যেকোনো গণতান্ত্রিক দেশে সরকার গঠনে ভোটারদের ভূমিকা সবচেয়ে বেশি থাকে।ভোটার তার মূল্যবান ভোট দিয়ে নির্দিষ্ট দলকে পাঁচ বছরের জন্য ক্ষমতায় আনে এবং দেশ ও রাষ্ট্রের উন্নয়নে নাগরিক হিসেবে তার দায়িত্ব পালন করে।কিন্তু ভারতের মতো বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশে ভোটের প্রতি মানুষের আগ্রহ কম।ভোটারদের ভোটের গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতন করতে প্রতি বছর জাতীয় ভোটার দিবস পালিত হয়।
জাতীয় মতদাতা দিবস ভারতে প্রতি বছর ২৫ জানুয়ারি তারিখে পালন করা হয়। ২০১১ সালের ২৫ জানুয়ারি তারিখ ভারতের নির্বাচনী আয়োগের ৬১তম প্রতিষ্ঠা দিবসের সঙ্গে সংগতি রেখে তখনকার রাষ্ট্রপতি প্রতিভা পাটিল এই দিবসের আনুষ্ঠানিক সূচনা করেছিলেন।
মিটিংএ জাতীয় মতদাতা দিবস উদ্যাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। ভারতের আইন মন্ত্রণালয় এই দিবস উদ্যাপন করা প্রস্তাব এগিয়ে নিয়ে যায়।
জাতীয় মতদাতা দিবস ভারতের সকল নির্বাচনী কেন্দ্রে পালন করা হয়। প্রতিটি নির্বাচনী কেন্দ্রে ১৮ বছর সম্পূর্ণ করা ব্যক্তি শনাক্ত করে তাদেরকে ভোটদানের বিষয়ে সজাগ করা এই দিবসের মূল উদ্দেশ্য। ভোটাধিকার লাভ করা ব্যক্তিকে শনাক্ত করে ভোটার পরিচয়পত্র প্রদান করা এই দিবসের অন্যতম উদেশ্য।
জাতীয় ভোটার দিবসের গুরুত্ব কী?
২০১১ সাল থেকে প্রতি বছরই ২৫ জানুয়ারি দিনটিকে দেশব্যাপী জাতীয় ভোটার দিবস হিসাবে পালন করা হচ্ছে। ১৯৫০ সালের এই দিনেই স্থাপিত হয়েছিল নির্বাচন কমিশন। জাতীয় ভোটার দিবস পালনের মূল উদ্দেশ্য হল সর্বোচ্চ সংখ্যায় ভোটারদের, বিশেষত নতুন ভোটারদের নাম নথিভুক্ত করায় উত্সাহ দেওয়া, সেই প্রক্রিয়া জোরদার করা।
জাতীয় ভোটার দিবস কীভাবে পালন করা হয়?
দেশের ভোটারদের প্রতি দায়বদ্ধতা পালন করে কমিশন দিনটিকে কাজে লাগায় তাঁদের মধ্যে সচেতনতার প্রসারে, ভোট প্রক্রিয়ায় তাঁরা যাতে সব জেনেবুঝে অবহিত হয়ে তাতে সামিল হন। নতুন ভোটারদের সংবর্ধনা দিয়ে তাঁদের হাতে তুলে দেওয়া হয় সচিত্র পরিচয়পত্র বা এপিক কার্ড।
প্রতি বছর ১ জানুয়ারিতে এই শনাক্তকরণ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করা হয় এবং ২৫ জানুয়ারিতে তাদেরকে ফটোযুক্ত ভোটার কার্ড প্রদান করা হয়। ভোটার দিবসে সারা দেশে সমস্ত ভোটকেন্দ্র এলাকায় যোগ্য ভোটারদের চিহ্নিত করা হয়।যোগ্য ভোটারদের মধ্যে ১৮ বছর বয়সী যুবকরা অন্তর্ভুক্ত।ভোটার তালিকায় এসব ভোটারদের নাম লেখার পর তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয় নির্বাচনী পরিচয়পত্র।প্রতি বছর ভোটার দিবসে ভোটারদের ভোট দেওয়ার শপথও দেওয়া হয় যাতে তারা গণতন্ত্র রক্ষায় সচেতন থাকেন।
সঙ্গে নতুন ভোটদাতাদেরকে “ভোটদাতা হিসাবে গর্বিত হন, ভোট দিতে প্রস্তুত হন” (Proud to be a voter – Ready to vote) লিখিত ব্যাজ দেয়া হয়। প্রতি বছর এই দিবসের মূল বিষয় বা থিম বেছে নেওয়া হয়।
।। তথ্য ও ছবি : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।