Categories
রিভিউ

আজ ১৩ নভেম্বর, ইতিহাসের দিকে চোখ বুলিয়ে দেখে নেব ইতিহাসের এই দিনে বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু, দিনসহ ঘটে যাওয়া ঘটনা।

আজ ১৩ নভেম্বর। এক নজরে দেখে নিই ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু দিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

 

দিবস—–

 

(ক) জার্মানি: শোক দিবস।

 

আজ যাদের জন্মদিন—-

১৩৯৭ – পোপ নিকোলাস পঞ্চম, ক্যাথলিক গির্জার পোপ।

 

১৮৪৭ – মীর মশাররফ হোসেন,প্রথম মুসলিম বাঙালি ঔপন্যাসিক, নাট্যকার ও প্রাবন্ধিক।

 

১৮৫০ – স্কটিশ কথাসাহিত্যিক লুইস স্টিভেনসনের জন্ম।

১৮৭৩ – ইরানের বিখ্যাত আলেম ও শিক্ষক আয়াতুল্লাহ জুন্নুরী উত্তর-পশ্চিম ইরানের তাব্রিজে জন্ম গ্রহণ করেন।

 

১৮৯৯ – ইস্কান্দার মির্জা, পাকিস্তানের শেষ গভর্নর জেনারেল ও প্রথম রাষ্ট্রপতি।

 

১৯২১ – অশোক বড়ুয়া, বাঙালি লেখক।

 

১৯৪৮ – হুমায়ূন আহমেদ, বাংলাদেশী ঔপন্যাসিক, ছোটগল্পকার, নাট্যকার এবং গীতিকার, চিত্রনাট্যকার ও চলচ্চিত্র নির্মাতা।

 

১৯৬৭ – জুহি চাওলা, জনপ্রিয় ভারতীয় অভিনেত্রী।

 

ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনের ঘটনাবলী—-

১৮০৫ – ফরাসিরা ভিয়েনা দখল করে।

১৮৩৫ – টেক্সাস মেক্সিকোর কাছ থেকে আলাদা হয়ে স্বাধীনতার ঘোষণা দেয়।

১৮৪৯ – পিটার বার্নেট ক্যালিফোর্নিয়ার প্রথম গভর্নর নির্বাচিত হন।

১৮৬৪ – গ্রিসের নতুন সংবিধান গৃহীত হয়।

১৮৭২ – সাপ্তাহিক ‘সমাজ দর্পণ’ প্রকাশিত হয়।

১৮৮৫ – রাজকীয় সার্বিয়ার সেনাবাহিনী বুলগেরিয়া দখল করে।

১৯০৭ – পল কমু’র উদ্ভাবিত হেলিকপ্টার প্রথমবারের মতো আকাশে ওড়ে।

১৯১৩ – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নোবেল পুরস্কার প্রাপ্তির সংবাদ শান্তিনিকেতনে পৌঁছায়।

১৯১৫ – ইরানের তৃতীয় জাতীয় সংসদ দেশটির সর্বশেষ কাজার সম্রাট আহমদ শাহের নির্দেশে ভেঙে দেয়া হয়।

১৯১৮ – প্রথম বিশ্বযুদ্ধের শেষ প্রান্তে এসে সম্মিলিত বাহিনী অটোমান সাম্রাজ্যের রাজধানী কনস্টান্টিনপল দখল করে।

১৯২১ – মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, ফ্রান্স ও জাপানের মধ্যে প্যাসিফিক চুক্তি হয়।

১৯৪৫ – সুকর্ন ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রপতি হন।

১৯৪৭ – রাশিয়া অ্যাসল্ট রাইফেল একে-৪৭ চূড়ান্তভাবে তৈরি করে।

১৯৭০ – ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে পূর্ব বাংলায় পাঁচ লাখ লোকের প্রাণহানি ঘটে।

১৯৭৪ – ফিলিস্তিন মুক্তি সংস্থা বা পি এল ও’র নেতা ইয়াসির আরাফাত জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ভাষণ দেন।

১৯৭৭ – ঢাকায় বিজ্ঞান জাদুঘর উদ্বোধন করা হয়।

১৯৮৫ – কলম্বিয়ায় এক ভূমিকম্পে ২৩ হাজারেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারায়।

১৯৮৯ – আকস্মিক ধসে পশ্চিমবঙ্গের রানীগঞ্জের কয়লাখনির অভ্যন্তরে ৭১ শ্রমিক আটকা পড়েন। পরে বিশেষজ্ঞদের সহায়তায় ক্যাপসুলের সাহায্যে ৬৫ জনকে জীবিতাবস্থায় উদ্ধার করা হলে এই উদ্ধার পদ্ধতি বিশ্বে বিস্ময়ের সৃষ্টি করে।

১৯৯৪ – সুইডেন এক গণভোটের মাধ্যমে ইউরোপীয় জোটে যোগ দেয়।

২০০২ – ইরাকের সাদ্দাম হোসেনের সরকার জাতিসংঘের অস্ত্র পরিদর্শক দলকে ইরাকে ফিরে আসার অনুমতি দেয়।

 

এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন যারা—-

১২৩১ – স্কটল্যান্ডের রাজা তৃতীয় ম্যালকমের মৃত্যু।

 

১৯০৭ – ইংরেজ কবি ফ্রান্সিস থমসন।

 

১৯৫০ – ভেনিজুয়েলার রাষ্ট্রপতি সি. দাইগাদো কালবাউন্দ নিহত হন।

 

১৯৭৮ – চিত্তপ্রসাদ ভট্টাচার্য, খ্যাতনামা ভারতীয় বাঙালি রাজনৈতিক শিল্পী।

 

১৯৮০ – প্রখ্যাত বাঙালি সুরকার রত্নেশ্বর মুখোপাধ্যায় বা রতু মুখাপাধ্যায়।

 

২০০১ – করুণা বন্দ্যোপাধ্যায়, বাঙালি অভিনেত্রী। (সত্যজিৎ রায়ের ‘পথের পাঁচালী’ ও ‘অপরাজিতা’ সর্বজয়া খ্যাতা)

 

২০২১ – আন্তর্জাতিক সর্বাধিক বিক্রিত বইয়ের লেখক উইলবার স্মিথ।

 

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ

আজ ১২ নভেম্বর, ইতিহাসের দিকে চোখ বুলিয়ে দেখে নেব ইতিহাসের এই দিনে বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু, দিনসহ ঘটে যাওয়া ঘটনা।

আজ ১২ নভেম্বর। এক নজরে দেখে নিই ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু দিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

 

দিবস—–

 

(ক)  বিশ্ব নিউমোনিয়া দিবস

(খ) জনসেবা প্রসারণ দিবস। (ভারত)

(গ) বিশ্ব স্থাপত্য দিবস৷

 

আজ যাদের জন্মদিন—-

১৭৪৬ – জ্যাকুইস চার্লস, ফরাসি উদ্ভাবক, বিজ্ঞানী, গণিতবিদ এবং বেলুন বিশেষজ্ঞ।

 

১৭৯০ – লেটিশিয়া টাইলার, তিনি ছিলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি জন টেইলারের সহধর্মীনি ও ফার্স্ট লেডি।

 

১৮৪০ – ওগুস্ত রদ্যাঁ, আধুনিক যুগের একজন বিখ্যাত ফরাসি ভাস্কর।

 

১৮৪২ – জন উইলিয়াম স্ট্রাট, ৩য় ব্যারন রেলি, তিনি ছিলেন নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ইংরেজ পদার্থবিদ ও শিক্ষাবিদ।

 

১৮৬৬ – চীনের বিপ্লবী নেতা সান ইয়াৎ সেন।

 

১৮৯৬ – (ক)  সালিম আলী, বিখ্যাত ভারতীয় পক্ষীবিদ ও প্রকৃতিপ্রেমী।

 

(খ) নিমা ইয়ুশিজ, তিনি ছিলেন ইরানী কবি ও অধ্যাপক।

১৯০৩ – জ্যাক অয়াকি, তিনি ছিলেন আমেরিকান অভিনেতা ও গায়ক।

 

১৯১৫ – রোল্যান্ড বার্থেজ, তিনি ছিলেন ফরাসি দার্শনিক, তাত্ত্বিক ও সমালোচক।

 

১৯২৭ – (ক)  রবীন্দ্র সংগীতে অকাদেমি পুরস্কার বিজয়ী (২০১০) দ্বিজেন মুখোপাধ্যায়,প্রখ্যাত ভারতীয় বাঙালি সুরকার ও সঙ্গীত শিল্পী।

(খ) ইয়ুতাকা তানিয়ামা, তিনি ছিলেন জাপানী গণিতবিদ ও তাত্তিক।

 

১৯৩১ – গ্রেগরি হেমিংওয়ে, মার্কিন চিকিৎসক ও স্মৃতিকথাকার।

 

১৯৩৩ – জালাল তালাবানি, তিনি ইরাকি রাজনীতিবিদ ও ৬ষ্ঠ রাষ্ট্রপতি।

 

১৯৩৪ – (ক)  দিলীপ মহলানবিশ, ওআরএস-স্রষ্টা ভারতীয় বাঙালি শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ।

 

(ক্ষ) ভাভা, ব্রাজিলীয় ফুটবলার।

 

১৯৩৮ – বেলাল চৌধুরী,বাংলাদেশী কবি।

 

১৯৪৫ – নিল ইয়ং, তিনি কানাডিয়ান বংশোদ্ভূত আমেরিকান গায়ক, গীতিকার, গিটার ও প্রযোজক।

 

১৯৪৮ – হাসান রুহানি, তিনি ইরানের আইনজীবী, রাজনীতিবিদ ও ৭ম রাষ্ট্রপতি।

 

১৯৭৩ – রাধা মিচেল, তিনি অস্ট্রেলীয়অভিনেত্রী ও প্রযোজক।

 

১৯৭৮ – আলেকজান্দ্রা লারা, তিনি রোমানীয় বংশোদ্ভূত জার্মান অভিনেত্রী।

 

১৯৮০ – রায়ান গসলিং, তিনি কানাডিয়ান বংশোদ্ভূত আমেরিকান অভিনেতা, গায়ক ও প্রযোজক।

১৯৮৬ – ইগ্নাযিও আবাটে, তিনি ইতালিয়ান ফুটবলার।

 

ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনের ঘটনাবলী—-

১৭৮১ – ব্রিটিশ বাহিনী দক্ষিণ ভারতের নাগাপাট্টম দখল করে।

১৮৩৭ – দেশীয় ও ইউরোপীয় ভূ-স্বামীদের স্বার্থরক্ষার্থে ভারতে জমিদার সভা প্রতিষ্ঠিত হয়।

 

১৯১৩ – রবীন্দ্রনাথকে নোবেল পুরস্কারে ভূষিত করার সিদ্ধান্ত ঘোষিত হয়।

১৯১৮ – অস্ট্রিয়াকে প্রজাতন্ত্র হিসেবে ঘোষণা করা হয়।

১৯৩০ – ভারতে ব্রিটিশবিরোধী আইন অমান্য আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে লন্ডনে প্রথম গোলটেবিল বৈঠক হয়।

 

১৯৪৭ – ভারতের স্বাধীনতার পর জাতির জনক মহাত্মা গান্ধী আজকের দিনে প্রথম ও শেষ বারের মত আকাশবাণী দিল্লি কেন্দ্র পরিদর্শন করেন ও ভাষণ দেন।

১৯৫৬ – মরোক্কো, তিউনিসিয়া ও সুদান জাতিসংঘে যোগদান করে।

১৯৫৬ – ইসরাইলী সেনারা ফিলিস্তিনের গাজার রাফা শহরে ফিলিস্তিনী শরণার্থী শিবিরে গণহত্যা চালায়।

১৯৭০ – বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে ও জলোচ্ছ্বাসে দশ থেকে পনের লাখ লোক প্রাণ হারান।

১৯৭১ – চীনের সঙ্গে রোয়ান্ডার কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়।

১৯৮২ – ইউরি আন্দ্রোপভ সোভিযে়ত রাষ্ট্রপতি নিযুক্ত হন।

১৯৮৩ – বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম সীমান্ত বরাবর ভারতের পর্যবেক্ষণ টাওয়ার নির্মাণ শুরু হয়।

১৯৯০ – পৃথিবীর প্রাচীনতম ও ২৬০০ বছরের ঐতিহ্যবাহী বংশপরম্পরাগত রাজতন্ত্রের সিংহাসনে জাপানের সম্রাট আকাহিতো অভিষিক্ত হন।

১৯৯৬ – বাংলাদেশ জাতীয় সংসদে সর্বসম্মতিক্রমে মানবতাবিরোধী কালাকানুন ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ বাতিল করা হয়।

১৯৯৬ – ভারতের হরিয়ানার আকাশে উড্ডয়নরত দুটি বিমানের সংঘর্ষে ৩৫০ ব্যক্তি নিহত হয়।

 

২০১১ –  ইতালির প্রধানমন্ত্রী সিলভিও বার্লুসকনি পদত্যাগ করেন।

 

এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন যারা—-

 

১৮৬৫ – এলিজাবেথ গাস্কেল, তিনি ছিলেন ইংরেজ লেখক।

 

১৯২৯ – স্যার মণীন্দ্র চন্দ্র নন্দী, কাশিমবাজারের মহারাজা ও মানবতাবাদী ব্যক্তিত্ব।

 

১৯৪৬ – ভারতীয় শিক্ষাবিদ ও রাজনীতিবিদ মদনমোহন মালব্য।

১৯৬৯ – অজিতকুমার গুহ, বাঙালি শিক্ষাবিদ এবং লেখক।

 

১৯৭৬ – মিখাইল গুরেভিচ, তিনি ছিলেন রাশিয়ান বিমান ডিজাইনার, বোখারা সমবায়ের প্রতিষ্ঠিত।

 

১৯৮১ – উইলিয়াম হোল্ডেন, মার্কিন অভিনেতা।

 

২০০৭ – ইরা লেভিন, তিনি ছিলেন আমেরিকান লেখক ও নাট্যকার।

 

২০১৩ – আলেকজান্ডার সেরেবরভ, তিনি ছিলেন রাশিয়ান প্রকৌশলী ও মহাকাশচারী।

২০১৮ – স্ট্যান লি, মার্কিন কমিক বই লেখক, সম্পাদক, প্রযোজক ও প্রকাশক।

 

২০১৯ -রাম রে নামে সুপরিচিত ভারতের বিজ্ঞাপন জগতের এক কিংবদন্তি।

 

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

আজ বিশ্ব নিউমোনিয়া দিবস, জানুন দিনটি কেন পালিত হয় এবং এর গুরুত্ব।

প্রতি বছর ১২ই নভেম্বর বিশ্বব্যাপী পালিত হয় বিশ্ব নিউমোনিয়া দিবস। বিশ্ব নিউমোনিয়া দিবস—১২ নভেম্বর— একটি বার্ষিক অনুস্মারক যে নিউমোনিয়া যে কোনো জায়গায় এবং যে কোনো সময় আঘাত করতে পারে এবং এটি একটি গুরুতর, সম্ভাব্য জীবন-হুমকি ফুসফুসের সংক্রমণ। নিউমোনিয়া প্রাথমিকভাবে ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া বা ছত্রাক দ্বারা সৃষ্ট হয় যা একজন থেকে অন্য ব্যক্তিতে সংক্রমিত হয়।

নিউমোনিয়া ফুসফুসের প্রদাহজনিত একটি রোগের নাম।ইহা হল ফুসফুসের প্যারেনকাইমার প্রদাহ বিশেষ। সাধারণত ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক সংক্রমণের কারণে নিউমোনিয়া হয়। নিউমোনিয়া মৃদু বা হালকা থেকে জীবন হানিকরও হতে পারে। নিউমোনিয়া থেকে ফ্লু হবারও সম্ভাবনা থাকে। নিউমোনিয়া সাধারণত বয়স্ক ব্যক্তিদের, যারা দীর্ঘদিন রোগে ভুগছেন অথবা যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল বা কম তাদের মধ্যে বেশি দেখা যায়। তবে তরুণ, অল্প বয়স্ক, স্বাস্থ্যবান লোকদেরও নিউমোনিয়া হতে পারে। ফুসফুসে স্ট্রেপটোকক্কাস জাতীয় ব্যাকটেরিয়া কিংবা শ্বাসযন্ত্রের সিনসিশিয়াল ভাইরাস (আরএসভি) সংক্রমণ ঘটালে ফুসফুস ফুলে ওঠে, ভরে ওঠে পুঁজে বা তরল পদার্থে, যা অক্সিজেন গ্রহণ করে নিঃশ্বাস নেওয়ার ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। তখন ফুসফুসে প্রদাহ হয়। ।

প্রতি বছরের মতো এবারও ১২ নভেম্বর বিশ্ব নিউমনিয়া দিবস পালিত হচ্ছে। নিউমোনিয়া সম্পর্কিত জটিলতা এবং সমস্যাগুলি তুলে ধরার লক্ষ্যে ২০০৯ সালে এই দিনটি প্রথম পালিত হয়েছিল। বিশ্ব নিউমোনিয়া দিবসে এর ক্ষতিকর প্রভাব, কারণ এবং কীভাবে এটি প্রতিরোধ বা চিকিত্সা করা যায় সে সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য পালিত হয়।
বিশ্ব নিউমোনিয়া দিবসে এর ক্ষতিকর প্রভাব, কারণ এবং কীভাবে এটি প্রতিরোধ বা চিকিত্সা করা যায় সে সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য পালিত হয়। এটি সক্রিয় এবং টেকসই বিশ্বব্যাপী প্রচেষ্টার সাহায্যে মারাত্মক রোগের কারণে মৃত্যু হ্রাস করা লক্ষ্য করে। উদ্দেশ্য হ’ল, গবেষণার জন্য আরও তহবিল সংগ্রহ করার জন্য জীবন-হুমকিপূর্ণ রোগটিকে জনসাধারণের নজরে আনা, প্রতিষ্ঠানগুলিকে এই রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করার সময় পদক্ষেপ নিতে উত্সাহিত করা এবং মৃত্যু হ্রাস করা।

জন হপকিন্স সেন্টার অফ পাবলিক হেলথের মতে, ২০১৬ সালে নিউমোনিয়ার কারণে ১, ৫৮,১৭৬ জন মারা গিয়েছে এবং এর প্রধান কারণ হল ঘরের ভিতরের বায়ু দূষণ, একটানা স্তনদুগ্ধ না খাওয়ানো, বায়ু দূষণ, কম জন্মের ওজন এবং অপুষ্টি।WHO-এর মতে, ৫ বছরের কম বয়সী শিশুদের মধ্যে নিউমোনিয়া বেশি তীব্র হয় এবং এই রোগ প্রতিরোধে সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন।

নিউমোনিয়া হল একটি সংক্রামক ব্যাধি যা ২০১৯ সালে ৬৭২,০০০ শিশু-সহ সারা বিশ্বে ২.৫ মিলিয়ন মানুষকে প্রভাবিত করেছিল। নিউমোনিয়া দিবস ২০০৯ সালে শিশু নিউমোনিয়ার বিরুদ্ধে গ্লোবাল কোয়ালিশন দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। শিশু নিউমোনিয়ার বিরুদ্ধে গ্লোবাল কোয়ালিশন হল সরকারি, বেসরকার্, সম্প্রদায়-ভিত্তিক, শিক্ষামূলক এবং গবেষণা ভিত্তিক সংস্থাগুলির একটি প্রতিষ্ঠান। ওই বছরে নিউমোনিয়া প্রতি বছর ১.২ মিলিয়ন শিশু মৃত্যুর পিছনে ছিল এই মারাত্মক রোগ।

হু ও ইউনিসেফের ২০১৩ সালে নিউমোনিয়া প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের জন্য সমন্বিত কর্মপরিকল্পনা অনুসারে, লক্ষ্য হল নিউমোনিয়ার কারণে মৃত্যুর সংখ্যা কমিয়ে আনা এবং ২০২৫ সালের মধ্যে প্রতি হাজার শিশুর মধ্যে মৃত্যুর হার কমিয়ে তিনে নামিয়ে আনা।

উল্লেখ্য, সারা বিশ্বে কোটি কোটি মানুষকে শ্বাসতন্ত্রের জটিল এ অসুখ থেকে বাঁচানোর লক্ষ্যে জনগণের মধ্যে ব্যাপক সচেতনতা তৈরি করতে দিবসটির গুরুত্ব অনেক। সারা পৃথিবীতে নিউমোনিয়ায় প্রতিবছর প্রায় ৪৫ কোটি লোক আক্রান্ত হয়। মারা যায় প্রায় ৪০ লাখ রোগী। উন্নয়নশীল দেশে নিউমোনিয়ার ব্যাপকতা বেশি। পাঁচ বছরের কম বয়সের শিশু ও বৃদ্ধরাই নিউমোনিয়ায় বেশি আক্রান্ত হয় এবং শিশুরা বেশি মারা যায়। তুলনামূলকভাবে নারীদের চেয়ে পুরুষরা এতে বেশি আক্রান্ত হয়। ফুসফুস বা শ্বাসতন্ত্রের প্রদাহজনিত জটিল একটি রোগ নিউমোনিয়া। ফুসফুসের প্যারেনকাইমা বা বায়ুথলিতে জীবাণু যেমন- ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস ইত্যাদি সংক্রমণের ফলে বুকে ব্যথা, শ্বাসকষ্ট, কাশি এসব উপসর্গ দেখা দেয়। যা নিউমোনিয়া নামে পরিচিত। এটি ফুসফুসের অত্যন্ত প্রচলিত ও প্রাচীন একটি রোগ। আধুনিক চিকিৎসাশাস্ত্রের জনক হিপোক্রেটস আড়াই হাজার বছর আগে এ রোগের বর্ণনা দিয়েছেন। শিশুদের ক্ষেত্রে বয়সভেদে রোগজীবাণুতে কিছু পার্থক্য থাকে। ক্রনিক ঠাণ্ডালাগা, বুকে শ্লেষ্মা জমে থাকার সূত্র ধরেই আক্রান্ত হয় নিউমোনিয়ায়।
ঠাণ্ডা লাগলেই যে সবার নিউমোনিয়া হবে তা কিন্তু নয়, তবে যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, মূলত বয়স্ক ও শিশুরাই এই রোগে বেশি আক্রান্ত হয়। তাদের মতে, নিউমোনিয়ার প্রাথমিক লক্ষণ খুব জ্বর। ওষুধে জ্বর নামলেও আবার ওষুধের প্রভাব কাটলেই হু হু করে বেড়ে যায়। ১০৩-১০৪ ডিগ্রি উঠতে পারে জ্বর। এর সঙ্গে শ্বাসকষ্ট, বুকে ব্যথা ইত্যাদি তো থাকেই। অনেক সময় মাথায় যন্ত্রণা, ক্রমে দুর্বল হয়ে পড়া, খাওয়া-দাওয়ায় অনীহা এসবও নিউমোনিয়ার লক্ষণ। নিউমোনিয়া আক্রান্ত রোগীকে ছুঁলেই নিউমোনিয়ার জীবাণু শরীরে ছড়ায় না। আক্রান্তের কাশি বা হাঁচি থেকে তা ছড়াতে পারে। তবে সর্দিজ্বরের সঙ্গে নিউমোনিয়ার বেশকিছু পার্থক্য থাকে।

একটু লক্ষ্য রাখলেই রোগ নির্ণয় করা সহজ। চিকিৎসকদের মতে, প্রাথমিকভাবে সাধারণ জ্বর-সর্দি-কাশি দিয়ে এই রোগ শুরু হলেও দেখা যায় সময়ের সঙ্গে সঙ্গে জ্বর, শ্বাসকষ্ট বাড়ছে, কাশিও বাড়ছে। অনেক সময় জ্বরের ওষুধের কড়া ডোজে জ্বর নামলেও ফিরে ফিরে আসে তা। অবস্থা গুরুতর হলে কাশির সঙ্গে রক্তও উঠতে পারে। এসব লক্ষণ দেখা দিলেই দেরি না করে চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। একমাত্র চিকিৎসকই বুঝতে পারেন ব্যক্তি নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে কি না। তবু নিশ্চিত হতে কিছু পরীক্ষা করাতে হয়।

উপসর্গসমূহ।।

নিউমোনিয়ার উপসর্গ গুলো বিভিন্ন হয়ে থাকে। এটা নির্ভর করে শারীরিক অবস্থা এবং কি ধরনের জীবাণুর সংক্রমণ হয়েছে তার উপর। নিউমোনিয়ার লক্ষণ সমূহ নিম্নরূপ:

জ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্ট, কাপুনি, ঘাম হওয়া, বুকে ব্যাথা যা শ্বাস-প্রশ্বাসের সাথে উঠা নামা করে, মাথা ব্যথা, মাংসপেশীতে ব্যাথা, ক্লান্তি অনুভব করা। তাই নিয়ম করে ডক্টর দেখিয়ে পরীক্ষা করে নিতে হবে এবং ডাক্তারের পরামর্শ মেনে চলতে হবে।

কি ভাবে প্রতিরোধ করব।।

ভালোভাবে পরিষ্কার করে হাত ধুতে হবে,  নিজের প্রতি যত্ন নিতে হবে, পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিতে হবে, সুষম খাদ্য গ্রহণ করতে হবে, ধূমপান করা যাবে না, অন্যের সামনে হাঁচি/কাশি দেয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। হাঁচি/কাশি দেয়ার সময় মুখ হাত দিয়ে ঢাকতে হবে বা রুমাল ব্যবহার করতে হবে, টিকা দিতে হবে —- যেমন ইনফ্লুয়েঞ্জার জন্য ইনফ্লুয়েঞ্জা ভ্যাকসিন খুবই কার্যকর। ডায়াবেটিস,এইডস, পুষ্টিহীনতা ইত্যাদির চিকিৎসা করাতে হবে।

 

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট, উইকিপিডিয়া।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ

মুহাম্মদ আলি জিন্নাহ, পাকিস্তানের প্রতিষ্ঠাতা ও ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রধান মুসলিম নেতা – একটি বিশেষ পর্যালোচনা।

মুহাম্মদ আলি জিন্নাহ একজন ব্যারিস্টার, রাজনীতিবিদ এবং পাকিস্তানের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন, তিনি ১৯৪৭ থেকে সেপ্টেম্বর ১৯৪৮ সালে তাঁর মৃত্যু পর্যন্ত দেশের প্রথম গভর্নর-জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৮৭৬ সালে করাচিতে একটি ধনী বণিক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন, জিন্নাহ লন্ডনের লিঙ্কনস ইনে আইন অধ্যয়ন করেন।

 

 

মুহাম্মদ আলি জিন্নাহ ছিলেন একজন গুজরাটি বংশদ্ভুত আইনজীবী, রাজনীতিবিদ ও পাকিস্তানের প্রতিষ্ঠাতা। ১৯১৩ সাল থেকে শুরু করে ১৯৪৭ সালের ১৪ আগস্ট পাকিস্তানের স্বাধীনতা পর্যন্ত জিন্নাহ নিখিল ভারত মুসলিম লীগের নেতা ছিলেন। স্বাধীনতার পর তিনি পাকিস্তানের প্রথম গভর্নর জেনারেল হন এবং আমৃত্যু এই পদে বহাল থাকেন। পাকিস্তানে তাঁকে কায়েদে আজম (মহান নেতা) ও বাবায়ে কওম (জাতির পিতা) হিসেবে সম্মান করা হয়।

 

 

জিন্নাহ করাচিতে জন্মগ্রহণ করেন। লন্ডনের লিঙ্কনস ইন থেকে তিনি ব্যরিস্টার হন। বিশ শতকের প্রথম দুই দশকে তিনি ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের গুরুত্বপূর্ণ নেতা হয়ে উঠেন। এসময় তিনি হিন্দু-মুসলিম ঐক্যের পৃষ্ঠপোষকতা করেন। ১৯১৬ সালে কংগ্রেস ও মুসলিম লীগের মধ্যে লখনৌ চুক্তির সময় তাঁর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। এসময় জিন্নাহ মুসলিম লীগেরও সদস্য ছিলেন। হোম রুল আন্দোলন সংগঠনে জিন্নাহ অন্যতম প্রধান নেতা হয়ে উঠেন। মুসলিমদের রাজনৈতিক অধিকার রক্ষার জন্য তিনি চৌদ্দ দফা সাংবিধানিক সংস্কার পরিকল্পনা প্রস্তাব করেন। কংগ্রেস মহাত্মা গান্ধীর সত্যাগ্রহে অংশ নিলে ১৯২০ সালে তিনি কংগ্রেস থেকে পদত্যাগ করেন। রাজনৈতিক দাবি আদায়ের ক্ষেত্রে তিনি নিয়মতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার পক্ষে ছিলেন।

