শৈলেন্দ্র নারায়ণ ঘোষাল শাস্ত্রী একজন বৈদিক পণ্ডিত এবং দ্য বৈদিক গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক ছিলেন। শৈলেন্দ্র নারায়ণ ১৯২৮ সালের ৫ মার্চ ব্রিটিশ ভারতের বর্তমান পশ্চিমবঙ্গের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার কালিয়ারা গ্রামে একটি ধর্মীয় পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা ছিলেন অগ্নিহোত্রী ব্রাহ্মণ শশিভূষণ ঘোষাল এবং মাতা প্রভাবতী দেবী।
শৈলেন্দ্র নারায়ণ ছোটবেলা থেকেই মেধাবী ছাত্র ছিলেন। বিএইচ ইনস্টিটিউট মেদিনীপুর থেকে মেদিনীপুর জেলার ম্যাট্রিকুলেশন পরীক্ষায় তিনি প্রথম স্থান অধিকার করেন। তিনি মেদিনীপুর কলেজ থেকে আইএসসি পাস করেন। পরে তিনি কলকাতার স্কটিশ চার্চ কলেজ থেকে সংস্কৃতে অনার্সসহ স্নাতক হন। তিনি তার পিতার কাছ থেকে বৈদিক সাহিত্য শিখেছিলেন। ভারতে ভ্রমণকালে তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সংস্কৃত ও দর্শনে এমএ ডিগ্রি লাভ করেন।
স্নাতক হওয়ার পর তিনি নর্মদা পরিক্রমায় বের হয়ে পদব্রজে নর্মদা নদীর তীরের তীর্থ ভ্রমণ করেন এবং সেখানে তিনি বহু ঋষির সাথে সাক্ষাতে বহু অসাধারণ অভিজ্ঞতাও অর্জন করেন। পিতার ইচ্ছানুসারে তিনি চারবার ভারতে ভ্রমণ করেছিলেন। তিনি কেদার-বদ্রী, কৈলাস মানস-সরোবর, শতপন্থ,বারাণসী, তথা কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারিকা পর্যন্ত সমগ্র ভারতবর্ষ পরিভ্রমণে বহু ঋষির সঙ্গী হন। দীর্ঘ ছয় বৎসর ধরে পরিক্রমান্তে ১৯৫৮ সালে প্রকাশিত তার প্রথম বই “অলোক তীর্থ”। তিনি মূর্তিপূজা, রামায়ণ, মহাভারত, ভগবদ প্রভৃতিতে ধর্মজীবনের সমস্ত কুসংস্কার, গোঁড়ামিসহ বহু ভুল ধারণা নিয়ে আলোকপাত করার চেষ্টা করেন।১৯৬৯ সালে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন – বৈদিক রিসার্চ ইনস্টিটিউট।
তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থ সমূহ—-
তপোভূমি নর্মদা , অলোক তীর্থ (১৯৫৮), অলোক বন্দনা (১৯৫৯), পিতারৌ (১৯৮০)।
অপ্রকাশিত গ্রন্থ—
পতঞ্জলি যোগদর্শন, বৈদিক ভারত, সায়েন্স ইন ভেদাজ, প্রাচীন ভারতের যুদ্ধবিদ্যা, বেদান্তসার।
।। তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।