ওগো বধূ, তোমাকে দেবার মতো আছে তো কিছু কৃত্রিম গহনা– আমি ধনহীন, তা তো তুমি জানোই- যা আছে তাই নিয়ে কেনো খুশি থাকোনা; তোমার কণ্ঠে এখন আর সেই সুমধুর ধ্বনি নেই- তুমি খুশি নও, তাই না? আমার ঘরে পাবেনা সুখ, এই জীবনে তোমায় ভীষণ ভালোবাসি, পড়ে নাকি মনে? তুমি গৃহবধূ, কেনো তুমি যাও- আমার বন্ধুরে […]
কৃষ্ণপক্ষের শেষ তিথি, নিবিড় আঁধারে কে গো তুমি এলে অগোচরে, খেজুরগাছের সারি তার আড়াল দিয়া দুইগুণ আঁধারে, মিহি কেশ গলায় পলাশের মালা পরি, মৃদু বেনার মদিরাক্ষি গন্ধে, গভীর রাতে নিখিল বিশ্ব গেলো ভরি, কাজলে আঁকা উজ্জ্বল বাঁকা চাহনি, নিক্ষেপ করে তড়িৎ- মুখচন্দ্রিকা মধুর হাসি, নীলাভ বস্ত্র পরিয়া শিয়রে দাঁড়ালো আসি! বীণার ধ্বনির চেয়েও মধুর কন্ঠস্বর-হে […]
বাবুর বাড়ি বাসন ধোয়ার কাজ করে যে সে আমার জন্মদাত্রী মা– অতীত বর্তমান ভুলতে পারি না। দারিদ্রের কোনো পছন্দ আছে নাকি, খাই তো কাঁকর মেশানো খুদ, দীর্ঘ উপবাসে ছিলো এক গাই, শীর্ণদেহ শুকিয়ে গেছে দুধ– তারপরও কিছুদিন বেঁচে ছিলো প্রাণে, চলে না আর জীর্ণদেহ, ভাঙাচোরা মাটির দেয়াল, বাঁচবো কদিন তবুও হিসাব করি গেল, কথাবলা, হাঁটা […]
দোষ কীর্তন গাইবে সবাই জানি– তবু প্রিয়া তোমার কাছেই বাজাবো আমার প্রিয় তানপুরা খানি। হাত আমার শাসনে নেই, তাল হারিয়েছে তারে, ধৈর্য্যহীন চিত্তচাঞ্চল্য প্রহার করে পাঁজরের দ্বারে, প্রিয়া তুমি মান কোর না,বাঁধ তার বুঝে নিয়ে চেষ্টা যেন সফল হয়, তোমার ভাবের উদ্রেক বিহ্বলতা দিয়ে। বেজে উঠুক সে তার অন্তরে আছে কথা যত গুঞ্জরণ রবে হৃদয়ের […]
ভাবছি যত বিঘা দুঃখের জমি আছে কেনো ফাঁকা থাকবে? আবাদ করবো কিছু শান্তির বীজরোপণ করে অনেক কষ্ট করে রেখেছি শান্তির বীজ হয়তো একটু দেরি হবে ফুল ফুঁটতে তবে মনে হয় ফুঁটবে। আর কতদিন এভাবে ফাঁকা থাকবে যত আবর্জনায় ভরে আছে পরিচ্ছন্ন করতে একটু সময় লাগবে। কিছুদিনের জন্য শত্রু হয়ে মনে মনে অপ্রকাশ্যে ঘৃণা করে ক্ষতিসাধন […]
তুমি দৃশ্যমান তোমার আড়ালে সব আছে…. সুশৃঙ্খল ভাবে সাজানো। কোন ঋতুর সাজে সেজেছো? শাড়ি,গয়না নূপুর,দুল,ফিতে এই গুলো… কোন ঋতুর বললে না তো? এতো সুন্দর কারুকার্য রয়েছে সৌম্যমূর্তি জুড়ে। ঘন ঝোপঝাড়ের ঘ্রাণ পাচ্ছি ভয়াবহ খাদ! ঝর্ণার চঞ্চল নৃত্যের শব্দ দূর থেকে যেন ভেসে আসছে কারা তালে ছন্দে মাদল বাজাচ্ছে কোথায়? সৌম্যমূর্তি প্রচ্ছদের আড়ালে কোথায় যে খুঁজি? […]
হারিয়ে গেছে যে অতীত বারংবার আসে আঘাত করবার জন্য। আজ এতোটাই নিঃস্ব পরিমাপ করে দেখি, শ্বাস গ্রহণ ও ত্যাগ করতে করতে হয়তো একদিন নিঃশেষ হবো- মিলিত কন্ঠের আওয়াজ প্রাণনাশ করছে। সূক্ষ্ম কিছু নাড়ি এখনো জেগে আছে ওদের ঘুম নেই- ওরা শোকপ্রকাশ করে অশ্রুবিন্দুতে। দিগন্ত, দূর অনেক দূর পর্যন্ত বিস্তৃত তমসা নতশিরে। মন্দিরে কারা যেন প্রত্যহ […]
আমাদের সেই প্লাটফর্ম টি বড় সুন্দর ছিল লালমাটির কাঁকর বিছানো একটা কর্গেটের শেড, একটি পুরণো অশথগাছ, আর অনেক কালের একটি বটবৃক্ষ দু প্রান্তে প্রহরীর মত দাঁড়িয়ে আছে। আমার বন্ধুদের সঙ্গে নিত্যদিনের বৈকালিক ভ্রমনের একটি প্রিয় জায়গা। রেলগাড়ির আসা যাওয়া তার তীব্র হুইশেলের আওয়াজ আমাদের ভেতরটা নাড়িয়ে দিয়ে চলে যেত যেন অজানার উদ্দেশ্যে পাড়ি দেওয়ার একটা […]
কুয়াশার আড়ালে তন্বী মেয়েটি আনমনা, ভরন্ত ধানের ক্ষেতের মত গর্ভিনী পরবিনী সোনারঙ উছলে পরে আড়াল সরে গেলে ফসল ভরা যৌবন তার অহংকার। চোখে তার কামনার উগ্র চাহনি সুবাস ছড়িয়ে পড়ে দিক থেকে দিকে। পৌষের অবেলায় গৃহস্থের উঠোনে তার আরাধনা শুরু হয় প্রদীপের আলোয় আলোকিত যুবতী দেবীরূপে প্রতিষ্ঠিতা ।তন্বী মেয়েটি মাতৃ রূপে কল্যাণী জননী র প্রশান্ত […]