Categories
প্রবন্ধ

বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীজী ও কেলে কুকুরের আশ্চর্য কাহিনী : রাধাবিনোদিনী বিন্তি বণিক।

শান্তিপুরের গোঁসাইজী বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর গৃহমন্দিরে এক পোষ্য  সারমেয় (কুকুর) থাকত। নাম তার কেলে। কেলে ছিল অন্যান্য কুকুরদের থেকে একদম আলাদা। কোনদিনও সে আমিষ আহার গ্রহণ করেনি। বা , কারোর উচ্ছিষ্টেও (এঁটো খাবার) মুখ দেয়নি। সে সবসময় প্রসাদ গ্রহণ করতো। আর প্রতিদিন শান্তিপুরের শ্যামসুন্দর মন্দিরকে প্রদক্ষিণ করতো। মন্দিরে কীর্তন চলাকালীন এক মনে দূর থেকে বসে তা শুনতো । সেসময় মাঝেমধ্যেই তার চোখ দিয়ে জল গড়িয়ে পড়তো। কাউকে কামড়ানো-হাঁচড়ানো, বলাবাহুল্য তা তো জীবনে করেনি সে। বিজয়কৃষ্ণ তাই বলতেন প্রায়ই ,”ওরে কেলেকে তোরা আর পাঁচটা কুকুরের মত ভাবিস না। ও কোন সাধারণ কুকুর নয় । ও বিশেষ কার্যসাধন করতে পৃথিবীতে এসেছে।” তাঁর কথা শুনে অনেকে ভাবতো—-কি এমন কাজ করবে কেলে ?  কবে আসবে সেদিন, যেদিন চোখের সামনে এমন কিছু দেখতে পাবো ?

১২৯৫ বঙ্গাব্দের অর্থাৎ ১৮৮৮ সালের ২৬শে ফাল্গুন শুক্রবার, বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীজী তাঁর পুত্র এবং কন্যা উভয়ের বিবাহ দিলেন একসাথে। ঢাকার গেন্ডারিয়ার আশ্রমে বেশ সমারোহের সাথেই পুত্র যোগজীবনের নামে সাথে পাত্রী বসন্তকুমারীর আর জগদ্বন্ধু মৈত্রের সাথে কন্যা শান্তিসুধার শুভ পরিণয়   সুসম্পন্ন হল । এই বিবাহপ্রদানের কিছুদিন পরই গোস্বামীজি শান্তিপুরে  চলে আসেন আর বেশ কিছুকাল বাস করেন এখানে ।সেসময় একদিন স্থির করলেন নগর সংকীর্তন করতে করতে সকলে মিলে বাবলায় যাবেন।

বাবলা অর্থাৎ সেই স্থান যেখানে গৌর-আনা ঠাকুর সীতাপতি শ্রীঅদ্বৈত সাধনা করতেন।  এই বাবলাতেই তিনি গঙ্গাজল তুলসীপত্র হাতে নিয়ে অশ্রুসজল নয়নে সুরধনীর আবক্ষ বারিতে দাঁড়িয়ে শ্রীকৃষ্ণ ভগবানের আরাধনা করে তাঁকে মর্ত্যে অবতীর্ণ হতে প্রার্থনা জানাতেন। দীর্ঘ ১২ বছর এমন আকুতি ভরা অনুনয় করার পর অবশেষে নবদ্বীপে শ্রীজগন্নাথ মিশ্রের পত্নী শ্রীশচীদেবীর  গর্ভসিন্ধুতে শ্রীহরিরূপ চন্দ্র  উদিত হয়েছিলেন শ্রীগৌরাঙ্গ রূপে। এখন অবশ্য আর গঙ্গা দেখা যায় না। শুধু খাতটাই রয়ে গেছে। কিন্তু সেসময় পতিতপাবনী  গঙ্গা শান্তিপুরের দক্ষিণ-পূর্ব দিকে প্রবাহিতা ছিল। তখন গঙ্গার স্রোত সুরধনী নাম নিয়ে  এই বাবলা পুণ্যভূমির  ধার ঘেষে বহমানা ছিল। বর্তমানে সেই সুরধনী প্রায় মৃতপ্রায় দশায় । উল্লেখ্য, বৈষ্ণব ইতিহাস তথা শান্তিপুরের ইতিহাস, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের সাথে জড়িত এই ১৪কি.মি. দীর্ঘ সুরধনী নদীকে বাঁচাতে , তাকে স্বাভাবিক স্রোতস্বিনী ছন্দে ফিরিয়ে আনতে উৎস থেকে মোহনা পর্যন্ত সংস্কারের দাবিতে শান্তিপুরের পরিবেশ ভাবনা মঞ্চ দাবি জানিয়েছে সরকারের কাছে সম্প্রতি।

শান্তিপুর শহরের ৩.২ কিলোমিটার উত্তরে বাবলার অবস্থান । এখন এই স্থান আদি শান্তিপুর নামে পরিচিত হলেও অদ্বৈত প্রভুর আমলে শান্তিপুরেরই অন্তর্গত ছিল । এই স্থান অতীতে বাবলা বৃক্ষে পরিপূর্ণ থাকায় নাম হয়েছে বাবলা। বাবলার উত্তরে পঞ্চবটী । পঞ্চবটীর কাছে ছিল দোলমঞ্চ । যেখানে অদ্বৈত প্রভুর দোল হতো। এখন দোল উৎসব শ্রীমন্দিরেই হয় , যা সপ্তম দোল নামে পরিচিত।  সপ্তম দোলকে উপলক্ষ্য  করে বহু ভক্ত সমাগম হয় প্রতি বৎসর । মহোৎসবও হয় সেদিন।

এই বাবলাতেই অদ্বৈতের দীক্ষালাভ হয়েছিল শ্রীমাধবেন্দ্র পুরীপাদের কাছে। আবার এখানেই অদ্বৈত দীক্ষা প্রদান করেছিলেন নামাচার্য শ্রীহরিদাস ঠাকুরকে।   এখানেই শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু সন্ন্যাসের পূর্বে শ্রীনিত্যানন্দের সাথে আসতেন অদ্বৈত গৃহে। মহাপ্রভু সন্ন্যাস গ্রহণ করার পর বৃন্দাবন যাবেন বলে তিনদিন ধরে রাঢ়দেশে ঘোরার পর যখন তাঁকে  নিত্যানন্দ ফিরিয়ে নিয়ে গেলেন শান্তিপুরে  , তখন এই বাবলাতেই এনেছিলেন।  এখানেই শচীমাতা সহ নবদ্বীপবাসীরা তাঁদের প্রাণপ্রিয় গোরাচাঁদকে দেখতে হাজির হয়েছিলেন। তখন তো গৌরাঙ্গ নবীন সন্ন্যাসী,  নাম শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য ভারতী। এখানে অদ্বৈত প্রভুর গৃহে সেসময় দশদিন মহাপ্রভু ছিলেন। পরবর্তীতে ১৫১৪-১৫ সালে অবশ্য আবারও বেশ কিছুদিন ছিলেন তিনি । এখানেই  লীলা সাঙ্গ করেন আচার্য অদ্বৈত । বাবলা তাই শ্রীঅদ্বৈতের শ্রীপাট। একে অদ্বৈতপাটও বলা হয়।

শ্রীপাটের মন্দিরের গর্ভগৃহে বিরাজিত রয়েছেন  আচার্যের দারুময় বিগ্রহ । স্বয়ং বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীজী বলেছিলেন—–এই বিগ্রহের শ্রীবদনপানে চেয়ে নয়নে নয়ন স্থির রেখে একমনে নিজের দীক্ষামন্ত্র জপ করলে বিগ্রহে অদ্বৈতের উপস্থিতির অনুভূতি লাভ করবে , দর্শনও পাবে। অনেক ভক্তসুজন সেই সৌভাগ্য লাভ করেছেনও।

ফিরে আসি সেদিনের সংকীর্তনের কথায় । সালটা ১৮৯২ খ্রিস্টাব্দ । চৌদ্দ মাদল নিয়ে মহানন্দে মনপাগল, প্রাণহরণ করা কীর্তন করতে করতে বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীজী ভক্তগণ সমেত এসে উপস্থিত হলেন বাবলায় । গৃহপালিত সারমেয় কেলেও  সংকীর্তন দলের অনুগামী হল । সেও যে ভক্ত । ভক্ত না হলে এমন ভক্তের ন্যায় আচরণ করবেই বা কেন ! যাহোক,  যখন গঙ্গার খাত পেরোনোর সময় হল তখন সহযাত্রীদের অনেকের নজরে পড়ল একটা কুকুরও তাদের সাথে খাত পার হবার চেষ্টা করছে। তারা তাকে তাড়াবার চেষ্টা করতে থাকলো।কেলে ‘কুঁই কুঁই’ করতে করতে গোস্বামী প্রভুর চরণে পরলো। ভাবখানা এমন যে, আমাকেও তুমি ভবনদী পার করাও । যেতে অনুমতি দাও তোমাদের সাথে । আমিও যে উদ্ধার হতে চাই ।

গোস্বামীজী সকলকে উদ্দেশ করে বললেন, “তোমরা ওকে তাড়িও না গো। ওকে যেতে দাও । চলুক আমাদের সঙ্গেই ।”

প্রভুর আজ্ঞা পেয়ে সকলে  বললেন, “চল ,চল তোকে গোঁসাইজী কৃপা করেছেন । তুইও আমাদের সাথে তবে চল।আর কেউ কিছু বলবে না তোকে।” ভক্তেরা হাসলেন আনন্দে কুকুরের এমন কান্ড দেখে।  হরিনাম যে মানব ,জীবজন্তু ,বৃক্ষ-লতা, গুল্ম সকলকে মত্ত করে দেয়—-এ ঘটনা যেন তারই প্রমাণ।

সংকীর্তন দল অচিরেই শ্রীঅদ্বৈত শ্রীপাটে প্রবেশ করলো।  কেলে দাঁড়িয়ে রইলো অদূরে এক কোণে । মন্দিরে কীর্তনের তালে তালে ভক্তেরা আনন্দে ভাবাবেশে নৃত্য করছেন । এমন সময় একটা দিব্য ঘটনা ঘটলো। অপর কোন কীর্তনের দল বুঝিবা মন্দিরের দিকে এগিয়ে আসছে। সে কীর্তনের সুরের অদ্ভুত সুরেলা প্রাণছোঁয়া আবেশ।  তাই অনেক ভক্তই মন্দির থেকে বেরিয়ে এসে পথে অপেক্ষা করতে লাগলেন সেই কীর্তন দলের জন্য। কেউ কেউ আবার আরও একটু এগিয়ে গেলেন কীর্তন দলের আগমনের আশায়। তাঁরাও তাতে যোগ দিতে চান। তাই প্রবল উৎসাহী। অথচ সকলেই অবাক হলেন এই ঘটনায় যে, সুরের ঝংকার , মৃদঙ্গ-করতালের ঝনঝনি শ্রবণ করা গেলেও কেউ কোথাও নেই।  এক সময় তাঁরা মন্দিরে আবার ফেরত এলেন হতাশ হয়ে ।বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীজী মন্দির ছেড়ে বেরিয়ে আসেননি। তিনি মন্দিরেই বসেছিলেন। ভক্তদের ফিরে আসা দেখে হাসলেন আর বললেন, “ওগো , এ কীর্তন যে মহাপ্রভু , নিত্যানন্দ, আচার্যপ্রভু আর তাঁদের পার্ষদদের    করা কীর্তন। মহাপ্রভুর নিত্যলীলার অংশ এ ।” বাবলা শ্রীপাটে পাঁচ শতাধিক পূর্বে ঘটা মহাপ্রভুর লীলা যে নিত্য ! কোন কোন ভাগ্যবান তা দর্শন করতে পারেন । সেই নিত্যলীলার কীর্তনের সুরই সেদিন অনুরণিত হয়েছিল বাবলা শ্রীপাটের নির্জন , ছায়াঘেরা, সুশীতল , মনোরম পরিবেশে।

ওদিকে কেলে সারমেয় সবটাই নিরীক্ষণ করছে মনোযোগ  দিয়ে। চোখের সামনে ঘটে যাওয়া এক একটা দৃশ্যের সে প্রত্যক্ষ সাক্ষী। বিজয়কৃষ্ণ তাকে আদর করে নাম দিয়েছিলেন ‘ভক্তরাজ’। ভক্তরাজ এসব মন দিয়ে দেখতে দেখতে হঠাৎই উঠে চলে গেল মন্দিরের কিছু দূরের পঞ্চবটীর কাছে একটি স্থানে।
আর সেখানে তার পা দিয়ে জোরে জোরে মাটি হাঁচরাতে লাগলো। তারপরই ছুটে গিয়ে গোস্বামী প্রভুর বহির্বাস দাঁতে ধরে টানতে থাকলো। সকলে , “হাই হাই” করে উঠলো।  গোস্বামী প্রভু ভ্রূ কুঁচকে বোঝার চেষ্টা করলেন হঠাৎ ভক্তরাজ কেলে এমন আচরণ করছে কেন !  তিনি বললেন, “কি হয়েছে , কি হয়েছে ?” কাপড় আর ছাড়ে না ভক্তরাজ ।  টানছে সমানে।  যেন বোঝাতে চাইছে তার সাথে যেতে। ‌   গোস্বামী প্রভু বলে উঠলেন, “আচ্ছা চল , চল ! কি হয়েছে ?কোথায় নিয়ে যাবি ? নিয়ে চল।  কেলে তখন কাপড় ছেড়ে ল্যাজ নাড়তে নাড়তে চলতে থাকল , চোখের ভাষায় ডাকতে থাকলো মুখ ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে গোস্বামী প্রভুকে । তার পশ্চাতে পশ্চাতে গোস্বামীজী গেলেন।  ভক্তরাও অনুসরণ করলেন তাঁদের প্রিয় গোঁসাইজীকে।

পঞ্চবটীর কাছে পূর্বের স্থানে এলো ভক্তরাজ। এসেই মাটি হাঁচড়ে-হাঁচড়ে কিছু বোঝাতে চাইলো । বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী ভাবলেন তাহলে কী মাটির তলায় কিছু আছে , যা ভক্তরাজ দেখাতে চাইছে।  তিনি আদেশের সুরে বললেন, “এই এখানে মাটি খুঁড়ে দেখতো, কিছু আছে কিনা ! এমনটা কেন করছে ভক্তরাজ!  বোঝা যাচ্ছে না , নাহলে ।” এক-দু’জন মাটি খুঁড়লেন । কিন্তু কই, কিছুই তো নেই সেখানে। বৃথাই কুকুরটা কাওতালি করল কতক্ষণ ধরে ! — সকলে ভাবলেন। প্রভুজী কেলেকে উদ্দেশ করে বললেন, “কী রে?  কই রে? কী দেখলি তুই ?  কিছুই তো নেই এখানে।” গোস্বামীজী কেলের দিকে চাইতেই কেলে সতৃষ্ণ ব্যাকুল নয়নে কিছু যেন বোঝাতে চাইল। ছটফট করতে করতে আবার সেই স্থানে গিয়ে মাটি হাঁচড়াতে থাকল। বিজয়কৃষ্ণ চিন্তা করলেন, “এমন তো করে না কখনো শান্তশিষ্ট কুকুরখানা ! আজ এমন চঞ্চল হয়ে উঠল কেন?”

তিনি বলে উঠলেন , “এই আবার আর একবার মাটি তোলো তো তোমরা । আরো গভীর করে মাটি ওঠাও।” অগত্যা আবার মাটি খোঁড়া হতে থাকলো। কিছুক্ষণের মধ্যেই কোদাল যেন কোন ধাতব পদার্থের গায়ে লাগলো। “হ্যাঁ প্রভু। কিছু একটা আছে মাটির তলায়।” মাটি খোঁড়া হতে থাকলো । অচিরেই একটা পিতলের হাড়ি প্রকাশ হলো।  পিতলের হাড়িটি বার করা হলো মৃত্তিকার তলদেশ থেকে ।
কী আছে তাতে? যা ছিল তা বড় দুর্লভ সম্পদ  । শুধু দুর্লভ নয় , সুদুর্লভ —– শ্রীঅদ্বৈত প্রভুর নামাঙ্কিত একজোড়া কাষ্ঠ পাদুকা , একটা কমন্ডুল আর হস্তলিখিত পুঁথি শ্রীঅদ্বৈতের , যা একটা বাক্সের মধ্যে ভরা ছিল।  সকলের চোখ কপালে উঠলো এহেন ঘটনায়। ভাষাহীন প্রত্যেকে।  তখন বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীজী পাদুকাটি নিজের মাথায় বসিয়ে নৃত্য শুরু করলেন। ভক্তেরা আনন্দে মাতোয়ারা আজকের এই শুভ দিবসে এমন দিব্যবস্তু লাভ করার জন্য।

ভাবের ঘোরে প্রভু বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীজী সংজ্ঞা হারালেন । ভক্তদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় জ্ঞান ফিরে আসলো তাঁর । দেখা গেল কেলেও অচৈতন্য দশায় মাটিতে পড়ে আছে। গোস্বামীজী তার কানের কাছে মুখ নিয়ে নাম শোনাতে থাকলেন। এ সময় জ্ঞান ফেরত আসলো কেলের । গোস্বামীজী তাকে জড়িয়ে ধরে কাছে টেনে নিলেন ।খানিক আদর করার পর বললেন, “ভক্তরাজ ! এবার তোমার কার্য শেষ হয়েছে।  যে জন্য তুমি এসেছিলে তা সাঙ্গ হল । এবার তুমি গঙ্গালাভ  করতে পারো।”

অনেক রাত পর্যন্ত সংকীর্তন চললো। বাবলা ছেড়ে ভক্তেরা ফেরৎ গেলেন তারপর একসময়।

পরদিন অতি অদ্ভুত ভাবে দেখা গেল গঙ্গায় হাঁটুজলের মধ্যে কেলের মৃতদেহ পড়ে আছে। যেখানে কিনা সাঁতার জানতে পারে বলে কুকুরদের সুনাম, সেখানে গঙ্গার এই সামান্য জলে কেলে যে কী ভাবে মারা পড়লো, তা এক প্রশ্ন ! কী অদ্ভুত! গোস্বামীজী নিজের হাতে গঙ্গাতীরে পলি খনন করে সমাধিস্ত করলেন ভক্তরাজ কেলেকে। সে তার দায়িত্ব পূরণ করে চলে গেল স্বেচ্ছায়।

নিশ্চয় মনে প্রশ্ন জাগছে , যে বস্তুগুলো পাওয়া গেল সেগুলোর কি হলো?  সেসবের অধিকার নিয়ে গোস্বামী পরিবারের লোকেদের মধ্যে কলহ শুরু হলো। আর তাই  শেষমেশ গোস্বামীপ্রভু  বাবলায় অদ্বৈত বিগ্রহের তলায় সমাধিস্ত করে দিলেন সেসব। তবে থেকে সেই ঐতিহ্যপূর্ণ দ্রব্যগুলি লোকচক্ষুর অন্তরালে রয়ে গেল।

সমাপ্ত

Share This

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *