Categories
নারী কথা প্রবন্ধ

স্মরণে প্রতিভাময়ী অপেশাদার ভারতীয় মঞ্চশিল্পী কেয়া চক্রবর্তী।।।

কেয়া চক্রবর্তী ছিলেন একজন প্রতিভাময়ী অপেশাদার ভারতীয় মঞ্চ অভিনেতা।  কেয়া চক্রবর্তী ১৯৪২ সালের ৫ আগস্ট উত্তর কলকাতার একটি বনেদি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।  বাবার নাম অজিত চক্রবর্তী।  তবে ছোটবেলা থেকেই তিনি মায়ের কাছে মানুষ হন।  তিনি স্কটিশ চার্চ কলেজের একজন ভালো ছাত্রী ছিলেন।  ইংরেজিতে এমএ পাস করার পর ওই কলেজে শিক্ষকতা শুরু করেন। ‘আন্তিগোনে’ নাটকে নাম ভূমিকায় অভিনয় করে পশ্চিমবঙ্গ সাংবাদিক অ্যাসোসিয়েশনের ‘শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী’ র পুরস্কার পান।
অভিনয় জীবন———
অভিনয় করতে ভালোবাসতেন কেয়া।  স্কটিশ চার্চ কলেজের ছাত্র থাকাকালীন, ইংরেজি ১৯৫৮, ১৯৫৯, ১৯৬০ সালে আন্তঃকলেজ নাটক প্রতিযোগিতায় সেরা অভিনয়ের জন্য পুরস্কার জিতেছিল।

আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় যুব উৎসবের জন্য দিল্লি এবং মহীশূরে আমন্ত্রিত হয়েছিল।  যাইহোক, তিনি নান্দীকার গ্রুপের প্রযোজিত নাটকে অভিনয়ের মাধ্যমে বাংলা মঞ্চে একজন কিংবদন্তি অভিনেত্রী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন।  ১৯৬১ খ্রিস্টাব্দে ‘চার অধ্যায়’ নাটকে প্রথম অভিনয়।  এরপর ১৯৬৬ খ্রিস্টাব্দ থেকে নিয়মিত অভিনয়।  ‘তিনের পয়সার পালা’ ছবিতে অভিনয়ের পর তার খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে।  ব্রেখটের ‘ভালো মানুষ’ নাটকের বাংলা সংস্করণে তাঁর দ্বৈত-চরিত্রের অভিনয় বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
নান্দীকার এ অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়, অসিত বন্দ্যোপাধ্যায়, রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্ত ও কেয়া চক্রবর্তী একসাথে অভিনয় একটা স্বর্ণযুগ ছিল । এর পর ১৯৭৪ খ্রিস্টাব্দ থেকে কলেজের অধ্যাপনা ছেড়ে বিনা বেতনে নান্দীকারের সর্বক্ষণের কর্মী হন।  তার শেষ অভিনীত নাটক ‘ফুটবল’।
কেয়া চক্রবর্তী একজন ভালো অনুবাদক ছিলেন।  অভিনয়ের জন্য বার্নার্ড শ’র নাটক ‘সেন্ট জোয়ান’ অনুবাদ করেছেন।  মাঝে মাঝে টাকার জন্য সিনেমায় অভিনয় করলেও তার আসল ক্ষেত্র ছিল নাটক।  তিনি নাট্যভাবনা নিয়ে কিছু প্রবন্ধ লিখেছেন।
কেয়া চক্রবর্তীর মঞ্চাভিনয় (১৯৬১ – ১৯৭৭ )
নাটক /তাভিনয় সংখ্যা
অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিচালনায়:
নটি বিনােদিনী ,  আলাের বাইরে , মূদ্রারাক্ষস , বৃত্ত , বীতংস, অগ্নিবিষয়ক সতর্কতা ও গৌতম ,  হে সময়, উত্তাল সময়, শাহী বাদ ,   নাট্যকারের সন্ধানে দুটি চরিত্র , শের আফগান ,  মঞ্জরী আমের মঞ্জরী , তিন পয়সার পালা,  ভালােমানুষ , নীলিমা , চার অধ্যায় , রাত্রি প্রভৃতি।
রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্তর পরিচালনায়—
আন্তিগােনে , ফুটবল,  টক ।
অসিত বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিচালনায়—- পূর্বরাগ।
শম্ভূ মিত্রের পরিচালনায় ——রক্তকরবী ।
শ্যামানন্দ জালানের পরিচালনায় —–তুঘলক।

মৃত্যু——–

তাঁর মৃতু ছিল মর্মান্তিক ।  সাঁকরাইলে গঙ্গার ওপর ‘জীবন যে রকম’ চলচ্চিত্রের বহিদৃর্শ্য গ্রহণের সময় (শুটিংয়ের সময়) অভিনয় করতে গিয়ে জলে ডুবে তার মৃত্যু ঘটে ১২ মার্চ,  ১৯৭৭৭ খ্রিস্টাব্দে।

।। তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।

Share This
Categories
নারী কথা প্রবন্ধ

স্মরণে, বিংশ শতাব্দী বাংলা গানের কিংবদন্তি গায়িকা – উৎপলা সেন।।।

উৎপলা সেন ১২ মার্চ, ১৯২৪ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন বিংশ শতাব্দী বাংলা গানের একজন প্রধান জনপ্রিয় গায়িকা। বাংলা গানের স্বর্ণযুগে প্রেম ও বিরহের গানে তিনি আলাদা বিষণ্ণ সুর তুলে ধরেছেন। হেমন্ত মুখোপাধ্যায়, স্বামী সতীনাথ মুখোপাধ্যায় এবং অন্যান্য গায়কদের সাথে অনেক জনপ্রিয় দ্বৈত গানও গেয়েছেন।
তিনি প্রথমে মা হিরণবালা দেবীর কাছে প্রশিক্ষণ নেন, তারপর ওস্তাদ গুল মোহাম্মদ খানের কাছে।  তিনি ১৯৩৫ সালে ১৯১৩ বছর বয়সে ঢাকা বেতারে প্রথম জনসম্মুখে উপস্থিত হন।  প্রথম রেকর্ড ১৯৩৯ সালে। ১৯৪১ সালে, সুরকার সুধীরলাল চক্রবর্তীর সুর করা এক হাতে মোর পূজা থালি গানটি খুব জনপ্রিয় হয়েছিল।  মহিষাসুরবমর্দিনীর – শান্তি দিল ভরি গানে  আরও জনপ্রিয়তা পান, যা আজও শোনা যায়।

এর পর তিনি
চল্লিশের দশকের গোড়ার দিকে কলকাতায় চলে আসেন এবং তখন থেকেই আকাশবাণীর সঙ্গে যুক্ত হন।  বাংলা চলচ্চিত্রেও গান গেয়েছেন আনেক। বেনু সেনের সাথে প্রথম বিয়ে হয় তাঁ। কিন্তু স্বামীর মৃত্যুর পর তিনি সঙ্গীত সহকর্মী সতীনাথ মুখোপাধ্যায় কে ১৯৬৮ সালে বিয়ে করেন।  একটি পুত্র সন্তানের জন্ম হয়।
তাঁর ৬০০০ এর বেশি সিনেমা এবং রেকর্ডের গানের অধিকাংশই আজ বিস্মৃতপ্রায়। ইদানীং কালে দুই বাঙলাতেই পুরানো দিনের গানের চর্চা বাড়ছে – কিছু গান ‘পুনঃনির্মাণ’ মাধ্যমে আবার শোনা যাচ্ছে – এবং উৎপলা সেনের নাম আবার জনসমক্ষে শোনা যাচ্ছে। তাঁর কিছু জনপ্রিয় গান হলো যেমন, এত মেঘ এত যে আলো, ময়ুরপঙ্ক্ষী ভেসে যায়, পাখি আজ কোন সুরে গায় বা ঝিকমিক জোনাকির দ্বীপ জ্বলে শিয়রে।
দীর্ঘ কয়েক বছর ক্যান্সারাক্রান্ত উৎপলা সেন ১৩ মে, ২০০৫ সালে মারা যান কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে।

।। তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

আজ বিশ্ব গ্লুকোমা দিবস, জানুন দিনটি কেন পালিত হয় ও গুরুত্ব।।।

প্রতি বছর ১২ মার্চ বিশ্ব গ্লুকোমা দিবস পালন করা হয়।  দিনটি গ্লুকোমা সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানোর জন্য নিবেদিত, চোখের রোগের একটি গ্রুপ যা অপটিক নার্ভকে ক্ষতিগ্রস্ত করে দৃষ্টিশক্তি হারাতে পারে।  এটি বিশ্বব্যাপী অন্ধত্বের একটি প্রধান কারণ, যা আনুমানিক চার মিলিয়নের মধ্যে তিনজনকে প্রভাবিত করে।
গ্লুকোমা সপ্তাহ প্রতি বছর উদযাপিত হয়, গ্লুকোমা দিবসের মাধ্যমে সপ্তাহের শেষ হয়।  আসুন জেনে নেই বিশ্ব গ্লুকোমা দিবস ২০২৫ উদযাপনের ইতিহাস, তাৎপর্য, থিম এবং উপায় সম্পর্কে।

বিশ্ব গ্লুকোমা দিবস ২০২৫: থিম—-

২০২৫ সালের বিশ্ব গ্লুকোমা সপ্তাহের থিম হল, ‘Uniting for a Glaucoma-Free World’। এই থিমের মাধ্যমে দৃষ্টিশক্তি হ্রাস রোধের জন্য প্রাথমিক সনাক্তকরণ, নিয়মিত চোখের যত্ন, এবং সম্প্রদায় শিক্ষার গুরুত্বের উপর জোর দেওয়া হবে।

বিশ্ব গ্লুকোমা সপ্তাহের উদ্দেশ্য:

(খ) চোখের স্বাস্থ্যকে অগ্রাধিকার দেওয়া।

(খ) দৃষ্টিশক্তি রক্ষা করার জন্য প্রকার, লক্ষণ, এবং উন্নত চিকিৎসা সম্পর্কে জানা।

(গ) গ্লুকোমার প্রতিরোধের জন্য প্রাথমিক সনাক্তকরণ করা।

(ঘ) দৃষ্টিশক্তি হ্রাস রোধের জন্য নিয়মিত চোখের যত্ন করা।

(ঙ) সম্প্রদায়ে গ্লুকোমার বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করা।

বিশ্ব গ্লুকোমা দিবস ২০২৫: ইতিহাস—-

গ্লুকোমা হল এমন একটি অবস্থা যা চোখের সামনের স্বচ্ছ স্তর কর্নিয়া এবং কনজাংটিভাকে প্রভাবিত করে।  এটি ব্যথা, ঝাপসা দৃষ্টি, লাল চোখ এবং ফোলা চোখ সহ বিভিন্ন উপসর্গ সৃষ্টি করতে পারে।  কিছু ক্ষেত্রে, গ্লুকোমা সম্পূর্ণ অন্ধত্বও হতে পারে।
গ্লুকোমার কোনো একক কারণ না থাকলেও সবচেয়ে সাধারণ হল তরল জমা হওয়া যা অপটিক স্নায়ুর ওপর চাপ বাড়াতে পারে।  এর ফলে অপটিক নার্ভের ফাইবারগুলি মারা যেতে শুরু করতে পারে, যা সম্পূর্ণ, অপরিবর্তনীয় অন্ধত্বের দিকে পরিচালিত করে।  গ্লুকোমার অন্যান্য কারণগুলির মধ্যে রয়েছে বয়স, লিঙ্গ এবং জাতিগততা।
গ্লুকোমার প্রাথমিক সনাক্তকরণ দৃষ্টিশক্তি হ্রাস রোধ করার মূল চাবিকাঠি।  এটি একজন চোখের ডাক্তার দ্বারা নিয়মিত চোখের পরীক্ষার মাধ্যমে অর্জন করা যেতে পারে।  যত আগে গ্লুকোমা শনাক্ত হয়, তত সহজে চিকিৎসা করা যায় এবং স্থায়ী অন্ধত্ব হওয়ার সম্ভাবনা তত কম।
আপনার যদি গ্লুকোমার উপসর্গগুলির মধ্যে কোনটি থাকে, তাহলে আরও দৃষ্টিশক্তি হ্রাস রোধ করতে চোখের ডাক্তারের সাথে দেখা করা গুরুত্বপূর্ণ।  প্রাথমিক সনাক্তকরণ এবং চিকিত্সা আপনার দৃষ্টি সংরক্ষণ করতে এবং অন্ধ হওয়ার ঝুঁকি প্রতিরোধ করতে সহায়তা করতে পারে।

বিশ্ব গ্লুকোমা দিবস ২০২৫ : তাৎপর্য—-

বিশ্ব গ্লুকোমা দিবস এই অবস্থা এবং এর ঝুঁকির কারণ সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে পালন করা হয়।  গ্লুকোমা শনাক্ত করার জন্য নিয়মিত চোখের পরীক্ষা করাতে উৎসাহিত করাও এর লক্ষ্য।  প্রাথমিক সনাক্তকরণ এবং চিকিত্সা দৃষ্টি হ্রাস এবং অন্ধত্ব প্রতিরোধ করতে সাহায্য করতে পারে।
বিশ্ব গ্লুকোমা দিবস তাৎপর্যপূর্ণ হওয়ার কয়েকটি কারণ এখানে রয়েছে:
গ্লুকোমা বিশ্বব্যাপী অন্ধত্বের একটি প্রধান কারণ।
এটি একটি দীর্ঘস্থায়ী অবস্থা যা অপরিবর্তনীয় দৃষ্টিশক্তি হারাতে পারে।
প্রাথমিক সনাক্তকরণ এবং চিকিত্সা দৃষ্টি ক্ষতি প্রতিরোধ করতে সাহায্য করতে পারে।
প্রথম দিকে গ্লুকোমা সনাক্ত করার জন্য নিয়মিত চোখের পরীক্ষা করা গুরুত্বপূর্ণ।
গ্লুকোমার ঝুঁকিতে থাকা ব্যক্তিদের, যেমন 40 বছরের বেশি বয়সী, তাদের নিয়মিত চোখের পরীক্ষা করা উচিত।

বিশ্ব গ্লুকোমা দিবস ২০২৫ : উদযাপনের উপায়—-

বিশ্ব গ্লুকোমা দিবস উদযাপন এবং অবস্থা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করার অনেক উপায় রয়েছে।  এখানে কয়েকটি ধারনা:
বিশ্ব গ্লুকোমা দিবসের জন্য আপনার সমর্থন দেখাতে নীল পরিধান করুন।
আপনার সম্প্রদায়ের একটি গ্লুকোমা সচেতনতা ইভেন্টে যোগ দিন।
একটি গ্লুকোমা গবেষণা সংস্থাকে দান করুন।
গ্লুকোমা এবং কীভাবে এটি প্রতিরোধ করা যায় সে সম্পর্কে আরও জানুন।
আপনার গ্লুকোমার ঝুঁকি সম্পর্কে আপনার ডাক্তারের সাথে কথা বলুন এবং নিয়মিত চোখের পরীক্ষা করুন।

।। তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।

Share This
Categories
রিভিউ

আজ ১২ মার্চ, ইতিহাসের দিকে চোখ বুলিয়ে দেখে নেব ইতিহাসের এই দিনে বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু, দিনসহ ঘটে যাওয়া ঘটনা।।।।

আজ ১২ মার্চ । এক নজরে দেখে নিই ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু দিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।
দিবস—–

(ক) গ্লুকোমা দিবস।
আজ যাদের জন্মদিন—- .
১৪৭৯ – সম্রাট গিওলিয়ানি, ফ্লোরেন্সের সম্রাট।

১৬৮৫ – জর্জ বার্কলি, আইরিশ বিজ্ঞানী।

১৮৮১ – আধুনিক তুরস্কের স্থপতি কামাল আতাতুর্কের জন্ম।
১৮৮৪ – অতুলচন্দ্র গুপ্ত, বাঙালি সাহিত্যিক এবং বিশিষ্ট আইনজীবী।
১৮৮৯ – মুহাম্মদ ইদ্রিস আল-সেনুসি, লিবিয়ার বাদশাহ।
১৯১১ – আবু জাফর শামসুদ্দীন, কথাসাহিত্যিক ও সাংবাদিক।

১৯২৪ – উৎপলা সেন, প্রখ্যাত বাঙালি গায়িকা ।

১৯২৮ – ফজলে লোহানী, বাংলাদেশের টিভিব্যক্তিত্ব।
১৯৩৫ – রেহমান সোবহান, বাংলাদেশের খ্যাতিমান অর্থনীতিবিদ ও শিক্ষক।

