Categories
প্রবন্ধ

স্বাধীনতা দিবসের মর্যাদা : তন্ময় সিংহ রায়।

বৈচিত্র্যময় কর্মব্যস্ততার হিমবাহের নিচে চাপা পড়ে পিষ্টে থাকা দেশাত্মবোধটা পনের’ই আগষ্টের দু’দিন আগে জেগে উঠেই,গলার গীটারের তারের সুরঝঙ্কারে আকাশ বাতাসকে আন্দোলিত করবে…..

“সারে জহাঁ সে অচ্ছা হিন্দোসিতাঁ হমারা,
হম বুলবুলেঁ হ্যাঁয় ইসকী, ইয়ে গুলসিতাঁ হমারা”…
পনের’ই আগষ্ট শেষ,
দু’দিনের অতিমাত্রার জেগে ওঠা আদর্শের সুপ্ত আগ্নেয়গিরির বিস্ফোরণ স্তব্ধ!
আবার বিভিন্ন কর্মব্যস্ততায় দেশাত্মবোধটা প্রায় সারাবছর শীতঘুমে আচ্ছন্ন!!….
প্রশ্ন করলেই স্মার্ট উত্তর, ‘আদর্শটা(দেশাত্মবোধের) কি দেখানোর জিনিস?…না চিৎকার করে বলার জিনিস?….যা আছে তা মনেই থাকে।’ .
বহিঃপ্রকাশ  -৫ ডিগ্রী থেকে ০ ডিগ্রীর মধ্যে ওঠা নামা করে।

 

‘প্রফুল্ল চাকী’ নামটা আজ শোনা শোনা লাগে, বিশেষতঃ বর্তমান প্রজন্মের কাছে, হয়তো কোনো জনপ্রিয় গায়ক/ফুটবলার হবেন!!
হানি সিং(ভুল মার্জনীয়),ন্যারো জিন্স আর স্লিভলেস না চিনলেই আজ চরম লজ্জা, ব্যাকডেটেড্!
রাজমিস্ত্রির ভূমিকায় আমরাই আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মে,চেতন/অবচেতন মনেই নানাভাবে আত্মকেন্দ্রিকতার দেওয়াল গাঁথছি অত্যন্ত যত্নসহকারে, বিপ্লবী আদর্শ না!
মুখ্য মন্ত্র… ‘তোরা লেখাপড়া শিখে অনেক বড় হ, নিজের পায়ে দাঁড়া, অনেক পয়সা উপার্জন কর ইত্যাদি।’
ওসব বিপ্লবী মনোভাবাপন্ন জীবন ঝুঁকিপূর্ণ,   লাভ নেই/বোকারা নেয়।

 

পুঁথিগত শিক্ষায় বিদগ্ধজন /আর্থিক  সমৃদ্ধশালী আজও খুঁজলে মিলবে কিন্তু মানসিক সমৃদ্ধশালী ও সামাজিক শিক্ষায় উচ্চশিক্ষিতদের আজ হাতছানি দেয় ডাইনোসর।

অভিভাবক আমরা সবাই কিন্তু ‘যথার্ত’ শব্দটা ত্যাগ করেছে আজ অধিকাংশের সান্নিধ্য, যার  ভবিষ্যত পরিণাম মাঠে-ঘাটে, সমাজের বিভিন্ন জায়গায় আত্মকেন্দ্রিকতার কালো কালো ছোপ!
হিংসা,লোভ, ঈর্ষ্বা, লালসা, স্বার্থপরতায় ভারতের আকাশটা আজ গহীন জমকালো অন্ধকার মেঘে ঢাকা!
বঞ্চিত ফোটন কণাগুলো দুর্ভেদ্য মেঘের স্তরকে উপেক্ষা করে এ দেশকে আলোকিত করতে চেয়েও বারে বারে ব্যর্থ!!

একজন শিক্ষিত অর্থবান/ অর্থবান /শিক্ষিত মানুষের চেয়ে একজন শিক্ষিত মানসিকতার মানুষের প্রয়োজন আজ অত্যাধিক বেশি। দেশমায়ের স্বার্থের সিকিউরিটি গার্ড অপেক্ষা নিজের ও নিজের পরিবারের সিকিউরিটি গার্ড সংখ্যায় আজ অতিক্রম করেছে তার মাত্রাকে!  ক্ষুদিরাম বসু, প্রফুল্ল চাকী ও ভগৎ সিংহ, রাজগুরু’র দেখা আজও মেলে মাঝে মধ্যে তবে এশিয়ান পেইন্টস বা বার্জারের প্রলেপযুক্ত একটা সম্পূর্ণ দেহে।

বলাবাহুল্য, সুপ্রাচীন কাল থেকেই ভারতীয় উপমহাদেশ অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের জন্য সুপরিচিত! ঐতিহাসিক সিন্ধু সভ্যতার জন্ম এই অঞ্চলেই।  হিন্দু, বৌদ্ধ, জৈন ও শিখ—বিশ্বের এই চার ধর্মের উৎসভূমি ভারত।
খ্রিষ্টীয় প্রথম সহস্রাব্দে জরথুষ্ট্রীয় ধর্ম (পারসি ধর্ম), ইহুদি ধর্ম, খ্রিষ্ট ও ইসলাম ধর্ম এদেশে প্রবেশ করে, ও ভারতীয় সংস্কৃতিতে বিশেষ প্রভাব বিস্তার করে। অষ্টাদশ শতাব্দীর প্রথমার্ধ থেকে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ধীরে ধীরে ভারতীয় ভূখণ্ডের অধিকাংশ অঞ্চল নিজেদের শাসনাধীনে আনতে সক্ষম হয় ক্রমে ঊনবিংশ শতাব্দীর মধ্যভাগে এই দেশ পুরোদস্তুর এক ব্রিটিশ উপনিবেশে পরিণত হয়।

মানুষ জন্মগতভাবেই স্বাধীন, তার এই জন্মগত অধিকার যখন অন্যের দ্বারা লুণ্ঠিত হয়, তখনই সে প্রতিবাদ করে ওঠে ও সর্বস্বের বিনিময়ে সচেষ্ট হয় নিজের স্ব-অধীনতা প্রতিষ্ঠায় এবং তার-ই জ্বলন্ত নিদর্শন ছিলো প্রধানত অহিংস, অসহযোগ ও আইন অমান্য আন্দোলন এবং বিভিন্ন চরমপন্থী গুপ্ত রাজনৈতিক সমিতির সহিংস আন্দোলন। এই আন্দোলনের পথে পরিচালিত এক দীর্ঘ রক্তাক্ত সংগ্রামের নির্মম ও করুণ ইতিহাসের পরিসমাপ্তি ঘটিয়ে অবশেষে ১৯৪৭ সালের ১৫ ই আগস্ট বর্বর ব্রিটিশ রাজশক্তির শাসনকর্তৃত্ব থেকে শৃঙ্খলমুক্ত হয়ে ভারত অর্জন করেছিল স্বাধীনতা!! সে স্বাধীনতা ছিলো হিন্দুর, সে স্বাধীনতা ছিলো মুসলমানের, সে স্বাধীনতা ছিলো খৃষ্টান, বৌদ্ধ, জৈন ও শিখ-এর কিন্তু আজ….??                                              একবিংশ শতাব্দীর পোষাকি ভদ্রের স্বাধীন আমরা আত্মকেন্দ্রিকতায় নিমজ্জিত হয়ে পরিনত হয়েছি পূর্ণ বর্বরে! রক্তশূন্য শিরা-উপশিরায় আজ-ও আমাদের বইছে চরম ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা, অর্থলালসা, হিংসা ও ঈর্ষ্বা ! জাতিতে-জাতিতে, মানুষে-মানুষে সম্পর্কের মাঝে আজ পাঁচ মাত্রার ভূমিকম্প!

 

অনুজীবের ভূমিকায় সম্পর্কের ‘সু’-টা ইলেকট্রন মাইক্রোস্কোপের তলায় অসহায়ভাবে শুয়ে ছটফট করছে! এদিকে রাতের অন্ধকার থেকে মুক্তি লাভ করেই ধর্ষকটা আজ চিৎকার করে বলে ওঠে ‘সারে যাঁহা সে আচ্ছা, হিন্দুস্থাঁ হমারা,’ আবার  বিশিষ্ট কোনো জন সাধারণ জনগণের টাকাকে ড্রাইফুড করে স্বাস্থ্যবান পাকস্থলী নিয়ে স্বাধীনতা দিবসে, ত্রিবর্ণ রঞ্জিত পতাকার দড়িতে হাত রেখে আদর্শে মালভূমি করেন তাঁর বুক। সারা দেশ জুড়ে চলছে দুর্নীতির তান্ডব নৃত্য! পরম তৃপ্তিসহকারে আজ ব্যাকটেরিয়াগুলো শোষণ করছে  ‘সারে যাঁহা সে আচ্ছা, হিন্দুস্থাঁ হমারা’র পুষ্টিরস!   অশুভকে ধ্বংস ও শুভ-কে প্রতিষ্ঠার জন্যে যে প্রধান অস্ত্র একতা-কে হাতিয়ার করে এসেছিলো মূলত স্বাধীনতা সে একতার অবস্থান আজ টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষের ঠিক পাশে। স্বাধীনতা দিবসে আজ কর্ণকুহরে প্রবেশ করে ‘প্যায়ার কিয়া তো ডরনা ক্যায়া’ও বোধ করি স্বাধীন হওয়ার আনন্দে একটু আধটু বিপিন বাবু’র কারণ সুধা!

 

নেতাজী সুভাষ, ক্ষুদিরাম ও বিনয়, বাদল, দিনেশ কিংবা ভগৎ সিং-এর আত্মবলিদান প্রকৃতভাবে আজও ছটফট করে নানা রঙের মাকড়সার জালে! এনাদের বোধ করি শুধুই মুখস্থ করা হয় ডিগ্রী বাড়াবার স্বার্থে।
প্রকৃত সত্য ছুঁড়ে মারা, একবিংশে বিপদের সংকেত বহন করে অর্থাৎ বাক্ স্বাধীনতা এ যুগে প্রতিবন্ধীর ভূমিকায়! একবিংশের এ স্বাধীনতা দিবসের আনন্দে/এ হেন বিচিত্র দেশপ্রেম-এ সত্যিই বিস্ময় জাগে!
তিরঙ্গাটায় আজও পাওয়া যায় টাটকা লাল রক্তের গন্ধ!!
প্রশ্ন এখানেই যে সত্যিই সেই  ‘সর্বশ্রেষ্ঠ জীব’ হিসাবে ‘স্বাধীনতা দিবস’-এর প্রকৃত মর্যাদা বজায় রাখার যোগ্যতা আজ-ও আমরা তৈরি করতে পেরেছি/পারছি কি?
সত্যিই কি আমরা প্রকৃত দেশপ্রেমী??

(ব্যতিক্রম অবশ্যই স্বীকার্য ও ভূল-ত্রুটি মার্জনীয়।)

Share This
Categories
প্রবন্ধ

ভারতের স্বাধীনতা  ও  স্বাধীনতার পরবর্তী সময়।

আমরা ভারতবাসী  । ৭৬ তম স্বাধীনতা দিবসের গর্বে আমরা গর্বিত  ।
আমরা ভারতবাসীরা  ভুলতে পারিনি পরাধীনতার জ্বালা  ।  ব্রিটিশ সরকারের তিক্ত দুশো বছরের শৃঙ্খলাবদ্ধের  ইতিহাস । ইংরেজদের বিভৎস দমন নীতি । ইংরেজ সরকারের শাসন ও শোষন ।  ভারতীয়দের উপরে  অমানবিক অত্যাচার । ব্রিটিশদের পৈশাচিক দমন নীতির জন্য ভারতীয় সমাজের মধ্যে বিশৃঙ্খলা । দীনবন্ধু মিত্রের “নীল দর্পণ” নাটকটি থকে আরও  জানতে পারি নীল চাষের করুণ কাহিনী ও সাঁওতাল সমাজের উপর ইংরেজদের অমানবিক অত্যাচারের ঘটনা  । ইংরেজ সরকারের শোষনের মাত্রা ছিলো লাগামছাড়া । নিরীহ ভারতবাসীর উপর কারণে ও অকারণে চলতো অকথ্য নীপিড়ন ।  দেশবাসীদের উপর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে  নির্মম শোষন আজও ভারতীয়দের হৃদমাঝারে উজ্জীবিত ।  .
ব্রিটিশ সরকারের দমননীতির বিরুদ্ধে সারা দেশ গর্জে উঠে ।

দেশবাসী সোচ্চার হয় । সারা দেশে বিদ্রোহ শুরু হয় । দেশ মাতার শৃঙ্খলমোচনে বিদ্রোহের আগুন ছড়িয়ে পড়ে দেশের আনাচে কানাচে । ব্রিটিশদের অত্যাচারের আগুনে দগ্ধ হয়ে  আত্নবলিদান ঘটে অনেক দেশপ্রেমী ভারতীয়ের । ইংরেজদের শোষনের বিরুদ্ধে গর্জে উঠে, ফলে অনেক রক্তক্ষরণ ঘটে । অনেক বীর শহিদ হন । ইংরেজদের উৎখাতের মন্ত্রে দীক্ষিত হয়ে গর্জে উঠেন সর্বজন শ্রদ্ধেয় নেতাজী সুভাষ । দেশকে শৃঙ্খলামুক্ত করতে অকালে প্রাণ হারান বিনয়-বাদল-দীনেশ । শহিদ হন ক্ষুদিরাম বসু । দেশের পরাধীনতার গ্লানি ঝেড়ে ফেলার তাগিদে ভারতবাসীর ত্যাগ অবর্ণনীয় । দেশ স্বাধীনের মূলমন্ত্র নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েন মহাত্না গাঁধী, বিপিন চন্দ্র পাল, সর্দার বল্লভ ভাই প্যাটেল, বাল গঙ্গাধর তিলক, আরও অনেকে । অনেক ত্যাগ, অনেক রক্তক্ষরণ, অনেক বলিদান, অনেক শহিদের পরে আমাদের দেশ ভারতবর্ষ ১৯৪৭ সালের ১৫ই আগস্ট স্বাধীনতা লাভ করে । ইংরেজদের অপশাসন দূর করে দেশবাসী আনন্দে মেতে উঠে । ভারতে উদয় হয় নতুন সূর্যের ।
স্বাধীনতা লাভ করার পর ভারত ভাগ হয়ে যায়, ভারত ও পাকিস্তান । পাকিস্তান আবার দুটো ভাগে ভাগ হয়, পূর্ব পাকিস্তান ও পশ্চিম পাকিস্তান । পরবর্তীকালে পূর্ব পাকিস্তান ভারতের সহযোগীতায় স্বাধীন রাষ্ট্র হিসাবে “বাংলাদেশ” গঠন করে  । পাকিস্তান ও বাংলাদেশ মুসলিম রাষ্ট্র হলেও ভারত একটি “সার্বভৌম, সমাজতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক” রাষ্ট্র হিসাবে বিশ্বমাঝারে আবির্ভূত হয় । বাবা সাহেব ভীম রাও আম্বদকরের অক্লান্ত পরিশ্রমে সংবিধানের বাস্তবরূপ ঘটে । ১৯৫০ সালের ২৬শে জানিয়ারি দেশে সংবিধান লাগু হয় । ১৯৩৫ সালের ভারত সরকার আইনের পরিবর্তে ভারতীয় সংবিধান কার্যকরী হয় । এটি ভারতের একটি জাতীয় দিবস। ১৯৫০ সালের ২৬শে জানুয়ারি ভারতীয় গণপরিষদে  সংবিধান কার্যকরী হলে ভারত একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসাবে পরিণত হয় ।
৭৬ তম স্বাধীনতা দিবস । প্রতিবছরের ন্যায় এবছরও সারা দেশে মহাধুমধামে পালিত হচ্ছে । এবারের স্বাধীনতা উদযাপন একটা মাত্রা বহন করছে । কেননা দেশে এবছর ৭৫ত্ম স্বাধীনতা দিবস । যার জন্য স্বাধীনতা দিবসে গুরুত্ব অপরিসীম ।  উল্লেখ থাকে যে, স্বাধীনতা দিবসে দিল্লির লালকেল্লায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন করবেন দেশের মাননীয় প্রধান মন্ত্রী । তা ছাড়া দিল্লির ইন্ডিয়া গেটে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হবে ।
স্বাধীনতার পরেও আমাদের দেশ অনেক সমস্যায় জর্জরিত । বেকার সমস্যা ও দারিদ্রতা জ্বলন্ত উদাহরণ । তবুও স্বাধীন দেশের একজন দেশবাসী হিসাবে আমরা গর্বিত । তাই বিনম্র চিত্তে কুর্ণিশ জানাই স্বাধীনতা সংগ্রামীদের । যাদের আত্নত্যাগের উৎকৃষ্ট নিদর্শন আমাদের দেশের স্বাধীনতা ।।।কলমে : দিলীপ  রায়।।

Share This
Categories
রিভিউ

আজ ১৪ আগস্ট, ইতিহাসের আজকের এই দিনে যা ঘটেছিল।

আজ ১৪ আগস্ট। ইতিহাস ঘেটে দেখা যায় বছরের প্রতিটি দিনে ঘটেছে অনেক উল্লেখযোগ্য ঘটনা। আসুন আজকের দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য কিছু বিষয় একনজরে দেখে নিই।  ইতিহাসের আজকের এই দিনে কী কী ঘটেছিল, কে কে জন্ম নিয়েছিলেন ও মৃত্যুবরণ করেছিলেন——-

 

দিবস—–

 

(ক) পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবস (১৯৪৭)

 

আজ যাদের জন্মদিন—-

১৯২৩ – প্রথিতযশা প্রবীণ ভারতীয় সাংবাদিক কুলদীপ নায়ার।

১৯২৬ – রনে গোসিনি, ফরাসি কমিকস সম্পাদক এবং পোলিশ বংশোদ্ভূত লেখক।

১৯৪২ – আমজাদ হোসেন, বাংলাদেশের অভিনেতা, লেখক এবং চলচ্চিত্রকার।

১৯৪২ – শহীদ কাদরী, বাংলাদেশি কবি ও সাহিত্যিক।

১৯৪৫ – স্টিভ মার্টিন, মার্কিন অভিনেতা, কৌতুকাভিনেতা, লেখক, প্রযোজক, নাট্যকার ও সঙ্গীতজ্ঞ।

১৯৪৫ – ভিম ভেন্ডার্স, জার্মান চলচ্চিত্র নির্মাতা, নাট্যকার, লেখক, আলোকচিত্রী।

১৯৫৯ – মার্সিয়া গে হার্ডেন, আমেরিকান অভিনেত্রী।

১৯৬২ – রমিজ রাজা, সাবেক পাকিস্তানি ডান-হাতি ব্যাটসম্যান ক্রিকেটার।

১৯৬৬ – হ্যালি বেরি, মার্কিন মডেল, অভিনেত্রী, ও প্রযোজক এবং বিশ্ব সুন্দরী যুক্তরাষ্ট্র ১৯৮৬।

১৯৬৮ – প্রবীণ আম্রে, সাবেক ভারতীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার।

১৯৭১ – প্রমোদ্যা বিক্রমাসিংহে, সাবেক আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার।

১৯৮১ – কফি কিংস্টন, ঘানা-মার্কিন পেশাদার কুস্তিগীর।

১৯৮৩ – মিলা কুনিস, ইউক্রেনীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন অভিনেত্রী।

১৯৮৩ – সুনিধি চৌহান, ভারতের অন্যতম জনপ্রিয় একজন সঙ্গীতশিল্পী।

১৮৬৭ – নোবেলজয়ী ইংরেজ ঔপন্যাসিক ও নাট্যকার জন গলসওয়ার্দ।

১৮৯৭ – লাবণ্য প্রভা ঘোষ, ভারতের একজন গান্ধীবাদী স্বাধীনতা সংগ্রামী এবং মানভূম জেলায় অনুষ্ঠিত বাংলা ভাষা আন্দোলনের একজন নেত্রী ছিলেন।

১৭৭৭ – হান্স ক্রিশ্চিয়ান ওরস্টেড, ড্যানিশ পদার্থবিজ্ঞানী এবং রসায়নবিদ।

১২৫৭ – জাপান সম্রাট হানাজোনো।

 

ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনের ঘটনাবলী—-

২০০৮ – গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে পুরুষদের ১০০ মিটার ফ্রিস্টাইল সাঁতার প্রতিযোগিতা শেষ হয়। একই দিনে মহিলাদের ৮০০ মিটার, ১০০ মিটার ও পুরুষদের ৫০ মিটার ফ্রিস্টাইল সাঁতার প্রতিযোগিতা শুরু হয়। মহিলাদের ৮০০ মিটার ফ্রিস্টাইল সাঁতার প্রতিযোগিতা চলাকালীন, রেবেকা অ্যাডলিংটন ২০০০ সালের অলিম্পিকে সৃষ্ট ব্রুক বেনেটের অলিম্পিক রেকর্ড প্রাথমিক পর্যায়ের ৪নং হিটেই ৮:১৮.০৬ সময়ে ভাঙেন।

১৯০০ – ২০০ মার্কিন নৌ-সেনা অবতরণ করে পিকিং দখল করে নিলে বক্সার বিদ্রোহের সমাপ্তি ঘটে।

১৯১২ – মার্কিন মেরিন সেনা নিকারাগুয়া দখল করে।

১৯৩১ – ইলা সেন ও মীরা দেবী নামে কুমিল্লার অষ্টম শ্রেণীর দুই ছাত্রী ব্রিটিশবিরোধী বিপ্লবী তৎপরতার অংশ হিসেবে কুমিল্লার ম্যাজিস্ট্রেট সিজি স্টিভেন্সকে গুলি করে হত্যা করে।

১৯৪১ – রুজভেল্ট ও চার্চিল আটলান্টিক চার্টার নামক শান্তিচুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।

১৯৪৫ – দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অন্তিম পর্যায়ে জাপান রাশিয়ার কাছে নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ করে।

১৯৪৭ – ব্রিটিশ শাসন হতে পাকিস্তানের স্বাধীনতা লাভ।

১৮২৫ – বৃটিশ পদার্থ বিজ্ঞানী ও রসায়নবিদ মাইকেল ফ্যারাড অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও গবেষণার পর অপরিশোধিত তেল থেকে পেট্রোল আবিষ্কার করতে সক্ষম হন৷

১৮৪৮ – গঠিত হয় ওরেগন এলাকা।

১৮৮৫ – জাপান জং প্রতিরোধক রং প্যাটেন্ট করে।

১৭৬২ – ইংল্যান্ডের নৌবাহিনী হাভানা দখল করে।

১৭৯০ – সুইডেন ও রাশিয়া শান্তিচুক্তি করে

১৫৫১ – তুরস্কের নৌবাহিনী ত্রিপোলি দখল করে।

১৫৮৫ – রানি প্রথম এলিজাবেথ নেদারল্যান্ডসের সার্বভৌমত্ব খারিজ করে দেন।

১৪৩৭ – মুদ্রণ যন্ত্রের আবিষ্কার।

 

এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন যারা—-

২০০৪ – চেসোয়াফ মিওশ, পোলীয়-মার্কিনী কবি, লেখক, শিক্ষাবিদ এবং অনুবাদক।

২০১১ – শাম্মী কাপুর, ভারতের মুম্বইয়ের চলচ্চিত্র জগতের জনপ্রিয় চিত্রতারকা শিল্পী ও পরিচালক।

১৯৩৫ – নোবেলজয়ী ফরাসি পদার্থবিদ ফ্রেদেরিক জোলিও-ক্যুরি।

১৯৩৮ – হিউ ট্রাম্বল, বিখ্যাত অস্ট্রেলীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ও অধিনায়ক।

১৯৪১ – নোবেলজয়ী ফরাসি রসায়নবিদ পল সাবাতিয়।

১৯৫৬ – বের্টল্ট ব্রেখট, একজন জার্মান নাট্যকর্মী, নাট্যকার ও কবি।

১৯৬৬ – টিপ স্নুক, দক্ষিণ আফ্রিকান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ও অধিনায়ক।

১৯৭২ – ফরাসি ঔপন্যাসিক, নাট্যকার ও কবি ঝুল রম্যাঁ।

১৯৮১ – ডাডলি নোর্স, দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটার।

১৯৮৫ – গেল সন্ডারগার্ড, একজন মার্কিন অভিনেত্রী।

১৭৭৪ – জোহান জ্যাকব রেইস্ক, জার্মান চিকিৎসক ও পণ্ডিত।

১৪৩৩ – পর্তুগালের রাজা প্রথম জোহান।

 

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This
Categories
রিভিউ

আজ ১৩ আগস্ট, ইতিহাসের আজকের এই দিনে যা ঘটেছিল।

আজ ১৩ আগস্ট। ইতিহাস ঘেটে দেখা যায় বছরের প্রতিটি দিনে ঘটেছে অনেক উল্লেখযোগ্য ঘটনা। আসুন আজকের দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য কিছু বিষয় একনজরে দেখে নিই।  ইতিহাসের আজকের এই দিনে কী কী ঘটেছিল, কে কে জন্ম নিয়েছিলেন ও মৃত্যুবরণ করেছিলেন——-

 

দিবস—–

 

(ক)  বিশ্ব বাঁ-হাতি দিবস৷

 

আজ যাদের জন্মদিন—-

১৯৬১ – (ক) কোজি কোন্দো, জাপানি সঙ্গীত রচয়িতা, পিয়ানোবাদক, এবং সঙ্গীত পরিচালক।

(খ ল) – নীল মল্যান্ডার, সাবেক ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার।

১৯০২ – জার্মান প্রকৌশলী ফেলিক্স ওয়াঙ্কেল।

১৯১১ –  ড.ফুলরেণু গুহ, বাঙালি সমাজসেবিকা ও রাজনীতিবিদ।

১৯১২ – নোবেলজয়ী [১৯৬৯] ইতালীয় মার্কিন জীববিজ্ঞানী সালভাদর লুরিয়ান্ম।

১৯১৮ – ফ্রেডরিক স্যাঙ্গার, ইংরেজ প্রাণরসায়নবিদ।

১৯২০ – নেভিল ব্র্যান্ড, আমেরিকান অভিনেতা।

১৯২৬ – ফিদেল ক্যাস্ট্রো, কিউবার সাবেক প্রেসিডেন্ট।

১৯৪৫ – রবিন জ্যাকম্যান, ব্রিটিশ ভারতের শিমলায় জন্মগ্রহণকারী ইংল্যান্ডের সাবেক আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার।

১৯৫৫ – পল গ্রিনগ্রাস, ইংরেজ চলচ্চিত্র পরিচালক, প্রযোজক, চিত্রনাট্যকার ও সাবেক সাংবাদিক।

১৯৫৮ – র‌্যান্ডি শুঘার্ট, মার্কিন সেনাবাহিনীর বিশেষ অভিযান দল ১ম স্পেশাল ফোর্সেস অপারেশনাল ডিটাচমেন্ট-ডেল্টার (1SFOD-D) একজন সদস্য।

১৯৬৩ – শ্রীদেবী, ভারতীয় অভিনেত্রী।

১৯৭৫ – শোয়েব আখতার, সাবেক পাকিস্তানি ডান হাতি ফাস্ট বোলার।

১৯৮২ – সেবাস্টিয়্যান স্ট্যান, রোমানিয়ন মার্কিন অভিনেতা।

১৮১৪ – অন্দের্শ ইয়োনাস অংস্ট্রেম, সুইডিশ পদার্থবিদ ও জ্যোতির্বিজ্ঞানী।

১৮১৯ – জর্জ গ্যাব্রিয়েল স্টোকস, ব্রিটিশ পদার্থবিজ্ঞানী এবং গণিতজ্ঞ।

১৮৪৮ – রমেশচন্দ্র দত্ত বাঙালি সাহিত্যিক, ঐতিহাসিক ও সিভিলিয়ান।

১৮৮৪ – হ্যারি ডিন, ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার।

১৮৬৭ – শব্দকোষপ্রণেতা উইলিয়াম আলেকজান্ডার ক্রেইগি।

১৮৮৮ – জন বেয়ার্ড, টেলিভিশনের আবিস্কারক।

১৮৯৯ – স্যার আলফ্রেড যোসেফ হিচকক, ইংরেজ চলচ্চিত্র নির্দেশক ও প্রযোজক।

 

ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনের ঘটনাবলী—-

২০০৮ – গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে মহিলাদের ২০০ মিটার ফ্রিস্টাইল সাঁতার প্রতিযোগিতার ফাইনালে ইতালির ফেডেরিকা পেলেগ্রিনি অলিম্পিক তথা বিশ্বরেকর্ড সৃষ্টি করেন ১:৫৪.৮২ সময়ে।

২০১১ – সড়ক দুর্ঘটনায় চলচ্চিত্র নির্মাতা তারেক মাসুদ, সাংবাদিক মিশুক মুনীরসহ পাঁচ জনের মৃত্যু।

১৯২৩ – মোস্তাফা কামাল পাশা তুরস্কের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন।

১৯৬০ – মধ্য আফ্রিকা ফরাসী উপনিবেশ থেকে মুক্ত হয়ে স্বাধীনতা লাভ করে৷

১৯৬১ – পূর্ব জার্মানি মধ্যরাতে বার্লিন প্রাচীর নির্মাণ শুরু করে।

১৯৬৪ – ব্রিটেনে সর্বশেষ ফাঁসির মাধ্যমে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হয়।

১৯৭২ – দক্ষিণ ভিয়েতনাম থেকে সর্বশেষ মার্কিন সৈন্যদের প্রত্যাহার।

১৯৯৪ – কলকাতা মেট্রোর দমদম-বেলগাছিয়া শাখাটিকে ১.৬২ কিলোমিটার সম্প্রসারিত করে শ্যামবাজার অবধি নিয়ে আসা হয়।

১৮৬৮ – ১৫ আগস্ট পর্যন্ত বেশ কয়েকটি ভূমিকম্পে পেরু ও ইকুয়েডরে ৪০ হাজার লোক নিহত হয়।

১৮৮৯ – উইলিয়াম গ্রে কয়েন টেলিফোন প্যাটেন্ট করেন ।

১৭৪০ – রটারড্যামে অনশন ধর্মঘট শুরু হয় ।

১৭৮৪ – ইংল্যান্ডের পার্লামেন্টে ভারত আইন গৃহীত হয় ।

১৭৮৪ – ভারতে প্রশাসনিক সংস্কার প্রস্তাব সংবলিত ইস্ট ইন্ডিয়া বিল ব্রিটিশ পার্লামেন্টে পাস।

১৭৯২ – ফ্রান্সের বিপ্লবীরা রাজপরিবারের লোকদের বন্দি করে ।

১৬৪৫ – সুইডেন ও ডেনমার্ক শান্তিচুক্তি করে ।

১৫৯৮ – ফরাসী সম্রাট চতুর্থ হেনরি এক ঐতিহাসিক নির্দেশ জারি করেন ৷

 

এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন যারা—-

২০০০ – নাজিয়া হাসান, পাকিস্তানি গায়ক ও গীতিকার।

২০১১ – তারেক মাসুদ, বাংলাদেশ বিশিষ্ট চলচ্চিত্র পরিচালক ও গীতিকার।

২০১১ – মিশুক মুনীর, সম্প্রচার সাংবাদিকতার রূপকার, চিত্রগ্রাহক ও সাংবাদিকতা ব্যক্তিত্ব।

২০১৮ – সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়, ভারতীয় বাঙালি রাজনীতিবিদ ও প্রাক্তন লোকসভার অধ্যক্ষ।

১৯১০ – ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেল, আধুনিক নার্সিং সেবার অগ্রদূত, লেখক ও পরিসংখ্যানবিদ।

১৯১৩ – জার্মান সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ও আন্তর্জাতিক শ্রমিক আন্দোলনের বিশিষ্ট নেতা আগস্ট বেবেল।

১৯১৭ – এডুয়ার্ড বুখনার, জার্মান রসায়নবিদ।

১৯৩২ – কৃষ্ণকমল ভট্টাচার্য বাঙালি পণ্ডিত, সাহিত্যিক ও শিক্ষাবিদ।

১৯৩৬ – মাদাম কামা, ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামী ভারতের বিপ্লববাদের জননী হিসাবে পরিচিতা।

১৯৪৬ – হারবার্ট জর্জ ওয়েলস, একজন ইংরেজ লেখক।

১৯৬৩ – শিশির কুমার মিত্র, ভারতীয় বাঙালি পদার্থবিজ্ঞানী।

১৯৬৫ – হায়াতো ইকদা, জাপানের আইনজীবী এবং রাজনীতিবিদ, জাপানের 58 তম প্রধানমন্ত্রী।

১৯৬৮ – ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের কর্মী অন্নদাপ্রসাদ চক্রবর্তী।

১৯৭৭ – নাট্যসম্রাজ্ঞী মলিনা দেবী।

১৯৮৪ – তিগ্রেন পেত্রোসিয়ান, সোভিয়েত-আর্মেনীয় গ্র্যান্ডমাস্টার।

১৯৯৬ – অ্যান্টোনিও ডি স্পিনোলা, পর্তুগিজ সামরিক কর্মকর্তা, লেখক এবং রক্ষণশীল রাজনীতিবিদ।

১৯৯৮ – এডওয়ার্ড লিওনার্ড গিঞ্জটন, একজন ইউক্রেনীয়-মার্কিন পদার্থবিজ্ঞানী।

১৯৯৯ – হাইমে গারসোন, কলম্বীয় সাংবাদিক, কমেডিয়ান, আইনজীবী, শান্তিবাদী ও রাজনৈতিক বিদ্রুপাত্মক ছিলেন।

১৮৬৩ – ওজেন দ্যলাক্রোয়া, উনিশ শতকের প্রখ্যাত ফরাসি চিত্রকর।

১৮৬৫ – ইগনাৎস জেমেলভাইস, হাঙ্গেরীয় চিকিৎসক ও হাত ধোয়া ব্যবস্থার প্রবর্তক।

১৭৯৫ – অহল্যাবাঈ হোলকার, ছিলেন ভারতের মারাঠা মালওয়া রাজ্যের হোলকর রাণী।

৯০৮ – আল-মুক্তাফি, ১৭শ আব্বাসীয় খলিফা।

৬০৪ – সুই সম্রাট ওয়েন, চীনের সুই সাম্রাজ্যের (৫৮১ – ৬১৮) প্রতিষ্ঠাতা ও প্রথম সম্রাট।

 

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ

ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের বিশিষ্ট বিপ্লবী প্রতুলচন্দ্র গাঙ্গুলী।

ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন ছিল কিছু মানুষের অব্যর্থ পরিশ্রম যার ফলেই ব্রিটিশদের থেকে ভারত রাজনৈতিক দিক থেকে মুক্তি পেয়েছে। ভারত উপমহাদেশের বিংশ শতাব্দীতে ব্রিটিশ সম্রাজ্যবাদ বিরোধী যে সশস্ত্র বিপ্লববাদী লড়াই-সংগ্রাম সংগঠিত হয় এবং যার ধারাবাহিকতায় ভারত স্বাধীন হয়, তার মূলে যে সকল বিপ্লবীর নাম সর্বজন স্বীকৃত তাঁদের মধ্যে প্রতুলচন্দ্র গাঙ্গুলী প্রথমসারির একজন অন্যতম বিপ্লবী ছিলেন। প্রতুলচন্দ্র গাঙ্গুলী ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনে এক উল্লেখযোগ্য নাম, যিনি দেশমতৃকার শৃঙ্খল মুক্তির জন্য নিজেকে সঁপে দিয়েছিলেন সম্পূর্ণ রূপে।

 

প্রাথমিক জীবন—-

 

মহিমচন্দ্র গাঙ্গুলীর পুত্র প্রতুলচন্দ্র গাঙ্গুলী  ঢাকার চাঁদপুরের কাছে চালতাবাড়ি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন ১৬ এপ্রিল ১৮৯৪।  নারায়ণগঞ্জের চাঁদপুরের নিকটবর্তী চালতাবাড়ি গ্রামে প্রতুলচন্দ্র গাঙ্গুলী মাতুলালয়ে জন্মগ্রহণ করেন। ছাত্র জীবনে নারায়ণগঞ্জ শাখায় অনুশীলন সমিতিতে বিপ্লবীজীবন শুরু করেন। নিষ্ঠা এবং কর্ম তৎপরতার জোরে নেতারূপে সুপ্রতিষ্ঠিত হন তিনি। তবে তার প্রাথমিক জীবন ও শিক্ষা সম্পর্কে সেভাবে কিছুই জানা যায়নি।

গৃহত্যাগ—-

জানা যায়  ১৯০৮-১৯০৯ সালে বিপ্লবী প্রয়াসকে ব্যাপক করবার জন্য তিনি গৃহত্যাগ করেন।স্কুল ছাত্র হিসেবে তিনি অনুশীলন সমিতির নারায়ণগঞ্জ ইউনিটে যোগ দেন;  ১৯৩০-এর দশকে এর মুখপাত্র হন।  রাশবিহারী বসুর মতো প্রতুলচন্দ্রও তার পরিচয় গোপন করতে পারদর্শী ছিলেন;  তাই পুলিশের নথিতে তিনি ভিন্নভাবে পরিচিত ছিলেন।

বিপ্লবী কর্মজীবন—-

ঢাকার অদূরে স্বদেশী ডাকাতির মামলায় তার নাম সবার আগে উঠে আসে;  যেখানে তার বেশিরভাগ সিনিয়রকে সেলুলার জেলে পাঠানো হয়েছিল;  রিভিউ পিটিশনের পর কলকাতা হাইকোর্ট তাকে অব্যাহতি দেয়।  ১৯১৩ সালে, প্রতুলচন্দ্র রবীন্দ্র মোহন সেনের সাথে কলেজ স্কোয়ারে আইবি অফিসার হরিপদ দেকে হত্যা করেন;  তারপর বিশ্বযুদ্ধের সময় রাসবিহারী বসুর সাথে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করতে বারাণসীতে চলে যান।  তিনি ১৯১৪ সালে গ্রেফতার হন এবং ১৯২০ সাল পর্যন্ত বরিশাল কারাগারে বন্দী ছিলেন। চার বছর পরে, তাকে রাজনৈতিক বন্দী ঘোষণা করা হয় এবং বিনা বিচারে মিয়ানমারের (১৯২৭) কারাগারে পাঠানো হয়।
তিনি অসহযোগ আন্দোলনের সময় কংগ্রেসের প্রাদেশিক অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।  ১৯৩০ সালে আবার গ্রেপ্তার হন, তিনি ১৯৩৮ সাল পর্যন্ত রিমান্ডে ছিলেন;  এক বছর পরে আবার গ্রেপ্তার হতে হয়, যখন নেতাজির সাথে জেলের ভিতরে অনশন করায় তার স্বাস্থ্যের ক্ষতি হয়, তাই পরবর্তীকালে মুক্তি পান।  কিন্তু, বোসের গ্রেট পালানোর পর;  প্রতুলচন্দ্রকে আবার গ্রেফতার করা হয় এবং ১৯৪৬ সাল পর্যন্ত বাংলার বিভিন্ন কারাগারে পাঠানো হয়। দেশভাগের পর প্রতুলচন্দ্রের মতো একজন ব্যক্তিকেও কলকাতায় চলে যেতে হয়।

মৃত্যু—

সুভাষচন্দ্র বসুর সঙ্গে জেলে অনশন করে স্বাস্থ্য ভঙ্গ হওয়ায় সুভাষচন্দ্র বসুর সঙ্গে মুক্তি পান তিনি। এরপর সুভাষচন্দ্রের অর্ন্তধ্যানের সঙ্গে সঙ্গে পুনরায় গ্রেপ্তার হয়ে ১৯৪৬ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন জেলে আটক থাকেন। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর তিনি কলকাতায় বসবাস করেন এবং ১৯৫৭ সালের ৫ জুলাই তাঁর মৃত্যু হয়।

।। তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।

Share This
Categories
রিভিউ

আজ ১২ আগস্ট, ইতিহাসের আজকের এই দিনে যা ঘটেছিল।

আজ ১২ আগস্ট। ইতিহাস ঘেটে দেখা যায় বছরের প্রতিটি দিনে ঘটেছে অনেক উল্লেখযোগ্য ঘটনা। আসুন আজকের দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য কিছু বিষয় একনজরে দেখে নিই।  ইতিহাসের আজকের এই দিনে কী কী ঘটেছিল, কে কে জন্ম নিয়েছিলেন ও মৃত্যুবরণ করেছিলেন——-

 

দিবস—–

(ক) বিশ্ব হাতি দিবস।

(খ) আন্তর্জাতিক যুব দিবস।

(খ) সংগঠিত ছাত্র আন্দোলনের প্রতিষ্ঠা দিবস (ভারত)

(গ) জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস (ভারত)।

 

আজ যাদের জন্মদিন—-

১৯৯০ – মারিও বালোতেল্লি, ঘানাইয়ান বংশোদ্ভূত ইতালীয় পেশাদার খেলোয়াড়।

১৯৯৫ – রিয়াজ উদ্দিন সোহেল, বাংলাদেশের তরুণ রাজনীতিবিদ, বিতার্কিক সংগঠক,সমাজকর্মী,সহকারী চলচ্চিত্র পরিচালক,ইসলামিক স্কলার।

১৯৯৯ – মাথেইস দ্য লিখ্‌ট, ওলন্দাজ পেশাদার ফুটবলার।

১৯০৬ – হ্যারি হপম্যান, অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বখ্যাত টেনিস তারকা

১৯১০ – ইউসুফ ইসহাক, সিঙ্গাপুরের বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ।

১৯১১ – ক্যান্টিনফ্লাস, বিখ্যাত মেক্সিকান কৌতুক চলচ্চিত্র অভিনেতা, নির্মাতা, চিত্রনাট্যকার।

১৯১৯ – ডঃ বিক্রম আম্বালাল সারাভাই, ভারতের প্রথিতযশা বিজ্ঞানী ও মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর প্রাণপুরুষ।

১৯২৩ – জন হল্ট, ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার।

১৯২৪ – ডেরেক শ্যাকলটন, ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার।

১৯২৪ – মুহাম্মদ জিয়া-উল-হক, পাকিস্তানের প্রাক্তন জেনারেল ও ষষ্ঠ রাষ্ট্রপতি।

১৯৪০ – এডি বার্লো, দক্ষিণ আফ্রিকার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার।

১৯৪৪ – উসমান মনসুরপুরী, জমিয়ত উলামায়ে হিন্দের সর্বভারতীয় সভাপতি।

১৯৪৯ – মার্ক নফ্‌লার, ব্রিটিশ গীতিকার, চলচ্চিত্র স্কোর সুরকার, গিটারবাদক এবং রেকর্ড প্রযোজক।

১৯৫২ – সীতারাম ইয়েচুরি , ভারতীয় রাজনীতিবিদ , ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্ক্সবাদী) এর সাধারন সম্পাদক।

১৯৫৪ – ফ্রঁসোয়া ওলঁদ, ফ্রান্সের সাবেক রাষ্ট্রপতি।

১৯৫৬ – সিদাথ ওয়েতিমুনি, শ্রীলঙ্কার সাবেক ক্রিকেটার।

১৯৬০ – গ্রেগ থমাস, সাবেক ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার।

১৯৬৯ – স্টুয়ার্ট উইলিয়ামস, সাবেক ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তারকা।

১৯৭১ – পিট সাম্প্রাস, একজন আমেরিকান অবসরপ্রাপ্ত টেনিস খেলোয়াড়।

১৯৭৫ – কেসি অ্যাফ্লেক, একজন মার্কিন অভিনেতা ও পরিচালক।

১৯৭৬ – পেড্রো কলিন্স, সাবেক ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার।

১৯৮৭ – ভানেসা ওয়াট্‌স, ওয়েস্ট ইন্ডিজ এর মহিলা ক্রিকেটার।

১৯৮৮ – টাইসন ফিউরি, ব্রিটিশ পেশাদার বক্সার।

১৯৮৯ – টম ক্লেভারলি, ইংরেজ পেশাদার ফুটবলার।

১৮৫১ – লোককবি পাঞ্জু শাহ।

১৮৬৬ – নোবেলজয়ী স্পেনীয় কথাশিল্পী বেনাভেন্তেই মার্তিনেস।

১৮৭৭ – হরিনাথ দে বহুভাষাবিদ বাঙালি পণ্ডিত কলকাতার ইম্পেরিয়াল লাইব্রেরির (জাতীয় গ্রন্থাগারের) প্রথম গ্রন্থাগারিক।

১৮৮০ – ব্রিটিশ কবি ও ঔপন্যাসিক র‌্যাডক্লিফ হল।

১৮৮১ – সেসিল বি. ডামিল, মার্কিন চলচ্চিত্র পরিচালক, প্রযোজক, সম্পাদক, চিত্রনাট্যকার ও অভিনেতা।

১৮৮৭ – এরভিন শ্রোডিঙার, অস্ট্রীয় পদার্থবিদ।

১৯৮৭ – ভানেসা ওয়াট্‌স, ওয়েস্ট ইন্ডিজ এর মহিলা ক্রিকেটার।

১৮৯১ – ফ্র্যাডেরিক চালমার্স‌ বোর্ন‌, পূর্ব বাংলার প্রথম গভর্নর।

১৮৯২ – এস. আর. রঙ্গনাথন ভারতীয় গণিতজ্ঞ ও বিশিষ্ট গ্রন্থাগারিক।

১৮৯৫ – অহীন্দ্র চৌধুরী, বাঙালি অভিনেতা।

১৮৯৭ – মরিস ফার্নান্দেজ, ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার।

১৮৯৯ – বেন সিলি, ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার।

 

ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনের ঘটনাবলী—-

২০০৮ – গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে পুরুষদের ২০০ মিটার ফ্রিস্টাইল সাঁতার প্রতিযোগিতা শেষ হয় যুক্তরাষ্ট্রের মাইকেল ফেলপসের অলিম্পিক তথা বিশ্বরেকর্ড সৃষ্টিকারী ১:৪২.৯৬ সময়ে। একই দিনে পুরুষদের ১০০ মিটার ফ্রিস্টাইল সাঁতার প্রতিযোগিতা শুরু হয়।

১৮৭৭ – টমাস এডিসন গ্রামোফোন উদ্ভাবন করেন।

১৮৯৮ – যুক্তরাষ্ট্রের সাথে হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জের আনুষ্ঠানিক সংযুক্তি।

১৭৬৫ – মোগল সম্রাট ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির হাতে বাংলা, বিহার ও উড়িষ্যার দেওয়ানি তুলে দেন।

১৬০২ – আকবরের সভাসদ আবুল ফজল নিহত হন।

১৬৭৬ – নিউ ইংল্যান্ডে রেড ইন্ডিয়ানদের যুদ্ধের সমাপ্তি।

১৯০১ – বিপিনচন্দ্র পাল সাপ্তাহিক ‘নিউ ইন্ডিয়া’ প্রকাশ করেন।

১৯২২ – কাজী নজরুল ইসলামের সম্পাদনায় ‘ধুমকেতু’ প্রকাশিত হয়।

১৯২৬ – ‘লাঙল’ পত্রিকার নাম পাল্টে ‘গণবাণী’ রাখা হয়।

১৯৩৬ – ভারতের প্রথম রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠন সর্বভারতীয় ছাত্র ফেডারেশন এর প্রতিষ্ঠা হয় লক্ষনৌ এর গঙ্গাপ্রসাদ মেমোরিয়াল হলে জহরলাল নেহেরু এর উপস্থিতিতে সম্মেলনের মাধ্যমে । এই দিনটিকে সংগঠিত ছাত্র আন্দোলনের প্রতিষ্ঠা দিবস হিসাবে পালন করা হয়।

১৯৪৪ – জার্মান নাৎসি বাহিনীর সপ্তাহব্যাপী ধ্বংসযজ্ঞ বন্ধ হয়। এ সময়ের মধ্যে প্রায় ৪০ হাজার লোক হত্যা করে তারা।

১৯৪৯ – জেনেভায় যুদ্ধবন্দী ও যুদ্ধাহতদের সাথে আচরণ বিষয়ক আন্তর্জাতিক কনভেনশন অনুমোদন লাভ করে ৷

১৯৫৩ – সোভিয়েত ইউনিয়নের পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষা শুরু হয়।

১৯৬০ – প্রথম যোগাযোগ উপগ্রহ ইকো-১ মহাশূন্যে উৎক্ষেপণ করা হয়।

১৯৭১ – মুক্তিবাহিনী কর্তৃক আড়িখোলা ব্রিজ ধ্বংস।

১৯৭৬ – লেবাননের মারুনি মিলিশিয়া বাহিনী রাজধানী বৈরুতের উপকন্ঠে অবস্থিত একটি ফিলিস্তিনী শরণার্থী শিবির দীর্ঘ দিন ধরে অবরুদ্ধ করে রাখার পর সেখানে ব্যাপক গণহত্যা চালায় ৷

১৯৭৮ – জাপান ও চীনের মধ্যে শান্তি ও মৈত্রী চুক্তি সই হয়।

১৯৮৫ – জাপান এয়ারলাইনের যাত্রীবাহী বিমান ওগুরা পর্বতে বিধ্বস্থ হলে ৫২০ জনের মৃত্যু।

 

এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন যারা—-

২০০০ – লরেট্টা ইয়াং, মার্কিন অভিনেত্রী।

২০০৪ – হুমায়ুন আজাদ, বাংলাদেশি কবি, ঔপন্যাসিক, ভাষাবিজ্ঞানী, সমালোচক, রাজনীতিক ভাষ্যকার, কিশোরসাহিত্যিক, গবেষক, এবং অধ্যাপক ছিলেন।

২০০৪ – গডফ্রে এন হাউন্সফিল্ড, ইংরেজ তড়িৎ প্রকৌশলী।

২০০৯ – লেস পল, মার্কিন জ্যাজ, কান্ট্রি এবং ব্লুজ গিটারবাদক, গীতিকার এবং আবিষ্কারক।

২০১০ – মতিউর রহমান মল্লিক, বাঙালি কবি ও সাহিত্যিক।

২০১৪ – লরেন বাকল, মার্কিন অভিনেত্রী।

১৯৪১ – ববি পিল, ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার।

১৯৫৪ – সুরেশচন্দ্র মজুমদার, ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের এক বিপ্লবী ও আনন্দবাজার পত্রিকার অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা।

১৯৫৫ – টমাস মান, জার্মান ঔপন্যাসিক, ছোট গল্প লেখক, প্রাবন্ধিক, সমাজ সমালোচক ও মানব-হিতৈষী।

১৯৫৫ – জেমস ব্যাচেলার সামনার, মার্কিন রসায়নবিজ্ঞানী।

১৯৬০ – ইন্দিরা দেবী চৌধুরাণী, ভারতীয় সঙ্গীতশিল্পী, লেখক, অনুবাদক ও ঠাকুরবাড়ীর প্রগতিশীল বিদুষী মহিলা।

১৯৬৪ – ইয়ান ফ্লেমিং, ব্রিটিশ লেখক, সাংবাদিক ও নৌ-গোয়েন্দা।

১৯৭৩ – কার্ল জিগলার, জার্মান রসায়নবিদ এবং প্রকৌশলী।

১৯৮৯ – উইলিয়াম ব্র্যাডফোর্ড শকলি, ব্রিটিশ বংশোদ্ভূত এবং ইংল্যান্ডে জন্মগ্রহণকারী মার্কিন পদার্থবিজ্ঞানী এবং উদ্ভাবক।

১৮২৭ – উইলিয়াম ব্লেইক, ইংরেজ কবি, চিত্রশিল্পী এবং মুদ্রাকর, যাকে রোমান্টিক যুগ এর অগ্রদূত বলা হয়।

১৮৪৮ – জর্জ স্টিফেনসন, স্টিম ইঞ্জিনের রূপকার ইংরেজ উদ্ভাবক।

১৬০২ – আবুল ফজল ইবনে মুবারক, মুঘল সম্রাট আকবরের প্রধানমন্ত্রী।

৩০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ – ক্লিওপেট্রা, টলেমিক মিশরের সর্বশেষ সক্রিয় ফারাও।

 

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ

ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের অগ্নিকন্যা, মোহিনী দেবী।

সূচনা—

 

ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন ছিল কিছু মানুষের অব্যর্থ পরিশ্রম যার ফলেই ব্রিটিশদের থেকে ভারত রাজনৈতিক দিক থেকে মুক্তি পেয়েছে। ভারত উপমহাদেশের বিংশ শতাব্দীতে ব্রিটিশ সম্রাজ্যবাদ বিরোধী যে সশস্ত্র বিপ্লববাদী লড়াই-সংগ্রাম সংগঠিত হয় এবং যার ধারাবাহিকতায় ভারত স্বাধীন হয়, তার মূলে যে সকল বিপ্লবীর নাম সর্বজন স্বীকৃত তাঁদের মধ্যে মোহিনী দেবী  প্রথমসারির একজন অন্যতম বিপ্লবী ছিলেন।ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রাম শুধু শহীদ ভগৎ সিং-এর মতই নয় বরং শক্তিশালী নারীদের দ্বারা প্রশস্ত হয়েছিল যারা তাদের মাটিতে দাঁড়িয়েছিল এবং দেশের স্বাধীনতা অর্জনের জন্য ব্রিটিশদের সাথে লড়াই করেছিল। মোহিনী দেবী  ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনে এক উল্লেখযোগ্য নাম, যিনি দেশমতৃকার শৃঙ্খল মুক্তির জন্য নিজেকে সঁপে দিয়েছিলেন সম্পূর্ণ রূপে। ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন ব্যক্তিত্ব ও অগ্নিকন্যা ছিলেন তিনি।

ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে এক স্মরণীয় নাম
মোহিনী দেবী। তিনি ছিলেন ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন ব্যক্তিত্ব ও অগ্নিকন্যা। এছাড়া তার পরিবার বাংলাদেশের প্রগতিমুলক শিক্ষা ও সংস্কৃতির সাথে জড়িত ছিল। ইতিহাসে তাঁর নাম আজও স্বর্ণাক্ষরে লেখা আছে। জেনে নেবো তাঁর সংগ্রামী জীবনের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস।

জন্ম ও পরিবার—-

মোহিনী দেবী ১৮৬৩ সালে ঢাকা জেলার মানিকগঞ্জে এক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম রামশঙ্কর সেন ও মাতার নাম উমাসুন্দরী দেবী। ১২ বছর বয়সে তারকচন্দ্ৰ দাশগুপ্তের সঙ্গে বিবাহ হয়। শ্রমিক আন্দোলনের নেত্রী প্রভাবতী দাশগুপ্ত।

 

শিক্ষাজীবন—-

মোহিনী দেবী ভিক্টোরিয়া স্কুলের প্রথম হিন্দু ছাত্রী, কলকাতার অভিজাত অ্যাংলিকান প্রতিষ্ঠান, মোহিনী দেবী (১৮৬৩ – ১৯৫৫) তার মূলে একজন জাতীয়তাবাদী ছিলেন।  ঢাকার বেউথার রামশঙ্কর সেনের কন্যা, বারো বছর বয়সে তারকচন্দ্র দাশগুপ্তের সাথে তার বিয়ে হয়।  তা সত্ত্বেও, তিনি পন্ডিত শিবনাথ শাস্ত্রী এবং রামতনু লাহিড়ীর অধীনে অধ্যয়নের সুযোগ পেয়েছিলেন, ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষভাগের কলকাতার অধ্যবসায়ী।  তিনি ইউনাইটেড মিশনের একজন মহিলা শিক্ষকের কাছে ইংরেজি শিখেছিলেন।  এইভাবে তিনি ভারতের সমসাময়িক উন্নয়ন সম্পর্কে সচেতন হন এবং শুরু থেকেই বিভিন্ন সামাজিক কল্যাণমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত হন।

রাজনৈতিক জীবন—-

১৯২১-২২ সালে তিনি গান্ধীজীর অসহযোগ আন্দোলনে যোগ দেওয়ার কারণে কারাবরণ করেন। ১৯৩০-৩১ সালে আইন অমান্য আন্দোলনে নেতৃত দেন। এজন্য তাকে ছয় মাসের জেল খাটতে হয়েছিল। ‘নিখিল ভারত মহিলা সমিতির’ সভানেত্রী হিসেবে তার ভাষন উচ্চ প্রশংসিত হয়। ১৯৪৬ সালের দাঙ্গায় মুসলিম প্রধান অঞ্চল এন্টালি বাগানে নিজের বাড়িতে থেকে হিন্দু মুসলিম ঐক্যের প্রচার চালিয়েছিলেন। সে সময় তার বন্ধু-বান্ধব আত্নীয় পরিজন তাকে তিরস্কার করে কিন্তু তাতে তিনি সংকল্প হারান নি। মোহিনী দেবী একদিকে স্বাধীনতা আন্দোলন এর পক্ষে কাজ করেছিলেন অন্যদিকে নারী শিক্ষা, নারী স্বাধীনতা, সমাজসংস্কারমূলক কাজ।

স্বাধীনতা আন্দোলনে—

১৯২০-১৯২২ সালে, ব্রিটিশদের সাথে অসহযোগের জন্য গান্ধীর আহ্বানের উচ্চতায়, তিনি নিজেকে আন্দোলনে উত্সর্গ করেছিলেন।  ১৯৩০-১৯৩১ সালের আইন অমান্য আন্দোলনের সময়, তিনি আইন ও পুলিশি বিধিনিষেধ লঙ্ঘন করে এবং পথে কারাভোগ করে একজন উল্লেখযোগ্য নেতা আন্দোলন হিসাবে আবির্ভূত হন।  গান্ধীবাদী আদর্শে তার সম্পূর্ণ সাবস্ক্রিপশন এবং তার আন্দোলন কৌশলের প্রতি অটল জমা দেওয়ার কারণে, তিনি দ্রুত সিঁড়ি বেয়ে সর্বভারতীয় মহিলা কংগ্রেসের সভাপতি হন;  তার বাকপটু বক্তৃতা গান্ধী সহ সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিল।  নিজের এবং তার পরিবারের নিরাপত্তা উপেক্ষা করে, তিনি কলকাতার রাস্তায় নেমে আসেন এবং ১৯৪৬ সালের ভয়াবহ কলকাতা দাঙ্গার অন্ধকার দিনগুলিতে হিন্দু-মুসলিম ঐক্যের জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করেন।
গান্ধীজীর আদর্শে অবিচলিত নিষ্ঠা ছিল। ১৯৪৬ খ্রী. কলিকাতায় দাঙ্গার সময় দাঙ্গা-আধুষিত মুসলমান-প্রধান অঞ্চল এন্টনিবাগানে নিজের বাড়িতে থেকে হিন্দু-মুসলমানের ঐক্যের বাণী প্রচার করেন। ‘দি স্কাভেঞ্জার্স ইউনিয়ন অব বেঙ্গল’ এবং ‘জুটি ওয়ার্কার্স ইউনিয়নে’র প্রেসিডেন্ট তাঁর কন্যা প্ৰভাবতী দাশগুপ্ত ১৯২৭-২৮ থেকে ১৯৩০ – ৩১ খ্রী. পর্যন্ত শ্রমিক আন্দোলনের ক্ষেত্রে এক বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব।

মৃত্যু—-

মহান এই  সংগ্রামী মোহিনী দেবী ২৫ মার্চ ১৯৫৫ সালে মৃত্যুবরণ করেন।

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট ও উইকিপিডিয়া।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ

আজ ১১ আগস্ট, ইতিহাসের আজকের এই দিনে যা ঘটেছিল।

আজ ১১ আগস্ট। ইতিহাস ঘেটে দেখা যায় বছরের প্রতিটি দিনে ঘটেছে অনেক উল্লেখযোগ্য ঘটনা। আসুন আজকের দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য কিছু বিষয় একনজরে দেখে নিই।  ইতিহাসের আজকের এই দিনে কী কী ঘটেছিল, কে কে জন্ম নিয়েছিলেন ও মৃত্যুবরণ করেছিলেন——-

 

আজ যাদের জন্মদিন—-

১৯০৮ – পুলিনবিহারী সেন খ্যাতনামা বাঙালি রবীন্দ্র-বিশারদ।

১৯১১ – প্রেম ভাটিয়া, সাংবাদিক।

১৯২৯ – মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায় ভারতীয় বাঙালি সঙ্গীতশিল্পী ও সুরকার।

১৯৩৭ – সালমা সোবহান, বাংলাদেশের প্রখ্যাত ব্যারিস্টার, শিক্ষক, মানবাধিকারকর্মী।

১৯৩৮ – চঞ্চল কুমার মজুমদার, শান্তিস্বরূপ ভটনাগর পুরস্কারে সম্মানিত আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ভারতীয় পদার্থবিজ্ঞানী ।

১৯৬৫ – ভায়োলা ডেভিস, মার্কিন অভিনেত্রী ও প্রযোজক।

১৯৭০ – জিয়ানলুকা পেসোত্তো, ইতালীয় ফুটবলার।

১৯৮৩ – ক্রিস হেমসওর্থ, অস্ট্রেলীয় অভিনেতা।

১৮৭০ – টম রিচার্ডসন, ইংরেজ ক্রিকেটার।

১৭৩৭ – ইংরেজ ভাস্কর জোসেফ নোলেকেনস।

১৮৫৮ – নোবেলজয়ী [১৯২৯] ওলন্দাজ চিকিৎসক ক্রিস্টিয়ান আইকমান।

 

ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনের ঘটনাবলী—-

২০০৪ – পাকিস্তান পরমাণু বিস্তার রোধ না করলে দেশটির ওপর মার্কিন কংগ্রেসের নিষেধাজ্ঞা প্রস্তাব গ্রহণের আহবান করা হয়।

২০০৮ – গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে মহিলাদের ৪০০ মিটার ফ্রিস্টাইল শেষ হয়। একই দিনে মহিলাদের ২০০ মিটার ফ্রিস্টাইল সাঁতার প্রতিযোগিতা শুরু হয়।

২০১২ – বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একজন অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাফাত জামিল বীর বিক্রমের মৃত্যু।

১৯০৮ – বিপ্লবী ক্ষুদিরাম বসুর ফাঁসি কার্যকর হয়।

১৯০৯ – রেডিওর বিপদবার্তা বা এসওএসের ব্যবহার শুরু হয়।

১৯১৪ – জন রে অ্যানিমেশন পেটেন্ট করেন।

১৯২২ – কাজী নজরুল ইসলামের ধুমকেতু পত্রিকা প্রকাশিত হয়।

১৯২৯ – ইরাক ও পারস্য শান্তিচুক্তি করে।

১৯২৯ – রাশিয়া ও চীনের সীমান্তে যুদ্ধ শুরু হয়।

১৯৫২ – মানসিক অসুস্থতার জন্য জর্দানের বাদশাহ তালাল সিংহাসনচ্যুত হন।

১৯৬১ – ভারতে পূর্বে পর্তুগিজ শাসিত অঞ্চল দাদরা ও নগর হাভেলিকে ভারতের সাথে যুক্ত ও একত্রিত করে নতুন কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল দাদরা ও নগর হাভেলি গঠন করা হয়।

১৯৮৬ – এশিয়ার জনসংখ্যা ৩০০ কোটি পূর্ণ হয়।

১৮১০ – আজোরে ভয়াবহ ভূমিকম্পে সাও মিগুয়েল গ্রাম তলিয়ে যায়।

১৮৮৪ – টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি করেন অস্ট্রেলিয়ার ম্যাকডোনেল।

১৮৮৮ – বন্ধ হয়ে যায় ক্যালিফোর্নিয়া থিয়েটার।

১৭৮০ – বার্বাডোজে হারিকেন শুরু হয়।

৬৮৩ – মুসলমানরা সমরখন্দ বিজয় লাভ করে।

 

এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন যারা—-

২০০৪ – হুমায়ুন আজাদ, বাংলাদেশী লেখক ও ভাষাবিদ।

২০১২ – শাফায়াত জামিল বীর বিক্রম, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।

২০১৮ – বিদ্যাধর সূর্যপ্রসাদ নাইপল, ভারতীয়-নেপালীয় বংশোদ্ভূত ত্রিনিদাদীয় সাহিত্যিক।

১৯০৮ – ক্ষুদিরাম বসু ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের বাঙালি বিপ্লবীর ফাঁসির মঞ্চে আত্মবলিদান।

১৯৩৫ – স্যার দেবপ্রসাদ সর্বাধিকারী, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বেসরকারি ( ১৯১৪-১৯১৮) উপাচার্য।

১৯৫৫ – অমলেন্দু দাশগুপ্ত, বাঙালি সাহিত্যিক।

১৯৭০ – ইরাবতী কার্বে ভারতের মহারাষ্ট্রের একজন নৃবিজ্ঞানী, সমাজবিজ্ঞানী, শিক্ষাবিদ এবং লেখক।

১৯৭২ – নোবেজয়ী [১৯৫১] আফ্রিকান-মার্কিন অণুজীব বিজ্ঞানী ম্যাক্স থিলাব।

১৯৯০ – ননীগোপাল চক্রবর্তী বাঙালি শিশু সাহিত্যিক।

১৯৯৫ – আলোন্‌জো চার্চ, মার্কিন গণিতবিদ এবং যুক্তিবিদ।

 

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This
Categories
রিভিউ

আজ ১০ আগস্ট, ইতিহাসের আজকের এই দিনে যা ঘটেছিল।

আজ ১০ আগস্ট। ইতিহাস ঘেটে দেখা যায় বছরের প্রতিটি দিনে ঘটেছে অনেক উল্লেখযোগ্য ঘটনা। আসুন আজকের দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য কিছু বিষয় একনজরে দেখে নিই।  ইতিহাসের আজকের এই দিনে কী কী ঘটেছিল, কে কে জন্ম নিয়েছিলেন ও মৃত্যুবরণ করেছিলেন——-

 

দিবস—–

(ক)  বিমান বাহিনী দিবস। (আর্জেন্টিনা)

(খ) আন্তর্জাতিক জৈব-জ্বালানি দিবস।

 

আজ যাদের জন্মদিন—-

১৯০২ – আর্নে টিসেলিয়ুস, নোবেল জয়ী সুইডিশ রসায়নবিদ।

১৯১৩ – পদার্থবিদ্যায় নোবেলজয়ী [১৯৮৯] জার্মান বিজ্ঞানী ভোলফ্গাঙ্গ পল।

১৯১৭ – ব্রাজিলীয় কথাসাহিত্যিক হোর্হে অ্যামাদোর।

১৯২৩ – এস এম সুলতান, বাংলাদেশের একজন বিখ্যাত চিত্রশিল্পী।

১৯৩৬ – ইলা বসু প্রখ্যাত বাঙালি সঙ্গীতশিল্পী।

১৯৬৩ – ফুলন দেবী, ভারতীয় আইনজীবী ও রাজনীতিবিদ।

১৯৭৪ – হাইফা আল-মনসুর, সৌদি আরবের প্রথম নারী চলচ্চিত্র পরিচালক।

১৯৭৩ – হাভিয়ের জানেত্তি, আর্জেন্টাইন ফুটবলার।

১৯৯০ – লুকাস টিল, আমেরিকার অভিনেতা।

১৮৬০ – ভারতের প্রখ্যাত সংগীতজ্ঞ বিষ্ণু নারায়ণ ভাতখন্ডে।

১৮৭৪ – হার্বার্ট হুভার, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৩১তম রাষ্ট্রপতি।

১৮৯৪ -ভারতরত্ন বরাহগিরি ভেঙ্কট গিরি,ভারতের চতুর্থ রাষ্ট্রপতি ।

১৭৪০ – ইংরেজ সঙ্গীত স্রষ্টা স্যামুয়েল আর্নল্ড।

 

ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনের ঘটনাবলী—-

২০০৭ – বাংলাদেশের আকাশ থেকে বিশাল আকৃতির একটি বরফ খণ্ড পড়ে রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার বিড়ালদহ মাজারের পাশের একটি বাড়ির ক্ষয়ক্ষতি হয়।

১৯১১ – ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সদস্যরা সর্বপ্রথম বেতন গ্রহণের পক্ষে ভোট দেন।

১৯১৩ – বলকান যুদ্ধ অবসানে বুখারেস্ট চুক্তি সম্পন্ন হয়।

১৯১৪ – অস্ট্রিয়া-হাঙ্গেরির বিরুদ্ধে ফ্রান্স যুদ্ধ ঘোষণা করে।

১৯২০ – প্রথম বিশ্বযুদ্ধশেষে মিত্র ও সহযোগী শক্তির সাথে উসমানীয় সাম্রাজ্যের সেভ্র্‌ চুক্তি (Traité de Sèvres) স্বাক্ষরিত।

১৯৩৭ – চীনের গুরুত্বপূর্ণ থংজং হ্রদ ও কানতুং প্রদেশের উপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার জন্য জাপান হামলা চালায় এবং দুই বছর ধরে ঐ দেশ দু’টির মধ্যে দ্বিতীয় চীন-জাপান যুদ্ধ চলে ।

১৯৪৫ – দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের অন্তিম লগ্নে জাপান নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়।

১৮২১ – মিসৌরি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ২৪তম রাজ্যে পরিণত হয়।

১৬৭৫ – রয়্যাল গ্রীনউইচ মানমন্দিরের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপিত হয়।

 

 

এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন যারা—-

২০০২ – ক্রিস্টেন নিগার্ড, তিনি ছিলেন নরওয়েজিয়ান কম্পিউটার বিজ্ঞানী ও রাজনীতিবিদ।

২০০৮ – আইজাক হায়েজ, তিনি ছিলেন আমেরিকান গায়ক, গীতিকার, পিয়ানোবাদক, প্রযোজক ও অভিনেতা।

২০২১ – মাকি কাজি। অঙ্কের খেলা সুডোকুকে জনপ্রিয় করে তোলা এই মানুষটি পরিচিত ‘সুডোকুর গডফাদার’।

১৯১৫ – আণবিক সংখ্যার তত্ত্ব ,এক্সরে বর্ণালীতে মোসলে সূত্রের প্রবক্তা, হেনরি মোসলে, ইংরেজ পদার্থবিদ।

১৯৬৬ – আলবার্ট উক্সিপ, তিনি ছিলেন এস্তোনিয়ান অভিনেতা, উদ্ভিদবিজ্ঞানী ও অনুবাদক।

১৯৭৫ – বার্ট ওল্ডফিল্ড, তিনি ছিলেন অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটার।

১৯৮০ – ইয়াহিয়া খান, পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি ও সামরিক শাসক ছিলেন।

১৭২৩ – গুইলাউমে ডুবইস, তিনি ছিলেন ফরাসি অঙ্কবাচক ও রাজনীতিবিদ।

১৭৫৯ – ষষ্ঠ ফেরডিনান্ড, তিনি ছিলেন স্পেনের রাজা।

৮৪৭ – আল আবু জাফর হারুন ইবনে মুহাম্মদ আল মুতাসিম, তিনি ছিলেন আব্বাসীয় খলিফা।

 

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This
Categories
নারী কথা প্রবন্ধ

ব্রিটিশ কারাগারে কারারুদ্ধ প্রথম স্বাধীনতা সংগ্রামী নারী, বাসন্তী দেব।

ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন ছিল কিছু মানুষের অব্যর্থ পরিশ্রম যার ফলেই ব্রিটিশদের থেকে ভারত রাজনৈতিক দিক থেকে মুক্তি পেয়েছে। ভারত উপমহাদেশের বিংশ শতাব্দীতে ব্রিটিশ সম্রাজ্যবাদ বিরোধী যে সশস্ত্র বিপ্লববাদী লড়াই-সংগ্রাম সংগঠিত হয় এবং যার ধারাবাহিকতায় ভারত স্বাধীন হয়, তার মূলে যে সকল বিপ্লবীর নাম সর্বজন স্বীকৃত তাঁদের মধ্যে বাসন্তী দেবী  প্রথমসারির একজন অন্যতম বিপ্লবী ছিলেন।ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রাম শুধু শহীদ ভগৎ সিং-এর মতই নয় বরং শক্তিশালী নারীদের দ্বারা প্রশস্ত হয়েছিল যারা তাদের মাটিতে দাঁড়িয়েছিল এবং দেশের স্বাধীনতা অর্জনের জন্য ব্রিটিশদের সাথে লড়াই করেছিল। বাসন্তী দেবী  ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনে এক উল্লেখযোগ্য নাম, যিনি দেশমতৃকার শৃঙ্খল মুক্তির জন্য নিজেকে সঁপে দিয়েছিলেন সম্পূর্ণ রূপে। ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন ব্যক্তিত্ব ও অগ্নিকন্যা ছিলেন বাসন্তী দেবী। তিনি ছিলেন ব্রিটিশ কারাগারে কারারুদ্ধ প্রথম স্বাধীনতা সংগ্রামী নারী।

 

জন্ম পরিবার শিক্ষা—-

 

বাসন্তী দেবী  ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনাকালে ২৩ মার্চ ১৮৮০ সালে কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম বরদানাথ হালদার ও মাতার নাম হরিসুন্দরী দেবী। তার পিতা ছিলেন আসামের বিজনি ও অভয়াপুরী এস্টেটের দেওয়ান। দশ বছর বয়েসে তিনি দার্জিলিংয়ের লরেটে কনভেন্টে শিক্ষার জন্যে ভর্তি হন। ১৮৯৬ সালে দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশের সাথে বিবাহ হয়। বাসন্তী কলকাতার লরেটো হাউসে পড়াশোনা করেন, যেখানে তিনি সতেরো বছর বয়সে চিত্তরঞ্জন দাসের সাথে দেখা এবং বিয়ে করেন। ১৮৯৮ থেকে ১৯০১ সালের মধ্যে দুজনের তিনটি সন্তান জন্মগ্রহণ করেছিল।

 

রাজ নৈতিক জীবন এর শুরু—

 

১৯২০ সালে চিত্তরঞ্জন দাশের সাথে অসহযোগ আন্দোলনে যোগ দেন। তিনি ১৯২১ সালে নারীদের অসহযোগ আন্দোলনে যোগ দেওয়ার জন্য উদ্বুদ্ধ করেন। ১৯২১ সালে চিত্তরঞ্জন দাশ যখন গ্রেপ্তার হন তখন তিনি আইন অমান্য ও হরতালের ঘোষণা দেন। এর পরে তিনিও গ্রেপ্তার হন বড়বাজার এলাকায় হরতাল করার সময়। তাদের গ্রেপ্তারে সারা বাংলা জুড়ে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে পুলিশ তাকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়। নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু তাকে ‘মা’ সম্বোধন করতেন। তিনি ও চিত্তরঞ্জন দাশ মিলে সম্পাদনা করতেন বাঙলার কথা পত্রিকা। ১৯২২ সালে এপ্রিল মাসে চট্টগ্রামে যে বঙ্গীয় প্রাদেশিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় সেখানে তিনি সভানেতৃত্ব করেন এবং দেশবন্ধুর নতুন কর্মপন্থা ইঙ্গিত করেন। দেশবন্ধু তখনও জেলে ছিলেন। তিনি দেশবন্ধুর সাথে সংগঠন গড়ে তোলা ও ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন জন্য কাজ করেছেন। ১৯২২ সালে চট্টগ্রামে বঙ্গীয় প্রাদেশিক সম্মেলনে সভানেত্রী ছিলেন।

 

বৈপ্লবিক জীবন—

 

তার স্বামীর অনুসরণে, বাসন্তী দেবী আইন অমান্য আন্দোলন এবং খিলাফত আন্দোলনের মতো বিভিন্ন আন্দোলনে অংশ নিয়েছিলেন এবং ১৯২০ সালে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের নাগপুর অধিবেশনেও অংশ নিয়েছিলেন। পরের বছর, তিনি দাসের বোন ঊর্মিলা দেবী এবং সুনিতা দেবীর সাথে যোগ দেন।  নারী কর্মীদের জন্য একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র “নারী কর্ম মন্দির” প্রতিষ্ঠা করুন।  ১৯২০-১৯২১ সালে, তিনি জলপাইগুড়ি থেকে তিলক স্বরাজ ফান্ডে স্বর্ণের অলঙ্কার এবং ২০০০ টি স্বর্ণমুদ্রা সংগ্রহ করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।
১৯২১ সালে অসহযোগ আন্দোলনের সময়, ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস ধর্মঘট এবং বিদেশী পণ্য নিষিদ্ধ করার আহ্বান জানায়।  কলকাতায়, পাঁচজন স্বেচ্ছাসেবকের ছোট দলকে কলকাতার রাস্তায় খাদি, হাতে কাটা কাপড় বিক্রি করার জন্য নিযুক্ত করা হয়েছিল।  দাস, যিনি স্থানীয় আন্দোলনের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিত্ব ছিলেন তার স্ত্রী বাসন্তী দেবীকে এমন একটি দলের নেতৃত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।  সুভাষ চন্দ্র বসুর সতর্কতা সত্ত্বেও দেবী রাস্তায় নেমেছিলেন যে এটি তাকে গ্রেফতার করতে ব্রিটিশদের উস্কে দেবে।  যদিও তাকে মধ্যরাতে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল, তার গ্রেপ্তার ব্যাপক আন্দোলনের প্রেরণা জুগিয়েছিল।  কলকাতার দুটি কারাগার বিপ্লবী স্বেচ্ছাসেবকদের দ্বারা পূর্ণ ছিল এবং আরও সন্দেহভাজনদের আটক করার জন্য দ্রুত আটক শিবির তৈরি করা হয়েছিল।  ১৯২১ সালের ১০ ডিসেম্বর পুলিশ দাস ও বসুকে গ্রেপ্তার করে।
দাসের গ্রেপ্তারের পর, বাসন্তী দেবী তার সাপ্তাহিক প্রকাশনা বাঙ্গালার কথা (বাংলার গল্প) এর দায়িত্ব নেন।  তিনি ১৯২১-১৯২২ সালে বঙ্গীয় প্রাদেশিক কংগ্রেসের সভাপতি ছিলেন।  ১৯২২ সালের এপ্রিলে চট্টগ্রাম সম্মেলনে তার বক্তৃতার মাধ্যমে তিনি তৃণমূল আন্দোলনকে উৎসাহিত করেন।  ভারতের চারপাশে ভ্রমণ, তিনি ঔপনিবেশিকতার বিরোধিতা করার জন্য শিল্পের সাংস্কৃতিক বিকাশকে সমর্থন করেছিলেন।
দাস যেহেতু সুভাষ চন্দ্র বসুর রাজনৈতিক পরামর্শদাতা ছিলেন, বসন্তী দেবীর প্রতি বসন্তের খুব শ্রদ্ধা ছিল।  ১৯২৫ সালে দাসের মৃত্যুর পর, বসু দেবীর সাথে তার ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিক সন্দেহ নিয়ে আলোচনা করেছিলেন বলে জানা যায়।  সুভাষ চন্দ্র বসুর ভ্রাতৃপ্রতিম ভাতিজি কৃষ্ণ বোস বাসন্তী দেবীকে তাঁর “দত্তক মা” এবং তাঁর জীবনের চারটি গুরুত্বপূর্ণ মহিলার একজন হিসাবে চিহ্নিত করেছিলেন, বাকি তিনজন হলেন তাঁর মা প্রভাবতী, তাঁর ভগ্নিপতি বিভাবতী (শেরতের স্ত্রী)  চন্দ্র বসু) এবং তার স্ত্রী এমিলি শেঙ্কল।
তার স্বামীর মতো, বাসন্তী দেবীও ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের বিপ্লবী কর্মীদের প্রতি সহানুভূতিশীল ছিলেন।  ১৯২৮ সালে, ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামী লালা লাজপত রায় তার শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ মিছিলের বিরুদ্ধে পুলিশের লাঠিচার্জে আহত হওয়ার কয়েকদিন পর মারা যান।  এর পর বাসন্তী দেবী লাজপত রায়ের মৃত্যুর প্রতিশোধ নিতে ভারতীয় যুবকদের উদ্বুদ্ধ করেন।

 

রাজনৈতিক জীবন থেকে অবসর—

 

দেশবন্ধু ও তার তিন সন্তান- দুই কন্যা, অপর্ণা ও কল্যাণী ও একপুত্র চিররঞ্জন। ১৯২৬ সালে একমাত্র পুত্র চিররঞ্জনের মৃত্যুর পর রাজনৈতিক জীবন থেকে অবসর নেন। এর পরেও তাকে অনেক পারিবারিক বিপর্যয় ও ব্যক্তিগত শোক সহ্য করতে হয়েছিল। প্রথমে স্বামী, পুত্র, এরপর নাবালিকা পৌত্রী, পুত্রবধু, জামাতা এবং জ্যেষ্ঠা কন্যার মৃত্যু হয় তার জীবদ্দশায়। তার দৌহিত্র সিদ্ধার্থ শংকর রায় পশ্চিমবঙ্গের ভূতপূর্ব মুখ্যমন্ত্রী ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত ছিলেন। এক দৌহিত্রী মঞ্জুলা বসু প্রথম মহিলা অ্যাডভোকেট জেনারেল।

 

সম্মাননা—-

১৯৪৭ সালে ভারতের স্বাধীনতার পর, বাসন্তী দেবী সামাজিক কাজ চালিয়ে যান।  বাসন্তী দেবী কলেজ, কলকাতার প্রথম মহিলা কলেজ যা সরকারের অর্থায়নে ১৯৫৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এবং তার নামে নামকরণ করা হয়েছিল।  ১৯৭৩ সালে, তিনি ভারতের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার পদ্মবিভূষণে সম্মানিত হন।

মৃত্যু—

বাসন্তী দেবী ৭ মে ১৯৭৪ মৃত্যুবরণ করেন। কলকাতা কেওড়াতলা মহাশ্মশান প্রাঙ্গণে তার স্মৃতি সমাধি মন্দির বর্তমান।

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট ও উইকিপিডিয়া।।

Share This