর্ভুক্তি প্রচার করা। জাদুঘরগুলি মানুষকে একত্রিত করতে এবং উদযাপনের জন্য একটি থিমের সাথে তাদের আবদ্ধ করতে একটি অবিচ্ছেদ্য ভূমিকা পালন করে। প্রতি বছরের আন্তর্জাতিক জাদুঘর দিবসের থিম একটি বার্তা বহন করে যা একটি নির্দিষ্ট বিষয় এলাকার গুরুত্বকে প্রতিফলিত করে।
জাদুঘর হল এমন জায়গা যেখানে লোকেরা বিভিন্ন সংস্কৃতি , ইতিহাস এবং প্রাকৃতিক বিস্ময় সম্পর্কে জানতে পারে । তারা প্রতিফলন এবং সৃজনশীলতার জন্য স্থান প্রদান করে। আমরা কেন জাদুঘর দিবস উদযাপন করি তার একটি প্রধান কারণ হল সমাজ গঠনে যাদুঘরের মূল্যকে উপলব্ধি করা। জাদুঘরগুলি আমাদের চারপাশের জগতকে বুঝতে এবং বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের অন্যান্য মানুষের সাথে সংযোগ স্থাপন করতে সাহায্য করে।
তারা ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। জাদুঘরগুলি বিভিন্ন সংস্কৃতির লোকেদের মধ্যে ঐক্য ও বোঝাপড়ার প্রচারের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ স্থান। জাদুঘরগুলি জ্ঞান ভাগ করে নেওয়া এবং বিশ্বের একটি সাধারণ দৃষ্টিভঙ্গি প্রচারের জন্য নিবেদিত।
যাদুঘরগুলি পরিবেশ রক্ষা এবং টেকসই অনুশীলনের প্রচারের জন্য নিবেদিত। সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণেও তারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

কিভাবে আন্তর্জাতিক জাদুঘর দিবস ২০২৫ উদযাপন করবেন–

আন্তর্জাতিক জাদুঘর দিবস উদযাপনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপায় হল একটি জাদুঘর পরিদর্শন করা। একা বা বন্ধু বা পরিবারের সাথে কাছাকাছি একটি জাদুঘরে যান। আপনার আগ্রহের একটি যাদুঘর দেখার জন্য আপনি একটি ভিন্ন শহরে ভ্রমণের মাধ্যমে দিনটিকে স্মরণ করতে পারেন।
আন্তর্জাতিক জাদুঘর দিবস উদযাপনের আরেকটি উপায় হল আপনার স্থানীয় যাদুঘরে একটি সংগ্রহ, শিল্পের অংশ, উত্তরাধিকার বা অর্থ দান করা। এটি আপনার স্থানীয় জাদুঘরকে সমর্থন করার এবং ভবিষ্যত প্রজন্মেররাও এটি উপভোগ করতে সক্ষম হবে তা নিশ্চিত করার একটি দুর্দান্ত উপায়।
আপনার যদি আন্তর্জাতিক জাদুঘর দিবস উদযাপনের অন্য কোন পরিকল্পনা থাকে, যেমন একটি ইভেন্ট বা কর্মশালায় যোগদান করা, তবে আজ একটি জাদুঘর পরিদর্শন করা এবং একটি পার্থক্য করা গুরুত্বপূর্ণ। আপনার পরিদর্শন জাদুঘরের গুরুত্ব এবং সমাজে তাদের ভূমিকা সম্পর্কে আপনার মন পরিবর্তন করতে পারে।

আন্তর্জাতিক যাদুঘর দিবস : ইতিহাস-

আন্তর্জাতিক জাদুঘর দিবস আনুষ্ঠানিকভাবে ১৯৭৭ সালে রাশিয়ার মস্কোতে ICOM সাধারণ পরিষদে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।
আন্তর্জাতিক জাদুঘর দিবসের ধারণাটি ১৯৫১ সালে মস্কোতে জাদুঘরের জন্য ক্রুসেডের বৈঠকের সময় প্রথম রূপরেখা দেওয়া হয়েছিল। মিটিং, যা যাদুঘর এবং শিক্ষার থিমের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে, যাদুঘর অ্যাক্সেসযোগ্যতার জন্য একটি কাঠামোর উন্নয়নের ভিত্তি স্থাপন করে।
১৯৭৭ সালে, কাঠামোটি ICOM সাধারণ পরিষদ দ্বারা গৃহীত হয়েছিল এবং ১৯৭৯ সালে, ইভেন্টের প্রথম অফিসিয়াল পোস্টার চালু করা হয়েছিল। “সাংস্কৃতিক পণ্যে অবৈধ ট্রাফিকের বিরুদ্ধে লড়াই” শিরোনামের পোস্টারটি 28 টি দেশ দ্বারা অভিযোজিত হয়েছে।
২০১১ সালে, ICOM আন্তর্জাতিক জাদুঘর দিবসের জন্য একটি ওয়েবসাইট এবং যোগাযোগ কিট তৈরি করেছে। এই উদ্যোগটি প্রথমবারের মতো চিহ্নিত করেছে যে ICOM ইউরোপীয়ান নাইট অফ মিউজিয়ামের পৃষ্ঠপোষক ছিল। ইভেন্টটি, যা প্রতি বছর ১৮ মে অনুষ্ঠিত হয়, যাদুঘরের কার্যকলাপে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা এবং যাদুঘর সংস্কৃতি সম্পর্কে জনসাধারণের সচেতনতা উদযাপন করে।

।। তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

আজ ১৮ মে, ইতিহাসের দিকে চোখ বুলিয়ে দেখে নেব ইতিহাসের এই দিনে বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু, দিনসহ ঘটে যাওয়া ঘটনা।।।

আজ ১৮ মে। এক নজরে দেখে নিই ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু দিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

দিবস—–

(ক) আন্তর্জাতিক জাদুঘর দিবস।

আজ যাদের জন্মদিন—- .

১৮৭৬ – হারমান মুলার, জার্মান সাংবাদিক ও রাজনীতিবিদ ও ১২ তম চ্যান্সেলর।

১৮৮৩ – ওয়াল্টার গ্রপিউস, জার্মান বংশোদ্ভূত আমেরিকান স্থপতি ও জন এফ কেনেডি ফেডারেল ভবন পরিকল্পাকারী।
১৮৯১ – রুডলফ কারনাপ, জার্মান-আমেরিকান দার্শনিক।

১৮৯৭ – ফ্রাঙ্ক ক্যাপ্রা, ইতালীয় আমেরিকান চলচ্চিত্র পরিচালক, প্রযোজক এবং লেখক।
১৯০১ – ভিঞ্চেন্ত দু ভিগ্নেয়াউদ, মার্কিন প্রাণরসায়নবিদ।

১৯০৫ – হেডলি ভেরিটি, পেশাদার ইংরেজ ক্রিকেটার।
১৯১৩ – চার্লস ট্রেনেট, ফরাসি গায়ক ও গীতিকার।

১৯৩৩ – এইচ. ডি. দেব গৌড়া, ভারতীয় রাজনীতিবিদ।
১৯৩৬ – এস এম আহমেদ হুমায়ুন, বাঙালি লেখক ও সাংবাদিক।
১৯৩৭ – জ্যাক স্যানটার, লুক্সেমবার্গ আইনজ্ঞ, রাজনীতিবিদ ও ২২ তম প্রধানমন্ত্রী।
১৯৩৮ – রবীন্দ্রজীবনকার প্রশান্তকুমার পাল।

১৯৪২ – নবি স্টিলেস, সাবেক ইংরেজ ফুটবল খেলোয়াড়।
১৯৪৪ – ডব্লিউ. জি. সেবাল্ড, জার্মান লেখক ও শিক্ষাবিদ।
১৯৫৫ – চও ইউন-ফাট, হংকং অভিনেতা।
১৯৬০ – ইয়ানিক নোয়া, সাবেক ফরাসি টেনিস খেলোয়াড় ও গায়ক।
১৯৭০ – টিনার ফেয়, আমেরিকান অভিনেত্রী, প্রযোজক ও চিত্রনাট্যকার।
১৯৭৫ – জ্যাক জনসন, আমেরিকান গায়ক, গীতিকার ও গিটার।
১৯৭৮ – রিকার্ডো কারভালহো, পর্তুগিজ ফুটবলার।
১৯৮৬ – কেভিন অ্যান্ডারসন, দক্ষিণ আফ্রিকার টেনিস খেলোয়াড়।
১৯৯০ – ইয়ুইয়া ওসাকো, জাপানি ফুটবলার।

ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনের ঘটনাবলী—-

১৭৯৮ – লর্ড ওয়েলেসলি গভর্নর জেনারেল হয়ে কলকাতায় আসেন।
১৮০৪ – ফ্রান্সের সংসদ সিনেটে এক আইন পাশের মধ্য দিয়ে নেপোলিয়ান বেনাপার্ট সেদেশের সম্রাট হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেন।
১৮৩০ – ফ্রান্স আলজেরিয়া দখলের জন্য ব্যাপক সামরিক অভিযান শুরু করে।
১৮৬০ – আব্রাহাম লিংকন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন।
১৮৯৯ – হেগে শান্তি সম্মেলনে ২৬টি দেশ আন্তর্জাতিক সালিশি আদালতে বিবাদ মীমাংসায় সম্মত হয়।
১৯৪৩ – জাতিসংঘ ত্রাণ ও পুনর্বাসন এজেন্সি প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯৪৫ – ইউরোপে আনুষ্ঠানিকভাবে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সমাপ্তি ঘটে।
১৯৭২ – বাংলা একাডেমী অর্ডার ১৯৭২ জারি করা হয়।
১৯৭৪ – রাজস্থানের পোখরানে ভারতের প্রথম পরমাণু পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরমাণু বিস্ফোরণটিকে স্মাইলিং বুদ্ধ সাংকেতিক নামে অভিহিত করা হয়।
১৯৭৬ – ভারত প্রথম পারমাণবিক বোমার পরীক্ষামূলক বিস্ফোরণ ঘটায়।
১৯৮০ – চীন আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্রের সকল পরীক্ষা সম্পন্ন করে।

এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন যারা—-

১৮৮৬ – অক্ষয়কুমার দত্ত, বাংলা সাহিত্যের প্রবন্ধকার ও সাংবাদিক।
১৯০৯ – ইসহাক আলবেনিজ, স্প্যানিশ পিয়ানোবাদক ও সুরকার।

১৯২২ – শার্ল লুই আলফোঁস লাভরঁ, ফরাসি চিকিৎসক।

১৯৩৪ – চারণ কবি মুকুন্দ দাস, স্বদেশী ও অসহযোগ আন্দোলনের সময় বহু স্বদেশী বিপ্লবাত্মক গান ও নাটক রচনা করে খ্যাতি অর্জন করেন।

১৯৪৩ – নীলরতন সরকার, প্রখ্যাত বাঙালি চিকিৎসক ও শিক্ষাবিদ।

১৯৫৬ – মরিস টেট, ইংল্যান্ডের বিখ্যাত আন্তর্জাতিক তারকা ছিলেন।

১৯৮১ – আর্থার ওকনেল, আমেরিকান অভিনেতা।

১৯৮৪ – নলিনীকান্ত সরকার, বাঙালি সাহিত্যিক, সাংবাদিক, কবি, গায়ক, সাহিত্যবোদ্ধা ও ছন্দশ্রী।

১৯৯৯ – জপমালা ঘোষ, বাংলা ছড়ার গানের জনপ্রিয় গায়িকা।
২০০১ – ডব্লিউ এ এস ওডারল্যান্ড, অস্ট্রেলীয় নাগরিক, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে বীরপ্রতীক খেতাবপ্রাপ্ত একমাত্র বিদেশী মুক্তিযোদ্ধা।
২০০৭ – পিয়ের-জিল দ্য জেন, ফরাসি পদার্থবিজ্ঞানী।
২০০৯ – ভেলুপিল্লাই প্রভাকরণ, শ্রীলঙ্কার বিচ্ছিন্নতাবাদী তামিল দল লিবারেশন টাইগার্স অফ তামিল ইলম এর প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক নেতা।
২০১৫ – হাল্ডোর আসগ্রিমসন, আইসল্যান্ডীয় একাউন্টেন্ট, রাজনীতিবিদ ও ২২ তম প্রধানমন্ত্রী।

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This
Categories
রিভিউ

দার্জিলিং ভ্রমণ : একটি বিশেষ পর্যালোচনা।

ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের একটি ছোট শহর দার্জিলিং একটি জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র যা তার মনোমুগ্ধকর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য এবং ঔপনিবেশিক স্থাপত্যের জন্য পরিচিত। হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত, দার্জিলিং নগর জীবনের বিশৃঙ্খলা থেকে শান্ত অবসরের জন্য ভ্রমণকারীদের জন্য একটি স্বর্গ। এই নিবন্ধে, আমরা দার্জিলিং ভ্রমণের অভিজ্ঞতা অর্জনের সেরা উপায়গুলি অন্বেষণ করব, যার মধ্যে রয়েছে এর শীর্ষ আকর্ষণ, কার্যকলাপ এবং একটি স্মরণীয় ভ্রমণ পরিকল্পনা করার টিপস।

দার্জিলিং যাওয়া
দার্জিলিং বিমান, রেল এবং সড়ক পথে সহজেই পৌঁছানো যায়। নিকটতম বিমানবন্দর হল বাগডোগরা বিমানবন্দর, যা দার্জিলিং থেকে প্রায় 68 কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। নিকটতম রেলওয়ে স্টেশন হল নিউ জলপাইগুড়ি রেলওয়ে স্টেশন, যা ভারতের প্রধান শহরগুলির সাথে সুসংযুক্ত। এনজেপি থেকে, আপনি দার্জিলিং পৌঁছানোর জন্য একটি ট্যাক্সি ভাড়া করতে পারেন অথবা একটি শেয়ার্ড জিপে যেতে পারেন।

দার্জিলিং-এর শীর্ষ আকর্ষণ
দার্জিলিং প্রাকৃতিক বিস্ময়, সাংস্কৃতিক ল্যান্ডমার্ক এবং ঔপনিবেশিক যুগের স্থাপত্যের ভান্ডার। দার্জিলিংয়ের কিছু শীর্ষ আকর্ষণের মধ্যে রয়েছে:

– *টাইগার হিল*: সূর্যোদয়ের দৃশ্যের জন্য একটি জনপ্রিয় স্থান, টাইগার হিল কাঞ্চনজঙ্ঘা পর্বতের মনোমুগ্ধকর দৃশ্য উপস্থাপন করে।

– *দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ে*: ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান, দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ে হল একটি ন্যারো-গেজ রেলওয়ে যা নিউ জলপাইগুড়ি থেকে দার্জিলিং পর্যন্ত চলে।

– *দার্জিলিং রোপওয়ে*: একটি কেবল কার যা আশেপাশের পাহাড় এবং উপত্যকার অত্যাশ্চর্য দৃশ্য উপস্থাপন করে।

– *পদ্মজা নাইডু হিমালয়ান জুওলজিক্যাল পার্ক*: একটি চিড়িয়াখানা যেখানে তুষার চিতা এবং লাল পান্ডা সহ বেশ কয়েকটি বিপন্ন প্রজাতির আবাসস্থল রয়েছে।

