Categories
প্রবন্ধ

সুশান্ত সিং রাজপুত – তাঁর আকালে চলে যাওয়া ভক্তরা আজও মেনে নিতে পারেনি- প্রয়াণ দিবসে শ্রদ্ধাঞ্জলি।

সূচনা—-

সুশান্ত সিং রাজপুত একজন সুখ্যাতিমান, দক্ষ, প্রতিভাবান ভারতীয় চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন অভিনেতা, নৃত্যশিল্পী, টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব, উদ্যোক্তা এবং একজন লোকহিতৈষী ছিলেন। সুশান্ত, টেলিভিশন ধারাবাহিকে কাজ করার মধ্যে দিয়ে তাঁর অভিনয় জীবন শুরু করেছিলেন।

 

জন্ম ও শিক্ষা জীবন —

 

সুশান্ত ১৯৮৬ সালের ২১শে জানুয়ারি তারিখে ভারতের বিহারের পাটনায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তার বাবা ছিলেন একজন সরকারি কর্মচারী। তাঁর পৈতৃক বাড়ি বিহারের পূর্ণিয়া জেলায় অবস্থিত। তার এক বোন, মিতু সিং রাজ্য পর্যায়ের একজন ক্রিকেটার। ২০০২ সালে তার মায়ের মৃত্যু ঘটে।
সুশান্ত পাটনার সেন্ট কারেন উচ্চ বিদ্যালয় এবং নতুন দিল্লির কুলাচি হাঁসরাজ মডেল স্কুল হতে তার স্কুল জীবনের শিক্ষা সম্পন্ন করেছিলেন। তিনি ২০০৩ সালে ডিসিই প্রবেশিকা পরীক্ষায় সপ্তম স্থান অর্জন করেছিলেন এবং তিনি দিল্লি প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের যন্ত্র প্রকৌশল বিভাগে ভর্তি হন।এছাড়াও তিনি পদার্থবিজ্ঞানে জাতীয় অলিম্পিয়াড বিজয়ীও ছিলেন। সর্বোপরি তিনি ভারতীয় খনি বিদ্যাপীঠের জন্য প্রায় ১১টি প্রকৌশল প্রবেশিকা পরীক্ষা দিয়েছিলেন; যার সবগুলোতে তিনি উত্তীর্ণ হয়েছিলেন। মঞ্চ এবং নৃত্যে অংশগ্রহণ করার ফলে, তিনি তার পড়াশুনার জন্য খুব কমই সময় পেতেন, যার ফলস্বরূপ তিনি বেশ কয়েকটি ব্যাকব্লগের সম্মুখীন হয়েছিলেন, যার ফলে শেষ পর্যন্ত তাকে ডিসিই ছেড়ে দিতে হয়েছিল।অভিনয়ের জীবনে প্রবেশ করার পূর্বে, তিনি তার চার বছরের কোর্সের শুধুমাত্র তিন বছর পূর্ণ করেছিলেন। তিনি নাট্যপরিচালক ব্যারি জনের নাটকের ক্লাসেও অংশগ্রহণ করেছিলেন।

২০০৮ সালে রাজপুত বালাজি টেলিফিল্মস প্রযোজিত কিস দেশ মে হ্যায় মেরা দিল ধারাবাহিকে প্রিত জুনেজার চরিত্রে অভিনয় করেন। ২০০৯ সালে তিনি পবিত্র রিস্তা ধারাবাহিকে মানব দেশমুখের চরিত্রে অভিনয় করেন। ২০১০ সালে তিনি ড্যান্স আপাতবাস্তব টেলিভিশন অনুষ্ঠান ঝলক দিখলা জা ২-এ মস্ত কলন্দর বয়েজ টিমে অংশগ্রহণ করেন।
২০১০ সালে তিনি ঝলক দিখলা যা ৪-এ অংশগ্রহণ করে “মোস্ট কনসিস্টেন্ট পারফর্মার” পুরস্কার পান।

 

অভিনয় ও কর্ম জিবন—

 

২০১৩ সালে, সুশান্ত বন্ধুকেন্দ্রিক নাট্য-চলচ্চিত্র কাই পো চে!-তে ইশান ভট্ট চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে চলচ্চিত্রে জগতে পদার্পণ করেছিলেন; যার জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ নবাগত অভিনেতা বিভাগে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার এবং শ্রেষ্ঠ নবাগত অভিনেতা বিভাগে জি সিনে পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন গ্রহণ করেছিলেন। অতঃপর ২০১৩ সালে, তিনি প্রণয় ও কৌতুকধর্মী চলচ্চিত্র শুধ দেশী রোমান্স রঘু রাম এবং ২০১৫ সালে অ্যাকশন ও গোয়েন্দা ভিত্তিক চলচ্চিত্র ডিটেকটিভ ব্যোমকেশ বক্সী-তে গোয়েন্দা চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। তার অভিনীত চলচ্চিত্রের মধ্যে সর্বাধিক অর্থ-উপার্জন করা চলচ্চিত্র, ২০১৪ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র পিকে; যেখানে তিনি আমির খান, অনুষ্কা শর্মা এবং বোমান ঈরানীর মতো অভিনয়শিল্পীদের সাথে পার্শ্বচরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। অতঃপর ২০১৬ সালে, তিনি ভারতীয় ক্রিকেটার মহেন্দ্র সিংহ ধোনির জীবনী নিয়ে নির্মিত চলচ্চিত্র এম.এস. ধোনি: দ্য আনটোল্ড স্টোরি-তে কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন;

 

(এম.এস. ধোনি : দ্য আনটোল্ড স্টোরি হল নিরাজ পাণ্ডে পরিচালিত একটি বলিউডের জীবনী মূলক চলচ্চিত্র। চলচ্চিত্রটি যৌথভাবে প্রযোজনা করেছে হৃতি স্পোর্টস ম্যানেজমেন্ট, ইন্সপ্রাইড এন্টারটেইনমেন্ট এবং আদর্শ টেলিমিডিয়া। চলচ্চিত্রটি নির্মিত হয়েছে ভারতীয় জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক ও সাবেক ক্রিকেটার মহেন্দ্র সিং ধোনির জীবনীর উপর ভিত্তি করে। সুশান্ত সিং রাজপুত চলচ্চিত্রের প্রধান চরিত্র ধোনির ভূমিকায় অভিনয় করেন। এছাড়াও পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয় করেছেন কিয়ারা আদভানি, হ্যারি তেঙ্গরি, অনুপম খের, রাজেশ শর্মা এবং ভূমিকা চাওলা।)

 

এম.এস. ধোনি: দ্য আনটোল্ড স্টোরি-তে কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করে তিনি প্রথমবারের মতো শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে ফিল্মফেয়ার পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন গ্রহণ করেছিলেন। অতঃপর সুশান্ত ২০১৮ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত কেদারনাথ এবং ২০১৯ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ছিছোড়ের মতো বাণিজ্যিকভাবে সফল চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছিলেন।
ভারত সরকারের নীতিনির্ধারক ধারণা নীতি আয়োগ, মহিলা উদ্যোক্তা মাধ্যম (ডাব্লিউইপি) প্রচার করার জন্য তার সাথে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল।অভিনয় এবং চলমান ইনসায়েই উদ্যোগ ছাড়াও, তরুণ শিক্ষার্থীদের সহায়তার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে তিনি সুশান্ত৪এডুকেশন-এর মতো বিভিন্ন কার্যক্রমের সাথে সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলেন।

 

সুশান্ত সিং রাজপুতের ১০টি চিরস্মরণীয় গান যা আজীবন আপনার মন ছুঁয়ে যাবে।

 

১) মাঞ্জা

কাই পো চে’ ছবির এই গানটির সংগীত পরিচালনা করেছেন স্বনান্দ কিরকিরে। মহান কানন এবং অমিত ত্রিবেদির গলায় এই গানটি নতুন করে বাঁচার অনুপ্রেরণা যোগায়।

 

২) খেরিয়াত

ছিছরে ছবির এই গানটিতে গলা মিলিয়েছেন অরিজিৎ সিং। গানটি প্রকাশ পাওয়ার পরেই এই গানটি সবার প্লেলিস্টে জায়গা করে নিয়েছে।

 

৩) কাফিরানা

কেদারনাথ ছবির এই গানটিতে একসাথে গলা মিলিয়েছেন অরিজিত সিং এবং নিকিতা গান্ধী। গানের কথা এবং সুর অশান্ত মন কে শান্ত করে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে।

 

৪) মে তেরা বয়ফ্রেন্ড

রাবটা ছবির এই গানটিতে সুশান্তের নাচ দর্শকদের মন কেড়ে নিয়েছিল। পাশাপাশি কৃতি সানন এবং সুশান্তের যুগলবন্দী গানের কথা এবং সুর এটাকে একটি পারফেক্ট পার্টি সং বানিয়ে দেয়।

৫) যব তাক

এম এস ধোনি দ্য আনটোল্ড স্টোরি ছবির এই গানটি মানুষকে যেন বারবার প্রেমে পড়তে বাধ্য করে। গানটি গেয়েছেন আরমান মালিক এবং গানটির সুর দিয়েছেন আমান মালিক।

 

৬) শুভআরম্ভ

কাই পো চে’ ছবির এই গানটি বিখ্যাত হয়। সুতি পাঠক এবং দিব্যা কুমার এই গানটি গেয়েছেন। গানটিতে সুর দিয়েছেন অমিত ত্রিবেদী এবং গানটির কথা স্বনান্দ কিরকিরের। মুক্তি পাওয়ার পর থেকেই বিশেষ সব অনুষ্ঠানেই এই গানটি আকছার শোনা যায়।

 

৭) গুলাবি

শুদ্ধ দেশি রোমান্স’ সিনেমার এই গানটি ছিল একটি লিরিক্যাল ট্রিট। বহুদিন পর্যন্ত এই গানটি সবার ফোনের প্লেলিস্টটি একটি বাঁধাধরা জায়গা করে নিয়েছিল

৮) কৌন তুঝে

পালাক মুছাল এর গাওয়া এই গানটি এখনো পর্যন্ত সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরপাক খায়। এই গানটি ছিল বলিউড ইন্ডাস্ট্রি একটা মাইলস্টোনের মত। গানটির সুর এবং কথা সবার মন জয় করে নেয়।

 

৯) নমো নমো

কেদারনাথ ছবির এই গানটি সরাসরি ভারতীয় দর্শকদের মনের সাথে যুক্ত হয়ে যায়। গানটির ছবিতে দৃশ্যায়ন মানুষকে মুগ্ধ করে।অরিজিত সিং অমিত ত্রিবেদী এবং সুশান্ত সিং তিনজনের যুগলবন্দীতে গানটি একটি মাইলস্টোন হয়ে ওঠে।

১০) তেরে মেরে বিচ মে

শুদ্ধ দেশি রোমান্স’ মেমারি এই গানটায় সুশান্তের সাথে পরিনীতি চোপড়ার কেমিস্ট্রি দর্শকদের মন জয় করে দিয়েছিল। এই গানটি ও বেশ হিট হয়।

 

মৃত্যু—

৩৪ বছর বয়সী সুশান্ত সিং রাজপুতকে ২০২০ সালের ১৪ জুন, মুম্বাইয়ের বান্দ্রায় নিজের বাড়িতে সিলিং ফ্যানের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় তার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয় । তার মৃত্যুতে আলোড়িত হয়েছিলো গোটা দেশ।

Share This
Categories
রিভিউ

আজ ১৫ জুন, ইতিহাসের দিকে চোখ বুলিয়ে দেখে নেব ইতিহাসের এই দিনে বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু, দিনসহ ঘটে যাওয়া ঘটনা।

আজ ১৫ জুন। এক নজরে দেখে নিই ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু দিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

 

দিবস—–

 

(ক) বিশ্ব বায়ু দিবস।

 

আজ যাদের জন্মদিন—-

১৮৭৮ – মারগারেট অ্যাবট মার্কিন গল্ফ খেলোয়াড়, আমেরিকার প্রথম অলিম্পিক চ্যাম্পিয়ান।

 

১৮৮৪ – তারকনাথ দাস, ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের বিপ্লবী নেতা এবং একজন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বুদ্ধিজীবী।

 

১৮৯৯ – দেবীপ্রসাদ রায়চৌধুরী, ভারতীয় ভাস্কর,চিত্রশিল্পী এবং ললিত কলা একাডেমীর প্রতিষ্ঠাতা-সভাপতি ।

 

১৯১৫ – নোবেলজয়ী (১৯৫৪) মার্কিন চিকিৎসক টমাস ওয়েলার।

 

১৯১৬ – নোবেলজয়ী (১৯৭৮) মার্কিন অর্থনীতিবিদ হার্বটি আলেকজান্ডার।

 

১৯৩৩ – কাজী মুতাসিম বিল্লাহ, বাংলাদেশি দেওবন্দি ইসলামি পণ্ডিত।

 

১৯৩৭ – লেখক শামসুজ্জামান খান।

১৯৩৮ – বিদিত লাল দাস, বাংলাদেশী বাউল গায়ক ও সুরকার।

 

১৯৫২ – শাবানা, বাংলাদেশি অভিনেত্রী।

১৯৭০- বাংলাদেশের টেলিভিশন জগতের একসময়ের দারুণ জনপ্রিয় অভিনেতা লিটু আনাম।

১৯৮২ – আব্দুর রাজ্জাক, বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের অন্যতম খেলোয়াড়।

 

ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনের ঘটনাবলী—-

১২১৫ – ইংল্যান্ডের রাজা জন ব্যারনদের চাপে ম্যাগনা কার্টা ( অধিকার সনদে) স্বাক্ষর করেন ।

১৭০৮ – বৃটিশ শাসন থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আন্দোলনরত স্কটল্যান্ডের স্বাধীনতাকামীদেরকে কঠোরভাবে দমন করা হয়।

১৭৫২ – আমেরিকার বিজ্ঞানী বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিন ঘুড়ির সাহায্যে বিদ্যুতের অস্তিত্ব প্রমাণ করেন।

১৭৫৯ – আওরঙ্গজেব আনুষ্ঠানিকভাবে আগ্রার সিংহাসনে আরোহণ করেন।

১৮০৮ – জোসেফ বোনাপার্ট স্পেনের রাজা হিসেবে অভিষিক্ত হন।

১৮৩৬ – যুক্তরাষ্ট্রের আরকানসাস ২৫তম রাজ্য হিসেবে স্বীকৃতি পায়।

১৮৪৮ – জার্মানীর চ্যান্সেলর বিসমার্ক বিখ্যাত ও ঐতিহাসিক বার্লিন শহরকে রাজধানী হিসাবে ঘোষণা করেন।

১৮৫৪ – কলকাতায় ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির উদ্যোগে প্রেসিডেন্সি কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়।

১৮৫৫ – ব্রিটেনে সংবাদপত্রের উপর থেকে কর তুলে দেওয়া হয়।

১৮৯৬ – জাপানে ভূমিকম্প ও জলোচ্ছ্বাসে ২৭ হাজার নিহত।

১৯০৪ – নিউইয়র্কে জাহাজ ডুবে ১২ হাজার পর্যটকের মৃত্যু।

১৯০৮ – কলকাতা স্টক এক্সচেঞ্জ চালু হয়।

১৯৪১ – নাৎসি বাহিনীর হাতে প্যারির পতন ঘটে।

১৯৬০ – বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত হয়।

১৯৭৭ – দীর্ঘ ৪০ বছর পর স্পেনে প্রথম সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।

১৯৭৮ – জর্ডানের বাদশা হোসেন আমেরিকান লিসা হালাবিকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর তিনি নুর নাম গ্রহণ করেন। তখন থেকেই তিনি রানি নুর হিসেবে পরিচিত।

১৯৭৯ – পরমাণু অস্ত্র সীমিতকরণ সংক্রান্ত স্ট্রাটেজিক আর্মস্‌ লিমিটেশন টকস্‌ সংক্ষেপে “সল্ট-দুই” চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

১৯৮২ – রংপুর, যশোর ও কুমিল্লায় হাইকোর্ট স্থাপন।

১৯৯৩ – বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি আনুষ্ঠানিকভাবে ভেঙে যায়।

১৯৯৪ – ইসরায়েল এবং ভ্যাটিকান সিটির মধ্যে পূর্ণ কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়।

 

এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন যারা—-

১৩৮৯ – প্রথম মুরাদ, উসমানীয় সুলতান।

১৮৪৯ – জেমস কে. পোক, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একাদশ রাষ্ট্রপতি।

 

১৯৭০ – রবার্ট মরিসন ম্যাকাইভার, একজন স্কটীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন সমাজবিজ্ঞানী।

১৯৭১ – ওয়েন্ডেল মেরেডিথ স্ট্যানলি ১৯৪৬ সালে নোবেলজয়ী মার্কিন রসায়নবিদ এবং ভাইরাসবিদ।

১৯৮৬ – ভারতে বিপ্লবী সমাজতন্ত্রী দলের (R.S.P.) অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা-সদস্য তারাপদ লাহিড়ী।

 

১৯৮৮ – রথীন্দ্রকান্ত ঘটক চৌধুরী, প্রাবন্ধিক, রবীন্দ্র গবেষক এবং সমাজ কর্মী।

১৯৯১ – আর্থার লিউইস, অর্থনীতিবিদ।

১৯৯৫ – জন ভিনসেন্ট আটানসফ, বুলগেরীয় বংশোদ্ভুত একজন মার্কিন পদার্থবিদ।

 

২০০৯ – অমলেন্দু চক্রবর্তী, প্রখ্যাত বাঙালি ঔপন্যাসিক, ছোটগল্পকার এবং প্রাবন্ধিক।

 

২০১৩ – কেনেথ জি উইলসন, মার্কিন তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানী।

 

২০১৪ – রেজাউল বারী ডিনা, বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ।

 

২০২০ – বদর উদ্দিন আহমেদ কামরান, রাজনীতিবিদ, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রথম নির্বাচিত মেয়র।

 

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

আজ বিশ্ব বায়ু দিবস, জানুন কেন পালিত হয় এবং পালনের গুরুত্ব।।

বিশ্ব বায়ু দিবস প্রতি বছর ১৫ জুন পালিত হয় বায়ু শক্তির তাৎপর্য এবং শক্তির একটি বিশুদ্ধতম রূপ হিসাবে এর গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করার জন্য।
বিশ্ব বায়ু দিবস উদযাপনের পিছনে অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্য হল বায়ু শক্তি সংগ্রহের সুবিধা সম্পর্কে মানুষকে শিক্ষিত করা।  ক্ষতিকারক গ্রিন হাউস গ্যাস নির্গমন কমানো থেকে শুরু করে জলবায়ু পরিস্থিতির উন্নতি।  বায়ু শক্তির ব্যবহার টেকসই ভবিষ্যত নিশ্চিত করার পাশাপাশি আমাদের অনেক উপায়ে সাহায্য করে।
বিশ্ব বায়ু দিবসে বায়ু শক্তির ইতিবাচক পরিবেশগত প্রভাব তুলে ধরতে বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন কার্যক্রম, কর্মশালা, সম্মেলন, সেমিনার এবং ইভেন্টের আয়োজন করা হয়।
বিশ্ব বায়ু দিবসের স্বীকৃতি শুধুমাত্র টেকসই শক্তি অনুশীলনকে উৎসাহিত করে না বরং জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াই করতেও সাহায্য করে।

গ্লোবাল উইন্ড ডে বা বিশ্ব বায়ু দিবস হল একটি বিশ্বব্যাপী ইভেন্ট। এটি উইন্ডইউরোপ এবং GWEC (গ্লোবাল উইন্ড এনার্জি কাউন্সিল) দ্বারা আয়োজিত হয়।  এটি এমন একটি দিন যখন বায়ু শক্তি উদযাপন করা হয়, তথ্যের আদান-প্রদান করা হয় এবং প্রাপ্তবয়স্ক এবং শিশুরা বায়ু শক্তি, এর শক্তি এবং বিশ্বকে পরিবর্তন করার সম্ভাবনা সম্পর্কে জানতে পারে।  EWEA এবং GWEC এর সহযোগিতায়, জাতীয় বায়ু শক্তি সমিতি এবং বায়ু শক্তি উৎপাদনের সাথে জড়িত কোম্পানিগুলি বিশ্বের অনেক দেশে ইভেন্টের আয়োজন করে।  ২০১১ সালে, 4টি মহাদেশে 30টি দেশে ইভেন্ট সংগঠিত হয়েছিল।  ইভেন্টগুলির মধ্যে রয়েছে উপকূলীয় এবং উপকূলীয় বায়ু খামার পরিদর্শন, তথ্য প্রচার, শহরগুলিতে প্রদর্শনী টারবাইন স্থাপন, বায়ু কর্মশালা এবং একটি বায়ু কুচকাওয়াজ।  গ্লোবাল উইন্ড ডে (১৫ জুন) নিজেই অনেক ঘটনা ঘটেছে, তবে তার আগের দিন এবং সপ্তাহগুলিতেও ঘটনা ঘটেছে।  ২০১২ সালে বিশ্বজুড়ে ২৫০টি ইভেন্ট ছিল এবং একটি খুব জনপ্রিয় ফটো প্রতিযোগিতা ছিল।

বিশ্ব বায়ু দিবস পর্যবেক্ষণের ইতিহাস—

 

 

ইউরোপিয়ান উইন্ড এনার্জি অ্যাসোসিয়েশন (EWEA) দ্বারা 2007 সালে প্রথম বায়ু দিবসের আয়োজন করা হয়েছিল কিন্তু এটি শুধুমাত্র 2009 সালে ছিল যে EWEA গ্লোবাল উইন্ড এনার্জি কাউন্সিল (GWEC) এর সাথে মিলিত হয়েছিল এবং এটিকে একটি বিশ্বব্যাপী ইভেন্টে পরিণত করেছিল।  উদ্দেশ্য ছিল বিশ্বজুড়ে মানুষকে বায়ু শক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার করতে উৎসাহিত করা।

 

 

বিশ্ব বায়ু দিবস পালন—

 

 

ইউরোপিয়ান উইন্ড এনার্জি অ্যাসোসিয়েশন এবং গ্লোবাল উইন্ড এনার্জি কাউন্সিল প্রতি বছর গ্লোবাল উইন্ড ডে উপলক্ষে বায়ু শক্তির প্রচারে বিভিন্ন ইভেন্টের আয়োজন করে।  অনেক জাতীয় বায়ু শক্তি সমিতি এবং বায়ু শক্তি উৎপাদনের সাথে জড়িত কোম্পানিগুলিও তাদের সমস্ত দেশে ইভেন্ট করে।  তথ্য প্রচার, উপকূলীয় এবং উপকূলীয় বায়ু খামার পরিদর্শন, শহরগুলিতে টারবাইন স্থাপনের প্রদর্শনী, বায়ু কর্মশালা এবং বায়ু প্যারেড এই দিনে বিভিন্ন দেশে অনুষ্ঠিত কিছু জনপ্রিয় অনুষ্ঠান।  অন্যান্য মজার ক্রিয়াকলাপ যেমন উইন্ড ফার্ম ওপেন ডে, ওয়ার্কশপ, রেগাটাস, ফটো প্রদর্শনী, অঙ্কন প্রতিযোগিতা, ঘুড়ি ওড়ানো প্রতিযোগিতা ইত্যাদিও বিশ্ব বায়ু দিবস উদযাপনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ গঠন করে।

বিশ্ব বায়ু দিবসের তাৎপর্য—

বিশ্ব বায়ু দিবস হল বায়ু শক্তি, এর শক্তি এবং এটি ধারণ করতে পারে এমন সমস্ত বর্তমান এবং ভবিষ্যতের সম্ভাবনা উদযাপন করার একটি দিন।  এটি মানুষকে, বিশেষ করে শিশুদের, বায়ু শক্তির গুরুত্ব সম্পর্কে শিক্ষিত করার একটি দিন।  বিশ্বব্যাপী জলবায়ু সংকট গভীর হওয়ার সাথে সাথে এবং জলবায়ুর প্রতি রাজনৈতিক মনোযোগ বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে বৈশ্বিক বায়ু দিবস পালন করা আরও তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে ওঠে।  বায়ু শক্তির সঠিক ব্যবহার অর্থনীতিকে ডিকার্বনাইজ করতে সাহায্য করতে পারে এবং চাকরি ও প্রবৃদ্ধি বাড়াতে সাহায্য করতে পারে এবং তাই এই দিনে আরও বেশি সংখ্যক কোম্পানিকে তাদের ব্যবসায়কে শক্তি দিতে পরিষ্কার, নির্ভরযোগ্য এবং সাশ্রয়ী বায়ু শক্তির দিকে যেতে উৎসাহিত করা হয়।

বায়ু শক্তি সম্পর্কে আকর্ষণীয় তথ্য—

বিশ্ব বায়ু দিবস ২০২৪ উপলক্ষ্যে, আসুন বায়ু শক্তি সম্পর্কে কিছু আকর্ষণীয় তথ্য জেনে নিই:

বায়ু শক্তি সবচেয়ে কার্যকরী এবং পরিবেশ বান্ধব শক্তির উত্সগুলির মধ্যে একটি।

২০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ থেকে উইন্ডমিল ব্যবহার করা হচ্ছে।

এটি শুধুমাত্র ১৯৪০ এর দশকে প্রথম আধুনিক বায়ু টারবাইন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভার্মন্টে নির্মিত হয়েছিল।

বায়ু শক্তি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ১১ টি রাজ্যে মোট বিদ্যুৎ উৎপাদনের ২০% এরও বেশি সরবরাহ করে।

সবচেয়ে বড় উইন্ড টারবাইন যা ২০ তলা লম্বা এবং একটি ফুটবল মাঠের দৈর্ঘ্যের ব্লেড যুক্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াইতে অবস্থিত।

 

 

বায়ু শক্তির সবচেয়ে ইনস্টল ক্ষমতা জার্মানিতে।

জার্মান পদার্থবিদ, আলবার্ট বেটজ, বায়ু টারবাইন প্রযুক্তির প্রবর্তক।

উইন্ড টারবাইনগুলি দেখতে সহজ হতে পারে তবে বাস্তবে প্রায় ৮০০০ বিভিন্ন অংশ রয়েছে। যদি বাতাস প্রতি ঘন্টায় ১৩০ কিমি বেগে প্রবাহিত হয়, তাহলে নিরাপত্তা সতর্কতা হিসাবে ব্লেডগুলি বাঁকানো বন্ধ করে দেয়।

বায়ু শক্তি বিদ্যুৎ উৎপাদনের দ্রুততম বর্ধনশীল মোড।

তাই, প্রতি বছরের মতো আজ ১৫ জুন সারা বিশ্বে পালিত হচ্ছে বিশ্ব বায়ু দিবস। বায়ু শক্তিকে ব্যবহারে সবাইকে উৎসাহিত করতেই বিশ্বব্যাপী এই দিবসটি পালিত হয়ে থাকে।

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ

জন্মদিবসে স্মরণে, বাঙালি ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের বিপ্লবী নেতা এবং আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বুদ্ধিজীবী তারকনাথ দাস।

ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন ছিল বহু মানুষের কঠোর পরিশ্রম যার ফলেই ব্রিটিশদের থেকে ভারত রাজনৈতিক দিক থেকে মুক্তি পেয়েছে। হিন্দু মুসলিম সকল শ্রেণীর মানুষ এই মুক্তির আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ে ছিলেন। আর তাঁদের সেই বলিদনের ইতিহাসে অনেকের কথাই অজানা। ভারত উপমহাদেশের বিংশ শতাব্দীতে ব্রিটিশ সম্রাজ্যবাদ বিরোধী যে সশস্ত্র বিপ্লববাদী লড়াই-সংগ্রাম সংগঠিত হয় এবং যার ধারাবাহিকতায় ভারত স্বাধীন হয়। এই অন্দোলনে যে সকল বিপ্লবীর নাম সর্বজন স্বীকৃত তাঁদের মধ্যে  তারকনাথ দাস প্রথমসারির একজন অন্যতম বিপ্লবী ছিলেন। তারকনাথ দাস ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনে এক উল্লেখযোগ্য নাম, যিনি দেশমতৃকার শৃঙ্খল মুক্তির জন্য নিজেকে সঁপে দিয়েছিলেন সম্পূর্ণ রূপে। তারকনাথ দাস ছিলেন ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন অন্যতম বিপ্লবী নেতা এবং একজন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বুদ্ধিজীবী। তারকনাথ দাসের প্রধান অবদান প্রথম বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন হিন্দু-জার্মান ষড়যন্ত্রের প্রস্থাপনা।

 

তারাকানাথ দাস ১৮৮৪ সালের ১৫ জুন চব্বিশ পরগনার মাঝিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন।  তাঁর পিতার নাম কালীমোহন দাস।  স্কুল ছাত্র থাকাকালীনই তিনি রাজনৈতিক কাজে জড়িয়ে পড়েন।  ১৯০১ সালে, কলকাতার আর্য মিশন ইনস্টিটিউশন থেকে প্রবেশিকা পাশ করার পর, তিনি কিছুকাল কলেজে অধ্যয়ন করেন।  ছাত্র অবস্থায় উত্তর ভারতে বিপ্লবী রাজনীতির প্রচার করতে গিয়ে পুলিশের নজরে আসেন তিনি।

 

গ্রেফতার হওয়ার আগে তিনি ১৯০৫ সালে জাপান এবং পরের বছর আমেরিকা চলে যান।  আমেরিকার ফ্রি হিন্দুস্তান পত্রিকার মাধ্যমে প্রবাসী ভারতীয় বিপ্লবী ও গদর পার্টির কর্মীরা যোগাযোগের চেষ্টা করেন।  ১৯১১ সালে তিনি ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএ পাস করেন এবং কাজে যোগ দেন এবং ১৯১৬ সালে তিনি বার্লিন কমিটির প্রতিনিধি হিসেবে চীন ভ্রমণ করেন।  আমেরিকায় ভারতীয় বিপ্লবী কার্যকলাপের জন্য তিনি ২২ মাস কারাবরণ করেন।  বিপ্লবী কাজের পাশাপাশি পড়াশোনা করেছেন।  ১৯২৪ সালে, তিনি তার পিএইচ.ডি.  জর্জ টাউন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও আন্তর্জাতিক আইন’ বিষয়ে ডিগ্রি অর্জন করেন।

 

তারকানাথ দাস পিএইচডি করার পর নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেন১৯২৪ সালে। বিবাহ করেন আমেরিকান মহিলা মেরি কিটিং মোর্স কে।  যাইহোক, ১৯২৫-৩৪ খ্রিস্টাব্দে ইউরোপে থাকার সময়, তিনি ভারতীয় ছাত্রদের বিজ্ঞানে উচ্চ শিক্ষার সুবিধা দেওয়ার জন্য নিজের প্রচেষ্টায় ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট তৈরি করেছিলেন।  আর এই উদ্দেশ্যেই তারাকানাথ দাস ফাউন্ডেশনের অস্তিত্ব।  ফাউন্ডেশনটি ১৯৩৫ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিবন্ধিত হয়েছিল। ১৯৫০ সালে, কলকাতায় একটি শাখা রেজিস্ট্রিও প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।

 

রামানন্দ চট্টোপাধ্যায়ের মডার্ন রিভিউতে প্রবন্ধ লিখতেন।  ১৯৩৫ সালে ক্যাথলিক ইউনিভার্সিটিতে দেওয়া ‘ফরেন পলিসি ইন ফার ইস্ট’ বিষয়ক একটি বক্তৃতা একটি সাড়া জাগিয়েছিল, যা পরে একটি বইতে প্রকাশিত হয়েছিল।  তার কাজের মধ্যে রয়েছে——

 

তার রচিত গ্রন্থগুলির মধ্যে——

ইন্ডিয়া ইন ওয়ার্ল্ড পলিটিকস ও বাংলায়

বিশ্ব রাজনীতির কথা বিশেষ উল্লেখযোগ্য।

 

১৯৫৮ সালে ২২ ডিসেম্বর তিনি নিউইয়র্কে মারা যান।

 

।। তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ

প্রাবন্ধিক, রবীন্দ্র গবেষক এবং সমাজ কর্মী – রথীন্দ্রকান্ত ঘটক চৌধুরী, প্রয়াণ দিবসে শ্রদ্ধাঞ্জলি।

রথীন্দ্রকান্ত ঘটক চৌধুরী এক অতি পরিচিত নাম। তিনি ছিলেন একজন বাংলাদেশী কবি, লেখক, প্রাবন্ধিক, রবীন্দ্র গবেষক এবং সমাজসেবক।   বামপন্থায় বিশ্বাসী হয়ে তিনি ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক আন্দোলন, ধর্মের ভিত্তিতে দেশভাগ, কৃষক তেভাগা আন্দোলন, ভাষা আন্দোলন, ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দের  মুক্তিসংগ্রামসহ এবং অন্যান্য প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন।

জন্ম—–‐-

 

রথীন্দ্রকান্ত তার পিতামাতার নয়টি সন্তানের তৃতীয় সন্তান ছিলেন।  ১৯২১ খ্রিস্টাব্দের ২৬ ডিসেম্বর  অবিভক্ত বাংলার তৎকালীন ঢাকা জেলার কলাগাছিয়া থানার অধুনা শরীয়তপুর জেলার পালং থানার দক্ষিন বালুচর গ্রামে রথীন্দ্রকান্ত ঘটক চৌধুরীর জন্ম। পিতা ছিলেন জমিদার সূর্যকান্ত ঘটক চৌধুরী এবং মাতা রত্নাবালা দেবী।

 

প্রারম্ভিক জীবন ও শিক্ষা——-

 

তুলাসার গুরুদাস উচ্চ ইংরেজী বিদ্যালয়ে তার শিক্ষাজীবন শুরু হয়।   তিনি 1939 খ্রিস্টাব্দে প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন।   প্রবেশিকা পাশ করে তিনি তাঁর বড় ভাই রথীন্দ্রকান্তের মতো শান্তিনিকেতনে যান।   সেখান থেকে ১৯৪১ সালে আই.এ পাশের পর এরপর কলকাতার বিদ্যাসাগর কলেজে ভর্তি হন এবং বি.এ পাস করেন।

 

ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে——–

 

ছাত্রাবস্থায় তিনি ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলেন।   তিনি “অনুশীলন সমিতি’’-র” সদস্য ছিলেন।   ১৯৪৩ সালে কমিউনিস্ট পার্টিতে যোগ দেন। তিনি অবিভক্ত বাংলায় ‘প্রগতি প্রকাশ ও শিল্পী সংঘ’-এর একজন সক্রিয় কর্মীও ছিলেন।   ১৯৪৪ সালে তিনি ফরিদপুর জেলার সংগঠক এবং ১৯৪৭ সালে তিনি সেই জেলা কমিটির সদস্য হন।   ১৯৪৫ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত তিনি এবং শান্তি সেন তে-ভাগা আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।

 

কর্মজীবন——‐-

 

রথীন্দ্রকান্ত ১৯৪৫ খ্রিস্টাব্দে চকন্দী হাই স্কুলে শিক্ষকতা দিয়ে কর্মজীবন শুরু করেন। স্বাধীনতা লাভ আর দেশ বিভাগের পর ১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দে তার বাড়িতে পুলিশি তল্লাশি শুরু হলে তিনি কলকাতায় চলে আসেন এবং যোগদান করেন স্বর্ণকমল ভট্টাচার্যের “অগ্রণী” পত্রিকায়। কিছুদিন কলকাতায় অবস্থান করার পর ১৯৫০ খ্রিস্টাব্দে নিজের গ্রামে ফিরে আসেন এবং পালং হাই স্কুলে অস্থায়ী শিক্ষক হিসাবে যোগ দেন। ১৯৫৪ খ্রিস্টাব্দে তুলাসার গুরুদাস উচ্চ বিদ্যালয়ে যোগ দিয়ে শিক্ষকতা করেন ১৯৬০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত।

রবীন্দ্র গবেষক হিসাবে ——–

 

রথীন্দ্রকান্ত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্নেহধন্য ছিলেন। শান্তিনিকেতনে অধ্যয়ন কালে তিনি কবিগুরুর সঙ্গ লাভ করেছিলেন। শান্তিনিকেতনের সাহিত্যসংস্থা সাহিত্যিকা-র সম্পাদক হিসাবে কৃতিত্বের পরিচয় দেন। ১৯৪০ খ্রিস্টাব্দে কবির সভাপতিত্বে সাহিত্য সভায় রথীন্দ্রনাথ স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন। রথীন্দ্রকান্ত রবীন্দ্রনাথের দুষ্প্রাপ্য কবিতার আবিষ্কার ও রবীন্দ্র গবেষক হিসাবে উভয় বাংলার বিশেষ খ্যাতি অর্জন করেছিলেন। রবীন্দ্রনাথের শেষ শ্রদ্ধাবাসরের সম্মাননাপত্র রচনা ও পাঠ করার দায়িত্ব পালন ছিল তার সাহিত্যকীর্তির উদাহরণ।

সাহিত্যকর্ম——-

 

রথীন্দ্রকান্ত ঘটক চৌধুরী বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় অসংখ্য কবিতা, ছোটগল্প, প্রবন্ধ নাটক ইত্যাদি রচনা করেছেন। তার রচিত ও প্রকাশিত গ্রন্থ ছয়টি। সেগুলি গ্রন্থগুলি হল-

পূর্বাপর , কয়েকজন লোককবি ও প্রসঙ্গত, সুকান্তের হস্তাক্ষরে কবিতার পাণ্ডুলিপি, রবীন্দ্র তরুমূলে, ঝরাপাতা , অভ্যুদয় – তার অনেক লেখা এখনও অপ্রকাশিত ও অগ্রন্থিত রয়ছে।

 

জীবনাবসান——

 

রথীন্দ্রকান্ত ঘটক চৌধুরী অসুস্থতার জন্য ঢাকার সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে ভরতি হয়ছিলেন। ১৯৮৮ খ্রিস্টাব্দের ১৫ জুন শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

 

।। তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ

জমজমাট  জামাই ষষ্ঠী : রাধাবিনোদিনী বিন্তি বণিক।।

মজমজমাট  জামাই ষষ্ঠী : রাধাবিনোদিনী বিন্তি বণিক।জমাট  জামাই ষষ্ঠী : রাধাবিনোদিনী বিন্তি বণ  আজ জামাই ষষ্ঠী। জামাই ষষ্ঠী কিন্তু বাঙালিদের কাছে বেশ মিষ্টি মধুর একটি পার্বণ। তাই না ? বিশেষতঃ জামাই আর শাশুড়িদের কাছে এটি যেন সারা বছর ধরে এক অপেক্ষার উৎসব—একথা কিন্তু স্বীকার করতেই হবে জামাই আর শাশুড়ি উভয়কেই। এই তিথিতেই শ্বশুড় বাড়িতে জামাই আদর পাওয়া বিষয়টি পুরুষদের কাছে  বাস্তবায়িত হয় ভীষণভাবে। আবার বিপরীতে জামাইরা তাঁদের দ্বিতীয় মা , অর্থাৎ শাশুড়ি মার হাতে তুলে দেন আপন আপন সামর্থ্য অনুযায়ী শ্রদ্ধার্ঘ্য। অতএব, উভয় দিক থেকেই বেশ একটা  ‘দিবে আর নিবে,মিলাবে মিলিবে,যাবে না ফিরে’ ব্যাপার ঘটে। ফলস্বরূপ, আদরের জামাইয়ের সাথে শ্বশুর বাড়ির সম্পর্ক আরও মাখো মাখো হয়ে মালপোয়া-মিষ্টিদইয়ের মাত্রা পায়।

কিন্তু , শুধুই কী দেওয়া-নেওয়া ,  তার বেশি কিছু নয় ? না,না,তা কেন। এদিন যে নিজের জামাইয়ের দীর্ঘায়ু আর মঙ্গল কামনায় বাঙালি মায়েরা পালন করেন নানান আচার । বটপাতা,দূর্বা আর আম নতুন হাতপাখার ওপর রেখে, সেই পাখা আড়াআড়ি ভাবে ধরে জামাইকে বাতাস করেন শাশুড়ি। সেই সঙ্গে মুখে বলতে থাকেন  ”ষাট,ষাট,ষাট” । অর্থাৎ,ভালো হোক ,ভালো হোক জামাইবাবার ।এই স্নিগ্ধ,শীতল হাওয়া  জামাইকে রোগমুক্ত রাখতে সাহায্য করে এই বিশ্বাস ।এ প্রথা তাঁর যাবতীয় অমঙ্গল বিনাশকারী  মনে করা হয়। জামাইয়ের মাথায় আশীর্বাদ দেন ধান-দূর্বা দিয়ে। ধান হল সম্পদের বা সমৃদ্ধির প্রতীক । আর ,দূর্বার গুণ হল তা সহজে মরে না। পায়ে মারিয়ে চলে গেলেও বেঁচে ওঠে।  অতএব, দীর্ঘায়ুর দ্যোতক দূর্বাঘাস।
পাঁচ রকম ফল,মিষ্টি,দই ,দুধ,চিড়ে এসব  থালায় সাজিয়ে  জামাইয়ের সামনে ধরে দেন শাশুড়িরা। জামাই ফলাহার করবে তাই এসবের আয়োজন। আবার জৈষ্ঠ্য মাস তো আম, জাম,কাঁঠাল,লিচু,তালশাসের মাস । তাই এই গ্রীষ্মকালীন ফলের স্বাদ জামাইকে পাওয়াতেই  বুঝিবা ,  এমন একটি মধুর পার্বণের সূচনা হয়েছিল।বাংলাদেশের অনেক জায়গায় এও প্রথা আছে বিয়ের কথা পাকা হয়ে গেলে পাত্র ও কন্যাপক্ষের পরিবার একে অপরকে আম-দুধ ভেট দেয় এসময়।
এবার আসি ষষ্টী পূজা সম্পর্কে।সন্তানের মঙ্গল করেন মা ষষ্টী । বাঙালিদের প্রতি ঘরে ঘরে নবজাত শিশুর জন্য ষষ্টী পূজো করা হয় অবধারিত ভাবে। তারপরই কিন্তু  আঁতুর ওঠে মা ও শিশুর। জৈষ্ঠ্য মাসের শুক্লা ষষ্ঠী তিথি বা জামাইষষ্ঠী  এদেশী বা ঘটী রমণীদের কাছে অরণ্য ষষ্ঠী বা স্কন্দ ষষ্ঠীর ব্রত হিসেবে পালিত হয়।
এদিন সকালে স্থানীয় বট গাছের তলায় এসে  পূজারী ব্রাক্ষ্মণের দ্বারা মা ষষ্টীর পূজা সারেন তাঁরা। খেজুরের ছড়া,ডোয়ো ফল,জাম ,বটপাতা ইত্যাদি একসাথে করে ‘ভাগা’ অর্পণ  করেন । গুটিছোপায়  (মাটির দোয়াতের মত দেখতে)  দই দেন ,আর নানারকম ফল নিবেদন করেন দেবীর উদ্দেশ্যে। যেসব রমণীর সন্তান হয় না , তাঁরা এখানে এসে এদিন আঁচল পেতে ব্রাহ্মণের থেকে গ্রহণ করেন মা ষষ্টীর প্রসাদী গোটা ফল। বিশ্বাস সে ফল খেলে অচীরেই সন্তানসম্ভবা হবেন । এদেশী মায়েরা সন্তানের মঙ্গল কামনায় উপবাস করে থাকেন। রাতে ফলাহার সারেন চিড়ে ,মুড়ি দিয়ে। যা কিছু চর্ব্য-চোষ্য সব রেঁধে দেন  জামাই ও পরিবারের অন্য সকলের জন্য । তবে বাঙালদের মধ্যে আবার এসব উপবাস টুপবাসের  ব্যাপার নেই। মহানন্দে জামাইকে ব্যাপক ভাবে খাওয়া দাওয়া করিয়ে নিজেও শাশুড়ি ভরপেটে থাকেন। তাবলে জামাই ষষ্ঠীর আচার  পালনে কোন ত্রুটি বা খামতি থাকে না । নিষ্ঠাসহ জামাইয়ের প্রতি কর্তব্য  সারেন তাঁরা।
আবার কোন কোন পরিবারে শ্যালিকাদের জন্যও একটি অদ্ভুত নিয়ম থাকে তাঁদের ভগ্নিপতিদের প্রতি। এদিন বাঁশের কঞ্চি বেঁকিয়ে লাভ সাইন বা হার্ট শেপের করে তাতে লাল সুতোয় ধান বেঁধে উপহার হিসেবে তুলে দেন তাঁরা ভগ্নিপতির হাতে।
মুর্শিদাবাদ জেলার সামসেরগঞ্জ থানার অন্তর্গত দোগাছি গ্রামে এইদিনে গ্রামের এয়োস্ত্রীগণ সাড়ম্বরে গ্রাম্যদেবতার পূজা করেন এবং ডোমকল থানার অন্তর্গত ভগীরথপুর গ্রামের স্ত্রীলোকগণ দইমেলা উৎসব পালন করেন।
এবার একটি প্রশ্ন কিন্তু প্রায় সকলের মনেই একটু উঁকি দিচ্ছে জানি।তা হল
‘যম-জামাই-ভাগ্না/তিন হয়না আপনা ‘ কথায় আছে যখন ,তবে ঘটা করে জামাই ষষ্ঠী কেন করা ! কন্যা ষষ্ঠীও তো হতে পারতো! আসলে জামাইবাবাজীবনকে  তুষ্ট রাখার এ এক পন্থা বলা যায়। নিজের মেয়েটির সংসার বন্ধন যাতে অটুট থাকে , জামাইয়ের আদরে ,ভালোবাসায় মেয়ে যাতে রসেবশে, সুখে-শান্তিতে ঘর করে , সধবা থাকে চিরটাকাল সেই আশাতেই এত সব পরিপাটী প্রচেষ্টা ।

অতএব,সব মিলিয়ে জামাই ষষ্ঠীর পার্বণ জমে ক্ষীর হয়ে যায় আনন্দে,আবেগে আর জামাইয়ের প্রতি নির্ভেজাল ভালোবাসায়।

 

।। কলমে : রাধাবিনোদিনী বিন্তি বণিক।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ

জানুন , সেবা করার সময় মন অন্য দিকে যাওয়ায় ভক্ত কি শাস্তি দিলেন নিজেকে।

একদিন অভিরাম ঠাকুর পথ দিয়ে যাচ্ছেন। সেসময় কৃষ্ণদাস নামক এক ভক্ত এসে তাঁর চরণে পড়লেন। ইতিপূর্বে লোকমুখে অভিরামের গুণের কথা অনেক শুনেছেন কৃষ্ণদাস। অন্তরে বড় সাধ অভিরামের চরণেই আত্মনিবেদন করবেন, দীক্ষা নেবেন তাঁর থেকে। আর আজ যখন জানলেন , পথ দিয়ে সুদীর্ঘঅভিরাম ঠাকুর হেঁটে যাচ্ছেন, তখন আর এক মূহুর্তও বিলম্ব করতে রাজী নন কৃষ্ণদাস। পথের মধ্যেই তাই অভিরামের পদে পড়ে নিজের বাসনার কথা ব্যক্ত করলেন। অভিরামও প্রসন্ন হলেন আগুন্তুকের আগ্রহ দেখে।

নির্দিষ্ট দিনে কৃষ্ণদাসকে দীক্ষা দিলেন অভিরাম। কৃষ্ণদাসকে সকলে ‘বাঙ্গাল কৃষ্ণদাস’ বলে সম্বোধন করত। কারণ, তিনি বাঙ্গাল দেশবাসী   অর্থাৎ বঙ্গদেশবাসী  ছিলেন। কিন্তু, অভিরাম তাঁকে আদেশ দিলেন শ্বোঙালুতে গিয়ে গোপীনাথ বিগ্রহ স্থাপন করে সেবাকার্য শুরু করতে। হাওড়া-তারকেশ্বর রেলপথে তারকেশ্বর নেমে বাসে চৌতারা হয়ে শ্বোঙালু যাওয়া যায়।

শ্রীগুরুদেবের আজ্ঞা পেয়ে প্রফুল্লিত হলেন শিষ্য। তিনি বললেন, “বাবা, আপনিই কৃপা করে শ্বোঙালুতে বিগ্রহ প্রতিষ্ঠা করে দিন । সেই বিগ্রহ তখন আমি সেবা করবো।” শিষ্যের বিনয়বচনে অভিরাম প্রীত হলেন। রাজী হয়ে তিনি কৃষ্ণদাসকে সঙ্গে নিয়ে সেখানে গেলেন। গ্রামবাসীরা সকল প্রয়োজন মেটালেন। মহামহোৎসবের মধ্য দিয়ে গোপীনাথ বিগ্রহ স্থাপন করে দিলেন ঠাকুর অভিরাম।

বৈষ্ণবের বেশভূষা ধারণ করে, দ্বাদশ অঙ্গে তিলকসেবা করে অপূর্ব দর্শন হয়ে কৃষ্ণদাস অনুরাগসহ নিষ্ঠাভরে গোপীনাথের সেবা করেন। সেবা ভিন্ন তিনি অপর কিছু জানেন না, জানতেও চান না। সদা সাত্ত্বিক মনোভাব তাঁর।

একদিন গোপীনাথের আরতি করছেন, এমন সময়ে এক নারী এসে আরতি দর্শন করতে তাঁর পাশে দাঁড়ালেন। সে নারীর প্রতি দৃষ্টি পড়লো কৃষ্ণদাসের। তিনি মনে মনে ভাবলেন, ‘এ কেমন বিচার আমার মনের। সেবা ছেড়ে আমার চোখ অন্যদিকে পড়লো ! রতির চাঞ্চল্য হল ! তবে তো আমার দেহ শুদ্ধ নয়, তাই জন্যেই রতিও শুদ্ধ নয়। একারণেই সেবা থেকে মন সরে নারীর প্রতি গেছে। সেবার থেকেও বড় করে মন কিছু চায় নিশ্চয়। বেশ এ চোখের ক্ষিদে আমি মেটাবো। দুষ্ট গোরুর থেকে শূন্য গোয়াল ভাল। তাই , ওই চোখের ব্যবস্থা আমি করছি !

আরতি শেষে নারী চলে গেলেন। কৃষ্ণদাসও তাঁর পিছু পিছু গেলেন। নারী যে গৃহে প্রবেশ করলেন, কৃষ্ণদাসও সে গৃহে ঢুকলেন। অন্যান্য যাঁরা ছিলেন সেই গৃহে তাঁরা অত্যন্ত আনন্দ পেলেন কৃষ্ণদাসকে দেখে। মহাসমাদর করে আসন পেতে বসতে দিলেন। কৃষ্ণদাস বললেন,  সেই নারীর সঙ্গে তাঁর কিছু প্রয়োজন আছে। তিনি নির্জনে তাই কথা বলতে চান। নির্জন গৃহে সেই নারীকে কৃষ্ণদাস বললেন, নগ্ন হয়ে দাঁড়াতে। নারী ভীতা হলেন। কৃষ্ণদাস বললেন, “ভয় পাওয়ার কারণ নেই। আমি কেবল দূর থেকে তোমায় দেখব। তোমার কোন ক্ষতি হবে না নিশ্চিন্তে থাকো।” পূজারী কৃষ্ণদাসের আশ্বস্ত বাক্যে নারী মনে বল পেলেন এবং বিবস্ত্র হয়ে দাঁড়ালেন। নারীকে নিরীক্ষণ করলেন কৃষ্ণদাস দূর থেকে। তারপর গৃহে ফিরে গেলেন আর করলেন এক অবিশ্বাস্য কাণ্ড।

গৃহে ফিরেই লৌহ শলাকা গেঁথে দিয়ে নিজের চোখ দুটি নষ্ট করে ফেললেন কৃষ্ণদাস। অন্ধ হয়ে গেলেন স্বেচ্ছায় বরাবরের মত। যে চোখ এমন দুষ্টতা করে তিনি তাকে চিরকালের মত শেষ করে দিলেন, যাতে আর কোনদিনও অনাচার না করতে পারে। গোপীনাথের সেবা ছেড়ে যে চোখ অন্য কিছু চায় তাকে এমনই শাস্তি দেওয়া উচিৎ ইচ্ছাপূরণ করানোর পর।
এদিকে ভক্ত দুঃখে সদা দুঃখী হন যিনি, সেই ভক্তবৎসল প্রভু গোপীনাথ তো আর স্থির থাকতে পারলেন না নিজ ভক্তের অমন করুণ অবস্থা দেখে। তিনি বাঙ্ময় হলেন। বললেন, “ওহে কৃষ্ণদাস, এ তুমি কী অঘটন ঘটালে আজ! কেন তুমি অন্ধ হতে গেলে? এমন দুর্দশাকে কেন আপন করলে? এখন এই অন্ধ অবস্থায় আমার পরিচর্যা কেমন ভাবে করবে! তোমার দেখাশোনা, তোমার সেবা করার জন্যই তো এখন লোকের দরকার হবে ! কী ছেলেমানুষি কাণ্ড করলে !”

স্বয়ং গোপীনাথ কথা বলেছেন ! গোপীনাথ তাঁর দুর্দশায় দুঃখী হয়েছেন—- এ কথা ভেবেই মহানন্দের প্রাবল্যে কৃষ্ণদাস মূর্ছিত হয়ে গেলেন। ওদিকে, অভিরাম জানতে পারলেন অনুভব করতে পারলেন নিজ শিষ্যের অঘটনের কথা। তিনি চলে এলেন শ্বোঙালুতে। তিনি কোলে তুলে নিলেন কৃষ্ণদাসের মাথা। গভীর স্নেহে বললেন, “কৃষ্ণদাস এমন কাণ্ড কেন ঘটালে?  নিজের হাতে নিজের নয়ন নষ্ট করে ফেললে !”

তখন কৃষ্ণদাস বললেন সব ঘটনা। কি ভাবে গোপীনাথের সেবা দেবেন এই চিন্তায় তখন সে দিশাহারা। অভিরাম বললেন, “চিন্তা করো না, আমি বলে রাখলাম সেবার সময় তুমি গোপীনাথকে দর্শন করতে পারবে। তোমার হাতে গোপীনাথের শৃঙ্গার তিলক সজ্জা সব সুচারু রূপেই হবে। তুমি তাঁর নবঘন শ্যাম বদন দেখতে পাবে মানসে। তুমি এমন সুনিপুণ হবে সেবায় যে, সকলে তোমার যশগান গাইবে। পিতা যেমন পুত্রের দোষ দেখে না, গোপীনাথও তেমন তোমার  কোন ত্রুটি নেবেন না, নিশ্চিন্তে থাকো।”

সত্যই গোপীনাথ প্রকট হতেন কৃষ্ণদাসের সামনে। আর অন্ধ হয়েও কৃষ্ণদাস সুচারু সেবা দিতেন। এরপর একদিন, নিজের অন্ধ ভক্তের কষ্ট দেখে অভিরাম তাঁকে বললেন, “শোনো কৃষ্ণদাস, তোমাকে আর বৈধীভক্তি পালন করতে হবে না। তুমি এবার থেকে পঞ্চভাব যুক্ত হয়ে রাগানুগা পথে প্রেমসেবা দেবে। এই আমার আদেশ। মানসে সেবা করবে, সাক্ষাৎ-এ নয়। বুঝেছো তো ! কৃষ্ণদাস নতমস্তকে আজ্ঞা মেনে নিলেন।

বিনম্র প্রণতি জানাই এমন সেবানিষ্ঠ, সেবাপ্রাণ ভক্ত বাঙ্গাল কৃষ্ণদাস কে।
————-ভক্তকৃপা ভিখারিণী
রাধাবিনোদিনী বিন্তি বণিক
____________

Share This
Categories
রিভিউ

আজ ১৩ জুন, ইতিহাসের দিকে চোখ বুলিয়ে দেখে নেব ইতিহাসের এই দিনে বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু, দিনসহ ঘটে যাওয়া ঘটনা।

আজ ১৩ জুন। এক নজরে দেখে নিই ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু দিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

 

দিবস—–

 

(ক) ভূমিকম্প সচেতনতা দিবস।

 

আজ যাদের জন্মদিন—-

১৩৬৭ – জোসনের রাজা তেজং, জোসন রাজবংশের রাজা।

১৫৫৫ – জোভান্নি আন্তোনিও মাজিনি, ইতালীয় জ্যোতির্বিজ্ঞানী, জ্যোতিষী, মানচিত্রাঙ্কনবিদ এবং গণিতজ্ঞ।

১৭৬৩ – হোজে বনিফাসিও দে আন্দ্রাদা, ব্রাজিলের একজন কূটনীতিজ্ঞ, নিসর্গী, অধ্যাপক এবং কবি।

১৮৩১ – জেমস ক্লার্ক ম্যাক্সওয়েল, স্কটল্যান্ডীয় গাণিতিক পদার্থবিজ্ঞানী তড়িৎচুম্বকীয় বিকিরণ তত্ত্বের জন্য সুবিদিত।

১৮৫৪ – চার্লস এ পারসনস, আইরিস ইঞ্জিনিয়ার ও আবিষ্কারক।

 

১৮৬৫ – উইলিয়াম বাটলার ইয়েটস বিশ শতকের একজন আইরিশ কবি ও নাট্যকার।

১৮৯৭ – পাভো নুরমি, ফিনিশীয় মাঝারি ও লম্বা দূরত্বের দৌড়বিদ।

 

১৯১১ – লুইস ওয়াল্টার আলভারেজ, স্পেনীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন পদার্থবিজ্ঞানী।

১৯১৮ – বেন জনসন, মার্কিন অভিনেতা, স্টান্টম্যান ও রোডিও কাউবয়।

১৯২৭ – বাংলাভাষা শহীদ আবুল বরকত।

১৯২৮ – জন ফর্ব্‌স ন্যাশ, মার্কিন গণিতবিদ।

১৯৪০ – জার্মান গায়িকা সারাহ কোনর।

১৯৪৪ – বান কি মুন, দক্ষিণ কোরিয়ার রাজনীতিবিদ এবং জাতিসংঘের অষ্টম মহাসচিব।

১৯৫৩ – টিম অ্যালেন, মার্কিন অভিনেতা ও কৌতুকাভিনেতা।

 

১৯৬৫ – মনিন্দর সিং, সাবেক ভারতীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার।

১৯৭০ – ক্রিস কেয়ার্নস, নিউজিল্যান্ডের সাবেক ও বিখ্যাত ক্রিকেট তারকা।

১৯৮১ – ক্রিস ইভানস (অভিনেতা), মার্কিন অভিনেতা।

 

১৯৮৬ – হন্ডা কেস্‌কে, জাপানি ফুটবলার।

১৯৮৬ – ডিজে স্নেক, ফরাসি সংগীত প্রযোজক এবং ডিজে।

 

১৯৯০ – অ্যারন টেলর-জনসন, ইংরেজ অভিনেতা।

 

১৯৯৪ – দীপিকা কুমারী, ভারতীয় মহিলা তীরন্দাজ।

 

ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনের ঘটনাবলী—-

১৭৫৭ – রবার্ট ক্লাইভ সিরাজউদ্দৌলার বিরুদ্ধে মুর্শিদাবাদ অভিমুখে যুদ্ধ অভিযান শুরু করেন।

১৮৪০ – কলকাতায় তত্ত্ববোধিনী সভার উদ্যোগে তত্ত্ববোধিনী পাঠশালা প্রতিষ্ঠিত হয়।

১৮৫৭ – লর্ড ক্যানিং সংবাদপত্র আইন চালু করেন।

১৮৭৮ – ইউরোপের মুখ্য রাষ্ট্রপ্রধানদের নিয়ে বার্লিন কংগ্রেস শুরু হয়।

১৯০০ – চীনে বক্সার বিদ্রোহ শুরু হয়।

১৯০৬ – বৃটেনের পশ্চিমাঞ্চলীয় আয়ারল্যান্ড দ্বীপে আয়ারল্যান্ড রিপাবলিকান আর্মির রাজনৈতিক শাখা শিনফেন আত্ম প্রকাশ করে।

১৯২১ – ইহুদিবাদীদের বিরুদ্ধে প্রথমবারের মতো ব্যাপক আন্দোলনের সূচনা হয়।

১৯৩৪ – আডলফ হিটলার এবং বেনিতো মুসোলিনি দুজনের সাক্ষাৎ হয়েছিল ইতালির ভেনাসে।

১৯৪৩ –  ফ্রান্সের জাতীয় মুক্তি কমিটি গঠিত হয়।

১৯৪৪ – জার্মানি প্রথম বারের মতো বৃটেনকে লক্ষ্য করে ভি-ওয়ান নামের ভূমি থেকে ভূমিতে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে।

১৯৫৩ – কলম্বিয়ায় জেনারেল গুস্তাভো রোজাস পিনিল্লার নেতৃত্বে এক সামরিক অভ্যুত্থানে প্রেসিডেন্ট লরেয়ানো গোমেজের সরকার উৎখাত।

১৯৫৬ – সর্বশেষ ব্রিটিশ সেনাদল সুয়েজ ত্যাগ করে।

১৯৭১ – অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে জি. বডরিক নামে এক মহিলা একসঙ্গে নয় সন্তানের জন্ম দেয়। এর মধ্যে ২ ছেলে ও ৪ মেয়ে বেঁচে যায়।

১৯৭৪ – ইয়েমেনে সেনাবাহিনীর ক্ষমতা দখল।

১৯৭৫ – আলজিয়ার্স চুক্তি।

১৯৭৮ – লেবানন থেকে ইসরাইল তার সেনা প্রত্যাহার করে।

১৯৮২ – সৌদি বাদশাহ খালেদের মৃত্যু। যুবরাজ ফাহাদের সিংহাসনে আরোহণ।

১৯৮৩ – ঢাকা জাদুঘর জাতীয় জাদুঘরে রূপান্তরিত হয়।

১৯৯৩ – কিম ক্যাম্পবেল কানাডার প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত।

২০০২ – যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিক্ষেপী ক্ষেপণাস্ত্র (অ্যান্টি ব্যালাস্টিক মিসাইল) চুক্তি প্রত্যাহার করে।

 

এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন যারা—-

১৬৪৫ – মিয়ামোতো মুসাশি, জাপানি অসিযোদ্ধা ও রোনিন।

১৬৯৫ – জন লাফুনতান, ফ্রান্সের বিখ্যাত লেখক ও কবি।

১৯৩১ – কিতাসাতো শিবাসাবুরো, জাপানি চিকিৎসক ও ব্যাকটেরিয়া বিজ্ঞানী।

 

১৯৩২ – অপূর্ব সেন ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম ব্যক্তিত্ব।

 

১৯৩৯ – আর্থার কনিংহ্যাম, অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার।

১৯৮৩ – বাঙালি রসায়ন বিজ্ঞানী ফণীন্দ্রচন্দ্র দত্ত।

 

১৯৮৭ – জেরাল্ডিন পেজ, আমেরিকান অভিনেত্রী।

 

২০০৫ – আলভারো কুনহাল, পর্তুগিজ কমিউনিস্ট বিপ্লবী এবং রাজনীতিবিদ।

 

২০১২ – মেহদী হাসান, পাকিস্তানের গজল গায়ক ও ললিউডের নেপথ্য কণ্ঠশিল্পী।

২০১৫ – মাইক শ্রিম্পটন, নিউজিল্যান্ডীয় ক্রিকেটার ও কোচ।

২০২০ – (ক) মোহাম্মদ নাসিম, বাংলাদেশের সাবেক স্বরাষ্ট্র ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

 

(খ) শেখ মোহাম্মদ আবদুল্লাহ, বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ ও শেখ হাসিনার চতুর্থ মন্ত্রিসভার ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী।

 

(গ) সুলতান উদ্দিন ভূঁইয়া, বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ ও সাবেক সংসদ সদস্য।

 

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This
Categories
রিভিউ

আজ ০৮ জুন, ইতিহাসের দিকে চোখ বুলিয়ে দেখে নেব ইতিহাসের এই দিনে বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু, দিনসহ ঘটে যাওয়া ঘটনা।

আজ ০৮ জুন। এক নজরে দেখে নিই ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু দিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

 

দিবস—–

 

(ক) বিশ্ব মহাসাগর দিবস ৷

(খ) আজ আন্তর্জাতিক আল-কুদস দিবস।

 

আজ যাদের জন্মদিন—-

১৩১৮ – রাজা দ্বিতীয় এডওয়ার্ডের কন্যা ইলিওনা প্ল্যান্টাগ্যানেট।

 

১৮৯৭ – বাঙালি লেখক ও ঔপন্যাসিক মণীন্দ্রলাল বসু।

 

১৯০৪ – বীরেশচন্দ্র গুহ ভারতের প্রখ্যাত বাঙালি প্রাণরসায়ণ বিজ্ঞানী।

 

১৯১৬ – ফ্রান্সিস ক্রিক, ইংরেজ পদার্থবিদ, আণবিক জীববিজ্ঞানী এবং স্নায়ুবিজ্ঞানী।

 

১৯৫৫ – টিম বার্নার্স-লি, ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবের জনক।

 

১৯৭৫ – শিল্পা শেঠী, ভারতীয় অভিনেত্রী৷

 

ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনের ঘটনাবলী—-

১৬৫৮ – পুত্র আওরঙ্গজেব পিতা মোগল সম্রাট শাহজাহানকে ৫ দিন অন্তরীণ রেখে আগ্রা দুর্গ দখল করেন!

১৭০০ – ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি সুতানুটির বদলে ক্যালকাটা লেখা শুরু করে।

১৮৩০ – জার্মান আবিস্কারক কামবোর্জ দিয়াশলাই আবিষ্কার করেন।

১৮৫৫ – পর্তূগালের রাজধানী লিসবনে এক ভয়াবহ ভূমিকম্প হলে সেখানে অগ্নিকাণ্ড ছড়িয়ে পড়ে এবং এর ফলে শহরটির অধিকাংশ স্থাপনা ধ্বংস হয়ে যায়।

১৯২৩ – বুলগেরিয়ায় ফ্যাসিস্ট বাহিনী ষড়যন্ত্রমূলকভাবে ক্ষমতায় আসে।

১৯৩০ – রুমানিয়ার রাজা দ্বিতীয় ক্যারালের সিংহাসন পুনর্দখল।

১৯৩৬ – ইন্ডিয়ান স্টেট ব্রডকাস্টিং সার্ভিসের নাম বদলে অল ইন্ডিয়া রেডিও রাখা হয়।

১৯৩৮ – জাপান চীনে বোমা বর্ষণ শুরু করে। চীনে জাপানের এই বোমা বর্ষণ দশ দিন ধরে অব্যাহত ছিল।

 

১৯৩৯ – ইংল্যান্ডের রাজা ষষ্ঠ জর্জ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফরে যান।

১৯৪৮ – ভারত-ব্রিটেন আন্তর্জাতিক বিমান চলাচল শুরু।

১৯৪৯ – শ্যাম দেশের নাম বদলে থাইল্যান্ড রাখা হয়।

১৯৫৩ – টর্নেডোতে মিশিগান ও ওহাইয়োতে ১১০ জনের মৃত্যু।

১৯৫৯ – মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বে পারমাণবিক শক্তিচালিত প্রথম সাবমেরিন তৈরি করে।

১৯৬৩ – আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশন ধূমপানবিরোধী প্রচার শুরু করে।

১৯৬৮ – বারমুডার সংবিধান গৃহীত হয়।

১৯৬৮ – মার্কিন সিনেটর রবার্ট এফ কেনেডি আর্লিংটনে চিরনিদ্রায় শায়িত হন।

১৯৭০ – আর্জেন্টিনায় সামরিক বাহিনী ক্ষমতা দখল করে।

১৯৮৮ – নাইজেরিয়ায় একনায়ক সানি আবাচারের আকস্মিক মৃত্যুর মধ্য দিয়ে দেশটিতে গণতন্ত্রের পথ উন্মুক্ত।

১৯৯০ – ৪৪ বছরের মধ্যে চেকোশ্লোভাকিয়ায় প্রথম অবাধ নির্বাচন অনুষ্ঠিত। ডাকলাভ হাভেল প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত।

১৯৯১ – পাকিস্তানের ঘোটকিতে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় কমপক্ষে ১০০ লোক নিহত হয়।

১৯৯২ – ইহুদিবাদী ইসরাইলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ প্যারিসে অবস্থানরত একজন ফিলিস্তিনী নেতাকে হত্যা করে।

১৯৯৫ – সাইপ্রাসে ৯৯% ভোটার পৃথক তুর্কী সাইপ্রিয়ট রাষ্ট্রের পক্ষে রায় দেয়।

২০০২ – বাংলাদেশ পূর্ব তিমুরকে স্বীকৃতি দেয়।

 

এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন যারা—-

৬৩২ – মুহাম্মাদ,ইসলাম ধর্মের প্রবর্তক।

১৮০৯ – টমাস পেইন, বৃটেনের বিখ্যাত লেখক ও দার্শনিক।

 

১৮৪৫ – এন্ড্রু জ্যাক্‌সন,মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সপ্তম রাষ্ট্রপতি।

 

১৯৬৯ – হলিউডের খ্যাতনামা অভিনেতা রবার্ট টেলরের মৃত্যু।

১৯৭০ – আব্রাহাম মাসলো, একজন আমেরিকান মনোবিজ্ঞানী।

 

১৯৯১ – বিমলকৃষ্ণ মতিলাল, বাঙালি দার্শনিক অধ্যাপক ।

 

১৯৯৮ – সানি আবাচা, নাইজেরিয়ার সাবেক রাষ্ট্রপতি।

 

২০১২ – সুভাষ চৌধুরী বিশিষ্ট রবীন্দ্র সংগীত শিক্ষক গবেষক  ও সমালোচক।

 

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ

স্মরণে, বাঙালি লেখক ও ঔপন্যাসিক মণীন্দ্রলাল বসু।

সূচনা—

 

লেখক ও ঔপন্যাসিক হিসেবে মণীন্দ্রলাল বসু ছিলেন এক পরিচিত নাম। তিনি ছিলেন ভারতীয় বাঙালি লেখক।   তিনি জনপ্রিয়তা লাভ করেছিলেন বিশিষ্ট রোমান্টিক উপন্যাস “রমলা”র জন্য ।

 

জন্ম ও বাল্যকাল —-

 

বৃটিশ ভারতের অধুনা পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় মণীন্দ্রলাল বসুর জন্ম ১৮৯৭ খ্রিস্টাব্দের ৮ই জুন । পিতা ছিলেন মুনসেফ প্রবোধচন্দ্র বসু এবং মাতা ইন্দিরাসুন্দরী। দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার চাংড়িপোতাতে ছিল  তাঁদের আদি নিবাস ।

 

শিক্ষা জীবন—-

 

তার পড়াশোনা ব্রাহ্ম বয়েজ স্কুল, হেয়ার স্কুল ও প্রেসিডেন্সি কলেজে।  কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এম.এ. পাশের (১৯২০ খ্রিস্টাব্দে) পর  আইন বিষয়ে বি.এল. পাশ (১৯২৩ খ্রিস্টাব্দে) করে কিছুদিন হাইকোর্টে আইন ব্যবসা করেন। এর পরে তিনি উচ্চ শিক্ষার্থে ইউরোপ যাত্রা করেন ১৯২৫ খ্রিস্টাব্দে ।  ব্যারিস্টারি পাশ করেন  ১৯২৭ খ্রিস্টাব্দে। এর পরে  ১৯২৯ খ্রিস্টাব্দে দেশে ফিরে আসেন।

 

সাহিত্যচর্চা —–

 

সাহিত্যচর্চায় তাঁর ছিল প্রবল আগ্রহ। বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় লেখা পাঠাতেন। প্রথম পুরস্কার লাভ করেছেন প্রবাসী পত্রিকায় একাধিকবার গল্প প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে । আর এই প্রবাসী পত্রিকাতেই ১৩২৯ -৩০ বঙ্গাব্দে ধারাবাহিক ভাবে তার রোমান্টিক উপন্যাস “রমলা” প্রকাশিত হয়েছিল। তবে ছোট গল্প দিয়ে লেখা শুরু করেছিলেন তিনি।

 

তার রচিত উল্লেখযোগ্য গ্রন্থগুলি সমূহ—

 

তার রচিত উল্লেখযোগ্য গ্রন্থগুলি হলো  রক্তকমল, সোনার হরিণ, কল্পলতা,  জীবনায়ন, সহযাত্রিণী, স্বপ্ন, মায়াপুরী, ঋতুপর্ণ, সোনার কাঠি – শিশু ও কিশোরদের জন্য গল্পগ্রন্থ।

 

অন্যান্য কাজ—-

 

তিনি শিশুদের জন্য পাঠ্যপুস্তকও রচনা করেছেন।   তার কয়েকটি অনূদিত বইও রয়েছে।   তাছাড়া ইউরোপে অবস্থানকালে সেখানকার চিত্রকলার বিষয়ে তিনি ‘ইউরোপের চিত্রশালা’ রচনা করেন।  মণীন্দ্রলাল ১৩৫১ বঙ্গাব্দে   অর্থনৈতিক সাময়িকী “পরিকল্পনা” সম্পাদনা করছিলেন।

 

মৃত্যু—-

 

১৯৭৬ খ্রিস্টাব্দের ২২ শে জুলাই তিনি প্রয়াত হন।

 

।। তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।

Share This