Categories
রিভিউ

আজ ১৫ মে, ইতিহাসের দিকে চোখ বুলিয়ে দেখে নেব ইতিহাসের এই দিনে বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু, দিনসহ ঘটে যাওয়া ঘটনা।।।।

আজ ১৫ মে। এক নজরে দেখে নিই ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু দিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।
দিবস—–

(ক) আন্তর্জাতিক পরিবার দিবস।

আজ যাদের জন্মদিন—- .

১৭৭৩ – ক্লেমেন্স ভন মেটরনিখ, জার্মান-অস্ট্রিয়ান রাজনীতিবিদ, রাষ্ট্রনায়ক এবং তার যুগের একজন গুরুত্বপূর্ণ কূটনীতিক।  .
১৭৮৬ – জেনারেল ডিমিট্রিস প্লাপাউটিস, গ্রিসের স্বাধীনতা যুদ্ধের মহান বিপ্লবী সেনানায়ক।

১৮১৭ – দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর, ভারতের ধর্মীয় সংস্কারক; রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পিতা।
১৮৪৮ – ভিক্টর ভাসনেতসভ, রুশ চিত্রশিল্পী।
১৮৫৬ – এল ফ্রাঙ্ক বাম, মার্কিন লেখক।
১৮৫৭ – উইলিয়ামিনা ফ্লেমিং, স্কটল্যান্ডীয় জ্যোতির্বিজ্ঞানী।

১৮৫৯ – পিয়েরে কুরি, নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ফরাসি পদার্থবিজ্ঞানী।
১৮৬২ – আর্থার শ্নিজলার, অস্ট্রীয় নাট্যকার।
১৮৯০ – ক্যাথেরিন অ্যান পোর্টার, মার্কিন লেখক।
১৮৯১ – মিখাইল বুলগাকভ, রুশ লেখক।
১৮৯২ – জিমি ওয়াইল্ড, মুষ্টিযোদ্ধা ।
১৮৯৫ – প্রেসকট বুশ, মার্কিন সিনেটর এবং জর্জ ডব্লিউ বুশের পিতামহ।

১৮৯৫ – উইলিয়াম ডি বায়রন, মার্কিন কংগ্রেসম্যান।
১৮৯৮ – আর্লেট্টি ফরাসি মডেল এবং অভিনয়শিল্পী।
১৮৯৯ – জিন ইটিন্নি ভ্যালুই, ফরাসি জেনারেল।
১৯০২ – রিচার্ড ডি ডেলেই, শিকাগোর মেয়র।
১৯০৩ – মারিয়া রাইখ, জার্মান বংশোদ্ভূত গণিতবিদ এবং প্রত্নতত্ত্ববিদ।
১৯০৫ – (ক)  ভারতীয় বাঙালি লেখক ও সাহিত্যিক শ্যামলকৃষ্ণ ঘোষ।
(খ) জোসেফ কটেন, মার্কিন অভিনেতা।
১৯০৭ – সুখদেব থাপার, ভারতীয় মুক্তিযোদ্ধা।
১৯০৯ – জেমস মেসন, ইংরেজ অভিনেতা।
১৯১৫ – পল স্যামুয়েলসন, বিখ্যাত মার্কিন অর্থনীতিবিদ ও আধুনিক অর্থনীতির জনক।
১৯১৫ – চারু মজুমদার, ভারতীয় বিপ্লবীনেতা।
১৯৩২ – প্রখ্যাত রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী সাগর সেন ।
১৯৩৫ – টেড ডেক্সটার, বিখ্যাত ইংরেজ ক্রিকেটার।
১৯৬৭ – মাধুরী দীক্ষিত, প্রখ্যাত ভারতীয় চলচ্চিত্র অভিনেত্রী।
১৯৮১ – প্যাট্রিস এভরা, ফরাসি-সেনেগালীয় আন্তর্জাতিক ফুটবলার।

ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনের ঘটনাবলী—-

১০০৪ – দ্বিতীয় হেনরি ইতালির রাজা হিসেবে অভিষিক্ত।
১৬২৫ – অস্ট্রিয়ায় ১৬ বিদ্রোহী কৃষকের ফাঁসি হয়।
১৭৭৬ – প্রথম বাষ্প চালিত জাহাজ বানানো হয়েছিলো।
১৮১৮ – বাংলা ভাষার প্রথম সংবাদপত্র বেঙ্গল গেজেট প্রকাশিত হয়।
১৯৫১ – দৈনিক সংবাদ-এর আত্মপ্রকাশ।
১৯৫৪ – আদমজি মিলে বাঙালি-অবাঙালি দাঙ্গা। সরকারি হিসাবে নিহত ৪০০, বেসরকারি মতে ৬০০।
১৯৬০ – কঙ্গো প্রজাতন্ত্র স্বাধীন হয়।
১৯৭২ – বাংলাদেশকে স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয় ব্রাজিল।
১৯৮৮ – আফগানিস্তান থেকে সোভিয়েত সেনা প্রত্যাহার শুরু।

এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন যারা—-

১১৫৭ – রুশ যুবরাজ ইউরি ডলগোরুক।
১৮৮৬ – মার্কিন নারী কবি এমিলি ডিকিনসন।
১৮৯৪ – ভূদেব মুখোপাধ্যায়, একজন বিশিষ্ট লেখক এবং শিক্ষাবিদ।
১৯৩৬ – স্যার রাজেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়,ভারতের যশস্বী বাঙালী শিল্পপতি।
১৯৯৪ – সুরকার, কণ্ঠশিল্পী ও সঙ্গীত পরিচালক আবদুল আহাদ।
২০২৩ – বাংলা চলচ্চিত্রের মিয়াভাই খ্যাত নায়ক, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও ঢাকা ১৭ আসনের সংসদ সদস্য আকবর হোসেন পাঠান (ফারুক)।

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This
Categories
রিভিউ

আজ ১৪ মে, ইতিহাসের দিকে চোখ বুলিয়ে দেখে নেব ইতিহাসের এই দিনে বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু, দিনসহ ঘটে যাওয়া ঘটনা।।।

আজ ১৪ মে। এক নজরে দেখে নিই ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু দিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

আজ যাদের জন্মদিন—-

১৩১৬ – চতুর্থ চার্লস, পবিত্র রোমান সম্রাট, হাউজ অফ লুক্সেমবার্গ থেকে বোহেমিয়ার দ্বিতীয় রাজা।  .
১৭৭১ – রবার্ট ওয়েন, ব্রিটিশ সমাজ সংস্কারক এবং কল্পলৌকিক সমাজতন্ত্র ও সমবায় আন্দোলনের অন্যতম পথিকৃৎ।

১৮৪৯ – ইন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়, বাঙালি কবি ও সাহিত্যিকে।
১৮৬৩ – জন চার্লস ফিল্ডস, কানাডীয় গণিতবিদ এবং ফিল্ডস পদক এর প্রতিষ্ঠাতা।
১৮৯২ – অগ্নিযুগের বিপ্লবী, যুগান্তর দলের নেতা ও শ্ৰীসরস্বতী প্রেসের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা অরুণ চন্দ্র গুহ।
১৯০০ – কানাডার কবি রবার্ট পিঙ্ক।
১৯০৭ – আইয়ুব খান, পাকিস্তানি সেনাপতি ও রাষ্ট্রপতি।
১৯১০ – কেন ভিলজোয়েন, দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটার।
১৯১০ – নে উইন, বার্মার (বর্তমান – মায়ানমার) বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ ও সামরিক কমান্ডার ছিলেন।
১৯২৩ – মৃণাল সেন, বাঙালী চলচ্চিত্র পরিচালক, চিত্রনাট্যকার এবং লেখক।
১৯৪৪ – জর্জ লুকাস, মার্কিন চলচ্চিত্র পরিচালক ও প্রযোজক।
১৯৪৮ – বব উলমার, আন্তর্জাতিক ইংরেজ ক্রিকেট তারকা, পেশাদার ক্রিকেট কোচ ও ক্রিকেট ধারাভাষ্যকার।
১৯৫২ – রবার্ট জেমেকিস, মার্কিন চলচ্চিত্র পরিচালক, প্রযোজক এবং লেখক।
১৯৫৫ – পিটার কার্স্টেন, সাবেক ও প্রথিতযশা দক্ষিণ আফ্রিকান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার।
১৯৫৯ – কার্লাইল বেস্ট, বার্বাডীয় বংশোদ্ভূত সাবেক ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার।
১৯৬৯ – কেট ব্লানচেট, অস্ট্রেলীয় অভিনেত্রী ও নাট্য নির্দেশক।
১৯৮৩ – তাতেন্দা তাইবু, জিম্বাবুয়ের সাবেক আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার।
১৯৮৪ – মার্ক জাকারবার্গ, জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা।
১৯৮৫ – জ্যাক রাইডার (কুস্তিগির), মার্কিন পেশাদার কুস্তিগির।
১৯৯৩ – মিরান্ডা কসগ্রভ, আমেরিকান অভিনেত্রী এবং গায়িকা।
১৯৯৪ – মারকিনয়োস, ব্রাজিলীয় পেশাদার ফুটবলার।
১৯৯৬ – মার্টিন গ্যারিক্স, ডাচ ডিজে, রেকর্ড প্রযোজক এবং গায়ক।
১৯৯৭ – মানুষী ছিল্লার, ভারতীয় মডেল এবং মিস ওয়ার্ল্ড ২০১৭ এর বিজয়ী।

ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনের ঘটনাবলী—-

১৫৭৫ – এ্যাংগোলা পোর্তুগীজ ঔপনিবেশিক শক্তি দখল করে নেয়।
১৬৪৩ – চতুর্দশ লুই মাত্র চার বছর বয়সে ফ্রান্সের সম্রাট হন।
১৭৯৬ – এডওয়ার্ড জেনার পরীক্ষামূলকভাবে টিকা দানের ক্ষেত্রে সফলতা অর্জন করেন।
১৮১১ – স্পেনের শাসন থেকে প্যারাগুয়ে মুক্তি লাভ করে।
১৮১১ – প্যারাগুয়ের স্বাধীনতা ঘোষণা।
১৮৪২ – ইলাস্ট্রেটেড লন্ডন নিউজ প্রথমবারের মতো প্রকাশিত হয়।
১৮৮৯ – লন্ডনে শিশুদের প্রতি নিষ্ঠুরতা প্রতিরোধ সংস্থার উদ্বোধন হয়।
১৯১৩ – নিউ ইয়র্কের গভর্নর উইলিয়াম সুলজার রকফেলার ফাউন্ডেশনের তহবিল অনুমোদন করেন। যার হিসাব শুরু হয় জন ডি রকফেলারের ১০০ মিলিয়ন ডলার অনুদানের অর্থ দিয়ে।
১৯২৫ – ভার্জিনিয়া উলফ্-এর উপন্যাস ‘মিসেস ডলওয়ে’ প্রকাশিত হয়।
১৯৩৯ – লিনা মেডিনা চিকিৎসা ইতিহাসের সবচেয়ে কনিষ্ঠ মা হিসেবে চিহ্নিত হন। যার বয়স ছিল মাত্র পাঁচ বছর।
১৯৪৮ – সর্বশেষ ব্রিটিশ সেনাদল ফিলিস্তিন ছাড়লে ইজরায়েল স্বাধীন রাষ্ট্রে পরিণত হয়।
১৯৫০ – ওয়ারস চুক্তি স্বাক্ষর।
১৯৫৪ – আদমজী পাটকলে বাঙালী ও অবাঙালী শ্রমিকদের মধ্যে দাঙ্গা সংঘটিত হয়।
১৯৫৫ – সোভিয়েত রাশিয়া ও পূর্ব ইউরোপের সমাজতান্ত্রিক দেশগুলোর মধ্যে ওয়ার শ’ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
১৯৬৫ – চীন তার দ্বিতীয় আণবিক বোমার বিস্ফারণ ঘটায়।
১৯৭৩ – মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক স্কাইল্যাব উৎক্ষেপণ।
১৯৭৬ – ইংল্যান্ডের ক্রীড়ামন্ত্রী রডেশীয় ক্রিকেট দলের ইংল্যান্ড সফর নিষিদ্ধ করেন।
২০১৮ – আয়ারল্যান্ড ক্রিকেটের ইতিহাসে প্রথম টেস্টে তাদের টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে প্রথম শতক করেন কেভিন ও’ব্রায়ান

এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন যারা—-

১৯১২ – অগুস্ত স্ত্রিন্দবারি, সুয়েডীয় নাট্যকার, ঔপন্যাসিক, কবি, প্রাবন্ধিক ও চিত্রশিল্পী।
১৯২৫ – হেনরি রাইডার হ্যাগার্ড, বিখ্যাত ইংরেজ ঔপন্যাসিক।
১৯৪০ – এমা গোল্ডম্যান, নৈরাজ্যবাদী রাশিয়ান লেখক।
১৯৪৩ – অঁরি লা ফোঁতেন, বেলজীয় আইনজীবী এবং আন্তর্জাতিক শান্তি ব্যুরোর প্রধান।

১৯৭২ – প্রভাবতী দেবী সরস্বতী, বাঙালি ঔপন্যাসিক।

১৯৮৭ – রিটা হেওয়ার্থ, মার্কিন অভিনেত্রী ও নর্তকী।

১৯৯৫ – ক্রিস্টিয়ান ব. আনফিন্সেন, মার্কিন প্রাণরসায়নবিদ।
১৯৯৮ – ফ্রাঙ্ক সিনাত্রা, মার্কিন গায়ক ও অভিনেতা।
১৯৯৮ – শওকত ওসমান, বাঙালি কথাসাহিত্যিক এবং প্রাবন্ধিক।
২০০১ – গিল ল্যাংলি, অস্ট্রেলীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তারকা।
২০০৩ – ওয়েন্ডি হিলার, ইংরেজ অভিনেত্রী।

২০২০ – (ক)  আনিসুজ্জামান, বাংলাদেশি শিক্ষাবিদ ও জাতীয় অধ্যাপক।
(খ) ড. খালিদ মাহমুদ, পাকিস্তানি বিচারক ও দেওবন্দি ইসলামি পণ্ডিত।
(গ) দেবেশ রায়, ভারতীয় বাঙালি সাহিত্যিক।
২০২২ – অস্ট্রেলিয়ার সাবেক অলরাউন্ডার অ্যান্ড্রু সাইমন্ডস।

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

বাঙালি কবি, সাহিত্যিক, সাংবাদিক এবং প্রবন্ধকার – রঙ্গলাল বন্দ্যোপাধ্যায় এর প্রয়াণ দিবসে শ্রদ্ধাঞ্জলি।।।।

জন্ম ও পরিবার—— বর্ধমান জেলার কালনার সন্নিকটস্থ হুগলী জেলার বাকুলিয়া নামক গ্রামে মাতুলালয়ে ২১ ডিসেম্বর,১৮২৭ সালে জন্মগ্রহণ করেন রঙ্গলাল বন্দ্যোপাধ্যায়। তার আদি নিবাস বর্তমান হুগলী জেলার গুপ্তিপাড়া সন্নিকটস্থ রামেশ্বরপুর। তার পিতার নাম রামনারায়ণ এবং মাতার নাম হরসুন্দরী দেবী।

পিতা মারা যাবার পরে মাতুলালয়ে লালিত-পালিত হন।রঙ্গলাল বন্দ্যোপাধ্যায় একজন কবি, সাহিত্যিক, সাংবাদিক এবং প্রবন্ধকার ছিলেন।

শিক্ষাজীবন———-

রঙ্গলাল বন্দ্যোপাধ্যায়ের ইংরেজি, সংস্কৃত ও প্রাচীন ওড়িয়া কাব্য ও সাহিত্যে তাঁর জ্ঞান ছিল প্রখর। তিনি বাকুলিয়ার স্থানীয় স্কুল ও মিশনারি স্কুলে শিক্ষা শেষ করার পর কিছুকাল হুগলি মহসিন কলেজে অধ্যয়ন করেন। ।

কর্মজীবন—-—

কবি ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্তের সহায়তায় তিনি সংবাদ প্রভাকর পত্রিকায় সাহিত্য রচনা শুরু করেন। ১৮৫৫ সালে প্রকাশিত এডুকেশন গেজেটের তিনি সহ-সম্পাদক ছিলেন। গদ্য ও পদ্য উভয় ক্ষেত্রেই তাঁর কাজ সে সময়ের এডুকেশন গেজেটে প্রকাশিত হয়েছিল।
১৮৫২ সালে প্রকাশিত ‘মাসিক সংবাদ সাগর’ এবং ১৮৫৬ সালে প্রকাশিত সাপ্তাহিক ‘বার্তাবাহ’ উভয়েরই সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
১৮৬০ সালে, তিনি কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজে ৬ মাস অধ্যাপনার পর আয়কর অ্যাসেসর এবং ডেপুটি কালেক্টর হন। এরপর তিনি ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং ১১ এপ্রিল ১৮৮৪ খ্রিস্টাব্দে অবসর গ্রহণ করেন।

রচনাসমগ্র——

তিনি মূলত স্বদেশপ্রেমিক কবিরূপে বিখ্যাত। তাঁর রচিত কাব্যগ্রন্থের মধ্যে উল্লেখযোগ্য পদ্মিনী উপাখ্যান, কর্মদেবী এবং শূরসুন্দরী।
পদ্মিনী উপাখ্যান (১৮৫৮), কর্মদেবী (১৮৬২), শূরসুন্দরী (১৮৬৮), কাঞ্চীকাবেরী (১৮৭৯), ভেক-মূষিকের যুদ্ধ (১৮৫৮), হোমারের কাব্যের অনুবাদ, নীতি কুসুমাঞ্জলি (১৮৭২)।
মৃত্যু— ১৩ মে, ১৮৮৭ সালে তিনি প্রয়াত হন ।

।। তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

আজ ১৩ মে, ইতিহাসের দিকে চোখ বুলিয়ে দেখে নেব ইতিহাসের এই দিনে বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু, দিনসহ ঘটে যাওয়া ঘটনা।।।।

আজ ১৩ মে। এক নজরে দেখে নিই ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু দিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

আজ যাদের জন্মদিন—-

১২২১ – আলেক্সান্দ্‌র নেভ্‌স্কি, কিয়েভের যুবরাজ।  .
১২৬৫ – ইতালির কবি দান্তে আলিঘিয়েরি।

১৪৮৩ – জার্মান ধর্মীয় নেতা বা সংস্কারক মার্টিন লুথার।
১৭০৭ – ক্যারোলাস লিনিয়াস, একজন চিকিৎসক ও প্রাণীবিজ্ঞানী।
১৮৫৭ – রোনাল্ড রস, একজন নোবেল পুরস্কার বিজয়ী স্কটিশ চিকিৎসক ছিলেন।
১৯০৫ – ফকরুদ্দিন আলি আহমেদ, ভারতের পঞ্চম রাষ্ট্রপতি ।
১৯০৭ – ড্যাফনি দ্যু মারিয়েই, ইংরেজ লেখিকা এবং নাট্যকার।
১৯১৮ – বালাসরস্বতী, ভারতীয় বিখ্যাত নৃত্যশিল্পী।
১৯৩৮ – জিউলিয়ানো আমাতো, ইতালীয় রাজনীতিবিদ।
১৯৩৯ – হার্ভি কাইটেল, আমেরিকান অভিনেতা।
১৯৫১ – ছড়াকার আবু সালেহ।
১৯৬৬ – নিয়াজ মোরশেদ, দাবায় উপমহাদেশের গ্র্যান্ডমাস্টার একজন বাংলাদেশী দাবাড়ু।
১৯৬৭ – ম্যালানি থর্নটন, মার্কিন পপ গায়িকা যিনি জার্মানিতে খ্যাতি অর্জন করেন এবং ইউরো ড্যান্স গ্রুপ লা বাউচির একজন সদস্য।
১৯৭৭ – সামান্থা মর্টন, ইংরেজ অভিনেত্রী, চিত্রনাট্যকার ও পরিচালক।
১৯৭৮ – নুয়ান জয়সা, কলম্বোয় জন্মগ্রহণকারী শ্রীলঙ্কার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার।
১৯৮১ – সানি লিওন, ভারতীয় বংশোদ্ভূত কানাডীয় এবং মার্কিন অভিনেত্রী, ব্যবসায়ী, মডেল এবং প্রাক্তন পর্নোতারকা।
১৯৮৬ – লিনা ডানাম, মার্কিন অভিনেত্রী, লেখিকা, প্রযোজক ও পরিচালক।
১৯৮৬ – রবার্ট প্যাটিনসন, ইংরেজ অভিনেতা।
১৯৮৭ – আন্তোনিও আদান, স্প্যানিশ ফুটবলার।
১৯৯৩ – রোমেলু লুকাকু, বেলজিয়ামের ফুটবলার।

ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনের ঘটনাবলী—-

১৬০৭ – ভার্জিনিয়ার জেমস টাউনে আমেরিকান ভূখণ্ডে ইংরেজদের প্রথম স্থায়ী বসতি স্থাপন।
১৬৩৮ – সম্রাট শাহজাহানের তত্ত্বাবধায়নে দিল্লির লাল কেল্লার নির্মাণ কাজ শুরু হয়।
১৮০৪ – আমেরিকা আক্রমণ থেকে দিরানা শহর পুনরুদ্ধার করার জন্য ত্রিপোলি থেকে ইউসুফ কেরামানলি সৈন্য পাঠান।
১৮৩০ – স্বাধীন প্রজাতন্ত্র হিসাবে ইকুয়েডরের প্রতিষ্ঠা লাভ।
১৮৬১ – পাকিস্তানে (ব্রিটিশ-ভারতের অংশ ছিল) প্রথম রেলপথের উদ্বোধন।
১৯৬৮ – প্যারিসে ভিয়েতনাম শান্তি আলোচনা শুরু।
১৮০৯ – অস্ট্রিয়ার সেনাদলকে পরাভূত করে নেপোলিয়ানের ভিয়েনা দখল।
১৮৪৬ – যুক্তরাষ্ট্র মেক্সিকোর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে।
১৯৬২ – ডা. সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণাণ ভারতের দ্বিতীয় রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেন।
১৯৬৭ – ভারতের তৃতীয় রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেন ড. জাকির হোসেন।
১৯৬৯ – মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে বর্ণবাদ দাঙ্গায় শতাধিক নিহত।
১৯৯১ – নেপালে প্রথম সংসদীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
১৯৯৫ – প্রথম নারী হিসেবে ব্রিটিশ বংশদ্ভূত এলিসন অক্সিজেন ও শেরপা ছাড়াই এভারেস্ট জয় করেন।
২০০০ – ভারতের লারা দত্তের বিশ্বসুন্দরী শিরোপা লাভ

এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন যারা—-

১৮৩৬ – ভারততত্ত্ববিদ স্যার চার্লস উইলকিন্স।
১৮৮৭ – বাঙালি কবি, সাহিত্যিক, সাংবাদিক এবং প্রবন্ধকার রঙ্গলাল বন্দ্যোপাধ্যায়।
১৯৩৮ – শার্ল এদুয়ার গিয়্যোম, ফরাসি-সুইজারল্যান্ডীয় পদার্থবিজ্ঞানী।

১৯৪৭ – সুকান্ত ভট্টাচার্য, বাংলা সাহিত্যের প্রগতিশীল চেতনার কিশোর কবি।

১৯৬১ – গ্যারি কুপার, মার্কিন চলচ্চিত্র অভিনেতা।
১৯৬৩ – সুকুমার সেন,ভারতের প্রথম নির্বাচন কমিশনার ও বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য।
১৯৭৪ – বাংলাদেশে বীমা শিল্পের অন্যতম পথিকৃৎ খুদা বকশ।
১৯৯৭ – সাংবাদিক, কথাসাহিত্যিক বিপ্লব দাশ।
১৯৯৯ – আব্দুল আজিজ ইবনে বায, সৌদি আরবের বিখ্যাত ইসলামী পণ্ডিত এবং সালাফি মতাদর্শের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি।
২০০১ – আর.কে.নারায়ণ প্রখ্যাত ভারতীয় লেখক।
২০০৫ – উৎপলা সেন, প্রখ্যাত বাঙালি গায়িকা ।
২০১১ – বাদল সরকার,আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বাঙালি নাট্যব্যক্তিত্ব।
২০১৯ – ডরিস ডে, মার্কিন চলচ্চিত্র অভিনেত্রী ও সঙ্গীতশিল্পী।

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

ঘুরে আসুন হুগলীর চন্দননগর শহরের কয়েকটি দর্শনীয় ভ্রমণ স্থান।।।।

ঘুরতে কে না ভালোবাসে। বিশেষ করে বাঙালিরা সুযোগ পেলেই বেরিয়ে পড়ে ভ্রমনের নেশায়। কেউ পাহাড়, কেউ সমুদ্র আবার কেউ প্রাচীন ঐতিহাসিক স্থান ভালোবাসে ভ্রমণ করতে। প্রকৃতি কত কিছুই না আমাদের জন্য সাজিয়ে রেখেছে। কতটুকুই বা আমরা দেখেছি। এ বিশাল পৃথিবীতে আমরা অনেক কিছুই দেখিনি। তবে সোশ্যাল মিডিয়ার দুনিয়ায় আজ গোটা পৃথিবীটা হাতের মুঠোয়় এলেও প্রকৃতিকে চাক্ষুষ প্রত্যক্ষ করা এ এক আলাদা রোমাঞ্চ, আলাদা অনুভূতি যার রেষ হৃদয়ের মনিকোঠায় থেকে যায় চিরকাল।।

তাইতো আজও মানুষ বেরিয়ে পড়়ে প্রকৃতির কে গায়ে মেখে রোমাঞ্চিত হওয়ার নেশায়। কেউ চায় বিদেশে ভ্রমণে, আবার কেউ চায় দেশের বিভিন্ন স্থান ভ্রমণে। এমনি এক ভ্রমণ এর জায়গা হলো হুগলি নদীর তীরে অবস্থিত চন্দননগর। এর মনোমুগ্ধকর সৌন্দর্য এবং শান্তিপূর্ণ পরিবেশ আপনাকে মন্ত্রমুগ্ধ রাখতে বাধ্য।চন্দননগর , এটির পূর্ব নাম চন্দেরনাগর এবং ফরাসি নাম চন্দ্রনাগর দ্বারাও পরিচিতভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের হুগলি জেলার একটি শহর। এটি চন্দননগর মহকুমার সদর দফতর এবং এটি কলকাতা মেট্রোপলিটন ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (কেএমডিএ) দ্বারা আচ্ছাদিত এলাকার একটি অংশ। হুগলি নদীর পশ্চিম তীরে অবস্থিত এই শহরটি ফরাসি ভারতের পাঁচটি জনবসতির মধ্যে একটি ছিল । ঔপনিবেশিক বাংলোগুলিতে ইন্দো-ফরাসি স্থাপত্য দেখা যায়, যার বেশিরভাগই জরাজীর্ণ অবস্থায় রয়েছে।।
এই নিবন্ধে আপনি চন্দননগরের নিম্নলিখিত তিনটি জনপ্রিয় ভ্রমণ স্থান সম্পর্কে জানতে পারবেন—
(ক) চন্দননগর স্ট্র্যান্ড।
(খ) চন্দননগর মিউজিয়াম।
(খ) পাতাল বাড়ি।
আসুন এই স্থানগুলির প্রতিটি বিস্তারিতভাবে দেখি…

(ক) চন্দননগর স্ট্র্যান্ড—–
চন্দননগর স্ট্র্যান্ড হল চন্দন নগরের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য এবং সুন্দর ভ্রমণের পথ। চন্দননগর একটি ঐতিহ্যবাহী স্থান। এটি একটি পর্যটন কেন্দ্র হিসেবেও অনেক উন্নত। এই দৌড় ঝাপ ভরা জীবনে একবেলার ছুটি কাটানোর জন্য চলে আসুন চন্দননগর স্ট্যান্ড ঘাটে। পরিবার পরিজনের সঙ্গে বিকেলের আমেজ উপভোগ করার একটি আদর্শ জায়গা এটি।সুন্দর সারির গাছ এবং আলো দ্বারা সারিবদ্ধ দর্শনীয় গঙ্গা নদী, স্ট্র্যান্ডের আকর্ষণের প্রধান কেন্দ্র। সন্ধ্যার সময় পরিবেশটি শান্তিপূর্ণ থাকে, কারণ চারিদিক আলোকিত হয় এবং হালকা বাতাস বয়ে যায় যা জায়গাটিকে আরও ঐশ্বরিক করে তোলে।চন্দননগর স্ট্র্যান্ড পশ্চিমবঙ্গের সবচেয়ে সুন্দর অলঙ্কৃত নদীপথ হিসাবে স্বীকৃত। পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী এলাকায় অসংখ্য রেস্টুরেন্ট রয়েছে।হাওড়া থেকে চন্দননগর যাওয়ার যে কোনো ট্রেনে উঠতে হবে। নামতে হবে চন্দননগর স্টেশনে। স্টেশন থেকে অটো অথবা টোটোর মাধ্যমে আপনি পৌঁছাতে পারেন এই ঘাটে। উনবিংশ শতকের চন্দননগরের এক সম্ভ্রান্ত ব্যবসায়ী দুর্গাচরণ রক্ষিত। তিনিই প্রথম ভারতীয় যিনি ফ্রান্সের ‘লিজিয়ঁ দ্য অনার’ সম্মানে সম্মানিত হয়েছিলেন । তাঁর নামেই এই ফলক । তাই একদিনের ছুটি কাটানোর জন্য বেশি দেরি না করে চলে আসুন চন্দননগর স্ট্যান্ড ঘাটে।

(খ) চন্দননগর মিউজিয়াম–
হুগলি রেলওয়ে স্টেশন থেকে ৭ কিমি দূরে চন্দননগর মিউজিয়াম হল পশ্চিমবঙ্গের হুগলির চন্দননগর শহরতলিতে অবস্থিত একটি পুরাতন জাদুঘর। ডুপ্লেক্স প্যালেস নামেও পরিচিত, এটি পশ্চিমবঙ্গের প্রাচীনতম যাদুঘরগুলির মধ্যে একটি এবং হুগলিতে দেখার জন্য সেরা জায়গাগুলির মধ্যে একটি।
চন্দননগর জাদুঘর বা ইনস্টিটিউট ডি চন্দননগর ডুপ্লেক্স হাউসে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, চন্দননগর প্রদেশের ফরাসি গভর্নরের পূর্ববর্তী সরকারি বাসভবন। ১৯৫১ সালে চন্দননগরের বন্ধের চুক্তির অনুসরণে, ১৯৫২ সালে ভারত সরকার বিদেশ মন্ত্রকের অধীনে ‘মিউজিয়াম অ্যান্ড আর্ট গ্যালারি’ নামে একটি সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করে। এটি ২৫০ বছরের ফরাসি ঔপনিবেশিক ইতিহাসের ধ্বংসাবশেষ সংরক্ষণ করে এবং উভয় দেশের যৌথ ঐতিহ্যের প্রতীক।
জাদুঘরটি প্রাচীনকালের উপঢৌকন, হরিহর সেট, ‘ফ্রি সিটি অফ চন্দননগর’-এর প্রথম রাষ্ট্রপতি, একজন সমাজ সংস্কারক এবং জনহিতৈষী-এর উপহার থেকে একটি মূল সংগ্রহ নিয়ে স্থাপন করা হয়েছিল। তিনি ১৯৩৪ সালে ফরাসি সরকার কর্তৃক শেভালিয়ার দে লা লিজিওন ডি’অনারে পুরস্কৃত হন। এটি বিরল ফরাসি প্রাচীন জিনিসের একটি সংগ্রহের গর্ব করে, যেমন অ্যাংলো-ফরাসি যুদ্ধে ব্যবহৃত কামান (জনপ্রিয়ভাবে কর্নাটিক যুদ্ধ নামে পরিচিত), ফরাসি গভর্নর-জেনারেলদের ব্যক্তিগত জিনিসপত্র এবং কাঠের তৈরি জিনিসপত্র, যা বিশ্বের অন্য যেকোন স্থানে খুঁজে পাওয়া কঠিন। প্রদর্শনীর মধ্যে রয়েছে ডুপ্লেক্সের ব্যবহৃত জিনিসপত্র, যেমন তার একটি মার্বেল আবক্ষ, এবং চন্দননগরের ফরাসি ঔপনিবেশিক ও স্থানীয় ইতিহাসের ধ্বংসাবশেষ।
এছাড়াও, যাদুঘরটি প্রবেশদ্বারের ঠিক পাশে অবস্থিত মারিয়ানের (ফ্রান্সের জাতীয় প্রতীক) একটি সুন্দর বাগান এবং একটি মূর্তি রক্ষণাবেক্ষণ করেছে। এছাড়াও, জাদুঘর এবং ইনস্টিটিউট নিয়মিত ফরাসি ক্লাস অফার করে।
পশ্চিমবঙ্গের সেরা এবং প্রাচীনতম যাদুঘরগুলির মধ্যে একটি হল চন্দননগর মিউজিয়াম। অতএব, আপনি যদি ফরাসি ঔপনিবেশিক নিয়মের ইতিহাসে আগ্রহী হন তবে এই যাদুঘরটি দেখার মতো স্থান।

(গ) পাতাল বাড়ি—
পাতাল বাড়ি চন্দননগরের স্থাপত্য এবং নান্দনিক সৌন্দর্যের একটি অত্যাশ্চর্য চিত্র। ভবনটি সেই আগের দিনের মানুষের স্থাপত্যের জ্ঞান এবং নান্দনিক বোধের অগ্রগতির আরেকটি সুন্দর উদাহরণ। এর নিচতলা গঙ্গা নদীতে নিমজ্জিত। মহান সমাজ সংস্কারক ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর এবং নোবেল বিজয়ী রবীন্দ্র নাথ ঠাকুর চন্দননগর সফরের সময় এই বাড়িতেই থাকতেন।
নোবেল বিজয়ী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রায়ই জায়গাটি পরিদর্শন করেন এবং ভবনটির অনেক প্রশংসা করেন। তিনি অনুভব করেছিলেন যে স্থানটি তাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করেছে এবং তার বুদ্ধিবৃত্তিক ক্ষমতাকে প্রসারিত করেছে। তিনি তাঁর বহু বিখ্যাত উপন্যাসে পাতাল-বাড়ির কথা উল্লেখ করেছেন। বাড়িটির মালিক ছিল পাশের বাঁশবেড়িয়ার শাসক পরিবারের। এই রহস্যময় সুন্দর জায়গাটি চন্দননগরের একটি প্রাচীন মনোমুগ্ধকর স্থান যা আপনাকে অবশ্যই দেখতে হবে।

।। তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

আজ ১২ মে, ইতিহাসের দিকে চোখ বুলিয়ে দেখে নেব ইতিহাসের এই দিনে বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু, দিনসহ ঘটে যাওয়া ঘটনা।।।।

আজ ১২ মে। এক নজরে দেখে নিই ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু দিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

দিবস—–

(ক) আন্তর্জাতিক ধাত্রী দিবস।
আজ যাদের জন্মদিন—-
১৪৯৬ – সুইডেনের প্রথম গুস্তাভ, ১৫২৩ সাল থেকে তার মৃত্যু পর্যন্ত সুইডেনের রাজা ছিলেন।

১৮২০ – ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেল, আধুনিক নার্সিং সেবার অগ্রদূত, লেখক ও পরিসংখ্যানবিদ।  .

১৮৫৫ – প্রমথনাথ বসু,বাঙালি ভুতত্ববিদ, বিজ্ঞানী ও সমাজকর্মী।

১৮৬৩ – উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী, বিখ্যাত বাঙালি শিশুসাহিত্যিক ও বাংলা ছাপাখানার অগ্রপথিক।
১৮৬৭ – হিউ ট্রাম্বল, অস্ট্রেলীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ও অধিনায়ক ছিলেন।।

১৮৯৫ – উইলিয়াম ফ্রান্সিস জিওক, মার্কিন রসায়নবিদ।

১৯০৭ – ক্যাথরিন হেপবার্ন, মার্কিন অভিনেত্রী।

১৯১০ – জেমস ডাডলি, আমেরিকান বেসবল খেলোয়াড় এবং পেশাদার রেসলিং ম্যানেজার ও নির্বাহী।
১৯১০ – ডরোথি মেরি হজকিন, ব্রিটিশ রসায়নবিজ্ঞানী।

১৯১৩ – ত্রিপুরা সেনগুপ্ত, বাঙালি, ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের শহীদ বিপ্লবী।
১৯২৪ – অ্যান্টনি হিউসিস, নোবেলজয়ী (১৯৭৪) ব্রিটিশ মহাকাশ বিজ্ঞানী।
১৯২৯ – স্যাম নজুমা, নামিবীয় বিপ্লবী, বর্ণবাদ বিরোধী কর্মী এবং রাজনীতিবিদ।
১৯৩৭ – জর্জ কার্লিন, আমেরিকান কৌতুক অভিনেতা, অভিনেতা এবং লেখক। (মৃ. ২০০৮)
১৯৪১ – আহমদুল্লাহ, আল জামিয়া আল ইসলামিয়া পটিয়ার প্রধান মুফতি ও হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের নায়েবে আমীর।
১৯৭৭ – মরিয়ম মির্জাখানি, ইরানি গণিতবিদ। (মৃ. ২০১৭)
১৯৭৯ – মিলা ইসলাম, বাংলাদেশী সঙ্গীতশিল্পী।
১৯৮০ – ঋষি সুনক, ভারতীয় বংশোদ্ভূত রাজনীতিক ব্যক্তিত্ব, যিনি ব্রিটেনের সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী হন ২০২২ সালের ২৮ অক্টোবরে।
১৯৮১ – রামি মালেক, আমেরিকান অভিনেতা।
১৯৮৬ – এমিলি ভ্যানক্যাম্প, কানাডিয়ান অভিনেত্রী।
১৯৮৭ – কিরণ পোলার্ড, ত্রিনিদাদীয় ক্রিকেটার।
১৯৮৮ – মার্সেলো ভিয়েরা, ব্রাজিলীয় ফুটবলার।
১৯৯৭ – ওদেয়া রাশ, ইস্রায়েলি অভিনেত্রী।

ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনের ঘটনাবলী—-

১৬৬৬ – মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেবের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষরের জন্য শিবাজি আগ্রায় আসেন।
১৮৭৭ – ভারতীয় মুসলমানদের প্রথম রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান সেন্ট্রাল ন্যাশনাল মোহামেডানের প্রতিষ্ঠা হয়।
১৯১৫ – ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্যতম ব্যক্তিত্ব রাসবিহারী বসু বৃটিশের শ্যেন চক্ষু ফাঁকি দিয়ে কলকাতার খিদিরপুর বন্দর হতে জাপানি জাহাজ ‘সানুকি-মারু’ সহযোগে তিনি ভারতবর্ষ ত্যাগ করেন।
১৯৪১ – আডলফ হিটলার ইরাকের স্বাধীনতা সংগ্রামী রশীদ আলি গিলানির জন্য দুইটি বোমারু বিমান প্রেরণ করেছিলেন।
১৯৪৯ – পশ্চিম বার্লিনের বিরুদ্ধে সোভিয়েত ইউনিয়ন আরোপিত অবরোধের অবসান ঘটে ।
১৯৫৫ – সিলেটের হরিপুরে প্রাকৃতিক গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কৃত হয়।
১৯৬৫ – বাংলাদেশে ঘূর্ণিঝড়ে ১৭ হাজার লোকের প্রাণহানি ঘটে।
১৯৭২ – বাংলাদেশকে স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয় স্পেন ও দক্ষিণ কোরিয়া।
১৯৯৪ – আজারাইজান প্রজাতন্ত্র এবং আর্মেনিয়ার মধ্যে যুদ্ধ বিরতি হয়।
২০১৮ – বাংলাদেশ সময় রাত ২:১৪ মিনিটে ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে দেশের প্রথম স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু-১ উৎক্ষেপণ করা হয়।

এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন যারা—-

১৭০০ – জন ড্রাইডেন, ইংরেজ লেখক, কবি ও নাট্যকার ছিলেন।
১৮৪৫ – আউগুস্ট ভিলহেল্ম ফন শ্লেগেল, জার্মান কবি, অনুবাদক ও সমালোচক।

১৯৪০ – বিশিষ্ট কর্মব্রতী, সাহিত্যানুরাগী ও রবীন্দ্রনাথ পরিকল্পিত শ্রীনিকেতনের মুখ্য সংগঠক কালীমোহন ঘোষ ।
১৯৪১ – দীনেশরঞ্জন দাশ, বাঙালি লেখক ও চলচ্চিত্র পরিচালক ।
১৯৫৭ – এরিক ভন স্ট্রোহেইম, মার্কিন চলচ্চিত্র পরিচালক এবং অভিনেতা।
১৯৭১ – সাদত আলী আখন্দ, প্রবন্ধকার, সাহিত্যিক।
২০০১ – ডিডি, ব্রাজিলীয় ফুটবলার।

২০০৫ – মার্টিন লিংগস, যার ইসলামিক নাম আবু বক্কর সিরাজুদ্দিন, তিনি একজন পশ্চিমা লেখক, শিক্ষাবিদ ও ফ্রিটজফ শুয়ানের শিষ্য ও শেক্সপিয়র বিষয়ে বিজ্ঞ ব্যক্তি ছিলেন।
২০১৫ – সুচিত্রা ভট্টাচার্য, ভারতীয় বাঙালি সাহিত্যিক।
২০১৯ – হায়াৎ সাইফ, বাংলাদেশি কবি ও সাহিত্য সমালোচক।

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

স্মরণে- ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্যতম বিপ্লবী, অনুশীলন সমিতির নেতা, সাংবাদিক ও সম্পাদক মাখনলাল সেন।।।।।

আতীয় প্রযুক্তি দিবস প্রতি বছর ১১ মে ভারতে পালিত হয়। এই দিনটি উদ্ভাবক, বিজ্ঞানী এবং প্রকৌশলীদের অবদানের স্বীকৃতি এবং দেশে বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন প্রচারের জন্য নিবেদিত। পোখরানে সফল পারমাণবিক পরীক্ষাকে স্মরণ করার জন্য ১৯৯৮ সালে প্রথম দিনটি স্থাপিত হয়েছিল। এই পরীক্ষাটি ছিল ভারতের প্রযুক্তিগত অগ্রগতির একটি উল্লেখযোগ্য মাইলফলক, এবং এটি দেশটিকে পারমাণবিক অস্ত্র প্রযুক্তির ক্ষেত্রে একটি শীর্ষস্থানীয় অবস্থান অর্জনের পথ প্রশস্ত করেছে।

জাতীয় প্রযুক্তি দিবস উদযাপনটি ভারত সরকার, ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি কমিউনিকেশন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগ, বিভিন্ন এনজিও, কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্র এবং বিজ্ঞান কেন্দ্র সহ বেশ কয়েকটি সংস্থা দ্বারা সংগঠিত হয়। আসুন আমরা নীচে ভারতের জাতীয় প্রযুক্তি দিবস ২০২৫ তারিখ, থিম, ইতিহাস, তাৎপর্য, কার্যকলাপ, উদ্ধৃতি এবং আরও অনেক কিছু পড়ি।

জাতীয় প্রযুক্তি দিবস ২০২৫ তারিখ-

এই বছর, ১১ মে ২০২৫ রবিবার ভারতে জাতীয় প্রযুক্তি দিবস পালিত হবে।

জাতীয় প্রযুক্তি দিবস ২০২৫ থিম-

২০২৫ সালের জাতীয় প্রযুক্তি দিবসের প্রতিপাদ্য হল “YANTRA – নতুন প্রযুক্তি, গবেষণা এবং ত্বরণের অগ্রগতির জন্য যুগান্তর”। এই প্রতিপাদ্য ভারতের প্রযুক্তিগত অগ্রগতি উদ্ভাবন এবং ত্বরান্বিত করার শক্তির প্রতীক। “YANTRA” যান্ত্রিক দক্ষতা, সিস্টেমের শক্তি, দলবদ্ধতা এবং স্কেলেবল সমাধানের প্রতিনিধিত্ব করে, যেখানে “Yugantar” প্রযুক্তি গ্রহণ থেকে বিশ্বব্যাপী প্রযুক্তি নেতা হয়ে ওঠার ভারতের অগ্রগতি প্রতিফলিত করে।

এই প্রতিপাদ্য বিভিন্ন প্রযুক্তিগত ক্ষেত্রে ভারতের উচ্চাকাঙ্ক্ষা তুলে ধরে, যার মধ্যে রয়েছে ¹:

– *পরবর্তী প্রজন্মের উৎপাদন এবং রোবোটিক্স*: অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধির জন্য উৎপাদন এবং রোবোটিক্সে ভারতের ক্ষমতার অগ্রগতি।
– *মহাকাশ এবং প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি*: মহাকাশ অনুসন্ধান এবং প্রতিরক্ষা প্রযুক্তিতে ভারতের উপস্থিতি বৃদ্ধি।
– *পরিষ্কার এবং টেকসই শক্তি সমাধান*: একটি টেকসই ভবিষ্যতের জন্য পরিবেশবান্ধব সমাধানের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করা।
– *স্বাস্থ্যসেবা উদ্ভাবন এবং জৈবপ্রযুক্তি*: উদ্ভাবনী প্রযুক্তি এবং জৈবপ্রযুক্তি অগ্রগতির মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবা পরিষেবা উন্নত করা।
– *কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং কোয়ান্টাম কম্পিউটিং*: কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং কোয়ান্টাম কম্পিউটিংয়ে ভারতকে শীর্ষস্থানে স্থাপন করা।

“YANTRA” থিমটির লক্ষ্য জাতীয় মিশনগুলিকে অনুঘটক করা এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে উদ্ভাবনকে উদ্দীপিত করা, প্রযুক্তিগত আত্মনিয়ন্ত্রণ এবং বিশ্বব্যাপী উদ্ভাবনী নেতৃত্বের প্রতি ভারতের প্রতিশ্রুতির উপর জোর দেওয়া ।

জাতীয় প্রযুক্তি দিবসের ইতিহাস–

ভারতে জাতীয় প্রযুক্তি দিবসের ইতিহাস ১৯৯৮ সালে, যখন ভারতীয় সেনাবাহিনী রাজস্থানে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীর তত্ত্বাবধানে পাঁচটি পারমাণবিক বোমা পরীক্ষা (পোখরান-২) করেছিল। দ্য পোখরান-২-এর নেতৃত্বে ছিলেন ভারতের মিসাইল ম্যান, ডঃ এপিজে আব্দুল কালাম। পোখরান টেস্টের বিশাল সাফল্যের পর ভারত ষষ্ঠ পারমাণবিক দেশ হিসাবে অধিকারী হয়েছিল।
পারমাণবিক বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে ভারতের কৃতিত্ব উদযাপন করতে, অটল বিহারী বাজপেয়ী ১১ মে জাতীয় প্রযুক্তি দিবস হিসাবে ঘোষণা করেছিলেন। ১১ মে ১৯৯৯ তারিখে প্রথম জাতীয় প্রযুক্তি দিবস পালিত হয়েছিল। পোখরান পারমাণবিক পরীক্ষা প্রযুক্তিগত অগ্রগতি অর্জন এবং ক্ষেত্রের ভবিষ্যতের উন্নয়নের পথ প্রশস্ত করার জন্য ভারতের প্রচেষ্টার একটি উল্লেখযোগ্য মাইলফলক ছিল।

জাতীয় প্রযুক্তি দিবসের তাৎপর্য–

প্রতি বছর ১১ মে ভারতে জাতীয় প্রযুক্তি দিবস পালিত হয়। এই দিনটি দেশের প্রযুক্তিগত সাফল্যের স্বীকৃতি এবং ক্ষেত্রে কর্মরত পেশাদারদের অবদানকে সম্মান করার জন্য নিবেদিত। জাতীয় প্রযুক্তি দিবস ভারতে বিশাল তাৎপর্য রাখে কারণ এটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে দেশের অর্জন উদযাপন করে। এটি বৈজ্ঞানিক শিক্ষার প্রচার এবং সমাজের সকল শ্রেণীর মধ্যে প্রযুক্তির প্রতি একটি দৃঢ় আগ্রহ বৃদ্ধির সুযোগও প্রদান করে। এই দিনটি নিঃসন্দেহে বৃদ্ধির জন্য একটি অনুঘটক এবং প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনে ভারতের দক্ষতার প্রমাণ।

জাতীয় প্রযুক্তি দিবস ২০২৫ কার্যক্রম-

বক্তৃতা, কর্মশালা, সেমিনার, বিতর্ক, সিম্পোজিয়া, স্লাইড/ফিল্ম শো, রেডিও/টিভি অনুষ্ঠান, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সহ সমাজের সকল শ্রেণীর মধ্যে বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য ভারতের জাতীয় প্রযুক্তি দিবসে বিভিন্ন জাতীয় প্রযুক্তি দিবসের কার্যক্রম সংগঠিত ও সম্পাদিত হয়। , এবং আরো. প্রযুক্তিকে জনপ্রিয় করা এবং তরুণ প্রজন্মের মধ্যে একটি বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত মানসিকতার প্রচারের লক্ষ্যে এই কার্যক্রমগুলো করা হয়েছে।

।। তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

আজ ১১ মে, ইতিহাসের দিকে চোখ বুলিয়ে দেখে নেব ইতিহাসের এই দিনে বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু, দিনসহ ঘটে যাওয়া ঘটনা।।।।

আজ ১১ মে, ইতিহাসের দিকে চোখ বুলিয়ে দেখে নেব ইতিহাসের এই দিনে বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু, দিনসহ ঘটে যাওয়া ঘটনা।

১৯১৮ – রিচার্ড ফাইনম্যান, মার্কিন পদার্থবিজ্ঞানী, নোবেল বিজয়ী।
১৯২১ – অজিত চট্টোপাধ্যায়, বিশিষ্ট বাঙালি হাস্যকৌতুক অভিনেতা।
১৯২৪ – অ্যান্টনি হিউইশ, ব্রিটিশ রেডিও জ্যোতির্বিজ্ঞানী, নোবেল বিজয়ী।
১৯৩০ – এড্সগার ডাইকস্ট্রা, ওলন্দাজ কম্পিউটার বিজ্ঞানী।
১৯৪১ – ইয়ান রেডপাথ, অস্ট্রলীয় ক্রিকেটার।
১৯৪৪ – জন বেনো, অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার।
১৯৬৭ – সু গার্ডনার, উইকিমিডিয়া ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক।
১৯৭৩ – জেমস হ্যাভেন, মার্কিন অভিনেতা ও চলচ্চিত্র প্রযোজক।
১৯৭৭ – ববি রুড, কানাডিয়ান পেশাদার কুস্তিগির।
১৯৭৮ – লিতিসিয়া কাস্তা, ফরাসি মডেল এবং অভিনেত্রী।
১৯৮৪ – আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা, স্পেনীয় ফুটবলার।
১৯৮৬ – আবু দিয়াবি, ফরাসি ফুটবলার।
১৯৯২ – থিবো কোর্তোয়া, বেলজিয়ামের ফুটবলার।
১৯৯২ – পাবলো সারাবিয়া, স্প্যানিশ ফুটবলার।
১৯৯৯ – কেইটলিন দিয়াস, মার্কিন অভিনেত্রী এবং কন্ঠশিল্পী।

ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনের ঘটনাবলী—-

১৭৪৫ – অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড ও হল্যান্ডের মিত্রশক্তির বিরুদ্ধে যুদ্ধে ফরাসি বাহিনী জয়যুক্ত হয়।
১৮৫৭ – সিপাহী বিদ্রোহ: সৈনিকরা ব্রিটিশদের কাছ থেকে দিল্লি অধিকার করে নেয়।
১৮৬৭ – লুক্সেমবার্গ স্বাধীনতা অর্জন করে।
১৯৩৫ – জার্মানীর বার্লিন শহরে প্রথম টেলিভিশন প্রেরণ যন্ত্র আনুষ্ঠানিকভাবে কাজ শুরু করে এবং এর মাধ্যমে প্রথমবারের মত পৃথিবীতে টেলিভিশনের অনুষ্ঠান সম্প্রচার শুরু হয়।
১৯৪০ – জার্মান বাহিনীর আগ্রাসনের শিকার বেলজিয়ামকে রক্ষা করার জন্য বৃটিশ ও ফরাসী সেনাদের যৌথ বাহিনী বেলজিয়ামে প্রবেশ করে।
১৯৭২ – (ক)  কলকাতায় রাজা রামমোহন রায় লাইব্রেরি ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠিত হয়।
(খ) বাংলাদেশকে স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয় মেক্সিকো।
১৯৮৫ – কুরআন দিবস: কুরআনের মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জে আট জন নিহত।
১৯৯৪ – ফিলিস্তিনি পুলিশ গাজায় এলে ২৭ বছরের ইজরায়েলি দখলদারির অবসান ঘটে।
১৯৯৭ – দাবাখেলুড়ে কম্পিউটার ডীপ ব্লু প্রথমবারের মতো বিশ্বজয়ী দাবাড়ু হিসেবে গ্যারি কাসপারভকে পরাজিত করে।
১৯৯৮ – ভারত সরকার দেশটির মরুরাজ্য রাজস্থানের পোখরানে ভূগর্ভে ৩টি পারমাণবিক অস্ত্রের সফল পরীক্ষা চালায়।
২০১৬ – বাংলদেশের শীর্ষ যুদ্ধাপরাধী মতিউর রহমান নিজামীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।
২০১৮ – বাংলাদেশ সরকার তাদের প্রথম স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু-১ ১১ মে ২০১৮ ইডিটি, বাংলাদেশ মান সময় ১২ মে ভোর ০২:১৪ তে কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে উৎক্ষেপণ করে।
২০১৮ – আয়ারল্যান্ড ক্রিকেট দল তাদের ইতিহাসের প্রথম টেস্ট ম্যাচে অংশগ্রহণ করে। তবে প্রথম দিন মেঘে ভেসে যাওয়ায় কোনো খেলা এদিন গড়ায়নি।

এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন যারা—-

১৯১৫ – ভাই বালমুকুন্দ, ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামী ও অগ্নিযুগের শহীদ বিপ্লবী।

১৯১৫ – বসন্তকুমার বিশ্বাস, ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামী ও অগ্নিযুগের শহীদ বিপ্লবী।
১৯১৬ – কার্ল শোয়ার্জশিল্ড, জার্মান জ্যোতির্বিজ্ঞানী ও পদার্থবিজ্ঞানী।

১৯২৭ – হুয়ান গ্রিস, স্প্যানিশ চিত্রশিল্পী ও ভাস্কর।
১৯৫৫ – গিলবার্ট জেসপ, ইংলিশ ক্রিকেটার।
১৯৫৯ – বিংশ শতকের প্রথমার্ধের বিশিষ্ট কবি বসন্তকুমার চট্টোপাধ্যায়।
১৯৬৩ – হারবার্ট এস. গ্যাসার, মার্কিন শারীরতত্ত্ববিদ।

১৯৬৫ – মাখনলাল সেন অনুশীলন সমিতির সদস্য, বিপ্লবী, সাংবাদিক ও সম্পাদক।
১৯৮১ – বব মার্লে, জামাইকান রেগে শিল্পী, গীটার বাদক ও গীতিকার।

১৯৮৩ – প্রখ্যাত ভারতীয় বাঙালি নিম্বার্ক সম্প্রদায়ের যোগসাধক, দার্শনিক ও ধর্মগুরু ধনঞ্জয়দাস কাঠিয়াবাবা।
১৯৮৫ – কৃষ্ণমোহন বন্দ্যোপাধ্যায়, বাঙালি শিক্ষাবিদ, ভাষাতত্ত্ববিদ ও খ্রিষ্টধর্মপ্রচারক।
১৯৮৮ – কিম ফিলবি, ব্রিটিশ গোয়েন্দা কর্মকর্তা এবং সোভিয়েত ইউনিয়ন এর জন্য ডাবল এজেন্ট।
১৯৯৯ – একবাল আহমাদ, পাকিস্তানি লেখক, সাংবাদিক, ও যুদ্ধবিরোধী কর্মী।
২০০১ – ডগলাস অ্যাডামস, ইংরেজ লেখক, চিত্রনাট্যকার, প্রবন্ধকার, কৌতুকপূর্ণ কাহিনী-রচয়িতা, ব্যঙ্গরচয়িতা এবং নাট্যকার।
২০০৩ – আর্নি তোশ্যাক, অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটার।
২০০৪ – আল্ফ ভ্যালেন্টাইন, ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটার।
২০১৬ -(ক)  টনি কোজিয়ার, বার্বাডীয় ক্রিকেট সাংবাদিক, লেখক ও রেডিও ধারাভাষ্যকার।
(ক) মতিউর রহমান নিজামী, বাংলদেশের শীর্ষ যুদ্ধাপরাধী।
২০২১ – ঈশা মহম্মদ, খ্যাতিমান ভারতীয় বাঙালি চিত্রকর ও শিল্পী।

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

শ্রীশীতলচরণ দাস বাবার মহাজীবন কথা : ড. রাধাবিনোদিনী বিন্তি বণিক।।।

শ্রীঅক্ষয়তৃতীয়া তিথিতে নবদ্বীপ ধামস্থ সমাজবাড়ি মন্দিরের প্রতিষ্ঠাতাচার্য শ্রীমদ্‌ শ্রীরাধারমণ চরণ দাস বাবার একান্ত কৃপাভাজন শিষ্য ও প্রিয়জন শ্রীল শীতলচরণ দাস বাবাজী মহাশয়ের শুভ আবির্ভাব হয়। ব্রজমণ্ডলের অন্তর্গত শ্রীরাধারাণীর জন্মভিটা ‘বর্ষাণা’-র পার্শ্ববর্তী গ্রাম ‘রাম কে নগরিয়া’ নামক স্থান তাঁর জন্মভূমি।

১৮৬৫ সালের ২৮শে এপ্রিল, শুক্রবার, শাণ্ডিল্য গোত্রীয় ব্রাহ্মণ পরিবারভুক্ত ভগবদ্ভক্ত শ্রীশিবকৃষ্ণ ত্রিপাঠী ও ভক্তিমতী শ্রীমতী নীলমণিদেবীর পুত্র হয়ে জন্মগ্রহণ করেন সর্ব সুলক্ষণযুক্ত শীতল বাবা। শৈশবস্থায় তাঁর নাম ছিল ‘বাঞ্ছানিধি’। ইংরাজীতে একটা কথা আছে -Morning shows the day …. অর্থাৎ, সকালটাই বলে দেয় সারাদিন কেমন যাবে । ঠিক তেমন শীতল বাবার শৈশবস্থা থেকেই বোঝা গিয়েছিল যে, এককালে তিনি ভক্তচূড়ামণি হয়ে শ্রীশ্রীনিতাই-গৌরাঙ্গ ভজন-কীর্ত্তনের সম্পদ প্রদান করে সকলকে সমৃদ্ধ ও আপ্লুত করবেন– এই বাঞ্ছা নিয়েই তাঁর আবির্ভাব। তাই হয়ত বা দৈবেচ্ছায় নামকরণ হয় ‘বাঞ্ছানিধি’ ।
একসময় ব্রজধামে ‘রাম কে নগরিয়া’ গ্রামে মহামারীর প্রকোপ দেখা দিল। সমগ্র গ্রাম প্রায় উজাড় হয়ে গেল । অবশিষ্ট পরিবারেরা সেসময় প্রাণভয়ে এক এক জায়গায় চলে যেতে থাকল । বাঞ্ছানিধিও তাঁর পিতামাতার সঙ্গে পদব্রজে শ্রীক্ষেত্রধামে চলে আসেন তখন। কিন্তু এখানেও কলেরা রোগের প্রকোপ দেখা দিল হঠাৎ । বাঞ্ছানিধির পিতা ও মাতা উভয়েই কয়েক ঘন্টার ব্যবধানে ধরাধাম থেকে বিদায় নিলেন একদিন । বিধাতার অমোঘ বিধানে পিতা-মাতার স্নেহ পাবার ভাগ্য হতে বঞ্চিত হলেন বালক বাঞ্ছানিধি।
শ্রীপাদ রামদাস বাবাজী মহাশয় বলতেন, “দেখ শ্রীভগবানের সবেতেই করুণা। অনুকূলে বা প্রতিকূলে তা সে যে ভাবেই হোক না কেন । কখনও কাউকে কিছু দিয়ে কৃপা করেন , আবার কখনও বা কারোর থেকে কিছু নিয়ে তিনি কৃপা করেন। কিন্তু কৃপা সবটাতেই।” বাস্তবিক তাই। শাস্ত্রে যেমন দেখা যায়–ধ্রুব মহারাজ বা ভক্ত প্রহ্লাদকে শ্রীভগবান অর্থ , সম্পদ , রাজ্য, রাজত্ব সব দিয়ে কৃপা করেছেন। আবার দৈত্যরাজ বলির ধন, সম্পদ , রাজ্য ইত্যাদি সবকিছুই কেড়ে নিয়ে কৃপা করেছেন তিনি। ঠিক তেমনই, শীতলচরণ দাস বাবার জীবন ইতিহাস চর্চা করলে দেখা যায় শ্রীভগবান এভাবেই তাঁর সবকিছু কেড়ে নিয়ে প্রতিকূল-কৃপা করেছেন তাঁকে । কেন , একথা বললাম , তা আবার আর এক বার প্রমাণ পাবেন , প্রিয় পাঠককুল আমার।
বাঞ্ছানিধি এরপর সহায়সম্বলহীন , পিতৃমাতৃহীন দশায় তাঁর ভ্রাতার সঙ্গে পুরীর নরেন্দ্র সরোবরের তীরের ‘নির্মোহী’ আখড়ায় আশ্রয় পেলেন। আখড়ার মহান্ত শ্রীমৎ শ্রীগোমতী দাসজী পুত্র-স্নেহে তাঁকে ভালোবাসতেন। বলাবাহুল্য, তা সে বাঞ্ছানিধির স্বভাবগুণেই। তিনিই পালন করেছিলেন অনাথ বাঞ্ছানিধিকে । দিন কাটতে থাকলো। একসময় গোমতী দাসজী বাঞ্ছানিধিকে মঠের সমস্ত ক্ষমতার অধিকারী বানিয়ে , দায়িত্বপ্রাপ্ত করে মর্ত্যধাম ত্যাগ করলেন। কিন্তু , বাঞ্ছানিধি মঠাধীশ হলেও তাঁর মন ছিল অন্যভাবে বিভাবিত। প্রবল বৈরাগ্য আর কঠোর সাধনাতেই তাঁর সাধ। গাদীর অধিকারী ব্যক্তি কে হওয়া উচিৎ এ নিয়ে বিতণ্ডা বাঁধলো আশ্রমিকদের মধ্যে। এদিকে প্রতিদিনই প্রভু জগন্নাথের কাছে প্রার্থনা করতেন বাঞ্ছানিধি যাতে মঠের প্রভুত্ব ও বিষয়-সম্পত্তির অধিকার থেকে অব্যাহতি পান তিনি। ধন-সম্পত্তি, বিষয়-বৈভব তথা পদমর্যাদার প্রতি তাঁর যে বিরক্ত মনোভাব তা প্রকাশ করলেন জগন্নাথের সমীপে । আর তাই হয়তো বা ভগবান ভক্তের মনোবাঞ্ছা পূরণ করলেন ! মঠাধীশ পদ নিয়ে যাঁরা মামলা করেছিলেন কোর্টে , অবিশ্বাস্যভাবে তাঁদের জিত হল মামলায় ! বাঞ্ছানিধি বিষয়-বৈভব হতে বন্ধন-মুক্ত হলেন।
পুরীতে বড়বাবাজী মহাশয় অর্থাৎ শ্রীমৎ রাধারমণ চরণ দাসের কৃপাদৃষ্টিতে পড়লেন বাঞ্ছানিধি। তাঁর কাছে দীক্ষা ও বেশাশ্রয় প্রাপ্ত হলেন। নতুন নামকরণ হ’ল ‘শ্রীশীতলচরণ দাস’। সাধারণতঃ নিয়ম হল, পূর্বাশ্রমে যে নাম থাকে , সেই নামের আদ্যক্ষর দিয়েই সন্ন্যাস জীবনের নতুন নামকরণ হয়ে থাকে । কিন্তু, বাঞ্ছানিধির ক্ষেত্রে হল অন্য নাম । শ্রীগুরুদেব বড়বাবার প্রিয় পদ ছিল–‘নিতাইপদ-কমল কোটিচন্দ্র সুশীতল, যে ছায়ায় জগত জুড়ায়……,।’ সুশীতল নিতাইচরণে শিষ্যকে সমর্পণ যাতে পূর্ণতাপ্রাপ্ত হয় সেকারণেই হয়তো বা তিনি শিষ্যের নাম দিয়েছিলেন শীতলচরণ। তবে বাস্তবিকই শীতলবাবার নিরভিমানী সাত্ত্বিক ভাবাবলী ভূষিত শ্রীমূর্তি, শিশুসুলভ সারল্যপূর্ণ স্নেহময় ব্যবহার সবার মনকে শীতলতা তথা স্নিগ্ধতার পরশ পাইয়ে দিত। তাঁর অনন্যসাধরণী প্রীতির রতি তৃষিত তাপিত হৃদয়কে শীতল করে দিত আনন্দ ধারায়।
পুরীতে শ্রীশ্রীগজন্নাথদেবের নাটমন্দিরে গরুড়স্তম্ভের পদমূলের কাছে, ব্রহ্মাদি দেবতাগণের আকাঙ্খিত ও পূজ্য শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য মহাপ্রভুর শ্রীচরণচিহ্ন প্রস্তরখণ্ডের উপর বিরাজমান ছিলেন। তবে ভক্তসংঘট্টের দরুণ তাঁর উপর বহুজনের পা লেগে যেত। সে দৃশ্য দেখে বড়বাবাজী মহাশয় বড় ব্যথিত হতেন । তিনি তাই পুরীর তদানীন্তন মহারাজা গজপতি মুকুন্দদেবজীকে অনুরোধ করেন শ্রীমন্‌ মহাপ্রভুর শ্রীচরণচিহ্ন যুক্ত প্রস্তরখণ্ডটি যাতে স্থানান্তরিত করা হয়। মহারাজা চরণচিহ্নের মহিমার গুরুত্ব অনুভব করে শ্রীপাদপদ্মসহ প্রস্তরটি তুলিয়ে সযত্নে শ্রীজগন্নাথ মন্দিরের ডান দিকে উত্তর দরজার ভিতরপানে একটি ছোট সুদৃশ্য মন্দির নির্মাণ করে, সেখানে প্রতিস্থাপন করান। সে সময় শ্রীপাদপদ্ম সেবা-পূজার প্রথম সেবাধিকারী হলেন শীতলচরণ বাবা। এ যেন মহাপ্রভুরই উদগ্র আকাঙ্খা শীতলবাবার সেবা গ্রহণ করবার। অতএব, মঠের পদ হারিয়ে, পরম কৃপা পেয়েছিলেন তিনি শ্রীভগবানের। সুধী পাঠকগণ, এবার জগন্নাথ মন্দির দর্শন করতে গেলে শীতলচরণ দাস বাবার সেবিত শ্রীমন্‌ মহাপ্রভুর মহামহিম পাদপদ্মপীঠ অবশ্যই দর্শন করবেন।
বড়বাবাজী মহাশয় বলতেন– ‘চিনি, ময়দা, ছানা থাকলেই মিষ্টি হয় না, ময়রাও লাগে, মিষ্টি পাকাতে।’ তেমনি তীর্থ হল ময়রার মতো, যেখানে ভগবদকৃপা, সাধুকৃপা, তীর্থস্থানের কৃপা–সবই একসঙ্গে পাওয়া যায়। তাই তীর্থপর্য্যটন করতে হয়।’ শ্রীগুরুদেবের এই নির্দেশকে প্রতিপালন করতে শীতলবাবা প্রায়শঃই পদব্রজে তীর্থভ্রমণ করতেন । কমবেশি আঠারো বছর ভারত ও বহির্ভারতের নানা তীর্থস্থান দর্শন ও পরিক্রমা করেছিলেন তিনি । মনের ভাব তাঁর– নিতাই-গৌর ভ্রমণ করিল যে সকল স্থান রঙ্গে, সে সকল স্থান ভ্রমিব আমি প্রণয়ী ভক্ত সঙ্গে।
ধর্মগ্রন্থ পাঠ ও শ্রবণ, সঙ্গীত-কীৰ্ত্তন শিক্ষা, সুঠাম দেহ গঠনের অনুশীলন ইত্যাদি বিষয়ে শীতল বাবা ছিলেন বিশেষ আগ্রহী। সাধুসঙ্গ করার বাসনা ছিল তাঁর প্রবল। তাই শ্রীরামকৃষ্ণদেব, ত্রৈলঙ্গস্বামী, সিরডির সাইবাবা, বামাক্ষ্যাপা, শ্রীশ্যামাচরণ লাহিড়ী, স্বামী বিবেকানন্দ, শ্রীবিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী, লোকনাথ ব্রহ্মচারী প্রমুখ বহু সিদ্ধ যোগীপুরুষের সান্নিধ্যে এসেছিলেন এবং তাঁদের সঙ্গ-প্রসঙ্গে সাধন-ভজন, ধর্মশিক্ষা ও ধর্মীয় জ্ঞানভাণ্ডারকে সমৃদ্ধ করেছিলেন তিনি। নিয়মিত ভক্তিগ্রন্থ অধ্যয়ন, নিষ্ঠাপূর্ণ ভজন, সদাচারব্রতে দীক্ষিত হয়ে, ‘আপনি আচরি ধর্ম জীবেরে শিখায়।’–এ বাণীর সাক্ষাৎ প্রতিমূর্তিস্বরূপ হয়েছিলেন শীতলবাবা। যে ছয়টি প্রধান গুণকে ভক্তের ভূষণ বলে মনে করা হয়, তা হ’ল –১) ক্ষমাশীলতা, ২) ভগবদনির্মুখী হয়ে সময়ের অপব্যাহার না করা, ৩) বিষয়ভোগে অনীহা, ৪) অভিমানশূণ্যতা, ৫) ভগবদ্ প্রাপ্তির জন্য লালসা ও ব্যকুলতা, এবং ৬) শ্রবণ-কীর্তন-স্মরণ-বন্দন তথা ভগবানের লীলাকথালোচনায় তীব্র অনুরাগ । এ সব কটি গুণসম্পন্ন ছিলেন শীতলচরণ দাসজী। আত্মপ্রচার-বিমুখ ছিলেন তিনি। বহু অলৌকিক ঘটনার সাক্ষী থাকলেও প্রচারবিরুদ্ধ ছিলেন। ছোট বড় সকলকে এমনকি নিজের শিষ্যদের পর্যন্ত তিনি ‘আপনি’ বলে সম্বোধন করতেন । কেউ যদি জানতে চাইতেন এমন আচরণ করার কারণ কী , তখন বলতেন – “বা রে ! বলা হয়েছে-হইয়াছেন , হইবেন যত গৌর ভক্তবৃন্দ , কৃপা করে দেহ গৌরচরণারবৃন্দ ! বয়সে ছোট হলেও তাঁরা যে একসময় গৌরভক্ত হবেন ! একারণে তাঁদেরও কৃপা প্রয়োজন আমার । তাই তাঁদেরকেও আপনি বলে সম্মান জানাই। তা ছাড়া সকল জীবে কৃষ্ণের অধিষ্ঠান তো। ছোটবড় নির্বিশেষে সকলে সম্মান পাবার অধিকারী ।”
শ্রীমদ্ রাধারমণচরণ দাস বাবাজী মহারাজ বলতেন- “একমাত্র কৃপা ভিন্ন কলির জীবের পক্ষে আর অন্য উপায় নেই। আব্রহ্মাস্তম্ভ থেকে ব্যাষ্টি-সমষ্টি ভাবে সকলের কৃপা প্রয়োজন।” শীতলচরণ দাস বাবার জীবন যেন তাঁর গুরুদেবের আদর্শেই গঠিত হয়েছিল।
শীতল বাবা তাঁর লব্ধ জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা ভক্ত-শিষ্যের মধ্যে অকাতরে ও সানন্দে বিতরণ করে, বহুজনের মানব-জীবন সার্থক করেন, সেবায় নিয়োজিত করেন। তাঁরই উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত হয় পলতার শ্রীশ্রীহরিভক্তি প্রচারিণী সভা।
১৯৭৪ সাল। কোজাগরী শ্রীলক্ষ্মীপূর্ণিমা তিথি। সেই উপলক্ষে ভক্ত-শিষ্যসহ শীতল বাবা সংকীর্ত্তনরত কৃষ্ণনগরে ডাঃ ক্ষিতীশ চন্দ্র সাহার বাড়িতে । সংবাদ এল- তাঁর সঙ্গে অন্যান্যদের বৃন্দাবনে যাওয়ার ট্রেনের টিকিট কাটা হয়েছে। শোনামাত্র শীতল বাবা বলে উঠলেন-‘ট্রেনের টিকিট ফেরত দাও। বাতিল কর। শ্রীধাম বৃন্দাবনে এখন যাওয়া হবে না।’ সকলেই তাঁর কথা শুনে অবাক। বৃন্দাবনে যাওয়ার সব ব্যবস্থা করা হয়ে গেছে, আর তা সম্পূর্ণ তাঁরই ইচ্ছায়। এখন তিনি আবার কেন বলছেন, আর বৃন্দাবন যাওয়া হবে না। পুনরায় শ্রীনাম সংকীর্তন শুরু করে দিলেন বাবা। কিন্তু , কিছুক্ষণের মধ্যেই শারিরীক অস্থিরতা শুরু হল তাঁর। দৈহিক ব্যাথা-বেদনায় এমনই কাতর হয়ে পরলেন যে তখনই তাঁকে এক শল্য-চিকিৎসক দেখাতে হ’ল। চিকিৎসক সাথে সাথেই প্রয়োজনীয় চিকিৎসার বন্দোবস্ত করলেন।
অবশেষে , আশ্বিনী কৃষ্ণা প্রতিপদ তিথিতে, ১০৯ বৎসর বয়সে শীতল বাবা পাড়ি দিলেন নিত্যধামে। স্থূল দেহে শ্রীধাম ভৌম বৃন্দাবন তাঁর যাওয়া হল না ঠিকই, কিন্তু সূক্ষ্মদেহে তিনি যাত্রা করলেন তাঁর সাধনোচিত ধামে। তখন বোঝা গেল কেন তিনি ট্রেনের টিকিট ফেরত দিতে বলেছিলেন। তিনি অনুভব করেছিলেন যে এবার সময় এসেছে নিজ ধামে ফেরার। সে জন্যই হঠাৎ মত পরিবর্তন হয়েছিল তাঁর।
শীতল বাবা আর স্থূল দেহে নেই –এই দুঃসহ বিরহ-সংবাদ যখন তাঁর অসংখ্য ভক্ত-শিষ্য-অনুরাগীজনেরা প্রাপ্ত হলেন , সকলে শোকে কাতর হয়ে পরলেন । শীতল বাবার সারল্য ভরা শীতল সঙ্গ সান্নিধ্য আর পাওয়া যাবে না ভেবে আবালবৃদ্ধবণিতা সাশ্রুনয়ন হয়েছিলেন সেদিন। পলতা-ঘুষিপাড়ায় অবস্থিত তদানীন্তন নির্মীয়মান শ্রীশ্রীনিতাই-গৌরাঙ্গ মন্দির সংলগ্ন স্থানে শ্রীসনাতনদাস বাবাজী মহাশয়ের পরিচালনায় বাবারই একান্ত অনুরক্ত ভক্তপ্রবর শ্রীরবীন্দ্রনাথ রাহা মহাশয়ের আন্তরিক উদ্যোগে তাঁকে সমাধিস্থ করা হয়। আর , তা বাবার পূর্ব ইচ্ছানুসারেই হয়েছিল। অতএব, পলতা শ্রীশ্রীনিতাই গৌরাঙ্গ ভক্ত সেবাশ্রমের সংলগ্ন ভূমিতেই শ্রীশীতলচরণ দাস বাবাজী মহাশয়ের পূর্ণ পুণ্য সমাধিপীঠ দর্শন হয়। তাঁর শিষ্যসহ অগুণিত ভক্তদের কাছে সেই স্থানটি একান্ত পবিত্র স্থান। বাস্তবিক , এক অন্য রকম প্রাণ-মন শীতল করা অনূভূতি হয় সেই স্থানে উপস্থিত হলে। দেহ-মন জুড়িয়ে যায়। শীতলচরণ দাস বাবা যেন স্বমহিমায় তাঁর শীতল-কৃপাসহ আজও উপস্থিত সেখানে–সেই উপলব্ধি হয়।
এ হেন অক্ষয় কীর্তিসম্পন্ন সাধকের শ্রীচরণ-কমলে অক্ষয়তৃতীয়ার পুণ্যলগ্নে মো হেন ভজনহীনা অধমার নিবেদন, আজন্মকালের জন্য শ্রীশ্রীনিতাই-গৌরাঙ্গ ও শ্রীগুরু-বৈষ্ণবের চরণসেবার অভিলাষী হয়ে যেন সদা সেবায় বিভোর থাকতে পারি–এ ভিন্ন অন্য কোন বাসনা যেন বসতি না গড়ে এ হৃদয়কন্দরে। শ্রদ্ধাঘন প্রণাম জানাই ভজনবিদ্ধ প্রবীণ সিদ্ধমহাত্মা শ্রীশীতলচরণ দাস বাবার পদপঙ্কজে।
জয় নিতাই। জয় গৌর। জয় শীতলচরণ দাস বাবাজী।
আশ্রমে কী ভাবে যাবেন — ব্যারাকপুর ষ্টেশনে পশ্চিম দিকে নেমে অর্থাৎ ১ নং প্ল্যাটফর্মের দিক থেকে বেড়িয়ে মেইন রোড ধরে ট্যাক্সি, টোটো বা ৮৫নং রুট বাসে ঘুষিপাড়া স্টপেজ । রাস্তার ওপরই বাঁ দিকে সুবৃহৎ শ্রীশ্রীনিতাই-গৌরাঙ্গ মন্দির আশ্রম । সময় লাগবে ৮-১০মিনিট।
— ভক্তকৃপা ভিখারিণী
ড. রাধাবিনোদিনী বিন্তি বণিক

Share This
Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

আজ ১০ মে, ইতিহাসের দিকে চোখ বুলিয়ে দেখে নেব ইতিহাসের এই দিনে বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু, দিনসহ ঘটে যাওয়া ঘটনা।।।।

আজ ১০ মে। এক নজরে দেখে নিই ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু দিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

আজ যাদের জন্মদিন—-

১৬৬১ – জাহানদার শাহ, মুঘল সম্রাট।
১৭৬০ – ক্লদ জোসেফ রুজে দ্য লিল, ফরাসি] জাতীয় সংগীতের লেখক।
১৮৮২ – গুরুসদয় দত্ত, লোকসাহিত্য গবেষক ও বাংলার ব্রতচারী আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা।
১৮৯৯ – ফ্রেড অ্যাস্টেয়ার, মার্কিন নৃত্যশিল্পী, গায়ক, অভিনেতা, নৃত্য পরিচালক ও টেলিভিশন উপস্থাপক।  .
১৯০২ – ডেভিড ও.সেলৎসনিক, মার্কিন চলচ্চিত্র প্রযোজক, চিত্রনাট্যকার ও স্টুডিও নির্বাহী।

১৯০৫ – পঙ্কজ কুমার মল্লিক, ভারতীয় বাঙালি কণ্ঠশিল্পী, সঙ্গীত পরিচালক ও অভিনেতা।

১৯০৮ – বিদ্রোহী কবি নজরুল ইসলামের পত্নী প্রমিলা দেবী।
১৯২৭ – নয়নতারা সায়গল, ভারতীয় লেখিকা ও ঔপন্যাসিক।
১৯৩০ – জর্জ এলউড স্মিথ, মার্কিন বিজ্ঞানী, নোবেল বিজয়ী।

১৯৫৫ – মার্ক ডেভিড চ্যাপম্যান, আমেরিকান বীট্‌ল্‌স শিল্পী জন লেননের আততায়ী।
১৯৬০ – বোনো, আইরিশ গায়ক, গীতিকার, সুরকার, ভেঞ্চার পুঁজিবাদী, ব্যবসায়ী।
১৯৬০ – মারলিন অটি, বিখ্যাত স্লোভেনীয় প্রমিলা অ্যাথলেট।
১৯৬৬ – ডেভিড ম্যাকেন্‌জি, স্কটল্যান্ডীয় চলচ্চিত্র পরিচালক।
১৯৬৯ – ডেনিস বের্গকাম্প, ওলন্দাজ ফুটবল খেলোয়াড়।
১৯৭২ – স্টুয়ার্ট কার্লাইল, জিম্বাবুয়ের সাবেক ক্রিকেটার।
১৯৭৪ – সিল্‌ভ্যাঁ উইল্টর্ড, ফরাসি ফুটবল খেলোয়াড়।
১৯৮৩ – গুস্তাভ ফ্রীদোলিন, সুয়েডীয় রাজনীতিবিদ।

১৯৮৭ – তৌসিফ আহমেদ, একজন বাংলাদেশী সুরকার, গীতিকার ও সঙ্গীতশিল্পী।
১৯৯৫ – শিহান মাদুশঙ্কা, শ্রীলঙ্কান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার।
ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনের ঘটনাবলী—-
১৫০৩ – ক্রিস্টোফার কলম্বাস স্যানে আইল্যান্ড ভ্রমণ করেন।
১৫২৬ – পানিপথের যুদ্ধ জয় করে মোগল সম্রাট বাবর আগ্রায় প্রবেশ করেন।
১৬১২ – মুঘল সম্রাট শাহ জাহানের সাথে মুমতাজ মহলের বিয়ে হয়।
১৭৭৩ – গ্রেট ব্রিটেনের সংসদে চা-আইন পাস হয়।
১৭৭৪ – লুইস ফ্রান্সের রাজা এবং মেরি অ্যাস্টোইলেট রানী হন।
১৮২৪ – লন্ডনে জাতীয় গ্যালারি জনগণের জন্য খুলে দেওয়া হয়।
১৮৫৭ – ভারতবর্ষে বৃটিশ শাসনের বিরুদ্ধে সিপাহী বিপ্লবের সূচনা হয়।
১৮৭১ – ফ্রান্সের দ্বিতীয় সম্রাট লুই নেপোলিয়ন বা তৃতীয় নেপোলিয়নের শোচনীয় পরাজয় ফ্র্যাংকফুট চুক্তি স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে চূড়ান্ত রূপ পরিগ্রহ করে।
১৮৭২ – ভিক্টোরিয়া উডহল যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম মহিলা, যিনি প্রেসিডেন্ট পদের জন্য মনোনীত হয়েছিলেন।
১৯৩৩ – বার্লিন বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে নাৎসিরা পঁচিশ হাজার বই পুড়িয়ে দেয়।
১৯৪০ – জার্মানি নেদারল্যান্ড, লুক্সেমবার্গ ও বেলজিয়াম দখল করে নেয়।
১৯৪১ – ব্যাপক বোমা বর্ষণের ফলে লন্ডনের হাউস অব কমন্স ধ্বংস হয়।
১৯৭২ – বাংলাদেশকে স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয় মেক্সিকো।
১৯৯৪ – দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন নেলসন ম্যান্ডেলা।
এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন যারা-
১৮৪৯ – হোকুসাই, জাপানি চিত্রশিল্পী।

১৯৬২ – অবিনাশচন্দ্র ভট্টাচার্য, ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের বিপ্লবী।
১৯৭৭ – জোন ক্রফোর্ড, মার্কিন অভিনেত্রী।

১৯৮৩ – জ্ঞানেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়, আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বাঙালি রসায়ন বিজ্ঞানী।

১৯৮৫ – প্রমথনাথ বিশী, ভারতীয় রাজনীতিবিদ, শিক্ষাবিদ ও লেখক।
১৮৮৯ – সৌরীন্দ্র মিত্র, ভারতীয় বাঙালি রবীন্দ্রগবেষক ও প্রাবন্ধিক।
১৯৯৯ – শেল সিলভারস্টেইন, মার্কিন সাহিত্যিক, যিনি কার্টুন, কবিতা ও শিশুতোষ বইয়ের জন্য বিখ্যাত।
২০০২ – কাইফি আজমি, ভারতীয় প্রথিতযশা উর্দু কবি, সাহিত্যিক ও চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব।
২০০২ – রবি নিয়োগী, বাংলাদেশি বামপন্থী রাজনীতিবিদ।
২০০৪ – এরশাদ শিকদার, বাংলাদেশি অপরাধী ও সিরিয়াল কিলার।
২০১৩ – আবদুল মালেক চুন্নু, বাংলাদেশ জাতীয় হকি দলের খেলোয়াড়।
২০২০ – (ক)  হরিশঙ্কর বাসুদেবন, ভারতীয় ইতিহাসবিদ ও অধ্যাপক।
(খ) আনোয়ারুল কবির তালুকদার, বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ, অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল ও সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী।
২০২২ – প্রখ্যাত ভারতীয় সন্তুর বাদক শিবকুমার শর্মা।

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This