– *হিমালয় পর্বতারোহণ ইনস্টিটিউট*: একটি জাদুঘর যা হিমালয়ে পর্বতারোহণের ইতিহাস প্রদর্শন করে।

দার্জিলিংয়ের উপভোগ্য ক্রিয়াকলাপ
দার্জিলিং অ্যাডভেঞ্চার উত্সাহী এবং প্রকৃতি প্রেমীদের জন্য বিভিন্ন ধরণের ক্রিয়াকলাপ অফার করে। দার্জিলিংয়ের কিছু শীর্ষস্থানীয় জিনিসের মধ্যে রয়েছে:

– *ট্রেকিং*: দার্জিলিং বেশ কয়েকটি ট্রেকিং ট্রেল অফার করে যা আশেপাশের পাহাড় এবং উপত্যকার মনোমুগ্ধকর দৃশ্য উপস্থাপন করে।

– *চা বাগান পরিদর্শন*: দার্জিলিং তার চায়ের জন্য বিখ্যাত, এবং চা বাগান পরিদর্শন চা তৈরির প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানার একটি দুর্দান্ত উপায়।
– *দার্জিলিং হিমালয়ান রেলপথে চড়া*: দার্জিলিং ভ্রমণকারী যেকোনো পর্যটকের জন্য অবশ্যই একটি অভিজ্ঞতা, দার্জিলিং হিমালয়ান রেলপথ আশেপাশের পাহাড় এবং উপত্যকার মনোমুগ্ধকর দৃশ্য অফার করে।
– *কেনাকাটা*: স্থানীয় হস্তশিল্প, চা এবং স্যুভেনির কেনাকাটার জন্য দার্জিলিং একটি দুর্দান্ত জায়গা।

দার্জিলিংয়ে একটি স্মরণীয় ভ্রমণ পরিকল্পনা করার টিপস
দার্জিলিংয়ে একটি স্মরণীয় ভ্রমণ পরিকল্পনা করার জন্য এখানে কিছু টিপস দেওয়া হল:

– *আগামী পরিকল্পনা*: দার্জিলিং একটি জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র, এবং ভিড় এড়াতে আগে থেকেই পরিকল্পনা করা অপরিহার্য।
– *গরম পোশাক প্যাক করুন*: দার্জিলিং বেশ ঠান্ডা হতে পারে, বিশেষ করে সকাল এবং সন্ধ্যায়, তাই গরম পোশাক প্যাক করা অপরিহার্য।
– *স্থানীয় খাবার চেষ্টা করুন*: দার্জিলিং তিব্বতি, নেপালি এবং ভারতীয় খাবার সহ বিভিন্ন ধরণের স্থানীয় খাবার সরবরাহ করে।

– *স্থানীয় সংস্কৃতিকে সম্মান করুন*: দার্জিলিং একটি সাংস্কৃতিকভাবে সমৃদ্ধ শহর, এবং স্থানীয় রীতিনীতি এবং ঐতিহ্যকে সম্মান করা অপরিহার্য।

দার্জিলিং ভ্রমণের সেরা সময়
দার্জিলিং ভ্রমণের সেরা সময় আপনার পছন্দের উপর নির্ভর করে। আপনি যদি শহরের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে চান, তাহলে বসন্ত (মার্চ থেকে মে) এবং শরৎ (সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর) হল সেরা ঋতু। আপনি যদি শীতকালীন আশ্চর্যজনক অভিজ্ঞতা খুঁজছেন, তাহলে ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি হল ভ্রমণের সেরা সময়।

দার্জিলিংয়ে থাকার ব্যবস্থা
দার্জিলিংয়ে থাকার ব্যবস্থার বিভিন্ন বিকল্প রয়েছে, বাজেট-বান্ধব গেস্টহাউস থেকে শুরু করে বিলাসবহুল হোটেল পর্যন্ত। দার্জিলিং-এর কিছু শীর্ষ হোটেলের মধ্যে রয়েছে:

– *এলগিন মাউন্ট পান্ডিম*: একটি বিলাসবহুল হোটেল যা আশেপাশের পাহাড়ের অত্যাশ্চর্য দৃশ্য দেখায়।

*দার্জিলিং শেরপা চ্যাসাল*: একটি বাজেট-বান্ধব হোটেল যা আরামদায়ক কক্ষ এবং অত্যাশ্চর্য দৃশ্য প্রদান করে।

*দ্য গ্লেনারি’স*: একটি জনপ্রিয় হোটেল যা আরামদায়ক কক্ষ এবং বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা প্রদান করে।

উপসংহার
দার্জিলিং ভ্রমণ হল পাহাড়ের রাণীর উদ্দেশ্যে ভ্রমণ, যেখানে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য এবং ঔপনিবেশিক স্থাপত্য একত্রিত হয়ে এক অনন্য এবং অবিস্মরণীয় অভিজ্ঞতা তৈরি করে। এর অত্যাশ্চর্য দৃশ্য, বিভিন্ন ধরণের কার্যকলাপ এবং সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের কারণে, দার্জিলিং যেকোনো ভ্রমণকারীর জন্য অবশ্যই ভ্রমণের একটি গন্তব্য। আগে থেকে পরিকল্পনা করে, উষ্ণ পোশাক প্যাক করে, স্থানীয় খাবার চেষ্টা করে এবং স্থানীয় সংস্কৃতিকে সম্মান করে, আপনি দার্জিলিং ভ্রমণের সর্বাধিক সুবিধা নিতে পারেন এবং এমন স্মৃতি তৈরি করতে পারেন যা আজীবন স্থায়ী হবে।

দার্জিলিং ভ্রমণ নির্দেশিকা
দার্জিলিং ভ্রমণের সর্বাধিক উপভোগ করতে, এখানে একটি প্রস্তাবিত ভ্রমণপথ রয়েছে:

– *দিন ১*: দার্জিলিং পৌঁছান এবং আপনার হোটেলে চেক-ইন করুন। শহর এবং এর আশেপাশের এলাকা ঘুরে দেখার জন্য দিনটি কাটান।

– *দিন ২*: সূর্যোদয় দেখার জন্য টাইগার হিল পরিদর্শন করুন, এবং তারপর ঘুরে দেখুন

Share This
Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

মূল্যবান মনুষ্য জীবন ও (অহং)আমি : স্বামী আত্মভোলানন্দ(পরিব্রাজক)।।।

আমাদের সবার পরম সৌভাগ্য পুণ্যভূমি,পবিত্রভূমি ভারতবর্ষ এর পবিত্র রত্নগর্ভা ভূমিতে আমরা জন্মলাভ করেছি। আধ্যাত্মিক দেশ তপোভূমি আমাদের এই ভারতবর্ষ। আমাদের ভারতমাতা স্বমহিমায় উজ্জ্বল।ভারতভূমিতে জন্মলাভ করে সুদুর্লভ এই মনুষ্য জীবন লাভ। ভা – অর্থে জ্যোতি। রত – অর্থে নিমগ্ন, নিবিষ্ট।

এ জ্যোতি অনন্ত জ্যোতি। জ্যোতির সাধনায় নিবিষ্ট যে ভূখণ্ড, তাই আমাদের পবিত্রভূমি, ভারতভূমি। সৌন্দর্যময় আমাদের এই ভারতবর্ষ এর সুন্দর প্রকৃতি ও সকল নৈসর্গিক উপাদানে সমৃদ্ধ। এই মনোরম, অনুপম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অনন্তকাল ধরে আমাদের চিত্তে শিক্ষা ও আনন্দের অমৃতধারা জাগিয়ে তুলছে। আমাদের শিক্ষা ক্ষেত্রে প্রকৃতির অবদান ও অপরিসীম।
তাই, কবি দ্বিজেন্দ্রলাল রায় বলছেন:-
*ভায়ের মায়ের এত স্নেহ,
কোথায় গেলে পাবে কেহ
ওমা তোমার চরণ দুটি বক্ষে আমার ধরি
আমার এই দেশেতে জন্ম যেন এই দেশেতে মরি।*
তবুও আমি/আমরা আমার আমার করি, আমি (অহং) এই অহঙ্কারটা নষ্ট হয় না।
আমাদের মূল্যবান মনুষ্য জীবনে আমরা মা-বাবা, বোন-ভাই, (পারিবারিক জীবনে স্ত্রী-স্বামী, কন্যা-পুত্র সহ) শিক্ষিকা-শিক্ষক, অধ্যাপিকা-অধ্যাপক,স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, বন্ধু-প্রতিবেশী, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, ধর্মীয়গুরু, আধ্যাত্মিক গুরু ইত্যাদি ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান সবার কাছ থেকে শিখেছি, জ্ঞান অর্জন করেছি, আমরা শিক্ষার্থী, আমাদের জীবনে শিক্ষাক্ষেত্রে ইনাদের অবদান অতিব মূল্যবান। আমাদের জন্য জীবনের সব দিক থেকে শিক্ষক আছে। কিন্তু, তবুও আমার আজও মনে হয় জীবনে আমার কিছুই শিক্ষা হয়নি, এখনও আমি শিক্ষার্থী। তবুও আমার আমার করি, আমি (অহং) এই অহঙ্কারটা নষ্ট হয় না।
আমাদের মনুষ্য জীবনে প্রতিষ্ঠা লাভ করা সোজা, কিন্তু ত্যাগ করা কঠিন। যে ত্যাগ করতে পারে সে প্রকৃত সাধু। ত্যাগ না করলে ভগবানে ভক্তি আসে না। ত্যাগ নিশ্চিত চাই। ত্যাগ হচ্ছে-আদর্শ সন্ন্যাসী জীবন। অহঙ্কারটা নষ্ট করা। সে-ই ঠিক ঠিক ত্যাগী যে নিজেকে সম্পূর্ণ রূপে দিয়ে দিয়েছে ভগবানকে, আমার বলতে কিছু রাখে নি।
মিথ্যা বলা মহাপাপ , মিথ্যার মতো মহাপাপ দুনিয়াতে আর নেই। পরনিন্দা, পরচর্চা কখনো করতে নেই। উহাতে নিজেরই ক্ষতি হয়। সব সময় মানুষের গুণ দেখতে হয়। একটু গুণ থাকলেও তাকে বড় করে দেখতে হবে, সম্মান দিতে হবে, প্রশংসা করতে হবে। গুণের আদর না করলে মানুষ বড় হতে পারে না, নিজের মনও উদার হয় না। আমি (অহং) অহঙ্কারটা নষ্ট হয় না।
আমাদের সুন্দর ভারতীয় সমাজে অনন্তকাল ধরে ঋষি, মুনি, সাধু, সন্ন্যাসী, অনেক বিখ্যাত দার্শনিক, অনেক বিখ্যাত বিজ্ঞানী, অনেক বিখ্যাত মহাপুরুষ, সাধুমহাত্মা, মহামানব, অনেক বিখ্যাত মানুষ,সময়ে সময়ে নিজেদের প্রভাব, মহিমা, জ্ঞানের, তপস্যার, আবিস্কারের অবদান রেখে গেছেন এই আমাদের ভারতবর্ষে, মানব সমাজের জন্য, আমাদের শিক্ষার জন্য। তবুও আমাদের শিক্ষা সম্পূর্ণ হয় না। তবুও আমি/আমরা আমার আমার করি, তবুও আমাদের আমি (অহং) অহঙ্কারটা নষ্ট হয় না।
অহংকার কত প্রকারের হয় :-
১. উচ্চশিক্ষার, জ্ঞান এর অহংকার!
২. উচ্চ কুলের জন্মের অহংকার।
৩. রূপের অহংকার!
৪. এবং ধন সম্পদের অহংকার।
আরও কত প্রকারের হয় অহংকার।
অহংকার সবই ব্যর্থ কারণ আমি/আপনি এসব কিছুই সাথে নিয়ে যেতে পারবেন না আপনার সাথে যদি কিছু নিয়ে যান, সেটা হলো এই মধু মাখা সুধা মাখা গুরু-নাম, ভগবান এর নাম l ধর্মের পথে হাঁটলে কষ্ট ঠিকই হবে কিন্তু জয় আপনারই হবে। মনুষ্য জীবন সুদুর্লভ, খুব কষ্ট করে মানুষ জীবন পাওয়া গেছে তাই আমাদের মনুষ্য জীবনের সৎ ব্যবহার করা উচিত । *কিসের এত অহংকার ঘুম ভাঙলেই গতকাল না ভাঙলে পরকাল। মাটির দেহ মাটি হবে পুড়ে হবে ছাই এ দেহ মোর পচা দেহ গৌরব, অহংকার কিসের ভাই।*
স্বামী প্রণবানন্দজি মহারাজ ও বলছেন:- “সকল জন্মের মধ্যে মনুষ্য জন্মই শ্রেষ্ঠ। এই জন্মেই মানুষ ভগবানকে ডাকিতে পারে ও লাভ করিতে পারে। আবার মনুষ্যগণের মধ্যে যিনি ভগবানের আরাধনা করেন, তিনি আরো সৌভাগ্যশালী। যিনি সতত তাঁহার চিন্তায় নিমগ্ন থাকেন, তিনি তাহার চেয়ে ও সৌভাগ্যশালী। আর যিনি সাধনায় সিদ্ধিলাভ করিয়া তাঁহারই ঐশ্বর্যে নিয়ত ডুবিয়া থাকেন, তিনি জগতের মধ্যে শ্রেষ্ঠ ও মহান।”
আজ আমাদের মনুষ্য সমাজে সব কিছুর দাম বেড়েছে মিথ্যা, ঘৃণা, জাল, প্রতারণা। আর দাম কমেছে শুধু মানুষের প্রতি মানুষের বিশ্বাস, শ্রদ্ধা, ভালোবাসা আর দাম কমেছে মানুষের জীবনের মূল্য। তবুও আমাদের আমি (অহং) অহঙ্কারটা নষ্ট হয় না। আমি/আমরা আমার আমার করি….! তবুও আমাদের শিক্ষা সম্পূর্ণ হয় না।
ওঁ গুরু কৃপা হি কেবলম্ ….!
স্বামী আত্মভোলানন্দ(পরিব্রাজক) l

Share This
Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

আজ ১৭ মে, ইতিহাসের দিকে চোখ বুলিয়ে দেখে নেব ইতিহাসের এই দিনে বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু, দিনসহ ঘটে যাওয়া ঘটনা।।।

আজ ১৭ মে। এক নজরে দেখে নিই ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু দিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

দিবস—–

(ক)  বিশ্ব তথ্য সমাজ দিবস।
(খ) নৌ বাহিনী দিবস। (আর্জেন্টিনা)
(গ) বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস। (আন্তর্জাতিক)

আজ যাদের জন্মদিন—-

১৬৮২ – বার্থোলুমিউ রবার্টস, ওয়েলশ জলদস্যু।  .
১৭৪৯ – এডওয়ার্ড জেনার, ইংরেজ চিকিৎসক এবং বৈজ্ঞানিক,গুটিবসন্ত রোগের ভ্যাকসিন আবিস্কারের পথিকৃৎ।

১৮৪৫ – জ্যাসিন্ট ভার্ডাগুয়ের, কাতালান কবিদের মধ্যে অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবি।
১৮৭৩ – ফরাসি চিন্তাবিদ ও গবেষক অঁরি বারব্যুস।
১৮৮৩ – পারসিক ও স্বাধীনতা সংগ্রামী খুরশেদ ফ্রানজি নরিন।
১৮৮৬ – স্পেনের ত্রয়োদশ আলফনসো, স্পেনের রাজা।

১৮৮৮ – টিচ ফ্রিম্যান, ইংলিশ ক্রিকেটার।
১৮৯৭ – (ক)  নোবেল বিজয়ী (১৯৬৯) নরওয়েজীয় ভৌতরসায়নবিদ ওড হাজেল।

(খ) রবীন্দ্রনাথের স্নেহধন্যা বিশিষ্ট গায়িকা সাহানা দেবী।
১৯০০ – আয়াতুল্লা রুহেল্লা খোমিনী, ইরানের ধর্মগুরু।
১৯৩২ – পিটার বার্জ, বিখ্যাত অস্ট্রেলীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার।
১৯৩৬ – ডেনিস হপার, মার্কিন অভিনেতা, চলচ্চিত্র নির্মাতা, আলোকচিত্রী ও চিত্রশিল্পী।
১৯৪০ – এলান কে, মার্কিন কম্পিউটার বিজ্ঞানী।
১৯৪৫ – ভাগবত চন্দ্রশেখর, ভারতীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার।
১৯৫১ – পঙ্কজ উদাস, ভারতীয় সঙ্গীতশিল্পী।
১৯৬৭ – মোহাম্মদ নাশিদ, মালদ্বীপের প্রথম প্রেসিডেন্ট।
১৯৮২ – রেইকো নাকামুরা, জাপানি অলিম্পিক ও এশীয় রেকর্ড-ধারী সাঁতারু।

ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনের ঘটনাবলী—-

১৫৪০ – শেরশাহ কনৌজের যুদ্ধে হুমায়ুনকে পরাজিত করেন।
১৭৭৫ – ব্রিটিশ ও মারাঠা বাহিনীর মধ্যে আরারের যুদ্ধ সংঘটিত হয়।
১৮৮১ – নিউ টেস্টামেন্টের পরিমার্জিত সংস্করণ ছাড়া হয়।
১৯০০ – এল ফ্রাঙ্ক বম রচিত কিশোর কাল্পনিক উপন্যাস দ্য ওয়ান্ডারফুল উইজার্ড অব অজ প্রকাশিত হয়।
১৯২০ – বিশ্বের প্রথম যাত্রীবাহী বিমান KLM চলাচল শুরু করে।
১৯৮১ – শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস।
১৯৯৮ – ভারতে কেনিয়াকে হারিয়ে বাংলাদেশ পেয়েছিল ওয়ানডেতে প্রথম জয়ের দেখা।
১৯৯৯ – বিশ্বকাপ ক্রিকেটে বাংলাদেশের অভিষেক হয়।
২০১৯ – আয়ারল্যান্ডের ডাবলিন শহরের মালাহাইডে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে প্রথম কোনো আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে শিরোপার স্বাদ পায় বাংলাদেশ।

এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন যারা—-

১৭২৭ – রাশিয়ার সম্রাজ্ঞী প্রথম ক্যাথারিন।
১৮৭০ – রাধানাথ শিকদার,ভারতীয় বাঙালি গণিতজ্ঞ ও মাউন্ট এভারেস্ট- এর উচ্চতা নিরূপণকারী ও আবিষ্কারক।
১৯১৩ – দ্বিজেন্দ্রলাল রায়, বাঙালি কবি, গীতিকার ও নাট্যকার।
১৯৫৪ – নৃত্যশিল্পী বুলবুল চৌধুরী (রশীদ আহমদ চৌধুরী)।
১৯৬৫ – বিশিষ্ট বিপ্লববাদী উল্লাসকর দত্ত।
১৯৮৭ – কার্ল গুনার মিরদাল, নোবেলজয়ী সুইডিশ অর্থনীতিবিদ ও সমাজবিজ্ঞানী।
২০১৩ – হোর্হে রাফায়েল বিদেলা, আর্জেন্টিনার প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি।
২০১৪ – জেরাল্ড এডেলম্যান, মার্কিন জীববিজ্ঞানী৷

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This
Categories
রিভিউ

জীবণ বদলে দেওয়া স্বামী বিবেকানন্দের সেরা কিছু উক্তি।।।

আত্ম-উপলব্ধিতে স্বামী বিবেকানন্দের সেরা উক্তি

“আপনাকে ভিতর থেকে বাড়াতে হবে। কেউ আপনাকে শিক্ষা দিতে পারে না, কেউ আপনাকে আধ্যাত্মিক করতে পারে না। তোমার আত্মা ছাড়া আর কোন শিক্ষক নেই।”

“যত বেশি আমরা বাইরে আসি এবং অন্যদের ভাল করি, আমাদের হৃদয় তত বেশি পরিশুদ্ধ হবে।”

“ওঠো, জাগো, লক্ষ্যে না পৌঁছানো পর্যন্ত থামো না।”
“মহাবিশ্বের সমস্ত শক্তি ইতিমধ্যে আমাদের। আমরাই চোখের সামনে হাত রেখে কাঁদি যে অন্ধকার।”
“সর্বশ্রেষ্ঠ ধর্ম হল আপনার প্রকৃতির প্রতি সত্য হওয়া। নিজের প্রতি বিশ্বাস রাখুন।”
“হৃদয় এবং মস্তিষ্কের মধ্যে দ্বন্দ্বে, আপনার হৃদয়কে অনুসরণ করুন।”
“আগুন যে আমাদের উষ্ণ করে তা আমাদের গ্রাস করতে পারে; এটা আগুনের দোষ নয়।”
“সত্য হাজার ভিন্ন উপায়ে বলা যেতে পারে, তবুও প্রতিটি সত্য হতে পারে।”
“পৃথিবী হল একটি মহান জিমনেসিয়াম যেখানে আমরা নিজেদেরকে শক্তিশালী করতে এসেছি।”
“প্রত্যেক আত্মা সম্ভাব্য ঐশ্বরিক। লক্ষ্য হল প্রকৃতি, বাহ্যিক এবং অভ্যন্তরীণ নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে এই দেবত্বকে প্রকাশ করা।”
শিক্ষা এবং জ্ঞানের উপর স্বামী বিবেকানন্দের সেরা উক্তি
“শিক্ষা হল মানুষের মধ্যে ইতিমধ্যেই পরিপূর্ণতার প্রকাশ।”
“শিক্ষার সারমর্ম হল মনের একাগ্রতা, তথ্য সংগ্রহ নয়।”
“জগৎ যে সব জ্ঞান পেয়েছে তা মন থেকে আসে; মহাবিশ্বের অসীম গ্রন্থাগার আমাদের মনের মধ্যে রয়েছে।”
“সমস্ত শিক্ষা, সমস্ত প্রশিক্ষণের সমাপ্তি হওয়া উচিত মানুষ তৈরি করা।”
“আমরা চাই সেই শিক্ষা যার দ্বারা চরিত্র গঠন হয়, মনের শক্তি বৃদ্ধি পায়, বুদ্ধির প্রসার ঘটে এবং যার দ্বারা কেউ নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারে।”
“শিক্ষার প্রাথমিক লক্ষ্য হওয়া উচিত জীবন-নির্মাণ, মানুষ তৈরি করা, চরিত্র তৈরি করা ধারণার আত্তীকরণ।”
“বই সংখ্যায় অসীম এবং সময় কম; অতএব, জ্ঞানের রহস্য হল যা প্রয়োজনীয় তা গ্রহণ করা।”
“একমাত্র প্রকৃত শিক্ষক তিনিই যিনি অবিলম্বে ছাত্রের স্তরে নেমে আসতে পারেন।”
“আমরা যা চাই তা হল বেদান্তের সাথে পাশ্চাত্য বিজ্ঞান, ব্রহ্মচর্যকে পথনির্দেশক নীতিমালা, এবং শ্রাদ্ধ এবং নিজের নিজের প্রতি বিশ্বাস।”
“প্রকৃত শিক্ষা সেটাই যা একজনকে নিজের পায়ে দাঁড়াতে সক্ষম করে।”
সফলতার উপর স্বামী বিবেকানন্দের সেরা উক্তি
“একটা ধারণা নিন। সেই একটি ধারণাটিকেই আপনার জীবন তৈরি করুন – এটি ভাবুন, এটির স্বপ্ন দেখুন, সেই ধারণাটি নিয়ে বাঁচুন।
“সত্যিকারের সাফল্যের, সত্যিকারের সুখের মহান রহস্য হল: যে পুরুষ বা মহিলা কোন ফেরত চায় না।”
“কিছুতেই ভয় পেও না। আপনি অসাধারণ কাজ করবেন। নির্ভীকতাই এক মুহূর্তের মধ্যে স্বর্গ নিয়ে আসে।”
“শক্তিই জীবন, দুর্বলতাই মৃত্যু। সম্প্রসারণই জীবন, সংকোচনই মৃত্যু। প্রেমই জীবন, ঘৃণাই মৃত্যু।”
“আমাদের চিন্তা আমাদের তৈরি করেছে আমরা তাই; তাই আপনি কি মনে করেন সে বিষয়ে যত্ন নিন। শব্দগুলো গৌণ। চিন্তা বেঁচে থাকে; তারা অনেক দূর ভ্রমণ করে।”
“কারো বা কিছুর জন্য অপেক্ষা করবেন না। যা পারেন তাই করুন। কারো উপর আপনার আশা গড়ে তুলবেন না।”
“বিশ্ব তার গোপনীয়তা ত্যাগ করতে প্রস্তুত যদি আমরা কেবল জানি কীভাবে নক করতে হয়, কীভাবে প্রয়োজনীয় আঘাত দিতে হয়। আঘাতের শক্তি এবং শক্তি একাগ্রতার মাধ্যমে আসে।”
“বিশুদ্ধতা, ধৈর্য এবং অধ্যবসায় সাফল্যের জন্য তিনটি অপরিহার্য এবং সর্বোপরি ভালবাসা।”
“অস্তিত্বের সম্পূর্ণ রহস্য হল কোন ভয় নেই। আপনার কী হবে তা কখনও ভয় করবেন না, কারও উপর নির্ভর করবেন না।”
“দাঁড়াও, সাহসী হও, শক্তিশালী হও। আপনার নিজের কাঁধে পুরো দায়িত্ব নিন এবং জেনে রাখুন যে আপনি নিজের ভাগ্যের স্রষ্টা।”
যুবকদের জন্য স্বামী বিবেকানন্দের সেরা উক্তি
“ওঠো, জাগো, লক্ষ্যে না পৌঁছানো পর্যন্ত থামো না।”
“আমার বিশ্বাস তরুণ প্রজন্ম, আধুনিক প্রজন্ম, তাদের মধ্য থেকে আমার কর্মীরা আসবে!”
“দিনে একবার নিজের সাথে কথা বলুন, অন্যথায়, আপনি এই বিশ্বের একজন দুর্দান্ত ব্যক্তির সাথে দেখা মিস করতে পারেন।”
“পৃথিবী বীরদের দ্বারা উপভোগ করা হয় – এটি অক্ষয় সত্য। এখনও বিক্রয়ের জন্য. সর্বদা বল, ‘আমার কোন ভয় নেই।’
“এখনও বিক্রয়ের জন্য. সর্বদা বল, ‘আমার কোন ভয় নেই।’ সবাইকে বলুন- ‘ভয় নেই’।
“খ্রীষ্টের মত অনুভব করুন এবং আপনি একজন খ্রীষ্ট হবেন; বুদ্ধের মতো অনুভব করুন এবং আপনি বুদ্ধ হবেন।”
“শক্তি হ’ল শক্তির চিহ্ন, জীবনের চিহ্ন, আশার চিহ্ন, স্বাস্থ্যের চিহ্ন এবং যা কিছু ভাল তার চিহ্ন।”
“দুর্বলতার প্রতিকার হল দূর্বলতার উপর চিন্তা করা নয়, বরং শক্তির চিন্তা করা।”
“আপনি ঈশ্বরে বিশ্বাস করতে পারবেন না যতক্ষণ না আপনি নিজেকে বিশ্বাস করেন।”
“যৌবন হল সেরা সময়। আপনি এই সময়কে যেভাবে ব্যবহার করবেন তা আপনার সামনে থাকা আগামী বছরগুলির প্রকৃতি নির্ধারণ করবে।”

।। সংগৃহীত ইন্টারনেট উইকিপিডিয়া।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

আজ ১৬ মে, ইতিহাসের দিকে চোখ বুলিয়ে দেখে নেব ইতিহাসের এই দিনে বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু, দিনসহ ঘটে যাওয়া ঘটনা।।।।

আজ ১৬ মে। এক নজরে দেখে নিই ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু দিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

দিবস—–

(ক) ফারাক্কা লং মার্চ দিবস৷

আজ যাদের জন্মদিন—-

১৮২১ – পাফনুতি লভোভিচ চেবিশেভ, রুশ গণিতবিদ এবং গণিতের সেন্ট পিটার্সবার্গ ঘরানার প্রতিষ্ঠাতা।

১৮২৩ – হের্মান স্টাইন্‌টল, জার্মান ভাষাতাত্ত্বিক ও দার্শনিক।

১৮৩১ – বাংলার নাট্যোৎসাহী,শিল্প-কলা, মানব দরদী ব্যক্তিত্ব মহারাজা বাহাদুর স্যার যতীন্দ্রমোহন ঠাকুর।
১৮৩১ – ডেভিড এডওয়ার্ড হিউজ, টেলি প্রিন্টার ও মাইক্রোফোনের উদ্ভাবক।

১৮৮৩ – জালাল বায়ার, একজন তুর্কি রাজনীতিবিদ ও তুরস্কের ৩য় রাষ্ট্রপতি।
১৮৯৮ – কেনজি মিজোগুচি, জাপানী চলচ্চিত্র পরিচালক এবং চিত্রনাট্যকার।

১৯০৫ – হেনরি ফন্ডা, আমেরিকান অভিনেতা।
১৯০৬ – আর্নি ম্যাককরমিক, অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার।
১৯১৮ – হুয়ান রুলফোর, মেক্সিকান কথাসাহিত্যিক।
১৯২৩ – ভিক্টোরিয়া ফ্রমকিন, আমেরিকান ভাষাবিদ, ইউসিএলএ-র অধ্যাপক।
১৯২৩ – মার্টন মিলার, আমেরিকান অর্থনীতিবিদ।।
১৯৩৮ – আইভান এডওয়ার্ড সাদারল্যান্ড, মার্কিন কম্পিউটার বিজ্ঞানী।
১৯৫০ – ইয়োহান গেয়র্গ বেডনৎর্স, নোবেলজয়ী জার্মান বিজ্ঞানী।
১৯৫৩ – পিয়ার্স ব্রসনান, আইরিশ চলচ্চিত্র অভিনেতা, নিমার্তা ও পরিবেশবাদী।
১৯৭০ – গ্যাব্রিয়েলা সাবাতিনি, আর্জেন্টিনার টেনিস খেলোয়াড়।
১৯৭২ – ম্যাথু হার্ট, নিউজিল্যান্ডীয় সাবেক আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার।
১৯৭৬ – ডার্ক নানেস, অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটার।
১৯৮৬ – মেগান ফক্স, আমেরিকান অভিনেত্রী।

ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনের ঘটনাবলী—-

১৫০২ – ক্রিস্টোফার কলম্বাস দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ট্রুজিল্লোতে প্রথম পা রাখেন এবং ঐ এলাকার নাম রাখে হন্ডুরাস।
১৫৩২ – ইংল্যান্ডের লর্ড চ্যানসেলর পদ থেকে স্যার টমাস মুর পদত্যাগ করেন।
১৮২২ – গ্রিসের স্বাধীনতা যুদ্ধে তুরষ্ক গৃসের সৌলি শহর দখল করে নেয়।
১৮৭৪ – মিল নদীর ভয়াবহ বন্যায় ম্যাসাচুসেটসের ৪টি গ্রাম বিধ্বস্ত হয়ে যায় এবং প্রায় ১৩৯ জনের প্রাণহানি ঘটে।
১৮৮১ – বার্লিনের কাছে বিশ্বের প্রথম বৈদ্যুতিক ট্রাম সার্ভিস চালু হয়।
১৮৯০ – ব্রাহ্ম মহিলা সমাজের উদ্যোগে কলকাতায় ব্রাক্ষবালিকা বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯১৬ – উসমানীয় সাম্রাজ্যের ভাগাভাগি নিয়ে যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সের মধ্যে গোপন সাইকস-পিকট চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
১৯২০ – ফ্রান্সের স্বাধীনতা যুদ্ধের বীর নারী জোয়ান ডি আর্ক-কে রোমে পোপ পঞ্চদশ বেনেডিক্ট ক্যানোনাইজের মাধ্যমে সেইন্ট হিসেবে ভূষিত করেন।
১৯২৯ – হলিউডে প্রথম চলচ্চিত্রে একাডেমি পুরস্কার বা অস্কার পুরস্কার চালু হয়।
১৯৩২ – জাপানের প্রধানমন্ত্রী তসুশি ইনুকাই টোকিওতে আততায়ীর হাতে নিহত।
১৯৪৫ – জার্মান নাৎসি বাহিনী অবলুপ্ত ঘোষণা করা হয়।
১৯৪৬ – ব্রিটিশ কেবিনেট মিশনে ভারত বিভক্তির প্রস্তাব।
১৯৬১ – জেনারেল পার্ক চুংহির নেতৃত্বে দ. কোরিয়ার সামরিক অভ্যুত্থান।
১৯৬৯ – সোভিয়েত নভোযান ভেনাস-৫ শুক্রপৃষ্ঠে অবতরণ করে।
১৯৭৪ – বাংলাদেশ-ভারত যুক্ত ঘোষণা স্বাক্ষর। বেরুবাড়ি ভারতের এবং দহগ্রাম, আসালং লাঠিটিলা ও পাথুরিয়া বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্ত।
১৯৭৪ – জোসিপ টিটো দ্বিতীয়বারের মতো সমাজতান্ত্রিত যুগোশ্লাভিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। এবার তিনি আজীবনের জন্য ম্যান্ডেট পান।
১৯৭৫ – সিকিম ভারতের ২২তম রাজ্য হিসাবে ভারতে অন্তর্ভুক্ত হয়।
১৯৭৬ – মাওলানা হামিদ খান ভাসানী ফারাক্কা বাঁধ নির্মাণের প্রতিবাদে ঐতিহাসিক লং মার্চে নেতৃত্ব দেন।
১৯৮৬ – সৌরজতের অভ্যন্তরভাগে শেষবারের মত দেখা যায় হ্যালির ধূমকেতু।
১৯৯১ – ইরানের প্রেসিডেন্ট খাতামির সৌদি সফর। ২০ বছরের মধ্যে এই প্রথম কোনো ইরানি প্রেসিডেন্টের সৌদি সফর।
২০০৭ – নিকোলাই সারকোজি ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন।

এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন যারা—-

১৭০৩ – শার্ল পেরো, ফরাসি কবি, সমালোচক, পণ্ডিত, রূপকথার লেখক।

১৮৩০ – জোসেফ ফুরিয়ে, প্রখ্যাত ফরাসি গণিতবিদ।

১৯২৬ – ষষ্ঠ মুহাম্মদ, উসমানীয় খলিফা এবং সর্বশেষ উসমানীয় সুলতান।

১৯৪৭ – ফ্রেডরিখ গোল্যান্ড হপকিন্স, ইংরেজ প্রাণরসায়নবিদ এবং চিকিৎসাবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী।
১৯৫৪ – প্রখ্যাত নৈয়ায়িক চন্ডীদাস ন্যায়-তর্কতীর্থ, মহামহোপাধ্যায়।
১৯৬৫ – প্রখ্যাত বাঙালি সাংবাদিক ও সম্পাদক কেদারনাথ চট্টোপাধ্যায়।
১৯৭৭ – মালির প্রথম প্রেসিডেন্ট মোদিবো কেইটা।
১৯৯৪ – ফণী মজুমদার, ভারতের অগ্রণী চলচ্চিত্র পরিচালক ও চিত্রনাট্যকার।
২০১৩ – হাইনরিশ রোরার, সুইজারল্যান্ডের নোবেল বিজয়ী পদার্থবিজ্ঞানী।
২০২০ – আজাদ রহমান, বাংলাদেশের বরেণ্য সংগীতজ্ঞ ও সংগীত পরিচালক।
২০২১ – অঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রখ্যাত বাঙালি সাংবাদিক।

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

আজ আন্তর্জাতিক পরিবার দিবস, জানুন কেন পালিত হয় এবং দিনটির গুরুত্ব।।।।

আজ ১৫ মে আন্তর্জাতিক পরিবার দিবস। ১৯৯৩ সালের ২০ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রসংঘ সাধারণ পরিষদের এক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১৫ মে আন্তর্জাতিক পরিবার দিবস হিসেবে ঘোষিত হয়। রাষ্ট্রসংঘ ১৯৯৪ সালকে আন্তর্জাতিক পরিবার বর্ষ ঘোষণা করেছিল। সমাজ ও ব্যক্তি জীবনে একটি পরিবারের ভূমিকা কি তা আমরা সকালেই জানি।

