Categories
প্রবন্ধ

স্মরণে কিংবদন্তি কণ্ঠশিল্পী, ভারতরত্ন ভূপেন হাজারিকা।

ভূপেন হাজারিকা ছিলেন একজন বিখ্যাত কণ্ঠশিল্পী এবং ভারতীয় সঙ্গীতের আইকনোক্লাস্ট এবং একজন বিশ্ব শিল্পী।  এই কিংবদন্তি কণ্ঠশিল্পীর জন্ম ভারতের আসামে।  গভীর কণ্ঠের এই গায়কের জনপ্রিয়তা ছিল আকাশচুম্বী।  অসমীয়া চলচ্চিত্রে সঙ্গীত পরিবেশনের মাধ্যমে তিনি সঙ্গীত জগতে প্রবেশ করেন।  পরবর্তীতে তিনি বাংলা ও হিন্দি ভাষায় গান গেয়ে ভারত ও বাংলাদেশে অবিশ্বাস্য জনপ্রিয়তা অর্জন করেন।  তিনি অল্প সময়ের জন্য বিজেপি বা ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগ দেন।  ২০০৬ সালের বিবিসি বাংলার শ্রোতাদের জরিপে, তাঁর গান “মানুষ মানওয়ান নাইয়িদ” সর্বকালের বিশটি সেরা বাংলা গানের তালিকায় দ্বিতীয় স্থান লাভ করে।
ভূপেন হাজারিকা ৮ সেপ্টেম্বর ১৯২৬ আসামের সাদিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন।  তার বাবার নাম নীলকান্ত হাজারিকা, মাতার নাম শান্তিপ্রিয়া হাজারিকা।  পিতামাতার দশ সন্তানের মধ্যে তিনি ছিলেন জ্যেষ্ঠ।  তাঁর অন্য ভাইবোনরা হলেন- অমর হাজারিকা, প্রবীণ হাজারিকা, সুদক্ষিণা শর্মা, নৃপেন হাজারিকা, সাইদ হাজারিকা, কবিতা বড়ুয়া, স্তুতি প্যাটেল, জয়ন্ত হাজারিকা এবং সমর হাজারিকা।
ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত ভূপেন হাজারিকা কানাডায় বসবাসকারী প্রিয়ম্বদা প্যাটেলকে বিয়ে করেন।
ভূপেন হাজারিকার গানগুলোতে মানবপ্রেম, প্রকৃতি, ভারতীয় সমাজবাদের, জীবন-ধর্মীয় বক্তব্য বিশেষভাবে লক্ষ্যণীয়। এছাড়াও, শোষণ, নিপীড়ন, নির্যাতনের বিরুদ্ধে বলিষ্ঠ প্রতিবাদী সুরও উচ্চারিত হয়েছে বহুবার।
বিস্তীর্ণ দুপারে, আজ জীবন খুঁজে পাবি,  আমি এক যাযাবর, প্রতিধ্বনি শুনি, মানুষ মানুষের জন্যে, সাগর সঙ্গমে, হে দোলা হে দোলা, চোখ ছলছল করে, আমায় ভুল বুঝিস না, একটি রঙ্গীন চাদর, ও মালিক সারা জীবন, গঙ্গা আমার মা গানগুলি আজও অমর হয়ে রয়েছে।
২৩তম জাতীয় চলচ্চিত্র উৎসবে শ্রেষ্ঠ আঞ্চলিক চলচ্চিত্র ‘চামেলী মেমসাহেব’ ছবির সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন তিনি,
পদ্মশ্ৰী, অসম সরকারের শঙ্করদেব পুরস্কার (১৯৮৭), দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার (১৯৯২)
জাপানে এশিয়া প্যাসিফিক আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে রুদালী ছবির শ্রেষ্ঠ সঙ্গীত পরিচালকের পুরস্কার অর্জন। তিনিই প্রথম ভারতীয় হিসেবে এই পুরস্কার পান। (১৯৯৩), পদ্মভূষণ (২০০১)  অসম রত্ন (২০০৯), সঙ্গীত নাটক অকাদেমি পুরস্কার (২০০৯), ভারতরত্ন (২০১৯)।
কিডনী বৈকল্যসহ বার্ধক্যজনিত সমস্যায় জর্জরিত হয়ে ৫ নভেম্বর, ২০১১ সালে ৮৫ বছর বয়েসে প্রয়াত হন।
।।তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।

Share This

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *