Categories
প্রবন্ধ

মোহনবাগান থেকে ভারতীয় দল : চুনী গোস্বামীর অসামান্য ফুটবল জীবন।।।।

জন্ম: বর্তমান বাংলাদেশের কিশোরগঞ্জে (১৫ জানুয়ারি, ১৯৩৮) চুনী গোস্বামী জন্মগ্রহণ করেন। তার আসল নাম সুবিমল গোস্বামী। চুনী গোস্বামী একজন বিখ্যাত বাঙালি ফুটবল খেলোয়াড়। তিনি ভারতের জাতীয় দলেও খেলেছেন। ক্রিকেটার হিসেবেও তিনি সফল ছিলেন। বাংলা দলের হয়ে রনজি ট্রফি তে প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন তিনি।

একই সঙ্গে ফুটবল ও ক্রিকেটে দাপিয়ে বেড়িয়েছেন সুবিমল ওরফে চুনী।

ফুটবলে প্রবেশ: ফুটবল-কে ভালবেসে ১৯৪৬ সালে মোহনবাগান জুনিয়ার দলে যোগ দেন। ১৯৪৬ থেকে ১৯৫৪ সাল পর্যন্ত জুনিয়র দলে খেলেন। ভারতীয় ফুটবলার বলাইদাস চট্টোপাধ্যায় ও বাঘা সোমকে কোচ হিসেবে পান তিনি।

ফুটবল জীবন: এরপর ১৯৫৪ থেকে ১৯৬৮ অবধি মোহনবাগানের মূল দলে খেলেন। তিনি মূলত স্ট্রাইকার পজিসনে খেলতেন। তিনি ১৯৬০ থেকে ১৯৬৪ খ্রিষ্টাব্দ অবধি মোহনবাগানের অধিনায়ক ছিলেন। এই সময়ে মোহনবাগান ডুরান্ড কাপ সহ বহু প্রতিযোগিতায় ভাল ফল করেছিল।আজীবন মোহনবাগানকে ভালোবেসেই খেলে গেছেন তিনি, অন্য ক্লাব থেকে ডাক এলেও পা বাড়াননি।
১৯৫৬ থেকে ১৯৬৪ পর্যন্ত ভারতীয় দলে দাপিয়ে বেড়িয়েছেন। চিনা অলিম্পিক দলের বিরুদ্ধে জাতীয় দলে অভিষেক হয় চুনীর। তার ফুটবল জীবনের সবথকে বড় কৃতিত্ব ভারতের অধিনায়ক হিসাবে ১৯৬২ খ্রিষ্টাব্দে জাকার্তায় এশিয়ান গেমসের সোনা জয়। ফাইনালে ভারত দক্ষিণ কোরিয়াকে ২-১ গোলে পরাস্ত করেছিল।
এছাড়া তিনি অধিনায়ক হিসাবে তেল আভিভে এশিয়া কাপের রৌপ্য পদক জয় করেছিলেন। ৫০টি ম্যাচ খেলেন দেশের জার্সিতে। দেশের হয়ে অলিম্পিক, এশিয়ান গেমস, এশিয়া কাপ ও মারডেকা কাপে প্রতিনিধিত্ব করেছেন তিনি। দুটি এশিয়া কাপ ও মারডেকা কাপে চুনী দেশকে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি।

কোচিং কেরিয়ার: ১৯৮৬ থেকে ১৯৮৯ পর্যন্ত টাটা ফুটবল অ্যাকাডেমির ডিরেক্টর ছিলেন। ১৯৯১ থেকে ১৯৯২ পর্যন্ত ভারতীয় ফুটবল দলের কোচ ছিলেন চুনী।

সফল ক্রিকেটার: ফুটবল খেলা থেকে অবসর নেওয়ার পরে তিনি ক্রিকেট খেলায় মনোনিবেশ করেন এবং রঞ্জি ট্রফিতে তিনি বাংলার অধিনায়কত্ব করেন। ১৯৬২-৬৩ মরশুম থেকে ১৯৭২-৭৩ পর্যন্ত বাংলা ক্রিকেট দলের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেন। মূলত অল-রাউন্ডার ছিলেন। তিনি দুবার রঞ্জি ট্রফির ফাইনাল খেলেছিলেন। তিনি ডানহাতি ব্যাটসম্যান ছিলেন এবং ডানহাতে মিডিয়াম পেস বল করতেন। তিনি ৪৬টি প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেট ম্যাচ খেলে একটি সেঞ্চুরি সহ ১৫৯২ রান করেছিলেন। তিনি বল করে ৪৭টি উইকেটও নিয়েছিলেন।
অন্যান্য খেলা: শুধু ফুটবল নয়, ক্লাবের হয়ে হকি স্টিক হাতেও মাঠে নেমেছেন চুনী। সাউথ ক্লাবে টেনিস খেলতেন নিয়মিত। বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী ছিলেন তিনি। সব খেলায় তিনি সমান দক্ষ ছিলেন।
পুরস্কার ও সম্মান: ১৯৬২ সালে এশিয়ার সেরা স্ট্রাইকারের পুরস্কার জেতেন।১৯৬৩ খ্রিষ্টাব্দে চুনী গোস্বামী অর্জুন পুরস্কার এবং ১৯৮৩ খ্রিষ্টাব্দে পদ্মশ্রী পুরস্কার পেয়েছিলেন। ২০০৫ সালে তিনি মোহনবাগান রত্ন পান। বাংলার ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন তাঁকে জীবনকৃতি সম্মানে ভূষিত করে। ২০০৫ সালে কলকাতারা শেরিফ নিযুক্ত হন।

মৃত্যু: ৩০ এপ্রিল, ২০২০ সালে ৮২ বছর বয়েসে হৃদরোগাক্রান্ত হয়ে কলকাতায় মারা যান চুনী গোস্বামী।

।।তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ

ভারতীয় চলচ্চিত্রের পিতামহ : দাদাসাহেব ফালকের অসামান্য অবদান।।।

ধুন্ডীরাজ গোবিন্দ ফালকে, যিনি দাদাসাহেব ফালকে নামে অধিক পরিচিত, (৩০শে এপ্রিল, ১৮৭০ – ১৬ই ফেব্রুয়ারি, ১৯৪৪) একজন ভারতীয় চলচ্চিত্রে পরিচালক ও প্রযোজক ছিলেন। তাকে ভারতীয় চলচ্চিত্রের জনক হিসেবে গণ্য করা হয়। তিনি ১৯১৩ সালে রাজা হরিশচন্দ্র চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করেন যা ছিল ভারতের প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য নির্বাক চলচ্চিত্র।

এরপর তিনি প্রায় চব্বিশ বছর ধরে ৯৫টি পূর্ণদৈর্ঘ্যের চলচ্চিত্র ও ২৬টি স্বল্পদৈর্ঘ্যের চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন।

প্রথম জীবন–

ধুন্ডীরাজ গোবিন্দ ফালকে ১৮৭০ খ্রিষ্টাব্দের ৩০শে এপ্রিল ব্রিটিশ ভারতের বম্বে প্রেসিডেন্সির অন্তর্গত ত্র্যম্বকেশ্বর নামক স্থানে একটি মারাঠি শিক্ষিত ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।

নির্বাচিত চলচ্চিত্রসমূহ–

রাজা হরিশচন্দ্র (১৯১৩), মোহিণী ভস্মাসুর (১৯১৩), সত্যবান সাবিত্রী (১৯১৪), লঙ্কা দহন (১৯১৭), শ্রী কৃষ্ণ জন্ম (১৯১৮), কালীয় মর্দন (১৯১৯), সেতু বন্ধন (১৯২৩), গঙ্গাবতরণ (১৯৩৭)।
দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার-
দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার সিনেমার ক্ষেত্রে ভারতের সর্বোচ্চ পুরস্কার। ভারতীয় চলচ্চিত্রের জনক দাদাসাহেব ফালকে-এর নাম অনুসারে এই পুরস্কার প্রদান করা হয়।ধুন্ডিরাজ গোবিন্দ ফালকে এর নাম অনুসারে এই পুরস্কারের নামকরণ হয়েছে।এই পুরস্কারের মধ্যে রয়েছে একটি স্বর্ণ কমল পদক এবং একটি শাল সহ পুরস্কার প্রাপকে নগত দশ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়।
দাদাসাহেব ফালকে ভারতীয় সিনেমার সর্বোচ্চ পুরস্কার, সিনেমায় অসামান্য অবদানের জন‍্য এই পুরস্কার প্রদান করা হয়। প্রতিবছর ন‍্যাশনাল চলচ্চিত্র পুরস্কার অনুষ্ঠানে দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার প্রদান করা হয়। দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার-এ সম্মানিত প্রথম ব‍্যাক্তি ছিলেন অভিনেত্রী দেবিকা রানী 1969 সালে।2021 সালের লক্ষ্মী ও ছপাক ছবির সেরা অভিনেতা-অভিনেত্রী হিসাবে দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার জিতে নিয়েছিলেন বলি তারকা অক্ষয় কুমার ও দীপিকা পাড়ুকন।

তেমনি দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার ২০২২-এ মিমি ছবির সেরা অভিনেত্রী কৃতি স‍্যানন এবং রনবীর সিং তার “83” ছবিতে অভিনয়ের জন‍্য দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার 2022 এর খেতাব জিতে নিয়েছে।

।।তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

আজ ৩০ এপ্রিল, ইতিহাসের দিকে চোখ বুলিয়ে দেখে নেব ইতিহাসের এই দিনে বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু, দিনসহ ঘটে যাওয়া ঘটনা।।।।

আজ ৩০ এপ্রিল। এক নজরে দেখে নিই ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু দিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

দিবস—–

(ক) আন্তর্জাতিক জ্যাজ দিবস (ইউনেস্কো)।

আজ যাদের জন্মদিন—-

১৮৯৩ – জোয়াকিম ভন রিবেনট্রপ, জার্মান সৈনিক ও রাজনীতিক।
১৮৯৬ – মা আনন্দময়ী,হিন্দু আধ্যাত্মিক সাধিকা।
১৯০১ – সাইমন কুজ্‌নেত্‌স, রুশ মার্কিন অর্থনীতিবিদ।
১৯০২ – থিওডোর শুল্ট্‌স, আমেরিকান অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী।
১৯১৬ – ক্লদ শ্যানন, মার্কিন গণিতবিদ, তড়িৎ ও কম্পিউটার প্রকৌশলী এবং বিজ্ঞানী।
১৯২৬ – ক্লোরিস লিচম্যান, মার্কিন অভিনেত্রী ও কৌতুকাভিনেত্রী।
১৯৩০ – সুধীন দাশ, বাঙালি সঙ্গীতজ্ঞ এবং সঙ্গীত গবেষক।
১৯৩৮ – নাট্যকার শেখ আকরাম আলী।
১৯৪০ – শেখ নিয়ামত আলী, বাংলাদেশী চলচ্চিত্র পরিচালক।
১৯৪৩ – ফ্রেডেরিক চিলুবা, জাম্বিয়ান রাজনীতিবিদ ও ২য় প্রেসিডেন্ট।

১৯৪৯ – অ্যান্টোনিও গুতারেস, পর্তুগিজ রাজনীতিবিদ, সাবেক প্রধানমন্ত্রী, কূটনীতিবিদ ও জাতিসংঘের ৯ম মহাসচিব।
১৯৫৬ – লারস ভন ট্রাইয়ার, ডেনিশ চিত্রপরিচালক, চিত্রনাট্যকার।
১৯৫৯ – স্টিফেন হারপার, কানাডিয়ান অর্থনীতিবিদ, রাজনীতিবিদ ও ২২ তম প্রধানমন্ত্রী।

১৯৬৪ – ইয়ান হিলি, অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটার।
১৯৬৪ – অভিষেক চ্যাটার্জী, ভারতীয় বাংলা চলচ্চিত্রের একজন অভিনেতা।

১৯৬৭ – ফিলিপ কিরকোরোভ, বুলগেরিয় বংশোদ্ভূত রাশিয়ান গায়ক, অভিনেতা ও প্রযোজক।
১৯৮১ – জন ও’শি, আইরিশ ফুটবলার।
১৯৮২ – কিয়ার্স্টন ডান্‌স্ট, একজন মার্কিন চলচ্চিত্রাভিনেত্রী।
১৯৮৫ – গাল গাদোত, ইস্রায়েলি অভিনেত্রী এবং মডেল।
১৯৮৬ – ডায়না আগরোন, আমেরিকান অভিনেত্রী, গায়ক ও ড্যান্সার।

১৯৮৭ – ক্রিস মরিস, দক্ষিণ আফ্রিকার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার।

১৯৮৭ – রোহিত শর্মা, ভারতীয় ক্রিকেটার।
১৯৯৩ – অ্যান্ড্রু ম্যাকব্রায়ান, আইরিশ ক্রিকেটার।

ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনের ঘটনাবলী—-

১৪৯২ – স্পেন ক্রিস্টোফার কলম্বাসকে নতুন এলাকা অনুসন্ধানের অনুমোদন দেয়।
১৭২৫ – স্পেন চার মৈত্রীশক্তি থেকে সরে যায়।
১৭৮৯ – জর্জ ওয়াশিংটন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম প্রেসিডেন্ট হন।
১৮৩৮ – নিকারাগুয়া সেন্ট্রাল আমেরিকান ফেডারেশন থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা দেয়।
১৮৬৩ – ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির ভারতীয় নৌ বাহিনীকে ব্রিটিশ অ্যাডমিরাল্টির অধীনস্থ করা হয়।
১৮৯৪ – বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯৩০ – তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন; ফ্রান্স ও গ্রেট ব্রিটেন এর কাছে একটি সামরিক চুক্তির প্রস্তাব দেয়।
১৯৩৯ – এমপায়ার স্টেট বিল্ডিং থেকে প্রথম জনসমক্ষে টেলিভিশন সম্প্রচার করা হয়।
১৯৪৫ – চূড়ান্ত পরাজয়ের পূর্বে ভূ-গর্ভস্থ বাঙ্কারে এডলফ হিটলার আত্মহত্যা করেন।
১৯৭২ – উত্তর ভিয়েতনাম , দক্ষিণ ভিয়েতনামে আক্রমণ চালায়।
১৯৭৫ – উত্তর ভিয়েতনাম ও ভিয়েত কং মুক্তি বাহিনীর কাছে সায়গলের তাঁবেদার সরকার বিনাশর্তে আত্মসমর্পণ করে।
১৯৭৬ – বাংলাদেশ-পাকিস্তান প্রথম বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
১৯৮০ – কিছু দুষ্কৃতিকারী লন্ডনে অবস্থিত ইরানের দূতাবাসে হামলা চালায়।
১৯৮২ – পশ্চিমবঙ্গে কলকাতার উপকন্ঠে বালিগঞ্জে বিজন সেতুতে আনন্দমার্গীর ১৬ সন্ন্যাসী ও ১ জন সন্ন্যাসিনীর হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হয়।
১৯৯১ – বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চল, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার অঞ্চলে আঘাত হানা এক প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড়ে ১৩৮,০০০ লোকের প্রাণহানি ও বিপুল সম্পত্তির ক্ষতি হয়।
১৯৯৩ – টেনিস তারকা মনিকা সেলেসকে জার্মানির হামবুর্গ শহরে ছুরিকাঘাত করা হয়।
২০০১ – দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার অভিযোগে ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট ওয়াহিদ ইমপিচমেন্টের সম্মুখীন হন।
২০০৫ – নেপালের রাজা জ্ঞানেন্দ্র দেশটিতে জরুরী অবস্থা ঘোষণা করেন।

এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন যারা—-

১৮৬৫ – রবার্ট ফিটযরয়, নিউজিল্যান্ড এডমিরাল, আবহাওয়াবিদ ও রাজনীতিবিদ।
১৮৮৩ – এদুয়ার মানে, ফরাসি প্রতিতীবাদী চিত্রকর।
১৯১৫ – সুশীল সেন, ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের বিপ্লবী।

১৯৩১ – স্যামি উডস, অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটার।
১৯৪৩ – অটো ইয়েসপার্সেন, ডেনীশ ভাষাবিজ্ঞানী এবং ইংরেজি ব্যাকরণ বিশেষজ্ঞ।
১৯৪৩ – মার্থা বিয়াট্রিস ওয়েব, ইংরেজ সমাজবিজ্ঞানী ও অর্থনীতিবিদ।

১৯৪৫ – আডলফ হিটলার, সাবেক জার্মান চ্যান্সেলর।
১৯৪৫ – ইভা ব্রাউন, আডলফ হিটলারের স্ত্রী ও অন্তরঙ্গ সহচর।
১৯৫৬ – আলবেন ডব্লিউ. বারক্লেয়, আমেরিকান আইনজীবী, রাজনীতিবিদ ও ৩৫ তম উপ-রাষ্ট্রপতি।

১৯৬৬ – সিলভিও লাগরেকা, ব্রাজিল জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক ম্যানেজার।
১৯৭৪ – অ্যাগনেস মুরহেড, আমেরিকান অভিনেত্রী।
১৯৮৩ – জর্জ বালাঞ্চিনে, রাশিয়ান ড্যান্সার ও কোরিওগ্রাফার।
১৯৮৯ – সের্জিও লেওনে, ইতালীয় চলচ্চিত্র পরিচালক।
১৯৯৩ – এরিক রোয়ান, দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটার।
১৯৯৫ – বাঙালি সাহিত্যিক ও যষ্টিমধু পত্রিকার সম্পাদক কুমারেশ ঘোষ।
২০১৪ – খালেদ চৌধুরী, বাংলার প্রখ্যাত নাট্যব্যক্তিত্ব ।
২০১৫ – বেন ই কিং, আমেরিকান গায়ক, গীতিকার ও প্রযোজক।
২০১৬ – হ্যারল্ড ওয়াল্টার ক্রোটো, নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ইংরেজ রসায়নবিজ্ঞানী।

২০২০ – (ক)  ঋষি কাপুর, ভারতীয় চলচ্চিত্র অভিনেতা, প্রযোজক এবং পরিচালক যিনি হিন্দি চলচ্চিত্রে কাজের জন্য সুপরিচিত।
(খ) চুনী গোস্বামী , প্রবাদপ্রতিম ভারতীয় ফুটবল খেলোয়াড়।
২০২২ – আবুল মাল আবদুল মুহিত, বাংলাদেশের সাবেক অর্থমন্ত্রী, অর্থনীতিবিদ, রাজনীতিবিদ, লেখক এবং ভাষাসৈনিক।

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

আজ আন্তর্জাতিক জ্যাজ দিবস, জানুন দিনটি কেন পালিত হয় ও পালনের গুরুত্ব।

আন্তর্জাতিক জ্যাজ দিবস এই জনপ্রিয় ধারার সঙ্গীতের ঐতিহাসিক, সাংস্কৃতিক এবং শিক্ষাগত অবদানকে উদযাপন করে। দিবসটির লক্ষ্য এই অনন্য সঙ্গীত শৈলী সম্পর্কে আন্তর্জাতিক সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়া; এবং জাজ যে সাংস্কৃতিক, এবং সামাজিক মূল্যবোধের জন্য দাঁড়িয়েছে তা প্রচার করা।

পটভূমি–

জ্যাজ একটি অনন্য আমেরিকান সঙ্গীত শৈলী যা দাসদের অভিজ্ঞতা থেকে উদ্ভূত হয়েছে, মূলত দক্ষিণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। এটি আফ্রিকার সমৃদ্ধ সংগীত এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের গভীরে প্রোথিত এবং ইউরোপীয় সঙ্গীত দ্বারা ব্যাপকভাবে প্রভাবিত। নিউ অরলিন্স সাধারণত এই জনপ্রিয় বাদ্যযন্ত্রের জন্মস্থান হিসেবে বিবেচিত হয়, যেটিকে এখন স্বাধীনতা ও ক্ষমতায়নের কণ্ঠস্বর এবং সারা বিশ্বে অন্যায় ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে বিবৃতি হিসেবে দেখা হয়।
আজ, জ্যাজ সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে, এবং ক্রমাগত বিকশিত হচ্ছে, প্রভাবিত হচ্ছে এবং অন্যান্য সঙ্গীতের ধরন এবং ঘরানাগুলিকে প্রভাবিত করছে।
জ্যাজের একটি আন্তর্জাতিক দিবস তৈরির উদ্যোগটি আমেরিকান জ্যাজ পিয়ানোবাদক, সুরকার এবং আন্তঃসাংস্কৃতিক সংলাপের জন্য ইউনেস্কোর গুডউইল অ্যাম্বাসেডর হারবি হ্যানককের কাছ থেকে এসেছে। এই উদ্যোগের উদ্দেশ্য ছিল বিশ্বব্যাপী জাতি এবং লিঙ্গ বাধা ভেঙ্গে জাজ যে ভূমিকা পালন করেছে তার প্রতি বিশ্বব্যাপী মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করা; এবং সহযোগিতা প্রচারে; পারস্পরিক বোঝাপড়া, এবং যোগাযোগ; শান্তি এবং স্বাধীনতা।

উদযাপন —

জ্যাজ কনসার্ট এবং পারফরম্যান্স, ফিল্ম স্ক্রিনিং এবং কনফারেন্স এবং প্যানেল আলোচনা সহ বেশ কিছু কার্যক্রম আন্তর্জাতিক জ্যাজ দিবস উদযাপনকে চিহ্নিত করে।

।। তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

আজ আন্তর্জাতিক নৃত্য দিবস, জানুন দিনটি কেন পালিত হয় ও গুরুত্ব।।।।

আন্তর্জাতিক নৃত্য দিবসটি নৃত্যের শিল্পের প্রতি একটি বিশ্বব্যাপী শ্রদ্ধা হিসেবে দাঁড়িয়েছে, যা পারফর্মিং আর্টের ক্ষেত্রে ইউনেস্কোর অপরিহার্য অংশীদার ইন্টারন্যাশনাল থিয়েটার ইনস্টিটিউটের (আইটিআই) নৃত্য কমিটি দ্বারা ধারণা করা হয়েছে। এই বার্ষিক উৎসব জিন-জর্জেস নভের (১৭২৭-১৮১০) এর জন্মকে স্মরণ করে, যাকে আধুনিক ব্যালে-এর পূর্বপুরুষ হিসেবে সম্মান করা হয়।

এটি শাস্ত্রীয় বা রোমান্টিক ব্যালেকে আলাদা করে, তার সমসাময়িক রূপকে আকৃতি দেয়। দিবসটির সারমর্ম হল এই তাৎপর্যপূর্ণ তারিখে বিশ্বব্যাপী অনুষ্ঠিত অসংখ্য অনুষ্ঠান ও উৎসবের মাধ্যমে নৃত্যে অংশগ্রহণ ও জ্ঞানার্জনকে উৎসাহিত করা। UNESCO আধিকারিকভাবে ITI-কে এই সাংস্কৃতিকভাবে সমৃদ্ধকরণ উদযাপনের স্থপতি এবং সমন্বয়কারী হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।

আন্তর্জাতিক নৃত্য দিবস ২০২৫ তারিখ এবং ইতিহাস–

প্রতি বছর ২৯ এপ্রিল আন্তর্জাতিক নৃত্য দিবস পালিত হয়। এ বছর তা সোমবার পালিত হবে। প্রতি বছর ২৯ এপ্রিল আন্তর্জাতিক নৃত্য দিবস পালিত হয়। এটি আন্তর্জাতিক থিয়েটার ইনস্টিটিউটের (আইটিআই) নৃত্য কমিটি দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, যা পারফর্মিং আর্টসের জন্য ইউনেস্কোর প্রধান অংশীদার। আন্তর্জাতিক নৃত্য দিবসটি নৃত্যকে একটি শিল্পরূপ হিসাবে উদযাপন করার জন্য এবং বিশ্বব্যাপী এর গুরুত্ব প্রচার করার জন্য তৈরি করা হয়েছিল। ফরাসি নৃত্যশিল্পী এবং ব্যালে মাস্টার যাকে আধুনিক ব্যালে-এর স্রষ্টা হিসেবে কৃতিত্ব দেওয়া হয়, জঁ-জর্জেস নভেরের জন্মদিনের স্মরণে তারিখটি বেছে নেওয়া হয়েছিল।
১৯৮২ সালে প্রথম আন্তর্জাতিক নৃত্য দিবস পালিত হয়। তখন থেকে, এটি বিশ্বব্যাপী নৃত্য সম্প্রদায়, স্কুল, কোম্পানি এবং সংস্থাগুলির দ্বারা সংগঠিত ইভেন্টগুলির সাথে একটি বিশ্বব্যাপী উদযাপনে পরিণত হয়েছে। এই ইভেন্টগুলিতে প্রায়শই নৃত্যের শিল্প এবং এর সাংস্কৃতিক তাত্পর্য সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে নৃত্যকলা, কর্মশালা, নৃত্য উত্সব, বক্তৃতা এবং অন্যান্য ক্রিয়াকলাপ অন্তর্ভুক্ত থাকে। প্রতি বছর, আইটিআই আন্তর্জাতিক নৃত্য দিবসের জন্য একটি বার্তা লেখার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় থেকে একজন বিশিষ্ট নৃত্য ব্যক্তিত্ব নির্বাচন করে, যা বিশ্বব্যাপী বিতরণ করা হয়। এই বার্তাটি সাধারণত সমাজে নৃত্যের গুরুত্ব, সাংস্কৃতিক বিনিময়ে এর ভূমিকা এবং আন্দোলনের মাধ্যমে শৈল্পিক প্রকাশের মূল্য প্রতিফলিত করে।

আন্তর্জাতিক নৃত্য দিবস ২০২৫ তারিখ–

এই বছর, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫-এ আন্তর্জাতিক নৃত্য দিবস পালিত হবে।

আন্তর্জাতিক নৃত্য দিবস ২০২৫ থিম–

আন্তর্জাতিক নৃত্য দিবস ২০২৫-এর থিম এখনও জানা যায়নি।

আন্তর্জাতিক নৃত্য দিবসের
তাৎপর্য–

বিশ্ব নৃত্য দিবস একটি উল্লেখযোগ্য দিন যা নৃত্যের শিল্পের প্রতি নিবেদিত। এটি আমাদের জীবনে নাচের গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে এবং এর অ্যাক্সেসযোগ্যতা এবং অন্তর্ভুক্তি প্রচার করার সময়। বিশ্ব নৃত্য দিবসটি সারা বিশ্ব জুড়ে মানুষের দ্বারা পালিত হয়, এবং এটি নৃত্যের বৈচিত্র্য প্রদর্শন এবং এর অন্তর্ভুক্তি এবং অ্যাক্সেসযোগ্যতা প্রচার করার একটি সুযোগ। আমাদের জীবনে নাচের গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানোর এবং এর যে মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্য উপকারিতা থাকতে পারে তা তুলে ধরারও সময়। বিশ্ব নৃত্য দিবস উদযাপনের অন্যতম প্রধান উপায় হল নৃত্য-সম্পর্কিত ক্রিয়াকলাপে অংশগ্রহণ করা, তা পারফর্মার বা শ্রোতা সদস্য হিসাবে। এটি শিল্প ফর্মের প্রতি নিজের ভালবাসা প্রকাশ করার এবং সারা বিশ্বের অন্যদের সাথে সংযোগ করার একটি দুর্দান্ত উপায় হতে পারে যারা নাচের প্রতি আবেগ ভাগ করে নেয়।

।। তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।

Share This
Categories
নারী কথা প্রবন্ধ

স্মরণে, বাঙালি লেখিকা ও ঔপন্যাসিক শান্তা দেবী (নাগ)।।।

জন্ম ও প্রারম্ভিক জীবন—

শান্তা দেবীর জন্ম ১৮৯৩ খ্রিস্টাব্দের ২৯ শে এপ্রিল বৃটিশ ভারতের কলকাতায়। পিতা প্রখ্যাত সাংবাদিক ও শিক্ষাবিদ রামানন্দ চট্টোপাধ্যায় এবং মাতা মনোরমা দেবী। এঁদের আদি নিবাস ছিল বাঁকুড়ার পাঠকপাড়ায়। শান্তার প্রথম পনেরো বৎসর কাটে এলাহাবাদে। সেসময় সেখানে মেয়েদের ভালো স্কুল না থাকায় তার ও তার কনিষ্ঠা ভগিনীর লেখাপড়া শুরু হয় গৃহশিক্ষক পিতৃবন্ধু নেপালচন্দ্র ও ইন্দুভূষণ রায়ের কাছে।

ব্রাহ্মসমাজ-নেতা পিতার গৃহে উদার স্বাধীনতা এবং ‘প্রবাসী’ ও ‘মডার্ন রিভিউ’ পত্রিকার সাংস্কৃতিক ও সাহিত্যিক পরিবেশের মধ্যে বড়ো হয়ে ওঠেন। ১৯০৮ খ্রিস্টাব্দে পিতা কলকাতায় ফিরলে তিনি কলকাতার বেথুন স্কুলে ভর্তি হন। ১৯১৪ খ্রিস্টাব্দে তিনি মেয়েদের মধ্যে প্রথম হয়ে বি.এ পাশ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের পদ্মাবতী স্বর্ণপদক লাভ করেন। বাংলা, ইংরাজী, হিন্দি ও সংস্কৃত ভাষায় এবং অর্থনীতি ও গণিতে বিশেষ পারদর্শিনী ছিলেন।

সাহিত্যকর্ম—

কলেজে পড়ার সময় ১৯১২ খ্রিস্টাব্দে দুই বোন মিলে শ্রীশচন্দ্র বসুর Folk Tales of Hindustan গ্রন্থটি “হিন্দুস্থানী উপকথা” নামে অনুবাদ করে খ্যাতি অর্জন করেন। বইটির চিত্তাকর্ষক ছবিগুলি উপেন্দ্রকিশোর রায় চৌধুরীর আঁকা। ১৯১৭ খ্রিস্টাব্দ থেকে প্রায় দুই বছর পিতার সঙ্গে শান্তিনিকেতনে থাকার সময় তিনি নন্দলাল বসুর কাছে অঙ্কন শিক্ষা করেছেন। দেশে বিদেশে তার আঁকা ছবির প্রদর্শনী হয়েছে। দুই বোন মিলে সংযুক্তা দেবী নামে প্রথম উপন্যাস “উদ্যানলতা” রচনা করেন ১৯১৮ খ্রিস্টাব্দে। উপন্যাসটিতে কলকাতায় নারীজাগরণের প্রথম উন্মেষের ছবি পরিস্ফুট হয়েছে। এটি পরে The Garden Creeper নামে অনূদিতও হয়েছে। বিবাহের পর স্বামীর সঙ্গে বহু দেশ ভ্রমণের অভিজ্ঞতার বিষয় ‘প্রবাসী’ পত্রিকায় লিখেছেন। যেমন ‘মহেঞ্জাদড়োর কথা’, জাপানের ডায়েরি’ প্রভৃতি। আমেরিকা প্রবাসে তিনি মিনেসোটার ম্যাকালেস্টর কলেজে বাংলা সাহিত্য সম্পর্কে বক্তৃতা দেন। তিনি “প্রবাসী” র সম্পাদকীয় বিভাগে নানা দায়িত্বপূর্ণ কাজ করেছেন। “ভারত-মুক্তিসাধক রামানন্দ চট্টোপাধ্যায় ও অর্ধ শতাব্দীর বাংলা” গ্রন্থটির জন্য তিনি ১৯৪৯ খ্রিস্টাব্দে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভুবনমোহিনী দাসী স্বর্ণপদক লাভ করেন। তার গল্প উপন্যাসে বাঙালি মধ্যবিত্ত জীবনের , বিশেষকরে নারীজীবনের অন্তরঙ্গ অভিজ্ঞতা ও আধুনিক চিন্তার ইতিহাসের উন্মেষ পর্বের নানা চিহ্ন দেখা যায়। তার রচিত উল্লেখযোগ্য

গ্রন্থগুলি হল –

শিশুপাঠ্য –

সাত রাজার ধন (সীতা দেবীর সাথে), হুক্কা হুয়া (১৯২০), কেমন জব্দ।

উপন্যাস —

স্মৃতির সৌরভ (১৯১৮), জীবনদোলা (১৯৩০), অলখ ঝোরা (১৯৩৪), দুহিতা (১৯৩৪), চিরন্তনী।

গল্প ও অন্যান্য রচনা–

ঊষসী (১৯১৮), সিঁথির সিঁদুর (১৯১৯), বধূবরণ (১৯৩১), দেওয়ালের আড়াল, পঞ্চদর্শী
ভ্রাতার মৃত্যুর পরে তার লেখা “শোক ও সান্ত্বনা” বইটি মৃত্যুচিন্তার এক অসাধারণ দলিল। “পূর্বস্মৃতি” নামে এক স্মৃতিমূলক রচনা করেছেন। তার ও সীতা দেবীর অনেক গল্প ইংরাজীতে সীতা দেবী অনুবাদ করেছেন। সেই গল্পগুলি টেলস অব বেঙ্গল নামে অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস থেকে ১৯১৯ খ্রিস্টাব্দে গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়।

পারিবারিক জীবন–

১৯২৫ খ্রিস্টাব্দে প্রসিদ্ধ ঐতিহাসিক কালিদাস নাগের সঙ্গে তার বিবাহ হয়।
জীবনাবসান—
সুলেখিকা শান্তা দেবী ১৯৮৪ খ্রিস্টাব্দের ৩০ শে মে পরলোক গমন করেন।

।। তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ

স্মরণে, ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের বিপ্লবী ।বিমল দাশগুপ্ত।।।

ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন ছিল কিছু মানুষের কঠোর পরিশ্রম ও লড়াই, যার ফলেই ব্রিটিশদের থেকে ভারত সৃঙ্খল মুক্ত হতে পেরেছভাপেরেছিল। ভারত উপমহাদেশের বিংশ শতাব্দীতে ব্রিটিশ সম্রাজ্যবাদ বিরোধী যে সশস্ত্র বিপ্লববাদী লড়াই-সংগ্রাম সংগঠিত হয় এবং যার ধারাবাহিকতায় ভারত স্বাধীন হয়, তার মূলে যে সকল বিপ্লবীর নাম সর্বজন স্বীকৃত তাঁদের মধ্যে বিমল দাশগুপ্ত ছিলেন একজন অন্যতম বীর ও নির্ভীক বিপ্লবী।

বিমল দাশগুপ্ত ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনে এক উল্লেখযোগ্য নাম, যিনি দেশমতৃকার শৃঙ্খল মুক্তির জন্য নিজেকে সঁপে দিয়েছিলেন সম্পূর্ণ রূপে। বিমল দাশগুপ্ত একজন ভারতীয় সশস্ত্র বিপ্লববাদী।

প্রারম্ভিক জীবন—

তিনি বাংলাদেশের বরিশাল জেলার ঝালকাঠিতে ১৯১০ সালের ২৯ এপ্রিল জন্মগ্রহণ করেন। বাবা কবিরাজ অক্ষয় কুমার দাশগুপ্ত। তাঁর বাবা মেদিনীপুরে এসে কবিরাজীর চিকিৎসার ভিত্তিতে জীবনযাপন শুরু করেন। বিমল দাশগুপ্ত ১২/১৩ বছর বয়স থেকে বিপ্লবী আন্দোলনের সাথে যোগাযোগ করেছিলেন। সশস্ত্র সংগ্রামে অংশগ্রহণের আগে ১৯২০ সালে অসহযোগ আন্দোলনে যোগ দেন। তিনি মেদিনীপুর হিন্দু স্কুলের ছাত্র ছিলেন।

পেডি ও ভিলিয়ার্স হত্যা—

১৯২৮ সালে, সুভাষ চন্দ্র বসু বিপ্লবী দীনেশ গুপ্তকে বেঙ্গল ভলান্টিয়ার্সের মেদিনীপুর শাখার দায়িত্ব দেন। দীনেশ গুপ্তের অক্লান্ত পরিশ্রমে মেদিনীপুর জেলার বিপ্লবী আন্দোলন অন্য মাত্রা পেল। দীনেশ গুপ্তের মন্ত্র শিষ্য হয়ে ওঠেন বিমল দাশগুপ্ত। লবণ আইনের অমান্য করার সময়, জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, জেমস পেডি, দিঘা সৈকতে সত্যাগ্রহীদের উপর নির্মমভাবে নির্যাতন করেছিলেন। প্রতিশোধ নিতে বিপ্লবীরা পেডিকে হত্যা করার সিদ্ধান্ত নেয়। জ্যোতিজীবন ঘোষের সঙ্গে এই দায়িত্ব পান বিমল দাশগুপ্ত। 1931 সালের 7 এপ্রিল, পেডি সাহেব মেদিনীপুর কলেজিয়েট স্কুলে প্রদর্শনী দেখতে এসে পেডি সাহেব এই দুই বিপ্লবীর গুলিতে নিহত হয়।। দুজনেই পালাতে সক্ষম হয়। বিমল দাশগুপ্ত আত্মগোপনে যান এবং ঝরিয়া এলাকায় একটি কয়লা খনিতে চাকরি পান এবং পরে কলকাতার মেটিয়াবুরোজে থাকতেন, পুলিশ তার সন্ধান করতে পারেনি।
আবার বিমল দাশগুপ্তকে ক্লাইভ স্ট্রীটে ভিলিয়ার্স সাহেবের হত্যার ভার দেওয়া হয়। ২৯ জুলাই, ১৯৩১ সালে তিনি ভিলিয়ার্সকে গুলি করেন তার অফিসে ঢুকে। কিন্তু ধরা পড়ে যান পকেট থেকে সায়ানাইড বের করার আগেই।
পুলিশ অবশেষে তাকে হত্যা মামলার সন্দেহভাজন হিসেবে ট্র্যাক করে। কারণ বিপ্লবী কানাইলাল ভট্টাচার্য গার্লিককে হত্যা করেন এবং বিমল দাশগুপ্ত (বা বিমল গুপ্ত) নামে শহীদ হন যাতে পুলিশ আসল বিমল দাশগুপ্তের সন্ধান ছেড়ে দেয়। শহীদ কানাইলাল ভট্টাচার্যের আত্মত্যাগ এবং পুলিশের হাত থেকে আরেক বিপ্লবীকে বাঁচাতে নাম-পরিচয় হীন আত্মত্যাগ ইতিহাসে বিরল।। সুভাষ চন্দ্রের উদ্যোগে তিনজন ব্যারিস্টার বিপ্লবীদের পক্ষে বিশেষ ট্রাইব্যুনালে হাজির হন। জ্যোতিজীবন ঘোষকে খালাস দেওয়া হয় এবং জেরা করার সময় প্রধান সাক্ষী সুশীল দাস বলেন, ‘পেডি খুনি বিমল দাশগুপ্ত নন’। বিমল দাশগুপ্তকে বাঁচাতে মেদিনীপুরের রাজা নরেন্দ্রলাল খান সুশীল দাসকে এই কথা বলার নির্দেশ দেন। তিনি পেডি হত্যা মামলা থেকে খালাস পেলেও ভিলিয়ার্স হত্যা মামলায় দশ বছরের সাজাপ্রাপ্ত হন।
১৯৩২ সালের মাঝামাঝি তাকে আন্দামান সেলুলার জেলে পাঠানো হয়। ১৯৩৬ সালে, তিনি রাজনৈতিক বন্দীর মর্যাদা দাবিতে অনশন করেন। সুভাষ চন্দ্র ও মুজাফফর আহমদের মধ্যস্থতায় অনশন প্রত্যাহার করা হয়। ১৯৩৮ সালে তাকে প্রত্যাবাসন করা হয়েছিল কিন্তু মুক্তি দেওয়া হয়নি। বিমল দাশগুপ্ত বাংলার বিভিন্ন কারাগারে চার বছর কারাভোগ করেন।
শেষ জীবনে তিনি ১৯৪২ সালে মুক্তিলাভ নিজ বাড়ি মেদিনীপুরেই জমিজমা দেখাশোনা করতেন। স্বাধীনতার পরে আনন্দবাজার পত্রিকার সেলস ইনস্পেকটর হিসেবে কিছুদিন কাজ করেছেন।

মৃত্যু–

অগ্নিযুগের এই বিপ্লবী ৩ মার্চ ২০০০ সালে মারা যান ।

।। তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।

Share This
Categories
রিভিউ

আজ ২৯ এপ্রিল, ইতিহাসের দিকে চোখ বুলিয়ে দেখে নেব ইতিহাসের এই দিনে বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু, দিনসহ ঘটে যাওয়া ঘটনা।।।

আজ ২৯ এপ্রিল। এক নজরে দেখে নিই ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু দিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

দিবস—–

(ক) আন্তর্জাতিক নৃত্য দিবস।
আজ যাদের জন্মদিন—-

১৮৩৭ – জর্জ এর্নেস্ত বুলঁজে, ফরাসি জেনারেল ও রাজনীতিবিদ।  .
১৮৪৪ – সমাজসেবী ও দানশীল ব্যক্তিত্ব যদুলাল মল্লিক।  .
১৮৪৮ – রাজা রবি বর্মা, বিখ্যাত ভারতীয় চিত্রশিল্পী।
১৮৫৪ – অঁরি পোয়াঁকারে, ফরাসি গণিতবিদ, তাত্ত্বিক পদার্থবিদ ও দার্শনিক।
১৮৬৫ – বিশ্বজনীন ত্রিভাষিক ইতালিয়ান-স্লোভেনিয়ান স্থপতি ম্যাক্স ফেভিয়ানি।

১৮৯৩ – (ক) বাঙালি লেখিকা ও ঔপন্যাসিক শান্তা দেবী (নাগ)।
(খ) হ্যারল্ড ক্লেটন ইউরি, নোবেল বিজয়ী মার্কিন ভৌত রসায়নবিদ।
১৯০১ – হিরোহিতো, জাপানী সম্রাট।
১৯০৭ – ফ্রেড জিনেমান, অস্ট্রিয়ায় জন্মগ্রহণকারী মার্কিন চলচ্চিত্র পরিচালক ও প্রযোজক।

১৯০৯ – বিপ্লবী রবি নিয়োগী।

১৯১০ – ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের এক বিপ্লবী বিমল দাশগুপ্ত।
১৯১৭ – (ক)  দিলীপকুমার রায়, ভারতীয় বাঙালি সঙ্গীতবিশারদ।

(খ) মায়া ডেরেন, ইউক্রেনিয়-বংশদ্ভুত মার্কিন পরিচালক, কবি এবং ফটোগ্রাফার।

১৯১৯ – (ক) ওস্তাদ আল্লারাখা, বিখ্যাত ভারতীয় তবলা বাদক।
(খ)আতাউর রহমান,ছাত্র সংগঠনের সূচনাকারী, সাহিত্যিক ও সম্পাদক।
১৯৩৩ – উইলি নেলসন, আমেরিকান গায়ক, গীতিকার, গিটারিস্ট, প্রযোজক এবং অভিনেতা।
১৯৩৬ – আলেহানদ্রা পিসারনিক, আর্জেন্টিনার কবি।
১৯৩৬ – জুবিন মেহতা, প্রা্চ্য ও প্রাশ্চাত্যের শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের ভারতীয় পরিচালক।
১৯৪০ – ব্রায়ান টাবের, অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার।
১৯৪৮ – আইনুন নিশাত, বাংলাদেশী ইমেরিটাস অধ্যাপক, এবং পানি সম্পদ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিশেষজ্ঞ।
১৯৪৯ – প্রখ্যাত লোকসঙ্গীত শিল্পী উৎপলেন্দু চৌধুরী।
১৯৫৪ – জেরি সাইনফেল্ড, মার্কিন মঞ্চ-কৌতুকশিল্পী, অভিনেতা, লেখক, প্রযোজক এবং পরিচালক।
১৯৫৭ – ড্যানিয়েল ডে-লুইস, ব্রিটিশ-আইরিশ অভিনেতা।
১৯৬৬ – ফিল টাফনেল, সাবেক ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ও ধারাভাষ্যকার।
১৯৭০ – আন্দ্রে আগাসি, আমেরিকান টেনিস খেলোয়াড়।
১৯৭৭ – টাইটাস ও’নিল, মার্কিন পেশাদার কুস্তিগির এবং অবসরপ্রাপ্ত আমেরিকান ফুটবল খেলোয়াড়।

ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনের ঘটনাবলী—-

১৬৩৯ – দিল্লির লালকেল্লার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হয়।
১৬৮২ – পিটার দ্য গ্রেইট মাত্র দশ বছর বয়সে রাশিয়ার সম্রাট পদে অধিষ্ঠিত হন।
১৮২৭ – ফরাসি সম্রাট একাদশ চার্লস ফরাসি জাতীয় রক্ষীবাহিনীর বিলুপ্তি ঘোষণা করেন।
১৯১৯ – জালিওয়ান ওয়ালাবাগের নৃশংস হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ব্রিটিশ প্রদত্ত নাইট উপাধি ত্যাগ করেন।
১৯৩৯ – দিল্লির লাল কেল্লার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হয়।
১৯৪৫ – ইতালিতে জার্মান বাহিনী মিত্রশক্তির কাছে আত্মসমর্পণ করে।
১৯৫৪ – তিব্বত নিয়ে ভারত ও চীনের মধ্যে পঞ্চশীল চুক্তি সম্পাদিত হয়।
১৯৯১ – ঘূর্ণিঝড় BOB 01 বাংলাদেশের দক্ষিণপূর্বে চট্টগ্রাম বিভাগের উপকূলীয় অঞ্চলে প্রায় ২৫০ কিমি/ঘণ্টা বেগে আঘাত করে।
১৯৯৭ – বৃটেন চীনের কাছে হংকংকে ফিরিয়ে দেয়।

এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন যারা—-

১৯২১ – আর্থার মোল্ড, ইংরেজ ক্রিকেটার।
১৯৪৫ – মুসোলিনী।
১৯৫১ – লুডভিগ ভিটগেনস্টাইন, অস্ট্রিয়ান বংশোদ্ভূত ইংরেজি দার্শনিক এবং শিক্ষাবিদ।
১৯৯২ – গোলাম ফারুক খান, পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর।
১৯৯৬ – আবেদ হোসেন খান, একজন বাংলাদেশী উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতশিল্পী, সেতার বাদক ও সুরকার।
২০০৫ – লিওনিদ খাচিয়ান, আর্মেনীয়-বংশোদ্ভুত রুশ গণিতবিদ ও কম্পিউটার বিজ্ঞানী।
২০০৬ – জন কেনেথ গলব্রেইথ, মার্কিন অর্থনীতিবিদ।
২০০৭ – ডিক মোৎজ, ক্রাইস্টচার্চে জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত নিউজিল্যান্ডীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তারকা।
২০১৪ – বব হস্কিন্স, ইংরেজ অভিনেতা।
২০২০ – ইরফান খান, ভারতীয় চলচ্চিত্র অভিনেতা।

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ

সাহিত্য ও শিক্ষার ক্ষেত্রে ক্ষুদিরাম দাসের অমর অবদান ও প্রভাব।।।

ক্ষুদিরাম দাস ভারতের সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে একজন সম্মানিত ব্যক্তিত্ব ছিলেন। তিনি একজন পণ্ডিত, শিক্ষাবিদ, সমালোচক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, রবীন্দ্র বিশেষজ্ঞ ও একজন ভাষাতত্ত্ববিদ ছিলেন। ৯ অক্টোবর ১৯১৬ সালে ক্ষুদিরাম দাস জন্মগ্রহণ করেন পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়া জেলায় অবস্থিত বেলিয়াতোড়ে গ্রামে।

এই গ্রামেই জন্মেছেন বসন্তরঞ্জন রায় বিদ্বদ্‌বল্লভ, শিল্পী যামিনী রায়। তার শৈশব বাল্যের দিনগুলি মূলত মধ্যযুগের ঐতিহ্যে লালিত। যাত্রা, কীর্তন, রামায়ণ গান, কথকতা এসবের প্রভাব তার অন্তরে স্থায়ীভাবে পড়েছিল। উত্তরকালে মধ্যযুগ নিয়ে চিন্তা-ভাবনা আর লেখায় তার প্রমাণ পাওয়া যায়।

গ্রন্থাবলী—

রবীন্দ্র প্রতিভার পরিচয় (১৯৫৩), বাংলা কাব্যের রূপ ও রীতি (১৯৫৮), চিত্র গীতময়ী রবীন্দ্র বাণী (১৯৬৬), বৈষ্ণব রস প্রকাশ (১৯৭২), সমাজ প্রগতি রবীন্দ্রনাথ (১৯৭৩), রবীন্দ্র কল্পনায় বিজ্ঞানের অধিকার (১৯৮৪), বাংলা সাহিত্যের আদ্য মধ্য (১৯৮৫), ব্যাকরণ (৩ খণ্ড), বানান বানানোর বন্দরে (১৯৯৩), চোদ্দশ সাল ও চলমান রবি (১৯৯৩), দেশ কাল সাহিত্য (১৯৯৫), সাঁওতালি বাংলা সমশব্দ অভিধান (১৯৯৮), বাছাই প্রবন্ধ (১৪ টি রচনার সংকলন, মানস মজুমদার দ্বারা সম্পাদিত) (২০০০), পথের ছায়াছবিতে অধ্যাপক ক্ষুদিরাম দাস (মানস মজুমদার দ্বারা সম্পাদিত) (১৯৯৬)।

তিনি অনেক সম্মানে ভূষিত হন যাদের মধ্যে মুখ্য হল –

প্রাণতোষ ঘটক স্মৃতি পুরস্কার (১৯৭৩), বিদ্যাসাগর স্মৃতি পুরস্কার (পশ্চিমবঙ্গ সরকার) (১৯৮৪), সরোজিনী বসু স্বর্ণ পদক (কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়) (১৯৮৭), সাহিত্য রত্ন উপাধিতে ভূষিত (হাওড়া পণ্ডিত সমাজ) (১৯৮৭), রবীন্দ্রতত্ত্বাচার্য উপাধি লাভ (টেগর রিসার্চ ইন্সিটিউট) (১৯৯২), রবীন্দ্র স্মৃতি পুরস্কার (পশ্চিমবঙ্গ সরকার) (১৯৯৪), নারায়ণ গাঙ্গুলী স্মারক পুরস্কার (কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়) (১৯৯৫), রবিতীর্থঙ্কর উপাধি প্রাপ্তি (সংস্কৃত কলেজ) (১৯৯৮)।

স্মারক পুরস্কার—

স্নাতক স্তরে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে উচ্চতম দক্ষতার জন্যে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বেথুন কলেজে ক্ষুদিরাম দাস স্মারক পুরস্কার দেওয়া হয়।
দাস ২৮ এপ্রিল, ২০০২ -এ ৮৫ বছর বয়সে কৃষ্ণনগরের একটি বেসরকারি নার্সিং হোমে মারা যান, একটি সমৃদ্ধ উত্তরাধিকার রেখে যান যা সাহিত্য ও শিক্ষার ক্ষেত্রে অনেককে প্রভাবিত এবং অনুপ্রাণিত করে। তাঁর জীবন এবং কাজ ভারতের সাংস্কৃতিক এবং একাডেমিক ক্ষেত্রে একটি উল্লেখযোগ্য অংশ হিসাবে রয়ে গেছে, যা বাংলা সাহিত্যের মধ্যে এবং তার বাইরের ঐতিহ্য এবং উদ্ভাবনের সাথে তার গভীর সম্পৃক্ততাকে প্রতিফলিত করে।
পশ্চিমবঙ্গের একটি ছোট গ্রাম থেকে ভারতের একাডেমিক এবং সাংস্কৃতিক চেনাশোনাতে সবচেয়ে সম্মানিত ব্যক্তিত্ব হয়ে ওঠার জন্য তাঁর অসাধারণ যাত্রা বাংলা ভাষা এবং এর সাহিত্যের প্রতি তাঁর উত্সর্গ এবং আবেগের প্রমাণ। ক্ষুদিরাম দাসের অবদান প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে পণ্ডিত, ছাত্র এবং সাহিত্য প্রেমীদের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে চলেছে।

।। তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।

Share This
Categories
নারী কথা প্রবন্ধ

নীলিমা সেন, রবীন্দ্রসংগীতের অমর প্রতিভার যাত্রা।।।।

নীলিমা সেন, একজন বিশিষ্ট রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী, ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের জগতে একটি অমোঘ ছাপ রেখে গেছেন। নীলিমা গুপ্তা হিসাবে ২৮ এপ্রিল, ১৯২৮ সালে, ব্রিটিশ ভারতের কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন, সেনের সঙ্গীত যাত্রা শান্তিনিকেতনে ছয় বছর বয়সে শুরু হয়। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সাথে গভীরভাবে জড়িত এই স্থানটি সঙ্গীতে তার ভবিষ্যতকে রূপ দিয়েছে।

সেনের প্রতিভা তাঁর সঙ্গীত শিক্ষক শৈলজারঞ্জন মজুমদারের নির্দেশনায় প্রশংসিত হয়েছিল এবং বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক হওয়ার পরে শাস্ত্রীয় সঙ্গীত এবং রবীন্দ্র সঙ্গীতে ডিপ্লোমা দিয়ে তাঁর শিক্ষা আরও দৃঢ় হয়।
সেনের সঙ্গীতজীবন একটি উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি লাভ করে যখন, ১৬ বছর বয়সে, তিনি অল ইন্ডিয়া রেডিওতে পারফর্ম করার পর তার প্রথম রেকর্ড প্রকাশ করেন। রেকর্ডের সাফল্য সেনের জন্য নিছক একটি সূচনা বিন্দু ছিল, যিনি ১৯৫০ সালে ডাঃ অমিয়কুমার সেনকে বিয়ে করার পর শান্তিনিকেতনের একজন অধ্যবসায়ী হয়ে ওঠেন। এই দম্পতির মেয়ে, নীলাঞ্জনা, তার বাবার সঙ্গীতের পদাঙ্ক অনুসরণ করে, পরিবারের শৈল্পিক উত্তরাধিকার যোগ করে।
তার বর্ণাঢ্য কর্মজীবন জুড়ে, সেন শুধু বিশ্বজুড়েই নয়- মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে মিয়ানমার এবং মালয়েশিয়া পর্যন্ত- কিন্তু শিক্ষা জগতেও উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছেন। তিনি বিশ্বভারতীর সঙ্গীত ভবন এবং বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেন, অবশেষে সঙ্গীত ভবনের অধ্যক্ষ হন। সেনের প্রভাব শ্রেণীকক্ষের বাইরেও বিস্তৃত ছিল; তিনি হি তাসের দেশ এবং মায়ার খেলার মতো নৃত্যনাট্যের সাথে জড়িত ছিলেন এবং একজন শিল্পী হিসেবে তার বহুমুখী প্রতিভা প্রদর্শন করেছিলেন।
সেনের কণ্ঠ “ও চাঁদ, একসে অঞ্জলা লালগা জোয়ার” এবং “আহা, তোমার সাত প্রাণ খেলা” এর মতো গানগুলিকে প্রাণবন্ত করে তুলেছিল যা সঙ্গীতপ্রেমীদের হৃদয়ে রয়ে গেছে। স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় এবং রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যার মতো উল্লেখযোগ্য নাম সহ তাঁর ছাত্ররা রবীন্দ্রসংগীতের জগতে তাঁর স্থায়ী উত্তরাধিকারের প্রমাণ।
অসুস্থতার সাথে দীর্ঘ যুদ্ধের পর, নীলিমা সেন ২৮ শে জুন, ১৯৯৬-এ মারা যান। তবে তার উত্তরাধিকার ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের বিশ্বকে অনুপ্রাণিত ও প্রভাবিত করে চলেছে, নিশ্চিত করে যে তার অবদান আগামী প্রজন্মের জন্য লালন করা হবে।

Share This