Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

আজ বিশ্ব ফার্মাসিস্ট দিবস, জানুন দিনটির ইতিহাস ও দিনটি পালনের গুরুত্ব সম্পর্কে কিছু কথা।

প্রতি বছর ২৫ সেপ্টেম্বর, আমরা বিশ্ব ফার্মাসিস্ট দিবস কে স্মরণ করি ফার্মাসিস্টদের বিশ্ব স্বাস্থ্যের উন্নতিতে তাদের অবদানের জন্য সম্মান জানাতে। ফার্মাসিস্টরা দেশে বিদেশে মানসম্মত ওষুধ তৈরির মাধ্যমে স্বাস্থসেবায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন। প্রতি বছর, ফার্মাসিস্ট দিবস বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্যের উন্নতিতে ফার্মাসিস্টদের অবদানকে তুলে ধরে এবং রক্ষা করে এমন উদ্যোগগুলিকে সমর্থন করার লক্ষ্যে পালন করা হয়।  বিশ্ব ফার্মাসিস্ট দিবসের প্রতিপাদ্য হচ্ছে “ফার্মেসি স্বাস্থ্য ব্যবস্থা শক্তিশালীকরণ।” ফার্মেসি পেশায় কর্মরতদের উৎসাহ প্রদান এবং এই পেশা সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে ২০১০ সাল থেকে সারাবিশ্বে এই দিবস পালিত হয়ে আসছে। সাধারণ মানুষকে এ মহান পেশা সম্পর্কে জানাতে এবং এ পেশার মানকে উচ্চ মর্জাদার আসনে আসীন রাখতে সারাবিশ্বে এই দিবস পালিত হয়ে আসছে।

 

 

বিশ্ব ফার্মাসিস্ট দিবসের ইতিহাস–

 

 

প্রতিষ্ঠার পর থেকে, বিশ্ব ফার্মাসিস্ট দিবস স্বাস্থ্যসেবায় ফার্মাসিস্ট এবং ফার্মাসি পেশাদারদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তুরস্কের ইস্তাম্বুলে ২০০৯ ইন্টারন্যাশনাল ফার্মাসিউটিক্যাল ফেডারেশন (FIP) কংগ্রেসে, একটি বিশ্বব্যাপী ফার্মাসিস্ট দিবসের ধারণা তৈরি করা হয়েছিল। আন্তর্জাতিক ফার্মাসিউটিক্যাল ফেডারেশনের উদ্যোগে ২০০৯ সালে অনুষ্ঠিত ইস্তাম্বুল সম্মেলনে ২৫ সেপ্টেম্বরকে বিশ্ব ফার্মাসিস্ট দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়। ১৯১২ সালের এই দিনে নেদারল্যান্ডসের হেগে আন্তর্জাতিক ফার্মাসিউটিক্যাল ফেডারেশনের প্রথম কার্যনির্বাহী সভা অনুষ্ঠিত হয়, এই কারণে দিবসটিকে বিশ্ব ফার্মাসিস্ট দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়। ফার্মেসি পেশার কর্মরতদের উৎসাহ প্রদান এবং এই পেশা সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে ২০১০ সাল থেকে সারাবিশ্বে এই দিবস পালিত হয়ে আসছে।

FIP কাউন্সিল সারা বিশ্বের ফার্মাসি নেতাদের নিয়ে গঠিত, 25শে সেপ্টেম্বর বিশ্ব ফার্মাসিস্ট দিবসকে অনুমোদন করেছে৷
এই যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত ফার্মাসিউটিক্যাল পেশাকে বিশ্বব্যাপী ফার্মাসিস্টদের স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য একটি ফোরাম দিয়েছে।  সেই থেকে ২৫শে সেপ্টেম্বর বিশ্ব ফার্মাসিস্ট দিবস পালিত হয়ে আসছে।  স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রে পেশার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে এবং বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য সমস্যা সমাধানের জন্য এই অনন্য দিবসটি প্রতি বছর একটি ফার্মেসি বিষয় তুলে ধরে।

 

 

বিশ্ব ফার্মাসিস্ট দিবস ২০২৩ থিম—

 

 

বিশ্ব ফার্মাসিস্ট দিবস প্রতি বছর তার উৎসব এবং ইভেন্টগুলিকে কেন্দ্র করে একটি বিষয় নির্বাচন করে।  ২০২৩ এর জন্য নির্বাচিত বিষয় হল “ফার্মেসি স্বাস্থ্য ব্যবস্থা শক্তিশালীকরণ।”  এই বিষয় জোর দেয় যে ফার্মাসিস্ট এবং অন্যান্য ফার্মেসি পেশাদারদের জন্য সারা বিশ্বে স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থাকে সমর্থন করা এবং উন্নত করা কতটা গুরুত্বপূর্ণ।
এটি ফার্মাসি পরিষেবা এবং বিদ্যমান বৃহত্তর স্বাস্থ্য ব্যবস্থাগুলির মধ্যে সংযোগটি কতটা গুরুত্বপূর্ণ, সেইসাথে তারা কীভাবে স্বাস্থ্যসেবা সরবরাহের সাধারণ কার্যকারিতা এবং দক্ষতার উন্নতিতে অবদান রাখে তা তুলে ধরে।  এই বিষয়টি মূলত জোর দেয় যে মানুষ এবং সম্প্রদায়ের সুবিধার জন্য স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা বজায় রাখা এবং শক্তিশালী করার জন্য ফার্মেসি কতটা গুরুত্বপূর্ণ।

 

 

বিশ্ব ফার্মাসিস্ট দিবসের তাৎপর্য—

 

 

বিশ্ব ফার্মাসিস্ট দিবস তাৎপর্যপূর্ণ কারণ এটি স্বাস্থ্যসেবা এবং সমাজ উভয়ের জন্য ফার্মাসিস্ট এবং অন্যান্য ফার্মাসি পেশাদারদের অত্যাবশ্যক অবদানের স্বীকৃতি এবং প্রশংসা করার জন্য একটি বিশ্বব্যাপী ফোরাম প্রদান করে।ইস্তাম্বুলে ২০০৯ FIP কাউন্সিল সম্মেলনের সময় বিশ্ব ফার্মাসি দিবস তৈরি করা হয়েছিল।  এর প্রধান লক্ষ্য বিশ্ব স্বাস্থ্যে ফার্মাসিস্টদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা প্রচার করা।  ফার্মাসিস্টরা হলেন অজ্ঞাত নায়ক যারা ওষুধের সুবিধা সর্বাধিক করেন।
তাদের দক্ষতা, জ্ঞান, এবং অভিজ্ঞতা ফার্মাসিউটিক্যালস অ্যাক্সেস প্রদান করে, তাদের ব্যবহার নির্দেশিকা প্রদান করে এবং আমাদের সুস্থতার উন্নতি করে সকলের জন্য ঔষধ উন্নত করে।  ২০২০ সাল থেকে, FIP বিশ্ব ফার্মেসি সপ্তাহের মাধ্যমে ফার্মেসির সমস্ত দিক উদযাপন করেছে।  এই বার্ষিক উদযাপনটি বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ উপায়ে তাৎপর্যপূর্ণ:

স্বাস্থ্যসেবা হিরোদের স্বীকৃতি, সচেতনতা বৃদ্ধি, জনস্বাস্থ্যের প্রচার, বিশ্বব্যাপী সহযোগিতা, পেশার অগ্রগতি, শিক্ষাগত আউটরিচ, হাইলাইট থিম, অনুপ্রেরণামূলক ভবিষ্যত প্রজন্ম।

।। তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

“লাইব্রেরি” নিয়ে দুটি কথা : দিলীপ রায় (৯৪৩৩৪৬২৮৫৪)।।

১৮৩৫ সালের ৩১শে আগস্ট তৎকালীন বিদ্ধদ্‌জনদের উপস্থিতিতে কলকাতার টাউন হলে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয় । এই সভাতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় যে, সর্বসাধারণের জন্য একটি গ্রন্থাগার বা পাবলিক লাইব্রেরি নির্মাণ করা হবে । সেই সিদ্ধান্তক্রমে গড়ে ওঠে “ক্যালকাটা পাবলিক লাইব্রেরি” । অনেক জায়গায় সেই থেকে ৩১শে আগস্ট দিনটিকে গ্রন্থাগার দিবস হিসাবে পালিত হচ্ছে ।
তারপর ১৮৩৬ সালে “ক্যালকাটা পাবলিক লাইব্রেরি” নামে প্রথম গ্রন্থাগার প্রতিষ্ঠিত হয় । সেই সময় এটি ছিল একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান । প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুর ছিলেন এই লাইব্রেরির প্রথম মালিক। ভারতের তদনীন্তন গভর্নর- জেনারেল “লর্ড মেটকাফ” ফোর্ট উইলিয়াম কলেজর ৪৬৭৫টি বই দান করেন, যেটা দিয়ে এই লাইব্রেরী গোড়াপত্তন ।
সেই সময় বাংলা ও ইংরেজি দুই ভাষার বই গ্রন্থাগারের জন্য ক্রয় করা হত । কলকাতার বিশিষ্ট ব্যক্তিরা গ্রন্থাগারকে অর্থসাহায্য করতেন । এমনকি সরকারের কাছ থেকেও অনুদান পাওয়া যেত । সেই সময় এই গ্রন্থাগারে বহু দেশি ও বিদেশি দুষ্প্রাপ্য বই সংগৃহীত হয়েছিল, যা আজও সংরক্ষিত আছে । উল্লেখ থাকে যে, ক্যালকাটা পাবলিক লাইব্রেরি ছিল শহরের প্রথম নাগরিক পাঠাগার ।
তারপর ১৮৯১ সালে কলকাতার একাধিক সচিবালয় গ্রন্থাগারকে একত্রিত করে গঠিত হয় “ইম্পিরিয়াল লাইব্রেরি” । এই গ্রন্থাগারের সর্বাপেক্ষা উল্লেখযোগ্য অংশ ছিল গৃহ মন্ত্রকের গ্রন্থাগার ।
পরবর্তী সময়ে ক্যালকাটা পাবলিক লাইব্রেরি ও ইম্পিরিয়াল লাইব্রেরির সংযুক্তিকরণ ঘটে । জানা যায়, ১৯০৩ সালের ৩০ জানুয়ারি লর্ড কার্জনের প্রচেষ্টায় ক্যালকাটা পাবলিক লাইব্রেরি ও ইম্পিরিয়াল লাইব্রেরিকে সংযুক্ত করে জনসাধারণের ব্যবহারের জন্য খুলে দেওয়া হয় । সেই সময় সংযুক্ত লাইব্রেরিটি ‘ইম্পিরিয়াল লাইব্রেরি’ নামেই পরিচিত হয় । এই সময় গ্রন্থাগারটি উঠে আসে আলিপুরের বেলভেডিয়ার রোডস্থ মেটকাফ হলের বর্তমান ঠিকানায় । এখানে উল্লেখ থাকে যে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় লাইব্রেরিটি এসপ্ল্যানেডের জবাকুসুম হাউসে স্থানান্তরিত হয়েছিল ।
এবার আসছি জাতীয় গ্রন্থাগার সম্বন্ধে …………?
১৯৪৭ সালে স্বাধীনতার পর ইম্পিরিয়াল লাইব্রেরি পুনরায় মেটকাফ হলে উঠে আসে এবং লাইব্রেরির নতুন নামকরণ হয় জাতীয় গ্রন্থাগার বা ন্যাশানাল লাইব্রেরি । ১৯৫৩ সালের ১লা ফেব্রুয়ারি তৎকালীন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী মৌলানা আবুল কালাম আজাদ জাতীয় গ্রন্থাগারকে সর্বসাধারণের জন্য খুলে দেন ।
স্বাধীনতার পর ভারত সরকার “ইম্পেরিয়াল লাইব্রেরি (নাম পরিবর্তন) অ্যাক্ট, ১৯৪৮” চালু করে । তারপর “ভারতের জাতীয় গ্রন্থাগার আইন, ১৯৭৬”এর ১৮ ধারা মোতাবেক ন্যাশনাল লাইব্রেরির নাম পরিবর্তন করে “ভারতের জাতীয় গ্রন্থাগার” করা হয় ।
গ্রন্থাগার কার্যত সমস্ত ভারতীয় ভাষায় বই, সাময়িকী, শিরোনাম, ইত্যাদির সংগ্রহশালা । জানা যায়, ভারতের জাতীয় গ্রন্থাগারের সংগ্রহগুলি অনেকগুলি ভাষায় । হিন্দি বিভাগে বই রয়েছে যেগুলি উনবিংশ শতাব্দীর পুরো সময়কার এবং সেই ভাষায় ছাপা হওয়া প্রথম বই ।
আগেই বলেছি, ১৮৩৬ সালে ক্যালকাটা পাবলিক লাইব্রেরি নামে প্রথম গ্রন্থাগার প্রতিষ্ঠিত হয় । সেই সময় লাইব্রেরিটি ছিল বেসরকারি প্রতিষ্ঠান । প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুর ছিলেন লাইব্রেরির প্রথম মালিক । ভারতের তদনীন্তন গভর্নর-জেনারেল ‘লর্ড মেটকাফ’ ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ লাইব্রেরির ৪,৬৭৫টি বই গ্রন্থাগারে দান করেছিলেন । এই দানের ফলেই গ্রন্থাগারের গোড়াপত্তন । বর্তমানে এই গ্রন্থাগারে কমপক্ষে ২০ লক্ষ বা তারও বেশী বই রয়েছে । “ভারত সরকারের পর্যটন ও সংস্কৃতি মন্ত্রক”এর অধীনে “কলকাতার ন্যাশনাল লাইব্রেরি” এখন একটি জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিবেচিত ।
এবার আসছি লাইব্রেরির গুরুত্ব প্রসঙ্গে —
‘বই’ মানুষের নিত্যসঙ্গী । জ্ঞানের বহিঃপ্রকাশ হচ্ছে বই । এখানে একটা কথা পরিষ্কার, লেখক লেখেন, প্রকাশক সেই লেখা ছাপেন, প্রকাশক ও বিক্রেতা উভয়েই বই বিক্রি করেন । আর অন্যদিকে গ্রন্থাগারিক সেই বই সংগ্রহ করে যথাযথ বিন্যাস করেন এবং পাঠক সমাজ ঐসব উপাদান থেকে মনের খোরাক এবং জ্ঞানলাভে সমর্থ হন ।
শিক্ষা বিস্তারের ক্ষেত্রে গ্রন্থাগার যেমন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, তেমনি জ্ঞানী ও পণ্ডিত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রেও গ্রন্থাগারের ভূমিকা অনস্বীকার্য । গ্রন্থাগারে থাকে জ্ঞান-বিজ্ঞান সহ বিভিন্ন বিষয়ের বই । আগ্রহী পাঠকের জন্যে গ্রন্থাগার জ্ঞানার্জনের যে সুযোগ করে দেয়, সেই সুযোগ অন্য কোথাও পাওয়া দুর্লভ । গ্রন্থাগার গ্রন্থের বিশাল সংগ্রহশালা, যা মানুষের প্রত্যাশা পূরণে সক্ষম । গ্রন্থাগারের মাধ্যমে মানুষ জ্ঞানসমুদ্রে অবগাহন করে জ্ঞানের মণিমুক্তা সংগ্রহের সুযোগ পায়। গ্রন্থাগারের সংগৃহীত বই সর্বসাধারণের জন্যে অবারিত । চিন্তাশীল মানুষের কাছে এমনকি সাধারণ মানুষের কাছে গ্রন্থাগারের উপযোগিতা অনেক বেশি । গ্রন্থাগার হচ্ছে জ্ঞান আহরণের উপযুক্ত মাধ্যম । আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশে গ্রন্থাগারের উপযোগিতা উন্নত দেশগুলোর চেয়ে অনেক বেশি । কারণ সংসারের মৌলিক চাহিদা মেটাতে আমরা হিমশিম খাই । সেখানে বই কিনে পড়া অনেক সময় অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায় ! সুতরাং আমাদের মতো সাধারণ মানুষের কাছে লাইব্রেরির গুরুত্ব অপরিসীম । অন্যদিকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্র-শিক্ষক প্রতিদিনের টিফিন পিরিয়ড বা অন্য অবসর সময়টা আড্ডা ও গল্পগুজবের মধ্যে না কাটিয়ে লাইব্রেরি থাকলে সময়টা পড়ালেখায় কাটাতে পারেন । এখানে প্রসঙ্গত উল্লেখযোগ্য, শিক্ষা বিকাশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে লাইব্রেরি বা লাইব্রেরির অবস্থান অপরিহার্য ।
গণতন্ত্রের সাফল্যে গ্রন্থাগারের ভূমিকা গণমাধ্যমের চেয়ে কম নয় । আধুনিক বিশ্বে গ্রন্থাগারের প্রয়োজনীয়তা দিনে দিনে বাড়ছে । গ্রন্থাগার সকলের জন্য উন্মুক্ত । ধর্মীয় সাম্প্রদায়িকতা নেই এখানে, নেই হানাহানি কলহ । সুতরাং প্রতিটি সুশীল নাগরিকের নিয়মিত গ্রন্থাগারে উপস্থিত হয়ে লেখাপড়া ও জ্ঞানার্জন করা, তাঁদের নিয়মমাফিক রুটিনে আসুক ।
প্রমথ চৌধুরী যথার্থই বলেছেন, “আমরা যত বেশি লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠা করব, দেশের তত বেশি উপকার হবে । আমার মনে হয়, এদেশে লাইব্রেরির সার্থকতা হাসপাতালের চাইতে কিছু কম নয় এবং স্কুল-কলেজের চাইতে একটু বেশি ।“
পরিশেষে আমি মনে করি, লাইব্রেরি হচ্ছে শিক্ষা বিকাশের ও জ্ঞানার্জনের উপযুক্ত পীঠস্থান । (তথ্যসূত্রঃ সংগৃহীত) ।

