Categories
রিভিউ

আজ ০৮ এপ্রিল, ইতিহাসের দিকে চোখ বুলিয়ে দেখে নেব ইতিহাসের এই দিনে বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু, দিনসহ ঘটে যাওয়া ঘটনা।।।।

আজ ০৮ এপ্রিল। এক নজরে দেখে নিই ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু দিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

দিবস—–

(ক) বাংলাদেশ স্কাউটস দিবস (বাংলাদেশ)।

আজ যাদের জন্মদিন—-

১৮৭৮ – সি এম মার্থন, দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটসম্যান।
১৮৯২ – (ক)  হেম চন্দ্র রায়চৌধুরী, ভারতীয় বাঙালি ইতিহাসবিদ।  .
(খ) ম্যারি পিকফোর্ড, কানাডীয়-মার্কিন চলচ্চিত্র অভিনেত্রী ও প্রযোজক।  .
১৯০৪ – নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ইংরেজ অর্থনীতিবিদ জন হিক্স।
১৯১১ – নোবেল পুরস্কার বিজয়ী আমেরিকান রসায়নবিদ মেলভিন কেলভিন।
১৯২৯ – বেলজিয়ান গায়ক, গীতিকার ও অভিনেতা জ্যাকুয়েস বরেল।
১৯৩৪ – জাপানি স্থপতি কিশোর কুরোকাওয়া।
১৯৩৮ – কফি আনান, ঘানার কূটনীতিবিদ এবং জাতিসংঘের সপ্তম মহাসচিব।
১৯৪২- কাজী আরেফ আহমেদ, বাংলাদেশের রাজনীতিবিদ।
১৯৫১ – আইসল্যান্ড অর্থনীতিবিদ, সাংবাদিক ও রাজনীতিবিদ ২৩ তম প্রধানমন্ত্রী গেইর হারডে হার্ডে।
১৯৬৩ – সাবেক ইংল্যান্ড ক্রিকেটার অ্যালেক জেমস স্টুয়ার্ট।
১৯৬৩ – ইংরেজ গায়ক, গীতিকার, অভিনেতা ও ফটোগ্রাফার জুলিয়ান লেনন।
১৯৬৬ – আমেরিকান অভিনেত্রী, পরিচালক ও প্রযোজক রবিন রাইট।
১৯৬৮ – আমেরিকান অভিনেত্রী ও পরিচালক প্যাট্রিসিয়া আরকুয়েটে।
১৯৭১ – শোয়াইব জিবরান, বাংলাদেশের একজন কবি, লেখক ও শিক্ষাতত্ত্ববিদ।
১৯৮৩ – ভারতীয় তামিল অভিনেতা ও গায়ক আল্লু অর্জুন।
১৯৮৬ – রাশিয়ান ফুটবলার ইগর আকিনফেভ।
১৯৮৭ – ডাচ ফুটবলার রয়স্টন ড্রেন্টে।

ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনের ঘটনাবলী—-

১৫১৩ – জুয়ান দ্য লেওন ফ্লোরিডা (যুক্তরাষ্ট্রের দ্বীপ) আবিষ্কার করেন।
১৭৫৯ – ব্রিটিশ বাহিনী ভারতের মাদ্রাজ দখল করে।
১৮৫৭ – সিপাহী বিদ্রোহের সৈনিক মঙ্গল পাণ্ডের ফাঁসি দেয়া হয়।
১৮৬৬ – ইতালি ও প্রুশিয়া, অস্ট্রিয়া সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে একাত্মতা ঘোষণা করে।
১৮৯৮ – সুদানের আতবারা নদীর কাছে যুদ্ধে বৃটিশ সেনাপতি হোরেশিও কিচেনার বিজয়ী হন।
১৯০২ – কলকাতায় মূক ও বধির বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯০৮ – হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় ‘হার্ভার্ড বিজনেস স্কুল’ প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত নেয়।
১৯১৩ – চীনে প্রথম পার্লামেন্ট চালু হয়।
১৯৪৬ – লীগ অব নেশন্সের শেষ অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়।
১৯৫০ – ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ‘লিয়াকত-নেহরু’ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
১৯৫৯ – পৃথিবী থেকে পাঠানো রাডার সিগনাল সূর্যের সাথে ধাক্কা খেয়ে ফিরে আসে।
১৯৬২ – পারস্য উপসাগরে ব্রিটিশ জাহাজে বোমা বিস্ফোরণ হলে প্রায় ২৩৬ জন নিহত হয়।
১৯৬২ – ভারতীয় ব্যাটসম্যান উমরিগড় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ১৭২ রান করেন।
১৯৭১ – ভারতের ত্রিপুরায় বাংলাদেশী শরণার্থীদের জন্য ৯টি শরণার্থী শিবির খোলা হয়।
১৯৭২ – বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক প্রথম স্থল, নৌ ও বিমান বাহিনী গঠন করা হয়।
১৯৮০ – প্রখ্যাত আলেম আয়াতুল্লাহ সাইয়্যেদ মোহাম্মাদ বাকের সাদর এবং তার বোন বিনতুল হুদা ইরাকের বাথ সরকারের হাতে শহীদ হন।
১৯৯৪ – অর্থ কেলেঙ্কারির অভিযোগে জাপানের প্রধানমন্ত্রী হোসেকাওয়া পদত্যাগ করেন।
২০০২ – ১৯৭২ সালের পর আবার ঢাকায় ‘বাংলাদেশ-ভারত বাণিজ্য বৈঠক’ অনুষ্ঠিত হয়।

এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন যারা—-

১০৩০ – দিগ্বিজয়ী সুলতান মাহমুদ গজনবী।
১১৪৩ – বাইজান্টাইন সম্রাট জন দ্বিতীয় কম্নেনস।
১৭৫৭ – বাংলার নবাব আলীবর্দী খাঁ।
১৮৩৫ – ভিলহেল্ম ফন হুম্বোল্ট, জার্মান ভাষাবিজ্ঞানী।
১৮৫৭ – সিপাহি বিদ্রোহের অগ্রণী সৈনিক মঙ্গল পাণ্ডের ফাঁসি হয়।
১৮৬১ – নিরাপদ লিফ্‌টের মার্কিন উদ্ভাবক এলিশা গ্রেভ্‌স্ ওটিস।
১৮৯৪ – বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, বাঙালি সাহিত্যিক ও সাংবাদিক।
১৯৩১ – নোবেল পুরস্কার বিজয়ী সুইডিশ কবি এরিক আক্সেল কারলফেল্ডট।
১৯৩৬ – নোবেল পুরস্কার বিজয়ী অস্ট্রিয়ান চিকিৎসক রবার্ট বারানি।
১৯৫০ – হেমচন্দ্র কানুনগো, বাঙালি, ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের বিপ্লবী।
১৯৭১ – বাংলাদেশের রাঙ্গামাটিতে বীরশ্রেষ্ঠ ল্যান্সনায়েক মুন্সী আবদুর রউফ শহীদ হন।
১৯৭৩ – পাবলো পিকাসো, স্পেনীয় চিত্রশিল্পী ও ভাস্কর।
১৯৭৬ – খ্যাতনামা বাঙালি ফুটবলার গোষ্ঠ পাল (দৈনিক ইংলিশম্যান তাকে চীনের প্রাচীর উপাধি দিয়েছিল)।
১৯৮০ – প্রখ্যাত আলেম আয়াতুল্লাহ সাইয়্যেদ মোহাম্মাদ বাকের সাদর এবং তার বোন বিনতুল হুদা ইরাকের বাথ সরকারের হাতে শহীদ হন।
১৯৮১ – বাঙালি পতঙ্গবিশারদ ও উদ্ভিদবিদ গোপালচন্দ্র ভট্টাচার্য।
১৯৮৪ – নোবেল পুরস্কার বিজয়ী রাশিয়ান পদার্থবিদ পিয়োতর লিওনিদোভিচ কাপিৎসা।
১৯৯২ – নোবেল পুরস্কার বিজয়ী সুইস ফার্মাকোলজিস্ট ড্যানিয়েল বভেট।
১৯৯৩ – ইংল্যান্ডের ব্যাটসম্যান গ্রিফিথ।
১৯৯৪ – বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, জাতীয় ব্যক্তিত্ব এম এম মোহাইমিন।
১৯৯৬ – মরিস অলম, বিখ্যাত ইংরেজ ক্রিকেটার।
২০০০ – আমেরিকান অভিনেত্রী ক্লেয়ার ট্রেভর।
২০১৩ – ইংরেজ আইনজীবী রাজনীতিবিদ ও যুক্তরাজ্য প্রধানমন্ত্রী মার্গারেট থ্যাচার।

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This
Categories
রিভিউ

উইলিয়াম শেক্সপিয়ার এর অনুপ্রেরণা বা উপদেশমূলক কিছু উক্তি।।।।।।

১. “যা তুমি দেখাও, তার চেয়ে বেশি তোমার থাকা উচিত। যা তুমি জানো, তার তুলনায় কম কথা বলা উচিত।” ২. “সাফল্যের ৩টি শর্ত:-
অন্যের থেকে বেশি জানুন!
অন্যের থেকে বেশি কাজ করুন!
অন্যের থেকে কম আশা করুন!”
৩.” প্রয়োজন খারাপ কেও ভালো করে তোলে।”
৪. ” আনন্দ ও কাজ সময়কে সংক্ষিপ্ত করে।”
৫. “মন যদি প্রস্তুত থাকে তাহলে সব কিছুই প্রস্তুত আছে।”
৬. “সংসারে কারো ওপর ভরসা করো না, নিজের হাত এবং পায়ের ওপর ভরসা করতে শেখো।”
৭. “মনের সৌন্দর্যকে যে অগ্রাধিকার দেয় সংসারে সেই জয়লাভ করে।”
৮.”যন্ত্রণা নাও, নিখুঁত হয়ে ওঠো।”
৯.”ভীরুরা মরার আগে বারবার মরে। কিন্তু সাহসীরা মৃত্যুর স্বাদ একবারই গ্রহণ করে।”
১০.”তারাই সুখী যারা নিন্দা শুনে এবং নিজেকে সংশোধন করতে পারেন।”
জীবনবোধ নিয়ে উইলিয়াম শেক্সপিয়ার এর কিছু উক্তি সমূহ:-
১.”জীবন মানেই অনিশ্চিত ভ্রমণ।”
২. “পুরো দুনিয়াটাই একটা রঙ্গমঞ্চ, আর প্রতিটি নারী ও পুরুষ সে মঞ্চের অভিনেতা; এই মঞ্চে প্রবেশ পথও আছে আবার বহির্গমণ পথও আছে,জীবনে একজন মানুষ এই মঞ্চে অসংখ্য চরিত্রে অভিনয় করেন।”
৩.”আমি অনুভব করছি তা চলে গেছে কিন্তু কখন তা আমি জানি না।”
৪. “ওহে, কেউকি আমাকে শেখাবে কী করে আমি চিন্তা করা ভুলতে পারি!”
৫. ” আমি নষ্ট করেছি সময়, এখন সময় নষ্ট করছে আমায়।”
৬. “আমি আমার জিহ্বা চেপে ধরে রাখলে তা আমার হৃদয় ভাঙ্গা ছাড়া আর কোনো ভালো ফলই বয়ে আনবে না।”
৭.”উম্মত্ততাই জীবনের মহিমা।”
৮.”লোকে বলে অল্প বয়সে বেশি পেকে গিয়ে কেউই কখনো বেশি দিন বাঁচে নি।”
৯.”প্রিয় ব্রুটাস, ভুলটা আমাদের তারকাদের মধ্যে নয় বরং আমাদের নিজেদের মধ্যেই।”
১০. “আমাকে ভুলে যেও না।”
আশা করি উইলিয়াম শেক্সপিয়ার এর বিখ্যাত উক্তি সমূহ লেখাটি ভালো লাগবে। ভালো লেগে থাকলে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করো। এই ধরনের লেখার নিয়মিত আপডেট পেতে আমাদের ফেসবুক পেজটি ফলো করো।
।। তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ

স্মরণে উপমহাদেশে আয়ুর্বেদী চিকিৎসার অন্যতম পথিকৃৎ যোগেশচন্দ্র ঘোষ।।।

যোগেশ চন্দ্র ঘোষ একজন বিখ্যাত আয়ুর্বেদ শাস্ত্র পণ্ডিত এবং শিক্ষাবিদ। তিনি সাধনা ঔষধালয়ের প্রতিষ্ঠাতা। তিনি আয়ুর্বেদ শাস্ত্রের উপর অনেক বই লিখেছেন। যোগেশ চন্দ্র ঘোষ ১৮৮৭ সালে শরীয়তপুরের গোঁসাইরহাট গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯০২ সালে ঢাকার কেএল জুবিলি স্কুল থেকে এন্ট্রান্স পাস করেন।

১৯০৪ সালে জগন্নাথ কলেজ থেকে এফএ পাস করেন। এরপর ১৯০৬ সালে কোচবিহার কলেজ থেকে বিএ পাস করেন। এবং ১৯০৮ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রসায়নে M.A. পাশ করেন। তিনি ১৯০৮ থেকে ১৯১২ সাল পর্যন্ত ভাগলপুর কলেজে এবং ১৯১২ থেকে 1948 সাল পর্যন্ত জগন্নাথ কলেজে রসায়ন বিষয়ে অধ্যাপনা করেন। ১৯৪৭-১৯৪৮ সাল পর্যন্ত জগন্নাথ কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ১৯৪৮ সালে শিক্ষকতা পেশা থেকে অবসর গ্রহণ করেন। যোগেশ চন্দ্র লন্ডন কেমিক্যাল সোসাইটির একজন ফেলো (১৯১১-১৯৭১) এবং আমেরিকার কেমিক্যাল সোসাইটির সদস্য ছিলেন। ১৯৭১ সালের ৪ এপ্রিল বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ফার্মেসির সদর দপ্তরে নিজ কার্যালয়ে পাকিস্তানি সেনারা গুলি করে হত্যা করে।
অবদান–
যোগেশচন্দ্র ঘোষ 1914 সালে ঢাকায় একটি আয়ুর্বেদিক ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান সাধনা ঔষধালয় প্রতিষ্ঠা করেন। তাঁর গবেষণা ও সাধনার ফলস্বরূপ, বাংলাদেশে আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা ও ওষুধ প্রস্তুত পদ্ধতি আধুনিক মানদণ্ডে উন্নীত হয়। তিনি রোগের কারণ ও লক্ষণ, আয়ুর্বেদিক চিকিৎসার তত্ত্ব এবং এর প্রয়োগ নিয়ে অনেক বই লিখেছেন।
বই–
বাংলা– গৃহ-চিকিৎসা, চর্ম ও সাধারণ স্বাস্থ্য বিধি, চক্ষু-কর্ণ-নাসিকা ও মুখরোগ চিকিৎসা, আমরা কোন পথে, আয়ুর্বেদ ইতিহাস, অগ্নিমান্দ্য ও কোষ্ঠাবদ্ধতা, আরোগ্যের পথ।
ইংরেজি— Text Book of Organic Chemistry (টেক্সট বুক অব অর্গানিক কেমেস্ট্রি), Simple Geography (সিম্পল জিওগ্রাফি), Simple Arithmetic (সিম্পল আরিথমেটিক), Whither Bound Are We (উইদ্বার বাউন্ড আর উই), Home Treatment (হোম ট্রিটমেন্ট),।
মৃত্যু-
এপ্রিল ৪, ১৯৭১ সালে তিনি প্রয়াত হন। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর গুলিতে নিহত হন।

।। তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

আজ বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস, জানুন দিনটি কেন পালিত হয় ও পালনের গুরুত্ব।।।।

৭ই এপ্রিল বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস হিসাবে পালিত হয় যা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)-এর বার্ষিকীকে চিহ্নিত করে – জাতিসংঘের একটি বিভাগ। প্রতি বছর ডব্লিউএইচও একটি নির্দিষ্ট জনস্বাস্থ্য উদ্বেগের উপর ফোকাস করে যার সময় বিভিন্ন স্বাস্থ্যসেবা সংস্থা – জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক উভয়ই এগিয়ে আসে এবং বিশ্বকে আঁকড়ে থাকা বিভিন্ন স্বাস্থ্য উদ্বেগের দিকে এগিয়ে আসে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস ২০২৫ থিম—-

বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস ২০২৫: থিম

২০২৫ সালের বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসের প্রতিপাদ্য হবে “সুস্থ সূচনা, আশাবাদী ভবিষ্যৎ।” এড়ানো যায় এমন মৃত্যু কমাতে এবং মা ও নবজাতকের দীর্ঘমেয়াদী স্বাস্থ্যের প্রচারণার জন্য, এই প্রচারণা সরকার এবং স্বাস্থ্য সংস্থাগুলিকে মা ও নবজাতকের স্বাস্থ্য এবং বেঁচে থাকার উন্নতির জন্য উচ্চ-প্রভাবশালী উদ্যোগগুলিতে তহবিল দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সার্বজনীন স্বাস্থ্য অ্যাক্সেস প্রতিষ্ঠা করে—-

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর, বিভিন্ন সরকার স্বাস্থ্য এবং এর সার্বজনীন অ্যাক্সেসযোগ্যতাকে সমসাময়িক উত্তর-ঔপনিবেশিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার একটি প্রয়োজনীয় পদ্ধতি হিসাবে বিবেচনা করেছিল।
WHO (১৯৪৮ সালে প্রতিষ্ঠিত) একটি নতুন, মুক্ত, এবং সুস্থ বিশ্বের লক্ষ্যে অন্যান্য জাতিসংঘ (UN) সংস্থাগুলির সহযোগিতায়। পরবর্তীকালে, ডব্লিউএইচও-এর প্রাথমিক বছরগুলিতে ম্যালেরিয়া নির্মূল কর্মসূচির মতো প্রকল্পগুলির প্রাধান্য থাকা সত্ত্বেও, অন্যান্য স্বাস্থ্য-উন্নয়নমূলক ধারণাগুলি পরিত্যাগ করা হয়নি।
সাধারণ স্বাস্থ্যসেবা প্রক্রিয়া বর্ধিতকরণের কাজটি জাতীয় সরকারগুলির সাথে বেশ কয়েকটি চুক্তি গঠনের মাধ্যমে সম্পাদিত হয়েছিল যা ডাব্লুএইচওকে সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবার অগ্রগামী করে তোলে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ইতিহাস (WHO) এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসের বিবর্তন—-

WHO হল একটি আলোকিত সংবিধান এবং আন্তর্জাতিক বৈধতা দিয়ে সমৃদ্ধ প্রধান বিশ্ব স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান। WHO গঠন কোনো বিচ্ছিন্ন একক ঘটনা নয়, মাইলফলকগুলো নিম্নরূপ:
ডিসেম্বর ১৯৪৫ – জাতিসংঘে ব্রাজিলিয়ান এবং চীনারা একটি বৈশ্বিক স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ দেয় যা সম্পূর্ণরূপে কোনো সরকারি নিয়ন্ত্রণ বর্জিত।
জুলাই ১৯৪৬ – বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সংবিধান অনুমোদিত হয়।
৭ এপ্রিল, ১৯৪৮ – সংবিধান কার্যকর হয় এবং 61টি দেশ এর প্রতিষ্ঠায় জড়িত ছিল।
২২শে জুলাই, ১৯৪৯ – প্রথম বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস পালিত হয়েছিল কিন্তু পরবর্তীতে ছাত্রদের সম্পৃক্ততা বাড়াতে ৭ এপ্রিলে পরিবর্তন করা হয়।
১৯৫০ সাল থেকে, WHO মহাপরিচালক সদস্য দেশ এবং WHO কর্মীদের জমা দেওয়ার ভিত্তিতে প্রতি বছর বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসের জন্য একটি নতুন বিষয় এবং বিষয় বেছে নিয়েছেন।
৫০ বছর ধরে বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসগুলি বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যা যেমন মানসিক স্বাস্থ্য, মা ও শিশু যত্ন এবং জলবায়ু পরিবর্তনের উপর আলোকপাত করেছে। পৃষ্ঠপোষকতামূলক কার্যক্রমগুলি উদযাপন দিবসের বাইরেও অব্যাহত থাকে যা বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্যের এই গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলির উপর বিশ্বব্যাপী ফোকাস প্রদান করছে।

২০২৫ সালে ওয়ার্ড হেলথ অর্গানাইজেশনের মূল বার্তা—

সকলের জন্য স্বাস্থ্য এমন একটি সমাজকে কল্পনা করে যেখানে সকল মানুষের সুস্বাস্থ্য থাকে এবং একটি শান্তিপূর্ণ, ধনী এবং টেকসই পরিবেশে সুখী জীবনযাপন করতে পারে।
স্বাস্থ্যের অধিকার একটি মৌলিক মানবাধিকার। আর্থিক বোঝা ছাড়াই প্রত্যেকেরই যখন এবং যখন তাদের প্রয়োজন তখন স্বাস্থ্যসেবার অ্যাক্সেস থাকতে হবে।
বিশ্বের জনসংখ্যার ত্রিশ শতাংশ মৌলিক স্বাস্থ্য চিকিত্সার অ্যাক্সেসের অভাব রয়েছে।
প্রায় দুইশ কোটি মানুষ বিপর্যয়মূলক বা দরিদ্র স্বাস্থ্য-পরিচর্যা ব্যয়ের মুখোমুখি হচ্ছে, উল্লেখযোগ্য বৈষম্যগুলি সবচেয়ে প্রতিকূল পরিস্থিতিতে তাদের প্রভাবিত করছে।
ইউনিভার্সাল হেলথ কভারেজ (UHC) আর্থিক নিরাপত্তা এবং উচ্চ-মানের প্রয়োজনীয় পরিষেবাগুলিতে অ্যাক্সেস প্রদান করে, মানুষকে দারিদ্র্য থেকে বের করে আনে, পরিবার এবং সম্প্রদায়ের মঙ্গলকে উন্নীত করে, জনস্বাস্থ্য জরুরী অবস্থার বিরুদ্ধে সুরক্ষা প্রদান করে।
সকলের জন্য স্বাস্থ্যকে বাস্তবে পরিণত করতে, আমাদের প্রয়োজন: উচ্চ-মানের স্বাস্থ্য পরিষেবার অ্যাক্সেস সহ ব্যক্তি এবং সম্প্রদায়, যাতে তারা তাদের নিজের এবং তাদের পরিবারের স্বাস্থ্যের যত্ন নিতে পারে; দক্ষ স্বাস্থ্যকর্মী যারা মানসম্পন্ন, মানুষ-কেন্দ্রিক যত্ন প্রদান করে; এবং নীতিনির্ধারক যারা সার্বজনীন স্বাস্থ্য কভারেজ বিনিয়োগ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

।। তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।

Share This
Categories
রিভিউ

আজ ০৭ এপ্রিল, ইতিহাসের দিকে চোখ বুলিয়ে দেখে নেব ইতিহাসের এই দিনে বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু, দিনসহ ঘটে যাওয়া ঘটনা।।।।।

আজ ০৭ এপ্রিল। এক নজরে দেখে নিই ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু দিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

দিবস—–

(ক) বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস।

আজ যাদের জন্মদিন—- .

১৭৭০ – উইলিয়াম ওয়ার্ডসওয়ার্থ ইংরেজ কবি।

১৭৭২ – শার্ল ফুরিয়ে, ফরাসি কল্পবাদী সমাজতন্ত্রী।
১৮৮৯ – গ্যাব্রিয়েলা মিস্ত্রাল, ল্যাটিন আমেরিকার প্রসিদ্ধ কবি ও লেখক।
১৮৯৫ – জার্মান অভিনেত্রী মারগারেটে শন।
১৮৯৭ – তুলসী লাহিড়ী, নাট্যকার, অভিনেতা, সুরকার, বাংলা ছায়াছবির জনপ্রিয় চিত্রনাট্যকার।
১৯১১ – ফরাসি লেখক হেরভে বাযিন।
১৯১৫ – পঙ্কজ দত্ত, বাঙালি চলচ্চিত্র সাংবাদিক।
১৯২০ – রবি শংকর, প্রখ্যাত সঙ্গীতজ্ঞ।
১৯২৮ – অ্যালান জে পাকুলা, আমেরিকান পরিচালক, প্রযোজক ও চিত্রনাট্যকার।
১৯৩৯ – ফ্রান্সিস ফোর্ড কপোলা, আমেরিকান পরিচালক, প্রযোজক ও চিত্রনাট্যকার।
১৯৩৯ – ইংরেজ বিখ্যাত ইংরেজ সাংবাদিক, লেখক, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব ডেভিড প্যারাডাইন ফ্রস্ট।
১৯৪৪ – গেরহার্ট শ্রোডার, জার্মান রাজনীতিবিদ।
১৯৫৪ – হংকং ভিত্তিক অভিনেতা, মার্শাল আর্টিস্ট, পরিচালক, প্রযোজক ও চিত্রনাট্যকার জ্যাকি চ্যান।
১৯৬৪ – নিউজিল্যান্ড বংশোদ্ভূত অস্ট্রেলিয়ার অভিনেতা,
গায়ক, পরিচালক ও প্রযোজক রাসেল আইরা ক্রো।
১৯৭৩ – সাবেক ইতালিয়ান ফুটবলার মার্কো ডালভেকিও।
১৯৮৩ – ফরাসি ফুটবলার ফ্রাঙ্ক বিলাল রিবেরি।
১৯৮৭ – মার্টিন কাকেরেস, উরুগুয়ের ফুটবলার।
১৯৯০ – রোমানিয়ান টেনিস খেলোয়াড় সরানা কিরস্টেয়া।
১৯৯২ – এন্নিমেরা শিমেল, জার্মানীর ইসলাম বিশেষজ্ঞ।

ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনের ঘটনাবলী—-

১৭২১ – রাশিয়ার সম্রাট পিটার কাবির সুইডেন দখলের জন্যে দেশটির উপর হামলা শুরু করে ।
১৭৯৫ – ফ্রান্সে মিটারকে দৈর্ঘ্যের একক হিসেবে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে গ্রহণ করা হয়।
১৭৯৮ – তুরস্কের তৃতীয় সেলিম রাজসিংহাসনে অধিষ্ঠিত।
১৮১৮ – ব্রিটিশ সরকার ‘বিনা বিচারে আটক’ আইন কার্যকর করে।
১৯৩৭ – ইতালী আলবেনীয়া দখলের জন্যে হামলা শুরু করে।
১৯৩৯ – ইতালির আলবেনিয়া দখল।
১৯৪৮ – বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯৫৩ – সুইডেনের কূটনীতিক ডাক হামারস্কজোল্ট জাতিসংঘ মহাসচিব নিযুক্ত।
১৯৫৬ – মরক্কোর স্বাধীনতা লাভ।
১৯৭৩ – বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু।
১৯৮২ – মেক্সিকোয় চিকোনল আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতে দশ হাজার লোকের প্রাণহানি ঘটে।
১৯৯৪ – বিক্ষুব্ধ সৈন্যরা রুয়ান্ডার ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী এবং ১১ জন বেলজীয় জাতিসংঘ সৈন্যকে হত্যা করে।
১৯৯৫ – উপমহাদেশের ইতিহাসে বৃহত্তম চাঞ্চল্যকর যৌন কেলেঙ্কারির ঘটনায় ভারতের মহারাষ্ট্রে দুই কংগ্রেস দলীয় এমপি পণ্ডিত সাপকালে ও সঞ্চয় পাওয়ারকে দশ বছর করে কারাদণ্ড প্রদান।

এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন যারা—-

১৬১৪- এল গ্রেকো, চিত্রশিল্পী ও ভাস্কর ।
১৭৬১ – টমাস বেইজ, ইংরেজ মন্ত্রী ও গণিতবিদ
১৮২৩ – জ্যাকুইস চার্লস , ফরাসি উদ্ভাবক, বিজ্ঞানী, গণিতবিদ এবং বেলুন বিশেষজ্ঞ।
১৮৩৬ – উইলিয়াম গডউয়িন, ইংরেজ সাংবাদিক ও লেখক ।
১৮৯১ – বেইলী সার্কাসের, আমেরিকান ব্যবসায়ী এবং রাজনীতিবিদ, সহ-প্রতিষ্ঠিাতা বারনুম এবং ।
১৯৪৭ – হেনরি ফোর্ড, মার্কিন মোটরযান উৎপাদক।
১৯৫২ – আবদুস সালাম, ভাষা শহীদ।
১৯৫৯ – মন্মথনাথ ঘোষ, প্রখ্যাত জীবনীকার।
১৯৭৪ – প্রখ্যাত বাঙালি অনুবাদক পবিত্র গঙ্গোপাধ্যায়।
১৯৮৫ – কার্ল স্মিট, জার্মান দার্শনিক ও আইনজ্ঞ ।
১৯৮৬ – লিওনিদ ক্যান্টোরোভিচ, রাশিয়ান গণিতবিদ ও অর্থনীতিবিদ ।
২০০৪ – ভারতীয় ধ্রুপদী নৃত্যশিল্পী, গুরু ও ওডিশি নৃত্যশৈলীর উদ্গাতা কেলুচরণ মহাপাত্র।
২০০৭ – ব্যারি নেলসন, আমেরিকান অভিনেতা।
২০১২ – মিস রেড্‌, ইংরেজি লেখক।
২০১৪ – পিচেস হানিব্লসম গেল্ডফ , সাংবাদিক, টেলিভিশন উপস্থাপক ও মডেল ।
২০২১ – স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী ইন্দ্রমোহন রাজবংশী।
২০২৩ – প্রবীর ঘোষ,কলকাতাভিত্তিক ভারতীয় বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদী সমিতির প্রধান এবং হিউম্যানিস্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি।

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ

বাংলা ছায়াছবির জনপ্রিয় চিত্রনাট্যকার তুলসী লাহিড়ী, একাধারে অভিনেতা ও সুরকার- একটি বিশেষ পর্যালোচনা।।।

তুলসী লাহিড়ী হলেন বিখ্যাত নাট্যকার, অভিনেতা, গ্রামোফোন কোম্পানির সুরকার, বাংলা চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় চিত্রনাট্যকার। নাটক রচনা ও অভিনয়ের মাধ্যমে তিনি নাট্য আন্দোলনের এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেন।
জন্ম ও শৈশব–
তিনি ১৮৯৭ সালের ৭এপ্রিল অবিভক্ত বাংলার রংপুর জেলার বর্তমান গাইবান্ধা জেলার সাদুল্লাপুর উপজেলার নলডাঙ্গা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।

তাঁর পিতার নাম সুরেন্দ্রনাথ লাহিড়ী। বাবা রংপুরের ডিমলা এস্টেটের ম্যানেজার ছিলেন। তিনি জমিদার পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।
শিক্ষা ও কর্মজীবন–
B. A. এবং B. L. পাশ করার পর প্রথমে রংপুরে এবং পরে কলকাতার আলিপুর কোর্টে ওকালতি করেন। জামিরউদ্দিন খান তার লেখা দুটি গান রেকর্ড করে সাংস্কৃতিক অঙ্গনে পরিচিতি পান। তার মাস্টার ভয়েস এবং মেগাফোনের পরে, তিনি গ্রামোফোন কোম্পানিতে সঙ্গীত পরিচালক নিযুক্ত হন। অনেক গান লেখা এবং সঙ্গীত যোগ করা হয়েছে. আইন পেশা ছেড়ে চলচ্চিত্র ও নাটকে যোগ দেন। নির্বাক যুগ থেকে শুরু করে বাংলা চলচ্চিত্রের সঙ্গে তার কয়েক দশকের ঘনিষ্ঠতা ছিল। নাট্য রচনা, মঞ্চে অভিনয়ের পাশাপাশি সিনেমাটোগ্রাফি ও অভিনয়ে তাঁর অভিজ্ঞতা ছিল বিশাল, তাঁর কৃতিত্ব ঈর্ষণীয়। মার্ক্সের দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে নাটকীয়তায় লাভজনকতা। পঞ্চাশের দশকে মন্বন্তরের পটভূমিকায় দারিদ্র্যের অভাব, সংঘাত, সংঘাত এবং দরিদ্র মানুষের ধর্মীয় ও সামাজিক নিপীড়নের ওপর ভিত্তি করে ‘ দুঃখীর ইমাম’ এবং ‘ ছেঁড়া তার’ নাটক রচনা করে ব্যাপক খ্যাতি অর্জন করেন।। “মায়ের দাবি” , “পথিক” , “লক্ষ্মীপ্রিয়ার সংসার” তার অন্যান্য নাটক। উত্তরবঙ্গের কৃষক সমাজের বাস্তব জীবনের প্রতিকৃতি এই নাটকের উপজীব্য। পুঁজিবাদী সমাজের অসারতা প্রমাণের জন্য নাটক রচনায় আত্মনিয়োগ করেন। কলকাতায় মৃত্যু। গানের জগতে নজরুল ইসলামের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতা ছিল। তার লেখা অনেক গানই এখন নজরুল গীতি নামে পরিচিত। হাজারো জনপ্রিয় বাংলা গানের এই গীতিকারের কোনো সংকলন নেই। নাটকের নাম- মায়ের দাবি, পথিক, লক্ষ্মীপ্রিয়ার সংসার, মণিকাঞ্চন, মায়া-কাজল, চোরাবালি, সর্বহারা।
২২ জুন ১৯৫৯ সালে তিনি প্রয়াত হন।

।। তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ

স্মরণে কিংবদন্তি ভারতীয় ধ্রুপদী নৃত্যশিল্পী, গুরু এবং ওডিশি নৃত্যের উদ্গাতা কেলুচরণ মহাপাত্র।।।।।

কেলুচরণ মহাপাত্র ছিলেন একজন কিংবদন্তি ভারতীয় ধ্রুপদী নৃত্যশিল্পী, গুরু এবং ওড়িশি নৃত্যের প্রবর্তক যার কৃতিত্ব বিংশ শতাব্দীতে এই শাস্ত্রীয় নৃত্যের পুনরুজ্জীবন এবং জনপ্রিয়তার দিকে পরিচালিত করেছিল। তিনি ওডিশা থেকে প্রথম ব্যক্তি যিনি পদ্মবিভূষণ পুরস্কার পান। তিনি ১৯২৬ সালের ৮ জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন।

ভারতের একজন প্রসিদ্ধ সংস্কৃত কবি এই গুরু সম্বন্ধে লিখেছেন – ‘তাঁর নৃত্যে দেহের প্রতিটি অঙ্গ সঞ্চালন অলৌকিক ভঙ্গি ও অঙ্গবিন্যাসের পরম মাধুর্য সৃষ্টি করে। প্রকৃতপক্ষে গুরু কেলুচরণ মহাপাত্র নৃত্যশৈলীর সাগর পার করেছিলেন।
কেলুচরণ মহাপাত্র তাঁর যৌবনে গাতিপোয়া পরিবেশন করতেন, যা উড়িষ্যার একটি ঐতিহ্যবাহী নৃত্য, যেখানে অল্পবয়সী ছেলেরা ভগবান জগন্নাথ দেবের প্রশংসা করার জন্য মহিলাদের পোশাক পরে। পরবর্তী জীবনে তিনি গতিপোয়া এবং মাহারি নৃত্য নিয়ে গভীর গবেষণা করেন, যা তাঁকে ওড়িশি নৃত্যের পুনর্গঠনে সাহায্য করেছিল। গুরু কেলুচরণ মহাপাত্র মৃদঙ্গ, পাখওয়াজ এবং তবলায় পারকাশন যন্ত্রের একজন বিশেষজ্ঞ ছিলেন, যা তাঁর নৃত্য রচনায় সরাসরি অবদান রেখেছিল। ঐতিহ্যবাহী পটচিত্র অঙ্কনেও তিনি পারদর্শী ছিলেন। গুরু কেলুচরণ মহাপাত্রের স্ত্রীর নাম লক্ষ্মীপ্রিয়া মহাপাত্র। লক্ষ্মীপ্রিয়া নিজেও একজন নৃত্যশিল্পী।
তিনি বলেছিলেন, “নৃত্য আমার জীবনে শুধু অভীষ্টসাধনই করেনি, এটাই ছিল আমার সম্পূর্ণ জীবন। আজকে আমি যা-ই হই-না-কেন সেটা পুরোপুরি আমার গুরুর আশীর্বাদেই।” তিনি আরো বলেন, “প্রকৃত নৃত্য নিশ্চিতভাবে অবিভক্ত অস্তিত্বের অনুভূতি প্রকাশ করে, যাতে একটি দর্শকের অনুভূতি হয় যে, সে উপলব্ধি করা বিষয় থেকে ভিন্ন নয়”।
“জনগণকে প্রমোদ প্রদানের জন্যে ওডিশি শুধুমাত্র একটা নৃত্যশৈলীই নয় আসলে অনুপ্রেরণা এবং উন্নয়নের উৎস। আমি আদতে নৃত্য প্রদর্শন করিনা বরং সমবেদনার সঙ্গে প্রার্থনা করি এবং দর্শকদের ভাষায় যেন এই ‘শৈলী’ নৃত্যরত।”

পুরস্কারসমূহ—–

তিনি সংগীত নাটক আকাদেমি পুরস্কার (১৯৬৬), পদ্মশ্রী (১৯৭৪), পদ্মভূষণ (১৯৮৮), সংগীত নাটক আকাদেমি ফেলোশিপ (১৯৯১), পদ্ম বিভূষণ(২০০০), মধ্য প্রদেশ রাজ্য সরকার থেকে কালিদাস সম্মান লাভ করেন।

মৃত্যু—

কেলুচরণ মহাপাত্র ৭ এপ্রিল ২০০৪ সালে প্রয়াত হন।

।।তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ

স্মরণে আন্তর্জাতিকখ্যাতি সম্পন্ন ভারতীয় কমিউনিস্ট বিপ্লবী বীরেন চট্টোপাধ্যায়।।।।

বীরেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়, একজন আন্তর্জাতিক কমিউনিস্ট বিপ্লবী হিসাবে ব্যাপকভাবে স্বীকৃত, তিনি চট্টো নামে পরিচিত ছিলেন। ৩১ অক্টোবর, ১৮৮০ সালে ব্রিটিশ ভারতে জন্মগ্রহণ করেন, তিনি ৬ এপ্রিল, ১৯৩৭-এ তাঁর মৃত্যুর আগ পর্যন্ত রাজনৈতিক সক্রিয়তায় নিবেদিত জীবন যাপন করেন।

একটি বিশিষ্ট পরিবার থেকে আগত, বীরেন্দ্রনাথ ছিলেন শিক্ষা সংস্কারক এবং ব্রাহ্মসমাজ কর্মী অঘোরনাথ চট্টোপাধ্যায়ের পুত্র এবং কবি ও রাজনীতিবিদ সরোজিনী নাইডু, ট্রেড ইউনিয়ন সংগঠক সুহাসিনী গাঙ্গুলী এবং বহুমুখী শিল্পী হরিন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বের ভাই।
বীরেন্দ্রনাথ একজন সোভিয়েত নাগরিক লিভিয়া এডওয়ার্ডোভনাকে বিয়ে করেছিলেন, যা আন্তর্জাতিক কমিউনিজমের প্রতি নিবেদিত তার জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় চিহ্নিত করেছিল।
১৯০১ সালে ইংল্যান্ডে তাঁর বিপ্লবী যাত্রা শুরু হয়, যেখানে তিনি প্রাথমিকভাবে আইসিএস পরীক্ষায় অংশ নিতে গিয়েছিলেন কিন্তু শীঘ্রই রাজনৈতিক সক্রিয়তায় জড়িয়ে পড়েন। তিনি শ্যামজি কৃষ্ণ বর্মার মতো প্রবাসী বিপ্লবীদের সাথে যুক্ত হন এবং ভার্মার প্রকাশনা, “দ্য ইন্ডিয়ান সোসিওলজিস্ট” পরিচালনার দায়িত্ব নেন। ১৯০৬ সালে মোস্তফা কামাল আতাতুর্কের মতো বিশিষ্ট নেতাদের সাথে তার যোগাযোগ ভারতীয় জাতীয়তাবাদী আন্দোলনে তার ক্রমবর্ধমান সম্পৃক্ততার ইঙ্গিত দেয়। ইউরোপে ব্রিটিশ বিরোধী প্রকাশনা এবং আন্দোলনে বীরেন্দ্রনাথের অংশগ্রহণ, বিশেষ করে “দ্য তালওয়ার” এই কারণের প্রতি তার প্রতিশ্রুতি প্রদর্শন করে।
প্যারিসে থাকাকালীন বীরেন্দ্রনাথের বিপ্লবী তৎপরতা তীব্র হয়। তিনি মাদাম ভিকাইজি কামার মতো ব্যক্তিত্বদের সাথে সহযোগিতা করেন এবং ১৯১০ সালে ফরাসি সমাজতান্ত্রিক দলে যোগদান করেন, ভারতীয় ও বাঙালি বিপ্লবীদের সাথে তার সংযোগ আরও জোরদার করেন। বার্লিন কমিটি গঠনে তার ভূমিকা, যা প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় ভারতীয় বিপ্লবী প্রচেষ্টার জন্য জার্মান সমর্থন পেয়েছিল, তার জীবনের একটি উল্লেখযোগ্য সময় ছিল। বীরেন্দ্রনাথের বিস্তৃত ভ্রমণ এবং একটি মুক্তিবাহিনী সংগঠিত করার প্রচেষ্টা ভারতের স্বাধীনতার জন্য তার নিরলস সাধনাকে চিত্রিত করে।
তার বিপ্লবী কর্মকাণ্ডের বাইরেও, বীরেন্দ্রনাথ ছিলেন একজন বিশিষ্ট লেখক, রাজনীতি, দর্শন, অর্থনীতি এবং নৃতাত্ত্বিক বিষয়ে বিভিন্ন প্রকাশনায় অবদান রেখেছিলেন। তাঁর কাজগুলি, বিশেষ করে ভারতে, কমিউনিস্ট ইন্টারন্যাশনালের প্রকাশনা “ইনপ্রেকর”-এ উল্লেখযোগ্য অবদান ছিল।
দুঃখজনকভাবে, ১৯৩৭ সালে বীরেন্দ্রনাথের জীবনের একটি রহস্যময় সমাপ্তি ঘটে যখন তিনি সোভিয়েত গোপন পুলিশ দ্বারা গ্রেফতার হন এবং নিখোঁজ হন। নিকিতা ক্রুশ্চেভের শাসনামলে ১৯৫৮ সাল না পর্যন্ত, সোভিয়েত পার্টি কংগ্রেসের দ্বারা তাঁর বিধবাকে মরণোত্তর কমিউনিস্ট হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছিল।
বীরেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়ের জীবন এবং উত্তরাধিকার ভারতীয় স্বাধীনতা এবং আন্তর্জাতিক কমিউনিজমের জন্য তাঁর অটল উত্সর্গের একটি প্রমাণ হিসাবে রয়ে গেছে, যা বিপ্লবী আন্দোলনের ইতিহাসে একটি অমোঘ চিহ্ন রেখে গেছে।
।। তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।

9000+ ম্যাগাজিনস্ এক্সপ্লোর করুন

Share This
Categories
নারী কথা প্রবন্ধ

স্মরণে কিংবদন্তি অভিনেত্রী সুচিত্রা সেন, বাংলা ছবির দর্শকের হৃদয়ে যিনি আজও অম্লান।।।

জন্ম পরিচয়-সুচিত্রা সেন একজন ভারতীয় অভিনেত্রী ছিলেন। ১৯৩১ খ্রিষ্টাব্দের ৬ই এপ্রিল ব্রিটিশ ভারতের বাংলা প্রেসিডেন্সির (অধুনা বাংলাদেশের অন্তর্গত) পাবনা শহরের গোপালপুর মহল্লার হেমসাগর লেনে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা করুণাময় দাশগুপ্ত ছিলেন স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।

মায়ের নাম ইন্দিরা দেবী গৃহবধূ। সুচিত্রা ছিলেন পরিবারের পঞ্চম সন্তান ও তৃতীয় কন্যা। ডাক নাম রমা। তবে বাবা ডাকতেন কৃষ্ণা নামে। পাবনা শহরেই তিনি পড়াশোনা করেছিলেন। তিনি ছিলেন কবি রজনীকান্ত সেনের নাতনী।
তিনি মূলত বাংলা ও হিন্দি চলচ্চিত্রে অভিনয় করে খ্যাতি অর্জন করেছিলেন। বাংলা চলচ্চিত্রে উত্তম কুমারের বিপরীতে নায়িকার ভূমিকায় অভিনয় করে তিনি বিশেষ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলেন।

শিক্ষা জীবন-
পাবনা শহরের মহাখালী পাঠশালার পাঠ শেষ করে, তিনি পাবনা গার্লস স্কুলে ভর্তি হন। এই স্কুলে তিনি দশম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করেন। পাক-ভারত বিভাজনের সময় এঁদের পুরো পরিবার কলকাতায় চলে যান।
বৈবাহিক জীবন-
১৯৪৭ সালে বিশিষ্ট শিল্পপতি আদিনাথ সেনের পুত্র দিবানাথ সেনের সঙ্গে সুচিত্রা সেনের বিয়ে হয়। তাদের একমাত্র কন্যা মুনমুন সেনও একজন খ্যাতনামা অভিনেত্রী।তার নাতনী রিয়া সেন ও রাইমা সেন ও চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন।
অভিনয় জীবন-
১৯৫২ সালে সুচিত্রা সেন বাংলা চলচ্চিত্র জগতের সঙ্গে যুক্ত হন। ১৯৫২ সালে শেষ কোথায় ছবির মাধ্যমে তার চলচ্চিত্রে যাত্রা শুরু হয় কিন্তু ছবিটি মুক্তি পায়নি। সুচিত্রা সেনই বাংলা চলচ্চিত্রের প্রথম অভিনেত্রী, যিনি আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব থেকে পুরস্কৃত হয়েছিলেন। ‘সাত পাকে বাঁধা’ ছবিতে অনবদ্য অভিনয়ের স্বীকৃতি হিসেবে ১৯৬৩ সালে মস্কো চলচ্চিত্র উৎসব থেকে সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার পান তিনি। ১৯৫৫ সালের দেবদাস ছবির জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পুরস্কার জিতেন, যা ছিল তার প্রথম হিন্দি ছবি। উত্তম কুমারের সাথে বাংলা ছবিতে রোমান্টিকতা সৃষ্টি করার জন্য তিনি বাংলা চলচ্চিত্রের সবচেয়ে বিখ্যাত অভিনেত্রী। ১৯৬০ ও ১৯৭০ দশকে তার অভিনীত ছবি মুক্তি পেয়েছে। স্বামী মারা যাওয়ার পরও তিনি অভিনয় চালিয়ে গেছেন, যেমন হিন্দি ছবি আন্ধি। এই চলচ্চিত্রে তিনি একজন নেত্রীর ভূমিকায় অভিনয় করেছেন। বলা হয় যে চরিত্রটির প্রেরণা এসেছে ইন্দিরা গান্ধী থেকে। এই ছবির জন্য তিনি ফিল্মফেয়ার শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছিলেন এবং তার স্বামী চরিত্রে অভিনয় করা সঞ্জীব কুমার শ্রেষ্ঠ অভিনেতার পুরস্কার জিতেছিলেন। হিন্দি চলচ্চিত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে প্রতিবছর দাদাসাহেব সম্মাননা প্রদান করে ভারত সরকার। চলচ্চিত্রের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ এ সম্মাননা নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন সুচিত্রা সেন। ২০০৫ সালে দাদাসাহেব সম্মাননা প্রত্যাখ্যান করেছিলেন তিনি। সম্মাননা নিতে কলকাতা থেকে দিল্লি যেতে চাননি বলেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি।
উত্তম-সুচিত্রা জুটি–
বাংলা চলচ্চিত্রের জগতে উত্তম-সুচিত্রা জুটিকে এখনো শ্রেষ্ঠ জুটি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। একসময় কলকাতার চলচ্চিত্র পাড়ায় উত্তম-সুচিত্রা জুটি ছাড়া সে সময় কোনো ছবি ‘হিট’ হবে, এটা ভাবা নির্মাতারা ভাবতে পারতেন না। এক পর্যায়ে সাধারণ মানুষ ভাবতে শুরু করে, চলচ্চিত্রের মতো বাস্তবেও হয়তো তারা একই সম্পর্ক ধারণ করেন।দীর্ঘ ২৬ বৎসর অভিনয় জীবনে তিনি মোট ৬১টি ছবিতে অভিনয় করেন। এর ভিতরে ৩১টি ছবিতে অভিনয় করেছিলেন উত্তম কুমারের বিপরীতে।
চলচ্চিত্রের তালিকা (বাংলা)-
দীপ জ্বেলে যাই (১৯৫৯), চাওয়া পাওয়া (১৯৫৯), হসপিটাল (১৯৬০), স্মৃতিটুকু থাক (১৯৬০)], সপ্তপদী (১৯৬১), সাথীহারা (১৯৬১), বিপাশা (১৯৬২), সাত-পাকে বাঁধা (১৯৬৩), উত্তর ফাল্গুনী(১৯৬৩) ( ১৯৬৬ খ্রিষ্টাব্দে হিন্দিতে পুনঃনির্মিত হয়েছে মমতা নামে), সন্ধ্যাদীপের শিখা(১৯৬৪), গৃহদাহ (১৯৬৭), কমললতা (১৯৬৯), মেঘকালো (১৯৭০), ফরিয়াদ (১৯৭১), নবরাগ (১৯৭১), আলো আমার আলো (১৯৭২), হারমানা হার (১৯৭২), দেবী চৌধুরানী (১৯৭৪), শ্রাবণ সন্ধ্যায় (১৯৭৪), প্রিয় বান্ধবী (১৯৭৫), আঁধি (১৯৭৫), দত্তা (১৯৭৬), প্রণয় পাশা (১৯৭৮)।
হিন্দি-
বোম্বাই কা বাবু (১৯৬০), সারহাত (১৯৬০)।
পুরস্কার ও সম্মাননা-
তৃতীয় মস্কো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব। শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী। চলচ্চিত্র সপ্তপদী ( ১৯৬৩ খ্রিষ্টাব্দ)।
ফিল্মফেয়ার শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী পুরস্কার মনোনীত, মমতা (১৯৬৬ খ্রিষ্টাব্দ)।
পদ্মশ্রী চলচ্চিত্র শিল্পে বিশেষ অবদানের জন্য (১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দ)।
ফিল্মফেয়ার শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী পুরস্কার মনোনীত, আঁধি। (১৯৭৬ খ্রিষ্টাব্দ)।
বঙ্গবিভূষণ চলচ্চিত্রে সারা জীবনের অবদানের জন্য। (২০১২ খ্রিষ্টাব্দ)।
১৯৭৮ সালে সুদীর্ঘ ২৫ বছর অভিনয়ের পর তিনি চলচ্চিত্র থেকে অবসরগ্রহণ করেন। এর পর তিনি লোকচক্ষু থেকে আত্মগোপন করেন এবং রামকৃষ্ণ মিশনের সেবায় ব্রতী হন।সুচিত্রা শেষ জনসম্মুখে আসেন ১৯৮৯ খ্রিষ্টাব্দে, তাঁর গুরু ভরত মহারাজের মৃত্যুর পর। ২০১৪ সালের ১৭ জানুয়ারি ভারতীয় সময় সকাল ৮টা ২৫ মিনিট নাগাদ কলকাতার বেল ভিউ হাসপাতালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ৮২ বছর বয়সে সুচিত্রা সেনের মৃত্যু হয়।

।।তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবপেজ।।

Share This
Categories
রিভিউ

আজ ০৬ এপ্রিল, ইতিহাসের দিকে চোখ বুলিয়ে দেখে নেব ইতিহাসের এই দিনে বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু, দিনসহ ঘটে যাওয়া ঘটনা।।।

আজ ০৬ এপ্রিল। এক নজরে দেখে নিই ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু দিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

দিবস—–

(ক) উন্নয়ন ও শান্তির জন্য আন্তর্জাতিক ক্রীড়া দিবস ৷
আজ যাদের জন্মদিন—-
১৪৮৩ – রাফায়েল, চিত্রশিল্পের রেনেসাঁস যুগের অন্যতম প্রধান শিল্পী।  .
১৭৭৩ – স্কটিশ ইতিহাসবিদ, অর্থনীতিবিদ ও দার্শনিক জেমস মিল।

১৮১২ – রাশিয়ান দার্শনিক ও লেখক আলেকজান্ডার হারযেন।
১৮২০ – ফরাসি ফটোগ্রাফার, সাংবাদিক ও লেখক নাডার।
১৮২৬ – ফরাসি চিত্রকর ও শিক্ষাবিদ গুস্টাভে মরেয়াউ।
১৮৪৯ – কলকাতা হাইকোর্টের প্রথম মুসলমান বিচারপতি সৈয়দ আমীর আলী।
১৮৮৩ – চার্লি রবার্টস, ইংরেজ ফুটবলার।
১৮৮৬ – নিজাম স্যার মীর উসমান আলি খান হায়দ্রাবাদ ও বেরার রাজ্যের শেষ নিজাম।
১৮৯০ – ডাচ প্রকৌশলী, ব্যবসায়ী ও ফকার বিমান প্রস্তুতকর্তা অ্যান্থনি ফকের।
১৯০৪ – জার্মান আইনজীবী, রাজনীতিবিদ ও ৩য় চ্যান্সেলর কার্ট গেয়র্গ কিসিঙ্গের।
১৯১১ – নোবেল পুরস্কার বিজয়ী জার্মান প্রাণরসায়নী ফিওডর ফেলিক্স কনরাড লাইনেন।
১৯২০ – নোবেল পুরস্কার বিজয়ী চীনা বংশোদ্ভূত আমেরিকান প্রাণরসায়নী ও শিক্ষাবিদ এডমন্ড এইচ. ফিসার।
১৯২৮ – জেমস ওয়াটসন, মার্কিন আণবিক জীববিজ্ঞানী।
১৯৩০ – ডেভ সেক্সটন, ইংরেজ ফুটবলার ও ফুটবল ম্যানেজার।
১৯৩১ – সুচিত্রা সেন, ভারতীয় বাঙালি অভিনেত্রী।
১৯৪২ – আমেরিকান অভিনেতা, পরিচালক, প্রযোজক ও চিত্রনাট্যকার ব্যারি লেভিনসন।
১৯৪৯ – নোবেল পুরস্কার বিজয়ী জার্মান পদার্থবিদ হরস্ট লুডউইগ স্টরমের।
১৯৫৬ – সাবেক ভারতীয় ক্রিকেটার ও কোচ দিলীপ বলবন্ত ভেংসরকার।
১৯৫৬ – মুদাসসর নজর, পাকিস্তানি ক্রিকেটার।
১৯৬৩ – ইকুয়েডর রাজনীতিবিদ ও ৫৪ তম প্রেসিডেন্ট রাফায়েল কররেয়া।
১৯৬৯ – আমেরিকান অভিনেতা, প্রযোজক ও চিত্রনাট্যকার পল রুড।
১৯৭8 – রাশিয়ান ফুটবলার ইগর সেমশভ।
১৯৮৩ – জাপানি ফুটবলার মিটসুরু নাকাটা।
১৯৮৫ – লিয়াম প্লাঙ্কেট, ইংরেজ ক্রিকেটার।

ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনের ঘটনাবলী—-

১৭১২ – নিউইয়র্কে নিগ্রো ক্রীতদাসরা শ্বেতাঙ্গ মালিকদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে।
১৭৯৩ – ফরাসি বিপ্লবের পর ফ্রান্সের রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য ‘কমিটি অব পাবলিক সেফটি’ গঠিত হয়।
১৮৭৬ – কলকাতা কর্পোরেশন অনুমোদিত হয়।
১৮৯৬ – এথেন্সে আধুনিক অলিম্পিক ক্রীড়ার সূচনা হয়।
১৯১৭ – প্রথম বিশ্বযুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জার্মানির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে।
১৯৩০ – ব্রিটিশ সাম্রাজ্য থেকে ভারতকে মুক্ত করতে মহাত্মা গান্ধী লবণ সত্যাগ্রহ অহিংস আন্দোলন শেষ করেন। সকাল সাড়ে ৬টার সময় গান্ধীজি লবণ আইন ভেঙে প্রথম লবণ প্রস্তুত করেছিলেন।
১৯৪২ – জাপানি বিমান সর্বপ্রথম ভারতে বোমাবর্ষণ করে।
১৯৪৮ – জিন্নাহর ঢাকা ত্যাগের পর রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের নেতৃত্বে বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা করার আন্দোলন আরো বেগবান হয়ে ওঠে।
১৯৬৬ – গণ দাবির মুখে ইরানের তৎকালীন শাসক রেজা শাহ বন্দি দশা থেকে ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের প্রতিষ্ঠাতা ইমাম খোমেনী কে মুক্তি দিতে বাধ্য হন।
১৯৬৮ – জাতিগত সহিংসতায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বড় বড় শহরগুলিতে কয়েক ডজন মার্টিন লুথার রাজা হত্যায় জাতিগত দাঙ্গা তীব্রতাবৃদ্ধি পায়।
১৯৭২ – বাংলাদেশকে স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয় গ্যাবন।
১৯৮৬ – ঢাকায় প্রথম এশীয় চারুকলা প্রদর্শনীর উদ্বোধন হয়।
১৯৯২ – মুসলিম রাষ্ট্র বসনিয়া স্বাধীনতা লাভ করে।
১৯৯৩ – মস্কোর ১৭০০ মাইল পূর্বে অবস্থিত রাশিয়ার গোপন সামরিক পরমাণু ঘাটিতে মারাত্মক দুঘর্টনা ঘটে।
২০০৮ – এই দিনে দক্ষিণ আফ্রিকা ইনিংস ও ৯০ রানে ভারতের বিপক্ষে জয়ী হয়।

এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন যারা—-

১৫২০ – রাফায়েল, চিত্রশিল্পের রেনেসাঁস যুগের অন্যতম প্রধান শিল্পী।
১৫২৮ – আলব্রেখট ড্যুরার, জার্মান চিত্রকর, খোদকার ও গণিতবিদ।
১৮২৯ – নরওয়েজিয়ান গণিতবিদ ও তাত্তিক নিল্স হেনরিক আবেল।
১৮৮৩ – ব্রাজিলিয়ান কবি, শিক্ষাবিদ ও রাজনীতিবিদ হোজে বনিফাসিও দে আন্দ্রাদা।
১৮৯২ – নিল্‌স হেনরিক আবেল, নরওয়েজীয় গণিতবিদ।
১৯৩৭ – আন্তর্জাতিকখ্যাতি সম্পন্ন ভারতীয় কমিউনিস্ট বিপ্লবী বীরেন চট্টোপাধ্যায়।
১৯৬১ – নোবেল পুরস্কার বিজয়ী বেলজিয়ান মাইক্রোবায়োলোজিস্ট জুলস বরডেট।
১৯৬৭ – কবিয়াল রমেশচন্দ্র শীল।
১৯৭১ – ইগর স্ট্রাভিনস্কি, রুশ সুরকার।
১৯৯০ – সাহানা দেবী,রবীন্দ্রনাথের স্নেহধন্যা গায়িকা।
১৯৯১ – বিল পন্সফোর্ড, অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটার।
১৯৯২ – আইজাক আসিমভ, রুশ লেখক ও শিক্ষাবিদ।
১৯৯৪ –  (ক) প্রখ্যাত ভারতীয় বাঙালি নাট্যকার, পরিচালক ও অভিনেতা শেখর চট্টোপাধ্যায়।
(খ) রুয়ান্ডার ব্যাংকার, রাজনীতিবিদ ও ৩য় প্রেসিডেন্ট জুভেনাল হাব্যারিমানা।
২০০০ – টিউনিস্ রাজনীতিবিদ ও ১ম প্রেসিডেন্ট হাবিব বউরগুইবা।
২০১৪ – মিকি রুনি, মার্কিন অভিনেতা, কৌতুকাভিনেতা, প্রযোজক ও বেতার ব্যক্তিত্ব।
২০১৯ – টেলি সামাদ, বাংলা চলচ্চিত্রের শক্তিমান কৌতুকাভিনেতা।

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This