Categories
রিভিউ

আজ ৩ সেপ্টেম্বর, ইতিহাসের আজকের এই দিনে যা ঘটেছিল।

আজ ৩ সেপ্টেম্বর। ইতিহাস ঘেটে দেখা যায় বছরের প্রতিটি দিনে ঘটেছে অনেক উল্লেখযোগ্য ঘটনা। আসুন আজকের দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য কিছু বিষয় একনজরে দেখে নিই।  ইতিহাসের আজকের এই দিনে কী কী ঘটেছিল, কে কে জন্ম নিয়েছিলেন ও মৃত্যুবরণ করেছিলেন——-

 

দিবস—–

 

(ক) আন্তর্জাতিক CEDAW দিবস ৷

 

আজ যাদের জন্মদিন—-

১৯০৫ – কার্ল ডেভিড অ্যান্ডারসন, মার্কিন পরীক্ষণমূলক পদার্থবিজ্ঞানী, নোবেল পুরস্কার বিজয়ী।

১৯০৫ – জন মিলস, নিউজিল্যান্ডীয় ক্রিকেটার।

১৯২৬ – মহানায়ক উত্তম কুমার,ভারতীয় সংস্কৃতির সর্বকালের অন্যতম জনপ্রিয় বাঙালি অভিনেতা।

১৯৩৭ – তপেন চট্টোপাধ্যায়, ভারতীয় বাঙালি অভিনেতা।

১৯৪০ – পলিন কলিন্স, ইংরেজ অভিনেত্রী, নাইটহুড প্রাপক।

১৯৪৩ – ভ্যালেরি পেরিন, মার্কিন অভিনেত্রী ও মডেল।

১৯৪৪ – জিওফ আর্নল্ড, ইংরেজ ক্রিকেটার।

১৯৭১ – কিরণ দেসাই, ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন সাহিত্যিক, ম্যান বুকার পুরস্কার বিজয়ী।

১৯৭৯ – হুলিও সিজার, ব্রাজিলীয় ফুটবলার।

১৯৯০ – পল স্টার্লিং, আয়ারল্যান্ডীয় ক্রিকেটার।

১৮৫৬ – মার্কিন স্থপতি লুইস হেনরি সালিভ্যান।

১৮৬৪ – ব্রজেন্দ্রনাথ শীল,ভারতীয় বাঙালি দার্শনিক, শিক্ষাবিদ ও আচার্য।

১৮৯৮ – আবুল মনসুর আহমেদ, বাংলাদেশী সাহিত্যিক, রাজনীতিবিদ এবং সাংবাদিক।

১৮৯৯ – ফ্র্যাঙ্ক ম্যাকফারলেন বার্নেট, অস্ট্রেলীয় জীববিজ্ঞানী, নোবেল পুরস্কার বিজয়ী।

 

ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনের ঘটনাবলী—-

২০০১ – বেলફાস্টে, প্রোটেস্ট্যান্ট অনুগতরা মেয়েদের ক্যাথলিক প্রাথমিক বিদ্যালয় হলি ক্রসের একটি পিকেট শুরু করলেন।

২০০৪ – বেসলা স্কুল অবরোধের ফলে ১৮৬ শিশু সহ ৩৩০ জনেরও বেশি হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।

২০০৭ – দুর্নীতির মামলায় গ্রেপ্তার হন বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ও তার কনিষ্ঠ পুত্র আরাফাত রহমান কোকো।

২০১০ – দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে যাত্রা শেষে, ইউপিএস এয়ারলাইন্সের ৬ টি ফ্লাইটটি কার্গো হোল্ডে একটি ফ্লাইটের আগুনের সূত্রপাত করেছিল এবং নাদ আল শেবার কাছে ক্র্যাশ হয়ে উভয় ক্রু সদস্যকে হত্যা করেছিল। [৩]

২০১৬ – মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং চীন, একসাথে বিশ্বের ৪০% কার্বন নিঃসরণের জন্য দায়ী, উভয়ই প্যারিসের বৈশ্বিক জলবায়ু চুক্তিকে আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদন দিয়েছে।

২০১৭ – উত্তর কোরিয়া তার ষষ্ঠ এবং সবচেয়ে শক্তিশালী পারমাণবিক পরীক্ষা পরিচালনা করে।
১৯১৪ – আলবেনিয়ার যুবরাজ উইলিয়াম তার শাসনের বিরোধিতার কারণে মাত্র ছয় মাস পরে দেশ ত্যাগ করেন।

১৯১৪ – ফরাসী সুরকার আলবারিক ম্যাগনার্ড জার্মান সৈন্যদের বিরুদ্ধে আক্রমণ চালিয়ে তার সম্পত্তি রক্ষার জন্য নিহত হন।

১৯১৪ – প্রথম বিশ্বযুদ্ধ: গ্র্যান্ড কর্নো-র যুদ্ধের শুরু, ন্যানসি শহরের নিকটবর্তী উচ্চ স্থানে ফরাসি অবস্থানের বিরুদ্ধে জার্মান আক্রমণ।

১৯১৬ – প্রথম বিশ্বযুদ্ধ: লিফার রবিনসন লন্ডনের উত্তরে কাফলির উপর দিয়ে জার্মান বিমান চলাচল-ল্যাঞ্জ এসএল ১১ ধ্বংস করেছেন; ব্রিটিশ মাটিতে প্রথম জার্মান বিমান চালানো হয়েছিল।

১৯১৮ – চেকোস্লাভাকিয়াকে স্বীকৃতি দেয় আমেরিকা।

১৯১৮ – ঐতিহাসিক দামেস্ক শহর বৃটিশ সেনারা দখল করে নেয়।

১৯২৫ – মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম আমেরিকান নির্মিত অনমনীয় বিমান, ইউএসএস শেনানডোহাকে নোবেল কাউন্টি, ওহাইওয়ের একটি স্কল লাইনে ধ্বংস করা হয়েছিল। তার কমান্ডার জাচারি ল্যানসডাউন সহ তার ৪২ সদস্যের ক্রুদের মধ্যে চৌদ্দটি মারা গেছে।

১৯৩৩ – ইয়েভেগেনি আবালকভ প্রথম ব্যক্তি যিনি সোভিয়েত ইউনিয়নের সর্বোচ্চ পয়েন্টে পৌঁছেছিলেন, কমিউনিজম শিখ (বর্তমানে ইসমাইল সোমনি পীক নামে পরিচিত এবং তাজিকিস্তানে অবস্থিত) (৭৪৯৫ মি)।

১৯৩৫ – স্যার ম্যালকম ক্যাম্পবেল উটাহের বোনেভিল সল্ট ফ্ল্যাটে প্রতি ঘণ্টা ৩০৪.৩৩১ মাইল গতিতে পৌঁছেছে, তিনি ৩০০ মাইল প্রতি ঘণ্টা গাড়ি চালিয়ে প্রথম ব্যক্তি হয়ে উঠেছে।

১৯৩৯ – দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ: ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য, নিউজিল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়া পোল্যান্ড আক্রমণ করার পরে জার্মানির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে মিত্র দেশ গঠন করে। ভারতের ভাইসরয় যুদ্ধের ঘোষণাও দিয়েছিলেন, তবে প্রাদেশিক আইনসভায় পরামর্শ ছাড়াই।

১৯৩৯ – দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ: যুক্তরাজ্য এবং ফ্রান্স জার্মানির একটি নৌ অবরোধ শুরু করে যা যুদ্ধের শেষ অবধি স্থায়ী হয়। এটি আটলান্টিকের যুদ্ধের সূচনাও চিহ্নিত করে।

১৯৪১ – হলোকাস্ট: আউশভিটস কনসেন্ট্রেশন শিবিরের ডেপুটি ক্যাম্প কমান্ড্যান্ট কার্ল ফ্রিটস্চ সোভিয়েত পাউব্লিউদের জোর করে জাইক্লন বি ব্যবহারের জন্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছিলেন।

১৯৪২ – দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ: এর আগত তরলকরণের খবরের প্রতিক্রিয়ায় ডভ লোপাটিন লখভা (বর্তমান বেলারুশ) এর ঘেটে একটি বিদ্রোহের নেতৃত্ব দিয়েছেন।

১৯৪৩ – দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ: ব্রিটিশ এবং কানাডিয়ান সেনারা ইটালিতে অবতরণ করেছ্

১৯৪৪ – হলোকাস্ট: ডায়রিস্ট অ্যান ফ্র্যাঙ্ক এবং তার পরিবারকে ওয়েস্টারবার্কের ট্রানজিট শিবির থেকে আউশভিটস কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্পের শেষ পরিবহণ ট্রেনে রেখে তিন দিন পরে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।

১৯৪৫ – ২ সেপ্টেম্বর জাপান দিবসকে কেন্দ্র করে বিজয়কে কেন্দ্র করে তিন দিনব্যাপী উদ্‌যাপন চীনে শুরু হয়।

১৯৫০ – “নিনো” ফারিনা ১৯৫০ ইতালীয় গ্র্যান্ড প্রিক্স জয়ের পরে প্রথম ফর্মুলা ওয়ান ড্রাইভারের চ্যাম্পিয়ন হন।

১৯৫৪ – পিপলস লিবারেশন আর্মি কিউময়ের প্রজাতন্ত্রের চীন-নিয়ন্ত্রিত দ্বীপপুঞ্জের গোলাবর্ষণ শুরু করে, তাইওয়ানের প্রথম সমুদ্র সঙ্কট শুরু করে।

১৯৫৫ – গাজায় রাষ্ট্রসংঘের যুদ্ধ বিরতি মেনে নেয় ইজরায়েল।

১৯৬৪ – মালয়েশিয়ায় জরুরি অবস্থা জারি হয়।

১৯৬৭ – সুইডেনে ডেগেন এইচ: রাস্তায় ডানদিকে ড্রাইভিং থেকে বামদিকে ড্রাইভিং থেকে ট্র্যাফিক পরিবর্তন হয়।

১৯৭১ – কাতার একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হয়ে ওঠে।

১৯৭৬ – ভাইকিং প্রোগ্রাম: আমেরিকান ভাইকিং ২ মহাকাশযানটি মঙ্গলবার ইউটোপিয়া প্লানিতিয়ায় অবতরণ করেছে।

১৯৮১ – মহিলাদের বিরুদ্ধে বৈষম্যের সমস্ত ফর্ম দূরীকরণ সম্পর্কিত কনভেনশন, মহিলাদের অধিকারের আন্তর্জাতিক বিল, জাতিসংঘ দ্বারা প্রতিষ্ঠিত।

১৯৮৭ – বুরুন্ডিতে একটি অভ্যুত্থানের সময়, রাষ্ট্রপতি জিন-ব্যাপটিস্ট বাগাজাকে মেজর পিয়ের বায়োয়াকে পদচ্যুত করেন।

১৯৯৭ – ভিয়েতনাম এয়ারলাইন্সের ৮১৫ ফ্লাইট (টুপোলেভ টু -১৩৪) ফনম পেন বিমানবন্দরে যাওয়ার সময় বিধ্বস্ত হয়ে ,৪ জন নিহত হয়েছেন।

