আজ ৯ অক্টোবর। এক নজরে দেখে নিই ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু দিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।
দিবস—–
(ক) বিশ্ব ডাক দিবস।
বিশ্ব ডাক দিবস (World Post day) ১৮৭৪ সালের এই দিনে সুইজারল্যান্ডের বের্ন শহরে বিশ্ব ডাক সংস্থার (ইউপিইউ) প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীকে স্মরণ করে প্ৰতি বছর ৯ অক্টোবর গোটা বিশ্বজুড়ে পালন করা হয়। বিশ্ব ডাক সংস্থা চিঠি লিখে তথ্য আদান-প্রদান এবং যোগাযোগের মাধ্যমে ডাক বিভাগে বৈশ্বিক বিপ্লবের সূচনা করে। ডাক সেবার প্রচার এবং প্রসার এই সংস্থার মূল উদ্দেশ্য।
আজ যাদের জন্মদিন—-
১৯০৬ – লেয়পোলড সেডার সেনঘোর, সেনেগলিজ কবি, রাজনীতিবিদ ও ১ম রাষ্ট্রপতি।
১৯০৭ – জ্যাককুয়েস টাটি, ফরাসি অভিনেতা, পরিচালক ও চিত্রনাট্যকার।
১৯১৬ – ক্ষুদিরাম দাস বাঙালি শিক্ষাবিদ, সমালোচক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, রবীন্দ্র বিশেষজ্ঞ ও একজন ভাষাতত্ত্ববিদ।
ক্ষুদিরাম দাস (৯ অক্টোবর ১৯১৬ – ২৮ এপ্রিল ২০০২) একজন পণ্ডিত, শিক্ষাবিদ, সমালোচক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, রবীন্দ্র বিশেষজ্ঞ ও একজন ভাষাতত্ত্ববিদ ছিলেন।
১৯২১ – টাডেউসজ রোযেওিসজ, পোলিশ কবি ও নাট্যকার।
১৯২২ – শান্তিনিকেতনের চিনা ভাষাবিদ অধ্যাপক অমিতেন্দ্রনাথ ঠাকুর।
১৯২৭ – (ক) খ্যাতনামা বাঙালি কবি, অনুবাদক ও ঔপন্যাসিক লোকনাথ ভট্টাচার্য।
লোকনাথ ভট্টাচার্য ( ৯ অক্টোবর ১৯২৭ – ২৩ মার্চ ২০০১) ছিলেন কবি, গবেষক, ফরাসি ভাষায় অভিজ্ঞ ও অনুবাদক।তিনি ফরাসি কবি আর্তুর র্যাঁবোর (Arthur Rimbaud) ‘মাতাল তরণী’ ও ‘নরকে এক ঋতু’ বাংলায় অনুবাদ করে খ্যাতি লাভ করেন। জীবৎকালে তাঁর রচিত কুড়িটি বই ফরাসি ভাষায় অনূদিত হয় এবং ফ্রান্সে সমাদৃত ও আলোচিত হয়। ‘’বাবুঘাটের কুমারী মাছ’’ উপন্যাসটি ইংরেজীতে অনূদিত হয় এবং তিনি ফ্রান্সে একাধিক পুরস্কার লাভ করেন।
(খ) ফ্রান্সিস ও’ফেরেল আইরিশ সাবেক ফুটবল খেলোয়াড় ও ম্যানেজার।
১৯২৯ – সুধীন দাশগুপ্ত, খ্যাতিমান বাঙালি কণ্ঠশিল্পী, গীতিকার, সঙ্গীত পরিচালক ।
সুধীন দাশগুপ্ত (জন্ম: ৯ অক্টোবর ১৯২৯ – মৃত্যু: ১০ জানুয়ারি ১৯৮২) একজন খ্যাতিমান বাঙালি কণ্ঠশিল্পী, গীতিকার, সঙ্গীত পরিচালক বাঙালি সঙ্গীত পরিচালক। তিনি হিন্দি, অসমীয়া এবং ওড়িয়া প্রভৃতি বিভিন্ন ভারতীয় ভাষায় কাজ করেছিলেন। তার রচনা ও পরিচালনায় বাংলা আধুনিক গানে স্পন্দনের সৃষ্টি করে। পাশাপাশি বাংলা চলচ্চিত্রের গানে এক নতুন দিগন্তের সূচনা করেছিল।
১৯৩৩ – পিটার ম্যান্সফিল্ড, পুরস্কার বিজয়ী ইংরেজ পদার্থবিজ্ঞানী ও একাডেমিক।
১৯৩৮ – হেইঞ্জ ফিশার, অস্ট্রিয়া শিক্ষাবিদ, রাজনীতি ও ১১তম প্রেসিডেন্ট।
১৯৩৯ – জন পিলজার, খ্যাতনামা অস্ট্রেলীয় সাংবাদিক ও ডকুমেন্টারি নির্মাতা।
