Categories
প্রবন্ধ

স্মরণে প্রখ্যাত কবি এবং সাহিত্যিক কামাক্ষীপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায়।

কামাক্ষীপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায় এর জন্ম ২৭ মার্চ ১৯১৭ সালে। তিনি একজন বিখ্যাত কবি এবং সাহিত্যিক। তাঁর আদি নিবাস বাঁকুড়ার ঘটকপাড়ায়। তিনি কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম বসন্তকুমার চট্টোপাধ্যায়  ছিলেন স্বাধীন ভারতের প্রথম ভারতীয় অডিটর জেনারেল।

 

শিক্ষা জীবন—

 

কামাক্ষীপ্রসাদ বিএ পরীক্ষায় বাংলায় প্রথম হন এবং বঙ্কিম পুরস্কার লাভ করেন।  তিনি কবি হিসেবে বিখ্যাত হয়েছিলেন এবং ছোটগল্পও লিখেছেন।  শিশুদের জন্য লেখালেখিতে তিনি সমান দক্ষ বিশেষ করে তিনি শিশুদের জন্য গোয়েন্দা গল্প লিখেছেন।  তার সৃষ্ট গোয়েন্দা চরিত্রের নাম গোয়েন্দা দাঁ ।  তিনি শিশু পত্রিকা রংমশালের সম্পাদকও ছিলেন।

 

কর্ম জীবন—-

 

একজন উচ্চমানের ফটোগ্রাফারও ছিলেন সুধীন্দ্রনাথ দত্ত। তিনি দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশনের প্রচার বিভাগে সুধীন্দ্রনাথ দত্তের সহকারী হিসেবে কাজ করেন।  তিনি তার কর্মজীবনের বেশিরভাগ সময় মুম্বাই, দিল্লি এবং মস্কোতে কাটিয়েছেন।  তিন বছর মস্কোতে অবস্থানকালে তিনি রুশ বই বাংলায় অনুবাদ করে বিখ্যাত হয়েছিলেন ।

 

 

উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ—-

 

কৃত্তিবাস ওঝা ছদ্মনামে তার অনেক লেখা প্রকাশিত হয়েছিল। তার রচিত উল্লেখযোগ্য বই হল  ছায়ামূর্তি, শ্বেতচক্র, সোনার কপাট, শ্মশানে বসন্ত, ঘনশ্যামের ঘোড়া, পারুলদি, মৈনাক, একা, প্রভৃতি।

 

মৃত্যু—

 

৩০ মে ১৯৭৬ সালে তিনি প্রয়াত হন।

 

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট ও উইকিপিডিয়া।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

বিশ্ব থিয়েটার দিবস নিয়ে কিছু কথা।

প্রতি বছর ২৭ মার্চ বিশ্ব থিয়েটার পালিত হয়। থিয়েটার শুধুমাত্র বিনোদনই প্রদান করে না। এটি একটি শিল্প। পৃথিবীর আদিম কাল থেকেই মানুষের নিজের গল্প বলার তাগিদটা অদম্য। তাই থিয়েটারের মত সৃজনশীল মাধ্যমের অন্ত নেই। শিক্ষা প্রদান করতে ও অনুপ্রেরণা জোগাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থিয়েটার। থিয়েটারের ভূমিকা জনসমক্ষে তুলে ধরতেই হয় বিশ্ব থিয়েটার দিবস।আন্তর্জাতিক থিয়েটার ইন্সটিটিউটের দ্বারা ১৯৬১ সালে সর্বপ্ৰথম এই দিবসটির প্রচলন শুরু হয়েছিল।

 

ইতিহাস-‐–

 

আন্তর্জাতিক থিয়েটার ইন্সটিটিউট (আইটিই) কর্তৃক ১৯৬১ সালে বিশ্ব থিয়েটার দিবসের প্রবর্তন হয়। প্রতিবছর ২৭ মার্চ আইটিই কেন্দ্রসমূহ এবং আন্তর্জাতিক থিয়েটার কমিটি দিবসটি পালন করে। দিবসটি উদ্‌যাপন করতে বিভিন্ন জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক মঞ্চনাটক অনুষ্ঠান প্রদর্শিত হয়। এর মধ্যে সবথেকে উল্লেখযোগ্য একটি বিষয় হচ্ছে- এই দিবস উদ্‌যাপন লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক থিয়েটার ইন্সটিটিউটে একজন তারকা মঞ্চনাটকের মাধ্যমে, আইটিইর শান্তির সংস্কৃতি বিষয়ক এক বিশেষ বাৰ্তা প্রেরণ করে। প্ৰথম বিশ্ব থিয়েটার দিবসের আন্তর্জাতিক বাৰ্তা ১৯৬২ সালে ফ্রান্সের জিন কোকটিয়াও লিখেছিলেন। প্ৰথমে হেলসিঙ্কি এবং তারপর ভিয়েনায় ১৯৬১ সালের জুন মাসে অনুষ্ঠিত আইটিইর নবম আলোচনাসভায় আন্তর্জাতিক থিয়েটার ইন্সটিটিউটের ফিনিশ কেন্দ্রের পক্ষে অধ্যক্ষ আর্ভি কিভিমায় বিশ্ব থিয়েটার দিবস উদ্‌যাপনের প্রস্তাব দেন। স্ক্যান্ডিনেভিয়ান কেন্দ্রসমূহে এটাকে সমৰ্থন দেয়ার পরই দিবসটির বিশ্বব্যাপি প্রচলন শুরু হয়।

 

থিম—

 

বিশ্ব থিয়েটার দিবস উদযাপন এবং থিয়েটার শিল্পের গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির একটি দিন। এটি করার জন্য, প্রতি বছর ২৭ মার্চ, বিগত ৫৯ বছর ধরে একটি থিম অনুসরণ করা হয়। বিশ্ব থিয়েটার দিবস ২০২৪-এর থিম হল “থিয়েটার এবং শান্তির সংস্কৃতি।” ITI প্রতি বছর বিশ্ব থিয়েটার দিবসের জন্য কোনো নির্দিষ্ট থিম নির্ধারণ করে না। প্রতি বছর, বিশ্ব থিয়েটার দিবসের প্রতিপাদ্য হল “থিয়েটার এবং শান্তির সংস্কৃতি”। অনেক উদযাপন আইটিআই কেন্দ্রে এবং বিশ্বজুড়ে মনোনীত স্থানে ঘটে এবং আইটিআই এই দিনটি উদযাপনকারী প্রত্যেককে তাদের প্রচারের জন্য তাদের সৃজনশীলতা ব্যবহার করতে উত্সাহিত করে।

 

বিশ্ব থিয়েটার দিবস ২০২৪: তাৎপর্য

 

এই বিশ্ব থিয়েটার দিবসের মূল লক্ষ্য হল থিয়েটারকে তার সমস্ত আকারে প্রচার করা, মানুষকে থিয়েটারের মূল্য সম্পর্কে সচেতন করা, থিয়েটার সম্প্রদায়গুলিকে তাদের কাজকে বৃহৎ পরিসরে প্রচার করতে সক্ষম করা, থিয়েটারকে এর সমস্ত রূপ উপভোগ করা এবং অন্যদের সাথে থিয়েটারের জন্য আনন্দ ভাগ করুন। বিশ্ব থিয়েটার দিবস আমাদের থিয়েটারের বিভিন্ন রূপ উদযাপন করার এবং আমাদের সমাজে তাদের তাত্পর্য উপলব্ধি করার সুযোগ দেয়। থিয়েটারের এই ফর্মগুলির মধ্যে অনেকগুলি শতাব্দী ধরে টিকে আছে, যখন কিছু সময়ের সাথে সাথে নতুন আকারে বিকশিত হয়েছে। যদিও কিছু অন্যদের চেয়ে বেশি বিখ্যাত, এই সমস্ত শিল্প ফর্ম শিক্ষা, বিনোদন, উদ্দীপনা এবং শিথিলকরণের জন্য অপরিহার্য। দিবসটির অন্যতম লক্ষ্য হল থিয়েটারের মূল্য ও সৌন্দর্য সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করা। এই কারণেই আন্তর্জাতিক থিয়েটার সম্প্রদায় নাটক ও সঙ্গীতের প্রাচীন নৈপুণ্যকে উন্নীত করার জন্য প্রতি বছর পারফরম্যান্স, বক্তৃতা এবং পুরস্কার উপস্থাপনের পরিকল্পনা করে।

 

নাটক বা থিয়েটার সব সময় মানুষের মনে ও চেতনায় এক উচ্চ স্থান পেয়ে এসেছে। নাটক বলতেই আমাদের মনে আসে শেকসপিয়রের নাম। তাঁকে বলা হয় বিশ্বের অগ্রণী নাট্যকার। তবে নাটক মানে শুধু শেকসপিয়র নন, কালিদাস, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, বাদল সরকার, বিজন ভট্টাচার্য, দীনবন্ধু মিত্রের মতো অনেকের নামই আসে। ভারত এমন একটি দেশ, সেখানে সব কিছুরই নিজস্ব রূপ আছে। গ্রীক ঘরানার নাটক নিজ গুণে কবেই ভারতের একান্ত হয়ে উঠেছে। সংস্কৃত সাহিত্যের শুদ্রক রচিত ‘মৃচ্ছকটিক’, কালিদাস রচিত ‘অভিজ্ঞান শকুন্তলম’, ভবভূতির ‘উত্তর রামচরিত’ সেই নির্দশনই বহন করে চলেছে।

 

গুরুত্ব—

 

থিয়েটার হল এটি শিল্প রূপ। যা শুধু মাত্র বিনোদনই নয়। ব্যক্তিদের শিক্ষিত ও অনুপ্রাণিত করে।। নাটকের মাধ্যমে, থিয়েটার সামাজিক সমস্যা সম্পর্কে সচেতনতা আনে, সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যকে উন্নীত করে এবং সহানুভূতি ও বোঝাপড়াকে উৎসাহিত করে। এটি ব্যক্তিদের তাদের দৃষ্টিভঙ্গি চ্যালেঞ্জ করে এবং কথোপকথন এবং আলোচনার জন্য একটি স্থান প্রদান করে সমালোচনামূলক চিন্তার দক্ষতা বিকাশে সহায়তা করে।

 

উপসংহার—

 

থিয়েটার, একটি নির্দিষ্ট স্থানে বা  মঞ্চে, লাইভ দর্শক, লাইভ  অভিনয়, অভিনেতা ও অভিনেত্রীর মাধ্যমে প্রকৃত অভিজ্ঞতা লাভ করার, সমন্বিত শিল্প। তাই সিনেমা বা সিরিয়াল কখনই থিয়েটারের জায়গা নিতে পারেনি। বলা হয় একজন থিয়েটার অভিনেতা এতটা দক্ষ হন, যে সব মাধ্যমেই তিনি মানানসই। আজ বিশ্ব থিয়েটার দিবস সব নাট্য শিল্পীদের কাছে বিশেষ আনন্দের। বিভিন্ন নাটকের মাধ্যমে এই দিনটি পালন করা হয়।

 

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট ও উইকিপিডিয়া।।

Share This
Categories
রিভিউ

আজ ২৮ মার্চ, ইতিহাসের দিকে চোখ বুলিয়ে দেখে নেব ইতিহাসের এই দিনে বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু, দিনসহ ঘটে যাওয়া ঘটনা।

আজ ২৮ মার্চ । এক নজরে দেখে নিই ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু দিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

 

 

আজ যাদের জন্মদিন—-

১৮৬২ – আরিস্টিডে ব্রিয়ান্ড, নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ফরাসি রাজনীতিবিদ ও সবেক ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী।

১৮৬৮ – রুশ, সোভিয়েত লেখক, সমাজতান্ত্রিক বাস্তববাদী সাহিত্যের প্রতিষ্ঠাতা মাক্সিম গোর্কি।

 

১৯০৭ – প্রগতিশীল লেখক ও বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর প্রতিষ্ঠাতা সত্যেন সেন।

 

১৯০৯ – বিশিষ্ট রবীন্দ্র সঙ্গীত ও নজরুলগীতি শিল্পী সন্তোষ সেনগুপ্ত।

 

১৯২৭ – বীণা মজুমদার, নারীবাদী ও শিক্ষাবিদ।

 

১৯৩০ – (ক) মীরা বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রখ্যাত বাঙালি ধ্রুপদী কণ্ঠসঙ্গীত শিল্পী।

 

(খ) জেরোম আইজ্যাক ফ্রিডম্যান, নোবেল পুরস্কার বিজয়ী আমেরিকান পদার্থবিদ ও একাডেমিক।

 

১৯৩৬ – মারিও বার্গাস ইয়োসা, নোবেলজয়ী পেরুর লেখক।

 

১৯৩৭ – ড.পবিত্র সরকার, পশ্চিমবঙ্গের বিশিষ্ট সাহিত্যিক, শিক্ষাবিদ ও গবেষক।

 

১৯৪৯ – লেসলি ভ্যালিয়ান্ট, খ্যাতিমান কম্পিউটার বিজ্ঞানী ও হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক।

 

১৯৬৮ – নাসের হুসেন, ভারতীয় বংশোদ্ভূত ইংরেজ ক্রিকেটার।

 

১৯৭৫ – অক্ষয় খান্না, ভারতীয় অভিনেতা।

 

১৯৭৯ – শাকিব খান, একজন বাংলাদেশী চলচ্চিত্র অভিনেতা, প্রযোজক, গায়ক ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব।

 

ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনের ঘটনাবলী—-

১৮০০ – আইরিশ পার্লামেন্টে ইংল্যান্ডের সঙ্গে সংযুক্তির আইন অনুমোদিত হয়।

১৮০৯ – ব্যাটল অব মেডেলিনে ফ্রান্স স্পেনকে পরাজিত করে।

১৮৫৪ – ব্রিটেন রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করলে ক্রিমিয়ার যুদ্ধ শুরু হয়।

১৯৩০ – কনস্টান্টিনোপলের নাম ইস্তাম্বুল ও অ্যাঙ্গোরার নাম আঙ্কারা করা হয়।

১৯৩৯ – প্রায় তিন বছর যুদ্ধের পর স্পেনের গৃহযুদ্ধের পরিসমাপ্তি।

১৯৪১ – সুভাষচন্দ্র বসু গোপন সাবমেরিন যাত্রা শেষে বার্লিন পৌঁছান।

১৯৪২ – রাসবিহারী বসু জাপানের টোকিওতে ভারত স্বাধীন করার আহ্বান জানিয়ে ভাষণ দেন। তিনি ভারতের ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের বিপ্লবী নেতা ও ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল আর্মির সংগঠক।

১৯৭২ – বাংলাদেশকে স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয় তাইওয়ান।

১৯৭৩ – বাংলাদেশকে স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয় লেবানন।

১৯৭৪ – আজকের দিনে বাংলাদেশ ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠিত হয়। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীন একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান।

২০০১ – দিনটিতে যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ কিয়োটো প্রোটোকল থেকে মার্কিন সমর্থন প্রত্যাহার করে নেন।

২০১০ – মুঠোফোন সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান একটেল রবি আজিয়াটা কোম্পানি নামে আত্মপ্রকাশ করে।

২০১৯ – ঢাকার বনানীতে এফআর টাওয়ারে আগুন লেগে ২৫ জন নিহত হন।

 

এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন যারা—-

১৯১৭ – আলবার্ট পিংকহ্যাম রাইডার, আমেরিকান চিত্রশিল্পী।

 

১৯৪১ – ইংরাজী ভাষার সাহিত্যিক ভার্জিনিয়া উল্‌ফ।

 

১৯৬৯ – ডোয়াইট্‌ ডি. আইজেনহাওয়ার, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৩৪তম রাষ্ট্রপতি।

১৯৮৫ – মার্ক শাগাল, রুশ চিত্রশিল্পী।

 

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This
Categories
রিভিউ

আজ ২৭ মার্চ, ইতিহাসের দিকে চোখ বুলিয়ে দেখে নেব ইতিহাসের এই দিনে বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু, দিনসহ ঘটে যাওয়া ঘটনা।

আজ ২৭ মার্চ । এক নজরে দেখে নিই ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু দিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

 

দিবস—–

 

(ক) বিশ্ব থিয়েটার দিবস ৷

 

আজ যাদের জন্মদিন—-

১৭৮৫ – ফ্রান্সের রাজা সপ্তদশ লুই।

১৮৪৫ – ভিলহেল্ম কনরাড র‌ন্টগেন, জার্মান পদার্থবিদ।

 

১৮৪৭ – অটো ভালাখ, নোবেল পুরস্কার বিজয়ী জার্মান রসায়নবিদ ও শিক্ষাবিদ।

১৮৬৩ – মোটর গাড়ির নকশাকার প্রনেতা স্যার ফ্রেডরিখ হেনরি রয়েস।

 

১৮৭১ – জার্মান লেখক ও কবি হাইনরিখ মান।

১৮৯৯ – গ্লোরিয়া সোয়ানসন, মার্কিন চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন অভিনেত্রী ও প্রযোজক।

 

১৯০১ – এইসাকু সাতো, নোবেল পুরস্কার বিজয়ী জাপানি রাজনীতিবিদ ও ৬১ তম প্রধানমন্ত্রী।

১৯১২ – জেমস ক্যালাহান, ইংরেজ লেফটেন্যান্ট, রাজনীতিবিদ ও প্রধানমন্ত্রী।

 

১৯১৭ – (ক)  কামাক্ষীপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায়, বাঙালি কবি ও শিশু সাহিত্যিক।

 

(খ( ) নবেন্দু ঘোষ, ভারতীয় বাঙালি লেখক ও চিত্রনাট্যকার।

১৯৪১ – স্লোভাকিয়া আইনজীবী, রাজনীতিবিদ ও ৩য় প্রেসিডেন্ট ইভান গাস্পারভিক।

১৯৪২ – জন এডওয়ার্ড সালস্টন, চিকিৎসাবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ইংরেজ জীববিজ্ঞানী।

 

১৯৬০ – মল্লিকা সেনগুপ্ত, বাঙ্গালী কবি ও সমাজকর্মী।

১৯৬৩ – কোয়েন্টিন টারান্টিনো, মার্কিন চলচ্চিত্র পরিচালক এবং অভিনেতা।

১৯৭২ – জিমি ফ্লয়েড হ্যাসেলবেইংক্‌, হল্যান্ডের একজন কৃতি ফুটবল খেলোয়াড়।

১৯৮৭ – রাশিয়ান গায়ক, গীতিকার ও অভিনেত্রী পলিনা গ্যাগারিন।

 

১৯৮৮ – আমেরিকান অভিনেত্রী ও গায়িকা ব্রেন্ডা সং।

১৯৮৮ – জাপানি ফুটবলার আটসুটো উচিদা।

১৯৯০ – নেসার বারাযাইত, নেদারল্যান্ড এর পেশাদার ফুটবল খেলোয়াড়।

 

ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনের ঘটনাবলী—-

১৬৬৮ – বোম্বে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির অধীনে আসে।

১৭৮২- দ্বিতীয় রকিংহ্যাম মন্ত্রণালয় ব্রিটেনে অফিস গ্রহণ করে এবং আমেরিকার স্বাধীনতা যুদ্ধের অবসানের জন্য আলোচনা শুরু করে।

১৭৯৪ – মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকার স্থায়ী নৌবাহিনী স্থাপন করে এবং ছয়টি ফ্রিগেটের বিল্ডিংয়ের অনুমোদন দেয়।

১৮০৯- উপদ্বীপ যুদ্ধ: সিউদাদ রিয়েলের যুদ্ধে একটি সংযুক্ত ফ্রাঙ্কো-পোলিশ বাহিনী স্প্যানিশদের পরাজিত করেছিল।

১৮১৪ – ১৮১২ এর যুদ্ধ: সেন্ট্রাল আলাবামায়, জেনারেল অ্যান্ড্রু জ্যাকসনের নেতৃত্বে মার্কিন বাহিনী হর্সশি বেন্ডের যুদ্ধে ক্রিককে পরাস্ত করেছিল।

১৮৯৯ – মেরিলাও নদীর যুদ্ধে ফিলিপাইন-আমেরিকান যুদ্ধের সময় এমিলিও আগুইনাল্ডো একমাত্র ফিলিপিনো বাহিনীর নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।

১৯১৫- যুক্তরাষ্ট্রে চিহ্নিত প্রথম রোগের স্বাস্থ্যকর ক্যারিয়ার টাইফয়েড মেরিকে দ্বিতীয়বারের জন্য পৃথকীকরণ করা হয়, যেখানে তিনি তার সারাজীবন থাকতেন।

১৯১৮ – বেসারাবিয়া জাতীয় কাউন্সিল রোমানিয়ার কিংডমের সাথে ইউনিয়নের ঘোষণা দেয়।

১৯১৯ – আমানুল্লাহ কর্তৃক আফগানিস্তানের স্বাধীনতা ঘোষণা করা হয়।

১৯৩৮- দ্বিতীয় চীন-জাপানিজ যুদ্ধ: তাইয়েরজুয়াংয়ের যুদ্ধ শুরু হয়েছিল, বেশ কয়েক সপ্তাহ পরে জাপানের বিরুদ্ধে যুদ্ধের প্রথম বড় জয় লাভ করেছিল major

১৯৪১ – দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ: যুগোস্লাভ এয়ার ফোর্সের আধিকারিকরা একটি রক্তহীন অভ্যুত্থানে সরকারপন্থী অ্যাকসিস সরকারকে পরাস্ত করেছিলেন।

১৯৪৩ – দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ: কোমন্ডারস্কি দ্বীপপুঞ্জের যুদ্ধ: আলেউটিয়ান দ্বীপপুঞ্জে যুদ্ধ শুরু হয় যখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনী জাপানিদের কিস্কায় একটি চৌকি জোরদার করার প্রচেষ্টা জাপানিদের বাধা দেয়।

১৯৪৫ – দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ: অপারেশন স্টারভেশন, জাপানের বন্দর ও নৌপথের বিমান খনন শুরু হয়। অ্যাক্সিস পাওয়ার্সের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে আর্জেন্টিনা।

১৯৬৮ – রুশ নভোচারী, তিনি ছিলেন মহাকাশচারী প্রথম ব্যক্তি জারস্লাভ হেয়রোভস্ক্য প্রশিক্ষনের সময় বিমান দুর্ঘটনায় নিহত হন। ১৯৬৯ – মেরিনার ৭ উদ্বোধন করা হয়।

১৯৭১ – চট্টগ্রামের স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে শেখ মুজিবের পক্ষে মেজর জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেন।

১৯৯৮- খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন পুরুষ পুরুষত্বহীনতার চিকিৎসা হিসাবে ব্যবহারের জন্য ভায়াগ্রাটিকে অনুমোদন দেয়, যুক্তরাষ্ট্রে এই শর্তটির জন্য অনুমোদিত প্রথম বড়ি।

 

এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন যারা—-

১৮৯৮ – শিক্ষাবিদ ও সমাজ সংস্কারক স্যার সৈয়দ আহমদ।

 

১৯১৮ – হেনরি অ্যাডাম্‌স, একজন মার্কিন ইতিহাসবিদ, সাংবাদিক ও ঔপন্যাসিক।

১৯৪৪ – লোকগীতি সংগ্রাহক ও কবি আশুতোষ চৌধুরী।

 

১৯৬৬ – পান্নালাল ভট্টাচার্য প্রখ্যাত বাঙালি শ্যামাসঙ্গীত শিল্পী।

১৯৬৭ – নোবেল পুরস্কার বিজয়ী চেক রসায়নবিদ জারস্লাভ হেয়রোভস্ক্যা।

১৯৬৮ – ইউরি গ্যাগারিন, রুশ নভোচারী, মহাকাশচারী প্রথম ব্যক্তি প্রশিক্ষনের সময় বিমান দুর্ঘটনায় নিহত হন।

 

১৯৭১ – জ্যোতির্ময় গুহঠাকুরতা বাংলাদেশী শিক্ষাবিদ ও মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বুদ্ধিজীবী।

১৯৭২ – এম. সি. এশ্যর, একজন ওলন্দাজ চিত্রলেখ শিল্পী।

 

১৯৭৩ – ভূপতি মজুমদার স্বাধীনতা সংগ্রামের এক বিপ্লবী ও রাজনৈতিক নেতা।

১৯৮২ – ফজলুর রহমান খান, বাংলাদেশের বিশ্ববিখ্যাত স্থপতি ও পুরকৌশলী।

১৯৮৬ – আবদুল হাই আরিফী, আশরাফ আলী থানভীর শিষ্য।

 

১৯৮৯ – শান্তি ঘোষ, ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম বিপ্লবী।

২০০৭ – নোবেল পুরস্কার বিজয়ী আমেরিকান রসায়নবিদ পল ক্রিশ্চিয়ান লতেরবার।

 

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This
Categories
রিভিউ

আজ ২৬ মার্চ, ইতিহাসের দিকে চোখ বুলিয়ে দেখে নেব ইতিহাসের এই দিনে বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু, দিনসহ ঘটে যাওয়া ঘটনা।

আজ ২৬ মার্চ । এক নজরে দেখে নিই ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু দিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

 

দিবস—–

 

(ক) বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস (১৯৭১)

 

আজ যাদের জন্মদিন—-

১৮৯৩ – ধীরেন্দ্রনাথ গঙ্গোপাধ্যায়, ডি.জি. নামে পরিচিত বাংলা সিনেমা জগতের অন্যতম পথিকৃৎ।

 

১৯০৭ – মহাদেবী বর্মা, হিন্দি ভাষার ছায়াবাদ ঘরানার কবি।

 

১৯১৩ – পল এর্ডশ, অতিপ্রজ (prolific) হাঙ্গেরীয় গণিতবিদ।

 

১৯২৬ – খালেক নওয়াজ খান, ভাষাসৈনিক ও বাঙালি রাজনীতিবিদ, পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক।

 

১৯৩১ – লিওনার্ড নিময়, মার্কিন অভিনেতা।

 

১৯৪১ – রিচার্ড ডকিন্স, ইংরেজ বিবর্তনবাদ বিশেষজ্ঞ, বিজ্ঞানী ও বিজ্ঞান লেখক।

 

১৯৭৩ – লরেন্স “ল্যারি” পেইজ মার্কিন কম্পিউটার বিজ্ঞানী এবং ইন্টারনেট উদ্যোক্তা এবং গুগলের সহ-প্রতিষ্ঠাতা।

 

ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনের ঘটনাবলী—-

১৭৭৪ – কলকাতায় হাই কোর্ট প্রতিষ্ঠিত হয়।

১৮৭১ – প্যারি কমিউন প্রতিষ্ঠিত হয়।

১৮৮৫ – নিউইয়র্কে বাণিজ্যিকভাবে চলচ্চিত্রের জন্যে ফিল্ম প্রস্তুত শুরু।

১৯৪৮ – পশ্চিমবঙ্গে ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি বেআইনি ঘোষিত।

১৯৫২ – জুমো কেনিয়াত্তার নেতৃত্বে কেনিয়ায় ইংরেজ সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে স্বাধীনতা আন্দোলনের শুরু হয়।

১৯৫৩ – যুক্তরাষ্ট্রের চিকিৎসাবিদ এবং চিকিৎসা গবেষক ডা. জোনাস সাল্ক ঘোষণা করেন তিনি পোলিও রোগের টিকা নিয়ে পরীক্ষায় সফল হয়েছেন।

১৯৭১ – বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হয়।

১৯৭২ – বাংলাদেশ প্রথম স্বাধীনতা দিবস উদ্‌যাপন করে।

১৯৭৯ – মিসরের প্রেসিডেন্ট আনোয়ার সাদাত এবং ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী মেনাচেম বেগিন যুক্তরাষ্ট্রে মধ্যস্থতা একটি শান্তিচুক্তি স্বাক্ষর করেন।

১৯৯২ – বাংলাদেশ-ভারত ৩ বিঘা নিয়ে চুক্তি স্বাক্ষর।

১৯৯৬ – সংসদে সংবিধান সংশোধনী বিল পাস।

১৯৯৭ – মুঠোফোন সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান গ্রামীণফোন কার্যক্রম শুরু করে।

১৯৯৭ – সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ব্যাপক আয়োজনে বহুল আলোচিত শিখা চিরন্তন স্থাপন।

১৯৯৮ – মুঠোফোন সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান একটেল (বর্তমানে রবি) চট্টগ্রামে সেবাদান কার্যক্রম শুরু করে।

২০১৫ – গুগল অনুবাদে বাংলা ভাষার সাত লাখ শব্দ যোগ করে রেকর্ড সৃষ্টি ৷

 

এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন যারা—-

১৮২৭ – লুড‌উইগ ভ্যান বেইটোভেন, জার্মান সুরকার এবং পিয়ানো বাদক।

 

১৯৭১ – অনুদ্বৈপায়ন ভট্টাচার্য, বাঙালি শিক্ষাবিদ।

 

১৯৭১ – আতাউর রহমান খান খাদিম, বাংলাদেশী শিক্ষাবিদ।

 

১৯৭১ – গোবিন্দ চন্দ্র দেব, বাংলাদেশী বুদ্ধিজীবী।

 

১৯৯৯ – আনন্দ শঙ্কর, প্রখ্যাত সুরস্রষ্টা ও অর্কেস্ট্রাবাদক।

 

২০০৯ – গোবিন্দগোপাল মুখোপাধ্যায়, মহামহোপাধ্যায় উপাধি ও রাষ্ট্রপতি সম্মানে ভূষিত সংগীত শিল্পী।

 

২০১৫ – টমাস ট্রান্সট্রোমার, নোবেল বিজয়ী সুয়েডীয় কবি ও অনুবাদক।

২০১৫ – ফ্রেড রবশাহম, নরওয়ের চলচ্চিত্র অভিনেতা।

২০১৫ – ইয়ান মইয়ার, স্কটিশ ফুটবল খেলোয়াড়।

 

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

ঘুরে আসুন  পাঞ্জাবের অমৃতসরের স্বর্ণ মন্দির।

ঘুরতে কে না ভালোবাসে। বিশেষ করে বাঙালিরা সুযোগ পেলেই বেরিয়ে পড়ে ভ্রমনের নেশায়। কেউ পাহাড়, কেউ সমুদ্র আবার কেউ প্রাচীন ঐতিহাসিক স্থান ভালোবাসে ভ্রমণ করতে। প্রকৃতি কত কিছুই না আমাদের জন্য সাজিয়ে রেখেছে। কতটুকুই বা আমরা দেখেছি। এ বিশাল পৃথিবীতে আমরা অনেক কিছুই দেখিনি। তবে সোশ্যাল মিডিয়ার দুনিয়ায় আজ গোটা পৃথিবীটা হাতের মুঠোয়় এলেও প্রকৃতিকে চাক্ষুষ প্রত্যক্ষ করা এ এক আলাদা রোমাঞ্চ, আলাদা অনুভূতি যার রেষ হৃদয়ের মনিকোঠায় থেকে যায় চিরকাল।।

তাইতো আজও মানুষ বেরিয়ে পড়়ে প্রকৃতির কে গায়ে মেখে রোমাঞ্চিত হওয়ার নেশায়। কেউ চায় বিদেশে ভ্রমণে, আবার কেউ চায় দেশের বিভিন্ন স্থান ভ্রমণে। এমনি এক ভ্রমণ এর জায়গা হলো পাঞ্জাবের অমৃতসরের স্বর্ণ মন্দির।

 

স্বর্ণ মন্দির, যা শ্রী হরমন্দির সাহেব নামেও পরিচিত, পাঞ্জাবের অমৃতসরে আধ্যাত্মিকতা এবং ঐক্যের আলোকবর্তিকা হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে। এই শ্রদ্ধেয় স্থানটি, 16 শতকে চতুর্থ শিখ গুরু গুরু রাম দাস দ্বারা সূচিত এবং 1604 খ্রিস্টাব্দে গুরু অর্জন দেব দ্বারা সম্পন্ন করা হয়েছিল, এটি একটি সম্মানিত মুসলিম সাধক হযরত মিয়াঁ মীর কর্তৃক ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের সাথে অন্তর্ভুক্তির প্রতীক। মন্দিরটি কেবল বিভিন্ন কোণ থেকে অনুগামীদেরই আকর্ষণ করে না বরং এর স্থাপত্য, আচার-অনুষ্ঠান এবং ল্যাঙ্গার পরিষেবার মাধ্যমে শিখ ধর্মের সমৃদ্ধ ঐতিহ্যকেও প্রদর্শন করে।

সর্বোত্তম পরিদর্শন সময়কাল–

অক্টোবর এবং মার্চের মধ্যে আপনার ভ্রমণের পরিকল্পনা করার পরামর্শ দেওয়া হয় যখন আবহাওয়া মনোরম হয়, 10°C থেকে 25°C পর্যন্ত। এই সময়টি নভেম্বরে গুরু নানক জয়ন্তী, এপ্রিলে বৈশাখী এবং অক্টোবর এবং নভেম্বরের মধ্যে দীপাবলির মতো উল্লেখযোগ্য উত্সবগুলির সাথেও মিলিত হয়, যা একটি অনন্য সাংস্কৃতিক নিমজ্জন প্রদান করে।

স্বর্ণ মন্দিরের অনন্য দিক–

অমৃত সরোবর দ্বারা বেষ্টিত, মন্দিরটি আধ্যাত্মিক শুদ্ধির জন্য একটি স্থান হিসাবে কাজ করে। এর ল্যাঙ্গার, একটি সম্প্রদায়ের রান্নাঘর, দর্শকদের বিনামূল্যে খাবার সরবরাহ করে, সমতা এবং নিঃস্বার্থতার নীতিগুলি তুলে ধরে। গোল্ডেন টেম্পল বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে বড় বিনামূল্যের রান্নাঘরের একটি হিসেবে বিখ্যাত, শিখ ঐতিহ্যের নম্রতার ওপর জোর দেয়।

প্রস্তাবিত সেবাসমূহ—

দর্শনার্থীরা দর্শনের মাধ্যমে মন্দিরের সৌন্দর্য অনুভব করতে পারেন, লঙ্গরে অংশগ্রহণ করতে পারেন এবং অখন্ডপাঠের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে পারেন। কীর্তন সঙ্গীত আধ্যাত্মিক পরিবেশকে উন্নত করে, যখন প্রসাদ বিতরণ ঐশ্বরিক কৃপাকে চিহ্নিত করে। অতিরিক্ত সুবিধার মধ্যে রয়েছে চিকিৎসা সহায়তা, হুইলচেয়ার সমর্থন, এবং বিনামূল্যে পানীয় জল, সকলের জন্য আরামদায়ক পরিদর্শন নিশ্চিত করা।

আরতি অনুষ্ঠান—

দরবার সাহেবের মধ্যে সকাল এবং সন্ধ্যায় দৈনিক আরতিতে যোগদান একটি নিমগ্ন অভিজ্ঞতা প্রদান করে। এর জমকালো সাজসজ্জার সাথে, অনুষ্ঠানটি উপস্থিতদের ভক্তি ও শ্রদ্ধায় আচ্ছন্ন করে, একটি উল্লেখযোগ্য আধ্যাত্মিক ব্যস্ততা চিহ্নিত করে।

কাছাকাছি আকর্ষণ—-

অমৃতসর, স্বর্ণ মন্দিরের আবাসস্থল, জালিয়ানওয়ালা বাগ, পার্টিশন মিউজিয়াম, দুর্গিয়ানা মন্দির, মহারাজা রঞ্জিত সিং মিউজিয়াম, রাম বাগ গার্ডেন, খালসা কলেজ, গোবিন্দগড় ফোর্ট, অকাল তখত এবং মাতা লাল দেবী মন্দির সহ অন্বেষণ করার মতো বেশ কয়েকটি পর্যটন স্পট রয়েছে। এই সাইটগুলি এই অঞ্চলের সমৃদ্ধ ইতিহাস এবং বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতির একটি আভাস দেয়।

গোল্ডেন টেম্পল কেবল শিখ বিশ্বাস এবং ঐতিহ্যের প্রতীক নয় বরং মানবতা, ঐক্য এবং নিঃস্বার্থতার চিরন্তন চেতনার প্রমাণ হিসেবেও দাঁড়িয়ে আছে। এর অন্তর্ভুক্তিমূলক পদ্ধতি এবং পরিষেবাগুলি দর্শনার্থীদের আধ্যাত্মিক এবং শারীরিক সুস্থতার জন্য পূরণ করে, এটিকে ভারতে অবশ্যই একটি পবিত্র ল্যান্ডমার্কে পরিদর্শন করতে হবে৷

Share This
Categories
প্রবন্ধ

মহিষাদল রাজবাড়ি – প্রাসাদটি এখনও ঐতিহাসিক তাৎপর্যের আলোকবর্তিকা হিসাবে কাজ করে।

মহিষাদল রাজবাড়ি একটি স্থাপত্য বিস্ময় এই অঞ্চলের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের প্রমাণ হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে। প্রাথমিকভাবে জনার্দন উপাধ্যায়কে (গর্গ) থাকার জন্য তৈরি করা হয়েছিল, ব্যবসায়িক ব্যস্ততার জন্য এই এলাকায় ঘন ঘন দর্শনার্থী, এই প্রাসাদটি এখন ঐতিহাসিক তাৎপর্যের আলোকবর্তিকা হিসাবে কাজ করে। এর প্রাঙ্গনে রয়েছে শ্রদ্ধেয় কৃষ্ণ মন্দির, যা গোপালজী মন্দির নামে পরিচিত, রাজকীয় স্থাপত্যের মহিমার মধ্যে আধ্যাত্মিকতার একটি অভয়ারণ্য।

রানী জানকি দেবীর শাসনামলে নির্মিত, মন্দিরটি শুধুমাত্র ভগবান কৃষ্ণের পূজাই করে না বরং সেই সময়কার সমন্বিত ধর্মীয় ঐতিহ্যকে প্রদর্শন করে ভগবান শিবের মূর্তিও রয়েছে। প্রবেশদ্বারের পাশে আরও দুটি উল্লেখযোগ্য কাঠামো রয়েছে – জগন্নাথ মন্দির এবং নাটমন্দির, প্রতিটি কমপ্লেক্সের আধ্যাত্মিক পরিবেশে স্তর যুক্ত করে।

প্রাসাদ কমপ্লেক্স দুটি প্রধান কাঠামোতে বিভক্ত: পুরানো প্রাসাদ এবং এর নতুন প্রতিরূপ। পরেরটি বর্তমানে রাজপরিবারের বংশধরদের দখলে রয়েছে, উত্তরাধিকারকে বাঁচিয়ে রেখেছে। প্রাসাদে দর্শনার্থীরা নিচতলার কক্ষগুলি অন্বেষণ করতে পারেন, যেখানে নিদর্শনগুলির একটি আকর্ষণীয় সংগ্রহ রয়েছে৷ এর মধ্যে রয়েছে স্টাফড প্রাণী, সূক্ষ্ম পেইন্টিং এবং অ্যান্টিক আসবাবপত্র, যা অনুরোধের ভিত্তিতে দেখার জন্য উপলব্ধ, যা এর প্রাক্তন বাসিন্দাদের ঐশ্বর্যময় জীবনধারার একটি আভাস দেয়।

এই প্রাসাদের মধ্যে ঐশ্বরিক পবিত্রতা এবং রাজকীয় জীবনযাপনের সংমিশ্রণ উত্তর প্রদেশের ঐতিহাসিক এবং সাংস্কৃতিক প্যানোরামার সারাংশকে ধারণ করে। এটি এমন একটি জায়গা যেখানে অতীত এবং বর্তমান একত্রিত হয়, যারা এই অঞ্চলকে রূপ দিয়েছে এমন গল্প এবং ঐতিহ্যগুলিকে খুঁজে পেতে আমন্ত্রণ জানায়।

Share This
Categories
নারী কথা প্রবন্ধ

স্মরণে, মোহিনী দেবী – ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের অগ্নিকন্যা।

সূচনা—
ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন ছিল কিছু মানুষের অব্যর্থ পরিশ্রম যার ফলেই ব্রিটিশদের থেকে ভারত রাজনৈতিক দিক থেকে মুক্তি পেয়েছে। ভারত উপমহাদেশের বিংশ শতাব্দীতে ব্রিটিশ সম্রাজ্যবাদ বিরোধী যে সশস্ত্র বিপ্লববাদী লড়াই-সংগ্রাম সংগঠিত হয় এবং যার ধারাবাহিকতায় ভারত স্বাধীন হয়, তার মূলে যে সকল বিপ্লবীর নাম সর্বজন স্বীকৃত তাঁদের মধ্যে মোহিনী দেবী  প্রথমসারির একজন অন্যতম বিপ্লবী ছিলেন।ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রাম শুধু শহীদ ভগৎ সিং-এর মতই নয় বরং শক্তিশালী নারীদের দ্বারা প্রশস্ত হয়েছিল যারা তাদের মাটিতে দাঁড়িয়েছিল এবং দেশের স্বাধীনতা অর্জনের জন্য ব্রিটিশদের সাথে লড়াই করেছিল। মোহিনী দেবী  ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনে এক উল্লেখযোগ্য নাম, যিনি দেশমতৃকার শৃঙ্খল মুক্তির জন্য নিজেকে সঁপে দিয়েছিলেন সম্পূর্ণ রূপে। ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন ব্যক্তিত্ব ও অগ্নিকন্যা ছিলেন তিনি।

ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে এক স্মরণীয় নাম
মোহিনী দেবী। তিনি ছিলেন ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন ব্যক্তিত্ব ও অগ্নিকন্যা। এছাড়া তার পরিবার বাংলাদেশের প্রগতিমুলক শিক্ষা ও সংস্কৃতির সাথে জড়িত ছিল। ইতিহাসে তাঁর নাম আজও স্বর্ণাক্ষরে লেখা আছে। জেনে নেবো তাঁর সংগ্রামী জীবনের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস।

জন্ম ও পরিবার—-

মোহিনী দেবী ১৮৬৩ সালে ঢাকা জেলার মানিকগঞ্জে এক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম রামশঙ্কর সেন ও মাতার নাম উমাসুন্দরী দেবী। ১২ বছর বয়সে তারকচন্দ্ৰ দাশগুপ্তের সঙ্গে বিবাহ হয়। শ্রমিক আন্দোলনের নেত্রী প্রভাবতী দাশগুপ্ত।
শিক্ষাজীবন—-

মোহিনী দেবী ভিক্টোরিয়া স্কুলের প্রথম হিন্দু ছাত্রী, কলকাতার অভিজাত অ্যাংলিকান প্রতিষ্ঠান, মোহিনী দেবী (১৮৬৩ – ১৯৫৫) তার মূলে একজন জাতীয়তাবাদী ছিলেন।  ঢাকার বেউথার রামশঙ্কর সেনের কন্যা, বারো বছর বয়সে তারকচন্দ্র দাশগুপ্তের সাথে তার বিয়ে হয়।  তা সত্ত্বেও, তিনি পন্ডিত শিবনাথ শাস্ত্রী এবং রামতনু লাহিড়ীর অধীনে অধ্যয়নের সুযোগ পেয়েছিলেন, ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষভাগের কলকাতার অধ্যবসায়ী।  তিনি ইউনাইটেড মিশনের একজন মহিলা শিক্ষকের কাছে ইংরেজি শিখেছিলেন।  এইভাবে তিনি ভারতের সমসাময়িক উন্নয়ন সম্পর্কে সচেতন হন এবং শুরু থেকেই বিভিন্ন সামাজিক কল্যাণমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত হন।

রাজনৈতিক জীবন—-

১৯২১-২২ সালে তিনি গান্ধীজীর অসহযোগ আন্দোলনে যোগ দেওয়ার কারণে কারাবরণ করেন। ১৯৩০-৩১ সালে আইন অমান্য আন্দোলনে নেতৃত দেন। এজন্য তাকে ছয় মাসের জেল খাটতে হয়েছিল। ‘নিখিল ভারত মহিলা সমিতির’ সভানেত্রী হিসেবে তার ভাষন উচ্চ প্রশংসিত হয়। ১৯৪৬ সালের দাঙ্গায় মুসলিম প্রধান অঞ্চল এন্টালি বাগানে নিজের বাড়িতে থেকে হিন্দু মুসলিম ঐক্যের প্রচার চালিয়েছিলেন। সে সময় তার বন্ধু-বান্ধব আত্নীয় পরিজন তাকে তিরস্কার করে কিন্তু তাতে তিনি সংকল্প হারান নি। মোহিনী দেবী একদিকে স্বাধীনতা আন্দোলন এর পক্ষে কাজ করেছিলেন অন্যদিকে নারী শিক্ষা, নারী স্বাধীনতা, সমাজসংস্কারমূলক কাজ।

স্বাধীনতা আন্দোলনে—

১৯২০-১৯২২ সালে, ব্রিটিশদের সাথে অসহযোগের জন্য গান্ধীর আহ্বানের উচ্চতায়, তিনি নিজেকে আন্দোলনে উত্সর্গ করেছিলেন।  ১৯৩০-১৯৩১ সালের আইন অমান্য আন্দোলনের সময়, তিনি আইন ও পুলিশি বিধিনিষেধ লঙ্ঘন করে এবং পথে কারাভোগ করে একজন উল্লেখযোগ্য নেতা আন্দোলন হিসাবে আবির্ভূত হন।  গান্ধীবাদী আদর্শে তার সম্পূর্ণ সাবস্ক্রিপশন এবং তার আন্দোলন কৌশলের প্রতি অটল জমা দেওয়ার কারণে, তিনি দ্রুত সিঁড়ি বেয়ে সর্বভারতীয় মহিলা কংগ্রেসের সভাপতি হন;  তার বাকপটু বক্তৃতা গান্ধী সহ সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিল।  নিজের এবং তার পরিবারের নিরাপত্তা উপেক্ষা করে, তিনি কলকাতার রাস্তায় নেমে আসেন এবং ১৯৪৬ সালের ভয়াবহ কলকাতা দাঙ্গার অন্ধকার দিনগুলিতে হিন্দু-মুসলিম ঐক্যের জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করেন।
গান্ধীজীর আদর্শে অবিচলিত নিষ্ঠা ছিল। ১৯৪৬ খ্রী. কলিকাতায় দাঙ্গার সময় দাঙ্গা-আধুষিত মুসলমান-প্রধান অঞ্চল এন্টনিবাগানে নিজের বাড়িতে থেকে হিন্দু-মুসলমানের ঐক্যের বাণী প্রচার করেন। ‘দি স্কাভেঞ্জার্স ইউনিয়ন অব বেঙ্গল’ এবং ‘জুটি ওয়ার্কার্স ইউনিয়নে’র প্রেসিডেন্ট তাঁর কন্যা প্ৰভাবতী দাশগুপ্ত ১৯২৭-২৮ থেকে ১৯৩০ – ৩১ খ্রী. পর্যন্ত শ্রমিক আন্দোলনের ক্ষেত্রে এক বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব।

মৃত্যু—-

মহান এই  সংগ্রামী মোহিনী দেবী ২৫ মার্চ ১৯৫৫ সালে মৃত্যুবরণ করেন।

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট ও উইকিপিডিয়া।।

Share This
Categories
গল্প প্রবন্ধ রিভিউ

হোলি উদযাপনের অনন্য উপায় ১০ টি ভারতীয় স্থানে৷

হোলি, রঙের উত্সব হিসাবে পরিচিত, ভারতে একটি প্রাণবন্ত এবং লালিত উপলক্ষ, যা সাংস্কৃতিক এবং পৌরাণিক তাত্পর্য দ্বারা চিহ্নিত। এটি মন্দের উপর ভালোর বিজয়ের গল্প উদযাপন করে। দেশ জুড়ে, বিভিন্ন অঞ্চল হোলির রঙিন উৎসব উপভোগ করার অনন্য উপায় অফার করে। এখানে এমন 10টি স্থানের একটি নির্দেশিকা রয়েছে যেখানে উদযাপনগুলি মিস করা উচিত নয়।

বৃন্দাবন, উত্তরপ্রদেশ

বৃন্দাবনে, ফুলন কি হোলি একটি অনন্য উদযাপন যেখানে রঙিন গুঁড়োর পরিবর্তে ফুলের পাপড়ি ব্যবহার করা হয়। এই আধ্যাত্মিক স্থান, যেখানে ভগবান কৃষ্ণ তার শৈশব কাটিয়েছেন, হোলির সময় একটি নির্মল অথচ উত্সব পরিবেশ প্রদান করে।

বারসানা, উত্তরপ্রদেশ

বারসানা লাঠমার হোলির আয়োজন করে, যা হিন্দু পুরাণে গভীরভাবে নিহিত এবং রাধার জন্মস্থানে উদযাপন করা হয়। রাধা এবং কৃষ্ণের মধ্যে উত্তেজনার একটি কৌতুকপূর্ণ পুনর্ব্যবহারে মহিলারা লাঠি দিয়ে পুরুষদের তাড়া করে এবং মারধর করে।

জয়পুর, রাজস্থান

জয়পুরের এলিফ্যান্ট ফেস্টিভ্যাল হোলি উদযাপনে প্রাণবন্ততার একটি অতিরিক্ত স্তর যোগ করে। হাতি, রঙিন পোশাকে সজ্জিত, একটি বিশাল মিছিলের নেতৃত্ব দেয় এবং সেরা-সজ্জিত হাতির জন্য একটি বিশেষ সম্মান রয়েছে।

শান্তিনিকেতন, পশ্চিমবঙ্গ

শান্তিনিকেতনে, হোলি বসন্ত উৎসব বা বসন্ত উত্সব হিসাবে উদযাপিত হয়, এটি একটি ঐতিহ্য যা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শুরু করেছিলেন। শিক্ষার্থীরা আনন্দের রঙ নিক্ষেপে জড়িত হওয়ার আগে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করে।

উদয়পুর, রাজস্থান

উদয়পুরের রাজপরিবার শহরের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে তুলে ধরে একটি জমকালো উদযাপনের আয়োজন করে। উত্সবগুলির মধ্যে একটি রাজকীয় শোভাযাত্রা, স্থানীয় পারফরম্যান্স এবং একটি জমকালো ভোজ অন্তর্ভুক্ত।

হাম্পি, কর্ণাটক

ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট হিসাবে, হাম্পি বনফায়ার, সঙ্গীত, নৃত্য এবং আনন্দময় সমাবেশের সাথে প্রাণবন্ত হোলি উদযাপনের প্রস্তাব দেয়, যা মন্দের উপর ভালোর বিজয়ের প্রতীক।

দেরাদুন ও গোয়া

গোয়া এবং দেরাদুন উভয় স্থানেই উদযাপিত হোলি মু উৎসব, আধুনিক সঙ্গীত, শিল্প এবং সংস্কৃতির সাথে ঐতিহ্যবাহী মজার মিশ্রণ ঘটায়। এটি একটি নিরাপদ এবং বন্ধুত্বপূর্ণ ইভেন্ট যেখানে পরিবেশ-বান্ধব রঙ, পারফরম্যান্স এবং রাস্তার খাবার রয়েছে।

আনন্দপুর সাহেব, পাঞ্জাব

হোলা মহল্লা, শিখ সম্প্রদায়ের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ উত্সব, হোলি অনুসরণ করে। এতে মার্শাল আর্ট প্রদর্শনী রয়েছে যা স্ব-শৃঙ্খলা এবং সমতার উপর জোর দেয়।

কোচিন, কেরালা

কোচিনে, মঞ্জুল কুলি উৎসব কোঙ্কনি মন্দিরে অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে রঙের জায়গায় হলুদ ব্যবহার করা হয়। উৎসবটি ঐতিহ্যবাহী সঙ্গীত, নৃত্য এবং ভোজ দিয়ে সমৃদ্ধ।

মণিপুর

মণিপুরের মেইতেই সম্প্রদায়ের দ্বারা উদযাপন করা ইয়োসাং উৎসবের মধ্যে রয়েছে নাচ, গান, গেমস এবং থাবাল চোংবা নাচ, যেখানে ছেলেরা এবং মেয়েরা রঙের উৎসবকে চিহ্নিত করে একটি বনফায়ারের চারপাশে নাচ করে।

ভারত জুড়ে এই 10টি স্থান একটি দর্শনীয় হোলির অভিজ্ঞতা প্রদান করে, যা দর্শকদের দেশের বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতি এবং উত্সবের চেতনায় ডুব দিতে দেয়। প্রতিটি অবস্থান স্থানীয় ঐতিহ্য এবং উদযাপনের একটি অনন্য আভাস প্রদান করে, হোলি উৎসবকে একটি অবিস্মরণীয় অভিজ্ঞতা করে তোলে।

Share This
Categories
গল্প প্রবন্ধ রিভিউ

কর্তাভজা সম্প্রদায় ও কল্যাণীর সতীমার দোল মেলা।।।

যতদূর জানা যায়, আনুমানিক দুশো বছর আগে আউলিয়া সম্প্রদায়ের সতীমা অর্থাৎ সরস্বতী দেবী এই মেলার প্রবর্তন করেন । এপার বাংলা ও বাংলাদেশে যথেষ্ট জনপ্রিয় ও গুরুত্বপূর্ণ ঘোষপাড়ার সতীমার দোল মেলা । খ্রিষ্টীয় অষ্টাদশ শতাব্দীর মাঝামাঝি বাংলার অন্ত্যজ সম্প্রদায়ের মানুষদয়ের নিয়ে গড়ে ওঠে আউলচাঁদ সম্প্রদায় । এই সম্প্রদায়ের আদিগুরু ছিলেন আউলচাঁদ । তাঁর মৃত্যুর পর আউলচাঁদ সম্প্রদায়ের কর্তাপদ লাভ করেন রামশরণ পাল । তাঁরই স্ত্রী ছিলেন সরস্বতী দেবী যিনি পরবর্তীকালে সতী মা নামে প্রসিদ্ধি লাভ করেন ।
বাউল, কীর্তন, লোকগীতি, পল্লীগীতির সুরে প্রতি বছর মেলা জমে ওঠে । আখড়ায় আখড়ায় সারা রাত ধরে গানের আসর । শ্রোতারা অধিকাংশই গ্রাম ও মফঃস্বলের । বিভিন্ন জায়গায় তৈরী হয় লালন মঞ্চ । গানের পাশাপাশি বিশাল উনুন জ্বালিয়ে ক্ষুন্নিবৃত্তির ব্যবস্থা হয় ঐ আখড়াগুলিতে । দূরদূরান্ত থেকে মেলায় আগত মানুষদের আশ্রয়স্থল এই আখড়াগুলি ।
এবার আসছি কর্তাভজা সম্প্রদায় প্রসঙ্গে ।
কর্তাভজা সম্প্রদায় আঠারো শতকে বৈষ্ণববাদ ও সুফিবাদ থেকে বিকশিত একটি ক্ষুদ্র ধর্মীয় সম্প্রদায় । এই সম্প্রদায়ের মূল গুরু আউল চাঁদ ।
প্রথমেই বলি, আউলচাঁদ হলেন একজন বাঙালি ধর্ম প্রচারক ও কর্তাভজা সম্প্রদায়ের আদিগুরু । কিংবদন্তি বা লোকবিশ্বাস যে, গোরাচাঁদ অর্থাৎ শ্রীচৈতন্যদেব আউলচাঁদ রূপে পুনরায় আবির্ভূত হয়েছেন । গৃহী মানুষকে বৈরাগ্য ধর্ম শেখাতে শ্রীচৈতন্য আবির্ভূত হন আউল চাঁদ ফকির হয়ে । এখানে তাই কোনো জাতিভেদ নেই ।
আউলচাঁদের জন্ম-খ্রিষ্টাব্দ নিয়ে অনেক মতভেদ । শোনা যায়, তিনি হিন্দু না মুসলমান সেটা স্পষ্টভাবে জানা যায়নি । তবে প্রচলিত লোক কাহিনী অনুযায়ী পশ্চিমবঙ্গের ২৪ পরগনা জেলার উলা গ্রামের (অনেকের মতে, নদীয়া জেলার প্রাচীন জনপদ উলা-বীরনগর) পান ক্ষেত থেকে একটি নবজাতক শিশুকে পাওয়া যায় । ক্ষেতের মালিক মহাদের বারুই ভগবানের আশীর্বাদ ভেবে তাঁকে লালন-পালন শুরু করেন । আউলচাঁদের পুরানো নাম পূর্ণচন্দ্র । সংস্কৃত ভাষা শেখানোর জন্য তাঁকে পাঠানো হয় সে-সময়কার বিখ্যাত বৈষ্ণবাচার্য হরিহরের কাছে । বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পূর্ণচন্দ্র নানা জায়গায় ঘুরে বেড়ান এবং নানাভাবে শিক্ষালাভ করেন । শেষ পর্যন্ত তিনি সিদ্ধিলাভ করেন । তাঁর নতুন নাম হয় ফকিরচাঁদ বা আউলচাঁদ । বড় হয়ে আউলচাঁদ গৃহত্যাগ করেন । বহু দেশ ঘোরার পর নদীয়া জেলার ঘোষপাড়ায় রামশরণ পাল নামে এক ধর্মপ্রাণ ব্যক্তি তাঁকে আশ্রয় দেন । আউল চাঁদের ২২জন শিষ্যের মধ্যে অন্যতম শিষ্য রামশরণ পাল । ২২জনের মধ্যে রামশরণ পাল আউলচাঁদের মৃত্যর পর গুরুপদ প্রাপ্ত হন । যারজন্য তাঁর নেতৃত্বে পশ্চিম বঙ্গের নদীয়া জেলার ঘোষপাড়ায় প্রতিষ্ঠা করেন কর্তাভজা ধর্মের অন্যতম পীঠস্থান, যা পরবর্তী সময়ে সতী মায়ের মন্দির নামে সবার কাছে পরিচিত । রামশরণ পালের স্ত্রীর নাম সরস্বতী, যার নামেই এই মন্দির—-সতী মায়ের মন্দির । কথিত আছে, সরস্বতী’র প্রথম অক্ষর “স” আর শেষ অক্ষর “তী” অনুসারে সতী । আউলচাঁদের শিষ্য রামশরণ পাল গুরুর ভাবাদর্শকে ভিত্তি করে কর্তাভজা সম্প্রদায় গড়ে তোলেন । এইজন্য ভক্তের নিকট তিনি “কর্তা” এবং তাঁর স্ত্রী সরস্বতী দেবী “কর্তামা” নামে অভিহিত । রামশরণ পালের পর সরস্বতী দেবী এই সম্প্রদায়কে নেতৃত্ব দেন । রামশরণ পালের স্ত্রী কর্তাভজা সম্প্রদায়কে দিশা দেখান । রামশরণের স্ত্রী সরস্বতী দেবী ছিলেন অতীব ধর্মপরায়ণা । শোনা যায়, আউলচাঁদ হিম সাগরের জল ও ডালিম গাছের তলার মাটির সাহায্যে সরস্বতী দেবীকে অলৌকিক উপায়ে মৃত্যের হাত থেকে বাঁচিয়েছিলেন । আরও শোনা যায়, আউলচাঁদ নাকি রামশরণ পাল ও সরস্বতী দেবীর সন্তান হয়ে পরবর্তীতে জন্ম নেন “দুলাল চাঁদ” নামে । দুলাল চাঁদ (১৭৭৬-১৮৩৩) কর্তাভজা সম্প্রদায়কে সাংগঠনিক রূপ দেন । তিনি বহু পদ রচনা করে কর্তাভজা ধর্মমতকে একটা তাত্ত্বিক কাঠামোর উপর প্রতিষ্ঠিত করেন । পদগুলি ভাব-গীত-রূপে ভক্তদের নিকট সমাদৃত । কর্তাভজারা কোনো জাতিভেদ মানেন না । তাঁরা লোভ-মোহ-কাম-ক্রোধকে নৈতিক পাপ বলে মনে করেন । সৎ পথে থেকে এবং মিথ্যা কথা পরিহার করে নৈতিকভাবে ধর্মকর্ম করা তাঁদের প্রধান লক্ষ্য । তাঁর সময়ে কর্তাভজা সম্প্রদায়ের খ্যাতি বহুদূর পর্যন্ত গড়ায় । মাত্র ৪৮ বছর বয়সে দুলাল চাঁদের মৃত্যু হয় । এরপর তাঁর মা অর্থাৎ সরস্বতী দেবী কর্তা মা বা সতীমা নামে খ্যাতিলাভ করেন ।
নদীয়া জেলার ঘোষপাড়ার রামশরণ পালের আদি ভিটেটুকু ভক্তদের কাছে অতি পবিত্র । ভিটের পাশেই ডালিম গাছ । এই গাছের নীচে যেহেতু সতীমা সিদ্ধিলাভ করেছিলেন সেইজন্য ভক্তরা ডালিম গাছের ডালে ঢিল বেঁধে মানত করেন । মনস্কামনা পূরণ হওয়ার আশায় । বাতাসা, কদমা, চিড়ে, মুড়কি দিয়ে নৈবেদ্য সাজিয়ে ভক্তদের সতীমাকে পুজো দেওয়ার রীতি । আজও সেই ট্রাডিশন অব্যাহত ।
জনশ্রুতি, শেষ বয়সে সরস্বতী দেবী সন্তানহারা হলে দোলপূর্ণিমার দিন গুরু পুজার আয়োজন করেন । সেই থেকে দোল পূর্ণিমার সূচনা । হাজার হাজার মানুষের সঙ্গে বিভিন্ন জায়গা থেকে বাউলেরা আসেন । তাই স্থানীয়ভাবে সতী মায়ের মেলাটা আউল-বাউলের মেলা বা আখড়া নামে পরিচিত ।
কর্তাভজা সম্প্রদায় মূর্তিপুজা এবং সকল প্রকার আনুষ্ঠানিক যাগযজ্ঞের বিরোধী । কর্তাভজা প্রচারক দুলাল চাঁদ রচিত ভাবের গীতে বলা হয়েছে—– “মানুষ ভজ, মানুষ চিন্ত, মানুষ কর সার, সকলি মানুষের খেলা মানুষ বই নাই আর ।“ কর্তাভজা সম্প্রদায়ের উল্লেখযোগ্য দিক হলো এখানে হিন্দু গুরুর মুসলমান শিষ্য যেমন আছেন, তেমনি আছেন মুসলমান গুরুর হিন্দু শিষ্য । এই সম্প্রদায়ে নারী পুরুষ নেতৃত্ব নিয়ে কোন প্রশ্ন তোলা হয় না । এই কারণে গুরুদেবের ভূমিকায় নারী পুরুষ উভয়কেই দেখা যায় । একই ভাবে তাঁরা বাউল সম্প্রদায়ের মতো জাতিভেদ প্রথা মানেন না । দুলাল চাঁদের ভাবের গীতে তাই বলা হচ্ছে—- “ভেদ নাই মানুষে মানুষে, খেদ কেন ভাই এদেশে ।”
সম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক উজ্জ্বল নিদর্শন দেখতে পাওয়া যায় কর্তাভজা সম্প্রদায়ে । এ-বিষয়ে কবি নবীন চন্দ্র সেনের বক্তব্য অত্যন্ত প্রনিধানযোগ্য । তাঁর মতে, “কর্তাভজা সম্প্রদায়ে কোনো জাতিভেদ নেই । সকলেই এক রন্ধনশালার পাক গ্রহণ করেন । ছোঁয়াছুয়ির দোষ এদের কাছে মুখ্য নয় । মানুষ সেবা তাঁদের মুখ্য বিবেচ্য বিষয় ।“
কর্তাভজাদের একটি উল্লেখযোগ্য দিক হলো গুরুদেবের পুত্র অযোগ্য হলে তাঁরা তাকে গুরু নির্বাচন করতে চান না । তাঁদের নিয়মাবলী নামক ভাবের গীতে এই প্রসঙ্গে অভিমত ব্যক্ত করে বলা হয়েছে কর্তাভজা সম্প্রদায়ের সাধন ভজন সম্পর্কে পর্যাপ্ত জ্ঞান রাখেন এমন ব্যক্তিই গুরুদেব হবার অধিকারী । এই জায়গায় কর্তাভজা সম্প্রদায় বর্ণবাদ এবং ব্রাহ্মণ্যবাদের কবল থেকে বেরিয়ে আসতে সমর্থ হয়েছেন ।
আজও কর্তাভজা সম্প্রদায়ের মধ্যে সতীমায়ের কৃপা পাওয়ার নিরিখে যথেষ্ট উন্মাদনা । তাঁদের মধ্যে সরল বিশ্বাস ও ভক্তি আজও উজ্জীবিত । যার জন্য দোল পূর্ণিমার দিন সতী মায়ের মেলায় হাজার হাজার ভক্তের সমাগম ঘটে । এদেশ ছাড়া বাংলাদেশ থেকেও মেলাপ্রাঙ্গনে অনেক মানুষের উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো । বাউলদের সমারোহ আলাদা মাধুর্যে ভরপুর থাকে কল্যাণীর সতী মায়ের মেলা । (তথ্যসূত্র: সংগৃহীত) ।

Share This