Categories
কবিতা

আবার এসো মা তুমি :: রাণু সরকার।।

এলে তুমি দেখাদিয়ে গেলে,তোমার লক্ষ্যে কত কিছু ঘটছে কিছুই কি করার শক্তি নেই তুমিতো সবই জানো- তুমি শক্তি দাতা মা- দুর্গতিনাশিনী-
জাতিধর্ম নির্বিশেষে সবাইকে পারলে না তো করতে সবার সাথে সবার মিত্রতা রক্ষা করতে-
তুমি কেমন মা গো সন্তানের কষ্ট দেখে থাকো নিস্তব্ধ?
কোনবারই হয়না আশা পুরণ তুমি তো শক্তির আধার-
কেনো পারো না সবার মুখে ফোটাতে ফুল?

কারুর চোখ সর্বদা অশ্রুসিক্ত
কারুর কাষ্ঠহৃদয় ফেটে চৌচির,
কারুর খিদের জ্বালায় পেটের কিট করে নৃত্য।
দামি পোশাক জোটে যাদের আনন্দে থাকে তারা-

আবার কারুর জোটেনি কিছুই-
তবুও হৃদয়ের ব্যথা চেপে একবার দেখে আসে তোমাকে দালানে গিয়ে।
তোমার কি একটু দয়া হয় না মাগো,
এতো যাদের ব্যথা তাদের প্রতি একটুও কি হয়
তোমার করুণা।

কবে করবে মাগো দুষ্টের দমন? তুমি মা তুমি নারী
তোমার দৃষ্টির সম্মুখে হয় শ্লীলতাহানি তবু তুমি করো না বিনাশ- বারংবার দুষ্টেরা করে জয়লাভ-
ওদের মন যেন হয় পবিত্র অপবিত্রতা করো দূর তা না হলে দূষণ ছড়িয়ে পড়বে ছোট বড় বসার মধ্যে।

তুমি তো চলে যাবে মাগো যাবার আগে কিছু একটা
করে যেও, তোমার শ্রীচরণ ধরে করি মিনতি।

কবে যে থামবে দুষ্টের কোলাহল অপেক্ষায় একা একা কাটে সারাবেলা-
অতীতে তোমার আসার আগে থেকেই আনন্দে থাকতাম মাতোয়ারা কাশফুল শিউলিফুল ওদের সাথে ওদের মধ্যে তুমি তুমি গন্ধ মাখা।
এখন শুধুই হিংস্রেদের নিশ্বাসে নরখাদকের গন্ধ বাতাস ঘঠায় অগ্নিকাণ্ড।

অনেক কষ্ট এই হৃদয়ে- আজ বিশ্ব জুড়ে হাহাকারের ধ্বনি, হঠাৎ করে মৃদু হেসে বলি আবার এসো মা তুমি।

Share This
Categories
কবিতা

আতর বাড়ি :: রাণু সরকার।।

এই মেয়ে, শোন-
কেনোরে তুই, আতর দিয়ে গা ধুয়েছিস?
তোর গায়ের গন্ধে পাড়ায় থাকা দায় হয়েছে-
সবাই করে কানাকানি,এই গন্ধ কি লুকিয়ে রাখা যায়-
রাতবিরেতে দরজা এঁটে থাকবি তুই খাটে সেঁটে।

শোন বাবু, মাটা আমার গেলো মরে,
ছ’মাস পরে গেলো বাপটাও-
বাপের ছিলো টানের রোগ-কাজ ছিলো তার পরের রিক্সা টানা।

চলছিলো বেশ বাপ-বেটিতে,
বাপের আমি ছিলাম চোখের মনি, একা ফেলে গেলো চলে।

জানিস বাবু গভীর রাতে দমকা বাতাস
গন্ধ নিয়ে-ঢোকে আমার দরজা ঠেলে,
রঙবেরঙের ডালপালা সব গুঁতায় তারা ঘাড়ে-পিঠে।

ভোরের আলো ফোটার আগেই দমকা বাতাস পালায় ছুটে-
ভোরের আলো ফুটলে পরে গায়ের ক্ষত জ্বলতে থাকে–

ক্ষতরা সব আমায় দেখে ব্যথায় ব্যথায় দিন যে কাটে,
ভয়ে ভয়ে থাকি রাত যেন আর না আসে
বলতে পারো বাবুমশাই আমার কি দোষ?
কোন পাপেতে ডুবে আছি-
নিয়ে যাবে বাবুমশাই, তোমার বাড়ি?

