Categories
প্রবন্ধ

ব্রজকিশোর চক্রবর্তী, ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে এক উজ্জ্বল নাম।

ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন ছিল কিছু মানুষের অব্যর্থ পরিশ্রম যার ফলেই ব্রিটিশদের থেকে ভারত রাজনৈতিক দিক থেকে মুক্তি পেয়েছে। ভারত উপমহাদেশের বিংশ শতাব্দীতে ব্রিটিশ সম্রাজ্যবাদ বিরোধী যে সশস্ত্র বিপ্লববাদী লড়াই-সংগ্রাম সংগঠিত হয় এবং যার ধারাবাহিকতায় ভারত স্বাধীন হয়, তার মূলে যে সকল বিপ্লবীর নাম সর্বজন স্বীকৃত তাঁদের মধ্যে ব্রজোকিশোর চক্রবর্তী প্রথমসারির একজন অন্যতম বিপ্লবী ছিলেন। ব্রজোকিশোর চক্রবর্তী ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনে এক উল্লেখযোগ্য নাম, যিনি দেশমতৃকার শৃঙ্খল মুক্তির জন্য নিজেকে সঁপে দিয়েছিলেন সম্পূর্ণ রূপে।

 

ব্রজোকিশোর চক্রবর্তী (১৯১৩ – ২৫ অক্টোবর ১৯৩৪) ছিলেন একজন ভারতীয় বিপ্লবী এবং বেঙ্গল ভলান্টিয়ার্সের সদস্য যারা ভারতের স্বাধীনতা সুরক্ষিত করার প্রয়াসে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে হত্যাকাণ্ড চালিয়েছিলেন।  ম্যাজিস্ট্রেট বার্গকে হত্যার অভিযোগে ১৯৩৪ সালের ২৫ অক্টোবর রামকৃষ্ণ রায়ের সাথে তাকে ফাঁসি দেওয়া হয়।

 

পরিবার—-

 

ব্রজকিশোর চক্রবর্তী ১৯১৩ সালে বল্লভপুরে (পশ্চিম মেদিনীপুর) জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম ছিল উপেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী।  তিনি ব্রিটিশ ভারতের একটি বিপ্লবী সংগঠন বেঙ্গল ভলান্টিয়ার্সে যোগ দেন। ব্রজকিশোর ছাত্রাবস্থায় ১৯৩০ খ্রিষ্টাব্দে আইন অমান্য আন্দোলনে যোগ দেন।

 

বিপ্লবী কার্যক্রম—

 

ম্যাজিস্ট্রেট প্যাডি ও রবার্ট ডগলাস হত্যার পর কোনো ব্রিটিশ অফিসার মেদিনীপুর জেলার দায়িত্ব নিতে প্রস্তুত ছিলেন না।  মিঃ বার্নার্ড ই জে বার্গ, একজন নির্মম জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে মেদিনীপুর জেলায় পোস্ট করা হয়েছিল।  বঙ্গীয় স্বেচ্ছাসেবকদের সদস্যরা হলেন রামকৃষ্ণ রায়, ব্রজকিশোর চক্রবর্তী, প্রভাংশু শেখর পাল, কামাখ্যা চরণ ঘোষ, সোনাতন রায়, নন্দ দুলাল সিং, সুকুমার সেন গুপ্ত, বিজয় কৃষ্ণ ঘোষ, পূর্ণানন্দ সান্যাল, মণীন্দ্র নাথ চৌধুরী, সানজান রঞ্জন চৌধুরী, রঞ্জন দাস।  সেন, শৈলেশ চন্দ্র ঘোষ, অনাথ বন্ধু পাঞ্জা ও মৃগেন্দ্র দত্ত প্রমুখ তাঁকে হত্যার সিদ্ধান্ত নেন।  রামকৃষ্ণ রায়, ব্রজকিশোর চক্রবর্তী, নির্মল জীবন ঘোষ এবং মৃগেন্দ্র দত্ত মিডনাপুরের পুলিশ গ্রাউন্ডে ফ্রান্সিস ব্র্যাডলি ব্র্যাডলি-বার্ট এর নামে একটি ফুটবল ম্যাচ (ব্র্যাডলি-বার্ট ফুটবল টুর্নামেন্ট) খেলার সময় তাকে গুলি করে হত্যা করার পরিকল্পনা করেছিলেন।  বার্গ একজন অত্যন্ত চতুর এবং সতর্ক অফিসার কখনই তার বাড়ি থেকে বের হন না, তার বাংলোর চারপাশে উচ্চ নিরাপত্তার বেড়া দেন।  এপ্রিল, মে, জুন, জুলাই এবং আগস্টের মধ্যে মাস কেটে যায় বার্নার্ড ফুটবল খেলার প্রতি অনুরাগী, তার স্ব-আরোপিত কারাদণ্ড শিথিল করে
২রা সেপ্টেম্বর বার্গ পুলিশের মাঠে ফুটবল ম্যাচ খেলার সিদ্ধান্ত নেয়, এইবার মৃগান দত্ত ও অনাথ বন্ধু পাঞ্জা বার্গের বিরুদ্ধে খেলেছিলেন।

 

১৯৩৩ সালের ২ সেপ্টেম্বর শ্বেতাঙ্গ ম্যাজিস্ট্রেট বার্জ সাহেব মেদিনীপুর কলেজ মাঠে মোহামেডান স্পোর্টিং-এর বিরুদ্ধে মেদিনীপুর ক্লাবের হয়ে ফুটবল খেলতে নামেন। খেলা প্রাকটিসের ছল করে বল নিয়ে মাঠে নামেন অনাথবন্ধু পাঁজা ও মৃগেন্দ্রনাথ দত্ত। মাঠেই দুই বন্ধু বার্জ সাহেবকে আক্রমণ করলে তিনি মারা যান। জোন্স নামে একজন আহত হন। পুলিস প্রহরী দুজনের উপর পাল্টা গুলি চালায়। এতে তারা দুজন নিহত হন এবং অপর সঙ্গীরা পলায়ন করতে সক্ষম হন।

এই ঘটনার পর ব্রজকিশোর চক্রবর্তী, রামকৃষ্ণ রায়, নির্মলজীবন ঘোষ, নন্দদুলাল সিং, কামাখ্যা ঘোষ, সুকুমার সেন, সনাতন রায়ের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের মামলা হয়। বিচারে  ব্রজ ও রামকৃষ্ণকে বার্নাডের মৃত্যুদণ্ডের অভিযোগে বন্দী করা হয়, ১৯৩৪ সালের ২৫শে অক্টোবর মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয় এবং পরের দিন ২৬ অক্টোবর নির্মল জীবন ঘোষকে ।নন্দদুলাল সিং, কামাখ্যা ঘোষ, সুকুমার সেন এবং সনাতন রায়-এর যাবজ্জীবন দ্বীপান্তর দণ্ড হয়। মেদিনীপুরের জেলা ম্যাজিস্ট্রেট খুনের অভিযোগ থেকে খালাস পেয়েছেন অনাথ বন্ধু পাঞ্জা ও মৃগেন্দ্র দত্ত।মেদিনীপুরের স্বাধীনতার আগ পর্যন্ত ম্যাজিস্ট্রেট ছিল না।

মৃত্যু–

ম্যাজিস্ট্রেট বার্গকে হত্যার অভিযোগে ১৯৩৪ সালের ২৫ অক্টোবর রামকৃষ্ণ রায়ের সাথে তাকে ফাঁসি দেওয়া হয়।মেদিনীপুর সেন্ট্রাল জেলে তিনি ফাঁসিতে শহীদ হন।

Share This
Categories
রিভিউ

আজ ৫ আগস্ট, ইতিহাসের আজকের এই দিনে যা ঘটেছিল।

আজ ৫ আগস্ট। ইতিহাস ঘেটে দেখা যায় বছরের প্রতিটি দিনে ঘটেছে অনেক উল্লেখযোগ্য ঘটনা। আসুন আজকের দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য কিছু বিষয় একনজরে দেখে নিই।  ইতিহাসের আজকের এই দিনে কী কী ঘটেছিল, কে কে জন্ম নিয়েছিলেন ও মৃত্যুবরণ করেছিলেন——-

 

আজ যাদের জন্মদিন—-

১৯০৪ – অতুল সুর, বিশিষ্ট ইতিহাসবিদ,নৃতাত্ত্বিক, অর্থনীতিবিদ,লেখক ও কলকাতা বিশেষজ্ঞ।

১৯৭৫ – কাজল, ভারতীয় অভিনেত্রী।

১৯৯১ – সোহাগ গাজী, বাংলাদেশী ক্রিকেটার।

১৯০৬ – জন হিউস্টন, আইরিশ-মার্কিন চলচ্চিত্র পরিচালক, চিত্রনাট্যকার ও অভিনেতা।

১৯৩০ – নীল আর্মস্ট্রং, মার্কিন নভোচারী, প্রথম মানুষ যিনি চাঁদে অবতরণ করেন।

১৯৪০ – অধ্যাপক ড. অনুপম সেন – উপাচার্য, প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়; সমাজবিজ্ঞানী এবং একুশে পদক বিজয়ী।

১৯৪৯ – বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ পুত্র শহীদ শেখ কামাল

১৯৬৮ – মারীন ল্য পেন, ফরাসি রাজনীতিবিদ।

১৮০২ – নিল্‌স হেনরিক আবেল, নরওয়েজীয় গণিতবিদ।

১৮৫০ – গি দ্য মোপাসঁ, একজন বিখ্যাত ফরাসি কবি গল্পকার ও ঔপন্যাসিক।

১৮৮৯ – কমরেড মুজফ্‌ফর আহমদ, ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির নেতা।

 

ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনের ঘটনাবলী—-

২০০২ – স্যার মাইকেল সোমারে পাপুয়া নিউগিনির প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত।

২০০৩ – ইন্দোনেশিয়ার ম্যারিয়ট হোটেলে ভয়াবহ গাড়িবোমা হামলা হয়।

২০১৯ – ভারত সরকার সংবিধানের ৩৭০ ধারা তথা অনুচ্ছেদ ও সংলগ্ন ৩৫এ ধারা বাতিল ঘোষণা করে। সেই সাথে জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্য বিভক্ত করে জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখ রাজ্য গঠন ঘোষণা করে।

১৯৬৫ – পাকিস্তান-ভারত যুদ্ধ শুরু হয়।

১৯৭৭ – ইরানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী আমির আব্বাস হোয়াইদাকে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে অপসারণ করা হয়।

১৯৭৮ – ভারতের কলকাতায় অহীন্দ্র মঞ্চ স্থাপিত হয়।

১৯৮৪ – বৃষ্টিবিঘ্নিত আবহাওয়ার কারণে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় আসার পথে বিমান দুর্ঘটনায় বাংলাদেশের প্রথম নারী বৈমানিক সৈয়দা কানিজ ফাতেমা রোকসানাসহ ৪৯জন মারা যায়।

১৯০৫ – বঙ্গদেশ বিভক্ত করার জন্য বঙ্গভঙ্গ আইন ঘোষিত হয়।

১৯১৪ – মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওহিওতে প্রথম বৈদ্যুতিক ট্রাফিক সংকেত ব্যবস্থা প্রবর্তিত হয়।

১৯২২ – জার্মানি ত্যাগ করে আইনস্টানের আমেরিকায় আশ্রয় গ্রহণ।

১৯২৪ – তুরস্কে বহু বিবাহ নিষিদ্ধ করা হয়।

১৯৪৭ – পূর্ববঙ্গ পার্লামেন্টারি দলের নেতা নির্বাচনে খাজা নাজিমুদ্দিনের কাছে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর পরাজয়।

১৯৪৯ – দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ইকুয়েডরে ভয়াবহ ভূমিকম্পে ছয় হাজার মানুষ নিহত হয়।

১৯৬০ – আফ্রিকার দেশ বুরকিনা ফাসো ফ্রান্সের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভ করে।

১৯৬২ – নেলসন ম্যান্ডেলা কারাগারে অন্তরিন হন। ১৯৯০ সাল পর্যন্ত তাঁকে জেলখানায় কাটাতে হয়।

১৯৬৩ – ব্রিটেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও সোভিয়েত ইউনিয়নের মধ্যে পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষা নিষিদ্ধকরণ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

১৯৬৪ – উত্তর ভিয়েতনামের টমকিন উপসাগরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ব্যাপক বোমাবর্ষণ করে।

১৮৯২ – ‘দি ইন্ডিয়ান এ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য প্রমোশন অব ফাইন আর্টস ও ন্যাশনাল আর্ট গ্যালারি’ প্রতিষ্ঠিত হয়।

 

এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন যারা—-

২০০০ – আলেক গিনেজ, ইংরেজ অভিনেতা।

১৯৩২ – অতুল সেন, ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন অন্যতম ব্যক্তিত্ব এবং অগ্নিযুগের শহীদ বিপ্লবী।

১৯৬২ – মেরিলিন মনরো,বিংশ শতাব্দীর একজন বিখ্যাত চলচ্চিত্র অভিনেত্রী, যৌন আবেদক ও পপ আইকন ছিলেন।

১৯৭৫ – কবি ও সম্পাদক সিকান্দার আবু জাফর।

১৯৭৭ – নোবেলজয়ী [১৯৩২] ব্রিটিশ শারীরতত্ত্ববিদ এডগার অ্যাড্রিয়ান।

১৯৮৪ – বিমান দুর্ঘটনায় বাংলাদেশের প্রথম নারী বৈমানিক সৈয়দা কানিজ ফাতেমা রোকসানা।

১৯৮৭ – ইরানের বিমান বাহিনীর পাইলট মেজর জেনারেল আব্বাস বাবায়ী ইরাকের আগ্রাসী বাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনার সময় মারা যান।

১৮৯৫ – সমাজতন্ত্র ও মার্কসবাদের অন্যতম প্রবক্তা ফ্রেডরিখ এঙ্গেলস।

১৭৭৫ – মহারাজা নন্দকুমার, বৃটিশ ভারতে কর কর্মকর্তা।

 

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This
Categories
রিভিউ

আজ ৪ আগস্ট, ইতিহাসের আজকের এই দিনে যা ঘটেছিল।

আজ ৪ আগস্ট। ইতিহাস ঘেটে দেখা যায় বছরের প্রতিটি দিনে ঘটেছে অনেক উল্লেখযোগ্য ঘটনা। আসুন আজকের দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য কিছু বিষয় একনজরে দেখে নিই।  ইতিহাসের আজকের এই দিনে কী কী ঘটেছিল, কে কে জন্ম নিয়েছিলেন ও মৃত্যুবরণ করেছিলেন——-

 

আজ যাদের জন্মদিন—-

১৯৬১ – বারাক ওবামা, (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একজন রাজনীতিবিদ)।

১৯৬৫ – ফ্রেদ্রিক রাইনফেল্‌ৎ, (সুইডেনের প্রধানমন্ত্রী)।

১৯৬৭ – আরবাজ খান, (ভারতীয় অভিনেতা, পরিচালক এবং চলচ্চিত্র প্রযোজক)।

১৯০৫ – বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র, (বিশিষ্ট ভারতীয় বাঙালি বেতার সম্প্রচারক, নাট্যকার, অভিনেতা ও নাট্য পরিচালক)।

১৯১২ – রাউল ওয়ালেনবার্গ, (সুয়েডীয় স্থপতি, ব্যবসায়ী, মানবতাবাদী ও বিশিষ্ট কূটনীতিবিদ)।

১৯২৯ – (ক) কিশোর কুমার, (বিখ্যাত ভারতীয় বাঙালি গায়ক এবং নায়ক)।

(খ) – ইয়াসির আরাফাত, (ফিলিস্তিনি নেতা)।

১৯৩২ – ফ্রান্সিস এলিজাবেথ অ্যালেন, (মার্কিন কম্পিউটার বিজ্ঞানী)।

১৯৩৭ – ডায়ান ক্যানন, (মার্কিন অভিনেত্রী, পরিচালক, চিত্রনাট্যকার, প্রযোজক ও সম্পাদক)।

১৯৪৭ – আবুল হাসান, (বাংলাদেশী আধুনিক কবি)।

১৯৫৫ – বিলি বব থর্নটন, (মার্কিন অভিনেতা, চলচ্চিত্র নির্মাতা, গায়ক, গীতিকার)।

১৯৮৩ – গ্রেটা গারউইগ, (মার্কিন অভিনেত্রী, চলচ্চিত্র পরিচালক ও চিত্রনাট্যকার)।

১৮৫৯ – ক্যুট হামসুন, (নোবেলজয়ী নরওয়েজীয় কথাশিল্পী)।

১৭৯২ – পার্সি বিশি শেলি, (ইংরেজ কবি)।

 

ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনের ঘটনাবলী—-

২০০০ – ব্রিটিশ রানিমাতা এলিজাবেথের শততম জন্মবার্ষিকী পালন।

২০১১ – থাইল্যান্ডের ইতিহাসে ২৬তম ৫০০ আসনের সাধারণ নির্বাচনের চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করা হয়।

২০১৪ – বাংলাদেশের পদ্মা নদীতে পিনাক-৬ নামক একটি লঞ্চ প্রায় আড়াইশো যাত্রী নিয়ে ডুবে যায়। ডুবে যাওয়া লঞ্চ থেকে ৪৯ জন যাত্রীর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয় এবং ৫০ জন নিখোঁজ হন।

২০১৬ – প্রথম বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ঔষধ রপ্তানি শুরু করে বেক্সিমকো ফার্মা।

২০১৯ – যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের শপিংমলে বন্দুকধারীর এলোপাতাড়ি গুলিতে ২২ জন নিহত হয়।

১৯০৪ –  (ক) পানামা খালের খনন কাজ শুরু।

(খ) – ‘নাসিমে শুমল’ নামে ইরানের প্রথম দৈনিক পত্রিকা প্রকাশিত হয়। দৈনিকটিতে বেশীর ভাগই হাস্য রসাত্বক, বিনোদন ও সমালোচনা ধর্মী লেখা প্রকাশিত হত।

১৯০৬ – ইরানে আলেমদের নেতৃত্বে গণ-আন্দোলনের মুখে তৎকালীন শাসক মুজাফফার উদ্দীন শাহ কাজার সংবিধান প্রণয়নের নির্দেশ জারি করতে বাধ্য হন।

১৯১৪ – (ক) জার্মানি বেলজিয়াম দখল করে নেয়।

(খ) – প্রথম মহাযুদ্ধে ফ্রান্সের বিরুদ্ধে জার্মানি যুদ্ধ ঘোষণা করে।

১৯২০ – সিলেটে সিলেট জেলা খেলাফত কমিটি গঠিত হয় এবং হাওয়া পাড়ায় মৌলবী আবদুল্লাহ বিএল-এর বাসভবনে এর অস্থায়ী কার্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়।

১৯২৯ – বঙ্গীয় আইন পরিষদ এর ২৫ জন মুসলিম সদস্য কলকাতায় একটি সম্মেলনে মিলিত হয়েছিলেন।

১৯৩৫ – ওয়েস্ট মিনিস্টারে অবস্থিত বিবিসি’র সদর দফতর “বুশ হাউস” নির্মাণ শেষে লর্ড ব্যালফারের নেতৃত্বে উন্মোচন করা হয়।

১৯৩৫ – ভারতে স্বায়ত্তশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে প্রণীত গভর্নমেন্ট অব ইন্ডিয়া অ্যাক্ট রাজকীয় অনুমোদন লাভ।

১৯৪০ – ইতালিয় সেনাবাহিনী কেনিয়া, সুদান ও ব্রিটিশ সোমালিল্যান্ড দখল করে।

১৯৪১ – নাৎসি জার্মান বাহিনী পোলিশ বিজ্ঞানী ও লেখকদের হত্যা করে।

১৯৪২ – ফিলিপাইন স্বাধীনতা ঘোষণা করে।

১৯৪৩ – কুর্স্কের যুদ্ধ শুরু হয়।

১৯৪৬ – যুক্তরাষ্ট্র ফিলিপাইনের স্বাধীনতা ফিরিয়ে দিতে বাধ্য হয়।

১৯৪৭ – ইন্ডিয়া ইন্ডিপেন্ডেন্স এ্যাক্ট খসড়া আকারে ব্রিটিশ

কমন্স সভায় উত্থাপিত হয়।

১৯৫১ – চেকোস্লাভাকিয়ার আদালত মার্কিন সাংবাদিক উইলিয়াম এন ওয়াতিসকে ১০ বছরের সাজা দেন।

১৯৬৪ – দক্ষিণ চীন সাগরে উত্তর ভিয়েতনাম ও মার্কিন যুদ্ধ জাহাজের মধ্যে সংঘর্ষ হয় এবং এই যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র পরাজিত হয়।

১৯৬৭ – ভারতে নাগার্জুন সাগর বাঁধের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী।

১৯৭২ -(ক) উগান্ডার রাষ্ট্রপতি ইদি আমিন চল্লিশ হাজার এশিয়াবাসীকে উগান্ডা থেকে বহিষ্কারের নির্দেশ দেন।

(খ) দুই কোরিয়া পুনরায় একত্রীকরণের লক্ষ্যে প্রথমবারের মত সরকারি ভাবে যৌথ ঘোষণা দেওয়া হয়।

১৯৭৮ – লাতিন আমেরিকার ৮টি দেশের আমাজান নদী সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষর।

১৯৮২ – ইরানের চারজন কূটনীতিককে লেবাননের মিলিশিয়ারা অপহরণ করে।

১৯৮৭- (ক)  প্রথম পাকিস্তানি ক্রিকেটার হিসেবে টেস্ট ক্রিকেটে ৩০০ উইকেট নেয়ার কৃতিত্ব অর্জন করেন কিংবদন্তি অলরাউন্ডার ইমরান খান।

(খ) চীনের তেং সিয়াও পিং বাংলাদেশের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট এরশাদের সঙ্গে সাক্ষাত করার সময় দুটি মৌলিক তত্ত্ব উত্থাপন করেন।

১৯৮৮ – পাকিস্তানের সংগ্রামী ব্যক্তিত্ব ও খ্যাতনামা আলেম আল্লামা সাইয়্যেদ আরেফ হোসেন হোসেইনী পেশোয়ার শহরে উগ্রপন্থী ও সন্ত্রাসীদের হামলায় শাহাদাতবরণ করেন।

১৮০২ – মার্কিন ওয়েস্ট পয়েন্ট সামরিক ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠিত হয়।

১৮২৭ – নিউ ইয়র্ক রাজ্যে দাস প্রথার বিলুপ্তি ঘটে।

১৮২৮ – উইলিয়াম বেন্টিঙ্ক বাংলার গভর্নর জেনারেল পদে নিযুক্ত হন।

১৮২৯ – লন্ডনে প্রথম বাস চলাচল শুরু।

১৮৪৮ – কার্ল মার্কস ও ফ্রেডারিখ এঙ্গেলস কমিউনিস্ট পার্টির ইশতেহার প্রকাশ করেন।

১৮৫৬ – মৌলভী আহমাদ উল্লাহ ও লখনৌর বেগম হযরত মহলের নেতৃত্বাধীন যুদ্ধে ইংরেজদের পরাজয়।

১৮৭০ – লর্ড ওয়ানটেজ ব্রিটিশ রেডক্রস সোসাইটি প্রতিষ্ঠা করেন।

১৮৮১ – ভারতের শিলিগুড়ি ও দার্জিলিং-এর মধ্যে প্রথম টয়ট্রেন চলাচল শুরু হয়।

১৮৮৫ – ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের প্রথম অধিবেশন শুরু হয়  উমেশ চন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভাপতিত্বে ।

১৮৮৬ – কলম্বিয়াতে শাসনতন্ত্র গৃহীত হয় ।

১৭০০ – তুরস্ক-রাশিয়া যুদ্ধ বিরতি। আমেরিকার স্বাধীনতা চুক্তি স্বাক্ষর ঘোষণা।

১৭৭৬ – সালের এই দিনে আমেরিকা স্বাধীনতা লাভ করে।

১৬৬৬ – নেদারল্যান্ডস ও ইংল্যান্ডের মধ্যে সাগরে যুদ্ধ হয় ।

১৫৭৮ – আল কাছার আল কবিরের যুদ্ধে মুরদের হাতে পর্তুগিজরা পরাজিত হয়।

১৪৯২ – ক্রিস্টোফার কলম্বাস স্পেন থেকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ অভিমুখে যাত্রা করেন।

১১৮১ – ক্যাসিওপিয়াতে সুপারনোভা দেখা যায় ।

১১৮৭ –  (ক) ক্রুসেডের হাত্তিনের যুদ্ধে জেরুজালেমের রাজা লুসিগনানকে সালাহুদ্দিন আইয়ুবি পরাজিত করেন।

(খ) – সুলতান সালাহুদ্দিন আইয়ুবি বায়তুল মোকাদ্দাস অধিকার করেন।

৯৫৪ – সাইফুদ্দৌলা হামদানী রোমান খ্রিস্টানদের পরাজিত করেন।

 

এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন যারা—-

২০০৩ – ফ্রেড্রিখ চ্যাপম্যান রবিন্‌স, (মার্কিন বিজ্ঞানী, চিকিৎসা বিজ্ঞানে নোবেল বিজয়ী)।

২০২০ – মানবেন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় (প্রখ্যাত বাঙালি কবি,কথাসাহিত্যিক, প্রাবন্ধিক ও অনুবাদক)।

১৯১৯ – ডেভ গ্রিগরি, (অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটার)।

১৯৩১ – রামকৃষ্ণ বিশ্বাস, (বাঙালি, ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের বিপ্লবী)।

১৯৪৮ – মিলেভা মেরিক, (পদার্থবিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইনের প্রথম স্ত্রী ও সহকর্মী)।

১৯৭৮ -( সাংবাদিক ও লেখক) মোহাম্মদ ওয়ালিউল্লাহ।

১৯৮১ – মেলভিন ডগলাস, (মার্কিন অভিনেতা)।

১৮৭৫ – হান্স ক্রিশ্চিয়ান এন্ডারসন, (ডেনীয় লেখক এবং কবি)।

১০৬০ – প্রথম হেনরি, (ফ্রান্সের রাজা)।

 

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ

কিশোর কুমার ভারতীয় চলচ্চিত্র শিল্পের সর্বাধিক সফল এবং চলচ্চিত্রের সর্বশ্রেষ্ঠ নেপথ্য গায়ক এবং নায়ক, জন্ম দিবসে শ্রদ্ধাঞ্জলি l

কিংবদন্তী সঙ্গীত শিল্পী কিশোর কুমার কে চেনেননা এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া বিরল। শুধু দেশ নয়, গোটা বিশ্বে তিনি এক অতি পরিচিত নাম। সঙ্গীতের আকাশে তিনি এক উজ্জ্বল নক্ষত্র । কিশোর কুমার ছিলেন ভারতীয় গায়ক, গীতিকার, সুরকার, অভিনেতা, চলচ্চিত্র পরিচালক, চিত্রনাট্যকার এবং রেকর্ড প্রযোজক। সাধারণত তিনি ভারতীয় চলচ্চিত্র শিল্পের সর্বাধিক সফল এবং চলচ্চিত্রের সর্বশ্রেষ্ঠ নেপথ্য গায়ক হিসেবে বিবেচিত হন।

 

কুমার ছিলেন একজন বাঙালি পেশাজীবী পরিবারের কনিষ্ঠ সন্তান।কিশোর কুমার ১৯২৯ সালের ৪ ই আগস্ট ৪ টের সময় মধ‍্যপ্রধেশের খান্ডোয়া জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর জন্মের নাম আভাস কুমার গঙ্গোপাধ‍্যায়। তাঁর ডাক নাম ছিল কিশোর। তাঁর পিতার কুঞ্জলাল গাঙ্গুলী। তিনি ছিলেন উকিল। তাঁর মাতার নাম গৌরি দেবী, তিনি ছিলেন একজন গৃহকর্তী।

কুঞ্জলাল গাঙ্গুলীর পৈতৃক বাড়ি ও জন্মস্থান হলো ঢাকার অদূরে বিক্রমপুরে (বর্তমান নাম মুন্সীগঞ্জ)। কুঞ্জলাল জীবিকার তাগিদে মধ্য প্রদেশে চলে যান। কিশোর কুমারের জন্মনাম ছিল আভাস কুমার গাঙ্গুলী। চার ভাই বোনের ভিতর কিশোর ছিলেন সর্বকনিষ্ঠ। সবথেকে বড় ছিলেন অশোক কুমার তারপর সীতা দেবী। তারপর অনুপ কুমার আর অনুপ কুমারের থেকে পাঁচ বছরের ছোট ছিলেন কিশোর কুমার। যখন তিনি একজন কিশোর ছিলেন, তিনি বোম্বে টকিজ ফিল্ম স্টুডিওতে মাঝে মাঝে কোরাস গায়ক হিসাবে বোম্বেতে (এখন মুম্বাই) চাকরি পেয়েছিলেন, যেখানে তার বড় ভাই অশোক কুমার ছিলেন বর্তমান তারকা।  যদিও তাঁর হৃদয় ছিল গান গাওয়ার মধ্যে, ছোট কুমার ১৯৪৬ সালে ননডেস্ক্রিপ্ট ফিল্ম শিকারীতে অভিনয়ে আত্মপ্রকাশ করেন।  এটি ছিল ১৯৫১ সালের আন্দোলনের রিলিজ, যা তাকে গায়ক-অভিনেতা হিসাবে স্টারডমে প্ররোচিত করেছিল এবং শেষ পর্যন্ত তাকে তার ভাই অশোকের ছায়া থেকে মুক্ত করেছিল।

 

চার স্ত্রী ছিলেন কিংবদন্তি গায়ক কিশোর কুমারের- রুমা গুহ ঠাকুরতা, মধুবালা, যোগিতাবালি এবং লীনা চান্দাভাকর। কিশোর কুমারের প্রথম স্ত্রী এবং বাঙালি গায়িকা-অভিনেত্রী রুমার ছেলে অমিত কুমার। ১৯৫০ থেকে ১৯৫৮ পর্যন্ত বিবাহবন্ধবে আবদ্ধ ছিলেন তাঁরা। রুমা গুহঠাকুরতা (১৯৫০-১৯৫৮), মধুবালা (১৯৬০-১৯৬৯), যোগিতা বালী (১৯৭৫-১৯৭৮) এবং লীনা চন্দাভারকর (১৯৮০-১৯৮৭)। কিশোরের প্রথম পুত্র (রুমা গুহ ঠাকুরতার সাথে) অমিত কুমার একজন বিখ্যাত গায়ক। কিশোর কুমারের প্রথম স্ত্রী রুমা গুহ ঠাকুরতা এবং কিশোর কুমারের সুযোগ্য সন্তান অমিত কুমার তার বাবার মত সাফল্য না পেলেও বেশ কিছু কালজয়ী হিন্দি ও বাংলা সুপারহিট গান উপহার দিয়েছেন। কিশোরের ছোট ছেলে সুমিত কুমার। সুমিত কুমার ছিলেন লীনা চন্দ্রভারকারের সন্তান।

 

খাদ্যাভাসে তাঁর ছিল খাঁটি বাঙালিয়ানা। তিনি পছন্দ করতেন বাঙালী খাবার । লুচি মাংস, আলুরদম, বেগুন ভাজা ইত‍্যাদি।  তিনি এতটাই মাছের প্রতি দূর্বল ছিলেন যে তাঁর সাথে যদি কেউ  দেখা করতে আসেন তাহলে তাঁর জন‍্য সেই অতিথি মাছ নিয়ে আসতেন। এমনকি তাঁকে গান রেকর্ডিং এ রাজি করানোর জন‍্য মাছ ঘুষ দিতেন। ঈলিশ মাছ ছিল তাঁর প্রিয়।তিনি মদ‍্যপান করতেন না।

 

কিশোর কুমার বিভিন্ন ভারতীয় ভাষায় গান গেয়েছিলেন, যার মধ্যে রয়েছে বাংলা, হিন্দি, মারাঠি, অসমীয়া, গুজরাটি, কন্নড়, ভোজপুরি, মালয়ালম, ওড়িয়া, এবং উর্দু। এছাড়াও তিনি তার ব্যক্তিগত গান সংকলনেও বিভিন্ন ভাষায় গান গেয়েছেন, বিশেষত তার বাংলায় গাওয়া গানগুলি সর্বকালের ধ্রুপদী গান হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। তিনি ৮ বার শ্রেষ্ঠ পুরুষ নেপথ্য গায়কের জন্য ফিল্মফেয়ার পুরস্কার জিতেছেন এবং একই বিভাগে সর্বাধিক ফিল্মফেয়ার পুরস্কার বিজয়ের রেকর্ড করেছেন। তাকে মধ্যপ্রদেশ সরকার কর্তৃক লতা মঙ্গেশকর পুরস্কার প্রদান করা হয় এবং তার নামে হিন্দি চলচ্চিত্রে অবদানের জন্য কিশোর কুমার পুরস্কার প্রদান চালু করে।কিশোর কুমারের গান বাংলা সঙ্গীতজগতের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। বাঙালির সংষ্কৃতির সঙ্গে ওতপ্রোতাবে জড়িয়ে রয়েছেন কিশোর কুমার। তার উদাত্ত কণ্ঠ মাধুর্য্য বাঙালিকে এখনও মুগ্ধ করে রেখেছে।

শধু গায়ক হিসাবে নন, তিনি হিন্দি চলচ্চিত্র জগতের একজন নামি অভিনেতাও ছিলেন। তবে তিনি তাঁর প্রথম জীবনে গায়ক হিসেবে ততটা সাফল্য অর্জন করতে পারেননি যতটা তাঁর পাওয়া উচিত ছিল। তবুও তিনি অভিনেতা হিসেবে যথেষ্ট সুনাম ও মর্যাদা লাভ করেছিলেন। তার অভিনীত বিখ্যাত কয়েকটি হাস্যরসাত্মক চলচ্চিত্রের মধ্যে রয়েছে বাপ রে বাপ (১৯৫৫), চলতি কা নাম গাড়ি (১৯৫৮), হাফ টিকিট (১৯৬২), পড়োশন (১৯৬৮), হাঙ্গামা (১৯৭১), পেয়ার দিবানা (১৯৭৩), বাড়তি কা নাম দাড়ি (১৯৭৪)। এছাড়া অন্যান্য চলচ্চিত্রের ভিতর রয়েছে নোকরি, বন্দী, দূর গগন কি ছাঁও মে, দূর কা রাহি প্রভৃতি।  তিনি সুদক্ষ অভিনেতা হওয়া সত্ত্বেও অভিনয় বস্তুটি অতটাও পছন্দ করতেন না। তাঁর সবচেয়ে প্রিয় জিনিস ছিল সঙ্গীত।

 

ভারতের প্লেব্যাক গায়কদের শীর্ষে কুমারের উত্থান একটি অসাধারণ কীর্তি ছিল।  পেশায় তার সহকর্মীদের থেকে ভিন্ন, যাদের বেশিরভাগই ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ছিলেন, কুমারের কোনো আনুষ্ঠানিক সঙ্গীত প্রশিক্ষণ ছিল না।  তবুও, তিনি একজন দক্ষ অনুকরণকারী, দোভাষী এবং উদ্ভাবক ছিলেন।  তিনি রঙিন টিমব্রাল ইফেক্ট ব্যবহার করেছেন—যেমন ইয়োডেলিং—তার কণ্ঠে, বৈদ্যুতিক অঙ্গ এবং অন্যান্য অ্যাটিপিকাল যন্ত্র নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছেন এবং উচ্ছ্বসিত ছন্দে তার অভিনয়কে প্রাণবন্ত করেছেন।  এই সমস্ত বৈশিষ্ট্যগুলি শেষ পর্যন্ত কুমারের সামগ্রিক শব্দে আধুনিকতার একটি আকর্ষণীয় অনুভূতি প্রদান করেছে।

 

কিশোর কুমার সর্বমোট ২,৭০৩টি গান গেয়েছেন, যার মধ্যে ১১৮৮টি হিন্দি চলচ্চিত্রে, ১৫৬টি বাংলা এবং ৮টি তেলুগু ভাষায়।

 

প্লেব্যাক করা বাংলা ছবি—-

 

 

কবিতা, গুরুদক্ষিণা, জীবন মরণ, জ্যোতি, তুমি কত সুন্দর, অমরকন্টক, আশ্রিতা, অনিন্দিতা, অমর সঙ্গী, দোলন চাঁপা, পাপ পুণ্য, অমানুষ, বান্ধবী, মিলন তিথি, অন্তরালে, বৌমা, মোহনার দিকে, সঙ্কল্প, আনন্দ আশ্রম, রাজকুমারী, অন্যায় অবিচার, লুকোচুরি, অনুসন্ধান, সুরের আকাশে, দেবিবরণ, জীবন মরণ ইত্যাদি।

 

জনপ্রিয় বাংলা গান—

 

তোমায় পড়েছে মনে, নীল নীল আকাশে, সেদিনও আকাশে ছিল কত তারা, আমার মনের এই ময়ূর মহলে, আমার পূজার ফুল, এক পলকের একটু দেখা, এ আমার গুরুদক্ষিণা, একদিন পাখী উড়ে যাবে যে আকাশে, এই যে নদী, চিতাতেই সব শেষ, হাওয়া মেঘ সরায়ে, কি আশায় বাঁধি খেলাঘর, কি উপহার সাজিয়ে দেব, কত মধুর এ জীবন, এই যে নদী, চেয়েছি যারে আমি, নয়ন সরসী কেন ভরেছে জলে, সেই রাতে রাত ছিলো পূর্ণিমা, চোখের জলের হয় না কোনো রং, কেন রে তুই চরলি ওরে, কথা দিলাম, প্রেমের খেলা কে বুঝিতে পারে, শুনো শুনো গো সবে।

 

অভিনয় এবং গানের পাশাপাশি কুমার ভারতীয় চলচ্চিত্রের জন্য সঙ্গীত রচনা করেছিলেন।  তিনি দূর গগন কি ছাওঁ মে (১৯৬৪) এবং দূর কা রাহি (১৯৭১) সহ বেশ কয়েকটি প্রযোজনাও পরিচালনা করেছিলেন।  হালকা হৃদয়ের চলচ্চিত্রগুলির বিপরীতে যেখানে তিনি সাধারণত একজন অভিনেতা, গায়ক বা সুরকার হিসাবে অংশগ্রহণ করেছিলেন, কুমার যে চলচ্চিত্রগুলি পরিচালনা করেছিলেন সেগুলি প্রায়শই ট্র্যাজেডি ছিল।

 

তিনি বেশ কয়েকটি গানের জন‍্য পরপর আটবার ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন। এখনো পর্যন্ত পরপর এতবার কেউ পায়নি। যে গান গুলির জন‍্য পেয়েছেন সেগুলি হল-  রুপ তেরা মস্তানা (১৯৭০), দিল অ্যাইসা কিসি নে মেরা (১৯৭৬), খাইকে পান বানারাস ওয়ালা (১৯৭৯), হাজার রেহেন মুডকে দেখেন (১৯৮১), পাগ ঘুঙরু বাধ( ১৯৮৩), আগার তুম না হতে (১৯৮৪), মাঞ্জিলে আপনি জাগা হ‍্যান ( ১৯৮৫), সাগর কিনারে (১৯৮৬)। ১৯৭৫ সালে কোরা কাগজ সিনেমায় গানের জন‍্য  “সেরা নেপথ্য গায়ক” হিসাবে পুরষ্কার পান। এছাড়া আরো সিনেমায় পুরষ্কার পান। সেগুলি হল,  আনন্দ (১৯৭১), আন্দাজ (১৯৭২), হরে রাম হরে কৃষ্ণ (১৯৭৫)।

 

আজ কিংবদন্তি গায়ক কিশোর কুমারের মৃত্যুবার্ষিকী। শেষ জীবনটা বড্ড একাকীত্বে কাটছে। ১৯৮৭ সালের ১৩ ই অক্টোবর মাত্র ৫৭ বছর বয়সে হার্ট অ্যাটার্কে তাঁর মৃত‍্যু হয়। মৃত‍্যুর আগের দিনেও অর্থাৎ ১২ অক্টোবর তিনি স্টুডিয়োতে রেকর্ডিং করেন।আইকনিক গায়ক এবং অভিনেতা তাঁর গাওয়া বেশ কয়েকটি হিট গান এবং অনেক স্মরণীয় ছবিতে অভিনয়ের জন্য সকলের মনে এখনও জায়গা করে আছেন ও থাকবেন চিরদিন।

 

।।তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।

 

 

Share This
Categories
কবিতা

কূয়াশা ছেড়া রোদ : লাজু চৌধুরী।

যদি একবারও মনে হয়
আমি ভুল করেছি –
তাহলে ভেবে নিবো নীঃসঙ্গাও আমার সাথে প্রতারণা করেছে।
সকালে শিশির বিন্দু গুলিও কি আমার চোখে ধোকা
দিয়েছে।
ভীষন কষ্ট হয় তোমাকে বুঝতে-
পৃথিবীর সব সুন্দর তোমাকে দিয়েছি মাঝে মাঝে
কুয়াশার চাদর তোমার শরীর মুড়ে দিয়েছি।

বাতাসে পাখির শিষের শব্দে তোমার ঘুম ভেঙ্গেছে।
সাগরের সব নীল আমি তোমার দুচোখে দিয়েছি।
প্রকৃতির গাঢ় লাল অথবা সবুজ তোমার শরীর ছুঁয়ে গেছে…….
তারপরেও যদি বলো আমি ভুল করেছি
তাহলে আজ এই বিকেলের বিদায়ের আলোতে
আমার মৃত্যু দেখো।

পাবলিক লাইব্রেরীর সামনে ডাস্টবিনে সামনে পড়ে
থাকা আমার মৃত দেহ।
দিগন্ত প্রসারিত আষাঢ় বেলায় কত হাজার বার
উচ্চারণ করেছি
অনেক ভালোবাসি তোমাকে।
কিন্তু চিনা বাদামের খোসা হাতের তালুতে নিয়ে ফু
দিয়ে উড়িয়ে দিয়েছ তুমি ।
সাগরের সব নীল ধূসর হয়ে যাবে
যখন আমার মৃত্যুর খবর শুনবে

Share This
Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

সপ্তাহের কয়েকটা দিন একদম নির্জনে কাটাতে চাইলে ঘুরে আসুন অহলদারা।

ঘুরতে কে না ভালোবাসে। বিশেষ করে বাঙালিরা সুযোগ পেলেই বেরিয়ে পড়ে ভ্রমনের নেশায়। কেউ পাহাড়, কেউ সমুদ্র আবার কেউ প্রাচীন ঐতিহাসিক স্থান ভালোবাসে ভ্রমণ করতে। প্রকৃতি কত কিছুই না আমাদের জন্য সাজিয়ে রেখেছে। কতটুকুই বা আমরা দেখেছি। এ বিশাল পৃথিবীতে আমরা অনেক কিছুই দেখিনি। তবে সোশ্যাল মিডিয়ার দুনিয়ায় আজ গোটা পৃথিবীটা হাতের মুঠোয়় এলেও প্রকৃতিকে চাক্ষুষ প্রত্যক্ষ করা এ এক আলাদা রোমাঞ্চ, আলাদা অনুভূতি যার রেষ হৃদয়ের মনিকোঠায় থেকে যায় চিরকাল।। তাইতো আজও মানুষ বেরিয়ে পড়়ে প্রকৃতির কে গায়ে মেখে  রোমাঞ্চিত হওয়ার নেশায়। কেউ চায় বিদেশে ভ্রমণে, আবার কেউ চায় দেশের বিভিন্ন স্থান ভ্রমণে।

 

আপনি কি কখনো পাহাড়ের চূড়ায় থেকেছেন?  একদিকে কাঞ্চনজঙ্ঘার দৃশ্য সহ একটি পাহাড়ের চূড়া এবং অন্যদিকে তিস্তা নদী দ্বারা বিভক্ত চা বাগান!  আপনি যদি এখনও পরিদর্শন না করে থাকেন তবে একবার চেষ্টা করে দেখুন।  এটা আপনার ইন্দ্রিয় আপ অনুভব করা যাচ্ছে। মানুষের তৈরি কোনো বস্তু দ্বারা আপনার দৃষ্টি বাধাগ্রস্ত হবে না।  তোমার কান শুনবে বাঁশির হাওয়া, মিস হয়ে গেছে এত বছর ধরে।  আপনি শ্বাস নেবেন যা আপনার পুরো শরীরকে শক্তি দেবে।  শেলপু পাহাড়ের একটি মনোরম পাহাড়ের চূড়া অহলদারা NJP থেকে মাত্র  ২ ঘন্টার দূরত্বে।  এটি কেবল কাঞ্চনজঙ্ঘা র উপর সূর্যোদয়ের চমৎকার দৃশ্য, তাজা অক্সিজেন এবং জৈব খাবারের জন্য উপযুক্ত নয় বরং এটি একটি দুর্দান্ত এবং অবিস্মরণীয় সপ্তাহান্তও তৈরি করে।

এমনি এক ভ্রমণ এর জায়গা হলো অহলদারা।

 

অহালদারার মূল আকর্ষণ হল এখানকার পাহারেরে ৩৬০ ডিগ্রী  ভিউ ও এখান থেকে দেখতে পাওয়া বরফ আশ্রিত কাঞ্চনজঙ্ঘার অপরুপ দৃশ্য এবং সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত সাথে ঠাণ্ডা হিমেল হাওয়া । আকাশ পরিস্কার থাকলে এই অহলদারা থেকে  কার্শিয়ং, দার্জিলিং, কালিম্পং , চিমনি , প্রভিতি অঞ্চলের পাহাড় ও সমতলে বয়ে চলা তিস্তা নদি ও তরাই দুয়ারস ও অঞ্চল ও দেখতে পারবেন।

 

শিলিগুড়ি থেকে অনতিদুরে সেল্পু হীলে অবস্থিত একটি পাহাড়ি চুড়া হল Ahalara View Point ।এই পাহাড়ি চুড়াটির একদিকে পাইনের গাছ ও অপর দিকে দিগন্ত বিস্ত্রিত ঢেউ খেলান পাহাড় ও সমতলে বয়ে চলা তীস্তা নদীর  অপরুপ দৃশ্য।

 

এই অহলদারার মূল আকর্ষণ হল এখানকার ৩৬০ডিগ্রি পাহারের ভিউ তার সাথে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত এবং আকাশ পরিস্কার থাকলে কাঞ্চনজঙ্ঘার দৃশ্য যা আপনার মনকে প্রফুল্লিত করে তুলবে। পাহাড়ের চুড়াতে অবস্থিত হওয়াতে ও  আশেপাশে কোন কোলাহল না হওয়ার কারনে এখানে বসে প্রকৃতির রুপ উপভোগ করতে করতে ও কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখতে দেখতে  অনায়াসে দিন কাটিয়ে ফেলতে পারবেন গোটা দিন।

 

অহালদারাতে আপনারা বিভিন্ন প্রজাতির প্রজাপতি ও পাখি ও দেখতে পারবেন, এছাড়া এখানে সিঙ্কনা গাছের চাষ ও হই।
এছাড়াও অহালদারার আশেপাশে দেখতে পারেন…

লাতপাঞ্চার(Latpanchar)–  অহালদারা থেকে মাত্র ৫ কিমি দূরে অবস্থিত এই লাতপাঞ্চার , এই লাতপাঞ্চার হল পাখি প্রেমি দের জন্য সর্গরাজ্য, এটি Mahananda Wildlife Sanctuary এর একটি পার্ট । এখানে আপনারা দেখতে পাবেন ২৪০ ধরনের বিরল প্রজাতির পাখি যেমন Sultan Tit, Red-Headed Trogan, Orient Hornbill, Rufous Hornbill, প্রভিতি। এছাড়াও এখানে দেখতে পাবেন Cinchona Plantation   এর কারখানা যেখানে Quinine তইরি করা হয়।

ণাম্থিং পোখরি(Namthing Pokhri) – সেল্পু হীল এ অবস্থিত একটি প্রাচিন জলাশয় , এটি বছরের ৬ মাস শুকন থাকে বর্ষা কাল বাদে। এই নাম্থিং পোখরিতে এক ধরনের বিরল প্রজাতির Himalayan Salamander দেখতে পাওয়া যাই । এছাড়াও এখানে বিভিন্ন প্রজাতির পাখি ও প্রজাপতি দেখতে পাবেন। অহালদারা থেকে এই স্থানটি খুব একটা দুরে নই হাটা পথে এখানে পৌঁছে যেতে পারেন।

সিটং(Sittong) – অহালদারা থেকে প্রায় ৩২ কিমি দূরে অবস্থিত এই গ্রাম টি কমলালেবুর জন্য বিখ্যাত , সিটং কে কমলালেবুর গ্রামও বলা হয় , আপানারা এই সিটং থেকেউ ঘুরে আসতে পারেন।

টেগোর হীল – অহালদারা থেকে অনতি দূরে অবস্থিত এই পাহাড়টিকে স্থানিওরা টেগোর হীল নামেউ ডেকে থাকে । এই পাহাড়ের আকর্ষণ হল এই পাহাড়টির আকৃতি  কবিগুরু  রবিন্দ্রনাথ এর মুখের মত , দূর থেকে দেখলে মনে হবে যেন কবিগুরু শায়িত অবস্থাই আছেন।

 

 

আহলদারায় বহিরঙ্গন কার্যক্রম–

 

সূর্যোদয় পয়েন্ট–

আহলদরা কাঞ্চনজঙ্ঘা চূড়ার উপর সূর্যোদয়ের আশ্চর্যজনক দৃশ্যের জন্য বিখ্যাত।  একটি উজ্জ্বল এবং রৌদ্রোজ্জ্বল দিনে, গ্যাংটক, কালিম্পং, আলগারা, বাগোরা, তিনচুলি পাহাড়গুলি এই বিন্দু থেকে স্পষ্টভাবে দৃশ্যমান হয়৷

 

শিটং কমলার বাগানগুলি

 

আহলদরা থেকে মাত্র এক কিলোমিটার দূরে শিটং গ্রাম৷  গ্রামে প্রচুর কমলার বাগান রয়েছে।  অক্টোবর ও নভেম্বর মাসে কমলালেবুর গাছে ফল দিয়ে ভরা হয়।

 

পাখি পালন

 

লাটপানচার একজন আগ্রহী পাখি পর্যবেক্ষক এবং একজন ফটোগ্রাফার জায়গাটিকে তাদের স্বর্গ বলে মনে করবেন।  সাধারণ পাখিরা দেখেছে সুলতান টিট, রেড হেডেড ট্রোগান, ওরিয়েন্ট হর্নবিল, রুফাস হর্নবিল, লং-লেজ হর্নবিল, কমন গ্রিন ম্যাগপাই, দার্জিলিং উডপেকার, ওরিয়েন্টাল কোকিল, চেস্টনাট-হেডেড টেসিয়া, কালো গলা সানবার্ড।

 

বেঙ্গল সাফারি—

 

বেঙ্গল সাফারি পার্কের মধ্যে অবস্থিত।  মহানন্দা বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যের বনাঞ্চল হল উত্তরবঙ্গ অঞ্চলের প্রথম প্রাণী সাফারি পার্ক।  আপনি এখানে চিতাবাঘ, বাঘ এবং বিড়ালের মতো প্রাণী দেখতে পাবেন।

 

Ahaldara কাছাকাছি আকর্ষণ—

 

শেলপু পাহাড়—

শেলপু পাহাড় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এক মোহনীয় আয়না।  অন্ধকার, গভীর জঙ্গল এবং চিনচোনা উদ্ভিদ স্থানটির প্রকৃত উষ্ণতাকে চিত্রিত করে।  সমস্ত ঋতুতে ফুলের অপ্রতিরোধ্য সুগন্ধে বাতাস ভারী থাকে৷

 

করোনেশন ব্রিজ —

 

একটি একক খিলান দ্বারা সমর্থিত, সেতুটি তিস্তা নদী পেরিয়ে জলপাইগুড়ি এবং দার্জিলিং জেলাগুলির সাথে সংযোগ স্থাপন করে একটি বিস্ময়কর এবং অবশ্যই দর্শনীয় পর্যটন স্পট৷

 

মহানন্দা বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য—

 

অন্যতম এই অভয়ারণ্যের প্রধান পর্যটন আকর্ষণ যা  ১৫৮ বর্গকিলোমিটারের বেশি বন এলাকা জুড়ে রয়েছে।  ১৯৫৮ সালে, এটি রয়েল বেঙ্গল টাইগার এবং ভারতীয় বাইসনকে রক্ষা করার জন্য অভয়ারণ্য হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছিল।  এই প্রাণীগুলি ব্যতীত, অন্যান্য উপলব্ধ প্রাণী হরিণ, বার্কিং ডিয়ার, ভাল্লুক, প্যাঙ্গোলিন, হিমালয় কালো ভাল্লুক এবং চিতাবাঘ।

নমথিং পোখরি —-

 

শিল্প পাহাড়ের কাছে অবস্থিত হ্রদটি বছরের ছয় মাস শুকিয়ে যায় এবং হিমালয়ান সালামান্ডারের জন্মভূমি হিসাবে বিখ্যাত।  , একটি অস্বাভাবিক এবং বিপন্ন প্রজাতি।

 

পদ্মজা নাইডু হিমালয়ান জুলজিক্যাল পার্ক —-

 

চিড়িয়াখানাটি ১৯৫৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং প্রধানত স্নো চিতাবাঘ, বেঙ্গল টাইগার এবং অনেক বিদেশী প্রাণীর জন্য বিখ্যাত।  পার্কটি ৬৭.৫৬ একর জমি জুড়ে রয়েছে।

 

ঘূম মনাস্ট্রি —-

পর্যটকদের মধ্যে এই জনপ্রিয় গন্তব্যটি ইগা চোয়েলিং মনাস্ট্রি নামেও পরিচিত।  বৌদ্ধ সংস্কৃতির প্রাচীন গৌরবে আঁকা মৈত্রেয় বুদ্ধের ১৫ ফুট উঁচু মূর্তিটি এই অঞ্চলের প্রাচীনতম মঠগুলির মধ্যে একটি।

 

 

কিভাবে আহলদারা পৌঁছাবেন

বায়ু–

বাগডোগরা বিমানবন্দরটি আহলদারার নিকটতম।  বিমানবন্দর থেকে, রিসোর্টে পৌঁছাতে সড়কপথে ১.৫ ঘন্টা (প্রায়) সময় লাগবে।

রেলওয়ে—

আপনি যদি ট্রেন পেতে চান, হাওড়া বা শিয়ালদহ থেকে যে কোনও মুর্সিদাবাদগামী ট্রেনে চড়েন, নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে নেমে যান, বিশ্রাম তাদের দ্বারা নেওয়া হবে।

রাস্তা—-

জাতীয় এবং রাজ্য সড়ক দিয়ে ১৪ ঘন্টা (প্রায়) গাড়ি চালানো আপনাকে আপনার গন্তব্যে নিয়ে যাবে।  NJP থেকে জায়গাটি মাত্র ২ ঘন্টার পথ।

আহলদারা দেখার সেরা সময়—

গ্রীষ্মে মনোরম আবহাওয়া অতিথিদের আহলদারায় আমন্ত্রণ জানায়।  ভূমিধসের কারণে বর্ষা এড়ানো যায় তবে আহলদরা এড়ানোর মতো উচ্চতা নয়।  যেখানে বর্ষা জীবনে আসা ছোট জলপ্রপাতের একটি চমৎকার দৃশ্য দেয়।  পরাক্রমশালী তিস্তাও এই সময়ে তার পূর্ণ গৌরব পায়।  নভেম্বর মাসের শুরুর দিকে পাহাড়গুলি দেখার জন্য সবচেয়ে পরিষ্কার এবং মেঘহীন আকাশ দেয়।  কমলার বাগান দেখার জন্যও এই মাসগুলো সেরা সময়।  পাহাড়ে বসন্ত রঙিন হয়ে ওঠে অসংখ্য রঙিন ফুলে।

 

।। তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।

Share This
Categories
রিভিউ

আজ ৩ আগস্ট, ইতিহাসের আজকের এই দিনে যা ঘটেছিল।

আজ ৩ আগস্ট। ইতিহাস ঘেটে দেখা যায় বছরের প্রতিটি দিনে ঘটেছে অনেক উল্লেখযোগ্য ঘটনা। আসুন আজকের দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য কিছু বিষয় একনজরে দেখে নিই।  ইতিহাসের আজকের এই দিনে কী কী ঘটেছিল, কে কে জন্ম নিয়েছিলেন ও মৃত্যুবরণ করেছিলেন——-

 

আজ যাদের জন্মদিন—-

১৯৫১ – আতিউর রহমান, (খ্যাতনামা বাংলাদেশী অর্থনীতিবিদ)।

১৯৮৪ – সুনীল ছেত্রী , (ভারতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক)।

১৯০৫ – দোলোরেস দেল রিও, (মেক্সিকান অভিনেত্রী)।

১৯১৬ – শাকিল বাদায়ুনি, (ভারতীয় উর্দু কবি,লেখক ও গীতিকার)।

১৯৩০ – নির্মল সেন, (বাংলাদেশের প্রখ্যাত সাংবাদিক, রাজনীতিবিদ)।

১৯৩৯ – উৎপলকুমার বসু, (বাংলা সাহিত্যে হাংরি আন্দোলন-এর একজন খ্যাতনামা কবি)।

১৯৪৮ – জঁ-পিয়ের রাফারাঁ, (ফ্রান্সের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী)।

১৮৫৬ – (অস্ট্রেলিয়ার দ্বিতীয় প্রধানমন্ত্রী) আলফ্রেড ডেকিন।

১৮৮৬ – মৈথিলীশরণ গুপ্ত (প্রখ্যাত আধুনিক হিন্দি কবি)।

 

ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনের ঘটনাবলী—-

১৯১৪ – তুরস্ক জার্মানির সঙ্গে সামরিক চুক্তি।

১৯১৪ – পানামা খালের মধ্য দিয়ে প্রথম জাহাজ চলতে শুরু করে এবং এই খালের উদ্বোধন হয়।

১৯১৪ – ব্রিটেন জার্মানির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে।

১৯১৪ – প্রথম বিশ্বযুদ্ধে ফ্রান্সের বিরুদ্ধে জার্মানি যুদ্ধ ঘোষণা করে।

১৯৪০ – দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ইতালিয়ান বাহিনী ব্রিটিশ সোমালিল্যান্ড আক্রমণ করে।

১৯৪১ – জার্মানি রাশিয়ার একটি এলাকা দখল করে নেয়।

১৯৫৪ – ভারতে পরমাণু শক্তি বিভাগ গঠিত হয়।

১৯৫৬ – তদানিন্তন পূর্ব পাকিস্তান (বর্তমানে বাংলাদেশ) এ নির্মিত প্রথম বাংলা চলচ্চিত্র মুখ ও মুখোশ মুক্তি পায়।

১৯৬০ – আফ্রিকা মহাদেশের অন্যতম দেশ নাইজার পূর্ণ স্বাধীনতা লাভ করে এবং জাতিসঙ্ঘের সদস্যভুক্ত হয়।

১৯৯৪ – ভারতের দিল্লিতে অখিল ভারতীয় আয়ুর্বিজ্ঞান সংস্থানে প্রথম হৃদযন্ত্র প্রতিস্থাপনের চিকিৎসা করা হয়।

১৯৯৯ – পূর্ব তিমুরে নির্বাচনে স্বাধীনতার পক্ষে রায়ের মধ্য দিয়ে স্বাধীন পূর্ব তিমুরের অভ্যুদয় ঘটে।

১৮৫৮ – জন স্মীক কর্তৃক নীল নদের উৎস আবিষ্কার।

১৮৮২ – ব্রিটিশ নৌ সেনাদের সুয়েজ খাল দখল।

১৭৯৫ – গ্রিনভিল চুক্তি স্বাক্ষরিত।

১৪৯২ – ইতালির বিশিষ্ট নাবিক ক্রিস্টোফার কলোম্বাস তার সমুদ্র যাত্রা শুরু করেছিলেন।

১৪৯২ – স্পেন থেকে ইহুদিদের বের করে দেওয়া হয়।

১১০৮ – ফ্রান্সের রাজা ষষ্ঠ লুই সিংহাসনে আরোহণ করেন।

 

এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন যারা—-

২০০৯ – সুভাষ চক্রবর্তী , পশ্চিমবঙ্গের বামফ্রন্ট সরকার এর ক্রীড়া ও পরিবহন মন্ত্রী , এবং ভারতের ছাত্র ফেডারেশন এর সাধারণ সম্পাদক ছিলেন

১৯২৮ – সৈয়দ আমীর আলী, ভারতীয় মুসলিম আইনজ্ঞ এবং কলকাতা হাইকোর্টের প্রথম মুসলিম বিচারপতি।

১৯৫৪ – বিশিষ্ট ফরাসী লেখিকা সিডেন গ্যাবরিয়াল কোল্ট এই ধরাপৃষ্ঠ।

১৯৫৭ – দেবদাস গান্ধী , মহাত্মা গান্ধীর কনিষ্ঠ পুত্র এবং খ্যাতনামা সাংবাদিক।

১৯৭৫ – অমর বসু, ব্রিটিশ বিরোধী বাঙালি বিপ্লবী।

১৯৭৮ – সাংবাদিক ও লেখক মোহাম্মদ ওয়ালিউল্লাহ।

১৮৪৬ – প্রখ্যাত আলেম সাহেবে জাওয়াহের বা রত্নের স্বত্তাধিকারী হিসাবে খ্যাত শেখ মো: হাসান নাজাফী।

১৭২১ – ইংরেজ ভাস্কর ও কাঠ খোদাই শিল্পী গিনলিং গিবনস।

১৪৬০ – স্কটল্যান্ডের রাজা দ্বিতীয় জেমস।

১২৭২ – সপ্তম হিজরীর বিশিষ্ট মনীষি ও ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব গীয়াস উদ্দীন আব্দুল করিম ইবনে আহমদ।

 

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ

সুনীল ছেত্রী, প্রথম ভারতীয় খেলোয়াড় যিনি তিনটি ভিন্ন মহাদেশে খেলেছেন।

সুনীল ছেত্রী (জন্ম ৩আগস্ট ১৯৮৪) একজন ভারতীয় পেশাদার ফুটবলার যিনি একজন ফরোয়ার্ড হিসেবে খেলেন এবং ইন্ডিয়ান সুপার লিগ ক্লাব বেঙ্গালুরু এবং ভারত জাতীয় দল উভয়েরই অধিনায়ক । তিনি তার লিঙ্ক-আপ খেলা, গোল করার ক্ষমতা এবং নেতৃত্বের জন্য পরিচিত। সক্রিয় খেলোয়াড়দের মধ্যে তিনি তৃতীয়-সর্বোচ্চ আন্তর্জাতিক গোলদাতা , শুধুমাত্র ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো এবং লিওনেল মেসির পরে , সামগ্রিকভাবে চতুর্থ, এবং এছাড়াও তিনি সর্বাধিক ক্যাপড খেলোয়াড় এবং সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলদাতা।ভারতের জাতীয় দলের। দেশের জন্য তাঁর অবদানের জন্য তিনি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ ভারতীয় ফুটবলারদের একজন হিসাবে বিবেচিত।

 

 

সুনীল ছেত্রী ৩ আগস্ট ১৯৮৪-এ ভারতীয় সেনাবাহিনীর ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার্স কর্পস অফ ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার্সের অফিসার কেবি ছেত্রী এবং ভারতের সেকেন্দ্রাবাদে সুশীলা ছেত্রীর কাছে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা ভারতীয় সেনা ফুটবল দলের হয়ে ফুটবল খেলতেন , তার মা এবং তার যমজ বোন নেপাল মহিলা জাতীয় দলের হয়ে খেলেন । ছেত্রী ছোটবেলা থেকেই বিভিন্ন টুর্নামেন্টে অংশ নিয়ে ফুটবল খেলা শুরু করেন। ৪ ডিসেম্বর ২০১৭-এ, ছেত্রী তার দীর্ঘদিনের বান্ধবী সোনম ভট্টাচার্যকে বিয়ে করেন যিনি প্রাক্তন ভারতীয় আন্তর্জাতিক এবং মোহনবাগান খেলোয়াড় সুব্রত ভট্টাচার্যের কন্যা ।

 

 

ছেত্রী ২০০২ সালে মোহনবাগানে তার পেশাদার কর্মজীবন শুরু করেন , JCT- এ চলে যান যেখানে তিনি ৪৮টি খেলায় ২১ গোল করেন। দিল্লিতে অনুষ্ঠিত সন্তোষ ট্রফির ৫৯ তম আসরে সুনীল দিল্লি দলের অংশ ছিলেন । গুজরাটের বিরুদ্ধে হ্যাটট্রিক সহ সেই টুর্নামেন্টে তিনি ছয় গোল করেছিলেন । দিল্লি কোয়ার্টার ফাইনালে কেরালার কাছে হেরেছিল এবং সে ম্যাচেও গোল করেছিল। তিনি মেজর লিগ সকার দল কানসাস সিটি উইজার্ডসের জন্য চুক্তিবদ্ধ হন২০১০ সালে, উপমহাদেশের তৃতীয় খেলোয়াড় হিসেবে বিদেশ গমন করেন।  তিনি ভারতের আই-লিগে ফিরে আসেন যেখানে তিনি বিদেশে ফিরে যাওয়ার আগে চিরাগ ইউনাইটেড এবং মোহনবাগানের হয়ে খেলেন, প্রাইমিরা লিগার স্পোর্টিং সিপি- তে , যেখানে তিনি ক্লাবের রিজার্ভ সাইডের হয়ে খেলেন ।
ছেত্রী ভারতকে ২০০৭ , ২০০৯ , এবং ২০১২ নেহেরু কাপের পাশাপাশি ২০১১ , ২০১৫ , ২০২১ এবং ২০২৩ SAFF চ্যাম্পিয়নশিপ জিততে সাহায্য করেছিলেন । এছাড়াও তিনি ২০০৮ এএফসি চ্যালেঞ্জ কাপে ভারতকে জয়ের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন , যা তাদের ২৭ বছরে তাদের প্রথম এএফসি এশিয়ান কাপে যোগ্যতা অর্জন করেছিল,  ২০১১ সালের ফাইনাল টুর্নামেন্টে দুবার গোল করে । ছেত্রী ২০০৭, ২০১১, ২০১৩, ২০১৪, ২০১৭, ২০১৮-১৯ এবং ২০২১-২২ সালে রেকর্ড সাতবার AIFF বর্ষসেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছেন ।

 

 

রেকর্ড—-

 

(ক) প্রথম ভারতীয় খেলোয়াড় যিনি তিনটি ভিন্ন মহাদেশে খেলেছেন।

(খ) ভারতের হয়ে সবচেয়ে বেশি খেলা (১৪২)

(গ) ভারতীয়দের দ্বারা সর্বাধিক আন্তর্জাতিক গোল (৯২)

(ঘ) ভারতের হয়ে সবচেয়ে বেশি হ্যাটট্রিক (৮)

(ঙ) AFC প্রতিযোগিতায় ভারতের হয়ে সর্বাধিক গোল (১৯)

(চ) সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলদাতা (২৩)

(ছ) এএফসি কাপে ভারতীয়দের দ্বারা সর্বাধিক সংখ্যক ম্যাচ খেলা (৪০)

(জ) এএফসি কাপে ভারতীয়দের সবচেয়ে বেশি গোল (১৯)

(ঝ) প্রথম স্তরের ভারতীয় ফুটবল লিগে ভারতীয়দের দ্বারা সর্বাধিক গোল (১৪৩)

(ঞ) ইন্ডিয়ান সুপার লিগে হ্যাটট্রিক করা প্রথম ভারতীয় খেলোয়াড়।

(ট) ইন্ডিয়ান সুপার লিগে ভারতীয়দের দ্বারা সর্বাধিক হ্যাটট্রিক (২)

(ঠ) ইন্ডিয়ান সুপার লিগে সর্বোচ্চ ভারতীয় গোলদাতা (৫৬)

(ড) আই লিগে সর্বোচ্চ ভারতীয় গোলদাতা (৯৪)

(ঢ) সুপার কাপে সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলদাতা (৯)

(ণ) বেঙ্গালুরুর হয়ে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলেছেন (২৫৯)

(ত) বেঙ্গালুরুর পক্ষে সর্বাধিক সংখ্যক গোল (১১৫)

(থ) খেলরত্ন পুরস্কার পাওয়া প্রথম ফুটবলার।

(দ) রেকর্ড সাতবার এআইএফএফ বর্ষসেরা খেলোয়াড়।

 

 

স্বতন্ত্র সম্মাননা—-

AIFF বর্ষসেরা খেলোয়াড় (৭): ২০০৭, ২০১১, ২০১৩, ২০১৪, ২০১৭, ২০১৮-২০১৯, ২০২১–২০২২

FPAI ইন্ডিয়ান প্লেয়ার অফ দ্য ইয়ার (৩): ২০০৯, ২০১৮, ২০১৯

সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ প্লেয়ার অফ দ্য টুর্নামেন্ট (৪): ২০১১ , ২০১৫ , ২০২১ , ২০২৩

SAFF চ্যাম্পিয়নশিপের শীর্ষ স্কোরার (৩): ২০১১ , ২০২১ , ২০২৩

ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপের হিরো : ২০১৮

আই লিগের হিরো : ২০১৬-২০১৭

আই-লিগ গোল্ডেন বুট : ২০১৩-২০১৪

ইন্ডিয়ান সুপার লিগের হিরো : ২০১৭-২০১৮

২ইন্ডিয়ান০১৮ সুপার কাপ : গোল্ডেন বুট

ভারতীয় ক্রীড়া সম্মান : স্পোর্টসম্যান অফ দ্য ইয়ার ২০১৯ (টিম স্পোর্টস)

ফুটবল দিল্লি কর্তৃক ফুটবল রত্ন পুরস্কার (প্রথম প্রাপক) : ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

টাইমস অফ ইন্ডিয়া TOISA সেরা ফুটবলার: ২০২১

অন্যান্য—

২০২২- বিশ্বকাপের আগে , FIFA সক্রিয় খেলোয়াড়দের মধ্যে বিশ্বের তৃতীয়-সর্বোচ্চ পুরুষ আন্তর্জাতিক গোল স্কোরার হওয়ার জন্য ছেত্রীকে তার জীবন এবং কেরিয়ার সম্পর্কে তিনটি তথ্যচিত্রের পর্ব প্রকাশ করে এই অনুষ্ঠানে সম্মানিত করেছে।

AFC এশিয়ান আইকন: ৩ আগস্ট ২০১৮

২০১৯ এএফসি এশিয়ান কাপ : প্রিয় খেলোয়াড় (ভক্তদের ভোট)

এএফসি কাপ সর্বকালের একাদশ (দ্য স্ট্রাইকার্স): ইনডাক্টি (২০২১)

 

 

ছেত্রী তার অসামান্য ক্রীড়া কৃতিত্বের জন্য ২০১১ সালে অর্জুন পুরস্কার পান , ২০১৯ সালে পদ্মশ্রী পুরস্কার, ভারতের চতুর্থ সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার। ২০২১ সালে, তিনি খেলা রত্ন পুরস্কার পান , ভারতের সর্বোচ্চ ক্রীড়া সম্মান এবং এই পুরস্কার প্রাপ্ত প্রথম ফুটবলার হন।

 

ভারতীয় ফুটবলে তিনিই কিংবদন্তি। সেই সুনীল ছেত্রী  ৩৯ বছর সম্পূর্ণ করলেন বৃহস্পতিবার। ১৯৮৪ সালে আজকের দিনেই তিনি জন্মগ্রহণ করেছিলেন অন্ধ্রপ্রদেশে। জাতীয় ফুটবল দলের হয়ে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলা আর সবচেয়ে বেশি গোল করার নজির রয়েছে সুনীলের সাফল্যের ঝুলিতে। ভারতীয় ফুটবলের আইকন সুনীল ছেত্রী’র জন্মদিনে তাঁকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা।

 

।। তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।

Share This
Categories
কবিতা

মায়ের ঘর : শুভ্রাশ্রী মাইতি।।।

অক্ষর সাধনার আলো পথে পা রেখেছি
শুধু দিনের শেষে নিজের ঘরে ফিরব বলে।
কঠিন,বন্ধুর পথের রোদজ্বলা আকাশ আড়াল করে
মাথায় বিছানো মায়ের বাহান্ন বর্ণের স্নেহ আঁচল।
আমার চেতনা আর অস্তিত্ব জুড়ে দিনরাত
মাতৃস্তন্যসুধার অবিশ্রান্ত ঢেউয়ের ওঠাপড়া।
আমি পথ হাঁটি,হাঁটতেই থাকি হৃদয়ের অকৃত্রিম আবেগে।
নবান্নের ধান,লক্ষ্মীর পা আর ঘুঘু,শ্যামার ডাক পেরিয়ে—
পৌষের পিঠে পুলির মিষ্টি গন্ধ মাখা অলিতে গলিতে—
শুধু নিজের ভাষায়,নিজের সুরে মায়ের ঘরে ফিরব বলে।
যেখানে নিকানো উঠোন জুড়ে আমার সবটুকু ক্ষিদে মেটাবে বলে
মা অপেক্ষায় আছে আঁচলের তলায় পরমান্নের পাত্র সাজিয়ে ।

Share This
Categories
কবিতা

সৃষ্টির বায়োমেট্রিক সেন্সর : সৌগত রাণা কবিয়াল।।।

ভেজা হাত মুঠো করে শুধু ভরসাটাই চেয়েছিলাম…!
তুমি নিচুতলার মানুষদের মতোই দেয়ালের গায়ে একটা বিবর্ণ লেখা স্পর্শ করে ;
স্পষ্ট হতে চাইছিলে নিজের কাছে…!
বিদ্রোহী বৃষ্টি রাত-যৌবনের বেদনার মতন
শহর-বুক পাথরের শক্ত আস্তরণ চিরে
উন্মুখ দশ সেকেন্ডের জন্য অমরত্ব চাইছিলো…!
কথা ছিলো,
টেলিগ্রাম এলেই আমাদের জন্য ভাববো..
শুধুই এক ফালি আমাদের জন্য….!

প্রিয় সরীসৃপ,
এখন তো আর সে-ই–
রাবণ রাজার মহাকালের সাধন সময় নেই  ;
মধ্যম মানের জীবনের ভাবনাটাই এখন একমাত্র
বিবর্তিত ঈশ্বর মানুষের কাছে…!
তরঙ্গের চোখ দিয়ে প্রতিদিন
ভাঙছে-গড়ছে রক্ত মাংসের মনগুলো  ;
যেন, পৃথিবীটা ক্রমাগত হেসে কুটিকুটি হয়ে
নিজের নাম ভুলে যাওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা করছে..!

পাশের বাড়ির নতুন গৃহপ্রবেশ উৎসবে
কাল সারারাত শুধু কাঁচ-বন্দী কথাদের বলতে শুনেছি ;
ভোরবেলা হাঁটতে গেলে পার্কের বেঞ্চিটাতে
ভেজা প্লাস্টিকের নিরোধকের ভেতরের
কোটি বছর বয়ে চলা সৃষ্টির কোমল মৃত্যু দেখে..
নিমিষেই চোখ ফিরিয়ে নিয়ে বারোয়ারী
উপসনালয়ের শক্ত পাটের উপর কব্জির শক্তিতে
তীব্র শ্লেষ নিয়ে ঘন্টা বাজিয়েছি মাত্র…
ঠিক তখনই,
পায়ের কাছে একটা লাল ফ্রকের বেড়াল চোখের পুতুলের হাত আমার ভেজা পায়ের পাতায়
কচি আঙুল গুঁজে অভিমানী…
আমিও আমার দুটো চোখ উজানে বেঁধে হাতের ভেতর
লুকিয়ে নিতে চাইলাম প্রাণপণে….!

ঘরে ফিরে দেখি..
চাইনিজ কামিনীর চারাগাছে দুটো নতুন ফুল
তাদের গন্ধহীন জন্মের রোদ মাখছে নরম গায়ে…!
খোয়াই লাল রুমালে পুতুলটার গায়ের ধুলো পরিস্কার করতে করতে হঠাৎ চোখে পড়লো,
শুভ্র সিলিং এর গায়ে দুটো বড় টিকটিকি
পরস্পরের সাথে মিশে যেতে প্রাণান্ত চেষ্টা করে যাচ্ছে…!
আমি অদ্ভুত এক তৃপ্তিতে মাথা নিচু করে চুপ-মেয়েটার হাতের উপর হাত বুলিয়ে ওর কষ্ট মুছতে
আবার চোখের মায়ার চোখ রাখলাম…!

আজ সোমবার….
মহাকালের জন্য ফুল কিনতে
বড় সিঁদুর মুখের মাসির দোকানে নাম লেখানোর তাড়ায়
আমার হাতের রক্তকণাগুলো
দ্রুতগামী হয়ে কিনতে মরিয়া মহার্ঘ্য সময়ের আঁধার….!

Share This