১৮১২ – ইন্ডিয়ানাতে কবুতর রুস্ট গণহত্যাতে চব্বিশ জন বন্দী নিহত হয়েছেন।

১৮১৪ – আলবেনিয়ার প্রিন্স উইলিয়াম ক্ষমতা ত্যাগ করতে বাধ্য হন।

১৮৩৮ – ভবিষ্যত বিলোপবাদী ফ্রেডরিক ডগলাস দাসত্ব থেকে রক্ষা পেয়েছিল।

১৮৪৩ – গ্রিসের রাজা অটো এথেন্সে এক বিদ্রোহের পরে একটি সংবিধান দিতে বাধ্য হয়।

১৮৫৫ – আমেরিকান ভারতীয় যুদ্ধসমূহ: নেব্রাস্কাতে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জেনারেল উইলিয়াম এস হার্নির নেতৃত্বে ৭০০ সেনা গ্রেটটেন গণহত্যার প্রতিশোধ নিতে একটি সাইউক্স গ্রামে আক্রমণ চালিয়ে ১০০ জন পুরুষ, মহিলা এবং শিশুদের হত্যা করেছিল।

১৮৫৯ – মাইকেল মধুসূদন দত্তের প্রথম নাটক ‘শর্মিষ্ঠা’ প্রথম অভিনীত হয়।

১৮৬১ – আমেরিকান গৃহযুদ্ধ: কনফেডারেট জেনারেল লিওনিদাস পোल्क নিরপেক্ষ কেনটাকি আক্রমণ করেছেন, রাজ্য আইনসভাটিকে ইউনিয়নের সহায়তার জন্য অনুরোধ করেছিলেন।

১৮৬৬ – জেনেভায় কার্ল মার্কসের নেতৃত্বে আন্তর্জাতিক শ্রমজীবী সংঘের প্রথম কংগ্রেস অনুষ্ঠিত হয়।

১৮৭০ – ফ্রাঙ্কো-প্রুশিয়ান যুদ্ধ: মেটজ অবরুদ্ধকরণ শুরু হয়, যার ফলে ২৩ অক্টোবর একটি স্থিতিশীল প্রুশিয়ান বিজয় হয়।

১৮৭৫ – পোলো প্রথম অফিশিয়াল খেলা পরিচয় হওয়ার পরে আর্জেন্টিনায় খেলা হয়

১৮৭৮ – জনাকীর্ণ আনন্দের নৌকো প্রিন্সেস অ্যালিস থেমস নদীর বাইওয়াল ক্যাসেলের সাথে সংঘর্ষে জমে গেলে ৬৪০ এরও বেশি মারা যান।

১৮৭৯ – কাবুলে ব্রিটিশ রেসিডেন্সির অবরোধ: ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত স্যার লুই কাভাগনারি এবং ৭২২ জন গাইডকে কাবুলে ব্রিটিশ রেসিডেন্সির পক্ষ থেকে রক্ষা করার সময় আফগান সেনারা হত্যা করেছিল। তাদের বীরত্ব এবং আনুগত্য পুরো ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের জুড়ে বিখ্যাত ও শ্রদ্ধেয় হয়ে ওঠে।

১৮৯৫ – জ্যানেট অ্যাথলেটিক অ্যাসোসিয়েশনের বিপক্ষে ১২-০ ব্যবধানে জিততে ল্যাট্রোব অ্যাথলেটিক অ্যাসোসিয়েশনের হয়ে খেলতে ড্যাভিড বেরি কর্তৃক তাকে ১০ মার্কিন ডলার প্রদান করার পরে জন ব্র্যালিয়ার প্রথম প্রকাশ্য পেশাদার আমেরিকান ফুটবল খেলোয়াড় হয়ে ওঠেন।

১৭৫২ – ব্রিটেনে জুলীয় ক্যালেন্ডারের জায়গায় জর্জীয় ক্যালেন্ডার প্রবর্তিত হয়। ফলে ৩ সেপ্টেম্বর ১৪ সেপ্টেম্বর হয়।

১৭৭৭ – আমেরিকার বিপ্লব যুদ্ধ: কোচ ব্রিজের যুদ্ধের সময়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পতাকা প্রথমবারের মতো যুদ্ধে উড়েছিল।

১৭৮৩ – আমেরিকার বিপ্লব যুদ্ধ: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং গ্রেট ব্রিটেনের কিংডম প্যারিসের চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে যুদ্ধের সমাপ্তি ঘটে।

১৭৯৮ – সেন্ট জর্জের কেয়ের সপ্তাহব্যাপী যুদ্ধ শুরু হয়েছিল স্পেন ও ব্রিটেনের মধ্যে বেলিজ উপকূলে।

১৬৫০ – ডানবারের যুদ্ধে রাজতন্ত্রীদের বিরুদ্ধে বিজয় তৃতীয় ইংলিশ গৃহযুদ্ধের সময় নতুন মডেল সেনাবাহিনীর হয়ে এডিনবার্গের পথ উন্মুক্ত করে। [১]

১৬৫১ – ওয়ার্সেস্টারের যুদ্ধ তিনটি কিংডমের যুদ্ধের সর্বশেষ উল্লেখযোগ্য ক্রিয়া।

১৬৫৮ – অলিভার ক্রমওয়েলের মৃত্যু; রিচার্ড ক্রমওয়েল ইংল্যান্ডের লর্ড প্রোটেক্টর হন।

১৬৬৬ – দ্য রয়্যাল এক্সচেঞ্জ লন্ডনের গ্রেট ফায়ারে জ্বলে উঠল।

১৪১১ – সিলিম্ব্রিয়ার চুক্তি অটোমান সাম্রাজ্য এবং ভেনিস প্রজাতন্ত্রের মধ্যে সমাপ্ত হয়।

১২৬০ – প্যালেস্টাইনের আইন জলুতের যুদ্ধে মামলুকরা মঙ্গোলদের পরাজিত করে, তাদের প্রথম নির্ধারিত পরাজয় এবং মঙ্গোল সাম্রাজ্যের সর্বাধিক বিস্তারের পয়েন্টকে চিহ্নিত করে।

১১৮৯ – ইংল্যান্ডের রিচার্ড প্রথম (ধ.শ.ধ. রিচার্ড “দ্য লায়নহার্ট”) ওয়েস্টমিনস্টারে মুকুট পেলেন।

৮৬৩ – আরব অভিযানের বিরুদ্ধে লালাকাঁর যুদ্ধে মেজর বাইজান্টাইন জয়।

৬৭৩ – ভিসিগথসের রাজা ওয়াম্বা নেমেসের (ফ্রান্স) গভর্নর ও সিংহাসনের প্রতিদ্বন্দ্বী হিল্ডারিকের বিদ্রোহ স্থাপন করেছিলেন।

৫৯০ – পোপ গ্রেগরি আইয়ের গ্রেপ্তার (গ্রেগরি দ্য গ্রেট)।

৩০১ – সান মেরিনো, বিশ্বের অন্যতম ক্ষুদ্র দেশ এবং বিশ্বের বিদ্যমানতম প্রজাতন্ত্র এখনও বিদ্যমান, সেন্ট মেরিনাস প্রতিষ্ঠিত।

৩৩ খ্রিস্টপূর্ব – নওলোচাসের যুদ্ধে অষ্টাভিয়ের অ্যাডমিরাল মার্কাস ভিপাসানিয়াস আগ্রিপ্পা পম্পয়ের পুত্র সেক্সটাস পম্পিকে পরাজিত করেছিলেন, এভাবে পম্পেইয়ের প্রতিরোধের দ্বিতীয় ট্রায়মায়ারেটের সমাপ্তি ঘটে।

 

এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন যারা—-

২০০৭ – অশেষ প্রসাদ মিত্র,ভারতীয় বাঙালি পদার্থবিজ্ঞানী।

২০০৮ – মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান, বাংলাদেশী কবি, সাহিত্যিক ও ভাষাবিজ্ঞানী।

২০১৮ – রমা চৌধুরী, বাংলাদের মুক্তিযুদ্ধের একজন বীরাঙ্গনা।

১৯৩৩ – মৃগেন্দ্রনাথ দত্ত, ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের শহীদ বিপ্লবী।

১৯৬২ – মার্কিন কবি ই ই কামিংস।

১৯৬৩ – আইরিশ কবি ও নাট্যকার ফ্রেডেরিখ ম্যাকনিস।

১৯৬৯ – ভিয়েতনামের বিপ্লবী জননেতা হো-চি-মিন।

১৯৯৮ – অনুপ কুমার, ভারতীয় বাঙালি চলচ্চিত্র অভিনেতা।

১৮৮৩ – রাশিয়ার লেখক ইভান তুর্গেনেভ।

 

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This
Categories
নারী কথা প্রবন্ধ রিভিউ

আজ আন্তর্জাতিক সিডও দিবস, জানুন দিনটি কেন পালিত হয় এবং গুরুত্ব।

 

আজ আন্তর্জাতিক সিডও দিবস। শতাব্দীব্যাপী নারী আন্দোলনের অভিযাত্রা ও বিংশ শতাব্দীর মানবাধিকার আন্দোলনের অনুকূল পরিবেশে জাতিসংঘ নারী আন্দোলনের অগ্রগতির নানা উদ্যোগের ফসল ‘সিডও সনদ’। এই সনদ প্রণয়ন বা কার্যকর করার লক্ষ্যে বিভিন্ন ওয়ার্কিং গ্রুপ নারী জাতির মর্যাদাবিষয়ক কমিশন ও সাধারণ পরিষদের মধ্যে পাঁচ বছর ধরে বিভিন্ন সময় আলোচনা ও পর্যালোচনার পর গৃহীত হয় ‘সিডও সনদ’। বিভিন্ন রাষ্ট্র সনদে স্বাক্ষর শুরু করে ১৯৮০ সালে।

নারীর বিরুদ্ধে সকল প্রকার বৈষম্য দূর করার কনভেনশন (CEDAW) হল একটি আন্তর্জাতিক চুক্তি যা 1979 সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ কর্তৃক গৃহীত হয়।  নারীর অধিকারের একটি আন্তর্জাতিক বিল হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে, এটি 3 সেপ্টেম্বর 1981 সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এবং 189টি রাজ্য এটি অনুমোদন করেছে।  কনভেনশনটি অনুসমর্থনকারী পঞ্চাশটিরও বেশি দেশ কিছু ঘোষণা, সংরক্ষণ এবং আপত্তির সাপেক্ষে তা করেছে, যার মধ্যে 38টি দেশ রয়েছে যারা প্রয়োগকারী নিবন্ধ 29 প্রত্যাখ্যান করেছে, যা কনভেনশনের ব্যাখ্যা বা প্রয়োগ সম্পর্কিত বিরোধ নিষ্পত্তির উপায়গুলিকে সম্বোধন করে।  অস্ট্রেলিয়ার ঘোষণায় তার ফেডারেল সাংবিধানিক ব্যবস্থার ফলে কেন্দ্রীয় সরকারের ক্ষমতার সীমাবদ্ধতা উল্লেখ করা হয়েছে।  মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং পালাও স্বাক্ষর করেছে, কিন্তু চুক্তিটি অনুমোদন করেনি।  হলি সি, ইরান, সোমালিয়া, সুদান এবং টোঙ্গা CEDAW-তে স্বাক্ষরকারী নয়।

 

জাতিসংঘের উদ্যোগে প্রতিবছর ‘সিডও’ দিবস পালিত হয়। নারীর প্রতি সব ধরনের বৈষম্য বিলোপ সনদ Convention on the Elimination of All forms of Discrimination(CEDAW)।নারীর মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য নিয়ে ১৯৭৯ সালের ১৮ ডিসেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে গৃহীত হয়  Convention on the Elimination of All Forms of Discrimination against Women, সংক্ষেপে যা  CEDAW হিসেবে পরিচিত। বাংলায় এটিকে চিহ্নিত করা হয় ‘নারীর প্রতি সব বৈষম্য বিলোপ সনদ (সিডও)’। ১৯৭৯ সালে জাতিসংঘ কর্তৃক সনদটি গৃহীত হলেও ১৯৮১ সালের ৩ সেপ্টেম্বর থেকে তা কার্যকর করা শুরু হয়।