১৯৪০ – জন লেনন, ইংরেজ গায়ক, দ্য বিটলস ব্যান্ডের প্রতিষ্ঠাতা।
১৯৪৫ – আমজাদ আলি খান, বিশিষ্ট ভারতীয় সরোদবাদক তথা শাস্ত্রীয় সঙ্গীতজ্ঞ
আমজাদ আলি খান (জন্ম: ৯ অক্টোবর, ১৯৪৫ – ) একজন স্বনামধন্য ভারতীয় সরোদবাদক তথা শাস্ত্রীয় সঙ্গীতজ্ঞ। আমজাদ আলি খানের জন্মও এক স্বনামধন্য সঙ্গীতজ্ঞ পরিবারে। ১৯৬০-এর দশক থেকে তিনি আন্তর্জাতিক স্তরে সঙ্গীতানুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করছেন। ২০০১ সালে তাকে ভারতের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা পদ্মবিভূষণে ভূষিত করা হয়।
আমজাদ আলি
১৯৪৫ – সুমিতা সান্যাল, ভারতীয় বাঙালি চলচ্চিত্রাভিনেত্রী।
১৯৪৭ – ফ্রান্স গাল, ফরাসি গায়িকা।
১৯৫০ – জডয় উইলিয়ামস, নোবেল পুরস্কার বিজয়ী আমেরিকান অধ্যাপক ও সমাজ কর্মী।
১৯৫৩ – টনি শালহোউব, আমেরিকান অভিনেতা ও প্রযোজক।
১৯৬২ – হোর্হে বুরুচাগা, প্রখ্যাত আর্জেন্টিনীয় ফুটবল খেলোয়াড়।
হোর্হে বুরুচাগা (জন্ম অক্টোবর ৯, ১৯৬২) একজন প্রখ্যাত আর্জেন্টিনীয় ফুটবল খেলোয়াড়। ১৯৮৬ সালের বিশ্বকাপ ফাইনালে তিনি জার্মানির বিরুদ্ধে আর্জেন্টিনার ম্যাচ-বিজয়ী তৃতীয় গোলটি করেন। গোলটি আসে খেলার ৮৩ মিনিটের মাথায় দিয়েগো ম্যারাডোনার পাস থেকে। আর্জেন্টিনা ৩-২ গোলে খেলাটি জিতে দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্বকাপ জয় করে।
১৯৬৪ – গুইলারমো ডেল টোরো, মেক্সিক্যান আমেরিকান পরিচালক, প্রযোজক ও চিত্রনাট্যকার।
১৯৬৬ – ডেভিড ক্যামেরন, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী।
ডেভিড উইলিয়াম ডোনাল্ড ক্যামেরন ( জন্ম: ৯ অক্টোবর, ১৯৬৬) লন্ডনে জন্মগ্রহণকারী যুক্তরাজ্যের বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ। তিনি ২০১০ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি কনজারভেটিভ পার্টির নেতৃত্বে ছিলেন। সংসদীয় আসন উইটনি এলাকা থেকে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন। ২০১৬ সালে অনুষ্ঠিত যুক্তরাজ্যের ইউরোপীয় ইউনিয়ন ত্যাগ শীর্ষক গণভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটাররা ত্যাগের পক্ষ ভোট দেয়ার পর তিনি পদত্যাগ করেন।
১৯৭৫ – মার্ক ভিডুকা, সাবেক অস্ট্রেলিয়ান ফুটবল।
মার্ক অ্যান্টনি বিদুকা (জন্ম ৯ অক্টোবর ১৯৭৫) একজন অস্ট্রেলিয়ান প্রাক্তন সকার খেলোয়াড় যিনি একজন সেন্টার ফরোয়ার্ড হিসেবে খেলেন। Viduka ২০০৬ ফিফা বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়া জাতীয় দলের অধিনায়কত্ব করেছিলেন, যা তাদের যৌথ-সেরা পারফরম্যান্স এখনও পর্যন্ত রয়ে গেছে। UEFA চ্যাম্পিয়ন্স লিগে তার চারটি গোলই অস্ট্রেলিয়ার যেকোনো খেলোয়াড়ের সবচেয়ে বেশি গোল।
১৯৯৩ – লরেন ডেভিস, আমেরিকান টেনিস খেলোয়াড়।
