Categories
নারী কথা প্রবন্ধ

রনা ডাকাত ও সিদ্ধেশ্বরীমায়ের গল্প আজও মানুষের মুখে মুখে।

আনুমানিক প্রায় ৪৫০বছর আগে নদিয়ার রাজা কৃষ্ণ চন্দ্রের পিতা রঘুরামের রাজত্বে জঙ্গল ময় অঞ্চল ছিল চূর্ণী নদীর ধার। আর সেই জঙ্গলে থাকতো ডাকাত এর দল। ডাকাত দলের সর্দার ছিলেন রনা ডাকাত। তিনি রনো পা দিয়ে ডাকাতি করতেন বলে তার নাম রনাডাকাত।সে ডাকাতি করে সেই সব অর্থ ধন সম্পদ দরিদ্রদের মধ্যে বিলিয়ে দিতেন ।ডাকাতি করার আগে তিনি মা কালী কে পূজো করে বের হতেন।যেহেতু সমস্ত মনের ইচ্ছা সিদ্ধ করতেন মা কালী তাই তার কালী মায়ের নাম দিয়েছিলেন সিদ্ধেশরী মা ।পরবর্তী কালে রনাডাকাত সাধুর সংস্পর্শে এসে তার মানসিক ও স্বভাব পরিবর্তন হয়। ডাকাতি ছেড়ে মায়ের সাধনায় মনোনিবেশ করেন ।কথিত আছে রনাডাকাতের নাম অনুসারে রানাঘাট নাম হয় ।রনা ডাকাতের মৃত্যু হলে মা সিদ্ধেশ্বরী জঙ্গলের মধ্যেই পরে ছিলেন । এরপর নদিয়ার রাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায় চূর্ণী নদী দিয়ে বজরা করে যাওয়ার পথে বজরা থামিয়ে খাওয়া দাওয়া করে চূর্ণী নদীর এই স্থানে তিনি স্বপ্নাদেশ পান মা সিদ্ধেশ্বরীমায়ের জঙ্গলের মধ্যে এরপর এইখানেয় মায়ের প্রতিষ্ঠা করেন ।সেই সময় মায়ের পুজোর দায়িত্ব দেন ভোলানাথ চট্টোপাধ্যায় কে তার কোনো পুত্র সন্তান ছিলো না তার পিসি ছিলেন ইচ্ছাময়ী দাসী তার সম্পর্কে ভাইপোরা পরবর্তী কালে সিদ্ধেশ্বরী মায়ের পূজো শুরু করেন আজ ও সেই পূর্ব পুরুষের হাত ধরে মায়ের পূজো হয়ে আসছে তবে রনাডাকতের সিদ্ধেশ্বরী মা কে এক ইংরেজসাহেব ছুঁয়ে ফেলাতে মূর্তি টি নদীতে বিসর্জন দিয়ে কোস্টি পাথরের মূর্তিতে সিদ্ধেশ্বরী মা প্রতিষ্ঠা করে পূজো হয়ে আসছে ।মায়ের করুণা ও আশীর্বাদ পেতে শুধু রানাঘাট নয় আশেপাশের থেকে বিভিন্ন রাজ্য দেশে বিভিন্ন জায়গা থেকে এমন কি বিদেশ থেকেও পূজো ও মায়ের আশীর্বাদ নিতে ভিড় করেন রানাঘাট সিদ্ধেশ্বরী মন্দিরে।আর প্রত্যেক দিন পুজো হলেও কালীপুজোর দিন দূরদূরান্ত থেকে ভক্ত বৃন্দের ঢল নামে এই মন্দিরে

Share This

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *