Categories
রিভিউ

আজ ৪ জুলাই, ইতিহাসের আজকের এই দিনে যা ঘটেছিল।

আজ ৪ জুলাই। ইতিহাস ঘেটে দেখা যায় বছরের প্রতিটি দিনে ঘটেছে অনেক উল্লেখযোগ্য ঘটনা। আসুন আজকের দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য কিছু বিষয় একনজরে দেখে নিই।  ইতিহাসের আজকের এই দিনে কী কী ঘটেছিল, কে কে জন্ম নিয়েছিলেন ও মৃত্যুবরণ করেছিলেন——-

 

দিবস—–

 

(ক)  মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এর স্বাধীনতা দিবস।

 

আজ যাদের জন্মদিন—-

১৯১০ – অভিনেত্রী গ্লোরিয়া স্টুয়ার্ট।

১৯১৮ – অ্যালেক বেডসার, ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের মিডিয়াম পেস বোলার।

১৯২৬ – আলফ্রেদো দি স্তেফানো, আর্জেন্টিনীয় ফুটবলার।

১৯৪৬ – রোনাল্ড লরেন্স কোভিক (রন কভিচ), আমেরিকান যুদ্ধবিরোধী কর্মী, লেখক এবং মার্কিন মেরিন সেনা।

১৮০৭ – জুসেপ্পে গারিবালদি, আধুনিক ইতালির স্রষ্টা ও এক মহান বিপ্লবী।(মৃ.১৮৮২)

১৮৩১- পণ্ডিত রামগতি ন্যায়রত্ন, বাঙ্গলা ভাষা ও বাঙ্গলা সাহিত্যের প্রথম ইতিহাস সহ বহু মূল্যবান গ্রন্থের প্রণেতা বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ সমাজসংস্কারক। (মৃ.১৮৯৪)

১৮৭২ – ক্যালভিন কুলিজ্‌, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৩০তম রাষ্ট্রপতি।

১০৯৫ – উসামা ইবনে মুনকিজ, একজন সিরীয় মুসলিম কবি, লেখক, ফারিস ও কূটনৈতিক।

 

ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনের ঘটনাবলী—-

২০০১ – মাওয়ায় পদ্মা সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

২০১১ – থাইল্যান্ডের ইতিহাসে ২৬তম ৫০০ আসনের সাধারণ নির্বাচনের চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করা হয়।

১৯০৪ – পানামা খালের খনন কাজ শুরু।

১৯২০ – সিলেটে সিলেট জেলা খেলাফত কমিটি গঠিত হয় এবং হাওয়া পাড়ায় মৌলবী আবদুল্লাহ বিএল-এর বাসভবনে এর অস্থায়ী অফিসও প্রতিষ্ঠিত হয়।

১৯২৯ – বঙ্গীয় আইন পরিষদের ২৫ জন মুসলিম সদস্য কলকাতায় একটি সম্মেলনে মিলিত হয়েছিলেন।

১৯৩৫ – লন্ডনের কিংসওয়ে শহরের দক্ষিণে অ্যাল্ডউইচ (Aldwitch) এবং দি স্ট্র্যান্ট (The Strant) স্ট্রিটের মাঝামাঝি স্থানের ওয়েস্ট মিনিস্টারে অবস্থিত বিবিসি’র সদর দফতর “বুশ হাউস” ভবনটি প্রায় ১৩ বছরের নির্মাণকাল শেষে লর্ড ব্যালফারের নেতৃত্বে উন্মোচন করা হয়।

১৯৪১ – নাৎসি জার্মান বাহিনী পোলিশ বিজ্ঞানী ও লেখকদের হত্যা করে।

১৯৪২ – ফিলিপাইন স্বাধীনতা ঘোষণা করে।

১৯৪৩ – (ক) কুর্স্কের যুদ্ধ শুরু হয়।

(খ) সিঙ্গাপুরের ক্যাথে সিনেমা হলে সুভাষচন্দ্র বসু রাসবিহারী বসুর কাছ থেকে ভারতীয় স্বাধীনতা লীগ ও আজাদ হিন্দ ফৌজের নেতৃত্ব গ্রহণ করেন।

১৯৪৪ – সুভাষচন্দ্র বসুর বর্মাতে স্মরণীয় আহ্বান তোমরা আমাকে রক্ত দাও,আমি তোমাদের স্বাধীনতা দেব।

১৯৪৬ – যুক্তরাষ্ট্র ফিলিপাইনের স্বাধীনতা ফিরিয়ে দিতে বাধ্য হয়।

১৯৪৭ – ইন্ডিয়া ইন্ডিপেন্ডেন্স এ্যাক্ট খসড়া আকারে ব্রিটিশ কমন্স সভায় উত্থাপিত হয়।

১৯৫১ – চেকোস্লাভাকিয়ার আদালত আমেরিকান সাংবাদিক উইলিয়াম এন ওয়াতিসকে ১০ বছরের সাজা দেন।

১৯৭২ – দুই কোরিয়া পুনরায় একত্রী করণের লক্ষ্যে প্রথমবারের মত সরকারি ভাবে যৌথ ঘোষণা দেওয়া হয়।

১৯৭৮ – ল্যাটিন আমেরিকান ৮টি দেশের আমাজান নদীসংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষর।

১৯৮২ – ইরানের চারজন কূটনীতিককে লেবাননের মিলিশিয়ারা অপহরণ করেছিল।

১৯৮৭ – প্রথম পাকিস্তানি ক্রিকেটার হিসেবে টেস্ট ক্রিকেটে ৩০০ উইকেট নেয়ার কৃত্বিত অর্জন করেন কিংবদন্তি অলরাউন্ডার ইমরান খান।

১৯৮৭ – চীনের তেং সিয়াও পিং বাংলাদেশের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট এরশাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার সময় দুটি মৌলিক তত্ত্ব উত্থাপন করেন ।

১৮০২ – মার্কিন ওয়েস্ট পয়েন্ট সামরিক ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠিত হয়।

১৮১৭ – স্কুল পর্যায়ের পাঠ্যপুস্তক রচনার জন্য কলকাতায় ক্যালকাটা স্কুল-বুক সোসাইটি গঠিত হয়।

১৮২৭ – নিউ ইয়র্ক রাজ্যে দাসত্বপ্রথার বিলুপ্তি।

১৮২৮ – উইলিয়াম বেন্টিঙ্ক বাংলার গবর্নর জেনারেল পদে নিযুক্ত হন।

১৮২৯ – লন্ডনে প্রথম বাস চলাচল শুরু।

১৮৪৮ – কার্ল মার্কস ও ফ্রেডারিখ এঙ্গেলস কমিউনিস্ট পার্টির ইশতেহার প্রকাশ করেন।

১৮৫৬ – মৌলভী আহমাদ উল্লাহ ও লাখনৌর বেগম হযরত মহলের নেতৃত্বাধীন যুদ্ধে ইংরেজদের পরাজয়।

১৮৮১ – ভারতের শিলিগুড়ি ও দার্জিলিং-এর মধ্যে প্রথম টয়ট্রেন চলাচল শুরু হয়।

১৮৮৬ – ফ্রান্সের জনগণ যুক্তরাষ্ট্রের জনগণকে স্ট্যাচু অফ লিবার্টি উপহার দেয়।

১৭০০ – তুরস্ক-রাশিয়া যুদ্ধ বিরতি।

১৭৭৪ – “unanimous Declaration of the thirteen united States of America” নামে এই ঘোষণাপত্রটি “Representatives of the united States of America” কর্তৃক গৃহীত হয়।

১৭৭৬ – মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র স্বাধীনতা লাভ করে।

১৭৭৬ – জর্জ ওয়াশিংটন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাতির পিতা বলে স্বীকৃতি পান।

১১৮৭ – (ক)  ক্রুসেডের হাত্তিনের যুদ্ধ এ জেরুসালেমের রাজা গাই অব লুসিগনানকে সালাদিন পরাজিত করেন।

(খ) – সুলতান সালাহ উদ্দীন আইয়ুবীর বায়তুল মোকাদ্দাস অধিকার।

 

 

এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন যারা—-

২০২১ – ‘সালাম সালাম হাজার সালাম’ খ্যাত গীতিকার ও বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজল-এ-খোদা।

২০২২ – তরুণ মজুমদার, ভারতীয় বাঙালি চিত্রপরিচালক।

১৯০১ – ইয়োহানেস শ্মি‌ট‌, জার্মান ভাষাবিজ্ঞানী।

১৯০২ – স্বামী বিবেকানন্দ, “আধুনিক ভারতের স্রষ্টা”, লেখক এবং সন্ন্যাসী পরিব্রাজক।

১৯০৭ – ‘হিতবাদী’ সম্পাদক কালীপ্রসন্ন কাব্যবিশারদ।

১৯২৭ – ক্ষীরোদপ্রসাদ বিদ্যাবিনোদ, বাংলার নবজাগরণের সময়কালে প্রখ্যাত নাট্যকার।

১৯৩৪ – মারি ক্যুরি, নোবেল পুরস্কার বিজয়ী পদার্থবিজ্ঞানী ও রসায়নবিদ।

১৯৩৪ – হিব্রু কবি হাইইম বিয়ালিক।

১৯৪৫ – আশরাফ আলী থানভী,বিংশ শতাব্দীর মুজাদ্দিদ

১৯৬৩ -পিঙ্গালি ভেঙ্কাইয়া, স্বাধীনতা সংগ্রামী এবং ভারতের জাতীয় পতাকার নকশাকার।

১৯৭১ – জো কক্স, দক্ষিণ আফ্রিকার টেস্ট ক্রিকেটার।

১৯৭৪ – জেরুসালেমের গ্র্যান্ড মুফতি আমিন আল হুসাইন।

১৮২৬ – জন এডাম্‌স, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিতীয় রাষ্ট্রপতি।

১৮২৬ – টমাস জেফারসন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তৃতীয় রাষ্ট্রপতি।

১৮৩১ – জেমস মন্‌রো, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পঞ্চম রাষ্ট্রপতি।

১৮৪৮ – ফরাসি কবি ও লেখক ফ্রান্সোয়া শাতুব্রায়ান।

৯৮৭ – জুমা’র নামাজের প্রচলিত খুতবা প্রণেতা ইবনে নাবাতা আল খাতীব।

 

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

ঘুরে আসুন দার্জিলিং এর এক সুন্দর দর্শনীয় স্থান তাবাকোশি।

 

ভ্রমণ পিপাসু বাঙালি। আর ঘুররতে কে না ভালোবাসে। তবে বিশেষ করে বাঙালিরা সুযোগ পেলেই বেরিয়ে পড়ে ভ্রমনের নেশায়। কেউ পাহাড়, কেউ সমুদ্র আবার কেউ প্রাচীন ঐতিহাসিক স্থান ভালোবাসে ভ্রমণ করতে। প্রকৃতি কত কিছুই না আমাদের জন্য সাজিয়ে রেখেছে। কতটুকুই বা আমরা দেখেছি। এ বিশাল পৃথিবীতে আমরা অনেক কিছুই দেখিনি। তবে সোশ্যাল মিডিয়ার দুনিয়ায় আজ গোটা পৃথিবীটা হাতের মুঠোয়় এলেও প্রকৃতিকে চাক্ষুষ প্রত্যক্ষ করা এ এক আলাদা রোমাঞ্চ, আলাদা অনুভূতি যার রেষ হৃদয়ের মনিকোঠায় থেকে যায় চিরকাল।। তাইতো আজও মানুষ বেরিয়ে পড়়ে প্রকৃতির কে গায়ে মেখে  রোমাঞ্চিত হওয়ার নেশায়।  আসুন ঘুরে আসি ভারতের ই  দার্জিলিং এর এক সুন্দর দর্শনীয় স্থান তাবাকোশি।

তাবাকোশি মিরিক এর কাছে রংভাং নদীর ধারে ছোট্টো একটি পাহাড়ি গ্রাম যার উচ্চতা প্রায় ৩০০০ ফুট l কমলালেবু গাছ আর চা বাগানে ঘেরা একটা মিষ্টি পাহাড়ি জনপদl নামটা শুনতে কিছুটা জাপানি মনে হলেও আদতে এটি ভারতের উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং জেলায় অবস্থিত একটি ছোট্ট গ্রাম। তাবাকোশী, যা এক কথায় প্রকৃতিপ্রেমীর কাছে স্বর্গরাজ্য। মিরিক থেকে খুব কাছে এই জনপদ হই হট্টগোল কাটিয়ে শুধু সিনিক বিউটির জন্য সেরা ডেস্টিনেশন।

 