লরেন ডেভিস (জন্ম ৯ অক্টোবর, ১৯৯৩) একজন আমেরিকান পেশাদার টেনিস খেলোয়াড়। তার আক্রমনাত্মক ব্যাকহ্যান্ড, গতি এবং ক্লে-কোর্টের শক্তির জন্য পরিচিত, তিনি WTA ট্যুরে দুটি একক শিরোপা জিতেছেন এবং ২০১৭ সালের মে মাসে কেরিয়ার-উচ্চ একক র্যাঙ্কিংয়ে বিশ্বের ২৬ নম্বরে পৌঁছেছেন। এছাড়াও তিনি আটটি একক শিরোপা জিতেছেন আইটিএফ মহিলা সার্কিট ।
১৮৩৫ – ক্যামিল সেন্ট-সায়েন্স, ফরাসি সুরকার ও পথপ্রদর্শক।
১৮৫৩ – এমিল রো, বিশিষ্ট ফরাসী চিকিৎসক ও গবেষক।
১৮৭৪ – নিকোলাস রোয়েরিচ, রাশিয়ান প্রত্নতত্ত্ববিদ ও চিত্রশিল্পী।
নিকোলাই কনস্টান্টিনোভিচ রেরিখ (অক্টোবর ৯, ১৮৭৪ – ১৩ ডিসেম্বর, ১৯৪৭), ছিলেন একজন রাশিয়ান চিত্রশিল্পী, লেখক, চিত্রশিল্পী , লেখক । দার্শনিক , এবং জনসাধারণের ব্যক্তিত্ব । তার যৌবনে তিনি রাশিয়ান প্রতীকবাদ দ্বারা প্রভাবিত হয়েছিলেন , রুশ সমাজের একটি আন্দোলন যা আধ্যাত্মিককে কেন্দ্র করে। তিনি সম্মোহন এবং অন্যান্য আধ্যাত্মিক অনুশীলনে আগ্রহী ছিলেনএবং তার পেইন্টিং সম্মোহনী অভিব্যক্তি আছে বলা হয়।
১৮৭৭ – সমাজসেবক,সংস্কারক,সাংবাদিক, কবি ও প্রাবন্ধিক উৎকলমণি গোপবন্ধু দাস।
গোপবন্ধু দাস (১৮৭৭-১৯২৮), যিনি উৎকলমণি গোপবন্ধু দাস (উৎকল বা ওড়িশার রত্ন) নামে পরিচিত ছিলেন, ছিলেন একজন সমাজকর্মী, সংস্কারক, রাজনৈতিক কর্মী, সাংবাদিক, কবি এবং প্রবন্ধকার।
১৮৭৯ – মাক্স ফন লাউয়ে, জার্মান পদার্থবিদ।
১৮৮৭ – সরোজ নলিনী দত্ত, ভারতীয় নারীবাদী এবং সমাজ সংস্কারক।
সরোজ নলিনী দত্ত (৯ অক্টোবর ১৮৮৭ – ১৯ জানুয়ারী ১৯২৫) একজন ভারতীয় নারীবাদী এবং সমাজ সংস্কারক ছিলেন। তাঁর পিতার নাম ব্রজেন্দ্রনাথ। তিনি ব্যান্ডেল, বঙ্গ প্রদেশের হুগলির কাছে বান্দেল শহরে জন্মগ্রহণ করেছিলেন।তিনি ছিলেন বাংলায় নারীদের উন্নয়নের আন্দোলনের একজন সংস্কারক ও পথিকৃৎ। ১৯০৫ সালে তিনি বিবাহ করেন। তিনি যাকে বিবাহ করেন তার নাম হলো গুরুসদয় দত্ত। তাদের একটি সন্তান হয়। তাদের একমাত্র সন্তানের নাম। বীরেন্দ্রসদয় দত্ত যিনি ১৯০৯ সালে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তিনি পাবনা জেলায় প্রথম মহিলা সমিতি শুরু করেন। এরপর পরপর তিনি বীরভূম (১৯১৬), সুলতানপুর (১৯১৭) এবং রামপুরহাট (১৯১৮) জেলা মহিলা সমিতি শুরু করেন।
১৮৯৩ – কালীকিঙ্কর সেনগুপ্ত, বাঙালি চিকিৎসক, স্বদেশী আন্দোলনে স্বেচ্ছাসেবক ও কবি।
১৭৫৭ – দশম চার্লস, ফ্রান্সের রাজা।
১২৬১ – ডেনিস, পর্তুগালের রাজা।
১৮৯২ – ইভো আন্দ্রিচ, নোবেল পুরস্কার বিজয়ী সার্বীয় লেখক ও কবি।
ইভান “ইভো” আন্দ্রিচ (৯ অক্টোবর, ১৮৯২- ১৩ মার্চ, ১৯৭৫) সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী যুগোস্লাভীয় ঔপন্যাসিক ও ছোটগল্প লেখক। তার অধিকাংশ রচনার পটভূমি আর উৎস হচ্ছে বসনিয়া ও বসনিয়ায় তার অভিজ্ঞতা। ১৯৬১ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন।
ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনের ঘটনাবলী—-
২০০৪ – আফগানিস্তানের ইতিহাসে প্রথমবারের মত সরাসরি ভোটে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হয়।
২০০৬ – উত্তর কোরিয়া প্রথম পরমাণু অস্ত্রের পরীক্ষা চালায় বলে অভিযোগ রয়েছে।
১৯১১- চীনে রাজতান্ত্রিক শাসনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ শুরু।
১৯১১ – দক্ষিণ-পশ্চিম আফ্রিকায় হটেনটট বিদ্রোহ শুরু হয়।
১৯৪০ – দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালে জার্মানি লন্ডন শহরের ওপর বোমা নিক্ষেপ করে।
১৯৬২- আফ্রিকান দেশ উগান্ডার স্বাধীনতা অর্জন।
১৯৭৬ – মুম্বাই ও লন্ডন শহরের মধ্যে সরাসরি আন্তর্জাতিক টেলিফোন যোগাযোগ স্থাপিত হয়।
১৯৯৬ – সাবেক প্রধান বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমদ বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হন।
১৮৭৪- বিশ্বে ডাক ব্যবস্থা চালু।
১৮৯৯- লন্ডনে প্রথম পেট্রোল চালিত মোটরযান চলাচল শুরু।
১৭০৮- রাশিয়া-সুইডেনের মধ্যকার ঐতিহাসিক ডেনিপার যুদ্ধ সমাপ্ত।
১৭৭৯ – তাঁত বয়নে যন্ত্রপাতি প্রবর্তনের প্রতিক্রিয়ায় ম্যাঞ্চেস্টারে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা দাঙ্গা শুরু করে।
১৫১৪ – ফ্রান্সের রাজা দ্বাদশ লুই মেরি টিউডরকে বিয়ে করেন।
১৪৪৬ – কোরিয়ায় হানগুল বর্ণমালা চালু হয়।
এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন যারা—-
২০০৪ – জাক দেরিদা, আলজেরিয়ার বংশোদ্ভূত ফরাসি দার্শনিক ও শিক্ষাবিদ।
২০১০ – মরিস আলাইস, নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ফরাসি অর্থনীতিবিদ ও পদার্থবিজ্ঞানী।
২০১৩ – উইলফ্রায়েড মার্টেনস, বেলজিয়ান আইনজীবী, রাজনীতিবিদ ও ৬০তম প্রধানমন্ত্রী।
১৯২৪ – ভালেরয় ব্রয়ুসভ, রাশিয়ান লেখক, কবি ও সমালোচক।
১৯৩৪ – লুই বারটউ, ফরাসি রাজনীতিবিদ ও ৭৮ তম প্রধানমন্ত্রী।
১৯৩৪ – আলেকজান্ডার, যুগোশ্রাভিয়ার রাজা।
১৯৪৩ – পিটার জেমান, নেদারল্যান্ডের বিখ্যাত পদার্থবিজ্ঞানী।
১৯৬৭- চে গেভারা, বিংশ শতাব্দীর খ্যাতিমান সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবীদের অন্যতম।
১৯৬৭ – সিরিল চ্যরিল নরমান হিঙ্ঘলিউড, নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ইংরেজ রসায়নবিদ ও অধ্যাপক।
১৯৮১ – কাজী মোতাহার হোসেন, বাংলাদেশী পরিসংখ্যানবিদ, বিজ্ঞানী, সাহিত্যিক ও শিক্ষাবিদ।
হোসেন ছিলেন বাংলাদেশের একজন অগ্রগামী শিক্ষাবিদ। তিনি পরিসংখ্যানে মূল গবেষণা করেছেন এবং একজন শিক্ষক ও প্রশাসক হিসেবে বাংলাদেশে এর শিক্ষার পথপ্রদর্শক ছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাথমিক অনুষদের একজন হিসেবে, তিনি এর চারপাশে গড়ে ওঠা সাংস্কৃতিক চেনাশোনাগুলিতে জোরালোভাবে সক্রিয় ছিলেন। ব্রিটিশ ভারতের শেষদিকে ঢাকাকেন্দ্রিক সাহিত্যিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে, সাম্প্রদায়িকতা এবং ধর্মীয় অনুভূতি দ্বারা চিহ্নিত একটি সময়, হোসেন এবং তার সাহিত্যিক দল শিখা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি এবং যুক্তিবাদের প্রবক্তা হিসেবে নিজেদের আলাদা করেছেন। তিনি সেই সন্দেহপ্রবণ বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে ছিলেন যারা পাকিস্তানের স্বল্পস্থায়ী রাষ্ট্রের পরিণতি সম্পর্কে সতর্ক করেছিলেন। বেশ কয়েকবার, তিনি পাকিস্তান সরকারের নীতির সমালোচনা করেছেন, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণভাবে রাষ্ট্রভাষা প্রশ্নে।
১৯৮১ – মাজেদ আবশারার, ইহুদীবাদী ইসরাইল ফিলিস্তিনী নেতা।
১৯৮৭ – মোহাম্মদ ফরহাদ, বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ।
মোহাম্মদ ফরহাদ (৫ জুলাই ১৯৩৮ – ৯ অক্টোবর ১৯৮৭) একজন বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ। তিনি বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং জাতীয় সংসদের সাবেক সদস্য ছিলেন। তিনি কমরেড ফরহাদ নামেই অধিক পরিচিত ছিলেন।
১৯৮৭ – উইলিয়াম পি মারফি, নোবেল পুরস্কার বিজয়ী আমেরিকান চিকিৎসক ও অধ্যাপক।
১৯৯২ – উইরি ব্রান্ট, জার্মান পুনগৃঠনের প্রবক্তা।
১৯৯৫ – অ্যালেক ডগলাস-হোম, ব্রিটিশ ক্রিকেটার, রাজনীতিবিদ ও প্রধানমন্ত্রী।
১৯৯৯ – আখতার হামিদ খান, পাকিস্তানের অর্থনীতিবিদ ও পণ্ডিত।
আখতার হামিদ খান (১৫ জুলাই ১৯১৪ – ৯ অক্টোবর ১৯৯৯) একজন পাকিস্তানি সমাজ বিজ্ঞানী ও উন্নয়ন কর্মী ছিলেন। তিনি বাংলাদেশ,পাকিস্তান এবং অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশে অংশগ্রহণমূলক পল্লী উন্নয়ন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আজীবন কাজ করেছেন। তার বিশেষ অবদান ছিল পল্লী উন্নয়নের জন্য একটি ব্যাপক প্রকল্প, কুমিল্লা মডেল (১৯৫৯) প্রতিষ্ঠা। এই পরিকল্পনার জন্য তিনি রামোন ম্যাগসেসে পুরস্কার লাভ করেন এবং মিশিগান স্টেট ইউনিভার্সিটি তাকে সম্মানসূচক ‘ডক্টরাল’ ডিগ্রী প্রদান করে। রেল্ফ শুমেখার তার বইয়ে লিখেছেন: “তার স্কেন্ডিনেভিয়ান সহকর্মীরা এবং অন্যান্য উপদেষ্টারা তাকে নোবেল শান্তি পুরস্কারর জন্য মনোনীত করেছিলেন।”
১৮৯৪- পণ্ডিত রামগতি ন্যায়রত্ন,প্রথম বাংলা ভাষা ও বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস সহ বহু মূল্যবান গ্রন্থের প্রণেতা, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, সমাজ সংস্কারক।
রামগতি ন্যায়রত্ন (৪ জুলাই ১৮৩১ – ৯ অক্টোবর (২১ শে আষাঢ়) ১৮৯৪) ছিলেন ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের সমসাময়িক সংস্কৃত কলেজের ছাত্র ও অধ্যাপক। তিনি বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের প্রথম পূর্ণাঙ্গ ইতিহাস – “বাঙ্গালা ভাষা ও বাঙ্গালা সাহিত্য-বিষয়ক প্রস্তাব” রচনা করেন।
।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।