Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

জীবণ বদলে দেওয়া মনীষীদের কিছু বিখ্যাত উক্তি।।।।

মনীষীদের উক্তি বা মনীষীদের বাণী এইসব বই থেকেই নেওয়া হয়েছে। বইয়ের গুরুত্বপূর্ণ অংশ থেকেই বাণী বা উক্তির সংকলন। বাণী বা উক্তি আমাদের মানবিক হতে শিক্ষা দেয়। শিক্ষা দেয় বিপদে কীভাবে হাল ধরতে হয় তারও। সুতরাং আমাদের উচিত বেশি বেশি বাণী চিরন্তনী পড়া।

10. সফল মানুষেরা কাজ করে যায়।
তারা ভুল করে, ভুল শোধরায় – কিন্তু কখনও হাল ছাড়ে না।
– কনরাড হিলটন
11. অসৎ আনন্দের চেয়ে পবিত্র বেদনা ভালো।
-হোমার
12. প্রয়োজন আইনের তোয়াক্কা করে না।
-বেন্জ্ঞামিন ফ্রাঙ্কলিন
13. অপমান হলো একটি তীর, যতই ভুলতে চাইবেন ততই হৃদয়ের গভীরে বিদ্ধ হবে।
-রেদোয়ান মাসুদ
14. এই বিশ্বে স্থায়ী কিছুই না, এমনকি আমাদের সমস্যাগুলোও না
– চার্লি চ্যাপলিন
15. সাফল্যের মূলমন্ত্র হল যা আমরা ভয় পাই তার উপর নয় বরং আমরা যা চাই তার উপর আমাদের চেতন মনকে কেন্দ্রীভূত করা।
-ব্রায়ান ট্রেসি
16. মানুষ পরাজয়ের জন্য সৃষ্টি হয়নি। তাকে হয়তো ধ্বংস করা যায়, কিন্তু হারানো যায় না।
– আর্নেস্ট হেমিংওয়ে
17. এই পৃথিবী কখনো খারাপ মানুষের খারাপ কর্মের জন্য ধ্বংস হবে না , যারা খারাপ মানুষের খারাপ কর্ম দেখেও কিছু করেনা তাদের জন্যই পৃথিবী ধ্বংস হবে।
-আইনস্টাইন
18. কাককে মুখে তুলে খাওয়াতে গেলে, সে তোমার চোখ উপড়ে খাবে।
– তুরস্কের বিখ্যাত প্রবাদ
19. অন্যকে বারবার ক্ষমা কর কিন্তু নিজেকে কখনোই ক্ষমা করিও না।
-সাইরাস
20. ধার্মিকতা আর ধর্মান্ধতা এক জিনিস নয়। ধার্মিকতা মানুষকে আলোর পথে নিয়ে যায় আর ধর্মান্ধতা মানুষকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেয়। এ দেশের মানুষকে আমি ধার্মিক বলব না কারণ এ দেশের বেশিরভাগ মানুষই ধর্মান্ধ।
-রেদোয়ান মাসুদ
21. অনেক কিছু ফিরে আসে, ফিরিয়ে আনা যায়, কিন্তু সময়কে ফিরিয়ে আনা যায় না
-আবুল ফজল
22. হ্যাঁ এবং না কথা দুটো সবচেয়ে পুরনো এবং সবচেয়ে ছোট। কিন্তু এ কথা দুটো বলতেই সবচেয়ে বেশি ভাবতে হয়।
-পীথাগোরাস
23. প্রেমের আনন্দ থাকে স্বল্পক্ষণ কিন্তু বেদনা থাকে সারাটি জীবন।
-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
24. আপনি যদি গরীব হয়ে জন্ম নেন তাহলে এটা আপনার দোষ নয়, কিন্তু যদি গরীব থেকেই মারা যান তবে সেটা আপনার দোষ।
– বিল গেটস
25. বিখ্যাত না হয়ে জীবন কাটালেও সুন্দর জীবন কাটানো সম্ভব, কিন্তু জীবনের মত জীবন না কাটিয়ে বিখ্যাত হওয়া কখনও সুন্দর জীবন হতে পারে না।
– ক্লাইভ জেমস
26. অসহায়কে অবজ্ঞা করা উচিত নয়, কারণ মানুষ মাত্রেই জীবনের কোন না কোন সময় অসহায়তার শিকার হবে ।
_গোল্ড স্মিথ
27. প্রাপ্তি আর প্রত্যাশার পার্থক্য হলো দুঃখ। তাই নিজের প্রত্যাশাটা একটু কমিয়ে ফেলুন, দেখবেন আপনার দুঃখও কমে গেছে।
-রেদোয়ান মাসুদ
28. একজন আহত ব্যক্তি তার যন্ত্রনা যত সহজে ভুলে যায়, একজন অপমানিত ব্যক্তি তত সহজে অপমান ভোলে না ।
-জর্জ লিললো
29. যে কখনও ভুল করেনা। সে নতুন কিছু করার চেষ্টা করে না
– অ্যালবার্ট আইনস্টাইন।

।। তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট ।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

উত্তরাখণ্ডে দেখার সেরা কিছু জায়গা।।।

ঘুরতে কে না ভালোবাসে। বিশেষ করে বাঙালিরা সুযোগ পেলেই বেরিয়ে পড়ে ভ্রমনের নেশায়। কেউ পাহাড়, কেউ সমুদ্র আবার কেউ প্রাচীন ঐতিহাসিক স্থান ভালোবাসে ভ্রমণ করতে। প্রকৃতি কত কিছুই না আমাদের জন্য সাজিয়ে রেখেছে। কতটুকুই বা আমরা দেখেছি। এ বিশাল পৃথিবীতে আমরা অনেক কিছুই দেখিনি। তবে সোশ্যাল মিডিয়ার দুনিয়ায় আজ গোটা পৃথিবীটা হাতের মুঠোয়় এলেও প্রকৃতিকে চাক্ষুষ প্রত্যক্ষ করা এ এক আলাদা রোমাঞ্চ, আলাদা অনুভূতি যার রেষ হৃদয়ের মনিকোঠায় থেকে যায় চিরকাল।।

ঘুতাইতো আজও মানুষ বেরিয়ে পড়়ে প্রকৃতির কে গায়ে মেখে রোমাঞ্চিত হওয়ার নেশায়। আসুন ঘুরে আসি ভারতের ই একটি দর্শণীয় স্থান উত্তরাখন্ডের আউলি।
মনে করা হয়, বিখ্যাত আদিগুরু শঙ্করাচার্য এখানে অষ্টম শতাব্দীতে এসেছিলেন। যোশীমঠ মন্দিরটি শুধুমাত্র তাঁর দ্বারা নির্মিত যা এখনও পর্যন্ত অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। এছাড়াও, এটি স্থানীয় উপজাতিদের জন্য পরিচিত খাতাউলি যা মূলত একটি আধা যাযাবর উপজাতির নাম ভোটিয়া উপজাতি যা মঙ্গোলিয়া থেকে স্থানান্তরিত হয়েছে বলে ধারণা করা হয়।
আউলি, ভারতের উত্তরাখণ্ডে অবস্থিত একটি হিল স্টেশন থেকে স্কি গন্তব্যস্থল, চারপাশে ওক গাছ, আপেল অর্কিড এবং পাইন গাছে ঘেরা। বিভিন্ন ধরনের উদ্ভিদ ও প্রাণীর আবাসস্থল ছাড়াও, এটি স্কিইং, ট্রেকিং, ক্যাম্পিং এবং আরও অনেক কিছুর মতো দুঃসাহসিক কার্যকলাপের আবাসস্থল।
আউলির উত্তরে, বদ্রীনাথ মন্দির রয়েছে যা হিন্দুদের জন্য সবচেয়ে পবিত্র তীর্থস্থানগুলির মধ্যে একটি। আরেকটি আকর্ষণ হল ভ্যালি অফ ফ্লাওয়ার্স জাতীয় উদ্যান যা আলপাইন উদ্ভিদ এবং বন্যপ্রাণী তুষার চিতা এবং লাল শেয়ালের জন্য বিখ্যাত। পর্যটকদের মধ্যে ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তার সাথে, আউলি পর্যটন ভারত সরকারের জন্য প্রচুর রাজস্ব যোগ করে।

আউলি যেখান থেকে ভারতের উত্তরাখণ্ডের নীলকণ্ট, মানা পর্বত, নন্দা দেবীর ‘ধবল শিখর’-এর সৌন্দর্যে নিজেকে বুঁদ করে রাখতে পারবেন। বরফ মোড়া পাহাড়ে রয়েছে বিভিন্ন অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টসের হাতছানি। আউলি সাধারনত শীতকালে পর্যটকদের কাছে বেশি জনপ্রিয় তার শীতকালীন অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টসের কারনে। আউলি ভ্রমনের আরেকটি সেরা আকর্ষন এখানকার ক্যাবল কার। রোপওয়ে চেপে আউলি ভ্রমণ যেন একটা ম্যাজিক। ৫ নম্বর টাওয়ারের পর থেকে হিমালয় উন্মুক্ত হয়ে আছেন। আস্তে আস্তে টাওয়ার নম্বর যত বাড়বে ততই চোখের সামনে আসবেন নন্দাদেবী, দ্রোণাগিরি, ত্রিশূল, নন্দাকোট, পঞ্চচুল্লি। চোখের সামনে একের পর এক পিক উন্মুক্ত হতে দেখে আছন্ন হয়ে পড়েতে হয়, এ যেন স্বপ্নের থেকেও অনেক সুন্দর। সকালে-বিকালে অলস পায়ে পাহাড়ি পথের আঁকেবাঁকে ঘুরে বেড়ানো, ভোরবেলা লজের বারান্দা থেকে দিনের প্রথম আলোয় পাহারচুড়োর রংবদল আর সন্ধ্যায় সোনাঝরা সূর্যাস্তের মায়াবি আলোয় পাখিদের ঘরে ফেরা দেখতে দেখতে কেটে যাবে দুদিন।
GMVN লজের পাশেই একটা হনুমানজির মন্দির আছে। চেয়ার লিফট পয়েন্টের সামনের গেট দিয়ে গেলে কম সিঁড়ি ভাঙতে হয়। এখান থেকে নন্দাদেবি, ত্রিশুল, কামেট, দুনাগিরি, গৌরি আর হাতি পর্বত, নিলকান্ত পিকগুলো দেখা যায়।
আউলির রোপওয়ে হচ্ছে গিয়ে এশিয়ার দীর্ঘতম (৩.৭৫কিমি) তথা উচ্চতম আর গোটা পৃথিবীর মধ্যে দ্বিতীয় উচ্চতম। এক থেকে দশ এই ১০টি টাওয়ার, আউলিতে যাঁরা থাকবেন তাঁরা ৮নম্বর টাওয়ারে নেমে যেতে পারেন, কারণ এখানেই আউলির রিসোর্ট। আরো দুটো টাওয়ার পেরোলে আউলির বিখ্যাত ‘গরসন বুগিয়াল’। এই অলি শীতকালে স্কিইং ও আইস স্কেটিংয়ের ideal destination. এমনকি এখানে স্কেটিং শেখানোর স্কুলও আছে। ভাড়া পাওয়া যায় শীতের পোশাক, স্কিইংয়ের সরঞ্জাম আর গাইড।

আউলিতে দেখার বিশেষ জায়গা—
আউলি অন্যতম উত্তরাখণ্ডে দেখার সেরা জায়গা. আপনি যদি আউলিতে ভ্রমণ করেন তবে আউলির এই পর্যটন স্থানগুলি পরীক্ষা করে দেখুন।
১) গর্সন বুগিয়াল
সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৩০৫৬ উচ্চতায় অবস্থিত, এটি একটি মনোরম অবস্থান যেখানে কেউ নন্দা দেবী এবং ত্রিশূলের দৃশ্য উপভোগ করতে পারেন। এই সৌন্দর্যের সাক্ষী হতে আউলি হিল স্টেশন থেকে এই গন্তব্যে মাত্র ৩ কিলোমিটার ট্রেকিং করতে হবে।
২) কোয়ানি বুগিয়াল
এটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৩৩০০ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত। গরসন বুগিয়াল থেকে ১২ কিলোমিটার দূরে, এই জায়গাটিকে ট্রেকারদের জন্য অত্যন্ত উপযুক্ত বলে মনে করা হয়। এটি জোশিমঠ-আউলি-গুরসো বুগিয়াল-কোয়ানি বুগয়ালের ট্রেকিং রুটের মধ্যে আসে। এটি ক্যাম্প করার জন্য একটি দুর্দান্ত জায়গা এবং প্রকৃতির কোলে উপভোগ করে।
৩) চেনাব হ্রদ
কম লোক সমাগমের সাক্ষী, সুন্দর জায়গাটি আপনাকে বিস্ময়ে রাখার জন্য দুর্দান্ত সৌন্দর্য এবং শান্ত পরিবেশের ঋণী। সবুজ গাছ-গাছালির মাঝে সুন্দর গ্রামগুলো পর্যটকদের জন্য লোভনীয়।
৪) ত্রিশূল চূড়া
সবচেয়ে জনপ্রিয় আউলি পর্যটন স্থানগুলির মধ্যে একটি হল ত্রিশুল পাইক যা পশ্চিম কুমায়ুনে তিনটি হিমালয় পর্বত শৃঙ্গ দ্বারা গঠিত। এটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৭১২০ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত।
৫)জোশিমাঠ
যোশীমঠ অবিচ্ছেদ্য এক ভারতের তীর্থস্থান যেটি আদি গুরু শঙ্করাচার্য কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত বেশ কয়েকটি হিন্দু মন্দির নিয়ে গর্বিত। যদিও এটি প্রাথমিকভাবে ধর্মীয় গুরুত্বের, জোশিমঠ একটি জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্যও।
৬) ট্রেকিং
কুয়ানি বুগয়াল ট্রেকিংয়ের জন্য সেরা গন্তব্যগুলির মধ্যে একটি। আপনি যখন কুয়ানি বুগিয়ালের দিকে ট্র্যাক করছেন, তখন আপনি সুন্দর তৃণভূমিগুলি অন্বেষণ করতে পারবেন যেগুলি তুষারাবৃত পর্বত শৃঙ্গে ঘেরা।
৭) স্কিইং
আউলি স্কিইং কার্যকলাপের জন্য সর্বাধিক পরিচিত। তুষার-ঢাকা এলাকাগুলি আপনাকে স্কিইং উপভোগ করতে এবং কিছু মজা এবং দুঃসাহসিক সময় কাটাতে দেয়। যদিও, পর্যটকরা মাউন্টেন বাইক ট্রেইলও উপভোগ করতে পারেন।
৮) ক্যাবল কার রাইড
স্থানীয়ভাবে ক্যাবল কার রাইডিং নামে পরিচিত গন্ডোলা. একটি ক্যাবল কার যাত্রার অভিজ্ঞতা লালন করার জন্য একটি উত্তেজনাপূর্ণ মুহূর্ত হতে পারে। যোশিমঠ থেকে শুরু করে ৪ কিলোমিটারের দূরত্ব জুড়ে গুলমার্গের পরে আউলি এশিয়ার সর্বোচ্চ এবং দীর্ঘতম কেবল কার রাইড রয়েছে।
৯) ক্যাম্পিং
আউলি লেকের পাড়ে ক্যাম্পিং করাই সবকিছু। বনফায়ারের চারপাশে বসে থাকা, আপনার বন্ধু এবং প্রিয়জনদের সাথে বিশেষ মুহূর্তগুলি উপভোগ করার সময় সুস্বাদু খাবার খাওয়া এখানে করা সেরা জিনিস।

আউলি রোপওয়ে পয়েন্ট—-
আউলি গেলে অনেকেই রোপওয়ে চেপে, ঘুরে ফিরে আসেন। কিন্তু যদি সম্ভব হয় এক রাত থাকুন। বরফ না পেলেও থাকুন, অন্য কোন অধরা রূপ অপেক্ষা করছে আপনার জন্য।
বদ্রীনাথ যাওয়ার পথে অথবা হেমকুন্ড, ভ্যালি অফ ফ্লাওয়ারস যাওয়ার পথে আউলি দেখে নেওয়া যায়। কেবল কারে চেপে আকাশপথে আউলি ভ্রমণ চিরকাল মনে থেকে যাবে।

ভ্রমণের সেরা সময়—

আউলি সাধারনত শীতকালীন এক্টিভিটির জন্যে সেরা গন্তব্য। শীতকালীন অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টস এবং বরফের রাজ্যে হারিয়ে যাওয়ার জন্যে এখানে সাধারনত ডিসেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত ভ্রমণের সেরা সময় ধরা হয়। তুষারাবৃত পর্বত উপভোগ করার জন্য ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যেও কেউ তার ভ্রমণের সময়সূচী করতে পারেন। এছাড়াও, আপনি যদি ভারতের আর্দ্র গ্রীষ্ম এড়িয়ে যেতে চান, তবে আপনি মে এবং জুন মাসে এখানে যেতে পারেন। আউলিতে শরৎকালও খুব সুন্দর ও মনোরম। তাই, জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে আউলি ট্রিপের জন্য আপনার টিকিট বুক করা সবচেয়ে ভালো হবে।

কিভাবে আউলি পৌঁছাবেন—

আউলি ভারতের সবচেয়ে মনোরম হিল স্টেশনগুলির মধ্যে একটি, তাই, আপনার জীবনে অন্তত একবার এটি পরিদর্শন করা উচিত। এখানে এই গন্তব্যে পৌঁছানোর বিভিন্ন উপায় রয়েছে।

আকাশ পথে–

নিকটতম বিমানবন্দর হল জলি গ্রান্ট আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দেরাদুন বিমানবন্দর ২৩৭ কিমি দূরে অবস্থিত।
এছাড়াও রেল যোগে, সড়কপথে যাওয়া যেতে পরে।

কোথায় থাকবেন——

যোশিমঠ থাকতে চাইলে রোপওয়ে পয়েন্টের কাছে তিন-চারটে হোটেল আছে। সাধারণ মানের। তবে পরিষ্কার ঘর, লাগোয়া বাথরুম, গীজার ইত্যাদি আছে। আউলিতে থাকার জন্যে GMVN এর স্কি রিসোর্ট ছাড়াও কয়েকটি রিসোর্ট ও লজ আছে।

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This
Categories
রিভিউ

আজ ০৯ মে, ইতিহাসের দিকে চোখ বুলিয়ে দেখে নেব ইতিহাসের এই দিনে বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু, দিনসহ ঘটে যাওয়া ঘটনা।।।।

আজ ০৯ মে। এক নজরে দেখে নিই ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু দিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

দিবস—–

(ক) বিজয় দিবস ( রাশিয়া)।
আজ যাদের জন্মদিন—-

১৫৪০ – মেওয়ারের শিশোদিয়া রাজবংশের হিন্দু রাজপুত রাজা মহারাণা প্রতাপ সিং।

১৮০০ – আমেরিকার দাস বিদ্রোহের নেতা জন ব্রাউন।
১৮৬৬ – ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের রাজনৈতিক নেতা ও বিশিষ্ট সমাজ সংস্কারক গোপালকৃষ্ণ গোখলে।

১৮৯৫ – রিচার্ড বার্থেলমেস, মার্কিন অভিনেতা।
১৯০৭ – জ্যাকি গ্র্যান্ট, ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ও ধর্মপ্রচারক।
১৯৩২ – কনরাড হান্ট, ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার।
১৯৩৬ – গ্লেন্ডা জ্যাকসন, ইংরেজ অভিনেত্রী ও রাজনীতিবিদ।
১৯৪৩ – মরিস ফস্টার, ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার।
১৯৫১ – কেভিন কিগান – ইংরেজ ফুটবলার ও ম্যানেজার।
১৯৫৯ – অ্যান্ড্রু জোন্স, নিউজিল্যান্ডীয় সাবেক ক্রিকেটার।
১৯৮৬ – জেনি গান, ইংরেজ আন্তর্জাতিক প্রমীলা ক্রিকেটার।
১৯৮৭ – মুশফিকুর রহিম, বাংলাদেশী উইকেট কিপার ব্যাটসম্যান।

ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনের ঘটনাবলী—-

১৫০২ – ক্রিস্টোফার কলম্বাস তার চতুর্থ অভিযাত্রা শুরু করেন।
১৫০৯ – নতুন পৃথিবীর সন্ধানে কলম্বাসের কাদিজ থেকে চতুর্থ এবং সর্বশেষ অভিযাত্রা শুরু।
১৫৭৩ – ডিউক হেনরি পোল্যান্ডের রাজা নির্বাচিত।
১৭৮৮ – ব্রিটেনের ক্রীতদাস প্রথা বিলোপের জন্য পার্লামেন্টে বিল পাস।
১৮৭৪ – বোম্বেতে প্রথম ঘোড়ায় টানা ট্রাম চালু হয়।
১৮৭৯ – নারী সচেতনতা প্রসারকল্পে কেশবচন্দ্র সেন আর্য নারী সমাজ প্রতিষ্ঠা করেন।
১৯৩৬ – ইতালি-ইথিওপিয়া একত্রীভুক্ত। রাজা তৃতীয় ভিক্টর এমানয়েল নিজেকে সম্রাট ঘোষণা করেন।
১৯৪৫ – নাৎসি জার্মনীর বিরুদ্ধে বিজয় অর্জনের মাধ্যমে দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের অবসানে বিশ্বে বিজয়োৎসব পালিত হয়।
১৯৫৫ – ঠাণ্ডাযুদ্ধ বা স্নায়ুযুদ্ধের সময় পশ্চিম জার্মানি ন্যাটোতে যোগদান করে এই দিনে।
১৯৬০ – বিশ্বখাদ্য ও ড্রাগ প্রশাসন ঘোষণা করে যে জন্মনিয়ন্ত্রণের জন্য বড়ি ব্যবহার করা যাবে।
১৯৬৬ – চীন তৃতীয়বারের মত পারমাণবিক বিস্ফোরণ ঘটায়।
১৯৬৭ – জাকির হোসেন ভারতের রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন।
১৯৮৪ – অক্সিজেন না নিয়েই এভারেস্ট জয় করেন ফু দোর্।
১৯৯২ – আর্মেনিয়ার সেনাবাহিনী আজারবাইজান প্রজাতন্ত্রের উপর হামলা চালিয়েছিলো।
১৯৯৪ – নেলসন ম্যান্ডেলা বর্ণবৈষম্যহীন দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন।
১৯৯৬ – ১৫ বছর পর উগান্ডায় প্রথম রাষ্ট্রপতি নির্বাচন।
১৯৯৭ – জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে লিবীয় নেতা গাদ্দাফির নাইজেরিয়া গমন।
২০০৪ – চেচেন প্রেসিডেন্ট আখমাদ কাদিরভকে হত্যা করা হয় ভিআইপি স্টেজের নিচে মাইন পেতে রেখে। যখন তিনি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের বিজয় দিবসে সেনা কুচকাওয়াজ দেখছিলেন।

এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন যারা—-

১৮০৫ – জার্মান লেখক কবি নাট্যকার ইহুয়ান ফেডারিক শিলার।

১৯০৩ – পল গোগাঁ, প্রখ্যাত ফরাসি চিত্রকর।

১৯৩১ – আলবার্ট আব্রাহাম মাইকেলসন, মার্কিন পদার্থবিদ।
১৯৭১ – পূর্ণেন্দু দস্তিদার, লেখক ও রাজনীতিবিদ।
১৯৮৫ – এডমন্ড ওব্রায়েন, মার্কিন অভিনেতা।
১৯৮৬ – তেনজিং নোরগে নেপালী শেরপা পর্বতারোহী ও এডমন্ড হিলারির সাথে প্রথম এভারেস্ট শৃঙ্গ জয়ী।
১৯৯৮ – তালাত মাহমুদ, ভারতীয় গজল গায়ক।
২০০৯ – এম এ ওয়াজেদ মিয়া, বাংলাদেশি পরমাণুবিজ্ঞানী।
২০১৩ – ইন্দ্রনাথ মজুমদার, কলকাতার সুবর্ণরেখা প্রকাশন সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা ও দুষ্প্রাপ্য গ্রন্থের সংগ্রাহক।

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

আজ বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস, জানুন দিনটি কেন পালিত হয় এবং পালনের গুরুত্ব।।।

৮ মে বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস হিসেবে পরিচিত একটি তাৎপর্যপূর্ণ দিন। এটি এমন একটি দিন যা থ্যালাসেমিয়া নামক একটি জেনেটিক সমস্যা সম্পর্কে মানুষকে শেখানোর জন্য। এই সমস্যাটি শরীরের পক্ষে হিমোগ্লোবিন নামক একটি অত্যাবশ্যক জিনিস তৈরি করা কঠিন করে তোলে, যা আমাদের রক্তে অক্সিজেন বহন করতে সাহায্য করে।

থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তিরা তাদের পিতামাতার কাছ থেকে এই সমস্যাটি পান এবং এর অর্থ তাদের রক্তে অক্সিজেন বহন করার জন্য পর্যাপ্ত প্রোটিন নেই। বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবসের মূল লক্ষ্য হল এই রক্তের সমস্যাকে আরও ভালভাবে বুঝতে সাহায্য করা এবং যাদের এটি আছে তাদের প্রতি সমর্থন জানানো।

বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবসের থিম ২০২৫—

২০২৫ সালের বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবসের প্রতিপাদ্য হল “থ্যালাসেমিয়ার জন্য একসাথে: সম্প্রদায়গুলিকে একত্রিত করা, রোগীদের অগ্রাধিকার দেওয়া”। এই প্রতিপাদ্যটি রোগী-কেন্দ্রিক পদ্ধতির উপর জোর দেয়, থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য সামগ্রিক যত্ন এবং সুস্থতা প্রচার করে। এর লক্ষ্য স্বাস্থ্যসেবা নীতিতে থ্যালাসেমিয়া রোগীদের চাহিদাগুলিকে অগ্রাধিকার দেওয়ার জন্য বিশ্ব সম্প্রদায়গুলিকে একত্রিত করা।

এছাড়াও, আরেকটি সূত্র থ্যালাসেমিয়া রোগীদের জন্য সহজলভ্য এবং সাশ্রয়ী মূল্যের স্বাস্থ্যসেবা পরিষেবার গুরুত্ব তুলে ধরে “মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবার মাধ্যমে জীবনকে ক্ষমতায়ন করা” থিমটি উল্লেখ করেছে। তবে, থ্যালাসেমিয়া আন্তর্জাতিক ফেডারেশন “থ্যালাসেমিয়ার জন্য একসাথে: সম্প্রদায়গুলিকে একত্রিত করা, রোগীদের অগ্রাধিকার দেওয়া” থিমটি আরও ব্যাপকভাবে স্বীকৃত এবং ব্যবহৃত বলে মনে হচ্ছে।

বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস ২০২৫ এর তাৎপর্য—

এই দিনটি অত্যাবশ্যক কারণ এটি থ্যালাসেমিয়া সম্পর্কে লোকেদের বলার উপর ফোকাস করে, এটির কারণ কী এবং কী লক্ষণগুলি সন্ধান করা উচিত। থ্যালাসেমিয়া এড়াতে সবাইকে সুস্থ জীবনযাপনে উৎসাহিত করার একটি সুযোগ। এছাড়াও, এটি থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তিরা কী সমস্যার মুখোমুখি হয় এবং কেন তাদের সঠিক যত্ন এবং সহায়তা দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ তা তুলে ধরে। বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস আমরা থ্যালাসেমিয়াকে কীভাবে চিকিত্সা করি তা উন্নত করার জন্য চলমান গবেষণার প্রয়োজনীয়তার কথাও সবাইকে স্মরণ করিয়ে দেয়।

বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবসের ইতিহাস—

থ্যালাসেমিয়া ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন (টিআইএফ) নামে একটি গ্রুপকে ধন্যবাদ ১৯৯৪ সালে প্রথম বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস হয়েছিল। এই গ্রুপটি, যেটি বিশ্বব্যাপী থ্যালাসেমিয়া মোকাবেলা করা ব্যক্তি এবং পরিবারকে সাহায্য করে, ১৯৮৬ সালে মিঃ প্যানোস এঙ্গেলোজস এবং যুক্তরাজ্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, গ্রীস, ইতালি এবং সাইপ্রাসের পরিবারগুলি দ্বারা শুরু হয়েছিল। থ্যালাসেমিয়ায় মারা যাওয়া মিঃ প্যানোসের ছেলে জর্জকে স্মরণ করার জন্য তারা এই দিনটি তৈরি করেছিলেন। সেই থেকে, থ্যালাসেমিয়া সম্পর্কে এবং কীভাবে এটি সর্বত্র মানুষ ও পরিবারকে প্রভাবিত করে তা ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য আমরা প্রতি বছর ৮ মে বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস পালন করি।
থ্যালাসেমিয়া একটি জিনগত রোগ। যদি বাবা ও মায়ের দু’জেনই থ্যালাসেমিয়ার বাহক হন, তা হলে সন্তানের থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা খুব বেশি।
থ্যালাসেমিয়া একটি ব্লাড ডিজঅর্ডার যার ফলে শরীরে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কমে যায়। প্রধানত তিন ধরনের থ্যালাসেমিয়া হয়। আলফা থ্যালাসেমিয়া, বিটা থ্যালাসেমিয়া ও থ্যালাসেমিয়া মাইনর। থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত হলে রক্তে লোহিত রক্ত কণিকা ও হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ অতিরিক্ত মাত্রায় কমে যায়। যার ফলে রক্তাল্পতার সমস্যা দেখা দেয়।

থ্যালাসেমিয়ার লক্ষণ—

ক্লান্তি, হাড় ভঙ্গুর হয়ে যাওয়া, দুর্বলতা, ফ্যাকাশে ত্বক, শরীরে আয়রন জমা হওয়া, হার্টের সমস্যা প্রভৃতি বিষয়।
চিকিৎসকদের মতে, এ রোগের ফলে আক্রান্তের শরীরে নির্দিষ্ট পরিমাণ রক্ত তৈরি হয় না, যার ফলে অন্যের রক্ত ট্রান্সফিউশন নিয়ে তাদের জীবন চালাতে হয়। বাবা-মা উভয়ই ত্রুটিযুক্ত জীন বহন করলে সে ক্ষেত্রে প্রতি গর্ভাবস্থায় সন্তানের ২৫ শতাংশ থেলাসেমিয়া রোগী হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ২৫ শতাংশ সুস্থ্য এবং ৫০ শতাংশ বাহক হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। বেশিরভাগ থ্যালাসেমিয়া আক্রান্তের পেছনে বাবা-মায়ের থ্যালাসেমিয়া বাহক হওয়ার কারণ রয়েছে। তাই চিকিৎসকদের পরামর্শ বিয়ের আগে অবশ্যই থ্যালাসেমিয়া পরীক্ষা করানো উচিত। যাতে বাবা-মা বাহক হলেও ৭৫ শতাংশ রোগী ও বাহক কমিয়ে আনা সম্ভব।
তাই রোগটি সম্পর্কে জনসচেতনতা বাড়াতে সারাবিশ্বে দিনটি পালিত হয়ে আসছে ।

।। তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

আজ বিশ্ব রেডক্রস দিবস, জানুন দিনটি কেন পালিত হয় এবং গুরুত্ব।

বিশ্ব রেড ক্রস এবং রেড ক্রিসেন্ট দিবস ২০২৪ বিশ্ব রেড ক্রস দিবস প্রতি বছর ৮ মে প্রাকৃতিক দুর্যোগ, সংঘাত এবং সংকট দ্বারা প্রভাবিত ব্যক্তিদের সম্মান জানাতে এবং রেড ক্রস এবং রেড ক্রিসেন্ট আন্দোলনের মানবিক নীতির উপর জোর দেওয়ার জন্য পালিত হয়। এই দিনটি সংস্থাগুলির প্রতিষ্ঠাতা হেনরি ডুনান্টের জন্মদিনকে স্মরণ করে বিশ্বব্যাপী রেড ক্রস এবং রেড ক্রিসেন্ট আন্দোলনের মানবিক প্রচেষ্টার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে।

প্রতি বছর ৮ মে বিশ্ব রেড ক্রস দিবস পালিত হয়। ইতিহাস, তাৎপর্য, থিম এবং কার্যক্রম জানুন।

বিশ্ব রেড ক্রস এবং রেড ক্রিসেন্ট দিবস ২০২৫—

প্রতি বছর ৮ই মে বিশ্বব্যাপী ব্যক্তিবর্গ বিশ্ব রেড ক্রস ও রেড ক্রিসেন্ট দিবস পালনে একত্রিত হয়। এই অনুষ্ঠানে আন্তর্জাতিক রেড ক্রস এবং রেড ক্রিসেন্ট আন্দোলনের মৌলিক নীতিগুলি তুলে ধরা হয়। এটি রেড ক্রসের আন্তর্জাতিক কমিটির প্রতিষ্ঠাতা এবং নোবেল শান্তি পুরস্কারের উদ্বোধনী প্রাপক হেনরি ডুনান্টের প্রতি শ্রদ্ধা হিসেবে কাজ করে। একটি বার্ষিক থিম্যাটিক ফোকাস সহ, সবাইকে শান্তির দিকে ইতিবাচকভাবে অবদান রাখার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।

বিশ্ব রেড ক্রস এবং রেড ক্রিসেন্ট দিবস ২০২৫: তারিখ—

৮ মে শেষ পর্যন্ত বেছে নেওয়া হয়েছিল কারণ এটি রেড ক্রসের আন্তর্জাতিক কমিটির প্রতিষ্ঠাতা হেনরি ডুনান্টের জন্মবার্ষিকী। প্রথম ‘আন্তর্জাতিক রেড ক্রস দিবস’, যেমনটি পরিচিত ছিল, ১৯৪৮ সালের ৮ মে পালিত হয়েছিল।

বিশ্ব রেড ক্রস দিবস ২০২৫: থিম—

২০২৫ সালের বিশ্ব রেড ক্রস দিবসের প্রতিপাদ্য হল “মানবতাকে বাঁচিয়ে রাখা”, যা বৈষম্য, স্বাস্থ্য সমস্যা এবং সংঘাতের মতো চ্যালেঞ্জিং সময়ে মানবিক আদর্শকে সমুন্নত রাখার গুরুত্বের উপর জোর দেয়। এই প্রতিপাদ্যটি দয়া, শান্তি এবং আশাবাদ ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান হিসাবে কাজ করে এবং প্রয়োজনে ত্রাণ সরবরাহকারী রেড ক্রসের স্বেচ্ছাসেবকদের নিঃস্বার্থ সেবাকে সম্মান জানায় ।

এছাড়াও, অন্য একটি সূত্রে এই প্রতিপাদ্যটি “মানবতাকে বাঁচিয়ে রাখা: আশা, সাহায্য, নিরাময়” হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে, যা মানব জীবন এবং মর্যাদা রক্ষার জন্য সংস্থার লক্ষ্য তুলে ধরে ।

বিশ্ব রেড ক্রস দিবস: তাৎপর্য—-

বিশ্ব রেড ক্রস দিবস গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি সংগঠনের নীতি, মিশন এবং ক্রিয়াকলাপ সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে একটি প্ল্যাটফর্ম হিসাবে কাজ করে। এটি সংকটের সময় মানবতা, সহানুভূতি এবং সংহতির তাৎপর্য তুলে ধরে। বিশ্ব রেড ক্রস দিবস পালন করা ব্যক্তিদের রেড ক্রসের গুরুত্বপূর্ণ মানবিক প্রচেষ্টা এবং বিশ্বব্যাপী মানবিক মূল্যবোধের পক্ষে সমর্থন প্রদর্শনের অনুমতি দেয়।

বিশ্ব রেড ক্রস দিবস ২০২৫ : ইতিহাস——

বিশ্ব রেড ক্রস দিবসের উৎপত্তি প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে পাওয়া যায়, যেখানে রেড ক্রস শান্তির প্রচারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। ১৯৩৪ সালে, টোকিওতে ১৫ তম আন্তর্জাতিক সম্মেলনে রেড ক্রস ট্রুস রিপোর্ট প্রবর্তন করা হয়েছিল, সংঘাতের সময় আহত সৈন্যদের সুরক্ষার নীতিগুলি উপস্থাপন করে। এই নীতিগুলি ১৯৪৬ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় বাস্তবায়িত হয়েছিল। পরবর্তীকালে, “লীগ অফ দ্য রেড ক্রস সোসাইটিজ (এলওআরসিএস)”-এর বোর্ড অফ গভর্নরস হেনরি ডুনান্টের জন্মদিনের সম্মানে 8 মে একটি বার্ষিক স্মরণের প্রস্তাব করেছিল। রেড ক্রসের স্বেচ্ছাসেবক ও কর্মীদের প্রতিশ্রুতি এবং বীরত্বকে সম্মান জানাতে বিশ্ব রেড ক্রস দিবস উদযাপন উপলক্ষে এই প্রস্তাবটি আনুষ্ঠানিকভাবে ১৯৪৮ সালে গৃহীত হয়েছিল।

বিশ্ব রেড ক্রস দিবস ২০২৫ : কার্যক্রম—

বিশ্ব রেড ক্রস দিবস মানবিক প্রচেষ্টাকে সমর্থন করার জন্য এবং রেড ক্রসের জন্য অনুদান সংগ্রহের জন্য বিভিন্ন কার্যক্রমের আয়োজন করে। এই কার্যক্রমগুলি রক্তদান ইভেন্ট, প্রাথমিক চিকিৎসা কর্মশালা, তহবিল সংগ্রহের ড্রাইভ, সচেতনতামূলক উদ্যোগ এবং ব্যতিক্রমী স্বেচ্ছাসেবক এবং মানবিক কৃতিত্বের স্বীকৃতি অন্তর্ভুক্ত করে। এই ইভেন্টগুলিতে জড়িত হওয়া ব্যক্তিদের রেড ক্রসের দুর্বলদের সাহায্য করার লক্ষ্যকে এগিয়ে নিতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে দেয়।

স্বাস্থ্য এবং সচেতনতার উপর ফোকাস করুন—-

বিশ্ব রেড ক্রস এবং রেড ক্রিসেন্ট দিবস শান্তিকে স্মরণ করে এবং স্বাস্থ্য সচেতনতা প্রচার করে। সঙ্গীত এবং টেলিভিশন বার্তার মাধ্যমে, ব্রিটিশ রেড ক্রসের সহায়তায় বিশ্বব্যাপী লক্ষ লক্ষ মানুষকে যক্ষ্মা, H.I.V./AIDS, এবং ম্যালেরিয়ার মতো রোগ প্রতিরোধ ও চিকিৎসার বিষয়ে শিক্ষিত করা হয়।

।। তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

আজ ০৮ মে, ইতিহাসের দিকে চোখ বুলিয়ে দেখে নেব ইতিহাসের এই দিনে বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু, দিনসহ ঘটে যাওয়া ঘটনা।

আজ ০৮ মে। এক নজরে দেখে নিই ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু দিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।
দিবস—–
(ক)  বিশ্ব রেডক্রস দিবস ৷
(খ) বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস।
আজ যাদের জন্মদিন—-

১৮৮৪ – হ্যারি এস. ট্রুম্যান, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৩৩তম রাষ্ট্রপতি।
১৮৯৫ -এডমন্ড উইলসন, মার্কিন ঔপন্যাসিক, নাট্যকার ও কবি ।
১৮৯৯ – ফ্রিড্রিখ হায়েক, একজন অস্ট্রীয় অর্থনীতিবিদ।
১৯০৩ – আলভিন রবার্ট কর্নেলিয়াস, পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি।
১৯০৬ – রোবার্তো রোসেলিনি, ইতালীয় চলচ্চিত্র পরিচালক।
১৯১১ – আ. ন. ম. বজলুর রশীদ, বাংলাদেশী সাহিত্যিক ও শিক্ষাবিদ।
১৯১৬ – জোয়াও হ্যাভেলাঞ্জ, ব্রাজিলীয় ব্যবসায়ী এবং ক্রীড়া কর্মকর্তা।
১৯২৪ – কলিম শরাফী, বাংলাদেশী সঙ্গীত শিল্পী।
১৯২৬ – জোয়াও হ্যাভেলাঞ্জ, প্রখ্যাত ব্রিটিশ সম্প্রচারক, লেখক এবং প্রামাণ্যচিত্র নির্মাতা।
১৯২৯ – গিরিজা দেবী, সেনিয়া ও বারাণসী ঘরানার ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতশিল্পী ।
১৯৩৭ – থমাস পিনচন, আমেরিকান উপন্যাসিক।
১৯৩৮ – জাভেদ বার্কি, পাকিস্তানের সাবেক আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার এবং অধিনায়ক।
১৯৪২ – রবিন হবস, সাবেক ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার।
১৯৪৪ – চলপতি রাও, ভারতীয় অভিনেতা।
১৯৪৭ – এইচ রবার্ট হরভিটস, মার্কিন জীববিজ্ঞানী।
১৯৪৭ – শর্মিলী আহমেদ, বাংলাদেশী টেলিভিশন এবং চলচ্চিত্র অভিনেত্রী।
১৯৫৭ – রিনো কাতাসে, জাপানি অভিনেত্রী।
১৯৬০ – ফ্রাংকো বারেসি , ইতালীয় ফুটবল খেলোয়াড়।
১৯৬১ – বিল ডি ব্লাজিও মার্কিন রাজনীশাহিত।
১৯৭০ – মাইকেল বেভান, সাবেক অস্ট্রেলীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তারকা।
১৯৭০ – লুইস এনরিকে, স্পেনীয় ফুটবল ম্যানেজার এবং প্রাক্তন খেলোয়াড়।
১৯৭৫ – এনরিক ইগলেসিয়াস, স্প্যানিশ-আমেরিকান গায়ক, গীতিকার, অভিনেতা এবং সংগীত প্রযোজন।
১৯৮১ – স্টিফেন এমেল, কানাডিয়ান অভিনেতা।
১৯৯৩ – প্যাট কামিন্স, অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার।

ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনের ঘটনাবলী—-

১৭৯৪ – ফ্রান্সের রসায়ন বিজ্ঞানের জনক এ্যান্থেনিও লেভিকে ফাঁসিতে ঝোলানো হয়েছিল।
১৮৬৩ – ভারতে প্রথম রেডক্রস দিবস উদযাপিত হয়।
১৮৮৪ – হ্যারি এস. ট্রুম্যান, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৩৩তম রাষ্ট্রপতি।
১৯০২ – দক্ষিণ ফ্রান্সে অবস্থিত একটি পাহাড় থেকে বিকট শব্দে হঠাৎ অগ্ন্যুৎপাত শুরু হওয়ায় সেন পিয়ারে নামের একটি শহর সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে যায়।
১৯০৩ – আলভিন রবার্ট কর্নেলিয়াস, পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি।
১৯১১ – আ. ন. ম. বজলুর রশীদ, বাংলাদেশী সাহিত্যিক ও শিক্ষাবিদ।
১৯২১ – রুমানিয়ায় কমিউনিস্ট পার্টি প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯২৪ – কলিম শরাফী, বাংলাদেশী সঙ্গীত শিল্পী।
১৯৪৫ – সোভিয়েত লাল ফৌজের বার্লিন বিজয়ের মধ্য দিয়ে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ফ্যাসিস্ট জার্মানির পরাজয় ঘটে।
১৯৬২ – রবীন্দ্রনাথের জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়িতে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় উদ্বোধন করা হয়।
১৯৯৬ – দক্ষিণ আফ্রিকায় বর্ণবৈষম্য যুগের পরবর্তী নতুন সংবিধান চালু হয়।

এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন যারা—-

১৭৮৮ – জিওভান্নি আন্তোনিও স্কোপোলি, তাইরলীয় চিকিৎসক ও প্রকৃতিবিদ।
১৭৯৪ – অঁতোয়ান লাভোয়াজিয়ে, ফরাসি অভিজাত এবং রসায়নবিদ।
১৮৭৩ – রাজনৈতিক অর্থনীতিবিদ জন স্টুয়ার্ট মিল।
১৮৮০ – ফরাসি ঔপন্যাসিক গুস্তাভ ফোবের।
১৯০৩ – পল গোগাঁ, ফরাসি চিত্রকর।
১৯৬৫ – ওয়ালি হার্ডিঞ্জ, ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তারকা ও ফুটবলার ছিলেন।
১৯৮১ – কলকাতা হাইকোর্টের প্রথম ভারতীয় স্থায়ী প্রধান বিচারপতি ফণিভূষণ চক্রবর্তী।
১৯৮৮ – রবার্ট এ হাইনলাইন, মার্কিন বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী লেখক।
১৯৯৩ – দেবীপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায়, ভারতের একজন প্রখ্যাত মার্কসবাদী দার্শনিক।
১৯৯৯ – ডার্ক বোগার্ড, ইংরেজ অভিনেতা ও লেখক।
২০০৮ – জ্ঞানেশ মুখোপাধ্যায়, ভারতীয় বাঙালি অভিনেতা,পরিচালক ও নাট্যব্যক্তিত্ব।
২০২৩ – প্রখ্যাত কথা সাহিত্যিক সমরেশ মজুমদার।

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

জীবন বাঁচান : বিশ্ব হাঁপানি দিবসে অ্যাজমা সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানোর গুরুত্ব।।।।

বিশ্ব হাঁপানি দিবস (WAD) প্রতি বছর মে মাসের প্রথম মঙ্গলবার পালন করা হয়। দিনটি বিশ্বব্যাপী অ্যাজমা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য নিবেদিত। এটি গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ ফর অ্যাজমা (GINA) দ্বারা সংগঠিত। জিআইএনএ অ্যাজমা রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের যথাযথ শিক্ষার মাধ্যমে ক্ষমতায়ন করার চেষ্টা করে যাতে তারা তাদের অবস্থা কার্যকরভাবে পরিচালনা করতে পারে।

হাঁপানি থেকে অব্যাহত এড়ানো যায় এমন অসুস্থতা এবং মৃত্যুহার সম্পর্কে স্বাস্থ্যসেবা পেশাদারদের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানোর লক্ষ্যও এই দিবসটি।
হাঁপানি সবচেয়ে সাধারণ দীর্ঘস্থায়ী অসংক্রামক রোগগুলির মধ্যে একটি যা বিশ্বব্যাপী ২৬০ মিলিয়নেরও বেশি মানুষকে প্রভাবিত করে। এটি প্রতি বছর ৪,৫০০০০ এরও বেশি মৃত্যুর জন্য দায়ী। যাইহোক, সঠিক যত্ন এবং মনোযোগের সাহায্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মৃত্যু এড়ানো যায়। হাঁপানিতে আক্রান্ত ব্যক্তিরা এবং সংস্থাগুলি যেগুলি হাঁপানি শিক্ষার প্রচার করে তারা বিশ্ব অ্যাজমা দিবসে এবং মে মাস জুড়ে এই অবস্থা সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে এবং সমস্ত রোগীর জীবনযাত্রার মান উন্নত করতে একত্রিত হয়।

বিশ্ব হাঁপানি দিবস ২০২৫ তারিখ–

বিশ্ব হাঁপানি দিবস প্রতি বছর মে মাসের প্রথম মঙ্গলবার স্বীকৃত হয়। এই বছর, এটি ৭ মে ২০২৫ মঙ্গলবার পালিত হবে।

বিশ্ব হাঁপানি দিবস ২০২৫ থিম–

২০২৫ সালের বিশ্ব হাঁপানি দিবসের প্রতিপাদ্য হল “সকলের জন্য শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে চিকিৎসা সহজলভ্য করুন”। এই প্রতিপাদ্যটি হাঁপানিতে আক্রান্ত ব্যক্তিদের অন্তর্নিহিত রোগ নিয়ন্ত্রণ এবং আক্রমণের চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় শ্বাস-প্রশ্বাসের ওষুধের অ্যাক্সেস নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেয়। গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ ফর অ্যাজমা (GINA) জোর দেয় যে শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে নেওয়া কর্টিকোস্টেরয়েডযুক্ত ওষুধগুলি প্রদাহের চিকিৎসার মাধ্যমে হাঁপানির আক্রমণ প্রতিরোধ করতে পারে এবং ডাক্তারদের জন্য হাঁপানিতে আক্রান্ত প্রতিটি ব্যক্তির জন্য এই প্রমাণ-ভিত্তিক ওষুধগুলি লিখে দেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

বিশ্ব হাঁপানি দিবসের ইতিহাস–

বিশ্ব হাঁপানি দিবস প্রথম ১৯৯৮ সালে পালিত হয়েছিল। বার্সেলোনা, স্পেনে অনুষ্ঠিত প্রথম বিশ্ব হাঁপানি সভা এর সহযোগিতায় ৩৫ টিরও বেশি দেশে অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল এবং তারপর থেকে, এটি তাৎপর্য এবং পরিধিতে বৃদ্ধি পেয়েছে। আজ, বিশ্ব হাঁপানি দিবসটি বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ হাঁপানি সচেতনতা এবং শিক্ষা ইভেন্ট হিসাবে স্বীকৃত, যার লক্ষ্য একটি গুরুত্বপূর্ণ জনস্বাস্থ্য সমস্যা হিসাবে হাঁপানি সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা এবং বিশ্বব্যাপী হাঁপানি ব্যবস্থাপনা ও যত্ন উন্নত করা।
বিশ্ব হাঁপানি দিবস উপলক্ষে, নীতিনির্ধারক, স্বাস্থ্যসেবা পেশাদার, সরকার এবং ওষুধ কোম্পানিগুলিকে অত্যন্ত কার্যকর নিয়ন্ত্রণ চিকিত্সার উপলব্ধ থাকা সত্ত্বেও এই প্রচলিত রোগের সর্বদা বিদ্যমান বিপদ সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানোর জন্য স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়।
বিশ্ব হাঁপানি দিবস অ্যাজমা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য নিবেদিত, যা শ্বাসনালীগুলির একটি দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহজনক অবস্থা যা বিশ্বব্যাপী লক্ষ লক্ষ মানুষকে প্রভাবিত করে।
বিশ্ব হাঁপানি দিবসের তাৎপর্য–
বিশ্ব হাঁপানি দিবসের মূল তাৎপর্য হল হাঁপানি, এর লক্ষণ, চিকিৎসা এবং ব্যবস্থাপনার কৌশল সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা। এই দিবসটির লক্ষ্য হল অবস্থার সাথে যুক্ত কলঙ্ক কমানো, স্বাস্থ্যসেবা পেশাদারদের জন্য শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের প্রচার, হাঁপানি শিক্ষাবিদ এবং রোগীদের জন্য এবং বিশ্বব্যাপী হাঁপানি যত্নের উন্নতির জন্য নীতি পরিবর্তনের পক্ষে সমর্থন করা।
রোগী-কেন্দ্রিক যত্নের উপর জোর দেওয়ার লক্ষ্যে বিশ্ব হাঁপানি দিবস প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। হাঁপানির ফলাফল উন্নত করার জন্য নতুন থেরাপি, প্রযুক্তি এবং হস্তক্ষেপের বিকাশের জন্য প্রমাণ-ভিত্তিক গবেষণার প্রচারের দিকেও এই দিনটি মনোনিবেশ করে। বিশ্ব হাঁপানি দিবসের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য হল হাঁপানি এবং এর লক্ষণ সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা। এই দিনটি এই রোগটিকে কার্যকরভাবে পরিচালনা করার জন্য প্রাথমিক রোগ নির্ণয়ের গুরুত্ব, উপযুক্ত চিকিত্সা এবং স্ব-ব্যবস্থাপনার কৌশল সম্পর্কে মানুষকে শিক্ষিত করার একটি প্ল্যাটফর্ম হিসাবে কাজ করে।
বিশ্ব হাঁপানি দিবস তাৎপর্যপূর্ণ, এবং হাঁপানি সম্পর্কে খোলামেলা আলোচনাকে উত্সাহিত করে এবং এই অবস্থার সাথে বসবাসকারী লোকেদের জন্য গ্রহণযোগ্যতা এবং সমর্থন প্রচার করে এই অবস্থার সাথে যুক্ত কলঙ্ক কমানোর চেষ্টা করে। এই দিনটি হাঁপানি গবেষণা, স্বাস্থ্যসেবা অবকাঠামো এবং ব্যক্তি ও সমাজের উপর হাঁপানির বোঝা কমাতে জনস্বাস্থ্য উদ্যোগে বিনিয়োগ বৃদ্ধির আহ্বান জানায়।

।। তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

আজ ০৭ মে, ইতিহাসের দিকে চোখ বুলিয়ে দেখে নেব ইতিহাসের এই দিনে বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু, দিনসহ ঘটে যাওয়া ঘটনা।।।

আজ ০৭ মে। এক নজরে দেখে নিই ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু দিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।
দিবস—–
(ক)  বিশ্ব হাঁপানি দিবস
(খ) প্রকৌশলী দিবস (বাংলাদেশ)

আজ যাদের জন্মদিন—-

১৮৪০ – পিওতর ইলিচ চাইকভ্‌স্কি, রাশিয়ান সুরকার ও শিক্ষাবিদ।  .

১৮৬১ -(২৫ শে বৈশাখ ১২৬৮ বঙ্গাব্দ) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, বাঙালি সাহিত্যিক (মৃ.

৭/০৮/১৯৪১)।(২২ শে শ্রাবণ,১৩৪৮ বঙ্গাব্দ)
১৮৬৭ – ভাদিস্লাভ স্ট্যানিশস্লাভ রেইমন্ট, পোলিশ কথাসাহিত্যিক।
১৮৮১ – উইলিয়াম পিয়ার্সন, রবীন্দ্র সাহিত্যের অনুবাদক।
১৮৮৯ – গ্যাব্রিয়েলা মিস্ত্রাল, কবি, কূটনীতিবিদ, শিক্ষাবিদ ও নারীবাদী।
১৮৯২ – মার্শাল জোসিপ ব্রজ টিটো, যুগোশ্লাভিয়ার প্রতিষ্ঠাতা ও রাষ্ট্রপ্রধান।

১৮৯৩ – ফিরোজ খান নুন, পাকিস্তানি রাজনীতিবিদ, পাকিস্তানের ৭ম প্রধানমন্ত্রী।
১৯০১ – গ্যারি কুপার, আমেরিকান অভিনেতা।

১৯১০ – শান্তিদেব ঘোষ ভারতীয় বাঙালি লেখক কণ্ঠশিল্পী, অভিনেতা, নৃত্যশিল্পী ও রবীন্দ্র সংগীত বিশারদ।

১৯১৫ – অমিয় বাগচী বাঙালি কবি ও গীতিকার।
১৯১৯ – ইভা পেরন, আর্জেন্টিনার অভিনেত্রী ও ২৫তম ফার্স্ট লেডি।
১৯৩১ – সিদ্দিকা কবীর, বাংলাদেশী পুষ্টিবিশেষজ্ঞ ও শিক্ষাবিদ।

১৯৩৬ – শিশির কুমার দাশ অগ্রণী বাঙালি কবি,নাট্যকার অনুবাদক ও বাংলা সাহিত্যের স্বনামধন্য পণ্ডিত।
১৯৩৯ – সিডনি অল্টম্যান, কানাডীয়-মার্কিন আণবিক জীববিজ্ঞানী।
১৯৪৩ – পিটার কেরি – অস্ট্রেলীয় ঔপন্যাসিক ও ছোটগল্পকার।

১৯৬৫ – নরম্যান হোয়াইটসাইড, সাবেক উত্তর আয়ারল্যান্ডীয় ফুটবল খেলোয়াড়।
১৯৭১ – তোমা পিকেতি, ফরাসি অর্থনীতিবিদ।
১৯৮৪ – কেভিন ওয়েন্স, কানাডীয় পেশাদার কুস্তিগির।
ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনের ঘটনাবলী—-
১৮০৮ – স্পেনের জনগণ নেপোলিয়ন বোনাপার্টের দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে সংগ্রাম শুরু করে।
১৮৩২ – গ্রিসকে স্বাধীন রাজ্য ঘোষণা করা হয়।
১৯১৫ – প্রথম বিশ্বযুদ্ধে জার্মানরা আমেরিকায় “লুসিতানিয়া” জাহাজ ডুবিয়ে দেয়।
১৯২৩ – অমৃতরে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা শুরু।
১৯২৯ – লাহোরে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় বহু হতাহত হয়।
১৯৪১ – মিত্রশক্তির কাছে জার্মানি নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ করে।
১৯৪৮ – জাতিসংঘের বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিষ্ঠা।
১৯৫৪ – (ক)  দিয়েন বিয়েন ফু-র পতনের ফলে ভিয়েতনাম ফরাসি শাসন থেকে মুক্ত হয়।
(খ) বাংলাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা হিসাবে স্বীকৃতি দেয় পাকিস্তান গণপরিষদ।

এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন যারা—-

১৮২৫ – আন্তোনিও সালিয়েরি, ইতালীয় ধ্রুপদী সুরকার।

১৮৪০ – কাসপার ডাভিড ফ্রিডরিখ, ঊনবিংশ শতকের জার্মানির রোমান্টিক ল্যান্ডস্কেপ চিত্রকর।

১৯০৯ – হের্মান অস্ট্‌হফ, জার্মান ভাষাবিজ্ঞানী।
১৯২৪ – আল্লুরি সিতারামারাজু, ভারতীয় বিপ্লবী ও স্বাধীনতা সংগ্রামী।
১৯৪১ – স্যার জেমস ফ্রেজার, স্কটিশ নৃতাত্ত্বিক ও শিক্ষাবিদ।
১৯৫১ – ওয়ার্নার ব্যাক্সটার, মার্কিন অভিনেতা।
১৯৭১ – রণদাপ্রসাদ সাহা, বাংলাদেশের বিখ্যাত সমাজসেবক এবং দানবীর।
১৯৭৪ – ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন ব্যক্তিত্ব ও অগ্নিকন্যা বাসন্তী দেবী।
১৯৯৩ – অজিতকৃষ্ণ বসু, সঙ্গীতজ্ঞ ও ব্যঙ্গ সাহিত্যস্রষ্টা।
২০০৩ – শিশির কুমার দাশ,অগ্রণী বাঙালি কবি,নাট্যকার অনুবাদক ও বাংলা সাহিত্যের স্বনামধন্য পণ্ডিত।
২০১৯ – সুবীর নন্দী, বাংলাদেশী সঙ্গীতশিল্পী।
২০২২ – পার্থ ঘোষ, ভারতীয় বাঙালি বাচিক শিল্পী তথা আবৃত্তিকার।

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

আজ আন্তর্জাতিক নো-ডায়েট দিবস, জানুন দিনটি কেন পালিত হয় এবং গুরুত্ব।।।।

আজ থেকে ঠিক ৩০ বছর আগে ১৯৯২ সালের ৬ মে প্রথম ব্রিটেনে পালিত হয় নো ডায়েট ডে। এরপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, ভারতে তা ছড়িয়ে পড়ে। ডায়েট, বডি টাইপ, ফ্যাট ফোবিয়া নিয়ে সারা বিশ্বে সচেতনতা গড়ে তোলার উদ্দেশ্যে প্রতি বছর পালিত হয় এই দিনটি।

ইন্টারন্যাশনাল নো ডায়েট ডে (INDD) হল শরীরের গ্রহণযোগ্যতার একটি বার্ষিক উদযাপন, যার মধ্যে চর্বি গ্রহণ এবং শরীরের আকৃতির বৈচিত্র্যের পাশাপাশি যে কোনো আকারে স্বাস্থ্যের ধারণা রয়েছে। আন্তর্জাতিক নো ডায়েট দিবস ১৯৯২ সালে যুক্তরাজ্যে মেরি ইভান্স ইয়ং দ্বারা শুরু হয়েছিল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, ভারত, ইসরায়েল, ডেনমার্ক, সুইডেন এবং ব্রাজিল সহ অন্যান্য দেশের নারীবাদী গোষ্ঠীগুলি আন্তর্জাতিক নো ডায়েট দিবস উদযাপন করতে শুরু করেছে।
১৯৯৮ সাল থেকে, ইন্টারন্যাশনাল সাইজ অ্যাকসেপ্টেন্স অ্যাসোসিয়েশন (ISAA) এবং ন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর উইমেন (NOW) উভয়ই একই ধরনের দিন স্পনসর করেছে। ISAA এর দিন হল আন্তর্জাতিক আকার গ্রহণ দিবস যা ২৪ এপ্রিল পালিত হয়। এখন একটি লভ ইওর বডি ক্যাম্পেন সংগঠিত করেছে, যার বাৎসরিক লাভ ইউর বডি ডে শরত্কালে, যেটি ফ্যাশন, সৌন্দর্য এবং ডায়েট ইন্ডাস্ট্রির “নকল ছবি” হিসাবে সংজ্ঞায়িত করার সমালোচনা করে যে বিভিন্ন শারীরিক আকারের মহিলাদের চিত্রগুলি দাবি করে এবং এর পরিবর্তে আকার ব্যবহার করা হয়।
আন্তর্জাতিক নো ডায়েট দিবস ৬ মে পালন করা হয় এবং এর প্রতীক হল একটি হালকা নীল ফিতা।
আন্তর্জাতিক নো ডায়েট দিবস উদযাপনে, অংশগ্রহণকারীদের লক্ষ্য—
(ক) একটি “সঠিক” শরীরের আকৃতির ধারণাকে প্রশ্ন করুন
ওজন বৈষম্য, আকারের পক্ষপাত এবং ফ্যাটফোবিয়া সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ান।
(খ)ডায়েট এবং শরীরের ওজন সম্পর্কে আবেশ থেকে মুক্ত একটি দিন ঘোষণা করুন।
(গ) বাণিজ্যিক খাদ্যের অকার্যকারিতার উপর জোর দিয়ে খাদ্য শিল্প সম্পর্কে তথ্য উপস্থাপন করুন।
(ঘ) খাওয়ার ব্যাধি এবং ওজন কমানোর অস্ত্রোপচারের শিকার ব্যক্তিদের সম্মান করুন
(ঙ) ওজন বৈষম্য, আকারবাদ এবং ফ্যাটফোবিয়া শেষ করতে সাহায্য করুন।
ইতিহাস—–
১৯৯২ সালে মেরি ইভান্স ইয়ং দ্বারা আন্তর্জাতিক নো ডায়েট ডে তৈরি করা হয়েছিল। ইয়াং ব্রিটিশ গ্রুপ “ডায়েট ব্রেকারস” এর পরিচালক। ব্যক্তিগতভাবে অ্যানোরেক্সিয়া নার্ভোসার সম্মুখীন হওয়ার পর, তিনি লোকেদের তাদের শরীরের উপলব্ধি করতে সাহায্য করার জন্য কাজ করেছিলেন। ইয়ং, একজন ব্রিটিশ নারীবাদী, মোটা হওয়ার জন্য স্কুলে উত্পীড়িত হওয়ার তার নিজের অভিজ্ঞতার মাধ্যমে এবং ম্যানেজমেন্ট কোর্সে অংশ নেওয়া মহিলাদের সাথে কথা বলার মাধ্যমে তার ধারণাগুলি তৈরি করেছিলেন।
১৯৯২ সালের মে মাসে, ইয়াং প্রথম নো ডায়েট ডে চালু করে। যদিও মূলত ইউকে-ভিত্তিক ন্যাশনাল নো ডায়েট ডে হওয়ার উদ্দেশ্য ছিল, ইয়াং ছুটির দিনটিকে একটি আন্তর্জাতিক করতে অনুপ্রাণিত হয়েছিল। লন্ডনের হাইড পার্কে পিকনিকের সাথে এক ডজন মহিলার দ্বারা উদযাপন করা একটি ছোট ব্যাপার ছিল। বয়স ২১ থেকে ৭৬ এর মধ্যে এবং তারা সবাই স্টিকার পরেছিল এই বলে: “ডাইচ দ্যাট”। বৃষ্টি হয়েছিল, এবং তাই ইয়াং তার বাড়িতে পিকনিকের আয়োজন করেছিল।
১৯৯৩ সাল নাগাদ, আরও অনেক দেশে নারীবাদীরা আন্তর্জাতিক নো ডায়েট দিবস উদযাপনের পরিকল্পনা করছিলেন। আমেরিকানরা, বিশেষ করে যারা ক্যালিফোর্নিয়া, টেক্সাস, নিউ মেক্সিকো এবং অ্যারিজোনায়, তারা উদ্বিগ্ন যে তারিখটি দক্ষিণ রাজ্যে Cinco de Mayo উদযাপনের সাথে সংঘর্ষ হয়েছে। ইয়াং এর জন্য ৫ মে এর কোন বিশেষ গুরুত্ব ছিল না, তাই তিনি তারিখ পরিবর্তন করে ৬ মে করতে রাজি হন।
মানুষ প্রায়শই ডায়েটিংয়ের নিয়মগুলির সঙ্গে এতটাই সংযুক্ত হয়ে যায় যে তারা জীবন উপভোগ করতে ভুলে যায় । উচ্চ রক্তচাপ, স্থূলতা, ডায়াবেটিসের মতো লাইফস্টাইল ডিজ়িজগুলো এখন মানুষের ঘরে ঘরে ঢুকে পড়েছে। যার ফলে সুস্থ থাকতে মানতেই হচ্ছে কঠোর ডায়েট। ভাল না লাগলেও জোর খেতে হচ্ছে অপছন্দের ‘স্বাস্থ্যকর’ খাবার। আর কারোর মনে ওজন কমানোর মোটিভেশন এমন ভাবে ঢুকে গিয়েছে যে সে ছুঁয়েও দেখে না ফ্যাট, কার্বোহাইড্রেট। কিন্তু তবু মাঝে মাঝে মন চায় মাটন বিরিয়ানির ঝড় ওড়াতে। তাছাড়া শরীরে প্রোটিন, ফ্যাট, কার্বোহাইড্রেটের অভাব বাড়িয়ে তুলতে পারে অন্যান্য রোগের ঝুঁকিও। তাই নো ডায়েট ডে হল নিজের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশের দিন । ডায়েট, বডি টাইপ, ফ্যাট ফোবিয়া নিয়ে সারা বিশ্বে সচেতনতা গড়ে তোলার উদ্দেশ্যে প্রতি বছর সারা বিশ্বে এই দিনটি পালিত হচ্ছে ।আন্তর্জাতিক নো ডায়েট দিবস উদযাপনের মাধ্যমে, তাদের শখ পূরণ এবং জীবন উপভোগ করার জন্য একদিনের জন্য খাওয়ার সমস্ত নিয়ম ভঙ্গ করার সুযোগ।

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

আজ ০৬ মে, ইতিহাসের দিকে চোখ বুলিয়ে দেখে নেব ইতিহাসের এই দিনে বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু, দিনসহ ঘটে যাওয়া ঘটনা।।।।

আজ ০৬ মে। এক নজরে দেখে নিই ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু দিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

দিবস—–

(ক) আন্তর্জাতিক নো-ডায়েট দিবস।

আজ যাদের জন্মদিন—-

১৮৬১ – মতিলাল নেহেরু, ভারতের বিখ্যাত আইনজীবী ও ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরুর পিতা।  .
১৮৬৮ – গ্যাস্টোন লেরোউক্স, ফরাসি সাংবাদিক ও লেখক।
১৮৭১ – ভিক্টোর গ্রিগ্নারড, নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ফরাসি রসায়নবিদ ও শিক্ষাবিদ।

১৮৭২ – উইলেম ডে সিটার, নেদারল্যান্ডের বিখ্যাত গণিতবিদ, পদার্থবিজ্ঞানী ও জ্যোতির্বিজ্ঞানী।

১৮৭২ – জামাল পাশা, উসমানীয় সামরিক নেতা।
১৯০৪ – হ্যারি মারটিনসোন, নোবেল পুরস্কার বিজয়ী সুইডিশ লেখক ও কবি।
১৯১৫ – অরসন ওয়েলস, মার্কিন চলচ্চিত্র পরিচালক, অভিনেতা, লেখক এবং প্রযোজক।
১৯১৬ – রবার্ট হেনরী, মার্কিন পদার্থবিজ্ঞানী।
১৯১৮ – জায়েদ বিন সুলতান আল নাহিয়ান, আবুধাবির আমির এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রথম রাষ্ট্রপতি।
১৯২৯ – পল লাউটারবার, মার্কিন রসায়নবিদ। (
১৯৩২ – আলাউদ্দিন আল আজাদ, বাংলাদেশী বাংলাদেশের খ্যাতিমান ঔপন্যাসিক, প্রাবন্ধিক, কবি, নাট্যকার, গবেষক ও অধ্যাপক।
১৯৪৩ – আন্দ্রিয়াস বাডের, জার্মান সন্ত্রাসী ও সহ-প্রতিষ্ঠিত রেড আর্মি দল।
১৯৪৬ – রজতকান্ত রায়,প্রখ্যাত ভারতীয় বাঙালি ইতিহাসবিদ।
১৯৫০ – জেফ্রি ডেভার, মার্কিন রহস্য ও অপরাধ সাহিত্য লেখক।
১৯৫১ – স্যামুয়েল ডো, লাইবেরিয়া সার্জন, রাজনীতিবিদ ও ২১ তম প্রেসিডেন্ট।
১৯৫৩ – টনি ব্লেয়ার,ব্রিটিশ রাজনীতিবিদ ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী।
১৯৬১ – জর্জ ক্লুনি, মার্কিন অভিনেতা, চলচ্চিত্র নির্মাতা ও সমাজকর্মী।
১৯৭৫ – অ্যালান রিচার্ডসন, ইংরেজ ক্রিকেটার।
১৯৮১ – লক্ষ্মী রতন শুক্লা, ভারতের পেস বোলার।
১৯৮৩ – দানি আলভেস, ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার।
১৯৮৭ – মোন গেউন-ইয়উং, দক্ষিণ কোরিয়ার অভিনেত্রী।
১৯৮৭ – ড্রিস মের্টেনস, বেলজিয়ামের পেশাদার ফুটবলার।
১৯৮৯ – ডোমিনিকা কিবুল্কোভা, স্লোভাকিয়ান টেনিস খেলোয়াড়।
১৯৯২ – তাকাশি উসামি, জাপানি ফুটবলার।
১৯৯৪ – মাতেও কোভাচিচ, ক্রোয়েশীয় পেশাদার ফুটবলার।

ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনের ঘটনাবলী—-

১৭৭৫ – ব্রিটিশ রাজের হাতে মহারাজ নন্দকুমার গ্রেফতার হন।
১৮৩১ – ভারত উপমহাদেশের উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশের বালাকোট উপত্যাকায় মুক্তি বা আজাদী আন্দোলনের নেতা সাইয়েদ আহমাদ ব্রেলভী ইংরেজ ও শিখ বাহিনীর সাথে এক লড়াইয়ে শতাধিক মুজাহিদসহ শহীদ হন।
১৮৩৫ – জেমস গর্ডন ব্যানাট বিখ্যাত নিউইয়র্ক হেরাল্ড পত্রিকার প্রথম সংখ্যা প্রকাশ করেন।
১৮৪০ – ইংল্যান্ডে প্রথম ডাকটিকেট চালু হয় ।
১৮৫৭ – ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ বেঙ্গল নেটিভ ইনফ্যান্ট্রিকে বিলুপ্ত করে। মঙ্গল পাণ্ডেকে সিপাহি বিপ্লবের প্রথম শহীদ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
১৮৮৯ – প্যারিসের আইফেল টাওয়ার সকলের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে উন্মুক্ত করা হয়।
১৯১০ – বাবার মৃত্যুর পর পঞ্চম জর্জ ব্রিটেনের রাজা মনোনীত হন।
১৯১১ – পিকাসোর আঁকা ৩ কোটি ডলার মূল্যমানের ছবি প্রাগ ন্যাশনাল গ্যালারি থেকে চুরি হয়।
১৯৩৯ – জার্মানী ও ইতালী সামরিক ও রাজনৈতিক মৈত্রী ঘোষণা করে, যা বার্লিন-রোম অক্ষ নামে পরিচিত।
১৯৪০ – উইন্সটন চার্চিল বৃটেনের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন।
১৯৪৫ – দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পর জর্মানী ফ্রান্সের রাইমে নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ করে।
১৯৫৪ – রজার ব্যানিস্টারই প্রথম ৪মিনিটে এক মাই দূরত্ব দৌড়ে অতিক্রম করেন।
১৯৬৫ – ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়ার দুই ওপেনার বিল লরি ও সিম্পসন ৩৮২ রান করেন।
১৯৭৫ – মার্কিন প্রেসিডেন্ট ফোর্ড ভিয়েৎনাম যুদ্ধ সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
১৯৮৮ – গ্রায়েম হিক উরচেস্টার এর হয়ে সমারসেটের বিপক্ষে একাই ৪০৫ রান করেন।
১৯৯১ – পিকাসোর আঁকা তিন কোটি ডলার মূল্যমানের চারটি ছবি চেকোস্লোভিয়ার প্রাগস্থ ন্যাশনাল গ্যালারি থেকে চুরি হয়ে যায়।
১৯৯৪ – ব্রিটিশ রাণী এলিজাবেথ ও ফরাসি প্রেসিডেন্ট ফ্রান্সিস মিতেরাঁ দুই দেশের মধ্যে চ্যানেল টানেল উদ্বোধন করেন।
১৯৯৪ – চীন-জাপান পারমাণবিক নিরাপত্তা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
১৯৯৭ – প্রয়াত গ্রেট পপ তারকা মাইকেল জ্যাকসন এবং বিখ্যাত ব্যান্ড দল বি গিস কে “রক এন্ড রোল” এর হল অব ফেইমে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
১৯৯৯ – সাবেক যুগোশ্লাভিয়ার বেলগ্রেডে ন্যাটোর ‘ভুলবশত’ চীনা দূতাবাসের উপর বোমা নিক্ষেপে দুইজন চীনা নাগরিক নিহত ও বিশজন আহত হন।
২০০১ – সিরিয়া সফরের সময় প্রথম কোন পোপ হিসেবে পোপ পল ২ মসজিদে প্রবেশ করেন।
২০০২ – দীর্ঘ ১৯ মাস গৃহবন্দী থাকার পর মিয়ানমারের নেত্রী নোবেল বিজয়ী অংসান সুচি মুক্তিলাভ করেন।

এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন যারা—-

১৫৮৯ – তানসেন, উত্তর ভারতের সর্বশ্রেষ্ঠ সঙ্গীতজ্ঞ, আকবরের সভার নবরত্নের অন্যতম।
১৭৫৮ – ম্যাক্সিমিলিয়েন দ্য রোবসপিয়ের, ফরাসি বিপ্লবের নেতা, জঁ-জাক রুসোর অনুরাগী, জ্যাকোবিন টেররের নেতা।
১৮৩১ – সাইয়েদ আহমাদ ব্রেলভী, ভারতের মুসলিম সংস্কার আন্দোলনকারী এবং “নবী মুহাম্মদের পথ” (তারিকাহ মুহাম্মাদিয়াহ), একটি বিপ্লবী ইসলামী আন্দোলন, এর প্রতিষ্ঠাতা।
১৮৫৯ – আলেকজান্ডার ফন হুমবোল্‌ড্‌ট্, জার্মান অভিযাত্রী ও বিজ্ঞানী।
১৮৭৭ – জোহান লুডভিগ রুনেবেরগ, সুইডিশ বংশোদ্ভূত ফিনিশ কবি ও স্তবগান লেখক।
১৯১৯ – এল. ফ্রাঙ্ক বাউম, আমেরিকান সাংবাদিক ও লেখক।
১৯৩০ – রজতকুমার সেন, ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের বিপ্লবী নেতা।
১৯৪৯ – মোরিস মাতরলাঁক, বেলজীয় নাট্যকার, কবি এবং প্রবন্ধকার।
১৯৫১ – এলি কারতঁ, প্রভাবশালী ফরাসি গণিতবিদ।
১৯৫২ – মারিয়া মন্টেসরি, ইতালীয় চিকিৎসক, শিক্ষাবিদ, এবং “মন্টেসরি শিক্ষাপদ্ধতি”র জন্য সুপরিচিত।
১৯৫২ – রেবতী মোহন বর্মণ, বিংশ শতাব্দীর বাঙালি লেখক।
১৯৬৩ – মন্টি উলি, মার্কিন অভিনেতা।
১৯৭৩ – বৈজ্ঞানিক ও শিক্ষাবিদ ডা: সতীশরঞ্জন খাস্তগীর।
১৯৯২ – মারলেনে ডিট্রিশ, জার্মান অভিনেত্রী ও গায়িকা ছিলেন।
২০০২ – পিম ফরটুয়ন, ডাচ সমাজবিজ্ঞানী, শিক্ষাবিদ ও রাজনীতিবিদ।
২০১১ – কাজী নূরুজ্জামান, বীর উত্তম খেতাব প্রাপ্ত বাংলাদেশি মুক্তিযোদ্ধা, সেক্টর কমান্ডার।
২০১৩ – গিউলিও অ্যান্ডরেওটি, ইতালীয় সাংবাদিক ও রাজনীতিবিদ ও ৪১ তম প্রধানমন্ত্রী।
২০১৫ – নভেরা আহমেদ, বাংলাদেশি ভাস্কর।
২০২১ – পশ্চিমবঙ্গে জনশিক্ষা আন্দোলনের নেতা শক্তি মণ্ডল।

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This