একটি শিশুর বেড়ে ওঠা থেকে জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপে পরিবারের ভূমিকা অনস্বীকার্য। পরিবার এমন একটি সমাজিক বন্ধন যা একটি ব্যক্তিকে জীবনের চলার পথে সমূহ ঝড় ঝঞ্ঝা প্রতিহত করতে সহযোগিতা করে। তাই এ ক্ষেত্রে যৌথ পরিবারের ভূমিকা আরো বেশী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। কারন সুখে দুঃখে সকলকে একসঙ্গে না হোক কাউকে না কাউকে পাশে পাওয়া যায়। নিজেদের সুখ দুঃক্ষ গুলো ভাগ করে নেওয়া যায়। কিন্তু দুক্ষের বিষয় হলো এই যে যতো দিন যাচ্ছে ততই ক্ষুদ্র থেকে ক্ষুদ্র হচ্ছে পরিবার। কর্মের আর ব্যস্ততার দোহাই দিয়ে আমরা নিজেদের ক্রমেই ভাগে ভাগে ভাগ করে নিচ্ছি। বঞ্চিত হচ্ছি, পরিবারের ছোটদের কিংবা নব প্রজন্ম কে বঞ্চিত করছি যৌথ পরিবারের আসল সুখ থেকে।
কিন্তু বর্তমান প্রেক্ষাপটে মনে হচ্ছে একান্নবর্তী কিংবা যৌথ পরিবারের ধারণা যেন এখন ‘সেকেলে’ হয়ে গেছে। বিশেষ করে, শহুরে জীবন ব্যবস্থায় এই ব্যাপারটি চরম আকার ধারণ করেছে। আমরা যেন ছুটে চলেছি সুখ নামক এক অসুখের পেছনে। একা থাকব একা পরব, আমি আমার সন্তান আমার বৌ এই যেন একটা গন্ডি তৈরি করছি সকলে। কিন্তু ভুলে যাচ্ছি প্রকৃত সুখ কি সেটা ভাবতে বা বুঝতে। যৌথ পরিবারে হয়তো মতগত বিভিন্ন পার্থক্য থাকে, আর এটাই সভাবিক। কিন্তু যৌথ বা একান্নবর্তি পরিবারের মধ্যে যে সুযোগ সুবিধা গুলো থাকে সেটাও আমাদের ভাবতে হবে। কিন্তু দিন দিন জেনে আমরা সেই ভাবনা থেকে সরে আসছি। এর ফলও ভুক্তে হচ্ছে ক্ষুদ্র পরিবার গুলোকে। হঠাৎ অসুখ বিসুখ, বিপদে আপদে বা বিপর্যয়ে সেই সমস্যা গুলো প্রকট হয়ে ওঠে। আমরা বুঝি না প্রতিটা অনু পরিবারও একদিন বড় হবে। সন্তান বড় হবে, তার বিয়ে হবে, তার সন্তান হবে এই ভাবেই। আর, আমরা কেবল ভাংতেই আছি!!
আমরা জানি পরিবার মানেই হচ্ছে মা, বাবা, ভাই, বোন, দাদা, দিদি, দাদু, দিদা, কাকা, কাকি সবাইকে নিয়ে একসঙ্গে বসবাস। আমাদের সমাজব্যবস্থায় পরিবারের এই ধারণা প্রচলিত অতীত থেকেই। কিন্তু দিন যতোই যাচ্ছে, আমরা যেন ততোই এই ধারণা থেকে বেরিয়ে আসছি। যেন ক্রমেই ‘স্বামী-স্ত্রী-সন্তানে’ই সীমাবদ্ধ করে ফেলছি আমরা পরিবারকে। সেখানে মা-বাবা কিংবা দাদা-দাদীর কোন স্থান নেই। মা-বাবাকে হয়তো গ্রামের বাড়িতে কাটাতে হচ্ছে নিঃসঙ্গ-অসহায় জীবন। আবার অনেক মা-বাবার ঠিকানা হচ্ছে ‘বৃদ্ধাশ্রম’। এর থেকে বড় যান্ত্রনার অর কি হতে পারে ! অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে একান্নবর্তী কিংবা যৌথ পরিবারের ধারণা যেন এখন ‘সেকেলে’ হয়ে গেছে। বিশেষ করে, শহুরে জীবন ব্যবস্থায় এই ব্যাপারটি চরম আকার ধারণ করেছে। রক্তের বন্ধন মানেই পারিবারিক বন্ধন। পরিবারের সকল সদস্যের মধ্যে অকৃত্রিম সুসম্পর্ক গড়ে তোলা এবং তা অটুট রাখা আমাদের সকলের নৈতিক দায়িত্ব। আমাদের চিরায়ত সমাজ ব্যবস্থায় সুন্দর জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ শর্ত হচ্ছে, সুন্দর পারিবারিক বন্ধন। পরিবারের সকল সদস্যের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক বন্ধুর মতো হলে পারিবারিক নানা জটিল সমস্যা ও মোকাবেলা করা যায়। সকলের এগিয়ে চলার পথ হয় মসৃণ। তাই যৌথ পরিবারের ঐতিহ্য ধরে রাখার মানসিকতা সৃষ্টির লক্ষে দিবসটি পালিত হচ্ছে।
তবে সুপ্রাচীন কাল থেকে যে যৌথ পরিবারে চিত্র সারাবাংলা জুড়ে ছিল এখন তা অনেকটাই ম্লান। শহুরে জীবনে অনেক আগেই বিলীন হয়েছে যৌথ পরিবারের চিত্র। আগে গ্রামে কিছু যৌথ পরিবার দেখা গেলেও এখন তাও নেই। কেউ ইচ্ছে করে কিংবা কেউ কর্মের তাগিদে ভেঙে দিচ্ছে যৌথ পরিবারের ধারনা গুলো। বংশ মর্যাদা এমনকি ঐতিহ্যের পরিবারেও বিলীন একত্রে বাস করার ইতিহাস। যা দেখতে এক সময় মনুষ অভ্যস্থ ছিল তা এখন স্বপনের মতন। হয়তো সিনেমার পর্দায় কেবল ভেসে ওঠবে গল্পের মতো অতিতের ইতিহাস।
নৃবিজ্ঞানী ম্যালিনোস্কির মতে – “পরিবার হল একটি গোষ্ঠী বা সংগঠন আর বিবাহ হল সন্তান উৎপাদন ও পালনের একটি চুক্তি মাত্র”। সামনার ও কেলারের মতে- ‘পরিবার হল ক্ষুদ্র সামাজিক সংগঠন, যা কমপক্ষে দু’ পুরুষকাল পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে”- এ সংজ্ঞার প্রেক্ষিতে বোঝা যায়, বিবাহপ্রথার আগেও সমাজে পরিবারের সৃষ্টি হয়েছিল- কারণ এ সম্পর্কে আবদ্ধ হওয়ার আগে থেকেই মানুষ দলবদ্ধ জীবনযাত্রা করত যা পারিবারিক জীবনযাপনের স্বাক্ষরবহ। তবে বিভিন্ন সমাজে বিভিন্ন সংস্কৃতির পরিবারের ভূমিকা ভিন্ন ভিন্ন ভাবে পরিলক্ষিত হয়। এর উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হচ্ছে বৈচিত্র্যপূর্ণ নানামুখী ধারা যে কারণে ইতিহাসের ধারাবাহিকতায় সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতি পরিবর্তনের সঙ্গে এর গঠন ও অন্যান্য অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে এবং হচ্ছে। যে শিশুটি ভবিষ্যতের নাগরিক, তার মনোজগত প্রস্তুত হয় পরিবারে। পরিবারের ধারা কেমন, কী ধরনের প্রথা-রীতিনীতি, এ সবের উপর ভিত্তি করে তার জীবনভঙ্গি গড়ে ওঠে। তাই শিশুর সুষ্ঠু পারিবারিক শিক্ষা শৈশব তথা শিশুর মন তথা সাদা কাগজের পাতায় যে ছাপ রাখে, তা ওর পরবর্তী জীবনে অসাধারণ ভূমিকা রাখে। তাই রাষ্ট্র পরিচালনায় যেমন কিছু সংবিধান আছে তেমনি পারিবারিক সংবিধানও থাকা দরকার। যেমন পরিবারের সবার সঙ্গে সদ্ভাব গড়ে তোলা, সাংসারিক শৃঙ্খলা বজায় রাখা, মিথ্যে না বলা, গুরুজনদের শ্রদ্ধা করা, নির্দিষ্ট সময়ে ঘরে ফেরা, নিজের কাজ নিজে সম্পন্ন করা, মিথ্যেকে ঘৃণা করা এবং মানবিক মূল্যবোধগুলোর চর্চার মাধ্যমে অন্তরকে বিকশিত করা। সমাজবিজ্ঞানীদের মতে, আমাদের সমাজে প্রচলিত যৌথ পরিবারে পারস্পরিক সম্প্রীতি গভীর হয়, অটুট থাকে। অসুখ বিসুখসহ নানা সমস্যায় একে অন্যের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়। এতে অনেক বড় সমস্যাও সমাধান হয়ে যায় অতি সহজে। সময়ের তাগিদে যৌথ পরিবার কিংবা পারিবারিক বন্ধন অটুট রাখার বিষয়টি যখন এই সমাজে ক্রমান্বয়ে গুরুত্বহীন হয়ে উঠছে, ঠিক সেই মুহূর্তে আজকের এই আন্তর্জাতিক পরিবার দিবস পালনের গুরুত্ব অপরিসীম। আসুন আমরা সেই ভাবনাকে বুকে নিয়ে আবার একি সূত্রে আবদ্ধ হই ।

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This