 

 

১৯৪০ সালের মধ্যে, জিন্নাহ বিশ্বাস করেছিলেন যে উপমহাদেশের মুসলমানদের একটি স্বাধীন হিন্দু-মুসলিম রাষ্ট্রে সম্ভাব্য প্রান্তিক অবস্থা এড়াতে তাদের নিজস্ব রাষ্ট্র থাকা উচিত।  জিন্নাহর নেতৃত্বে মুসলিম লীগ ভারতীয় মুসলমানদের জন্য একটি পৃথক জাতির দাবিতে লাহোর প্রস্তাব পাস করে।

একই বছরে লাহোর প্রস্তাব পাশ হয়। এতে আলাদা রাষ্ট্রের দাবি তোলা হয়।

 

 

জিন্নাহ মূলত পাকিস্তানের কার্যকারিতা নিয়ে সন্দেহজনক ছিলেন, এমন একটি ধারণা যা কবি ও দার্শনিক স্যার মুহম্মদ ইকবাল ১৯৩০ সালের মুসলিম লীগের সম্মেলনে উত্থাপন করেছিলেন, কিন্তু অনেক আগেই তিনি নিশ্চিত হয়েছিলেন যে ভারতীয় উপমহাদেশে একটি মুসলিম স্বদেশই একমাত্র পথ।  মুসলিম স্বার্থ এবং মুসলিম জীবনধারা রক্ষা করা।  এটা ধর্মীয় নিপীড়ন ছিল না যে তিনি হিন্দু সামাজিক সংগঠনের ঘনিষ্ঠ কাঠামোর মধ্যে ক্ষমতা অর্পিত হওয়ার সাথে সাথে ভারতের অভ্যন্তরে অগ্রগতির সমস্ত সম্ভাবনা থেকে মুসলমানদের ভবিষ্যত বাদ দেওয়ার মতো ভয় পেয়েছিলেন।  সেই বিপদ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য, তিনি তাঁর সহধর্মবাদীদের তাদের অবস্থানের বিপদ সম্পর্কে সতর্ক করার জন্য দেশব্যাপী প্রচার চালান এবং তিনি মুসলিম লীগকে মুসলিমদের একটি জাতিতে ঐক্যবদ্ধ করার জন্য একটি শক্তিশালী হাতিয়ারে রূপান্তরিত করেন।
সেই সময়ে, জিন্নাহ একটি পুনর্জাগরিত মুসলিম জাতির নেতা হিসাবে আবির্ভূত হন।  ঘটনা দ্রুত এগোতে থাকে।  ২২-২৩ মার্চ, ১৯৪০ সালে, লাহোরে, লীগ একটি পৃথক মুসলিম রাষ্ট্র, পাকিস্তান গঠনের জন্য একটি প্রস্তাব গ্রহণ করে।  পাকিস্তান ধারণাটি প্রথমে উপহাস করেছিল এবং তারপর কংগ্রেস পার্টি কঠোরভাবে বিরোধিতা করেছিল।  কিন্তু এটি মুসলমানদের কল্পনাকে ধারণ করে।  গান্ধী এবং জওহরলাল নেহেরু সহ অনেক প্রভাবশালী হিন্দু জিন্নাহর বিরুদ্ধে ছিলেন।  এবং ব্রিটিশ সরকার ভারতীয় উপমহাদেশের রাজনৈতিক ঐক্য বজায় রাখার জন্য অভিপ্রেত বলে মনে হয়েছিল।

 

 

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়, কংগ্রেসের নেতাদের বন্দী করার সময় লীগ শক্তি অর্জন করে এবং যুদ্ধের কিছু পরেই অনুষ্ঠিত প্রাদেশিক নির্বাচনে, এটি মুসলমানদের জন্য সংরক্ষিত বেশিরভাগ আসন জিতেছিল।  শেষ পর্যন্ত, কংগ্রেস এবং মুসলিম লীগ এমন একটি ক্ষমতা ভাগাভাগি সূত্রে পৌঁছাতে পারেনি যা স্বাধীনতার পর সমগ্র ব্রিটিশ ভারতকে একক রাষ্ট্র হিসেবে একত্রিত করার অনুমতি দেবে, যা প্রধানত হিন্দু ভারতের স্বাধীনতার পরিবর্তে সমস্ত দলকে একমত হতে পরিচালিত করবে, এবং  পাকিস্তানের মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ রাষ্ট্রের জন্য।  শেষপর্যন্ত কংগ্রেস ও মুসলিম লীগ ঐক্যবদ্ধ ভারতের ক্ষমতার ভাগাভাগির জন্য একটি সাধারণ সিদ্ধান্তে পৌছতে ব্যর্থ হলে দেশ বিভাগের সিদ্ধান্ত হয়।কিন্তু জিন্নাহ তার আন্দোলনকে এমন দক্ষতা ও দৃঢ়তার সাথে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন যে শেষ পর্যন্ত কংগ্রেস পার্টি এবং ব্রিটিশ সরকার উভয়ের কাছেই ভারত বিভাজনে সম্মত হওয়া ছাড়া আর কোনো উপায় ছিল না।  এভাবে ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে।

 

 

১৯৪৭ সালের ১৪ আগস্ট পাকিস্তান একটি স্বাধীন দেশ হয়ে ওঠে যেখানে ভারত একদিন পরে স্বাধীনতা লাভ করে।  উপমহাদেশের মুসলমানদের একটি পৃথক জাতি প্রয়োজন কারণ হিন্দু-অধ্যুষিত ভারতে তাদের আকাঙ্ক্ষা চুরমার হয়ে যাবে এই ধারণাটি প্রথম দ্বি-জাতি তত্ত্বে প্রতিধ্বনিত হয়েছিল।

জিন্নাহ নতুন রাষ্ট্রের প্রথম প্রধান হন।  পাকিস্তানের প্রথম গভর্নর জেনারেল হিসেবে জিন্নাহ নতুন রাষ্ট্রের সরকার ও নীতি প্রণয়নের কাজ শুরু করেন। এছাড়া ভারত থেকে আসা লক্ষাধিক অভিবাসীর পুনর্বাসনের জন্যও তাকে কাজ করতে হয়। উদ্বাস্তু শিবির স্থাপনের কাজ তিনি ব্যক্তিগতভাবে তদারক করেন। একটি তরুণ দেশের গুরুতর সমস্যার মুখোমুখি হয়ে, তিনি কর্তৃত্বের সাথে পাকিস্তানের সমস্যাগুলি মোকাবেলা করেছিলেন।  তাকে নিছক গভর্নর-জেনারেল হিসেবে গণ্য করা হতো না।  তিনি জাতির পিতা হিসেবে সম্মানিত ছিলেন।  বয়স এবং রোগের দ্বারা কাবু না হওয়া পর্যন্ত তিনি কঠোর পরিশ্রম করেছিলেন। স্বাধীনতার এক বছর পর ১৯৪৮ সালের সেপ্টেম্বরে জিন্নাহ জন্মস্থান করাচিতে মৃত্যুবরণ করেন।

 

 

।। তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ

ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনের নেতা ও ভারতের প্রথম শিক্ষামন্ত্রী, মাওলানা আবুল কালাম আজাদ : একটি পর্যালোচনা।

আবুল কালাম আজাদ , (জন্ম ১১ নভেম্বর, ১৮৮৮, মক্কা (বর্তমানে সৌদি আরবে)-মৃত্যু ২২ ফেব্রুয়ারি, ১৯৫৮, নয়াদিল্লি , ভারত), ইসলামী ধর্মতাত্ত্বিক যিনি প্রথম ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম নেতা ছিলেন।  উচ্চ নৈতিক সততার মানুষ হিসেবে সারাজীবন তিনি অত্যন্ত সম্মানিত ছিলেন।

 

মৌলানা আবুল কালাম আজাদ শুধুমাত্র ভারতের প্রথম শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন না, দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। জানব  তাঁর সম্পর্কে  ১০টি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য—–

 

আবুল কালাম আজাদ ১৯৩০ সালে ব্রিটিশ লবণ করের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ-ধারাসানা সত্যাগ্রহের অন্যতম প্রধান সংগঠক ছিলেন।

 

১৯২০ সালে, আজাদ, অন্য দুজনের সাথে, জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হয়েছিলেন, যা মূলত উত্তর প্রদেশের আলীগড়ে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।  চৌদ্দ বছর পর, আজাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস আলিগড় থেকে নয়াদিল্লিতে স্থানান্তর করতে সাহায্য করেন।

 

তিনি কংগ্রেসের সদস্য ছিলেন এবং ১৯২৩ সালে তিনি ৩৫ বছর বয়সে দলের সর্বকনিষ্ঠ সভাপতি হন।

 

আবুল কালাম আজাদ একজন সাংবাদিক হিসেবেও কাজ করেছেন এবং বেশ কয়েকটি উর্দু প্রকাশনায় নিবন্ধ দিয়েছেন।  এছাড়াও তিনি একটি মাসিক পত্রিকা লিসান-উস-সিদক বের করেন যা ১৯০৫ সাল পর্যন্ত মুদ্রিত ছিল। ১৯০৪ সালে, তিনি প্রায় আট মাস অমৃতসর-ভিত্তিক সংবাদপত্র ভাকিলের সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন।  ১৯১২ সালে, আজাদ আল-হিলাল নামে একটি সাপ্তাহিক উর্দু সংবাদপত্র প্রকাশ করেন।

 

একজন সাংবাদিক হিসাবে, আজাদ ব্রিটিশ রাজের সমালোচনা করে এবং সাধারণ মানুষের মুখোমুখি হওয়া সমস্যাগুলি তুলে ধরে এমন কাজ প্রকাশ করতেন।

 

আজাদকে তাঁর সময়ের একজন বিশিষ্ট জাতীয় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে গণ্য করা হয়, কারণ তিনি হিন্দু-মুসলিম ঐক্যের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন এবং ধর্মনিরপেক্ষতা ও সমাজতন্ত্রকে সমর্থন করেছিলেন।

 

আজাদ হোমস্কুল এবং স্ব-শিক্ষিত ছিলেন এবং আরবি, বাংলা এবং ফারসি সহ অনেক ভাষায় সাবলীল ছিলেন।

শিক্ষামন্ত্রী হিসাবে তাঁর মেয়াদে, মন্ত্রক ১৯৫১ সালে প্রথম ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি (IIT) এবং ১৯৫৩ সালে বিশ্ববিদ্যালয় অনুদান কমিশন (UGC) প্রতিষ্ঠা করে।

 

আজাদ ১৯১৯-১৯২৪ সাল পর্যন্ত খিলাফত আন্দোলনের নেতা ছিলেন, সেই সময় তিনি মহাত্মা গান্ধীর সাথে দেখা করেছিলেন।

 

১৯৮৯ সালে, সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রক মাওলানা আজাদ এডুকেশন ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করে, সমাজের শিক্ষাগতভাবে পিছিয়ে পড়া শ্রেণীগুলির মধ্যে শিক্ষার প্রচারের জন্য।

 

দুটি পৃথক দেশ প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর, তিনি ভারত সরকারের শিক্ষামন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেনজওহরলাল নেহেরু ১৯৪৭ থেকে মৃত্যু পর্যন্ত। তাঁর আত্মজীবনী, ইন্ডিয়া উইনস ফ্রিডম , ১৯৫৯ সালে মরণোত্তর প্রকাশিত হয়েছিল। ১৯৯২ সালে, তাঁর মৃত্যুর কয়েক দশক পরে, আজাদকে ভারতের সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার ভারতরত্ন দেওয়া হয়েছিল।

 

।।তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

আজ জাতীয় শিক্ষা দিবস, জানব দিনটির থিম, ইতিহাস এবং তাৎপর্য।

ভারতের প্রথম শিক্ষামন্ত্রী মাওলানা আবুল কালাম আজাদের জন্মবার্ষিকী স্মরণে প্রতি বছর ১১ নভেম্বর জাতীয় শিক্ষা দিবস পালন করা হয়।  এই উদযাপন শিক্ষার মৌলিক অধিকার সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে এবং এর সর্বোত্তম গুরুত্বের উপর জোর দেয়।

 

শিক্ষা প্রতিটি ব্যক্তির জন্য একটি সহজাত অধিকার হিসাবে দাঁড়িয়েছে এবং একটি স্থিতিস্থাপক এবং আলোকিত সমাজের ভিত্তি হিসাবে কাজ করে।  এটি আমাদের পারিপার্শ্বিক পরিবেশ, আমাদের জীবন এবং বৃহত্তর সামাজিক প্রেক্ষাপট সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।  জ্ঞান অর্জনের সুবিধার মাধ্যমে, শিক্ষা আমাদের শেখানো পাঠগুলিকে কার্যকর পদক্ষেপে রূপান্তর করার ক্ষমতা দিয়ে সজ্জিত করে, যার ফলে আমাদের সাফল্যের দিকে পরিচালিত করে।  একজন শিক্ষিত এবং সুপরিচিত নাগরিক দায়িত্বশীল নাগরিকত্বের আদর্শকে মূর্ত করে তোলে, সক্রিয়ভাবে একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য ব্যক্তিগতভাবে এবং বিশ্বব্যাপী অবদান রাখে।

জাতীয় শিক্ষা দিবস ২০২৩ এর থিম–

 

জাতীয় শিক্ষা দিবস ২০২৩-এর থিম হল ‘শিক্ষাকে অগ্রাধিকার দেওয়া: ‘Prioritizing Education: Investing in Our People’। প্রতি বছর, মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক এই অনুষ্ঠানের জন্য একটি স্বতন্ত্র থিম প্রবর্তন করে যা শিক্ষাবিদদের তাদের শিক্ষার্থীদের কাছে এই মূল্যবান বার্তা দিতে উৎসাহিত করে।

 

জাতীয় শিক্ষা দিবসের ইতিহাস—

 

মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, যিনি ১৯৪৭ থেকে ১৯৫৮ সাল পর্যন্ত শিক্ষামন্ত্রীর পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন, এক দশকের বেশি সময় ধরে তিনি শিক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।  ভারতে শিক্ষার উন্নতি এবং অ্যাক্সেসযোগ্যতার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছিলেন।তিনি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষার অগ্রগতি, বৈজ্ঞানিক শিক্ষার প্রসার, বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা, এবং গবেষণা ও উচ্চ শিক্ষাকে উৎসাহিত করার জন্য অসংখ্য উদ্যোগ প্রবর্তন করেন।  তার প্রচেষ্টার স্বীকৃতিস্বরূপ, মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক ২০০৮ সালে তার জন্মদিনটিকে জাতীয় শিক্ষা দিবস হিসাবে ঘোষণা করে।

 

জাতীয় শিক্ষা দিবসের তাৎপর্য—

 

দিনটি স্কুল, কলেজ এবং অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উদযাপনের মাধ্যমে চিহ্নিত করা হয়।  শিক্ষার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা, সাক্ষরতার মূল্য এবং দেশের সকল নাগরিকের জন্য শিক্ষা নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য সেমিনার, সম্মেলন এবং কার্যক্রমের মতো বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

জাতীয় শিক্ষা দিবসের লক্ষ্য হল মৌলানা আবুল কালাম আজাদের জন্মবার্ষিকী এবং প্রথম শিক্ষামন্ত্রী হিসাবে ভারতের শিক্ষা ব্যবস্থাকে এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে তাঁর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকাকে সম্মান জানানো। দিবসটির উদ্দেশ্য হল শিক্ষার তাৎপর্য এবং জাতির উন্নয়ন ও কল্যাণে এর ইতিবাচক প্রভাব সম্পর্কে মানুষকে আলোকিত করা। এটি শেখার চেতনার গুরুত্বকে বোঝায়।

 

।।তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।

Share This
Categories
রিভিউ

আজ ১১ নভেম্বর, ইতিহাসের দিকে চোখ বুলিয়ে দেখে নেব ইতিহাসের এই দিনে বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু, দিনসহ ঘটে যাওয়া ঘটনা।

আজ ১১ নভেম্বর। এক নজরে দেখে নিই ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু দিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

 

দিবস—–

 

(ক) জাতীয় শিক্ষা দিবস (ভারত)।

 

আজ যাদের জন্মদিন—-

১৯০৭ – সুফী মোতাহার হোসেন, বাঙালি কবি।

 

১৯০৮ – গজেন্দ্রকুমার মিত্র, ভারতীয় কথাসাহিত্যিক ও প্রকাশক।

 

১৯১১ – জ্যোতিরিন্দ্র মৈত্র, বিংশ শতকের অন্যতম প্রধান আধুনিক বাঙালি গায়ক ও কবি।

 

১৯১৩ – হেডি লেমার, অস্ট্রীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন চলচ্চিত্র অভিনেত্রী।

 

১৯১৪ – হাওয়ার্ড ফাস্ট, মার্কিন লেখক ও চিত্রনাট্যকার।

 

১৯২৮ – হুমায়ূন রশীদ চৌধুরী, বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের স্পীকার ও কূটনীতিবিদ।

 

১৯২৮ – কার্লোস ফুয়েন্তেস, মেক্সিকান ঔপন্যাসিক।

 

১৯২৯ – ইমরে কার্তেজ, তিনি নোবেল পুরস্কার বিজয়ী হাঙ্গেরিয়ান লেখক।

 

১৯৩২ – অনিতা বসু, ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন ব্যক্তিত্ব

 

১৯৩৫ – রবীন্দ্র সংগীতে ১৯৯৭ সালে সংগীত নাটক অকাদেমি পুরস্কার প্রাপ্ত অর্ঘ্য সেন, বিশিষ্ট রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী।

 

১৯৩৬ (ক)  মালা সিনহা, নেপালী-ভারতীয় অভিনেত্রী।

(খ) সুজান কোনার, মার্কিন টেলিভিশন ও চলচ্চিত্র অভিনেত্রী।

১৯৩৯ – আব্দেল মাজিদ লাখাল, তিউনিশিয়ার অভিনেতা ও পরিচালক।

১৯৪৮ – লুইজ ফেলিপে স্কলারি, তিনি সাবেক ব্রাজিলের ফুটবলার ও ম্যানেজার।

১৯৬০ – আনড্রেয়াস ব্রেহমা, তিনি সাবেক জার্মান ফুটবলার ও ম্যানেজার।

১৯৬৪ – অ্যালিসন ডোডয়, আইরিশ মডেল ও অভিনেত্রী।

১৯৬৭ – রিকি আটর, ইংরেজ ফুটবলার।

১৯৭৪ – লিওনার্ডো ডিক্যাপ্রিও, মার্কিন অভিনেতা ও প্রযোজক।

১৯৭৭ – মানিশ, পর্তুগিজ ফুটবলার।

১৯৮৩ – ফিলিপ লাম, জার্মান ফুটবলার।

১৯৮৪ – সেভেন, দক্ষিণ কোরিয়ার গায়ক, ড্যান্সার ও অভিনেতা।

১৯৯০ – জরজিনিও ওয়িজনাল্ডুম, ওলন্দাজ ফুটবলার।

১৮১৮ –  রাশিয়ার খ্যাতনামা উপন্যাস লেখক ইভান তুরগেনেভ।

১৮২১ – ফিওদোর দস্তয়েভ্‌স্কি, বিখ্যাত রুশ সাহিত্যিক।

১৮৩২ – এমিলে গাবরিয়াউ, ফরাসি লেখক ও সাংবাদিক।

১৮৪১ –  ব্রিটেন ও আয়ারল্যান্ডের রাজা সপ্তম অ্যাডওয়ার্ড।

১৮৬৪ – আলফ্রেড হারমান ফ্রিয়েড, নোবেল পুরস্কার বিজয়ী অস্ট্রিয়ান সাংবাদিক ও সমাজ কর্মী।

 

১৮৭২ – ভারতের খ্যাতনামা হিন্দুস্তানি শাস্ত্রীয় সংগীত শিল্পী আবদুল করিম খাঁ।

১৮৭৬ – স্যার আবদুল হালিম গজনভি, বাঙালি রাজনীতিবিদ, শিল্পপতি।

১৮৭৭ – আল্লামা মুহাম্মদ ইকবাল, বিভাগপূর্ব ভারতবর্ষের ফার্সী ভাষী মুসলিম কবি, দার্শনিক ও রাজনীতিবিদ।

 

১৮৮৮ – মাওলানা আবুল কালাম আজাদ ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনের নেতা ও ভারতের প্রথম শিক্ষামন্ত্রী।

১৮৯৭ – রোনাল্ড জর্জ রেফর্ড নোরিশ, তিনি ছিলেন নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ইংরেজ রসায়নবিদ ও অধ্যাপক।

 

১৭৪৩ – কার্ল পিটার থাউনবেরগ, সুইডিশ উদ্ভিদবিদ, পতঙ্গবিশারদ ও মনোবৈজ্ঞানিক।

 

ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনের ঘটনাবলী—-

১৯০৮ –  এলিজাবেথ ন্যারেথ অ্যান্ডারসন বৃটেনের প্রথম মহিলা নির্বাচিত হন।

১৯১৭ –  রাশিয়ায় বিপ্লবের পর লেনিনের নেতৃত্বে গঠিত হয় শ্রমিক-কৃষকের প্রথম সরকার।

১৯১৮ – মিত্রশক্তি ও জার্মানির মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষরিত। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পরিসমাপ্তি।

১৯৪২ – দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় নাৎসিরা ফ্রান্স দখল করে।

১৯৫২ – ক্যালিফোর্নিয়ায় প্রথম ভিডিও রেকর্ডারের কার্যক্রম প্রদর্শিতি হয়।

১৯৫৩ – পোলিও রোগের ভাইরাস আবিস্কৃত হয়।

১৯৬৫ – ব্রিটেনে হত্যার দায়ে মৃত্যুদন্ড আইন রহিত ঘোষণা করা হয়।

১৯৬৬ – এডুইন ইউগেন অলড্রিন এবং জেমস এ লোভেল নভোযান জিনিনি-১২ তে চড়ে চারদিনের সফরে মহাশূন্যে যাত্রা করেন।

১৯৬৮ – মালদ্বীপের প্রজাতন্ত্র গঠিত হয়।

১৯৭০ – ইসলামী সম্মেলন সংস্থা (ওআইসি) প্রতিষ্ঠিত হয়।

১৯৭২ – বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের প্রতিষ্ঠা করা হয়।

১৯৮২ – দক্ষিণ লেবাননে ঘাঁটি গেড়ে বসা ইহুদীবাদী ইসরাইলের সেনা কমান্ডের সদর দফতরে শহীদ আহমাদ কাসির ভয়াবহ বোমা হামলা চালান।

১৯৮৯ – বার্লিন প্রাচীর ভেঙ্গে ফেলার কাজ শুরু হয়।

 

১৯৯০ –  নেপালের রাজা বীরেন্দ্র নতুন সংবিধান চালু করে দলহীন পঞ্চায়েত ব্যবস্থার অবসান ঘটান।

১৯৯০ –  মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র উপসাগর এলাকায় দুই লাল সেনা পাঠায়।

১৯৯১ – কিউবা থেকে সোভিয়েত ফৌজ প্রত্যাহারের কথা ঘোষণা করা হয়।

১৯৯৫ – মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে কমনওয়েলথ থেকে নাইজেরিয়ার সদস্যবাতিল করা হয়।

১৯৯৬ – বাংলাদেশ ভারত সীমান্ত বাণিজ্য চালুর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

১৯৯৯ –  জাতিসংঘ সংস্থা ইউনেস্কো নির্বাহী পরিষদের নির্বাচনে বাংলাদেশ এশিয়া প্যাসিফিক গ্রুপ থেকে সদস্য নির্বাচিত হয়।

 

১৮৬৬ – কেশব চন্দ্র সেনের নেতৃত্বে কলকাতায় ভারতবর্ষীয় আদি ব্রহ্মসমাজ প্রতিষ্ঠিত হয়।

১৭৯৩ – শিক্ষাব্রতী ধর্মযাজক উইলয়াম কেরি ইংল্যান্ড থেকে কলকাতায় এসে পৌঁছান।

১৭৯৮ –  ব্রিটিশ গভর্নরের আদেশে কলকাতায় রবিবারে ঘোড়দৌড় ও সব রকম জুয়াখেলা নিষিদ্ধ হয়।

১৪৯৮ – পর্তুগালের বিখ্যাত নাবিক ভাস্কো দা গামার সমুদ্র অভিযান শুরু হয়।

 

এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন যারা—-

২০০১ –  জিওভান্নি লিওন, তিনি ছিলেন ইতালীয় রাজনীতিবিদ ও ৬ষ্ঠ প্রেসিডেন্ট।

২০০৪ –  আইরিস চ্যাং, তিনি ছিলেন আমেরিকান ইতিহাসবিদ, সাংবাদিক ও লেখক।

২০০৪ – ইয়াসির আরাফাত, তিনি ছিলেন নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ফিলিস্তিন ইঞ্জিনিয়ার, রাজনীতিবিদ, ফিলিস্তিন জাতীয় কর্তৃপক্ষের ১ম প্রেসিডেন্ট।

 

২০০৫ – পিটার ড্রুকের, অস্ট্রিয়ান বংশোদ্ভূত আমেরিকান লেখক, তাত্তিক ও শিক্ষাবিদ।

 

২০০৮ –  ইমাম সামুডরা, তিনি ছিলেন ইন্দোনেশিয়ান সন্ত্রাসীর।

 

১৯২৩ – সমাজসেবক রাজনীতিক লেখক আশ্বিনীকুমার দত্ত।

 

১৯৪৮ – পাকিস্তানের প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ।

১৯৫৩ –  ইংরেজ কবি ডিলান টমাস।

১৯৫৩ –  সৌদি আরবের বাদশাহ আবদুল আজিজ ইবন সৌদ।

১৯৭০ –  জেনারেল চার্লস দ্য গল, তিনি ছিলেন ফরাসি সাধারণ ও নীতি ও ১৮ তম প্রেসিডেন্ট।

১৯৭১ – সোভিয়েত রাষ্ট্রনায়ক নিকিতা ক্রুশ্চেভ।

১৯৭৩ – আর্টটুরি ইলমারি ভিরটানেন, তিনি ছিলেন নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ফিনিশ রসায়নবিদ ও একাডেমিক।

 

১৯৮০ –  উপমহাদেশের বিশিষ্ট কমিউনিস্ট নেতা পি সি যোশী।

 

১৯৮৪ – প্রখ্যাত বাঙালি নট ও নাট্যকার মহেন্দ্র গুপ্ত।

১৯৮৫ –  মারি-জর্জ পাস্কাল, তিনি ছিলেন ফরাসি অভিনেত্রী।

 

১৯৮৭ – প্রগতিবাদী রাজনৈতিক নেত্রী মণিকুন্তলা সেন।

১৯৯৯ – মোহাম্মদউল্লাহ, বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ছিলেন।

১৮২৩ – অর্থনীতিবিদ ডেভিট রিকার্ডো।

১৮৪৮ –  রবার্ট বলুম, তিনি ছিলেন জার্মান কবি ও রাজনীতিবিদ।

১৮৫৫ – সারেন কিয়েরকেগর ডেনীয় দার্শনিক এবং তাত্ত্বিক।

১৭৭৮ –  গিওভানি বাটিস্টা পিরানেসি, তিনি ছিলেন ইতালিয়ান ভাস্কর ও চিত্রকর।

 

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This
Categories
রিভিউ

আজ ১০ নভেম্বর, ইতিহাসের দিকে চোখ বুলিয়ে দেখে নেব ইতিহাসের এই দিনে বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু, দিনসহ ঘটে যাওয়া ঘটনা।

আজ ১০ নভেম্বর। এক নজরে দেখে নিই ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু দিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

 

দিবস—–

(ক) নূর হোসেন দিবস।

 

আজ যাদের জন্মদিন—-

১২৮২ – নবী করিম ( সা ) এর পবিত্র আহলে বাইতের ইমাম হযরত আলী ইবনে মূসা রেযা ( আ ) মদীনা শহর।

 

১৪৮৩ – মার্টিন লুথার, তিনি ছিলেন জার্মান সন্ন্যাসী ও পুরোহিত প্রোটেস্ট্যান্ট সংস্কার নেতা।