১৯৮৪ – শ্রেয়া ঘোষাল সঙ্গীত শিল্পী।
২০০৩ – নাঈম আহমেদ, বাংলাদেশের শিল্পপতি অর্থনীতিবিদ

ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনের ঘটনাবলী—-

১৩৬৫ – ভিয়েনা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয় ।
১৬০৯ – বারমুডা ইংল্যান্ডের কলোনি হয়।
১৭৮৯ – আমেরিকায় পোস্ট অফিস স্থাপিত হয়।
১৭৯৯ – অস্ট্রিয়া ফ্রান্সের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে।
১৮৬৭ – শেষ ফরাসি সৈন্যদল মেক্সিকো ত্যাগ করে ।
১৮৯৪ – যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম বোতলজাত কোকাকোলা বিক্রি শুরু হয়।
১৮৯৬ – নেদারল্যান্ডসে প্রথম চলচ্চিত প্রদর্শিত হয় ।
১৯০৪ – ইংল্যান্ডে প্রথম ইলেকট্রিক ট্রেন চালু হয় ।
১৯৩০ – ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে নেতা মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধীর নেতৃত্বে উপনিবেশিক শক্তি বৃটেনের বিরুদ্ধে সত্যাগ্রহ বা অসহযোগ আন্দোলন শুরু হয়।
১৯৫৪ – ভারতের রাষ্ট্রভাষাগুলিতে রচিত সাহিত্যের উন্নতি ও সমন্বয়ের লক্ষ্যে ভারত সরকার কর্তৃক সাহিত্য অকাদেমি প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯৬৮ – দক্ষিণ আফ্রিকার ক্ষুদ্র দেশ মরিশাস ইংরেজদের হাত থেকে স্বাধীনতা লাভ করে।
১৯৬৯ – সুপারসোনিক যাত্রীবাহী বিমান কনকর্ড প্রথম উড্ডয়ন করে।
১৯৭২ – ঢাকা স্টেডিয়ামে ভারতীয় সেনাবাহিনীর বিদায়ী কুচকাওয়াজ।
১৯৮৯ – আজকের দিনে স্যার টিম বার্নার্স লি CERN-এর ল্যাবে ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব তথা World Wide Web (www) বৈশ্বিক তথ্য আদানপ্রদানের আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমের অবতারণা করেন।

এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন যারা—-

১২৮৯ – জর্জিয়ার রাজা দ্বিতীয় দিমিত্রি।

১৯২৫ – চীনের নেতা সান ইয়াৎ সেন।

১৯৩৭ – ইংরেজ সাহিত্যিক ক্রিস্টোফার কডওয়েল।

১৯৬০ – পণ্ডিত ও প্রাবন্ধিক ক্ষিতিমোহন সেন।

১৯৭৭ – কেয়া চক্রবর্তী প্রখ্যাত মঞ্চ অভিনেত্রী ।

১৯৮৬ – বিশিষ্ট শিল্পপতি মির্জা আহমেদ ইস্পাহানী।

১৯৮৮ – কথাশিল্পী সমরেশ বসু (কালকূট)।

২০০৩ – স্পার্টাকাসের লেখক, বিশ্বখ্যাত ঔপন্যাসিক হাওয়ার্ড ফাস্ট।

২০১৩ – ভারতীয় বাঙালি চিত্রশিল্পী ও নকশাকার গণেশ পাইন।

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ

মানুষের ব্যবহার –একটি বিশেষ পর্যালোচনা : দিলীপ  রায়।।।

কথিত আছে “মানুষের ব্যবহারই মানুষের পরিচয়” ।
রাস্তাঘাটে, ট্রেনে-বাসে, অলিতে-গলিতে, বাজার-হাটে, কান পাতলে শোনা যায় মানুষের ব্যবহারের দৈনন্দিন কড়চা । মুখরোচক বাহার । মানুষের হিতার্থে কিছু মানুষের নিঃস্বার্থ প্রয়াসের কাহিনীও দৈনন্দিন কড়চার প্রাসঙ্গিক অঙ্গ, যদিও সেটা সীমিত । সুতরাং মানুষের ব্যবহারের ব্যাখার ব্যাপ্তি, ব্যাপক । দৈনন্দিন জীবনে মানুষের ব্যবহারের ক্ষেত্রে বয়সের একটা প্রেক্ষাপট কাজ করে । বাচ্চা-হাল্কা-মধ্য  বয়স্ক মানুষদের ব্যবহারের বিন্যাসের পরিবর্তন  অহরহ । জনশ্রুতি, “হাল্কা বয়সের মানুষের কথা বলার মধ্যে প্রয়োজনে বা অপ্রয়োজনে রাগান্বিত সুরের প্রাদুর্ভাব ঘটার সম্ভাবনা উজ্জ্বল ।

আবার বয়স্ক মানুষদের মধ্যে কথোপকথনে বা কথা বলার আদান-প্রদানে অনেক মার্জিত স্বভাবের পরিচয়, পরিলক্ষিত ।“ তাই  মানুষের ব্যবহারের প্রকাশ স্থান-কাল-পাত্র একটা অপরিহার্য প্রেক্ষিত । তাই বলা চলে, মানুষের ব্যবহারের প্রেক্ষাপট আলোচনার ক্ষেত্রে “নানা মুনির নানা মত” কথাটি ভীষণভাবে প্রাসঙ্গিক ।
ব্যবহারিক জীবনের সেকাল ও একালের দিকে তাকালে আগের দিনের মানুষের ব্যবহারের অনেক পরিবর্তন সহজেই অনুমেয় । যোগাযোগের প্রেক্ষাপটে আগের   মানুষের নিকট পোষ্ট অফিসের গুরুত্ব ছিলো অপরিসীম । পোষ্ট কার্ডে চিঠি লেখার ভিতর দিয়ে মানুষের ব্যবহারের অবয়ব ফুটে উঠতো । তদানীন্তনকালের চিঠি লেখাটা ছিলো শিল্পকলার অপরিহার্য অঙ্গ । বর্তমান দৈনন্দিন জীবনে চিঠি লেখার সুঅভ্যাস প্রকৃত অর্থে নিস্প্রভ । কালের  নিয়মে এসে গেছে ডিজিটাল যুগ । টেক-সেভির সুবিধার বিভিন্ন স্তর । ইন্টারনেটের  ব্যবহারের বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা । যার ফলে হোয়াটস্‌ অ্যাপের মাধ্যমে মানুষ দূরের মানুষের সঙ্গে এমনকি সুদূর আমেরিকা, লন্ডন, ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়া, ইত্যাদি দেশের মানুষের সঙ্গে নিমেষের মধ্যে যোগাযোগ   । সুতরাং আজকের কম্পিউটারাইজেশনের যুগে মানুষের ব্যবহারিক জীবনও খানিকটা নয় অনেকটাই বদলে গেছে । একটা ঘটনার উল্লেখ এখানে প্রনিধানযোগ্য । রাস্তায় হাঁটা চলমান মানুষটিকে অন্য আর একজন বিশিষ্ট চলমান মানুষ তাঁর প্রয়োজনে জিজ্ঞাসা করলেন, “দাদা রেলওয়ে স্টেশনটি কোন্‌দিকে ?” কিন্তু রাস্তায় হাঁটা ঐ বিশিষ্টজন যাকে জিজ্ঞাসা করলেন সেই পথিকবর  শুনতেই পেলেন না ! কারণ তাঁর দুটি কানে হেড্‌ ফোনের তার গোঁজা । ঐ পথযাত্রী কানে হেড্‌ ফোন লাগিয়ে তাঁর প্রিয় গান শুনতেই তখন ব্যস্ত । এতেই স্পষ্ট, মানুষের ব্যবহারিক জীবনে টেক-সেভির প্রভাব অবর্ণনীয়  ।  অন্যদিকে  কম্পিউটারের ব্যবহারের দিকে তাকালে দেখা যায় আগে কম্পিউটার ব্যবহারের ক্ষেত্রে একটা বড় টেবিলের প্রয়োজনীয়তা ছিলো অনস্বীকার্য । কিন্তু বর্তমানে টেবিল কম্পিউটারের জায়গায় ব্যবহার হচ্ছে ল্যাপটপ । যেটা সহজেই অল্প জায়গায় ব্যবহারযোগ্য । এতেই স্পষ্ট, ব্যবহারিক জীবনে মানুষ ডিজিটাল যুগের দিকে ধাবিত ।
( ২ )
মানুষ সমাজবদ্ধ জীব । সমাজবদ্ধভাবে একত্রে বসবাস করাটা মানুষের পরম্পরা । সুতরাং সমাজের প্রতি মানুষের দায়বদ্ধতা অনস্বীকার্য । দায়বদ্ধতার নিরিখে মানুষের ভূমিকা অগ্রগণ্য । এজন্য মানুষের মধ্যে প্রচলিত “বাবহারই মানুষের নিজস্ব অবয়ব” । সমাজের গণ্যমান্য মানুষজন যেমন শ্রদ্ধার পাত্র, তেমনি সাধারণ মানুষের আচরণও শ্রদ্ধার ক্ষেত্রে সমভাবে উল্লেখযোগ্য । আবার অন্যদিকে ব্যবহারিক আচরণও ক্রমপরিবর্তনশীল । যেমন আগে গুরুজন বা মাস্টারমহাশয় দেখলেই ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে গড় হয়ে প্রণাম করার রেওয়াজ সর্বজনবিদিত । নিদেনপক্ষে পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করাটা ছিলো অবধারিত । আজকের যুগে গুরুজনদের শ্রদ্ধা জানানোর আগের ব্যবহারিক রীতির দৃশ্য স্পষ্টতই দুর্ল্ভ । সুতরাং সমাজের গণ্যমান্য  মানুষের প্রতি ব্যবহারের ধরণ আগের চেয়ে বর্তমানে অনেক পরিবর্তন । সমাজের প্রতি কর্তব্যপরায়ণ, ব্যবহারের একটা অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ । তাই সঠিক ব্যবহার সমাজ উন্নয়নে আবশ্যক  ।
পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন বেশভূষা ব্যবহারিক শ্রেণিবিন্যাসে উল্লেখযোগ্য ভূমিকার দাবি রাখে । আমরা জানি পোষাক পরিচ্ছদ শরীর আবরণের বিশেষ মাধ্যম । কিন্তু দৈনন্দিন জীবনের প্রেক্ষাপটে বেশভুষারও পরিবর্তন লক্ষণীয় । সর্বকালেই ভাল পোষাকের গুণ সমাদৃত । পোষাক পরিধানেও মানুষের ব্যবহারিক রুচির বার্তা বহনের ধারক । আগে মানুষের মধ্যে ধুতি ও শাড়ি পরবার রেওয়াজ ছিলো সামাজিক রীতিনীতির অঙ্গ । এমনকি সামাজিকতার দিক থেকেও সর্বজনগ্রাহ্য ।  যার জন্য সামাজিক অনুষ্ঠানে এমনকি স্কুল-কলেজে, কর্মক্ষেত্রে পুরুষদের ধুতির ব্যবহার ছিলো সাবলীল । অন্যদিকে মহিলাদের শাড়ি ছিলো অঙ্গের ভূষণ, সৌন্দর্য্যে উৎকৃষ্টের পরম্পরা । সুতরাং বলা চলে পুরুষ ও মহিলা উভয়ের ক্ষেত্রে রুচিশীল পোষাকের ব্যবহার শালীনতাবোধের ধারক ও বাহক। ইদানীং পোষাকের পরিবর্তন ভীষণভাবে চোখে লাগে  । স্বল্প পোষাক পরিচ্ছদে মানুষ অভ্যস্ত । কলেজের-বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে এমনকি যুব সমাজের মধ্যে স্বল্প পোষাকের ব্যবহার অহরহ । বয়স্ক মানুষও হাফ্‌-প্যান্ট-গেঞ্জি গায়ে ইদানীং বাজারে বাজার করতে স্বচ্ছন্দ । সপিং মলগুলিতে ঢুকলে বোঝা যায়, যুব সমাজ কতোটা স্বল্প পোষাকমুখি । সন্তানের মায়েরা পর্যন্ত ফ্রকে অভ্যস্ত । সুতরাং ব্যবহারিক জীবনে আজকের দিনের মানুষ হাল্কা ও স্বল্প পোষাকের দিকে বেশীমাত্রায় ঝুঁকছে  ।
( ৩ )
চলমান জীবনে নেশার ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ । অথচ নেশার প্রকারভেদ দিন-দিন  পাল্টাচ্ছে । আগে নেশা বলতে ঐ বই পড়া । বিভিন্ন ধরনের বই পড়ার অভ্যাস মানুষের মধ্যে দেখা যেতো । ছেলেরা বিশেষ করে  ছাত্ররা ফুটবলের নেশায় মাঠে ছুটতো । চলমান জীবনে তখন ফুটবল খেলাটা ছিলো ভীষণ জনপ্রিয় । মেয়েদের মধ্যে অ্যাথলেটিক্স ছিলো অগ্রগ্ণ্য । তা ছাড়া খেলাধূলার সু্যোগ মেয়েদের ক্ষেত্রে খুব কম ছিলো । তবে মেয়েদের ক্ষেত্রে ঐ রান-কিৎ কিৎ-ইত্যাদি খেলার নেশা উল্লেখের দাবী রাখে । আগে  রেডিও’র  গান শোনার কদর ছিলো চোখে পড়ার মতো । রেডিও ছিলো তদানীন্তনকালের আ্মোদপ্রমোদের উল্লেখযোগ্য  মাধ্যম । বিড়ি ও সিগারেট খাওয়ার নেশা মানুষের ব্যবহারিক জীবনে আগাগোড়াই কম । একালে গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ ইত্যাদি পড়ার ধৈর্য  হতাশাজনক । বরং কম্পিউটারের মাউস ঘুরিয়ে ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিশ্বজয়ের আকাঙ্খা প্রবল । রেডিও’র পরিবর্তে টি ভি’র ব্যবহার ঘরে ঘরে । সিনেমা দেখার জন্য সিনেমা হলে গিয়ে  সিনেমা দেখার প্রবণতা এখন কম । সুতরাং বলা চলে,  মানুষের ব্যবহারিক জীবনে নেশার পরিবর্তন ব্যপকভাবে পরিলক্ষিত ।
আজকের দিনে মোবাইলের ব্যবহার ষোলোআনা । অথচ আগে কোনো একটা পরিবারের বিশেষ করে মৃত্যুর খবর দেওয়ার জন্য পোষ্ট অফিসে ছুটতে হতো টেলিগ্রাম করার জন্য । আজকের দিনে প্রায় মানুষের হাতে মোবাইল । মোবাইলে নেটের ব্যবহার সর্বত্র ।  আবাল-বৃদ্ধ-বনিতা সব ধরনের মানুষের মধ্যে রাস্তাঘাটে মোবাইলে নেট ব্যবহার করার দৃশ্য অনবরত । সুতরাং ব্যবহারিক জীবনে মোবাইলের কদর ছাত্র-ছাত্রী, স্বামী-স্ত্রী, ভাই-বোন, বাবা-মা, সকলের মধ্যে ক্রমবর্ধমান । এটা বাস্তব যে, মোবাইলের সঠিক ব্যবহার সমাজ জীবন উন্নয়নে অগ্রগণ্য  ।
( ৪ )
চুরি করার ধরণও পরিবর্তনশীল । ব্যবহারিক জীবনে মানুষ চোরের উপদ্রব বলতে আগে যেটা বুঝতেন, চোর-ডাকাত রাত্রিবেলায় গৃহস্তের বাড়ি ঢুকে সমস্ত জিনিসপত্র নিয়ে চম্পট দেওয়ার রেওয়াজ । আজকের দিনে চোর বা ডাকাত বিভিন্ন আধুনিক প্রক্রিয়া ব্যবহার করে ঘরে ঢুকে মূল্যমান সোনা-গয়নার অলংকার নিয়ে পালাতে অভ্যস্ত । চোর-ডাকাতদের  আর খাট্‌, রেফ্রিজারেটার, টি ভি, ইত্যাদিতে নজর নেই ।  সুতরাং চুরি-ডাকাতির ব্যবহারিক ধরণও ক্রমপরিবর্তনশীল । চুরি করার প্রক্রিয়াও আধুনিক ও  উন্নতমানের  ।
ব্যবহারিক ধরণ বা ব্যবহারের প্রয়োগের কাহিনী অনেক লম্বা । উপরের আলোচনার প্রেক্ষাপটে এটা সুস্পষ্ট যে,  কালের পরিবর্তনের সাথে সাথে ব্যবহারের পরিবর্তন ক্রমবর্ধমান । তবে গঠনমূলক ও স্বাস্থ্যসম্মত ব্যবহার সমাজজীবনে উন্নয়নের হাতিয়ার । বাস্তবসম্মত ও রুচিসম্মত ব্যবহার অবশ্যই কাম্য । প্রকৃত ব্যবহার শিক্ষার যেমন অঙ্গ তেমনি মানুষের মধ্যে চেতনা বিকাশের নিশানা । সুতরাং সমাজ উন্নয়নে  সঠিক ব্যবহারের ভূমিকা অনস্বীকার্য ।
—–০——-

Share This
Categories
প্রবন্ধ

মূল্যবান মনুষ্য জীবন ও আজকের সমাজ : স্বামী আত্মভোলানন্দ (পরিব্রাজক)।।।।

আমরা ভারতীয়, আমাদের কর্মময় জীবন, এবং ধর্মময় মনপ্রাণ। কিন্তু, আমাদের সমাজে আজ পাল্টে গেছে মানুষের চিন্তাধারা। কিছু বছর আগেও মানুষে মানুষে প্রেম ও গভীর ভালোবাসা ছিল। বিশুদ্ধ বিশ্বাস ছিল, নির্ভরতা ছিল। একে অপরের প্রতি প্রচন্ড বিশ্বাস ছিল। প্রকাশ ছিল কম অনুভব ছিল বেশী। এখন প্রকাশ বেশী অনুভব কম। মনের ব্যাকুলতা, অফূরন্ত বিশ্বাস, ধৈর্য্য, ভালোবাসা  আর কিছু অবশিষ্ট নাই। আজ আমরা মোবাইল আর টাকার গোলাম হয়ে পড়েছি। আজ মোবাইলের কারণে পরিবারের মধ্যে একে অপরের সাথে ভালো সুসম্পর্ক নেই। সর্বদা মোবাইলে ব্যস্ত থাকায় পরিবারের সদস্যদের মধ্যে কুশল বিনিময় হয় না, কারো সাথে ভালোভাবে কথা বলার সময় নেই। ফলে সবার উপর থেকে সম্মান, স্নেহ,আদর্শ, ভালবাসা, গুরুত্ব সবই কমে যাচ্ছে।

সবাই আজ মেশিন। আর তারপর আসে আমাদের সমাজে টাকার কথা। শিক্ষা,স্বাস্থ্য, আজ ব্যবসায় পরিণত। সর্ব ত্যাগী সন্ন্যাসীগনও টাকার গোলাম আজ, যেন তেন প্রকারেন টাকা চাই। সর্ব ত্যাগী সন্ন্যাসীগন ও টাকা টাকা করে ন্যায় অন্যায় এর পার্থক্য ভুল ভাবে করছে। এখন টাকা সবার  স্ট্যাটাস সিম্বলে পরিণত। সমাজে আমরা আজ আরও টাকা চাই, আরও টাকা চাই, মানুষ আজ টাকার দাস। সবাই আজ মোবাইল আর টাকার পাগল।
একটি গল্পের মাধ্যমে চরম বাস্তবটা অনুভব করার চেষ্টা করি। আমার এক সুপরিচিত বিশাল শিল্পপতি। ১২ টার উপর ফ্যাক্টরি, শত কোটি টাকার উপর ব্যাংক  ব্যালেন্স। এক মুহূর্তের জন্য শান্তি নেই। সারাদিন ব্যাস্ত টাকার দুনিয়ার পেছনে। একদিন তাঁর অফিসে বসে গল্প করছিলাম, এমন সময় তাঁর এক কর্মচারী  আসল। তার কোন কারণে কিছু টাকার দরকার। সে বলল, সে অত্যন্ত অভাবী ব্যক্তি, তাঁকে কিছু সাহায্য করার জন্য। শিল্পপতি হেসে বলল যদি অভাবের কথাই বলতে হয়, এই পুরো অফিসে আমার চেয়ে অভাবি আর কেউ নেই। আমরা একটু থতমত হয়ে গেলাম। বললাম আমাদের সবার মিলিয়ে যত সম্পদ আছে আপনার একারই তার অনেক বেশি সম্পদ আছে।
সে বলল আপনাদের একটা গল্প বলি। তাহলেই আমার অভাবের রহস্য বুঝবেন। এক বিশাল ব্যবসায়ি, তাঁর সবই আছে খালি শান্তি নেই। খালি হাহাকার আর টেনশান। চিন্তায় মাথার চুল নেই। সে একদিন দেখল তাঁর অফিসের এক অফিস কর্মী টেবিল মুছছে আর গুনগুন করে গান গাচ্ছে। সে কর্মীকে ডেকে বলল এই যে তুমি মনে মনে গান গাও, তোমার কি অনেক সুখ, তোমার মনে কি কোন দুঃখ নেই, কোন হতাশা নেই?  কর্মী বলে না, হতাশা কেন থাকবে স্যার, আপনি যা বেতন দেন তা দিয়ে  আমার ভালই চলে যায়। ভগবানের ইছায় আমার কোন অভাব নেই।
ব্যবসায়ী তো আরো টেনশানে পড়ে গেলেন। ওনার ম্যানেজারকে ডেকে বললেন, আমার সব আছে কিন্তু শান্তি নেই, আর ওই লোককে আমি সামান্য কয়টা টাকা বেতন দিই, সে আছে মহা সুখে, এর রহ্স্যটা কি? ম্যানেজার বলল, রহস্য বললে বুঝবেন না। সত্যই যদি বুঝতে চান তাহলে, ওই কর্মীকে প্রমোশান দিয়ে একটা বড় পোস্টে দিন। আর তাঁকে ১০/১২ লক্ষ টাকা দিয়ে দিন। এরপর দেখুন। ব্যবসায়ি তাই করল। এতোগুলো টাকা, আর এতবড় চাকরি পেয়ে কর্মী আনন্দে আত্মহারা। বাড়িতে ও সবাই খুশি। যেহেতু এখন অফিসার হয়ে গেছে, এখন তো আর টিনের ঘরে থাকা যায় না। সহকর্মীরা কি মনে করবে।
প্রথমেই  বাসস্থান পরিবর্তন করে আরেকটু অভিজাত এলাকায় এপার্টমেন্টে উঠলো। দেখল, বিল্ডিং এর সবাই সন্তানকে বড় স্কুলে পাঠায়, তাই বাচ্চার স্কুলও পরিবর্তন করতে হল। কিছুদিন পড় বউ ঘ্যনঘ্যন শুরু করলো সবার বাড়িতে কত দামি আসবাব, ফ্রিজ, টিভি, আর আমাদের বাড়িতে  কিচ্ছু নেই। ও গুলোও কিনতে হোল। এরপর শুরু হোল বাচ্চার প্রাইভেট টিউশান, নানা রকম দাবি দাবা। আগে পূজায় একজোড়া জুতা পেয়েই সবাই কত খুশি হত, আর এখন প্রতি মাসে একজোড়া দিলেও তৃপ্তি নেই। যেহেতু সে এখন বড় চাকরি করে , পরিবারের সবার তাঁর কাছে প্রত্যশাও অনেক। সাধ্যমত চেষ্টা করে, তাও সবার চাহিদা মেটাতে পারেনা। আত্মীয় স্বজন বন্ধুগন তাকে অহংকারি ভেবে দুরে সরে গেলো।
এদিকে অফিসের সবাই ফ্ল্যাট বুকিং দিচ্ছে। বৌ সারাদিন বাড়িতে খোটা দেয় , তোমাকে দিয়ে কিছুই হবে না। ছেলেমেয়ের ভবিষ্যৎ অন্ধকার। সে চাকরির ফাকে  অন্য আয় কিছু শুরু করলো। তাতেও কিছু হয় না। নানাবিধ টেনশান আর দুশ্চিন্তায় তারো মাথার চুল  কমতে লাগলো। ব্যবসায়ি লক্ষ করলেন ব্যপারটা। উনি বললেন কি ব্যপার , তোমাকে এতো বড় প্রমোশান দিলাম, এতো টাকা দিলাম, আর এখন দেখি তুমি আগের মত আর প্রাণবন্ত নেই। ঘটনা কি?
সে বলল স্যার , কিছু  সম্পদ দিয়েছেন, কিন্তু তাঁর সাথে যে এতো চাহিদা আর অভাব আসবে তাতো আর বুঝিনি। আগে আমার কিছুই ছিলনা, অভাবও ছিলনা। আর এখন যেদিকেই তাকাই , খালি নাই আর নাই। আগে আমার অভাব পড়লেও সেটা ছিল এক দুই হাজারের ব্যপার। কোন ভাবে মেটান যেত। আর এখন আমার অভাব লক্ষ কোটি টাকার। এটা কিভাবে মেটাবো সে চিন্তায় আমার এখন আর রাতে ঘুম আসেনা স্যার। ব্যবসায়ি বলল, এতদিনে বুঝলাম, আমার মুল অসুখ।  টাকার আর সম্পদের সাথে অভাব আসে। যতই টাকার দুনিয়ার পিছনে ছুটি, এই অভাব আর অন্য কিছু দিয়েই পূর্ণ হবেনা।
সন্ন্যাসী মানুষগনও শ্রেষ্ঠত্বের শিরোপা মাথায় তুলতে পারলে ভুলে যায়, তার আশেপাশের মানুষেরাই তাকে শ্রেষ্ঠ করে তুলেছিল। অহংকারের চূরায় অধিষ্ঠিত হয়ে নিজেকে চরম উচ্চস্থানে তুলে এই আমিত্ব। এখানেই মানুষের নৈতিক পরাজয় ঘটে। জাগতিক প্রাপ্তির অহংকারে গা না ভাসাতে শিখতে হয়। বোধটুকু কাজে লাগাতেই হয়। তবেই না মান+হুশ = মানুষ হওয়া যায়। তবে মানুষকে ভালোবাসতে শিখতে হয়, ভাল-তে বাস করতে শিখতে হয়। প্রেম বুঝতে হয়, প্রেম শিখতে হয়। সব সময় আরও টাকা চাই, আরও টাকা চাই নয়।
আমাদের সমাজে আজ আদর্শ শিক্ষক, আদর্শ ডাক্তার কোথায়? শিক্ষা,স্বাস্থ্য, আজ ব্যবসায় পরিণত। আজ নেট দুনিয়া আমাদের সমাজকে পরিচালনা করছে।আজ আমাদের সমাজে সাধু মহারাজ, সর্ব ত্যাগী সন্ন্যাসীগনও টাকা টাকা করে পাগল, কথাগুলি অপ্রিয় হলেও সত্যি। আজ সরকারি কাঠামো ভেঙে পড়ছে, কোথায় আজ বিদ্যাসাগর, বিবেকানন্দ, সুভাষ এর আদর্শ?  স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, হাসপাতাল আজ বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে পরিণত। তাই আসুন আমরা সবাই সচেতন হই, মোবাইল আর টাকার  পিছনে ছোটাছুটি কম করি। আমাদের সমাজে সুসম্পর্ক চিন্তা, ভাবনা, কল্পনা, আনন্দ, অনুভূতি, মনের ব্যাকুলতা, অফূরন্ত বিশ্বাস, আর ভালোবাসা  প্রয়োজন।
তাই  বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন:-“মানুষ কি চায় — উন্নতি, না আনন্দ? উন্নতি করিয়া কি হইবে যদি তাহাতে আনন্দ না থাকে? আমি এমন কত লোকের কথা জানি, যাহারা জীবনে উন্নতি করিয়াছে বটে, কিন্তু আনন্দকে হারাইয়াছে।” আসুন পরিবর্তন করার চেষ্টা করি। বাস্তববাদী হওয়ার চেষ্টা করি।***
ওঁ গুরু কৃপা হি কেবলম্ ….!

।।কলমে:: স্বামী আত্মভোলানন্দ ।l

Share This
Categories
প্রবন্ধ

আজ ১১ মার্চ, ইতিহাসের দিকে চোখ বুলিয়ে দেখে নেব ইতিহাসের এই দিনে বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু, দিনসহ ঘটে যাওয়া ঘটনা।।।

আজ ১১ মার্চ । এক নজরে দেখে নিই ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু দিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।
আজ যাদের জন্মদিন—-

১৭৮৭ – রুশ জেনারেল আইজাক নবোকভ।

 

১৮০৭ – ফরাসী চিত্রশিল্পী লুই বুলাঝেঁ।

১৮১২ – হরিচাঁদ ঠাকুর,বাংলার মতুয়া সম্প্রদায়ের প্রতিষ্ঠাতা।

১৮৪০ – দার্শনিক, গণিতজ্ঞ ও বাংলা শর্টহ্যান্ড লিপির উদ্ভাবক দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর।

১৯১৫ – বিজয় হাজারে, ভারতীয় ক্রিকেটার।

১৯১৮ – শিশুসাহিত্যিক ও আকাশবাণীর ঘোষিকা ইন্দিরা দেবী।

১৯৩৭ – ভারতীয় বাঙালি মহিলা কবি বিজয়া মুখোপাধ্যায়।

১৯৩৯ – সাহিত‍্যিক বাণী বসু।
১৯৯৫ – চামপোকার জন্ম। অমিত চক্রবর্তী।
ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনের ঘটনাবলী—-
১৩৯৯ – তৈমুর লঙ সিন্ধুনদ অতিক্রম করে ভারতে আসেন।
১৫০২ – পার্সিয়ার শাহ প্রথম ইসমাইলের অভিষেক হয় ।
১৭০২ – প্রথম ইংরেজি দৈনিক পত্রিকা দ্য কোরান্ট প্রকাশিত হয় ।
১৭৮৪ – মহিশুরে টিপু সুলতানের সাথে ইংরেজদের শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরিত।
১৭৯৫ – কুর্দলার যুদ্ধে মারাঠাদের কাছে মোগল বাহিনী পরাজিত হয়।
১৮১২ – মার্শাম্যানের কলকাতার ছাপাখানা অগ্নিকান্ডে ভস্মীভূত হয়।
১৮২৩ – আমেরিকায় প্রথম সাধারণ স্কুল চালু হয়।
১৯১১ – রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন তার পরলোকগত স্বামীর নামে সাখাওয়াত মেমোরিয়াল স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন।
১৯১৭ – ব্রিটিশ বাহিনীর বাগদাদ দখল।
১৯১৮ – মস্কো বিপ্লবী রাশিয়ার রাজধানী হয় ।
১৯১৯ – ত্রৈলোক্যনাথ মুখোপাধ্যায়, বিখ্যাত বাঙালি কৌতুক লেখক।
১৯২০ – আমির ফয়সলের নিজেকে সিরিয়ার রাজা ঘোষণা।
১৯৩৫ – ব্যাংক অব কানাডা চালু হয় ।
১৯৩৮ – জার্মান বাহিনী অস্ট্রিয়ায় অনুপ্রবেশ করে।
১৯৪০ – যুদ্ধ পরিস্থিতিতে ব্রিটেনে মাংসের রেশন চালু হয়।
১৯৪৮ – পাকিস্তান গণপরিষদে বাংলা ভাষাকে সরকারি ভাষার মর্যাদা না দেয়ায় পূর্ব বাংলায় সাধারণ ধর্মঘট পালিত হয়। পুলিশ ৬৯ জনকে গ্রেপ্তার করে।
১৯৪৯ – বাংলাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে পূর্ব বাংলায় রাষ্ট্রভাষা দিবস পালিত হয়।
১৯৪৯ – দৈনিক পাকিস্তান অবজারভার (পরে বাংলাদেশ অবজারভার) প্রকাশিত হয়।
১৯৬৬ – ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট সুকর্নো সেনাবাহিনীর জেনারেল সুহার্তোর কাছে ব্যাপক ক্ষমতা অর্পণে বাধ্য হন। পরে সুকর্নোকে সরিয়ে সুহার্তো নিজেই প্রেসিডেন্ট হন।
১৯৭২ – বাংলাদেশকে স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয় গ্রিস।
১৯৭৪ – সিসিলির এটনা গিরিশৃঙ্গে অগ্নুৎপাত ঘটে।
১৯৭৭ – মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের প্রতিবেদনে মানবাধিকার লঙ্ঘনের সমালোচনা করায় ব্রাজিল যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তার ২৫ বছরের সামরিক চুক্তি বাতিল করে।
১৯৭৯ – সেন্ট্রাল ট্রিটি অরগানাইজেশন বা সেন্টো থেকে ইরান নিজের নাম প্রত্যাহার করে নেয়।
১৯৯০ – লিথুনিয়া সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে স্বাধীনতা ঘোষণা করে।
১৯৯২ – পাঞ্জাবে শিখ জঙ্গীদের হাতে ১৭ হিন্দু শ্রমিক নিহত।
১৯৯৪ – এদুয়ার্দো ফ্রেই চিলির প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত।
১৯৯৯ – “ইনফোসিস” প্রথম ভারতীয় তথ্য প্রযুক্তি কোম্পানি হিসাবে নাসডাক স্টক মার্কেট অন্তর্ভুক্ত হয়।
২০০০ – ইউক্রেনে কয়লা খনিতে বিস্ফোরণে ৮১ শ্রমিক নিহত।
২০০৪ – স্পেনের রাজধানী মাদ্রিদে তিনটি স্টেশনে ১০টি বোমা বিস্ফোরণে ১৯১ জন নিহত এবং দুই হাজারের বেশি আহত হয়।
২০০৬ – হেগে অবস্থিত জাতিসংঘের কারাগারে বলকানের কসাই হিসেবে খ্যাত ৬৩ বছর বয়সী স্লোবোদান মিলোসেভিচ পরলোকগমন করেন।
২০১৫ – মার্কিন-কিউবা সরাসরি টেলিযোগাযোগ প্রতিষ্ঠিত ৷

এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন যারা—-

১৭৫৯ – ইংরেজ জেনারেল জন ফোর্বস।
১৮০৯ – ইংরেজ নাট্যকার ও কবি হান্না কাউলি।

১৮৭৩- শের আলী, তিনিই একমাত্র ব্যক্তি যিনি ভারতের ইংরেজ গভর্নর জেনারেল তথা বড়লাটকে হত্যা করতে সক্ষম হয়েছিলেন।

১৮৯৪ – রাজকৃষ্ণ রায় বিশিষ্ট নাট্যকার ও ঔপন্যাসিক।

১৯১৯ – ত্রৈলোক্যনাথ মুখোপাধ্যায়, বিখ্যাত বাঙালি কৌতুক লেখক।
১৯৩১ – জার্মান চিত্রপরিচালক ফ্রিডখি সুর্নাউ।

১৯৫৫ – নোবেল বিজয়ী স্কটিশ অণুজীব বিজ্ঞানী আলেকজান্ডার ফ্লেমিং।

১৯৯১ – ভাষা আন্দোলনের অন্যতম নেতা অধ্যক্ষ আবুল কাশেম।

২০০৬ – হেগ অবস্থিত জাতিসংঘের কারাগারে বলকানের কসাই হিসেবে খ্যাত ৬৩ বছর বয়সী স্লোবোদান মিলোসেভিচের মৃত্যু হয়।

২০২০ – সন্তু মুখোপাধ্যায়, ভারতীয় বাঙালি চলচ্চিত্র অভিনেতা।

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This
Categories
নারী কথা প্রবন্ধ

আশির দশক থেকেই সাড়া জাগানো জনপ্রিয়তার অধিকারিণী লেখিকা বাণী বসু, জন্মদিনে শ্রদ্ধাঞ্জলি।।।

বাণী বসু একজন সমসাময়িক ভারতীয় বাঙালি লেখিকা – উপন্যাস, প্রবন্ধ, কবিতা লেখেন, অনুবাদও করেন। বাণী বসু আশির দশক থেকে একাধিক সাহিত্য পুরস্কার ও সম্মানে সম্মানিত।  তিনি ১১ মার্চ, ১৯৩৯ খ্রিস্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন।  তিনি বিজয় কৃষ্ণ গার্লস কলেজের ইংরেজি সাহিত্যের অধ্যাপক ছিলেন।  ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতক  করার পর, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে এম.এ.  করেন।  শিক্ষার প্রথম স্থান ছিল লেডি ব্রেবোর্ন কলেজ, কলকাতা এবং তারপরে স্কটিশ চার্চ কলেজ।
ছাত্রী জীবন থেকেই বাণী বসু নানা প্রবন্ধ, অনুবাদ গল্প ও কবিতা রচনায় পারদর্শিতার নজির রাখেন। ১৯৮১তে তার প্রথম গল্প আনন্দমেলা ও দেশ পত্রিকায় প্রকাশিত হয় ।

শারদীয়া আনন্দলোকে ১৯৮৭তে তাঁর  প্রথম উপন্যাস জন্মভূমি মাতৃভূমি প্রকাশিত হয় । কিন্তু তার আগেই তার অনেক অনুবাদ প্রকাশিত ও আদৃত হয়েছে। তাঁর উল্লেখ্য অনুবাদগুলি হলঃ শ্রী অরবিন্দের সনেটগুচ্ছ, সমারসেট মমের সেরা প্রেমের গল্প  ও এইচ ডি লরেন্সের সেরা গল্প।
রচিত উপন্যাস——–
তাঁর রচিত উপন্যাস গুলি হলো – উত্তরসাধক, পঞ্চম পুরুষ, বাইরে, অন্তর্ঘাত, কিনার থেকে কিনারে, মেয়েলি আড্ডার হালচাল, রাধানগর, দিদিমাসির জিন, জন্মভূমি মাতৃভূমি, মৈত্রেয় জাতক, অমৃতা, নূহর নৌকা, সুরূপা কুরূপা, অষ্টম গর্ভ, অষ্টম গর্ভ (দ্বিতীয়), খনামিহিরের ঢিপি, ক্ষত্তা, কালিন্দী, কৃষ্ণ, পাঞ্চাল কন্যা কৃষ্ণা, সুযোদন দূর্যোধন, কৃষ্ণ বাসুদেব, কাক জ্যোৎস্না, অল লেডিস ভ্রমণ, একুশে পা, ট্রেকার্স, অশ্বযোনি, ফেরো মন।
পুরস্কার ও সম্মাননা——–
তারাশঙ্কর পুরস্কার (১৯৯১);  আনন্দ পুরস্কার – (মৈত্রেয় জাতক): ১৯৯৭ ; বঙ্কিম পুরস্কার ( ১৯৯৯);  ভুবনমোহিনী দাসী স্বর্ণপদক (২০০৮), কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার – (খনামিহিরের ঢিপি): ২০১০।

।। তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।

Share This
Categories
রিভিউ

১০ মার্চ, ইতিহাসের দিকে চোখ বুলিয়ে দেখে নেব ইতিহাসের এই দিনে বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু, দিনসহ ঘটে যাওয়া ঘটনা।।।

১০ মার্চ । এক নজরে দেখে নিই ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু দিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।
দিবস—–
(ক) জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস, বাংলাদেশ।
আজ যাদের জন্মদিন—-

১৭৭২ – ফ্রিড্‌রিশ ফন শ্লেগেল, জার্মান কবি।

১৭৮৪ – ভারতীয় পণ্ডিত ও কলকাতা হিন্দু সমাজের বিশিষ্ট নেতা স্যার রাজা রাধাকান্ত দেববাহাদুর।

১৮১০ – স্যামুয়েল ফার্গুসন, আইরিশ কবি।
১৮৭৩ – ইয়াকপ ওয়াসায়মান, জার্মান ঔপন্যাসিক।
১৮৮৮ – ব্যারি ফিটজগেরাল্ড, তিনি ছিলেন আইরিশ অভিনেতা।

১৯১১ – ওয়ার্নার অ্যান্ডারসন, তিনি ছিলেন আমেরিকান অভিনেতা।
১৯২৩ – ভ্যাল লজ্‌স্‌ডন ফিচ, তিনি ছিলেন নোবেল পুরস্কার বিজয়ী আমেরিকান পদার্থবিদ ও শিক্ষাবিদ।

১৯৩২ – আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ভারতীয় মহাকাশ বিজ্ঞানী উড়ুপি রামচন্দ্র রাও জন্ম গ্রহণ করেন।

১৯৩৬ – সেপ ব্লাটার, ফিফার ৮ম প্রেসিডেন্ট (বর্তমান)।

১৯৪২ – সমরেশ মজুমদার ভারতের বাঙালি লেখক ও ঔপন্যাসিক।
১৯৫০ – মাহফুজ উল্লাহ, বাংলাদেশি লেখক, সাংবাদিক, টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব ও পরিবেশবিদ।
১৯৫৬ – রবার্ট লয়েওয়েল্ল্যন, তিনি ইংরেজ অভিনেতা ও লেখক।
১৯৬৮ – ফেলিচে এরিনা, তিনি অস্ট্রেলিয়ান লেখক।

১৯৭০ – ওমর আব্দুল্লাহ, ভারতীয় রাজনীতিবিদ।

১৯৭৮ – নিল আলেকজান্ডার, তিনি স্কটিশ ফুটবল খেলোয়াড়।
১৯৮৪ – অলিভিয়া ওয়াইল্ড, তিনি আমেরিকান অভিনেত্রী ও প্রযোজক।

ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনের ঘটনাবলী—-

১৫৮৫ – সম্রাট আকবরের ফরমান জারি : আমির ফতেহউল্লাহ সিরাজী উদ্ভাবিত বাংলা ফসলী সন প্রবর্তিত হয়। এই সনই বর্তমানে প্রচলিত বাংলা সন।
১৬২৪ – ইংল্যান্ড ফ্রান্সের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে।
১৮০১ – প্রথম ব্রিটিশ লোকগণনা শুরু হয়।
১৮৭৬ – আলেকজান্ডার গ্রাহাম বেল তার নব আবিস্কৃত টেলিফোনের মাধ্যমে প্রথম বার্তা প্রেরণ করেন।
১৯০৭ – ভবানীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায় সাপ্তাহিক ‘স্বরাজ’ সম্পাদনা শুরু করেন।
১৯১৯ – মিশর তেকৈ সাঈদ জগলুল পাশাকে বহিষ্কারের ফলে কায়রোতে জাতীয়তাবাদের দাঙ্গা শুরু।
১৯৩৪ – ব্রিটিশ রাজ বাংলার কমিউনিস্ট পার্টিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে।
১৯৪২ – জাপানিরা রেঙ্গুন দখল করে নেয়।
১৯৪৫ – যুক্তরাষ্ট্রের এয়ারফোর্স জাপানে ফায়ার বোমা নিক্ষেপ করে। এতে লক্ষাধিক মানুষের মৃত্যু হয়, যার বেশির ভাগই বেসামরিক।
১৯৫৬ – বৈমানিক পিটার টুইস প্রথম মানব যিনি ঘণ্টায় ১০০০ মাইল বেগে বিমান চালনা করেন।
১৯৬৯ – মার্টিন লুথার কিং-এর হত্যাকারী জেমস আর্ল রে-কে যুক্তরাষ্ট্রের মেফিস আদালত ৯৯ বছরের সাজা প্রদান করেন।
১৯৭০ – ভিয়েতনামের মাইলাই গ্রামে বর্বরোচিত গণ-হত্যার দায়ে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর ক্যাপটেন আরর্নেস্ট মেডিনা এবং অপর চার সৈন্যকে অভিযুক্ত করা হয়।
১৯৭১ – ভারতের ইন্দিরা গান্ধীর নেতৃত্বাধীন ভারতের কংগ্রেস পার্টি সাধারণ নির্বাচনে ব্যাপক বিজয় লাভ করে।
১৯৭২ – বাংলাদেশকে স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করে সোয়াজিল্যান্ড।
১৯৭৪ – বাংলাদেশকে স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয় সংযুক্ত আরব আমিরাত।
১৯৯৩ – মিশরে মৌলবাদ দমন অভিযান। পুলিশের গুলিতে ২০ মুসলমানের প্রাণহানি।
২০০০ – দক্ষিণ আমেরিকার আন্দাজ পর্বতমালার পূর্বাঞ্চলীয় এলাকার এক মরুভূমিতে পৃথিবীর বৃহত্তম ডাইনোসোরের কঙ্কাল আবিষ্কার।
২০২০ – জয় বাংলাকে হাইকোর্ট কর্তৃক বাংলাদেশের জাতীয় স্লোগান ঘোষণা

এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন যারা—-

১৮১১ – হেনরী ক্যাভেল ভিলন, বিজ্ঞানী।
১৮৭২ – মাৎসিনি, ইতালীয় জাতীয়তাবাদী নেতা।
১৮৯৭ – ভারতের মহারাষ্ট্রের সমাজ সংস্কারক শিক্ষাব্রতী ও কবি সাবিত্রীবাই ফুলে প্রয়াত হন।
১৯৪০ – মিখাইল বুলগাকভ, রুশ নাট্যকার ও ঔপন্যাসিক।
১৯৬৬ – ফ্রাঙ্ক ও’কনার, আইরিশ ছোট গল্পকার।
১৯৬৬ – ফ্রিৎস জের্নিকে, তিনি ছিলেন নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ডাচ পদার্থবিদ ও একাডেমিক।

১৯৭২ – বিদগ্ধ সাহিত্যিক ও ইতিহাসবেত্তা হরিহর শেঠ।

১৯৮০ – সুবোধ ঘোষ, বাঙালি কথাসাহিত্যিক।
১৯৮৩ – আতিকুজ্জামান খান, বাংলাদেশী কূটনীতিক, সাংবাদিক এবং ক্রীড়া ভাষ্যকার।

১৯৮৮ – অ্যান্ডি গিব্ব, তিনি ছিলেন ইংরেজি থেকে অস্ট্রেলিয়ান গায়ক।
১৯৯৮ – লয়েড ব্রিজেস, তিনি ছিলেন আমেরিকান অভিনেতা।

২০০৩ – নীলুফার ইয়াসমীন, বিশিষ্ট সঙ্গীতশিল্পী।

২০১২ – ফ্রাঙ্ক শেরউড রোল্যান্ড, তিনি ছিলেন নোবেল পুরস্কার বিজয়ী আমেরিকান রসায়নবিদ ও শিক্ষাবিদ।

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This
Categories
রিভিউ

জীবন বদলে দেওয়া মনীষীদের সেরা কিছু বাণী।।।

১) “মানুষের অন্তর্নিহিত পরিপূর্ণ বিকাশই হল শিক্ষা।”  – স্বামী বিবেকানন্দ।
২)  “জীবন ও সময় হলো পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ শিক্ষক।
জীবন শেখায় সময়কে সঠিকভাবে ব্যবহার করতে আর সময় শেখায় জীবনের মুল্য দিতে।” – এ.পি.জে আব্দুল কালাম
৩) “আমরা যে মানবজীবন পেয়েছি তা হল আদর্শ মানবজীবন গড়ে তোলার উপকরণ।” – সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণন
৪)  “মানুষের কথা-বার্তায় ক্রোধ বা রাগের পরিমান খাবারের লবনের মত। যা পরিমিত হলে রুচিকর, অপরিমিত হলে ক্ষতিকর।” – প্লেটো
৫)  “অভাব যখন দরজায় এসে দাঁড়ায়, ভালোবাসা তখন জানালা দিয়ে পালায়।” – শেক্সপিয়র
৬)  “মূর্খের উপাসনা অপেক্ষা জ্ঞানীর নিদ্রা শ্রেয়।” – আল হাদিস
৭)  “মনুষ্যত্বের শিক্ষাটাই চরম শিক্ষা আর সমস্তই তার অধীন।” – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
৮) ”সুখে থাকাই জীবনের চরম সার্থকতা নয় বরং কাউকে সুখে রাখতে পারাটাই হলো জীবনের সবচেয়ে বড় সার্থকতা।” – রেদোয়ান মাসুদ।
৯)  “দেশপ্রেমিকের রক্তই স্বাধীনতা বৃক্ষের বীজ স্বরূপ।” – টমাস ক্যাম্পবেল।
১০)  “নদীতে স্রোত আছে তাই নদী বেগবান, জীবনে দ্বন্দ্ব আছে তাই জীবন বৈচিত্র্যময়।” – টমাস মুর।
১১) “স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে স্বাধীনতা রক্ষা করা কঠিন।” – শেখ মুজিবুর রহমান
১২)  “প্রেমের আনন্দ থাকে স্বল্পক্ষণ কিন্তু বেদনা থাকে সারাটি জীবন।” – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
১৩) “জ্ঞানীকে চেনা যায় নীরবতা থেকে, আর মূর্খকে তার বক্তব্য থেকে।” – পিথাগোরাস।
১৪)  “আমাদের সমস্ত স্বপ্ন সত্যি হতে পারে যদি আমরা তাদের অনুসরণ করার সাহস পাই।” – ওয়াল্ট ডিজনি
১৫) “বিদ্বান সকল গুণের আধার, অজ্ঞ সকল দোষের আকার। তাই হাজার মূর্খের চেয়ে একজন বিদ্বান অনেক বেশি কাম্যস” – চাণক্য
১৬) “সফল মানুষেরা কাজ করে যায়। তারা ভুল করে, ভুল শোধরায় – কিন্তু কখনও হাল ছাড়ে না।” – কনরাড হিলটন।

।। তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।

Share This