পূরবী মুখোপাধ্যায় ওরফে পূরবী মুখোপাধ্যায় একজন ভারতীয় রবীন্দ্র সঙ্গীত গায়ক। পূরবী ছিলেন রবীন্দ্রসঙ্গীতের অন্যতম প্রবক্তা। কিংবদন্তি দেবব্রত বিশ্বাসের একজন আধিকারিক, পূরবী পরে বিশ্বভারতীতে সঙ্গীত শিখিয়েছিলেন।
পূরবী মুখার্জি একজন ঐতিহ্যবাহী ভারতীয় বাঙালি রবীন্দ্র সঙ্গীত শিল্পী ছিলেন। তিনি পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা ছিলেন। তাঁর কৃতিত্বের জন্য তাঁর বেশ কয়েকটি অ্যালবাম ছিল এবং অল ইন্ডিয়া রেডিওর কলকাতা স্টেশনে সবচেয়ে বেশি শোনা গায়কদের একজন ছিলেন। রবীন্দ্রসঙ্গীত, যা ঠাকুরের গান নামেও পরিচিত, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা ও সুর করা গান। ঠাকুর প্রায় ২২৩০টি গানের সাথে তাঁর কৃতিত্বের জন্য একজন দুর্দান্ত সুরকার ছিলেন। ভারত ও বাংলাদেশে জনপ্রিয় বাংলার সঙ্গীতে গানগুলোর স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এটি গান করার সময় এর স্বতন্ত্র পরিবেশন দ্বারা চিহ্নিত করা হয় যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে অলংকরণ যেমন মেন্দ, মুড়কি ইত্যাদি রয়েছে এবং এটি রোমান্টিকতার অভিব্যক্তিতে পূর্ণ। সঙ্গীতটি বেশিরভাগই হিন্দুস্তানি শাস্ত্রীয় সঙ্গীত এবং বাংলার লোক সঙ্গীতের উপর ভিত্তি করে।
রবীন্দ্রসঙ্গীত ছাড়াও তিনি অন্যান্য সঙ্গীতজ্ঞদের লেখা গানও গেয়েছেন। তাঁর সঙ্গীত গুরু ছিলেন শান্তিনিকেতনের কিংবদন্তি শিল্পী দেবব্রত বিশ্বাস। কলকাতায় বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গুরুর সঙ্গে দ্বৈত সঙ্গীত পরিবেশন করে খ্যাতি অর্জন করেছেন তিনি। পরে তিনি বিশ্বভারতীর একজন পরীক্ষক হিসেবেও দক্ষতার সাথে কাজ করেন। তিনি আকাশবাণী ও দূরদর্শনে নিয়মিত সঙ্গীত পরিবেশন করেছেন। অসংখ্য গান গেয়েছেন তিনি। তার অনেক রেকর্ড (অ্যালবাম) দর্শকদের মন্ত্রমুগ্ধ করেছে।
পূরবী মুখোপাধ্যায় -এর অন্যান্য কিছু নিবেদন–
আজি মেঘ কেটে,
আমার মন বলে,
আমি তোমারি মাটির,
একলা ব’সে একে,
ঝড়ে যায় উড়ে,
বড়ো বেদনার মতো,
সখী, প্রতিদিন হায়——।
৪ ডিসেম্বর, ২০১৭-এ ৮৩ বছর বয়সে নিজের বাড়িতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন প্রথিতযশা এই রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর। তাঁর মৃত্যুতে রবীন্দ্রসঙ্গীত জগতে আরও এক যুগাবসান ঘটে। কিংবদন্তী এই সঙ্গীত শিলপীর প্রয়াণ দিবসে জানাই শ্রদ্ধঞ্জলি।
।।তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।