Categories
প্রবন্ধ

শিবরাম রাজগুরু; ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের বিশিষ্ট বিপ্লবী।

ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন ছিল কিছু মানুষের অব্যর্থ পরিশ্রম যার ফলেই ব্রিটিশদের থেকে ভারত রাজনৈতিক দিক থেকে মুক্তি পেয়েছে। ভারত উপমহাদেশের বিংশ শতাব্দীতে ব্রিটিশ সম্রাজ্যবাদ বিরোধী যে সশস্ত্র বিপ্লববাদী লড়াই-সংগ্রাম সংগঠিত হয় এবং যার ধারাবাহিকতায় ভারত স্বাধীন হয়, তার মূলে যে সকল বিপ্লবীর নাম সর্বজন স্বীকৃত তাঁদের মধ্যে শিবরাম রাজগুরু প্রথমসারির একজন অন্যতম বিপ্লবী ছিলেন। শিবরাম রাজগুরু ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনে এক উল্লেখযোগ্য নাম, যিনি দেশমতৃকার শৃঙ্খল মুক্তির জন্য নিজেকে সঁপে দিয়েছিলেন সম্পূর্ণ রূপে।মৃত্যুর সময় রাজগুরুর বয়স ছিল বাইশ বছর মাত্র। পাঞ্জাবের ফিরোজপুর জেলার শতদ্রু নদীর তীরে হুসেইনিওয়ালা গ্রামে তাঁদের মৃতদেহ চরম গোপনীয়তায় দাহ করা হয়।

 

শিবরাম হরি রাজগুরু ( ২৪ আগস্ট ১৯০৮ – ২৩ মার্চ ১৯৩১) ছিলেন মহারাষ্ট্র (তৎকালীন বোম্বে প্রেসিডেন্সি) থেকে একজন ভারতীয় বিপ্লবী, যিনি মূলত জন সন্ডার্স নামে একজন ব্রিটিশ পুলিশ অফিসারকে হত্যার সাথে জড়িত থাকার জন্য পরিচিত।  তিনি হিন্দুস্তান সোশ্যালিস্ট রিপাবলিকান অ্যাসোসিয়েশন (এইচএসআরএ) এর একজন সক্রিয় সদস্য ছিলেন এবং ২৩ মার্চ ১৯৩১ তারিখে, তাকে তার সহযোগী ভগত সিং এবং সুখদেব থাপার সহ ব্রিটিশ সরকার ফাঁসিতে ঝুলিয়েছিল। শিবরাম হরি রাজগুরু  ছিলেন ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের চরমপন্থী বিপ্লবী হিসাবে পরিচিত নাম।

 

প্রারম্ভিক জীবন—

 

রাজগুরু ১৯০৮ সালের ২৪ আগস্ট খেদে (মা পার্বতী দেবী এবং বাবা হরিনারায়ণ রাজগুরুর) নামক স্থানে একটি মারাঠি দেশস্থ ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।  খেদ পুনের কাছে ভীমা নদীর তীরে অবস্থিত ছিল।  মাত্র ছয় বছর বয়সে তার বাবা মারা যান এবং পরিবারের দায়িত্ব এসে পড়ে তার বড় ভাই দিনকরের ওপর।  তিনি খেদে প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করেন এবং পরে পুনের নিউ ইংলিশ হাই স্কুলে অধ্যয়ন করেন।  অল্প বয়সেই তিনি সেবাদলে যোগ দেন।  তিনি ঘাটপ্রভা-এ ড. এন.এস. হার্দিকার দ্বারা পরিচালিত একটি প্রশিক্ষণ শিবিরে যোগ দিয়েছিলেন। তিনি তরুণ বয়সে আর এস এস’এ যোগ দেন।

 

বৈপ্লবিক ক্রিয়াকলাপ—

 

রাজগুরু সংস্কৃতের মেধাবী ছাত্র ছিলেন ।ছাত্রাবস্থাতেই তিনি দেখেছিলেন ভারতের জনগণের ওপর ব্রিটিশদের অন্যায়, বঞ্চনা আর অত্যাচার। তার এই অভিজ্ঞতা থেকেই তিনি স্বাধীনতা সংগ্রামে যোগ দিতে প্রস্তুত হন।চন্দ্রশেখর আজাদের জ্বালাময়ী বক্তৃতা শুনে যে কোন মূল্যে দেশকে ব্রিটিশ শাসন হতে মুক্ত করতে গঠিত হিন্দুস্তান সোশ্যালিস্ট  রিপাবলিকান অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য হয় যান। তিনি চেয়েছিলেন যে কোনো উপায়ে ভারতকে ব্রিটিশ রাজ থেকে মুক্ত করা হোক।

রাজগুরু ভগত সিং ও সুখদেব থাপারের সহকর্মী হয়ে ওঠেন এবং ১৯২৮ সালের ১৭ ডিসেম্বর লাহোরে একজন ব্রিটিশ পুলিশ অফিসার জেপি “জন” সন্ডার্সের হত্যাকাণ্ডে অংশ নিয়েছিলেন। তাদের ক্রিয়াকলাপ ছিল লালা লাজপত রাইকে মারধরের প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য।  সাইমন কমিশনের প্রতিবাদ করার সময় একটি মিছিলে;  লালা লাজপত রায় সন্ডার্স হত্যার এক পাক্ষিক পর মারা যান।

 

HSRA-এর সক্রিয় সদস্য হওয়ার পর, তিনি সুখদেব থাপার এবং ভগৎ সিং-এর আদর্শের সাথে নিজেকে যুক্ত করেন।  তিনি ১৭ ডিসেম্বর, ১৯২৮ তারিখে লাহোরে একজন ব্রিটিশ সহকারী পুলিশ সুপার জন সন্ডার্সকে হত্যায় অংশ নিয়েছিলেন। এই তিনজন লালা লাজপত রায়ের প্রতিশোধ নিতে পদক্ষেপ নিয়েছিলেন, যিনি সাইমন কমিশনের প্রতিবাদে একটি সমাবেশে পুলিশের মারধরের কারণে এক পাক্ষিক পরে মারা গিয়েছিলেন।
হিন্দুস্তান সোশ্যালিস্ট  রিপাবলিকান অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য হওয়ার পরে এখানেই ভগৎ সিং এবং সুখদেবের সাথে পরিচয় হয়। রাজগুরু, ভগৎ সিং, চন্দ্রশেখর আজাদ এবং জয়গোপাল মিলে ১৯২৮ খ্রিস্টাব্দের ১৭ ই ডিসেম্বর লাহোরে ব্রিটিশ পুলিশ অফিসার জে পি স্যান্ডার্সের হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটান। যদিও তাঁদের লক্ষ্য ছিলেন পুলিশ অফিসার জে.এ.স্কট,কিন্তু এই ঘটনায় স্যান্ডার্সের মৃত্যু হয়। লালা লাজপতের ওপর নৃশংস লাঠি প্রয়োগের আদেশ দিয়েছিলেন স্কট। আসলে এটি বিপ্লবী লালা লাজপত রায়ের সাইমন কমিশনের বিরুদ্ধে আন্দোলনের সময় পুলিশি লাঠিচার্জে রক্তক্ষরণ হয়ে মৃত্যুর প্রতিক্রিয়া ছিল।
১৯২৯ খ্রিস্টাব্দের ১০ ই জুলাই লাহোর ষড়যন্ত্র মামলায় ভগৎ সিং, রাজগুরু, সুখদেব সহ একুশ জন ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে মামলা শুরু হল। তিনজনই দোষী সাব্যস্ত হন।

 

ফাঁসি—

 

১৯৩১ খ্রিস্টাব্দের ২৪ শে মার্চ ফাঁসি আদেশ দেওয়া হয়। ওইবছরই ২৩ শে মার্চ নির্দিষ্ট দিনের একদিন আগে তিনজন বিপ্লবীর ফাঁসি হয়। বিপ্লবী স্বাধীনতা সংগ্রামী ভগৎ সিং এবং সুখদেবের সাথে, রাজগুরুকেও ব্রিটিশ সরকার ফাঁসিতে ঝুলিয়েছিল। সমগ্র জাতি দেশের জন্য তাদের আত্মত্যাগকে স্মরণ করে কারণ ২৩ শে মার্চ প্রতি বছর শহীদ দিবস হিসাবে পালন করা হয়।
তার সম্মানে, খেদের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় রাজগুরুনগর, এখন পুনের খেদ তহসিলের একটি সেন্সাস টাউন।  শহিদ রাজগুরু কলেজ অফ অ্যাপ্লাইড সায়েন্সেস ফর উইমেনও দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি অংশ দিল্লির বসুন্ধরা এনক্লেভে তৈরি করা হয়েছিল।

।।তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

ত্রিলোকনাথ; তুমি আছ বিশ্বনাথ অসীম রহস্যমাঝে : শীলা পাল।

অনেক অনেকবছর আগে প্রায় চল্লিশ বছর তো হবেই ।তখন লাহুল স্পিতি উপত্যকা আমাদের কাছে একটা রহস্যময় অচেনা জগতের মতো ছিল।তবু ভবঘুরে মন আর পায়ের তলায় সরষে ।তাই বছরের কোনও না কোনও সময়ে হিমালয়ের ডাক কানে এসে পৌঁছতো আর আমরা ছয়জনের যে দলটি লোটা কম্বল নিয়ে  সব সময় রেডি থাকতাম বেরিয়ে পড়তাম।সেই বছর ত্রিলোকনাথ যেন আমাদের ডাক পাঠালেন।ব্যাস আমাদের প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেল।সেপ্টেম্বর মাস এমনিতেই বাতাসে শারদীয়ার সুর
আমরা চললাম মানালির উদ্দেশ্যে ।ওখান থেকেই যাত্রা শুরু করতে হবে।সেই সময়ের মানালি যেন কুমারী সুন্দরী।কী তার রূপ সবুজে শ্যামলে পাহাড়ে নদীতে যেন রূপসী অপ্সরা।আর তেমন পথঘাট সেইরকম সুন্দর ওখানকার লোকজন ।চোখফেরানো যায় না এমন সব রমণীয় রমণীদের পথে ঘাটে দেখি আর বিস্ময়ে তাকিয়ে থাকি।আমাদের একসঙ্গী সবে কলেজে ঢুকেছে তার চোখে ঘোর ।ওকে নিয়ে কি মজাটাই করেছি আমরা দুই সখী স্বপ্না আর আমি।বিপাশার কলকল ধ্বনি প্রথম দিনেই আমাদের মন জয় করে নিল।কীভীষন ভালো লাগায় মন ভরে গেল যেন।প্রাথমিক কিছু রসদ কেনাকাটা করা হল।চাল ডাল ফল সব্জি ইত্যাদি এটা আমাদের পাহাড়ি পথে সবসময়ই মজুত রাখা হয়।অভ্যাস অনেক রকম অভিজ্ঞ।তা থেকে বুঝেছি এটা সঙ্গে থাকলে রাস্তাতেও দিন কাটানো যায় ।পাহাড়ের রাস্তা বড়ই খতরনক ।মানালী থেকে বাস ছাড়লো সকাল আটটায় ।বিপাশাকে বাঁয়ে রেখে যাত্রা শুরু ।পাহাড়ি পথে পাক খেতে খেতে বাস এগিয়ে চলে।উৎসুক মন কখন রোটাংপাস দেখবো।ভয়ংকর রোটাং  হিমশীতল রোটাং।কিন্তু রোটাংপাস এ পৌঁছে মন ভরলো না।রিক্ত রুক্ষ কঠোর কেমন যেন সর্বস্ব হারা রূপ ।রোটাংপাস থেকে অনেকটা পথ নেমে প্রায় বারোটার সময় এসে পৌঁছলাম চন্দ্র নদীর তীরে খোকসারে।এখানে হিমালয় যেন গৈরিক সন্ন্যাসী ।ভাবগম্ভীর প্রশান্তিময় মৌন গিরিরাজ।
খোকসার থেকে রাস্তা দু ভাগে ভাগ হয়ে গেছে ।একটি চন্দ্র নদীর উৎস অভিমুখে অন্য টি আমরা যে পথে যাবো ত্রিলোকনাথ এর দিকে যে পথে আমরা যাবো।
খোকসারের প্রণাম জনপদ শিশু।শিশু নামের বিশেষত্ব ছড়ানো আছে পাহাড়ের গায়ে গায়ে ।কোন্ অদৃশ্য নিপুন হাতে রোপিত অজস্র শিশুগাছের শ্যামল বনানী ।বাস রাস্তার নীচে র দিকে অনেক বর্ধিষ্ণু পাহাড়ি গ্রাম ।ক্ষেতে ক্ষেতে সর্বত্র ই ফসল তোলার সাড়া ।আসন্ন শীতের জন্য এই তোড়জোড় ।শীত এদের কাছে বিভীষিকা ।তাই চাষবাস পশুপালন শীতের আগেই সঞ্চয় করার অভ্যাস বা রীতি নিয়ম সবকিছু ।ছোট ছোট অনেক জনপদ পেরিয়ে বেলা তিনটে নাগাদ এসে পৌঁছলাম তান্ডি তে।এখানে  ভাগা নদী মিলিত হয়েছে চন্দ্র নাম হয়েছে চন্দ্রভাগা।নদীর জল ঘন নীল ।পুরো রাস্তা টাই কাঁচা তান্ডি থেকে।সংকীর্ণ এবড়োখেবড়ো পথ তার মধ্যে ই বড়বড় লরি চলাচল করছে।বেশ ভয়ে ভয়ে এই রাস্তা পার হয়েছি ।থিরোট হুয়ে কীর্তিং প্রায় পাঁচটা নাগাদ এসে পৌঁছলাম ।রাস্তার ওপরেই লোকালয় ।জায়গা টি বেশ জনবহুল ।সামনেই চা আর পকৌড়ার দোকান।গোবিন্দ চেঁচিয়ে উঠল ফুলকাকা সামনেই চা আর পাকৌড়া নামুন  নামুন ।আমরা সবাই হুড়মুড়িয়ে বাস থেকে নামলাম। উফ্ একটানা বাসের গোঁ গোঁ আওয়াজ মাথা যেন কাজ করছে না ।মুক্ত হাওয়ায় চা টা খেয়ে বেশ ভালো লাগছে।এমন সময়  মি ঠাকুর নামে এক ভদ্রলোক পাশেই তার বাড়ি আমাদের ডাকলেন নিজের হাতে আপেল পাড়ার জন্য ।কী অপূর্ব তার বাগান।ওইটুকু সময়ের মধ্যে তাঁর বাড়ি বাগান ঘুরে এত্তো আপেল নিয়ে বাসে উঠলাম ।কি খুশী ওনার চোখে মুখে ।এরকম আন্তরিক মধুর ব্যবহার আমাদের চিরদিন মনে থাকবে।চলার পথে এগুলো ই পাথেয় ।সন্ধ্যে সাতটা নাগাদ ধূলিধূসরিত আমরা এসে হাজির হলাম চন্দ্র ভাগা উপত্যকার উদয়পুরে।রাস্তার ওপরেই পি ডব্লিউ ডির সুন্দর সাজানো বাংলো।জায়গাটা যেমন সুন্দর তেমনি নির্জন ।সামনেই চন্দ্র ভাগা চাঁদের আলোয় ঝলমল করছে ।মনোরম এই পরিবেশ আমাদের সব ক্লান্তি কোথায় মিলিয়ে গেল।স্বপ্না কি সুন্দর করে গাইল -পূর্ণ চাঁদের মায়ায় আজি ভাবনা আমার পথ ভোলে ।সব অবসাদ মুহূর্তে মুছে গেল ।
পরের দিন সকালে ত্রিলোকনাথ দর্শন ।উদয়পুর থেকে প্রায়  নয় কিলোমিটার ।ভোরের পাহাড় যে কি স্নিগ্ধ হয় মনে যেন কি শাস্তি আসে।চন্দ্রভাগার উপর সেতু পার হয়ে শুরু পাহাড়ি পাকদণ্ডি পথ।সেতুর ওপর দাঁড়িয়ে মনে হল যেন তুষার শৃঙ্গের মুকুট পরে চন্দ্রভাগা উপত্যকা যেন তার সমস্ত সৌন্দর্য মেলে ধরেছে।একটা সরু নালার পাশ দিয়ে খুব পিচ্ছিল ভাঙাচোরা পথ।মাঝে মাঝে চড়াই ভেঙে দু তিনটে ছোট ছোট পাহাড় পেরিয়ে হঠাৎ দূর থেকে দেখতে পেলাম আমাদের বহু আকাঙ্ক্ষিত ত্রিলোকনাথ মন্দির ।জায়গাটির নাম ত্রিলোকনাথ ।পাহাড়ের মাথায় জনবসতির একপাশে দেবালয় ।এখানে দেবতা রুদ্ধ দ্বারে বসে নেই একান্ত আপনজনের মতো সকলের সাথে মিশে রয়েছেন।মন্দির প্রাঙ্গণে দেখা হল এখানকার অধিবাসীদের সাথে।পরদেশি দেখে সবাই  ভীড় করে এলো।কি হাসিখুশি সহজ সরল মানুষ গুলি মন্দিরের সামনেরঅংশটি ভেঙে গেছে।তিব্বতি ধাঁচের  মন্দির ।ভাঙা অংশ টি পেরিয়ে আমরা জুতো মোজা খুলে মন্দিরের ভেতরে প্রবেশ করলাম ।অসংখ্য প্রদীপের আলোয় মন্দির আলোকিত ।মৌণ মন্দির অভ্যন্তরে পুজোর আয়োজনে ব্যস্ত কয়েক জন পাহাড়ি মেয়ে।এখানে সকলেই বৌদ্ধধর্মালম্বী।বুদ্ধকে স্মরণ করেই ত্রিলোকনাথ দেবের পুজো নিবেদিত হয়।ত্রিলোকনাথের মাহাত্ম্য এবং কিংবদন্তী অনেক  আছে।এই মুর্তিটি  অনেকবার চুরি করার চেষ্টা করা হয়েছে ।একবার কুলুর রাজা সেনা পাঠিয়ে বিগ্রহ তুলে নিয়ে যেতে চেয়েছিলেন কিন্তু কিছুতেই পারেন নি।এখনও নাকি মুর্তিটির ডান পায়ের নীচে তরোয়ালের দাগ দেখা যায় ।আমরা পুজো দেওয়ার জন্য পুরোহিতের খোঁজ করতে জানলাম উনি বাইরে আছেন ।পুরোহিতের ছেলে আমাদের পুজো নেবে।অর্ঘ্য  তো সামান্য ।কিছু ধূপের বান্ডিল আর নতুন কাপড়ের টুকরো।ভগবান বুদ্ধের চরণে এই সামান্য ডালি নিবেদন করে ডক্তিভরে সবাই  প্রণাম করলাম ।তারপর পুরোহিতের কানে কানে আমাদের মনোবাঞ্ছা জানালাম ।আমরা এক বিখ্যাত হিমালয়প্রেমীর কাছে যা জেনেছিলাম ।পুরোহিত একবার চকিতে চারিদিক দেখে নিল।মন্দির পুরো ফাঁকা ।ইসারায় আমাদের একদম বিগ্রহের সামনে নিয়ে গেল।অজস্র পাথর মনি মুক্তোর মালা তুলে উন্মোচন করলো পুরো মুর্তিখানি।কোথায় গেল সেই সৌম্য শান্ত বুদ্ধ এ যে ভুবন ভোলানো নৃত্যরত নটরাজ! এমন সৌম্য রূপের সঙ্গে সংহার রূপের মিলন ।আমরা বিমোহিত হতবাক।প্রতিটি আঙুলের মুদ্রা আর ভঙ্গিমা  এতো ছন্দময় এতো প্রাণবন্ত যেন স্বয়ং নটরাজ নৃত্যরত বালকের মতো আমাদের সামনে এসে দাঁড়িয়ে আছেন ।ধন্য আমরা।ধন্য আমাদের ত্রিলোকনাথ দর্শন ।জয় ত্রিলোকনাথ ।তুমি আছ বিশ্বনাথ অসীম রহস্য মাঝে।
একরাশ আনন্দ নিয়ে ফিরে এলাম উদয়পুর ।বেলা একটা নাগাদ ।চাল ডাল সামনের চায়ের  দোকানে দিয়ে সুন্দর খিচুড়ি আর ওখানকার সুস্বাদু আলু ভাজি আমাদের দুর্দান্ত লাঞ্চ হয়ে গেল।কিছুক্ষণ এখানকার লোকজনদের সঙ্গে গল্প গুজব  করে বিশ্রাম  নিতে গেলাম বাংলোর ভিতর ।
পরের  দিন ভোরে মানালি ফেরা।সবাই খুব হৈ হৈ  করে দিনটা কাটালাম।তখনও বুঝি নি এই  অপূর্ব চাঁদের আলো এই উচ্ছল সন্ধ্যা গানে গানে মুখরিত রাত্রি ঢেকে যাবে কালোমেঘে।মাঝ রাতে শুনি বাইরে তান্ডবলীলা ।এমনিতেই এখানে প্রচন্ড ঠান্ডা হঠাৎ যেন দশগুণ বেড়ে গেল।সারারাত কম্বলের তলায় ঠকঠক করে কেঁপেছি আর ফেরার কথা ভেবে আকুল হয়েছি ।ভোরবেলায় উঠে দেখি প্রচন্ড বৃষ্টি শুরু হয়েছে ।আর উত্তুরে হাওয়া যেন সবকিছু লন্ডভন্ড করে দেবে।একরাতের মধ্যে সামনের পাহাড় গুলো মুহূর্তে বরফে ঢেকে গেছে।বাস আসতেই উঠে বসলাম ।সব যাত্রীদের মুখে এক কথা এভাবে বরফ পড়তে থাকলে রাস্তা বন্ধ হয়ে যাবে ।রাহুল ও মানালির একমাত্র সংযোগ স্থল রোটাংপাস যদি বন্ধ হয়ে যায় আমরা এখানেই বন্দী হয়ে যাবো।বাস একটু একটু করে যায় আর থেমে যায় ।জিজ্ঞেস করলে ড্রাইভার বলে ডিজেল ফাঁস গিয়া।প্রচন্ড ঠান্ডাতে ডিজেল জমে যাচ্ছে । বাসের মধ্যে সবাই চুপচাপ বসে আছি।এত দুর্ভাবনার মধ্যে ও বাইরের দিকে তাকিয়ে অপরূপ সৌন্দর্য দেখতে দেখতে সব ভুলে গেলাম ।কি হবে কি হতে পারে সব ভাবনা ভুলে দেখতে থাকি আকাশ থেকে ঝরে পড়া যেন মুঠো মুঠো শ্বেত টগরের পাপড়ির মতো তুষার বৃষ্টি ।আর চারিদিক সাদায় সাদা।ডিজেল ফাঁসতে ফাঁসতে অবশেষে বিকেল বেলা খোকসার এসে পৌঁছলাম ।চারিদিক অন্ধকার ।এরকম দুর্যোগে কোনও গাড়ি আর যেতে চাইছে না।সব লরি বাস বন্ধ ।আজ এখানেই রাত্রি বাস।স্থানীয় লোকজন বলছে এরকম আবহাওয়া চলতে থাকলে রোটাংপাস বন্ধ হয়ে যাবে।ছ দিন কি ছ মাস  কেউ বলতে পারবে না।উৎকন্ঠিত চিত্তে পি ডব্লিউ ডির  রেস্ট হাউসে রাত কাটানোর জন্য হাজির হলাম ।সেদিনের মতো পোড়া আলু আর পোড়া রুটি  ডিনারের জন্য চায়ের দোকানে পাওয়া গেল।এরপরে কি হবে জানা নেই।এর মধ্যে ই মলয় বললো কি আর হবে দিদি তোর মেয়েটা বড় হয়ে যাবে আর কাকীমার তোমার ছেলে এক ক্লাস এগিয়ে যাবে ।আর যত দিন কাফ সিরাপ আছে রুটি দিয়ে গুড়ের মত খেয়ে নেব।কি চিন্তা আমাদের ।উফ্ কি ছেলে রে বাবা ।আমরা একমনে বাবা ত্রিলোকনাথ কে ডেকে যাচ্ছি  আর প্রার্থনা করছি রক্ষা করো বাবা।রাত্রি নটার পর ঝড়ের বেগ একটু কমে গেল।বৃষ্টির আওয়াজ ও যেন কমেছে মনে হল।একটু রাতে হঠাৎ যেন কাঁচের জানালার ফাঁকে এক ঝলক আলো এসে পড়লো ।হৈ হৈ করে বারান্দায় বেরিয়ে বিস্ময়ে হতবাক হয়ে দেখি পরিপূর্ণ জ্যোৎস্নায় তুষারাবৃত হিমালয় স্নান করছে।অবর্ণনীয় সেই আলো সেই সৌন্দর্য ।আলোর ঝর্ণা ধারায় আনন্দে চোখে জল এসে গেল।মলয় আনন্দের চোটে গান গাওয়া শুরু করল–প্রেমের জোয়ারে ভাসাব দোঁহারে বাঁধন খুলে দাও দাও দাও যতো হাসি আর বলি ওরে এ যে  শ্যামার গান  প্রেমের গান কে কার কথা শোনে হাসতে হাসতে আমরা বাঁধন খোলার আনন্দে ভেসে গেলাম ।পরদিন বেলা দশটা নাগাদ বাস ছাড়লো।বরফ কেটে কেটে মন্থর গতিতে সন্ধ্যা সাতটায় রোটাং পাসের ভয়ানক সৌন্দর্য দেখতে দেখতে কখন যেন মানালি এসে গেলাম ।একশ আশি কিলোমিটার শুধু সাদা দেখে দেখে সবুজের ছোঁয়ায় মন ভরে গেলো।জয় ত্রিলোকনাথ ।

Share This
Categories
রিভিউ

আজ ২৩ আগস্ট, ইতিহাসের আজকের এই দিনে যা ঘটেছিল।

আজ ২৩ আগস্ট। ইতিহাস ঘেটে দেখা যায় বছরের প্রতিটি দিনে ঘটেছে অনেক উল্লেখযোগ্য ঘটনা। আসুন আজকের দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য কিছু বিষয় একনজরে দেখে নিই।  ইতিহাসের আজকের এই দিনে কী কী ঘটেছিল, কে কে জন্ম নিয়েছিলেন ও মৃত্যুবরণ করেছিলেন——-

 

দিবস—–

(ক) আন্তর্জাতিক দাস প্রথা বিলোপ দিবস৷

 

আজ যাদের জন্মদিন—-

১৯০৮ – রুশ-ফরাসি নাট্যকার আর্থার আদমভ।

১৯১৮ – ভারতীয় পদার্থবিদ ও আবহাওয়াবিজ্ঞানী আন্না মনি।

১৯২৩ – এডগার কড, ইংরেজ কম্পিউটার বিজ্ঞানী।

১৯৩১ – নোবেলজয়ী [১৯৭৮] মার্কিন অণুজীববিজ্ঞানী হ্যামিলটন ও থানেল স্মিথ।

১৯৬৮ – ভারতীয় নেপথ্য সঙ্গীতশিল্পী, কে কে নামে সুপরিচিত কৃষ্ণকুমার কুন্নথ।

১৯৭৮ – কোবি ব্রায়ান্ট, প্রখ্যাত মার্কিন বাস্কেটবল খেলোয়াড়।

১৮৫২ -রাধাগোবিন্দ কর ব্রিটিশ ভারতের একজন খ্যাতনামা চিকিৎসক ।

১৭৪০ – রুশ সম্রাট ষষ্ঠ আইভান।

১৭৭৩ – জার্মান দার্শনিক জ্যাকব এফ ফ্রাইস।

 

ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনের ঘটনাবলী—-

২০০৭ – ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কালো দিবস নামে পরিচিত। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের সাথে সেনাবাহিনী ও পুলিশের আক্রমণের প্রতিবাদে এ দিনটি কালো দিবস হিসাবে চিহ্নিত করা হয়।

২০১৬ – ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায় কলকাতার রাজভবনে আকাশবাণী মৈত্রী চ্যানেলের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।

১৯১৪ – জাপান জার্মানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে।

১৯২১ – প্রথম ফয়সাল ইরাকের বাদশা পদে অভিষিক্ত হন।

১৯২৫ – বেঙ্গল চেম্বার অব কমার্স প্রতিষ্ঠিত হয়।

১৯৩৯ – হিটলারের নেতৃত্বে জার্মানী এবং ষ্ট্যালিনের নেতৃত্বে রাশিয়ার মধ্যে যুদ্ধ বিরতি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

১৯৪২ – স্তালিনগ্রাদের ঐতিহাসিক যুদ্ধ শুরু হয়।

১৯৪৪ – রুমানিয়ার সামরিক শাসক উৎখাত।

১৯৬২ – বাংলাদেশে প্রথম প্রাকৃতিক গ্যাসের সন্ধান পাওয়া যায়।

১৯৭৩ – বাংলাদেশকে স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয় আইভরি কোস্ট।

১৯৮৬ – পারমাণবিক শক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহারের জন্য মস্কো ওয়াশিংটন চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়

১৯৯১ – (ক) “ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন” প্রতিষ্ঠিত হয়।

(খ) – রুশ প্রজাতন্ত্রে কমিউনিস্ট পার্টিকে নিষিদ্ধ করেন।

(গ) – সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রাসাদ ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হয় এবং গর্বাচেভ পুনরায় ক্ষমতা ফিরে পান।

১৮২১ – মেক্সিকো স্বাধীনতা ঘোষণা করে।

১৮২৫ – বেঙ্গল চেম্বার অব কমার্স প্রতিষ্ঠিত হয়।

১৮৩৩ – ব্রিটেন তার উপনিবেশগুলোতে ক্রীতদাস প্রথা বাতিল করে। ফলে ৭০ লাখ ক্রীতদাস মুক্ত হয়।

১৮৩৯ – ব্রিটেন চীনের কাছ থেকে হংকং দখল করে নেয়।

১৮৬৬ – প্রুশিয়া এবং অষ্ট্রিয়ার মধ্যে ঐতিহাসিক প্রাগ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

১৮৭৫ – বাংলার প্রথম অভিনেত্রী-নাট্যকার গোলাপের সুকুমারী দত্ত সাহায্যার্থে তার রচিত ‘অপূর্ব সতি’ মঞ্চস্থ হয়। এটিই বাংলার প্রথম ফিল্মী-সহায়তা অভিনয় রজনী।

১৭৯৯ – নেপোলিয়ন মিসর ত্যাগ করে ফ্রান্সের উদ্দেশে যাত্রা করেন।

১৬১৭ – লন্ডনে প্রথম ওয়ানওয়ে রাস্তা চালু হয়।

১৩২৮ – ফ্রান্সের রাজা ষষ্ঠ ফিলিপ সিংহাসনে অভিষিক্ত হন।

 

এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন যারা—-

২০১৮ – প্রথিতযশা প্রবীণ ভারতীয় সাংবাদিক কুলদীপ নায়ার।

২০১৯ – (ক) অধ্যাপক মোজাফফর আহমদ, বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ।

(খ) কারী আব্দুল গণী, বাংলাদেশি ইসলামি পণ্ডিত ও কারী।

 

১৯৪৪ – দ্বিতীয় আবদুল মজিদ, সর্বশেষ উসমানীয় খলিফা।

১৯৭৫ – অমল হোম, বাঙালি সাংবাদিক এবং সাহিত্যিক।

১৯৮৭ – সমর সেন, ভারতীয় বাঙালি কবি এবং সাংবাদিক।

১৮০৬ – চার্লস অগাস্টিন কুলম্ব, ফরাসি পদার্থবিজ্ঞানী।

১৮৮৬ – পণ্ডিত দ্বারকানাথ বিদ্যাভূষণ বাঙালি শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক এবং সমাজসেবক।

৬৩৪ – ইসলামের প্রথম খলিফা হজরত আবু বকর সিদ্দিক।

 

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This
Categories
রিভিউ

আজ ২২ আগস্ট, ইতিহাসের আজকের এই দিনে যা ঘটেছিল।

আজ ২২ আগস্ট। ইতিহাস ঘেটে দেখা যায় বছরের প্রতিটি দিনে ঘটেছে অনেক উল্লেখযোগ্য ঘটনা। আসুন আজকের দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য কিছু বিষয় একনজরে দেখে নিই।  ইতিহাসের আজকের এই দিনে কী কী ঘটেছিল, কে কে জন্ম নিয়েছিলেন ও মৃত্যুবরণ করেছিলেন——-

 

দিবস—–

 

(ক) মাদ্রাজ (চেন্নাই) দিবস, ভারত।

 

আজ যাদের জন্মদিন—-

১৯০২ – লিনি রিয়েফেন্সটাহল, জার্মান অভিনেত্রী ও পরিচালক।

১৯০৯ – জুলিয়াস জে. এপস্টাইন,মার্কিন চিত্রনাট্যকার ও প্রযোজক।

১৯১১ – দেবব্রত বিশ্বাস, স্বনামধন্য ভারতীয় বাঙালি রবীন্দ্রসঙ্গীত গায়ক ও শিক্ষক।

১৯১৫ – শম্ভু মিত্র,বাংলা তথা ভারতীয় নাট্যজগতের কিংবদন্তি ব্যক্তিত্ব ।

১৯২০ – রে ব্যাডবেরি, মার্কিন লেখক ও চিত্রনাট্যকার।

১৯৩৯ – ভালেরি হারপার, মার্কিন অভিনেত্রী ও গায়ক।

১৯৫৫ – চিরঞ্জীবি, ভারতীয় অভিনেতা, প্রযোজক ও রাজনীতিবিদ।

১৯৫৮ – মুকুল চৌধুরী,বাংলাদেশী কবি ও গীতিকার।

১৯৬০- ফজলুর রহমান বাবু , একজন বাংলাদেশী অভিনেতা এবং সঙ্গীতশিল্পী।

১৯৬৩ – টোরি আমস, মার্কিন গায়ক, গীতিকার, পিয়ানোবাদক ও প্রযোজক।

১৯৭১- কে এম মোশাররফ করিম, একজন বাংলাদেশী অভিনেতা।

১৯৭১ – রিচার্ড আরমিটাগে, ইংরেজ অভিনেতা।

১৯৮৫- রুমানা রশীদ ঈশিতা , বাংলাদেশের একজন টেলিভিশন অভিনেত্রী, পরিচালিকা এবং লেখিকা।

১৯৯১ – ফেদেরিকো মাচেডা, ইতালীয় ফুটবলার।

১৮৬২ – ক্লাউড ডেবুসয়,ফরাসি সুরকার।

১৮৭৪ – মাক্স সচেলের,জার্মান দার্শনিক ও লেখক।

১৮৭৭ – এ কে কুমারস্বামীর,সিংহলী শিল্পী।

১৮৯৪ – প্রগতিবাদী লেখক ও প্রতিষ্ঠাবান কবিরাজ রমেশচন্দ্র সেন।

 

ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনের ঘটনাবলী—-

১৯১০ – জাপান কোরিয়াকে চুক্তির মাধ্যমে অন্তর্ভুক্ত করে নেয় ও এভাবে চলতে থাকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পর্যন্ত।

১৯৩২ – বিবিসি প্রথম নিয়মিত টিভি সম্প্রচার শুরু করে।

১৯৪২ – ব্রাজিল জার্মানি ও ইতালির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে।

১৯৪২ – জার্মান নাৎসি বাহিনী স্তালিনগ্রাদে অবরোধ করে।

১৯৪৪ – দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে সোভিয়েত ইউনিয়ন রোমানিয়া দখল করে।

১৯৮৯: নেপচুন গ্রহে প্রথম বলয় দেখতে পাওয়া যায়।

১৬৪২ – ইংল্যান্ডে গৃহযুদ্ধ শুরু।

১৬৯৮ – সুইডেনের বিরুদ্ধে রাশিয়া, ডেনমার্ক ও পোল্যান্ডের মধ্যে একটি ত্রিপক্ষীয় চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

 

এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন যারা—-

২০০০ – অরুণ মিত্র বাংলা সাহিত্যের অন্যতম প্রথিতযশা কবি ও ফরাসি ভাষা ও খ্যাতনামা অধ্যাপক ও অনুবাদক।

২০০৫ – সংগীত,নৃত্য ও অভিনয়ে পারদর্শিনী অমিতা সেন (আশ্রমকন্যা)

২০১৩ – আন্ড্রেয়া শেরভি, ইতালীয় ফুটবল খেলোয়াড়।

২০১৫ – আর্থার মরিস, অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটার।

১৯০৪ – কেট ছপিন, মার্কিন লেখক।

১৯২২ – মাইকেল কলিন্স, আইরিশ রাজনীতিবিদ ও ২য় মন্ত্রী।

১৯৫৮ – রজার মারটিন ডু গার্ড, নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ফরাসি লেখক।

১৯৭৭ – সেবাস্টিয়ান কাবট, ইংরেজ বংশোদ্ভূত কানাডীয় অভিনেতা ও গায়ক।

১৯৭৮ – কেনিয়ার নেতা জোমো কেনিয়াত্তা।

১৯৮২ – একনাথ রানাডে, ভারতের এক সমাজ সংস্কারক এবং রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের সংগঠক।

১৮১৮ – ওয়ারেন হেস্টিংস, ভারতের ব্রিটিশ গভর্নর জেনেরেল।

১৮৫০ – নিকোলাস লেনাউ, রোমানীয় বংশোদ্ভূত অস্ট্রীয় কবি।

 

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ

আজ মাদ্রাজ (চেন্নাই) দিবস, জানুন দিনটি কেন পালিত হয় এবং এর ইতিহাস।

মাদ্রাজ,  (যা বর্তমানে চেন্নাই নামে পরিচিত) ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি দ্বারা ২২শে আগস্ট প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। মাদ্রাজ দিবস হল ভারতের তামিলনাড়ুতে মাদ্রাজ শহরের প্রতিষ্ঠার স্মরণে আয়োজিত একটি উৎসব।  এটি প্রতি বছর ২২ আগস্ট পালিত হয়, ২২ আগস্ট ১৬৩৯ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির ফ্যাক্টর অ্যান্ড্রু কোগান এবং ফ্রান্সিস ডে মাদ্রাসপত্তনম বা চেন্নাপত্তনম গ্রাম কেনার জন্য ব্যাপকভাবে সম্মত তারিখ হিসেবে বিজয়নগর ই.এম.পি.-এর ভাইসরয় ডামারলা ভেঙ্কটাদ্রি নায়কা থেকে।  মাদ্রাজ দিবসের ধারণাটি প্রথমে চেন্নাই-ভিত্তিক সাংবাদিক ভিনসেন্ট ডি’সুজা, সম্পাদক, Mylapore Times (একটি স্থানীয় সংবাদপত্র) এবং সাশি নায়ার, পরিচালক ও সম্পাদক, Press Institute of India, একটি কথোপকথনের সময় ইতিহাসবিদ এস. মুথিয়াকে প্রস্তাব করেছিলেন। তারপর থেকে, মাদ্রাজ দিবস উদযাপন প্রতি বছর অনুষ্ঠিত হয়, এর হাইলাইটগুলি হল প্রদর্শনী, বক্তৃতা, চলচ্চিত্র প্রদর্শন এবং কুইজ।  মাদ্রাজ দিবস উৎসব বছরের পর বছর জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পেয়েছে।  ২০১৪ এবং ২০১৯-এর মধ্যে, সংস্করণগুলি আগস্ট মাস পর্যন্ত স্থায়ী হয়েছিল এবং ১২০-এরও বেশি প্রোগ্রামের সাথে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বর্ধিত হয়েছিল, মাদ্রাজ দিবসের নাম মাদ্রাজ সপ্তাহ বা এমনকি মাদ্রাজ মাস হিসাবে রাখার দাবি জানানো হয়েছিল।
একটি বিতর্ক রয়েছে যে ক্রয়ের দলিলটি আসলে ২২ জুলাই ১৬৩৯ তারিখে ছিল, ২২ আগস্ট নয়।

 

মাদ্রাজ দিবস শহর, এর ইতিহাস, এর অতীত এবং বর্তমানের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে এবং অনুঘটকের মূল দল শহরের সম্প্রদায়, গোষ্ঠী, কোম্পানি এবং ক্যাম্পাসগুলিকে শহর উদযাপন করে এমন ইভেন্টগুলি হোস্ট করতে অনুপ্রাণিত করে।  উদযাপনের মধ্যে রয়েছে হেরিটেজ ওয়াক, পাবলিক বক্তৃতা, প্রদর্শনী, কবিতা পাঠের সেশন, পাবলিক পারফরমেন্স, ফুড ফেস্টিভ্যাল এবং স্থানীয় রেডিওতে বিশেষ অনুষ্ঠান।  এটিতে টি-শার্ট ডিজাইনিং, ডকুমেন্টারি ফিল্ম প্রতিযোগিতা, স্কুলের জন্য মাল্টিমিডিয়া উপস্থাপনা এবং তামিল ও ইংরেজি উভয় ভাষায় কুইজের মতো প্রতিযোগিতাও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।  অনুষ্ঠান উপলক্ষে টি-শার্টও প্রকাশ করা হয়।  সপ্তাহব্যাপী উদযাপন উপলক্ষে দেওয়া আলোচনায় সাধারণত শহরের ঐতিহ্য এবং ইতিহাস ব্যাখ্যা করে বক্তৃতা দেওয়া হয়।  অবসরপ্রাপ্ত নাগরিকদের জন্যও ইভেন্ট রয়েছে যেখানে তারা মাদ্রাজ দিবসের ওয়েবসাইটে “মাদ্রাজ সম্পর্কে গল্প” বিভাগে তাদের বছর আগের জীবন সম্পর্কে পোস্ট করতে পারে এবং মাদ্রাজ কীভাবে আজকের চেন্নাইতে পরিণত হয়েছে সে সম্পর্কে তাদের মতামত শেয়ার করতে পারে।

 

ইতিহাস–

 

মাদ্রাজ প্রতিষ্ঠার প্রথম নথিভুক্ত উদযাপনটি ছিল ১৯৩৯ সালে এর ত্রিশশতবার্ষিকী উদযাপন। পরবর্তী বার্ষিকীগুলির বিপরীতে, উদযাপনটি আনুষ্ঠানিকভাবে ব্রিটিশ সরকার দ্বারা স্পনসর করা হয়েছিল এবং নেতৃস্থানীয় বিশেষজ্ঞদের দ্বারা রচিত মাদ্রাজ শহরের বিভিন্ন দিকের প্রবন্ধ সহ একটি বিশেষ ত্রিশশতবার্ষিকী স্মারক ভলিউম জারি করা হয়েছিল।  সময়.  মাদ্রাজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর দিওয়ান বাহাদুর এস.ই. রুঙ্গানাধন ছবি, প্রতিকৃতি, মানচিত্র, রেকর্ড এবং মুদ্রার একটি প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন এবং একটি ছোট নাটক লেখার প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।
১৯৮৯ সালে ৩৫০ তম বার্ষিকী পুনামল্লী হাই রোড এবং নিউ আভাদি রোডের সংযোগস্থলে নির্মাতা ফ্রাঙ্কপেট ফার্নান্দেজের ক্লাসিক্যাল স্টাইলে নির্মিত “মাদ্রাজ ৩৫০” নামে একটি স্মারক স্মৃতিস্তম্ভ খোলার মাধ্যমে উদযাপন করা হয়েছিল।  অন্যান্য প্রধান ইভেন্টগুলির মধ্যে রয়েছে এস. মুথিয়া-এর একটি বইয়ের কমিশন করা যার নাম মাদ্রাজ — মুরুগাপ্পা গ্রুপের দ্য গ্রেসিয়াস সিটি যেটি প্রথম মাদ্রাজ কুইজের আয়োজন করেছিল যা আজ পর্যন্ত অব্যাহত রয়েছে।
প্রতি বছর শহরের জন্ম উদযাপনের ধারণার জন্ম হয়েছিল যখন সাংবাদিক শশী নায়ার এবং ভিনসেন্ট ডি’সুজা এস. মুথিয়ার সাথে তার বাসভবনে কফির জন্য দেখা করেছিলেন।  এটি ময়লাপুর ফেস্টিভ্যাল নামে আরেকটি ইভেন্টের সাফল্যের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছিল যা ডি’সুজা প্রতি বছর জানুয়ারিতে আয়োজন করত।  ২০০৪ সাল থেকে মাদ্রাজ দিবস উদযাপন শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল এই তিনজন।  ধারণাটি প্রাথমিকভাবে ২০০৪ সালে প্রায় পাঁচটি ইভেন্ট দিয়ে শুরু হয়েছিল কিন্তু ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পায়।  ২০০৫ সালে দ্বিতীয় সংস্করণে সপ্তাহজুড়ে ঘটনা ছিল।  ২০০৮ সালে, মোট ৬০টি ইভেন্ট পরিচালিত হয়েছিল।  ২০০৭ সালে, মাদ্রাজ দিবস উদযাপনের অংশ হিসাবে ফোর্ট সেন্ট জর্জে একটি অনুষ্ঠানে তামিলনাড়ু সার্কেলের চিফ পোস্টমাস্টার-জেনারেল কর্তৃক একটি স্মারক পোস্টাল কভার প্রকাশ করা হয়েছিল, যার ফলে একটি ঐতিহ্যের উদ্বোধন করা হয়েছিল যা পরবর্তী সংস্করণগুলির মাধ্যমে অব্যাহত ছিল।  ২০১০ উদযাপনটি এক সপ্তাহের বেশি স্থায়ী হয়েছিল এবং পরবর্তী সপ্তাহেও ভালভাবে প্রসারিত হয়েছিল।

 

৩৭৫ তম মাদ্রাজ দিবসটি ১০ ​​আগস্ট থেকে ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪ পর্যন্ত চলমান শতাধিক ইভেন্টের সাথে পালিত হয়েছিল। তবে, বিপরীতে প্রত্যাশা থাকা সত্ত্বেও, তামিলনাড়ু সরকারী বিভাগগুলি উদযাপনে অংশগ্রহণ করেনি যা তারা “ঔপনিবেশিক ঐতিহ্য” বলে মনে করেছিল।  উদযাপনগুলিকে একটি গর্জনকারী সাফল্য হিসাবে বিবেচনা করা হয়েছিল এবং ইভেন্টগুলি প্রথমবারের মতো দেশব্যাপী কভারেজ পেয়েছে।  “দ্য মাদ্রাজ গান” এই উপলক্ষকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য তৈরি করা হয়েছিল এবং শহরের বাসিন্দাদের জন্য তাদের নাগরিক অভিযোগ তুলে ধরার জন্য অনলাইন পিটিশন তৈরি করার জন্য দ্য হিন্দু শিরোনামে friendsofchennai.com একটি ওয়েবসাইট চালু করেছে।  ইতিহাসবিদ এবং উদ্যোক্তা ভি. শ্রীরামও চেন্নাই পাস্ট ফরওয়ার্ড নামের একটি মোবাইল অ্যাপ ডিজাইন করেছেন যাতে ব্যবহারকারীরা শহরের ঐতিহ্যের সাথে ট্র্যাক রাখতে পারেন।
৩৭৬ তম মাদ্রাজ দিবসের উদযাপনটি আরও বড় ছিল এবং তাম্বারামের মতো শহরতলিতেও ইভেন্টগুলি অনুষ্ঠিত হয়েছিল৷  হেরিটেজ ওয়াক ছাড়াও, ২০১৫ সংস্করণে এল.ভি. প্রসাদ ফিল্ম স্টুডিওগুলির হাঁটাও অন্তর্ভুক্ত ছিল৷  যাইহোক, ফোকাস ছিল কোওভাম নদীর পুনরুদ্ধারের উপর এবং ১৫ আগস্ট লেখিকা আনুশা ভেঙ্কটেশ এর মাদ্রাজ লিটারারি সোসাইটিতে কুওভাম নদীর ইতিহাস ও ঐতিহ্যের উপর একটি উপস্থাপনা অনুষ্ঠিত হয়েছিল।  দ্য সাইক্লিং যোগিস, একটি চেন্নাই সাইক্লিস্টদের গ্রুপ, ১৬ আগস্ট ২০১৫-এ কুওম নদীর সাথে ৭২ কিমি সাইকেল রাইড পরিচালনা করে।
৩৭৭ তম মাদ্রাজ দিবস উদযাপন একটি জমকালোভাবে দ্য হিন্দু গ্রুপ তাদের মাদ্রাজ বিটস ২০১৬ গানের মাধ্যমে শুরু করেছিল।  Opus g7 দ্বারা রচিত এবং সঞ্চালিত হয়েছে, একটি ব্যান্ড যা দ্য হিন্দু দ্বারা প্রবর্তিত একটি প্রতিযোগিতার মাধ্যমে বিজয়ী হিসাবে নির্বাচিত হয়েছিল, “এন্ড্রুম পড়িনারু” গানটি ২১ আগস্ট ২০১৬ এ লঞ্চ করা হয়েছিল এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছিল৷

।। তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

আজ বিশ্ব প্রবীণ নাগরিক দিবস, জানুন কেন পালন করা হয় এবং দিনটির তাৎপর্য ।

বিশ্ব প্রবীণ নাগরিক দিবস প্রতি বছর ২১ আগস্ট পালিত হয়।  ১৯৯১ সালে প্রথমবারের মতো উদযাপনটি হয়েছিল। স্বাস্থ্যের অবনতি এবং বয়স্কদের নির্যাতনের মতো বয়স্ক প্রাপ্তবয়স্কদের প্রভাবিত করে এমন কারণ এবং সমস্যাগুলির বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে এই দিনটি।  এটি সমাজে বয়স্ক ব্যক্তিদের অবদানকে স্বীকৃতি ও স্বীকৃতি দেওয়ারও একটি দিন।

 

মানব সমাজে প্রবীণদের অবদান তুলে ধরা এবং তাদের সম্মান জানানোর জন্য এই বিশেষ দিনটি পালন করা হয়ে থাকে। বয়স্কদের প্রভাবিত করে এমন বিভিন্ন বিষয়ের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য দিনটি উদযাপন করা হয়। যেমন, স্বাস্থ্য সমস্যা এবং অল্প বয়সী ব্যক্তিদের দ্বারা নির্যাতন, পরিবারে হোক কিংবা বহিরাগত ব্যক্তিদের দ্বারা নির্যাতন।

 

প্রবীণ মানুষের বিষয়গুলিকে আলাদা করে গুরুত্ব দিয়ে বিশ্ব প্রবীণ নাগরিক দিবসটি পালন করা হয়। এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে জাতীয় সিনিয়র সিটিজেনস ডে নামেও পরিচিত।প্রতি বছর সারা বিশ্বে এই দিনটি পালিত হয়। ভারতও ব্যতিক্রম নয়। এদেশেও পালন করা হয় বিশ্ব প্রবীণ নাগরিক দিবস।

বয়স্ক মানুষের জীবনের স্বাভাবিক ছন্দকে প্রভাবিত করে এমন সমস্যাগুলি সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে এই দিনটি পালন করা হয়। কিন্তু এই দিনটি পালনের আরও কিছু উদ্দেশ্যও রয়েছে।

বিশ্ব প্রবীণ নাগরিক দিবসের তাৎপর্য —

এই দিনে প্রবীণ নাগরিকদের সম্মান জানানো উচিত, তাঁদের আত্মত্যাগ, উৎসর্গ, কৃতিত্ব এবং তাঁরা সারা জীবন যে পরিষেবা দিয়েছেন, তার জন্য। এই দিনটিতে তাঁদের প্রশংসা করতে হবে।
যে কোনও সমাজের জন্য অবশ্যই প্রবীণ নাগরিকরা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ যে কোনও সমাজ তার প্রবীণ নাগরিকদের থেকে জ্ঞান অর্জন করে এবং এগিয়ে চলে। আমরা যে বিশ্বে বাস করি, তা নির্মাণে প্রবীণ মানুষের অবদান অনস্বীকার্য।তাঁদের সেই অবদানকে সম্মান করতে শিখতে হবে।
এই দিনটি জনগণ এবং সরকারকে কল্যাণের জন্য কাজ করার এবং প্রবীণ নাগরিকদের সমর্থন করার প্রতিশ্রুতি দেওয়ার কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। আমাদের সমাজের প্রবীণরা তাঁদের বয়সের কারণে যে সমস্যাগুলির সম্মুখীন হন, তা তরুণদের দ্বারা স্বীকার করা এবং সেই সমস্যাগুলি সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করার একটি প্রচেষ্টাও এই দিনের অঙ্গ।

বিশ্ব প্রবীণ নাগরিক দিবসের ইতিহাস—

 

বিশ্ব প্রবীণ নাগরিক দিবসের ইতিহাস ১৯৮৮ সালে। এটি আনুষ্ঠানিকভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি, রোনাল্ড রেগান দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।  তিনি ১৯ আগস্ট, ১৯৮৮-এ স্বাক্ষর করেছিলেন, ৫-এর৮৪৭ ঘোষণা, যা ২১ আগস্ট তৃতীয় যুগের জাতীয় দিবস হিসাবে উপস্থিত হয়েছিল।  রোনাল্ড রিগান ই প্রথম তৃতীয় যুগের প্রথম জাতীয় দিবস ঘোষণা করেন।রোনাল্ড রেগান বলেছিলেন, ‘আমাদের প্রবীণ নাগরিকরা সারাজীবনে যা অর্জন করেছেন এবং তাঁরা যা করে চলেছেন, তার জন্য আমরা তাঁদের প্রতি আমাদের কৃতজ্ঞতা এবং আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই।’ তার পর থেকেই এই দিনটি সারা পৃথিবী জুড়ে পালন করা হচ্ছে।

 

তাই বলা চলে ওয়ার্ল্ড সিনিয়র সিটিজেনস ডে হল একটি সুযোগ উদযাপন এবং প্রবীণ নাগরিকদের তাদের সেবা, কৃতিত্ব এবং উৎসর্গের জন্য প্রশংসা করার জন্য বিশেষ পালনীয় দিন যা তারা তাদের জীবনে দিয়েছে দেশ ও সমাজের জন্য।

 

।।তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবপেজ।।

Share This
Categories
রিভিউ

আজ ২১ আগস্ট, ইতিহাসের আজকের এই দিনে যা ঘটেছিল।

আজ ২১ আগস্ট। ইতিহাস ঘেটে দেখা যায় বছরের প্রতিটি দিনে ঘটেছে অনেক উল্লেখযোগ্য ঘটনা। আসুন আজকের দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য কিছু বিষয় একনজরে দেখে নিই।  ইতিহাসের আজকের এই দিনে কী কী ঘটেছিল, কে কে জন্ম নিয়েছিলেন ও মৃত্যুবরণ করেছিলেন——-

 

দিবস—–

 

(ক) বিশ্ব প্রবীণ নাগরিক দিবস।

 

আজ যাদের জন্মদিন—-

১৯৭৩ – সের্গেই ব্রিন (রুশ বংশোদ্ভুত মার্কিন কম্পিউটার প্রকৌশলী ও সার্চ ইঞ্জিন গুগল এর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা)।

১৯৮৬ – (বিশ্বের দ্রুততম মানব) উসাইন বোল্ট।

১৯৮৯ – আলেক্স ভিদাল, (স্প্যানিশ ফুটবলার)।

১৭৮৯ – অগুস্তাঁ লুই কোশি, (ফরাসি গণিতবিদ)।

 

ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনের ঘটনাবলী—-

২০০৪ – ঢাকায় আওয়ামী লীগের এক জনসভায় গ্রেনেড হামলা হয়, সেই হামলায় ২৪ জন নিহত হয় এবং তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী শেখ হাসিনা সহ প্রায় ৩০০ লোক আহত হয়। এই হামলায় নিহতদের মধ্যে আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় নারী নেত্রী মিসেস আইভি রহমান অন্যতম, যিনি বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী।

২০০৭ – ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কালো দিবস নামে পরিচিত। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের সাথে সেনাবাহিনী ও পুলিশের আক্রমণের প্রতিবাদে এ দিনটি কালো দিবস হিসাবে চিহ্নিত করা হয়।

১৯১১ – লিওনার্দো দা ভিঞ্চির চিত্রকর্ম মোনা লিসার ছবিটি আজকের দিনে লুভারস মিউজিয়াম থেকে চুরি হয়ে যায়।

১৯১৫ – ইতালি তুরস্কের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে।

১৯৫৯ – হাওয়াই আমেরিকার ৫০তম রাজ্যে পরিণত হয়।

১৯৭২ – বাংলাদেশকে স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয় প্যারাগুয়ে।

১৯৯১ – লাটিভা সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে স্বাধীনতা লাভ করে।

১৮৭৮ – প্রথম আমেরিকান বার অ্যাসোসিয়েশন প্রতিষ্ঠা।

 

এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন যারা—-

২০০৬ – ওস্তাদ বিসমিল্লাহ খান সাহেব, (ভারতীয় সানাই বাদক)।

২০১৭ – নায়ক রাজ রাজ্জাক, (বাংলাদেশের একজন কিংবদন্তি চলচ্চিত্র অভিনেতা)।

১৯৪০ – (রুশ বিপ্লবী নেতা) লিও ট্রটস্কি।

১৯৪৩ – (সাহিত্যে নোবেলজয়ী [১৯১৭] ডেনিশ লেখক) হেইনরিক পন্টোপপিডান।

১৯৭৮- বিনু মানকড়, (ভারতীয় ক্রিকেটার)।

১৯৯৫ – সুব্রহ্মণ্যন চন্দ্রশেখর (ব্রিটিশ ভারতে জন্মগ্রহণকারী নোবেল পুরস্কার বিজয়ী মার্কিন জ্যোতিঃপদার্থবিজ্ঞানী)।

১৬১৩ – (বারো ভূঁইয়াদের অন্যতম) ঈশা খাঁ।

১৬১৩ – (বাংলায় শাসনকর্তা) ইসলাম খাঁ।

 

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

বিশ্ব প্রবীণ নাগরিক দিবস নিয়ে কিছু কথা।

ওঁ নমঃ শ্রী ভগবতে প্রণবায় ।
***বিশ্ব প্রবীণ নাগরিক দিবস***
***আপনাদের সকল প্রবীণ নাগরিককে বিশ্ব প্রবীণ নাগরিক দিবসের শুভেচ্ছা ও প্রনাম জানাই, আজকের দিনটি আনন্দময় হোক। আগামী দিনটি আরো সুন্দর হবে আশা রাখি l আপনাদের জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত শুভ-মঙ্গলময় ও আনন্দময় হোক, ও দীর্ঘায়ু লাভ হোক এই প্রার্থনা করি…।
বার্ধক্যে পৌঁছানোর প্রক্রিয়াটি বিষণ্ণতার কিছুই নয়,বার্ধক্য” একটি শিল্প, এটি একটি আনন্দময় উদযাপন।
বার্ধক্য, দীর্ঘ পরিশ্রমী সফল একটি গৌরবান্বিত পথপরিক্রমার অর্জন।
অধিকাংশই এখানে পৌঁছুতে পারেনি। বাকি অল্প কয়েকজনের তুমি একজন। এই টিকে থাকাটি, একমাত্র তোমারই অর্জন।
বার্ধক্যের প্রত্যেকটি ক্ষত, সাক্ষ্য দিচ্ছে একেকটি সূর্যালোকিত দিনের, যে-আলো তোমাকে পরিপক্ব করেছিলো, ক্ষতের সাথে লড়াইয়ের আমন্ত্রণে।
বার্ধক্যে তুমি রূপ হারিয়ে ফেলেছ? কী হাস্যকর এ-ভাবনা!
যৌবনের রূপ একটি প্রাকৃতিক দুর্ঘটনা মাত্র, যা তুমি অর্জন করোনি; অন্যদিকে, বার্ধক্যের রূপ- সে এক পরিপূর্ণ শিল্প, প্রতিটি রোমকূপ যার, অর্জিত।
জাপানে, একটি রীতি প্রচলিত আছে: কোনোকিছু ভেঙে গেলেই, ওটা ফেলে দেয় না তারা। এর প্রত্যেকটি টুকরা তারা জোড়া লাগিয়ে পুনরায় তৈরি করে ফেলে সেই বস্তুটি। জোড়া কী দিয়ে লাগায়? স্বর্ণ-মিশ্রিত আঠা দিয়ে; এবং, জোড়াগুলো ঢেকে দেওয়ার কোনো চেষ্টাই করে না ওরা।
তাদের সংস্কৃতি মতে- যা ভেঙেছে, সেটি আসলে তার রূপের আরেকটি ভিন্ন জীবনে প্রবেশ করেছে; এবং এই নতুন রূপ-জন্মের উদযাপন হতে হবে একটি নতুন প্রাণ সৃষ্টির মতোই; এই নবজন্মকে সাজিয়ে দিতে হবে আমাদের, একে ত্যাগের প্রশ্নই আসে না।
প্রতিটি ভাঙনই একেকটি নবজীবনে প্রবেশ; রূপান্তর। *বার্ধক্যও ঠিক এমনই। রূপও ঠিক এমনই।*
তুমি কে? তোমার জন্মের উদ্দেশ্য কী? এর উত্তর তুমি শৈশব, কৈশোর, যৌবনে পাবে না। এই তিন পর্যায় পেরিয়ে এসেই, বার্ধক্যেই তুমি উপলব্ধি করতে পারবে- তোমার জীবনের মূল অর্থ। হ্যাঁ, বার্ধক্যই তুমি।
বার্ধক্যই তোমার জীবন, বাকিটুকু জীবনটির ভূমিকা মাত্র।
না, বার্ধক্য উপসংহার নয়, উপসংহার হলো তোমার রেখে যাওয়া কীর্তির প্রভাবটুকুই। বার্ধক্য হলো- পরিপূর্ণ তুমি।
জন্মের মুহূর্তটি থেকে, মৃত্যুর মুহূর্তটি পর্যন্ত, তোমার দেহের প্রতিটি অণুপরমাণু পরিবর্তিত হয়ে চলেছে।
এর একেকটি পর্যায়কে একেক নামে অভিহিত করেছ, তুমিই। এ-ই, একমাত্র সত্য।
বয়সের পিঠে চড়ে বসো নির্ভয়ে।
বয়সকে আলিঙ্গন করো বন্ধুতায়।
চমৎকৃত হও প্রতিটি আসন্ন মুহূর্তের বিস্ময়ে, চমৎকৃত করে দাও তোমার বয়সকেই।
তোমার চেহারাকে, তোমার জীবনসংগ্রামের প্রতিনিধি হতে দাও।
চেহারাটির বার্ধক্যছাপকে, বয়সের উপরে তোমার আধিপত্যের প্রমাণ হিসেবে দাঁড় করিয়ে দাও।
লুকিয়ো না, প্রকাশ করো গর্বে।
তোমার প্রতিটি গল্পের সাক্ষী এই চেহারা।
তোমার প্রতিটি সঙ্কট জিতে আসার সাক্ষী এই চেহারাটিই।
তোমার চেহারার মলিনতাই, দাগই, তোমার জীবনের শ্রেষ্ঠতমতার সিলমোহর।
যৌবনের দিকে ছোটার কোনোই কারণ নেই।
যৌবন পাঠশালা মাত্র, বার্ধক্য শিক্ষক।
জগতের সমস্ত জীবিত প্রাণের তুমিই সম্রাট, তুমিই সম্রাজ্ঞী, বার্ধক্যের অভিজ্ঞতায় ও জ্ঞানে; বার্ধক্যের দুর্লভ রূপময়তায়।
বার্ধক্য একটি শিল্প!
শৈল্পিক পথে প্রৌঢ় হওয়ার, প্রৌঢ়া হওয়ার, সুন্দরতম পদ্ধতিটি হচ্ছে: বয়সকে পাত্তাই না-দেওয়া!!***
জগৎগুরু ভগবান স্বামী প্রণবানন্দজী মহারাজের শুভ ও মঙ্গলময় আশির্বাদ আপনাদের শিরে বর্ষিত হোক… এই প্রার্থনা করি…প্রনাম….আপনাদের আশির্বাদ প্রার্থনা করি l
ওঁ গুরু কৃপা হি কেবলম্ ….!

Share This
Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

আজ বিশ্ব মশা দিবস, জানুন দিন’টি কেন পালিত হয় এবং দিনটির গুরুত্ব।

বিশ্ব মশা দিবস বা বিশ্ব মশক দিবস প্রতিবছর ২০শে আগস্ট পালিত একটি দিবস। মশা বাহিত রোগগুলি অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বিপজ্জনক, এ কারণে প্রতিবছর বহু মৃত্যু হয়। ভারতবর্ষে শুধু নয় সারা বিশ্বে শুধু মশার আক্রমণে প্রতিবছর বহু মানুষের মৃত্যু হয়। তাই বিশ্বজুড়ে ম্যালেরিয়া মুক্ত বিশ্ব গড়ার টার্গেট নিয়েই এই মশা দিবস পালন করা হয় ।

 

২০শে আগস্ট ‘মশা দিবস’ পালন করা হয় মূলত চিকিৎসক রোনাল্ড রসের আবিষ্কারকে সম্মান জানানোর জন্য।

দীর্ঘদিন গবেষণার পর ভারতীয় মেডিকেল সার্ভিসের মেডিকেল অফিসার রোনাল্ড রস ১৮৯৭ সালে প্রমাণ করেন অ্যানোফিলিস মশা ম্যালেরিয়া পরজীবী বহন করতে পারে। তিনি ২০ আগস্ট তার আবিষ্কারের এই দিনটিকে ‘মশা দিবস’ বলে অভিহিত করেন।  পরবর্তীকালে তিনি এই আবিষ্কারের জন্য ‘নোবেল’ পুরস্কারে ভূষিত হয়েছিলেন।১৯৩০-এর দশক থেকে দিবসটি পালিত হয়ে আসছে। লন্ডন স্কুল অব হাইজিন অ্যান্ড ট্রপিক্যাল মেডিসিন তার আবিষ্কারের তাৎপর্য তুলে ধরতে ২০ আগস্ট বিশ্ব মশা দিবসের নামকরণ করেন।

বিভিন্ন ভয়াবহ অসুখের মধ্যে মশা বাহিত ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু উল্লেখযোগ্য। তাই ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু ইত্যাদি মশাবাহিত রোগের ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে জনসাধারণকে বিশেষভাবে সচেতন করার জন্য এই দিন সারা বিশ্ব জুড়ে পালিত হয়। মশা বাহিত রোগ থেকে সাবধান হওয়ার জন্য, সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য এই দিনে সমগ্র বিশ্ব জুড়ে বেশ কিছু সচেতনতামূলক কর্মসূচি পালন করা হয়।

 

দিন দিন মশাবাহিত রোগের প্রকোপ বাড়ছে। এর জন্য চাই সচেতনতা। সচেতন না হলে এর পরিসংখ্যান বাড়বে। আমরা জানি মশাবাহিত রোগের প্রকোপ বেশী দেখা দেয় বর্ষায়। আর

বর্ষাকালের সময় মশাবাহিত রোগশোক গুলি খুব দ্রুত বৃদ্ধি পায়। বর্ষাকাল মশাদের প্রজননের সময়। অতএব বর্ষার সময় মশার উপদ্রব দেখা যায় বেশি। তাই এই সময় আমাদের সচেতন থাকতে হবে অনেক বেশি।  তাই মশার কামড় থেকে বাঁচার জন্য কিছু জরুরী বিষয় মেনে চলা আমাদের দরকার–

 

(ক) মশার হাত থেকে বাঁচতে হলে আমাদের প্রথম পালনীয় কর্তব্য হলো পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা। আমাদের আশপাশে সর্বদা পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।  বাড়ি ও তার আশেপাশে কোথাও জল জমতে দেবেন না জমা জল বা আবর্জনা জমতে দেওয়া মানেই মশার বংশবৃদ্ধির সুযোগ করে দেওয়া। তাই কেবল বাড়ি পরিষ্কার রাখলেই চলবে না, সতর্ক দৃষ্টি রাখুন আশপাশের এলাকার প্রতিও। ঠিকমতো জঞ্জাল পরিষ্কার করুন, ড্রেন পরিষ্কার করে রাখতে হবে। বাড়ির মধ্যে থাকা টবে জল জমতে দেবেন না, অ্যাকোয়ারিয়াম এর জল নিয়মিত পরিষ্কার করুন, ছেড়ে রাখুন গাপ্পির মতো মাছ যা মশার লার্ভা খেয়ে নেয়৷

 

(খ) বাড়ীর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন বজায় রাখুনঃ বাড়ির ছাদে, বাগানে বা বাড়ি সংলগ্ন স্থানে জল জমা হতে দেবেন না। কারণ এই জলেই প্রজনন করে মশা। তা ছাড়াও অপ্রয়োজনে দরজা, জানালা খোলা রাখবেন না। সপ্তাহে একদিন অন্ততঃ আমাদের বাড়ির ভেতর এবং বাইরে ঘুরে দেখা উচিৎ কোথাও কোন পাত্রে জল জমা আছে কিনা, যদি থাকে তাহলে সেটি ফেলে দেই অথবা উল্টিয়ে রাখি অথবা সেখানে মশা নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

(গ) পাশাপাশি বর্ষাকালে ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়ার মতো রোগ দেখা যায় সবচেয়ে বেশি। তাই জ্বর, ঠান্ডা লাগা, গাঁটে ব্যথা, বমির মতো লক্ষণ দেখা গেলে একদম দেরী না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। যথা সময়ে সঠিক পরামর্শ নিয়ে নিজেকে সুস্থ রাখুন।

 

 

 

মশা থেকে বাঁচতে কিছু ঘরোয়া উপায়—

 

তুলসী গাছ লাগান—

 

অনেকেই বিশ্বাস করে যে বাড়িতে তুলসী গাছ থাকলে নাকি মশা বা মাছি ঘরে ঢুকতে পারে না। ব্যালকনিতে বা জানলার কাছে তুলসী গাছ রেখে দেখতে পারেন।

 

মশা তাড়াতে রসুন কার্যকর–

 

কয়েক কোয়া রসুন নিয়ে থেঁতো করে নিন। তার পর সেটা খুব ভালো করে ফুটিয়ে নিন তিন কাপ জলে। জল ফুটে অর্ধেক হলে নামিয়ে ছেঁকে বোতলে ভরে রাখুন। ঠান্ডা হলে ঘরের কোণে কোণে স্প্রে করে দিন এই মিশ্রণ।

 

মশারি খাটিয়ে ঘুমোনো উচিৎ—

 

মশার কামড় থেকে বাঁচে হলে অতি অবশ্যই মশারি ব্যবহার করুন। এর কোন বিকল্প নেই। এখনো অনেকেই রাতে ঘুমোনর সময় মশারি ব্যবহার করেন না। এটা মোটেই ঠিক নয়। ঘুমোনোর সময় নিয়মিত মশারি খাটিয়ে ঘুমোনো উচিৎ এবং সকল মানুষ কে এই বিষয়ে সচেতন করা উচিৎ।

 

সর্বপরি বলাচলে সাধারণ মানুষের সচেতনতা এবং সম্পৃক্ততা মশা নিয়ন্ত্রণে মুখ্য ভূমিকা পালন করবে এবং মশাবাহিত রোগ থেকে মুক্ত থাকবে পরিবার, পরিবেশ ও দেশ।

তাই, বিশ্বব্যাপী মশাবাহিত রোগের ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে জনসাধারণকে বিশেষভাবে সচেতন করার জন্য প্রতিবছর ২০ আগস্ট দিবসটি পালন করা হয়ে আসছে।

 

।।তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।

Share This
Categories
রিভিউ

আজ ২০ আগস্ট, ইতিহাসের আজকের এই দিনে যা ঘটেছিল।

আজ ২০ আগস্ট। ইতিহাস ঘেটে দেখা যায় বছরের প্রতিটি দিনে ঘটেছে অনেক উল্লেখযোগ্য ঘটনা। আসুন আজকের দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য কিছু বিষয় একনজরে দেখে নিই।  ইতিহাসের আজকের এই দিনে কী কী ঘটেছিল, কে কে জন্ম নিয়েছিলেন ও মৃত্যুবরণ করেছিলেন——-

 

দিবস—–

 

(ক) বিশ্ব মশা দিবস।

 

আজ যাদের জন্মদিন—-

১৯০১ – সরোজকুমার রায়চৌধুরী বিশিষ্ট বাঙালি কথাসাহিত্যিক ও সাংবাদিক ।

১৯৪০ – রেক্স সেলার্স, ভারতীয়-অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার

১৯৪২ – মেহেরুন নেসা, বাংলাদেশী কবি এবং শহীদ বুদ্ধিজীবী।

১৯৪৪ – রাজীব গান্ধী, ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী।

১৯৪৬ – এন আর নারায়ণ মূর্তি, ভারতীয় ব্যবসায়ী, ইনফোসিসের সহ-প্রতিষ্ঠাতা

১৯৫২ – জন এম্বুরি, ইংরেজ ক্রিকেটার এবং কোচ

১৯৮১ – বেন বার্নেস (অভিনেতা), ইংরেজ অভিনেতা

১৯৮৩ – অ্যান্ড্রু গারফিল্ড, মার্কিন-ইংরেজ অভিনেতা।

১৮৩৩ – বেঞ্জামিন হ্যারিসন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ২৩তম রাষ্ট্রপতি।

১৮৪৭ – অ্যান্ড্রু গ্রীনউড, ইংলিশ ক্রিকেটার।

১৮৫৮ – ওমর আল-মুখতার, ইতালীয় ঔপনিবেশবিরোধী লিবিয় গেরিলা যুদ্ধা ও স্বাধীনতাকামী নেতা

১৮৬৩ – মৌলভী আবদুল করিম শিক্ষক, শিক্ষাব্রতী, সমাজসেবী

১৮৬৪ – রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদী, বাঙালি বিজ্ঞান লেখক ও অধ্যাপক।

১৮৮৬ – রবীন্দ্রসাহিত্য সমালোচক ও সাহিত্যিক অজিতকুমার চক্রবর্তী।

১৮৯০ – এইচপি লাভক্রাফট, আমেরিকান ছোট গল্পের লেখক, সম্পাদক ও ঔপন্যাসিক।

১৮৯৬ – গোষ্ঠ পাল, ভারতীয় ফুটবলার।

১৭৭৯ – জনস জ্যাকব বার্জেলিয়াস, আধুনিক রসায়নের সহপ্রতিষ্ঠাতা।

 

ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনের ঘটনাবলী—-

১৯১৪ – জার্মান নাজি বাহিনী বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলস দখল করে।

১৯৪১ – সোভিয়েত ইউনিয়নভুক্ত এস্তোনিয়া পূর্ণ স্বাধীনতা লাভ করে।

১৯৬১ – পূর্ব ও পশ্চিম জার্মানির মধ্যে বার্লিন প্রাচীর তৈরির কাজ শেষ হয়।

১৯৭০ – জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা।

১৯৭১ – ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান বিমান বিধ্বস্ত হয়ে শহীদ হন।

১৯৮৮ – দীর্ঘ আট বছর পর ইরান-ইরাক যুদ্ধ বিরতি কার্যকর।

১৮২৮ – (৬ ভাদ্র ১২৩৫ বঙ্গাব্দ) হিন্দুধর্ম সংস্কারক রাজা রামমোহন রায় (১৭৭২-১৮৩৩) ও তার বন্ধুবর্গ মিলে এক সর্বজনীন উপাসনার মাধ্যমে কলকাতায় ব্রাহ্মসমাজ শুরু করেন।

১৮৯৭ – চিকিৎসক রোনাল্ড রস অ্যানোফিলিস মশা বাহিত ম্যালেরিয়া রোগের কারণ আবিষ্কার করেছিলেন।

 

এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন যারা—-

২০১৩ – নরেন্দ্র দাভোলকার, ভারতীয় চিকিৎসক, সমাজসেবী,যুক্তিবাদী ও মহারাষ্ট্র অন্ধশ্রদ্ধা নির্মূলন সমিতির প্রতিষ্ঠাতা-সভাপতি।

২০২২ – সমর বন্দ্যোপাধ্যায়, কিংবদন্তি ভারতীয় বাঙালি ফুটবলার যিনি বদ্রু বন্দ্যোপাধ্যায় নামে পরিচিত ছিলেন।

১৯০৬ – আনন্দমোহন বসু, বাঙালি রাজনীতিবিদ এবং সমাজসেবক।

১৯১৫- নোবেলজয়ী (১৯০৮) জার্মান জীবাণুবিদ পল এইরলিখ।

১৯১৯ – গ্রিগর ম্যাকগ্রিগর, স্কটিশ ক্রিকেটার এবং রাগবি খেলোয়াড়।

১৯৩০ – চার্লস ব্যানারম্যান, অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার এবং আম্পায়ার।

১৯৬১- নোবেলজয়ী (১৯৪৬) মার্কিন পদার্থবিদ পার্সি ইউলিয়াম ব্রিজম্যান।

১৯৮৬ – (ক) গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার,বাংলা আধুনিক ও চলচ্চিত্র সঙ্গীতের বিশিষ্ট গীতিকার ও সুরকার।

(খ) আবদুর রশীদ তর্কবাগীশ, ভারত উপমহাদেশের একজন বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ।

১৯৭১ – বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান, বাংলাদেশের ‘বীরশ্রেষ্ঠ’ খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা।

 

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This