সব কাজ করে দেবো গিন্নি মাকে-
সব কাজ আমি করতে পারি,
গায়ে আমার ব্যথা-ভীষণ কষ্ট হয়-
তোমার কাছে আমার কষ্ট একটুও কি কষ্ট নয়?

তোমারও তো মেয়ে আছে,
নেবে আমায় বাবুমশাই, তোমার সাথে?

এই বয়সে তোকে নিলে বদনাম হবে-
তুই যেমন আছিস তেমনই থাক-
আসবো না আর বলতে তোকে-
তোকে নিলে আমার বাড়ির নাম যে দেবে আতর বাড়ি।

Share This
Categories
কবিতা

আতর বাড়ি :: রাণু সরকার।।

এই মেয়ে, শোন-
কেনোরে তুই, আতর দিয়ে গা ধুয়েছিস?
তোর গায়ের গন্ধে পাড়ায় থাকা দায় হয়েছে-
সবাই করে কানাকানি,এই গন্ধ কি লুকিয়ে রাখা যায়-
রাতবিরেতে দরজা এঁটে থাকবি তুই খাটে সেঁটে।

শোন বাবু, মাটা আমার গেলো মরে,
ছ’মাস পরে গেলো বাপটাও-
বাপের ছিলো টানের রোগ-কাজ ছিলো তার পরের রিক্সা টানা।

চলছিলো বেশ বাপ-বেটিতে,
বাপের আমি ছিলাম চোখের মনি, একা ফেলে গেলো চলে।

জানিস বাবু গভীর রাতে দমকা বাতাস
গন্ধ নিয়ে-ঢোকে আমার দরজা ঠেলে,
রঙবেরঙের ডালপালা সব গুঁতায় তারা ঘাড়ে-পিঠে।

ভোরের আলো ফোটার আগেই দমকা বাতাস পালায় ছুটে-
ভোরের আলো ফুটলে পরে গায়ের ক্ষত জ্বলতে থাকে–

ক্ষতরা সব আমায় দেখে ব্যথায় ব্যথায় দিন যে কাটে,
ভয়ে ভয়ে থাকি রাত যেন আর না আসে
বলতে পারো বাবুমশাই আমার কি দোষ?
কোন পাপেতে ডুবে আছি-
নিয়ে যাবে বাবুমশাই, তোমার বাড়ি?

সব কাজ করে দেবো গিন্নি মাকে-
সব কাজ আমি করতে পারি,
গায়ে আমার ব্যথা-ভীষণ কষ্ট হয়-
তোমার কাছে আমার কষ্ট একটুও কি কষ্ট নয়?

তোমারও তো মেয়ে আছে,
নেবে আমায় বাবুমশাই, তোমার সাথে?

এই বয়সে তোকে নিলে বদনাম হবে-
তুই যেমন আছিস তেমনই থাক-
আসবো না আর বলতে তোকে-
তোকে নিলে আমার বাড়ির নাম যে দেবে আতর বাড়ি।

