বিহান বেলায় পদচারণ করতে গিয়ে
রাস্তায় কত না কি দেখি কিন্তু প্রসন্নচিত্তে
অনেক কিছুই দেখা হয়ে ওঠে না-
সেদিন বাঁকা দৃষ্টিতে দেখেছিলাম আগাছার
মাঝে মুকুলিকা,
কোনদিন হয়নি সংলাপ।
হঠাৎ একদিন দেখি দিবাবসানে অর্ধবিকশিত ফুল
গেলো ঝড়ে-
কি তার কারণ?
হয়তো পড়েছিলো কুদৃষ্টি-
কেনো সেদিন দেইনি সুদৃষ্ঠি পথের ধারে অবিন্যস্ত বলে?-
পড়শিরা যদি করে কানা-কানি-
সে ভয় যে ছিলো না তা বলবো না-
ক্ষতবিক্ষত পাপড়ি অনুজ্জ্বল ক্লান্ত কাঁদায়
আছে বিশ্রামে, কারোর দয়ার অপেক্ষায়।
দেখে কি থাকা যায়? অপরিণত বুদ্ধি নৈপুণ্য নয়,
ভোজনশালায় নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি-
আসলে আকারবিশিষ্ট সম্মানি তো –
গাছের গোড়াতেই চললো তাণ্ডবলীলা
কি তার দোষ? জঞ্জালে অবস্থান বলে?
দুরবস্থা দেখে সযত্নে ধুয়ে সাজাই হৃদয় পটে,
যে যা খুশি বলুক সে থাকবে পুষ্পধারে!