Categories
রিভিউ

২০ এপ্রিল, ইতিহাসের দিকে চোখ বুলিয়ে দেখে নেব ইতিহাসের এই দিনে বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু, দিনসহ ঘটে যাওয়া ঘটনা।

আজ ২০ এপ্রিল। এক নজরে দেখে নিই ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু দিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

 

 

আজ যাদের জন্মদিন—-

১৭৬৮ – জোশুয়া মার্শম্যান ব্রিটিশ ভারতের বঙ্গে খ্রিষ্টান ধর্মপ্রচারক।

 

১৮০৮ – তৃতীয় নেপোলিয়ন, ফরাসি রাজনীতিবিদ ও ১ম প্রেসিডেন্ট।

 

১৮৪৪ – বাংলার নবজাগরণের অন্যতম ব্যক্তিত্ব দ্বারকানাথ গঙ্গোপাধ্যায়।

 

১৮৮৯ – আডলফ হিটলার, সাবেক জার্মান চ্যান্সেলর।

১৮৯৩ – জোয়ান মিরো, কাতালান স্পেনীয় চিত্রশিল্পী, ভাস্কর্যশিল্পী এবং সিরামিকান।

 

১৮৯৩ – হ্যারল্ড লয়েড, মার্কিন অভিনেতা, কৌতুকাভিনেতা ও প্রযোজক।

১৯০৫ – অগ্নিযুগের বিপ্লবী,সুভাষচন্দ্রের ঘনিষ্ঠ অনুগামী জ্যোতিষচন্দ্র জোয়ারদার।

 

১৯০৭ – মিরন বক্স, পাকিস্তানি ক্রিকেটার।

 

১৯১৪ – সাধনা বসু, বাংলা মঞ্চের ও সবাক চলচ্চিত্রের প্রথম দিকের অভিনেত্রী ও নর্তকী।

 

১৯১৮ – শওকত আলী, বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ এবং বাংলা ভাষা আন্দোলনের অন্যতম নেতা।

১৯১৮ – কাই মানে বোরিয়ে জিগবান, নোবেল পুরস্কার বিজয়ী সুইডিশ পদার্থবিদ ও শিক্ষাবিদ।

 

১৯২০ – যূথিকা রায় ভারতের বাঙালি কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পী।

১৯২৪ – নিনা ফাশ, ওলন্দাজ মার্কিন অভিনেত্রী।

১৯২৭ – কার্ল আলেকজান্ডার মুলার, নোবেল পুরস্কার বিজয়ী সুইস পদার্থবিদ ও শিক্ষাবিদ।

১৯৩৭ – জর্জ টাকেই, মার্কিন অভিনেতা।

১৯৩৯ – গ্রো হারলেম ব্রুন্ডটল্যান্ড, নরওয়েজিয়ান চিকিৎসক, রাজনীতিবিদ ও ২২ তম প্রধানমন্ত্রী।

১৯৪১ – রায়ান ওনিল, মার্কিন অভিনেতা ও সাবেক মুষ্টিযোদ্ধা।

১৯৪৫ – থিন সিন, মায়ানমার রাজনীতিবিদ ও সাবেক সামরিক কমান্ডার।

১৯৪৯ – জেসিকা ল্যাং, মার্কিন চলচ্চিত্র, মঞ্চ ও টেলিভিশন অভিনেত্রী।

 

১৯৪৯ – মাসিমো দালেমা, ইতালীয় রাজনীতিবিদ ও প্রধানমন্ত্রী।

১৯৬৪ – অ্যান্ডি সার্কিস, ইংরেজ অভিনেতা এবং পরিচালক।

১৯৬৬ – ডেভিড ফিলো, মার্কিন ব্যবসায়ী এবং ইয়াহু! এর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা।

১৯৭২ – কারমেন ইলেকট্রা, মার্কিন মডেল ও অভিনেত্রী।

১৯৭২ – যেলজক জক্সিমভিক, সার্বীয় গায়ক, গীতিকার ও প্রযোজক।

 

ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনের ঘটনাবলী—-

১৫২৬ – পানিপথের যুদ্ধে মোগলরা আফগানদের পরাভূত করে।

১৭৭০ – ব্লাক নিউ সাউথ ওয়েলস আবিষ্কার করেন।

১৮৮৯ – ফরাসী বিপ্লবের শতবর্ষ পূর্তিতে স্মারকস্তম্ভ ৯৮৫ ফুট উঁচু আইফেল টাওয়ার নির্মাণের কাজ শেষ হয়।

১৯০২ – কিউবা থেকে মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহার করে নেয়।

১৯১৯ – মন্টিনিগ্রোর রাজা নিকোলাস সিংহাসনচ্যুত।

১৯৪০ – দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ব্রিটিশ ব্রিগেডের ফ্রান্সে পদার্পণ।

১৯৪৫ – ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর বার্লিনে প্রবেশ।

১৯৪৬ – সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের বিলুপ্তি ঘোষণা করা হয়।

১৯৫৯ – নদার্ন রোডেশিয়ায় নির্বাচনে ইউনাইটেড ফেডারেল পার্টির জয়।

১৯৬৪ – লাওসে সামরিক অভ্যুত্থান ব্যর্থ।

১৯৭২ – যুক্তরাষ্ট্রের এ্যাপোলো-১৬’র নভোচারীরা নিরাপদে চাঁদে অবতরণে সফল।

১৯৭৬ – জেরুজালেমে ইসরাইল বিরোধী দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়ে।

১৯৮৬ – শ্রীলংকায় একটি বিশাল সেচ মজুদাগারে ফাটল ধরে বিরাট এলাকা জুড়ে প্লাবন । দুশতাধিক প্রাণহানি। ২০ হাজার পরিবার গৃহহীন।

১৯৯৮ – ইকুয়েডরের যাত্রীবাহী বিমান কলম্বিয়ার পার্বত্যাঞ্চলে বিধ্বস্ত হয়ে ৫৩ আরোহীর সবাই নিহত।

২০১২ – পাকিস্তানের ইসলামাবাদের কাছে বেনজির ভুট্টো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর-এর সন্নিকটে আবাসিক এলাকায় বিমান বিধ্বস্ত হয়ে ১২৭ জন নিহত হয়।

২০১৩ – চীনের সিচুয়ান প্রদেশে ৬.৬ মাত্রার ভূমিকম্পে ১৫০ জনেরও বেশি নিহত হয়।

 

এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন যারা—-

১৮৭৯ – রাজা দিগম্বর মিত্র, ডিরোজিওর অন্যতম শিষ্য, কলকাতার প্রথম শেরিফ।

 

১৯১২ – আব্রাহাম ব্রাম স্টোকার, আইরিশ বংশোদ্ভূত ইংরেজ লেখক ও ড্রাকুলারে স্রষ্টা।

১৯১৮ – কার্ল ফার্দিনান্দ ব্রাউন, নোবেল পুরস্কার বিজয়ী জার্মান বংশোদ্ভূত মার্কিন পদার্থবিদ ও শিক্ষাবিদ।

১৯৩২ – গিউসেপে পেয়ানো, ইতালীয় গণিতবিদ ও দার্শনিক।

 

১৯৫২ – সুধীরলাল চক্রবর্তী, বাংলা ভাষার সুরকার ও সঙ্গীতজ্ঞ ও সুগায়ক।

 

১৯৬০ – পান্নালাল ঘোষ ভারতের বাঙালি বংশীবাদক ও সুরকার।

১৯৯০ – পারুল মুখোপাধ্যায়, অগ্নিযুগের নারী বিপ্লবী।

১৯৯১ – ডোনাল্ড সিজেল, মার্কিন চলচ্চিত্র পরিচালক ও প্রযোজক।

১৯৯২ – বেনি হিল, ইংরেজ কৌতুকাভিনেতা, অভিনেতা ও চিত্রনাট্যকার।

১৯৯৩ – কান্টিনফ্লাস, মেক্সিক্যান অভিনেতা, প্রযোজক ও চিত্রনাট্যকার।

২০০৩ – বার্নার্ড কাট্‌স, নোবেল পুরস্কার বিজয়ী জার্মান বংশোদ্ভূত ইংরেজ পদার্থবিজ্ঞানী ও শিক্ষাবিদ।

২০১১ – জেরার্ড স্মিথ, মার্কিন গিটারবাদক।

 

২০১৯ – অমর পাল,ভারতের বাঙালি লোকসঙ্গীত শিল্পী ও লেখক।

 

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This
Categories
রিভিউ

১৯ এপ্রিল, ইতিহাসের দিকে চোখ বুলিয়ে দেখে নেব ইতিহাসের এই দিনে বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু, দিনসহ ঘটে যাওয়া ঘটনা।

আজ ১৯ এপ্রিল। এক নজরে দেখে নিই ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু দিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

 

আজ যাদের জন্মদিন—-

১৮৩২ – হোসে এচেগারাই, স্পেনীয় কবি ও নাট্যকার, নোবেল পুরস্কার বিজয়ী।

 

১৮৭৩ – সিডনি বার্নস, ইংরেজ ক্রিকেটার।

১৮৮২ – জেতুলিউ ভার্গাস, ব্রাজিলীয় উকিল এবং রাজনীতিবিদ, ব্রাজিলের ১৪তম প্রেসিডেন্ট।

 

১৯০৯ – শ্রীরামকৃষ্ণ অনুশাসনের স্বামী লোকেশ্বরানন্দ জন্ম গ্রহণ করেন।

১৯১২ – গ্লেন থিওডোর সিবোর্গ, নোবেল পুরস্কার বিজয়ী মার্কিন রসায়নবিদ।

 

১৯৩১ – ফ্রেড ব্রুক্‌স, মার্কিন সফটওয়্যার প্রকৌশলী এবং কম্পিউটার বিজ্ঞানী।

 

১৯৩৩ – ডিকি বার্ড, ক্রিকেট বিশ্বের শ্রেষ্ঠ আম্পায়ার ছিলেন।

১৯৩৩ – জায়ন ম্যান্সফিল্ড, মার্কিন মডেল ও অভিনেত্রী।

১৯৩৫ – ডুডলি মুর, ইংরেজ অভিনেতা, কৌতুক অভিনেতা এবং পিয়ানোবাদক।

১৯৪৪ – জেমস হেক্‌ম্যান, মার্কিন অর্থনীতিবিদ এবং একাডেমিক, নোবেল পুরস্কার বিজয়ী।

১৯৫৫ – পাকিস্তানের কমেডি রাজা হিসেবে পরিচিত উমর শরিফ।

 

১৯৫৭ – মুকেশ আম্বানি, ভারতীয় ব্যবসায়ী, রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান এবং বর্তমানে এশিয়ার ধনী ব্যক্তি।

১৯৬৬ – পল রেইফেল, অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার ও আম্পায়ার।

 

১৯৬৮ – আরশাদ ওয়ার্সী, ভারতীয় চলচ্চিত্র অভিনেতা।

১৯৭২ – রিভালদো, ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার।

১৯৭৫ – জেসন গিলেস্পি, অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার ও কোচ।

১৯৭৭ – অঞ্জু ববি জর্জ, ভারতীয় দীর্ঘ জাম্পার।

১৯৭৮ – জেমস ফ্র্যাঙ্কো, মার্কিন অভিনেতা, পরিচালক, প্রযোজক এবং চিত্রনাট্যকার।

১৯৭৮ – গাব্রিয়েল হাইনৎসে, আর্জেন্টিনার ফুটবলার।

১৯৭৯ – কেট হাডসন, মার্কিন অভিনেত্রী।

১৯৮১ – হেইডেন ক্রিস্টেনসেন, আমেরিকান অভিনেতা।

১৯৮৭ – জো হার্ট, ইংরেজ ফুটবলার।

১৯৮৭ – মারিয়া শারাপোভা, রুশ টেনিস খেলোয়াড়।

 

ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনের ঘটনাবলী—-

১৪৫১ – দিল্লির বাদশাহ আলম শাহ সিংহাসন ছাড়েন।

১৫৩৯ – জার্মান সম্রাট চার্লস ফ্রাঙ্কফুর্টের সঙ্গে শান্তিচুক্তি করেন।

১৭৭০ – ক্যাপ্টেন কুক অস্ট্রেলিয়া আবিষ্কার করেন।

১৭৭৫ – আমেরিকার স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু।

১৭৮২ – নেদারল্যান্ডস যুক্তরাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেয়।

১৮৩৯ – লন্ডন চুক্তির মাধ্যমে বেলজিয়ামের স্বাধীনতা লাভ।

১৯৪৮ – মায়ানমার, জাতিসংঘে যোগদান করে।

১৯৫৪ – পূর্ব পাকিস্তান সাহিত্য সম্মেলন অনুষ্ঠিত।

১৯৫৪ – পাকিস্তানের গণপরিষদ উর্দু এবং বাংলাকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হিসাবে স্বীকৃতি দেয়।

১৯৭৫ – ভারতের প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ আর্যভট্ট উৎক্ষেপন করে।

 

এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন যারা—-

১৮২৪ – লর্ড বায়রন, এ্যাংলো-স্কটিশ কবি।

১৮৬৭ – ভারতীয় পণ্ডিত ও কলকাতা হিন্দু সমাজের বিশিষ্ট নেতা স্যার রাজা রাধাকান্ত দেব বাহাদুর।

১৮৮১ – বেঞ্জামিন ডিসরেইলি, রিটিশ কনজারভেটিভ পার্টির একজন রাষ্ট্রনায়ক, যিনি দুইবার যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

১৮৮২ – চার্ল্‌স্‌ ডারউইন, ইংরেজ জীববিজ্ঞান। তিনিই প্রথম বিবর্তনবাদ এর ধারণা দেন।

১৯০৬ – পিয়ের ক্যুরি, নোবেল পুরস্কার বিজয়ী একজন ফরাসি পদার্থবিজ্ঞানী।

 

১৯১৪ – চার্লস স্যান্ডার্স পেয়ার্স, মার্কিন পদার্থবিজ্ঞানী ও দার্শনিক।

 

১৯৪৮ – তারা সুন্দরী, বাংলা রঙ্গমঞ্চের অভিনেত্রী।

 

১৯৫৮ – অনুরূপা দেবী, বাঙালি ঔপন্যাসিক।

১৯৫৮ – বিলি মেরেডিথ, ব্রিটিশ ফুটবলার।

১৯৭১ – বাঙালি কবি ও সাহিত্যিক নরেন্দ্র দেব।

১৯৭৪ – আইয়ুব খান, পাকিস্তানি সেনাপতি ও রাষ্ট্রপতি।

 

১৯৮৯ – ড্যাফনি দ্যু মারিয়েই, একজন ইংরেজ লেখিকা এবং নাট্যকার।

 

১৯৯৮ – অক্তাবিও পাজ, একজন মেক্সিকান কবি, লেখক ও কূটনীতিবিদ।

২০০৯ – জে জি ব্যালার্ড, একজন ব্রিটিশ লেখক।

 

২০১৩ – মাইক ডেনিস, স্কটল্যান্ডের ল্যানার্কশায়্যার এলাকার বেলশিলে জন্মগ্রহণকারী বিশিষ্ট আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন।

২০২১ – ওয়াল্টার মন্ডেল, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪২তম ভাইস প্রেসিডেন্ট।

২০২২ – সামিউর রহমান, বাংলাদেশের প্রথম ওয়ানডের পেসার।

 

২০২২ – মোশাররফ হোসেন, বাংলাদেশের জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার।

 

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ

ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনের অগ্রদূত অতুল্য ঘোষের অবদান।

ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের গল্প সাহস, স্থিতিস্থাপকতা এবং অনেকের অদম্য প্রচেষ্টার গল্প। অতুল্য ঘোষ এই আখ্যানের একজন প্রধান ব্যক্তিত্ব ছিলেন, একজন নির্ভীক বিপ্লবী যিনি ব্রিটিশ শাসন থেকে ভারতকে মুক্ত করতে তাঁর জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। ২৮শে আগস্ট, ১৯০৪ সালে কলকাতায় জন্মগ্রহণকারী ঘোষ শুধু স্বাধীনতা সংগ্রামীদের মধ্যে একটি নামই ছিলেন না বরং ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের একজন গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় এবং লোকসভার প্রাক্তন সদস্য ছিলেন। হিজলী ডিটেনশন ক্যাম্পে রাজনৈতিক বন্দী হিসেবে তার সময় তার প্রতিরোধ জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় চিহ্নিত করে।
ঘোষের প্রারম্ভিক বছরগুলি ক্ষতি এবং শেখার দ্বারা গঠিত হয়েছিল। তার পিতা কার্তিকচন্দ্র ঘোষ মারা যাওয়ার পর, তাকে তার মাতামহ, প্রখ্যাত বাঙালি কবি এবং সমালোচক অক্ষয়চন্দ্র সরকার লালন-পালন করেন। লালা লাজপত রায়, বাল গঙ্গাধর তিলক এবং বিপিন চন্দ্র পালের মতো বাংলার সামাজিক, রাজনৈতিক এবং সাহিত্য জগতের আলোকিত ব্যক্তিদের দ্বারা ঘন ঘন এই লালন-পালন তার আদর্শিক ভিত্তিকে গভীরভাবে প্রভাবিত করেছিল।
একটি প্রচলিত স্কুলে না পড়া সত্ত্বেও, উল্লেখযোগ্য শিক্ষকদের অধীনে ঘোষের শিক্ষা তাকে সক্রিয় জীবনের জন্য প্রস্তুত করেছিল। কৈশোরের মাঝামাঝি থেকে, তিনি কলকাতায় কংগ্রেস অফিসের সাথে যুক্ত হতে শুরু করেন, শেষ পর্যন্ত পূর্ণ হৃদয়ে রাজনৈতিক আন্দোলনে যোগ দেন। ১৯২১ সালে গান্ধীর অসহযোগ আন্দোলনে তার সম্পৃক্ততা এবং ১৯৩০ সালে মেদিনীপুরে পুলিশ-হত্যা মামলার সময় তার গ্রেপ্তার, যদিও পরে প্রমাণের অভাবে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল, স্বাধীনতা সংগ্রামে তার সক্রিয় অংশগ্রহণকে তুলে ধরে।
বীরত্ব ও দেশপ্রেমের উত্তরাধিকার রেখে অতুল্য ঘোষ ১৮ এপ্রিল, ১৯৮৬-এ মারা যান। তার জীবন ও সংগ্রাম ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনের অদম্য চেতনার প্রতিনিধিত্ব করে, দেশের স্বাধীনতার জন্য অগণিত ব্যক্তিদের ত্যাগের প্রমাণ।

Share This
Categories
রিভিউ

আজ ১৮ এপ্রিল, ইতিহাসের দিকে চোখ বুলিয়ে দেখে নেব ইতিহাসের এই দিনে বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু, দিনসহ ঘটে যাওয়া ঘটনা।

আজ ১৮ এপ্রিল। এক নজরে দেখে নিই ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু দিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

 

দিবস—–

 

(ক) বিশ্ব ঐতিহ্য দিবস।

 

আজ যাদের জন্মদিন—-

১৫৯০ – তুরস্কের চতুর্দশ সম্রাট আহমেদ।

 

১৮০৯ – হেনরি লুই ভিভিয়ান ডিরোজিও, একজন ইউরেশীয় কবি, যুক্তিবাদী চিন্তাবিদ ও শিক্ষক।

১৮৪৭ – হের্মান অস্ট্‌হফ, জার্মান ভাষাবিজ্ঞানী।

 

১৮৮৮ – ভারতীয় বাঙালি সাহিত্যিক ও গীতিকার হেমেন্দ্রকুমার রায়।

১৯২৬ – ডগ ইনসোল, বিখ্যাত ইংরেজ ক্রিকেটার।

 

১৯২৭ – স্যামুয়েল পি. হান্টিংটন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একজন প্রসিদ্ধ রাষ্ট্রবিজ্ঞানী।

 

১৯৫৮ – ম্যালকম মার্শাল, বার্বাডোসে জন্মগ্রহণকারী ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটার।

 

১৯৬৩ – ফিল সিমন্স, ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাবেক ক্রিকেটার।

 

১৯৬৭ – মারিয়া বেলো, মার্কিন অভিনেত্রী ও লেখিকা।

১৯৭০ – সাদ হারিরি, সৌদি লেবালনীয় রাজনীতিবিদ এবং ২০১৬ থেকে লেবালনের প্রধানমন্ত্রী।

১৯৯০ – অয়েচিখ শ্চেজনি, পোল্যান্ডের পেশাদার ফুটবলার।

১৯৯৫ – ডিভোক ওরিগি, বেলজীয় পেশাদার ফুটবলার।

 

ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনের ঘটনাবলী—-

১০২৫ – বলেস্ল ক্রব্রি পোলান্ডের রাজা হিসেবে অভিষিক্ত হন।

১৫৫২ – মরিশাস লিঞ্জ দখল করে।

১৭৫৭ – অস্ট্রিয়া ও ফ্রান্স যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে।

১৮৫৩ – এশিয়ায় প্রথম ট্রেন চালু হয়।

১৯৩০ – ব্রিটিশবিরোধী সশস্ত্র সংগ্রামে অংশ নিয়ে মাস্টারদা সূর্য সেনের নেতৃত্বে বিপ্লবীরা চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার দখল করে।

১৯৪৬ – আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালত, নেদারল্যান্ডের হেগ শহরে উদ্বোধনী বৈঠকে বসে।

১৯৪৬ – জেনিভাতে লীগ অব নেশনসএর শেষ অধিবেশন অনুষ্ঠিত গঠিত হয়।

১৯৫৪ – জামাল আব্দেল নাসের, মিশরের ক্ষমতা দখল করে।

১৯৫৫ – ইন্দোনেশিয়ায় আফ্রিকা ও এশিয়ার ২৯টি দেশের প্রতিনিধিদের অংশ গ্রহণে প্রথম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল।

১৯৭১ – কলকাতায় বাংলাদেশ মিশনে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন।

১৯৭৫ – কম্বোডিয়া সাম্রাজ্যবাদী বিদেশীদের কবল থেকে মুক্ত হয়।

১৯৮০ – জিম্বাবুইয়ে স্বাধীনতা লাভ করে।

১৯৯৬ – ইহুদীবাদী ইসরাইলের জঙ্গীবিমান দক্ষিণ লেবাননের কানা গ্রামে অবস্থিত জাতিসঙ্ঘের শান্তিরক্ষী বাহিনীর ঘাঁটিতে ভয়াবহ হামলা চালায়।

 

এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন যারা—-

১৮০২ – ইরাসমাস ডারউইন, ইংরেজ চিকিৎসক, প্রাকৃতিক দার্শনিক, চিকিৎসা বিজ্ঞান, উদ্ভাবক এবং কবি।

 

১৮৮৯ – সাহিত্যিক সঞ্জীবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়।

 

১৮৯৯ – ব্রিটিশ বিরোধী মুক্তিযোদ্ধা, বিপ্লবী শহীদ দামোদর হরি চাপেকার।

 

১৯৪৮ – সতীশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়, ভারতে জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার পথিকৃৎ।

 

১৯৫৫ – আলবার্ট আইনস্টাইন, নোবেল পুরস্কার বিজয়ী মার্কিন পদার্থ বিজ্ঞানী।

 

১৯৫৯ – বিপ্লবী বারীন্দ্রকুমার ঘোষের মৃত্যু।

১৯৬৩ – ভারতীয় বাঙালি সাহিত্যিক ও গীতিকার হেমেন্দ্রকুমার রায় পরলোকগমন করেন।

 

১৯৮১ – নির্মলেন্দু চৌধুরী, প্রখ্যাত সুরকার, গীতিকার ও লোকগীতি শিল্পী – বাংলার লোকসঙ্গীতের প্রসারে ও প্রচারে যাঁর অবদান অসীম।

 

১৯৮৬ – অতুল্য ঘোষ, ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন ব্যক্তিত্ব, ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের নেতা, লোকসভার প্রাক্তন সদস্য।

২০০৩ – এডগার কড, ইংরেজ কম্পিউটার বিজ্ঞানী।

২০১১ – চলচ্চিত্র বিশেষজ্ঞ সৈয়দ বজলে হোসেন কিরমানী।

২০১২ – এম এন আখতার – বাংলাদেশের প্রখ্যাত গীতিকার, সুরকার ও শিল্পী।

 

২০১৮ – ব্রুনো সামারটিনো, আমেরিকান পেশাদার কুস্তিগির।

২০২১ – একুশে পদকপ্রাপ্ত অভিনয়শিল্পী, নাট্যশিক্ষক এস এম মহসীন।

 

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ

আন্তঃসাংস্কৃতিক ঐক্য এবং সম্প্রীতি: বিশ্ব ঐতিহ্য দিবসের অনুষ্ঠান সমূহ।

প্রতি বছর ১৮ এপ্রিল, জাতিসংঘ মানব ঐতিহ্য সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে এবং এটি করার জন্য প্রয়াসী সংস্থাগুলির কৃতিত্বকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য বিশ্ব ঐতিহ্য দিবস পালন করে।  আপনি সকলেই জানেন যে ঐতিহাসিক স্থাপনা এবং স্মৃতিস্তম্ভগুলি আমাদের এবং বাকি বিশ্বের জন্য একটি মূল্যবান সম্পদ।
তাই বিশ্ব ঐতিহ্য দিবস হল একটি বৈশ্বিক সম্প্রদায়ের প্রচেষ্টা এবং তাদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে সহযোগিতামূলক পদ্ধতিতে সংরক্ষণ করার জন্য যা যা করা দরকার তাই করুন।  বিশ্ব ঐতিহ্য দিবস আমাদের ঐতিহ্যবাহী ঐতিহ্যকে রক্ষা ও রক্ষা করার একটি সুযোগ প্রদান করে, যার একটি দীর্ঘ এবং বর্ণাঢ্য ইতিহাস রয়েছে।  এগুলোর সত্যিই মূল্যবান বৈশ্বিক তাৎপর্য রয়েছে।
বিশ্ব ঐতিহ্য দিবসের গুরুত্ব—–
ছুটির লক্ষ্য হল সাধারণ মানুষের জীবনে সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের মূল্য সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা।  এছাড়াও, এটি সংরক্ষণের প্রচেষ্টার অংশ হিসাবে সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যের সংবেদনশীলতা এবং দুর্বলতা সম্পর্কে জ্ঞান বাড়ানোর উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে।  বিশ্ব ঐতিহ্য দিবসের লক্ষ্য হল একে অপরের সংস্কৃতি, ইতিহাস এবং রীতিনীতি সম্পর্কে জানার জন্য সারা বিশ্বের মানুষকে একত্রিত করা।
ফলস্বরূপ, এটি বিভিন্ন সাংস্কৃতিক পটভূমির ব্যক্তিদের মধ্যে যোগাযোগ উন্নত করে এবং অবশেষে সহাবস্থানকে উৎসাহিত করে।  ভ্রমণ এবং ঐতিহাসিক উত্সাহীরা সারা বিশ্ব জুড়ে ICOMOS এবং UNESCO দ্বারা আয়োজিত জাঁকজমকপূর্ণ উত্সবে অংশ নিতে পারে।  যদিও আগের বছরে, করোনা ভাইরাস বন্ধের কারণে বিশ্ব থমকে গিয়েছিল।
বিশ্ব ঐতিহ্য দিবসের থিম ২০২৪—-
২০২৪ সালের বিশ্ব ঐতিহ্য দিবসের থিম “আবিষ্কার এবং বৈচিত্র্যের অভিজ্ঞতা”।
আমাদের অতীতে কিছুই সূর্যালোক এবং রংধনু ছিল না.  কিছু ঘটনা সত্যিই জঘন্য ছিল, এবং সম্ভবত সেগুলি ভুলে যাওয়াই ভাল।  যদিও একটি গোষ্ঠীর কিছু লোক জিনিসগুলি একভাবে দেখতে পারে, অন্যরা জিনিসগুলিকে ভিন্ন আলোতে দেখতে পারে।  একটি বিভাজনকারী সমস্যা হতে পারে তার প্রতীক হিসাবে পরিবেশন করার জন্য একটি স্মৃতিস্তম্ভ তৈরি করা হয়েছে।
দীর্ঘকাল ধরে চলতে থাকা আলোচনাগুলি নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গি প্রদান করতে পারে, যা আগামীকালকে আরও স্থিতিশীল, সমৃদ্ধ এবং বৈচিত্র্যময় করার রাস্তা তৈরি করতে পারে।
বিশ্ব ঐতিহ্য দিবস ২০২৪ : ভারতীয় ঐতিহ্যবাহী স্থান—–
এটা কি সত্য যে আমাদের দেশে ৩৬৯১টি সুরক্ষিত স্থাপনা এবং সাইট রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে ইউনেস্কোর তত্ত্বাবধানে বিশ্ব ঐতিহ্যের স্থান, সেইসাথে 50টি সাইট এবং জাদুঘর।  হাম্পি, তাজমহল, রাজস্থানের পার্বত্য দুর্গ, অজন্তা এবং ইলোরা গুহা, রণ কি ভাভ, সাঁচি, সূর্য মন্দির, এবং তালিকাটি অব্যাহত রয়েছে, সমস্ত দেশের সাংস্কৃতিক বিশ্ব ঐতিহ্যের উদাহরণ।
নন্দা দেবী জাতীয় উদ্যান, ফুলের উপত্যকা জাতীয় উদ্যান, কাজিরাঙ্গা বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য, পশ্চিমঘাট জাতীয় উদ্যান, সুন্দরবন জাতীয় উদ্যান এবং অন্যান্য প্রাকৃতিক ঐতিহ্যবাহী স্থানগুলি ভারতের জাতীয় উদ্যানগুলির মধ্যে রয়েছে।  উত্তরপ্রদেশে সর্বাধিক সংখ্যক সংরক্ষিত এলাকা রয়েছে (৭৪৫), কর্ণাটক 506টি সাইটের সাথে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে।
যা ঘটেছিল তার একটি অন্ধকার গল্প এখন বলা হচ্ছে দেশের সেরা সাংস্কৃতিক ভান্ডারের কিছু খালি অংশ, যা দীর্ঘদিন ধরে জাতীয় গর্ব এবং বিস্ময়ের উৎস।  অনন্য করোনভাইরাস শাটডাউনের ফলে অদ্ভুত নিস্তব্ধতা ঘটেছে যা এই ঐতিহাসিক স্থানগুলির সাথে থাকা ব্যস্ত কার্যকলাপকে প্রতিস্থাপন করেছে।
18ই এপ্রিল, ২০২৪-এ, বিশ্ব ঐতিহ্য দিবস উদযাপন করে UNESCO-এর হেরিটেজ তালিকা দ্বারা স্বীকৃত উল্লেখযোগ্য সাংস্কৃতিক ও প্রাকৃতিক স্থানগুলি।  এই বৈশ্বিক ইভেন্টটি থিমের প্রতিফলনকে উদ্বুদ্ধ করে এবং এই অমূল্য সম্পদের সাথে জড়িত থাকার জন্য উৎসাহিত করে।  এটি ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য এই সাইটগুলিকে সংরক্ষণ ও সুরক্ষিত করার তাত্পর্যকে স্বীকৃতি দেওয়ার একটি উপলক্ষ, তাদের সৌন্দর্য, ঐতিহাসিক গুরুত্ব এবং বিশ্বব্যাপী সাংস্কৃতিক তাত্পর্যের জন্য উপলব্ধি বৃদ্ধি করা।
।। তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ

হিমোফিলিয়া : এক বিরল রক্তপাতজনিত ব্যাধির সাথে লড়াইয়ে বিশ্বের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা।

ওয়ার্ল্ড হিমোফিলিয়া দিবস হল একটি বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্যসেবা অনুষ্ঠান প্রতি বছর ১৭ এপ্রিল উদযাপিত হয়, যা বিশ্ব ফেডারেশন অফ হিমোফিলিয়া (WHF) দ্বারা শুরু হয়েছিল একটি উন্নত চিকিত্সা এবং যত্নের ব্যবস্থা করার জন্য সরকারী কর্তৃপক্ষ এবং স্থানীয় নীতিনির্ধারকদের প্রতি আহ্বান জানানোর অভিপ্রায়ে।  হিমোফিলিয়ার সাথে আরও ভাল নিয়ন্ত্রণ এবং প্রতিরোধ প্রচার করার পাশাপাশি।

একটি বিরল গুরুতর, উত্তরাধিকারসূত্রে প্রাপ্ত হেমোরেজিক ডিসঅর্ডার, হিমোফিলিয়া ফ্যাক্টর VIII এবং ফ্যাক্টর IX প্রোটিন (রক্ত জমাট বাঁধার জন্য প্রয়োজনীয় উপাদান) এর ত্রুটির কারণে ঘটে, যা রক্ত ​​জমাট বাঁধার অস্বাভাবিকতার দিকে পরিচালিত করে।  যদিও সমস্ত জাতি এবং জাতিসত্তার লোকেদের হিমোফিলিয়া নির্ণয় করা যেতে পারে, তবে পুরুষদের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি কারণ এই রোগটি X ক্রোমোজোমের সাথে যুক্ত।  ৫০% সম্ভাবনা রয়েছে যে একটি ছেলে যার মা হিমোফিলিয়া জিন বহন করে সেও হিমোফিলিয়ায় আক্রান্ত হবে এবং তার মেয়ের বাহক হওয়ার ঝুঁকি ৫০%।  তাই, পুরুষদের মধ্যে হিমোফিলিয়া বেশি দেখা যায়, যদিও এটি মহিলাদের প্রভাবিত করতে পারে যা মাসিক এবং সন্তান জন্মদানে অসুবিধা সৃষ্টি করে।

 

বিশ্ব হিমোফিলিয়া দিবস ২০২৪ থিম—

 

এই বছর ২০২৪, বিশ্ব হিমোফিলিয়া দিবসের থিম হল “সবার জন্য ন্যায়সঙ্গত অ্যাক্সেস: সমস্ত রক্তপাতের ব্যাধিকে স্বীকৃতি দেওয়া”। “Equitable access for all: recognizing all bleeding disorders”. এই থিমটি সকলের জন্য চিকিত্সার উপর জোর দেয় এবং এমন একটি সমাজকে কল্পনা করে যেখানে উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত রক্তপাতজনিত ব্যাধিতে আক্রান্ত প্রতিটি ব্যক্তির যত্নের অ্যাক্সেস রয়েছে, তাদের রক্তপাতের অবস্থা, লিঙ্গ, বয়স বা অবস্থান নির্বিশেষে।

 

বিশ্ব হিমোফিলিয়া দিবসের গুরুত্ব—–

 

২০০০ সালে, এটি অনুমান করা হয়েছিল যে বিশ্বব্যাপী ৪ লক্ষ ব্যক্তি, বা ১০০০০ জীবিত জন্মের মধ্যে ১ জন, এই ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়েছিল এবং আক্রান্তদের মধ্যে মাত্র ২৫% পর্যাপ্ত চিকিত্সার অ্যাক্সেস পেয়েছিল।  ২০১৯ সালে, তবে, একটি মেটা-বিশ্লেষণে দেখা গেছে যে উত্তরাধিকারসূত্রে রক্তপাতের অবস্থার সাথে পুরুষদের সংখ্যা অনেক বেশি, ১১.২৫ লাখ।

এমনকি উচ্চ আয়ের দেশগুলিতে, বিশ্ব জনসংখ্যার মাত্র ১৫%, হিমোফিলিয়ার জন্য কার্যকর চিকিত্সার অ্যাক্সেস রয়েছে।  রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসার জন্য সম্পদের অভাব নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলিতে উচ্চ মৃত্যুহার এবং অসুস্থতার হারের দিকে পরিচালিত করে।

এই বছর, বিশ্ব হিমোফিলিয়া দিবস তার ৩১ তম বার্ষিকী উদযাপন করে যা রক্তক্ষরণজনিত ব্যাধিতে আক্রান্ত ব্যক্তিদের রক্তপাতের উন্নত চিকিত্সা, প্রতিরোধ এবং নিয়ন্ত্রণের জন্য সরকার এবং নীতিনির্ধারকদের সহায়তা করার জন্য জনসাধারণকে উত্সাহিত করার উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে৷

 

বিশ্ব হিমোফিলিয়া দিবসের ইতিহাস— 

 

ওয়ার্ল্ড হিমোফিলিয়া দিবস প্রথম পালিত হয় ১৭ এপ্রিল ১৯৮৯, ওয়ার্ল্ড ফেডারেশন অফ হিমোফিলিয়া (WFH) দ্বারা WFH এর প্রতিষ্ঠাতা ফ্রাঙ্ক স্নাবেলের জন্মদিনকে সম্মান জানাতে।  হিমোফিলিয়া ১০ শতক পর্যন্ত আবিষ্কৃত হয়নি, যখন লোকেরা আপাতদৃষ্টিতে ছোট দুর্ঘটনার কারণে পুরুষের মৃত্যুর অসম সংখ্যার দিকে মনোযোগ দিতে শুরু করেছিল।  এই অবস্থাটিকে সেই সময়ে আবুলকেসিস হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছিল।  তবে, প্রযুক্তিগত সীমাবদ্ধতার কারণে এটি চিকিত্সা করা যায়নি।  একটি অ্যান্টিকোয়াগুল্যান্ট সাধারণত একটি রোগের চিকিত্সার জন্য ব্যবহৃত হত যা সেই সময়ে রাজপরিবারের মধ্যে ব্যাপক ছিল;  যাইহোক, অ্যান্টিকোয়াগুল্যান্ট রক্তকে পাতলা করে এবং অবস্থাকে আরও খারাপ করে।

১৮০৩ সালে, ফিলাডেলফিয়ার ডাঃ জন কনরাড অটো “ব্লিডার্স” নিয়ে গবেষণা শুরু করেন, যিনি শেষ পর্যন্ত এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছিলেন যে এই রোগটি মা থেকে ছেলেদের মধ্যে চলে গেছে।  ১৯৩৭ সালে, হিমোফিলিয়াকে টাইপ A বা B জেনেটিক ডিসঅর্ডার হিসাবে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়েছিল।  যাইহোক, এখনও পর্যন্ত কার্যকর চিকিত্সার বিকাশ ঘটেনি।

 

।। তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ

বিশিষ্ট বাঙালি নাট্যকার ও অভিনেতা অমৃতলাল বসু র জন্মদিবসে শ্রদ্ধাঞ্জলি।

ব্রিটিশ যুগের একজন বিশিষ্ট বাঙালি নাট্যকার ও অভিনেতা অমৃতলাল বসু ১৮৫৩ সালের ১৭ এপ্রিল কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি নাটক রচনা এবং অভিনয়ের ক্ষেত্রে ব্যাপক প্রশংসা অর্জন করেছিলেন, তাঁর অবদানের জন্য তিনি “রসরাজ” নামে পরিচিত। গিরিশচন্দ্র ঘোষ এবং অর্ধেন্দুশেখর মুস্তাফির কাছ থেকে উৎসাহ পেয়ে বসু ন্যাশনাল, গ্রেট ন্যাশনাল, গ্রেট ন্যাশনাল অপেরা কোম্পানি, বেঙ্গল, স্টার এবং মিনার্ভার মতো মঞ্চে উজ্জ্বল হয়েছিলেন। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় তাঁকে জগত্তারিণী পদক দিয়ে সম্মানিত করে, তাঁর অসাধারণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ। তাঁর বোন, চন্দ্রমুখী বোস, একজন উল্লেখযোগ্য শিক্ষাবিদ এবং প্রথম বাঙালি মহিলা যিনি এমএ অর্জন করেছিলেন

 

বোসের শিক্ষাগত যাত্রা শুরু হয় কলকাতার কম্বুলিয়া টোলা বঙ্গ বিদ্যালয়ে, তারপরে হিন্দু স্কুলে একটি সংক্ষিপ্ত সময় কাটে। ১৮৬৯ সালে, তিনি সাধারণ পরিষদের ইনস্টিটিউশন থেকে প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। তিনি কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে দুই বছর চিকিৎসা নিয়ে পড়াশোনা করেন এবং পরে বারাণসীতে হোমিওপ্যাথি অধ্যয়ন করেন।

 

হোমিওপ্যাথিতে একটি সংক্ষিপ্ত কর্মকালের পর, বোস পোর্ট ব্লেয়ারে একজন সরকারী ডাক্তার হিসাবে কাজ করেন এবং অল্প সময়ের জন্য পুলিশ বিভাগে কাজ করেন। ১৮৭২ সালের ৭ ডিসেম্বর তিনি জোড়াসাঁকোতে মধুসূদন সান্যালের বাড়িতে “নীল দর্পণ”-এ অভিনয় করেন। তার সমগ্র কর্মজীবন জুড়ে, তিনি মর্যাদাপূর্ণ থিয়েটারে অভিনয় করেছেন এবং চল্লিশটি বই লিখেছেন, যার মধ্যে চৌত্রিশটি নাটক রয়েছে। উল্লেখযোগ্য কাজের মধ্যে রয়েছে “তরুলতা” (১৮৯১), “বিমতা” বা “বিজয় বসন্ত” (১৮৯৩), “হরিশচন্দ্র” (১৮৯৯), এবং “আদর্শবন্ধু” (১৯০০)। ব্যঙ্গে তার দক্ষতা থাকা সত্ত্বেও, তার কাজগুলি মাঝে মাঝে রক্ষণশীলতা প্রদর্শন করে, নারী শিক্ষা এবং স্বাধীনতাকে উপহাস করে এবং নিম্নবর্ণের ইংরেজি শিক্ষা এবং সামাজিক সংস্কারকে উপহাস করে।

 

তার ব্যঙ্গাত্মক এবং হাস্যরসাত্মক নাট্য রচনার জন্য, বসুকে জনগণ “রসরাজ” বলে অভিহিত করেছিল। তিনি একটি নাটক পরিচালনা করার জন্য আইনি প্রতিক্রিয়ার সম্মুখীন হন যা ইংল্যান্ডের যুবরাজের সফরের জন্য আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানকে উপহাস করে, যার ফলে ১৮৭৬ সালে নাট্য পরিবেশনা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য একটি আইন প্রণয়ন করা হয়।

 

 

উল্লেখযোগ্য নাটক—–

 

তার রচিত গ্রন্থের সংখ্যা চল্লিশ এবং তার মধ্যে নাটক চৌত্রিশ। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্যঃ

তিলতর্পণ, বিবাহবিভ্রাট, তরুলতা, খাসদখল, ব্যাপিকা বিদায়, বিমাতা বা বিজয়বসন্ত, হরিশচন্দ্র, আদর্শ বন্ধু প্রভৃতি।

প্রহসন রচনায় অত্যন্ত পারদর্শী ছিলেন। তার কয়েকটি প্রহসনের নাম:

তাজ্জব ব্যাপার, কালাপানি,, বাবু, একাকার, চোরের উপর বাটপারি, তিলতর্পণ, ডিসমিস, চাটুজ্যে ও বাঁড়ুজ্যে।