প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের টানেই বার বার পর্যটকরা ফিরে আসেন এই পাহাড়ি গ্রামে। উত্তরঙ্গের জনপ্রিয় গোপালধারা চা বাগানের লাগোয়া জায়গা জুড়েই অবস্থিত এই পাহাড়ি অঞ্চলটি। মিরিকের নীচে চায়ের বাগানে ঘেরা ছোট্ট সাজানো গ্রাম এই তাবাকোশি। উত্তরকন্যার কোলে লুকিয়ে থাকা যে সব পাহাড়ি গ্রামগুলোতে এখন পর্যটনদের আনাগোনা বাড়ছে, তাদের মধ্যেই অন্যতম এই তাবাকোশি। সামনে দিয়ে বয়ে গেছে ছোট পাহাড়ি নদী। রাম্মামখোলা নদীর ঢালে অপরূপ প্রাকৃতিক শোভা একে অপরূপা করে তুলেছে। মিরিক থেকে মাত্র আট কিমি, গোপালধারা টি এসেস্টের কাছেই এর অবস্থান। রংভাঙ মোড় থেকে ছয় কিমি নিচে রংভাঙ নদীর পাশেই ছবির মতো সুন্দর তাবাকোশি। মিরিক থেকে দার্জিলিং রোড ধরে আরও খানিকটা এগিয়ে থুরবো চা বাগানের বুক চিরে গাড়ি নিয়ে চলে যেতে হবে রাঙ্গভং নদীর ধারে। গ্রামটি শহরের কোলাহল থেকে দূরে পরিবারের সাথে বা একাকি সময় কাটানোর জন্য একটি আদর্শ স্থান হয়ে উঠতে পারে আপনাদের কাছে , পাহাড়ের কোলে বসে নদির জলের আওয়াজ ও সাথে পাখিদের কুঞ্জন শুনতে শুনতে সামনের পাহাড়ের ঢালে সবুজে ঘেরা চা বাগানের মধ্যে হারিয়ে যেতে মন করবে এই তাবাকোশীতে ।

 

নামকরণ এর ইতিহাস–

‘তাম্বা’ যার অর্থ তামা আর ‘কোশি’ মানে নদী। রাংভাং নদীর উপর ঘন জঙ্গলকে দেখে মনে হয় যেন নদীর ওপর তামার দেশ, এখান থেকে গ্রাম নাম ‘তাবাকোশি’। বিস্তারিত ভাবে তাবাকোশি গ্রামের নামকরণের পিছনে একটা ইতিহাস রয়েছে। অনেক অনেক আগে এই জায়গাটির নাম ছিল গোপালখাড়া, অনেকে আবার গোপালধারাও বলে থাকেন। ঠিক একই নামের একটি চা বাগান রয়েছে এই অঞ্চলে। চা বাগানের মধ্য দিয়ে বয়ে গেছে ক্ষীণস্রোতা পাহাড়ি নদী রংভাং খোলা যার নেপালি নাম তাম্বাকোশি। বর্ষাকালে আগে যখন প্রচুর বৃষ্টি হত, শোনা যায় সেই সময় নাকি এই নদীর জল-কাদা সব একত্রে গুলে গিয়ে তামাটে রঙ ধারণ করে। সেই থেকেই সম্ভবত এই নদীর নাম হয়েছে তাম্বা। নেপালি ভাষায় ‘কোশি’ বলতে নদীকে বোঝায়। এই লোকশ্রুতি থেকেই সম্ভবত এই জায়গার নাম হয়েছে তাবাকোশি। তাই এই ব্যস্ততার সময় জীবনে আনন্দ পেতে অনায়াসেই কিছু দিন এখানে কাটিয়ে দিতে পরেন গোটা পরিবার নিয়ে।

 

 

তাবাকোশিতে কি দেখবেন—

মূলত প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের টানেই বার বার পর্যটকরা ফিরে আসেন এই পাহাড়ি গ্রামে। উত্তরঙ্গের জনপ্রিয় গোপালধারা চা বাগানের লাগোয়া জায়গা জুড়েই অবস্থিত এই পাহাড়ি অঞ্চলটি। জোড়পোখরি, লেপচাজগত, সিমনা ভিউ পয়েন্ট, পশুপতির মার্কেট, গোপালধারা চা বাগান, মিরিক লেক, মিরিক মনেস্ট্রি । এখান থেকে দূরে মিরিক টা দেখা যায় পাহাড়ের উপর। এখানে একটা ছোট্ট ঝর্ণা আছে, তার পাশে এলাচ বাগানে তাবুতে রাত কাটানোর ব্যবস্থা আছে। চা বাগানের মধ্যে দিয়ে হেঁটে ঘুরতে ঘুরতে দেখা যায় নানান পাখির আনাগোনা, চারদিকে সবুজের সমারোহ।  তাবাকশির আনাচে-কানাচে রয়েছে কমলালেবুর বাগান, রয়েছে ভুট্টার ক্ষেত, এলাচের বাগান, আদার বাগান। উপরে চা বাগান থেকে নিচে রঙভঙ নদী ও মন্দির দেখতে দারুন লাগে। পথ চলতে চলতে No Hunting বোর্ড চোখে পড়লে বুঝে নিবেন এখানে মাঝেমধ্যে হরিণ চলে আসে জঙ্গল থেকে।  আরও নানা জায়গা ঘুরে নিতে পারেন তাবাকোশিতে দু’দিন থেকে।

 

কি কি দেখবেন—-

 

চাইলে খুব সকালে এখান থেকে গাড়ি নিয়ে টারজাম জায়গাটা ঘুরে আসা যায় যা তাবাকোশী থেকে ৩০ মিনিটের পথ। সৌন্দর্য ভাষায় প্রকাশ করা যায় না, পুরোটা চা বাগানের মধ্যে দিয়ে। তাবাকশি থেকে জোড়পোখরি, লেপচাজগৎ, পশুপতির মার্কেট (ভারত-নেপাল সীমান্ত), গোপালধারা চা বাগান, মিরিক লেক, মিরিক মনেস্ট্রি ও পার্শ্ববর্তী এলাকা দেখতে পারবেন। ইচ্ছা হলে সময় কাটাতে পারেন রাম্মামখোলা নদীর পারেও। পক্ষী প্রেমীদের স্বর্গরাজ্য এই তাবাকোশি। তবে এখানে শান্ত, শীতল, নৈসর্গিক পরিবেশই বেশি আকর্ষণীয়।

 

তাবাকোশির আসেপাশে আরো যে গুলি দেখতে পারেন…

 

পশুপতি মার্কেট : তাবাকোশী থেকে খুব কাছে এই স্থানটি ভারত ও নেপালের বর্ডার , এখানের বিশেষত্ব হল এখানকার বাজার যেখানে কম দামে নেপালের ও বিভিন্ন বিদেশী জিনিসপত্র পাওয়া যায় , আপানরা এখান থেকে শপিং করতে পারেন।

 

মিরিক ঝিলঃ মিরকি থেকে তাবাকোশী খুব একটা দূরে না হওয়ায় এখান থেকে সহজেই মিরিক ঝিল ঘুরে দেখে নিতে পারেন। মিরিক ঝিলে Boating করে এখানে একটা দারুন সময় কাটিয়ে নিতে পারেন।

 

গোপালধারা চাবাগান : তাবাকোশী থেকে গোপালধারা চাবাগান ও খুব কাছাকাছি তাই এই স্থানটিও ঘুরে দেখে নিতে পারেন, দেখে নিতে পারেন এখানের চা ফ্যাক্টরি গুলি ।

 

তাই তবাকোশীর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও এখানকার নিরিবিলি পরিবেশ আপানাদের মনের সকল চিন্তামুক্ত করে মনে এক শান্তির অনুভুতি এনে দিবে যার ফলে এই স্থানটি ছেড়ে অন্য কোথাও যেতে মন চাইবে না। যারা শান্তশিষ্ট পরিবেশে কিছু দিন পাহাড়ে কাটাতে চান তাদের কাছে এই স্থানটি আদর্শ।

 

 

ভ্রমণের সেরা সময়—

বছরের যে কোনও সময় তাবাকোশি যাওয়া যায়। তবে মার্চ মাস থেকে জুন মাসের মাঝামাঝি সময় অথবা অক্টোবর থেকে নভেম্বরের মাঝামাঝি উৎকৃষ্ট সময়।

 

তাবাকোশি যাওয়ার উপায়—-

নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে তাবাকোশির দূরত্ব মাত্র ৬০ কিলোমিটার। বাগডোগরা দিয়ে যেতে চাইলে সেই সুযোগও রয়েছে এখানে। বিমানবন্দর বা রেলস্টেশন থেকে গাড়ি ভাড়া করে সোজা পৌঁছে যেতে পারেন তাবাকোশি। সকালে এনজেপি (NJP) স্টেশন পৌঁছে একটা অটো নিয়ে শিলিগুড়ি জংশন চলে যেতে পারেন। তারপর সেখান থেকে মিরিক যাওয়ার একটা শেয়ার গাড়িতে চেপে বসুন। শিলিগুড়ি থেকে শেয়ার গাড়িতে মিরিক পৌঁছে একটা গাড়ি নিয়ে তাবাকোশি রওনা দিয়ে দিন। দু’দিনের হাওয়া বদলে আপনার মন ভাল হয়ে যেতে বাধ্য।

 

 

কোথায় থাকবেন—-

এখানের চা বাগানের সঙ্গেই রয়েছে একাধিক হোমস্টে। মূলত চা বাগানের মালিকরাই এই হোমস্টেগুলোর মালিক। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য টি-ভিলেজ হোমস্টে, সুনাখারী  হোমস্টে। একেবারে চায়ের বাগানের পরে ছোট্ট গ্রামের শুরুতেই সুন্দর সাজানো গোছানো হোমস্টে। হোমস্টেতে তিন রকমের ঘর রয়েছে নরমাল, ডিলাক্স আর স্টোন কটেজ।

টি ভিলেজ হোমস্টে।  এছাড়া হোম স্টে’তে না থেকে, তাঁবুতে থাকার ইচ্ছা হলে সে ব্যাবস্থাও আছে। চারজনের জন্য তাঁবুর ভাড়া তিন হাজার রুপী। তবে তাঁবুতে থাকলে খাবার আলাদা খরচ আছে। এছাড়া বেশি স্বাছন্দ পেতে বেশি ভাড়ার হোম স্টে’ও পাবেন।”

 

উপসংহার—-

 

মিরিক থেকে ঢিলে ছোঁড়া দূরত্বে থাকা তাবাকোশি। হাল ফ্যাশনের যুগে উত্তরকন্যার কোলে লুকিয়ে থাকা যে সব পাহাড়ি গ্রামগুলোতে এখন পর্যটনদের আনাগোনা বাড়ছে, তাদের মধ্যেই অন্যতম এই তাবাকোশি। পূর্ব হিমালয়ের কোলে রাংভাং নদীর উপর এক ঘুমন্ত গ্রাম তাবাকোশি। দার্জিলিং এর বিখ্যাত গোপালধারা চা-বাগানের একটি অংশ এই তাবাকোশী।চারদিকে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঘেরা ও সবুজ চা-বাগান দিয়ে মোড়া পাহাড়ের মাঝে এক শান্ত শিষ্ট নিরিবিলি গ্রাম এই তাবাকোশী ।সকালে সারাদিন অফিস ও রাতে বাড়ী এই করতে করতে দিন কেটে যাচ্ছে , এক ঘেয়েমি জীবনযাপন থেকে মুক্তি পেতে দূরে কোথাও ছুটে যেতে মন চাইছে, তবে চলে আসতে পারেন উত্তরবঙ্গের এক নিরিবিলি ছোট পাহাড়ি গ্রাম তাবাকোশীতে।

।।তথ্য : সংগৃহীত।।

Share This
Categories
রিভিউ

আজ ৩ জুলাই, ইতিহাসের আজকের এই দিনে যা ঘটেছিল।

আজ ৩ জুলাই। ইতিহাস ঘেটে দেখা যায় বছরের প্রতিটি দিনে ঘটেছে অনেক উল্লেখযোগ্য ঘটনা। আসুন আজকের দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য কিছু বিষয় একনজরে দেখে নিই।  ইতিহাসের আজকের এই দিনে কী কী ঘটেছিল, কে কে জন্ম নিয়েছিলেন ও মৃত্যুবরণ করেছিলেন——-

 

দিবস—–

 

(ক) বেলারুস এর স্বাধীনতা দিবস।

 

আজ যাদের জন্মদিন—-

১৯৬২ – টম ক্রুজ, একজন বিখ্যাত ও জনপ্রিয় মার্কিন চলচ্চিত্র অভিনেতা ও প্রযোজক।

১৯৮৪ – সৈয়দ রাসেল, বাংলাদেশী ক্রিকেট খেলোয়াড়।

১৯১২ – অজিতকৃষ্ণ বসু, একজন বাঙালী রসসাহিত্যিক, জাদুকর এবং সঙ্গীতজ্ঞ।

১৯৪১ – আদুর গোপালকৃষ্ণন, আন্তর্জাতিকভাবে সমাদৃত ভারতীয় চলচ্চিত্র পরিচালক।

১৯৫২ – অমিত কুমার, ভারতীয় বাঙালি গায়ক, অভিনেতা, চলচ্চিত্র পরিচালক, চলচ্চিত্র প্রযোজক, সঙ্গীত প্রযোজক এবং সুরকার।

১৮৫৪ – চেক সঙ্গীত স্রষ্টা লেইওস ইয়ানাচেক।

১৮৮৩ – ফ্রান্‌ৎস কাফকা, জার্মান ও চেক উপন্যাস ও ছোটগল্প লেখক।

১৭২৮ – স্কট স্থপতি রবার্ট অ্যাডাম।

 

ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনের ঘটনাবলী—-

১৯৪৭ – ভারতবর্ষকে দু’টি ডেমিনিয়নে বিভক্ত করার জন্য ‘মাউন্টবাটেন পরিকল্পনা’ প্রকাশ।

১৯৫৩ – পৃথিবীর নবম উচ্চতম পর্বতশৃঙ্গ নাঙ্গা পর্বতের শীর্ষে একদল অস্ট্রীয় ও জার্মান অভিযাত্রী সর্বপ্রথম আরোহণ করেন।

