Categories
প্রবন্ধ

স্যার কৈলাসচন্দ্র বসু,ভারতের চিকিৎসাশাস্ত্রে সবচেয়ে সম্মানিত ও প্রথম স্যার উপাধিপ্রাপ্ত চিকিৎসক

স্যার কৈলাসচন্দ্র বসু,ভারতের চিকিৎসাশাস্ত্রে সবচেয়ে সম্মানিত ও প্রথম স্যার উপাধিপ্রাপ্ত চিকিৎসক । স্যার কৈলাসচন্দ্র বসু  ভারতের চিকিৎসাশাস্ত্রে পরম হিতকারী খ্যাতনামা ব্যক্তিত্ব ছিলেন। কৈলাশচন্দ্র ১৮৫০ সালের ২৬ ডিসেম্বর কলকাতার সিমলায় এক ধনী পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।  তিনি ছিলেন বাবু মধুসূদন বসুর দ্বিতীয় সন্তান।  ওরিয়েন্টাল সেমিনারিতে পড়াশোনা শেষ করার পর, ১৮৭৪ সালে, তিনি কলকাতা মেডিকেল কলেজ থেকে মেডিসিন পাস করেন এবং ক্যাম্পবেল হাসপাতালে আবাসিক মেডিকেল অফিসার হন।

 

কিন্তু তাঁর ভাইয়ের পরামর্শে তিনি সরকারী চাকুরী ছেড়ে প্রাইভেট প্র্যাকটিস শুরু করেন এবং এমন সুনাম অর্জন করেন যে তিনি দ্রুত বাংলায় বিশেষ করে সচ্ছল মাড়োয়ারি সম্প্রদায়ের মধ্যে প্রধান চিকিৎসক হিসেবে স্থান করে নেন।  চিকিৎসা ক্ষেত্রেও তিনি নিজের প্রচেষ্টায় ব্যাপক উন্নতি করেছেন।  তিনি তার উপার্জিত অর্থ বহু জনহিতকর কাজে ব্যয় করেছেন।  মূলত তাঁর প্রচেষ্টার মাধ্যমেই বাংলায় ভেটেরিনারি কলেজ ও হাসপাতাল এবং স্কুল অফ গ্রীষ্মমন্ডলীয় ওষুধের জন্য তহবিল সংগ্রহ করা হয়েছিল।  এছাড়াও, তিনি কলকাতা মেডিকেল স্কুল, সোদপুর, পিঞ্জরাপোল, কুস্থনিবাস ইত্যাদির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা। কলকাতা মেডিকেল সোসাইটির সহ-সভাপতি, ইন্ডিয়ান মেডিকেল কংগ্রেস, কলকাতা পৌরসভার কমিশনার এবং অবৈতনিক প্রেসিডেন্সি ম্যাজিস্ট্রেট ছিলেন।

 

অবিভক্ত বাংলায় চিকিৎসা ক্ষেত্রে অসামান্য কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ কৈলাস চন্দ্র বসু বহু সম্মানে ভূষিত হয়েছেন – রায়বাহাদুর খেতাব (১৮৯৫), সি.আই.ই সম্মান (১৯০০), কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফেলো (১৯০৪),  ‘কাইজার-ই-হিন্দ’ স্বর্ণপদক লাভ (১৯১০) ‘স্যার’ উপাধি (১৯১৬) দ্বারা সম্মানিত হন।

 

কৈলাশ চন্দ্র বসু ১৯ জানুয়ারী, ১৯২৭ খ্রিস্টাব্দে প্রয়াত হন ।

 

।। তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।

 

 

 

Share This

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *