Categories
কবিতা

নৈরাশ্য : রাণু সরকার।

প্রতিটি ভোর মনোহরা,
সংগ্রাম করে করে নেমে এসেছে অবসাদ,
সীমাহীন নৈরাশ্য-
সাথে তীব্র বেদনা।

দুর্ভাবনার গভীর তলে তলিয়ে থাকা পলির সাথে
পলিতকেশ দিয়ে যায় ডাক,
থাকি যেন নিস্পন্দ উদ্ভিদ হয়ে।

শূন্য বালুকাময় বিস্তীর্ণ প্রান্তর-
কত প্রশ্ন জাগে মনে, উত্তরগুলো অতিশয় এলোমেলো মনে হয়।

স্বল্পায়ু জট পাকানো জীবন-
কত বাসনা, কিন্তু
পায় না পূর্ণতা।

এখনো আধো ঘুমে দেখি তারে, কল্পনাবিলাস,
শিহরণ জাগে!
জেগে দেখি কেউ নেই- শুধু মোহজনিত ভ্রান্তি,
তখন চলে যাই অতীতের আমিতে!

Share This
Categories
কবিতা

গণিকা : রাণু সরকার।

যাদের শরীরে কালো রেখাঙ্কনের ছাপ-
তারা হলো গণিকা,
সর্বসাধারণ তাদের ঘৃণার দৃষ্টিতে দেখেন,
দেখারই কথা,
সব মানুষ তো সমান নয়
যে কর্ম করেন তারা, সমাজের চোখে ঘৃণার
আমি ওদের ঘৃণার দৃষ্টিতে দেখিনা বা পরিবাত করি না বরং বাহবা দিই….

একবারও কী ভেবে দেখেছি?

রীতিনীতির বিরুদ্ধে তারা, বিকৃত বুদ্ধির
কিছু মানুষ আছেন তাদের আবশ্যকতা আপাতত নির্মল ও কলুষমুক্ত রেখেছেন সমাজকে।

কামনা বাসনা আপন শরীরে দিয়েছে আশ্রয়-
সেটা যেভাবেই হোক না কেনো-
অভাবে বা স্বভাবে দু’রকমের নারী আছে।
দুষ্কর্মকারীদের বিকৃত কামনা বাসনাকে বেঁধে তো রেখেছে তাদের শরীর দিয়ে।
যদি ওরা এই কর্ম না করতো
তাহলে তো সমাজটা নরক হয়ে যেত-
সাধারণের বসবাসের অযোগ্য হতো সমাজ।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

আজ ‘আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী দিবস’ ও ‘আন্তর্জাতিক নির্যাতনবিরোধী দিবস’, জানব দিন দুটি পালনের গুরুত্ব সম্পর্কে কিছু কথা।

 

আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী দিবস।

 

মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচার রোধে সারা বিশ্বে দিবসটি পালিত হয়। এবারের প্রতিপাদ্য- ‘মাদক সেবন রোধ করি, সুস্থ সুন্দর জীবন গড়ি’। মাদকের ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য ১৯৮৭ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের সভায় ২৬ জুনকে মাদকবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস হিসাবে পালনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।পরের বছর থেকে বিশ্বব্যাপী দিবসটি পালিত হয়ে আসছে।

মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার এবং অবৈধ পাচারের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক দিবস হল মাদকের অপব্যবহার এবং অবৈধ মাদক ব্যবসার বিরুদ্ধে জাতিসংঘের একটি আন্তর্জাতিক দিবস । এটি ১৯৮৯ সাল থেকে প্রতি বছর ২৬ জুন পালিত হয়। চীনে প্রথম আফিম যুদ্ধের ঠিক আগে ২৫ জুন, ১৮৩৯-এ শেষ হয়েছিল হুমেন , গুয়াংডং -এ লিন জেক্সুর আফিম ব্যবসার অবসানের স্মরণে ২৬ জুন তারিখটি। ৭ ডিসেম্বর ১৯৮৭-এর সাধারণ পরিষদের রেজোলিউশন ৪২/১১২ দ্বারা এই পালন করা হয়েছিল ।

২৬ জুন ১৯৮৭, ভিয়েনায় অনুষ্ঠিত মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার এবং অবৈধ পাচার সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক সম্মেলনে দুটি গুরুত্বপূর্ণ পাঠ্য ( মাদক অপব্যবহার নিয়ন্ত্রণে ভবিষ্যত কার্যক্রমের ব্যাপক বহুবিভাগীয় রূপরেখা এবং মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার এবং অবৈধ পাচার সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক সম্মেলনের ঘোষণা ) গৃহীত হয়েছিল। ১৭-২৬ জুন ১৯৮৭ সময়কালে। সম্মেলন সুপারিশ করে যে মাদকের অপব্যবহার এবং অবৈধ পাচারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের গুরুত্ব চিহ্নিত করার জন্য একটি বার্ষিক দিবস পালন করা উচিত। ১৭ জুন এবং ২৬ জুন উভয় তারিখই প্রস্তাব করা হয়েছিল এবং পরবর্তী বৈঠকে ২৬ জুন বেছে নেওয়া হয়েছিল এবং খসড়া এবং চূড়ান্ত রেজোলিউশনে লিখিত হয়েছিল।

 

সারা পৃথিবী জুড়ে আজ মাদক পাচার একটি গভীর সঙ্কটের রূপ নিয়েছে, বিশেষ করে উন্নয়নশীল দেশগুলিতে, যেসব দেশে অর্থের অভাবে ভুগছেন বহু সংখ্যক মানুষ, এবং নিরাপত্তার অভাবে আটকানো যায় না বহু অপরাধ। এই পরিস্থিতিতে অপরাধের পথে মানুষকে চালিত করা সহজতর হয়ে পড়ে। সমীক্ষায় প্রকাশ, মাদক পাচারের ফলে ব্যাহত হয় শিক্ষা, বাড়ে অপরাধ। আন্তর্জাতিক স্তরে মাদক বিরোধী দিবস পালনের উদ্দেশ্য, সমস্যাটির প্রতি আন্তর্জাতিক দৃষ্টি আকর্ষণ করা, এবং বিভিন্ন স্তরে আলচনার মঞ্চ গড়ে তোলা। এই দিনটি পালন করার প্রধান উদ্দেশ্য হলো মাদক সেবন ও পাচারের মারাত্মক প্রভাব সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা, এবং প্রতিরোধের ব্যবস্থা করা।

 

বিভিন্ন দেশের মানুষ একসঙ্গে দিবসটি উদযাপন করে। যেহেতু ওষুধের ব্যবহার বৃদ্ধি পায়, দিনটি আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। ইন্টারন্যাশনাল ড্রাগ পলিসি কনসোর্টিয়াম দ্বারা সমন্বিত , এটি দাবি করে যে ওষুধ নীতির পন্থাগুলি স্বাস্থ্য, মানবাধিকার এবং মাদক ব্যবহারকারী লোকেদের অপরাধীকরণের অবসানের দিকে মনোনিবেশ করা উচিত। আজ ২৬ জুন, আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী দিবস। মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচার রোধে বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ভারতেও দিবসটি পালিত হচ্ছে। এবারে দিবসটির  প্রতিপাদ্য- ‘মাদক সেবন রোধ করি, সুস্থ সুন্দর জীবন গড়ি’।

 

 

আন্তর্জাতিক নির্যাতনবিরোধী দিবস।

 

নির্যাতনের শিকারদের সমর্থনে জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক দিবস হল প্রতি বছর ২৬ জুন নির্যাতনের অপরাধের বিরুদ্ধে কথা বলার জন্য এবং সারা বিশ্বে ভুক্তভোগী এবং বেঁচে থাকা ব্যক্তিদের সম্মান ও সমর্থন করার জন্য একটি আন্তর্জাতিক পালন করা হয়।

 

এই দিনটি সমাজে অগ্রহণযোগ্য মানবিক নির্যাতন সম্পর্কে জনগণের মধ্যে শুধু সচেতনতাই ছড়ায় না, তাদের জানিয়ে দেয় যে এটি একটি অপরাধ।

বিশ্ব জুড়ে, অসংখ্য মানুষ আছে যারা শারীরিক বা মানসিক নির্যাতনের সম্মুখীন হয়।  যদিও এটি আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে একটি অপরাধ, এমন অনেক ঘটনা রয়েছে যা রিপোর্ট করা হয়নি।  তাই, সমস্ত স্টেকহোল্ডারদেরকে একত্রিত হওয়ার জন্য আহ্বান জানানোর জন্য যারা অপব্যবহার ও নির্যাতনের মুখোমুখি হয়েছেন এবং অব্যাহত রেখেছেন, প্রতি বছর ২৬ জুন নির্যাতনের শিকারদের সমর্থনে আন্তর্জাতিক দিবস হিসাবে পালন করা হয়।  জাতিসংঘ দাবি করে যে নির্যাতনের পরিণতি হল এটি সহিংসতার চক্রে পরিণত হতে পারে এবং পরবর্তী প্রজন্মের উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে।

 

ইতিহাস—-

 

জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ দুটি কারণে দিনটিকে বেছে নেয় । প্রথমত, ২৬ জুন ১৯৪৫ সালে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের মাঝখানে জাতিসংঘের সনদ স্বাক্ষরিত হয়েছিল – প্রথম আন্তর্জাতিক উপকরণ যা জাতিসংঘের সদস্যদের মানবাধিকারকে সম্মান ও প্রচার করতে বাধ্য করে । দ্বিতীয়ত, ২৬ জুন ১৯৮৭ ছিল যখন নির্যাতন এবং অন্যান্য নিষ্ঠুর, অমানবিক বা অবমাননাকর আচরণ বা শাস্তির বিরুদ্ধে জাতিসংঘের কনভেনশন কার্যকর হয়েছিল।
বার্ষিক নির্যাতনের শিকারদের সমর্থনে আন্তর্জাতিক দিবস পালনের সিদ্ধান্তটি জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ ডেনমার্কের প্রস্তাবে গৃহীত হয়েছিল, যা বিশ্বখ্যাত আন্তর্জাতিক পুনর্বাসন কাউন্সিল ফর টর্চার ভিকটিম (আইআরসিটি) এর আবাসস্থল।

 

১৯৯৮ সালের ২৬ জুন নির্যাতনের শিকারদের সমর্থনে প্রথম আন্তর্জাতিক দিবস উদযাপন করে, জাতিসংঘ সমস্ত সরকার, স্টেকহোল্ডার এবং বৈশ্বিক সমাজের সদস্যদের এই আইনের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে এবং নির্যাতনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য এবং যারা  বিশ্বের প্রতিটি কোণে এটি কার্যকর করুন।  দিনটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ, কারণ এটি তাদের সমর্থনে সকলকে ঐক্যবদ্ধ করে যারা মানসিক ও শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে। এর তারপর থেকে, সারা বিশ্বের কয়েক ডজন দেশে প্রায় ১০০টি সংস্থা প্রতি বছর ইভেন্ট, উদযাপন এবং প্রচারাভিযানের মাধ্যমে দিবসটিকে চিহ্নিত করে।
১৬ জুলাই ২০০৯ তারিখে, বসনিয়া ও হার্জেগোভিনাতে নির্যাতনের শিকারদের সমর্থনে আন্তর্জাতিক দিবসটিকে সরকারী ছুটি হিসাবে বেছে নেওয়া হয়েছিল ।

সর্বশেষ ২৬ জুন গ্লোবাল রিপোর্ট (২০১২) অনুসারে, বিশ্বের ৬০টি দেশে অন্তত ১০০টি সংস্থা সম্মেলন, কর্মশালা, শান্তিপূর্ণ সমাবেশ, সাংস্কৃতিক ও সঙ্গীত অনুষ্ঠান, শিশুদের জন্য অনুষ্ঠান ইত্যাদির মাধ্যমে দিবসটি উদযাপন করেছে। এশিয়ায় এশিয়ান হিউম্যান রাইটস কমিশন প্রতি বছর আঞ্চলিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এশিয়ার বিভিন্ন দেশে নির্যাতন বিরোধী নেটওয়ার্ক যারা এখনও নির্যাতনের ব্যাপক ব্যবহারে ভুগছে তারা সমাবেশ এবং জনসাধারণের অনুষ্ঠান করে। এই কারণেই জাতিসংঘ এই দিনটিকে নির্যাতনের শিকারদের সমর্থনে আন্তর্জাতিক দিবস হিসাবে বেছে নিয়েছে।

 

।। তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।

Share This
Categories
রিভিউ

আজ ২৬ জুন, ইতিহাসের আজকের এই দিনে যা ঘটেছিল।

আজ ২৬ জুন। ইতিহাস ঘেটে দেখা যায় বছরের প্রতিটি দিনে ঘটেছে অনেক উল্লেখযোগ্য ঘটনা। আসুন আজকের দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য কিছু বিষয় একনজরে দেখে নিই।  ইতিহাসের আজকের এই দিনে কী কী ঘটেছিল, কে কে জন্ম নিয়েছিলেন ও মৃত্যুবরণ করেছিলেন——-

 

দিবস—–

 

(ক) আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী দিবস।

(খ) আন্তর্জাতিক নির্যাতনবিরোধী দিবস।

 

আজ যাদের জন্মদিন—-

১৯০৮ – সালবাদোর আইয়েন্দে, চিলির প্রথম সমাজতন্ত্রবাদী রাষ্ট্রপতি ছিলেন।

১৯১২ – জীবন ঘোষাল, বাঙালি, ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের শহীদ বিপ্লবী।

১৯১৩ – এমে সেজায়ার, মার্তিনিকের একজন ফ্রাঙ্কোফোন কবি, লেখক, এবং রাজনীতিবিদ।

১৯১৪ – সুলতান আহমদ নানুপুরী, বাংলাদেশি দেওবন্দি ইসলামি পণ্ডিত ও আধ্যাত্মিক ব্যক্তিত্ব।

১৯২১ – ভিয়োলেট জাবো, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়কার ফ্রেন্স-ব্রিটিশ গুপ্তচর।

১৯২২ – এলিনর পার্কার, মার্কিন অভিনেত্রী।

১৯৩৪ – কামাল লোহানী, বাংলাদেশি সাংবাদিক ও সাহিত্যজন, শিল্পকলা একাডেমীর সাবেক মহাপরিচালক।

১৯৩৭ – রবার্ট কোলম্যান রিচার্ডসন, মার্কিন পরীক্ষামূলক পদার্থবিজ্ঞানী।

১৯৪০ – কেতকী কুশারী ডাইসন, ভারতীয় বংশোদ্ভূত কবি, লেখিকা, অনুবাদক ও গবেষক।

১৯৫১ – গ্যারি গিলমোর, প্রখ্যাত অস্ট্রেলীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন।

১৯৬৮ – পাওলো মালদিনি, ইতালির সাবেক ফুটবলার।

১৯৭০ – পল টমাস অ্যান্ডারসন, মার্কিন চলচ্চিত্র নির্মাতা।

১৯৭৬ – পমি এমবাঙ্গা, জিম্বাবুয়ের সাবেক আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার।

১৯৮৩ – নিক কম্পটন, দক্ষিণ আফ্রিকান বংশোদ্ভূত ইংলিশ ক্রিকেটার।

১৯৮৭ – সামির নাসরি, ফরাসি ফুটবলার।

১৯৯৩ – আরিয়ানা গ্রান্দে, মার্কিন গায়িকা ও অভিনেত্রী।

১৮৩৮ – সাহিত্যসম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, উনিশ শতকের বাঙালি সাহিত্যিক ও সাংবাদিক।

১৮৭৩ – গওহর জান, ভারতীয় শাস্ত্রীয় সংগীত শিল্পী।

১৮৮৫ – সুইস মনোবিদ ও চিকিৎসক কার্ল গুস্তাফ ইয়ুং।

১৮৮৭ – যতীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত, বাংলা ভাষার অন্যতম কবি।

১৮৯২ – পার্ল এস. বাক, মার্কিন লেখিকা ও ঔপন্যাসিক।

১৫৭৫ – ডেনমার্ক ও নরওয়ের রানি অ্যান ক্যাথরিন।

 

ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনের ঘটনাবলী—-

২০০০ – এই দিন বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থার স্থায়ী সদস্যপদ লাভ করে।

১৯২৪ – আমেরিকান সৈন্যরা ডোমিনিয়ন রিপাব্লিক ত্যাগ করে।

১৯৩৪ – প্রথম বারের মত ব্যবহারিক হেলিকপ্টারফক উল্‌ফ এফ ডাব্লিউ ৬১ আকাশে উড়ে।

১৯৪০ – ২য় বিশ্বযুদ্ধ।

১৯৪১ – ফিনল্যান্ড দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে অংশ নেয়।

১৯৪৫ – সানফ্রান্সিসকোতে জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠায় বিশ্ব নিরাপত্তা সনদে ৫০টি দেশের প্রতিনিধিদের স্বাক্ষর।

১৯৪৫ – ব্রিটেনের লেবার পার্টি জয়লাভ করার পর উইনস্টন চার্চিল ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়ান।

১৯৪৮ – পশ্চিমা জোট বার্লিন এ এয়ার লিফট দেয়া শুরু করে যখন সোভিয়েত ইউনিয়ন পশ্চিম বার্লিন অবরুদ্ধ করে দেয়।

১৯৫২ – মিসরের রাজা ফারুক তার ছেলে ফুয়াদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন।

১৯৫৭ – গুয়েতেমালার একনায়ক কার্লোস ক্যাস্টিলো আরমাস নিহত হন।

১৯৫৯ – উত্তর আমেরিকার মহাসাগর গামী জাহাজ এর জন্য সেইন্ট লরেন্স সি-ওয়ে খুলে দেয়া হয়।

১৯৬০ – সোমালিল্যান্ড ইংরেজদের কাছ থেকে স্বাধীনতা পায়।

১৯৬০ – গণপ্রজাতন্ত্রী মালাগাছি নামে মাদাগাস্কারের স্বাধীনতা লাভ।

১৯৭৪ – প্রথম বারের মত বারকোড ব্যবহার করে কোন খুচরা পণ্য বিক্রয় হয়। পণ্যটি ছিল চিবানোর গাম।

১৯৭৬ – সি এন টাওয়ার যেটি তৎকালীন পৃথিবীর উঁচুতম ভবন, খুলে দেয়া হয়।

১৯৭৭ – এলভিস প্রিসলি শেষ কনসার্ট করেন।

১৯৭৮ – উইনিপেগ এর উদ্দেশ্যে যাত্রা করা এয়ার কানাডা ফ্লাইট ১৮৯ বিধ্বস্ত হয়।

১৯৭৮ – দক্ষিণ ইয়েমেনে সামরিক অভ্যুত্থান ঘটে।

১৯৭৯ – কিংবদন্তির মুষ্ঠীযোদ্ধা মোহাম্মাদ আলী অবসর গ্রহণ করেন।

১৯৯১ – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রায় ৪০০ পৃষ্ঠার পান্ডুলিপি লন্ডনে নিলামে উঠলে ভারত সরকার ২৬,৬০০ পাউন্ড দামে তা কিনে নেয়।

১৯৯২ – বাংলাদেশের কাছে ভারতের ৩ বিঘা করিডর হস্তান্তর।

১৮১৯ – বাই সাইকেল এর পেটেন্ট করা হয়।

১৮৩০ – রাজা চতুর্থ উইলিয়ামের ব্রিটিশ সিংহাসনে আরোহণ।

১৮৪২ – ইংরেজ সৈন্য চীনের সাংহাই বন্দর অধিকার করে।

১৮৪৭ – লাইবেরিয়া স্বাধীনতা ঘোষণা করে।

১৮৪৮ – আমেরিকায় খাদ্য আইন চালু হয়।

১৮৯৪ – কার্ল বেঞ্জ গ্যাসোলিনচালিত গাড়ির প্যাটেন্ট পান।

১৮৯৬ – আমেরিকায় প্রথম সিনেমা হল চালু হয়।

 

১৫৩৯ – চৌসারের যুদ্ধে শের শাহের কাছে হুমায়ুন পরাজিত হন।

১৪৮৩ – রাজা ৩য় রিচার্ড ইংল্যান্ড এর রাজা হন।

১২৮৪ – কিংবদন্তির হ্যামিলন এর বংশিবাদক ১৩০ শিশুকে নিয়ে হারিয়ে জান।

এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন যারা—-

২০০৪ – ভাষাসৈনিক ও মুক্তিযুদ্ধের চরমপত্রখ্যাত এম আর আখতার মুকুল।

২০১৫ – ইয়েভগেনি প্রিমাকভ, রুশ রাজনীতিবিদ ও কূটনীতিক।

১৯০২ – ইংল্যান্ডের তৃতীয় হেনরির স্ত্রী ইলিয়েনর।

১৯৩৭ – যোগীন্দ্রনাথ সরকার,প্রখ্যাত বাঙালি শিশুসাহিত্যিক।

১৯৩৯ – ফোর্ড ম্যাডক্স ফোর্ড, ইংরেজ ঔপন্যাসিক, কবি, সমালোচক ও সম্পাদক।

১৯৪৩ – কার্ল লান্ডষ্টাইনার, ১৯৩০ সালে নোবেলজয়ী অষ্ট্রীয় জীববিজ্ঞানী ও চিকিৎসক।

১৯৬৪ – নগেন্দ্রচন্দ্র শ্যাম, শিলচরের লব্ধ-প্রতিষ্ঠ আইনজীবী, সাহিত্যিক ও সাংবাদিক।

১৯৯৪ – জাহানারা ইমাম, বাংলাদেশী লেখিকা।

১৮৩০ – ইংল্যান্ডের রাজা চতুর্থ জর্জ।

১৮৩৬ – ক্লদ জোসেফ রুজে দ্য লিল, ফরাসি জাতীয় সংগীতের লেখক।

১৫৪১ – ফ্রান্সিসকো পিসার্‌রো, একজন স্পেনীয় দখলদার।

১২৭৪ – নাসির আল দীন তুসী, পারস্য বিজ্ঞানী ও লেখক।

 

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This
Categories
উপন্যাস

দামাল মেয়ে কুহেলি (ধারাবাহিক উপন্যাস, অষ্টম পর্ব) : দিলীপ রায় (+৯১ ৯৪৩৩৪৬২৮৫৪)।

কানাই কাকা হন্তদন্ত হয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে । কাকাকে দেখা মাত্র কুহেলি পেছন ডেকে বলল, “কাকা ! তোমার সাথে একটা দরকারি কথা আছে !”
“হ্যাঁ মা । তুমি বলো, তোমার কথাটা শুনে যাই । আমাকে এখন সালার যেতে হবে । চাষের জমিতে কীট-পতঙ্গ মারবার জন্য ঔষধ আনতে হবে । তাই তাড়াহুড়ো ।” কানাই কুহেলির দিকে তাকিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্য বর্ণনা করলো ।
অন্যদিকে কাকীমা খ্যাঁকখ্যাঁক করে উঠলো, “দিলি তো পেছন ডেকে । তোর কথা বলার দরকার থাকলে আরও সকালে ঘরে এসে বলতে পারতিস । দেখছিস, হন্তদন্ত হয়ে লোকটা কাজে বেরিয়ে যাচ্ছে । ঠিক সেই সময় তাকে পেছন ডাকার দরকার হলো বেহায়া মেয়ে !”
কাকীমার দিকে তাকিয়ে কানাই কাকা বলল, “তুমি চুপ করো । দেখছো মেয়েটা কাঁচমাচু হয়ে কী যেনো বলতে এসেছে, নিশ্চয় খুব দরকার !”
“দরকার না ছাই ! দ্যাখো, টাকা চাওয়ার অছিলায় তোমাকে ডাকছে কিনা ? এই মেয়েকে দিয়ে বিশ্বাস নেই । এত করে তুমি বললে, মামা বাড়ি গিয়ে থাকতে । মেয়েটার সেদিকে হেলদোল নেই । উল্টে ঠ্যাটার মতো বাড়িতে রয়ে গেলো । এখন ঐ রাজরানীকে কে টাকা দেবে ?” এই কথা বলে কাকীমা কাকুর দিকে তাকিয়ে চোখ বড় করে বলল, “যদি কোনোদিন শুনি ঐ বেহায়া মেয়েকে লুকিয়ে টাকা দিয়েছো, তাহলে আমার চেয়ে খারাপ কেউ হবে না ।“
আহা গিন্নি ! ঘরে যাও । কুহেলি-মা, সেরকম মেয়ে নয় । কুহেলি মায়ের নিজস্ব ব্যক্তিত্ব ষোলোআনা !
কাকীমা কানাই কাকার দিকে তাকিয়ে মুখ ভেঙ্‌চিয়ে বড় বড় চোখ করে স্থান ত্যাগ করলো । কিন্তু যাওয়ার সময় শারীরিক ভাষায় কানাই কাকাকে বুঝিয়ে দিয়ে গেলো, কুহেলির কোনোরকম বায়না-আবদার শোনা যাবে না ।
হাঁফ ছেড়ে বাঁচলো কুহেলির কানাই কাকা । তারপর কুহেলির দিকে তাকিয়ে মুখে হাসি এনে জিজ্ঞাসা করলো, “বলো মা, কী বলবে ?”
বলছিলাম আমার করুণ জীবনের কথা । পয়সা-কড়ি শেষ ! ভাবছি, নিজের চেষ্টায় উপার্জনের কথা !
বেশ তো ! কীভাবে উপার্জনের কথা ভাবলে, আমাকে খুলে বলো ?
কাকা, আমি কাঞ্চন নগর গাঁয়ে ঢোকার মুখে চায়ের ভদোকান খুলতে ? তোমার কী মত ?
ভাল প্রস্তাব ! কিন্তু সেখানে লোহাদহের মুরারী ঘটকের চায়ের দোকান রয়েছে । মোড় দিয়ে লোকজনের যাতায়াত কম । সুতরাং একটা দোকান থাকা অবস্থায় তুমি দোকান খুললে বেচাকেনা কেমন হবে সেই ব্যাপারে আগেভাগে ভেবেচিন্তে এগোতে হবে । যাতে পরে পস্তাতে না হয় ?
কাকা, আমি এখন চা দিয়ে শুরু করতে চাই । পরবর্তী সময়ে দোকানে লাভের মুখ দেখলে, দোকানটির কলেবর বাড়াতে চাই ।
কেমন ধরনের ব্যবসার কথা বলছো ?
বলছি, চায়ের দোকান ভাল চললে আমি সেখানে মুড়ি, ঘুগনি, পাউরুটি, পাকা কলা, ইত্যাদি রাখতে চাই । যাতে সাধারণ মানুষ সকালে বিকালে আমার দোকান থেকে জল খাবার খেয়ে তাঁদের কাজে বের হতে পারেন ।
অতি উত্তম প্রস্তাব । দোকান খোলার ব্যাপারে আমার সায় আছে । তবে মা, খুব সাবধান ! দিনকাল ভাল নয় । এখনকার মানুষ আগের মতো উদার বা হিতাকাঙ্ক্ষী নয় । মানুষ সুযোগ খোঁজে “তিলকে তাল করার জন্য” । কেউ কারও ভাল দেখতে পারে না । সুতরাং তুমি যতোটা সহজে দোকান খোলার কথা ভাবছো, সেটা অতো সহজ ব্যাপার নয় । বাস্তব জগত বড় কঠিন ! সুতরাং যেটা করবে খুব সাবধানে করবে । তবেই আখেরে তোমার ব্যবসার উন্নতি ঘটবে । আমার সময় হয়ে গেছে, আমি এবার ভরতপুরের উদ্দেশে রওনা দিচ্ছি ! সেখান থেকে বাসে আমার গন্তব্যস্থল, সালার । কানাই কাকা কুহেলির মাথায় হাত রেখে বলল, “ঈশ্বর তোমার মনোবাঞ্ছা পূরণ করুক !”
কাকা চলে যাওয়ার পর প্রমাদ গুণতে থাকলো সে কীভাবে চায়ের দোকান খুলবে ।
কুহেলি গভীরভাবে অনুধাবন করছে, তার পুরানো প্রেমিক শীতল ইদানীং তার খোঁজখবর রাখে না । লোক মুখে কুহেলি জানতে পেরেছে, “শীতলের বাড়ির মানুষের তীব্র আপত্তির জন্য কুহেলির সঙ্গে মেলামেশা বন্ধ ।“ অথচ শীতল একদিন কথা দিয়েছিল, কুহেলির সমস্ত বিপদ-আপদে শীতল তার পাশে ঢাল হয়ে থাকবে । কলকাতায় পড়তে যাওয়ার পর থেকে শীতলের মানসিকতা্র পুরোপুরি বদল । কুহেলির সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ । ভরতপুরের এক বান্ধবীর মারফত কুহেলি আরও জেনেছে, শীতল নাকি অন্য একটি মেয়ের খপ্পরে পড়ে কুহেলির সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে । শীতলের জীবনে কী হয়েছে সেটা কুহেলির অজানা । তবে একদিনের একান্ত আপন মানুষ ছিল শীতল । সেই মানুষটি নিমেষের মধ্যে পরিবর্তন হয়ে গেলো, এটাই কুহেলির কাছে হিসাব মিলছে না । নিজের ভাগ্যকে দোষারোপ করা ছাড়া আর কোনো অজুহাত খুঁজে পচ্ছে না কুহেলি । তাই কুহেলি এবার নিজের ব্যাপারে খুব সতর্ক । ভেবেচিন্তে পা ফেলতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ । সমবয়সী ছেলেদের কোনোরকম প্রলোভনে পা দিতে গররাজি । ইতিমধ্যে সিসগ্রামের তপু বেশ কিছুদিন ঘুরঘুর করছিল । কুহেলি বুঝতে পেরেছিল তপুর মতলব খারাপ । তাই একদিন কুহেলি তপুকে ডেকে বলেছিল, “আমার পেছনে খালি ঘুরঘুর করছো, তোমার মতলব কী ?”
তপু উত্তরে বলেছিল, “আমি তোকে ভালবাসি ।“
কেন আমাকে ভালবাসো, জানতে পারি ?
একসঙ্গে পড়েছি । তোকে আমার ভাল লাগে । সেজন্য ভাল লাগা থেকে তোকে ভালবাসা ।
শোনো তপু, আমি তোমাকে ভালবাসি না । সুতরাং আমার পেছনে ঘোরাঘুরি বন্ধ করো । তোমার ঘোরাঘুরির জন্য গাঁয়ের মানুষ আমাকে সন্দেহের দৃষ্টিতে দেখছে ! এটা আমার কাছে বিড়ম্বনার ?
তোর চালচুলোর কিছু নেই ।সুতরাং তোর আবার মান-সম্ভ্রবের জায়গা আছে নাকি ? তোর বড় বড় কথা শুনে হাসি পাচ্ছে ?
“এরপর থেকে তোমাকে যদি আমার পেছনে ঘুরঘুর করতে দেখি, সেদিন বুঝবে আমার মান-সম্ভ্রবের তেজ কাকে বলে ?” চোখ গরম করে বেশ ঝাঁঝালো সুরে কথা শুনিয়েছিল তপুকে । তারপর থেকে তপু আর কুহেলিকে বিরক্ত করেনি ।
**********************************************
এখন কুহেলি সিদ্ধান্ত নিলো, কাকার কথা অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলবে । কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে শতবার ভাববে এবং তারপর ভেবেচিন্তে এগোবে ।
বড় রাস্তা থেকে কাঞ্চন নগরে ঢোকার মুখে একটা ছোটখাটো বাজার । মুরারী ঘটক কাকার চায়ের দোকান ছাড়া একটি মিষ্টির দোকান এবং মুদিখানার দোকানসহ কইয়েকটি হাতে গোনা দোকান । তবে প্রতিদিন বিকেলে সবজির বাজার বসে । আশেপাশের গ্রাম থেকে চাষিরা নিজের জমির চাষের আনাজ-পাতি নিয়ে বসে । কেননা এলাকার মানুষ চাষবাস নিয়ে ব্যস্ত । অর্থনৈতিক পরিকাঠামো চাষবাসের উপর নির্ভরশীল ! তাই ভোরবেলা থেকে চাষিরা চাষবাস নিয়ে ব্যাস্ত থাকে । বিকেলে ক্ষেতি জমি থেকে ফিরে স্নান সেরে মোড়ে এসে বসেন । গল্পগুজব করেন । চায়ের দফোকানে তখন উপচে পড়া স্থানীয় মানুষের ভিড় । ফেরার সময় তাঁদের নিত্য প্রয়োজনীয় সবজি কিনে ঘরে ফেরেন । ফলে বিকেল থেকে সন্ধে পর্যন্ত জমজমাট বাজার । তবে সন্ধ্যা আটটার পরে মোড় এলাকা প্রায় ফাঁকা । কেননা ঐসব চাষিদের বাড়ি ফিরে খেয়েদেয়ে অল্প রাত্রিতে ঘূমানোর অভ্যাস । তার একটাই কারণ পরেদিন ভোর চারটের মধ্যে ঘুম থেকে ওঠে গরু-বাছুরকে খাওয়ানো । হালের বলদ নিয়ে তারপর জমিতে ছোটা । সুতরাং তাঁদের প্রাত্যহিক জীবন ঐভাবেই ছকে বাঁধা । মানুষের অতি সহজ সরল জীবন । তাঁদের চাওয়া-পাওয়ার এলাকা খুব সীমাবদ্ধ । তাঁরা শারীরিক কসরত করে খেয়েদেয়ে বেঁচে থাকতে চায় । তাই তাঁরা সাধারণ জীবন যাপনে অভ্যস্ত । গ্রামের এই চালচিত্র কুহেলির কাছে ছবির মতো পরিষ্কার । তাই সংসার চালানোর কথা মাথায় রেখে রোজগারের চিন্তায় চায়ের দোকান খুলে কুহেলির পয়সা উপার্জনের যাত্রা শুরু ।
ইতিমধ্যে ভরতপুরসহ সালার, কান্দি, এমনকি বাজারসৌ স্টেশনের কয়েকটি চায়ের দোকানে ঘোরাঘুরি করে চা তৈরীর রসায়ন সম্বন্ধে অনেকটাই অবগত । সালারের আলিম চাচা বললেন, “পাতা চা ব্যবহার করলে, জলটা আচ্ছা করে ফোটাতে হবে । তারপর চা পাতা দিয়ে কিছুক্ষণ চা জ্বাল দেওয়ার পাত্র ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে । তাহলে চায়ের লিকারের স্বাদ পাওয়া যাবে এবং খরিদ্দারেরা সেই চা খেয়ে তৃপ্তিবোধ করবেন ।“ অন্যদিকে বাজারসৌ স্টেশনের তপাদার কাকা বললেন, “সিটিসি চা ব্যবহার করলে চা দিয়ে অনেকক্ষণ ফোটাতে হবে । একটু সময় নিয়ে জ্বাল দিলে চায়ের টেস্ট সুস্বাদু হয় ।“ বিভিন্ন চায়ের দোকানদারের বিভিন্ন মতগুলি মনোযোগ সহকারে শুনলো কুহেলি । তারপর বাড়িতে বসে বসে চা বানিয়ে নিজে খেয়ে যাচাই করতে লাগলো । সাতদিন পরে মোটামুটি চা তৈরীর একটা ভাল রসায়ন রপ্ত করলো ।
মোড়ে টেবিল পেতে ছাতা মাথায় দিয়ে দোকান খুললো কুহেলি । সেদিন আবার রথযাত্রা । রথযাত্রার দিন নাকি পুণ্যদিন ! তাই অনেক আগেই রথযাত্রার দিন চায়ের দোকান খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কুহেলি । টেবিলে তিন রকমের বিস্কুট রাখা । নোনতা, টোস্ট ও থিন । অস্থায়ীভাবে ইট দিয়ে উনুন বানানো । টেবিলের পাশে কয়লার উনুন । উনুন ধরানোর জন্য গ্রাম থেকে গবরের ঘুটে এনে রেখেছিল । রথেরদিন তার চায়ের দোকানের পথ চলা । কানাই কাকার উপস্থিতিতে চালু করলো চায়ের দোকান ।
কানাই কাকা গাঁয়ের কয়েকজন গণ্যমান্য মানুষকে আগেই নিমন্ত্রণ জানিয়ে রেখেছিল । তাঁরা জনা পনের মানুষ এসেছেন । কুহেলি খুব মনোযোগ সহকার অতিথিদের জন্য চা বানালো । গাঁয়ের মানুষ গরুর দুধ দিয়ে চা খেতে অভ্যস্ত । তাই কুহেলি আগেই গরুর দুধ সংগ্রহ করে রেখেছিল । তা ছাড়া আমূলের পাউডার দুধ তো আছেই । তবে কুহেলি গ্রামের সজ্জনদের জন্য গরুর দুধের চা বানালো । নিজে পরখ করে বুঝতে পারলো, চায়ের গুণমান সে যেরকমটি চেয়েছিল ঠিক সেই রকম । কুহেলি চা বানিয়ে খুব খুশী । তার বিশ্বাস, চা খেয়ে গাঁয়ের মানুষকে প্রশংসা করতেই হবে । কী আশ্চর্য ! সকলের নিজের গাঁটের পয়সা খরচ করে কুহেলির কাছ থেকে চা কিনে খেলেন । চা খেয়ে তাঁরা কী উৎফুল্ল !
 (চলবে)

Share This
Categories
রিভিউ

আজ ২৫ জুন, ইতিহাসের আজকের এই দিনে যা ঘটেছিল।

আজ ২৫ জুন। ইতিহাস ঘেটে দেখা যায় বছরের প্রতিটি দিনে ঘটেছে অনেক উল্লেখযোগ্য ঘটনা। আসুন আজকের দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য কিছু বিষয় একনজরে দেখে নিই।  ইতিহাসের আজকের এই দিনে কী কী ঘটেছিল, কে কে জন্ম নিয়েছিলেন ও মৃত্যুবরণ করেছিলেন——-

 

আজ যাদের জন্মদিন—-

২০০৬ – ম্যাককেনা গ্রেস, মার্কিন কিশোরী অভিনেত্রী।

১৯০০ – জর্জিয়া হেল, একজন মার্কিন নির্বাক চলচ্চিত্র অভিনেত্রী।

১৯০০ – লর্ড লুই মাউন্টব্যাটেন, ব্রিটিশ নৌ বাহিনী অফিসার ও রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ-এর স্বামী প্রিন্স ফিলিপের মামা।

১৯০৩ – জর্জ অর্‌ওয়েল, এক কালোত্তীর্ণ ইংরেজ সাহিত্যিক।

১৯০৭ – ইয়োহানেস হান্স ডানিয়েল ইয়েনসেন, জার্মান পদার্থবিজ্ঞানী।

১৯০৮ – সুচেতা কৃপালনী ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামী ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব।

১৯১১ – উইলিয়াম এইচ. স্টেইন, মার্কিন প্রাণরসায়নবিদ।

১৯১৩ – আফ্রিকান-ফরাসি কবি এমে সেজেয়ার।

১৯১৮ – পি. এইচ. নিউবি, ইংরেজ ঔপন্যাসিক ও বিবিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক।

১৯২৪ – (ক) ভারতীয় সঙ্গীত পরিচালক মদন মোহন কোহলি।

(খ) সিডনি লুমেট, একাডেমি পুরস্কার বিজয়ী মার্কিন চলচ্চিত্র পরিচালক।

১৯২৮ – আলেক্সেই আলেক্সেভিচ আব্রিকোসোভ, একজন সোভিয়েত এবং রাশিয়ান তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানী।

১৯৩১ – বিশ্বনাথ প্রতাপ সিং, একজন ভারতীয় রাজনীতিবিদ এবং অষ্টম প্রধানমন্ত্রী।

১৯৩৪ – দেবদুলাল বন্দ্যোপাধ্যায়, বিশিষ্ট সংবাদ পাঠক আবৃত্তিকার ও বাচিকশিল্পী।

১৯৩৬ – ইউসুফ হাবিবি, ইন্দোনেশিয়ার প্রকৌশলী ও বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ।

১৯৫৩ – ইয়ান ডেভিস, সাবেক অস্ট্রেলীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার।

১৯৫৫ – ভিক মার্কস, সাবেক ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তারকা।

১৯৬১ – রিকি জারভেজ, ইংরেজ স্ট্যান্ড-আপ কৌতুকাভিনেতা, অভিনেতা, লেখক, পরিচালক, প্রযোজক ও সঙ্গীতজ্ঞ।

১৯৬৩ – ইয়ান মার্টেল, বুকার পুরস্কার বিজয়ী একজন কানাডীয় সাহিত্যিক।

১৯৬৩ – জর্জ মাইকেল, ইংরেজ পপ গায়ক, সুরকার, গীতিকার, রেকর্ড প্রযোজক এবং সমাজ সেবক ছিলেন।

১৯৬৪ – ফিল এমরি, সাবেক অস্ট্রেলীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার।

১৯৭৪ – বলিউড অভিনেত্রী কারিশমা কাপুর।

১৯৭৫ – ভ্লাদিমির ক্রামনিক, বিখ্যাত রুশ দাবাড়ু ও গ্র্যান্ডমাস্টার।

১৮৫২ – অ্যান্টনি গাউদি, রেউস হতে আগত একজন স্প্যানিশ কাতালান স্থপতি ছিলেন।

১৮৬৪ – ভালটার নের্ন্‌স্ট, একজন জার্মান রসায়নবিদ ছিলেন।

১৮৯৪ – হের্মান ওবের্ট, রোমানিয়ান বংশোদ্ভূত জার্মান পদার্থবিজ্ঞানী।

১৭৯৬ – রাশিয়ার জার প্রথম নিকোলাস।

১৭৯৯ – স্কটিশ উদ্ভিদবিজ্ঞানী ডেভিড ডগলাস।

 

ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনের ঘটনাবলী—-

২০১৪ – পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ি জেলা ভেঙ্গে আলিপুরদুয়ার জেলা তৈরি করা হয়।

২০২২ – বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ সেতু (পদ্মা সেতু) চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হয়।

১৯৩২ – ভারত ও ইংল্যান্ডের মধ্যে সর্বপ্রথম টেস্ট ক্রিকেট খেলা শুরু হয়।

১৯৩৫ – সোভিয়েত ইউনিয়ন ও কলম্বিয়ার কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়।

১৯৫০ – উত্তর কোরিয়ার সেনাবাহিনী দক্ষিণ কোরিয়া আক্রমণ করলে কোরিয়ায় যুদ্ধ শুরু হয়।

১৯৭৫ – সারা ভারতে ইন্দিরা গান্ধীর প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন সময়ে তৃতীয় বারের জরুরি অবস্থা জারি করা হয়। (২৫ জুন,১৯৭৫ হতে ২১ মার্চ ১৯৭৭)

১৯৭৫ – পর্তুগালের কাছ থেকে মোজাম্বিকের স্বাধীনতা লাভ।

১৯৭৮ – নেদারল্যান্ডকে হারিয়ে (৩-১) আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপ ফুটবলে জয়ী হয়।

১৯৮৩ – কপিল দেবের অধিনায়কত্বে ভারতীয় ক্রিকেট দল ৪৩ রানে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে বিশ্বকাপ জয় করে।

১৯৯১ – ক্রোয়েশিয়া ও স্লোভেনিয়া যুগোস্লাভিয়া থেকে বের হয়ে স্বাধীনতা লাভ করে।

১৯৯৩ – তুরস্কে প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী তানুস সিলার জোটের সরকার গঠন।

১৯৯৫ – পুত্র শেখ হামাদ কর্তৃক কাতারের আমির শেখ খলিফা উৎখাত।

১৮৯১ – ভারতীয় সংবাদপত্রের ওপর ব্রিটিশরাজ সেন্সর আরোপ করেন।

১৫২৯ – বঙ্গ বিজয়ের পর মোগল সম্রাট বাবর আগ্রা প্রত্যাবর্তন করেন।

 

এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন যারা—-

২০০৬ – বাসন্তী দুলাল নাগচৌধুরী,ভারতীয় বাঙালি পদার্থবিজ্ঞানী,ভারত সরকারের বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা ও পারমাণবিক পদার্থবিজ্ঞানের অন্যতম পথিকৃৎ।

২০০৯ – মাইকেল জ্যাকসন, মার্কিন সঙ্গীত শিল্পী ও সঙ্গীত ব্যবসায়ী।

২০২০ – নিমাই ভট্টাচার্য, ভারতীয় বাঙালি লেখক ও সাংবাদিক।

১৯১৬ – টমাস এয়াকিনস, মার্কিন বাস্তবতাবাদী চিত্রশিল্পী, চিত্রগ্রাহক, ভাস্কর ও চারুকলা শিক্ষক।

১৯২২ – সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত, বাঙালি কবি ও ছড়াকার।

১৯৩৩ – জগদানন্দ রায়, ঊনবিংশ শতাব্দীর বাঙালি কল্পকাহিনী লেখক।

১৯৩৮ – নিকোলাই ত্রুবেৎস্‌কোয়, রুশ ভাষাবিজ্ঞানী।

১৯৪৪ – নওয়াব বাহাদুর ইয়ার জঙ্গ।

১৯৬০ – সুধীন্দ্রনাথ দত্ত, বাংলা ভাষার অন্যতম প্রধান আধুনিক কবি।

১৯৭৭ – ওলেভ ব্যাডেন পাওয়েল, ব্রিটিশ স্কাউটিং এবং গার্ল গাইডসের প্রতিষ্ঠাতা রবার্ট ব্যাডেন পাওয়েলের সহধর্মিনী।

১৯৮৪ – মিশেল ফুকো, ফরাসি দার্শনিক।

১৯৯৫ – আর্নেস্ট ওয়াল্টন, আইরিশ পদার্থবিজ্ঞানী।

১৮৪২ – সিসমন্দি, সুইস অর্থনীতিবিদ ও লেখক।

 

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

ঘুরে আসুন জম্মু ও কাশ্মীরের এক গুরুত্বপূর্ণ দর্শনীয় স্থান সোনমার্গ।

ঘুরতে কে না ভালোবাসে। বিশেষ করে বাঙালিরা সুযোগ পেলেই বেরিয়ে পড়ে ভ্রমনের নেশায়। কেউ পাহাড়, কেউ সমুদ্র আবার কেউ প্রাচীন ঐতিহাসিক স্থান ভালোবাসে ভ্রমণ করতে। প্রকৃতি কত কিছুই না আমাদের জন্য সাজিয়ে রেখেছে। কতটুকুই বা আমরা দেখেছি। এ বিশাল পৃথিবীতে আমরা অনেক কিছুই দেখিনি। তবে সোশ্যাল মিডিয়ার দুনিয়ায় আজ গোটা পৃথিবীটা হাতের মুঠোয়় এলেও প্রকৃতিকে চাক্ষুষ প্রত্যক্ষ করা এ এক আলাদা রোমাঞ্চ, আলাদা অনুভূতি যার রেষ হৃদয়ের মনিকোঠায় থেকে যায় চিরকাল।। তাইতো আজও মানুষ বেরিয়ে পড়়ে প্রকৃতির কে গায়ে মেখে  রোমাঞ্চিত হওয়ার নেশায়।  আসুন ঘুরে আসি ভারতের ই জম্মু ও কাশ্মীরের এক গুরুত্বপূর্ণ দর্শনীয় স্থান সোনমার্গ  ।

 

সোনমার্গ বা সোনামার্গ যার জন্য দাঁড়ায় সোনার তৃণভূমি জম্মু ও কাশ্মীরের গান্দেরবাল জেলায় অবস্থিত একটি হিল স্টেশন। এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বিস্ময়কর। এখানে, আপনি প্রকৃতির বিস্ময় অন্বেষণ করতে পাবেন। চমত্কার কনিফার গাছগুলি পুরো পর্বতকে উজ্জ্বল করে তোলে। তুষার যা পাহাড়ের সুন্দর বাদামী রঙকে ঢেকে দেয় তা আশ্চর্যজনকভাবে অন্বেষণ, লালন এবং অভিজ্ঞতার জন্য মনোরম দৃশ্য তৈরি করে।

 

শ্রীনগর থেকে ৮২ কিমি উত্তর-পূর্বে অবস্থিত কাশ্মীর এর আর এক স্বর্গ সোনমার্গ। এপ্রিল মে মাসে সোনমার্গ তার রূপের ডালি উজাড় করে দেয় পর্যটকদের কাছে। শ্রীনগর থেকে সোনমার্গ যেতে পথে পড়বে গান্দেরবল, কঙ্গন, গুন্দ প্রভৃতি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পাহাড়ি জনপদ। আর পুরো পথটাই সাথে থাকবে দামাল সিন্ধুনদ। পাইন, ফার, বার্চ আর দূর দুরান্তের পাহাড়শ্রেণীর শোভা দেখতে দেখতে আপনি মোহিত হয়ে পড়বেন। চারপাশে পাহাড় আর সোনালি ঘাসে ঢাকা সোনমার্গ নিয়ে জনশ্রুতি রয়েছে যে এই উপত্যকার কোথাও এক কুপ আছে জার জলে সোনালি রঙ ধরে উপত্যকায়। এই জন্য নাম সোনমার্গ অর্থাত্‍ সোনালী উপত্যকা। সোনমার্গ থেকে পায়ে পায়ে বা ঘোড়ায় চেপে পৌঁছে যাওয়া যায় খাজিয়ার হিমবাহের কোলে। শীতের সময় এখানে বরফ নিয়ে মেতে ওঠে সবাই।

 

সোনমার্গ এর দর্শনীয় স্থানসমূহ–

 

সোনমার্গ অন্যতম কাশ্মীরে দেখার জন্য সেরা জায়গা. সোনমার্গের কাছে আপনি যে পর্যটন স্থানগুলি ঘুরে দেখতে পারেন তার তালিকা এখানে রয়েছে।

১. থাজিওয়াস হিমবাহ

সোনমার্গ যার অর্থ ‘সোনার তৃণভূমি’ অনায়াসে তার আকর্ষণ বহন করে। তুষারে পূর্ণ হওয়ায়, এই হিমবাহটি ভ্রমণের জন্য সবচেয়ে আকর্ষণীয় ভ্রমণ গন্তব্যগুলির মধ্যে একটি জম্মু ও কাশ্মীর. শহর থেকে 3 কিমি দূরে অবস্থিত এবং আনুমানিক 9,186 ফুট উচ্চতায় অবস্থিত, এই স্থানটি তার মনোরম কাশ্মীর উপত্যকা সহ তুষার এর কবজ দেখার জন্য বেশ মনোরম।