১৯৬২ – আলজেরিয়া স্বাধীনতা লাভ।

১৯৭১ – ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর, বাংলাদেশের বীরশ্রেষ্ঠ, ভারতীয় সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশ এ প্রবেশ করেন দেশের জন্য স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করতে।

১৯১৯ – বিশ্বভারতীর যাত্রা শুরু হয়।

১৯২১ – মস্কোয় বিপ্লবী ট্রেড ইউনিয়নগুলোর আন্তর্জাতিক কংগ্রেস শুরু হয়।

১৯৪১ – মিত্রবাহিনীর কাছে সিরিয়ার আত্মসমর্পণ।

১৭৫৭ – মীরজাফর এর পুত্র মিরনের নির্দেশে মোহাম্মদী বেগ নামের ঘাতক সিরাজউদ্দৌলাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে।

এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন যারা—-

২০০৯ – আলাউদ্দিন আল আজাদ, বাংলাদেশের খ্যাতিমান ঔপন্যাসিক, প্রাবন্ধিক, কবি, নাট্যকার, গবেষক।

২০২০ – সরোজ খান,বলিউডের প্রখ্যাত নৃত্য পরিচালক।

১৯৩২ – স্বর্ণকুমারী দেবী, বাঙালি কবি ও সমাজকর্মী।

১৯৭১ – জিম মরিসন, মার্কিন সঙ্গীতশিল্পী।

১৯৯১ – ডলি আনোয়ার, বাংলাদেশী চলচ্চিত্র অভিনেত্রী।

১৯৯৭ – বিশিষ্ট বাঙালি চিত্রশিল্পী রথীন মৈত্র।

 

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ

আজ বিশ্ব ক্রীড়া সাংবাদিক দিবস, জানুন কেন পালিত হয় এবং দিনটির গুরুত্ব।

ক্রীড়া সাংবাদিকতা যে কোনো সংবাদ মাধ্যমের প্রতিষ্ঠানের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক।  এটি খেলাধুলার কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরে।  এটিকে হাস্যকরভাবে খেলনা বিভাগ নামকরণ করা হয়েছে কারণ খেলাধুলার বিষয়বস্তু একটি খেলা হিসেবে গুরুত্ব পেয়েছে। আজ ২ জুলাই, বিশ্ব ক্রীড়া সাংবাদিক দিবস (World Sports Journalists Day)। আজ থেকে ৯৯ বছর আগে প্যারিস অলিম্পিকের সময় ১৯২৪ সালের এই দিনে ফ্রান্সে এআইপিএস (আন্তর্জাতিক ক্রীড়া সাংবাদিক সংস্থা) প্রতিষ্ঠিত হয়। সেই দিনটিকে স্মরণে রেখেই প্রতি বছর ২ জুলাই ক্রীড়া সাংবাদিক দিবস পালিত হয়।
সাংবাদিকরা সমাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আমাদের সামনে সুগবেষণাকৃত তথ্য তুলে ধরে।  ক্রীড়া সাংবাদিকরা বিভিন্ন স্থানীয়, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক খেলার বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপন করেন।  ক্রীড়া লেখকদের তৎপরতা এবং রিপোর্টিং দক্ষতার কারণে বিশ্বব্যাপী ক্রীড়া অনুরাগীরা ক্রীড়া ইভেন্ট এবং ক্রীড়া খেলোয়াড়দের সম্পর্কে সর্বশেষ তথ্য অ্যাক্সেস করতে সক্ষম হয়।  আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ ক্রীড়া জগতের বর্তমান সেনসেশন এবং ক্রীড়া লেখকরা এটিকে কভার করতে কোন কসরত ছাড়ছেন না।  ক্রীড়া প্রচারে ক্রীড়া সাংবাদিকদের অবদানকে স্বীকৃতি দিতে প্রতি বছর ২ জুলাই বিশ্ব ক্রীড়া সাংবাদিক দিবস পালন করা হয়।  এই উপলক্ষ্যে, আমরা বিশ্ব ক্রীড়া সাংবাদিক দিবস সম্পর্কে কিছু তথ্য নিয়ে এসেছি।

বিশ্ব ক্রীড়া সাংবাদিক দিবসের ইতিহাস—

১৯৯৪ সালে, ইন্টারন্যাশনাল স্পোর্টস প্রেস অ্যাসোসিয়েশন (A.I.P.S.) তার ৭০তম বার্ষিকীর সম্মানে প্রথমবারের মতো বিশ্ব ক্রীড়া সাংবাদিক দিবস উদযাপন করে।  ১৯২৪ সালে, A.I.P.S.  প্যারিস, ফ্রান্সে L’Association Internationale de la Presse Sportive হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।  যাইহোক, সমিতির সদর দপ্তর এখন অলিম্পিক রাজধানী লুসানে, সুইজারল্যান্ডে।  A.I.P.S.  ১৬০টি সদস্য সমিতি সহ একটি স্বাধীন সংস্থা, যেখান থেকে এটি সদস্যতা ফি এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং ফেডারেশনের অবদানের মাধ্যমে অর্থায়ন পায়।
এর ওয়েবসাইট অনুসারে, A.I.P.S এর লক্ষ্য।  “ক্রীড়া এবং সদস্যদের পেশাগত স্বার্থ রক্ষায় এর সদস্য অ্যাসোসিয়েশনগুলির মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধি করা, সমস্ত জাতির ক্রীড়া সাংবাদিকদের মধ্যে বন্ধুত্ব, সংহতি এবং সাধারণ স্বার্থ জোরদার করা এবং সদস্যদের জন্য সর্বোত্তম সম্ভাব্য কাজের পরিস্থিতি নিশ্চিত করা।”
ক্রীড়া সাংবাদিকতা এমন এক ধরনের লেখা যা ক্রীড়া-কেন্দ্রিক বিষয়গুলিতে ফোকাস করে।  ক্রীড়া সাংবাদিকতা ১৮০০-এর দশকে, বিশেষ করে ১৮২০ এবং ১৮৩০-এর দশকে বিকশিত হয়েছিল।  শুরুতে, রিপোর্টিং প্রাথমিকভাবে ঘোড়দৌড় এবং বক্সিং-এর মতো অভিজাত ক্রীড়াগুলির উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে, প্রধানত উচ্চ শ্রেণীকে লক্ষ্য করে কারণ সংবাদপত্রগুলি জনসাধারণের নাগালের বাইরে ছিল।  যাইহোক, পেনি প্রেসের বিকাশ সাশ্রয়ী মূল্যের সংবাদপত্র উত্পাদনের দ্বার উন্মুক্ত করেছে, শেষ পর্যন্ত তাদের সমাজের নিম্ন স্তরের কাছে আরও অ্যাক্সেসযোগ্য করে তুলেছে।  বিংশ শতাব্দীতে ক্রীড়া সাংবাদিকতার জনপ্রিয়তা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।  ১৮৮০ সালে, সংবাদপত্রে খেলাধুলার জন্য মাত্র ০. ৪% স্থান উৎসর্গ করা হয়েছিল।  এই সংখ্যা ১৯২০ সালের মধ্যে ২০%-এ উন্নীত হয়, কারণ সংবাদপত্রগুলি ক্রীড়া কভারেজের জন্য একচেটিয়াভাবে সাংবাদিকদের নিয়োগ করা শুরু করে।  আজ, ক্রীড়া সাংবাদিকতা শুধুমাত্র প্রিন্ট মিডিয়াই নয়, রেডিও, টেলিভিশন এবং ইন্টারনেটকেও ব্যবহার করে।

বিশ্বব্যাপী ক্রীড়া সাংবাদিকরা একত্রিত হয়েছে ISPA।
আজ, স্পনসরশিপ থেকে শুরু করে অলিম্পিক গেমস এবং বিশ্বকাপের মঞ্চায়ন পর্যন্ত বিপুল অর্থের সাথে খেলাধুলা একটি ক্রমবর্ধমান বিশ্বব্যাপী ব্যবসায় পরিণত হয়েছে।
এই ইভেন্টগুলি বিশ্বজুড়ে সুপরিচিত অনুসন্ধানী এবং দক্ষ সাংবাদিকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছে।
বিশ্ব ক্রীড়া সাংবাদিক দিবস প্রতি বছর অনেক আড়ম্বর ও আনন্দের সাথে বিশ্বব্যাপী পালিত হয়। এই দিনটি বিশেষ করে ক্রীড়া মিডিয়ার সদস্যদের অর্জন উদযাপন করার জন্য তৈরি করা হয়েছিল।
এটির লক্ষ্য ক্রীড়া সাংবাদিকদের তাদের কাজের শ্রেষ্ঠত্বের জন্য প্রচেষ্টা করতে এবং বিশ্বের কাছে একটি উদাহরণ স্থাপন করতে উত্সাহিত করা। এই দিনটি সাংবাদিকদের আরও কঠোর পরিশ্রম করতে উৎসাহিত করে এবং আরও বেশি লোককে পেশায় আমন্ত্রণ জানায়।
বেশিরভাগ দেশে ক্রীড়া সাংবাদিকদের জন্য তাদের পৃথক জাতীয় সমিতি রয়েছে।  স্পোর্টস জার্নালিস্টস ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়া (SJFI) ২৭ ফেব্রুয়ারি, ১৯৭৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।
ভারতেও বিভিন্ন ক্রীড়া সংস্থা, এবং SJFI খেলাধুলার প্রতি লেখকদের অবদানকে স্বীকৃতি দিয়ে এই দিনটি উদযাপন করে।

খেলাধুলা নিবন্ধের অর্থ—

খেলাধুলা প্রতিটি মানুষের জীবনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।  এটি তাদের সুস্থ ও সুন্দর রাখে এবং শারীরিক শক্তিও রাখে।  জীবনের প্রতিটি পর্যায়ে খেলাধুলার গুরুত্ব অপরিসীম।  এটি মানুষের মেজাজকেও প্রসারিত করে।  খেলাধুলা আমাদের শরীরের সমস্ত অঙ্গ-প্রত্যঙ্গকে সজাগ রক্ষা করে এবং বিভিন্ন ধরনের খেলাধুলার মাধ্যমে আমাদের হৃদয় সক্রিয় হয়ে ওঠে।

ক্রীড়া সাংবাদিকতা—

ক্রীড়া সাংবাদিকতা হলো সাংবাদিকতার এমন ধারা, যারা ক্রীড়া এবং প্রতিযোগিতা সম্পর্কিত বিষয়গুলির উপর প্রতিবেদন করে। ১৮০০ এর দশকের গোড়ার দিকে ক্রীড়া সাংবাদিকতা শুরু হয় এবং এটি খবরের কাগজের নিবেদিত সংস্থাগুলির সাথে সংবাদ ব্যবসায়ের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশে রূপান্তরিত হয়। মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত শ্রেণীর মধ্যে খেলাধুলার বর্ধমান জনপ্রিয়তার কারণে প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানগুলো খেলাধুলার সামগ্রীর আরও বেশি প্রচার শুরু করে, খেলাধুলার প্রতি মানুষের এই আগ্ৰহের ফলে কেবল খেলাধুলার সংবাদ প্রচারের জন্য ইএসপিএন এবং স্পোর্টস ইলাস্ট্রেটেডের মতো ক্রীড়া প্রকাশনা সংস্থা তৈরি হয়। ক্রীড়া সাংবাদিকতার বিভিন্ন রূপ রয়েছে, যা খেলা থেকে শুরু করে খেলা থেকে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনগুলো বিশ্লেষণ এবং খেলায় অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা পর্যন্ত চলে। প্রযুক্তি ও ইন্টারনেটের যুগে ক্রীড়া সাংবাদিকতার জায়গাগুলি ব্যাপকভাবে পরিবর্তিত হয়েছে কারণ এটি এখন মুদ্রণ সাংবাদিকতার বিস্তৃত বিভাগের সাথে একই সমস্যার সাথে লড়াই করে চলেছে, এরা এখন সাবস্ক্রিপশনের ব্যয় কাটাতে সক্ষম হচ্ছে না। বর্তমান সহস্রাব্দে ইন্টারনেট ব্লগিং এবং টুইটের নতুন রূপগুলি ক্রীড়া সাংবাদিকতাকে শেষ সীমানা পর্যন্ত ঠেলে দিয়েছে।

ক্রীড়া সাংবাদিকতা কি?

দেশের ক্রীড়াঙ্গনের বিকাশ ঘটলে ক্রীড়া সাংবাদিকতা দিনে দিনে বিকশিত হতে পারে।  ক্রীড়া বিভাগ সবসময় একটি প্রবণতা বিষয়.  যেকোনো দেশের মানুষ যখন খেলাধুলাকে গুরুত্ব সহকারে নেবে, তখন ক্রীড়া সাংবাদিকতা তার অবস্থান শক্তভাবে ধরে রাখবে এবং মিডিয়া সংস্থার একটি প্রধান অংশ হয়ে উঠবে।  একটি উন্নয়নশীল সরকার সর্বদা ক্রীড়া বিভাগগুলির উন্নতির জন্য কঠোর চেষ্টা করে।  ১৯৯০ সাল থেকে খেলাধুলার গুরুত্ব বাড়ছে।  এটি অলিম্পিক, ফুটবল বিশ্বকাপ এবং ক্রিকেট বিশ্বকাপ ইত্যাদির মাধ্যমে বিপুল আয়ের সাথে জড়িত একটি বিশ্বব্যাপী ব্যবসা। ক্রীড়া সাংবাদিকতা যেকোন সংবাদ মাধ্যম সংস্থার একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক।  এটি খেলাধুলার কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরে।  খেলাধুলার বিষয়বস্তু একটি খেলা হিসেবে গুরুত্ব পেয়েছে বলে হাস্যকরভাবে এর নামকরণ করা হয়েছে খেলনা বিভাগ।  এটা সম্পদ, শক্তি এবং প্রভাব উচ্চতর হয়েছে।

 

ক্রীড়া সাংবাদিকতার ভবিষ্যৎ—-

গত দশকে খেলাধুলার মধ্যে একটি বড় পরিবর্তন ঘটেছে কারণ আরও ক্রীড়া দলগুলো বিশ্লেষণগুলি ব্যবহার করে চলেছে। একটি খেলার কৌশলগত সিদ্ধান্ত নিতে বিশ্লেষণগুলো ব্যবহারের বর্ধিত সুবিধা সম্পর্কে অনেক নিবন্ধ প্রকাশিত হওয়ায় এখানে স্থানান্তরিত হওয়ার এটি একটি বড় কারণ(ক্রীড়া সাংবাদিকতায়)। যেহেতু প্রতিটি খেলায় প্রতিটি উদাহরণের তথ্য সংগ্রহ করা হয়, স্পোর্টসের ডেটা বিশ্লেষণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এই দলগুলি পরিচালনা করছে এমন বিশ্লেষণের নিবন্ধ প্রকাশের জন্য স্পোর্টস পাবলিকেশনগুলি এখন পরিসংখ্যান এবং গণিতে বিস্তৃত পটভূমির লোকদের নিযুক্ত করছে। খেলোয়াড়ের পারফরম্যান্সের গুণমান অধ্যয়নের জন্য নতুন মেট্রিক তৈরি করা হয়েছে। মেট্রিকগুলি খেলোয়াড় এবং দলগুলির র‌্যাঙ্কিং সংকলন করতেও ব্যবহৃত হয়। ফাইভ থার্টিইটির মতো ব্লগ সাইটগুলি ফুলটাইম স্পোর্টস অ্যানালিটিক সাইট হিসাবে অঙ্কিত হতে শুরু করেছিল যারা উপলব্ধ ডেটা নিয়েছিল এবং ক্রীড়া সম্পর্কিত বিশ্লেষণী ভারী নিবন্ধগুলি তৈরি করেছিল। ইএসপিএন তাদের অনুষ্ঠানগুলিতে ‘স্পোর্টস সায়েন্স’ নামে একটি বিভাগ প্রয়োগ করেছে যেখানে উন্নত বিশ্লেষণগুলি ক্ষেত্রের পারফরম্যান্সকে কীভাবে প্রভাবিত করে তা পরীক্ষা করতে প্রতিটি খেলার তারকারা উপস্থিত হন। খেলাধুলায় বিশ্লেষণ ব্যবহারের কারণে অনেকেরই প্রচুর পুশব্যাক রয়েছে। অনেক প্রতিষ্ঠিত কোচ দ্রুত বিশ্লেষণকে গুরুত্ব দেন এবং এক্ষেত্রে পেশাদার ক্রীড়া সাংবাদিক নিয়োগের অনেক উদাহরণ রয়েছে।।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This
Categories
রিভিউ

আজ ২ জুলাই, ইতিহাসের আজকের এই দিনে যা ঘটেছিল।

আজ ২ জুলাই। ইতিহাস ঘেটে দেখা যায় বছরের প্রতিটি দিনে ঘটেছে অনেক উল্লেখযোগ্য ঘটনা। আসুন আজকের দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য কিছু বিষয় একনজরে দেখে নিই।  ইতিহাসের আজকের এই দিনে কী কী ঘটেছিল, কে কে জন্ম নিয়েছিলেন ও মৃত্যুবরণ করেছিলেন——-

 

দিবস—–

 

(ক) বিশ্ব ক্রীড়া সাংবাদিক দিবস

 

আজ যাদের জন্মদিন—-

১৯০৬ – জার্মান-মার্কিন পদার্থবিজ্ঞানী হান্স আলব্রেশ্‌ট বেটে জার্মানির স্ট্রাসবুর্গে জন্মগ্রহণ করেন ।

১৯২২ – পিয়েরে কার্দিন বিশ্ব বিখ্যাত ফরাসি ফ্যাশন ডিজাইনার।

১৯২৩ – নোবেল বিজয়ী পোলিশ কবি বিস্লাভা সিমবরস্কা।

১৯২৫ – কঙ্গোর স্বাধীনতা সংগ্রামী জননেতা প্যাট্রিস লুমুম্বা।

১৯৯৬ – জেরিন তাসনিম নাওমি, বাংলাদেশী সঙ্গীতশিল্পী।

১৮৬২ – উইলিয়াম হেনরি ব্র্যাগ, নোবেলজয়ী ইংরেজ পদার্থবিজ্ঞানী।

১৮৬৫ – জর্জ ওয়াশিংটন কার্ভার, আফ্রো-আমেরিকান বিজ্ঞানী, আমেরিকার দক্ষিণাঞ্চলের কৃষিতে প্রভূত উন্নত সাধন করেন।

১৮৭৭ – হেরমান হেস, জার্মানিতে জন্মগ্রহণকারী নোবেল পুরস্কার বিজয়ী সুইজারল্যান্ডীয় কবি এবং চিত্রকর।

১৭৩০ – জোসিয়া ওজেউড, ইংল্যান্ডের পটুয়া।

 

ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনের ঘটনাবলী—-

২০০৩ – নর্থইষ্ট ইলেক্ট্রিক পাওয়ার কর্পোরেশন (নিপকো) নামে

জলবিদ্যুৎ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানকে টিপাইমুখ বাঁধ নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণে আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব দেওয়া হয়।

২০০৯ – দিল্লি হাইকোর্টের একটি রায়ে স্পষ্টত জানানো হয়েছে প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে সম্মতিক্রমে সমকামিতার আচরণ অপরাধের আওতায় পড়ে না।

১৯৩৭ – আটলান্টিক অতিক্রমকারী প্রথম নারী বৈমানিক আমেলিয়া ইয়ারহার্ট রহস্যজনকভাবে বিমানসহ নিখোঁজ।

১৯৬১ – সত্যাগ্রহ আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় আসামের ভাষা পরিষদ ভাষা দাবী দিবস পালন করে।

১৯৬৪ – মার্কিন প্রেসিডেন্ট লিন্ডন বি. জনসন মার্কিন ইতিহাসের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নাগরিক অধিকার সংক্রান্ত আইন স্বাক্ষর করেন।

১৯৬৭ – আদমশুমারী জালিয়াতির বিরুদ্ধে আসামের দাবী সপ্তাহ ১২ দিন দীর্ঘায়িত করা হয় এবং কাছাড় জেলার সর্বত্র পাবলিক সভা সমাবেশ করা হয় ।

১৯৭২ – ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী ও পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট জুলফিকার আলী ভুট্টো ঐতিহাসিক সিমলা চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।

১৯৭৬ – দক্ষিণ ভিয়েতনাম ভেঙে যায়। সমাজতান্ত্রিক উত্তর ভিয়েতনাম সোশ্যালিস্ট রিপাবলিক অব ভিয়েতনাম ঘোষণা করে।

১৯৭৭ – পশ্চিমবঙ্গের সীমানার মধ্যেই দার্জিলিং পার্বত্য অঞ্চলকে স্বশাসিত অঞ্চল ঘোষণার সিদ্ধান্ত হয় রাজ্য ক্যাবিনেটে।

১৯৯০ – মক্কা নগরীর নিকটে মিনার সুড়ঙ্গ দূর্ঘটনায় ১৪১৬ জন হাজী মারা যান।

১৯৯৮ – যুক্তরাজ্যে ব্রিটিশ লেখিকা জে কে রাউলিং রচিত হ্যারি পটার উপন্যাস সিরিজের দ্বিতীয় বই হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য চেম্বার অফ সিক্রেটস (ইংরেজিতে Harry Potter and the Chamber of Secrets) প্রকাশিত হয়।

 

১৮৮৯ – ব্রাজিলে এক রক্তপাতহীন আন্দোলনের মাধ্যমে রাজতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থার অবসান ঘটে এবং গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়।

১৮৯০ – আফ্রিকায় ক্রীতদাস প্রথা বিলোপ এবং মাদক ব্যবসা বন্ধের ব্যাপারে আন্তর্জাতিক সম্মেলনে ব্রাসেলস চুক্তি পাস।

১৭৫৬ – নবাব সিরাজউদ্দৌলা কলকাতার নাম দেন আলীনগর।

১৭৭৬ – মন্টিনেন্টাল কংগ্রেস কর্তৃক আমেরিকার স্বাধীনতা ঘোষণা।

১৭৮১ – মহিশুরের হায়দার আলী ব্রিটিশ বাহিনীর কাছে পরাজিত।

৭১২ – মুহাম্মাদ বিন কাসিম এর সিন্ধু বিজয়।

৬৮৪ – কাবা ঘরের সংস্কার করা হয়।

এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন যারা—-

১৯১২ – টম রিচার্ডসন, ইংরেজ ক্রিকেটার।

১৯২৯ – অমৃতলাল বসু, বাঙালি নাট্যকার ও নাট্য অভিনেতা।

১৯৪৩ – জিমন্যাস্টিক্স হল্যান্ড মহিলা দলের কোচ গেরিট ক্লীরকপারকে ১৯২৮ সালের অলিম্পিকে স্বর্ণপদক জেতার অপরাধে পোল্যান্ডের সবিবর বন্দী শিবিরে হত্যা করা হয়।

১৯৬১ – আর্নেস্ট হেমিংওয়ে, মার্কিন উপন্যাসিক, ছোটগল্প রচয়িতা এবং সাংবাদিক।

১৯৬৯ – প্রবোধচন্দ্র গুহ, প্রখ্যাত নাট্য প্রযোজক ও পরিচালক।

১৯৭৭ – ভ্‌লাদিমির নাবোকভ্‌, রুশ সাহিত্যিক।

১৯৮২ – চেরাবাণ্ডা রাজু, বিপ্লবী কবি, গীতিকার ও নাট্যকার যিনি তেলুগু ভাষায় সাহিত্য রচনা করেছেন।

১৯৮৬ – নিকুঞ্জ সেন ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের বিপ্লবী, রাইটার্স বিল্ডিংস অভিযানের রূপকার।

১৯৯৪ – কলম্বিয়ার ফুটবল খেলোয়াড় এসকোবা একজন অস্ত্রধারীর গুলিতে নিহত হন ।

১৯৯৯ – আমেরিকার লেখক মারিও পুজো।

১৮৪৩ – হোমিওপ্যাথিক ঔষধ আবিষ্কারক জার্মানীর স্যামুয়েল হ্যানিম্যান।

১৮৮১ – মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ২০তম প্রেসিডেন্ট জেমস আব্রাহাম গারফিল্ড।

১৭৫৭ – সিরাজ-উদ-দৌলা, বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব।

১৭৭৮ – জঁ-জাক রুসো, সুইজারল্যান্ডীয় দার্শনিক।

১৫৬৬ – ফরাসি ভবিষ্যদ্বক্তা, জ্যোতিষী, লেখক এবং ঔষধ প্রস্তুতকারক ও চিকিৎসা সামগ্রী বিক্রেতা নস্ট্রাদামুস বা মিকেল দে নস্ট্রাদাম।

১৫৯১ – বিখ্যাত ইতালীয় সংগীতজ্ঞ ভিনসেঞ্জো গ্যালিলি (বিজ্ঞানি গ্যালিলিও গ্যালিলির বাবা)।

৯৩৬ – জার্মানির রাজা হেনরি দ্য ফাউলার।

 

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This
Categories
উপন্যাস নারী কথা

 দামাল মেয়ে কুহেলি (ধারাবাহিক উপন্যাস, নবম পর্ব) : দিলীপ রায়।

কুহেলি চায়ের দোকান খোলায় মুরারী ঘটক বেঁকে বসলো । পরেরদিন সোজা কুহেলিকে ধমক ! মুরারী ঘটক ধমক দিয়ে কুহেলিকে বলল, “এখানে চায়ের দোকান খোলা চলবে না । আমার একমাত্র চায়ের দোকান, সেটা ভীষণ চালু । সুতরাং মোড়ের মাথায় অন্য কারও চায়ের দোকান আমি খুলতে দেবো না ।“
আমার অপরাধ !
অপরাধ কিনা বলতে পারবো না । তবে তুমি দোকান গুটিয়ে না নিলে আমাকে জোরপূর্বক তোমার দোকান ভেঙ্গে দিতে হবে । সেটা আমি করতে চাই না । ছোট্ট একটু জায়গায় দুটি চায়ের দোকান কখনও চলতে পারে না ।“
“কিন্তু কাকু, আমি চায়ের দোকান বন্ধ করার জন্য খুলিনি । আমি সংসার চালানোর জন্য চায়ের দোকান খুলেছি । আর একটা কথা, খবরদার কখনও আমার দোকান ভেঙ্গে দেওয়ার কথা মুখে আনবেন না । আমি নারী বলে ভাববেন না, আমি অবলা । আমাকে কখনই অবলা ঠাউরাবেন না । আমার দোকানের কিছু একটা অঘটন ঘটলে তখন টের পাবেন, আমি কতোটা তেজি ! কথাটা মাথায় রাখবেন ।“ তেজস্বিনীর মতো চোখ গরম করে অথচ ঠাণ্ডা মাথায় কথাগুলো শুনিয়ে দিলো কুহেলি । কুহেলি একটা ব্যাপারে পরিষ্কার, আপদ শুরুতেই বিনষ্ট না করলে ভবিষ্যতে ভয়ংকর হয়ে উঠতে পারে । তাই এতগুলি কথা শোনানো । তা ছাড়া খবর নিয়ে জেনেছে, মুরারী ঘটকের বাড়ি লোহাদহ গ্রামে । নিজের গ্রামে দোকান খুলতে পারেনি । নিজের খামখেয়ালিপনার জন্য সেখান থেকে বিতাড়িত । মোড়ের মাথায় তার বিরূদ্ধে কেউ কিছু বলার নেই, তাই চ্যাটাং চ্যাটাং কথা ।
মুরারী ঘটক ঠায় দাঁড়িয়ে কুহেলির কথা শুনলো । একটিও টুঁ শব্দ করলো না । মেয়েটির তেজ দেখে ঘটক অবাক ! বরং মেয়েটার কথা শুনে রীতিমতো ঘাবড়ে গেলো । মেয়েটাকে ঘায়েল করতে গেলে কথা শুনিয়ে লাভ হবে না । তাকে বশে আনতে অন্য ষড়ষন্ত্রের পন্থা প্রয়োগ করতে হবে । পাড়ার মস্তান লাগাতে হবে । তারা এসে কয়েক ঘা দিলে মেয়েটি টের পাবে “কত ধানে কত চাল” ।
সোমবার । খুব সকালে দোকান খোলার রেওয়াজ ! কেননা কলকাতা বা সন্নিহিত অঞ্চলে যারা চাকরি করেন তাঁরা সপ্তাহান্তে বাড়ি আসেন এবং সোমবার খুব ভোরে কাঞ্চন নগরের মোড় থেকে গাড়ি ধরেন । মোড়ের মাথায় দাঁড়িয়ে থাকার সময় এক কাপ চা ও বিস্কুট খেয়ে তাঁদের যাত্রা শুরু । তাই কুহেলির সকাল সকাল দোকান খোলা এবং যতো তাড়াতাড়ি সম্ভব চা বানিয়ে খরিদ্দারদের মধ্যে চা পরিবেশন করা ।
দোকানে পৌঁছে কুহেলির চক্ষু চড়কগাছ ! তার দোকানের ইটের উনুন ভাঙ্গা । রাগে নিজেকে ঠিক রাখতে না পেরে সোজা মুরারী ঘটকের উপরে চোটপাট, “আপনি আমার দোকান ভেঙ্গেছেন । আমিও আপনাকে এখানে দোকান চালাতে দেবো না ।“ বলেই হামানদিস্তার আঘাতে তার গ্যাসের উনুন ভেঙ্গে দিয়ে বলল, “এক্ষুণি আমার উনুন সারিয়ে না দিলে আমি তোমাদের দোকান কিছুতেই চালাতে দেবো না । মেয়ে হলেও আপনাদের মতো ধুরন্ধরদের শিক্ষা দিতে আমার হাত এতটুকু কাঁপে না ।“
বারবার চেচিয়ে মুরারী ঘটক কুহেলিকে বলল, “আমরা তোমার দোকান ভাঙ্গিনি । এটা অন্য কারও কাজ !” মুরারী ঘটকের কোনো কথা শোনার ধৈর্য কুহেলির নেই । কুহেলি চায়ের দোকান খুলতে পারছে না । এখানেই তার রাগ । সোমবার দোকান খুললে কিছুটা পয়সার মুখ দেখতে পায় । সেই পয়সায় তার সপ্তাহের সবজির বাজার চলে । সেটা বন্ধ ! তার পেটের ভাত বন্ধ করে দেওয়ার বিরূদ্ধে কুহেলির গর্জন ! ক্রোধে অগ্নিশর্মা !
চিৎকার চেচামেচি । মোড়ের মাথায় মানুষের জটলা । কুহেলি কিছুতেই ছেড়ে দেওয়ার পাত্রী নয় । অন্যদিকে মুরারী ঘটকও থামছে না । তার বক্তব্য দোষ করলাম না, অথচ আমাকে দোষী বানিয়ে মেয়েটার আস্ফালন ! কুহেলির তর সইলো না । অথচ সরাসরি আমাকে আক্রমণ !
ঘটক তার দোকানের গ্যাসের উনুন ভাঙ্গার একটা বিহিত চায় এবং সেটা তখনই চায় । যার জন্য ঘটক সরাসরি থানায় ফোন করলো ।
থানার বড়বাবু এক গাড়ি পুলিশ নিয়ে স্পটে হাজির । বড়বাবু কুহেলি ও মুরারী ঘটককে ডেকে আলোচনায় বসলেন । মুরারী ঘটকের বক্তব্য, “এটা ঘটনা, মেয়েটা চায়ের দোকান খোলার পর আমি মেয়েটাকে ধমক দিয়েছিলাম । তারপর যখন জানলাম, মেয়েটা সানাইয়ের মেয়ে । বেঁচে থাকবার জন্য তার চায়ের দোকান খোলা । তাই সে মেয়েটার দোকান তুলে দেওয়ার ব্যাপারে আর কোনো কৌতুহল দেখায়নি । ঘটক মনে করে, মেয়েটা সৎভাবে কাজকর্ম করে বেঁচে থাকতে চাইছে । বাঁচুক । সম্ভব হলে, ঘটক মেয়েটাকে সমস্তরকম সহযোগিতা করবে ! কিন্তু কখনই দোকান ভাঙচুরের কথা ভাবেনি । এই দুষ্কর্ম অন্য দুষ্কৃতিদের কাজ ।“
বড়বাবু মনোযোগ দিয়ে দুজনের কথ শুনলেন । তারপর ঐ রাস্তা দিয়ে পথ চলতি মানুষের সঙ্গেও কথা বললেন ।
ইতিমধ্যে কয়লার উনুনে চা বানিয়ে মাটির ভাঁড়ে সেই চা সোজা বড়বাবুর সামনে রাখলো মুরারী ঘটক । বড়বাবুকে ঘটক বলল, ‘স্যার, মেয়েটাকে কিছুতেই বোঝাতে পারছি না এইরকম জঘন্য কাজ আমার দ্বারা অসম্ভব । মেয়েটা আপনার কাছে আমার বিরূদ্ধে অভিযোগ করছে । অথচ মেয়েটা বুঝতে চাইছে না, কারও বিরূদ্ধে অভিযোগ জানাতে গেলে প্রমাণ সহযোগে তার বিরূদ্ধে অভিযোগ জানাতে হয় । অহেতুক সন্দেহের বশে আমাকে যাচ্ছেতাই ভাবে দোষারোপ করছে । শুধু তাই নয়, অবান্তর কথাবার্তা বলছে ।“
বড়বাবু ঘটককে বললেন, “আপনি আপনার দোকানে গিয়ে বসুন । আমরা আপনাদের অশান্তির সুরাহা করতেই এসেছি । সুতরাং আমাদের কাজে বাধা দেবেন না ।“
মুরারী ঘটক একটি বাক্য ব্যয় না করে সরাসরি দোকানে গিয়ে চায়ের জল কয়লার উনুনে বসালো ।
থানার বড়বাবু পুনরায় শুধুমাত্র কুহেলিকে ডেকে জিজ্ঞাসা করলেন, “ইতিপূর্বে আপনাকে এলাকার ছেলে-ছোকরারা কোনোদিন বিরক্ত করেছিল ।“
হ্যাঁ স্যার, করেছিল !
কী নাম তার ?
ক্যাবলা কিরণ ।
ক্যাবলা কারও নাম হয় নাকি ?
কুহেলি হেসে উত্তর দিলো, “তাকে আমি ক্যাবলা বলে ডাকি । তার নাম কিরণ । আপনি তাকে কিরণ নামেই ডাকবেন স্যার ।“
কী ধরনের উত্ত্যক্ত, জানাবেন প্লীজ ?
কিরণের বিরক্ত করার ধরন আলাদা । তার ধান্দা ছিল আমার শ্লীলতাহানি । চুরির প্রবণতা তার মধ্যে দেখিনি । তবে আমার হাতে জব্দ হওয়ার পর কিরণকে আমার আশেপাশে আর কোনোদিন দেখা যায়নি ।
বড়বাবু শুধুমাত্র কিরণের নামটা নোট করে নিয়ে বললেন, “এই জাতীয় আর কোনো সমস্যায় আপনি পড়েছিলেন কী ?
না স্যার । অল্পবিস্তর রাস্তাঘাটে যেটুকু হয়েছিল, সেটা সমস্ত উঠতি মেয়েদের জীবনে ঘটে । নতুন করে বলার কিছু নেই ।
তারপর বড়বাবুর দিকে তাকিয়ে হাত জোড় করে কুহেলি বলল, “স্যার, আমাকে বেঁচে থাকার সুযোগ দিন । আমার দোকান এইভাবে ভেঙ্গে দিলে আমি না খেয়ে মারা যাবো স্যার !”
বাবা-মা নেই শুনলাম ! বাড়িতে আর কে কে আছে ?
হতাশভাবে কুহেলি উত্তর দিলো, “পৃথিবীতে আমি শুধুমাত্র একা ।“
আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা কী ?
স্যার আমি উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছি ।
“আপনার জীবনের বাস্তব কাহিনী শুনে আমরা হতভম্ব ! খুব করুণ কাহিনী । খুব দুঃখজনক ! খুব সাবধানে থাকবেন । প্রয়োজনে আমাদের খবর দেবেন । আমরা আপনার পাশে আছি । কোনোরকম দুশ্চিন্তা করবেন না । আমরা চাই, আপনার চায়ের দোকান ঠিকঠাক চলুক । আমরা এবার থানার দিকে রওনা দিচ্ছি ।“ থানার বড়বাবু চলে গেলেন ।
মাত্র কয়েকদিনে কুহেলির চায়ের দোকান এলাকায় ভীষণ জনপ্রিয় । তার দোকানের চা খেয়ে খরিদ্দারদের তৃপ্তি আলাদা । যেসব খরিদ্দার ঘটকের দোকানে নিয়মিত চা খেতেন, তারাও কুহেলির দোকানে ভিড় করছেন । তা ছাড়া বর্তমান প্রজন্মের ছেলে-মেয়েরা কুহেলির চায়ের দোকানের নিয়মিত খরিদ্দার । খরিদ্দারের ভিড় মূলত ভোরের সকালে ও বিকেল চারটে থেকে রাত্রি আটটা পর্যন্ত । সেই সময়ে চা বানানোতেই কুহেলিকে ধ্যান দিতে হয় । সেই সময় কুহেলির এদিক-ওদিক তাকাবার ফুরসত থাকে না । ছাতা টাঙিয়ে তার দোকান । সামনে দুটো বসার বেঞ্চ । বিকেলে খরিদ্দারদের বসার জায়গা দেওয়া যায় না । খরিদ্দারেরা কুহেলির ব্যবহারে এতটাই প্রীত যে, তাঁরা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে চা খেতেও কুন্ঠাবোধ করেন না । এতটাই তাঁদের কুহেলির প্রতি দরদ বা ভালবাসা !
কুহেলি এবার দোকান ঘর তৈরীর কথা ভাবছে । রাস্তার পাশে পাকাপোক্ত ঘর বানানো অসম্ভব । কেননা জায়গাটা সরকারি জায়গা । যেকোনো মুহূর্তে দোকান ঘর ভেঙ্গে দিতে পারে । সুতরাং সকল দোকানদারদের মতো অস্থায়ী ঘর বানানোর কথা ভাবছে কুহেলি । কিন্তু ঘর বানানোর মতো আর্থিক পরিস্থিতি এখনও তার অনুকূল নয় । তাই সময় নিচ্ছে । তবে দোকানের বিক্রিবাট্টা ভাল হওয়ার কারণে কুহেলি আশাবাদী, শীঘ্রই তার পক্ষে ঘর বানানো সম্ভব । কিন্তু এই মুহূর্তে তার আর্থিক অবস্থা শক্তিশালী নয়, বরং দুর্বল ।
কুহেলির জীবনে এখন একটাই চিন্তা, পৃথিবীতে বেঁচে থাকা আর দূরশিক্ষার মাধ্যমে গ্রাজুয়েশন ডিগ্রি নেওয়া ।
ইতিমধ্যে ভরতপুর-লোহাদহ বাস রুটে দুটো নতুন বাস চালু হলো । ফলে কাঞ্চন নগরের মোড় দিয়ে দূরদূরান্তের বিভিন্ন গ্রামের মানুষের যাতায়াত বাড়লো । কাঞ্চন নগরের মোড়ের গুরুত্ব আরও বাড়লো । সারাদিন কমবেশী মানুষের যাতায়াত সর্বক্ষণ । অন্যান্য দ্রব্যসামগ্রীর দোকানও খুললো । সরষে থেকে তেল বের করার যন্ত্র ঘানির মেশিন বসলো । কামার, কুমোর, ছাড়াও টেলারিং, ধোপা-নাপিতের দোকান, রেডিমেট জামা-কাপড়ের দোকান, সবজির দোকান, ইত্যাদি বসলো । অনেক টোটো, রিক্সা, চালু হলো । টোটোর মাধ্যমে বিভিন্ন গ্রামের সাথে কাঞ্চন নগরের মোড়ের সঙ্গে সংযোগ বাড়লো । ফলে টোটো-রিক্সার পরিষেবা রমরমা । আগামীদিনে কাঞ্চন নগরের মোড় আরও উন্নত করার সরাকারি পরিকল্পনা সকলের জানা । এইজন্য স্থানীয় প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা নড়েচড়ে বসেছেন । যার জন্য কুহেলি দোকানটা বড় করবার চিন্তায় অস্থির ।
গ্রামবাংলা ঘেঁষা ভরতপুর-লোহাদহ রুট । আগামীতে লোহাদহ ঘাটে বাবলা নদীর উপর ব্রীজ হলে সোনায় সোহাগা । বহরমপুর থেকে সরাসরি বাস চলবে এই রুটে । তখন কাঞ্চন নগরের মোড়ের মর্যাদা আরও বাড়বে । গ্রামের ছেলেমেয়েরা এখন অনেক বেশী শিক্ষিত । তাঁরা সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরে কর্মরত । তাঁরা নিজেদের উদ্যোগে গ্রামের মান-মর্যাদা বাড়াতে তৎপর । যার জন্য উন্নয়নের জোয়ার আসছে । সেটা কুহেলি স্পষ্ট আন্দাজ করতে পারছে । তাই তার মনের ভিতর সর্বক্ষণ চিন্তা, একটা দোকান ঘর ।
কানাই কাকা আলাপ করে দিলো কান্দীর যোগেশ বর্মনের সাথে । যোগেশ বর্মন কানাই কাকার বিশেষ বন্ধু । তাঁদের একসঙ্গে পড়াশুনা । গ্রাম থেকে উঠে গিয়ে কান্দীতে বাড়ি করেছেন । খুব কম সময়ের মধ্যে তিনি তাঁর ব্যবসায়ে প্রতিষ্ঠিত । কানাই কাকার অনুরোধে যোগেশ বর্মন সহযোগিতার হাত বাড়িতে দিলেন কুহেলিকে । তাঁর একটাই শর্ত, টাকা ধার নিলে সময়ে শোধ দিতে হবে এবং টাকা শোধ দেওয়ার ক্ষেত্রে অবস্থা অনুযায়ী প্রয়োজনে সময় বাড়িয়ে দিতে তাঁর আপত্তি নেই । শুরু হলো, যোগেশ বর্মনের আর্থিক সহায়তায় কুহেলির স্বপ্নের দোকানের ঘর বানানো ।
উপরে ছাদ দেওয়া যাবে না । রাস্তার পাশে ঘর । সুতরাং যেকোনো সময় সরকারি কোপ পড়তে পারে । তাদের উঠিয়ে দিতে পারে । তাই টিনের চাল দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে ।
হঠাৎ পুলিশের ফোন ! থানার বড়বাবুর ফোন নম্বর দেখে চমকে গেলো কুহেলি । আবার বড়বাবুর ফোন কেন ?
হ্যালো স্যার । কিছু বলবেন ?
হ্যাঁ । আপনার দোকান ভাঙ্গার পেছনে একটা নারী পাচার চক্র কাজ করছে । সুতরাং আপনি সাবধানে থাকবেন । আপনাকে সাবধান করে দেওয়ার জন্য আমার টেলিফোন । যেকোনো সময় আপনাকে ঐ চক্র তুলে নিয়ে যেতে পারে । আপনি একা একা রাত্রিতে বাড়ি ফিরবেন না, এমনকি কোথাও যাবেন না । তা ছাড়া রাত্রিবেলায় বেশী রাত পর্যন্ত চায়ের দোকান চালু রাখাটাও নিরাপদ হবে না । অস্বাভাবিক কিছু বুঝলে অবশ্যই থানায় খবর দেবেন ।
ঘাবড়ে গেলো কুহেলি । পরক্ষণেই পালটা জিজ্ঞাসা করলো থানার বড়বাবুকে, “তাহলে আমার দোকানে ভাঙচুর কারা চালালো ?”
এখনও পরিষ্কার নয় । তবে নারী পাচার চক্রের স্থানীয় মদতদাতা দোকান ভাঙচুরের সাথে জড়িত । মদতদাতার নাম বা তার ঠিকানা এখনও উদ্ধার হয়নি । তবে এই নারী পাচার চক্রটির নেটওয়ার্ক বিশাল বড় । পুলিশি অভিযান চলছে । আপাতত আমাদের থানার অধীনে তাদের টার্গেট, আপনাকে তুলে নিয়ে ভিন্‌ দেশে চালান করে দেওয়া । তারা জানতে পেরেছে, আপনার বাবা অন্য একজন বিধবার সাথে পালিয়েছেন, এইজন্য তাদের ধারনা আপনাকে অপহরণ করা তাদের পক্ষে খুব সহজ ! তাই কুহেলি দেবী, আপনাকে আমাদের অনুরোধ চক্রটি যতদিন ধরা না পড়ছে ততদিন একটু সাবধানে থাকবেন ।
কান্দী বাজার থেকে ঘরের মাথায় কর্কেট টিনের চালা দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় টিন কিনে আনলো । কর্কেট টিন কিনে কান্দী বাস স্ট্যাণ্ড থেকে বাসের মাথায় চাপিয়ে ভরতপুরে নামতেই বেলা গড়িয়ে গেলো । তারপর ভরতপুরে ভ্যান রিক্সার আকাল ! বেশীর ভাগ মেশিন চালিত ভ্যান রিক্সা । তাদের ভাড়ার রেট বেশী । অবশেষে শুকুর আলীর ভ্যান রিক্সা পাওয়া গেলো বটে, কিন্তু তার ভ্যান রিক্সায় এতগুলি টিন ধরবে না । আরও একটা ভ্যান রিক্সা দরকার । কিন্তু দ্বিতীয় ভ্যান রিক্সা পাওয়া যাচ্ছে না । অবশেষে বিডিও অফিসের পাশ থেকে অপর ভ্যান রিক্সাটি পাওয়া গেলো । তারপর দুটি ভ্যান রিক্সা ভাড়া করে সেই টিন ভ্যানে তুললো । সন্ধ্যা গড়িয়ে গেলো । দোকানে যখন টিন নিয়ে পৌঁছালো, তখন ঘড়িতে রাত্রি আটটা । টিনগুলি কাঞ্চন নগরের মোড়ে রেখে গেলেও বিপদ ! কেউ চুরি করে পালাবে । আচ্ছা জ্বালায় পড়লো কুহেলি । শেষে মুরারী ঘটক এগিয়ে এসে বলল, “আমার দোকানে টিনগুলি রেখে নিশ্চিন্তে তুমি বাড়ি যাও । অনেক রাত হয়েছে । দিন-কাল বা রাস্তা-ঘাটের অবস্থা ভাল না । অহেতুক সময় নষ্ট না করে তুমি বাড়ি চলে যাও । আমি টিনগুলি ঘরে তুলে রেখে তবেই আমি বাড়ি ফিরব ।“
কাঞ্চন নগরের দিকে যেতে ছোট্ট একটা বাঁক ! রাস্তাটা দক্ষিণদিকে বাঁক নিয়েছে । বাঁকের আশেপাশে অনেক গাছপালা । ঘন অন্ধকার । চারিদিকে জোনাকিরা মিটমিট আলো দিচ্ছে । গা ছমছমে পরিবেশ । রাস্তা দিয়ে হাঁটতে কুহেলি রীতিমতো ঘামছে । অন্ধকারে চার চাকার গাড়ি দাঁড় করানো ? গাড়ি থেকে একটা মৃদুমন্দ স্বরে ডাক ভেসে আসছে, “কুহেলি !”
(চলবে)

Share This
Categories
কবিতা

তুমি আমার উপন্যাস হবে : লাজু চৌধুরী।

তুমি আমার উপন্যাস হবে
যখন খুশি তখন তোমাকে নিয়ে বসবো।
কেউ স্পর্শ করবেনা তোমাকে
শুধু অধিক রাত জেগে তোমাকে নিয়ে ভাববো।
অসংখ্য সাদা পৃষ্ঠায় শুধু তোমাকে নিয়ে লিখবো
সত্যি বলছি বৃষ্টিতে তোমাকে বুকে জড়িয়ে শুধু পা ভিজাবো।

গতকাল রাতে তোমাকে বালিশের এক পাশে তোমাকে রেখেছিলাম।
কিন্তু আজ তা নয় –
তুমি আমার উপন্যাস হবে বলে আজ পূণিমা রাতে তোমাকে নিয়ে ছাদে বসবো।
বুকের ভিতর জমে থাকা অনেক শব্দ দিয়ে একটু একটু
করে তোমাকে উপন্যাস করে তুলবো।
তুমি যদি এক বার ভালোবাসো আমাকে
আমি তোমাকে পরিপূর্ণ উপন্যাস গড়ে তুলবো –

তোমার চোখে আমার স্বপ্ন দেখেছি
অসংখ্য শব্দ গুলো আমাকে স্পর্শ করে
তোমাকে সৃষ্টি করার জন্য
তুমি আমার সম্পূর্ণ উপন্যাস হবে।

আমি তোমাকে পুড়োপুড়ি নিজের করে চাই
মধ্য রাতে স্বপ্ন গুলো আশ্রয় দিয়েছ তুমি।
তুমি আমার উপন্যাস হবে
তোমাকে কোন নিয়োমের রেকে অথবা বিশাল গ্রন্থগারে
নয়।
তুমি থাকবে প্রতিটি শীরায়, নীঃশ্বাসে –
অনুভুতির সব জায়গায়।
কথা দিচ্ছি কেউ তোমাকে স্পর্শ করবেনা।

Share This
Categories
অনুগল্প

এক শ্রাবণের কথা : রাণু সরকার।

শ্রাবণের আকাশে কালো মেঘের পুঁজিতরাশি,
এই বুঝি এলো বর্ষা রাণী, স্বামী-পুত্র গেছে মাঠে,
ধেয়ে এলো ঘনকাল ও মাগো মা নিমেষে হলো এক হাঁটু জল মাঠ ঘাট হলো এক বোঝা দায়।
হায়-রে শ্রাবণের ধারা দেখো দেখো ধানের মাথা গুলো করছে যেন বিনয়ী বাতাসের তাড়নায়।

গরু-ছাগলের পাল দিচ্ছে কি হাঁক ডাক,গোগৃহ তো জলে ডুবুডুবু গা যাচ্ছে ওদের ভিঁজে। এতোগুলো গাই বাছুরের পাল রাখি কোথায়, কে যানতো এভাবে শ্রাবণেরধারা বৈবে অবিরাম।

সূর্য এই বুঝি দিলো ডুব তবে যায় না দেখা মনে হয় একটু আছে বাকি,
বোঝার কি উপায় আছে আঁধার রেখেছে যে ঘিরে।
এখনো কি পারছে না বুঝতে তারা হুঁশ নেই কি একদম,একা কি করে দেই সব সামাল বৃদ্ধা শ্বাশুড়িটাও পরে আছে বিছানায়।
দুয়ারে এক হাঁটুজল দাঁড়িয়ে দেখছি-কারুর দেখা নেই,ঘনঘন বিদ্যুতের চমকানি,
একা গৃহে ভয়ে ভয়ে প্রাণ ওষ্ঠাগত,
তাকে বলেছিলাম-বেলা না গড়ায় বাব,ছেলে এসো ফিরে তাড়াতাড়ি ঘরে, কে কার কথা শোনে,
সকাল থেকেই ছিলো মেঘেদের মুখ ভার করছিলো তারা কানাকানি।

তখনি বুঝেছি আসবে ধেয়ে নেবে সব ভাসিয়ে ক’দিন আগেই বলেছিলাম গোয়াল ঘরের চালটাতে ঘর চাপাতে হবে কানে নেয় নি কথা।

হঠাৎই কানে এলো কে যেন ডাকছে,বউঠান বাব-বেটা ফিরেছে কি ঘরে?
আমি বলি না গো দাদাঠাকুর ফেরেনি এখনো তারা।
আচ্ছা দাঠাকুর এই বর্ষার কচুপাতা মাথায় দিয়ে বেরিয়েছেন কেনো? কেনো জানো না বউঠান? আমাদের কালো গাইটা গাভিন ভীষণ ডাকছে-ওর খাবার যে নাই – কিছু ঘাস যদি পাই, এই বর্ষায় সব গেছে ডুবে কোথায় ঘাস পাবেন? দেখি হাতড়িয়ে কিছু তো পাবো- আমার কথা ছাড়ো।

দেখ দেখি কি মুশকিলের কথা,তারা কি বোঝে
না দু’কূল গেছে ভেসে, ঘরে ফিরলে খবর দিও বউঠান।
বলেছিলেম তো তারে বেলা থাকতেই যেন আসে ফিরে ঘরে।
গৃহিণীর কথা বাসি হলে লাগে কাজে।

Share This
Categories
রিভিউ

আজ ১ জুলাই, ইতিহাসের আজকের এই দিনে যা ঘটেছিল।

 

আজ ১ জুলাই। ইতিহাস  ঘেঁটে দেখা যায় বছরের প্রতিটি দিনে ঘটেছে অনেক উল্লেখযোগ্য ঘটনা। আসুন আজকের দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য কিছু বিষয় একনজরে দেখে নিই।  ইতিহাসের আজকের এই দিনে কী কী ঘটেছিল, কে কে জন্ম নিয়েছিলেন ও মৃত্যুবরণ করেছিলেন——-

 

দিবস—–

 

(ক) জাতীয় চিকিৎসক দিবস (ভারত);

(খ) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস (বাংলাদেশ)।

 

আজ যাদের জন্মদিন—-

২০০১ – চুজেন জেকবস, আমেরিকান বিনোদনকারী।

১৯০২ – উইলিয়াম ওয়াইলার, একাডেমি পুরস্কার বিজয়ী মার্কিন চলচ্চিত্র পরিচালক।

১৯০৩ – আবুল ফজল, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং রাষ্ট্রপতির শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা।

১৯০৭ – আতাউর রহমান খান, বিশিষ্ট রাজনীতিক, পার্লামেন্টারিয়ান।

১৯১৮ – আহমেদ দিদাত, দক্ষিণ আফ্রিকার লেখক ও ধর্মবেত্ত্বা এবং ভারতীয় বংশদ্ভুত জনবক্তা ও তার্কিক।

১৯২৩ – হাবীবুর রহমান, বাঙালি কবি, শিশুসাহিত্যিক ও সাংবাদিক।

১৯২৪ – অ্যান্টনি রামালেট্‌স, স্প্যানিশ ফুটবলার ।

১৯২৬ – রবার্ট ফোগেল, নোবেল পুরস্কার বিজয়ী আমেরিকান অর্থনীতিবিদ ও শিক্ষাবিদ।

১৯২৮ – মীর কাশেম খান, একুশে পদক বিজয়ী বাঙালি সেতারবাদক, সুরকার ও সঙ্গীত পরিচালক।

১৯২৯ – জেরাল্ড এডেলম্যান, নোবেল পুরস্কার বিজয়ী আমেরিকান জীববিজ্ঞানী ও চিকিৎসক।

১৯৩০ – মুস্তফা আক্কাদ, সিরীয়-আমেরিকান পরিচালক ও প্রযোজক।

১৯৩২-

ভারতীয় বাঙালি কবি, ঔপন্যাসিক ও কৃত্তিবাস পত্রিকার অন্যতম প্রথম সম্পাদক আনন্দ বাগচী।(মৃ.২০১২)

এম এন আখতার, বাংলাদেশি গীতিকার, সুরকার ও শিল্পী।

১৯৩৮ – হরিপ্রসাদ চৌরাসিয়া, বিখ্যাত ভারতীয় বাঁশী বাদক।

১৯৪০ – সৈয়দ আব্দুল হাদী, বাংলাদেশি সঙ্গীত শিল্পী।

১৯৪১ – অ্যালফ্রেড গুডম্যান গিলম্যান, নোবেল পুরস্কার বিজয়ী আমেরিকান ফার্মাকোলজিস্ট ও প্রাণরসায়নবিদ।

১৯৪৭ – আবদুল কুদ্দুস মাখন, মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, ডাকসুর সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য।

১৯৪৮ – ডলি আনোয়ার, বাংলাদেশি চলচ্চিত্র অভিনেত্রী।

১৯৫৩ – লরেন্স গঞ্জি, মল্টিয় আইনজীবী, রাজনীতিবিদ ও ১২ তম প্রধানমন্ত্রী।

১৯৫৩ – জাডরানকা কসর, ক্রোয়েশীয় সাংবাদিক ও রাজনীতিবিদ ও ৯ম প্রধানমন্ত্রী।

১৯৫৫ – লি কেকিয়াং, চীনের অর্থনীতিবিদ ও রাজনীতিবিদ।

১৯৬১ – কার্ল লুইস, মার্কিন ক্রীড়াবিদ।

১৯৬১ – প্রিন্সেস ডায়ানা, যুক্তরাজ্যের যুবরাজ্ঞী।

১৯৭৬ – রুড ভ্যান নিস্টেল্‌রয়ি, ওলন্দাজ ফুটবলার।

১৯৮৬ – আগনেজ মো, ইন্দোনেশীয় গায়ক, গীতিকার, প্রযোজক ও অভিনেত্রী।

১৮১৮ – ইগনাৎস জেমেলভাইস, হাঙ্গেরীয় চিকিৎসক ও হাত ধোয়া ব্যবস্থার প্রবর্তক।

১৮৭২ – লুই ব্লেরিওট, ফরাসি পাইলট ও প্রকৌশলী।

১৮৭৯ – লিওন জউহাউক্স, নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ফরাসি ইউনিয়ন নেতা।

১৮৮০ – অমরেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়, ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের সক্রিয় কর্মী, যুগান্তর দলের তহবিল গঠনে ভারপ্রাপ্ত ছিলেন।

১৮৮২ – ভারতরত্ন বিধানচন্দ্র রায়, চিকিৎসক ও পশ্চিমবঙ্গের দ্বিতীয় মুখ্যমন্ত্রী।

১৮৯৯ – চার্লস লটন, ইংরেজ অভিনেতা, পরিচালক, প্রযোজক ও চিত্রনাট্যকার।

১৮০৪ – জর্জ সান্ড, ফরাসি লেখক ও নাট্যকার।

১৬৪৬ – গট্‌ফ্রিড লিবনিত্স, জার্মান দার্শনিক ও গণিতবিদ।

১৫০৬ – দ্বিতীয় লুইস, হাঙ্গেরির রাজা।

১৫৩৪ – দ্বিতীয় ফ্রেডেরিক, ডেনমার্ক রাজা।

১৪৮১ – দ্বিতীয় ক্রিটিয়ান, ডেনমার্কের রাজা।

 

ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনের ঘটনাবলী—-

২০০২ – নেদারল্যান্ডসের হ্যাগে বিশ্বের প্রথম স্থায়ী আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ আদালতের কার্যক্রম শুরু।

২০১৬ – বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার গুলশানের একটি রেস্তোরায় আইএসআইএস (ইসলামিক স্টেট অব ইরাক এন্ড দ্য লেভান্ট) কর্তৃক আক্রমণ হয়।

২০১৭ – ভারতে পরোক্ষ কর পণ্য-পরিষেবা কর পদ্ধতি চালু হয়।

১৯০৬ – কানাড়া ব্যাঙ্ক ভারতের চতুর্থ বৃহত্তম ব্যাঙ্ক প্রতিষ্ঠিত হয়।

১৯০৮ – আন্তর্জাতিক আতান্তর সংকেত এসওএস চালু হয়।

১৯২১ – (ক) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়।

(খ) – কমিউনিস্ট পার্টি অব চায়না প্রতিষ্ঠিত হয়।

(গ) – নদীয়ার বড়জাগুলী তে জমিদার গোপাল সিংহের হাত ধরে বড়জাগুলী গোপাল একাডেমি স্কুল প্রতিষ্ঠা হয় , এটি নদীয়া জেলার সবচেয়ে প্রাচীন উচ্চ বিদ্যালয় ।

১৯২৯ – স্যার আবদুর রহিমকে সভাপতি, মওলানা আকরম খাঁকে সম্পাদক এবং শেরেবাংলা একে ফজলুল হককে সহ-সভাপতি করে নিখিল বঙ্গ প্রজা সমিতি গঠিত হয়।

১৯৪৭ – ব্রিটিশ পার্লামেন্টে ভারত ও পাকিস্তানের স্বাধীনতা আইন পাস করা হয়।

১৯৫৫ – ভারতের বৃহত্তম ব্যাঙ্ক স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইণ্ডিয়া তথা ভারতীয় স্টেট ব্যাংক নামে পরিচিত হয়।

১৯৬০ – ব্রিটিশ নিয়ন্ত্রিত সোমালিয়া ও ইতালি নিয়ন্ত্রিত সোমালিয়ার একীভূত হওয়ার মধ্য দিয়ে আফ্রিকার দেশ সোমালিয়া স্বাধীনতা লাভ করে।

১৯৬২ – আফ্রিকার ছোট্ট দেশ বুরুন্ডি ও রুয়ান্ডা স্বাধীনতা অর্জন করে।

১৯৬৬ – কানাডায় প্রথম রঙিন টেলিভিশন সম্প্রচারিত হয়।

১৯৬৭ – কানাডা প্রতিষ্ঠিত হয়।

১৯৯১ – বাংলাদেশে মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) চালু হয়।

১৯৯৭ – ভারতীয় উপমহাদেশের বৃহত্তম বিজ্ঞান সংগ্রহালয় ও বিজ্ঞানকেন্দ্রিক বিনোদন উদ্যান- সায়েন্স সিটি কলকাতা এর উদ্বোধন হয়।

১৮৩৫ – উইলিয়াম অ্যাডাম কর্তৃক বাংলাদেশের প্রথম শিক্ষাবিষয়ক রিপোর্ট (অ্যাডাম রিপোর্ট) পেশ করা হয়।

১৮৪৭ – মার্কিন ডাক বিভাগ প্রথম ডাক টিকিট চালু করে।

১৮৬২ – ভারতের প্রাচীনতম হাইকোর্ট কলকাতা উচ্চ আদালত বা কলকাতা হাইকোর্ট স্থাপিত হয়।

১৮৬২ – রাশিয়ার মস্কোতে রাষ্ট্রীয় গণগ্রন্থাগার প্রতিষ্ঠিত হয়।

১৮৬৩ – আমেরিকায় গৃহযুদ্ধ (গ্যাটিসবার্গ যুদ্ধ) শুরু হয়।

১৮৬৭ – কানাডা ব্রিটিশ উপনিবেশ থেকে স্বাধীনতা লাভ করে।

১৮৭৯ – অবিভক্ত ভারতে প্রথম পোস্টকার্ড চালু হয়।

 

এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন যারা—-

২০০০ – ওয়াল্টার ম্যাথাউ, মার্কিন অভিনেতা ও কৌতুকাভিনেতা।

২০০১ – নিকোলাই গেন্নাদিয়েভিচ বাসভ, নোবেল পুরস্কার বিজয়ী রাশিয়ান পদার্থবিদ।

২০০৪ – মার্লোন ব্রান্ডো, অস্কার পুরস্কার বিজয়ী মার্কিন চলচ্চিত্র অভিনেতা।

২০০৪ – পিটার বার্নেস, ইংরেজ লেখক।

২০০৬ – ফ্রেড ট্রুম্যান, ইংরেজ ক্রিকেটার, লেখক এবং ধারাভাষ্যকার।

২০০৬ – রয়ুটারো হাশিমটো, জাপানি রাজনীতিবিদ ও ৫৩ তম প্রধানমন্ত্রী।

২০০৯ – কার্ল মালডেন, মার্কিন অভিনেতা।

২০১৫ – নিকোলাস ওয়িন্টন, ইংরেজ লেফটেন্যান্ট ও মানবিক।

২০২০ – লতিফুর রহমান, বাংলাদেশি শিল্পপতি ও ট্রান্সকম গ্রুপের চেয়ারম্যান।

১৯৬২ – ভারতরত্ন বিধানচন্দ্র রায়, ভারতীয় চিকিৎসক, পশ্চিমবঙ্গের দ্বিতীয় মুখ্যমন্ত্রী।

১৯৬৫ – ওয়ালি হ্যামন্ড, ইংল্যান্ডের টেস্ট ক্রিকেটার এবং অধিনায়ক।

১৯৭১ – উইলিয়াম লরেন্স ব্র্যাগ, অস্ট্রেলীয় বংশোদ্ভুত ব্রিটিশ পদার্থবিজ্ঞানী।

১৯৭১ – লিয়ারি কনস্ট্যান্টাইন, ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেট খেলোয়াড়, আইনজীবী ও রাজনীতিবিদ।

১৯৭৪ – হুয়ান পেরোন, আর্জেন্টিনা ররাষ্ট্রপতি।

১৯৯৬ – মার্গো হেমিংওয়ে, মার্কিন ফ্যাশন মডেল ও অভিনেত্রী।

১৯৯৭ – রবার্ট মিচাম, মার্কিন অভিনেতা, চলচ্চিত্র পরিচালক, লেখক, কবি, সুরকার ও গায়ক।

১৯৯৯ – সিলভিয়া সিডনি, মার্কিন অভিনেত্রী।

১৮৩৯ – দ্বিতীয় মাহমুদ, উসমানীয় খলিফা ও ৩০তম উসমানীয় সুলতান।

১৮৯৬ – হ্যারিয়েট বিচার স্টো, মার্কিন লেখিকা এবং দাসপ্রথা বিলোপ আন্দোলনের সক্রিয় কর্মী।

১৭৮৪ – উইলহেম ফ্রিয়ডেমন ব্যাচ, জার্মান অর্গানবাদক ও সুরকার।

১২৭৭ – বাইবার্স‌, মিশরীয় সুলতান।

১২৪২ – চাগাতাই খান, মঙ্গোল শাসক।

 

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

আজ জাতীয় চিকিৎসক দিবস, জানুন কেন পালিত হয় এবং দিনটির গুরুত্ব।

চিকিৎসা ক্ষেত্রে ডাক্তাররা সমাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছেন। সমাজে তাদের আবাদান অনস্বীকার্য। ঈশ্বরের পরে আমরা ডাক্তারদের স্থান দিয়ে থাকি।  ডাক্তাররা দেশের এমন এক সৈনিক, যারা সীমান্তে যুদ্ধ করে না কিন্তু জীবন বাঁচাতে এবং জীবনকে ঝুঁকির মধ্যে রেখে মানুষের আয়ু বাড়াতে নিবেদিতপ্রাণ কাজ করে।  জাতীয় চিকিৎসক দিবস হল এমন একটি দিন যা ব্যক্তিগত জীবন ও সম্প্রদায়ের জন্য চিকিৎসকদের অবদানকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য উদযাপিত হয়। কিছু দেশে দিনটিকে ছুটির দিন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। তবে দিনটিতে ডাক্তার ও স্বাস্থ্য কর্মীদের সম্মান জানাতে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।  জাতীয় ডাক্তার দিবসের এই বছরের থিম হল “সেলিব্রেটিং রেজিলিয়েন্স অ্যান্ড হিলিং হ্যান্ডস”৷ এই বছরের থিমের মাধ্যমে, আমরা সেই চিকিৎসক পেশাদারদের উদযাপন করতে চাই যারা মহামারীর কারণে কঠিন সময়ের মুখোমুখি হয়ে কঠোর পরিশ্রম করেছেন৷

ভারতে জাতীয় চিকিৎসক দিবসের ইতিহাস—

ভারতে, স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে তাঁর অবদানের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ডাঃ বিধান চন্দ্র রায়ের সম্মানে ১৯৯১ সালের ০১শে জুলাই প্রথম জাতীয় ডাক্তার দিবস পালন করা হয়েছিল।  ডাঃ বি.সি.  রয়, ১৮৮২ সালের ০১শে জুলাই জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৬২ সালের ০১ জুলাই মৃত্যুবরণ করেন, একটি অদ্ভুত কাকতালীয় ঘটনা।

ডঃ বিধান চন্দ্র রায়  একজন সুপরিচিত ডাক্তার, শিক্ষাবিদ, মুক্তিযোদ্ধা, সমাজসেবক এবং রাজনীতিবিদ ছিলেন।  তিনি ১৯৮৪ থেকে ১৯৬২ সাল পর্যন্ত ১৪ বছর পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীও ছিলেন। ০৪ ফেব্রুয়ারি ১৯৬১ তারিখে তিনি ভারতের সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার “ভারত রত্ন” লাভ করেন।  তিনি মানুষের জন্য তার জীবন দিয়েছেন, অনেক ব্যক্তির চিকিৎসা করেছেন এবং লক্ষ লক্ষ মানুষকে অনুপ্রাণিত করেছেন।  তিনি মহাত্মা গান্ধীর ব্যক্তিগত চিকিৎসকও ছিলেন।

১৯৭৬ সালে, B.C.  চিকিৎসা, বিজ্ঞান, পাবলিক অ্যাফেয়ার্স, দর্শন, শিল্প ও সাহিত্যের ক্ষেত্রে কাজ করা বিশিষ্ট ব্যক্তিদের স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য তাঁর স্মরণে রায় জাতীয় পুরস্কারও প্রতিষ্ঠিত হয়।

জাতীয় চিকিৎসক দিবসের তাৎপর্য—

সমাজে চিকিৎসকদের ভূমিকার গুরুত্বকে স্বীকৃতি দিতে এবং উপলব্ধি করতে ভারতে জাতীয় ডাক্তার দিবস পালিত হয়েছে।  এটি সাধারণ জনগণকে ডাক্তারদের দ্বারা রোগীর যত্নের প্রতি গুরুত্ব, গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা এবং দায়িত্বগুলি জানতে সহায়তা করে।

এই বিশেষ দিনে, প্রত্যেক ভারতীয়ের দক্ষ চিকিৎসা বিশেষজ্ঞদের নিয়ে গর্ব বোধ করা উচিত যারা তাদের দেশের স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য তাদের জীবন উৎসর্গ করেন এবং চিকিৎসা জরুরী পরিস্থিতিতে তাদের প্রচেষ্টা ও অবদানের জন্য কৃতজ্ঞ হন।

প্রতিটি ভারতীয় নাগরিককে অবশ্যই শ্রদ্ধা জানাতে হবে এবং চিকিৎসা জরুরী অবস্থা এবং মহামারী পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে সাধারণ জনগণকে সহায়তা করার জন্য প্রতিটি ডাক্তারের প্রচেষ্টার প্রশংসা করতে হবে।  COVID-19 মহামারী চলাকালীন চিকিৎসা কর্মীদের (ডাক্তার এবং নার্স) বীরত্বপূর্ণ প্রচেষ্টা অক্ষয়, যদিও আজ বিশ্ব করোনাভাইরাস মুক্ত।

ডাক্তারদের গুরুত্ব ও ভূমিকা—

 

সমাজে ডাক্তারদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে;  তারা রোগীদের সুস্থতার জন্য তাদের জীবন উৎসর্গ করে, রোগ বা অবস্থা থেকে দ্রুত পুনরুদ্ধারে সহায়তা করে এবং তাদের জীবনযাত্রার মান উন্নত করে।  তারা চিকিৎসা বিজ্ঞানকে ব্যাপকভাবে বোঝে এবং রোগীদের চিকিৎসার অবস্থার চিকিৎসা এবং আয়ু বাড়ানোর জন্য তাদের জ্ঞানকে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ করে।

এমন অনেক ঘটনায় যেখানে রোগী ও তাদের স্বজনদের দ্বারা আক্রান্ত হয়েও চিকিৎসকরা হাল ছাড়েননি।  সাধারণ জনগণের জন্য তাদের চিকিৎসা সেবা অব্যাহত রেখেছে।  তাদের অবদান ও অক্লান্ত পরিশ্রম কেউ ভুলতে পারবে না।

ইতিহাস—-

প্রথম ডাক্তার দিবস পালন করা হয়েছিল ২৮ মার্চ, ১৯৩৩, উইন্ডার, জর্জিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে।  এই প্রথম পালনের মধ্যে ছিল চিকিত্সক এবং তাদের স্ত্রীদের কাছে কার্ড পাঠানো, ডক্টর লং সহ মৃত ডাক্তারদের কবরে ফুল দেওয়া এবং ডক্টর এবং মিসেস উইলিয়াম টি. র্যান্ডলফের বাড়িতে একটি আনুষ্ঠানিক নৈশভোজ।  ব্যারো কাউন্টি অ্যালায়েন্স চিকিৎসকদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে মিসেস অ্যালমন্ডের প্রস্তাব গৃহীত হওয়ার পরে, ব্যারো কাউন্টি অ্যালায়েন্সের সভাপতি মিসেস ই.আর. হ্যারিস অফ উইন্ডার দ্বারা ১৯৩৩ সালে জর্জিয়া স্টেট মেডিকেল অ্যালায়েন্সের কাছে পরিকল্পনাটি উপস্থাপন করা হয়েছিল।  ১০ মে, ১৯৩৪-এ, অগাস্টা, জর্জিয়ার বার্ষিক রাষ্ট্রীয় সভায় প্রস্তাবটি গৃহীত হয়েছিল।  সাউদার্ন মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের উইমেনস অ্যালায়েন্সের কাছে প্রস্তাবটি পেশ করা হয়েছিল তার ২৯তম বার্ষিক সভায় সেন্ট লুইস, মিসৌরিতে, ১৯-২২ নভেম্বর, ১৯৩৫, অ্যালায়েন্স প্রেসিডেন্ট মিসেস জে বোনার হোয়াইট দ্বারা।  সেই থেকে, ডাক্তার দিবস সাউদার্ন মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন অ্যালায়েন্সের অবিচ্ছেদ্য অংশ এবং সমার্থক হয়ে উঠেছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সিনেট এবং প্রতিনিধি পরিষদ পাস করেছে S.J.  RES  #৩৬৬ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ১০১তম কংগ্রেসের সময়, যা রাষ্ট্রপতি বুশ ৩০ অক্টোবর, ১৯৯০ তারিখে স্বাক্ষর করেছিলেন (পাবলিক ল ১০১-৪৭৩ তৈরি করে), ৩০ মার্চ পালিত হবে এমন একটি জাতীয় ছুটি হিসাবে ডাক্তার দিবসকে মনোনীত করে।
ডাঃ মেরিয়ন মাস ডঃ কিম্বার্লি জ্যাকসন এবং ডাঃ ক্রিস্টিনা ল্যাং এর সাথে আনুষ্ঠানিকভাবে চিকিৎসক দিবসকে  চিকিৎসক সপ্তাহে পরিবর্তিত করার জন্য আবেদন করেছেন।  এটি মার্চ ২০১৭ এ গৃহীত হয়েছিল।
২০১৭ সালে ফিজিশিয়ান ওয়ার্কিং টুগেদার (PWT, ডক্টর কিম্বার্লি জ্যাকসন প্রতিষ্ঠিত) কেভিনএমডি-তে আয়োজিত জাতীয় চিকিৎসক সপ্তাহ উদযাপনের জন্য নিবন্ধের একটি সিরিজ স্পনসর করেছে।  ২০১৮ সালে PWT ওপেনক্সমেডের সাথে চিকিৎসকের সুস্থতা এবং অ্যাডভোকেসির উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে একটি বিনামূল্যের অনলাইন কনফারেন্স স্পনসর করেছে।  ২০১৯ সালে, PWT এবং Openxmed মেডিকেল ছাত্র এবং বাসিন্দাদের জন্য একটি স্কলারশিপ প্রোগ্রাম স্পনসর করেছে।  সপ্তাহব্যাপী ইভেন্টটি চিকিৎসক সম্প্রদায়কে সমর্থন এবং সমর্থন করার উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে।

 

বিভিন্ন দেশে উদযাপন—

 

তবে  জাতীয় চিকিৎসক দিবস পালনের তারিখ বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন সময়ে পালিত হয়। এক ই তারিখে সকল দেশে পালিত হয় না। যেমন—

ব্রাজিল–

ব্রাজিলে, জাতীয় ডাক্তার দিবস ১৮ অক্টোবর ছুটির দিন হিসেবে পালিত হয়, যেদিন ক্যাথলিক চার্চ সেন্ট লুকের জন্মদিন উদযাপন করে।  গির্জার ঐতিহ্য অনুসারে প্রেরিত এবং ধর্মপ্রচারক সেন্ট লুক একজন ডাক্তার ছিলেন, যেমনটি নিউ টেস্টামেন্টে লেখা আছে (কলোসিয়ান ৪:১৪)।

কানাডা—

জাতীয় চিকিৎসক দিবস ১ মে কানাডায় পালিত হয়। তারিখটি কানাডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন দ্বারা কানাডায় অনুশীলন করা প্রথম মহিলা চিকিৎসক ডঃ এমিলি স্টো-এর স্বীকৃতিতে বেছে নেওয়া হয়েছিল।

 

অস্ট্রেলিয়া—

অস্ট্রেলিয়াতে, বিভিন্ন তারিখে জাতীয় ডাক্তার দিবস স্বীকৃত হতে পারে, সবচেয়ে বেশি অংশগ্রহণ করা হয় ৩০ শে মার্চ।

চীন—

চাইনিজ ডক্টরস ডে বার্ষিক ১৯ আগস্ট চীনে একটি জাতীয় ছুটির দিন হিসেবে পালিত হয়।  তারিখটি গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের ন্যাশনাল হেলথ অ্যান্ড ফ্যামিলি প্ল্যানিং কমিশন (পিআরসি) দ্বারা ২০১৬ সালের চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য ও সুস্থতা সম্মেলনে নির্বাচিত হয়েছিল এবং ২০ নভেম্বর, ২০১৭ পিআরসি-এর স্টেট কাউন্সিল দ্বারা অনুমোদিত হয়েছিল। এর তাৎপর্য  চীনা ডাক্তার দিবস হল তাদের সম্প্রদায় এবং সমাজে চীনা ডাক্তারদের মহান অবদানকে স্বীকৃতি দেওয়া, স্বাস্থ্যকর্মীদের ইতিবাচকভাবে ‘জীবনের প্রতি শ্রদ্ধা, আহতদের নিরাময় এবং মৃত ব্যক্তিদের বাঁচানোর, অবদান রাখতে ইচ্ছুক হওয়া এবং ভালোবাসা ছাড়াই’ মহৎ মনোভাব পোষণ করতে উত্সাহিত করা।

তুরস্ক—

তুরস্কে, ১৯১৯ সাল থেকে প্রতি বছর ১৪ মার্চ মেডিসিন দিবস হিসেবে পালিত হয়।

যুক্তরাষ্ট্র—

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে, জাতীয় চিকিৎসক দিবস হল এমন একটি দিন যেখানে চিকিৎসকদের দেশের প্রতি বার্ষিক পরিষেবা স্বীকৃত হয়।  ডক্টর চার্লস বি. অ্যালমন্ডের স্ত্রী ইউডোরা ব্রাউন অ্যালমন্ড থেকে ধারণাটি এসেছে এবং যে তারিখটি বেছে নেওয়া হয়েছে সেটি ছিল অস্ত্রোপচারে সাধারণ অ্যানেস্থেশিয়ার প্রথম ব্যবহারের বার্ষিকী।

নেপাল—

নেপালও ২০ ফাল্গুন (৪ মার্চ) নেপালী তারিখে নেপালী জাতীয় ডাক্তার দিবস উদযাপন করে।  নেপাল মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন প্রতিষ্ঠার পর থেকে নেপাল প্রতি বছর এই দিবসের আয়োজন করে আসছে।  ডাক্তার-রোগীর যোগাযোগ, ক্লিনিকাল চিকিৎসক এবং সম্প্রদায়-ভিত্তিক স্বাস্থ্য প্রচার এবং যত্ন নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।

এই ভাবে আরো দেশ গুলিতে ভিন্ন তারিখে পালন করা হয় জতিয় চিকিৎসক দিবস। তবে যে দেশে যে তারিখেই পালন হোক না কেনো, এই দিনটি পলের মূল উদ্দেশ্য ই হল ডাক্তারদের সম্মান জানানো।

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This