 

২রা জুলাই, ১৯২৯ সালে তিনি প্রয়াত হন।

 

।। তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ

হিমোফিলিয়া দিবসের ইতিহাস ও আজকের অগ্রগতি: একটি দীর্ঘমেয়াদী সংগ্রামের কাহিনি।

ওয়ার্ল্ড হিমোফিলিয়া দিবস হল একটি বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্যসেবা অনুষ্ঠান প্রতি বছর ১৭ এপ্রিল উদযাপিত হয়, যা বিশ্ব ফেডারেশন অফ হিমোফিলিয়া (WHF) দ্বারা শুরু হয়েছিল একটি উন্নত চিকিত্সা এবং যত্নের ব্যবস্থা করার জন্য সরকারী কর্তৃপক্ষ এবং স্থানীয় নীতিনির্ধারকদের প্রতি আহ্বান জানানোর অভিপ্রায়ে।  হিমোফিলিয়ার সাথে আরও ভাল নিয়ন্ত্রণ এবং প্রতিরোধ প্রচার করার পাশাপাশি।

একটি বিরল গুরুতর, উত্তরাধিকারসূত্রে প্রাপ্ত হেমোরেজিক ডিসঅর্ডার, হিমোফিলিয়া ফ্যাক্টর VIII এবং ফ্যাক্টর IX প্রোটিন (রক্ত জমাট বাঁধার জন্য প্রয়োজনীয় উপাদান) এর ত্রুটির কারণে ঘটে, যা রক্ত ​​জমাট বাঁধার অস্বাভাবিকতার দিকে পরিচালিত করে।  যদিও সমস্ত জাতি এবং জাতিসত্তার লোকেদের হিমোফিলিয়া নির্ণয় করা যেতে পারে, তবে পুরুষদের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি কারণ এই রোগটি X ক্রোমোজোমের সাথে যুক্ত।  ৫০% সম্ভাবনা রয়েছে যে একটি ছেলে যার মা হিমোফিলিয়া জিন বহন করে সেও হিমোফিলিয়ায় আক্রান্ত হবে এবং তার মেয়ের বাহক হওয়ার ঝুঁকি ৫০%।  তাই, পুরুষদের মধ্যে হিমোফিলিয়া বেশি দেখা যায়, যদিও এটি মহিলাদের প্রভাবিত করতে পারে যা মাসিক এবং সন্তান জন্মদানে অসুবিধা সৃষ্টি করে।

 

বিশ্ব হিমোফিলিয়া দিবস ২০২৪ থিম—

 

এই বছর ২০২৪, বিশ্ব হিমোফিলিয়া দিবসের থিম হল “সবার জন্য ন্যায়সঙ্গত অ্যাক্সেস: সমস্ত রক্তপাতের ব্যাধিকে স্বীকৃতি দেওয়া”। “Equitable access for all: recognizing all bleeding disorders”. এই থিমটি সকলের জন্য চিকিত্সার উপর জোর দেয় এবং এমন একটি সমাজকে কল্পনা করে যেখানে উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত রক্তপাতজনিত ব্যাধিতে আক্রান্ত প্রতিটি ব্যক্তির যত্নের অ্যাক্সেস রয়েছে, তাদের রক্তপাতের অবস্থা, লিঙ্গ, বয়স বা অবস্থান নির্বিশেষে।

 

বিশ্ব হিমোফিলিয়া দিবসের গুরুত্ব—–

 

২০০০ সালে, এটি অনুমান করা হয়েছিল যে বিশ্বব্যাপী ৪ লক্ষ ব্যক্তি, বা ১০০০০ জীবিত জন্মের মধ্যে ১ জন, এই ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়েছিল এবং আক্রান্তদের মধ্যে মাত্র ২৫% পর্যাপ্ত চিকিত্সার অ্যাক্সেস পেয়েছিল।  ২০১৯ সালে, তবে, একটি মেটা-বিশ্লেষণে দেখা গেছে যে উত্তরাধিকারসূত্রে রক্তপাতের অবস্থার সাথে পুরুষদের সংখ্যা অনেক বেশি, ১১.২৫ লাখ।

এমনকি উচ্চ আয়ের দেশগুলিতে, বিশ্ব জনসংখ্যার মাত্র ১৫%, হিমোফিলিয়ার জন্য কার্যকর চিকিত্সার অ্যাক্সেস রয়েছে।  রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসার জন্য সম্পদের অভাব নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলিতে উচ্চ মৃত্যুহার এবং অসুস্থতার হারের দিকে পরিচালিত করে।

এই বছর, বিশ্ব হিমোফিলিয়া দিবস তার ৩১ তম বার্ষিকী উদযাপন করে যা রক্তক্ষরণজনিত ব্যাধিতে আক্রান্ত ব্যক্তিদের রক্তপাতের উন্নত চিকিত্সা, প্রতিরোধ এবং নিয়ন্ত্রণের জন্য সরকার এবং নীতিনির্ধারকদের সহায়তা করার জন্য জনসাধারণকে উত্সাহিত করার উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে৷

 

বিশ্ব হিমোফিলিয়া দিবসের ইতিহাস— 

 

ওয়ার্ল্ড হিমোফিলিয়া দিবস প্রথম পালিত হয় ১৭ এপ্রিল ১৯৮৯, ওয়ার্ল্ড ফেডারেশন অফ হিমোফিলিয়া (WFH) দ্বারা WFH এর প্রতিষ্ঠাতা ফ্রাঙ্ক স্নাবেলের জন্মদিনকে সম্মান জানাতে।  হিমোফিলিয়া ১০ শতক পর্যন্ত আবিষ্কৃত হয়নি, যখন লোকেরা আপাতদৃষ্টিতে ছোট দুর্ঘটনার কারণে পুরুষের মৃত্যুর অসম সংখ্যার দিকে মনোযোগ দিতে শুরু করেছিল।  এই অবস্থাটিকে সেই সময়ে আবুলকেসিস হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছিল।  তবে, প্রযুক্তিগত সীমাবদ্ধতার কারণে এটি চিকিত্সা করা যায়নি।  একটি অ্যান্টিকোয়াগুল্যান্ট সাধারণত একটি রোগের চিকিত্সার জন্য ব্যবহৃত হত যা সেই সময়ে রাজপরিবারের মধ্যে ব্যাপক ছিল;  যাইহোক, অ্যান্টিকোয়াগুল্যান্ট রক্তকে পাতলা করে এবং অবস্থাকে আরও খারাপ করে।

১৮০৩ সালে, ফিলাডেলফিয়ার ডাঃ জন কনরাড অটো “ব্লিডার্স” নিয়ে গবেষণা শুরু করেন, যিনি শেষ পর্যন্ত এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছিলেন যে এই রোগটি মা থেকে ছেলেদের মধ্যে চলে গেছে।  ১৯৩৭ সালে, হিমোফিলিয়াকে টাইপ A বা B জেনেটিক ডিসঅর্ডার হিসাবে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়েছিল।  যাইহোক, এখনও পর্যন্ত কার্যকর চিকিত্সার বিকাশ ঘটেনি।

 

।। তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।

Share This
Categories
রিভিউ

আজ ১৭ এপ্রিল, ইতিহাসের দিকে চোখ বুলিয়ে দেখে নেব ইতিহাসের এই দিনে বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু, দিনসহ ঘটে যাওয়া ঘটনা।

আজ ১৭ এপ্রিল। এক নজরে দেখে নিই ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু দিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

 

দিবস—–

 

(ক)  মুজিবনগর দিবস, বাংলাদেশ।

(খ) বিশ্ব হিমোফিলিয়া (একটি বিলম্বিত রক্তক্ষরণ জনিতরোগ) দিবস।

 

আজ যাদের জন্মদিন—-

১৮৩৮ – হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়, উনিশ শতকের বাঙালি কবি।

 

১৮৫৩ – রসরাজ অমৃতলাল বসু, বাঙালি নাট্যকার ও নাট্য অভিনেতা।

১৮৮২ – রবার্ট মরিসন ম্যাকাইভার, স্কটীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন সমাজবিজ্ঞানী।

১৮৯৭ – থর্নটন ওয়াইল্ডার, আমেরিকান ঔপন্যাসিক ও নাট্যকার।

১৯১৫ – সিরিমা রাতওয়াত ডায়াস বন্দরনায়েকে, শ্রীলংকান রাজনীতিবিদ ও ৬ষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী।

 

১৯১৬ – সিরিমাভো বন্দরনায়েকে, শ্রীলঙ্কার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী।

 

১৯১৮ – (ক)  সুনীল জানা, আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ভারতীয় বাঙালি ফটো সাংবাদিক।

(খ) উইলিয়াম হোল্ডেন, মার্কিন অভিনেতা।

১৯২৩ – লিন্‌জি অ্যান্ডারসন, ভারতীয় বংশোদ্ভূত ইংরেজ অভিনেতা, পরিচালক ও চিত্রনাট্যকার।

 

১৯৫৯ – শন বিন, ইংরেজ অভিনেতা।

১৯৭২ – মুত্তিয়া মুরালিধরন, শ্রীলঙ্কান ক্রিকেট খেলোয়াড়।

 

১৯৭২ – জেনিফার গার্নার, মার্কিন অভিনেত্রী ও চলচ্চিত্র প্রযোজক।

 

১৯৭২ – ইয়ুইচি নিশিমুরা, জাপানি সাবেক ফুটবলার ও রেফারি।

১৯৭৪ – ভিক্টোরিয়া বেকহ্যাম, ইংরেজ গায়িকা, অভিনেত্রী ও ফ্যাশন ডিজাইনার।

 

১৯৮৫ – রুনি মেয়ারা, মার্কিন অভিনেত্রী।

 

ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনের ঘটনাবলী—-

১৪৯২ – ক্রিস্টোফার কলম্বাস স্পেনের সঙ্গে ভারতীয় দ্বীপপুঞ্জ খোঁজার চুক্তি করেন।

১৬২৯ – প্রথম বাণিজ্যিক মাছের খামার চালু হয়।

১৭৮১ – ওয়ারেন হেস্টিংস কলকাতায় প্রথম মাদ্রাসা স্থাপন করেন।

১৮৩৯ – গুয়াতেমালা প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়।

১৮৯৪ – রুশ জননেতা ও সোভিয়েত প্রধানমন্ত্রী নিকিতা ক্রুশ্চেভের জন্ম।

১৮৯৯ – এই দিনে কলকাতায় প্রথম বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয়।

১৯১৫ – এক যুদ্ধে বিশ্বে প্রথমবারের মত শ্বাসরোধক গ্যাস ব্যবহৃত হয়।

১৯২০ – আমেরিকান প্রফেশনাল ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন গঠিত হয়।

১৯৪১ – ব্রিটিশ সেনাবাহিনী ইরাকে প্রবেশ করে।

১৯৪৬ – ফরাসি দখলদারিত্ব থেকে সিরিয়ার স্বাধীনতা লাভ।

১৯৫৩ – কম্বোডিয়া ফরাসীদের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভ করে।

১৯৭১ – কুষ্টিয়া জেলার (বর্তমানে মেহেরপুর জেলা) বৈদ্যনাথতলার (বর্তমানে মুজিবনগর) আম্রকাননে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকার শপথ গ্রহণ করে।

১৯৭৫ – কম্বোডিয়ান গৃহযুদ্ধের অবসান, খেমার রুজ রাজধানী নমপেন থেকে আটক হয়।

 

এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন যারা—-

১৮৯২ – আলেকজান্ডার ম্যাকেঞ্জি, স্কটিশ বংশোদ্ভূত কানাডিয়ান সাংবাদিক ও রাজনীতিবিদ ও ২য় প্রধানমন্ত্রী।

১৯২৯ – সৈয়দ নওয়াব আলী চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম প্রধান প্রতিষ্ঠাতা।

১৯৪২ – জঁ-বাতিস্ত পেরাঁ, নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ফরাসি বংশোদ্ভূত মার্কিন পদার্থবিজ্ঞানী ও রসায়নবিদ।

 

১৯৬১ – বিমলচন্দ্র সিংহ, সংস্কৃত সাহিত্য দর্শনশাস্ত্রে ও ফরাসি ভাষার সুপণ্ডিত ও চিন্তাশীল লেখক।

 

১৯৭১ – গোলাম মোস্তফা, বাংলাদেশের একজন রাষ্ট্রীয় তালিকাভুক্ত শহীদ বুদ্ধিজীবী।

 

১৯৭৫ – ডঃ সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণণ, আদর্শ শিক্ষক দার্শনিক ও ভারতের প্রথম উপরাষ্ট্রপতি ও দ্বিতীয় রাষ্ট্রপতি।

১৯৭৬ – হেনরিক ডাম, নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ডেনিশ প্রাণরসায়নী ও শারীরবিজ্ঞানী।

 

১৯৮৩ – প্রবোধকুমার সান্যাল, প্রখ্যাত বাঙালি সাহিত্যিক সাংবাদিক ও পরিব্রাজক।

১৯৯৪ – রজার স্পেরি, নোবেল পুরস্কার বিজয়ী আমেরিকান স্নায়ুমনোবিজ্ঞানী।

২০০৪ – ইসরাইলের হেলিকপ্টার গানশিপ থেকে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ফিলিস্তিনের অন্যতম শীর্ষ সংগ্রামী ব্যক্তিত্ব ও ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের নেতা আব্দুল আজিজ রানতিসি মর্মান্তিকভাবে শহীদ হন।

২০০৮ – এমে সেজায়ার, মার্তিনিকের ফ্রাঙ্কোফোন কবি, লেখক, এবং রাজনীতিবিদ।

 

২০১৪ – গাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেস, নোবেল পুরস্কার বিজয়ী কলম্বিয়ার সাংবাদিক ও লেখক।

২০১৫ – ইজ্জাত ইব্রাহিম আদ-দাউরি, ইরাক ফিল্ড মার্শাল ও রাজনীতিবিদ।

 

২০২০ – যুবায়ের আহমদ আনসারী, ইসলামি পণ্ডিত ও রাজনীতিবিদ।

 

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ

বিশ্ব শিল্প দিবস: সৌন্দর্য ও সৃজনশীলতার উদযাপনের আহ্বান।

“প্রতি বছর, ১৫ এপ্রিল, বিশ্বব্যাপী ব্যক্তিরা বিশ্ব শিল্প দিবস উদযাপন করে। শিল্প, একটি ধারণা যা বিভিন্ন সংস্কৃতির দ্বারা স্বতন্ত্রভাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে, এই উদযাপনের সময় একটি কেন্দ্রীয় ফোকাস হিসাবে কাজ করে, এর বৃদ্ধি এবং উপলব্ধি প্রচার করে। এই উপলক্ষটি মানুষের জন্য একটি মৃদু ধাক্কা হিসাবে কাজ করে  তাদের ব্যস্ত জীবনের মাঝে বিরতি দিন এবং তাদের চারপাশের সৌন্দর্যের প্রশংসা করুন, ব্যস্ত সময়সূচীর কারণে প্রায়ই উপেক্ষিত হয়, অনেকের কাছে এটি নিয়মিতভাবে আর্ট গ্যালারী করা চ্যালেঞ্জিং মনে হতে পারে, তাই এই বার্ষিক পালন একটি সময়োপযোগী অনুস্মারক হিসাবে কাজ করে  বিশ্বের সৌন্দর্য অনুভব করার সহজ আনন্দের মধ্যে, বিশ্ব শিল্প দিবস জ্ঞান ভাগ করে নেওয়ার জন্য, কৌতূহল জাগানো এবং ব্যক্তিদের মধ্যে আকর্ষক কথোপকথনকে উত্সাহিত করার জন্য একটি অনুঘটক হিসাবে কাজ করে।

2019 সালে UNESCO-এর ৪০ তম সাধারণ সম্মেলনের সময় প্রতিষ্ঠিত বিশ্ব শিল্প দিবস, বিশ্বব্যাপী শিল্পের বৃদ্ধি, প্রসার এবং প্রশংসাকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে একটি স্মারক।  শিল্প সৃজনশীলতা লালন, উদ্ভাবন লালন এবং বিশ্বব্যাপী মানুষের মধ্যে সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য প্রচারের জন্য একটি অনুঘটক হিসাবে কাজ করে।  এটি জ্ঞান ছড়িয়ে দিতে, কৌতূহল উদ্দীপিত করতে এবং অর্থপূর্ণ কথোপকথনের সুবিধার্থে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।  শিল্পের এই স্থায়ী গুণগুলি এর তাত্পর্যকে অন্ডারস্কোর করে, পরিবেশ তৈরি এবং সুরক্ষিত করার গুরুত্ব তুলে ধরে যা শিল্পী এবং শৈল্পিক স্বাধীনতাকে চ্যাম্পিয়ন করে।  শিল্পের বিকাশে অগ্রসর হওয়ার মাধ্যমে, আমরা কেবল আমাদের সাংস্কৃতিক ল্যান্ডস্কেপকে সমৃদ্ধ করি না বরং স্বাধীনতা ও শান্তির বৈশিষ্ট্যযুক্ত একটি বিশ্বের সন্ধানে অবদান রাখি।”

 

“বিশ্ব শিল্প দিবস ২০২৪ থিম—-

বিশ্ব শিল্প দিবসের জন্য নির্বাচিত থিম হল “এ গার্ডেন অফ এক্সপ্রেশন: শিল্পের মাধ্যমে সম্প্রদায় গড়ে তোলা।”  থিমটি শিল্পের সারমর্মকে একটি প্রাণবন্ত এবং লালনকারী শক্তি হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করে যা বিশ্বব্যাপী সম্প্রদায়ের মধ্যে সংযোগ, সৃজনশীলতা এবং সহযোগিতাকে উৎসাহিত করে।  ঠিক একটি বাগানের মতো, যেখানে বিভিন্ন গাছপালা একসাথে থাকে এবং সমৃদ্ধ হয়, শিল্প বিভিন্ন অভিব্যক্তি, ধারণা এবং দৃষ্টিভঙ্গির চাষের জন্য একটি উর্বর ভূমি হিসাবে কাজ করে।  এটি একটি সম্মিলিত স্থানের প্রতিনিধিত্ব করে যেখানে বিভিন্ন ব্যাকগ্রাউন্ডের ব্যক্তিরা তাদের অনন্য কণ্ঠস্বর এবং অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে একত্রিত হয়, যা মানব সংস্কৃতির সমৃদ্ধ ট্যাপেস্ট্রিতে অবদান রাখে।

অভিব্যক্তির এই রূপক বাগানে, প্রতিটি শিল্পকর্ম একটি প্রস্ফুটিত ফুলের মতো, যা তার স্রষ্টার ব্যক্তিত্ব এবং সৃজনশীলতাকে প্রতিফলিত করে।  একটি বাগানের বিকাশের জন্য যেমন যত্ন এবং মনোযোগের প্রয়োজন, তেমনি শৈল্পিক সম্প্রদায়েরও বৃদ্ধি এবং উন্নতির জন্য সমর্থন এবং উত্সাহ প্রয়োজন।  তদুপরি, থিমটি মানুষের মধ্যে বিভাজন এবং সংযোগ স্থাপনের জন্য শিল্পের রূপান্তরকারী শক্তিকে আন্ডারস্কোর করে।  শৈল্পিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে, সম্প্রদায়গুলি সাধারণ চ্যালেঞ্জগুলি মোকাবেলা করতে, ভাগ করা মূল্যবোধ উদযাপন করতে এবং বোঝাপড়া এবং সহানুভূতি প্রচার করতে একত্রিত হতে পারে।”

 

“বিশ্ব শিল্প দিবস ২০২৪ ইতিহাস——

আন্তর্জাতিক শিল্প সমিতির সাধারণ পরিষদের সময় ১৫ এপ্রিল আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্ব শিল্প দিবস প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।  ২০১২ সালে এর সূচনা সম্মানিত লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চির জন্মদিনের সাথে মিলে যায়, সহনশীলতা, বিশ্ব শান্তি, মত প্রকাশের স্বাধীনতা এবং বহুসংস্কৃতির মত মূল্যবোধের প্রতীক যা তিনি তুলে ধরেছিলেন।  উদ্বোধনী উদযাপনটি ইন্টারন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অফ আর্ট (I.A.A.) এর সমস্ত জাতীয় কমিটির কাছ থেকে ব্যাপক সমর্থন পেয়েছে, যেখানে বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিত্বকারী ১৫০ জন শিল্পী অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করেছে।

ইভেন্টে কনফারেন্স, বর্ধিত জাদুঘরের সময়, এবং বহিরঙ্গন শিল্প প্রদর্শনীগুলি পেইন্টিং, প্রিন্ট, ভাস্কর্য, ভিডিও এবং আরও অনেক কিছু সহ বিভিন্ন শিল্পকর্ম প্রদর্শন করে৷  শিল্প, স্থাপত্য, সঙ্গীত, চিত্রকলা, ভাস্কর্য, নৃত্য, সাহিত্য এবং সিনেমার মতো অগণিত আকারে, ব্যক্তিদের তাদের সৃজনশীলতা এবং আবেগ প্রকাশের মাধ্যম হিসাবে কাজ করে।  প্রকৃত শিল্পকে বিশ্ব সম্পর্কে শিল্পীর উপলব্ধি এবং এর প্রতি তাদের আবেগের একটি খাঁটি অভিব্যক্তি হিসাবে বিবেচনা করা হয়, যা মানুষের মধ্যে মিল এবং পার্থক্য উভয়ই প্রতিফলিত করে।

বিশ্ব শিল্প দিবস ব্যক্তিদের জন্য তাদের চারপাশের সৌন্দর্যের প্রশংসা করতে এবং বাধা ছাড়াই আত্ম-প্রকাশকে আলিঙ্গন করার জন্য একটি মর্মান্তিক অনুস্মারক হিসাবে কাজ করে।  এটি শিল্পের উত্সাহ এবং টেকসই বিকাশের পক্ষে সমর্থন করে, সৌন্দর্য চিত্রিত করতে এবং আবেগের প্রকাশকে উত্সাহিত করতে এর ভূমিকাকে স্বীকৃতি দেয়।  অব্যাহত সমর্থনের মাধ্যমে, শিল্পীরা তাদের সৃজনশীল প্রচেষ্টার মাধ্যমে আমাদের জীবনকে সমৃদ্ধ করতে পারে।”

 

“বিশ্ব শিল্প দিবস ২০২৪ তাৎপর্য—–

আমরা বিশ্ব শিল্প দিবস ২০২৪ পালন করার সময়, সাংস্কৃতিক উপলব্ধি প্রচার, সৃজনশীলতা বৃদ্ধি এবং শৈল্পিক স্বাধীনতার পক্ষে সমর্থন করার ক্ষেত্রে এর তাৎপর্য স্বীকার করা অপরিহার্য।  এখানে পাঁচটি মূল বিষয় রয়েছে যা ২০২৪ সালের বিশ্ব শিল্প দিবসের তাৎপর্যকে আন্ডারস্কোর করে:

সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য উদযাপন: বিশ্ব শিল্প দিবস ২০২৪ বিশ্বজুড়ে সংস্কৃতির সমৃদ্ধ বৈচিত্র্য এবং শৈল্পিক অভিব্যক্তি উদযাপন করার জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম প্রদান করে।  এটি বিভিন্ন সম্প্রদায়ের অনন্য সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে আলিঙ্গন ও সংরক্ষণের গুরুত্বের অনুস্মারক হিসাবে কাজ করে।

সৃজনশীলতা এবং উদ্ভাবনের প্রচার: এই পালন ব্যক্তিদের তাদের সৃজনশীল সম্ভাবনা অন্বেষণ করতে এবং শৈল্পিক অভিব্যক্তির সীমানাকে এগিয়ে নিতে উত্সাহিত করে।  বিশ্ব শিল্প দিবস উদযাপনের মাধ্যমে, সমাজ বিভিন্ন শিল্প ফর্ম জুড়ে সৃজনশীলতা এবং উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে।

কথোপকথন এবং বোঝাপড়াকে উত্সাহিত করা: শিল্পের অর্থপূর্ণ কথোপকথন শুরু করার এবং ব্যক্তি এবং সম্প্রদায়ের মধ্যে বোঝাপড়াকে উন্নীত করার ক্ষমতা রয়েছে।  বিশ্ব শিল্প দিবস ২০২৪ গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক ইস্যুতে কথোপকথনের সুবিধা দেয়, সহানুভূতিকে উত্সাহিত করে এবং শিল্পের সার্বজনীন ভাষার মাধ্যমে পারস্পরিক শ্রদ্ধা বৃদ্ধি করে।

শৈল্পিক স্বাধীনতার পক্ষে ওকালতি: বিশ্ব শিল্প দিবসটি শৈল্পিক স্বাধীনতা এবং মত প্রকাশের সুরক্ষার পক্ষে সমর্থন করার একটি প্ল্যাটফর্ম হিসাবে কাজ করে।  শিল্পীরা স্বাধীনভাবে নিজেদের প্রকাশ করতে পারে এমন পরিবেশ তৈরির গুরুত্ব স্বীকার করে, সমাজ মৌলিক মানবাধিকার সমুন্নত রাখার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে।

অনুপ্রেরণামূলক সামাজিক পরিবর্তন: শিল্পের ইতিবাচক পরিবর্তনকে অনুপ্রাণিত করার এবং আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং ন্যায়সঙ্গত সমাজ গঠনে অবদান রাখার সম্ভাবনা রয়েছে।  বিশ্ব শিল্প দিবস ২০২৪ ব্যক্তিদের তাদের শৈল্পিক প্রতিভা ব্যবহার করে সামাজিক সমস্যাগুলি সমাধান করতে, বৈচিত্র্যকে উন্নীত করতে এবং সবার জন্য একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যত তৈরি করতে অনুপ্রাণিত করে।”

।। তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।

Share This