বিষাদের সুরে উমাকে বিদায়, সকাল থেকেই রাজ বাড়িতে ডালি হাতে নিয়ে হাজার হাজার দর্শনার্থীদের ভিড়। ভক্তবৃন্দদের সাথে সিঁদুর খেলায় মাতলেন রাজবাড়ীর রানিমা।
নদীয়ার কৃষ্ণনগরের কৃষ্ণচন্দ্র রাজার রাজগৃহে দেবী দুর্গার আরাধনায় মাতোয়ারা হয় গোটা কৃষ্ণনগরবাসী। পূজার পাঁচটা দিন সকাল থেকে রাত্রি কাতারের কাতারের ভক্তদের আনাগোনা লেগেই থাকে রাজবাড়ীতে। তবে দশমীর দিন এক অন্য চিত্র ধরা পড়ে রাজবাড়ীতে।
শুধু নদীয়া জেলা নয় জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকেও প্রচুর দর্শনার্থী আসেন রানী মাকে একবার দেখার জন্য। যদিও দেবী দুর্গাকে প্রথমে বরণ করেন রাজবাড়ীর বর্তমান রানী মা অমৃতা রায়, এরপর অন্যান্য দর্শনার্থীদের বরণ করার সুযোগ মেলে। এখনো সাবিকি আনার ছোঁয়ায় যেন নজর কারে গোটা রাজবাড়ী।
তাই সিঁদুর খেলার মধ্যে দিয়ে মন ভার থাকলেও রাজবাড়ির সিঁদুর খেলায় সকলেই যে অংশগ্রহণ করতে চান তা প্রত্যেক বছর এই দশমীর দিনেই অনেকটাই বোঝা যায়।
তবে যদি নিরঞ্জনের ক্ষেত্রে রাজবাড়ির সেই চিরাচরিত নিয়ম এখনো বজায় রয়েছে। সন্ধ্যের আগেই বেয়ারা দিয়ে দেবীকে রাজবাড়ীর পুকুরে বিসর্জন করা হয়, তবে সাবেকিআনার খামতি থাকে না এক ফোটাও।