Categories
কবিতা

বাস্তবতা : রাণু সরকার।।

ঘুমোলেই স্বপ্নেরা করে আমায় তাড়া,
শয্যা ত্যাগ করা মাত্রই জীবনটা হয় বাঁধনছাড়া।

চোখ মেলে দেখি বাস্তবতার সাথে করে সবাই গুঞ্জরণ,
দুঃখ-কষ্টের বাসস্থান কোথায়- কেউ কী জানেন?

দেখাই অতিশয় ব্যস্ততা তাই তাকিয়ে চলি সবার
দিকে সবাই,
কথা বলার সময়ের ভীষণ যে অভাব,
নিজের পথে চলাটা পছন্দ এটাই হলো আমাদের
স্বভাব।

হৃদয় হলো দুঃখের সাগর-ঝরে অশ্রুবর্ষণ রূপে
আসে যায় না কারোর কিছুই বন্দী তো সবাই অন্ধকূপে।

সাফল্যতায় আমাদের চোখ গেছে ধাঁধিয়ে
ভালো চিন্তা করতে গেলে ইন্দ্রিয় গুলো যায় হারিয়ে।

কারাগারে চেতনা রেখে চলছে সবাই গা ভাসিয়ে,
দেখায় কেমন দেখো যেন চিন্তায় বিভোর-
করতে কি পারলে কিছু তোমার সব চিন্তা দিয়ে?

সহ্য করা যাচ্ছে নারে আর ভাই-অভিনয়ের
স্বপ্ন মেলা
অনেক তো হলো এবার থামাও-হাস্যকর সব
অভিনয়ের খেলা খেলা–

দেখতে চাই-সবাই যেন থাকে দুধে ভাতে-
দেখো দেখো-চলেযাচ্ছে কেমন পাশ কাটিয়ে
হোক না সবার কার্যসিদ্ধি তবে নিজের
ভালো নয় ভেস্তে দিয়ে-
সকলের জীবন সকলের মত ভাই-আমার জীবন থাক আমার হয়ে।

দেখোনা ভাই আর চলার ফাঁকে
কি তুমি পেলে-কত টুকু দিলে কাকে?

জীবনের চলার পথে পেলাম তো অনেক
কিছু
হারিয়েছে অনেক-তবু ছুটি কেনো মৃগতৃষ্ণার পিছু?

শেষ জীবনে ভালোবেসে দেখবে চোখে ঠুলি আঁটা
করার কিছু থাকবেনা আর ভাই অর্থহীন সব শূন্যতাটা।

Share This
Categories
কবিতা

ব্যস্ত ছিলাম : রাণু সরকার।

অনেক দিন ওপাড়ে আঁধারে ছিলাম নিমজ্জিত,
কতদিন আর থাকা যায়-
তাই সময় বললো এপাড়ে আসতে,অনেক কাজ নাকি বাকি আছে- একরকম জোর করেই পাঠালো-
এলাম এক গোধূলিলগ্নে,
স্রোতের প্রবল বেগে ফেললো এপাড়ে।

কপালে কি যে লিখেছিলো বোঝার উপায় নেই,
চোখ দুটি তো কপালের নিচে কিকরে বুঝবো?
একে তো প্রচ্ছদে ঢাকা আবার সদ্যোজাত, কিকরে
বুঝবো কপালে কী আছে তখন কিছুই বুঝিনি।
তরর্জনীর ছাপ ছিলো বুঝলাম মন্থর গতিতে এতো বছর পর, আমাকে শাসানো হচ্ছে।
তোমার যতোটুকু কাজ ততটুকু করে তাড়াতাড়ি
ফিরে আসবে মায়া- মমতার সাথে বেশি বন্ধুত্ব করবে না, আসতে কষ্ট পাবে।

আমি বললাম এইতো এলাম রাতকে পিছে ফেলে
এখনো চোখেমুখে ক্লান্তির ঘোর কাটেনি এখনি
ফিরবো? তরর্জনীর সংকেত দিয়েই তো পাঠালাম
তুমি রাজি হলে, বললে ডাক দিলেই এক ছুটে চলে আসবে- ঠিক আছে ডাক এলেই চলে যাবো।
যাইহোক এ-পাড়ের রূপ দর্শন করে করে চোখে
এলো জল- কর্মে নিযুক্ত হোলাম, চোখ মুছে মুছে
চলছে দায়িত্ব পালন।

ভাবছি ওপাড়ে ভালোই ছিলাম- কেনো পাঠালো বা কেনো আসলাম? যত করি দর্শন তত হয় রাগ- পারি না সমুচিত জবাব দিতে করতে পারিনা বিরুদ্ধাচরণ, এভাবেই কেটে গেলো কতগুলো বছর।
হঠাৎ একদিন এলো ডাক ভাষাহীন এক সন্ধ্যায় তখন ক্লান্তিহীন পাকা কেশ, প্রণত শরীর চললাম গমনের গন্তব্যস্থলে।

অন্ত্যেষ্টি উৎসবের দিন তখন প্রশান্তচিত্তে করলো সবাই দায়িত্ব পালন, থাকতে পরিনি আমি তখন ছিলাম ও পাড়ের কাজে খুবই ব্যস্ত।

Share This
Categories
নারী কথা প্রবন্ধ

স্মরণে, ভারতীয় বাংলা চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি অভিনেত্রী সুমিতা সান্যাল।।।।

ভারতীয় বাংলা চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি অভিনেত্রী সুমিতা সান্যাল ছিলেন একজন বিখ্যাত ভারতীয় বাংলা চলচ্চিত্র অভিনেত্রী যিনি তার চিত্তাকর্ষক উপস্থিতি এবং ব্যতিক্রমী প্রতিভা দিয়ে রূপালী পর্দায় মুগ্ধ করেছেন ৯ অক্টোবর, ১৯৪৫ সালে কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গে জন্মগ্রহণ করেন, সুমিতা ১৯৬০ এর দশকের শুরুতে তার অভিনয় জীবন শুরু করেন এবং দ্রুত বাংলা চলচ্চিত্রে একটি ঘরোয়া নাম হয়ে ওঠেন।সুমিতা সান্যাল হিন্দি সিনেমায় তার কাজের জন্য পরিচিত।

তিন দশকেরও বেশি সময়ব্যাপী ক্যারিয়ারের সাথে, সুমিতা ৫০টিরও বেশি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছিলেন, সত্যজিৎ রায়, মৃণাল সেন এবং তরুণ মজুমদারের মতো প্রশংসিত পরিচালকদের সাথে কাজ করেছিলেন।

তিনি বিভূতি লাহার খোকাবাবুর প্রত্যবর্তন ছবিতে উত্তম কুমারের বিপরীতে আত্মপ্রকাশ করেন। পরবর্তীকালে তিনি ১৯৬০ এবং ১৯৭০ এর দশকে পরপর কিছু বাংলা চলচ্চিত্রে উপস্থিত হন। তিনি ব্রিটিশ ভারতের বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির দার্জিলিংয়ে মঞ্জুলা সান্যাল নামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা ছিলেন গিরিজা গোলকুণ্ডা সান্যাল।

কর্মজীবন—–

পরিচালক বিভূতি লাহা খোকাবাবুর প্রত্যবর্তন চলচ্চিত্রের জন্য তার নাম রেখেছিলেন সুচরিতা। এর পরে পরিচালক কনক মুখোপাধ্যায় সুমিতা নাম রাখার সিদ্ধান্ত নেন। বিখ্যাত অভিনেত্রী লীলা দেশাই সুমিতার খুব পরিচিত ছিলেন। লীলা তাকে অগ্রদূতের সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন। খোকাবাবুর প্রত্যবর্তন- এ সুযোগ পাওয়ার পর, তিনি দিলীপ কুমারের বিপরীতে সগিনা মাহাতো এবং বিশ্বজিৎ এবং সন্ধ্যা রায়ের পাশাপাশি কুহেলিতে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেন। তিনি বেশ কয়েকটি হিন্দি ছবিতেও অভিনয় করেছেন, যার মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ছিল ১৯৭০ সালের আনন্দ। এ ছবিটিতে অমিতাভ বচ্চনের বিপরীতে তিনি অভিনয় করেছেন। তিনি টেলিভিশন সিরিয়াল, পেশাদার মঞ্চ এবং গ্রুপ থিয়েটার “রাঙা সভা”-এ অভিনয় করেছিলেন। তিনি হৃষিকেশ মুখোপাধ্যায়ের গুড্ডি, আনন্দ এবং আশীর্বাদের মতো অনেক চলচ্চিত্রের অংশ ছিলেন।

ব্যক্তিগত জীবন—-

তিনি চলচ্চিত্র সম্পাদক সুবোধ রায়কে বিয়ে করেছিলেন। তাদের একটি ছেলে আছে।

বাংলা চলচ্চিত্র—–

খোকাবুর প্রত্যবর্তন, আকাশপ্রদীপ, দেয়া নেয়া, কালশর্ত, স্বর্গ হতে বিদায়, গোধুলি বেলা, অনুষ্টুপ ছন্দ, দিনান্তের আলো, প্রথম প্রেম, একই অঙ্গে এত রূপ, সুরের আগুন, কাল তুমি আলেয়া, নায়ক, শেষ তিন দিন, নূতন জীবন, অশ্রু দিয়ে লেখা, হারানো প্রেম, হঠাৎ দেখা, পঞ্চসার, আপনজন, চিরদিনের, চেনা অচেনা, তিন ভূবনের পারে, মায়া, সাগিনা মাহাতো, নিশাচর, অন্য মাটি অন্য রং, কুহেলি,নতুন সূর্য, জীবন নিয়ে, জবাব, শ্রীমতী।

হিন্দি চলচ্চিত্র——–

আশির্বাদ, আনন্দ, গুড্ডি, মেরে আপনে, ময়ূর বসন্ত।
সুমিতার প্রতিভা অভিনয়ের বাইরেও প্রসারিত হয়েছিল, কারণ তিনি একজন দক্ষ নৃত্যশিল্পী এবং গায়িকাও ছিলেন। বাংলা চলচ্চিত্রে তার অবদান মর্যাদাপূর্ণ বেঙ্গল ফিল্ম জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন অ্যাওয়ার্ড সহ অসংখ্য পুরষ্কার এবং প্রশংসার সাথে স্বীকৃত হয়েছে।

সুমিতা সান্যালের উত্তরাধিকার প্রজন্মের অভিনেতা এবং চলচ্চিত্র উত্সাহীদের অনুপ্রাণিত করে চলেছে, ভারতীয় চলচ্চিত্রের সবচেয়ে প্রিয় এবং সম্মানিত অভিনেত্রীদের একজন হিসাবে তার স্থানকে সিমেন্ট করে। ৯ জুলাই, ২০১৭, লেক গার্ডেনস, কলকাতায় তিনি প্রয়াত হন।

Share This
Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

দীঘা সমুদ্র সৈকত : প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং নির্মলতার একটি ভান্ডার।।।।

পূর্ব ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে অবস্থিত, দিঘা সমুদ্র সৈকত একটি অত্যাশ্চর্য উপকূলীয় গন্তব্য যা প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, নির্মলতা এবং সাহসিকতার একটি নিখুঁত মিশ্রণ সরবরাহ করে। 7 কিলোমিটারেরও বেশি বিস্তৃত এই মনোরম সৈকতটি প্রাকৃতিক দৃশ্য, উত্তেজনাপূর্ণ জলের খেলা এবং সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের ভান্ডার।

প্রাকৃতিক সৌন্দর্য—–

দীঘা সমুদ্র সৈকত তার আদিম সৌন্দর্যের জন্য বিখ্যাত, যেখানে নরম সোনালি বালি, স্ফটিক-স্বচ্ছ জল এবং প্রশান্তিময় পরিবেশ রয়েছে। সৈকতটি ক্যাসুয়ারিনা গাছ দিয়ে সারিবদ্ধ, ল্যান্ডস্কেপে সবুজের ছোঁয়া যোগ করেছে। সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্তের দৃশ্যগুলি শ্বাসরুদ্ধকর, আকাশ রঙের ক্যালিডোস্কোপে পরিণত হয়েছে।
জল ক্রীড়া এবং কার্যক্রম
দীঘা সাঁতার, সার্ফিং, কায়াকিং এবং প্যাডেল বোটিং সহ উত্তেজনাপূর্ণ জল ক্রীড়া এবং কার্যকলাপের একটি পরিসীমা অফার করে। দর্শনার্থীরা কাছাকাছি দ্বীপগুলিতেও নৌকা ভ্রমণ করতে পারেন, যেমন সাগর দ্বীপ, যা বিখ্যাত সাগর বাতিঘরের আবাসস্থল।

সাংস্কৃতিক তাৎপর্য—-

দীঘার একটি সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য রয়েছে, যেখানে বাঙালি ঐতিহ্য ও রীতিনীতির উপর জোর দেওয়া হয়েছে। সমুদ্র সৈকতটি বিখ্যাত দীঘা কালী মন্দির সহ মন্দির দ্বারা বিস্তৃত, যা সারা দেশ থেকে ভক্তদের আকর্ষণ করে। বার্ষিক দীঘা বিচ ফেস্টিভ্যাল একটি জনপ্রিয় অনুষ্ঠান, যেখানে স্থানীয় সঙ্গীত, নৃত্য এবং শিল্প প্রদর্শন করা হয়।
ভ্রমণকারীদের আকর্ষণগুলো
দীঘা দীঘা অ্যাকোয়ারিয়াম, দিঘা বিজ্ঞান কেন্দ্র এবং অমরাবতী পার্ক সহ বিভিন্ন পর্যটন আকর্ষণের সুযোগ দেয়। সৈকতটি বিভিন্ন রেস্তোরাঁর আবাসস্থল, যেখানে সুস্বাদু সামুদ্রিক খাবার এবং স্থানীয় খাবার পরিবেশন করা হয়।

উপসংহার—-

দীঘা সমুদ্র সৈকত একটি আরামদায়ক এবং দুঃসাহসিক যাত্রার পথ খুঁজছেন এমন যে কেউ অবশ্যই একটি দর্শনীয় গন্তব্য। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, উত্তেজনাপূর্ণ জল খেলাধুলা এবং সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সহ, দীঘা অন্বেষণের অপেক্ষায় অভিজ্ঞতার ভান্ডার। তাই আপনার ব্যাগ প্যাক করুন এবং একটি অবিস্মরণীয় যাত্রার জন্য দীঘার দিকে যান।

Share This
Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

সুস্থ থাকতে কী ফল খেতে হবে জানুন।।।।।

ফল একটি স্বাস্থ্যকর খাদ্যের একটি অপরিহার্য অংশ, যা গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি, ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট প্রদান করে। বিভিন্ন ধরনের ফল খাওয়া রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে, হজমের স্বাস্থ্যকে সমর্থন করতে এবং দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। কিন্তু অনেকগুলি বিকল্প উপলব্ধ থাকায়, আপনার খাদ্যতালিকায় কোন ফলগুলি অন্তর্ভুক্ত করবেন তা নির্ধারণ করা অপ্রতিরোধ্য হতে পারে।

এই নিবন্ধে, আমরা সর্বোত্তম স্বাস্থ্যের জন্য খাওয়ার জন্য শীর্ষস্থানীয় কয়েকটি ফল অন্বেষণ করব।
1. বেরি
ব্লুবেরি, স্ট্রবেরি এবং রাস্পবেরির মতো বেরিগুলি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন এবং খনিজ সমৃদ্ধ। এগুলি প্রদাহ কমাতে, হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে এবং জ্ঞানীয় ফাংশনকে সমর্থন করতে দেখানো হয়েছে।
1. সাইট্রাস ফল
কমলালেবু, জাম্বুরা এবং লেবুতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, ফ্ল্যাভোনয়েড এবং ফাইবার থাকে। তারা অনাক্রম্যতা বাড়াতে, ওজন কমাতে সাহায্য করতে এবং হৃদরোগ এবং ডায়াবেটিসের মতো দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে।
1. আপেল
আপেল ফাইবার, ভিটামিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের সমৃদ্ধ উৎস। এগুলি হজমের স্বাস্থ্যের উন্নতি, কোলেস্টেরলের মাত্রা হ্রাস এবং নির্দিষ্ট ক্যান্সারের কম ঝুঁকির সাথে যুক্ত করা হয়েছে।
1. কলা
কলা পটাসিয়াম, ভিটামিন এবং খনিজগুলির একটি ভাল উৎস। তারা স্বাস্থ্যকর রক্তচাপকে সমর্থন করতে, হাড়ের স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে এবং শারীরিক কার্যকলাপের জন্য শক্তি সরবরাহ করতে সহায়তা করতে পারে।
1. আম
আম ভিটামিন এ এবং সি, পটাসিয়াম এবং ফাইবার সমৃদ্ধ। এগুলি সুস্থ হজমকে সমর্থন করে, অনাক্রম্যতা বাড়াতে এবং নির্দিষ্ট ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে দেখানো হয়েছে।
এই ফলগুলিকে আপনার ডায়েটে অন্তর্ভুক্ত করা আপনার সামগ্রিক স্বাস্থ্য এবং সুস্থতার উপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে। আপনি পুষ্টির একটি পরিসীমা পাচ্ছেন তা নিশ্চিত করতে আপনার প্লেটে বিভিন্ন রঙ অন্তর্ভুক্ত করার লক্ষ্য রাখুন। মনে রাখবেন যখনই সম্ভব মৌসুমী, জৈব ফল বেছে নিন এবং খাওয়ার আগে ভালোভাবে ধুয়ে নিন।
ফলকে আপনার খাদ্যতালিকায় অগ্রাধিকার দিয়ে, আপনি একটি স্বাস্থ্যকর, সুখী হওয়ার দিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিতে পারেন। তাই এগিয়ে যান, আপনার পছন্দের ফলগুলি উপভোগ করুন এবং একটি পুষ্টিকর এবং সুস্বাদু খাবারের সুবিধাগুলি কাটান!
🧘 স্বাস্থ্য & জীবনযাপন

Share This
Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

নৈতিক চরিত্র গঠনের জন্য কী করতে হবে – একটি বিশেষ পর্যালোচনা।।।।

নৈতিক চরিত্র গঠন একটি আজীবন যাত্রা যার জন্য প্রচেষ্টা, উৎসর্গ এবং ব্যক্তিগত বৃদ্ধির জন্য দৃঢ় প্রতিশ্রুতি প্রয়োজন। এতে মূল্যবোধ, নীতি এবং অভ্যাসের একটি সেট তৈরি করা জড়িত যা আমাদের চিন্তাভাবনা, শব্দ এবং ক্রিয়াকে গাইড করে। নৈতিক চরিত্র হল সেই ভিত্তি যার উপর আমরা আমাদের সম্পর্ক গড়ে তুলি, আমাদের লক্ষ্য অর্জন করি এবং একটি উন্নত বিশ্ব তৈরি করি।

এই নিবন্ধে, আমরা নৈতিক চরিত্র গঠনের জন্য কিছু প্রয়োজনীয় পদক্ষেপগুলি অন্বেষণ করব।
1. আত্ম-সচেতনতা বিকাশ করুন
আত্ম-সচেতনতা হল আমাদের চিন্তাভাবনা, অনুভূতি এবং ক্রিয়াকলাপ এবং তারা কীভাবে অন্যদের প্রভাবিত করে তা সনাক্ত করার ক্ষমতা। এটি নৈতিক চরিত্রের ভিত্তি। আত্ম-সচেতনতা বিকাশের জন্য, আত্মদর্শন, ধ্যান অনুশীলন এবং অন্যদের কাছ থেকে প্রতিক্রিয়া চাইতে।
1. পরিষ্কার মান এবং নীতি সেট করুন
মূল্যবোধ এবং নীতিগুলি আমাদের নৈতিক কম্পাস হিসাবে কাজ করে। সততা, উদারতা এবং ন্যায়পরায়ণতার মতো জীবনে আপনার কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কী তা চিহ্নিত করুন। আপনার মূল মান এবং নীতিগুলির একটি তালিকা তৈরি করুন এবং আপনার সিদ্ধান্তগুলিকে গাইড করতে সেগুলি ব্যবহার করুন।
1. সহানুভূতি এবং সহানুভূতি অনুশীলন করুন
সহানুভূতি এবং সহানুভূতি দৃঢ় সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য এবং অন্যদের সাথে সম্মান ও দয়ার সাথে আচরণ করার জন্য অপরিহার্য। সক্রিয় শ্রবণ অনুশীলন করুন, স্বেচ্ছাসেবক করুন এবং সদয় আচরণে নিযুক্ত হন।
1. ইতিবাচক অভ্যাস গড়ে তুলুন
ইতিবাচক অভ্যাস যেমন কৃতজ্ঞতা, ক্ষমা এবং আত্ম-শৃঙ্খলা নৈতিক চরিত্র গঠনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভালো মানুষ হওয়ার জন্য প্রতিদিন এই অভ্যাসগুলো অভ্যাস করুন।
1. ইতিবাচক প্রভাব সঙ্গে নিজেকে ঘিরে
আমরা আমাদের চারপাশের লোকেদের আমাদের চরিত্রের উপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলে। ইতিবাচক রোল মডেল, পরামর্শদাতা এবং বন্ধুদের সন্ধান করুন যারা আপনার মূল্যবোধ এবং নীতিগুলি ভাগ করে।
1. ভুল থেকে শিখুন
ভুলগুলি বৃদ্ধি এবং শেখার সুযোগ। আপনি যখন কোন ভুল করেন, তখন তা স্বীকার করুন, ক্ষমা চান এবং সংশোধন করুন। শিখতে এবং একজন ভাল মানুষ হওয়ার জন্য ভুলগুলি ব্যবহার করুন।
1. মননশীলতা এবং আত্ম-প্রতিফলন অনুশীলন করুন
মননশীলতা এবং আত্ম-প্রতিফলন ব্যক্তিগত বৃদ্ধি এবং বিকাশের জন্য অপরিহার্য। আপনার চিন্তাভাবনা, অনুভূতি এবং কর্ম সম্পর্কে আরও সচেতন হতে মননশীলতা ধ্যান, জার্নালিং এবং আত্ম-প্রতিফলন অনুশীলন করুন।
এই পদক্ষেপগুলি অনুসরণ করে এবং ধারাবাহিকভাবে সেগুলি অনুশীলন করার মাধ্যমে, আপনি শক্তিশালী নৈতিক চরিত্র গড়ে তুলতে পারেন যা আপনাকে জীবনের চ্যালেঞ্জ এবং সুযোগের মধ্য দিয়ে গাইড করবে। মনে রাখবেন, নৈতিক চরিত্র গঠন একটি জীবনব্যাপী যাত্রা যার জন্য প্রচেষ্টা, উত্সর্গ এবং ব্যক্তিগত বৃদ্ধির জন্য একটি দৃঢ় প্রতিশ্রুতি প্রয়োজন।