Share This
Categories
কবিতা

বিদায় :: রাণু সরকার।।

যাকে ভালোবেসেছিলি তার হাত ধরে গেলি চলে
দুহিতা আমার-
চিরকাল সুখে থাক, এতো ছোট কালে নিলি বিদায়!
আমার ঘরের রত্ন ছিলি তুই,
এখন তুই অন্য ঘরের হোলি, তোর গুণের দ্বারা আশীর্বাদ যেন পাস।
ভেবেছিলাম দেখেশুনে দেবো তোকে তা আর হতে দিলি কই-
এক পরিবার থেকে অন্য পরিবারে মানিয়ে নেওয়া বড্ড কঠিন।
সুখে শান্তিতে থাকিস তনয়ের হাত ধরে,
যখন সময় পাবি- যত আছে দুঃখ জ্বালা ফেলে যাস্ আমাদের ঘরে।
ওখানে যে রাখতে নেই দুহিতা আমার মনে রাখিস।
ওটা এখন তোর শশুড়ের ঘর মনে যেন থাকে-
এলি যখন বিলম্ব না করে চলে যা দ্রুত-
আমি আর পারছি না সইতে তোর জ্বালা, বিলম্ব করলে দণ্ড দেবে তোকে।
কেনো রাখবো তোকে ধরে ওরা যে ডাকছে তোকে-
তোর কাছে রইল রাখা প্রাণাধিক ভালোবাসা। কাতরোক্তি এসে এসে যাস্ দিয়ে,
চোখের জল রাখার পাত্র রেখেছি হৃদয়ে গোপনে
যখন ইচ্ছে হবে নিজে হাতে খুলে রেখে যাস্ করবোনা বারন।
আমার থেকে কিছু হাসি,আনন্দ, সুখ,শান্তি নিয়ে যাস্ তোর শশুড় ঘরে।
সুখে থাক তাহাদের নিয়ে যা কিছু নিয়ে গেলি ভালো তাহাদের মধ্যে দিস বিলিয়ে।

Share This
Categories
কবিতা

বেঁচে থেকে মৃত্যু : রাণু সরকার।।

মৃত্যু হলে নাকি সব শেষ হয়ে যায়-
সত্যিই কি তাই হয়?
তাহলে দাহ করে এসে তার স্মৃতিচারণ কেনো করি?
ঐন্দ্রজালে সৃষ্ট মায়াকানন তাই বিচরণ করি
এ জগত্ প্রপঞ্চময় সবই মিথ্যা-
ব্রহ্মই শুধু সত্য।
এই মায়াজালের মধ্যে আছে স্নেহ মমতা প্রভৃতির বন্ধন-

আমার দেখা কিছু মৃত্যু মানুষ কিভাবে যে হেঁটে চলে বেড়াচ্ছে,আমার কিছু বলার ভাষা নেই,
ওদের দেখে দেখে মনে হয় আমিও ওদের মতো,
আসলে এমনটা হওয়াই স্বাভাবিক।
ঐন্দ্রজালে জড়িয়ে আছি যে- উপলব্ধি করি না বা করার ক্ষমতা নেই- সবকিছুই ভুলে আছি মিথ্যায়।

আমার সাথে কথা বলে হাসে আবার কখনো কাঁদে আবার কখনো একান্তে নীরব স্থানে বসে ফুপিয়ে ফুপিয়ে কাঁদে আসলে তাদের হৃদয়ের মৃত্যু হয়েছে,
তাই মৃত্যুই শেষ কথা নয়-
বেঁচে থেকে মৃত্যু হলে আসল মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাওয়া মন্থর গতিতে, এ মৃত্যু বড্ড ভয়ঙ্কর ধুঁকে ধুঁকে মরা, এটা একটা গভীর অন্ধকার জগৎ আলোতে আসার কোন পথ পায় না এরা খুঁজে।

Share This
Categories
রিভিউ

উদ্বেগ কমানোর টিপস।

উদ্বেগ অপ্রতিরোধ্য হতে পারে, দৈনন্দিন জীবন এবং মানসিক সুস্থতাকে প্রভাবিত করে। উদ্বেগ পরিচালনা এবং কমাতে সাহায্য করার জন্য এখানে কিছু মূল্যবান টিপস রয়েছে:

*১. গভীর শ্বাসের ব্যায়াম*

– ডায়াফ্রাম্যাটিক শ্বাস: আপনার নাক দিয়ে গভীরভাবে শ্বাস নিন, ধরে রাখুন, আপনার মুখ দিয়ে ধীরে ধীরে শ্বাস ছাড়ুন
– 4-7-8 কৌশল: 4 সেকেন্ডের জন্য শ্বাস নিন, 7 ধরে রাখুন, 8-এর জন্য শ্বাস ছাড়ুন

*২। শারীরিক কার্যকলাপ*

– নিয়মিত ব্যায়াম: হাঁটা, জগিং, যোগব্যায়াম বা নাচ
– এন্ডোরফিন মুক্তি দেয়, প্রাকৃতিক মেজাজ-বুস্টার

*৩. মননশীলতা ধ্যান*

– বর্তমান মুহুর্তে ফোকাস করুন
– গাইডেড মেডিটেশন বা হেডস্পেস বা শান্ত মত অ্যাপ

*4. প্রগতিশীল পেশী শিথিলকরণ*

– বিভিন্ন পেশী গ্রুপকে টান এবং শিথিল করুন (কাঁধ, বাহু, পা)
– শারীরিক উত্তেজনা কমায়

*5. গ্রাউন্ডিং কৌশল*

– পাঁচটি ইন্দ্রিয়ের উপর ফোকাস করুন: দর্শনীয় স্থান, শব্দ, গন্ধ, স্বাদ, টেক্সচার
– উদ্বেগজনক চিন্তা থেকে বিচ্ছিন্ন হতে সাহায্য করে

*6. জার্নালিং*

– উদ্বেগ এবং চিন্তা লিখুন
– প্রক্রিয়া এবং আবেগ মুক্তি

*7. সামাজিক সহায়তার সন্ধান করুন*

– বন্ধু, পরিবার বা একজন থেরাপিস্টের সাথে কথা বলুন
– অনুভূতি শেয়ার করুন এবং সমর্থন পান

*8। স্বাস্থ্যকর ঘুমের অভ্যাস*

– একটি সামঞ্জস্যপূর্ণ ঘুমের সময়সূচী স্থাপন করুন
– ঘুমানোর আগে ক্যাফেইন এবং ইলেকট্রনিক্স এড়িয়ে চলুন

*9. সুষম পুষ্টি*

– ওমেগা-৩ সমৃদ্ধ খাবার: স্যামন, আখরোট, চিয়া বীজ
– জটিল কার্বোহাইড্রেট: পুরো শস্য, ফল, সবজি

*10। শিথিলকরণ কৌশল*

– ভিজ্যুয়ালাইজেশন: শান্তিপূর্ণ পরিস্থিতি কল্পনা করুন
– মন-শরীরের ভারসাম্যের জন্য যোগ বা তাই চি

*১১। সীমানা নির্ধারণ করুন*

– কাজগুলিকে অগ্রাধিকার দিন এবং “না” বলতে শিখুন
– কাজের চাপ এবং দায়িত্ব পরিচালনা করুন

*12। আত্ম-সহানুভূতি অনুশীলন করুন*

– দয়া এবং বোঝার সাথে নিজেকে ব্যবহার করুন
– স্বীকার করুন এবং আবেগ গ্রহণ করুন

মনে রাখবেন, দুশ্চিন্তা নিয়ে সবার যাত্রা অনন্য। আপনার জন্য সবচেয়ে ভাল কাজ করে তা খুঁজে বের করতে এই টিপস দিয়ে পরীক্ষা করুন। উদ্বেগ অব্যাহত থাকলে, একজন মানসিক স্বাস্থ্য পেশাদারের সাথে পরামর্শ করুন।

Share This
Categories
অনুগল্প গল্প

দ্য মেলোডি অফ এভার।

আভা, একজন লাজুক সঙ্গীত শিক্ষক, পৃথিবীতে তার স্থান খুঁজে পেতে সংগ্রাম করেছেন। গানের প্রতি তার আবেগ মঞ্চের ভীতি দ্বারা ছাপিয়ে গিয়েছিল।

ইথান, একজন প্রাক্তন রকস্টার, স্পটলাইট এড়াতে ছোট-শহর উইলো ক্রিকে পিছু হটে।

এক দুর্ভাগ্যজনক সন্ধ্যায়, ইথানের গানের দোকানের বাইরে আভার গাড়ি ভেঙে পড়ে।

যেহেতু ইথান আভাকে তার গাড়ি মেরামত করতে সাহায্য করেছিল, তাদের মিউজিকের প্রতি ভাগ করা ভালবাসা একটি সংযোগের জন্ম দেয়।

ইথান, আভার প্রতিভা এবং দয়ার প্রতি আকৃষ্ট হয়ে, তাকে তার মঞ্চের ভীতি কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করার প্রস্তাব দেয়।

একসাথে, তারা নিখুঁত সিঙ্কে সুরেলা করেছে, তাদের কণ্ঠ একটি জাদুকরী সুর বুনছে।

ইথানের নির্দেশনায় আভা আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠে।

তাদের বন্ধন গভীর হওয়ার সাথে সাথে ইথান তার অতীতের দানবদের মুখোমুখি হয়েছিল।

আভার ভালবাসা এবং সমর্থন ইথানকে মুক্তি পেতে সাহায্য করেছিল।

তাদের প্রেমের গল্প দ্বিতীয় সুযোগের সিম্ফনি হয়ে ওঠে।

_ উপসংহার_

বহু বছর পরে, আভা এবং ইথানের সঙ্গীত বিদ্যালয়ের উন্নতি ঘটে। হাতে হাত মিলিয়ে তারা স্থানীয় অনুষ্ঠানে পারফর্ম করে।

যুগে যুগে তাদের প্রেমের গান প্রতিধ্বনিত হয়েছে।

Share This
Categories
অনুগল্প গল্প

একটি নির্বিঘ্ন এনকাউন্টার।

সামান্থা, একজন মুক্ত-প্রাণ শিল্পী, অনুপ্রেরণার জন্য প্যারিসে ভ্রমণ করেছিলেন। মন্টমার্টারের মনোমুগ্ধকর রাস্তাগুলি অন্বেষণ করে, তিনি একটি অদ্ভুত বইয়ের দোকানে হোঁচট খেয়েছিলেন।

ভিতরে, একই বইয়ের জন্য পৌঁছানোর সময় তিনি একজন সুদর্শন অপরিচিত আলেকজান্ডারের সাথে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন।

ক্ষমাপ্রার্থী, তারা একটি কথোপকথন শুরু করে, শিল্প, সাহিত্য এবং জীবনের জন্য ভাগ করা আবেগ আবিষ্কার করে।

যখন তারা একসাথে প্যারিসের মধ্য দিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছিল, সামান্থা নিজেকে আলেকজান্ডারের উদারতা এবং অন্তর্দৃষ্টিপূর্ণ প্রকৃতির দ্বারা মুগ্ধ করেছিল।

আলেকজান্দ্রে, একজন লেখক, সামান্থার সৃজনশীলতা এবং জীবনের জন্য উদ্দীপনা দ্বারা প্রভাবিত হয়েছিলেন।

সিটি অফ লাইট এর জাদুকরী পটভূমিতে তাদের ঘূর্ণিঝড় রোম্যান্স প্রকাশ পেয়েছে।

সামান্থার প্রস্থান হওয়ার সাথে সাথে আলেকজান্ডার তার ভালবাসার কথা স্বীকার করেন।

সামান্থা বুঝতে পেরেছিল যে সে তার আত্মাকে খুঁজে পেয়েছে।

একসাথে, তারা আটলান্টিকের সেতুবন্ধন করেছে, শিল্প, প্রেম এবং নির্মলতায় ভরা একটি জীবন তৈরি করেছে।

_ উপসংহার_

বহু বছর পরে, আলেকজান্ডার সামান্থাকে একই বইয়ের দোকানে নিয়ে আসেন, এক হাঁটুতে নেমে পড়েন এবং তার স্বীকারোক্তির পুনরাবৃত্তি করেন।

সামান্থা হাসল, তাদের প্রেমের গল্প মাত্র শুরু।

Share This
Categories
অনুগল্প গল্প

অসম্ভাব্য পুনর্মিলন।

এমিলি, নিউ ইয়র্ক সিটির একজন সফল ইভেন্ট পরিকল্পনাকারী, প্রেম ছেড়ে দিয়েছিলেন। তার কর্মজীবনে ফোকাস তার জীবনকে গ্রাস করেছিল যতক্ষণ না সে তার নিজের শহরে তার হাই স্কুল পুনর্মিলনের আমন্ত্রণ পায়।

পুনর্মিলনীতে পৌঁছে, এমিলি তার উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রিয়তমা জ্যাককে দেখে অবাক হয়েছিল। স্নাতক শেষ করার পর তারা আলাদা হয়ে গিয়েছিল, প্রত্যেকে আলাদা আলাদা পথ অনুসরণ করেছিল।

তাদের অপ্রত্যাশিত সাক্ষাৎ পুরানো অনুভূতির জন্ম দিয়েছে। তারা তাদের অতীতের কথা মনে করিয়ে দেওয়ার সাথে সাথে এমিলি বুঝতে পেরেছিল যে জ্যাকের সাথে তার সংযোগ দৃঢ় রয়েছে।

জ্যাক, এখন একক পিতা, বিবাহবিচ্ছেদের পর তাদের নিজ শহরে ফিরে এসেছিলেন। তার মেয়ে লিলি ছিল তার জীবনের আলো।

এমিলি জ্যাক এবং লিলির সাথে সপ্তাহান্তে কাটিয়েছে, তাদের সাথে তার বন্ধনকে আবার জাগিয়েছে। তিনি বাবা হিসাবে জ্যাকের দয়া, মমতা এবং ভক্তি আবিষ্কার করেছিলেন।

পুনর্মিলন শেষ হওয়ার সাথে সাথে, এমিলি একটি পছন্দের মুখোমুখি হয়েছিল: NYC-তে তার ব্যস্ত জীবনে ফিরে যান বা জ্যাকের সাথে আবার প্রেমের সুযোগ নিন।

এমিলি প্রেম বেছে নিলেন।

একসাথে, তারা তাদের জীবনকে মিশ্রিত করার চ্যালেঞ্জগুলি নেভিগেট করেছে। এমিলি লিলির কাছে একজন প্রেমময় অংশীদার এবং মা হয়ে ওঠেন।

তাদের প্রেমের গল্প উন্মোচিত হয়েছে, হাসি, দুঃসাহসিকতা এবং গভীর সংযোগে ভরা।

*এপিলগ*

কয়েক বছর পরে, এমিলি এবং জ্যাক তাদের বারান্দায় বসেছিল, হাত ধরে। লিলি, এখন বড়, তাদের দিকে কৃতজ্ঞতার সাথে হাসল।

এমিলি বুঝতে পেরেছিল যে জ্যাকের সাথে পুনরায় মিলিত হওয়া প্রেমের দ্বিতীয় সুযোগের চেয়ে বেশি – এটি তার নিয়তি।

Share This
Categories
কবিতা

কোথায় পাবো তারে :::: প্রবীর কুমার চৌধুরী।।।

মস্তিকের কোষে কোষে প্রবাহিত তরঙ্গ,
জীবনযুদ্ধে কালজয়ের আহবান,
পৃথিবী কক্ষপথে ঘুরতে ঘুরতে একদিন কৃষ্ণ গবাক্ষে প্রস্থান,
রুদ্ধ নিঃশ্বাসে পূর্ণ বিষাক্ত বায়ুমণ্ডল , আজ এই কালবেলায়।

বিসর্জনের ডুলি ভরা ঢাকের কান্না নীল কণ্ঠ পাখির চোখেও-
নিরঞ্জনে দুঃখহীন আনন্দের স্রোতে অশ্লীল নীল জল,
বুকেতে জ্যোৎস্না লুকিয়ে এতযে উৎশৃঙ্খল মিলন সঙ্গম-
তুমি সতী পতিহীনা পরকিয়ায় সিঁদুর গ্রহণ।

উন্মত্ত ,ক্ষিপ্ত এলোকেশী রক্ত রাঙানো একহাত জিভ,
বুক স্পর্শ পদতলে সর্বনাশের লজ্জায় মরণ। তবুও সময় –
অবৈধতায় উত্থাল,পাথাল , মরে গেছে লজ্জাস্মরণ,
ইতিহাস রচে কলম কারিগর পাতায়,পাতায় অষ্ট প্রহর।

এখনও উপোস বাহাত্তুরে থুত্থুরে, বুকেতে স্নেহ,
ঘর, গৃহস্থলী হৃদয়ে রক্ষিত ,বারব্রত মঙ্গল ঝরায়।
শতযোনি ছিন্নভিন্ন লুক্কাইয়িত খুশি মেখে, মেখে ,
ক্ষমাহীন আগামী,অপ্রতিহত উদগ্র, হিংস্র উত্তরাধিকার …।

সংরক্ষিত/প্রবীর কুমার চৌধুরী।

Share This