Categories
নারী কথা প্রবন্ধ

ভারতীয় মঞ্চশিল্পী কেয়া চক্রবর্তী’র প্রয়াণ দিবসে শ্রদ্ধাঞ্জলি।

কেয়া চক্রবর্তী ছিলেন একজন প্রতিভাময়ী অপেশাদার ভারতীয় মঞ্চ অভিনেতা।  কেয়া চক্রবর্তী ১৯৪২ সালের ৫ আগস্ট উত্তর কলকাতার একটি বনেদি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।  বাবার নাম অজিত চক্রবর্তী।  তবে ছোটবেলা থেকেই তিনি মায়ের কাছে মানুষ হন।  তিনি স্কটিশ চার্চ কলেজের একজন ভালো ছাত্রী ছিলেন।  ইংরেজিতে এমএ পাস করার পর ওই কলেজে শিক্ষকতা শুরু করেন। ‘আন্তিগোনে’ নাটকে নাম ভূমিকায় অভিনয় করে পশ্চিমবঙ্গ সাংবাদিক অ্যাসোসিয়েশনের ‘শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী’ র পুরস্কার পান।

 

অভিনয় জীবন———

 

অভিনয় করতে ভালোবাসতেন কেয়া।  স্কটিশ চার্চ কলেজের ছাত্র থাকাকালীন, ইংরেজি ১৯৫৮, ১৯৫৯, ১৯৬০ সালে আন্তঃকলেজ নাটক প্রতিযোগিতায় সেরা অভিনয়ের জন্য পুরস্কার জিতেছিল। আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় যুব উৎসবের জন্য দিল্লি এবং মহীশূরে আমন্ত্রিত হয়েছিল।  যাইহোক, তিনি নান্দীকার গ্রুপের প্রযোজিত নাটকে অভিনয়ের মাধ্যমে বাংলা মঞ্চে একজন কিংবদন্তি অভিনেত্রী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন।  ১৯৬১ খ্রিস্টাব্দে ‘চার অধ্যায়’ নাটকে প্রথম অভিনয়।  এরপর ১৯৬৬ খ্রিস্টাব্দ থেকে নিয়মিত অভিনয়।  ‘তিনের পয়সার পালা’ ছবিতে অভিনয়ের পর তার খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে।  ব্রেখটের ‘ভালো মানুষ’ নাটকের বাংলা সংস্করণে তাঁর দ্বৈত-চরিত্রের অভিনয় বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।

 

 

 

নান্দীকার এ অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়, অসিত বন্দ্যোপাধ্যায়, রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্ত ও কেয়া চক্রবর্তী একসাথে অভিনয় একটা স্বর্ণযুগ ছিল । এর পর ১৯৭৪ খ্রিস্টাব্দ থেকে কলেজের অধ্যাপনা ছেড়ে বিনা বেতনে নান্দীকারের সর্বক্ষণের কর্মী হন।  তার শেষ অভিনীত নাটক ‘ফুটবল’।

 

কেয়া চক্রবর্তী একজন ভালো অনুবাদক ছিলেন।  অভিনয়ের জন্য বার্নার্ড শ’র নাটক ‘সেন্ট জোয়ান’ অনুবাদ করেছেন।  মাঝে মাঝে টাকার জন্য সিনেমায় অভিনয় করলেও তার আসল ক্ষেত্র ছিল নাটক।  তিনি নাট্যভাবনা নিয়ে কিছু প্রবন্ধ লিখেছেন।

 

 

 

কেয়া চক্রবর্তীর মঞ্চাভিনয় (১৯৬১ – ১৯৭৭ )

নাটক /তাভিনয় সংখ্যা
অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিচালনায়:

নটি বিনােদিনী ,  আলাের বাইরে , মূদ্রারাক্ষস , বৃত্ত , বীতংস, অগ্নিবিষয়ক সতর্কতা ও গৌতম ,  হে সময়, উত্তাল সময়, শাহী বাদ ,   নাট্যকারের সন্ধানে দুটি চরিত্র , শের আফগান ,  মঞ্জরী আমের মঞ্জরী , তিন পয়সার পালা,  ভালােমানুষ , নীলিমা , চার অধ্যায় , রাত্রি প্রভৃতি।

রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্তর পরিচালনায়—

আন্তিগােনে , ফুটবল,  টক ।

অসিত বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিচালনায়—- পূর্বরাগ।

শম্ভূ মিত্রের পরিচালনায় ——রক্তকরবী ।

শ্যামানন্দ জালানের পরিচালনায় —–তুঘলক।

 

মৃত্যু——–

 

তাঁর মৃতু ছিল মর্মান্তিক ।  সাঁকরাইলে গঙ্গার ওপর ‘জীবন যে রকম’ চলচ্চিত্রের বহিদৃর্শ্য গ্রহণের সময় (শুটিংয়ের সময়) অভিনয় করতে গিয়ে জলে ডুবে তার মৃত্যু ঘটে ১২ মার্চ,  ১৯৭৭৭ খ্রিস্টাব্দে।

।। তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।

Share This

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *