Categories
প্রবন্ধ

স্মরণে,বাঙালি বৈদিক পণ্ডিত ও বৈদিক রিসার্চ ইনস্টিটিউটের প্রতিষ্ঠাতা – শৈলেন্দ্র নারায়ণ ঘোষাল শাস্ত্রী।।।

শৈলেন্দ্র নারায়ণ ঘোষাল শাস্ত্রী একজন বৈদিক পণ্ডিত এবং দ্য বৈদিক গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক ছিলেন।  শৈলেন্দ্র নারায়ণ ১৯২৮ সালের ৫ মার্চ ব্রিটিশ ভারতের বর্তমান পশ্চিমবঙ্গের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার কালিয়ারা গ্রামে একটি ধর্মীয় পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।  তাঁর পিতা ছিলেন অগ্নিহোত্রী ব্রাহ্মণ শশিভূষণ ঘোষাল এবং মাতা প্রভাবতী দেবী।
শৈলেন্দ্র নারায়ণ ছোটবেলা থেকেই মেধাবী ছাত্র ছিলেন।  বিএইচ ইনস্টিটিউট মেদিনীপুর থেকে মেদিনীপুর জেলার ম্যাট্রিকুলেশন পরীক্ষায় তিনি প্রথম স্থান অধিকার করেন।  তিনি মেদিনীপুর কলেজ থেকে আইএসসি পাস করেন।  পরে তিনি কলকাতার স্কটিশ চার্চ কলেজ থেকে সংস্কৃতে অনার্সসহ স্নাতক হন।

তিনি তার পিতার কাছ থেকে বৈদিক সাহিত্য শিখেছিলেন।  ভারতে ভ্রমণকালে তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সংস্কৃত ও দর্শনে এমএ ডিগ্রি লাভ করেন।
স্নাতক হওয়ার পর তিনি নর্মদা পরিক্রমায় বের হয়ে পদব্রজে নর্মদা নদীর তীরের তীর্থ ভ্রমণ করেন এবং সেখানে তিনি বহু ঋষির সাথে সাক্ষাতে বহু অসাধারণ অভিজ্ঞতাও অর্জন করেন। পিতার ইচ্ছানুসারে তিনি চারবার ভারতে ভ্রমণ করেছিলেন। তিনি কেদার-বদ্রী, কৈলাস মানস-সরোবর, শতপন্থ,বারাণসী, তথা কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারিকা পর্যন্ত সমগ্র ভারতবর্ষ পরিভ্রমণে বহু ঋষির সঙ্গী হন। দীর্ঘ ছয় বৎসর ধরে পরিক্রমান্তে ১৯৫৮ সালে প্রকাশিত তার প্রথম বই “অলোক তীর্থ”। তিনি মূর্তিপূজা, রামায়ণ, মহাভারত, ভগবদ প্রভৃতিতে ধর্মজীবনের সমস্ত কুসংস্কার, গোঁড়ামিসহ বহু ভুল ধারণা নিয়ে আলোকপাত করার চেষ্টা করেন।১৯৬৯ সালে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন – বৈদিক রিসার্চ ইনস্টিটিউট।
তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থ সমূহ—-
তপোভূমি নর্মদা , অলোক তীর্থ (১৯৫৮), অলোক বন্দনা (১৯৫৯), পিতারৌ (১৯৮০)।
অপ্রকাশিত গ্রন্থ—
পতঞ্জলি যোগদর্শন, বৈদিক ভারত, সায়েন্স ইন ভেদাজ, প্রাচীন ভারতের যুদ্ধবিদ্যা, বেদান্তসার।

।। তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।

Share This
Categories
রিভিউ

আজ ০৫ মার্চ, ইতিহাসের দিকে চোখ বুলিয়ে দেখে নেব ইতিহাসের এই দিনে বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু, দিনসহ ঘটে যাওয়া ঘটনা।।।

আজ ০৫ মার্চ । এক নজরে দেখে নিই ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু দিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

আজ যাদের জন্মদিন—-

১১৩৩ – ইংল্যান্ডের রাজা দ্বিতীয় হেনরি।

১৩২৪ – স্কটল্যান্ডের রাজা দ্বিতীয় ডেভিড জন্মগ্রহণ করেন।
১৩২৬ – হাঙ্গেরির রাজা লুই আই জন্মগ্রহণ করেন।

১৫১২ – ফ্লেমিশ গণিতজ্ঞ, মানচিত্রাঙ্কনবিদ ও দার্শনিক গেরারডুস মেরকাটর জন্মগ্রহণ করেন।
১৬৯৬ – ইতালীয় চিত্রশিল্পী জিওভান্নি বাতিস্তা টিয়েপলো জন্মগ্রহণ করেন।

১৮৭১ – পোলীয় রুশ অর্থনীতিবিদ ও দার্শনিক রোসা লুক্সেমবুর্গ জন্মগ্রহণ করেন।
১৮৮৭ – ব্রাজিলীয় সুরকার আতোর ভিলা-লোবোস।
১৮৯৮ – চীনা রাষ্ট্রনেতা চৌ এন-লাই।
১৯০২ – আজাদ আজাদ হিন্দ ফৌজের রানী ঝাঁসি রেজিমেন্টের সৈনিক নীরা আর্য।
১৯০৪ – কথাসাহিত্যিক অন্নদাশঙ্কর রায় জন্মগ্রহণ করেন।

১৯০৫ – প্রভাবতী দেবী সরস্বতী বাঙালি ঔপন্যাসিক।
১৯০৮ – ইংরেজ বংশোদ্ভূত মার্কিন অভিনেতা ও গায়ক রেক্স হ্যারিসন জন্মগ্রহণ করেন।

১৯১১ – এয়ার মার্শাল সুব্রত মুখার্জী, ভারতীয় বিমান বাহিনীর প্রথম ভারতীয় চীফ অভ দ্যা এয়ার স্টাফ।
১৯১৮ – নোবেল পুরস্কার বিজয়ী মার্কিন অর্থনীতিবিদ জেমস টোবিন জন্মগ্রহণ করেন।
১৯২২ – ইতালীয় অভিনেতা, পরিচালক ও চিত্রনাট্যকার জেটি পাওলো পাসোলিনির জন্মগ্রহণ করেন।

১৯২৮ – শৈলেন্দ্র নারায়ণ ঘোষাল শাস্ত্রী,বাঙালি বৈদিক পণ্ডিত ও বৈদিক রিসার্চ ইনস্টিটিউটের প্রতিষ্ঠাতা।
১৯৩৪ – নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ইসরাইলের অর্থনীতিবিদ ড্যানিয়েল কানেমান জন্মগ্রহণ করেন।
১৯৩৭ – নাইজেরিয়ার সাবেক জেনারেল, রাজনীতিবিদ ও ৫ম প্রেসিডেন্ট ওলুস্যাগুন অবাসাঞ্জ জন্মগ্রহণ করেন।
১৯৩৯ – দিব্যেন্দু পালিত ভারতীয় বাঙালি লেখক।
১৯৪২ – স্পেনীয় আইনজীবী, রাজনীতিবিদ ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ফেলিপে গনসালেস জন্মগ্রহণ করেন।
১৯৪৩ – ইতালীয় শিল্পী, তিনি গীতিকার ও গিটার লুচো বাত্তিস্তি জন্মগ্রহণ করেন।
১৯৬৮ – হাঙ্গেরীয় ব্যবসায়ী, রাজনীতিবিদ ও ৭ম প্রধানমন্ত্রী গর্ডন বাজনাই জন্মগ্রহণ করেন।

১৯৭৪ – মার্কিন অভিনেত্রী এভা মেন্ডেস জন্মগ্রহণ করেন।
১৯৮৭ – রুশ টেনিস খেলোয়াড় আন্না চাকভেতাদজে জন্মগ্রহণ করেন।
ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনের ঘটনাবলী—-
১৩৯৭ – অক্সফোর্ডের নতুন কলেজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হয়।
১৫৫৮ – ইউরোপে প্রথম ধূমপানে তামাক ব্যবহার শুরু হয়।
১৬৮৪ – তুরস্কের বিরুদ্ধে রোম পোল্যান্ড ও ভেনিসের লিঞ্জলীগ গঠন।
১৭৭০ – বোস্টনে (যুক্তরাষ্ট্র) জনতার ওপর গুলি চালিয়ে ব্রিটিশ সৈন্যরা গণহত্যা ঘটায়।
১৭৯৩ – ফ্রান্সের সেনাবাহিনী অস্ট্রিয়ার কাছে পরাজিত হয়।
১৮২২ – ভবানীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পাদিত ‘সমাচার চন্দ্রিকা’ প্রকাশিত হয়।
১৮২৪ – ইঙ্গ-বার্মা যুদ্ধ শুরু হয়।
১৮৩৩ – অবিভক্ত ভারতের প্রথম দুই মহিলা কাদিম্বিনী ও চন্দ্রমুখী বসু স্নাতক ডিগ্রী লাভ করেন।
১৮৩৬ – মেক্সিকো আলামো আক্রমণ করে।
১৮৯৬ – ইতালির প্রধানমন্ত্রী ক্রিসপি পদত্যাগ করেন।
১৮৯৭ – মার্কিন নিগ্রো অ্যাকাডেমি গঠিত হয়।
১৯১২ – স্পেনে স্টিমারডুবিতে ৫০০ যাত্রীর প্রাণহানি ঘটে।
১৯১৮ – মস্কোকে রাশিয়ার রাজধানী করা হয়।
১৯৩৩ – জার্মানিতে নির্বাচনে এডলফ হিটলার ও তার নাৎসী পার্টির বহু আসনে জয়লাভ। তবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। এর কিছুদিন পরই এক নায়কতন্ত্র ঘোষণা।
১৯৬৬ – জাপানের ফুজি পর্বতে ব্রিটিশ এয়ার লাইন্সের বিমান বিধ্বস্ত হয়ে ১২৪ যাত্রী নিহত।
১৯৮৪ – ভূটানের সাথে বাংলাদেশের বাণিজ্য ও সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
১৯৮৭ – সিলেটের ওসমানী জাদুঘর উদ্বোধন।
১৯৯৮ – ব্রিটেন ও উত্তর আয়ারল্যান্ড ‘উত্তর আয়ারল্যান্ড’ চুক্তিতে উপনীত হয়।
২০০১ – হজ্বের সময় মিনায় পদদলিত হয়ে ৩৫ হাজীর মৃত্যু।
২০০৭ – ঢাকা-ব্যাংকক-ঢাকা সেক্টরে ইলেকট্রনিক টিকেটিং (ই-টিকেটিং) পদ্ধতি চালু।

এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন যারা—-

১৫৩৪ – আন্তোনিও ডা করেগিও, ইতালীয় চিত্রশিল্পী।

১৬২৫ – ইংল্যান্ডের রাজা প্রথম জেমস।
১৮১৫ – ‘প্রাণী চুম্বকত্বের’ (ম্যাসমেরিজম) প্রবক্তা ফ্রানৎস ম্যাসমের।
১৮২৭ – ইতালীর বিখ্যাত পদার্থবিজ্ঞানী আলেসান্দ্রো ভোল্টা।
১৮২৭ – পিয়ের লাপ্লাস, বিখ্যাত ফরাসি গণিতবিদ।

১৮৭৮ – হরিচাঁদ ঠাকুর, বাংলার মতুয়া সম্প্রদায়ের প্রতিষ্ঠাতা।
১৯৪৪ – ম্যাক্স জেকব, ফরাসি কবি ও লেখক।
১৯৫৩ – সোভিয়েত ইউনিয়নের নেতা ও হিটলার বধের নায়ক জোসেফ স্টালিন।

১৯৬১ – নাট্যকার শচীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত।

১৯৬৬ – রুশ মহিলা কবি আন্না আখমা তোভা।
১৯৬৭ – ইরানি রাজনৈতিক বিজ্ঞানী, রাজনীতিবিদ ও ৬০তম প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ মোসাদ্দেক মৃত্যুবরণ করেন।
১৯৭৩ – অমূল্যকুমার দাশগুপ্ত, বাঙালি লেখক ও শিক্ষাবিদ।
১৯৮২ – জন বেলুশি, মার্কিন অভিনেতা, গায়ক ও চিত্রনাট্যকার ।

১৯৯৬ – খন্দকার মোশতাক আহমেদ, বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি।
২০০৮ – জোসেফ ওয়েইযেনবাউম, জার্মান কম্পিউটার বিজ্ঞানী ও লেখক।

২০১৩ – হুগো চাভেজ, ভেনেজুয়েলার কর্নেল, রাজনীতিবিদ ও প্রেসিডেন্ট।
২০১৬ – রে টমলিনসন, মার্কিন কম্পিউটার প্রোগ্রামার ও বিশ্বের প্রথম ই-মেইল প্রবর্তনকারী।
২০২০ – হাভিয়ের পেরেজ ডে কুয়েইয়ার, পেরুর সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও জাতিসংঘের ৫ম মহাসচিব

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This
Categories
নারী কথা প্রবন্ধ

স্মরণে, আজাদ হিন্দ ফৌজের প্রথম মহিলা গুপ্তচর – নীরা আর্য।।।

তিনি ছিলেন আজাদ হিন্দ ফৌজের প্রথম মহিলা গুপ্তচর, আজাদ হিন্দ ফৌজের ঝাঁসি রেজিমেন্টের নেতৃত্বে ছিলেন লক্ষী সেহেগল। দক্ষিণ এশিয়ায় বসবাসকারী ভারতীয় বংশোদ্ভুত মহিলা স্বেচ্ছাসেবকদের নিয়ে ১৯৪৩ সালে গড়ে উঠেছিল এই রেজিমেন্ট। ট্রেনিং ক্যাম্প ছিল ব্যাংকক, রেঙ্গুন ও সিঙ্গাপুর।

নীরা আর্য আজাদ হিন্দ ফৌজের রানি ঝাঁসি রেজিমেন্টের সৈনিক ছিলেন। নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর জীবন বাঁচাতে তিনি নিজের স্বামীকে হত্যা করেন। নেতাজী তাঁকে নীরা নাগিনী বলে অভিহিত করলে তিনি নীরা নাগিনী নামে পরিচিতি লাভ করেন। বৃটিশ সরকার তাঁকে একজন গুপ্তচর হিসাবে গণ্য করেছিল। তার ভাই বসন্ত কুমারও আজাদ হিন্দ ফৌজে ছিলেন।
প্রখর বুদ্ধিমত্তা, সাহসী ও আত্মসম্মান বোধ-
অনেক লোকশিল্পী নীরা নাগিন ও তার ভাই বসন্ত কুমারের জীবন নিয়ে কবিতা ও ভজন রচনা করেছেন। নীরা নাগিনী নামে তার জীবনের একটি মহাকাব্যও রয়েছে। তার জীবন নিয়ে একটি চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে। তিনি ছিলেন এক দুর্দান্ত দেশপ্রেমিক, সাহসী ও আত্মসম্মান বোধে গর্বিত মহিলা। তার শেষ জীবন কাটে হায়দ্রাবাদে। সেখানকার মহিলারা তাকে গর্বের সাথে ‘পদ্মমা’ বলে সম্বোধন করতেন।
জন্ম ও শিক্ষাজীবন–
নীরা আর্য ১৯০২ সালের ৫ মার্চ ভারতের তত্‍কালীন যুক্তপ্রদেশের অধুনা উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের বাগপত জেলার খেকড়া শহরে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তার পিতা শেঠ ছজুমল ছিলেন সে সময়ের এক বিশিষ্ট ব্যবসায়ী। তার ব্যবসা-বাণিজ্য সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছিল। তার পিতার ব্যবসায়ের মূল কেন্দ্র ছিল কলকাতা। তাই কলকাতাতে তার পড়াশোনা শুরু হয়েছিল। নীরা আর্য হিন্দি, ইংরেজি, বাংলার পাশাপাশি আরও অনেক ভাষায় দক্ষ ছিলেন। তিনি ব্রিটিশ ভারতের সিআইডি ইন্সপেক্টর শ্রীকান্ত জয়রঞ্জন দাসকে বিবাহ করেন। শ্রীকান্ত জয়রঞ্জন দাস ছিলেন ইংরেজপ্রভু ভক্ত অফিসার। মূলতঃ শ্রীকান্ত জয়রঞ্জন দাসকে গুপ্তচরবৃত্তি করে নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুকে হত্যা করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল।
স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশগ্রহণ–
নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জীবন বাঁচাতে তিনি ইংরেজ সেনাবাহিনীর পদস্থ অফিসার শ্রীকান্ত জয়রঞ্জন দাসকে হত্যা করেছিলেন। একসময় সুযোগ পেয়ে শ্রীকান্ত জয়রঞ্জন দাস নেতাজিকে হত্যার জন্য গুলি চালিয়েছিলেন, কিন্তু সেই গুলি নেতাজির গাড়ীর চালককে বিদ্ধ করে । কিন্তু এরই মধ্যে নীরা আর্য শ্রীকান্ত জয়রঞ্জনের পেটে বেয়নেট চালিয়ে হত্যা করে। শ্রীকান্ত জয়রঞ্জন দাস নীরা আর্যের স্বামী ছিলেন, তাই স্বামী হত্যার কারণে নেতাজি তাঁকে নাগিনী বলে অভিহিত করেছিলেন। আজাদ হিন্দ ফৌজ আত্মসমর্পণের পরে, সমস্ত বন্দী সৈন্যকে দিল্লির লাল কেল্লায় বিচারে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু নীরাকে স্বামী হত্যার কারণে দ্বীপান্তরের সাজা দেওয়া হয়েছিল। জেলে বন্দীদশায় সেখানে তাঁকে কঠোর শারীরিক নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছিল।
আজাদ হিন্দ ফৌজের প্রথম গুপ্তচর–
নীরা আর্য আজাদ হিন্দ ফৌজের প্রথম গুপ্তচর হওয়ার গৌরব অর্জন করেছেন। পবিত্র মোহন রায় আজাদ ভারতীয় সেনাবাহিনীর মহিলা এবং পুরুষ উভয় গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান ছিলেন। নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু নিজেই নীরাকে এই দায়িত্ব দিয়েছিলেন। তার সঙ্গী মনবতী আর্য, সরস্বতী রাজামণি এবং দুর্গা মল্লা গোর্খা এবং যুবক ড্যানিয়েল কালে তার সামরিক গোয়েন্দা শাখার সাথে যুক্ত ছিল। তারা নেতাজির জন্য গুপ্তচরবৃত্তির কাজ করত। তারা বিভিন্ন কাজের অছিলায় ব্রিটিশ অফিসারদের বাড়ি ও সেনাশিবিরে প্রবেশ করতেন তথ্য সংগ্রহের জন্য, তারপর তা নেতাজীর কাছে পাঠাতেন। এই কাজ করতে গিয়ে ধরা পড়লে প্রথমে নথিগুলি আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া ও পরে পিস্তল চালিয়ে আত্মহত্যা করতে হবে, এই নিয়ম তারা কঠোর ভাবে মেনে চলতেন।
রাষ্ট্রদ্রোহিতার অপরাধে নীরাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড-
দক্ষিণ এশিয়ার অক্ষশক্তির পরাজয়ের পর ছত্রভঙ্গ হয়ে গিয়েছিল আজাদ হিন্দ ফৌজ। ধরা পড়েছিলেন আজাদ হিন্দ ফৌজের হাজার হাজার সেনানী। রাষ্ট্রদ্রোহিতার অপরাধে লালকেল্লায় তাদের বিচার শুরু হয়, বেশির ভাগ সেনানী ছাড়া পেলেও নীরাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়, জাহাজে করে পাঠানো হয় আন্দামানের সেলুলার জেলে। সেখানে তার ওপর যে অমানুষিক অত্যাচার হয়েছিল তা সত্যিই ভাষায় প্রকাশ করা যায় না।
আন্দামানে নীরাকে রাখা হয়েছিল একটি ছোট কুঠরিতে, সেখানে বাকি বন্দিরা ছিল মুক্ত, কিন্তু নীরাকে বন্য জন্তুর মত প্রথমদিন বেঁধে রাখা হয়েছিল। গলায় বাঁধা ছিল চেন ও হাতে-পায়ে ছিল শেকল লাগানো বেড়ি। নীরাকে কিছু খেতে দেওয়া হয়নি প্রথম দিন। শোয়ার জন্য মাদুর কিংবা কম্বল কিছুই দেওয়া হয়নি প্রথমে। কুঠরির কনকনে ঠাণ্ডার মধ্যে ঘুমিয়ে পড়ে ছিলেন পরিশ্রান্ত নীরা। মাঝরাতে এক প্রহরী কুঠরিতে ঢুকে গায়ের ওপর ছুঁড়ে দিয়েছিল দুটো কম্বল। সকাল বেলায় প্রথম জুটেছিল খাবার, খেতে দেওয়া হয়েছিল ফুটন্ত খিচুড়ি।
এরপরেও আরও অনেক পাশবিক অত্যাচার সহ্য করতে হয়েছে নীরাকে। সারা শরীর ক্ষতবিক্ষত হয়ে গিয়েছিল। তবুও মনে মনে স্বপ্ন দেখতেন স্বাধীন ভারতে সূর্যোদয় দেখবেন। এই মহান ত্যাগের সম্মান দেয়নি দেশ। নীরা আন্দামানে আসার একবছর পর স্বাধীন হয়েছিল দেশ। মুক্তি পেয়েছিলেন নীরা। এই আত্মত্যাগের সম্মান দেয়নি দেশ। অভিমানে সাধারণের ভিড়ে হারিয়ে গিয়েছিলেন অসাধারণ নীরা।
স্বাধীনতা পরবর্তী জীবন-
স্বাধীনতার পরে, তিনি ফুল বিক্রি করে জীবনযাপন করেছিলেন, তবে কোনও সরকারী সহায়তা বা পেনশন গ্রহণ করেননি। তার ভাই বসন্ত কুমারও একজন মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। তিনি স্বাধীনতার পর সন্ন্যাসী হয়েছিলেন। নীরা স্বাধীনতা সংগ্রামে তার ভূমিকা নিয়ে আত্মজীবনীও লিখেছেন। উর্দু লেখক ফারহানা তাজ’কে তিনি তার জীবনের অনেক ঘটনা শুনিয়েছিলেন। তিনি তার জীবন নিয়ে স্বাধীনতা সংগ্রামের পটভূমিতে একটি উপন্যাসও রচনা করেন।
সম্মাননা-
নীরা আর্য নামে একটি জাতীয় পুরষ্কারও চালু করা হয়েছে। ছত্তিশগড়ের অভিনেতা অখিলেশ পান্ডে প্রথম নীরা আর্য পুরষ্কারের জন্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। এবং তাঁকে নীরা আর্য পুরস্কার দেওয়া হয়েছিল।
জীবনাবসান-
শেষ জীবনে তিনি তিনি দরিদ্র, অসহায়, নিঃস্ব হয়ে পরেছিলেন। হায়দরাবাদের ফালকনুমার একটি কুঁড়ে ঘরে বাস করতেন। নীরা আর্য জীবনের শেষ দিনগুলিতে ফুল বিক্রি করে কাটিয়েছেন এবং সরকারি জমিতে থাকার কারণে তার কুঁড়েঘরটিও শেষ মুহুর্তে ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়। সকলের অলক্ষ্যে ১৯৯৮ সালের ২৬শে জুলাই উসমানিয়া হাসপাতালে প্রয়াত হয়েছিলেন ৯৬ বছরের বীরাঙ্গনা এক অগ্নিকন্যা নীরা আর্য্য।
।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট ও উইকিপিডিয়া।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ

ভারতীয় বিমান বাহিনীর জনক – এয়ার মার্শাল সুব্রত মুখার্জী – একটি বিশেষ পর্যালোচনা।।।।

এয়ার মার্শাল সুব্রত মুখার্জী ওবিই, ছিলেন বিমান বাহিনীর প্রথম ভারতীয় প্রধান ছিলেন;  তার পূর্বসূরিরা সবাই ব্রিটিশ।  তিনি একটি বিশিষ্ট বাঙালি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।  তিনি ভারত ও ইংল্যান্ডে পড়াশোনা করেছেন।  তিনি প্রথমে রয়াল এয়ার ফোর্সে যোগদান করেন এবং পরে ভারতীয় বিমান বাহিনীর প্রাথমিক সদস্য ছিলেন।  তিনি তার বৈচিত্র্যময় কর্মজীবনে অনেক পুরস্কার পেয়েছেন।  তিনি 1960 সালে একটি দুর্ঘটনায় মারা যান। তাকে “ভারতীয় বিমান বাহিনীর জ”নক বলা হয়। তার স্মৃতিতে বিমানবাহিনীর সদর দপ্তরে দিল্লিতে একটি পার্ক নামাংকিত আছে।
সুব্রত মুখার্জী ১৯১১ সালের ৫ মার্চ কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর দাদা নিবারণ চন্দ্র মুখার্জি ছিলেন সেই সময়ের একজন প্রখ্যাত সামাজিক ও শিক্ষাকর্মী ও ব্রাহ্মসমাজের সদস্য।

বাবা সতীশ চন্দ্র মুখোপাধ্যায় ছিলেন একজন বিখ্যাত আইসিএস এবং মা চারুলতা মুখার্জি ছিলেন প্রথম মহিলা ‘ঈশান স্কলার’ এবং অক্লান্ত সমাজকর্মী।  তার মাতামহ ডঃ  প্রসন্নকুমার রায় ছিলেন একজন ভারতীয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা এবং কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজের প্রথম ভারতীয় অধ্যক্ষ।  তাঁর মাতামহী সরলা রায় ছিলেন গোখলে মেমোরিয়াল স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা।  চার সন্তানের মধ্যে সবচেয়ে ছোট সুব্রত তিন মাস বয়সে ইংল্যান্ডে চলে যান।  বড় বোন রেণুকা রায়, সাংসদ, কেন্দ্রীয় কেবিনেট মন্ত্রী এবং সমাজকর্মী।  শৈশব কেটেছে কৃষ্ণনগর ও চুঁচুড়া এলাকায়।
সুব্রত মুখার্জী ১৯৩৯ সালে শারদা পণ্ডিত নাম্নী এক মহারাষ্ট্রীয় মহিলাকে বিবাহ করেন। তাদের একপুত্র সঞ্জীব। পত্নী শারদা মুখার্জি অন্ধ্রপ্রদেশ ও গুজরাতের রাজ্যপাল হয়েছিলেন।
সুব্রত মুখার্জী ১৯৬০ সালের ৮ নভেম্বর ভারতীয় নৌবাহিনীর একজন বন্ধুর সাথে টোকিওর একটি রেস্তোরাঁয় আহার করার সময় খাবারের একটি টুকরা তার গলায় আটকে শ্বাস বন্ধ হয়ে মৃত্যু বরণ করেন।

।।  তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।

Share This
Categories
নারী কথা প্রবন্ধ

স্মরণে, বিস্মৃতির অতলে হারিয়ে যাওয়া এক বিদুষী কবি – তরু দত্ত।।।।

তরু দত্ত র জন্ম  মার্চ ৪, ১৮৫৬ সালে। তিনি এক ভারতীয় বাঙালি কবি , অনুবাদক ও ঔপন্যাসিক ছিলেন, যিনি ইংরেজি এবং ফরাসিতে রচনা করেছিলেন ।  বোন অরু ও ভাই আবজুর পর তিনি ছিলেন কনিষ্ঠ সন্তান।  লেখক এবং ভারতীয় বেসামরিক কর্মচারী রমেশ চন্দ্র দত্ত ছিলেন তার খুড়তুত ভাই।  তাদের পরিবার ১৮৬২ সালে খ্রিস্টান হয়ে ওঠে।
তিনি ইংল্যান্ডে ফরাসি ভাষায় উচ্চ শিক্ষা লাভ করেন।  তিনি 1871 – 1873 সাল কেমব্রিজে কাটিয়েছিলেন এবং সেই সময় কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে “হায়ার লেকচারস ফর উইমেন” তে অংশ নিয়েছিলেন।  এই সময়ে তরু দত্ত সিডনির সাসেক্স কলেজের রেভারেন্ড জন মার্টিনের মেয়ে মেরি মার্টিনের সাথে দেখা করেন এবং তাদের মধ্যে গভীর বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে।

দেশে ফিরেও তারা চিঠি আদান-প্রদান করতে থাকে।  ইংল্যান্ড থেকে আগত আত্মীয়দের কাছে তরু দত্তের চিঠিগুলি তাঁর চিঠির সংগ্রহের অন্তর্ভুক্ত।  তার মৌলিক কবিতাগুলো ছোট হলেও মানব জীবনের নানা সমস্যা নিয়ে কাজ করে।  লা জার্নাল নামে একটি ফরাসি উপন্যাস এবং বিয়াঙ্কা নামে একটি ইংরেজি উপন্যাস রয়েছে।
তাঁর সংকলন ‘এ শেফ গ্লানড ফরাসি ফিল্ডস’-এ তাঁর ফরাসি কবিতা এবং প্রাচীন গীতিনাট্য এবং ‘লিজেন্ড অফ হিন্দুস্তান’-এর ইংরেজি অনুবাদ রয়েছে যা তাঁর সংস্কৃত সাহিত্যের অনুবাদ ও রূপান্তরগুলি সংকলন করে।  তিনি ”এ সি অব ফলিএজ” কবিতাটিও লিখেছেন।  তিনি একটি সুন্দর কবিতাও লিখেছেন লোটাস।  এতে কবি ফুল সম্পর্কে তার ধারণা উপস্থাপন করেন।  তিনি মানুষের আকারে ফুলের প্রতিনিধিত্ব করেন।  কবি পদ্ম গোলাপকে চিত্র হিসেবে ব্যবহার করেছেন।
অগাস্ট ৩০, ১৮৭৭ সালে তিনি প্রয়াত হন।

।। তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।

Share This
Categories
রিভিউ

আজ ০৪ মার্চ, ইতিহাসের দিকে চোখ বুলিয়ে দেখে নেব ইতিহাসের এই দিনে বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু, দিনসহ ঘটে যাওয়া ঘটনা।।।।

আজ ০৪ মার্চ । এক নজরে দেখে নিই ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু দিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

দিবস—–

(ক) টাকা দিবস (বাংলাদেশ)
আজ যাদের জন্মদিন—-
ল
১৮৫৬ – বিদুষী কবি তরু দত্ত।

১৯৩২ – গ্র্যামি পুরস্কার বিজয়ী দক্ষিণ আফ্রিকার গায়িকা মিরিয়াম মাকেবার।

১৯৬৫ – আনিসুল হক, একজন বাংলাদেশী লেখক, নাট্যকার ও সাংবাদিক।

ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনের ঘটনাবলী—-

১১৫২ – ফ্রেডেরিক বারবারোসা জার্মান রাজা নির্বাচিত হন।
১৩৮৬ – ভ্লাদিস্লভ দ্বিতীয় পোল্যান্ডের রাজা নির্বাচিত হন।
১৩৯৭ – অক্সফোর্ডের নতুন কলেজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হয়।
১৬৬৫ – ইল্যান্ডের রাজা দ্বিতীয় চার্লস নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন।
১৭৮৪ – ফ্রান্সিস গ্লাডুইনের সম্পাদনায় ‘ক্যালকাটা গেজেট’ প্রথম প্রকাশিত হয়।
১৭৮৯ – মার্কিন সংবিধান কার্যকর হয়।
১৮২৩ – গ্রীসের সেনারা ত্রিপোলিৎজা শহরে ১২ হাজার মুসলমানকে হত্যা করে।
১৮৩৬ – লর্ড অকল্যান্ড ভারতের গভর্নর জেনারেল নিযুক্ত হন।
১৮৪৮ – অস্ট্রিয়ার বিরুদ্ধে হাঙ্গেরীর স্বাধীনতা আন্দোলন শুরু হয়।
১৮৫৭ – কলকাতা টাউন হলে ফটোগ্রাফিক সোসাইটি অব বেঙ্গলের প্রথম আলোকচিত্র প্রদর্শনী হয়।
১৮৭৯ – নারীদের জন্য উচ্চশিক্ষা প্রসারের লক্ষ্যে কলকাতায় ‘বেথুন কলেজ’ প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯১৯ – কমিনটার্ন (কমিউনিস্ট আনত্মর্জাতিক) গঠিত হয়।
১৯২৪ – ভারতের পতাকা সঙ্গীত ‘বিজয়ী বিশ্ব তিরঙ্গা প্যারা,ঝণ্ডা উঁচা রহে হমারা’ – শ্যামলাল গুপ্ত ’পার্ষদ’ রচনা করেন।
১৯৩১ – বন্দি মুক্তি দিবসে গান্ধী-আর উইন চুক্তি স্বাক্ষর।
১৯৩৩ – ফ্রাঙ্কলিন ডেলানোর রুজাভেল্টের অভিষেক।
১৯৫১ – নয়া দিল্লিতে প্রথম এশিয়ান গেমস শুরু।
১৯৭০ – ভূমধ্যসাগরের বিভিয়েরায় ৫৭ যাত্রীসহ একটি ফরাসি ডুবোজাহাজ নিখোঁজ।
১৯৭১ – রেডিও পাকিস্তান ঢাকার পরিবর্তে ঢাকা বেতার কেন্দ্র নামকরণ করা হয়।
১৯৭২ – স্বাধীন বাংলাদেশে প্রথম ১ টাকা ও একশত টাকার নোট চালু করা হয় ।
১৯৭২ – বাংলাদেশকে স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করে শ্রীলঙ্কা।
১৯৭৪ – বাংলাদেশকে স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করে কাতার।
১৯৭৭ – রুমানিয়ায় ভূমিকম্পে সহস্রাধিক লোক নিহত। ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ।
১৯৮৮ – বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ।
১৯৯০ – দক্ষিণ আফ্রিকার সিসকেইয়ের সরকার উৎখাত।
১৯৯১ – ইরাকে কুর্দি বিদ্রোহ শুরু।
১৯৯৮ – পাকিস্তান আকস্মিক বন্যায় ৩ শত লোক নিহত। দেড় হাজার নিখোঁজ।

এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন যারা—-

১১৯৩ – সালাউদ্দিন, কুর্দি সুলতান।

১৫৫২ – অঙ্গদে, দ্বিতীয় শিখ গুরু।

১৮৫২ – নিকোলাই গোগোল, রুশ লেখক।

১৯২৫ – জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর, চিত্রশিল্পী, সঙ্গীতজ্ঞ ও নাট্যকার।

১৯৩৯ – লালা হর দয়াল, ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের সক্রিয় বিপ্লবী।

১৯৪১ – শের উড অ্যান্ডারসন, মার্কিন ঔপন্যাসিক।

১৯৬৩ – উইলিয়াম কার্লোস উইলিয়াম, মার্কিন চিকিৎসক ও কবি।

১৯৬৭ – মোহাম্মাদ মোসাদ্দেক, ইরানীয় রাজনীতিবিদ ও প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী।
১৯৭৬ – ঔপন্যাসিক শৈলজানন্দ মুখোপাধ্যায় পরলোকগমন করেন।
১৯৭৮ – আবুল কালাম শামসুদ্দীন, বাঙালি সাহিত্যিক, সাংবাদিক ও সম্পাদক।

১৯৮৩ – ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়, বাঙালি অভিনেতা।
১৯৯০ – আলী শাফায়ী, ইরানীয় গবেষক ও শিক্ষাবিদ।
২০১১ – সাইমন ভ্যান ডের মার, নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ওলন্দাজ চিকিৎসক।

২০১২ – জন টেলর, মার্কিন অভিনেতা ও লেখক।
২০১৬ – নির্মল দাশ, বাঙালি অধ্যাপক ও ভাষাবিদ।
২০২১ – হোসেন তৌফিক ইমাম, বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ, বাংলাদেশের প্রথম মন্ত্রিপরিষদ সচিব।

২০২২ – সর্বকালের সেরা বোলার অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটার শেন ওয়ার্ন।

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ

স্মরণে কিংবদন্তি অভিনেতা ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়।।।

ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়, যিনি ভানু ব্যানার্জী নামেও পরিচিত (জন্ম হিসেবে সম্যময় বন্দ্যোপাধ্যায়; ২৬ আগস্ট ১৯২০ – ৪ মার্চ ১৯৮৩), ছিলেন একজন ভারতীয় অভিনেতা, যিনি বাংলা সিনেমায় তাঁর কাজের জন্য পরিচিত। তিনি ৩০০ টিরও বেশি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন, অসংখ্য নাটকে অভিনয় করেছেন এবং প্রায়শই রেডিওতে অভিনয় করেছেন।

ভানু বন্দ্যোপাধ্যায় ১৯২০ সালে ২৬ শে আগস্ট মুন্সীগঞ্জ জেলার বিক্রমপুরে জন্মগ্রহন করেছিলেন। তাঁর পিতার নাম জিতেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় ও মাতা সুনীতি বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বাংলার ঢাকা শহরে একটি কুলীন ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পৈতৃক নিবাস ছিল বর্তমান বাংলাদেশের ঢাকা বিভাগের বিক্রমপুরের পাঁচগাঁও নামক একটি গ্রামে। ভানু ব্যানার্জী সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়ের সাথে তার মাতৃত্বের মাধ্যমে সম্পর্কযুক্ত ছিলেন। অঘোরনাথ চট্টোপাধ্যায় ছিলেন তাঁর নানার মামাতো ভাই। তিনি কাজী পাগলা এ.টি. ইনস্টিটিউট, লৌহজং, পোগোজ স্কুল এবং ঢাকার সেন্ট গ্রেগরি উচ্চ বিদ্যালয় এ এবং তার বিএ-এর জন্য জগন্নাথ কলেজে অধ্যয়ন করেন। এরপর ১৯৫০-এর দশকে তিনি কলকাতায় চলে আসেন। বন্দ্যোপাধ্যায় তার প্রাথমিক বছরগুলিতে লৌহ ও ইস্পাত নিয়ন্ত্রণ বোর্ডে কাজ করেছিলেন।
বন্দ্যোপাধ্যায় নীলিমা মুখোপাধ্যায় নামে একজন প্লেব্যাক গায়িকাকে বিয়ে করেছিলেন। তাদের তিনটি সন্তান ছিল – বাসবী ঘটক (নি বন্দ্যোপাধ্যায়), গৌতম এবং পিনাকী। এর আগে পরিবার জুবিলি পার্ক, টালিগঞ্জে থাকতেন। পরে ১৯৬০ সালে 42A, চারু এভিনিউ, রবীন্দ্র সরোবরে স্থানান্তরিত হয়।
ভানু বন্দ্যোপাধ্যায় ঢাকায় একজন স্ট্যান্ড আপ কমেডিয়ান হিসেবে তার অভিনয় জীবন শুরু করেন। তিনি অফিস পার্টিতে পারফর্ম করেন এবং তারপরে বড় জায়গায় চলে যান। ১৯৪৩ সালে, তিনি তার প্রথম বড় কমিক গ্রামোফোন রেকর্ড ধাকার গাদোয়ানে প্রকাশ করেন। এর সাফল্য তাকে প্রতি বছর দুর্গাপূজার সময় একটি নতুন রেকর্ড প্রকাশ করতে প্ররোচিত করে। তিনি দেবী মুখার্জি এবং সুমিত্রা দেবী অভিনীত বাংলা ছবি অভিজোগ (১৯৪৭) দিয়ে তার বড় পর্দায় আত্মপ্রকাশ করেন। বন্দ্যোপাধ্যায়ের যুগান্তকারী চলচ্চিত্রের ভূমিকা ছিল নির্মল দে-এর বসু পরিবার (১৯৫২) যেখানে তিনি একজন বাঙালি ব্যবসায়ীর ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন। পরের বছর শেরে চুয়াত্তর-এ কেদার চরিত্রে অভিনয় তাকে খ্যাতি অর্জন করে। ছবিতে তার উদ্ধৃতি মাশিমা, মালপোয়া খামু। (আন্টি, আমি মালপোয়া খেতে চাই) একটি জনপ্রিয় ক্যাচফ্রেজ হয়ে উঠেছে। তিনি ৩০০ টিরও বেশি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন যেমন ভরান্টিবিলাশ এবং পাশের বাড়ি। তার বেশিরভাগ চলচ্চিত্রে তিনি হাস্যরসাত্মক চরিত্রে অভিনয় করেছেন যেখানে তিনি কমিক প্রভাবের জন্য বাংলা উচ্চারণ এবং রীতিনীতিকে অতিরঞ্জিত করেছেন। ভানু পেলো লটারি এবং হাস্যকর গোয়েন্দা গল্প ভানু গোয়েন্দা জোহর অ্যাসিস্ট্যান্টের মতো অনেক চলচ্চিত্রের জন্য তিনি তার সেরা বন্ধু কমেডিয়ান জহর রায়ের সাথে জুটি বেঁধেছিলেন। সাধারণত, এই জুটির ছবিতে বন্দ্যোপাধ্যায় বাঙ্গাল চরিত্রে অভিনয় করতেন এবং রয় হাস্যকর ঘোটি চরিত্রে অভিনয় করতেন (যদিও বাস্তব জীবনে দুজনেই ছিলেন বাঙালি)। যদিও প্রধানত একজন কৌতুক অভিনেতা হিসাবে পরিচিত, বন্দ্যোপাধ্যায় গল্প হোলিও সত্তি , আলোর পিপাসা , অমৃতা কুম্ভের সন্ধ্যানে ছবিতে গুরুতর ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন; নির্ধারতো শিল্পীর অনূপস্থিতিতে, এমনকি বাঘিনী (১৯৬৮ ফিল্ম) এবং বিজয়ী সিনেমাতেও নেতিবাচক চরিত্রে অভিনয় করেছেন। তিনি জামালয়ে জীবনতা মানুষ, মৃতের মর্তে আগোমন, স্বর্গো মর্ত্যো, ব্যক্তিগত সহকারী, মিস প্রিয়ম্বদা এবং আশিতে আশিওনা-এ প্রধান ভূমিকায় অভিনয় করেছেন। পরে তার কর্মজীবনে বন্দ্যোপাধ্যায় মুক্তমঞ্চ নামে তার নিজস্ব যাত্রা গ্রুপ প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি তার নিজস্ব প্রযোজনায় প্রযোজনা, পরিচালনা এবং অভিনয় করেছেন, দলটির সাথে দেশজুড়ে ভ্রমণ করেছেন।
চলচ্চিত্রের তালিকা-
অভয়া ও শ্রীকান্ত, আলোর পিপাসা, এতটুকু বাসা, গুলমোহর, তাপসী, দেবতার দ্বীপ, দোলনা, মহালংগ, পতি সংশোধিনি স্বামীত্ব, মুখুজ্যে পরিবার, রাজকন্যা, কাল তুমি আলেয়া, গল্প হলেও সত্যি, জোরাদিঘির চৌধুরী পরিবার, মায়াবিনী লেন, শেষ তিন দিন, আশিতে আসিও না, অন্ঠনি ফিরিঙ্গি, খেয়া, নায়িকা সংবাদ, প্রস্থের সাক্ষর, মিস প্রিয়াংবাদ, হঠাত্‍ দেখা, হাটে বাজারে, আপনজন, গড় নাসিমপুর, চৌরাঞ্জ, পথে দেখা হলো, বাঘিনী, দাদু, মা ও মেয়ে, সুখসারি, শাবারমাটি, আলেয়ার আলো, প্রথম কদম ফুল, জাগরণ, অভিযোগ, সর্বহারা, মন্ত্রমুগ্ধ, যা হয় না, ১৯৫০-কৃষাণ, তথাপি, দিগভ্রান্ত, দ্বয়রাথ, মানদণ্ড, বরযাত্রী, পলাতক, রূপান্তর, সেতু, আলাদিন ও আশ্চর্য প্রদীপ, কাপালকুন্ডলা, জবানবন্দি, বসু পরিবার, দারপাচুর্না, পাত্রী চাই, পাশের বাড়ি, প্রার্থনা, বিন্দুর ছেলে, মহিষাসুর বধ, রাত্রির তপস্যা১৯৫৩সাড়ে চুয়াত্তার, আদর্শ মানুষ, কাজরি, কেরানির জীবন, নতুন ইহুদি, পথনির্দেশ, বন হংসী, বাস্তব, বৌঠাকুরানীর হাট, বৌদির বোন, মহারাজা নন্দকুমার, রাখি, রামি চণ্ডীদাস, লাখ টাকা, শ্বশুরবাড়ি, হরিলক্ষী, এটম বোম্ব, ওরা থাকে অধারে, কল্যাণী, গৃহপ্রবেশ, ছেলে কার, জয়দেব, জাগৃহি, দুখীর ঈমান, নীল শাড়ি, বলয়গ্রাস, বারবেলা, বিক্রম উর্বশী, ভঙ্গাগাড়া, মানি আর মানিক, মানের ময়ূর, মরণের পরে, লেডিস সিট, সতীর দেহত্যাগ, সদানান্দের মেলা, অর্ধাঙ্গিনী, বন্দিশ (হিন্দি), এক গাঁও কি কাহানি (হিন্দি), অপরাধী, আত্মদর্শন, চাটুজ্যে বারুজ্য, ছোট্ট বউ, জয় মা কালি বোর্ডিং, জ্যোতিষী, দস্যূ মোহন, দূর্লভ জনম, দেবী মালিনী, বির হামবির, ব্রতচারিনী, ভালোবাসা, রানী রাসমণি, সাজঘর, সাঁঝের প্রদীপ, অসমাপ্তি, আমার বউ, একটি রাত, গোবিন্দ দাস, টনসিল, টাকা আনা পাই, দানের মর্যাদা, মহানিশা, বাহাদুর মশাই, মামলার ফল, লক্ষহীরা, শুভরাত্রি, সাবধান, সাহেব বিবি গোলাম, সূর্যমুখী, আঁধারে আলো, একতারা, ওগো শুনছো, কাঁচামিঠা, খেলা ভাঙার খেলা, ঘুম, জীবন তৃষ্ণা, নতুন প্রভাত, নীলাচলে মহাপ্রভু, বাসন্তবাহার, বড়মা, মাধুমালতি, শেষে পরিচয়, শ্রীমতির সংসার, কলামাটি, জোনাকির আলো, ডাক্তারবাবু, নুপুর, ভানু পেলো লটারি, মন্ময়ী গার্লস স্কুল, জমালয়ে জীবন্ত মানুষ, লোহা কপাট, সূর্যতারণ, স্বর্গ মর্ত, নির্দ্ধারিত শিল্পীর অনুপস্থিতি, পার্সোনাল এসিস্টেন্ট, পুস্পধনু, মৃতের মরতে আগমন, শোনার হরিণ, শহরের ইতিকথা, শেষে পর্যন্ত, শখের চোর, সুরের পিয়াসী, হসপিটাল, সংসার সীমান্তে, স্বয়ংসিদ্ধ, নন্দিতা, স্বীকারোক্তি, হারমোনিয়াম, অসাধারণ, এক যে ছিল দেশ, ছোট্ট নায়ক, রামের সুমতি, বন্দি, দেবদাস, দর্পচুর্না, প্রিয়তমা, ভাগ্যচক্র, মাতৃভক্ত রামপ্রসাদ, সন্ধি, কোপালকুন্ডলা, সুবর্ণলতা, প্রতিশোধ, প্রেয়সী, বিজয়িনী, শহর থেকে দূরে, সারগাঁদাপি গাড়িয়াশী, শোরগোল,কাঞ্চনমূল্য, কঠিন মায়া, কানামাছি, বিষকন্যা, রায়বাহাদুর, মিঃ এন্ড মিসেস চৌধুরী, শায়ম্বর, অগ্নিশিখা, অটল জলের আহবান, অভিসারিক, দাদাঠাকুর, বধূ, মায়ার সংসার, আকাশ প্রদীপ, ছায়াসুর্য, দুই নারী, দুই বাড়ি, বর্ণচোরা, ভ্রান্তিবিলাশ, প্রেয়সী, সাতভাই, হাই হিল, হাসি শুধু হাসি নয়, জীবন কাহিনী, ডিপ নেভে নাই, বিংশতি জনাই, রাজকুমারী, সাগিনা মহাত, এখানে পিঞ্জর, প্রথম বসন্ত, ভানু গোয়েন্দা জহর অ্যাসিস্ট্যান্ট, মাল্যদান, স্ত্রী, নকল সোনা, নিশিকন্য, বিন্দুর ছেলে, রোদ্দুর ছায়া, সাগিনা, প্রান্তরেখা, সঙ্গিনী, কবি, নিশি মৃগায়, প্রিয় বান্ধবী।
ভানু বন্দ্যোপাধ্যায় ১৯৮৩ সালের ৪ঠা মার্চ পরলোকগমন করেন। মৃত্যুর সময় তার বয়স হয়েছিল ৬২ বছর।

।। তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

স্মরণে কিংবদন্তী ক্রিকেটার শেন ওয়ার্ন।।

ক্রিকেট খেলা কেনা ভালোবাসে। আর যারা ক্রিকেট ভালোবাসেন তাদের কাছে শেন ওয়ার্ন এক অতি পরিচিত নাম। যেমন তার ক্রিকেট জীবন তেমনই বর্ণময় তার ব্যক্তিগত জীবন।

শেন কিথ ওয়ার্ন (১৩ সেপ্টেম্বর ১৯৬৯ – ৪ মার্চ ২০২২) ছিলেন একজন অস্ট্রেলিয়ান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার, যার ক্যারিয়ার ১৯৯২ থেকে ২০০৭ পর্যন্ত চলেছিল।

ওয়ার্ন ভিক্টোরিয়া, হ্যাম্পশায়ার ও হ্যাম্পশায়ারের হয়ে ডানহাতি লেগ স্পিন বোলার এবং ডানহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলেছিলেন। খেলাধুলার ইতিহাসের অন্যতম সেরা বোলার হিসেবে বিবেচিত, তিনি ১৪৫ টেস্টে উপস্থিত ছিলেন, ৭০৮ উইকেট নিয়েছিলেন এবং টেস্ট ক্রিকেটে যে কোনো বোলারের সবচেয়ে বেশি উইকেট নেওয়ার রেকর্ড গড়েছিলেন, এই রেকর্ডটি ২০০৭ সাল পর্যন্ত তার ছিল। ওয়ার্ন ছিলেন ১৯৯৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপ জয়ী অস্ট্রেলিয়ান দলের একজন সদস্য।
ওয়ার্ন ছিলেন একজন দরকারী নিম্ন-অর্ডার ব্যাটসম্যান যিনি ৩০০০-এর বেশি টেস্ট রান করেছিলেন, যার সর্বোচ্চ স্কোর ছিল ৯৯। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে অস্ট্রেলিয়ার ২০০৬-০৭ অ্যাশেজ সিরিজ জয়ের শেষে তিনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেন। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) প্রথম চারটি মৌসুমে, ওয়ার্ন রাজস্থান রয়্যালস-এর একজন খেলোয়াড়-প্রশিক্ষক ছিলেন এবং উদ্বোধনী মৌসুমে দলকে জয়ের জন্য অধিনায়কত্ব করেছিলেন। ওয়ার্ন তার কর্মজীবনে মাঠের বাইরে কেলেঙ্কারিতে জড়িত ছিলেন; তার নিন্দার মধ্যে একটি নিষিদ্ধ পদার্থের জন্য ইতিবাচক পরীক্ষার জন্য ক্রিকেট থেকে নিষেধাজ্ঞা এবং যৌন অবজ্ঞার অভিযোগ এবং খেলাটিকে অসম্মানে আনার অন্তর্ভুক্ত ছিল।
ওয়ার্ন তার লেগ স্পিনে দক্ষতার সাথে ক্রিকেট চিন্তায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছিলেন, যাকে তখন একটি মৃতপ্রায় শিল্প হিসেবে গণ্য করা হয়। অবসর গ্রহণের পর, তিনি নিয়মিত ক্রিকেট ধারাভাষ্যকার হিসেবে কাজ করেন এবং দাতব্য প্রতিষ্ঠানের জন্য এবং বাণিজ্যিক পণ্য অনুমোদন করেন। তার দক্ষতার স্বীকৃতিস্বরূপ, মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ড (MCG) এর বাইরে ওয়ার্ন বোলিংয়ের একটি মূর্তি স্থাপন করা হয়েছিল, যেখানে তাকে একটি রাষ্ট্রীয় স্মারক পরিষেবা দিয়ে সম্মানিত করা হয়েছিল, সেইসাথে তার সম্মানে একটি গ্র্যান্ডস্ট্যান্ড নামকরণ করা হয়েছিল। ওয়ার্নকে ক্রিকেটে তার সেবার জন্য মরণোত্তর অফিসার অফ দ্য অর্ডার অফ অস্ট্রেলিয়া (AO) হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছিল।
জীবনের প্রথমার্ধ-
ওয়ার্ন ১৩ সেপ্টেম্বর ১৯৬৯ তারিখে মেলবোর্নের একটি শহরতলী ভিক্টোরিয়ার আপার ফার্নট্রি গালিতে জন্মগ্রহণ করেন, তিনি ব্রিগেট এবং কিথ ওয়ার্নের পুত্র। তার মা ছিলেন জার্মান। মেন্টোন গ্রামারে যোগ দেওয়ার জন্য স্পোর্টস স্কলারশিপের প্রস্তাব পাওয়ার আগে তিনি হ্যাম্পটন হাই স্কুলে ৭-৯ গ্রেড থেকে পড়াশোনা করেছিলেন, যেখানে তিনি তার শেষ তিন বছর স্কুলে কাটিয়েছিলেন।
ঘরোয়া পেশা-
মেলবোর্নের জংশন ওভালে ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ভিক্টোরিয়ার হয়ে ০/৬১ এবং ১/৪১ নিয়ে ১৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৯১-এ ওয়ার্ন তার প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক করেন।
ওয়ার্ন ২০০০ মৌসুমে ইংল্যান্ডের হ্যাম্পশায়ার কাউন্টি ক্রিকেট ক্লাবের হয়ে খেলার জন্য $৪০০,০০০ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। তিনি ২০০৪ থেকে ২০০৭ সালের মৌসুমে হ্যাম্পশায়ারে অধিনায়ক হিসেবে ফিরে আসেন। হ্যাম্পশায়ারের হয়ে তিনি তার মাত্র দুটি প্রথম-শ্রেণীর সেঞ্চুরি করেন এবং ২৫.৫৮ গড়ে ২৭৬ উইকেট নেন।
টেস্ট ক্যারিয়ার–
ভারতের বিপক্ষে টেস্ট ম্যাচ দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তার অভিষেক হয় ১৯৯২ সালের ২রা জানুয়ারি। ১৪৫ টি টেস্ট ম্যাচের ২৭৩ টি ইনিংসে তিনি ৭০৮টি উইকেট নিয়েছেন। এছাড়াও, লোয়ার অর্ডারে ১৯৯ ইনিংসে ব্যাট করে তুলেছেন ১২ টি হাফ সেঞ্চুরি। তার ইনিংস সেরা বোলিং ফিগার ছিলো ৮/৭১। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তিনি টেস্ট ক্যারিয়ারে সর্বোচ্চ ৯৯ রান করেন। ২০০৭ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তিনি শেষ টেস্ট ম্যাচ খেলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেন। ৩ ডিসেম্বর, ২০০৭ সালে ‪‎মুরালিধরন‬ তাকে টপকাবার আগ পর্যন্ত তিনিই ছিলেন টেস্ট ইতিহাসের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি।
ওয়ানডে ক্যারিয়ার-
ওয়ানডেতে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ২৯৩ টি উইকেট নেন তিনি। তার অসাধারণ পারফরমেন্সে অস্ট্রেলিয়া ১৯৯৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপ জিতে, যেখানে তিনি সেমিফাইনাল ও ফাইনালের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হন। ১৯৯৬ বিশ্বকাপের রানার্সআপ দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি।
টি২০ ক্যারিয়ার–
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের পরে ওয়ার্ন আইপিএল ও বিগ ব্যাশে টি ২০ লীগ খেলতে থাকেন, তার নেতৃত্বেই রাজস্থান রয়েলস প্রথম আইপিএল চ্যাম্পিয়ন হয়, যেখানে তার অধিনায়কত্ব প্রশংসিত হয়েছিল। বিগ ব্যাশে তিনি মেলবোর্ন স্টার্সের অধিনায়ক ছিলেন। ২০১৩ সালে তিনি বিগ ব্যাশ খেলে সব ধরনের ক্রিকেট থেকে অবসর নেন।
ব্যক্তিগত জীবন-
ওয়ার্নের সম্পূর্ণ হেটেরোক্রোমিয়া ছিল, যার ফলস্বরূপ তার একটি চোখ নীল এবং অন্যটি সবুজ। ওয়ার্নের প্রাক্তন স্ত্রী সিমোন ক্যালাহানের সাথে তিনটি সন্তান ছিল। দম্পতি ১৯৯৫ থেকে ২০০৫ পর্যন্ত বিবাহিত ছিলেন। এর পরেও তিনি বহু সম্পর্কে জড়িয়ে বিতর্কে ছিলেন।
বিতর্ক–
২০০৩ সালের বিশ্বকাপের আগে তার ক্রিকেট খেলার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি হয়। বিশ্বকাপের আগে তার ডোপ টেস্টে ফলাফল পজিটিভ আসে, ২০০৪ সালে তিনি ক্রিকেটে ফিরেন, অস্ট্রেলিয়ার হয়ে আর ওয়ানডে না খেললেও টেস্ট খেলে যান।
সম্মাননা ও স্বীকৃতি-
২০০০ সালে শতাব্দীর সেরা অস্ট্রেলীয় ক্রিকেট বোর্ড দলে তাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ২০০৭ সালে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া ও শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ড ওয়ার্ন ও মুত্তিয়া মুরালিধরনের সম্মানে অস্ট্রেলিয়া-শ্রীলঙ্কা টেস্ট ক্রিকেট সিরিজের নাম ওয়ার্ন-মুরালিধরন ট্রফি রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।
মৃত্যু-
হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ২০২২-এর ৪ মার্চ থাইল্যান্ডে মৃত্যুবরণ করেন তিনি। একই দিনে মারা যান আরেক অস্ট্রে্লীয় ক্রিকেট তারকা রড মার্শ, যাকে ওয়ার্ন তার নিজের মৃত্যুর কয়েক ঘন্টা আগে একটি টুইট বার্তায় শ্রদ্ধা জানিয়েছিলেন। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৫২ বছর।

।। তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ

ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের বিপ্লবী বিমল দাশগুপ্ত’র প্রয়াণ দিবসে শ্রদ্ধাঞ্জলি।।।

ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন ছিল কিছু মানুষের কঠোর পরিশ্রম ও লড়াই, যার ফলেই ব্রিটিশদের থেকে ভারত সৃঙ্খল মুক্ত হতে পেরেছভাপেরেছিল। ভারত উপমহাদেশের বিংশ শতাব্দীতে ব্রিটিশ সম্রাজ্যবাদ বিরোধী যে সশস্ত্র বিপ্লববাদী লড়াই-সংগ্রাম সংগঠিত হয় এবং যার ধারাবাহিকতায় ভারত স্বাধীন হয়, তার মূলে যে সকল বিপ্লবীর নাম সর্বজন স্বীকৃত তাঁদের মধ্যে বিমল দাশগুপ্ত ছিলেন একজন অন্যতম বীর ও নির্ভীক বিপ্লবী। বিমল দাশগুপ্ত ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনে এক উল্লেখযোগ্য নাম, যিনি দেশমতৃকার শৃঙ্খল মুক্তির জন্য নিজেকে সঁপে দিয়েছিলেন সম্পূর্ণ রূপে।    বিমল দাশগুপ্ত একজন ভারতীয় সশস্ত্র বিপ্লববাদী।
প্রারম্ভিক জীবন——– .
তিনি বাংলাদেশের বরিশাল জেলার ঝালকাঠিতে ১৯১০ সালের ২৯ এপ্রিল জন্মগ্রহণ করেন।

বাবা কবিরাজ অক্ষয় কুমার দাশগুপ্ত।  তাঁর বাবা মেদিনীপুরে এসে কবিরাজীর চিকিৎসার ভিত্তিতে জীবনযাপন শুরু করেন।  বিমল দাশগুপ্ত ১২/১৩ বছর বয়স থেকে বিপ্লবী আন্দোলনের সাথে যোগাযোগ করেছিলেন।  সশস্ত্র সংগ্রামে অংশগ্রহণের আগে ১৯২০ সালে অসহযোগ আন্দোলনে যোগ দেন।  তিনি মেদিনীপুর হিন্দু স্কুলের ছাত্র ছিলেন।
পেডি ও ভিলিয়ার্স হত্যা———
১৯২৮ সালে, সুভাষ চন্দ্র বসু বিপ্লবী দীনেশ গুপ্তকে বেঙ্গল ভলান্টিয়ার্সের মেদিনীপুর শাখার দায়িত্ব দেন।  দীনেশ গুপ্তের অক্লান্ত পরিশ্রমে মেদিনীপুর জেলার বিপ্লবী আন্দোলন অন্য মাত্রা পেল।  দীনেশ গুপ্তের মন্ত্র শিষ্য হয়ে ওঠেন বিমল দাশগুপ্ত।  লবণ আইনের অমান্য করার সময়, জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, জেমস পেডি, দিঘা সৈকতে সত্যাগ্রহীদের উপর নির্মমভাবে নির্যাতন করেছিলেন।  প্রতিশোধ নিতে বিপ্লবীরা পেডিকে হত্যা করার সিদ্ধান্ত নেয়।  জ্যোতিজীবন ঘোষের সঙ্গে এই দায়িত্ব পান বিমল দাশগুপ্ত।  1931 সালের 7 এপ্রিল, পেডি সাহেব মেদিনীপুর কলেজিয়েট স্কুলে প্রদর্শনী দেখতে এসে পেডি সাহেব এই দুই বিপ্লবীর গুলিতে নিহত হয়।।  দুজনেই পালাতে সক্ষম হয়।  বিমল দাশগুপ্ত আত্মগোপনে যান এবং ঝরিয়া এলাকায় একটি কয়লা খনিতে চাকরি পান এবং পরে কলকাতার মেটিয়াবুরোজে থাকতেন, পুলিশ তার সন্ধান করতে পারেনি।
আবার বিমল দাশগুপ্তকে ক্লাইভ স্ট্রীটে ভিলিয়ার্স সাহেবের হত্যার ভার  দেওয়া হয়। ২৯ জুলাই, ১৯৩১ সালে তিনি ভিলিয়ার্সকে গুলি করেন তার অফিসে ঢুকে। কিন্তু ধরা পড়ে যান পকেট থেকে সায়ানাইড বের করার আগেই।
পুলিশ অবশেষে তাকে হত্যা মামলার সন্দেহভাজন হিসেবে ট্র্যাক করে।  কারণ বিপ্লবী কানাইলাল ভট্টাচার্য  গার্লিককে হত্যা করেন এবং বিমল দাশগুপ্ত (বা বিমল গুপ্ত) নামে শহীদ হন যাতে পুলিশ আসল বিমল দাশগুপ্তের সন্ধান ছেড়ে দেয়।  শহীদ কানাইলাল ভট্টাচার্যের আত্মত্যাগ এবং পুলিশের হাত থেকে আরেক বিপ্লবীকে বাঁচাতে নাম-পরিচয় হীন আত্মত্যাগ ইতিহাসে বিরল।।  সুভাষ চন্দ্রের উদ্যোগে তিনজন ব্যারিস্টার বিপ্লবীদের পক্ষে বিশেষ ট্রাইব্যুনালে হাজির হন।  জ্যোতিজীবন ঘোষকে খালাস দেওয়া হয় এবং জেরা করার সময় প্রধান সাক্ষী সুশীল দাস বলেন, ‘পেডি খুনি বিমল দাশগুপ্ত নন’।  বিমল দাশগুপ্তকে বাঁচাতে মেদিনীপুরের রাজা নরেন্দ্রলাল খান সুশীল দাসকে এই কথা বলার নির্দেশ দেন।  তিনি পেডি হত্যা মামলা থেকে খালাস পেলেও ভিলিয়ার্স হত্যা মামলায় দশ বছরের সাজাপ্রাপ্ত হন।
১৯৩২ সালের মাঝামাঝি তাকে আন্দামান সেলুলার জেলে পাঠানো হয়।  ১৯৩৬ সালে, তিনি রাজনৈতিক বন্দীর মর্যাদা দাবিতে অনশন করেন।  সুভাষ চন্দ্র ও মুজাফফর আহমদের মধ্যস্থতায় অনশন প্রত্যাহার করা হয়।  ১৯৩৮ সালে তাকে প্রত্যাবাসন করা হয়েছিল কিন্তু মুক্তি দেওয়া হয়নি।  বিমল দাশগুপ্ত বাংলার বিভিন্ন কারাগারে চার বছর কারাভোগ করেন।
শেষ জীবনে তিনি ১৯৪২ সালে মুক্তিলাভ নিজ বাড়ি মেদিনীপুরেই জমিজমা দেখাশোনা করতেন। স্বাধীনতার পরে আনন্দবাজার পত্রিকার সেলস ইনস্পেকটর হিসেবে কিছুদিন কাজ করেছেন।
মৃত্যু——
অগ্নিযুগের এই বিপ্লবী ৩ মার্চ ২০০০ সালে মারা যান ।

।। তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।

Share This
Categories
রিভিউ

আজ ০৩ মার্চ, ইতিহাসের দিকে চোখ বুলিয়ে দেখে নেব ইতিহাসের এই দিনে বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু, দিনসহ ঘটে যাওয়া ঘটনা।।।

আজ ০৩ মার্চ । এক নজরে দেখে নিই ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু দিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।
দিবস—–
(ক)  বিশ্ব জন্ম-ত্রুটি দিবস (২০১৫ সাল থেকে পালিত) ৷
(খ) বিশ্ব বন্যপ্রাণী দিবস ৷
(গ) বিশ্ব শ্রবণ দিবস
(ঘ) আন্তর্জাতিক কর্ণসেবা দিবস ৷
(ঙ) স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠ দিবস (বাংলাদশ) ৷
(চ) বিশ্ব বই দিবস ৷
আজ যাদের জন্মদিন—-

১৮৩৯ – ভারতের মহান উদ্যোগপতি ও টাটা গ্রুপের সংস্থাপক জামশেদজী টাটা।

১৮৪৫ – গেয়র্গ কান্টর, জার্মান গণিতবিদ ও দার্শনিক।

১৮৪৭ – আলেকজান্ডার গ্রাহাম বেল, স্কটিশ বিজ্ঞানী এবং উদ্ভাবক।
১৮৯৩ – প্যারীমোহন সেনগুপ্ত বাঙালি কবি প্রবন্ধকার ও শিশুসাহিত্যিক ।

১৮৯৯ – বাংলা চলচ্চিত্রের স্বনামধন্য কমিক অভিনেতা তুলসী চক্রবর্তী।

১৯০৮ – শক্তিরঞ্জন বসু, ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের কর্মী ও সমাজসেবী।

১৯৩১ – উস্তাদ গোলাম মুস্তফা খান , ভারতের হিন্দুস্তানি শাস্ত্রীয় সংগীত শিল্পী।

১৯৫০ – শেখ সাদী খান, বাংলাদেশী সুরকার ও সঙ্গীত পরিচালক।
ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনের ঘটনাবলী—-
১৫৭৫ – তুকারয়ের যুদ্ধে মুঘল সম্রাট আকবরের বাহিনী বাংলার বাহিনীকে পরাজিত করে।
১৭০৭ – মুঘল সম্ৰাট আওরঙ্গজেবের মৃত্যু হয়। যুবরাজ মুয়াজ্জম আওরঙ্গজেবের উত্তরাধিকারীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন ও বাহাদুর শাহ (প্রথম) নাম ধারণ করেন।
১৮৬১ – রাশিয়ায় ভূমিদাস প্রথা বিলুপ্তি করা হয়।
১৮৭৮ – যুদ্ধ অবসানের পর রুশ-তুর্কি শান্তি চুক্তি স্বাক্ষর।
১৯০৬ – অনুশীলন সমিতির মুখপাত্র ‘যুগান্তর’ প্রকাশিত হয়।
১৯২৪ – তুরস্কের জাতীয় পরিষদ কর্তৃক খিলাফত বিলুপ্ত ঘোষণা।
১৯৪৯ – ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নিম্ন কর্মচারীদের ধর্মঘট।
১৯৬৫ – শহীদ সোহরাওয়ার্দীর বড় ভাই বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ শিল্পকলা বিশারদ শাহেদ সোহরাওয়ার্দীর মৃত্যু।
১৯৬৯ – ভারতে প্রথম দ্রুতগামী রাজধানী এক্সপ্রেস ট্রেন (হাওড়া ও নতুন দিল্লীর মধ্যে) চালু হয়।
১৯৭১ – “আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালবাসি” – কবিগুরু বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচয়িত এই গানটিকে ঢাকা শহরের পল্টন ময়দানে ঘোষিত ইশতেহারে বাংলাদেশের প্রস্তাবিত জাতীয় সঙ্গীত হিসাবে ঘোষণা করা হয়।
১৯৭১ – বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে অসহযোগ আন্দোলন শুরু।
১৯৭২ – বাংলাদেশ রাইফেলস প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯৭২ – বাংলাদেশকে স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয় শ্রীলঙ্কা ও সোয়াজিল্যান্ড।
১৯৭৪ – তুর্কি ডিসি -১০ বিমান বিধ্বস্ত হয়ে ৩৪৬ জন নিহত।
১৯৭৬ – বাঙালি জাতীয়তাবাদের পরিবর্তে বাংলাদেশ সরকার ‘বাংলাদেশী’ জাতীয়তাবাদ প্রবর্তন করেন।
১৯৭৮ – জাতীয় স্মৃতিসৌধের নকশা অনুমোদন।
১৯৯১ – এস্তোনিয়া ও লাতভিয়া সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার পক্ষে ভোট দেয়।
২০০৫ – রাজধানীতে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নসহ যানজট নিরসনের অংশ হিসেবে ২৯ কিলোমিটার দীর্ঘ সদরঘাট আশুলিয়া নৌপথ উদ্বোধন।

এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন যারা—-

১৫৮১ – চতুর্থ শিখ গুরু রামদাসের মৃত্যু।

১৭০৩ – রবার্ট হুক, প্রকৃতি দার্শনিক ,স্থপতি ও বহুশাস্ত্রবিদ।

১৭০৭ – আওরঙ্গজেব, মুঘল সম্ৰাট।
১৯৮৩ – এর্জে, বেলজীয় কমিক্স লেখক ও চিত্রকর।

১৯৯২ – সুকুমার সেন, শিক্ষাবিদ, ভাষাবিদ ও গবেষক।

২০০০ – ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের বিপ্লবী বিমল দাশগুপ্ত।

২০১৬ – মার্টিন ক্রো, নিউজিল্যান্ডীয় ক্রিকেটার, ধারাভাষ্যকার ও লেখক।
২০২০ – শুদ্ধানন্দ মহাথের, বাংলাদেশী বৌদ্ধ ভিক্ষু ও বৌদ্ধ ধর্মীয় পণ্ডিত।

২০২৩ – ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়, পাণ্ডব গোয়েন্দা সিরিজের গোয়েন্দাসাহিত্য খ্যাত ভারতীয় বাঙালি সাহিত্যিক।

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This