 

মহিলাদের বিরুদ্ধে বৈষম্য দূরীকরণ সংক্রান্ত কমিটি, সাধারণত ‘CEDAW কমিটি’ হিসাবে সংক্ষেপে, জাতিসংঘের (UN) চুক্তি সংস্থা যা নারীর বিরুদ্ধে সকল প্রকার বৈষম্য দূরীকরণের কনভেনশন (CEDAW) তত্ত্বাবধান করে।  এই কমিটির গঠনটি CEDAW-এর 17 অনুচ্ছেদে রূপরেখা দেওয়া হয়েছিল, যা কমিটির নিয়ম, উদ্দেশ্য এবং পরিচালনা পদ্ধতিও প্রতিষ্ঠা করে।  CEDAW-তে বর্ণিত নিয়মগুলি অনুসরণ করা হচ্ছে তা নিশ্চিত করতে কমিটি তার কার্যকালের পুরো বছর ধরে একাধিক সেশন করেছে।  সময়ের সাথে সাথে কমিটির অনুশীলনগুলি নারীর অধিকার সংক্রান্ত বিষয়গুলির উপর বর্ধিত ফোকাসের কারণে বিকশিত হয়েছে।

 

CEDAW কার্যকর হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় 20টি অনুমোদন পাওয়ার পর 3 সেপ্টেম্বর 1981-এ মহিলাদের বিরুদ্ধে বৈষম্য দূরীকরণ সংক্রান্ত কমিটি গঠিত হয়েছিল৷  CEDAW-এর 17 অনুচ্ছেদ কমিটি গঠন করেছে যাতে CEDAW-এর বিধানগুলি যে দেশগুলি স্বাক্ষর করেছে এবং এর দ্বারা আবদ্ধ হতে সম্মত হয়েছে তাদের দ্বারা অনুসরণ করা হয়েছে।  কমিটির প্রথম নিয়মিত অধিবেশন 18 থেকে 22 অক্টোবর 1982 পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়। এই অধিবেশনে কমিটির প্রথম কর্মকর্তারা সাধারণ সংখ্যাগরিষ্ঠতা দ্বারা নির্বাচিত হন, মঙ্গোলিয়ার মিসেস এল. ইদার চেয়ারপারসন হন।  নির্বাচিত অন্য কর্মকর্তারা হলেন তিনজন ভাইস-চেয়ারপারসন: কানাডার এম. ক্যারন, যুগোস্লাভিয়ার জেড ইলিক এবং রুয়ান্ডার এল. মুকাইরাঙ্গা।  কমিটির প্রতিনিধি হিসেবে গিয়ানার ডি.পি. বার্নার্ড নির্বাচিত চূড়ান্ত কর্মকর্তা ছিলেন।  এই অধিবেশন চলাকালীন, কমিটি সর্বসম্মতিক্রমে তার প্রক্রিয়ার নিয়মগুলি গ্রহণ করার জন্য অনুমোদন করেছে৷

 

এর মূল বিষয় হচ্ছে, নারীর প্রতি সকল প্রকার বৈষম্য বিলোপ বা দূরীকরণ। যেখানে রাজনৈতিক, সামাজিক, পারিবারিক সব ক্ষেত্রে নারীর মানবাধিকার নিশ্চিত করার বিষয়টি স্পষ্ট করে বলা হয়েছে। এটি আইনগত ভিত্তি নিয়ে একটি কনভেনশন আকারে রূপ লাভ করেছে। এ সনদটি মূলত তিনটি প্রেক্ষিত থেকে সমস্যা সমাধানের নির্দেশ দেয়। ক. নারীর নাগরিক অধিকার ও আইনি সমতা নিশ্চিতকরণ, যার মাধ্যমে নারী গণজীবনে ও সমাজে পুরুষের সমপর্যায়ে সব সুবিধা ভোগ করতে পারবেন। খ. নারীর প্রজনন ভূমিকাকে সামাজিক ভূমিকা হিসেবে গণ্য করা, যাতে প্রজননের কারণে নারীকে কোণঠাসা না করে এ ক্ষেত্রে নারীর অবদানকে স্বীকৃতি দেওয়া। গ. আচার-প্রথা, সংস্কার ও বিধি যা নারীর জেন্ডার ভূমিকা নির্ধারণ করে, তা বাতিল করা। পরিবার ও সমাজে শুধু ‘মানুষ’ হিসেবে নারীকে গণ্য করা এবং পুরুষের ক্ষমতাভিত্তিতে তার অধিকার প্রতিষ্ঠা করা। সিডও একমাত্র আন্তর্জাতিক চুক্তি বা সনদ, যা শুধু নারী সংক্রান্ত।

 

।।তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।

Share This
Categories
রিভিউ

আজ ২ সেপ্টেম্বর, ইতিহাসের আজকের এই দিনে যা ঘটেছিল।

আজ ২ সেপ্টেম্বর। ইতিহাস ঘেটে দেখা যায় বছরের প্রতিটি দিনে ঘটেছে অনেক উল্লেখযোগ্য ঘটনা। আসুন আজকের দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য কিছু বিষয় একনজরে দেখে নিই।  ইতিহাসের আজকের এই দিনে কী কী ঘটেছিল, কে কে জন্ম নিয়েছিলেন ও মৃত্যুবরণ করেছিলেন——-

 

দিবস—–

(ক)  ভিয়েতনামের জাতীয় দিবস।

(খ) বিশ্ব নারিকেল দিবস।

 

আজ যাদের জন্মদিন—-

১৯১৩ – বিল সাঙ্কলয়, (স্কটিশ ফুটবলার ও ম্যানেজার)।

১৯২০ – (বাংলা সাহিত্যের খ্যাতনামা বাঙালি কবি) বীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায়।

১৯২৩ – (ক)  পার্বতীকুমার সরকার,  (আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বাঙালি ভূতাত্ত্বিক)।

(খ) রেনে থম, (ফরাসি গণিতবিদ)।

১৯৩৩ – ম্যাথিইয়েউ কেরেকোউ, (লেবানিজ সৈনিক, রাজনীতিক ও প্রেসিডেন্ট)।

১৯৩৮ – গিউলিয়ানো গেমা, (ইতালিয়ান অভিনেতা)।

১৯৪৮ – ক্রিস্টা মকাউলিফে, (আমেরিকান শিক্ষাবিদ ও মহাকাশচারী)।

১৯৫২ – জিমি কনর্স, (প্রাক্তন মার্কিন টেনিস চ্যাম্পিয়ন)।

১৯৬৬ – সালমা হায়েক, (মেক্সিকান-মার্কিন অভিনেত্রী, পরিচালক, টেলিভিশন ও চলচ্চিত্র প্রযোজক)।

১৯৬৭ – আন্ড্রেয়াস মোয়েলার, (জার্মান সাবেক ফুটবলার ও ম্যানেজার)।

১৯৭৭ – ফ্রেডেরিক কানোউটে, (মালির সাবেক ফুটবলার)।

১৯৮১ – ক্রিস ট্রেমলেট, (ইংরেজ সাবেক ক্রিকেটার)।

১৯৮২ – জোয়ি বার্টন, (ইংরেজ সাবেক ফুটবলার)।

১৯৮৮ – ইশান্ত শর্মা, (ভারতীয় ক্রিকেটার)।

১৯৮৮ – জাভি মার্টিনেজ, (স্প্যানিশ ফুটবলার)।

১৮১০ – উইলিয়াম সেমুর টেইলার, (মার্কিন শিক্ষাবিদ ও ইতিহাসবিদ)।

১৮৩৮ – ভক্তিবিনোদ ঠাকুর, (ভারতের বৈষ্ণবধর্মের সাধক, ধর্মগুরু, দার্শনিক)।

১৮৫৩ – উইলহেম অসওয়াল্ড, (নোবেল বিজয়ী জার্মান রসায়নবিদ)।

১৮৭৭ – ফ্রেডেরিক সডি, (ইংরেজ রসায়নবিদ)।

১৮৯৪ – জোসেফ রথ, (অস্ট্রীয় সাংবাদিক ও লেখক)।

১৭৭৮ – লুই বোনাপার্ট, (ফরাসি বংশোদ্ভূত ডাচ রাজা)।

১৬৭৫ – উইলিয়াম সামারভিল, (ইংরেজ কবি)।

১৫৪৮ – ভিন্সেঞ্জো স্কামজ্জি, (ইতালীয় স্থপতি)।

 

ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনের ঘটনাবলী—-

২০০৫ – চট্টগ্রামে চিলড্রেন ক্যান্সার হোম উদ্বোধন হয়।

১৯১৪ – রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবুর্গের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় পেট্রোগার্ড।

১৯৩৯ – দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নাজি জার্মানি পোল্যান্ড আক্রমণ করে যুদ্ধের সূচনা করে।

১৯৩৯ – ব্রিটেনে ১৯ থেকে ৪১ বছর বয়সী পুরুষদের বাধ্যতামূলকভাবে সেনাবাহিনীতে নিয়োগ করা হয়।

১৯৪৫ – (ক) দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে শেষ হয়। টোকিও উপসাগরে জাপান আত্মসমর্পণ করে।

(খ( – ভিয়েতনাম ফ্রান্সের থেকে স্বাধীনতা ঘোষণা করে।

১৯৪৭ – ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আবুল কাশেমের নেতৃত্বে তমদ্দুন মজলিস নামক সাংস্কৃতিক সংগঠন প্রতিষ্ঠিত হয়।

১৯৪৯ – জাপানি আক্রমনে চীনের চান-কিঙ-এ ১৭০০ জন নিহত হয়।

১৯৫৮ – চীনের প্রথম টেলিভিশন স্টেশন পিকিং-এ চালু হয়।

১৯৭০ – নাসা (NASA) দুইটি অ্যাপোলো(Apollo) চন্দ্র অভিযান বাতিল ঘোষণা করে।

১৯৮১ – বেলিজ স্বাধীনতা লাভ করে।

১৯৮৫ – চলচ্চিত্রকার সত্যজিৎ রায় ভারতবর্ষের অনন্য চলচ্চিত্র উৎকর্ষ কেন্দ্র নন্দন উদ্বোধন করেন।

১৯৯১ – যুক্তরাষ্ট্র এস্তেনিয়া, লাটভিয়া ও লিথুয়ানিয়া কে স্বীকৃতি দেয়।

১৮০১ – ফ্রান্সের বিরুদ্ধে ওসমানীয় ও বৃটিশ সেনাদের ব্যাপক যুদ্ধের পর অবশেষে ফরাসী বাহিনী পরাজিত হয়ে মিশর ত্যাগ করতে বাধ্য হয়।

১৮৭০ – ফ্রাঙ্কো-প্রুশিয়ান যুদ্ধ: সেদানের যুদ্ধে প্রুশিয়া ফরাসি সম্রাট তৃতীয় নেপোলিয়ন ও তার ১০০,০০০ সৈন্যকে বন্দি করে।

১৭৫২ – যুক্তরাজ্য গ্রেগারিয়ান দিনপঞ্জি গ্রহণ করে নেয়।

১৭৯২ – ফরাসি বিপ্লব সময় বিপ্লবীরা তিনজন রোমান ক্যাথলিক বিশপ ও প্রায় দুইশত পুরোহিতদের হত্যা করে। এই ঘটনা সেপ্টেম্বর গনহত্যা নামে পরিচিত।

১৬৪৯ – ইতালির ক্যাস্টো শহর [পোপ দশম ইন্নোসেন্টের সৈন্যদের দ্বারা সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়।

১৬৬৬ – লন্ডনে এক ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে প্রায় ১০,০০০ বাড়ি পুড়ে যায় (সেন্ট পলের ক্যাথেড্রাল সহ)। এই অগ্নিকাণ্ড প্রায় তিন দিন যাবৎ চলে।

৪৪ খৃস্টপূর্ব – মিশরের ফারাও সপ্তম ক্লিওপেট্রা তার পুত্র পঞ্চদশ টলেমি সিজারিয়নকে সহকারী শাসক হিসেবে ঘোষণা করেন।

৩১ খৃস্টপূর্ব – রোমান গৃহযুদ্ধ: গ্রীসের পশ্চিম উপকূলের অ্যাক্টিয়ামের যুদ্ধে অক্টোভিয়ান মার্ক আন্টনি ও ক্লিওপেট্রার সৈন্যদের পরাস্ত করেন।

 

এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন যারা—-

২০০১ – ক্রিশ্চিয়ান বার্নার্ড, (দক্ষিণ আফ্রিকান সার্জন ও শিক্ষাবিদ)।

২০০৯ – ইয়েদুগুরি সন্দিন্তি রাজশেখর রেড্ডি, (ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী)।

২০১০ – দিলীপ রায়, (ভারতীয় বাঙালি চলচ্চিত্র অভিনেতা)।

২০১৩ – রোনাল্ড কোসে, (নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ইংরেজ বংশোদ্ভূত আমেরিকান অর্থনীতিবিদ ও লেখক)।

২০১৪ – নরম্যান গর্ডন, (দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটার)।

২০২১ – (ভারতীয় অভিনেতা) সিদ্ধার্থ শুক্লা।

১৯১০ – হেনরি রুশো, (ফরাসি চিত্রশিল্পী)।

১৯১৩ – ওকাকুরা কাকুজো, (জাপানের প্রখ্যাত শিল্পী ও বাংলায় বিংশ শতকের গোড়ার দিকে নব উন্মেষের সূচনাকারী)।

১৯৩৩ – অনাথবন্ধু পাঁজা, (ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের শহীদ বিপ্লবী)।

১৯৩৭ – চট্টো নামে পরিচিত বীরেন চট্টোপাধ্যায়, (আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন কমিউনিস্ট বিপ্লবী)।

১৯৪৬ – প্রমথ চৌধুরী, (বাংলা ভাষার সাহিত্যিক)।

১৯৫২ – বেণী মাধব দাস, (প্রাজ্ঞ বাঙালি পণ্ডিত, শিক্ষক, দেশপ্রেমিক এবং শরৎচন্দ্র বসু, সুভাষচন্দ্র সহ আরও অনেক প্রখ্যাত ব্যক্তির শিক্ষাগুরু)।

১৯৬৭ – আয়েত আলী খাঁ, (উপমহাদেশের প্রখ্যাত উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতশিল্পী, সেতার ও সুরবাহার বাদক)।

১৯৬৯ – হো-চি-মিন, (ভিয়েতনামের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী)।

১৯৭৩ – জে. আর. আর. টলকিন, (ইংরেজ ঔপন্যাসিক, ছোট গল্পকার, কবি ও ভাষাতত্ত্ববিৎ)।

১৯৯১ – আলফান্সো গার্সিয়া রোব্লেয়া, (নোবেল পুরস্কার বিজয়ী মেক্সিকান রাজনীতিবিদ ও কূটনীতিক)।

১৯৯২ – বারবারা ম্যাকলিন্টক, (নোবেলজয়ী মার্কিন জীববিজ্ঞানী)।

১৯৯৬ – মাহমুদ হাসান গাঙ্গুহী, (ভারতীয় দেওবন্দি ইসলামি পণ্ডিত ও মুফতি)।

১৯৯৭ – ভিক্টর ফ্রাঙ্কেল, (অস্ট্রিয়ান নিউরোলজিস্ট)।

১৮২০ – জিয়াকিং, (চীন সম্রাট)।

১৮৬৫ – উইলিয়াম রোয়ান হ্যামিল্টন, (আইরিশ গণিতবিদ ও বিজ্ঞানী)।

৪২১ – কনস্টানটিয়াস, (রোমান সম্রাট)।

 

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

আজ বিশ্ব নারিকেল দিবস, জানুন দিনটি কেন পালিত হয় এবং দিনটি পালনের গুরুত্ব।

নারকেল একটি অর্থকারী ফসল। এর উপকার, গুণাগুণ হিসেবের বাহিরে। জীবন জীবিকায় এর ভূমিকা আনস্বীকার্য। যে কোন দেশের অর্থনীতিটে নারকেল এক গুরুত্বপূর্ণ আবদান রাখে। এ এমন এক গাছ যার শুরু থেকে শেষ প্রতিটি অঙ্গই কাজেলগে কোনোনা কোনো ক্ষেত্রে। তাই এর গুরুত্ব বোঝাতে প্রতি বছর ২ সেপ্টেম্বর বিশ্ব জুড়ে পালিত হয় বিশ্ব নারকেল দিবস। এই দিনটা পালন করার মূল উদ্দেশ্য হল নারকেলের গুরুত্ব সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করা এবং এর উপকারিতা বোঝানো।

 

নারকেল নামটি পর্তুগিজ শব্দ কোকো থেকে এসেছে। যার অর্থ মাথা বা মাথার খুলি এবং বলা বয় যে এটি ইন্দো-মালয় অঞ্চলের কোথও উদ্ভুত হয়েছে। নারকেল গাছের বৈজ্ঞানিক নাম Cocos Nucifera। ৮২ ফুট বা ২৫ মিটার উচ্চতা হয়ে থাকে এই গাছের। বিশ্বব্যাপী নারকেল সবচেয়ে বেশি উৎপাদিত হয় তিনটি দেশে। যথা ভারত, ইন্দোনেশিয়া ও ফিলিপিন। সংস্কৃত ভাষায় নারকেল গাছটিকে কল্পবৃক্ষ বা স্বর্গের গাছ হিসেবেও উল্লেখ করা হয়।

 

নারকেল হচ্ছে পৃথিবীর অন্যতম ভার্সেটাইল ফল, এর একাধিক উপকারিতা আছে। এটা যেমন খাওয়া যায়, তেমনই আবার এর তেল রান্না থেকে ত্বক পরিচর্চায় ব্যবহার করা যায়। এই দিনটি সাধারণত এশীয় ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় রাষ্ট্রগুলিতে বিশেষ ভাবে পালিত হয়। কারণ এই অঞ্চলগুলিতে অধিক পরিমাণে নারকেল উৎপাদন হয়ে থাকে। নারকেলের স্বাস্থ্যোপযোগিতা ও বাণিজ্যিক লাভ সম্পর্কে জন সচেতনতা গড়ে তোলার জন্য বিশ্ব নারকেল দিবস পালিত হয়। ২০০৯ সালে এই দিনটি প্রথম পালিত হয়। তার পর থেকে প্রতিবছর ২ সেপ্টেম্বর বিশ্ব নারকেল দিবস পালিত হয়ে আসছে।

এশিয়া প্যাসিফিক কোকোনাট কমিউনিটি (APCC) ২০০৯ সালে এই দিবসটি প্রথম উদযাপন করে। তারপর থেকে, প্রতি বছর UN-ESCAP (United nations economic and social commission for Asia Pacific) এবং APCC একত্রে এই দিবসটি উদযাপন করে। দিবসটি পালনের লক্ষ্য হল, এই ফলের প্রচার এবং এর স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা।

আমরা জানি,  বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ফলগুলির মধ্যে একটি হল নারকেল, পাশপাশি এই ফলের বহুমুখী প্রকৃতি এটিকে বাকি ফলের থেকে আলাদা করে তোলে। নারকেল বা ডাব আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য কতটা উপকারি, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। নারকেলের জল, দুধ এবং তেল আমাদের স্বাস্থ্য, ত্বক, চুলের জন্য অত্যন্ত উপকারি। ডাব বা নারকেল দিয়ে বিভিন্ন সুস্বাদু খাবারও তৈরি করা যায়। নারকেল দিবসে, নারকেল থেকে তৈরি বিভিন্ন প্রকার মিষ্টান্ন, নারকেল গাছ থেকে তৈরি বিভিন্ন সামগ্রী এই প্রদর্শনী তে রাখা হয়।

সারা বিশ্বে প্রায় অনেকগুলো দেশেই নারকেলের চাষ হয়। তার মধ্যে, মইক্রোনেসিয়া, ফিজি,ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া,থাইল্যান্ড,ভারত,ব্রাজিল, শ্রীলঙ্কা, ফিলিপিন্স অন্যতম। এর মধ্যে সর্বাধিক নারকেল উৎপাদন হয়, ইন্দোনেশিয়া, ভারত, ফিলিপিন্স, শ্রীলঙ্কা, ও ব্রিজেলে।
এটা বিশ্বের একটি অন্যতম দরকারি গাছ এবং এটিকে প্রায়ই “জীবনের গাছ” হিসাবে উল্লেখ করা হয়। এটি মানুষ খাদ্য, জ্বালানী, প্রসাধনী, ভেষজ ঔষধ সরবরাহ, দালান নির্মান সামগ্রী হিসেবে ব্যবহার করে এবং এর রয়েছে আরও নানাবিধ ব্যবহার।

নারকেল চাষের উপর ভারতের প্রায় কোটি মানুষের জীবিকা নির্ভর করে।  ভারতের কেরল,অন্ধ্রপ্রদেশ, কর্ণাটক এবং তামিলনাড়ু তে সর্বাধিক নারকেলের চাষ দেখা যায়। দেশের প্রায় ৯০ শতাংশ নারকেল এখানেই চাষ হয়। সমুদ্রের পার্শবর্তী স্থানে,লবনাক্ত মাটিতেই নারকেলের চাষ ভালোভাবে হয়।
নারকেল এমন একটি ফল, যা পৃথিবীর সব প্রান্তের মানুষের কাছে খুবই জনপ্রিয়। এই গাছের কাঠ থেকে শুরু করে, পাতা, নারিকেলের ছোবড়া, জল, দুধ, মালা, সবটাই ব্যবহৃত হয় কোনও না কোনও কাজে। তাই অর্থনীতিতে নারিকেলের ভূমিকা যে অসীম তা কিন্তু অস্বীকার করা যায় না।

একটি নারকেল গাছে প্রত্যেক বছর ৭০-১০০ টি নারকেল উৎপন্ন হয়। ভারতবর্ষে প্রায় দেড় কোটি গাছ শুধুমাত্র কেরলেই আছে ,যার কারণে কেরল কে কোকোনাট ল্যান্ডও বলা হয়।

 

ডাব বা নারকেলের জল কয়েকটি উপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করা যাক—

 

নারকেল একটি সুস্বাদু পুষ্টিকর ফল। এই ফল কাঁচাও খাওয়া যায়, এবং এর থেকে বিভিন্ন ধরনের খাবার ও তৈরি হয়,যেমন কেক, লাড্ডু, বরফি ইত্যাদি। তাছাড়া বিভিন্ন অনুষ্ঠানে, পুজো তে, এবং রান্নাতেও ব্যাবহার করা হয়।

নারকেলের পাতা জ্বালানির কাজে ব্যবহার করা হয়,নারকেলের পাতা থেকে তৈরি হয় ঝাঁটা যা সর্বত্রই ব্যবহার করা হয়।
নারকেলের ছোবা থেকে তৈরি হয় দড়ি,সোফা, পাদানি এবং বিভিন্ন ব্যাবহারিক জিনিস।

নারকেল গাছ ও জ্বালানির কাজে ব্যবহার করা হয় এবং নারকেল গাছ চেরাই করে ছোটখাটো আসবাবপত্র ও তৈরি করা হয়।

নারকেল থেকে তৈরি হয় নারকেল তেল যা আমাদের চুলের জন্য উপযোগী।  যার ব্যবহার ভারতে এবং অন্যান্য দেশেও রয়েছে।
নারকেলের জল আমাদের শরীরের পক্ষে প্রচুর মাত্রায় উপযোগী।

নারকেলের জলে রয়েছে গ্লুকোজ, ভিটামিন সি,পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম যা আমাদের শরীরের ব্লাড প্রেসার কে নিয়ন্ত্রণে সহায়তা প্রদান করে।

কোলেস্টল এবং ফ্যাট ফ্রী হবার দরুন এটি হৃদয়ের পক্ষেও লাভদায়ক। এর মধ্যে থাকা আন্টি-অক্সিডেন্টের গুন শরীরের রক্ত সঞ্চালন কে সক্রিয় রাখে। এবং এটি শরীরের ওজন কমানোর ক্ষেত্রেও কার্যকর।

নারকেলের জল আমাদের শরীরের থাইরয়েড হরমোন কে নিয়ন্ত্রণে রাখে।

নারকেলের জল আমাদের কিডনির পক্ষেও উপযোগী, যদি প্রতিদিন নারকেলের জল খাওয়া যায় তাহলে কিডনিতে পাথর হবার সম্ভাবনা থাকে না।

তাছাড়া নারকেলের জল রূপচর্চার ক্ষেত্রেও ব্যবহার করা হয়।

 

নারকেল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়—

 

নিয়মিত নারকেল খাওয়া ওজন কমাতে সাহায্য করে। কারণ এতে অনেক ফাইবার থাকে।
ত্বকের প্রাকৃতিক ঔজ্জ্বল্য বজায় রাখে- নারকেল বা ডাবের জল এই জল পান করলে বলিরেখা ও ফাইন লাইন কমানো যায় এবং ত্বকের টানটান ভাব বজায় থাকে। ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে নারকেল। নিয়মিত নারিকেল খেলে ত্বক কোমল ও সুন্দর হয়। এছাড়াও নারকেল খেলে ত্বকে বলিরেখা পড়ে না।

হাড় মজবুত করে- ডাবের জল হাড় মজবুত এবং ঘনত্ব বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এর ফলে অল্প বয়সে অস্টিওপোরোসিস, আর্থ্রাইটিস, অস্টিওপেনিয়া ইত্যাদি হাড়ের রোগের সমস্যা রোধ করা যায়।
অ্যাসিডিটি প্রতিরোধ করে- ডাবের জল শরীরের পিএইচ স্তরে ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। এটি অ্যাসিডিটি ও বুক জ্বালার হাত থেকে স্বস্তি দেয়।
চুলের টনিকের কাজ করে- চুল ঝরার সমস্যা থাকলে ডাবের জল পান করা শুরু করে দিন।
হজম শক্তি উন্নত করে- ডাবের জল প্রাকৃতিক উপায়ে সতেজতা প্রদান করে। পাশাপাশি শরীরে ব্লটিং ও গ্যাসের জন্য দায়ী সোডিয়ামের পরিমাণও কম করে। ফাইবার সমৃদ্ধ হওয়ায় এটি পাচনতন্ত্রকেও মজবুত করে।
ডিহাইড্রেশন প্রতিরোধ করে, হজম শক্তি উন্নত করার পাশাপাশি ডাবের জল শরীররে হাইড্রেট রাখে। এটি শরীরের হারিয়ে যাওয়া পুষ্টি উপাদানগুলিকে পুনঃস্থাপিত করে।
নিয়মিত নারকেল খেলে স্তন ক্যানসার, কোলন ক্যানসারসহ অন্যান্য ক্যানসারেরও ঝুঁকি কমে।
ডাবের জল পান করলে শরীরে রক্ত জমাট বাঁধার প্রবণতা কমে ও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
হজম প্রক্রিয়ায় সহায়তা করে নারকেল।
নারকেলের দুধ  হেপাটাইটিস সি, জন্ডিস ও লিভারের বিভিন্ন অসুখ সারাতে নারকেল দুধ কার্যকরী।
নিয়মিত নারকেল খেলে মাথায় খুশকি ও শুষ্কতা দূর হয়। এছাড়াও নারকেল তেল ব্যবহারে চুল পড়া বন্ধ হয়।
নারকেলে বেশি ক্যালোরি থাকায় তা দ্রুত শরীরে শক্তি যোগায়। তাই কাজের মাঝে ক্লান্তি আসলে বা হালকা খিদে পেলে নারকেল খেলে তাৎক্ষণিক অ্যানার্জি বাড়বে।
নারকেলে থাকে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট। যা কোলেস্টেরল বাড়ায় না বরং আথেরোসক্লেরোসিসের ঝুঁকি কমিয়ে হার্ট ভালো রাখতে সহায়তা করে।হৃদযন্ত্র ভালো রাখে নারকেল। এটি রক্তে কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমিয়ে হৃদরোগের সমস্যা দূর করে।
নারকেল রক্তের ইনসুলিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। এ কারণে ডায়াবেটিস রোগীরাও পরিমিত নারকেল খেতে পারেন। এতে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

নারকেল সম্পর্কে তথ্য—

(ক) ‘coconut’ শব্দটি ‘nut’ এবং পর্তুগিজ শব্দ ‘coco’ এর সমন্বয়ে উদ্ভূত।
(খ) বিশ্বে নারকেল উৎপাদনের ৯০ শতাংশই আসে এশিয়া থেকে।
(গ) ইন্দোনেশিয়া, Philippines, ব্রাজিল এবং শ্রীলঙ্কার পাশাপাশি ভারত বিশ্বের অন্যতম বড় রপ্তানিকারক দেশ।

(ঘ) নারকেল পুরোপুরি পরিপক্ক হতে এক বছর সময় লাগে।

(ঙ) একটি নারকেল গাছ প্রতি বছর কমকরে প্রায় ১০০টি নারকেল দেয়।
তাই বর্তমানে স্বাস্থ্য সচেতন ব্যক্তিরা ডাবের জলকে অধিক গুরুত্ব দিচ্ছেন। এই জল ত্বক, হৃদয়, চুল, রক্তচাপ এবং হজমের পক্ষে বিশেষ উপকারী। সমীক্ষায় জানা গিয়েছে যে, স্পোর্টস ড্রিঙ্কসের তুলনায় এটি অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর, কম ক্যালরি সম্পন্ন। তাই আজ এই বিশেষ দিনটিতে ডাব বা নারকেলের জল কয়েকটি উপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করা হলো ।
ভারতসহ মোট ১৮টি দেশ নিয়ে এপিসিসি সংস্থাটি গঠিত। এ দিবসের মূল লক্ষ্য হচ্ছে নারকেল শিল্পের উন্নতির মাধ্যমে একটি দেশের অর্থ ব্যবস্থাকে মজবুত করা। নারকেলের মূল্য ও উপকারিতা সম্পর্কে জনসাধারণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধিতে পালিত হয় দিনটি। খাদ্য, জ্বালানি, ওষুধ, প্রসাধনী, নির্মাণ সামগ্রী ও অন্যান্য নানা কারণে ব্যবহৃত হয় নারকেল। এই নারকেল গাছকে প্রায়শই ‘Tree Of Life’ নামে উল্লেখ করা হয়ে থাকে। এশিয়া প্যাসিফিক কোকোনাট কমিউনিটি (এপিসিসি) নারকেলের মূল্য ও সমাজে তাদের প্রভাবের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করতে এই দিনটির প্রচার শুরু করে।

 

।। তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও  বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

লে-লাদাখ্‌ : ভ্রমণ পিপাসু মানুষের কছে এক স্বর্গ ভূমি।

ঘুরতে কে না ভালোবাসে। বিশেষ করে বাঙালিরা সুযোগ পেলেই বেরিয়ে পড়ে ভ্রমনের নেশায়। কেউ পাহাড়, কেউ সমুদ্র আবার কেউ প্রাচীন ঐতিহাসিক স্থান ভালোবাসে ভ্রমণ করতে। প্রকৃতি কত কিছুই না আমাদের জন্য সাজিয়ে রেখেছে। কতটুকুই বা আমরা দেখেছি। এ বিশাল পৃথিবীতে আমরা অনেক কিছুই দেখিনি। তবে সোশ্যাল মিডিয়ার দুনিয়ায় আজ গোটা পৃথিবীটা হাতের মুঠোয়় এলেও প্রকৃতিকে চাক্ষুষ প্রত্যক্ষ করা এ এক আলাদা রোমাঞ্চ, আলাদা অনুভূতি যার রেষ হৃদয়ের মনিকোঠায় থেকে যায় চিরকাল।। তাইতো আজও মানুষ বেরিয়ে পড়়ে প্রকৃতির কে গায়ে মেখে  রোমাঞ্চিত হওয়ার নেশায়। কেউ চায় বিদেশে ভ্রমণে, আবার কেউ চায় দেশের বিভিন্ন স্থান ভ্রমণে। এমনি এক ভ্রমণ এর জায়গা হলো  লে-লাদাখ্‌ ।

 

জন্মু ও কাশ্মীরকে আমরা ভারতের ভূস্বর্গ হিসাবে জানি । ভূস্বর্গ দর্শনের স্পৃহা অনেক দিনের । লে-লাদাখ্‌ ভ্রমণ ঐ স্পৃহারই  অন্যতম অঙ্গ ।
রাজ্যের একটি জেলা ছিল লে-লাদাখ্‌ ।  এখন লে-লাদাখ্‌ কেন্দ্রিয়শাসিত অঞ্চল । বর্গায়তনে হিসাব করলে লে-লাদাখ্‌ অনেক বড় । কিন্তু লোকসংখ্যার বসবাস খুব কম । সর্বসাকুল্যে আনুমানিক তিন-লক্ষ মানুষের বসবাস । স্থানীয় বাসিন্দা ছাড়া প্রচুর সামরিক ও আধা-সামরিক বাহিনী কর্মরত । এছাড়া রয়েছে দেশী ও বিদেশী ভ্রমণ-পিপাসু মানুষের অহরহ আনাগোনা ।
লে-লাদাখের মানুষ ভীষণ গরীব । তাঁদের উপায়ের জায়গাটাও খুব নড়বড়ে । বলা চলে সীমিত । লে-লাদাখের জনবসতির ত্রিশ শতাংশ মানুষ ক্ষেতি জমির উপর নির্ভরশীল ।  ক্ষেতি জমি বলতে যব, জোয়ার, বাজরা, গম, চাষ । পাহাড়ি কোল ঘেঁষা  জমিতে চাষের দৃশ্য সর্বত্র । ঋতু অনুযায়ী বিভিন্ন চাষবাস । চাষের দৃশ্য নিঃসন্দেহে হৃদয়কাড়া । পয়ত্রিশ শতাংশ মানুষ রুটিরোজগারের জন্য পশুপালনের উপর নির্ভরশীল । পশুপালন বলতে লোমে ভরা ছাগল, গরু, ভেড়া, ইত্যাদি । আর অবশিষ্ট পয়ত্রিশ শতাংশ পর্যটকদের উপর নির্ভরশীল ।
বছরের প্রায় অর্ধেক সময় লে-লাদাখ্‌ বরফে ঢাকা থাকে । মে মাসের শেষে বরফ গলতে শুরু করে এবং সেই সময় থেকে বরফ সরিয়ে যাতায়াতের রাস্তা তৈরী করা শুরু  হয় । টুরিষ্টদের তখন মূলত লে-লাদাখের বিভিন্ন স্থানে ভ্রণের সুযোগ ঘটে । নভেম্বরের প্রথম  সপ্তাহ পর্যন্ত লে-লাদাখ্‌ ভ্রমণ চালু থাকে  !
স্থানীয় বাসিন্দারা প্রায় ছ-মাসের মতো জ্বালানী, খাবার এবং অন্যান্য নিত্য আবশ্যকীয় সামগ্রী মজুত রাখে । কেননা বরফ পড়ার সময় কোনো যানবাহন জোটে না । চুপচাপ নিজেদের এলাকার মধ্যে কাটাতে হয় । যারজন্য লে-লাদাখ্‌বাসীদের আগেভাগেই প্রয়োজনীয় খাবার, জ্বালানী, কাপড়-চোপড় ইত্যাদির ব্যবস্থা করাটা প্রত্যেকের কাছে একরকম বাধ্যতামূলক । জ্বালানী বলতে কাঠের টুকরো, ঘুটে (গোবর থেকে তৈরী), ইত্যাদি ।
সবচেয়ে দুঃখজনক, পুরো লে-লাদাখ্‌ এলাকা বাদ দিলে কোথাও বিশ্ববিদ্যালয় চোখে পড়েনি । বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে হলে ছাত্র-ছাত্রীদের শ্রীনগর বা দেশের অন্যত্র শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে  যেতে হয় ।
দিল্লী থেকে খুব সকালের ফ্লাইটে লে । লে এয়ারপোর্ট খুব ছোট । পাশেই সামরিক ছাউনী । ফ্লাইট থেকে নামার সাথে সাথে ভীষণ দমকা হাওয়া ও কন্‌কনে ঠাণ্ডা । ফলে ঠাণ্ডা দমকা হাওয়া থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য আশ্রয় নিতে হয়েছিল এয়ারপোর্টে পাশের অফিস ঘরে । একটা কথা প্রথমেই বলে রাখি, লে-লাদাখের চারিদিকে পাহাড় । তবে পাহাড়ের একটিই বৈশিষ্ট্য, পাহাড় গুলিতে কোনো সবুজ ঘাস নেই । ন্যাড়া । আর দিনের বেশীর ভাগ সময় পাহাড়ের মাথায় সাদা বরফের আনাগোনা । যদিও ভোরবেলায় সাদা বরফের পরিমাণ বেশী ।
তারপর লে এয়ারপোর্ট থেকে হোটেল । হোটেলের নাম “গাওয়া লিঙ ইন্টারন্যাশনাল” । হোটেলে যাওয়ার পথে প্রচণ্ড ঠাণ্ডা হাওয়া । ফলে চারিদিকে কন্‌কনে শীতল ঠাণ্ডা । হোটেলে ঢুকেও ঠাণ্ডার হাত থেকে রেহাই নেই । সময়টা মে মাসের শেষদিক । নিজের রাজ্যের জেলায় প্রচণ্ড গরম । আর “লে”তে  সম্পূর্ণটাই উল্টো । হাড় হিম করা ঠাণ্ডা । বাইরে তাপমাত্রা মাইনাস ছয় । মাথার উপরে সূর্য আসার পর অল্প খানিকক্ষণের জন্য রৌদ্র । আকাশে রৌদ্র ওঠার পর লে’র অপরূপ প্রাকৃতিক দৃশ্য, মনকে খুশীর জোয়ারে ভরিয়ে দেয় ! তারপর দুপুরে মধ্যাহ্ন ভোজের পর “লে” মার্কেটে ঘরাঘুরি । উল্লেখ থাকে যে, ভ্রমণের উদ্দেশে পাহাড়ে ঘোরাঘুরির আগে একদিন বিশ্রাম নেওয়ার তাগিদে “লে”তে ঘুরে বেড়ানো । হোটেল থেকে হাঁটা পথে মার্কেট । তাই দুপুরে খাওয়ার পর “লে” মার্কেটে এবং আশপাশ অঞ্চলে ঘোরাঘুরি । সন্ধ্যা নামার সাথে সাথে মানুষের আনাগোনা  কমে যায় । রাস্তাঘাট জনশূন্য হতে থাকে । হোটেলের পাশে কয়েকটি  ঝাউগাছ । ঝাউগাছ ভেদ করে দেখা যাচ্ছে ন্যাড়া পাহাড় ! পাহাড়ের মাথায় বরফ । রাত্রিতে দুটো লেপেও ঠাণ্ডা দমন করা কঠিন । এত ঠাণ্ডা,যাকে বলে হাড় কাঁপানো ঠাণ্ডা  !
পরেরদিন কারুতে  (Karu) এলাম । কাছেই মিলিটারি স্টেশন । সেখানকার জওয়ানরা ভীষণ উপকাস্রী । কারুর কাছে পাহাড় ঘেঁষে জলাশয় । সেখান দিয়ে জল ছুটে চলেছে নীচের দিকে । তারপর এলাম ভগবান বুদ্ধের মন্দির “”হেমিস গোম্পা (HEMIS  GOMPA) । এখানে অনেক বৌদ্ধরা থাকেন । ভগবান বুদ্ধের সেবায় তাঁরা ব্রত । এখানে উল্লেখযোগ্য, লে-লাদাখে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী মানুষের সংখ্যা বেশী । “হেমিস গোম্পা”  লে-লাদাখে অন্যতম বৌদ্ধ-মন্দির । অল্প বয়সের বৌদ্ধরা মন্দিরে শাস্ত্র পাঠে তৎপর । বৌদ্ধ-ভিক্ষুরা পর্যটকদের সাথে মেলামেশায় যথেষ্ট আন্তরিক ! টুরিষ্টদের সমস্তরকম সহযোগিতায় তাঁরা যত্নবান ।
এবার আসছি তাংসি  (Tangtse) গাঁওয়ের কথায় । চতুর্দিকে পাহাড় । মধ্যেখানে জলাশয় । চারিদিকে অনেক গাঁও । তার পাশেই ক্ষেতি জমি । জলাশয়ের ধার ঘেঁষা রাস্তা । ঐ রাস্তা দিয়েই পৌঁছালাম তাংসি’তে । তাংসিতে একটা মজার ব্যাপার, কোনো টুরিষ্ট  রাত্রিযাপন করতে চাইলে জলাশইয়ের পাশে “তাঁবু”  খাটানোতে থাকতে পারে । তাঁবুতে থাকাটা একটা আলাদা অনুভূতির অভিজ্ঞতা । প্রচুর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরা তাংসি অঞ্চল । অন্যদিকে ঠাণ্ডা ততোধিক ! ।
বরফ কেটে রাস্তা । আমাদের সঙ্গে স্করপিয়ো গাড়ি । স্থানীয় ড্রাইভার । খুব গম্ভীর । ড্রাইভারের মুখে হাসি অধরা । আসলে তার ধাতে “হাসি” নেই । কিন্তু গাড়ি চালানোতে প্রচণ্ড শৃঙ্খলাপরায়ন । কোনো কথায় তার মনোযোগ নেই কোনোকথার উত্তর নেই । তার একটাই স্থির লক্ষ্য, বরফের পাশ দিয়ে খুব ধীরগতিতে অথচ সন্তর্পণে গাড়ি চালিয়ে খরদুংলা (khardung La) পৌঁছানো ।  যতদুর চোখ যায় শুধু সাদা বরফ । কোথায় নদী-নালা, কোথায় গাছ-পালা কিছুই বোঝার উপায় নেই । বরফাচ্ছন্ন খরদুংলা । পৃথিবীর সর্বোচ্চ মোটরগাড়ির রোড  (Highest Motorable Road) । ১৮৩৮০ ফুট উচ্চতা । খরদুংলা পৌঁছানোর সাথে সাথে প্রচণ্ড শ্বাসকষ্ট । অত উঁচুতে শ্বাসকষ্টের সমস্যা । খরদুংলায় কোনো বসতি নেই । শুধুমাত্র ভারতীয় জওয়ানেরা কর্মরত । সেখানকার মিলিটারি ব্যারাকে কয়েকজন জওয়ান কর্তব্যরত । তাঁদের কাছে রয়েছে শ্বাস প্রশ্বাসের সমস্যার ক্ষেত্রে জরুরি গ্যাসের ব্যবস্থা । আমাদের সাথে একই লাইনে আরও কয়েকটা পর্যটকদের গাড়ি  খরদুংলা পৌঁছেছে । তাঁদের মধ্যে কয়েকজন পর্যটককে অক্সিজেন সাপোর্ট দেওয়ার জন্য গ্যাসের প্রয়োজন । মিলিটারিরা দেখলাম হন্তদন্ত হয়ে গ্যাসের সিলিণ্ডার নিয়ে সেইসব পর্যটকদের সেবা শুশ্রূষা করছেন । অন্যদিকে  আমি গাড়ি থেকে নেমে হাঁটাহাঁটি করার দরুন অনেকটা আরামবোধ করলাম । সবচেয়ে আশ্চর্যের ব্যাপার, একজন পরম হিতাকাক্ষ্মী মিলিটারি জওয়ান আমার অবস্থাটা অনুধাবন করে এক কাপ লিকার চা এগিয়ে ধরে  বিনীত স্বরে বললেন, “স্যার, এক কাপ লিকার চা খান । স্বাভাবিক সুস্থ বোধ করবেন ।“ খোঁজ নিয়ে জানলাম, জওয়ানের ঘর নদীয়া জেলার তেহট্টে ।  মিলিটারি ভদ্রলোকের দেওয়া চা খেয়ে সত্যিই অনেকটা হাল্কা বোধ করলাম । তারপর সমস্ত মিলিটারিদের উদ্দেশে স্যালুট জানালাম । এরপর খরদুংলা নিয়ে লেখা ( যেমন কত  মিটার উঁচু, জেলার নাম,  ইত্যাদি) পোস্টারের সামনে দাঁড়িয়ে ফটো তুললাম । সেখানেই লেখা রয়েছে খরদুংলা হচ্ছে পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে উঁচু মোটর যানের রোড, ১৮৩৮০ ফুট উচ্চতা ।
এরপর স্করপিয়ো গাড়ি ছুটলো নুব্রা (Nubra)  ভ্যালির দিকে । নুব্রা ভ্যালিতে যখন আমরা পৌঁছালাম, তখন সূর্য ডুবে গেছে । এখানে উল্লেখ করা প্রনিধানযোগ্য যে, নুব্রা একটা তহসিল  (Tehsil) । সেখানেই দিকসিত (Diksit)  গ্রাম । গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে চলেছে শায়ক (Shayok) নদী ।  দিকসিত গ্রামে সর্বসাকুল্যে এক হাজার মানুষের বসবাস এবং গোটা নুব্রা ভ্যালিতে বাইশ হাজার মানুষের বসবাস । নুব্রা ভ্যালিতে আরও একট জায়গা জনপ্রিয় গাঁও, তুরতুক । তুরতুকের কাছে টেগোর গ্রামে জামসখ্যাং নামে একট প্রাসাদ রয়েছে । তা ছাড়া নুব্রা ভ্যালি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর । তবে  এখানকার মানুষ খুব গরীব । নুব্রা ভ্যালিতে কৃষি ফসল বলতে গম আর বার্লি । নুব্রা ভ্যালির মানুষ মোমো খেতে ভালবাসেন । শিক্ষিত হওয়ার ক্ষেত্রে  কলেজ পর্যন্ত । নুব্রা ভ্যালিতে একমাত্র বালির দর্শন মেলে । চারিদিকে পাহাড় । মধ্যখানে মরুভূমি । মরুভূমি শুরু হওয়ার  মুখে জলের স্রোতে পা ভেজানোর মজাই আলাদা । মরুভূমির পাশেই শায়ক নদী । শায়ক নদী দিসকিত গ্রাম থেকে ১২ কিমি দূরে । ঐখানে “শায়ক” ও  “সিয়াচেন”  নদীর সংযোগস্থল । জায়গাটা আবার সিয়াচেন ও পাকিস্থানের কাছাকাছি । আগেই বলেছি নুব্রা ভ্যালির প্রাকৃতিক দৃশ্য মনোমুগ্ধকর । আবার অন্যদিকে রাত্রির দিকসিত ভারী সুন্দর । বিজলী বাতি রয়েছে । বিজলী বাতি থাকলে কীহবে, একটু বাদে বাদেই লোডশেডিং । বিদ্যুতের টালবাহানায় স্থানীয় মানুষ নাজেহাল । অধিকাংশ  মানুষ বৌদ্ধ ধর্মালম্বী । এলাকার সর্বত্র মিলিটারিদের আনাগোনা । নুব্রা ভ্যালীর মানুষজন খুব পরিশ্রমী । আবার ততোধিক তাঁদের সরল জীবনযাপন । পরিবারের স্বামী-স্ত্রী উভয়েই উপার্জনের প্রতি ভীষণভাবে যত্নশীল ।
তারপর………?
তারপর  প্যাংগং লেক (Pangong Tso) । প্যাংগং লেক হিমালয়ের একটি এন্ডোরহেইক লেক বা হ্রদ (endorheic lake) ।  পৃথিবী বিখ্যাত এই  প্যাংগং লেক ।  লাদাখ্‌ ও চীনের রুতোগ প্রদেশের সীমান্তে ৪৩৫০ মি (১৪২৭০ ফুট) উচ্চতায় প্যাংগং লেক অবস্থিত । এই হ্রদ ১৩৪ কিমি লম্বা যার মধ্যে প্রায় ৬০ শতাংশ তিব্বতে অবস্থিত । এই লেকের পূর্ব দিকটা তিব্বতের অন্তর্গত ও পশ্চিম দিকটি ভারতের । লেকে যাওয়ার উদ্দেশে কিছু শুকনো খাবার এবং যথেষ্ট পরিমাণে খাবারের জল সঙ্গে নিলাম । নুব্রার হোটেল থেকে বলেই দিয়েছিল, রাস্তাঘাটে খাবারের দোকান নেই বললেই চলে । তবে ইদানীং কোথাও কোথাও দোকান চালু হয়েছে । যাই হোক এবার আসছি লেকের জল সম্বন্ধে । লেকের দিকে আমরা ধাবিত হওয়ার সময় গম্ভীর ড্রাইভার বলল, “চুপচাপ বসে থাকুন ।  রাস্তা ভীষণ ঝুঁকিবহুল । যেকোনো সময় ধস নামতে পারে ।  গাড়ির জানালা বন্ধ রাখা বাঞ্ছনীয় । কেননা ধস নামলে পাহাড়ের পাথরগুলি জানালা ভেদ করে শরীরে আঘাত করতে পারে । সুতরাং লেকে যাওয়ার  সফর খুব ঝুঁকিবহুল । গাড়ি চলাকালীন কেউ বেশী নড়াচড়া করবেন না ।“
অবশেষে আমাদের লক্ষ্য অনুযায়ী ঠিক সময়ে পৌঁছালাম প্যাংগং লেক । অনেক দূর প্যাংগং লেক । নুব্রা থেকে খালসার হয়ে প্যাংগং লেকের দূরত্ব প্রায় ৮৫ কিমি । পৌঁছানোর পর আমাদের মধ্যে সীমাহীন আনন্দ । আনন্দোচ্ছ্বাসে মাতোয়ারা । প্রকৃতির অপূর্ব ভাণ্ডার ।  চারিদিকে পাহাড় । পাহাড়ে সবুজের লেশমাত্র নেই । উপরে রৌদ্রোজ্জ্বল  নীল আকাশ । ঝকঝকে নীল আকাশে খণ্ড খণ্ড,  টুকরো টুকরো সাদা মেঘ ।  নীচে লেক । লেকের জলও তেমনি । সমুদ্র-নীল জল ।  জলের রঙ একেক সময় বা একেক জায়গায় একেক রকম ! সারা লেকে আছে শুধু রঙের বৈচিত্র !  রঙিন জল দেখতে ভীষণ সুন্দর । লেকের জল দেখে প্রাণ জুড়ে যায় । শোনা যায়, অনেক সিনেমার স্যুটিং নাকি লেকের ধারে হয়েছে । তার মধ্যে থ্রি-ইডিয়েট অন্যতম । তাঁবুতে থাকার ব্যবস্থা অভিনব । রাত্রিতে আমাদের থাকার কোনো পরিকল্পনা না থাকায় আমরা ফিরে যাওয়ার ব্যাপারে চিন্তাভাবনা শুরু করলাম ।  সন্ধ্যার আগে ফেরার তাগাদা । যদিও সন্ধ্যার সময় লেকের ভিউ অন্যরকম । তাঁবুতে যারা রাত্রিযাপন করবেন, তাঁদের পক্ষে লেকের রাত্রির শোভা দর্শন যথেষ্ট আনন্দের । কিন্তু আমাদের সন্ধ্যা নামার আগে লেক থেকে বিদায় নিতে হবে । সূর্য অস্ত যাওয়ার মনোরম দৃশ্য দেখে আমরা অভিভূত । তারপর মন না চাইলেও বিপদের সম্ভাবনাকে দূরে রাখার জন্য আমরা সূর্য অস্ত যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ফেরার উদ্দেশে রওনা দিলাম ।
ফেরবার পথে পৌঁছালাম চ্যাংলা Chang La)  । চ্যাংলার উচ্চতা ১৭৬৮৮ ফুট । পৃথিবীতে দ্বিতীয় মোটর যানের রোড হিসাবে চ্যাংলা’কে দাবি করা হয় । সেখানে একমাত্র কয়েকটি মিলিটারি ক্যাম্প ছাড়া মানুষজন, দোকানপাট  চোখে পড়ল না  ।  আছে শুধু পাগল করা মন-মাতানো সাদা বরফ । আর সর্বক্ষণ মনে হচ্ছে মাথার উপরের আকাশটা অনেক কাছে ।  সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ব্যাপার, সেটা হচ্ছে পর্যটকদের নির্বিঘ্নে ভ্রমণে মিলিটারিদের তৎপরতা !
এই প্রসঙ্গে আরও উল্লেখযোগ্য,  কারু (Karu) মিলিটারি জওয়ানদের ব্যবহার !  এক কথায়, অতি উত্তম । নিঃসন্দেহে অতুলনীয় । কারু শহরে পুরোটাই গরীব মানুষের এলাকা । কারু শহরে এছাড়া শান্তি স্তুপো বৌদ্ধ মন্দিরে ও থিক্সে  (Thiksay) মোনাস্টারিতে ভ্রমণ অবর্ণনীয় ।
ফিরে এলাম “লে” মার্কেটে । স্থানীয় মোমো খাবার ভীষণ জনপ্রিয় । যব, বাজরা, গম, ইত্যাদি দিয়ে স্থানীয় খাবার তৈরীর প্রক্রিয়াটা অন্যরকম । তাঁরা বাঙালীদের মতো ভেতো বাঙালী নয় । তাঁদের খুব সাদাসিধে জীবন । শিক্ষার হার খুব কম । স্বাস্থ্য ব্যবস্থা  তথৈবচ । পুরো “লে”-“লাদাখে” সরকারি স্তরের দৃষ্টিভঙ্গি আশু প্রয়োজন ।

সংক্ষেপে লে-লাদাখ্‌ এই  পর্যন্ত ।

 

কলমে : দিলীপ রায়
—————-০—————–

Share This
Categories
প্রবন্ধ

নচিকেতা চক্রবর্তী, এক আগুন পাখির নাম।

নচিকেতা চক্রবর্তী,  একজন ভারতীয় গায়ক, গীতিকার, সুরকার,  এবং প্লেব্যাক গায়ক যিনি তাঁর আধুনিক বাংলা গানের জন্য পরিচিত।  তিনি ১৯৯০-এর দশকের শুরুতে খ্যাতি অর্জন করেছিলেন, তার প্রথম অ্যালবাম Ei Besh Bhalo Achi-এর প্রকাশের মাধ্যমে। যুবসমাজে যা আলোড়ন ফেলেছিল। প্রতিটি তরুণ তরুণীর মুখে তখন নচিকেতার গান। এক অন্য সাদের কথা ও সুর নিয়ে গোটা সমাজে সঙ্গীতের জগতে আলোড়ন ফেলে দিয়েছিলেন তিনি। গান বলি কেন, জেনো আগুনের গোলা। যেমন কথা, যেমন সুর, তেমন গায়কি। নচিকেতা তখন যেনো স্বপনের ফেরিওয়ালা।

 

১৯৬৪ সালের ১ সেপ্টেম্বর কলকাতার মুক্তারাম বাবু স্ট্রিটের বাড়িতে তাঁর জন্ম হয়। তাঁর পৈতৃক নিবাস ছিল বাংলাদেশের বড়িশালের ঝালকাঠি জেলার কাঠালিয়া উপজেলার চেচরীরামপুর গ্রামে। তাঁর পিতা ছিলেন সখা রঞ্জন চক্রবর্তী।  তার পৈতৃক শিকড় বাংলাদেশের ঝালকাঠি জেলার কাঠালিয়া উপজেলার চেচরি রামপুর গ্রামে।  তাঁর দাদা ললিত মোহন চক্রবর্তী ১৯৪৬ সালের আগে ভারতে এসেছিলেন।

 

তিনি উত্তর কলকাতার মণীন্দ্র কলেজে পড়াশোনা করেন। বিএ পাশ করেই পড়াশোনা ছেড়ে দিতে হয়। কারণ হঠাৎই বাবা মারা যান। তাই সংসারের হাল ধরতে জীবিকা হিসেবে বেছে নিলেন গান কে।

ছোটো থেকেই গান লিখতেন, গানের চর্চা করেছেন। তিনি অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন মহাভারতের কৃষ্ণ চরিত্রের দ্বারা  । এছাড়াও জ্যাক লন্ডন এর লেখা পড়ে অনুপ্রাণিত হয়েছেন।  উত্তর কলকাতার শ্যামবাজারের মহারাজা মণীন্দ্র চন্দ্র কলেজের ছাত্র হিসেবে তিনি গান রচনা এবং লাইভ পরিবেশন শুরু করেছিলেন।  ১৯৯৩ সালে তার প্রথম অ্যালবাম এই আশা ভাল আছি মুক্তি পায়;  এটি একটি তাত্ক্ষণিক আঘাত ছিল.  প্রাথমিকভাবে তার একটি বিশাল যুব ভক্ত অনুগামী ছিল;  কিন্তু ধীরে ধীরে, তিনি সমস্ত বয়সের শ্রোতাদের আকর্ষণ করেছিলেন।  তাঁর কথোপকথন ভাষা অবিলম্বে ৯০ এর দশকের গোড়ার দিকে বাংলা সঙ্গীতের স্থবিরতাকে আঘাত করে।  কবির সুমন (তখন সুমন চট্টোপাধ্যায়) এর পথ অনুসরণ করে, নচিকেতা বাংলা গানের বহু পুরনো ধারণা বদলে দিয়েছিলেন।  আজ, তিনি কলকাতার একজন প্রখ্যাত গায়ক-গীতিকার এবং সুরকার। তাঁর সুপার ডুপার হিট গান গুলো এখনো সমানভাবে জনপ্রিয়। যার মধ্যে রয়েছে, ‘ বৃদ্ধাশ্রম ‘, ‘একদিন ঝড় থেমে যাবে’,  যখন আমার ক্লান্ত চরণ’, যখন সময় থমকে দাঁড়ায়’, উল্টো রাজার দেশে,সে প্রথম প্রেম আমার নীলাঞ্জনা’, সে প্রথম প্রেম আমার নীলাঞ্জনা’ ইত্যাদি।

