Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

জাতীয় মতদাতা দিবস কি, কেন পালিত হয় জানুন।

যেকোনো গণতান্ত্রিক দেশে সরকার গঠনে ভোটারদের ভূমিকা সবচেয়ে বেশি থাকে।ভোটার তার মূল্যবান ভোট দিয়ে নির্দিষ্ট দলকে পাঁচ বছরের জন্য ক্ষমতায় আনে এবং দেশ ও রাষ্ট্রের উন্নয়নে নাগরিক হিসেবে তার দায়িত্ব পালন করে।কিন্তু ভারতের মতো বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশে ভোটের প্রতি মানুষের আগ্রহ কম।ভোটারদের ভোটের গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতন করতে প্রতি বছর জাতীয় ভোটার দিবস পালিত হয়।

 

জাতীয় মতদাতা দিবস ভারতে প্রতি বছর ২৫ জানুয়ারি তারিখে পালন করা হয়। ২০১১ সালের ২৫ জানুয়ারি তারিখ ভারতের নির্বাচনী আয়োগের ৬১তম প্রতিষ্ঠা দিবসের সঙ্গে সংগতি রেখে তখনকার রাষ্ট্রপতি প্রতিভা পাটিল এই দিবসের আনুষ্ঠানিক সূচনা করেছিলেন।

মিটিংএ জাতীয় মতদাতা দিবস উদ্‌যাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। ভারতের আইন মন্ত্রণালয় এই দিবস উদ্‌যাপন করা প্রস্তাব এগিয়ে নিয়ে যায়।

 

জাতীয় মতদাতা দিবস ভারতের সকল নির্বাচনী কেন্দ্রে পালন করা হয়। প্রতিটি নির্বাচনী কেন্দ্রে ১৮ বছর সম্পূর্ণ করা ব্যক্তি শনাক্ত করে তাদেরকে ভোটদানের বিষয়ে সজাগ করা এই দিবসের মূল উদ্দেশ্য। ভোটাধিকার লাভ করা ব্যক্তিকে শনাক্ত করে ভোটার পরিচয়পত্র প্রদান করা এই দিবসের অন্যতম উদেশ্য।

 

জাতীয় ভোটার দিবসের গুরুত্ব কী?
২০১১ সাল থেকে প্রতি বছরই ২৫ জানুয়ারি দিনটিকে দেশব্যাপী জাতীয় ভোটার দিবস হিসাবে পালন করা হচ্ছে। ১৯৫০ সালের এই দিনেই স্থাপিত হয়েছিল নির্বাচন কমিশন। জাতীয় ভোটার দিবস পালনের মূল উদ্দেশ্য হল সর্বোচ্চ সংখ্যায় ভোটারদের, বিশেষত নতুন ভোটারদের নাম নথিভুক্ত করায় উত্সাহ দেওয়া, সেই প্রক্রিয়া জোরদার করা।

 

জাতীয় ভোটার দিবস কীভাবে পালন করা হয়?
দেশের ভোটারদের প্রতি দায়বদ্ধতা পালন করে কমিশন দিনটিকে কাজে লাগায় তাঁদের মধ্যে সচেতনতার প্রসারে, ভোট প্রক্রিয়ায় তাঁরা যাতে সব জেনেবুঝে অবহিত হয়ে তাতে সামিল হন। নতুন ভোটারদের সংবর্ধনা দিয়ে তাঁদের হাতে তুলে দেওয়া হয় সচিত্র পরিচয়পত্র বা এপিক কার্ড।

 

প্রতি বছর ১ জানুয়ারিতে এই শনাক্তকরণ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করা হয় এবং ২৫ জানুয়ারিতে তাদেরকে ফটোযুক্ত ভোটার কার্ড প্রদান করা হয়। ভোটার দিবসে সারা দেশে সমস্ত ভোটকেন্দ্র এলাকায় যোগ্য ভোটারদের চিহ্নিত করা হয়।যোগ্য ভোটারদের মধ্যে ১৮ বছর বয়সী যুবকরা অন্তর্ভুক্ত।ভোটার তালিকায় এসব ভোটারদের নাম লেখার পর তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয় নির্বাচনী পরিচয়পত্র।প্রতি বছর ভোটার দিবসে ভোটারদের ভোট দেওয়ার শপথও দেওয়া হয় যাতে তারা গণতন্ত্র রক্ষায় সচেতন থাকেন।

সঙ্গে নতুন ভোটদাতাদেরকে “ভোটদাতা হিসাবে গর্বিত হন, ভোট দিতে প্রস্তুত হন” (Proud to be a voter – Ready to vote) লিখিত ব্যাজ দেয়া হয়। প্রতি বছর এই দিবসের মূল বিষয় বা থিম বেছে নেওয়া হয়।

।। তথ্য ও ছবি : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ

স্মরণে বাঙালি রাজনীতিবিদ, সমাজসেবক এবং লেখক – অশ্বিনীকুমার দত্ত।

অশ্বিনীকুমার দত্ত ছিলেন একজন বাঙালি রাজনীতিবিদ, সমাজসেবক এবং লেখক। অশ্বিনীকুমার দত্ত বরিশালের গৌরনদীর বাটাজোর গ্রামে ২৫শে জানুয়ারি, ১৮৫৬ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা ছিলেন সাব-জজ ব্রজমোহন দত্ত।  তিনি কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে এফএ পাস করেন এবং ২৩ বছর বয়সে ১৮৭৯ সালে এলাহাবাদ থেকে আইন (বিএল) পাস করেন। সেই বছর তিনি শ্রীরামপুরের চাতরা উচ্চ ইংরেজি বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন।

কর্মকাণ্ড—

তিনি বরিশালে তার বিভিন্ন জনহিতকর ও কল্যাণমূলক রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের জন্য সুপরিচিত ছিলেন।  জাতীয়তাবাদী রাজনীতি, জনকল্যাণ ও উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের জন্য তাকে মহাত্মা অশ্বিনীকুমার বা আধুনিক বরিশালের রূপকার বলা হয়।  তিনি দুর্নীতি, সামাজিক গোঁড়ামি, কুসংস্কার ইত্যাদির বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক আন্দোলনে নিবেদিত ছিলেন। দুর্ভিক্ষের সময়, চা বাগানের শ্রমিকদের নিপীড়নের বিরুদ্ধে তিনি তাঁর অতুলনীয় সেবায় একজন নিবেদিতপ্রাণ, অক্লান্ত নেতা ছিলেন।  চরনকবি মুকুন্দ দাস এবং রাজনীতিবিদ আবুল কাশেম ফজলুল হকের খ্যাতি ও প্রতিষ্ঠায় তিনি অসামান্য অবদান রাখেন।  তিনি বরিশাল শহরে তাঁর দানকৃত এলাকায় তাঁর পিতার নামে ব্রজমোহন বিদ্যালয় ও ব্রজমোহন কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন।  গভীর নিষ্ঠার সাথে বিশ বছর বিনা বেতনে কলেজে পড়ান।  তিনি বরিশাল শহরে ছাত্রীদের জন্য একটি বালিকা বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন।  ১৯০৫-১৯১১ সালের বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনের সময় তিনি একজন জাতীয় নেতা হয়েছিলেন।  ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস পার্টির মাদ্রাজ অধিবেশনে বাংলার প্রতিনিধিত্ব করেন।  অশ্বিনীকুমার দত্তই প্রথম স্থপতি যিনি জাতীয় কংগ্রেসকে প্রাসাদ রাজনীতি থেকে সাধারণ মানুষের কাছে নিয়ে আসেন।  তিনি যে ‘স্বদেশ বান্ধব সমিতি’ প্রতিষ্ঠা করেন তার স্বেচ্ছাসেবকদের সহায়তায় তিনি বরিশালকে স্বদেশী আন্দোলনের একটি শক্তিশালী কেন্দ্রে পরিণত করেন।  সারা জেলা জুড়ে এই সমিতির ১৬০ টিরও বেশি শাখা ছিল।  ব্রিটিশ পুলিশ তাকে বরিশালে গ্রেফতার করে এবং ১৯০৮ সালে তার সমিতি নিষিদ্ধ করে। তিনি ১৯১০ সাল পর্যন্ত লক্ষ্মৌ জেলে বন্দী ছিলেন। মহাত্মা গান্ধী ১৯২১ সালে প্রথম বরিশালে আসেন এবং জেলার অনন্য নেতা হিসেবে অশ্বিনীকুমার দত্তকে শ্রদ্ধা জানান।  কলকাতায় রাজনারায়ণ বসু ব্রাহ্মণ্যবাদের প্রতি আকৃষ্ট হন এবং ১৮৮২ সালে তিনি বরিশালের ব্রাহ্মসমাজে যোগ দেন।

অবদান—

‘ব্রজমোহন স্কুল’ প্রতিষ্ঠা (১৮৮৪),  দুর্নীতির বিরুদ্ধে সংগ্রামের জন্য ‘পিপলস্‌ অ্যাসোসিয়েশন’ স্থাপন (১৮৮৬),  বরিশাল ডিস্ট্রিক্ট বোর্ড স্থাপন (১৮৮৭), নারী শিক্ষা প্রসারের জন্য ‘বাখরগঞ্জ হিতৈষিণী সভা’ এবং একটি বালিকা বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন (১৮৮৭), ব্রজমোহন কলেজ স্থাপন (১৮৮৯)।

তাঁর রচিত গ্রন্থ সমূহ—

ভক্তিযোগ, কর্মযোগ, প্রেম, দুর্গোৎসবতত্ত্ব, আত্মপ্রতিষ্ঠা, ভারতগীতি।

মৃত্যু—

৭ই নভেম্বর, ১৯২৩ সালে তিনি প্রয়াত হন।

।। তথ্যসূত্র : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ

ত্রিশূল পূর্ণিমা ও সঙ্কল্প মাস : স্বামী আত্মভোলানন্দ।

ওঁ নমঃ শ্রীভগবতে প্রনবায়  নমঃ…!

আজ ১০ই মাঘ বৃস্পতিবার -১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ইং ২৫/০১/২০২৪. পৌষ পূর্ণিমা বা শুভ ত্রিশূল পূর্ণিমা !

 

ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের ইতিহাসে পৌষ পূর্ণিমা বা  “ত্রিশূল পূর্ণিমা” সকল শিষ্য ,ভক্তদের জন্য একমাস মহাপূণ্যময় মাস, পরম পবিত্র মাস। পৌষ পূর্ণিমা হতে  মাঘী পূর্ণিমা পর্যন্ত এই একমাস “সঙ্কল্প মাস” বলে সঙ্ঘে পরিচিত। ১৯১৬ খ্রীষ্টাব্দের পৌষ পূর্ণিমাতে চরমতম সঙ্কল্প গ্রহণ করে এই দিনটিতে বাজিতপুরের ব্রহ্মচারী বিনোদ, যিনি পরবর্তী কালে সুমহান ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের প্রতিষ্ঠাতা, আচার্য স্বামী প্রণবানন্দজী মহারাজ জঙ্গলের  মধ্যে তার সাধন কুটিরে হাতের ত্রিশূলটি মাটিতে পুতে দৃঢ় সঙ্কল্প  নিয়ে পদ্মাসনে বসলেন, যতক্ষণ সিদ্ধিলাভ করতে না পারবেন ততক্ষণ এই আসন পরিত্যাগ করবেন না । দীর্ঘ একমাস একই ভাবে, একই আসনে বসে পুণ্যময়ী শ্রীশ্রীমাঘী পূর্ণিমার পুণ্যলগ্নে ব্রহ্মচারীজী সিদ্ধি লাভ করেন। তারপর থেকে পৌষ পূর্ণিমা হতে শ্রীশ্রীমাঘী পূর্ণিমা পর্যন্ত এই একমাস “সঙ্কল্প মাস” বলে সঙ্ঘে পরিচিত।

১৯২৫ খ্রীষ্টাব্দের এই পৌষ পূর্ণিমাতে ভারত সেবাশ্রম সংঘের মহান প্রতিষ্ঠাতা ভগবান শ্রীশ্রী প্রণবানন্দজী মহারাজ বাজিতপুরে তাঁর সিদ্ধাসনে সমাধিমগ্ন অবস্থায় এযুগের তারকব্রহ্ম নাম — “ওঁ হর গুরো শঙ্কর শিব শম্ভো” নাম প্রাপ্ত হন এবং আবাল্য তাঁর নিত্যসঙ্গী সিদ্ধ ত্রিশূলটি স্বীয় সিদ্ধাসনে প্রতিষ্ঠিত করে যে উৎসবের আয়োজন করেন, তাহাই  “শ্রীশ্রী ত্রিশূল উৎসব” নামে   সঙ্ঘে পরিচিত লাভ করে। তারপর  হতে ভারত সেবাশ্রম সংঘে ভাবগম্ভীর পরিবেশে পালিত হয় “শ্রীশ্রীত্রিশূল উৎসব”।

এই একমাস (বাক্য,দৃষ্টি,আহার,শ্রবণ,আচরণ,নিদ্রা) কঠোর সংযম ও সাধনা করলে  শ্রীশ্রী গুরু মহারাজের বিশেষ আশীর্বাদ লাভ হয়। এই ১মাস ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের সকল শিষ্য ,ভক্তদের জন্য মহাপূন্যময় পরম পবিত্র মাস। যারা সংযমের  মধ্য দিয়ে পালন করবেন, এবং শ্রী শ্রী ঠাকুরের  সান্নিধ্যে থাকতে পারবেন ততটাই লাভ।  তাই, এই পূর্ণময় সময়ে, শুভ পৌষী “ত্রিশূল” পূর্ণিমায় জপ সংকল্প গ্রহণ করলে এবং মাঘী পূর্ণীমা পর্যন্ত শ্রী শ্রী গুরুমহারাজের বাণী মেনে চললে তাহাতে ৫০ বৎসরের সাধনা ও তপস্যা পূর্ণ হবে।

ত্রিশূল পূ্র্ণীমা থেকে মাঘী পূর্ণীমা পর্যন্ত আচার্যদেবের ঐশ্বরিক ক্ষমতা ক্রমশঃ বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হয়ে মাঘী পূর্ণীমাতে তা পূর্ণতা পায়। এই সময়ে মনকে সর্বদা গুরুমুখী রেখে সাধন ভজন করলে দশ বছরের কাজ একমাসে হয়। সাধনার সময়ে বাধাও আসে যে বাধাকে অতিক্রম করে দৃঢ় প্রত্যয়ে একাগ্র মনে ভজনা করে তার উন্নতি কেউ আটকাতে পারবে না, তাই, আমাদের সকলের উচিৎ এই সময়ে যথাসাধ্য ধ্যান জপ করা যাতে মন নির্মল হয়। গুরু মহারাজ বলেছেন নির্দিষ্ট লক্ষ্যে জপ করলে মন শুদ্ধ হয় আর মন শুদ্ধ হলে ধর্মতত্ত আপনিই উদ্ভেদ হয়।

এই সঙ্কল্প মাসে সঙ্ঘের শিষ্য, ভক্ত, আনুরাগীগণ বিভিন্ন সঙ্কল্প নেবেন, যেমন নিরামীষ ভোজন,  প্রতিদিন নির্দিষ্ট সংখ্যায় জপ , প্রতিদিন গীতার  কিছু শ্লোক ও সঙ্ঘগীতার কিছু অংশ পাঠ  ইত্যাদি যে কোন জীবন গঠণমুলক ও আত্ম-উন্নতি মুলক  পবিত্র সঙ্কল্প গ্রহণ করবেন, নিকটবর্তী আশ্রমে , বাড়িতে বা মন্দিরে গিয়ে অধিক সময় নিয়ে অধিক হতে অধিকতর সংখ্যক জপ-ধ্যান করবেন। বাড়িতে বা মন্দিরে গিয়ে ,কত সংখক, কত সময়, কতবার বসে জপ-ধ্যান করেছেন নিজের নিজের ডায়রীতে লিখে রাখবেন, মাসের শেষে সঠিক হিসেব পাবেন। শ্রীভগবান স্বয়ংই সদগুরুরূপে অবতীর্ণ l সদ্‌গুরু চরণে আত্মসমর্পণই শিষ্যের সাধনা l পরম করুণাময় শ্রী শ্রী ঠাকুরের শরণাগত হও। তিনি আমাদের ধর্ম, অর্থ, কাম, মোক্ষ চতুর্বর্গ ফল প্রদান  করিবেন । এই  পবিত্র পূণ্য তিথিতে তার শ্রীপাদপদ্মে আমাদের অনন্ত  কোটিপ্রণাম নিবেদন করি l***
ওঁ গুরু কৃপাহি কেবলম….
স্বামী আত্মভোলানন্দ

Share This
Categories
রিভিউ

আজ ২৫ জানুয়ারী, ইতিহাসের দিকে চোখ বুলিয়ে দেখে নেব ইতিহাসের এই দিনে বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু, দিনসহ ঘটে যাওয়া ঘটনা।

আজ ২৫ জানুয়ারি । এক নজরে দেখে নিই ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু দিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

 

দিবস—–

 

(ক) জাতীয় মতদাতা দিবস (ভারত)

 

আজ যাদের জন্মদিন—-

১৯১৭ – নোবেল পুরস্কার বিজয়ী রাশিয়ান রসায়নবিদ ইলিয়া প্রিগোগিনে।

 

১৯২৩ – আরভিড কার্লসন, নোবেল পুরস্কার বিজয়ী সুইডিশ ফার্মাকোলজিস্ট ও চিকিৎসক।

 

১৯৩৪ – আবুল মাল আবদুল মুহিত, বাংলাদেশী অর্থনীতিবিদ, কূটনীতিবিদ এবং ভাষাসৈনিক।

১৯৪২ – ইউসেবিও, প্রাক্তন পর্তুগীজ ফুটবলার।

১৯৪৭ – টোস্টাও, প্রাক্তন ব্রাজিলীয় ফুটবলার।

 

১৯৪৯ – নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ইংরেজ জেনেটিসিস্ট ও জীববিজ্ঞানী স্যার পল ম্যাক্সিম নার্স।

 

১৯৬৭ – ফরাসি সাবেক ফুটবলার ও অভিনেতা ডেভিড গিনলা।

১৯৭৮ – রাশিয়ান সাইক্লিস্ট ডেনিস ম্যানচভ।

 

১৯৮৪ – রবিনিয়ো, ব্রাজিলীয় ফুটবলার।

 

১৮২৪ – মাইকেল মধুসূদন দত্ত – বাঙালি কবি ও নাট্যকার।

১৮৫০ – অর্ধেন্দুশেখর মুস্তফি বাঙালি অভিনেতা, নাট্য লেখক এবং মঞ্চ ব্যক্তিত্ব।

 

১৮৫৬ – অশ্বিনীকুমার দত্ত, বাঙালি রাজনীতিবিদ, সমাজসেবক এবং লেখক।

 

১৮৬৩ – মানকুমারী বসু বাংলার সর্বজনবিদিত অন্যতম মহিলা কবি ও লেখিকা।

১৮৭৪ – সাহিত্যিক ও নাট্যকার সমারসেট মম ।

১৮৮২ – বিখ্যাত ইংরেজ মহিলা কথাশিল্পী ভার্জিনিয়া উলফ ।

১৮৮৪ – রাধাকুমুদ মুখোপাধ্যায় , ভারতীয় বাঙালি ইতিহাসবিদ, জাতীয়তাবাদী ব্যক্তিত্ব।

১৭৩৬ – ইতালীয় ফরাসি গণিতবিদ ও জ্যোতির্বিজ্ঞানী জোসেফ-লুইস লাগ্রাঙ্গে।

১৭৫৯ – স্কটিশ কবি ও গীতিকার রবার্ট বার্নস।

 

ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনের ঘটনাবলী—-

১৪৯৪ – প্রথম ফার্দিনান্দের মৃত্যুর পর দ্বিতীয় আলফনসো নেপলসের রাজ সিংহাসনে আরোহণ করেন।

১৬৬২ – ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর জাঞ্জিবারে স্থায়ী ঘাঁটি স্থাপন করে।

১৮০২ – ফ্রান্সের নেপোলিয়ন বোনাপার্ট ইতালির প্রেসিডেন্ট নিযুক্ত হন।

১৮৩১- – পোল্যান্ডের স্বাধীনা ঘোষণা করা হয়।

১৮৭১ – জার্মানির চিকিৎসক হানসেন কুষ্ঠ রোগের জীবাণু আবিষ্কার করেন।

১৮৯০ – নেলি ব্লে তার বিশ্বভ্রমণ শেষ করেন, সময় লেগেছিল ৭২ দিন।

১৮৯৯ – প্রথম রেডিও প্রস্তুতকারী কোম্পানি চালু হয়।

১৯১৫ – আলেকজান্ডার গ্রাহামবিল ইউএস ট্রান্সকন্টিনেন্টাল টেলিফোন সার্ভিস উদ্বোধন করেন। নিউ ইয়র্ক থেকে কথা বলেন সানফ্রান্সিসকোতে টমাস ওয়াস্টনের সঙ্গে।

১৯১৭ – ২৫ মিলিয়ন ডলারে যুক্তরাষ্ট্র ড্যানিশ ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রয় করে।

১৯১৮ – ইউক্রেন স্বাধীনতা ঘোষণা করে বলশেভিক রাশিয়া থেকে আলাদা হয়।

১৯১৯ – লিগ অব ন্যাশনস্-এর প্রতিষ্ঠা হয়।

১৯৪২ – থাইল্যান্ড জাপান একজোট হয়ে ব্রিটেন ও যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে।

১৯৪৮ – সত্যেন্দ্রনাথ বসু কলকাতায় বঙ্গীয় বিজ্ঞান পরিষদ প্রতিষ্ঠা করেন।

১৯৫০ – ভারতের নির্বাচন কমিশন গঠিত হয়।

১৯৫৫ – সোভিয়েত ইউনিয়ন জার্মানির সঙ্গে যুদ্ধ বন্ধ করে।

১৯৬৩ – জুম্মার নামাজ আদায়ের মাধ্যমে প্রথমবারের মত বাইতুল মোকারম জামে মসজিদে নামাজ পড়া হয়।

১৯৬৪ – পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগ পুনরুজ্জীবিত হয়।

১৯৬৫ – ইন্দোনেশিয়া জাতিসংঘ ত্যাগ করে।

১৯৭২ – বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয় চেকোস্লাভিয়া ও টোঙ্গা।

১৯৭৫ – চতুর্থ সংশোধনী পাস করে বাংলাদেশে সংসদীয় পদ্ধতির বদলে রাষ্ট্রপতি পদ্ধতির সরকার কায়েম হয় ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেন।

১৯৭৫ – বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগ (বাকশাল) ব্যবস্থার প্রবর্তন।

১৯৭৯ – চট্টগ্রাম যুব বিদ্রোহের অন্যতম নায়ক অনন্ত সিংয়ের মৃত্যু ঘটে।

 

এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন যারা—-

২০০৪ – হাঙ্গেরিয়ান ফুটবলার মিক্লস ফেহের।

২০০৫ – আমেরিকান স্থপতি ফিলিপ জনসন।

২০১০ – ইরাকি জেনারেল, রাজনীতিবিদ ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রী আলী হাসান আল-মজিদ।

 

২০১৫ – গ্রিক গায়ক, গীতিকার ও খাদ প্লেয়ার ডেমিস রউসোস।

২০২১ – বাংলাদেশ নৌবাহিনীর প্রথম নৌপ্রধান ক্যাপ্টেন নুরুল হক।

১৯০৮ – ইংরেজ লেখক অউইডা।

 

১৯৫৪ – মানবেন্দ্র নাথ রায়, ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির প্রতিষ্ঠাতা।

 

১৯৫৭ – আমাশয় রোগের জীবাণু আবিষ্কারক জাপানি জীবাণুবিদ শিগা কিয়োশি।

 

১৯৭৯ – অনন্ত সিং, চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার আক্রমণের অন্যতম নায়ক এবং রাজনীতিবিদ।

১৯৮২ – রাশিয়ান অর্থনীতিবিদ ও রাজনীতিবিদ মিখাইল সুসলভ।

 

১৯৯০ – আমেরিকান অভিনেত্রী আভা গার্ডনের।

১৮৫২ – রাশিয়ান এডমিরাল মানচিত্রাঙ্কনবিদ ও এক্সপ্লোরার ফেবিয়ানগটলিয়েব ভনবেলিংশাউসেন।

 

১৮৬৮ – রামগোপাল ঘোষ, ইয়ং বেঙ্গল গ্রুপের নেতা, সফল ব্যবসায়ী, বাগ্মী ও সমাজ সংস্কারক।

 

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This
Categories
কবিতা

ঐ যে দূরে ::: রাণু সরকার।।।

ঐ যে দূরে দেখা যায় বাঁশঝাড়-
পাশ দিয়ে প্রবাহিত ছোট এক নদী
জলস্রোতের মৃদু কলকলধ্বনি

প্রত্যুষে শূন্যে ডানা ছুঁয়ে জল ভরে,
বেদনা মাখা মুখচন্দ্রিকা
কাজল রাতে ডেকে ছিলো
ঐ নদীটির পাড়ে-
শাপলা লতায় শরীর ঢেকে-
অব্যক্ত কিছু যেন চায় বলতে।

উচ্ছল চপল তব নবীন শালতি
হৃদয়টা অগ্নিদগ্ধ কী করে হয় নিষ্পন্ন
প্রদীপের মৃদু শিখায় মেটেকি বেঁচে থাকার দোহদ।

ভেবে না পাই-
জীবন দাঁড়িয়ে সন্ধ্যার ঘরে নিশ্চল।

Share This
Categories
কবিতা

মৃত্যুই মিত্র :: রাণু সরকার।।।।।।

জীবন শুরু থেকেই মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যায় প্রতি পদক্ষেপে, জীবন-মৃত্যুর অন্তরঙ্গতা এতই গভীর যে কেউ কোনদিন কারো হাত ছাড়বে না।
এসব যখন মনে পড়ে ভেবে ভয় হয়, আবার ভুলেও যাই ভাবতে, প্রতিদিনই জীবনের শেষ দিন হতে পারে।

জীবনটা তো চলছে সরল অঙ্কের মতো-
মন্থর গতিতে এগিয়ে যাচ্ছি সমাপনের দিকে এটা কিন্তু মনে থাকে না, যখন কারোর মৃত্যু দেখি তখনই মনে হয় আমারও তো একদিন এই গতি হবে।

এই যে বেঁচে আছি সংসারে- ছেলে, মেয়ে, নাতি, নাতনি এদের নিয়ে মেতে আছি আনন্দখেলায়- এতো ক্ষণিকের তামাশা ছাড়া কিছুই নয়।
বেঁচে থাকতে হলে কঠিন লড়াই একাই লড়তে হবে,
কাছের জনেরা কেবল সান্ত্বনা দেবে, দুঃসময়ে পাশে কেউই থাকবে না।

সময় বড়ই মূল্যবান আবার মূল্যহীনও।
সংসারের খেলায় আত্মহারা- প্রিয়জন যদি কিছু জানতে চায় কখনো হ্যাঁ আবার কখনো না বলি,
এই হ্যাঁ বা না শব্দটি খুবই পুরাতন কিন্তু ছোট্ট এই দুটিকে ব্যবহার করতে হয় অনেক ভেবেচিন্তে। অনেক সময় দেখা যায় এই ছোট্ট শব্দ দুটি ভুল জায়গায় ব্যবহার করি ভুল করে- তখনই বিপত্তি দেখা দেয়।
এই সংসার খেলায় জেতার স্বপ্ন থাকে, কিন্তু জেতা একমাত্র লক্ষ্য নয়, যতদিন বেঁচে থাকবো স্বপ্নও সাথে সাথে চলবে- একে ত্যাগ করতে পারছি না।

Share This
Categories
কবিতা

শিশুমন ::::::: রাণু সরকার।।।।।

মন যদি শিশুসুলভ হয় বার্ধক্য ভয় পায়
স্পর্শ করতে-
শিশুমন নিয়ে বৃষ্টিতে ভিজতে ভালো লাগে কারণ অতীত ভীষণ মনে পড়ে আর চোখের জল বৃষ্টির তালে-ছন্দে নৃত্য করতে করতে কখন বিলীন হয় কেউ বুঝতেই পারে না তার আগমন ও গমন।

শিশুমন নিয়ে যতবার চেয়েছি হাত স্পর্শ করতে পারিনি- সে ভুল বুঝে হাল ছেড়ে চলে যায়-
জানতে পারলো না সে সফলতার কাছেই ছিলো।

বুঝতে না পারলে কিছুই করার নেই, রূপ দিয়ে চিরকাল মুগ্ধ করা যায় না পুরুষ মন- তাই একটি শিশুতুল্য মন পারে পুলকিত করতে- কিন্তু সেটাও একসময় দুর্বল হয়ে পড়ে।

রাতের নিস্তব্ধতা ভীষণ ভালো লাগে তখন তো রাত বিশ্রামরত, কেনোনা রাতের নিজস্ব সৌন্দর্য আছে যা লেখক মনে ধরা দেয় অবিরত,
এই প্রশান্ত গভীর রাতে বসে ফুল হয়ে ভাবি কখন মৌমাছি উগরে দেবে মধু পুংকেশরে।

Share This
Categories
কবিতা

পড়ন্ত বেলা :::: রাণু সরকার।।।।

জীবনটা কাটছে কারাগৃহে, আগামীকালের কথা ভাবলেই প্রহত হয় মন-
পড়ন্ত বেলায় কে রেখে গেলো ডিঙাখানা ঘাটে,
দেখে হৃদযন্ত্রের কম্পনের হার আরো বেড়ে যায়।
দেখছিনা তো যান চালককে-
পাড়ে পারি খায়, ঢেউ কী যেন বলতে চাইছে।
হয়তো শেষ খেয়া কখন যেন গেছে চলে-
আহত শেয়াল সহচর খোঁজে।

Share This
Categories
কবিতা

উলঙ্গ কাল :: রাণু সরকার।।।।

ছোট্ট এ কুটিরে বন্দি রাখার সময় যে কবে কখন চলে এলো বুঝতেই দিলোনা- তাই তো কালের ভাঁজে তাল মিলিয়ে গুছিয়ে রেখে চলছি।

মনোরথের ইচ্ছে একদমই নেই এখনো পর্যন্ত- তবে পরের কথা পারছিনা বলতে-
নজর শুধুই বহন করে আনে সংক্রমণ সংবাদ
তখন ভুলে যাই বিশ্বচরাচরকে;

বাধ্যতামূলক শব্দহীনতা আলিঙ্গন করে মন্থর গতিতে,
দীর্ঘশ্বাসেরা বুকে ধীর ও শান্ত ভাবে চলাচল করে, বাসনাহীন।
হয়তো তখন ভাবে এটাই তার ঠিকানা;

বাক্যহারারা সূঁচের ফোর তোলে, হৃদয়ের অশ্রুধারা পড়ে গড়িয়ে গালে।
বিকৃতাঙ্গের প্রেম দেয় মর্মপীড়া-
উলঙ্গ কালের সাথে শয্যার চলে গভীর মিত্রতা-
নিদ্রিত মুখ করে হাজার চুম্বন।

Share This
Categories
রিভিউ

একজন কন্যাই পারে তার গোটা পরিবারকে একই সূত্রে বেঁধে রাখতে : আজ জাতীয় শিশুকন্যা দিবস।

কন্যা সন্তান আমাদের গর্ব এবং জাতির ভবিষ্যত। কন্যা সন্তানের ক্ষমতায়নের অর্থ আপনার ভবিষ্যতের ক্ষমতায়ন।

সমাজে মেয়েরা প্রতিমুহূর্তে যে লিঙ্গ বৈষম্যের মুখোমুখি হচ্ছে সে সম্পর্কে সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যেই এটি শুরু করা হয়েছিল। বেশ কয়েক বছর ধরে, ভারত সরকার মেয়েদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টির গুরুত্ব সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করে তোলার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। এই কারণে কন্যা শিশুদের জীবনযাত্রার উন্নতির জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়াও শুরু হয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি উদ্যোগ হল ‘বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও’, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ‘কন্যাশ্রী’ এবং আরও অন্যান্য। কন্যা রাই এখন এগিয়ে যাচ্ছে সমান তালে ।

 

তাই প্রতি বছর ২৪শে জানুয়ারী ভারতে জাতীয় শিশুকন্যা দিবস পালিত হয়। ভারতীয় সমাজে যাতে মহিলারা ভেদাভেদ বা বৈষম্যের শিকার না হন, সেদিকে  জনসচেতনতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্য নিয়ে ২০০৮ খ্রিস্টাব্দে সর্বপ্রথম ভারত সরকারের মহিলা ও শিশু উন্নয়ন মন্ত্রক দিনটি উদযাপনের সূচনা করে। বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও, শিশু লিঙ্গ অনুপাত এবং মহিলাদের জন্য এক স্বাস্থ্যকর ও নিরাপদ আবহ তৈরির জন্য সচেতনতামূলক প্রচারাভিযান সহ বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিনটি উদযাপিত হয়। দেশজুড়ে মৃলত সচেতনতা শিবির ও সেমিনারের আয়োজন করা হয়, যেখানে তুলে ধরা হয় শিশু কন্যাদের স্বাস্থ্যকর ও নিরাপদ পরিবেশ দেওয়ার কথা এবং সরকার যে যে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে তা সমক্ষে উপস্থাপন করা।

উদ্দেশ্য–

 

দেশের মহিলারা যেন কোনভাবে বৈষম্যের সম্মুখীন না হয় সেজন্য জনগণকে  সচেতন করা।

শিশুকন্যাদের অধিকার  সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা।

নারী শিক্ষা ও তাদের স্বাস্থ্য ও পুষ্টির গুরুত্ব সম্পর্কে  সচেতন করা।

 

 

তাৎপর্য–‐

 

শিশুকন্যাদের শিক্ষা, পুষ্টি, বাল্য বিবাহ, আইনি অধিকার এবং চিকিৎসা যত্ন সুরক্ষা সম্মান ইত্যাদি বিষয়ে সচেতনতামূলক প্রচারাভিযান।

১) ভারতীয় সমাজে ক্রমবর্ধমান কন্যা ভ্রূণহত্যা ও শিশু হত্যার কারণে জাতীয় কন্যা শিশু দিবস উদযাপন শুরু হয়েছিল। ২) কন্যা ভ্রূণহত্যা নিয়ন্ত্রণে আনতে ভ্রূণের লিঙ্গ নির্ধারণের উপরও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। ৩) যাদের শিশু কন্যা আছে তাদের সরকার আর্থিক সহায়তা করছে এবং মেয়েদের বিনামূল্যে প্রাথমিক শিক্ষা প্রদান করার কথাও ঘোষণা করেছে।
৪) এই দিবসটি পালনের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য হল, কন্যা শিশুদের অধিকার এবং তাদের শিক্ষার বিষয়ে সচেতনতা বাড়ানো। ৫) এই দিনটির আরেকটি লক্ষ্য হল, ভারতীয় সমাজে মেয়ে শিশুদের প্রতি অবিচারকে তুলে ধরা এবং তাদের স্বাস্থ্য ও শিক্ষার প্রচার করা। ৬) যেহেতু মেয়েরা প্রায়ই ভ্রূণহত্যা, শিশু হত্যা বা যৌন নির্যাতনের মতো সমস্যার মধ্য দিয়ে যায়, তাই এই দিনটিতে মেয়েদের সুরক্ষা এবং তাদের অবস্থার উন্নতির দিকে আরও বেশি করে ফোকাস করা হয়। ৭) কন্যা সন্তানের পক্ষে নেওয়া একাধিক উদ্যোগের কারণে, দেশে ধীরে ধীরে নারীশিক্ষা ও মেয়েদের স্বাস্থ্যের উন্নতি হচ্ছে।

 

 

উপসংহার: 

 

সর্বপরি,  কন্যা সন্তান হল দেবদূতের মতো, যে পরিবারে আসে সেই বাড়িতেই অফুরন্ত আনন্দ এবং ভালবাসায় ভরে ওঠে। কন্যা সন্তান জন্ম লক্ষির আগমন হিসেবে ধরা হয় একটি পরিবারে। পরিবারে সর্বদা সৌভাগ্য বিরাজ করে। একজন কন্যা তার পিতার হৃদয়ে বাস করে এবং মায়ের সত্যিকারের বন্ধু হয়ে ওঠে। তারা প্রত্যেক বাবা-মায়ের কাছে সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ। কন্যার জন্ম পিতা-মাতার জীবনকেও অনেকাংশে বদলে দেয়। বড় হয়ে সে তার পরিবারের দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নেয়। বিয়ের পর শ্বশুরবাড়ি এবং বাবার বাড়ি উভয় তরফেই সমান দায়িত্ব পালন করে। সর্বদা সবাইকে খুশি রাখতে এবং যেকোনও পরিস্থিতিতে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারে একজন কন্যাই। তাই, আপনার যদি কন্যা সন্তান থাকে তাহলে আপনি হলেন পৃথিবীর সবচেয়ে ভাগ্যবান মানুষ। তাই সকলের উচিৎ একটি পরিবারে কন্যা ও পুত্র সন্তান কে সমান ভাবে গুরুত্ব দেওয়া। কন্যা সন্তান বলে তাকে অবহেলর চোখে কখনই দেখা উচিৎ নয়।

 

 

।। তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।

Share This