১৬৯৭ – উইলিয়াম হগারথ, ইংরেজ চিত্রশিল্পী, চিত্রকর ও সমালোচক।

১৭২৮ – অলিভার গোল্ডস্মিথ, তিনি ছিলেন আইরিশ বংশোদ্ভূত ইংরেজ লেখক, কবি ও নাট্যকার।

 

১৮৪৮ – ভারতের জাতীয়তাবাদী রাজনীতিবিদ রাষ্ট্রগুরু স্যার সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়।

১৮৬৮ – গিচিন ফুনাকোশি, জাপানি মার্শাল আর্টিস্ট, “জাপান কারাতে এসোসিয়েশন” এর প্রতিষ্ঠাতা।

 

১৮৯৩ – অমল হোম, বাঙালি সাংবাদিক এবং সাহিত্যিক।

 

১৯১৮ – আর্নস্ট অটো ফিশার, তিনি ছিলেন নোবেল পুরস্কার বিজয়ী জার্মান রসায়নবিদ ও অধ্যাপক।

 

১৯৩৬ – পল পোস্টাল, একজন মার্কিন ভাষাবিজ্ঞানী।

 

১৯৩৯ – আমজাদ খান চৌধুরী, বাংলাদেশী ব্যবসায়ী, শিল্প উদ্যোক্তা এবং প্রাক্তন সেনা কর্মকর্তা।

 

১৯৪২ – রবার্ট এঙ্গেল, তিনি নোবেল পুরস্কার বিজয়ী আমেরিকান অর্থনীতিবিদ ও অধ্যাপক।

 

১৯৫৪ – জয় গোস্বামী, একজন প্রখ্যাত বাঙালি কবি এবং সাহিত্যিক ।

১৯৬০ – নিল গাইমান, তিনি ইংরেজ লেখক, চিত্রকর ও চিত্রনাট্যকার।

 

১৯৮৫ – আফতাব আহমেদ, বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের ডানহাতি মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান এবং ডানহাতি স্লো মিডিয়াম পেস বোলার।

১৯৯২ – ওয়িলফ্রিয়েড যাহা, তিনি ইংরেজ ফুটবল খেলোয়াড়।

 

ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনের ঘটনাবলী—-

১৪৯৩ – ক্রিস্টোফার কলম্বাস দ্বিতীয় সমুদ্রযাত্রায় অ্যান্টিগুয়া আবিষ্কার করেন।

১৬৫৯ – ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কলকাতা, সুতানুটি ও গোবিন্দপুরের কর্তৃত্ব গ্রহণ করে।

১৬৯৮ – কলকাতা, সুতানুটি ও গোবিন্দপুরের মালিকানা ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির হাতে চলে যায়।

১৭৯৯ – ফ্রান্সে ব্রুমার অভ্যুত্থান সংঘটিত হয়।

১৮৫৯ – অষ্ট্রিয়া ও সার্ডিনিয়ার মধ্যে জুরিখ শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

১৯০৮ – বিপ্লবী কানাইলাল দত্তের ফাঁসি কার্যকর হয়।

১৯৬৪ – লিওনিদ ব্রেজনেভ তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের কমিউনিস্ট পার্টির মহাসচিব মনোনীত হন এবং সরকারী ক্ষমতা হাতে তুলে নেন।

১৯৭০ – ফিজি স্বাধীনতা লাভ করে।

১৯৮২ – পৃথিবীতে ১৯১০ সালের পর আবার হ্যালির ধূমকেতু দেখা গেল।

১৯৮৬ – বাংলাদেশের সংবিধানের ৭ম সংশোধনী গৃহীত হয়। এতে সামরিক আইন প্রত্যাহার করে নেয়া হয়।

১৯৮৯ – পূর্ব ও পশ্চিম জার্মানির বিভাজনের প্রতীক বার্লিন দেয়াল বহু জায়গায় ভেঙে দেওয়া হয়।

১৯৯১ – আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অঙ্গন থেকে একুশে বছর নির্বাসন শেষে দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেট দল আবার প্রথম আন্তর্জাতিক খেলায় অংশ নেয় কলকাতার ইডেনে ভারতের বিরুদ্ধে।

 

এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন যারা—-

১৭২৮ – ফ্যডর আপ্রাক্সিন, তিনি ছিলেন রাশিয়ান এডমিরাল।

 

১৮২২ – বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান গ্রন্থ রচনার পথিকৃৎ উইলিয়াম কেরির পুত্র ফেলিক্স কেরি।

১৮৯১ – জ্যঁ নিকোলা আর্তু র‍্যাঁবো, তিনি ছিলেন ফরাসি কবি ও শিক্ষাবিদ।

 

১৯০৮ – কানাইলাল দত্ত, ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন অন্যতম ব্যক্তিত্ব এবং অগ্নিযুগের বিপ্লবী।

 

১৯০৯ – জর্জ এসেক্স ইভান্স, তিনি ছিলেন অস্ট্রেলিয়ান কবি ও শিক্ষাবিদ।

 

১৯১৫ – রাধারমন দত্ত, বাংলাদেশের বিখ্যাত বাউল মরমী সাধক।

 

১৯১৭ – হ্যারি ট্রট, তিনি ছিলেন অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটার।

 

১৯৩২ – সুনীতি দেবী ,ব্রিটিশ ভারতীয় দেশীয় রাজ্য কোচবিহারের মহারাণী।

 

১৯৩৮ – কামাল আতাতুর্ক, তুরস্কের জাতির পিতা, আধুনিক তুরস্কের প্রতিষ্ঠাতা রাষ্ট্রপতি।

 

১৯৬৪ – জিম্মি ডড, তিনি ছিলেন আমেরিকান অভিনেতা ও গায়ক।

১৯৮৩ – আ. ক. ম. মুজতবা, বাংলাদেশী সংগীতশিল্পী, বেহালা ও বংশীবাদক।

 

১৯৮৭ – নূর হোসেন, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলন তথা স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে জীবন উৎসর্গকারী।

 

১৯৯৩ – বাঙালি শিশু সাহিত্যিক ও ছড়াকার হরেন ঘটক।

২০০৮ – মিরিয়াম মাকেবা, তিনি ছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার গায়ক, গীতিকার, অভিনেত্রী ও সমাজ কর্মী।

২০১২ – মারিয়ান লাইনস, তিনি ছিলেন ইংরেজ অভিনেত্রী, লেখক ও সুরকার।

 

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This
Categories
নারী কথা প্রবন্ধ

সুনীতি দেবী, তিনিই ভারতবর্ষের প্রথম নারী যিনি ‘সি.আই.ই’ উপাধি পান।

ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন ছিল কিছু মানুষের কঠোর পরিশ্রম যার ফলেই ব্রিটিশদের থেকে ভারত রাজনৈতিক দিক থেকে মুক্তি পেয়েছে। ভারত উপমহাদেশের বিংশ শতাব্দীতে ব্রিটিশ সম্রাজ্যবাদ বিরোধী যে সশস্ত্র বিপ্লববাদী লড়াই-সংগ্রাম সংগঠিত হয় এবং যার ধারাবাহিকতায় ভারত স্বাধীন হয়। এই অন্দোলনে যে সকল বিপ্লবীর নাম সর্বজন স্বীকৃত তাঁদের মধ্যে কানাইলাল দত্ত  প্রথমসারির একজন অন্যতম বিপ্লবী ছিলেন। কানাইলাল দত্ত  ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনে এক উল্লেখযোগ্য নাম, যিনি দেশমতৃকার শৃঙ্খল মুক্তির জন্য নিজেকে সঁপে দিয়েছিলেন সম্পূর্ণ রূপে।

 

কানাইলাল দত্ত (বাংলা: কানাইলাল দত্ত; ৩০ আগস্ট ১৮৮৮ – ১০ নভেম্বর ১৯০৮) ছিলেন যুগান্তর গ্রুপের অন্তর্গত ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের একজন বিপ্লবী।  তিনি পশ্চিমবঙ্গের চন্দননগরে জন্মগ্রহণ করেন।  তিনি, সত্যেন্দ্রনাথ বসুর সাথে, ৩১ আগস্ট ১৯০৮ তারিখে আলিপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের জেল হাসপাতালে ব্রিটিশদের অনুমোদনকারী নরেন্দ্রনাথ গোস্বামীকে হত্যার জন্য ব্রিটিশদের দ্বারা দোষী সাব্যস্ত হন। সত্যেন্দ্রনাথ বসুকে ২১ নভেম্বর ১৯০৮-এ মৃত্যু পর্যন্ত ফাঁসি দেওয়া হয়। কানাইল  দত্ত পশ্চিমবঙ্গের চন্দন নগরে একটি তাঁতি (তাঁতি) পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।  তার বাবা, চুনিলাল দত্ত, বোম্বেতে একজন হিসাবরক্ষক ছিলেন  কানাইলালের প্রাথমিক বিদ্যালয় জীবন শুরু হয়েছিল গিরগাঁও আরিয়ান এডুকেশন সোসাইটি স্কুল, বোম্বেতে এবং পরে তিনি চন্দননগরে ফিরে আসেন এবং চন্দননগরের ডুপ্লেক্স কলেজে ভর্তি হন।  ১৯০৮ সালে, তিনি হুগলি মহসিন কলেজ থেকে বিএ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন, যা কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে অধিভুক্ত ছিল।

তার প্রথম কলেজের দিনগুলিতে, কানাইলাল চারু চন্দ্র রায়ের সাথে দেখা করেছিলেন, যিনি তাকে বঙ্গভঙ্গের বিরুদ্ধে আন্দোলনের সময় বিপ্লবী আন্দোলনে যোগ দিতে অনুপ্রাণিত করেছিলেন।  ১৯০৫ সালের বঙ্গভঙ্গের বিরুদ্ধে আন্দোলনের সময় কানাইলাল দত্ত চন্দননগর গ্রুপ থেকে অগ্রণী ছিলেন।  শ্রীশচন্দ্র ঘোষের নেতৃত্বে গন্ডোলপাড়া বিপ্লবী দলের সাথেও তিনি ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ গড়ে তোলেন।  ১৯০৮ সালে, তিনি কলকাতায় চলে আসেন এবং কলকাতা ভিত্তিক বিপ্লবী গ্রুপ যুগান্তরে যোগ দেন।  কিংসফোর্ডকে হত্যার লক্ষ্যে মুজাফফরপুর বোমা হামলার (৩০ এপ্রিল ১৯০৮) মাত্র দুই দিন পর, ২ মে ১৯০৮ সালে পুলিশ বাংলায় বেশ কয়েকজন বিপ্লবীকে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করে। ৩৩ জন বিপ্লবীর বিরুদ্ধে সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালানোর অভিযোগ আনা হয়। কানাইলাল দত্ত তাদের একজন ছিলেন।  এই ব্যক্তি, যারা ২ মে ১৯০৮-এ গ্রেফতার হয়ে আলিপুর জেলে আটক ছিলেন।

১৯০৮ সালের ২ মে কলকাতার ৩২ মুরারি পুকুর রোডে পুলিশ প্রাঙ্গণে অভিযান চালায় এবং একটি বোমা-ফ্যাক্টরি আবিষ্কৃত হয় যেমন অস্ত্রের মজুত, প্রচুর পরিমাণে গোলাবারুদ, বোমা, ডেটোনেটর এবং অন্যান্য সরঞ্জাম ছিল।  তারা বিপ্লবী সাহিত্যও বাজেয়াপ্ত করে।  সারা বাংলা ও বিহার জুড়ে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালানো হচ্ছে এবং আরও আটক করা হচ্ছে।  অরবিন্দ ঘোষ, বারীন্দ্র কুমার ঘোষ, উল্লাসকর দত্ত, ইন্দু ভূষণ রায়সহ আরও অনেকে গ্রেফতার হন।  এই সময়ে একজন বন্দী, নরেন্দ্রনাথ গোস্বামী (ওরফে নরেন্দ্র নাথ গোসাইন), ব্রিটিশদের অনুমোদনকারী হয়ে ওঠেন এবং পুলিশের কাছে অনেক ব্যক্তির নাম প্রকাশ করতে শুরু করেন, যার ফলে আরও গ্রেপ্তার করা হয়।
গোস্বামী ছিলেন চন্দননগরের কাছে শ্রীরামপুরের বাসিন্দা।  তিনি বিপ্লবীদের সমস্ত পরিকল্পনা ও তৎপরতা জানতেন।  সাক্ষী বাক্সে উপস্থিত হয়ে তিনি তার অনেক প্রাক্তন সহকর্মীর নাম উল্লেখ করে ফাঁসানো শুরু করেন।  বারীন ঘোষ, শান্তি ঘোষ এবং উল্লাসকর দত্তের নাম ১৯০৮ সালে চন্দরনাগর স্টেশনে গভর্নরের ট্রেন উড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টায় উল্লেখ করা হয়েছিল;  মেয়রের বাড়িতে বোমা হামলার কথা উল্লেখ করে তিনি চন্দননগরের বিপ্লবী দলের নেতা চারু চন্দ্র রায়ের নাম উল্লেখ করেন;  এবং ২৪ জুন বিপ্লবী কর্মকাণ্ডের সাথে যুক্ত অরবিন্দ ঘোষ এবং সুবোধ চন্দ্র মল্লিকের নাম উল্লেখ করেন।

 

 

 

।।তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ

ভারতের জাতীয়তাবাদী রাজনীতিবিদ রাষ্ট্রগুরু স্যার সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়— একটি পর্যালোচনা।

স্যার সুরেন্দ্রনাথ ব্যানার্জি (নভেম্বর ১০, ১৮৪৮ – ৬ আগস্ট, ১৯২৫) ছিলেন ব্রিটিশ ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রথম দিকের একজন বিশিষ্ট নেতা।  তিনি ১৯ শতকের রাজনৈতিক সংগঠন ন্যাশনাল কনফারেন্সের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন।  পরে তিনি এই দলের সঙ্গে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসে যোগ দেন।  তিনি রাষ্ট্রগুরু সম্মানে ভূষিত হন।

পারিবারিক জীবন—

 

সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম ১৮৪৮ সালের ১০ নভেম্বর কলকাতায় । তার বাবা দুর্গাচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি ছিলেন একজন স্বনামধন্য চিকিৎসক।

 

শিক্ষা ও কর্মজীবনের সূচনা—

 

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক হওয়ার পর, সুরেন্দ্রনাথ ব্যানার্জি ইংল্যান্ডে চলে যান এবং ইন্ডিয়ান সিভিল সার্ভিস (ICS) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন।  এরপর ১৮৭১ সালে সিভিল সার্ভিস কর্মজীবনে সহকারী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে সিলেটে আসেন।  তিনি তার অর্পিত দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে পারেননি এবং অগ্রসর হতে চান না এই অজুহাতে তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়।  জাতীয় নেতৃত্বে জোরালোভাবে অংশগ্রহণের জন্য তিনি ইংল্যান্ডে ফিরে আসেন।  তিনি ছিলেন একজন স্বাভাবিক লেখকের পাশাপাশি একজন বাগ্মী বক্তা।
১৮৭৫ সালের জুন মাসে মাতৃভূমি ভারতে ফিরে আসেন এবং শিক্ষকতার মহান পেশায় আত্মনিয়োগ করেন।  ইংরেজির অধ্যাপক, প্রথমে মেট্রোপলিটন ইনস্টিটিউশনে এবং পরে ফ্রি চার্চ কলেজে।  অবশেষে রিপন কলেজে পড়ি।  পরে এই রিপন কলেজের নামকরণ করা হয় সুরেন্দ্রনাথ কলেজ।

 

রাজনৈতিক জীবন—-

 

১৮৭৬ ​​সালের ২৬শে জুলাই, সুরেন্দ্রনাথ সর্বভারতীয় আন্দোলন গড়ে তোলার লক্ষ্যে ভারত সভা বা ভারতীয় সমিতি প্রতিষ্ঠা করেন।  ১৮৭৮ সাল থেকে তিনি দ্য বেঙ্গলি নামে একটি গবেষণাপত্র সম্পাদনা করেন এবং নিয়মিতভাবে জাতীয় স্বার্থ, বিশেষ করে জাতীয় সংস্কৃতি, ঐক্য, স্বাধীনতা ও মুক্তির বিষয়ে সাহসী ও আবেগপ্রবণ মনোভাব নিয়ে লিখতেন।
এছাড়াও, সুরেন্দ্রনাথ ব্যানার্জী ভারতীয় আইনসভার অন্যতম সদস্য ছিলেন।  এছাড়াও তিনি ১৮৭৬-১৮৯৯ সাল পর্যন্ত কলকাতা কর্পোরেশনের সদস্য ছিলেন।

১৯০৫ সালে, সুরেন্দ্রনাথ বঙ্গভঙ্গের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নেন এবং স্বদেশী আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন।  ফলে হিন্দু-মুসলমানদের মধ্যে সাম্প্রদায়িকতা মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে এবং জাতীয়তাবাদের উদ্ভব হয়।  পরবর্তীতে মতবিরোধের কারণে তিনি ১৯১৮ সালে কংগ্রেস থেকে সরে আসেন।  এবং একজন মধ্যপন্থী হিসেবে তিনি হিন্দু ও মুসলিম উভয় পক্ষকে একত্রিত করার চেষ্টা করেছিলেন।  তিনি ১৯২১ সালে নাইট উপাধি লাভ করেন এবং ১৯২১ থেকে ১৯২৪ সাল পর্যন্ত তৎকালীন বাংলা সরকারের মন্ত্রী হিসেবে দেশের সেবা করেন।

 

সমাজ সংস্কার—-

 

একজন শিক্ষক হিসেবে স্যার সুরেন্দ্রনাথ ব্যানার্জী ভারতীয় জাতীয়তাবাদের চেতনায় শিক্ষার্থীদের উদ্দীপনা, অনুপ্রাণিত ও অনুপ্রাণিত করতে অত্যন্ত মূল্যবান ভূমিকা পালন করেছিলেন।  একই সঙ্গে তিনি ভারতীয়দের ঐক্যসহ বিভিন্ন বিষয়ে বক্তৃতা দিতে থাকেন।  ১৯,, শতকে, তিনি রাজা রামমোহন রায়ের নেতৃত্বে সামাজিক-ধর্মীয় নবজাগরণ আন্দোলনকে এগিয়ে নিতে বিশেষভাবে আগ্রহী ছিলেন।
কিন্তু সুরেন্দ্রনাথের অনুসৃত সমাজ সংস্কারে সমাজসচেতন মানুষের ঐক্যবদ্ধ অংশগ্রহণ থাকলেও রাজনৈতিক ডামাডোলের কারণে সে সব উদ্যোগ তেমন একটা সফলতা পায়নি!  তিনি সামাজিক পুনর্গঠন, বিশেষ করে বিধবা বিবাহ, মেয়েদের বাল্যবিবাহ ইত্যাদি কাজে নিজেকে নিয়োজিত করেন।

 

মৃত্যু—-

স্যার সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় ৬ই আগস্ট, ১৯২৫ সালে ৭৭ বৎসর বয়সে প্রয়াত হন।

 

।।তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।

Share This