নীলাঞ্জনা সিরিজ আর রাজর্ষি তাঁকে জনপ্রিয়তার শিখরে পৌঁছে দেয়।

 

নচিকেতার একক অ্যালবাম গুলি হলো–

এই বেশ ভালো আছি (১৯৯৩), কি হবে? (১৯৯৫), চল যাবো তকে নিয়ে (১৯৯৬), কুয়াশা যখন (১৯৯৭), আমি পারি (১৯৯৮), দলছুট (১৯৯৯), দায়ভার (২০০০), একলা চলতে হয় (২০০২), এই আগুনে হাত রাখো (২০০৪), আমার কথা আমার গান (২০০৫), এবার নীলাঞ্জন (২০০৮), হাওয়া বদল (২০১০), সব কথা বলতে নেই (২০১২), দৃষ্টিকোণ (২০১৪), আয় ডেকে যায় (২০১৫)।

 

তাঁর যৌথ অ্যালবামে এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য- দুয়ে দুয়ে চার (১৯৯৬), ছোটো বড় মিলে (১৯৯৬), স্বপ্নের ফেরিওয়ালা (১৯৯৯)।

 

লেখক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় ও নৃসিংহ প্রসাদ ভাদুড়ির দ্বারাও অনুপ্রাণিত হন। তিনি লিখেছেন গল্প । তিনি দুটি উপন্যাস রচনা করেছেন ‘জন্মদিন রাত’ ও ‘ক্যাকটাস’। শুধু উপন্যাস নয়, তিনি লিখেছেন গল্প শর্টকাট, পণ্ডশ্রম, আগুনপাখির আকাশ, সাপলুডো ইত্যাদি।

 

পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ‘কুয়াশা যখন ‘(১৯৯৭),  ‘এই বেশ ভালো আছি’ (১৯৯৩) ইত্যাদি।

 

তিনি বিভিন্ন চলচ্চিত্রে গান গেয়েছেন। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ‘ হঠাৎ বৃষ্টি’ (১৯৯৮), সমুদ্র সাক্ষী (২০০৪), কাটাকুটি( ২০১২)।

 

তিনি বঙ্গভূষণ, সঙ্গীতভূষণ সম্মানে সম্মানিত হয়েছেন। এছাড়াও পেয়েছেন আরো পুরষ্কার।  ‘হঠাৎ বৃষ্টি’ তে গান করার জন্য ১৯৯৯ এ পান আনন্দলোক পুরস্কার। এছাড়া হাওড়ার আমতায় একটি অডিটোরিয়াম রয়েছে, যার নাম নচিকেতা মঞ্চ। দর্শকরা তাঁকে এতটাই ভালোবাসেন যে তাঁর নামে এই মঞ্চ করেছেন। এই মঞ্চ টি তৈরি ৮০০ টি সিটের।

।।তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।

Share This
Categories
রিভিউ

১ সেপ্টেম্বর, ইতিহাসের আজকের এই দিনে যা ঘটেছিল।

১ সেপ্টেম্বর। ইতিহাস ঘেটে দেখা যায় বছরের প্রতিটি দিনে ঘটেছে অনেক উল্লেখযোগ্য ঘটনা। আসুন আজকের দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য কিছু বিষয় একনজরে দেখে নিই।  ইতিহাসের আজকের এই দিনে কী কী ঘটেছিল, কে কে জন্ম নিয়েছিলেন ও মৃত্যুবরণ করেছিলেন——-

 

দিবস—–

(ক)  জ্ঞান দিবস (রাশিয়া)

(খ) বিদ্রোহ দিবস (লিবিয়া)

(গ) শিক্ষক দিবস (সিংগাপুর)

(ঘ) স্বাধীনতা দিবস (উজবেকিস্তান)

(ঙ) সংবিধান দিবস (স্লোভাকিয়া)

(চ) ইস্টার্ন অর্থোডক্স চার্চে এই দিনে বছর শুরু হয়।

 

আজ যাদের জন্মদিন—-

১৯০৮ – আমির ইলাহি, পাকিস্তানি ক্রিকেটার।

১৯১১ – দেবেশ দাশ বাঙালি কথাসাহিত্যিক ।

১৯১৪ – মৈত্রেয়ী দেবী সাহিত্য আকাদেমি পুরস্কারপ্রাপ্ত বাঙালি কবি, লেখক ও ঔপন্যাসিক।

১৯১৮ – মুহাম্মদ আতাউল গণি ওসমানী, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় মুক্তিবাহিনী ও সেনাবাহিনীর সর্বাধিনায়ক।

১৯২০ – রিচার্ড ফার্নসওয়ার্থ, মার্কিন অভিনেতা ও স্টান্ট।

১৯২৪ – শৈলেন মান্না ভারতের পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন খ্যাতিমান ফুটবল খেলোয়াড়।

১৯৩৫ – (ক) ড.সরোজ ঘোষ বাঙালী সংগ্রহালয় সংস্থাপক ও বিজ্ঞানকে জনসাধারণ্যে লোকায়িত করণের অন্যতম ব্যক্তিত্ব।

(খ) মুস্তফা মনোয়ার, বাংলাদেশি চিত্রশিল্পী।

১৯৩৯ – লিলি টমলিন, মার্কিন অভিনেত্রী, কৌতুকাভিনেত্রী, লেখিকা, গায়িকা ও প্রযোজক।

১৯৪৭ – প্রখ্যাত ভারতীয় বাঙালি লেখক মিহির সেনগুপ্ত।

১৯৬২ – কফিল আহমেদ, বাংলাদেশী কবি, গায়ক এবং চিত্রশিল্পী।

১৯৬৫ – নচিকেতা চক্রবর্তী, ভারতীয় গায়ক, গীতিকার, সুরকার ও সঙ্গীত পরিচালক।

১৯৭১ – হাকান শুকুর, তুর্কি ফুটবলার যিনি স্ট্রাইকার অবস্থানে খেলেন।

১৯৯০ – টম ব্লান্ডেল, নিউজিল্যান্ডীয় ক্রিকেটার।

১৮৫৬ – সার্গেই উইনোগার্ডস্কি রুশ অণুজীব বিজ্ঞানী।

১৮৭৭ – ফ্রানসিস উইলিয়াম অ্যাস্টন, নোবেলজয়ী ইংরেজ রসায়নবিদ।

১৮৮৪ – হেনরি ফোরেল, সুইজারল্যান্ডীয় এন্টোমলজিস্ট।

১৮৯৬ অভয়চরণারবিন্দ ভক্তিবেদান্ত স্বামী প্রভুপাদ গৌড়ীয় বৈষ্ণব ধর্মগুরু এবং ইসকন তথা আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ, হরেকৃষ্ণ আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা-আচার্য।

১৮৯৭ – পরিমল গোস্বামী বাঙালি সাহিত্যিকে।

 

ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনের ঘটনাবলী—-

২০০৪ – রাশিয়ায় বেলসান স্কুলে কিছু অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষকদের অপহরণ করে।

১৯০৫ – ব্রিটিশরাজ বঙ্গভঙ্গের নির্দেশ জারি করে।

১৯১৪ – রাশিয়ার সেন্ট. পিটার্সবুর্গের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় পেট্রোগার্ড়।

১৯২৩ – জাপানের টোকিও ও ইয়াকোহামায় ভয়াবহ ভূমিকম্পে দুই লক্ষ লোক নিহত হয়।

১৯২৮ – আলবেনিয়া রাজ্যে পরিণত হয়।

১৯৩৯ – দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নাজি জার্মানি পোল্যান্ড আক্রমণ করে, যুদ্ধের সূচনা করে।

১৯৬১ – সাবেক ইউগোশ্লাভিয়ার রাজধানী বেলগ্রেডে ২৫টি দেশের প্রতিনিধিদের অংশ গ্রহণে জোট নিরপেক্ষ দেশগুলোর প্রথম শীর্ষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

১৯৬৯ – বাদশাহ ইদ্রিসকে ক্ষমতাচ্যুত করে মুয়াম্মর গাদ্দাফি ক্ষমতায় আসেন।

১৯৭৮ – বাংলাদেশের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান আনুষ্ঠানিকভাবে “বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল” বা বিএনপি প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেন।

১৯৮৫ – ১৯১২ সালে ডুবে যাওয়া টাইটানিক জাহাজের ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার।

১৯৯১ – উজবেকিস্তান সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে স্বাধীনতা ঘোষণা করে।

১৯৯২ – জাকার্তায় দশম জোটনিরপেক্ষ শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

১৮১৮ – কলকাতায় নতুন স্কুল স্থাপনের উদ্দেশ্যে দেশীয় ও ইউরোপীয় শিক্ষানুরাগীদের যৌথ উদ্যোগে গঠিত হয় ক্যালকাটা স্কুল সোসাইটি।

১৮৫৩ – উত্তমাশা অন্তরীন থেকে পৃথিবীর প্রথম ত্রিকোণ ডাকটিকিট ইস্যু করা হয়।

১৬৪৪ – ফ্রান্সের রাজা চতুর্দশ লুইস ৭২ বছর বয়সে মৃত্যু বরণ করেণ।

১১৭৪ – ইতালীর পিসা শহরে বিখ্যাত পিসার হেলান টাওয়ার নির্মাণ কাজ শুরু হয়।

 

এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন যারা—-

২০০৪ – মুফতি আহমেদ কুফতার, সিরিয়ার গ্রান্ড।

১৯০৪ – আলফ্রেড রিচার্ডস, দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটার।

১৯৩০ – জীবন ঘোষাল, বাঙালি, ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের শহীদ বিপ্লবী।

১৯৭০ – নোবেলজয়ী [১৯৫২] ফরাসি সাহিত্যিক ফ্রাঁসোয়া মরিয়াক।

১৯৭৫ – প্রখ্যাত ভারতীয় বাঙালি কণ্ঠ শিল্পী সঙ্গীতাচার্য তারাপদ চক্রবর্তী।

১৯৮১ – অ্যান হার্ডিং, মার্কিন মঞ্চ, চলচ্চিত্র, বেতার ও টেলিভিশন অভিনেত্রী।

১৯৮২ – হার্সেল কুরি মার্কিন গণিতবিদ।

১৭১৫ – চতুর্দশ লুই, ফ্রান্সের রাজা।

১৬৪৪ – ফ্রান্সের রাজা চতুর্দশ লুইস (৭২ বছর বয়স)।

১৬৪৮ – মারাঁ মের্সেন, ফরাসি ধর্মযাজক, দার্শনিক, গণিতবিদ ও সঙ্গীতজ্ঞ।

১৬৮৭ – হেনরি মুর, ইংরেজ দার্শনিক।

১৫৫৭ – জ্যাকস কার্টিয়ার, ফরাসি অভিযাত্রী। তাকে কানাডার অন্যতম আবিস্কারক মনে করা হয়।

১৫৭৪ – গুরু অমর দাস তৃতীয়

১৫৮১ – গুরু অমর দাস চতুর্থ

১১৫৯ – পোপ চতুর্থ অ্যাড্রেইন।

 

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This