মানুষ পৃথিবীর এক বিরলতম প্রজাতি যে অজ্ঞতাকে দূর করতে বিজ্ঞানের নতুন নতুন আবিষ্কারে ডুবে থাকে, অনেক চেষ্টার পর নতুন কিছু আবিষ্কার করে, তার সফলতায় রোমাঞ্চকর অনুভূতিও উপভোগ করে। আগুন জ্বালাবার কৌশল, কৃষিকাজ কিম্বা চাকার ব্যবহার মানব সভ্যতার আদি পর্বের যুগান্তকারী আবিষ্কার।
গবেষণা থেমে নেই চলতেই থাকে, কে তাকে আটকায়।আমরা বিজ্ঞানের জগতে ভেসে বেড়াই, যেমন দূরদুরন্তে পাড়ি দেই সেই বিজ্ঞানের ওপর ভর করে।
বাতাসের তরঙ্গে কথা বলা, মঙ্গলে বাড়ি খোঁজা, সমুদ্রের নিচে ট্রেনে চেপেও চলাচল করি দূরে বহুদূরে। বিজ্ঞানের সৃষ্টি বোঝা বড় দায়।
বৈজ্ঞানিকেরা গবেষণায় জয় করে বিশ্ব, তারা জয় করে কত কষ্ট করে আর আমরা সহজেই তা উপভোগ করি। বড় বড় রোগ এক্সরে মেশিনের সাহায্যে রোগ নির্ণয় হয়, ভালোমন্দ তাদের হাতে ছেড়ে আমরা নিশ্চিন্তে থাকি বসে, আমরা তাদের আবিষ্কারের ফল ভোগ করি কিন্তু মনে করি ক’বার তাদের অবদানের কথা, ব্যস্ত থাকি ভোগের আনন্দে।
বিজ্ঞানের সৃষ্টি মানবজীবনে যেমন অনেক স্বাচ্ছন্দ এনেছে তেমনি তার অপব্যবহার
মানব সভ্যতার ভবিষ্যৎ প্রশ্নচিহ্নের মুখে দাঁড় করিয়েও দিয়েছে। হিরোসিমা-নাগাসাকি আধুনিক সভ্যতার কলঙ্ক নয় কি!