Share This
Categories
গল্প

গল্পের নাম – তুমি ফিরে এসো না।

১.
দীপ্ত আর অনন্যার গল্প শুরু হয়েছিল এক বসন্ত সন্ধ্যায়। কলেজ ফেস্টিভ্যালে, এক ক্লান্ত বিকেলে দীপ্ত গিটার হাতে মঞ্চে গাইছিল —
“তুমি আসবে বলে, আজো আমি পথ চেয়ে থাকি…”
সেই সুর যেন অনন্যার হৃদয়ে গেঁথে গিয়েছিল। গানের শেষে করতালির মাঝে, এক পলকের চাহনিতে তারা বুঝেছিল — এই গল্পের শুরুটা সুন্দর হবে।
দুই বছর ধরে তারা একই পথের যাত্রী ছিল। তারা হাঁটত শিয়ালদহ থেকে কলেজস্ট্রিট, ভাগ করত এক কাপ কড়া লেবু চা, আর ভিজত হঠাৎ নেমে আসা বৃষ্টিতে।
২.
কিন্তু প্রতিটা প্রেমে যেমন এক রকম রঙিন অধ্যায় থাকে, তেমনই আসে ধূসর এক পর্ব। দীপ্ত পড়ালেখায় খুব ভালো ছিল। সে চাইছিল উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে যেতে। অনন্যা চাইছিল কিছুদিন পরে বিয়েটা হোক।
দুই জনের চাওয়া ভিন্ন হচ্ছিল, অথচ ভালোবাসাটা ছিল একদম খাঁটি। অনন্যা বলেছিল,
— “তুমি যাও, আমি অপেক্ষা করব।”
দীপ্ত বলেছিল,
— “আমি চাই না তুমি একা থাকো। আমি চিঠি লিখব, ফোন করব, কিন্তু জানি না সময় কেমন বদলাবে।”
৩.
বিদেশ থেকে দীপ্তের প্রথম কয়েকটা মেইল এসেছিল, কিছু চিঠিও। অনন্যা প্রতিদিন পোস্টবক্সের দিকে তাকিয়ে থাকত।
কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে যোগাযোগ কমে এলো। ব্যস্ততা, পড়ালেখা, চাকরির চাপ — দীপ্ত আর নিয়মিত লিখত না। অনন্যা তবু প্রতিদিন ডায়েরিতে লিখে রাখত তার কথা, তার পুরোনো মেসেজ, মেইলের শেষ লাইনগুলো।
একদিন শেষ চিঠিটা এলো —
“আমার এক সহপাঠীর সঙ্গে বিয়ের কথা চলছে। আমি জানি তুমি কষ্ট পাবে, কিন্তু বিশ্বাস করো, আমি তোমাকে আজও ভালোবাসি। কিন্তু বাস্তব আর ভালোবাসা সবসময় মেলে না।”
৪.
অনন্যার সেই দিনের ডায়েরির পৃষ্ঠা ভিজে ছিল অশ্রুজলে। সে চিৎকার করে কাঁদতে চায়নি, শুধু চুপচাপ জানালার ধারে বসেছিল, মাথায় ঘুরছিল একটাই কথা —
“ভালোবাসলেও কেউ কাউকে এভাবে ছেড়ে যেতে পারে?”
এরপর কেটে গেছে তিন বছর। এখন অনন্যা শহরের এক স্কুলে বাংলা পড়ায়। সাদা শাড়ি, লাল পাড়, মাটি রঙের বালা, চোখে ঘুমহীনতা — সে আজও দীপ্তের চিঠিগুলো নিজের বুকের ড্রয়ারে রেখে দেয়।
সে বিয়ে করেনি। কেউ পছন্দ হলে বলে,
— “ভালোবাসা একবারই হয়। দ্বিতীয়বার হলে সেটা বোঝাপড়া হয়, প্রেম নয়।”
৫.
একদিন স্কুল শেষে রাস্তায় হঠাৎ এক গানের সুর ভেসে এলো —
“তুমি আসবে বলে, আজো আমি পথ চেয়ে থাকি…”
পেছন ফিরে অনন্যা দেখল — রাস্তার এক প্রান্তে দাঁড়িয়ে দীপ্ত, চোখে পুরোনো দৃষ্টিটা, মুখে অপরাধবোধ।
সে বলল না “চলো”, বলল না “ফিরে এসো”, শুধু বলল —
“তুমি ভালো থেকো।
আমার হৃদয়ের এক কোণে তুমি থাকো, কিন্তু আমার জীবনে নয়।”
দীপ্ত চলে গেল।
আর অনন্যা জানে, এই বিরহও ভালোবাসারই আরেক রূপ। প্রতীক্ষা করা মানেই ফিরে পাওয়ার আশা নয়, বরং এক রকম সম্মান জানানো অতীতকে — যা ছিল, যা আর নেই।

📌 গল্পের বার্তা:

ভালোবাসা কখনো-কখনো পাওয়া নয়, হারিয়েও থাকে। কিন্তু সেটাই হয়তো মানুষের জীবনে সবচেয়ে বড় সত্য — যে ভালোবাসা একসময় ছিল, আর তার স্মৃতি হয়ে থাকে চিরকাল।

Share This
Categories
গল্প

গল্পের নাম: বৃষ্টি ভেজা প্রতীক্ষা।

শহরের অলস সন্ধ্যায় ধীরে ধীরে নেমে এসেছিলো মেঘ। টিনের চালে টুপটাপ শব্দে বৃষ্টির সুর বাজছিলো। রিকশার চাকায় ছিটকে পড়া জলের ছোঁয়ায় শহর যেনো ভিজে উঠেছিলো স্মৃতির মতো।

রানু আজও অপেক্ষায় — ঠিক সেই টং দোকানের সামনে, যেখানে প্রথম দেখা হয়েছিলো তাদের। সাত বছর আগের এক বর্ষার রাতেও এমনই বৃষ্টি ছিলো। ছাতা ছিলো না কারোরই। ভিজতে ভিজতে, চায়ের কাপ হাতেই কথা শুরু হয়েছিলো তাদের।

তখন সোহম বলেছিলো,
“বৃষ্টি যদি থামে না, তবে মনে হয় আমাদের গল্পও থামবে না।”

সেই গল্প আর শেষ হয়নি ঠিকই, কিন্তু মাঝপথে একদিন সোহম হারিয়ে যায় — পড়াশোনার জন্য বিদেশ, তারপর চাকরি, তারপর যোগাযোগহীনতা।

কিন্তু রানু থেমে যায়নি অপেক্ষা করা থেকে। বৃষ্টি হলেই সে চলে আসে এখানে — যেদিন প্রথম ভালোবাসা স্পর্শ করেছিলো।

আজও ঠিক তেমনই বৃষ্টি। চায়ের কাপে ধোঁয়া উঠছে, মাটির গন্ধে হৃদয় নরম হয়ে যাচ্ছে।

হঠাৎ পেছন থেকে এক চেনা কণ্ঠ —
“এক কাপ কম চিনি, তাই তো?”

রানু ধীরে ফিরে তাকায়। দাঁড়িয়ে সোহম, পুরো ভিজে, চোখে অনুশোচনা আর ভালোবাসার মিশেল।

রানুর চোখে জল, মুখে হাসি —
“তুমি আবার এসেছো?”

সোহম কাঁপা গলায় বলে,
“তুমি যে অপেক্ষা করছো এখনো… বৃষ্টির মতো ধুয়ে দিলো সব ভুল।”

আর শহরজুড়ে তখনো বৃষ্টি পড়ছে — কিন্তু ভেতরে, রানু আর সোহমের মনে তখন এক রকম শান্ত রোদ উঠে গেছে।

 

Share This
Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

জ্যোতিষ বিরোধী দিবস: কুসংস্কারের সাগরে যুক্তির আলোকবর্তিকা।।।।

জ্যোতিষশাস্ত্র, মহাকাশীয় বস্তুর অবস্থানের মাধ্যমে মানব বিষয়াবলী এবং প্রাকৃতিক ঘটনাগুলির ভবিষ্যদ্বাণী করার প্রাচীন অনুশীলন, বহু শতাব্দী ধরে কুসংস্কারের মূল ভিত্তি। এর দাবির সমর্থনে বৈজ্ঞানিক প্রমাণের অভাব সত্ত্বেও, জ্যোতিষশাস্ত্র ব্যাপকভাবে চর্চা এবং বিশ্বাস করা অব্যাহত রয়েছে, প্রায়ই ক্ষতিকারক পরিণতি সহ।

এই ব্যাপক কুসংস্কারের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য, ইন্ডিয়ান সায়েন্স অ্যান্ড রিজনিং সোসাইটি (ISRS) জ্যোতিষ বিরোধী দিবস উদযাপনের উদ্যোগ নিয়েছে।

জ্যোতিষ বিরোধী দিবসের ইতিহাস—

জ্যোতিষ বিরোধী দিবসের শিকড় রয়েছে ভারতে যুক্তিবাদী আন্দোলনে, যেটি 19 শতক থেকে সক্রিয়ভাবে বিজ্ঞান, যুক্তি এবং সমালোচনামূলক চিন্তাভাবনাকে প্রচার করছে। ISRS, এই আন্দোলনের একটি বিশিষ্ট সংগঠন, জ্যোতিষশাস্ত্র সহ কুসংস্কার এবং ছদ্মবিজ্ঞানকে চ্যালেঞ্জ করার জন্য সামনের সারিতে রয়েছে। দিনটি 20শে আগস্ট পালন করা হয়, যা একজন বিখ্যাত ভারতীয় যুক্তিবাদী এবং কুসংস্কার বিরোধী কর্মী নরেন্দ্র দাভোলকরের মৃত্যুবার্ষিকীকে চিহ্নিত করে।

জ্যোতিষ বিরোধী দিবসের উদ্দেশ্য—

জ্যোতিষশাস্ত্র বিরোধী দিবসের প্রাথমিক উদ্দেশ্য হল জ্যোতিষশাস্ত্রের বৈজ্ঞানিক ভিত্তির অভাব এবং এর ক্ষতিকর পরিণতি সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করা। দিবসটির উদ্দেশ্য হল:
1. জ্যোতিষশাস্ত্রের বিশ্বাস এবং অনুশীলনগুলি নিয়ে প্রশ্ন করতে লোকেদের উত্সাহিত করুন।
2. বৈজ্ঞানিক সাক্ষরতা এবং সমালোচনামূলক চিন্তার প্রচার করুন।
3. জ্যোতিষ সংক্রান্ত কুসংস্কারের বিরুদ্ধে লড়াই করুন যা বৈষম্য, সহিংসতা এবং ব্যক্তি ও সমাজের ক্ষতির দিকে পরিচালিত করে।
4. যুক্তি এবং প্রমাণ-ভিত্তিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের সংস্কৃতি গড়ে তুলুন।
জ্যোতিষ বিরোধী দিবসের গুরুত্ব
জ্যোতিষ বিরোধী দিবস আজকের সমাজে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, যেখানে জ্যোতিষশাস্ত্র ব্যাপকভাবে চর্চা ও বিশ্বাস করা হচ্ছে। দিনটি একটি অনুস্মারক হিসাবে কাজ করে যে:
1. জ্যোতিষশাস্ত্রের কোন বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই এবং এটি পরীক্ষামূলক প্রমাণ দ্বারা সমর্থিত নয়।
2. জ্যোতিষশাস্ত্রীয় বিশ্বাস ক্ষতিকারক অনুশীলনের দিকে পরিচালিত করতে পারে, যেমন তাদের জন্মের চিহ্ন বা গ্রহের অবস্থানের ভিত্তিতে ব্যক্তিদের প্রতি বৈষম্য।
3. জ্যোতিষশাস্ত্র সমালোচনামূলক চিন্তাভাবনা এবং বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধানকে নিরুৎসাহিত করে অগ্রগতি এবং বিকাশকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে।

জ্যোতিষ বিরোধী দিবস উদযাপন—

জ্যোতিষ বিরোধী দিবস বিভিন্ন অনুষ্ঠান এবং কার্যক্রমের মাধ্যমে পালিত হয়, যার মধ্যে রয়েছে:
1. জ্যোতিষশাস্ত্রের বৈজ্ঞানিক ত্রুটিগুলির উপর পাবলিক বক্তৃতা এবং আলোচনা।
2. বৈজ্ঞানিক বিষয়ের উপর বিতর্ক এবং কুইজ।
3. জ্যোতিষ সংক্রান্ত কুসংস্কারের বিরুদ্ধে সচেতনতামূলক প্রচারণা ও সমাবেশ।
4. সমালোচনামূলক চিন্তাভাবনা এবং বৈজ্ঞানিক সাক্ষরতার প্রচারকারী সাহিত্য এবং উপকরণ বিতরণ।

উপসংহার—-

জ্যোতিষ বিরোধী দিবস হল একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ যার লক্ষ্য হল গভীরভাবে কুসংস্কারে নিমগ্ন সমাজে যুক্তি, বিজ্ঞান এবং সমালোচনামূলক চিন্তাভাবনাকে উন্নীত করা। এই দিনটি পালন করে, আমরা এমন একটি সমাজ তৈরি করতে পারি যা প্রমাণ-ভিত্তিক বিশ্বাস এবং অনুশীলনকে মূল্য দেয় এবং ক্ষতিকারক জ্যোতিষশাস্ত্রীয় কুসংস্কার প্রত্যাখ্যান করে। আসুন আমরা আরও যুক্তিবাদী এবং প্রগতিশীল বিশ্ব তৈরিতে হাত মেলাই।

জ্যোতিষ বিরোধী দিবস উদযাপনের মাধ্যমে, ISRS এবং সমমনা সংগঠনগুলির লক্ষ্য কুসংস্কারের সাগরে যুক্তির আলোকবর্তিকা তৈরি করা, ব্যক্তিদের সমালোচনামূলক চিন্তাভাবনা করতে এবং প্রমাণ ও বিজ্ঞানের ভিত্তিতে জ্ঞাত সিদ্ধান্ত নিতে অনুপ্রাণিত করা। একসাথে কাজ করে, আমরা নিজেদের এবং আগামী প্রজন্মের জন্য একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যত তৈরি করতে পারি।

Share This
Categories
প্রবন্ধ

বিংশ শতাব্দীর উল্লেখযোগ্য বাঙালি কবি ও গদ্যকার সুভাষ মুখোপাধ্যায় – একটি বিশেষ পর্যালোচনা।।।।

কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের জন্ম ১২ ফেব্রুয়ারি ১৯১৯ অধুনা পশ্চিমবঙ্গের নদিয়া জেলার কৃষ্ণনগরে মামাবাড়িতে। তার পিতার নাম ক্ষিতীশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়, মা যামিনী দেবী। পিতা ছিলেন সরকারি আবগারি বিভাগের কর্মচারী; তার বদলির চাকরির সুবাদে কবির ছেলেবেলা কেটেছিল পূর্ব ও পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন স্থানে।

তার ছেলেবেলার প্রথম দিকটা, যখন তার বয়স তিন-চার, সে সময়টা কেটেছে কলকাতায়, ৫০ নম্বর নেবুতলা লেনে।
সুভাষ মুখোপাধ্যায় ছিলেন বিংশ শতাব্দীর উল্লেখযোগ্য বাঙালি কবি ও গদ্যকার। কবিতা তার প্রধান সাহিত্যক্ষেত্র হলেও ছড়া, রিপোর্টাজ, ভ্রমণসাহিত্য, অর্থনীতিমূলক রচনা, বিদেশি গ্রন্থের অনুবাদ, কবিতা সম্পর্কিত আলোচনা, উপন্যাস, জীবনী, শিশু ও কিশোর সাহিত্য সকল প্রকার রচনাতেই তিনি ছিলেন সিদ্ধহস্ত।

তিনি বিংশ শতাব্দীর অন্যতম বাঙালি কবি। আধুনিক বাংলা কাব্যজগতে চল্লিশের দশকের অন্যতম কবি হিসেবে চিহ্নিত। ১৯৪০-এ প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘পদাতিক’ প্রকাশের মধ্য তিনি আধুনিক বাংলা কবিতার জগতে নতুন সুর নিয়ে আত্মপ্রকাশ করেন। শ্রেণিবিভক্ত সমাজে মানুষের বৈষম্যলাঞ্চিত দুর্দশার বিরূদ্ধে দ্রোহ তাঁর কবিতার মূল সুর। ‘পদাতিক’ প্রারম্ভে ছিল ‘প্রিয় ফুল খেলবার দিন নয় অদ্য ধ্বংসের মুখোমুখি আমরা চোখে আর স্বপ্নের নেই নীল মদ্য কাঠফাঁটা রোদে সেঁকে চামড়া’। কথ্যরীতিতে রচিত তার কবিতা সহজবোধ্যতার কারণে ব্যাপক পাঠকগোষ্ঠীর আনুকূল্য লাভ করে। মানবিক বোধ ও রাজনৈতিক বাণী তার কবিতার অন্যতম প্রধান অভিমুখ।

কাব্যগ্রন্থ—–

পদাতিক (১৯৪০), অগ্নিকোণ (১৯৪৮), চিরকুট (১৯৫০), ফুল ফুটুক (১৯৫৭), যত দূরেই যাই (১৯৬২), কাল মধুমাস (১৯৬৬), এই ভাই (১৯৭১), ছেলে গেছে বনে (১৯৭২), একটু পা চালিয়ে ভাই (১৯৭৯), জল সইতে (১৯৮১), চইচই চইচই (১৯৮৩), বাঘ ডেকেছিল (১৯৮৫), যা রে কাগজের নৌকা (১৯৮৯), ধর্মের কল (১৯৯১)।

কবিতা সংকলন—–

সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের কবিতা (১৩৬৪ বঙ্গাব্দ), সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের শ্রেষ্ঠ কবিতা (১৯৭০), সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের কাব্যসংগ্রহ, প্রথম খণ্ড (১৩৭৯ বঙ্গাব্দ), সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের কাব্যসংগ্রহ, দ্বিতীয় খণ্ড (১৩৮১ বঙ্গাব্দ), কবিতাসংগ্রহ ১ম খণ্ড (১৯৯২), কবিতাসংগ্রহ ২য় খণ্ড (১৯৯৩), কবিতাসংগ্রহ ৩য় খণ্ড (১৯৯৪), কবিতাসংগ্রহ ৪র্থ খণ্ড (১৯৯৪)।

অনুবাদ কবিতা—–

নাজিম হিকমতের কবিতা (১৯৫২), দিন আসবে (১৩৭৬ বঙ্গাব্দ, নিকোলো ভাপৎসারভের কবিতা), পাবলো নেরুদার কবিতাগুচ্ছ (১৩৮০ বঙ্গাব্দ), ওলঝাস সুলেমেনভ-এর রোগা ঈগল (১৯৮১ বঙ্গাব্দ), নাজিম হিকমতের আরো কবিতা (১৩৮৬ বঙ্গাব্দ), পাবলো নেরুদার আরো কবিতা (১৩৮৭ বঙ্গাব্দ), হাফিজের কবিতা (১৯৮৬), চর্যাপদ (১৯৮৬), অমরুশতক (১৯৮৮)।

ছড়া—–

মিউ-এর জন্য ছড়ানো ছিটানো (১৯৮০)।

কবিতা সম্পর্কিত গদ্যরচনা—

কবিতার বোঝাপড়া, টানাপোড়েনের মাঝখানে।

রিপোর্টাজ ও ভ্রমণসাহিত্য—

আমার বাংলা (১৯৫১), যেখানে যখন (১৩৬৭ বঙ্গাব্দ), ডাকবাংলার ডায়েরী (১৯৬৫), নারদের ডায়েরী (১৩৭৬ বঙ্গাব্দ), যেতে যেতে দেখা (১৩৭৬ বঙ্গাব্দ), ক্ষমা নেই (১৩৭৮ বঙ্গাব্দ), ভিয়েতনামে কিছুদিন (১৯৭৪), আবার ডাকবাংলার ডাকে (১৯৮৪), টো টো কোম্পানী (১৯৮৪), এখন এখানে (১৯৮৬), খোলা হাতে খোলা মনে (১৯৮৭)।
অর্থনৈতিক রচনা—-
ভূতের বেগার (১৯৫৪, কার্ল মার্ক্স রচিত ওয়েজ লেবার অ্যান্ড ক্যাপিটাল অবলম্বনের)।

অনুবাদ রচনা—

মত ক্ষুধা (১৯৫৩, ভবানী ভট্টাচার্যের সো মেনি হাঙ্গার্স উপন্যাসের অনুবাদ), রোজেনবার্গ পত্রগুচ্ছ (১৯৫৪), ব্যাঘ্রকেতন (নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জীবন ও কর্মভিত্তিক একটি অনুবাদ), রুশ গল্প সঞ্চয়ন (১৯৬৮), ইভান দেনিসোভিচের জীবনের একদিন (১৯৬৮), চে গেভারার ডায়েরী (১৯৭৭), ডোরাকাটার অভিসারে (১৯৬৯, শের জঙ্গের ট্রায়াস্ট উইথ টাইগার্স অবলম্বনে), আনাফ্রাঙ্কের ডায়েরী (১৯৮২), তমস (১৩৯৫ বঙ্গাব্দ, ভীষ্ম সাহানীর উপন্যাসের অনুবাদ)।

উপন্যাস—

হাংরাস (১৯৭৩), কে কোথায় যায় (১৯৭৬)। ‘কমরেড কথা কও'(১৯৯০)।

জীবনী—–

জগদীশচন্দ্র (১৯৭৮), আমাদের সবার আপন ঢোলগোবিন্দের আত্মদর্শন (১৯৮৭), ঢোলগোবিন্দের এই ছিল মনে।
শিশু ও কিশোর সাহিত্য—
নীহাররঞ্জন রায় রচিত বাঙ্গালীর ইতিহাস গ্রন্থের কিশোর সংস্করণ (১৯৫২), অক্ষরে অক্ষরে আদি পর্ব (১৯৫৪), কথার কথা (১৯৫৫), দেশবিদেশের রূপকথা (১৯৫৫), বাংলা সাহিত্যের সেকাল ও একাল (১৯৬৭), ইয়াসিনের কলকাতা (১৯৭৮)।

সম্পাদিত গ্রন্থ—

কেন লিখি (১৯৪৫, বিশিষ্ট বাঙালি সাহিত্যিকদের জবানবন্দী, হিরণকুমার সান্যালের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে রচিত), একসূত্র (১৯৫৫, ফ্যাসিবিরোধী কবিতা সংকলন, গোলাম কুদ্দুসের সঙ্গে যৌথ সম্পাদনা), ছোটদের পুজো সংকলন – পাতাবাহার, বার্ষিক আগামী ইত্যাদি।
সংকলন—–
গদ্যসংগ্রহ (১৯৯৪) by Rupam Ghosh
দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে বঞ্চনা ও অসম্মান অনেক জুটলেও সাহিত্যের অঙ্গনে সম্মানিতই হয়েছিলেন কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায়। ভারতের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সাহিত্য সম্মান সাহিত্য অকাদেমী পুরস্কার পান ১৯৬৪ সালে; ১৯৭৭ সালে অ্যাফ্রো-এশিয়ান লোটাস প্রাইজ; ১৯৮২ সালে কুমারন আসান পুরস্কার; ১৯৮২ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন প্রদত্ত মির্জো টারসান জেড পুরস্কার; ১৯৮৪ সালে আনন্দ পুরস্কার এবং ওই বছরেই পান সোভিয়েত ল্যান্ড নেহরু পুরস্কার ও ১৯৯২ সালে ভারতীয় জ্ঞানপীঠ পুরস্কার। ১৯৯৬ সালে ভারতের সর্বোচ্চ সাহিত্য সম্মাননা সাহিত্য অকাদেমী ফেলোশিপ পান সুভাষ মুখোপাধ্যায়। বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় তাঁকে সম্মানিত করেছিল তাদের সর্বোচ্চ সম্মান দেশিকোত্তম দ্বারা।
৮ জুলাই ২০০৩ সালে তিনি প্রয়াত হন।।

।। তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।

Share This