Categories
প্রবন্ধ

যোগেন্দ্রনাথ গুপ্ত – বাংলা ভাষায় প্রথম বিয়োগান্তক বা ট্র্যাডেজি নাটক রচয়িতা।।।

সূচনা– যোগেন্দ্রনাথ গুপ্ত একজন লেখক ও গবেষক। তিনি বাংলা ভাষায় প্রথম ট্র্যাজেডি নাটক কীর্তিবিলাস রচনা করেন। শিশুভারতী নামে বিখ্যাত সংকলনের সম্পাদনা তাঁর উল্লেখযোগ্য কীর্তি। তিনি কৈইশোরক পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন। তাঁর রচিত বাংলার ডাকাত বইখানি উল্লেখযোগ্য। ইতিহাস ও সাহিত্যের বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাঁর গবেষণামূলক অবদান চিরস্মরণীয়।

জন্ম ও শৈশব—

যোগেন্দ্রনাথ গুপ্ত ২২ মার্চ ১৮৮৩ সালে জন্মগ্রহণ করেন। বর্তমান বাংলাদেশের ঢাকার মূলচরের নিবাসী ছিলেন তিনি। মাতা মোক্ষদাসুন্দরী।

রচিত গ্রন্থ সমূহ–

অল্পবয়সেই যোগেন্দ্রনাথ সাহিত্যচর্চা শুরু করেন। ইতিহাস ও সাহিত্যের বিভিন্ন বিভাগে তার গবেষণামূলক অবদান বিশেষভাবে স্মরণীয়। তিনি বিশ্বের ইতিহাস ২১ খণ্ডে রচনা করেছিলেন। ১০০টিরও বেশি বই লেখেন। তার রচিত গ্রন্থের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল –

ধ্রুব, প্রহ্লাদ, ভীমসেন, বঙ্গের মহিলা কবি, বাংলার ডাকাত, বিক্রমপুরের ইতিহাস, কেদার রায়, কল্পকথা (ছোটগল্প), তসবীর (নাটক), হিমালয় অভিযান, কবিতা মঞ্জরী, সাহিত্যিক।

মৃত্যু-

মে, ১৯৬৫ সালে তিনি প্রয়াত হন।

।। তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।

Share This
Categories
রিভিউ

আজ ২২ মার্চ, ইতিহাসের দিকে চোখ বুলিয়ে দেখে নেব ইতিহাসের এই দিনে বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু, দিনসহ ঘটে যাওয়া ঘটনা।।।

আজ ২২ মার্চ । এক নজরে দেখে নিই ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু দিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।
দিবস—–
(ক) বিশ্ব জল দিবস
আজ যাদের জন্মদিন—-

১৭১২ – ইংলিশ লেখক এডওয়ার্ড মূর।

১৮৫৭ – ফরাসি গণিতবিদ, সাংবাদিক, রাজনীতিবিদ ও ১৪ তম প্রেসিডেন্ট পল ডুমের।

১৮৬৮ – রবার্ট মিলিকান, মার্কিন পদার্থবিজ্ঞানী।

১৮৮৩ – যোগেন্দ্রনাথ গুপ্ত, বাঙালি সাহিত্যিক এবং গবেষক।

১৮৯৪ – ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম নেতা মাস্টারদা সূর্য সেন।

১৯১৮ – (ক)  অমিয়ভূষণ মজুমদার,বাঙালি কথাসাহিত্যিক।
গিয়ানা রাজনীতিবিদ ও ৪র্থ প্রেসিডেন্ট চেডি জাগান।
১৯২১ – ইতালিয়ান অভিনেতা, পরিচালক ও চিত্রনাট্যকার নিনো মানফ্রেডি।

১৯৩১ – উইলিয়াম শ্যাটনার, কানাডীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন অভিনেতা।
১৯৩১ – বার্টন রিখটার, নোবেল বিজয়ী মার্কিন পদার্থবিজ্ঞানী।
১৯৪৮ – ইংরেজ পরিচালক ও সুরকার অ্যান্ড্রু লয়েড ওয়েবের।
১৯৫৫ – লাটভিয়ার চিকিৎসক, রাজনীতিবিদ ও ৭ম সভাপতি ভাল্ডিস যাটলেরস।

১৯৭৬ – রিজ উইদারস্পুন, মার্কিন অভিনেত্রী ও চলচ্চিত্র পরিচালক।

ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনের ঘটনাবলী—-

১৭৩৯ – নাদির শাহ্ ভারতের দিল্লি দখল করেন এবং শহরের মূল্যবান বস্তু লুটপাট করেন।
১৭৯৩ – বাংলা ও বিহারে লর্ড কর্নওয়ালিস চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত চালু করেন।
১৮২৪ – লন্ডনে ন্যাশনাল গ্যালারি প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৮৮২ – বহুগামিতা নিষিদ্ধ করে মার্কিন কংগ্রেসে বিল পাস।
১৮৮৮ – ইংলিশ ফুটবল লীগ গঠিত হয়।
১৮৯৮ – অবিভক্ত ভারতে ফৌজদারি কার্যবিধি প্রবর্তন।
১৯০৪ – নিউইয়র্ক ইলাসট্রেটেড মিরর পত্রিকার মাধ্যমে পত্রিকায় বিশ্বের প্রথম রঙিন ছবি মুদ্রণের ঘটনা ঘটে।
১৯১২ – বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি ভেঙ্গে বিহার রাজ্য গঠিত হয়।
১৯৪২ – স্টাফোর্ড ক্রিপসের নেতৃত্বে ক্রিপস মিশন ভারতে আসে।
১৯৪৫ – কায়রো সনদ গ্রহণের মধ্য দিয়ে আরব লীগ গঠিত।
১৯৪৬ – জর্দানের স্বাধীনতা লাভ।
১৯৪৭ – লর্ড মাউন্ট ব্যাটেন ভাইসরয় পদে নিযুক্ত হয়ে ভারতে আসেন।
১৯৫৭ – ভারতের রাষ্ট্রীয় পঞ্জিকা (১ লা চৈত্র,১৮৭৯) চালু হয়।
১৯৮২ – নাসার স্পেস-শাটল ‘কলম্বিয়া’ উৎক্ষেপণ করা হয় তৃতীয়বারের মতো।
১৯৮৫ – বিশ্বের ওজোন স্তর সংরক্ষণের জন্য আন্তর্জাতিক চুক্তি অনুমোদন করা হয়।
২০০৪ – ফিলিস্তিনের ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের আধ্যাত্মিক নেতা শেখ আহমদ ইয়াসিন ইহুদিবাদী ইসরাইলের বর্বরোচিত হামলায় শহীদ হন।
২০১২ – এশিয়া কাপ ক্রিকেটে পাকিস্তানের কাছে মাত্র ২ রানে হারে বাংলাদেশ ।

এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন যারা—-

১৬৮৭ – ইতালীয় ফরাসি সুরকার ও কন্ডাকটর জাঁ-ব্যাপ্টিস্টে লুলয়।
১৮৩২ – ইয়োহান ভল্‌ফগাং ফন গোটে, জার্মান লেখক ও কবি।

১৯৫৫ – ভারতের শিল্প ও স্থাপত্যের ইতিহাসকার পার্সি ব্রাউন।

১৯৭৭ – কমিউনিস্ট নেতা এ কে গোপালন।

১৯৯৭ – পণ্ডিত প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়,প্রখ্যাত বাঙালি উচ্চাঙ্গ কণ্ঠসঙ্গীত শিল্পী।

২০০১ – আমেরিকান অ্যানিমেটর, পরিচালক, প্রযোজক, ভয়েস অভিনেতা ও হানা-বারবেরার সহ-প্রতিষ্ঠাতা উইলিয়াম হানা।
২০০৪ – ফিলিস্তিনি আধ্যাত্মিক নেতা ও হামাসের সহ-প্রতিষ্ঠাতা শায়খ আহমাদ ইসমাইল হাসান ইয়াসিন।
২০০৫ – জাপানি আর্কিটেক্ট কেনযো টাঙ্গে।

২০১০ – নোবেল পুরস্কার বিজয়ী স্কটিশ জীববিজ্ঞানী ও ফার্মাকোলজিস্ট জেমস হোয়াইট ব্ল্যাক।
২০১৩ – কিউবান বংশোদ্ভূত সুইডিশ পিয়ানোবাদক ও সুরকার বেবো ভাল্ডেস।

২০২২ – বিশিষ্ট ভারতীয় বাঙালি শিক্ষাবিদ সুনন্দ সান্যাল।

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This
Categories
রিভিউ

আজ ২১ মার্চ, ইতিহাসের দিকে চোখ বুলিয়ে দেখে নেব ইতিহাসের এই দিনে বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু, দিনসহ ঘটে যাওয়া ঘটনা।।।

আজ ২১ মার্চ । এক নজরে দেখে নিই ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু দিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।
দিবস—–
(ক)  আন্তর্জাতিক জাতি বৈষম্য বিলোপ দিবস
(খ) বিশ্ব কবিতা দিবস
(গ) বিশ্ব ডাউন সিনড্রোম দিবস
(ঘ) বিশ্ব পুতুলনাট্য দিবস
(ঙ) বিশ্ব বন দিবস
(চ) সুগন্ধ দিবস
আজ যাদের জন্মদিন—-
১৬০৯ – দ্বিতীয় কাজিমিয়ের্জ, পোল্যান্ডের রাজা।

১৬৮৫ – জোহান সেবাস্টিয়ান বাখ, জার্মান সুরকার।

১৭৬৮ – জোসেফ ফুরিয়ে, প্রখ্যাত ফরাসি গণিতবিদ।

১৮৬১ – শ্রীশচন্দ্র বসু প্রখ্যাত ভারতীয় বহুভাষাবিদ ও পণ্ডিত ব্যক্তিত্ব।

১৮৮৪ – জর্জ ডেভিড বার্কফ,মার্কিন গণিতবিদ।

১৮৮৭ – মানবেন্দ্র নাথ রায়, ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির প্রতিষ্ঠাতা।

১৯১৬ – ওস্তাদ বিসমিল্লাহ খান সাহেব, ভারতীয় সানাই বাদক।

১৯৪৯ – শ্লাভোস্ জিজেক, স্লোভেনীয় সমাজতাত্ত্বিক, দার্শনিক এবং সংস্কৃতি সমালোচক।

১৯৫৫ – বব বেন্নেট আমেরিকান গায়ক, গীতিকার।

১৯৬১ – লোথার ম্যাথেয়াস, প্রসিদ্ধ জার্মান ফুটবল খেলোয়াড়।

১৯৭৮ – রাণী মুখার্জী, ভারতীয় অভিনেত্রী।
১৯৮৫ -আশেক ইলাহী চৌধুরী আইমন, বাংলাদেশ চট্টগ্রাম, আর্ট শিল্পী
ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনের ঘটনাবলী—-

১১৮৮ – জাপান সম্রাট আঙ্কুটুর সিংহাসনে আরোহণ করেন।
১৪১৩ – পঞ্চম হেনরি ইংল্যান্ডের রাজা হিসেবে অভিষিক্ত হন।
১৬১০ – রাজা প্রথম জেমস হাউস অব কমন্সে বক্তব্য দেন।
১৭৯১ – ব্রিটিশ সৈন্যরা টিপু সুলতানের কাছ থেকে ব্যাঙ্গালোর দখল করে নেয়।
১৮০১ – আলেকজান্দ্রিয়ার যুদ্ধে জেনারেল এবারক্রম্বির নেতৃত্বে ব্রিটিশ বাহিনী ফরাসিদের পরাজিত করে ।
১৮২৯ – স্পেনে ভূমিকম্পে ৬ হাজার লোক নিহত।
১৮৩৬ – কলকাতায় প্রথম গ্রন্থাগার(ক্যালকাটা পাবলিক লাইব্রেরি) স্থাপিত হয়।
১৮৫৭ – টোকিওতে ভূমিকম্পে ১ লাখ ৭ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়।
১৯১৭ – বিপ্লবী বাহিনীর হাতে রাশিয়ার জার সস্ত্রীক গ্রেফতার হন।
১৯১৯ – সোভিয়েত প্রজাতন্ত্র ঘোষণা।
১৯৪৮ – রেসকোর্স ময়দানে অনুষ্ঠিত জনসভায় পাকিস্তানের গভর্নর জেনারেল মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ ঘোষণা দেন যে উর্দুই হবে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা। উপস্থিত জনতা না, না বলে তার উক্তির প্রতিবাদ জানায়।

১৯৬৫ – মার্টিন লুথার কিং নাগরিক অধিকার মার্চ শুরু করেন।
১৯৭২ – বাংলাদেশকে স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয় লেসোথো।
১৯৭৪ – বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয় কঙ্গো প্রজাতন্ত্র।
১৯৭৫ – ইথিওপিয়ায় সামরিক সরকার কর্তৃক রাজকীয় সম্রাটের পদ বিলোপ।

১৯৭৭ – পার্লামেন্ট নির্বাচনে নিজ আসনে পরাজিত হওয়ায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর পদত্যাগ।
১৯৮৫ – বাংলাদেশে গণভোট হয়।
১৯৯০ – দক্ষিণ আফ্রিকার কাছ থেকে নামিবিয়া স্বাধীনতা লাভ করে।
১৯৯১ – কুয়েতি তেলকুপের ধোঁয়ায় সৌদি বিমান বিধ্বস্ত। ৯৮ জন নিহত।
২০০২ – বাংলাদেশের জাতীয় সংসদে বঙ্গবন্ধুর ছবি অপসারণ বিল পাস।
২০০৬ – টুইটার প্রতিষ্ঠিত হয় ৷

এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন যারা—-

১৬৭৬ – হেনরি সভ্যাল, ফরাসি ইতিহাসবিদ।

২০০৩ – অসিতকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়, অধ্যাপক,বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসকার, গবেষক ও পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমির ভূতপূর্ব সভাপতি।
২০২৩ – একুশে পদকপ্রাপ্ত ও টিএসসির স্বোপার্জিত স্বাধীনতা চত্বরের ভাস্কর শামীম শিকদার।

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

বিশ্ব ডাউন সিনড্রোম দিবস ২০২৫: উৎপত্তি, তাৎপর্য, থিম এবং আরও অনেক কিছু সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য

প্রতি বছর, ডাউন সিনড্রোম সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে বিশ্বব্যাপী ২১শে মার্চ বিশ্ব ডাউন সিনড্রোম দিবস (WDSD) পালিত হয়, এমন একটি অবস্থা যেখানে একটি শিশু অতিরিক্ত ২১ তম ক্রোমোজোম নিয়ে জন্মগ্রহণ করে। ডাউন সিনড্রোম সৃষ্টিকারী ২১ তম ক্রোমোজোমের ট্রিপ্লিকেশন (ট্রাইসোমি) এর স্বতন্ত্রতা বোঝাতে ওয়ার্ল্ড ডাউন সিনড্রোম চিহ্নিত করার জন্য ২১ শে মার্চের দিনটিকে বেছে নেওয়া হয়েছিল।

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ (UNGA) ২০১২ সাল থেকে এটি প্রতি বছর পালন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আপনি কি জানেন যে প্রতি বছর প্রায় ৬০০০ নবজাতক ডাউন সিনড্রোম নিয়ে জন্মগ্রহণ করে? ডাউন সিনড্রোম একটি অতিরিক্ত ২১ ক্রোমোজোম থাকার কারণে সৃষ্ট একটি ব্যাধি। ওয়ার্ল্ড ডাউন সিনড্রোম দিবস ২০২৪ (WDSD) হল ডাউন সিনড্রোম সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে একটি বিশ্বব্যাপী ইভেন্ট। উপরন্তু, ডাউন সিনড্রোম আছে এমন ব্যক্তিদের কৃতিত্ব এবং জীবনকে সম্মান ও উদযাপন করার দিন। এই দিনটি ডাউন সিনড্রোম সম্পর্কে স্টেরিওটাইপ এবং ভুল ধারণাগুলির বিরুদ্ধে লড়াই করতে এবং এই অবস্থা সম্পর্কে লোকেদের শিক্ষিত করতে সহায়তা করে। বিশ্ব ডাউন সিনড্রোম দিবস ২০২৪ মঙ্গলবার, ২১শে মার্চ পড়ে। মার্চ মাসটি বিশেষভাবে ২১ তম ক্রোমোজোম ট্রিপ্লিকেশনের এককতা প্রতিনিধিত্ব করার জন্য বেছে নেওয়া হয়েছিল। এটি ডাউন সিনড্রোমের মূল কারণ।
জাতিসংঘ (ইউএন) সাধারণ পরিষদ আনুষ্ঠানিকভাবে ৩১শে মার্চকে ১৯শে ডিসেম্বর ২০১১ তারিখে বিশ্ব ডাউন সিনড্রোম দিবস হিসাবে ঘোষণা করেছে। তবে, এটি ২০০৬ সাল থেকে পালিত হচ্ছে। তারপর থেকে, ডাউন সিনড্রোম সম্পর্কে জ্ঞান বৃদ্ধি, জীবনকে সম্মান করার জন্য প্রতি বছর ইভেন্টগুলি অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। এবং যারা শর্ত আছে তাদের অর্জন, এবং জনসাধারণকে শিক্ষিত.
২০২৪ সালে বিশ্ব ডাউন সিনড্রোম দিবস ইউনিভার্স পাবলিক স্কুলে অত্যন্ত উত্তেজনার সাথে পালন করা হয়েছিল, যা বৈচিত্র্য এবং অন্তর্ভুক্তির গুরুত্বকে স্বীকৃতি দেয়। দিনটি বিভিন্ন ইভেন্ট এবং ক্রিয়াকলাপ দ্বারা চিহ্নিত করা হয়েছিল, যার মধ্যে রয়েছে তথ্যমূলক কর্মশালা, আকর্ষক সমাবেশ এবং শিক্ষার্থীদের হৃদয়গ্রাহী পরিবেশনা। শিক্ষার্থী এবং কর্মীরা “পার্থক্য উদযাপন করুন” এর থিমটি গ্রহণ করেছে, এই ধারণাটি নিশ্চিত করে যে প্রতিটি ব্যক্তি, প্রতিভা বা পার্থক্য নির্বিশেষে, আমাদের সমাজের সমৃদ্ধ ফ্যাব্রিকে অবদান রাখে। এটি একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক পরিবেশ বজায় রাখার জন্য স্কুলের উত্সর্গ প্রদর্শন করে।

বিশ্ব সিন্ড্রোম দিবস ২০২৫ এর থিম—

২০২৫ সালের বিশ্ব ডাউন সিনড্রোম দিবসের প্রতিপাদ্য হল “আমাদের সহায়তা ব্যবস্থা উন্নত করুন”। এই প্রতিপাদ্য ডাউন সিনড্রোমে আক্রান্ত ব্যক্তিদের যথাযথ যত্ন, শিক্ষা এবং তাদের প্রাপ্য সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করার জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক সহায়তা ব্যবস্থা শক্তিশালী করার গুরুত্ব তুলে ধরে। এটি সরকারকে ডাউন সিনড্রোমে আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য সহায়তা ব্যবস্থা উন্নত করতে এবং সুযোগ-সুবিধা প্রদান করতেও উৎসাহিত করে।

বিশ্ব ডাউন সিনড্রোম দিবসের ইতিহাস—-

ওয়ার্ল্ড ডাউন সিনড্রোম দিবস (WDSD) প্রতি বছর 21 মার্চ পালন করা হয়। বিশ্বব্যাপী সচেতনতা দিবসটি ২০১২ সাল থেকে জাতিসংঘ কর্তৃক আনুষ্ঠানিকভাবে পালন করা হয়। ঐতিহাসিক রেকর্ড অনুযায়ী, ডিসেম্বর ২০১১ সালে, জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ (UNGA) 21 মার্চ ঘোষণা করে। বিশ্ব ডাউন সিনড্রোম দিবস হিসেবে (A/RES/66/149)।
সাধারণ পরিষদ ২০১২ সাল থেকে প্রতি বছর ২১ মার্চ বিশ্ব ডাউন সিনড্রোম দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নেয়। জাতিসংঘের মতে, প্রতি বছর প্রায় ৩০০০ থেকে ৫০০০ শিশু এই ক্রোমোজোম ডিসঅর্ডার নিয়ে জন্মগ্রহণ করে। ডাউন সিনড্রোমের আনুমানিক ঘটনা বিশ্বব্যাপী ১০০০ জনের মধ্যে ১ এবং ১১০০ জীবিত জন্মের মধ্যে ১ জনের মধ্যে”।

ডাউন সিনড্রোমের তাত্‍পর্য——

এই দিনে, বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন সংস্থা, সম্প্রদায় এবং ব্যক্তিরা এই কারণকে সমর্থন করার জন্য এবং ডাউন সিনড্রোমে আক্রান্ত ব্যক্তিদের বৈচিত্র্য এবং অবদান উদযাপন করার জন্য ইভেন্ট এবং কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করে।
ডাউন সিনড্রোমে আক্রান্ত ব্যক্তিদের সমর্থন দেখানোর জন্য একটি সাধারণ কার্যকলাপ হল রঙিন বা অমিল মোজা পরা। মোজার আকার কিছুটা ক্রোমোজোমের মতো। ওয়ার্ল্ড ডাউন সিনড্রোম দিবস হল ডাউন সিনড্রোমে আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য বোঝাপড়া, গ্রহণযোগ্যতা এবং উপলব্ধি উন্নীত করার এবং তাদের ক্ষমতা ও কৃতিত্ব সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করার একটি সুযোগ।”

।। তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

জানুন আন্তর্জাতিক জাতি বৈষম্য বিলোপ দিবস ও বিশ্ব কবিতা দিবস সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।।।

জানুন আন্তর্জাতিক জাতি বৈষম্য বিলোপ দিবস ও বিশ্ব কবিতা দিবস সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।।।

(ক) আন্তর্জাতিক জাতি বৈষম্য বিলোপ দিবস

(খ) বিশ্ব কবিতা দিবস

(ক) আন্তর্জাতিক জাতি বৈষম্য বিলোপ দিবস-

জাতিগত বৈষম্য দূরীকরণের জন্য আন্তর্জাতিক দিবস প্রতি বছর ২১শে মার্চ পালন করা হয়। সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের সাধারণ পরিষদ ১৯৬৬ সালের ২৬শে অক্টোবর একটি রেজুলেশন গৃহীত হয় এবং ২১শে মার্চকে বার্ষিক স্মরণীয় দিবস হিসেবে ঘোষণা করে।

আন্তর্জাতিক জাতিগত বর্ণবৈষম্য বিলোপ দিবসে জাতি, বর্ণ নির্বিশেষে সকলকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ।
বর্ণবৈষম্য প্রথম শুরু হয় দক্ষিণ আফ্রিকায়। ১৯৬০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার সার্পভিলে জাতিগত বর্ণ বৈষম্যের বিল পাশের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষ শান্তিপূর্ণভাবে মিছিলের আয়োজন করে। যেখানে পুলিশ বিনা কারণে নির্বিচারে সাধারণ মানুষের উপর গুলি চালায়। এতে ৬৯ জন প্রাণ হারান এবং ১৭৮ মানুষ আহত হন।
এই ঘটনার পর ১৯৬৬ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ পৃথিবীর সমস্ত দেশ থেকে জাতিভেদ ও বর্ণবৈষম্যের মত ভয়ানক ব্যাধিকে নির্মূল করতে সোচ্চার হয়। এই বিষয়ের উপর জাতিসংঘ নানা কর্মসূচি শুরু করে। অবশেষে ১৯৭৯ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ প্রথম ২১ শে মার্চ দিনটিকে আন্তর্জাতিক জাতিগত বর্ণবৈষম্য বিলোপ দিবস হিসাবে পালনের আহ্বান জানায়।
২০০১ সালে জাতিগত ভেদাভেদ ও বর্ণবাদ বিরোধী বিশ্ব সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। পরবর্তীকালে দক্ষিণ আফ্রিকার ডারবান শহরে আবার একটি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় যার মূল লক্ষ্য ছিল জাতি ও বর্ণের সমস্যাকে দূরীভূত করা। এবং নতুনভাবে বর্ণবৈষম্যের বিরুদ্ধে এক আন্তর্জাতিক প্রতিশ্রুতি নেওয়া।
(খ) বিশ্ব কবিতা দিবস-
১৯৯৯ সালে ইউনেস্কো ২১ মার্চ তারিখটিকে বিশ্ব কবিতা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। এই দিবস পালনের উদ্দেশ্য হল বিশ্বব্যাপী কবিতা পাঠ, রচনা, প্রকাশনা ও শিক্ষাকে উত্‍সাহিত করা। ইউনেস্কোর অধিবেশনে এই দিবস ঘোষণা করার সময় বলা হয়েছিল, “এই দিবস বিভিন্ন জাতীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক কবিতা আন্দোলনগুলিকে নতুন করে স্বীকৃতি ও গতি দান করবে।” পূর্বে অক্টোবর মাসে বিশ্ব কবিতা দিবস পালন করা হত। প্রথম দিকে কখনও কখনও ৫ অক্টোবর এই উত্‍সব পালিত হলেও বিংশ শতাব্দীর শেষভাগে রোমান মহাকাব্য রচয়িতা ও সম্রাট অগস্টাসের রাজকবি ভার্জিলের জন্মদিন স্মরণে ১৫ অক্টোবর এই দিবস পালনের প্রথা শুরু হয়। অনেক দেশে আজও অক্টোবর মাসের কোনো দিন জাতীয় বা আন্তর্জাতিক কবিতা দিবস পালন করা হয়। এই দিবসের বিকল্প হিসেবে অক্টোবর অথবা নভেম্বর মাসের কোনো দিন কবিতা দিবস পালনেরও প্রথা বিদ্যমান।

।। তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট ।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

বিশ্ব পাপেট্রি দিবস কি, কেনো পালিত হয়, ইতিহাস ও গুরুত্ব।

আজ বিশ্ব পুতুলনাট্য দিবস, জানুন দিনটি কি এবং দিনটি পালনের উদ্দেশ্য।।। বিশ্ব পাপেট্রি দিবস প্রতি বছর ২১ মার্চ পালিত হয়। এ বছর আমরা বৃহস্পতিবার দিবসটি পালন করব।

এই দিনটি পুতুলশিল্পের জন্য উত্সর্গীকৃত এবং এটি সারা বিশ্বে বসবাসকারী পুতুলদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোরও একটি সুযোগ। বিশ্ব পুতুল দিবস প্রথম ২০০৩ সালে ইউনিয়ন ইন্টারন্যাশনাল দে লা ম্যারিওনেট (UNIMA) দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।

বিশ্ব পুতুল দিবস ২০২৫: ইতিহাস–

পুতুলের ইতিহাস ২৫০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে সিন্ধু উপত্যকা সভ্যতায় ফিরে পাওয়া যায়। প্রত্নতাত্ত্বিকদের দ্বারা বিচ্ছিন্ন মাথা সহ একটি পোড়ামাটির পুতুল পাওয়া গেছে। এই পুতুলটি একটি স্ট্রিং দ্বারা চালিত হতে সক্ষম ছিল এবং এটি একটি খুব জনপ্রিয় বিনোদন যা সাধারণ মানুষের জন্য সঞ্চালিত হয়েছিল।
মিশরে পুতুলের প্রথম প্রত্নতাত্ত্বিক প্রমাণও পাওয়া গিয়েছিল ২০০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে। এই পুতুলগুলি কাঠের তৈরি এবং তারা স্ট্রিং দ্বারা পরিচালিত হত।
১৬ শতকে, ঐতিহ্যবাহী ব্রিটিশ “পাঞ্চ এবং জুডি” পুতুলের উদ্ভব হয়েছিল ইতালীয় কমিডিয়া ডেল’আর্ট থেকে। পুতুলের এই রূপটি সাধারণ মানুষের কাছে খুব জনপ্রিয় হয়ে ওঠে এবং 19 শতকের মধ্যে এটি বিকশিত হতে থাকে।

বিশ্ব পুতুল দিবস ২০২৫: তাত্‍পর্য—

বিশ্ব পুতুলশিল্প দিবস হল একটি বৈশ্বিক সম্প্রদায় হিসাবে পাপেট্রি শিল্পকে স্বীকৃতি দেওয়ার এবং বিশ্বজুড়ে পুতুলশিল্পের চর্চার বৈচিত্র্য উদযাপন করার একটি সুযোগ। এটি পুতুলের ঐতিহ্যবাহী ঐতিহ্য বজায় রাখার এবং রক্ষা করার গুরুত্বের প্রতি প্রতিফলিত করার একটি দিন।
এই দিনটি আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় যে পুতুলশিল্প সমস্ত ধরণের সাংস্কৃতিক এবং ভাষাগত বাধা অতিক্রম করে। এটি মানুষকে খুশি করে এবং তাদের দৈনন্দিন চাপ থেকে বিভ্রান্ত করে।
বিশ্ব পুতুল দিবস আমাদের শৈশবে ফিরিয়ে নিয়ে যায় যেখানে আমরা পুতুল এবং জড় বস্তুর সাথে খেলতাম এবং তাদের নাম দিয়েছিলাম। আমাদের মধ্যে থাকা শিশুটিকে বাঁচিয়ে রাখতে এই দিনটি পালন করা উচিত।
সারা বিশ্বে, এই ছুটির দিনটি পুতুল উত্‍সব, পুতুল তৈরি এবং পুতুলের অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পালন করা হয়। লোকেরা বিভিন্ন পুতুল সংস্থাকে অর্থ দান করতে পারে বা এমনকি তাদের নিজস্ব পুতুল তৈরিতে তাদের হাত চেষ্টা করতে পারে। মানুষ #WorldPuppetryDay হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে অনলাইনে এই ছুটির কথা ছড়িয়ে দিতে পারে।

।। তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

আজ বিশ্ব বন দিবস, জানুন আমাদের গ্রহকে টিকিয়ে রাখতে বনের ভূমিকা।

প্রতি বছর ২১শে মার্চ পালিত হয়, বিশ্ব বন দিবস আমাদের গ্রহকে টিকিয়ে রাখতে বনের ভূমিকার একটি অনুস্মারক হিসাবে কাজ করে। আমরা শ্বাস নিই বাতাসকে বিশুদ্ধ করা থেকে শুরু করে অগণিত প্রজাতির আবাসস্থল, বন শুধু ফুসফুস নয় পৃথিবীর অভিভাবক। আমরা বিশ্ব বনায়ন দিবস ২০২৪-এর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি, আসুন আমরা এই বিশ্বব্যাপী ইভেন্টের তাত্‍পর্য এবং ইতিহাসকে আরও গভীরে ডুবে যাই।

বিশ্ব বন দিবস কি?
আপনি একটি নোটবুকে লিখুন, একটি বাড়ি তৈরি করুন বা আপনার প্রতিদিনের ওষুধ গ্রহণ করুন, এই সমস্ত কাজে বন একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তবুও, আমরা সবসময় এই কার্যকলাপ এবং বনের মধ্যে সংযোগ তৈরি করি না। তাই, আমাদের জীবনে বনের অবদানকে স্মরণ করার জন্য ২১শে মার্চকে আন্তর্জাতিক বন দিবস হিসেবে পালন করা হয়।
তদুপরি, জলবায়ু পরিবর্তন এবং বন উজাড়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলির সাথে, বনের তাত্‍পর্য এবং কীভাবে তারা পৃথিবীতে জীবনচক্রের ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়তা করে তা বোঝা আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।

বিশ্ব বন দিবস ২০২৫ এর থিম —-

২০২৫ সালের বিশ্ব বন দিবসের প্রতিপাদ্য হল “বন এবং খাদ্য” যা খাদ্য ব্যবস্থায় বনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে। এর লক্ষ্য হল খাদ্য নিরাপত্তা, পুষ্টি এবং জীবিকা নির্বাহে বনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা তুলে ধরা। খাদ্য সরবরাহের পাশাপাশি, বন জ্বালানি, আয় এবং কর্মসংস্থানও প্রদান করে, একই সাথে সুস্থ মাটি বজায় রাখে এবং জলের উৎস রক্ষা করে। এই বছরের প্রতিপাদ্য নীতিনির্ধারকদের জলবায়ু পরিবর্তনের কেন্দ্রবিন্দুতে বনকে রেখে নীতি প্রণয়নের আহ্বান জানিয়েছে।

বনের গুরুত্ব ——

মানুষের বেঁচে থাকা এবং পরিবেশগত ভারসাম্যের জন্য বন অপরিহার্য, যা অসংখ্য সুবিধা প্রদান করে:

খাদ্য ও ঔষধ: তারা ফল, বাদাম, বীজ, মাশরুম এবং মধু সরবরাহ করে, যা বিশ্বব্যাপী ৫ বিলিয়নেরও বেশি মানুষের খাদ্য ও ঔষধি চাহিদা পূরণ করে।

রান্নার জ্বালানি: কাঠ এবং ঐতিহ্যবাহী জ্বালানি ২ বিলিয়নেরও বেশি মানুষের, বিশেষ করে গ্রামীণ এলাকায়, রান্নার প্রধান উৎস হিসেবে রয়ে গেছে।

কৃষি সহায়তা: বন মাটি সমৃদ্ধ করে, জল ধরে রাখে এবং পরাগরেণুদের আবাসস্থল প্রদান করে, ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি করে।

গ্রামীণ জীবিকা: গ্রামীণ পরিবারের আয়ের প্রায় ২০% অবদান রাখে, যা একটি বৈচিত্র্যময় এবং পুষ্টিকর খাদ্য নিশ্চিত করে।

পানি ও খাদ্য নিরাপত্তা: বনভূমি মিঠা পানির সরবরাহ করে, পানির গুণমান উন্নত করে এবং বিশ্বব্যাপী খাদ্য নিরাপত্তায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

ভারতে বনায়ন——-

ভারতের একটি সমৃদ্ধ এবং বৈচিত্র্যময় বন বাস্তুতন্ত্র রয়েছে, যা তার মোট ভূমির ২১.৭১% জুড়ে রয়েছে (ইন্ডিয়া স্টেট অফ ফরেস্ট রিপোর্ট ২০২৩)। এই বনগুলিকে গ্রীষ্মমন্ডলীয় রেইনফরেস্ট, পর্ণমোচী বন, ম্যানগ্রোভ, আলপাইন বন এবং কাঁটাযুক্ত বনে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়েছে।

বন ও বৃক্ষরোপণ: ভারতের মোট বন ও বৃক্ষরোপণের পরিমাণ ৮,২৭,৩৫৭ বর্গ কিমি (২৫.১৭%), যার মধ্যে ১,১২,০১৪ বর্গ কিমি বৃক্ষরোপণ রয়েছে।

বনাঞ্চল বৃদ্ধি: ২০২১ সালের তুলনায় বনাঞ্চল ১৫৬ বর্গ কিলোমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে।

প্রধান বনাঞ্চলযুক্ত রাজ্য: মধ্যপ্রদেশ, অরুণাচল প্রদেশ, ছত্তিশগড়, ওড়িশা এবং মহারাষ্ট্রে সর্বাধিক বনাঞ্চল রয়েছে, যেখানে ছত্তিশগড়, উত্তরপ্রদেশ, ওড়িশা এবং রাজস্থান ২০২১ সাল থেকে বৃদ্ধি পেয়েছে।

কার্বন মজুদ এবং সংরক্ষণ: ভারতের বনাঞ্চল ৭,২৮৫.৫ মিলিয়ন টন কার্বন সঞ্চয় করে, যা অতিরিক্ত ২.২৯ বিলিয়ন টন কার্বন সিঙ্কে অবদান রাখে।

অর্থনৈতিক অবদান: কাঠ, অ-কাঠজাত বনজ পণ্য (NTFP), ঔষধি গাছপালা এবং ইকোট্যুরিজমের মাধ্যমে বন ভারতের অর্থনীতিকে সমর্থন করে।

সংরক্ষণ প্রচেষ্টা: জাতীয় বনায়ন কর্মসূচি (NAP), সবুজ ভারত মিশন এবং যৌথ বন ব্যবস্থাপনা (JFM) এর মতো সরকারি উদ্যোগগুলি বনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

বিশ্ব বন দিবস ২০২৫ এর তাৎপর্য—–

বিশ্ব বনায়ন দিবস ২০২৫ বন এবং খাদ্য নিরাপত্তার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ সংযোগের উপর জোর দেয়। এর লক্ষ্য হল:

কৃষি ও মানব স্বাস্থ্য বজায় রাখার ক্ষেত্রে বনের ভূমিকা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করুন।

বন এবং জীববৈচিত্র্যের সমন্বয়ে টেকসই কৃষিকাজকে উৎসাহিত করুন।

বন উজাড় এবং আবাসস্থলের ক্ষতি মোকাবেলায় সংরক্ষণ প্রচেষ্টাকে উৎসাহিত করুন।

বনায়ন এবং বন সুরক্ষার জন্য সরকারি উদ্যোগগুলি তুলে ধরুন।

পরিবেশ সংরক্ষণে ব্যক্তিগত পদক্ষেপকে অনুপ্রাণিত করুন।

এই দিনটি বন কীভাবে খাদ্য নিরাপত্তা, জলবায়ু স্থিতিশীলতা এবং জীববৈচিত্র্যকে সমর্থন করে তার একটি স্মারক হিসেবে কাজ করে। বনের গুরুত্ব বোঝা আমাদের আরও টেকসই ভবিষ্যতের দিকে কাজ করতে সাহায্য করে।

কিভাবে বিশ্ব বনায়ন দিবস ২০২৪ মন দিয়ে উদযাপন করবেন?
একটি গাছ লাগানোর চেয়ে আন্তর্জাতিক বন দিবস উদযাপনের ভাল উপায় আর কী হতে পারে? আপনার স্থানীয় সম্প্রদায়ের বৃক্ষ রোপণ কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করুন বা আপনার বন্ধু এবং পরিবারের সাথে একটি বৃক্ষ রোপণ ইভেন্টের আয়োজন করুন। এটি শুধুমাত্র বন পুনরুদ্ধার করতে সাহায্য করে না কিন্তু আমাদের কার্বন পদচিহ্ন কমাতেও অবদান রাখে।

।। তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

আজ আন্তর্জাতিক সুখ দিবস, জানুন দিনটি কেন পালিত হয় এবং দিনটির গুরুত্ব।।।

আমাদের জীবনের অন্যান্য লক্ষ্যগুলির মতোই, সুখ একটি মৌলিক মানব লক্ষ্য। আমাদের অবশ্যই সবসময় সুখী এবং সন্তুষ্ট থাকার চেষ্টা করতে হবে এবং একটি ইতিবাচক পরিবেশের মাধ্যমে আমাদের চারপাশে অন্যদের খুশি করার জন্য আমাদের যথাসাধ্য চেষ্টা করতে হবে।

সুখ একটি মানুষের অস্তিত্বের মূল।

আমরা যদি সুখী এবং ইতিবাচক হই, তবে আমরা যা আছে তাতে সন্তুষ্ট থাকার চেষ্টা করতে পারি এবং আমাদের চারপাশে সুখ ছড়িয়ে দিতে পারি। সুখ একটি মৌলিক মানব লক্ষ্য, যা জাতিসংঘ কর্তৃক স্বীকৃত। ভুটানই এই ধারণার সূচনা করেছিল। এখন থেকে, ২০ শে মার্চ আন্তর্জাতিক সুখ দিবস হিসাবে পালিত হয়, বিশ্বব্যাপী সুখকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়। বর্তমান সময়ে, সুখী হওয়া একটি বিশ্বব্যাপী প্রচারে পরিণত হয়েছে। একজনের জীবনে সুখের গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য ২০১৩ সাল থেকে আন্তর্জাতিক সুখ দিবস পালিত হচ্ছে।

আন্তর্জাতিক সুখ দিবসের ইতিহাস–

যারা ধারণার সাথে পরিচিত নন তাদের কাছে আন্তর্জাতিক সুখ দিবস নামে একটি উত্সব কিছুটা শিশুসুলভ মনে হতে পারে। সম্ভবত আপনি কল্পনা করছেন বাচ্চারা ‘যদি আপনি খুশি হন এবং আপনি এটি জানেন’ গান গাইছেন বা লোকেরা হাসিখুশি সূর্য এবং রংধনুতে আনন্দে নাচছে। জাতিসংঘ এবং এর অংশীদার অলাভজনক সংস্থা অ্যাকশন ফর হ্যাপিনেস, যা ১৬০টি দেশের ব্যক্তিদের নিয়ে গঠিত, আমাদের জন্য আন্তর্জাতিক সুখ দিবস উদযাপন করা সম্ভব করেছে। আন্দোলনের চূড়ান্ত উদ্দেশ্য হল এই সত্য সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা যে উন্নয়নের সাথে কেবল মুনাফা বাড়ানো এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধি করা নয় বরং মানুষের মধ্যে মঙ্গল ও সুখের প্রচার করা।
২০১১ সালে, জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ একটি রেজোলিউশন গৃহীত হয়েছিল যা এটিকে একটি “মৌলিক মানব লক্ষ্য” হিসাবে সুখকে অর্থনৈতিক সুযোগের মতো অগ্রাধিকার দেয়। বিশ্বের উদ্বোধনী আন্তর্জাতিক সুখ দিবসটি দুই বছর পরে ২০১৩ সালে পালিত হয়েছিল যখন জাতিসংঘের ১৯৩ জন সদস্য অংশ নিয়েছিল এবং তখন থেকে এটি প্রসারিত হয়েছে।

২০২৫ সালের আন্তর্জাতিক সুখ দিবসের থিম কী?

তাছাড়া, আপনি কি জানেন যে জাতিসংঘ আসলে এই বিশেষ আন্তর্জাতিক সুখ দিবসটি প্রতিষ্ঠা করেছিল শুধুমাত্র অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির উপর মনোযোগ দেওয়ার পরিবর্তে মানুষের সুখকে স্বীকৃতি দেওয়ার এবং উন্নত করার জন্য? এছাড়াও, এই বছরের আন্তর্জাতিক সুখ দিবসের প্রতিপাদ্য হল “যত্ন এবং ভাগাভাগি”।

আন্তর্জাতিক সুখ দিবসের তাৎপর্য——-

তাছাড়া, আপনি কি জানেন যে এই বিশেষ আন্তর্জাতিক সুখ দিবসটি প্রতিটি ব্যক্তিকে উৎসাহিত করে – সে পরিবার, স্কুল ছাত্র, অফিস সহকর্মী, অথবা সমগ্র সম্প্রদায় – তাদের জীবনে সত্যিকার অর্থে আনন্দ এবং অর্থ কী নিয়ে আসে তার উপর একটু বিরতি নিতে, প্রতিফলিত করতে এবং আরও বেশি মনোযোগ দিতে? এটি আপনার অগ্রাধিকারের উপর নির্ভর করে – আপনি কীভাবে দিনটি কাটাতে চান – তা আপনার প্রিয়জনের সাথে সময় কাটানো, অভাবী কাউকে সাহায্য করা, কৃতজ্ঞতা অনুশীলন করা, অথবা জীবনের সেই সমস্ত ছোট মুহূর্তগুলিকে উপলব্ধি করা।

।। তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।

Share This
Categories
রিভিউ

আজ ২০ মার্চ, ইতিহাসের দিকে চোখ বুলিয়ে দেখে নেব ইতিহাসের এই দিনে বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু, দিনসহ ঘটে যাওয়া ঘটনা।।।।

আজ ২০ মার্চ । এক নজরে দেখে নিই ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু দিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।
দিবস—–
(ক)  আন্তর্জাতিক সুখ দিবস
(খ) বিশ্ব মৌখিক স্বাস্থ্য দিবস (২০১৩ থেকে)
(গ) খালেদা জিয়া বাংলাদেশের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী দিবস
আজ যাদের জন্মদিন—-

১৬১৫ – মোঘল সম্রাট শাহজাহানের প্রথম পুত্র।
দারাশিকো।
১৮২৮ – হেনরিক ইবসেন, একজন নরওয়েজীয় নাট্যকার যিনি আধুনিক বাস্তবতাবাদী নাটকের সূত্রপাত করেছেন।

১৮৪২ – গুরুপ্রসাদ সেন, পূর্ববঙ্গের অধুনা বাংলাদেশের প্রথম এম.এ. এবং বিহারের প্রথম ইংরাজী দৈনিক ‘বিহার হেরল্ড’ এর প্রতিষ্ঠাতা।

১৯২০ – চিন্ময় লাহিড়ী, বিশিষ্ট শাস্ত্রীয় সঙ্গীতশিল্পী ।

১৯২৯ – বাংলা ছড়ার গানের যশস্বী কণ্ঠ শিল্পী সনৎ সিংহ।

১৯৬৬ – অলকা যাজ্ঞিক, ভারতীয় নেপথ্য গায়িকা।

১৯৮৯ – তামিম ইকবাল, বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান।
ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনের ঘটনাবলী—-

১৬৮৬ – কলকাতার সুতানটি গ্রামে প্রথম ব্রিটিশ পতাকা উত্তোলন করা হয়।
১৭৩৯ – নাদির শাহ দিল্লি দখল করেন।
১৮১৪ – যুবরাজ উইলিয়াম ফ্রেডরিক নেদারল্যান্ডসের রাজা হন।
১৯৩৫ – ব্রিটিশ কাউন্সিল প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯৯১ – হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন যারা—-

১৯২৫ – জর্জ ন্যাথানিয়েল কার্জন, ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের অধীন উপনিবেশ ভারতের গভর্নর জেনারেল ও ভাইসরয়।

১৯২৬ – কাজী ইমদাদুল হক, ব্রিটিশ ভারতের বাঙালি কবি।
১৯৪৪ – মন্মথনাথ ঘোষ (বিদ্যাবিনোদ), বাঙালি শিল্পোদ্যোগী ও সাহিত্যিক।

১৯৬২ – বীরেশচন্দ্র গুহ ভারতের প্রখ্যাত প্রাণরসায়ণ বিজ্ঞানী।
১৯৭৩ – শ্যামাপদ গোস্বামী প্রখ্যাত বাঙালি সাঁতারু।

১৯৮৮ – অখিলবন্ধু ঘোষ বিশিষ্ট বাঙালি সঙ্গীত শিল্পী।

১৯৯১ – রমা চৌধুরী ভারতের প্রখ্যাত বাঙালি শিক্ষাবিদ ও লেখিকা ।

১৯৯৩ – বিবেকানন্দ মুখোপাধ্যায় প্রখ্যাত বাঙালি সাংবাদিক ।

২০১৩ – বাংলাদেশের ১৯তম রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের সিঙ্গাপুরে পরলোকগমন।

২০১৪ – ভারতের বিখ্যাত রম্যলেখক ও সাংবাদিক খুশবন্ত সিং।
২০১৭ – লেখিকা অধ্যাপক জুবাইদা গুলশান আরা।

২০২০ – পি. কে. ব্যানার্জি নামে সুপরিচিত ভারতীয় ফুটবলার ও প্রশিক্ষক প্রদীপকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়।

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

তিন শতাধিক প্রাচীন চৈত্র মাসের মহিষমর্দিনী পুজোতেও দুর্গাপুজোর স্বাদ পান আপামর রানাঘাটবাসী।।।

প্রায় তিন শতাধিক প্রাচীন এই পুজো। রানাঘাটের জমিদাররা এই পুজো প্রতিষ্ঠা করা বলে জানা যায়। আগে মন্দিরটাকে ভাঙা জরা জীর্ণ অবস্থাতেই ছিলো ।এরপর ১৯৮৯ সালে পুনরায় ধুমধাম করে পালন করা হয় এই মহিষমর্দিনী পূজা। কথিত আছে এখান থেকেই কাঠামো ভেসে চলে যায় কালনায়। সেই ভাসমান কাঠামো তুলে পুনরায় মূর্তি প্রতিষ্ঠা করা হয় এবং পুজো করা হয় কলনায়।

তিথি অনুযায়ী পূজো হয় রানাঘাটে। নিমন্ত্রণ এর ক্ষেত্রে রীতিনীতি মানা হয়।এই পুজোয় কালনার পুজো কর্মকর্তাদের যেমন নিমন্ত্রণ থাকে তেমনি রানাঘাটের পুজো কর্মকর্তারা ও নিমন্ত্রিত থাকে কালনার পুজোর সময়। রানাঘাটের অতি প্রাচীন এই মহিষমর্দিনী পূজা দেখতে পাঁচ দিন ভিড় করেন স্থানীয় বাসিন্দা সহ বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা ভক্তবৃন্দ । অষ্টমীর দিন শিব পার্বতীর বিয়ে উপলক্ষে জলসার আয়োজন করা হয়। এবং নবমীর দিন নারদ ভ্রমণ করা হয় এবং রানাঘাটবসি সকলকে নিমন্ত্রণ করা হয় সেই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিদের ভোজনের ব্যবস্থা করা হয় পূজো কমিটির পক্ষ থেকে খিচুড়ি, পোলাও, আলুর দম চাটনি পায়েস এই।

বিয়ের আগে রানাঘাট শহর পরিক্রমা করেন নারদমুনি শিবঠাকুর কে নিয়ে ছড়াকেটে সাজানো নারদমুনি রানাঘাটবাসি দের বিয়ে তে আসার জন্য যেমন আমত্রণ জানান পাশাপাশি উৎসবের চেহারা নেই পুজো মণ্ডপ। চৈত্র মাসের এই মহিষমর্দিনী পুজোতেও দুর্গাপুজোর স্বাদ পান আপামর রানাঘাটবাসী। পাশাপাশি উপভোগ করেন মেলার।

।। নদীয়া।।

Share This