২. জোজি-লা-পাস

এই সুন্দর পাসটিই কাশ্মীর উপত্যকাকে একত্রিত করে লাদাখ. জোজি-লা পাস সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় 3,528 মিটার উচ্চতায় অবস্থিত। এই জায়গাটি অভিজ্ঞতার জন্য অবিশ্বাস্য এবং আপনার প্রিয়জনদের সাথে লালন-পালন করে।

৩. বিষনসার লেক

সোনমার্গের একটু বাইরে অবস্থিত, এই হ্রদের ফিরোজা নীল জল রূপালী পাহাড়ের সাথে একটি সবুজ তৃণভূমি দ্বারা বেষ্টিত। এই পর্বতগুলি একটি উত্তেজনাপূর্ণ দূরত্বে অবস্থিত। আপনার প্রিয়জনের সাথে কিছু আশ্চর্যজনক স্মৃতি উপভোগ করার ক্ষেত্রে এটি বেশ দুর্দান্ত জায়গা।

৪. হোয়াইট রিভার রাফটিং

এটা কোনো অ্যাডভেঞ্চার রাইডের চেয়ে কম নয়। এই রাইডটি আপনাকে একটি অ্যাড্রেনালিন রাশ দিতে যথেষ্ট চিত্তাকর্ষক। এবং এই কার্যকলাপ সম্পর্কে অধিকাংশ মানুষ কি পছন্দ করে. আপনি একটি দীর্ঘ র‌্যাফটিং অভিযানে যাওয়ার কথাও বিবেচনা করতে পারেন যা শুরু হয় বালতাল এবং সোনমার্গে অবস্থিত শুটকারি ব্রিজে শেষ হয়।

৫. নীলাগ্রাদ নদী

এটি তার নিরাময় ক্ষমতার জন্য পরিচিত এবং এই কারণেই এটি অত্যন্ত সম্মানিত। প্রতি রবিবার প্রচুর স্থানীয় মানুষ এখানে আসেন শুধু এর পবিত্র জলে স্নান করতে।

৬. কৃষ্ণসার লেক

কৃষ্ণসার হ্রদটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় 3,801 মিটার উচ্চতায় অবস্থিত। এখানকার মনোরম দৃশ্য মুগ্ধ করে। ঘন আলপাইন দ্বারা বেষ্টিত, এই জায়গাটি একটি খুব শীতল এবং মনোরম পরিবেশ রয়েছে। লোকেরা মাছ ধরার জন্য এবং দুঃসাহসিক জলের ক্রিয়াকলাপ উপভোগ করার জন্য প্রায়শই এই জায়গায় আসে।

 

ভ্রমণের উপযুক্ত সময়—

সোনমার্গ ভ্রমনের উপযুক্ত সময় মার্চ – নভেম্বর। এটি সবচেয়ে বেশি আকর্ষণীয় রূপ নেয় এপ্রিল-মে মাসে। তবে যারা স্নোফল দেখতে কাশ্মীর যেতে চান তাদের জন্যে ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি উত্তম। কারন এ সময়টায় কাশ্মীরে সব থেকে বেশী স্নোফল পাবার সম্ভাবনা থাকে। এই সময়ে, সার্বিক তাপমাত্রা দর্শনীয় কার্যকলাপের জন্য বেশ মনোরম।

 

সোনমার্গ কিভাবে যাবেন—-

যদি অফবীট জায়গা গুলো আপনার ভ্রমণ লিস্টে না থাকে তাহলে শ্রীনগর থেকে দিনে দিনে সেরে নিতে পারেন সোনমার্গ ভ্রমণ। তবে পথের শোভা উপভোগ করতে হলে এ পথে নিজস্ব গাড়ি ভাড়া করে আসাই ভালো। মারুতি ওমনি ভাড়া পাওয়া যায়। টাটা সুমোও রয়েছ কারগিলগামী শেয়ার সুমোও যাচ্ছে এ পথে।

 

কোথায় থাকবেন—

সোনমার্গে থাকবার সেরা জায়গা জম্মু কাশ্মীর পর্যটনের ট্যুরিস্ট হাটে, এছাড়া হোটেল রয়্যাল, হোটেল স্নো ল্যান্ড, হোটেল পিকস, রয়েছে।

 

সোনমার্গের ইতিহাস—-

 

ঐতিহাসিক লেন্স থেকে দেখলে, আমরা জানতে পারি যে প্রাচীন কাল থেকেই সোনামার্গ ভারতীয় ইতিহাসের বর্ণনায় একটি বিশিষ্ট ভূমিকা পালন করেছে, কারণ এটি সিল্ক রোডের প্রবেশদ্বার হিসাবে পরিচিত ছিল যা কাশ্মীর ভূমিকে সংযুক্ত করেছিল। গিলগিট হয়ে চীন ও অন্যান্য উপসাগরীয় দেশ।
১৯৪৭ সালে ভারত স্বাধীন হওয়ার সাথে সাথে সোনমার্গ, যা তখন কাশ্মীরের একটি স্থানীয় শহর ছিল জম্মু ও কাশ্মীরের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে ওঠে। আজ, এই জায়গাটি অমরনাথ মন্দির এবং লাদাখ অঞ্চলের মতো কাছাকাছি অবস্থিত পর্যটন এলাকার জন্য বেস ক্যাম্প হিসাবে পরিচিত।

।।তথ্য: সংগৃহীত ইন্টারনেট ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।

 

 

 

Share This
Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

ঘুরে আসুন ভারতের জম্মু ও কাশ্মীরের এক গুরুত্বপূর্ণ দর্শনীয় স্থান ইউসমার্গ।

ঘুরতে কে না ভালোবাসে। বিশেষ করে বাঙালিরা সুযোগ পেলেই বেরিয়ে পড়ে ভ্রমনের নেশায়। কেউ পাহাড়, কেউ সমুদ্র আবার কেউ প্রাচীন ঐতিহাসিক স্থান ভালোবাসে ভ্রমণ করতে। প্রকৃতি কত কিছুই না আমাদের জন্য সাজিয়ে রেখেছে। কতটুকুই বা আমরা দেখেছি। এ বিশাল পৃথিবীতে আমরা অনেক কিছুই দেখিনি। তবে সোশ্যাল মিডিয়ার দুনিয়ায় আজ গোটা পৃথিবীটা হাতের মুঠোয়় এলেও প্রকৃতিকে চাক্ষুষ প্রত্যক্ষ করা এ এক আলাদা রোমাঞ্চ, আলাদা অনুভূতি যার রেষ হৃদয়ের মনিকোঠায় থেকে যায় চিরকাল।। তাইতো আজও মানুষ বেরিয়ে পড়়ে প্রকৃতির কে গায়ে মেখে  রোমাঞ্চিত হওয়ার নেশায়।  আসুন ঘুরে আসি ভারতের ই জম্মু ও কাশ্মীরের এক গুরুত্বপূর্ণ দর্শনীয় স্থান ইউসমার্গ।

 

 

Yusmarg বা Yousmarg (অর্থাৎ ‘যিশুর তৃণভূমি’) হল ভারতের জম্মু ও কাশ্মীরের বুদগাম জেলার পশ্চিম অংশের একটি পাহাড়ি স্থান।  এটি রাজ্যের গ্রীষ্মকালীন রাজধানী শ্রীনগর থেকে ৫৩ কিমি (৩৩ মাই) দক্ষিণে অবস্থিত।  Yousmarg সুন্দর ল্যান্ডস্কেপ, তরুণ পাইন নার্সারি, সবুজ চারণভূমি এবং হৃদয় স্পর্শকারী লটিক এবং লেন্টিক জলাশয়ের জন্য স্থান প্রদান করে।  নীলনাগ, দুধগঙ্গা এবং নতুনভাবে তৈরি করা কৃত্রিম বাঁধ তৃণভূমির সৌন্দর্যকে আরও বাড়িয়ে দেয়।  প্রকৃতি ইউসমার্গকে মনোরম উদ্ভিদ ও প্রাণীজগত দিয়েছে।  ইউসমার্গকে প্রায়শই ট্রেকারদের স্বর্গ হিসাবে উল্লেখ করা হয়। ইউসমার্গে কিছু পরিমিত থাকার বিকল্প রয়েছে তবে কিছু নতুন হোমস্টে এলাকার আশেপাশে এসেছে। নিকটতম গ্রাম নাগবালে অবস্থিত ট্রাইব হোমস্টে এবং ক্যাফে বিশেষ করে তরুণদের মধ্যে জনপ্রিয়তা অর্জন করছে।  জায়গাটি দেহাতি, কাঠের এবং কাশ্মীরি স্থাপত্য ঐতিহ্যকে প্রতিফলিত করে।  প্রাণীজগতের মধ্যে, স্থানীয়রা দাবি করে যে তারা প্রায়শই নেকড়ে, ভাল্লুক, বনমানুষ, বিড়াল, বিভিন্ন ধরণের অ্যাভস (উড়ার পাশাপাশি উড়ন্ত) দেখে।  জলজ প্রাণীর মধ্যে, স্কিজোথোরাক্সিক প্রচুর পরিমাণে ধরা পড়ে।

স্থানীয়রা বিশ্বাস করেন যে যিশু কাশ্মীরে এসেছিলেন এবং কিছু সময়ের জন্য ইয়াসমার্গে থেকেছিলেন। এটি একটি আল্পাইন উপত্যকা যা তুষার পর্বতমালা এবং পাইন দ্বারা আবৃত।

 

 

চতুর্দিকে পাইনের সারি। তাকালেই দেখা যাবে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে রয়েছে পাহাড়। মাঝে মাঝে দেখা যাবে ঘাড় নিচু করে ঘাস খাচ্ছে ঘোড়া। ইট-কাঠ-কংক্রিটের জগৎ থেকে দিনকয়েক অক্সিজেনের খোঁজে পাড়ি জমাতেই পারেন ইয়ুসমার্গে। সবুজের সন্ধানে ঘোড়ার পিঠে সওয়ার হয়ে পাইনের জঙ্গলে বেশ কিছুটা সময় কাটাতেই পারেন। ক্লান্তি মেটাতে জঙ্গলের শেষে পাহাড়ের কোলে নীলনাগ লেকে সেরে নিতে পারেন স্নান।

 

 

শোনা যায়, সুলতানি শাসনকালে, কাশ্মীরের সুলতান ইউসুফ শাহের খুব পছন্দের অবসরযাপনের জায়গা ছিল এটি। ফার, পাইনে ঘেরা গোটা উপত্যকাটিই মখমলি সবুজ ঘাসে আবৃত। দুধগঙ্গা নদী (জলের রং দুধসাদা, তাই নদীর নামও হয়েছে দুধগঙ্গা) অপরূপ নৃত্যবিভঙ্গে বয়ে যাচ্ছে উপত্যকার বুক চিরে। ঢেউ খেলানো নয়নাভিরাম সবুজ উপত্যকায় মনের সুখে চরে বেড়াচ্ছে নধরকান্তি ভেড়ার পাল। আর চারপাশের ফার, পাইনের ঠাসবুনোটের মধ্যেও নজর টানল রংবেরঙের সুদৃশ্য কিছু কটেজ। ইচ্ছে করলে অপার শান্তির বাতাবরণে অবস্থিত এই সুন্দর উপত্যকায় কয়েকটি দিন কাটাতেও পারেন পর্যটকেরা। হাতে যথেষ্ট সময় থাকলে তখন ঘোড়ায় চেপে কিংবা পায়ে হেঁটে ঘুরেও আসতে পারবেন কাছাকাছি দ্রষ্টব্য স্থানগুলি। নীলনাগ লেক, দুধগঙ্গা (সঙ্গসফেদ তুষারশৃঙ্গ থেকে সৃষ্ট হয়েছে এই নদী) ভিউ পয়েন্ট, ‘হে জন’ দরগা ইত্যাদি জায়গাগুলি ঘুরে নেওয়া যায়। পরিষ্কার আবহাওয়ায় ইউসমার্গ থেকেই দিব্যি দেখা যায় মাউন্ট টাট্টাকোটি, মাউন্ট রোমেস হং , সানসেট পিক প্রভৃতি তুষারশৃঙ্গ।

 

ভূগোল—

 

কাশ্মীরি ভাষায় ইউসমার্গ অনুবাদ করে দ্য মেডো অফ জিসাস।  এটা যীশু দ্বারা পরিদর্শন করা হয়েছে বলা হয়.  এটি একটি আলপাইন উপত্যকা যা তুষার আচ্ছাদিত পর্বত এবং পাইন ও ফারের তৃণভূমিতে আচ্ছাদিত।  এটি জম্মু ও কাশ্মীরের বুদগাম জেলার একটি শহর চারারি শরীফ থেকে ১৮ কিমি (১১ মাইল) দক্ষিণে অবস্থিত।  এটি দুদগঙ্গা নদীর তীরে অবস্থিত যা জেহলাম নদীর একটি উপনদী।  এটি পীর পাঞ্জাল শৃঙ্গে অবস্থিত, হিমালয়ের একটি সাব রেঞ্জ।  চূড়াগুলি হল: সূর্যাস্ত শিখর এবং তাতাকুটি চূড়া যেগুলির জন্য অভিযানগুলি এই পাহাড়ি স্টেশন থেকে পরিচালিত হয়।  এটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ২৩৯৬ মি (৭৮৬১ ফুট) উচ্চতায় অবস্থিত।

 

৪ কিমি ট্র্যাক নীলনাগ নামক একটি ছোট হ্রদের দিকে নিয়ে যায়, যা তার নীল জলের জন্য বিখ্যাত।  ১০ কিমি ট্র্যাক সাং-ই-সফেদ উপত্যকার হিমায়িত লেকের দিকে নিয়ে যায়, যেটি বেশিরভাগ গ্রীষ্মকালেও বরফে ঢাকা থাকে।  অন্যান্য পর্যটন কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে ঘোড়ায় চড়া, মাছ ধরা, শীতকালে স্কিইং এবং ফটোগ্রাফি।

 

 

শ্রীনগর থেকে ইয়ুসমার্গ যাওয়ার রাস্তায় পড়বে চারার-ই-শরিফ। সামনের দিগন্ত চেরা সবুজ গালিচা আর শান্ত পরিবেশ মনকে ভরিয়ে দেবে। এখানে পর্যটকদের আনাগোনা একটু কম বলে পরিবেশ আরও শান্ত।

 

 

ইউসমার্গ যাওয়ার উপায়—

জম্মু ও কাশ্মীরের রাজধানী, ৪৭ কিমি দূরে শ্রীনগর বা শ্রীনগর বিমানবন্দর (SXR) থেকে ইউসমার্গ সহজেই অ্যাক্সেস করা যায়।  গাড়ি বা বাসে ২ ঘন্টার কম সময়ে ছরারী শরীফ শহর হয়ে যায়। শ্রীনগর থেকে গাড়ি রির্জাভ করলে ভাড়া পড়বে ২০০০-৪০০০ রূপী। শেয়ারে যেতে চাইলে প্রথমে চারার-ই-শরিফ পর্যন্ত যেতে হবে। তারপর সেখান থেকে ইউসমার্গ যেতে হবে।

 

কোথায় থাকবেন—-

ইউসমার্গ থেকে শ্রীনগরের দূরত্ব কম হওয়ায় তেমন কেউ রাত্রিবাস করে না কিন্তু একদিন থাকলে তা সারাজীবন মনের মনিকঠায় গেঁথে যাবে।” তাই আর দেরী কেন। সময় সুযোগ করে বেরিয়ে পরুন এক অনাবিল অনন্দের সাক্ষী হতে।

 

।। তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

 

 

Share This
Categories
রিভিউ

আজ ২৪ জুন, ইতিহাসের আজকের এই দিনে যা ঘটেছিল।

আজ ২৪ জুন। ইতিহাস ঘেটে দেখা যায় বছরের প্রতিটি দিনে ঘটেছে অনেক উল্লেখযোগ্য ঘটনা। আসুন আজকের দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য কিছু বিষয় একনজরে দেখে নিই।  ইতিহাসের আজকের এই দিনে কী কী ঘটেছিল, কে কে জন্ম নিয়েছিলেন ও মৃত্যুবরণ করেছিলেন——-

 

আজ যাদের জন্মদিন—-

১৯০০ – উইলহেম কাউয়ার, জার্মান গণিতবিদ ও বিজ্ঞানী ছিলেন।

১৯০৮ – গুরু গোপীনাথ, সঙ্গীত-নাটক আকাদেমি পুরস্কারপ্রাপ্ত বিশিষ্ট কথাকলি নৃত্যশিল্পী ও অভিনেতা।

১৯১৫ – ফ্রেড হয়েল, ইংরেজ জ্যোতির্বিদ ও গণিতবিদ।

১৯২৭ – মার্টিন লুইস পার্ল, মার্কিন পদার্থবিজ্ঞানী।

১৯৪১ – গ্রাহাম ম্যাকেঞ্জি, অস্ট্রেলীয় সাবেক ক্রিকেটার।

১৯৪২ – এদুয়ার্দো ফ্রেই রুইস-তাগ্‌লে, চিলির রাষ্ট্রপতি।

১৯৪২ – বশিরুল হক, বাংলাদেশী স্থপতি।

১৯৪৩ – অনিতা দেসাই(মজুমদার), ভারতীয় ঔপন্যাসিক ও এম.আই.টি.র অধ্যাপক।

১৯৫০ – আবিদ আনোয়ার, বাংলাদেশী কবি, প্রাবন্ধিক, গল্পকার, গীতিকার, ও মুক্তিযোদ্ধা।

১৯৫৩ – উইলিয়াম এসকো মোয়ের্নার, মার্কিন ভৌত রসায়নবিজ্ঞানী, নোবেল পুরস্কার বিজয়ী।

১৯৬১ – ইয়ান গ্লেন, স্কটিশ অভিনেতা।

১৯৬৭ – র‌্যানমোর মার্টিনেজ, শ্রীলঙ্কান প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটার।

১৯৭৬ – ইংলিশ লেখক লুইস লিমেন।

১৯৮৪ – জোয়ানা ওয়েলিন, সুইডেনে জন্মগ্রহণকারী জার্মান হুইলচেয়ার বাস্কেটবল খেলোয়াড়।

১৯৮৫ – ভার্নন ফিল্যান্ডার, দক্ষিণ আফ্রিকান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার।

১৯৮৬ – স্টুয়ার্ট ব্রড, ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার।

১৯৮৭ – লিওনেল মেসি, আর্জেন্টিনীয় ফুটবলার৷

১৯৮৮ – মিকা রিচার্ডস, ইংলিশ ফুটবলার।

১৮১৯ – রাজেন্দ্র মল্লিক, শিল্পপ্রেমী লোকহিতৈষী, কলকাতার মার্বেল প্যালেস প্রতিষ্ঠাতা।

১৮৬৯ – ব্রিটিশ বিরোধী মুক্তিযোদ্ধা শহীদ দামোদর হরি চাপেকার।

১৮৭৬ – খান বাহাদুর আবদুল মোমেন, বেঙ্গল সিভিল সার্ভিসের সদস্য, সার্ভে এন্ড সেটেলমেন্ট অপারেশনের অফিসার।

১৮৮৩ – ভিক্টর ফ্রান্সিস হেস, অস্ট্রীয়-মার্কিন পদার্থবিজ্ঞানী, নোবেল পুরস্কার বিজয়ী।

১৮৯৭ – পণ্ডিত ওমকারনাথ ঠাকুর, ভারতীয় সংগীত শিক্ষক, সঙ্গীতজ্ঞ ও গোয়ালিয়র ঘরানার হিন্দুস্থানী শাস্ত্রীয় সঙ্গীতশিল্পী।

১৫৯১ – প্রথম মুস্তাফা, অটোম্যান সাম্রাজ্যের সুলতান ছিলেন।

 

ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনের ঘটনাবলী—-

২০০২ – আফ্রিকার ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়ংকর রেল দুর্ঘটনা ঘটে তাঞ্জানিয়ায়। ২৮১ জন মারা যায়।

২০১০ – জুলিয়া গিলার্ড অস্ট্রেলিয়ার প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন।

১৯১৮ – কানাডায় প্রথম এয়ার মেইল সার্ভিস শুরু হয়- মনট্রিল থেকে টরন্টো।

১৯৪৫ – দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে বিজয় উপলক্ষে সোভিয়েত ইউনিয়নে বিজয় উৎসব হয়।

১৯৪৮ – সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন কর্তৃক বার্লিন অবরোধ শুরু হয়।

১৯৭৫ – মোজাম্বিকের স্বাধীনতা লাভ।

১৯৭৬ – উত্তর ও দক্ষিণ ভিয়েতনাম পুনরেকত্রীকরণ হয়।

১৯৭৮ – ইয়েমেনে এক কূটনীতিকের ব্রিফকেসে পাতা বোমা বিস্ফোরণে প্রেসিডেন্ট আহমদ হুসেইন ঘাশামি নিহত।

১৯৮৮ – ইরাকের আগ্রাসী বাহিনীর জঙ্গীবিমান মাজনুন দ্বীপে মোতায়েন ইরানি সেনাদের ওপর রাসায়নিক বোমা বর্ষণ করে।

১৯৯২ – ইসরাইলে নির্বাচনে লেবার পার্টির কাছে কট্টরপন্থি লিকুদ পার্টি পরাজিত।

১৯৯৪ – যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া যৌথ মহাশূন্য স্টেশন স্থাপন সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষর করে।

১৮১২ – ফ্রান্সের সম্রাট নেপোলিয়ন বোনাপার্ট ৩ লাখ ৫০ হাজার সৈন্য’র এক বিশাল বাহিনী নিয়ে যার শাসিত রাশিয়ায় হামলা করেন।

১৮৫৯ – সোলফেরিনোর যুদ্ধে ফরাসিরা অস্ট্রিয়দের পরাজিত করে।

১৮৭০ – অস্ট্রেলীয় কবি অ্যাডাম গর্ডন আত্মহত্যা করে।

১৮৯৪ – লিওনে ইতালীয় দুষ্কৃতকারী কর্তৃক ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট সাদি কারনট খুন।

১৭৬৩ – ব্রিটিশ সৈন্যরা মুর্শিদাবাদ দখল করে মীর জাফরকে বাংলার নবাব নিযুক্ত করে।

১৭৯৩ – ফ্রান্সে প্রথম গণতান্ত্রিক সংবিধান গৃহীত হয়।

৬৫৬ – খলিফা হযরত ওসমান (রা.)’র হত্যাকাণ্ডের পর হযরত আলী (রা.) চতুর্থ খলিফা নির্বাচিত।

২০৭ – রোমান্সরা গাইস ফ্লামিনিয়াস পরিচালনায় ওত পেতে থাকে এবং পরাজিত হয় হানিবাল কর্তৃক লেইক ত্রিসিমিনি যুদ্ধে।

 

এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন যারা—-

১৯৮৭ – (ক) জ্যাকি গ্লিসন, মার্কিন কৌতুকাভিনেতা, অভিনেতা, লেখক, সুরকার ও সঙ্গীত নির্দেশক।

(খ) – হাইঞ্জ জনসন, ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটার।

২০০৮ – লিওনিদ হারউইচ, পোলীয়-মার্কিন অর্থনীতিবিদ।

১৯০৭ – আইরিশ পদার্থবিদ লর্ড উইলিয়াম টমসন কেলভি।

১৯০৮ – গ্রোভার ক্লিভল্যান্ড, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ২২তম এবং ২৪তম রাষ্ট্রপতি।

১৯৭৮ – ফ্রান্সের লেখক রবার্ট চারাস।

১৯৮০ -ভারতরত্ন বরাহগিরি ভেঙ্কট গিরি,ভারতের চতুর্থ রাষ্ট্রপতি।

১৯৮১ – আব্দুল মতিন চৌধুরী, বাংলাদেশী শিক্ষাবিদ, পদার্থবিদ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য।

১৯৮৫ – চারুচন্দ্র ভাণ্ডারী, প্রবীণ গান্ধীবাদী ও সর্বোদয় নেতা।

১৯৮৬ – ইংরেজ ঔপন্যাসিক ও ঐতিহাসিক রেক্স ওয়ার্নার।

 

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This
Categories
অনুগল্প কবিতা নারী কথা

যেতে হবে পরের ঘরে : রাণু সরকার।

প্রথম পর্ব

আমার এক পিসি বনগাঁ থাকে একটু ভেতরের দিকে গ্রামে। আমি সেখানে বছরে দু’একবার যাই। ঘুমিয়ে ছিলাম খুব ভোরে হঠাৎ কানে এলো উলুর ধ্বনি,আমি মনে মনে ভাবলাম-
এইরে- এবার না জানি কোন মেয়ের সর্বনাশ হতে চলেছে। আমার মনে আসার অনেক কারণ আছে।
আমার দেখা এরকম অনেক ঘটনা এখানে ঘটেছে।
এখানে আমার এক বন্ধবী সেও কত কষ্টে আছে। আমার বাড়ি কলকাতা আশে পাশেও দেখছি তাই খারাপ ভাবনা মনে আসাটাই স্বাভাবিক।

কোনো মেয়ের বিয়ের কথা শুনলে কিম্বা দেখলে
আমার ভীষণ ভয় লাগে কষ্টের পাশে রাগও থাকে।
আমি চলে গেলাম মেয়েটির বাড়ি আমার পিসির বাড়ির থেকে দশ পা- মেটিকে জিজ্ঞাসা করলাম-
এই মেয়ে, তোর নামটা কি যেন ভুলে গেছি সেই ছোটবেলায় তোকে এই ইছামতি নদীতে স্নান করতে দেখতাম আমি এখানে আসলেই।
গালে হলুদ মাখানো আজ তোর বিয়ে বুঝি?
মেয়েটি উত্তর দিলো তুমি এসব দেখে বুঝতে পারছো না, এটাও কি দিতে হবে বলে?

রাগ করে কথা বলছিস যে-জোর করে দিচ্ছে নাকি বিয়ে?
একটু বড় হলে বাপের ঘরে থাকতে নেই- এটাও কি বুঝিয়ে দিতে হবে?
তোর বাপ মা তোকে ছেড়ে থাকতে পারবে? তুই তো তাদের একটিই মেয়ে।
বাপ-মা যদি মায়া কাটিয়ে থাকতে পারে-
আমারও পারতে হবে।

আমি বোঝালাম-
শোন মেয়ে, বাবের ঘর ছেড়ে শ্বশুর ঘরে যেতে হয় সব মেয়েদের পাগলামী করিস না মেয়েদের যদি বিয়ে না হতো তাহলে কি করে ফুল ফুটতো ও ফল পেতো?

কষ্টের হাসি হেসে সে বললো- মেয়েদের বেলায় নিয়ম-নিষেধ যত- তাই না, তুমি বলো?
ধুর পাগলি, কাঁদিস কেন-বাপের ঘরের মায়া ত্যাগ করতে কষ্ট হচ্ছে বুঝেছি?
ত্যাগ না করলে শ্বশুর ঘর চিনবি কি করে
সেই জন্য সব মেয়েকে যেতে হয় শ্বশুরবাড়িতে
মেয়েটির বিয়ে হয়ে গেলো।

____________________________

যেতে হবে পরের ঘরে
(দ্বিতীয় পর্ব)

কয়েক মাস পর আবার গিয়েছিলাম সেই পিসির বাড়ি,
গভীর রাতে কানে এলো চিৎকার ও কান্নার শব্দ।
মনে খুব কষ্ট হচ্ছিল-
কী জানি কার আবার কী হলো।

শুয়ে ভাবছি কখন ভোর হবে-
দেখতে যাবো কার কী হলো।

ভোর হতেই তাড়াতাড়ি উঠে
হাঁটা দিলাম সেই বাড়ির দিকে
গিয়ে দেখি, সেই বাড়ি সেই মেয়ে
ঘরে ঢুকে দেখি, মেয়েটি চুপ করে শুয়ে আছে।
আমি জিজ্ঞেস করলাম-
এই মেয়ে কী হলো রে তোর,
মরতে গেলি কেন?

কাঁদো কাঁদো স্বরে বললো,
মরতে গিয়েছিলাম, পারলাম কই মরতে,
খেতে গিয়েছিলাম ইঁদুর মারা বিষ
যমের কাছেও আমি অরুচি।

তবে এসব নাটক করলি কেনো-
মরতে তো পারলিই না,
গ্রামের লোকের সুযোগ করেদিলি কানা-কানি, হাসা-হাসি করতে।
তোর মা-বাপের কি হুশ এলো?
তখনই বোঝা উচিত ছিলো যে- আমার কালো মেয়ে।

তখন বলেছিলি বিয়ে করবিনা-
জোর করে ঠেলে দিলো তাদের হাতে। পণ যা চেয়েছিলো ছেলের বাড়ি থেকে তা দিতে পারলো না তোর বাবা। কালো মেয়ের দিলো বিয়ে।
তখন তোর মানা শোনেনি।

কয়েক মাস আগে তোর বিয়ের দিন আমি এসেছিলাম। দেখ কি ভাগ্য আমার এবারো আমি এসেছি।
কিছু বলবো ভেবেছিলাম সেদিন পারিনি বলতে,
আমি জানতাম এরকম কিছু একটা ঘটবে-
ঠিক ঘটলো। যেহেতু তুই কালো আবার পণ দিলো কম।

তুই পালিয়ে গেলিনা কেনো?
কাজ করে নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারতিস,
বাপের ঘরে যখন এলি তখন মরতে গেলি কেনো?
তুই তো পড়াশুনা জানিস,রাগে তোকে অনেক কথা বলেছি রাগ করিস না। তোকে দেখে আমার রাগ ও কষ্ট হচ্ছে ।

জানিস মেয়ে,
এ পৃথিবীতে ভালবাসা দিয়ে যাবি আর ঝিয়ের মতো,
খাটবি, সংসারের মানুষের কাছে থেকে মন্দ কথা শুনবি তাও মুখ বুজে-
কিন্তু কোনো উত্তর করা যাবে না।
তাহলে তুই ভালো থাকলেও থাকতে পারিস।

কোনো নিশ্চয়তা নেই, এটাই নিয়ম-
এবার তুই ভেবে দেখ কী করবি, আমাকে জানাস।

আমি আসি রে মেয়ে,
এরকম আর করিস না,
বেঁচে থেকে লড়াই কর-
মরে জিতিয়ে দিস না ওদের।

Share This