রানাঘাটের পালবাড়ির পুজো ২৬৫বছরে পদার্পণ করলো।
২৬৫বছরের পাল বাড়ির পুজো। নদিয়ার প্রাচীন পুজো রানাঘাটের পালবাড়ির বনেধি পুজো ২৬৫বছরে পদার্পণ করলো। প্রাচীন জমিদার বাড়ির এতিহ্য বাড়িটি আজও রয়েছে তবে রক্ষণা বেখ্যনে কিছুটা ভাটা পড়লেও জমিদার বাড়ির এতিহ্য আজও রয়েছে পরিবার ভাগ হয়েছে কিন্তূ দূর্গাপূজা আজও তার এতিহ্য ধরে রেখেছে।
265 বছরের পুজো সাগরেস্বর পাল এই পুজো শুরু করেছিলেন। তাদের বংশধর এই পুজো করে আসছেন। এই বাড়িতে চারটে শরিক প্রথ্যেক বছর হয়এই পুজো করেন ।বৈশিষ্ট্য এখানে মাকে লুচি ভোগ ও কাচা ভোগ দেওয়া হয়। নবমীর দিন কাদা খেলা অষ্টমীর দিন ধুনো পড়ানো হয়। এই পুজোর জনপ্রিয়তা। তবে পুজোর বিশিষ্ট দিন গুলি আনন্দ উচ্ছল থাকে।
তবে এই পুজোর একটি আশ্চর্য ঘটনা ঘটনা ঘটে থাকে পুজোর দশমীর দিন কেউ না কেউ প্রসাদ চাইতে আসে বাড়ি থেকে প্রসাদ দিতে গেলে তাকে আর দেখা যায় না। এই পুজো ঘিরে পরিবারের সদস্য ছাড়াও বাইরে থেকে এই পুজোতে আসে একসঙ্গে সবাই মিলে দিন গুলো আনন্দে কাটে।
রানাঘাট হিজুলির গাঙ্গুলি বাড়ির পুজো
রানাঘাটের প্রাচীন পুজোর মধ্যে অন্যতম রানাঘাট হিজুলির গাঙ্গুলি বাড়ির পুজো ১৮৭ বছরে।১৮৩৭ সালে পুজো শুরু হয়। এই পুজো শুরু করেন স্বর্গীয় গণেশ গাঙ্গুলি লক্ষ্মীনারায়ণ গাঙ্গুলি তার আগে এই পুজো হয়েছিল কিন্তু সেটা জানা যায় নি। এখানে মা দুর্গা এক চালা ঢাকের সাজ।
মৃৎ শিল্পী তিন পুরুষ ধরে প্রতিমা তৈরি করে আসছেন। জন্মাষ্টমীর পরের দিন নন্দ উৎসবের দিন ঠাকুরের কাঠামো পুজো হয়। তবে রীতি হচ্ছে মেয়েদের নামে প্রথম সংকল্প করা হয়। সেই রীতি মেনে এখনও পরম্পরায় ঘরের মহিলাদের নামে সংকল্প হয়।চার দিনই বলি হয়। বর্তমানে ফল বলি হয়। জগদ্ধাত্রী পুজোর সময় ছাগ বলি হতো।
সেই ছাগ বলি বন্ধ হয়ে যায়। তারপর স্বপ্নাদেশ দুর্গা পুজো সূচনা। দেড় মণ ভোগ হয় চার দিন কলাই ডালের খিচুড়ি করা হয়। পুরোপুরি গঙ্গা জল দিয়ে সমস্ত কাজ করা। আর চার দিন ১২জন স্থানীয় ব্রাম্বন দের নেমেন্তন্ন করে খাওয়ানো হয়। সেই রীতি আজও চলে আসছে।