Share This
Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

“কান্না” কী বা কেন ? একটি আলোচনা ! :  দিলীপ রায় (৯৪৩৩৪৬২৮৫৪)।

দুঃখে কাঁদি, আঘাতে-ব্যথ্যায় কাঁদি, আবার কখনও খুব আনন্দেও কাঁদি ! প্রতিটি মানুষের জীবনে কখনও না কখনও কান্না পায় ।
( ২ )
(১) গাঁয়ের পুণ্ডরীকাঙ্খের বৌমা নীতাম্বরী, হন্তদন্ত হয়ে পটলডাঙ্গা স্টেশনের দিকে ছুটছে । রাস্তার মধ্যে হঠাৎ পুটির মায়ের সাথে দেখা, “কিগো নীতাম্বরী, হন্তদন্ত হয়ে কোথায় ছুটলে ?”
“আর বলবেন না মাসি, আজ আমার ছোট ছেলে পলাশীপাড়া থেকে বাড়ি ফিরছে । তাকে আনতে রেলওয়ে স্টেশনে যাচ্ছি ।“ উত্তরে নীতাম্বরী জানালো ।
তা বাপু, ছেলেটা হঠাৎ পলাশীপাড়ায় কেন ? বুঝতে পারলাম না ।
মাসি ! আপনাকে বলা হয়নি । ছোট ছেলে সেখানকার হাসপাতালের ডাক্তার !
শুনেছি তোমার দুই ছেলেই ডাক্তার ।
“আর মাসি । কি বলবো আপনাকে ! আপনাকে বলতে আমার দ্বিধা নেই । ছেলেদের মানুষ করতে আমার হিমসিম অবস্থা ! নিজের সখ-আহ্লাদের জলাঞ্জলি । ঠিকমতো ঘুমোতে পারতাম না । সব সময় ছেলেদের পেছনে লেগে থাকতে হতো । তাদের পড়াশুনার দিকে নজর দেওয়াই ছিল আমার ধ্যান জ্ঞান । যার জন্য আপনাদের আশীর্বাদে বড় ছেলেটা নিউরো সার্জেন্ট (এম-ডি), ছোটটা মেডিসিনে এম-ডি ।“ কথাগুলি বলার পরে নীতাম্বরীর চোখে জল ! শাড়ির আঁচল দিয়ে চোখের জল মুছছে ।
(২) সর্বেশ্বর গাঁয়ের প্রান্তিক চাষি । বিঘে কয়েক জমি চাষ করে তাঁর সংসার । একটা ছেলে ও দুটি মেয়ে । বেচারা খেয়ে না-খেয়ে ছেলে মেয়েদের উচ্চ শিক্ষিত করেছে । মেয়ে দুটিই স্কুল শিক্ষিকা । বিয়েও দিয়েছে । ছেলেটা বাইরের রাজ্যে মস্ত বড় কোম্পানীর উচ্চ পদে কর্মরত । সর্বেশ্বর একদিন ফাইল খুঁজতে গিয়ে ছেলের ইনকাম ট্যাক্সের রিটার্ন দেখতে পায় । গত বছর যে পরিমান আয়কর দিয়েছে সেটা থেকে সর্বেশ্বর ছেলের মাসিক আয় সম্বন্ধে একটা ধারণা পায় ! অথচ ছেলে মেয়েদের পড়াতে গিয়ে এবং মেয়েদের বিয়ে দিতে গিয়ে সর্বেশ্বর আর্থিক দিক দিয়ে নিঃস্ব । সবগুলি জমি বিক্রি করতে হয়েছে । তাঁদের বুড়ো-বুড়ির দুবেলার অন্ন জোগানোই এখন ভীষণ সমস্যা । স্ত্রী-পুত্র নিয়ে ছেলের অন্য রাজ্যেতে বসবাস, ফলে বাবা-মায়ের খোঁজ নেওয়ার সময় নেই । সুতরাং তাঁরা কীভাবে বাবা-মাকে পয়সা দিয়ে সহযোগিতা করবে ? ক্ষুধায় যখন ক্লান্ত হয়ে পড়ে ঠিক তখন সর্বেশ্বর নিজের ভাগ্যের কথা ভেবে গিন্নির চোখের আড়ালে হাউমাউ করে কাঁদে ! শেষ বয়সে এখন তাঁর ভিখারীর ন্যায় অবস্থা !
(৩) ঐ বাংলায় নীরোদ তালিবের ভরা ঘর-সংসার । গোয়াল ভরা গরু, গোলা ভরা ধান, পরিবারের বাবা-মা সহ ছেলেমেয়ে নিয়ে মোট এগারো জন, জমি জায়গা, খাওয়া দাওয়া, বাড়ি লাগোয়া পুকুর । পুকুরে সারা বৎসর জল থাকে এবং সেখানে অনেক ধরনের মাছ । যাকে বলে অফুরন্ত শান্তির সংসার । হঠাৎ দেশ ভাগ ।
“পালাও, দেশ ছাইরা পালাও ! এই দ্যাশটায় হিন্দুদের ঠাঁই নাই ।“ রাতের অন্ধকারে হাঁটুর উপর ধুতি পরে স্ত্রী-পুত্র-কন্যা ও বুড়ো বাবা-মাকে নিয়ে অনেক ছিন্নমূল মানুষের সাথে নীরোদ তালিব ছুটলো অজানা উদ্দেশে । পদ্মা, ভাগীরথী পার হয়ে বাবলা নদীর তীরে বট গাছটার তলায় আশ্রয় নিলো বিনোদ তালিব । সব হারিয়ে ক্ষুধায় তৃষ্ণায় ভয়ে-ভীতিতে আশঙ্কায় বিনোদের চোখে জল । চতুর্দিকে অন্ধকার । অচেনা দেশে রাত্রির অন্ধকারে তাঁর চোখের জল থামানো দায় ! মনের ভিতর সব হারানোর হাহাকার ! বিনোদ তালিবের সে কি কান্না !
উপরের তিনটি ঘটনায় মানুষের তিন রকম কান্না ! এখানকার কান্নাগুলিকে আবেগপূর্ণ কান্না বলা চলে । তাই কান্না হলো একটা আত্ম-উপলব্ধি বা অনুভূতি প্রকাশের মাধ্যম ।
( ৩ )
আবার কান্না শারীরিক ব্যথা-যন্ত্রণার প্রতিক্রিয়ায় হতে পারে অর্থাৎ চোখে অশ্রু ঝরতে পারে । অন্যদিকে কান্নার কারণ হতে পারে এমন আবেগের মধ্যে, যেখানে রয়েছে দুঃখ , রাগ , আনন্দ এবং ভয় ।
মানসিক চাপ বা উদ্বেগের সময় সহানুভূতিশীল প্রতিক্রিয়া কান্নার কারণ হতে পারে । উদাহরণ দিলে ব্যাপারটা বোঝা যাবে — তমালবাবু শিক্ষকতার চাকরি জীবন থেকে প্রায় দশ বছর হলো অবসর নিয়েছেন । তাঁর দুই ছেলে বিদেশে কর্মরত । বাবা-মাকে দেখার তাদের সময় নেই । পেনশনের টাকায় তাঁদের দুজনের দিনাতিপাত । হঠাৎ গিন্নির কঠিন ব্যামো । বুকে ভীষণ ব্যাথা । এলাকার হাতুড়ে ডাক্তার জানিয়ে দিয়েছেন, “অপারেশন জরুরি । তাঁকে অতি সত্বর কলকাতার বড় হাসপাতালে ভর্তি করা দরকার ।“ তমালবাবুর হাতে একটাও পয়সা নেই । তমালবাবু দুঃখে কষ্টে কপাল চাপড়াচ্ছেন ! এমন সময় দেবদূতের মতো ভোম্বলের আগমন । বিষম বিপদের সময় তাঁর গবেট মার্কা ছাত্র ভোম্বল ছুটে এসে তার প্রিয় স্যারের পাশে দাঁড়ালো । অথচ সাংসারিক জীবনে ভোম্বল কোনোরকমে একটা টী স্টল চালায় । তবুও ভোম্বলের সমস্ত সঞ্চিত টাকা-পয়সা, গিন্নির গহনা, স্যারের পায়ের কাছে রেখে বলল, “স্যার, আর দেরী করবেন না । এক্ষুণি হাসপাতাল চলুন ।“ ভোম্বলের সেই সময়কার চাহনী, কাতর আবেদন, সর্বোপরি তার আন্তরিকতা দেখে তমালবাবু চোখের জল ধরে রাখতে পারলেন না । তাই মনে মনে বললেন, তিনি ছাত্রদের শিক্ষিত করতে পারুক বা না-পারুক, অন্তত একজন ছাত্রকে মানুষ করতে পেরেছেন ।
( ৪ )
এবার জানা যাক, কান্না কেন ঘটে ?
কান্না একটি প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া যেখানে আমাদের চোখের ল্যাক্রিমাল গ্রন্থি অশ্রু উৎপন্ন করে । এই অশ্রুগুলি নালীগুলির মধ্যে দিয়ে গড়িয়ে পড়ে । এগুলি হয় গালের উপর দিয়ে গড়িয়ে পড়ে বা নাসোলেক্রিমাল নালীর মাধ্যমে নাকের মধ্যে জমা হয় ।
সঠিকভাবে, চোখের উপরের প্রান্তে উপস্থিত ল্যাক্রিমাল গ্রন্থিগুলির নিঃসরণ হল অশ্রু । আমরা যখন কাঁদি তখন কান্নার পরিমাণ বেশি হয় । আমরা যখন স্বাভাবিক শরীরবৃত্তীয় অবস্থায় থাকি তখন কান্নার পরিমাণ কম হয় । কান্নার অনুভূতির জন্ম মস্তিষ্কে, ল্যাক্রিমাল গ্ল্যান্ড থেকে । এই গ্ল্যান্ড থেকেই প্রোটিন, মিউকাস বা তেলতেলে নোনা জল তৈরি হয় । এগুলি চোখ দিয়ে অশ্রুর আকারে বেরিয়ে আসে । এই তরলকেই কান্না বলে।
মস্তিষ্কে সেরিব্রাম নামে একটা অংশ আছে, সেখানে দুঃখ জমা হয় বা দুঃখের অনুভূতি তৈরি হয় । সেই অনুভূতির বহিঃপ্রকাশ হল কান্না । আরও জানা যায়, দুঃখের বা মন খারাপের কারণে শরীরে একধরনের টক্সিন বা ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ তৈরি হয় । সেগুলি বার করে দেয়ার জন্য কান্নার প্রয়োজন । চোখের জলের সঙ্গে সেই ক্ষতিকর পদার্থ বেরিয়ে আসে ।
সেরিব্রাম অংশ থেকে এন্ডোক্রিন সিস্টেম বা অন্তঃক্ষরা পদ্ধতিতে হরমোন নির্গত হয় । দুঃখের কারণে জমা হওয়া ক্ষতিকর পদার্থগুলি বহন করে চোখের আশপাশের অঞ্চলে নিয়ে যায় এই হরমোনগুলি । সেখান থেকে চোখের জলের সঙ্গে টক্সিনগুলো বেরিয়ে আসে কান্নার আকারে । এটিই আসলে আবেগীয় কান্না । যন্ত্রণার বা খুশির কান্নাও একই পদ্ধতিতে আসে।
( ৫ )
কাঁদার আবার বিভিন্ন ধরন আছে । যেমন দুঃখ, ব্যথা ছাড়াও অনেক সময় আমরা অন্য কারণে কেঁদে ফেলি । আবার চোখে ঝাল বা পেঁয়াজের কষ লাগলে চোখে জল আসে । এটাকে ঠিক কান্না বলা যায় না । কিন্তু কান্নার বাহ্যিক বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে এর যথেষ্ট মিল আছে ।
রিফ্লেক্স নামে আরেক ধরনের কান্না আছে । এই কান্না একটু অন্যরকম ! হঠাৎ ব্যথা পেলে, কিংবা ঝাঁঝালো কোনও বস্তু যেমন পেঁয়াজ বা সর্ষের তেলের ঝাঁঝ কিংবা ধুলাবালি নাক বা চোখ দিয়ে ঢুকলে এই ধরনের কান্নার জন্ম । ঝাঁঝালো বস্তু চোখে ঢুকলে, চোখের কর্নিয়ায় যে স্নায়ুতন্ত্র আছে, সেখানে বার্তা পাঠায় । বদলে মস্তিষ্কও প্রতিরক্ষার জন্য হরমোন পাঠিয়ে দেয় চোখের পাতায় । চোখে সেগুলি অশ্রুর মতো জমা হয় । ধুলাবালি বা ক্ষতিকর পদার্থ বয়ে নিয়ে চোখ থেকে বেরিয়ে আসে সেই অশ্রু ।
বেসাল কান্না কাঁদতে হয় না, জানা যায় এরা চোখের মধ্যেই থাকে। বেসাল কান্না এক ধরণের পিচ্ছিল তরল — যেটা আমাদের চোখকে সব সময় ভিজিয়ে রাখে । যার জন্য আমাদের চোখ কখনোই একেবারে শুকিয়ে যায় না ।
আবেগের কান্না শুরু হয় সেরেব্রাম থেকে । সেরেব্রাম হলো মস্তিষ্কের সবচেয়ে বড় অংশ, এজন্য সেরেব্রামকে বলা হয় ‘গুরুমস্তিষ্ক’। সেরেব্রামেই থাকে আমাদের সব ধারণা, কল্পনা, চিন্তা-ভাবনা, মূল্যায়ন ও সিদ্ধান্ত ।
পরিশেষে আমরা বলতে “কান্না মানুষের একটা সহজাত প্রবৃত্তি ।“ কেননা সহজাত প্রবৃত্তি হচ্ছে কোনো জীবের আচরণের একটি অংশ ! অন্যদিকে উপকারের কথা ভাবলে ‘কান্না’ একটা মানুষকে উদ্দীপ্ত রাখে, চোখ পরিষ্কার রাখে, মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে, আবার বিষণ্ণতা কাটায় ।(তথ্যসূত্রঃ সংগৃহীত) ।

Share This
Categories
প্রবন্ধ

ত্রিনিদাদ এবং টোবাগোর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ঐতিহ্যের একটি গতিশীল মিশ্রণ।

ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সমৃদ্ধ এবং বৈচিত্র্যময়, যা এর ইতিহাস, ভূগোল এবং বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর প্রভাব প্রতিফলিত করে। এখানে কিছু অন্তর্দৃষ্টি আছে:

*জাতিগত প্রভাব:*

1. আফ্রিকান: পশ্চিম আফ্রিকা থেকে আনা ক্রীতদাসরা ড্রাম, সঙ্গীত এবং নাচের প্রচলন করেছিল।
2. ইউরোপীয় (ব্রিটিশ, স্প্যানিশ, ফরাসি): খ্রিস্টধর্ম, ভাষা এবং সাংস্কৃতিক অনুশীলন।
3. ভারতীয় (হিন্দু এবং মুসলিম): রন্ধনপ্রণালী, উত্সব এবং ঐতিহ্যকে প্রভাবিত করে চুক্তিবদ্ধ চাকরদের দ্বারা আনা হয়।
4. চীনা: রন্ধনপ্রণালী, স্থাপত্য, এবং ব্যবসায় অবদান রাখে।
5. আদিবাসী (কালিনিংগো এবং ক্যারিব): মূল অধিবাসীরা ভাষা, কারুকাজ এবং লোককাহিনীতে উত্তরাধিকার রেখে গেছে।

*সাংস্কৃতিক অভিব্যক্তি:*

1. সঙ্গীত: ক্যালিপসো, সোকা, স্টিল ড্রাম এবং চাটনি।
2. নৃত্য: লিম্বো, সোকা এবং ঐতিহ্যবাহী আফ্রিকান ও ভারতীয় নৃত্য।
3. রন্ধনপ্রণালী: স্বাদের অনন্য সংমিশ্রণ, জনপ্রিয় খাবারের মধ্যে রয়েছে ডাবলস, রোটি এবং কল্লালু।
4. উৎসব: কার্নিভাল, দিওয়ালি, ঈদ-আল-ফিতর, এবং মুক্তি দিবস।
5. শিল্প: আফ্রিকান, ভারতীয় এবং ইউরোপীয় প্রভাব প্রতিফলিত করে প্রাণবন্ত চিত্রকর্ম, ভাস্কর্য এবং কারুশিল্প।

*ঐতিহ্য:*

1. পরিবার: পারিবারিক বন্ধন এবং প্রবীণদের প্রতি শ্রদ্ধার উপর দৃঢ় জোর।
2. সম্প্রদায়: প্রতিবেশী এবং গ্রামগুলি ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রাখে।
3. গল্প বলা: মৌখিক ঐতিহ্য ইতিহাস, পৌরাণিক কাহিনী এবং কিংবদন্তীকে অতিক্রম করে।
4. লোককাহিনী: পৌরাণিক প্রাণীর গল্পে সমৃদ্ধ, যেমন লা ডায়াবেলসে (শয়তান মহিলা)।
5. ভাষা: ত্রিনিদাদীয় ক্রেওল এবং টোবাগোনিয়ান উপভাষাগুলি ভাষাগত বৈচিত্র্য যোগ করে।

*সাংস্কৃতিক ল্যান্ডমার্ক:*

1. পোর্ট অফ স্পেন: রাজধানী শহরের ঐতিহাসিক স্থাপত্য, বাজার এবং সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান।
2. ফোর্ট কিং জর্জ: টোবাগোর স্কারবোরোতে 18 শতকের দুর্গ।
3. দিবালি নগর: ছাগুয়ানাসে হিন্দু মন্দির কমপ্লেক্স।
4. জাতীয় জাদুঘর এবং আর্ট গ্যালারি: ইতিহাস, শিল্প এবং সংস্কৃতি প্রদর্শন করা।

*সমসাময়িক সংস্কৃতি:*

1. ফিল্ম এবং থিয়েটার: ক্রমবর্ধমান শিল্প স্থানীয় বিষয়বস্তু উত্পাদন।
2. সাহিত্য: উল্লেখযোগ্য লেখক যেমন V.S. নাইপল এবং আর্ল লাভলেস।
3. সঙ্গীত: ক্যালিপসো রোজ এবং বুঞ্জি গার্লিনের মতো শিল্পীদের জন্য আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি।

ত্রিনিদাদ এবং টোবাগোর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ঐতিহ্যের একটি গতিশীল মিশ্রণ, যা এর জটিল ইতিহাস এবং বিভিন্ন জনসংখ্যাকে প্রতিফলিত করে।

Share This
Categories
প্রবন্ধ

দেশের সামরিক বাহিনীকে সম্মান জানাতে 23শে সেপ্টেম্বর পেরুতে সশস্ত্র বাহিনী দিবস হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।

23শে সেপ্টেম্বর পেরুতে সশস্ত্র বাহিনী দিবস হিসেবে চিহ্নিত করা হয়, এটি দেশের সামরিক বাহিনীকে সম্মান জানানো একটি উল্লেখযোগ্য উদযাপন। পেরুর সশস্ত্র বাহিনী সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী এবং বিমান বাহিনী নিয়ে গঠিত, যার প্রাথমিক লক্ষ্য পেরুর স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষা করা।

*পেরুর সশস্ত্র বাহিনীর ইতিহাস*

পেরুর স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় পেরুর সেনাবাহিনী আনুষ্ঠানিকভাবে 18 আগস্ট, 1821 সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। নৌবাহিনী কয়েক মাস পরে অক্টোবর 8, 1821 অনুসরণ করে। 19 শতক জুড়ে, গ্রান কলম্বিয়া-পেরু যুদ্ধ এবং ইকুয়েডর-পেরুভিয়ান যুদ্ধ সহ প্রতিবেশী দেশগুলির বিরুদ্ধে পেরুর অঞ্চল রক্ষায় সশস্ত্র বাহিনী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল।

*পরিষেবা শাখা*
পেরুর সশস্ত্র বাহিনী তিনটি প্রধান শাখায় বিভক্ত:

– *জয়েন্ট কমান্ড*: পেরুর রাষ্ট্রপতির উপর সরাসরি নির্ভরশীল সামরিক অভিযানের পরিকল্পনা ও সমন্বয়ের সর্বোচ্চ পদক্ষেপ।
– *আর্মি*: লিমাতে সদর দপ্তর, চারটি সামরিক অঞ্চলে বিভক্ত 90,000 সৈন্যের শক্তি সহ।
– *নৌবাহিনী*: গাইডেড-মিসাইল ক্রুজার, ফ্রিগেট, করভেট, সাবমেরিন এবং টহল জাহাজ সহ একটি বহর সহ পাঁচটি নৌ অঞ্চলে সংগঠিত।
– *বিমান বাহিনী*: 17,969 সৈন্যের শক্তি এবং মিগ-29 ইন্টারসেপ্টর এবং মিরাজ 2000 মাল্টিরোল বিমান সহ একটি অস্ত্রাগার সহ ছয়টি উইং এলাকায় বিভক্ত।

*সাম্প্রতিক দ্বন্দ্ব*
পেরুভিয়ান সশস্ত্র বাহিনী শাইনিং পাথের (1980-2000) সাথে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব এবং 1995  এ ইকুয়েডরের বিরুদ্ধে সেনেপা যুদ্ধ সহ বেশ কয়েকটি সাম্প্রতিক সংঘাতে জড়িত।

Share This
Categories
নারী কথা প্রবন্ধ

প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার, ভারতীয় বাঙালি ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম নারী মুক্তিযোদ্ধা ও প্রথম বিপ্লবী মহিলা শহিদ ব্যক্তিত্ব।

ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন ছিল কিছু মানুষের অব্যর্থ পরিশ্রম যার ফলেই ব্রিটিশদের থেকে ভারত রাজনৈতিক দিক থেকে মুক্তি পেয়েছে। ভারত উপমহাদেশের বিংশ শতাব্দীতে ব্রিটিশ সম্রাজ্যবাদ বিরোধী যে সশস্ত্র বিপ্লববাদী লড়াই-সংগ্রাম সংগঠিত হয় এবং যার ধারাবাহিকতায় ভারত স্বাধীন হয়, তার মূলে যে সকল বিপ্লবীর নাম সর্বজন স্বীকৃত তাঁদের মধ্যে বাসন্তী দেবী  প্রথমসারির একজন অন্যতম বিপ্লবী ছিলেন।ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রাম শুধু শহীদ ভগৎ সিং-এর মতই নয় বরং শক্তিশালী নারীদের দ্বারা প্রশস্ত হয়েছিল যারা তাদের মাটিতে দাঁড়িয়েছিল এবং দেশের স্বাধীনতা অর্জনের জন্য ব্রিটিশদের সাথে লড়াই করেছিল।  প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনে এক উল্লেখযোগ্য নাম, যিনি দেশমতৃকার শৃঙ্খল মুক্তির জন্য নিজেকে সঁপে দিয়েছিলেন সম্পূর্ণ রূপে। ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন ব্যক্তিত্ব ও অগ্নিকন্যা ছিলেন প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার।
প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার (৫ মে ১৯১১ – ২৪ সেপ্টেম্বর ১৯৩১) ছিলেন ভারতীয় উপমহাদেশের একজন ভারতীয় বিপ্লবী জাতীয়তাবাদী যিনি ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনে প্রভাবশালী ছিলেন।  চট্টগ্রাম ও ঢাকায় তার শিক্ষা শেষ করার পর, তিনি কলকাতার বেথুন কলেজে ভর্তি হন।  তিনি স্বাতন্ত্র্যের সাথে দর্শনে স্নাতক হন এবং একজন স্কুল শিক্ষক হন।  তিনি “বাংলার প্রথম নারী শহীদ” হিসেবে প্রশংসিত হন।
প্রীতিলতা ১৯১১ সালের ৫ মে চট্টগ্রামের (বর্তমানে বাংলাদেশে) পটিয়া উপজেলার ধলঘাট গ্রামে একটি মধ্যবিত্ত বাঙালি বৈদ্য পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।  ওয়াদ্দেদার একটি উপাধি ছিল যা পরিবারের একজন পূর্বপুরুষের কাছে প্রদত্ত ছিল যার মূল নাম ছিল দাশগুপ্ত।  তার বাবা জগবন্ধু ওয়াদ্দেদার চট্টগ্রাম পৌরসভার কেরানি ছিলেন।  তার মা প্রতিভাময়ী দেবী ছিলেন একজন গৃহিণী।
কলকাতায় শিক্ষা শেষ করে প্রীতিলতা চট্টগ্রামে ফিরে আসেন।  চট্টগ্রামে, তিনি নন্দনকানন অপর্ণাচরণ স্কুল নামে একটি স্থানীয় ইংরেজি মাধ্যম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষিকার চাকরি নেন।
প্রীতিলতা ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে যোগদানের সিদ্ধান্ত নেন।  সুরজো সেন তার সম্পর্কে শুনেছিলেন এবং তাকে তাদের বিপ্লবী দলে যোগ দিতে চেয়েছিলেন।  ১৯৩২ সালের ১৩ জুন প্রীতিলতা তাদের ধলঘাট ক্যাম্পে সুরজো সেন এবং নির্মল সেনের সাথে দেখা করেন।  একজন সমসাময়িক বিপ্লবী, বিনোদ বিহারী চৌধুরী, আপত্তি করেছিলেন যে তারা মহিলাদের তাদের দলে যোগ দিতে দেয়নি।  যাইহোক, প্রীতলতাকে দলে যোগদানের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল কারণ বিপ্লবীরা যুক্তি দিয়েছিলেন যে অস্ত্র পরিবহনকারী মহিলারা পুরুষদের মতো ততটা সন্দেহজনক আকর্ষণ করবে না।
প্রীতিলতা সূর্য সেনের নেতৃত্বে একটি বিপ্লবী দলে যোগদান করেন।সুরজো সেনের বিপ্লবী দলের সাথে প্রীতিলতা টেলিফোন ও টেলিগ্রাফ অফিসে হামলা এবং রিজার্ভ পুলিশ লাইন দখলের মতো অনেক অভিযানে অংশ নিয়েছিলেন।  জালালাবাদ যুদ্ধে তিনি বিপ্লবীদের বিস্ফোরক সরবরাহের দায়িত্ব নেন।  তিনি পাহাড়তলী ইউরোপিয়ান ক্লাবে ১৯৩২ সালে সশস্ত্র আক্রমণে পনেরোজন বিপ্লবীর নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য পরিচিত, যে সময়ে একজন নিহত এবং এগারোজন আহত হয়।  বিপ্লবীরা ক্লাবে অগ্নিসংযোগ করে এবং পরে ঔপনিবেশিক পুলিশের হাতে ধরা পড়ে।  প্রীতিলতা সায়ানাইড খেয়ে আত্মহত্যা করেন।  একজন আহত প্রীতিলতাকে ঔপনিবেশিক পুলিশ ফাঁদে ফেলেছিল।  গ্রেফতার এড়াতে তিনি সায়ানাইড গিলে ফেলেন।  পরদিন পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে শনাক্ত করে।  তার মৃতদেহ তল্লাশি করে পুলিশ কয়েকটি লিফলেট, রামকৃষ্ণ বিশ্বাসের ছবি, গুলি, বাঁশি এবং তাদের হামলার পরিকল্পনার খসড়া পায়।  ময়নাতদন্তের সময় দেখা গেছে যে বুলেটের আঘাত খুব গুরুতর ছিল না এবং সায়ানাইডের বিষ তার মৃত্যুর কারণ। তবে, তার আত্মহত্যা ছিল পূর্বপরিকল্পিত এবং গ্রেফতার এড়াতে নয়।  তার সাথে একটি সুইসাইড নোট বা একটি চিঠি ছিল, যেখানে তিনি ভারতীয় রিপাবলিকান আর্মি, চট্টগ্রাম শাখার উদ্দেশ্যগুলি লিখেছিলেন।  চিঠিতে, মাস্টারদা সূর্য সেন এবং নির্মল সেনের নামের সাথে, তিনি আলিপুর সেন্ট্রাল জেলে রামকৃষ্ণ বিশ্বাসের সাথে কয়েকবার দেখা করার অভিজ্ঞতার কথাও উল্লেখ করেছিলেন।
।।তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ

প্রখ্যাত ‘কল্লোল’ পত্রিকার অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ও সহকারী সম্পাদক গোকুলচন্দ্র নাগ – একটি বিশেষ পর্যালোচনা।।

জন্ম ——–
গোকুলচন্দ্র নাগ একজন চিত্রশিল্পী, প্রখ্যাত ‘কল্লোল’ পত্রিকার অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ও সহকারী সম্পাদক। গোকুলচন্দ্র নাগের জন্ম বৃটিশ ভারতের কলকাতায় ১৮৯৪ খ্রিস্টাব্দের ২৮ শে জুন।
প্রারম্ভিক জীবন——–
গোকুলচন্দ্র নাগ এর পিতা মতিলাল নাগ মাতা কমলা দেবী। বাঁকুড়া জেলার বিষ্ণুপুরে ছিল  আদি পৈত্রিক নিবাস। প্রখ্যাত ঐতিহাসিক ড. কালিদাস নাগ তার অগ্রজ। শৈশবেই মাতৃপিতৃহীন হন। তাই তিনি মানুষ হন মাতুলালয়ে গোঁড়া ব্রাহ্ম পরিবারের আবহাওয়ায়। কৃতি ফটোগ্রাফার ছিলেন তিনি।অতি অল্প বয়সে চিত্রাঙ্কন ও সাহিত্য চর্চা শুরু করেন।
কর্মজীবন———
আর্ট স্কুল থেকে পাস করার পর, গোকুলচন্দ্র প্রত্নতাত্ত্বিক রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাজে যোগ দিতে পুনে চলে আসেন।   কিন্তু কয়েক বছর পর সেখানে অসুস্থ হয়ে পড়েন।   বোম্বেতে একজন সলিসিটর দম্পতির তত্ত্বাবধানে সুস্থ হয়ে ওঠেন কিন্তু কাজ করতে পারেননি।   তাই কলকাতায় ফিরে এলেন বিধবা দিদির কাছে ।   তিনি একজন অকৃত্রিম বন্ধু পেয়েছিলেন, দিনেশরঞ্জন দাশ।   তারা দুজনেই নতুন লেখকদের নিয়ে ১৩৩০ বঙ্গাব্দের পহেলা বৈশাখে ‘কল্লোল’ মাসিক সাহিত্য পত্রিকা প্রকাশ করেন।   সম্পাদক দীনেশরঞ্জন দাস পত্রিকায় নতুন ধারার প্রবর্তন করেন।   একদল নবীনদের লেখায় সমৃদ্ধ, বাংলা সাহিত্যের যে সময়টি লেখক-পাঠকদের মধ্যে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল তাকে ‘কল্লোল যুগ’ বলে চিহ্নিত করা হয়।   গোকুলচন্দ্র সহ-সম্পাদক হলেও প্রকৃত নেতা ছিলেন তিনি।   গোকুলচন্দ্র অর্থক্লিষ্ট পত্রিকা সংরক্ষণের জন্য বিজ্ঞাপন সংগ্রহ, গ্রাহক সংখ্যা বৃদ্ধি, মুদ্রণের কাজ তদারকি করতেন।   তার বন্ধু দীনেশরঞ্জন দাসের সাথে, তিনি ‘সোল অফ আ স্লেভ’ চলচ্চিত্র প্রযোজনা ও অভিনয়ে সহায়তা করেছিলেন।   এসবের পাশাপাশি তিনি তার সাহিত্যচর্চাও বজায় রেখেছেন।
তার রচিত গ্রন্থগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল –
রূপরেখা (কথিকা সংকলন), রাজকন্যা ও পরীস্থান’ (অনুবাদ রচনা) – ১৯২৪, মায়ামুকুল (ছোটগল্প সংকলন), পথিক (উপন্যাস), ঝড়ের দোলা।
হাওড়ার শিবপুরের বাড়িতে চলে যাওয়ার পর আবার অসুস্থ হয়ে পড়েন। কিন্তু অসুস্থ অবস্থাতেই চলে তার সাহিত্য রচনা। শেষে যক্ষায় আক্রান্ত হয়ে পড়লেন গোকুলচন্দ্র। ‘কল্লোল’-এর বন্ধুরা প্রায়ই আসতেন শিবপুরের বাড়ীতে। গভীর সহমর্মিতায় আপ্লুত সাহিত্যিক পবিত্র গঙ্গোপাধ্যায় রোজ আসতেন তার কাছে। ডাক্তারের পরামর্শে গোকুলকে শেষে দার্জিলিঙে নিয়ে যাওয়া হল।
মৃত্যু———-
১৯২৫ খ্রিস্টাব্দের সেপ্টেম্বর তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয় এবং অবশেষে ২৪ শে সেপ্টেম্বর তিনি দার্জিলিংঙে মাত্র ৩১ বৎসর বয়সে প্রয়াত হন।
।। তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

গ্রেট ব্রিটেনে আধুনিক ডাক ব্যবস্থার জন্ম, যোগাযোগের ইতিহাসে একটি উল্লেখযোগ্য মাইলফলক।

24 সেপ্টেম্বর, 1789, যোগাযোগের ইতিহাসে একটি উল্লেখযোগ্য মাইলফলক হিসাবে চিহ্নিত, যেহেতু গ্রেট ব্রিটেনে ডাক ব্যবস্থা শুরু হয়েছিল। এই বৈপ্লবিক উন্নয়ন মানুষের সংযোগ, ব্যবসা পরিচালনা এবং তথ্য আদান-প্রদানের পদ্ধতিকে পরিবর্তন করেছে।

*প্রাথমিক সূচনা*

1789 সালের আগে, মেল বিতরণ অপ্রত্যাশিত এবং প্রায়ই অবিশ্বস্ত ছিল। চিঠিগুলি ঘোড়ার পিঠে বা পায়ে বহন করা হত এবং প্রসবের সময় ব্যাপকভাবে পরিবর্তিত হয়। বাণিজ্য, বাণিজ্য এবং যোগাযোগের প্রসারের সাথে সাথে একটি প্রমিত ব্যবস্থার প্রয়োজনীয়তা বৃদ্ধি পায়।

*সংস্কার এবং উদ্ভাবন*

1784 সালে, ব্রিটিশ রাজনীতিবিদ এবং সংস্কারক, টমাস পাওনাল, ডাক সংস্কারের পক্ষে ছিলেন। তার প্রচেষ্টা 1784 সালের ডাক আইনের দিকে পরিচালিত করে, যা একটি আধুনিক ডাক ব্যবস্থার ভিত্তি স্থাপন করে।

*রোল্যান্ড হিল এর ভিশন*

রোল্যান্ড হিল, একজন ইংরেজ শিক্ষাবিদ এবং সমাজ সংস্কারক, সাশ্রয়ী মূল্যের ডাকের জন্য প্রচারণা চালান। তার 1837 সালের প্যামফলেট, “পোস্ট অফিস সংস্কার,” দূরত্ব নির্বিশেষে একটি অভিন্ন হারের প্রস্তাব করেছিল। পেনি পোস্টেজ সিস্টেমের সাথে এই দৃষ্টি বাস্তবে পরিণত হয়েছিল।

*দ্য পেনি ব্ল্যাক*

1 মে, 1840-এ, রাণী ভিক্টোরিয়া সমন্বিত পেনি ব্ল্যাক স্ট্যাম্প চালু করা হয়েছিল। এই উদ্ভাবন মেইলিং চিঠিগুলিকে অ্যাক্সেসযোগ্য এবং দক্ষ করে তুলেছে।

*সম্প্রসারণ ও আধুনিকীকরণ*

19 শতকে উল্লেখযোগ্য সম্প্রসারণ ঘটেছে:

1. রেলওয়ে ডাক পরিষেবার সাথে একীভূত।
2. ডাক বাছাই এবং বিতরণ উন্নত।
3. মানি অর্ডার এবং পার্সেল পোস্ট সেবা আবির্ভূত.

*সমাজের উপর প্রভাব*

ডাক ব্যবস্থা ব্রিটিশ সমাজকে বদলে দিয়েছে:

1. ব্যবসা বৃদ্ধি সহজতর.
2. সংযুক্ত পরিবার এবং বন্ধু.
3. ব্যাপক যোগাযোগ সক্রিয়.

*উত্তরাধিকার*

আজ, রয়্যাল মেল প্রযুক্তিকে আলিঙ্গন করে এবং পরিবর্তিত প্রয়োজনের সাথে খাপ খাইয়ে বিকশিত হচ্ছে।

*উপসংহার*

24 সেপ্টেম্বর, 1789, যোগাযোগের ক্ষেত্রে একটি বিপ্লবী যুগের সূচনা করে। পোস্টাল সিস্টেমের রূপান্তর গ্রেট ব্রিটেন এবং বৈশ্বিক সংযোগের উপর দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলেছে।

Share This
Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

প্রতিষ্ঠা বিচার: মার্কিন সুপ্রিম কোর্টের সৃষ্টি।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট 24 সেপ্টেম্বর, 1789 সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, আমেরিকান ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত। এটি সম্ভব হয়েছিল 1789 সালের বিচার বিভাগীয় আইন দ্বারা, রাষ্ট্রপতি জর্জ ওয়াশিংটন কর্তৃক স্বাক্ষরিত আইনে, যা মার্কিন সংবিধানের 3 অনুচ্ছেদকে জীবিত করে। সংবিধান সুপ্রিম কোর্টকে আইনের ব্যাখ্যা করার চূড়ান্ত ক্ষমতা দিয়েছে, বিশেষ করে সাংবিধানিকতা, চুক্তি, বিদেশী কূটনীতিক, অ্যাডমিরালটি অনুশীলন এবং সামুদ্রিক এখতিয়ার ¹ সম্পর্কিত।

*প্রথম সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি*

রাষ্ট্রপতি ওয়াশিংটন সুপ্রিম কোর্টে দায়িত্ব পালনের জন্য ছয় ব্যক্তিকে মনোনীত করেছেন, যার মধ্যে জন জে প্রধান বিচারপতি এবং জন রুটলেজ, উইলিয়াম কুশিং, জন ব্লেয়ার, রবার্ট হ্যারিসন, এবং জেমস উইলসন সহযোগী বিচারপতি হিসেবে ¹। সেনেট 26 সেপ্টেম্বর, 1789-এ সমস্ত ছয়টি নিয়োগ নিশ্চিত করেছে। এই বিচারপতিরা দেশের আইনি ল্যান্ডস্কেপ গঠনে আদালতের ভূমিকার ভিত্তি স্থাপন করেছিলেন।

*আদালতের প্রারম্ভিক বছর*

নিউইয়র্ক সিটির রয়্যাল এক্সচেঞ্জ বিল্ডিং ¹-এ 1790 সালের 1 ফেব্রুয়ারিতে সুপ্রিম কোর্ট প্রথম আহ্বান করেছিল। প্রাথমিকভাবে, আদালতের সীমিত ক্ষমতা এবং এখতিয়ার ছিল, কিন্তু এটি ধীরে ধীরে যুগান্তকারী সিদ্ধান্তের মাধ্যমে তার প্রভাব বিস্তার করে। একটি উল্লেখযোগ্য মামলা ছিল _চিশোলম বনাম জর্জিয়া_ (1793), যা রাজ্যগুলির বিরুদ্ধে মামলা শোনার জন্য ফেডারেল বিচার বিভাগের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করে²। যাইহোক, এই সিদ্ধান্তটি বিতর্কের জন্ম দেয়, যার ফলে 1795 ²-এ একাদশ সংশোধনীর প্রস্তাব এবং অনুমোদন হয়।

*মার্শাল যুগ*

প্রধান বিচারপতি জন মার্শালের (1801-1835) অধীনে সুপ্রিম কোর্ট তার কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। ল্যান্ডমার্ক কেস _মারবেরি বনাম ম্যাডিসন_ (1803) বিচারিক পর্যালোচনার আদালতের ক্ষমতাকে দৃঢ় করেছে, এটিকে অসাংবিধানিক বলে বিবেচিত আইনগুলিকে বাতিল করতে সক্ষম করেছে ²। মার্শাল কোর্ট ফেডারেলিজম, বাণিজ্য, এবং প্রয়োজনীয় এবং যথাযথ ধারার বিষয়েও গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

*আদালতের বিবর্তন*

তার ইতিহাস জুড়ে, সুপ্রিম কোর্ট পরিবর্তিত সময় এবং সামাজিক প্রয়োজনের সাথে খাপ খাইয়ে নিয়েছে। আদালতের আকার পরিবর্তিত হয়েছে, কংগ্রেস 1869 সালে নয় জন বিচারপতির সংখ্যা নির্ধারণ করেছে ²। রজার বি. ট্যানি, চার্লস ইভান্স হিউজ এবং আর্ল ওয়ারেন-এর মতো উল্লেখযোগ্য প্রধান বিচারপতিরা আমেরিকান আইনশাস্ত্রে স্থায়ী প্রভাব ফেলেছেন।

*ল্যান্ডমার্ক সিদ্ধান্ত*

সুপ্রীম কোর্ট আমেরিকান সমাজ ও আইন গঠনে বহু যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত প্রদান করেছে। কিছু উল্লেখযোগ্য উদাহরণ অন্তর্ভুক্ত:

– _ব্রাউন বনাম শিক্ষা বোর্ড_ (1954), পাবলিক স্কুলে পৃথকীকরণকে অসাংবিধানিক ঘোষণা করে²
– _রো বনাম ওয়েড_ (1973), একজন মহিলার গর্ভপাতের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা ²
– _গ্রিসওল্ড বনাম কানেকটিকাট_ (1965), গোপনীয়তার অধিকারকে স্বীকৃতি দিয়ে²

এই সিদ্ধান্তগুলি সংবিধানের ব্যাখ্যা এবং সমস্ত আমেরিকানদের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা প্রদর্শন করে।

Share This
Categories
কবিতা

নদীর কথা : শীলা পাল।

আমি জল ছলছল ছোট্ট
একটি নদী
এক আকাশ বিষাদ মেখে আশ্বিন এসে আমার সামনে এসে দাঁড়ায়।
আমি ছোট নদীটি
আপনমনে মনের সুখে ভেসে যাই স্রোতের টানে।
গাছগাছালির মধুর হাওয়া
আমার গায়ে আপনজনের দোলা মাখিয়ে আদর করে,
পাখিরা গান শুনিয়ে মনের মাঝে ঢেউ তুলে যায়।
এই শরতে এ কেমন মনখারাপী হাওয়া আমার প্রাণে এসে বাজলো
‘বিচার চাই বিচার চাই ‘
আমার চলার স্রোতের রঙ
রক্তের মত লাল হয়ে যেন বললো, দ্যাখ শারদীয় আকাশে রক্তমাখা মুখ ভাসে তাই তোমার জলেও
সেই রঙ।
এত অবিচার?
আমি ছোট নদী তবু আমার জলের তরঙ্গে তরঙ্গে ধিক্কার ছড়িয়ে দিলাম পৃথিবীর সর্বত্র।

Share This